Tag: bjp

bjp

  • Rahul Gandhi: রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    Rahul Gandhi: রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। অথচ সফরের আগে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক থেকে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ছাড়পত্র (political clearance) নেননি কংগ্রেস (congress) সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্রেই এই দাবি করা হয়েছে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের বিদেশের কোনও কর্মসূচি বা অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে বিদেশ মন্ত্রক থেকে রাজনৈতিক ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাহুল সেই নিয়ম না মেনেই চলতি সপ্তাহে লন্ডনে সফরে (London trip) গিয়েছিলেন।

    আইডিয়াস ফর ইন্ডিয়া (Ideas for India) সম্মেলনে যোগ দিতে লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল। সেখানে তিনি তীব্র ভাষায় বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ শানান। পরে বিতর্কিত ব্রিটিশ লেবার পার্টির এক নেতার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাহুল রাজনৈতিক ছাড়পত্র না নিলেও, জাতীয় জনতা দলের আর এক সাংসদ অধ্যাপক মনোজ ঝা, যিনি লন্ডনের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন, তাঁর কাছে রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছিল। রাহুলের একদিন আগেই কেমব্রিজের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন ওই অধ্যাপক।

    অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর ব্রিটেনের লেবার পার্টির প্রাক্তন নেতা জেরেমি করবিনের (Jeremy Corbyn) সঙ্গেও দেখা করেন কংগ্রেস সাংসদ। এই জেরেমি করবিন তাঁর ভারত-বিরোধী (Anti-India), হিন্দুত্ব-বিরোধী (Anti-Hindu) অবস্থানের জন্য পরিচিত। ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস (আইওসি) দ্বারা শেয়ার করা একটি ছবিতে জেরেমি করবিনকে আইওসির চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda) ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পোজ দিতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, জেরেমি করবিনকে তাঁর ‘অর্থবিরোধী’ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য লেবার পার্টির নেতৃত্ব দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। জেরেমি করবিন জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সমর্থকও।  

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রশ্ন, কংগ্রেস নেতা ব্রিটিশ রাজনীতিকের সঙ্গে কী করছেন, যে ব্রিটিশ নেতা প্রকাশ্যে ভারত থেকে কাশ্মীরকে আলাদা করার পক্ষে সওয়াল করেন? বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার প্রশ্ন, জেরেমি করবিনের মতো ভারত-বিরোধী মানুষের সঙ্গে দেখা করা হোক কিংবা ডোকলামের (Doklam) সময় চিনাদের সঙ্গে দেখা করা কেন রাহুল গান্ধীর হাত সবসময় তাঁদের সঙ্গে থাকে, যাঁদের হাত ভারতের বিরুদ্ধে? যদিও কংগ্রেসের বক্তব্য, রাহুলের বিদেশ সফরের জন্য সরকারি অনুমতির কোনও প্রয়োজনই নেই।

     

  • Jammu & Kashmir: আসন বাড়ল জম্মু-কাশ্মীরে, ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্টে বিতর্ক

    Jammu & Kashmir: আসন বাড়ল জম্মু-কাশ্মীরে, ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্টে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল জম্মু-কাশ্মীরে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। এক লপ্তে বাড়ল আসন সংখ্যাও। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ডিলিমিটেশন কমিশন। রিপোর্ট নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছে ভূস্বর্গের রাজনৈতিক দলগুলি।

    অশান্তির জেরে প্রায় দু’দশক জম্মু-কাশ্মীরে বন্ধ ছিল সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। ক্ষমতায় এসে অশান্ত ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয় মোদি সরকার। সংসদের উভয় কক্ষে বিল পাশ করে রদ করে দেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। ভূস্বর্গকে পরিণত করা হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। তবে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দিতে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যার জেরে শুরু হয় সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। কাজ শেষে এদিন কেন্দ্রকে সেই রিপোর্টই জমা দল ডিলিমিটেশন কমিশন।

    ভূস্বর্গের কাশ্মীর এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। হিন্দু পণ্ডিতদের বিতাড়নের জেরে এই এলাকার প্রায় সব ভোটারই মুসলিম সম্প্রদায়ের। এর ঠিক উল্টো চিত্র জম্মুতে। এলাকাটি হিন্দু অধ্যুষিত। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে আসন সংখ্যা বেড়েছে জম্মুতে। সেখানে বেড়েছে ৬টি আসন। আর কাশ্মীরে বেড়েছে একটি আসন। সব মিলিয়ে আসন সংখ্যা বেড়েছে ৭টি। আগে ছিল ৮৩টি। আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জেরে ভূস্বর্গের আসন বেড়ে হল ৯০টি। জম্মুর আসন সংখ্যা বাড়ায় খেপেছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি।

