Tag: bjp

bjp

  • Udaipur Tailor Killing: প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট  

    Udaipur Tailor Killing: প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক হিন্দু দর্জি (Tailor) খুনের জেরে উত্তাল রাজস্থানের উদয়পুর (Udaipur)। বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই দর্জি। অভিযোগ, তার জেরেই দোকানে ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। গোটা খুনের পর্বটি ভিডিও করা হয়েছে। সেখানে হুমকিও দিতে শোনা গিয়েছে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদয়পুরের পুলিশ সুপার মনোজ কুমার। ঘটনার জেরে কংগ্রেস শাসিত এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে প্রবল বিক্ষোভ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বর্বরোচিত এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে। 

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    জানা গিয়েছে, উদয়পুরের ধানমান্ডি এলাকায় কানাইয়ালাল নামের এক ব্যক্তি নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তার জেরে খুন করা হয় তাঁকে। প্রথমে একটি খুনের ভিডিও করা হয়। পরে করা হয় আরও একটি ভিডিও। দুটোই ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।  দ্বিতীয় ভিডিওয় বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য শিরশ্ছেদ করা হয়েছে লালের। ওই ভিডিওয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। গাউস মহম্মদ ও রিয়াজ আহমেদ নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালকে। পরে জামিনে ছাড়াও পান। তার পর থেকে তাঁকে লাগাতার ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছিলেন ওই হিন্দু দর্জি।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    ঘটনার জেরে দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয় উদয়পুরেও। সেখানকার হাতিপোল এালাকায় দুটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধানমান্ডি এলাকায় একটি মসজিদ লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। 

    নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের কড়া নিন্দা করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। দোষীদের কড়া শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন শান্তি বজায় রাখার আবেদনও।বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ২৪ ঘণ্টার জন্য গোটা রাজস্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আগামী একমাসের জন্য জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    গোটা ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজস্থানের বিজেপি নেতা গুলাব চাঁদ কাটারিয়া লেন, দোষীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। মৃতের পরিবারকে সাহায্য করতে হবে। হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।

    এদিকে, খুনের ঘটনার তদন্তে চারজনের সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএর হাতেও। ঘটনার নেপথ্যে কোনও জিহাদি গোষ্ঠীর হাত রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে, উদয় পুরের খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও সংস্থা কিংবা আন্তর্জাতিক কোনও গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। 

    [tw]


    [/tw]

     

     

  • Uniform Civil Code: সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    Uniform Civil Code: সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) চালু করা। যেমনটা করতে চলেছে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand)। উধম সিং নগর জেলার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami)। ওই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান, উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জন প্রকাশ দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। এই কমিটিই সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কথা বলবে।

    বস্তুত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েই দ্বিতীয়বারের জন্য উত্তরাখণ্ডের তখতে ফিরেছেন পুষ্কর সিং ধামি। তার পরেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে কোমর বেঁধে নামেন তিনি। কুর্সিতে বসেই ঘোষণা করেন, উত্তরাখণ্ডে কার্যকর করা হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। তখনই ধামি জানিয়েছিলেন, রাজ্য মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছে যে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে শীঘ্রই একটি কমিটি গঠন করা হবে। এবং এই আইন রাজ্যে কার্যকর করা হবে। এটিই প্রথম রাজ্য যেখানে এই আইন কার্যকর করা হবে। উধম সিং নগর জেলার এদিনের অনুষ্ঠানেও মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ রাজ্যে খুব শীঘ্রই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হবে। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যেই এই আইন কার্যকর করা উচিত। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর ব্যাপারে উত্তরাখণ্ডবাসীর সমর্থন পেয়েছেন বলেও জানান ধামি। 

