Tag: bjp

bjp

  • Presdential Elections: রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    Presdential Elections: রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presdential polls)। শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই ব্যস্ততা তুঙ্গে।এমতাবস্থায় সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের ওপর জোর দিচ্ছে বিজেপি। সেই কারণে বিজেপির তরফে এনডিএ, ইউপিএ এবং নির্দলদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (jp nadda) এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে (Rajnath singh)।

    ভারতে রাষ্ট্রপতি পদটি আলঙ্কারিক। রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। আমেরিকায় জনগণই ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন। আর ভারতে জনগণের হয়ে ভোট দেন বিধায়ক, সাংসদরা। তাই রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চাইছেন না পদ্ম নেতৃত্ব। বরং তাঁরা চাইছেন, রাষ্ট্রপতি মনোনীত হোন ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে। সেই জন্যই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাড্ডা এবং রাজনাথকে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং বলেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করতে এনডিএ, ইউপিএ এবং নির্দলদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?

    ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পদে রামনাথ কোবিন্দ বসার আগেও বিজেপির তরফে বিরোধীদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য গঠন করা হয়েছিল দুজনের কমিটি। সেবার অবশ্য ঐক্যমত্য হয়নি। কোবিন্দকে সমর্থন করেছিল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিজু জনতা দল। ৬৫ শতাংশ ভোট পেয়ে রাইসিনা হিলসে যান কোবিন্দ। এবার বিজেপির তরফে আসরে নামানো হয়েছে বেঙ্কাইয়া ও রাজনাথকে। কোবিন্দের ক্ষেত্রে না হলেও, হয়েছিল আবদুল কালামের ক্ষেত্রে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন তিনি।  

    এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট হতেই কোমর কষে পথে নেমে পড়েছে বিজেপি। তবে বিরোধীরা এখনও ছন্নছাড়া। ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী জোটের বৈঠক করতে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই বিরোধীদের তরফে একজনকে দাঁড় করনোর চেষ্টা হতে পারে রাষ্ট্রপতি পদে।

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে ভোট রয়েছে ৪৮.৯ শতাংশ। আর সম্মিলিত বিরোধী জোটের ঝুলিতে রয়েছে ৫১.১ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ বিজেপি এবং বিরোধীদের ভোটের ব্যবধান ২.২ শতাংশের মতো।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    সূত্রের খবর, গতবারের মতো এবারও বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে ওড়িশার বিজেডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বিষয়টি নিয়ে চলতি মাসের প্রথম দিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তবে নীতিশের দল কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা জানা যায়নি। স্বভাবতই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা শাসক বিরোধী দুই শিবিরেই।

     

  • Uniform Civil Code: এবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর পথে যোগী-রাজ্যও? ইঙ্গিত কেশব মৌর্যর সুরে

    Uniform Civil Code: এবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর পথে যোগী-রাজ্যও? ইঙ্গিত কেশব মৌর্যর সুরে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের পর এবার উত্তরপ্রদেশেও (Uttar Pradesh) ইউনিফর্ম সিভিল কোড  (Uniform Civil Code) বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার পথে বিজেপি (BJP)। অন্তত এমনই ইঙ্গিত দিলেন দেশের যোগী আদিত্যনাথের (Yogi) ডেপুটি কেশবপ্রসাদ মৌর্য (Keshav Prasad Maurya)। উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দরকার পড়লে আমরাও সেটা চালু করার চেষ্টা করব।

    উত্তরাখণ্ডে ভোটের আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সে রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে এলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী (Pushkar Dhami)। বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই বিল আনার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ধামী সরকার। কোনও রাজ্য সরকার এভাবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে পারে কিনা, সেটা নিয়ে আইনি পরামর্শও নেওয়া শুরু করে ফেলেছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি (BJP) সরকার।

    এবার, উত্তরপ্রদেশও আগামী দিনে উত্তরাখণ্ডের দেখানো পথে হাঁটতে পারে। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সেরাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। তিনি জানিয়েছেন,”প্রত্যেকের উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা চাওয়া এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির উদ্যোগকে সমর্থন করা। উত্তরপ্রদেশ সরকারও সেই দিশাতেই এগোচ্ছে।” মৌর্যর সাফ কথা, উত্তরপ্রদেশ এবং গোটা দেশের জন্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ভীষণ জরুরি। তাছাড়া এটা আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও।

    সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনার জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করাটা দলের দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। সেই লক্ষ্যে প্রথম ধাপে দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে প্রথমে ওই আইন পাশ হবে।

     

  • PM Modi: কার্বি আংলং নির্বাচনে জয় ‘ঐতিহাসিক’, দলের প্রশংসায় মোদি

    PM Modi: কার্বি আংলং নির্বাচনে জয় ‘ঐতিহাসিক’, দলের প্রশংসায় মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার জয়জয়কার বিজেপি (Bjp)। আসামের (Assam) কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের (Kaac) ২৬টি আসনেই জয়ী হল বিজেপি। এই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেসও। তবে করুণ দশা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির। একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দল। বিপুল জয়ে খুশি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দলীয় কর্মীদের প্রশংসার সুর তাঁর গলায়। তাঁর কথায়, কার্বি আলংয়ের ফল ‘ঐতিহাসিক’।

    চলতি মাসের ৮ তারিখে ভোট হয় আসামের কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের। আসন ২৬টি। সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি এবং কংগ্রেস। ফল বেরলে দেখা যায়, ওই ভোটে ছক্কা হাঁকিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। একটি আসনেও জয় পায়নি তারা।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও দলের আসাম ইনচার্জ বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডা জানান, বিজেপি ২৬টি আসনেই জয়ী হয়েছে। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ২৬টি আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে এটা আমাদের বড় জয়। ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল সভাপতি প্রমোদ বোরো জানান, কার্বি আংলংয়ের বাসিন্দারা ফের বিজেপির ওপর আস্থা রাখলেন।

    একাধিক ট্যুইটে আসামের বিজেপি নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ট্যুইট করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। ট্যুইটে তিনি লেখেন, কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের ভোটে ফের বিজেপিকে ঐতিহাসিকভাবে জয়ী করার জন্য আমি জনতার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পুরসভা নির্বাচন ও জিএমসি ভোটে জয়ী হওয়ার পরে এই ভোটে বিপুল জয় বাস্তবিকই নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশের ওপর আস্থা রাখারই প্রতিফলন।    

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র    

    আসামে বিজেপির এই জয়ে খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, কার্বি আংলংয়ের ফল ঐতিহাসিক। বিজেপির ওপর ধারাবাহিকভাবে আস্থা রাখায় জনগণকে ধন্যবাদ। আসামের উন্নতিতে আমরা কাজ করব বলেও আশ্বস্ত করছি। বিজেপির কার্যকর্তাদের চেষ্টা উল্লেখযোগ্য। তাঁদের কুর্নিস জানাই।

     

     

  • Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তীর দিন উত্তর-পশ্চিম দিল্লিতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় কংগ্রেস জমানার তোষণের নীতিকেই মূল কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করল বিজেপি। দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে গত ৭০ বছরের তোষণের নীতি। 

    জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষের ঘটনায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি সহ ১৩টি বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার নিন্দা করে একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, কংগ্রেস সহ বিরোধীদের একহাত নেয় বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র স্পষ্ট জানান, বিরোধীদের এই ‘পক্ষপাত রাজনীতি’ দেশের ক্ষতি করে চলেছে। তাঁর মতে, এই ঘটনার তদন্ত হচ্ছে এবং তাতে কী বের হচ্ছে, তার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। 

    একইসঙ্গে, যৌথ বিবৃতি পেশ করার জন্য কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন সম্বিত। বলেন, কয়েকজন রাজনৈতিক নেতানেত্রীর এহেন পক্ষপাতমূলক রাজনীতি দেশের জন্য উপযুক্ত নয়। এতে দেশের আখেরে ক্ষতিই হচ্ছে। সম্বিতের প্রশ্ন, আজ সোনিয়া গান্ধি মতাদর্শের কথা বলছেন। প্রশ্ন হল, কোন মতাদর্শ আজকের এই ঘটনার জন্য দায়ী? বিজেপি মুখপাত্র বলেন, এর জন্য দায়ী একটাই মতাদর্শ যা, গত ৭০ বছর ধরে চলে আসছে। তা হল, তোষণের মতাদর্শ। তোষণের এই নীতি ও রাজনীতি ভীষণই দুর্ভাগ্যজনক।