    যদিও ডিলিমিটেশন কমিশন জানিয়েছে, ২০১১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নয়া ব্যবস্থায় জম্মু-কাশ্মীরের যে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে, তার প্রতিটিতে এবার ১৮টি করে বিধানসভা কেন্দ্র থাকবে। স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের দাবি মেনে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের নাম বদল হয়েছে। যেমন, তানমার্গের নাম হয়েছে গুলমার্গ, জুনিমার হয়েছে জাদিবাল, শোনওয়ারের নাম হয়েছে লালচক, কাঠুয়া উত্তরের নাম হয়েছে জাসরোটা।

    ডিলিমিটেশন কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি। উপত্যকার বিভিন্ন দল নিয়ে গড়া গুপকর জোট জানিয়েছে, এর ফলে কাশ্মীরে যাঁরা সংখ্যাগুরু, তাঁরা রাজনৈতিক সংখ্যালঘুতে পরিণত হলেন। পুরোটাই করা হয়েছে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, যাবতীয় উদ্যোগ উপত্যকায় শান্তি ফেরাতেই করা হচ্ছে।   

  • BJP attacks Mamata: “মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন “ধর্ষক-খুনীদের রক্ষা করছেন, মহিলাদের কী আশা থাকতে পারে”, আক্রমণ বিজেপির

    BJP attacks Mamata: “মুখ্যমন্ত্রী নিজে যখন “ধর্ষক-খুনীদের রক্ষা করছেন, মহিলাদের কী আশা থাকতে পারে”, আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল বিজেপি। বিরোধী দলের মতে, যখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে “খুনী ও ধর্ষকদের রক্ষা” করছেন, তখন মহিলাদের আর কী-ই বা আশা থাকতে পারে!

    রাজ্য বিজেপির যুগ্ম-দায়িত্বপ্রাপ্ত অমিত মালব্য জানান, হাঁসখালি কিশোরী নির্যাতিতার চরিত্রহনন করার পর মুখ্যমন্ত্রী এখন বিষয়টিকে “আত্মহত্যা” বলে উল্লেখ করছেন। টুইটারে মালব্য লেখেন, “হাঁসখালি নির্যাতিতার চরিত্রহনন করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘটনাটিকে “আত্মহত্যা” বলে উল্লেখ করছেন। হত্যা করার আগে কিশোরীকে যে নির্মমভাবে ধর্ষণ করা হয়েছিল, তা তিনি অস্বীকার করছেন। যখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে “খুনী ও ধর্ষকদের রক্ষা” করছেন, তখন মহিলাদের আর কী-ই বা আশা থাকতে পারে!”

    [tw]


    [/tw]

    হাঁসখালি কাণ্ডে একটি পাঁচ সদস্যের তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। ওই কমিটির দায়িত্ব ছিল কিশোরী নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করা। গত ২১ এপ্রিল ওই কমিটি তার রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা তুলে ধরে এরাজ্যে ৩৫৫ ও ৩৫৬ ধারা জারি করার সুপারিশ করে। 

    ওই কমিটি তার রিপোর্টে উল্লেখ করে, “মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রশাসন ও শাসক দলের গুন্ডারা সব প্রমাণ নষ্ট করে ফেলেছে। না ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে, না ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে।” শুধু তাই নয়, কমিটি সুপারিশ করে, এই মামলার শুনানি যাতে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হয়, যাতে নির্যাতিতার পরিবার সুবিচার পায়। প্রসঙ্গত, হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘নির্যাতিতা কিশোরী (যার পরে মৃত্যু হয়) এবং  অভিযুক্তের মধ্যে “লাভ অ্যাফেয়ার্স” ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

    এর আগেও আপরেকটি টুইটেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন মালব্য। তিনি লিখেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার ভগ্ন পরিস্থিতিকে রক্ষা করতে গিয়ে নার্ভাস হয়ে পড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের ২ মে-র পর পশ্চিমবঙ্গে যে ব্যাপকহারে মানবাধিকার লঙ্ঘন, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুট, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে চলেছে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনিই দায়ী।”

    [tw]


    [/tw]

     

     

  • Byelection results: উপনির্বাচনে যোগীরাজ্যে গেরুয়া ঝড়, ত্রিপুরায় কুপোকাত তৃণমূল

    Byelection results: উপনির্বাচনে যোগীরাজ্যে গেরুয়া ঝড়, ত্রিপুরায় কুপোকাত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ জুন উপনির্বাচন (Byelection) হয় দেশের ছয় রাজ্যের তিন লোকসভা ও সাতটি বিধানসভা আসনে। এর মধ্যে ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রও ছিল। তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে দুটির রাশ এসেছে বিজেপির (BJP) হাতে। আর পাঞ্জাবে আপকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে অকালি দল।