    আরও পড়ুন : অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    গত কয়েক দশক ধরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি-ই বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। প্রশ্ন হল, কী এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি? ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে এ ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হল দেশের সকল নাগরিকের জন্য এক আইন। দেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও একই আইন কার্যকর হবে। অর্থাৎ, উত্তরাধিকার, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং দত্তকের ক্ষেত্রে দেশের সকল নাগরিককে একই আইন মেনে চলতে হবে।

    আরও পড়ুন : ‘সংবিধান-বিরোধী!’ অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দের

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু নিয়ে উত্তরাখণ্ডের পথে যে উত্তরপ্রদেশ সরকারও হাঁটতে চলেছে, কিছুদিন আগে তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যোগী রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যও। তিনি বলেছিলেন, প্রত্যেকের উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চাওয়া ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধির উদ্যোগ সমর্থন করা। উত্তরপ্রদেশ সরকারও সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে।

     

  • Maharashtra Crisis: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?  

    Maharashtra Crisis: মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার গড়ছে বিজেপি? মন্ত্রিসভায় কারা?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। আর প্রয়োজন নেই আস্থা ভোটের। তাই এবার সরকার গড়তে কোমর কষে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে জরুরি বৈঠকে বসেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন নিয়ে বিতর্কের কারণে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের।তার পরেই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি শাসিত গুজরাটে উড়ে যান শিন্ডে। সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে তাঁরা চলে যান আসামের গুয়াহাটির হোটেলে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন উদ্ধব। সরকার ধরে রাখা যে যাবে না, তা আগেভাগেই আঁচ করতে পেরেই সরকারি বাংলো বর্ষা ছেলে পৈত্রিক ভিটে মাতোশ্রীতে গিয়ে আশ্রয় নেন উদ্ধব। পরে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেন ইস্তফাপত্র। তার পরেই সরকার গড়তে জোর কদমে উদ্যোগী হন বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন : আস্থাভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন উদ্ধব, গোয়ায় পৌঁছল একনাথ শিবির

    সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্ব এবার দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠনের দাবি করতে চলেছেন। শিবসেনার একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীর ৩৯ জন বিধায়কই দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নেতৃত্বে সরকার তৈরি হলে তাঁকে সমর্থন করবে। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে  ফড়নবিশের নেতৃত্বে নয়া সরকার গঠিত হলে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেতে পারেন শিন্ডে।

    আরও পড়ুন : দু’বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন উদ্ধব! আটকান এই প্রবীণ নেতা

    মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৬। শিবসেনার বিধায়ক সংখ্যা ৫৫ জন। এর মধ্যে শিন্ডের সঙ্গে রয়েছেন ৩৯ জন। স্বাভাবিকভাবেই সরকার হবে বিজেপির নেতৃত্বে। আনুপাতিক হারে মন্ত্রিত্ব পাবেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা। সূত্রের খবর, ঠাকরে মন্ত্রিসভায় যাঁরা মন্ত্রী ছিলেন, তাঁরা ফের মন্ত্রী হতে পারেন। বিজেপি সূত্রের খবর, তাঁদের সঙ্গে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যেই সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তাঁরা।

     

  • Udaipur killing: উদয়পুরে হিন্দু দর্জি খুনের ঘটনার নিন্দায় সরব কংগ্রেস, বিজেপি

    Udaipur killing: উদয়পুরে হিন্দু দর্জি খুনের ঘটনার নিন্দায় সরব কংগ্রেস, বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) হিন্দু দর্জি (Tailor) খুনের ঘটনায় এক সুর কংগ্রেস (Congress) এবং বিজেপির (BJP)। পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। সেখানেই একযোগে নিন্দা করা হয় নৃশংস ওই ঘটনার। রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছে এই দুই প্রধান জাতীয় দল।

    আরও পড়ুন : উদয়পুর-হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি যোগ! তদন্ত শুরু করল এনআইএ

