Tag: bjp

bjp

  • Sukanta Majumdar Arrest: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    Sukanta Majumdar Arrest: হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া যাওয়ার আগে গ্রেফতার বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে গ্রেফতার সুকান্ত মজুমদার। 

    [tw]


    [/tw]

    গতকাল হাওড়ায় বিজেপির যে সমস্ত পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে, সেগুলি আজ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির  (BJP State President)। সকালে, নিউটাউনের বাড়িতে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। জোর করে বেরনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গেও পুলিশের হাতাহাতি শুরু হয়। বাড়ির সামনে বসানো হয় গার্ড রেল। 

    আরও পড়ুন: “আপনার পাপের ফলে ভুগতে হচ্ছে জনগণকে”, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    সেই গার্ড রেল ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কির পর বাড়ি থেকে বেরোন সুকান্ত মজুমদার। এসএসকেএমের কাছে আটকে দেওয়া হয় বিজেপিরাজ্য সভাপতির গাড়ি। গাড়ি আটকানোয় রাস্তায় হাঁটতে থাকেন সুকান্ত। পরে গাড়িতে করে হাওড়া যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে যখন আসেন, তখন গ্রেফতার করা হয় সুকান্ত মজুমদারক। এর পর লালবাজারে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। হাওড়া সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া হিংসায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে হিংসার পরামর্শ মমতা দেওয়ার পরই হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ হাওড়া, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি রাজ্য বিজেপির

    এদিকে, সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি। অগ্নিমিত্রা পাল সহ দুই বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু করে গেরুয়া শিবির। পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় প্রতিবাদীদের। ধর্মতলায় ডিসি সেন্ট্রালের অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। ঘটনার প্রতিবাদে রায়গঞ্জে বিক্ষোভ, কোচবিহারেও রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

  • Hijab Row: কর্নাটক হিজাব বিতর্কে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি, গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা

    Hijab Row: কর্নাটক হিজাব বিতর্কে মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি, গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব (Hijab) পরাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কর্নাটকে (Karnataka Hijab Row)। হিজাব পরার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিজেপি (BJP) নেতা যশপাল সুবর্ণ (Yashpal Suvarna) এবং শ্রীরাম সেনার (Sri Ram Sena) সুপ্রিমো প্রমোদ মুথালিকের (Pramod Muthalik) মুণ্ডচ্ছেদের (Beheading threat) হুমকিও দেওয়া হয়েছে।  

    কর্ণাটকের (Karnataka) দক্ষিণ কন্নর জেলার একটি সরকারি কলেজে পোশাকবিধি না মানায় ছাত্রীদের সাসপেন্ড করার ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে নেটপাড়া। হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় সেখানে। মূলত মুসলিম সংগঠনগুলি এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। শুধু আন্দোলনই নয় ইনস্টাগ্রামে (Instagram) একটি পোস্টে বিজেপি নেতা যশপাল সুবর্ণ এবং হিন্দুত্বন্দুবাদী (Hindutva) সংগঠন শ্রীরাম সেনার প্রমোদ মুথালিকের মাথা কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।   

    আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্কে এবার ২৪ ছাত্রীকে সাসপেন্ড কর্নাটকের সরকারি কলেজের

    হুমকির ভিত্তিতে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি যশপাল এবং প্রমোদ কর্নাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ করার দাবিতে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন। আর তার জেরেই এই হুমকি। এবিষয়ে যশপাল বলেন, “দেশ বিরোধী শক্তি আবার কর্নাটকে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। আমরা তাতে ভীত নই। সমাজের জন্যে কাজ করতে চাইলে এসবের মুখোমুখি হতেই হবে।”  

    আরও পড়ুন: হিজাব পরে ক্লাসে! কর্নাটকে সাসপেন্ড ছয় ছাত্রী

    যশপাল জানান, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফোন কলে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যশপাল এবং প্রমোদের মাথার দাম হিসেবে ১০ লক্ষ টাকার পুরষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলা হয়েছে, যে যশপাল সুবর্ণ বা প্রমোদ মুথালিককে খুন করবে, তাকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। 