    আবার দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তর মতে, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী এবং রোহিঙ্গারাই জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার জন্য দায়ী। এই নেতার অভিযোগ, আম আদমি পার্টি এদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, রেশন দেওয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সুরক্ষাও প্রদান করছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি খণ্ডন করেছে আম আদমি পার্টি।

    এদিকে, জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘাত কড়া হাতে দমনের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা আশ্বাস দেন, কোনও রকম প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই নেই। একেবারে নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে। ১৪টি টিম ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি জানিয়েছেন, জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর দিন যাঁরা অশান্তি পাকিয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও রকম রেয়াত করা হবে না।

  • Sukanta Majumdar: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    Sukanta Majumdar: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রল, ডিজেলের দাম (Petrol Diesel Prices) কমানো নিয়ে এবার রাজ্য সরকারের ওপর পালটা চাপ দিল বিজেপি (BJP)। ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য জ্বালানির দামে করছাড় ঘোষণা না করলে নবান্ন  (Nabanna) অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    গত ২১ মে দেশজুড়ে পেট্রল ও ডিজেলের করে ছাড় ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) জানান, পেট্রলে লিটারে প্রায় ১০ টাকা ও ডিজেলে লিটারে প্রায় ৭ টাকা কর কমাতে চলেছে কেন্দ্র। পর দিন থেকে লাগু হয় নতুন দাম। 

    কিন্তু তার পরও করছাড় ঘোষণা করেনি রাজ্য। উলটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, দেশের অবিজেপি সরকারগুলির মধ্যে পেট্রল ও ডিজেলে সব থেকে বেশি করছাড়া দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

    রাজ্যের শাসক দলের এই দাবি বৃহস্পতিবার নস্যাৎ করে দেয় বিজেপি। বিজেপির দাবি, ইতিমধ্যে পেট্রল-ডিজেলে কর কমিয়ে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকার তার ভূমিকা পালন করছে না। তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্য কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও করবে বিজেপি।

    জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    সুকান্তর মতে, জিএসটি (GST) সমেত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের সব বকেয়া পাওনা মঙ্গলবারই মিটিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। এবার পেট্রল-ডিজেলের উপর থেকে কর কমাক তৃণমূল সরকার।

    এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা রাজ্যকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। এই ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ওপর কর কমাতে হবে। পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা দাম না কমালে আমরা আমাদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করব।’

    জ্বানানি ইস্যুর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে। 

    স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বর্তমানে ব্যর্থসাথীতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত আসতে বাধ্য হবে।

    “ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

  • Sukanta Majumdar: “ব্যর্থ সাথী বলা উচিত!”, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির

    Sukanta Majumdar: “ব্যর্থ সাথী বলা উচিত!”, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র একের পর এক প্রকল্প চালু করছে। উপকৃত হচ্ছেন সারা দেশের মানুষ। কিন্তু বিরোধিতার জন্যই শুধু বিরোধিতা করে যাচ্ছে মমতার (Mamata) সরকার। কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে নিজেদের নাম দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আবার কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (Central projects) বিরুদ্ধেই বিষোদগার করছে। যার ফলে, বঞ্চিত হচ্ছেন এরাজ্যের কয়েক কোটি মানুষ। যুক্তি দিয়ে এভাবেই তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যের ভ্রান্ত সমালোচনার বিরুদ্ধাচরণ করা থেকে জনগণের কল্যাণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি চালু করার দাবি— এদিন একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার জানান, আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্পকে মেনে নিতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের প্রকল্প চালু না হওয়ায় মানুষ বিরক্ত। পশ্চিমবঙ্গে ৩ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ আয়ুষ্মান প্রকল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু রাজ্যের বাধায় তা কাজে আসেনি। এরাজ্যের সরকার আজ না হয় কাল এই প্রকল্পে যোগদান দিতে বাধ্য হবে বলেই মত তাঁর। এর পিছনে যুক্তিও দেন তিনি। সাম্প্রতিক ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিতে চেয়ে তিনি বলেন, “মানুষ স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা না পেয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এই বিল নিয়ে বিধানসভায় বিতর্কও হতে দিচ্ছে না।” একে স্বাস্থ্যসাথী না বলে অস্বাস্থ্য সাথী বা ব্যর্থ সাথী বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