    উদয়পুরের ধানমান্ডি এলাকায় কানাইয়ালাল নামের এক দর্জি বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন কিছুদিন আগে। তার জেরে খুন করা হয় তাঁকে। প্রথমে একটি খুনের ভিডিও করা হয়। পরে করা হয় আরও একটি ভিডিও। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওয় বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য শিরশ্ছেদ করা হয়েছে লালের। ওই ভিডিওয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় গাউস মহম্মদ ও রিয়াজ আহমেদ নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল কানাইয়ালালকে। পরে জামিনে ছাড়াও পান। তার পর থেকে তাঁকে লাগাতার ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি। তার পরেও বাঁচানো যায়নি কানাইয়ালালকে।

    হিন্দু দর্জি খুনের ঘটনার জেরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় রাজস্থানজুড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ডাকা হয় সর্বদলীয় বৈঠক। জয়পুরে আয়োজিত ওই বৈঠকে নেতৃত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেখানেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা। আবেদন জানান শান্তি বজায় রাখারও। মৃতের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : “দায়ী রাজ্যের তোষণের রাজনীতি”, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বসুন্ধরা রাজে

    কানাইয়ালাল খুনের ঘটনাকে সর্বদলীয় বৈঠকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তকমা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অভিযুক্তদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনও গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। ওই বৈঠকে কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে বিজেপিও। সব দলের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে শান্তি বজায় রাখার। এই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, এনআইএ-র পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। তদন্তে রাজস্থান পুলিশ তাদের সবরকম ভাবে সাহায্য করছে। সাইবার ক্রাইম রুখতে সোশ্যাল মিডিয়ার কনটেন্টের ওপর নজরদারি চালাতে একটি শক্তপোক্ত সাইবার ইনটেলিজেন্স সিস্টেম তৈরি করার প্রস্তাবও ওই বৈঠকে দেন রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশী।

     

  • Amit Shah: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ   

    Amit Shah: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে (India) রাজ করবে বিজেপি (BJP)। দেশ হবে বিশ্বগুরু। তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে (Hyderabad) বিজেপির দুদিনের জাতীয় কর্মসমিতির (National Executive Meeting) বৈঠকে এই আশা ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। শীঘ্রই বাংলা এবং তেলঙ্গানাও পরিবারতন্ত্রের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে আশাবাদী অমিত।

    ১৮ বছর পর এবার ফের হায়দরাবাদে হচ্ছে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। দুদিন ব্যাপী ওই বৈঠক শুরু হয়েছে শনিবার। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। রবিবার বৈঠকে প্রস্তাব পেশ করছিলেন শাহ। সেই সময়ই পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, খুব শীঘ্রই বাংলা এবং তেলঙ্গানা পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্তি পাবে। সেখানে বিজেপি জয়ী হবে।

    আরও পড়ুন : সব রাজ্যেরই উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা, জানালেন ধামি

    এদিনের ভাষণে কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলিকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, কংগ্রেস সহ বেশিরভাগ বিরোধী দল পরিবারতান্ত্রিক, নীতিহীন, দুর্নীতিগ্রস্ত, সুবিধাবাদী রাজনীতির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আগে পরিবারতন্ত্র ও তুষ্টিকরণের ভিত্তিতে ভোট হত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলেছে। বর্তমানে নির্বাচন পলিটিক্স অফ পারফরম্যান্স এবং উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে হয়।

    এদিন রাজনৈতিক প্রস্তাবে শাহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলা পরিবারতন্ত্রের কথার উল্লেখ করেন। কংগ্রেসের দিকে নিশানা তাক করে তিনি বলেন, কংগ্রেস পারিবারিক দল হয়ে গিয়েছে। পরিবারের হাত থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয়ে সভাপতি নির্বাচনই করছে না। অচিরেই বাংলা, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওডিশায়ও বিজেপির সরকার হবে বলে প্রত্যয়ী শাহ। এর পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে রাজ করবে বিজেপি। দেশ হবে বিশ্বগুরু।   দেশের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিকতাবাদ, পরিবারতন্ত্র এবং তোষণবাদ চলছে বলে এদিন পেশ করা বিজেপির রাজনৈতিক প্রস্তাবে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই পরিস্থিতির বদল এনে বিজেপি চায় উন্নয়নের রাজনীতি, কাজ করার রাজনীতি।

    আরও পড়ুন : হায়দরাবাদে শুরু বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক, কেন বাছা হল নিজামের শহর?