    যোগী গড়ে ফের মুখ থুবড়ে পড়ল অখিলেশ সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টি। এক সময় উত্তর প্রদেশের রামপুর ও আজমগড় দুটিই সমাজবাদী পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। মুসলিম অধ্যুষিত এই দুই কেন্দ্রে মুসলিম-যাদব তাস খেলে বহু বছর রাশ ধরে রেখেছিল সমাজবাদী পার্টি। উপনির্বাচনে এসে অখিলেশের দলের সেই জয়রথ ভেঙে পড়ল তাসের ঘরের মতো। দুই কেন্দ্রেই জয়ী হল বিজেপি।রামপুরে জয়ী হয়েছে বিজেপির ঘনশ্যাম লোধি। আজমগড়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপির দীনেশলাল যাদব।

    আরও পড়ুন : বছর শেষেই ভোট ভূস্বর্গে? কাশ্মীরে নির্বাচন নিয়ে বড় মন্তব্য রাজনাথের

    মাত্র কয়েক মাস আগেই পাঞ্জাবে ক্ষমতায় আসে আপ। এই কয়েক মাসেই ভাটা পড়েছে আপের জনপ্রিয়তায়। পাঞ্জাবের সাংরুর লোকসভা কেন্দ্রে আপের গুরমেল সিংকে হারিয়েছেন অকালির সিমরন সিং মান। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র ছিল এটি। এর আগে এই আসনেই জয়ী হয়েছিলেন ভগবন্ত মান।

    এদিকে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবতীয় কারিকুরিও  উড়ে গেল কর্পূরের মতো। ত্রিপুরায় পায়ের নীচে মাটি পেতে পুরসভা নির্বাচনের মতো এবারও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। শেষমেশ ফিরতে হল খালি হাতেই। ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের ফল বের হয় এদিন। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই চারটির মধ্যে তিনটির রাশ ছিল বিজেপির হাতে। বড়দোয়ালি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির মানিক সাহা।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?

    ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছিল তৃণমূল। চারটি আসনের কোনওটিতেই হালে পানি পায়নি তৃণমূলের পানশি। চার কেন্দ্রেই তৃণমূল ভোট পেয়েছে গড়ে তিন শতাংশ। জব্দ জমানত। প্রত্যাশিতভাবেই অভিষেকের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠল ফের একবার।   

  • Shah-Sourav: সৌরভের বাড়িতে শুভেন্দুকে নিয়ে নৈশভোজে যাচ্ছেন অমিত শাহ?

    Shah-Sourav: সৌরভের বাড়িতে শুভেন্দুকে নিয়ে নৈশভোজে যাচ্ছেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বাড়িতে নৈশভোজে যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর সঙ্গে যাওয়ার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীরও। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তেরও এদিন নৈশভোজ সারার কথা সৌরভের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি তৃণমূল। ঘটনাটি নিছকই সৌজন্যমূলক বলে দাবি করেছে রাজ্যের শাসক দলের একাংশ।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে ভারতীয় ক্রিকেট তারকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন ছড়ায়। তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী প্রজেক্ট করে বিজেপি ভোটে লড়বে বলেও জল্পনা ছড়ায়। এর পরে পরেই তড়িঘড়ি সৌরভের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। সৌরভ যাতে পদ্ম-প্রার্থী না হন, সেই অনুরোধই জানাতে এসেছিলেন অশোক। যাবতীয় জল্পনায় বরফ ঠান্ডা জল ঢেলে পরে সৌরভও জানিয়ে দেন, বিজেপির প্রার্থী তিনি হচ্ছেন না।

    এর পর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়েছে সময়ের স্রোত। রাজ্যের কুর্সি দখল করেছে তৃণমূল। দিন দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন সৌরভ। পরে দুজনেই জানান, রাজ্যে স্টেডিয়াম গড়া নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে।

    এই আবহে শুক্রবার সৌরভের বাড়িতে নৈশভোজে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।তিনি একা গেলে হয়তো বিষয়টি নিয়ে চর্চাই হত না। তবে সৌরভের বাড়িতে এই শাহি নৈশভোজে যোগ দেওয়ার কথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও স্বপন দাশগুপ্তের। এর পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।