    যশপাল বলেন, “আমরা সবটাই সংবিধানের মধ্যে থেকে করছি। দেশের জন্যে কাজ করছি। ইনস্টাগ্রামের একটা পোস্ট আমাদের আটকে দিতে পারবে না। কে এই ঘটনার পিছনে আছে তাকে খুঁজে বের করতে হবে।” হিজাব পরার অধিকারের দাবিতে যে ছাত্রীরা কলেজে বিক্ষোভ দেখায় তাদেরকে নোটিস ধরিয়েছে কলেজ। তিনদিনের মধ্যে সেই নোটিসের জবাব দিতে হবে ছাত্রীদের।  
     
    চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কন্নড় জেলার উপ্পিনাংগাদি গভর্নমেন্ট ফার্স্ট গ্রেড কলেজ, হিজাব পরে আসার জন্য ২৪ জন ছাত্রীকে সাসপেন্ড করে। এর পরেই দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যের বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় হিজাবের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।  

  • Sukanta Majumder: বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়, গ্রেফতার সুকান্ত

    Sukanta Majumder: বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়, গ্রেফতার সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন হাজরা মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর নগদ টাকা, সোনা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এর পরেই  চোর ধর, জেল ভর কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। শনিবার সেই কর্মসূচি পালন করতে গেলেই গ্রেফতার করা হয় সুকান্তকে।

    এদিনের এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা শাখা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে হাজির হন সুকান্ত। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নামতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে ধরে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের ধরপাকড়ও করতে শুরু করে। সুকান্তের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। আটক করা হয় সুকান্তকে। পরে করা হয় গ্রেফতার।

    আরও পড়ুন : এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, মমতা সরকারের মন্ত্রী, নেতাদের দুর্নীতি ফাঁস হচ্ছে। প্রশাসন ও শাসক দল বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ফলে আন্দোলন করলেই গ্রেফতার বা আটক করা হচ্ছে। পুলিশ শাসক দলের ক্যাডারের মতো আচরণ করছে। কিন্তু এতে সত্যকে চাপা দেওয়া যাবে না। সুকান্তের অভিযোগ, মহিলা পুলিশরাও গায়ে হাত দিয়েছেন তাঁর।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ৫০ কোটি নগদ সহ বহুমূল্যের সোনা, রুপো, স্থাবর সম্পত্তির দলিল। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছে তাঁর দল তৃণমূল। সাসপেন্ড করা হয়েছে দলীয় সব পদ থেকেও। তৃণমূলের নানা দুর্নীতির প্রতিবাদেই সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। যার প্রতিবাদ করতে গিয়েই ‘হেনস্থা’র শিকার হন সুকান্ত।

    এদিকে, সুকান্তকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির সভানেত্রী সংঘমিত্রা চৌধুরীকেও আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি,  যেখানে বিজেপির কর্মসূচি পালিত হচ্ছিল, সেখান থেকে সামান্য দূরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি। এলাকাটি হাই সিকিউরিটি জোন। তাই আটক করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিক্ষোভরত বিজেপি নেতাকর্মীদের।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

  • President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভা নির্বাচনের (Rajya Sabha Polls) আবহেই ঘোষণা হয়ে গেল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Prez Poll) নির্ঘণ্ট। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করে ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। ভোট হবে ১৮ জুলাই। ফল ঘোষণা তার তিন দিন পরে। রাজ্যসভার ভোট ১০ জুন। আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১৫ জুন। ১৯ জুনের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে প্রার্থীদের। নয়া রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন ২৫ জুলাই। প্রসঙ্গত, এর আগের বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছিল ২০ জুলাই।

    আরও পড়ুন : শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ram Nath Kovind) কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবে ২৪ জুলাই। তার আগেই নির্বাচন করতে হবে নতুন রাষ্ট্রপতি। তাই এদিন ওই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।

    ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সরাসরি অংশ নেন জনগণ। ভারতে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র। এখানে জনগণ সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন না। তাঁদের হয়ে এই নির্বাচনে অংশ নেন জনপ্রতিনিধিরা। এই নির্বাচনে সাংসদ ও বিধায়ক মিলিয়ে অংশ নেবেন ৪ হাজার ৮০৯ জন। তাঁদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন নয়া রাষ্ট্রপতি।

    প্রত্যেক রাজ্যের ১৯৭১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতে সেই রাজ্যের সাংসদ, বিধায়কদের ভোটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এই সূত্র অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ভোটের মূল্য সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে কম সিকিমের। প্রত্যেক রাজ্যের বিধানসভা ভবন ও দিল্লিতে সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ভোটের জন্য বুথ তৈরি করা হয়।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলেও, শাসক কিংবা বিরোধী কোনও পক্ষই বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে শাসক শিবিরে কয়েকটি নাম ভেসে আসছে। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) এবার একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার পক্ষপাতী। যদি তা হয়, তবে দুটি নাম শোনা যাচ্ছে। এঁদের একজন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি ওড়িশার মানুষ। দীর্ঘদিন বিজেপির নেত্রী ছিলেন। দ্বিতীয়জন তেলঙ্গনার রাজ্যপাল তামিলিসাই সুন্দররাজন।

     

     

  • Nupur Sharma: “সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত নয়, নূপুরের পাশে দাঁড়ান”, পরামর্শ ডাচ নেতার

    Nupur Sharma: “সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত নয়, নূপুরের পাশে দাঁড়ান”, পরামর্শ ডাচ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদকে (prophet) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma)। বাতিল করা হয়েছে তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদও। এমতাবস্থায় তাঁর পাশে দাঁড়ালেন নেদারল্যান্ডের দক্ষিণপন্থী নেতা গির্ট উইলডার্স (Geert Wilders)।তিনি বলেন, সত্যি কথা বলে বিপাকে পড়ছেন নূপুর। তাঁর জন্য গর্বিত হওয়া উচিত ভারতীয়দের।

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। নূপুরের সেই বিতর্কিত মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার দায়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ নবীন কুমার জিন্দালকে (Naveen Jindal)। তার পরেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি ইসলামিক দেশগুলির (Islamic countries)। ঘটনার জেরে কুয়েতের এক সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষ ভারতীয় পণ্য বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে কাতার। নূপুরকে গ্রেফতারির দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এহেন পরিস্থিতিতে নূপুরের পাশে দাঁড়ালেন নেদারল্যান্ডসের ওই নেতা।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    উইলডার্স বলেন, নূপুরের বক্তব্যের পর ইসলামিক দেশগুলি ভারতের সঙ্গে যে ব্যবহার করছে, তা হাস্যকর। নূপুরের সমর্থনে একটি ট্যুইটও করেন উইলডার্স। লেখেন, কখনওই আল কায়দার মতো ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের কাছে নতি স্বীকার করো না। কারণ তারা বর্বরতার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। পুরো ভারতের উচিত নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁকে সমর্থন করা। আল কায়দা এবং তালিবান আমাকে তাদের হিটলিস্টে রেখেছিল কয়েক বছর আগেও। এ থেকে একটাই শিক্ষা, সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত করো না। কখনওই না!  