     

  • Maharashtra political crisis: সঙ্কট আরও ঘনীভূত,  বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    Maharashtra political crisis: সঙ্কট আরও ঘনীভূত,  বুধেই পদত্যাগ করছেন উদ্ধব ঠাকরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ডামাডোল। করোনা (Covid) সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ওই একই কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ্যপালও। এদিকে, নিভৃতবাসে থেকে অনুগামী বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সকাল থেকে খবর ছড়িয়ে পড়ে, পদত্যাগ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে ভার্চুয়াল বৈঠকে ঠিক হয়, আপাতত পদত্যাগ করছেন না উদ্ধব। অন্যদিকে, এদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের মুম্বাই ফিরতে বলেছেন শিবসেনা নেতৃত্ব। এদিকে, এদিন একটি চার্টার্ড বিমানে করে চার বিধায়ককে নিয়ে গুয়াহাটি উড়ে যান মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল।

    আরও পড়ুন : উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে একনাথ শিন্ডের ‘বিদ্রোহের’ নেপথ্য কারণ কী?

    ‘নরম হিন্দুত্ব’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সম্পর্কে চিড় ধরে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে হনুমান চালিশা পাঠ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর গ্রেফতার করা হয় বিজেপি সাংসদ নবনীত রাণা ও তাঁর বিধায়ক স্বামী রবি রাণাকে। এর পরেই উদ্ধব এবং একনাথের সম্পর্কের ফাটল চওড়া হয়। তার পরেই সঙ্গী ৪০ জন বিধায়ককে নিয়ে একনাথ প্রথমে চলে যান বিজেপি শাসিত গুজরাটে। সেখান থেকে মধ্য রাতে উড়ান ধরেন গুয়াহাটির। একনাথের দাবি, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ৪৬ জন বিধায়ক। তার মধ্যে ৩৪ জনই নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছেন তাঁকে। 

    পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন বেলা একটায় বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই করোনা ধরা পড়ে তাঁর। তার আগে করোনা সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন রাজ্যপাল। পরে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন উদ্ধব। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, এখনই পদত্যাগ করছেন না মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : কাউন্সিলর থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?

    এদিকে, বিদ্রোহী বিধায়কদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি চিঠি দিয়েছে শিবসেনা। এদিনই বিকেল পাঁচটার মধ্যে গুয়াহাটি থেকে মুম্বাই ফিরতে বলা হয়েছে তাঁকে। তা না হলে তাঁদের বহিষ্কার করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, যতক্ষণ না সব বিধায়ক গুয়াহাটি থেকে ফিরে আসবেন, ততক্ষণ দলের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।  

     

    এদিকে, বিদ্রোহী বিধায়কের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই দাবি একনাথের। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ৬ নির্দল সহ ৪৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে। এখনও পর্যন্ত আমরা বিজেপির তরফে কোনও প্রস্তাব পাইনি। তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনাও চলছে না। তবে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁদের আর আলোচনার কোনও সম্ভাবনাই নেই বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন একনাথ।

    ডামাডোলের এই পরিস্থিতিতে এদিনই বিকেলে বৈঠকে বসতে চলেছেন এনসিপি নেতৃত্বও। তবে এই মুহূর্তে সরকারের কোনও সঙ্কট নেই বলেই দাবি কংগ্রেসের।

     

  • Modi in Hyderabad: শুধু হিন্দু নয়! সব সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যান, বললেন মোদি