    এই কার্ড নিয়ে হাজার হাজার মানুষ যেভাবে নাজেহাল হচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে ভাবে ফুঁসে উঠছেন, তার জন্য সরকারি দিশাহীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, কেন্দ্রের বিরোধিতা করার মানসিকতা থেকে রাজ্যের মানুষকেই দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন বাধ্য হয়েই কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পকে মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিতে বাধ্য হবেন বলেও তোপ দাগেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    এর পাশাপাশি, মনে করিয়ে দেন রাজ্য সরকারের ১১ হাজার স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ নিয়ে। তিনি জানান, কেন্দ্র গোটা দেশজুড়েই আয়ুষ্মান ভারত ওয়েলনেস সেন্টার (Ayushman Bharat Wellness Centre) খুলছে। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে রাজি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। কিন্তু এখানেও কোন অভিসন্ধি নিয়ে তৃণমূল সরকার হাঁটতে চলেছে তা প্রকাশ্যে এনেছেন সুকান্ত। প্রকল্পটির নাম বদলে রাজ্য নাম দিয়েছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর পিছনে আর এক কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছে বিজেপি। তাই তারাও সতর্ক থাকছে। দুর্নীতি রুখতে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। দরকারে খোলা রাখা হচ্ছে সিবিআইয়ের (CBI) কাছে যাওয়ার রাস্তা। কেন্দ্রকেও অনুরোধ করা হয়েছে গোটা বিষয়টির প্রতি কড়া নজর রাখতে। 

    এরই পাশাপাশি জ্বালানি ইস্যু নিয়েও রাজ্য সরকারকে বেঁধেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজ্যকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। এই ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ওপর কর (Fuel cess) কমাতে হবে। পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা দাম না কমালে আমরা আমাদের নবান্ন (Nabanna) অভিযান কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করব।’ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA) দিতে হবে।

  • Nupur Sharma: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    Nupur Sharma: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    Prophet row: সাসপেন্ডেড বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পাশে দাঁড়ালেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ (Jamaat Ulama-e-Hind) প্রেসিডেন্ট সুহেব কাসমি। শান্তির বার্তা দিলেন সুহেব। ইসলামের রীতি মেনেই নূপুরকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি।

    পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুরের মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়েছে অশান্তি। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন নূপুরকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিলেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ প্রেসিডেন্ট সুহেব কাসমি। রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কাসমি। দেশ জুড়ে যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাকে সংগঠন সমর্থন করে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। কাসমি বলেন, “এ ভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। ইসলামে বিশ্বাস থাকলে, নূপুর শর্মাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। নূপুর শর্মার মন্তব্য অবমাননাকর হলেও, শুক্রবারের নমাজের পর যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে একেবারেই একমত নই আমরা।”

    সমালোচনার মুখে পড়ে নূপুরকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করেছে বিজেপি। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কাসমি। তিনি বলেন, “নূপুর শর্মাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ভারতে আইন রয়েছে। আমরা নিজের হাতে সেই আইন তুলে নেব না। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো, আইনভঙ্গের অধিকার নেই আমাদের।” যে বা যাঁরা অশান্তি এবং হিংসা ছড়ানোয় যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান কাসমি। আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং মহম্মদ মাদানির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    শুধু তাই নয়, যে সমস্ত সংগঠন হিংসায় উস্কানি জুগিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আর্জি জানিয়েছে জামাত উলেমা-ই-হিন্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ এর প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য যে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যেরল পরই বিজেপির তরফ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, সব ধর্মকে সম্মানের চোখে দেখে বিজেপি। বলা হয়, “ভারতের ইতিহাসে সবসময়ে সব ধর্ম একসঙ্গে বিকশিত হয়েছে। কোনও ধর্ম বা ধর্মীয় ব্যক্তির প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করার তীব্র নিন্দা করছে বিজেপি। এই ধরনের কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয় না বিজেপি (BJP)।”  

     

  • President Kovind: বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    President Kovind: বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি নিয়ে শুক্রবার রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হল বিজেপি প্রতিনিধিদল। ১০ জনের ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজেপি-ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা। সেখানে তাঁরা দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। ফলত, সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। 