    [tw]


    [/tw]

    উইলডার্স বলেন, ভারতীয় বন্ধুরা ইসলামিক দেশগুলিকে ভয় পেও না। স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াও। রাজনীতিবিদ নূপুর শর্মাকে রক্ষা করার জন্য অটল থাকো। ইসলামিক দেশগুলিকে নিয়ে ক্ষোভ উগরে উইলডার্স বলেন, মুসলিম দেশগুলি ভণ্ড। সেখানে গণতন্ত্র, আইনি শাসন, নাগরিকের স্বাধীনতা নেই। ওই দেশগুলিতে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হন। এরা যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, সেভাবে আর কেউ করে না। উইলডার্স নেদারল্যান্ডসের পার্টি ফর ফ্রিডমের প্রতিষ্ঠাতা। দলটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল। ১৯৯৮ সাল থেকে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের নেতা ছিলেন। ইসলামের সমালোচনার জন্য পরিচিত।

    আরও পড়ুন : কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

    এদিকে, হজরত মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিকর ট্যুইট করার অভিযোগ উঠেছিল কানপুরের বিজেপি নেতা হর্ষিত শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলা হয়েছে তাঁর বিতর্কিত ট্যুইট।

     

     

  • Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    Suvendu Sukanta: হাওড়ায় যেতে কেন বাধা? সুকান্ত-শুভেন্দুকে মামলায় অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) ঢোকার চেষ্টা করলে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে (BJP State President) গ্রেফতার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে (Leader of Opposition) বাধা কেন দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন ও সরকারের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) এবং বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)৷ বিষয়টি নিয়ে মামলার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই নেতা৷ কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের সেই আবেদন মেনে নিয়ে মামলা রুজু করার অনুমতি দিয়েছে৷

    পয়গম্বরকে (Prophet Row) নিয়ে বিজেপির নিলম্বিত জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা (Howrah Violence)৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল হাওড়ায়। সোমবার তা পুনরায় চালু করা হয়। উলুবেড়িয়া সহ বেশ কিছু এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। 

    আরও পড়ুন: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে বিজেপি-র কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে৷ তারপরই হাওড়া যাওয়ার উদ্যোগ নেন শুভেন্দু ও সুকান্ত৷ কিন্তু, তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ৷ শনিবার সেই পার্টি অফিসে যেতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু, তাঁদের আটকে দেওয়া হয়।

    নিউ টাউনের বাড়িতে বেরোতেই পুলিশ আটকায় সুকান্ত মজুমদারকে। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই গাড়ি করে রওনা দেন হাওড়ার উদ্দেশে। কিন্তু মাঝ পথেই তাঁর গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তখন পায়ে হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে।

    অন্যদিকে, রবিবার একইভাবে কাঁথি থেকে হাওড়ায় যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পুলিশ হাওড়ায় যেতে দেয়নি তাঁকেও। নন্দীগ্রামে দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর শুভেন্দু হাওড়া না গিয়ে কলকাতায় এসে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ হাওড়া যাওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ ত্রিবেদীকেও চিঠি দেন শুভেন্দু। 

    আরও পড়ুন: বেথুয়াডহরি স্টেশনে ভাঙচুর বিক্ষোভকারীদের, প্রতিবাদে ৭২-ঘণ্টা ব্যবসা বন‍্‍ধ

    শুভেন্দু আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, হাওড়ায় ঢুকতে তাঁকে বাধা দেওয়া হলে, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এই দুই ঘটনায় পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান সুকান্ত-শুভেন্দু। সোমবার, তাঁদের সেই আবেদন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালত।

  • Sologamy in India: ভারতে প্রথম, মেহেন্দিতে সেজে নিজেকেই বিয়ে  তরুণীর ! কী কী হল অনুষ্ঠানে?