    Modi in Hyderabad: শুধু হিন্দু নয়! সব সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যান, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  হিন্দু নয়, দলকে সমস্ত সম্প্রদায়ের নিপীড়িত মানুষের কাছে যাওয়ার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। হায়দরাবাদে (Hyderabad) বিজেপির (BJP) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের শেষ দিনে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে এই কথা বলেন তিনি। রবিবার ওই বৈঠকে দলের নেতাকর্মীদের হিন্দু ছাড়াও অন্যান্য বঞ্চিত ও নিপীড়িত সম্প্রদায়ের মানুষের (downtrodden sections in other communities) সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দলের এক নেতার কথায়, বৈঠকে মোদি বলেন, অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যেও বঞ্চিত এবং নিপীড়িত মানুষ আছেন।  শুধু হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লে চলবে না।  সমস্ত বঞ্চিত ও নিপীড়িতের জন্য কাজ করা উচিত। এ জন্য ‘স্নেহ যাত্রা’ শুরু করা উচিত, বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    প্রসঙ্গত, জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যখন মোদি এ কথা বলছেন, তার ঠিক কয়েক দিন আগে উত্তরপ্রদেশে দু’টি উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। ঘটনাচক্রে, সেই দুই লোকসভা আসন— আজমগড় ও রামপুরে জয়-পরাজয় স্থির করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে মুসলিম জনসংখ্যার। মনে করা হচ্ছে, মোদি এ কথা বলে আসলে ওই দুই এলাকার পাসমান্দা মুসলিমদের নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিতে চাইলেন। যারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া। 

    আরও পড়ুন: আগামী ৩০-৪০ বছর ভারতে বিজেপি-রাজ, শীঘ্রই দখলে বাংলাও, প্রত্যয়ী শাহ

    দ্রৌপদী মুর্মুর মতো আদিবাসী নেত্রীকে দেশের রাষ্ট্রপতি পদের জন্য তুলে ধরে, দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে সদর্থক বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে বিজেপি। পাশাপাশি হিন্দু ছাড়াও অন্য সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ভাবে দুর্বল জনসংখ্যাকেও পাশে পেতে ঝাঁপাবে বিজেপি, রবিবার মোদির বক্তব্যে তা-ও স্পষ্ট হল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, মোদি বৈঠকে বলেছেন, দ্রৌপদীর সহজ সরল জীবনযাত্রা, তাঁর লড়াইয়ের কথা তৃণমূল স্তরে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

    কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে মহিলাদের জীবনযাত্রার মানে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে বিজেপি সরকারের একাধিক জনহিতকর কর্মসূচি। হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর এক সভায় এই দাবিও করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন,উজ্জ্বলা যোজনা থেকে স্বচ্ছ্ব ভারত, কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের সুফল পেয়েছেন তেলঙ্গানার মানুষ। এর ফলে গোটা দেশ ও তেলঙ্গানার মহিলাদের জীবনে পরিবর্তন বেড়েছে। দেশে মহিলাদের সংখ্যা বেড়েচ্ছে। দেশের নারী শক্তিকে রাষ্ট্রশক্তি বানানোর চেষ্টা করছে সরকার। 

    নিজামের শহরে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এদিন হায়দরাবাদকে ‘ভাগ্যনগর’ বলেও সম্বোধন করেন মোদি। আর তাতেই হায়দরাবাদের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

  • Akhilesh Yadav: উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে হারের ধাক্কা! দলীয় সব সংগঠন ভাঙলেন অখিলেশ