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রতিনিধিদলের সদস্য এক আইনজীবী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে দিল্লি হাইকোর্ট ও জেলা আদালতের আইনজীবীরা — সকলে মিলে আমরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করি। আমাদের আবেদন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কার্যত ভেঙে পড়েছে। তাই সেখানে ৩৫৬ ধারা জারি করা হোক। ওই সদস্য জানান, পশ্চিমবঙ্গে লাগাতার ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং হিংসা হয়ে চলেছে। এটা রুখতে তাঁর (কোবিন্দ) হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তাই এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত। ওই সদস্য জানান, ২০ মিনিট বৈঠকে রাষ্ট্রপতি গোটা বিষয়টিকে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। 

    আইনজীবী প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি, এদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারবর্গের। কিন্তু, কোভিড-নিয়ন্ত্রণ থাকায় তাঁদের সঙ্গে রামনাথ কোবিন্দের দেখা হয়নি। তবে তাঁদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার কথা। পাশাপাশি, ইন্ডিয়া গেটের কাছে নিহতদের পরিবারবর্গ মোমবাতি মিছিলও করবেন তাঁরা। 

     

  • Prophet Remark Row: ফের গ্রেফতার বিজেপির সাসপেন্ডেড বিধায়ক রাজা সিং, কেন জানেন?      

    Prophet Remark Row: ফের গ্রেফতার বিজেপির সাসপেন্ডেড বিধায়ক রাজা সিং, কেন জানেন?      

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের গ্রেফতার করা হল তেলঙ্গানার বিধায়ক বিজেপির (BJP) টি রাজা সিংকে (T Raja Singh)। বৃহস্পতিবার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুরানো একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ এ ধারায় রাজাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিন যখন রাজাকে গ্রেফতার করা হয়, তখন তাঁর বাড়ির সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। বিধায়কের বাড়ির সামনের রাস্তায় তৈরি করা হয় ব্যারিকেড। তার পরেই রাজাকে নিয়ে যায় পুলিশ।

    হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত (Prophet Remarks Row) মন্তব্য করে গ্রেফতার হয়েছিলেন তেলঙ্গানার (Telangana) বিধায়ক বিজেপির টি রাজা সিং। পরে তাঁর জামিনও হয়। দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ডও করে বিজেপি। বুধবার তাঁর জামিনের প্রতিবাদে হায়দরাবাদের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় জনতা। তালাবকাট্টা, চারমিনার, মুখলপুরা, চঞ্চলগুড়া, বাহাদুরপুর এবং আম্বেরপেট এলাকায় সারারাত রাস্তা অবরোধ করে বসে থাকে বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। মুখলপুরায় পুলিশের ভ্রাম্যমাণ গাড়ির ওপর পাথর ছোঁড়ে জনতা। বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থন করে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন গোশামহল কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক বিজেপির টি রাজা সিং। ভিডিওটি ঘিরে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা। আদালতে তোলা হলে জামিনও পেয়ে যান রাজা। এরই প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। 

    আরও পড়ুন : রাজা সিংয়ের জামিনের প্রতিবাদে তপ্ত তেলঙ্গানা, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর

    এদিকে, এদিনই এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি দাবি করেন, রাজা সিংয়ের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই হায়দরাবাদে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তাঁকে দ্রুত গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো উচিত। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুরানো মামলায় অভিযুক্ত এই বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলহাট পুলিশ স্টেশনে রুজু হওয়া একটি মামলায় পিডি অ্যাক্টে এদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।এদিকে, নতুন রাজা সিংয়ের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুরো পরিস্থিতির জন্য তেলঙ্গানার মন্ত্রী কেটি রামা রাও এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিনকে কাঠগড়ায় তোলেন রাজা। তিনি কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকিকে নিশানা করেন। রাজার অভিযোগ, কেটি আমাদের ভগবানকে নিয়ে মজা করতে অনুমতি দিয়েছেন ফারুকিকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • 2024 LS Polls: লক্ষ্য চব্বিশের নির্বাচন, বুথ-স্তরে নীল-নকশা তৈরির পথে বিজেপি, গঠিত বিশেষ কমিটি