    Sologamy in India: ভারতে প্রথম, মেহেন্দিতে সেজে নিজেকেই বিয়ে তরুণীর ! কী কী হল অনুষ্ঠানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবাক হচ্ছেন? কিন্তু এই ঘটনা সত্যি। সাত পাকে নিজেই নিজেকে বাঁধলেন গুজরাতের (Gujrat) ভদোদরার (Vadodara) বাসিন্দা ক্ষমা বিন্দু (Kshama Bindu)। এক অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী হল ভারত। ২রা জুন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছিলেন যে ১১জুন তিনি বিয়ে করতে চলেছেন নিজেকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই ৮ই জুন বিয়ে সেরে ফেললেন তিনি।  হলুদপর্ব, মেহেন্দি থেকে শুরু করে সাত পাক, সিঁদুর দান সব প্রথাই পালিত হল বাড়িতে। তবে ছিল না কোনও পাত্র। ইন্সটাগ্রামে (Instagram) তাঁর ছবিও শেয়ার করেছেন ক্ষমা বিন্দু। বুধবার বিয়ে শেষে এক নজির সৃষ্টি করলেন ভারতের প্রথম সোলোগ্যামি (Sologamy)  কনে ক্ষমা বিন্দু। নিজের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: এ কেমন শখ! মানুষ থেকে কুকুর হল জাপানি যুবক

    নির্ধারিত তারিখের আগেই বিয়ে করার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনবরত আক্রমণ, সমালোচনা ও কটাক্ষের ফলেই বিয়ে এগিয়ে আনেন ক্ষমা। এইসব বিতর্কের জেরে পুরোহিতও বিয়ে করাতে মানা করে দেন। এমনকি ভদোদরা (Vadodara) বিজেপির (BJP) সহ সভাপতি সুনীতা শুক্লা (Sinita Shukla) এই বিয়ের তীব্র বিরোধিতা করেন।  যে মন্দিরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সেখানেও বিয়ের অনুষ্ঠান করাতে দেননি। সুনীতা শুক্লা ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি এমন বিয়ে কখনওই কোনও মন্দিরে হতে দেবেন না।কারণ তাঁর মতে এটি হিন্দুধর্মের অবমাননা।  হিন্দু যুবসমাজকে ভুলপথে চালনা করা।  এটিকে বিন্দুর ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’ও (Publicity Stunt) বলেছেন তিনি। ফলে এইসব কারণেই শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের উপস্থিতিতেই বিয়ে সারেন গুজরাটের এই কনে।

    আরও পড়ুন: এ কি কাণ্ড আমাজনের! প্লাস্টিকের বালতি, মগ বিক্রি হচ্ছে ২৬ হাজার টাকায়!

    সদ্য বিবাহিতা কনে জানান, তাঁর এতদিনের স্বপ্ন আজ পূ্র্ণ হল। তাঁর বিয়েতে পাত্র ও পুরোহিত ছাড়া সবকিছুই ছিল। তিনি এদিন লক্ষ্মী গণেশের পুজো করে সাতপাক ঘোরেন ও নিজের সিঁথিতে সিঁদুর দেন। তিনি আরও জানান, তাঁর মায়েরও এই বিয়েতে সম্মতি ছিল। আগে ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার ছিল ১৭৯০০, কিন্তু এই সোলোগ্যামি ঘোষণার পর আরও ১০,০০০ অনুগামী বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৭,৮০০। ক্ষমা বিন্দু জানিয়েছেন তিনি ইতিমধ্যেই প্রভাবশালী (Influencer) হয়ে উঠেছেন। ক্ষমাকে বহু মানুষ কটাক্ষ  করলেও অনেকে আবার ক্ষমার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে সাহসও জুগিয়েছেন।

     

     

  • Prophet Row: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    Prophet Row: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) বিতর্কে ক্রমেই ছড়াচ্ছে অশান্তি। বাংলার (West Bengal) পাশাপাশি অগ্নিগর্ভ ঝাড়খণ্ডের রাঁচিও (Ranchi)। সেখানে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শুক্রবার রাঁচির বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ইটবৃষ্টির পাশাপাশি একাধিক গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ হঠাতে গেলে পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাঁচির বেশ কয়েকটি জায়গায় কার্ফু জারি করা হয়।