    Akhilesh Yadav: উপনির্বাচনে বিজেপির কাছে হারের ধাক্কা! দলীয় সব সংগঠন ভাঙলেন অখিলেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) গড় হিসেবে পরিচিত, রামপুর এবং আজমগড়ে  (Rampur and Azamgarh) লোকসভা উপনির্বাচনে (Lok Sabha bypoll) পরাজিত হয়েছে সমাজবাদি পার্টি। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই রবিবার দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। এদিন যুব ও মহিলা শাখা সহ দলের জাতীয়, রাজ্য ও জেলা কার্যনির্বাহী সমস্ত পদ ভেঙে দেওয়া হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    রবিবার সমাজবাদী পার্টির করা ট্যুইট অনুসারে, রাজ্য ও জাতীয় পার্টি সংগঠনগুলি ভেঙে দেওয়ার কথা জানানো হয়। সমস্ত শাখা সংগঠন, মহিলা শাখাগুলিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দলের রাজ্য সভাপতি পদে নরেশ উত্তমকে বহাল রাখা হয়েছে। তবে কেন অখিলেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,সেই বিষয়ে দলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর দলকে পুনর্গঠন করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুন: ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন! ভেঙে যাবে শিন্ডে সরকার দাবি পাওয়ারের

    রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্র সমাজবাদী পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব আজমগড়ের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। কিন্তু উপনির্বাচনে আজমগড় সমাজবাদী পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায়। বিজেপি প্রার্থী দীনেশ লালা যাদব নিরহুয়া জয়ী হন। সামজবাদী পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায় আজম খানের শক্ত দুর্গ রামগড়। জয়ী হন সমাজবাদী পার্টিরই প্রাক্তন কর্মী ঘনশ্যাম লোধি। তিনি কয়েকমাস আগেই সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশে ক্রমেই সমাজবাদী পার্টির দ্বন্দ্ব এবং বেহাল অবস্থা প্রকট হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে দলকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত পার্টি সুপ্রিমোর, দাবি বিশেষজ্ঞদের। দলীয় সূত্র অনুসারে খবর, অখিলেশ শীঘ্রই বিভিন্ন দলীয় সংগঠন পুনর্গঠন করবেন এবং সেখানে নতুন কিছু মুখ নিয়ে আসা হবে।

  • 2002 Gujarat riots case:  মোদিকেও প্রশ্ন করেছিল সিট, কেউ ধর্না দেয়নি, কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ শাহের

    2002 Gujarat riots case: মোদিকেও প্রশ্ন করেছিল সিট, কেউ ধর্না দেয়নি, কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীকে সমন জারি করে জেরা করেছে ইডি। এর প্রতিবাদে ইডির দফতরের বাইরে তুমুল প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। এই নিয়েই রাহুলকে বিঁধছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ দিয়ে  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘সিটের সামনে হাজিরা দিতে মোদিজি কোনও নাটক করেননি। গণতন্ত্রে সংবিধানকে কীভাবে সম্মান করা উচিত, সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে তার একটি আদর্শ উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মোদিজিকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করেনি, সারা দেশের কর্মীরা মোদিজির সাথে সংহতি প্রকাশ করেনি। আমরা আইনের সাথে সহযোগিতা করেছি। আমাকেও গ্রেফতার করা হয়। আমরা প্রতিবাদ করিনি। ’

    গুজরাট হিংসার ঘটনায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দিয়েছিল সিট। সিটের দেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিটের রায় দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা করেছিলেন জাকিয়া জাফরি। শুক্রবার তাঁর সেই মামলা খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এরপরই বিরোধীদের একহাত নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাহুল গান্ধীর নাম না করে তাঁকে কটাক্ষ করে অমিত বলেন, “মোদিজি নাটক করেননি।” শাহ জানান, বিশেষ তদন্তকারী দলের জিজ্ঞাসাবাদে বসতে মোদি কখনও না বলেননি। সত্যের জন্য অপেক্ষা করেছেন। তাঁকে জেরা করা হয়েছিল কিন্তু কেউ ধর্না দেয়নি। কোনও  দলীয় কর্মী তাঁর পাশে দাঁড়াতে আসেনি। তিনি কাউকে সে কথা বলেনওনি। 