    2024 LS Polls: লক্ষ্য চব্বিশের নির্বাচন, বুথ-স্তরে নীল-নকশা তৈরির পথে বিজেপি, গঠিত বিশেষ কমিটি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: হাতে বাকি এখনও ২ বছর। কিন্তু, এখন থেকেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে (2024 Loksabha elections) পাখির চোখ করে ফেলেছে বিজেপি। আর এই মর্মে রণকৌশলের নীল-নকশাও তৈরি করছে গেরুয়া শিবির। 

    সূত্রের খবর, সেই নকশার অন্তর্গত একটি ধাপ হল বুথ-স্তরে শক্তি ও দুর্বলতার চিহ্নিতকরণ। এক্ষেত্রে দলের শীর্ষস্থানীয় ৪ নেতাকে নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রের বর্তমান শাসক দল। সেই কমিটি দেশের ৭৪ হাজার বুথকে চিহ্নিত করেছে। দলীয় সূত্রের খবর, সেই সব বুথগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে মূলত এক) বিরোধীরা জোর টক্কর দিচ্ছে এবং দুই) দলের শক্তি সেভাবে নজরে পড়ে না। 

    বিজেপি চাইছে, যে বুথগুলিতে বিরোধীরা টক্কর দিচ্ছে, সেখানে দখল আরও মজবুত করতে। অন্যদিকে, যে সব বুথে দল দুর্বল সেখানে শক্তিবৃদ্ধি করতে। এমন অনেক বুথ চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে বিজেপি একবারও জিততে পারেনি। দলীয় সূত্রের খবর, এই বুথগুলি মূলত দেশের দক্ষিণ ও পূর্ব-প্রান্তে অবস্থিত।

    বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বৈজয়ন্ত পাণ্ডার নেতৃত্বে গঠিত ওই টিম ইতিমধ্য়েই একটি নির্দিষ্ট রণকৌশল স্থির করে ফেলেছে। এর অন্তর্গত দেশের ২,৩০০ বিধানসভা আসনের অন্তর্গত সবকটি বুথকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যেখানে বিজেপির কোনও সাংসদ বা বিধায়ক রয়েছেন। পাশাপাশি, আরও ১০০ লোকসভা কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে বিজেপি জেতেনি। 

    কমিটির এক সদস্য বলেন, আমরা ইতিমধ্য়েই ৭৩ হাজার ৬০০-র বেশি বুথ চিহ্নিত করেছি, যেখানে এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে। প্রাথমিক লক্ষ্য হল, যে সব বুথে আমরা জিতেছি, সেখানে নিজেদের শক্তি আরও দৃঢ় ও মজবুত করা। পাশাপাশি, যেখানে আমরা জিততে পারিনি, সেগুলি জেতা। 

    গঠিত এই কমিটিতে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি এবং তফশিলি জাতি সেল-এর প্রধান লাল সিং আর্য। আগামী তিনমাস, তাঁরা দেশের প্রান্তে প্রান্ত ঘুরে চিহ্নিত হওয়া বুথগুলিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী রণকৌশল ঠিক করবেন। দলীয় সূত্রের খবর, একবার নীল-নকশা স্থির হলে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তা সরকারিভাবে ঘোষণা করবেন। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই সম্ভবত এই মর্মে ঘোষণা হতে পারে।

    কমিটির এক সদস্য জানান, আগামী তিনমাসে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা দলের প্রায় ২৩০০ সাংসদ-বিধায়ক থেকে শুরু করে রাজ্য ও জেলা সভাপতিকে নিয়ে বসা হবে। লক্ষ্য, নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে দল জিতেছে, তা যেন কোনওমতে হাতছাড়া না হয়। এর জন্য, প্রায়ই প্রশিক্ষণ শিবির ও বুথস্তরের বৈঠক হবে।

    নির্বাচনের বহু আগে থেকে বিস্তারিত সুপরিকল্পনা করা বিজেপির একটা পরিচিত দিক। এটা গেরুয়া শিবির বরাবরই করে থাকে। এর আগে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়ও তিন বছর আগে — অর্থাৎ ২০১৬ সাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল বিজেপি। সেবার ৬টি রাজ্যে মোট ১১৫টি নতুন কেন্দ্রকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ২০১৯ নির্বাচনের ফলাফল সকলেরই জানা। এবার বিজেপির মিশন ২০২৪।

     

     

     

LinkedIn
Share