    ঝাড়খণ্ডের জনগণ খুবই ‘সংবেদনশীল এবং সহনশীল’ বলে উল্লেখ করে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জনগণকে সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানান। তিনি বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সবাইকে সম্প্রীতি বজার রাখার আবেদন জানানোর পাশাপাশি এমন কোনও ক্রিয়াকলাপে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাই।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    অশান্তি হয়েছে বাংলায়ও। হাওড়ার (Howrah) ধুলোগড়, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া, শলপ সহ একাধিক জায়গায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাইক। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে তৈরি করা হয় আতঙ্কের পরিবেশ। পাঁচলায় বিজেপির একটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে বড় ধরনের অশান্তির কোনও ঘটনা ঘটেনি পাঞ্জাবে। তবে বিজেপির সাসপেন্ডেড নেত্রী নূপুরু শর্মার গ্রেফতারি দাবি করেছে প্রতিবাদকারীরা। উত্তর প্রদেশে জুম্মার নমাজের পর পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের স্লোগান দিতেও দেখা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : অগ্নিগর্ভ হাওড়া, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর, অমিত শাহকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ সৌমিত্রর

    ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে দিল্লির জামা মসজিদ চত্বরে। পরে পুলিশ গিয়ে হঠিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের। উত্তেজনা থাকলেও বড় ধরনের কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি জম্মু-কাশ্মীরে। অশান্তির আশঙ্কায় ব্যবস্থা করা হয়েছিল কড়া প্রহরার। জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়। উপত্যকার কোনও কোনও অংশে বনধ্ও পালন করেন সাধারণ মানুষ। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি সাধারণ মানুষকে প্ররোচনায় পা না দিতে অনুরোধ জানান।

    বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পরে পরেই তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁর মন্তব্যটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দলের রোষানলে পড়েছেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নবীন কুমার জিন্দাল। দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। তার পরেও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। সেই অশান্তি দমাতে ঝাড়খণ্ড সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে, বাংলার তৃণমূল সরকার তা করেনি বলে অভিযোগ বিজেপির। তার জেরেই গত দুদিন ধরে অশান্তির আঁচে পুড়ছে হাওড়ার বিভিন্ন পকেট। যার ফল ভোগ করছেন নিতান্তই সাধারণ মানুষ।

  • President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?  

    President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Election) নির্ঘণ্ট। আস্তিন গোটাতে শুরু করেছে শাসক বিজেপি (BJP) এবং বিরোধীরা (Opposition)। কে যাবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসে (Raisina Hill)?

    ২০১৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পদ্ম শিবিরে ঘোরাফেরা করছিল অনেকগুলো নাম। তার পর বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে প্রার্থী করে চমক দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোবিন্দ তখন ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল। পদ্ম শিবির এবারও সেরকম কোনও চমক দিতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে বিজেপি শিবিরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সেই তালিকায় রয়েছেন বর্তমান উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। আছেন তেলেঙ্গানার তামিলিসাই সুন্দররাজন, আসামের জগদীশ মুখী, ছত্তিশগড়ের অনুসুইয়া উইকে এবং কেরলের আরিফ মহম্মদ খান। পাশাপাশি ভেসে উঠছে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর নামও ।

    আরও পড়ুন : লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    সংসদীয় রাজনীতির অন্যতম প্রবীণ মুখ কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ। তিনি হতে পারেন দু পক্ষেরই বাজি। গুলাম রাজ্যসভা থেকে যেদিন অবসর নেন, সেদিন চোখে জল দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদির। আজাদের সঙ্গে কেবল বিজেপি নয়, সব রাজনৈতিক দলেরই সম্পর্ক মধুর। তাই কংগ্রেসের পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে ভাবছে পদ্ম নেতৃত্ব। গুলামকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করলে বিরোধীরাও বিরোধিতা করতে পারবেন না। তাই তাঁকে রাইসিনা হিলসে পাঠিয়ে চমক দিতে পারেন মোদি।