    আরও পড়ুন: ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    বিজেপির ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’র জেরে ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীদের ‘হেনস্থা’ করা হচ্ছে, এই অভিযোগে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালায় কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেস জমানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সামনে বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহকে। তাঁরা কিন্তু কোনও প্রতিবাদ ছাড়াই তদন্তে সাহায্য করেছিলেন। কোনও নাটক হয়নি বলে দাবি রাজনৈতিক মহলেরও। 

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি রাহুল গান্ধী। টানা কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তা নিয়ে প্রথম দিনে থেকেই রাস্তায় নেমেছে কংগ্রেস। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রায় সব রাজ্যেই একই ছবি। বিহারের পাটনা, ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে রাস্তায় নামেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বারবার পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে বিক্ষোভ আন্দোলনে ডাক দেয় হাতশিবির। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, জয়পুর, চণ্ডীগড়, আগরতলায়  রাস্তায় নেমেছিলেন কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা। কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হয় প্রায় সব জায়গাতেই। হায়দরাবাদে আন্দোলন ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    উত্তরপ্রদেশের লখনউ তেতে ওঠে কংগ্রেসের বিক্ষোভে। কর্ণাটকে বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থানের জয়পুরেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। রাহুল গান্ধীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে দিল্লির রাজপথে বিরোধিতা করেছেন অধীর চৌধুরী, কেসি বেণুগোপাল, ভূপেশ বাঘেল, অজয় মাকেন, গৌরব গগৈয়ের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে বারবার প্রশ্ন উঠেছে একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তদন্তে সাহায্য করলেই হল। নির্দোষ হলে তো যে কেউ ছাড়া পাবেন, তাহলে এত নাটক কেন? কিসের ভয়?

    প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের জমানাতে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ১২ বছর আগে সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। বিজেপি তো তখন এত বিরোধিতা করেনি! 

    আরও পড়ুন: জাকিয়া জাফরির কষ্টকে ব্যবহার করেছেন তিস্তা শেতলবাদ! অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    ৯ ঘণ্টা জেরা ও ১০০ টি পর পর প্রশ্ন। প্রসঙ্গ ছিল গুজরাতের বুকে ২০০২ সালের বিধ্বংসী হিংসার ঘটনা। যে ঘটনা নিয়ে খোদ সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদি পড়েছিলেন সিবিআই জেরার মুখে। একের পর এক প্রশ্ন। অথচ ধৈর্য্য হারাননি। এড়াননি একটা প্রশ্নও। ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরায় এক কাপ চা-ও পর্যন্ত নেননি নরেন্দ্র মোদি। গুজরাট দাঙ্গায় মোদিকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে এমন সব তথ্য উঠে এসেছিল তদন্তকারী দলের প্রধান আরকে রাঘবনের লেখা বইয়েও।   গান্ধীনগরে সিটের অফিসে জেরার জন্য হাজিরা দিতেও সম্মত হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সে নিয়ে ‘আ রোড ওয়েল ট্রাভেলড’ বইয়ে রাঘবন লিখেছেন,”মুখ্যমন্ত্রীর কর্মীদের আমরা বলেছিলাম, সিটের অফিসে তাঁকে আসতে হবে। অন্য কোথাও হলে তা তদন্তে প্রভাবিত করতে পারে। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। সিটের অফিসে আসতে সম্মত হন।” সিটের অফিসে ৯ ঘণ্টার জেরায় ১০০টির কাছাকাছি প্রশ্ন করা হয়েছিল তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কোনও প্রশ্নই এড়িয়ে যাননি তিনি। এমনকি উত্তর সাজানোর চেষ্টা করেছেন বলেও মনে হয়নি।’ ২০১০ সালে মোদিকে টানা ১৩ ঘণ্টা জেরা করেছিল সিট। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাট দাঙ্গার তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট দেয় সিট। ক্লিনচিট পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রিপোর্টে বলা হয়, দোষী সাব্যস্ত করার মতো কোনও প্রমাণই মেলেনি।  

    সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায়  রাজ্যছাড়া ছিলেন অমিত শাহ। গুজরাতে প্রবেশ করতে পারতেন না। তার আগে তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল সিবিআই। গ্রেফতারির ঠিক আগে আমদাবাদের বিজেপি দফতরে গিয়ে শাহ বলে এসেছিলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। কিন্তু কোনও দলীয় কর্মীদের নিয়ে জমায়েত করতে যায়নি বিজেপি। পরে আদালতে নিষ্কৃতি পান অমিত। তাহলে সেসময় কি কংগ্রেস তদন্ত সাজিয়েছিল? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।

  • Uddhav Thackeray: “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    Uddhav Thackeray: “সেদিন থেকেই পতন শুরু…”, উদ্ধবকে ট্যুইট-বাণ রাজ ঠাকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ একজন ব্যক্তির সেদিন থেকেই পতন শুরু হয়, যেদিন সে সৌভাগ্যকে নিজের ব্যক্তিগত কৃতিত্ব হিসেবে ভুল বোঝে।” মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) ইস্তফার পর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তাঁকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS) প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray)। হিন্দিতে করা একটি ট্যুইটে উদ্ধবের পতন শুরু হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

    মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে উদ্ধব-রাজের দ্বন্দ্ব বেশ পুরানো। ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হতেই সেই দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছিল। প্রকাশ্যে উদ্ধব ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতেও দেখা গিয়েছে বালাসাহেবের ভাইপো রাজকে। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে রাজনৈতিক ডামাডোল চললেও, শারীরিক অসুস্থতার কারণে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন রাজ। মুখ খুললেন শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর। নিক্ষেপ করলেন ট্যুইট বাণ।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    মহারাষ্ট্রের মসনদে পালাবদল ঘটেছে বৃহস্পতিবারই। উদ্ধব ঠাকরে ইস্তফা দেওয়ার পরে মহারাষ্ট্রের রাশ এখন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের হাতে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিত মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন রাজ।

    সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব হিন্দুত্বের আদর্শ থেকে সরে এসেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শিন্ডে। উদ্ধব যাতে কংগ্রেস-এনসিপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন, সেই দাবিতেই সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁরা। রাজ নিজেকে হিন্দুত্ববাদী বলে দাবি করেন। শিন্ডে শিবিরের বিদ্রোহী বিধায়করা যদি বিজেপিতে যোগদান না করেন, তাহলে তাঁরা রাজের নবনির্মাণ সেনায় যোগ দিতে পারেন। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নবনির্মাণ সেনার একজন বিধায়ক রয়েছেন। দিন কয়েক আগে শিন্ডে শিবিরের এক নেতা ফোন করেছিলেন রাজকে। ফোনে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কেননা শিবসেনার বিদ্রোহীরা বিজেপিতে যোগ দিলে ক্ষমতার লোভের অভিযোগ উঠতে পারে তাঁদের বিরুদ্ধে। তাঁরা যদি রাজ শিবিরে যোগ দেন তাহলে একনাথ শিবিরের মান এবং কূল দুইই রক্ষা হবে। কেবল শিন্ডে নয়, বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গেও রাজের কথা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন : বালাসাহেবের হিন্দুত্বের পথেই চলবে শিবসেনা, জানিয়ে দিলেন শিন্ডে

    এদিকে, উদ্ধবের সঙ্গে আপাতত রয়েছেন ১৬ জন বিধায়ক। তাঁদের মধ্যেও কয়েকজন শিন্ডে শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে খবর। এঁদের সিংহভাগ যদি শিন্ডে শিবিরে নাম লেখান, তাহলে উদ্ধবের ওপর চাপ আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে শিবসেনার প্রতীক পাওয়ার জন্য বিদ্রোহীদের নিয়ে রাজ স্বয়ং আসরে নামতে পারেন বলেও সূত্রের খবর।

     

LinkedIn
Share