    গুলামের পাশাপাশি কংগ্রেস শিবিরে ভাসছে আরও দুটি নাম। একজন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, অন্যজন মীরা কুমার। পাওয়ার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। সংসদীয় রাজনীতির সব কিছু তাঁর নখদর্পণে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনবার। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। কংগ্রেস ছেড়ে তিনি তৈরি করেন এনসিপি। শিবসেনা এবং কংগ্রেসের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় রয়েছে তাঁর দল। তাই তিনিও হতে পারেন বিরোধীদের প্রার্থী। পাওয়ার প্রার্থী হলে তৃণমূল কিংবা অখিলেশেরও কোনও আপত্তি থাকবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারকেও প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস। মীরা তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। তাই বিজেপির কোনও দলিত প্রার্থীর পাল্টা বাজি হতে পারেন মীরাই।  বেঙ্কাইয়া নাইডুকেও প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। তিনিও দক্ষ রাজনীতিবিদ। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন। পরে আসেন রাজ্যসভায়। অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। মন্ত্রী ছিলেন মোদি মন্ত্রিসভার। উপরাষ্ট্রপতির অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তাই তিনিও হতে পারেন বিজেপির বাজি।

    কেরলের রাজ্যপাল আরিফ খানকেও রাইসিনা হিলসে পাঠাতে পারে গেরুয়া শিবির। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সর্বোপরি, মোদি-নীতির সমর্থক। প্রধানমন্ত্রীর প্রায় সব সিদ্ধান্তেই গলা মিলিয়েছেন তিনি। তাঁকে প্রার্থী করা হলে ভোঁতা হয়ে যাবে বিরোধীদের সমস্ত হাতিয়ার।

    তবে শেষ হাসি হাসবেন কে? তা বলবে সময়।

     

  • JP Nadda: দুদিনের সফরে রাজ্যে জেপি নাড্ডা, আজ কোথায় কী কী কর্মসূচি?

    JP Nadda: দুদিনের সফরে রাজ্যে জেপি নাড্ডা, আজ কোথায় কী কী কর্মসূচি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু’দিনের সফরে বঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP National President) জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় পৌঁছোন তিনি। বুধবার তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। 

    দলীয় সূত্রের খবর, প্রথমে চুঁচুড়ায় ঋষি অরবিন্দের (Sri Aurobindo) স্মৃতিবিজড়িত বন্দেমাতরম ভবনে যাবেন নাড্ডা (Nadda)। এরপর তিনি চন্দননগরে রাসবিহারী বসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যাবেন। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে (National Library) রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে (state working committee) যোগ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। 

    বৃহস্পতিবার সকালে তিনি যাবেন বেলুড় মঠে (Belur Math)। দুপুরে সায়েন্স সিটিতে (Science City) রাজ্যের সমস্ত মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেবেন নাড্ডা। এরপর বিকেলে কলামন্দিরে (Kala Mandir) কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। আগামীকাল সন্ধ্যায় বিমানে দিল্লি ফিরবেন নাড্ডা।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দমদমে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Netaji Subhas International airport) নাড্ডাকে স্বাগত জানান বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব (West Bengal BJP)। নাড্ডার বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের অনেক আগে থেকেই বিমানবন্দর চত্বরে ভিড় জমান দলীয় কর্মী সমর্থকরা। দলীয় পতাকা ফুল ঢাক ঢোল নিয়ে তাঁরা স্বাগত জানাতে হাজির হন।

    রাত নটার কিছু পরে তাঁর বিশেষ বিমান অবতরণ করে কলকাতা বিমানবন্দরে। জেপি নাড্ডা বিমানবন্দর থেকে বাইরে বের হতেই উৎসবের চেহারা নেয় এলাকা। পুষ্পবৃষ্টি, স্লোগানে তখন গমগম করে বিমানবন্দর। সেখানেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ বঙ্গ বিজেপি (BJP Bengal) নেতৃত্বরা। 

    রাতেই নিউটাউনের বেসরকারি হোটেলে নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অমিত মালব্য (Amit Malviya), লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee), অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) সহ বিজেপির (BJP) একাধিক নেতা-নেত্রী।

    আরও পড়ুন: কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

LinkedIn
Share