    যদিও এই শাহি নৈশভোজে রাজনীতির রং লাগাতে চায় না রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের মতে, অমিতের পুত্র জয় শাহ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে সৌরভের ডেপুটি। সেই সূত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌরভের সম্পর্ক বেশ ভালো। তবে শাহের সঙ্গে ওই ভোজে কেন স্বপন এবং শুভেন্দু, তা বুঝতে পারছেন না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পুরো পরিস্থিতির ওপর তাঁরা নজর রাখছেন বলেও সূত্রের খবর।        

      

  • Uniform Civil Code: উত্তরাখণ্ডে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি? কী বললেন পুষ্কর ধামি

    Uniform Civil Code: উত্তরাখণ্ডে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি? কী বললেন পুষ্কর ধামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শিগগিরই উত্তরাখণ্ডে চালু হতে চলেছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform civil Code)। রবিবার দিল্লিতে আরএসএস (RSS)-এর  একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami)। এই অনুষ্ঠানে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিকে তাঁর উদাহরণ অনুসরণ করার আহ্বানও জানান ধামি। তিনি বলেন, এটা আমাদের সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল। সেই মতো আমরা পদক্ষেপ করছি। খুব শিগগিরই রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়িত হবে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হল জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাজ্যের সমস্ত নাগরিকের জন্য বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, দত্তক নেওয়া, উত্তরাধিকার এবং উত্তরাধিকারের জন্য নাগরিক আইনের একটি বিধি তৈরি করা। ভারতে (India) ব্যক্তিগত আইন (Personal Law) রয়েছে। এই আইন যা বিশ্বাস ও ধর্মের ভিত্তিতে এক শ্রেণির লোকের জন্য প্রযোজ্য। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হলে এই ব্যক্তিগত আইন বাতিল হয়ে যাবে। আইনজ্ঞদের মতে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ধর্মের মৌলিক অধিকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে।

    আরও পড়ুন : “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    এক দেশ, এক আইনের (One Nation, One Law) পক্ষেই বিজেপি (BJP)। আরএসএসও নানা সময়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর জন্য সওয়াল করেছে। ১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে ভোট প্রচারে হাতিয়ার করেছিল বিজেপি। পরে আর লাগু হয়নি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। উত্তরাখণ্ডই প্রথম রাজ্য, যা ওই আইন লাগু করতে চলেছে বলে দাবি ধামির।

    বস্তুত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েই উত্তরাখণ্ডের কুর্সিতে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে ধামির দল বিজেপি। ধামি নিজে অবশ্য হেরে গিয়েছিলেন। তবে দলকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন। তারই পুরস্কার স্বরূপ ধামিকে বসানো হয় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে।

    আরও পড়ুন : নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    ক্ষমতায় আসীন হয়েই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে কোমর কষে নামে ধামির সরকার। মার্চ মাসে ওই আইনের খসড়া তৈরির জন্য একটি প্যানেল ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই প্যানেলের কাজ প্রায় শেষের মুখে। ধামির রাজ্যে অচিরেই লাগু হবে নয়া এই আইন।

    ভারতীয় সংবিধানের (Indian Constitution) ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র ভারতের সমগ্র অঞ্চল জুড়ে নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন নাগরিক আইন সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবে। সেই মতোই এগোচ্ছে ধামির সরকার।  

     

  • Dona Ganguly: রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সৌরভ-পত্নী ডোনা? জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে

    Dona Ganguly: রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সৌরভ-পত্নী ডোনা? জোর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হ্যাঁ বা না, এখনও পর্যন্ত কিছুই বলেনি বেহালার গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার। মুখ খোলেননি বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি সৌরভ (Sourav)। মুখে কুলুপ ওড়িশী নৃত্যশিল্পী ডোনা (Dona) গঙ্গোপাধ্যায়েরও। সোমবার রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মন্তব্যের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়াও আসেনি বেহালা থেকে। ফলে জল্পনা বাড়ছে। ‘ডিনার-পলিটিক্স’এ কি এবার তাহলে সাফল্য এল?

    ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য করার প্রস্তাবে এবার কি এক ঢিলে তিন পাখি মারছে বিজেপি? কারণ-

    ১) ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha Elections) বছরেই ওড়িশাতে (Odisha) বিধানসভা নির্বাচন। ওড়িশী নৃত্যশিল্পী হিসেবে দেশজুড়ে সমাদৃত বাঙালি ডোনা গাঙ্গুলি। নির্বাচনী প্রচারে বাংলা ওড়িশা দুই রাজ্যের আবেগকেই কাজে লাগাতে পারবে বিজেপি।
    ২) রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হলে কোন রাজনৈতিক রংও লাগছে না গায়ে। 
    ৩) আবার সৌরভ-জায়াকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে সৌরভকেও পাশে রাখতে পারছে বিজেপি।   

    এবছরই রাজ্যসভার রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুই সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। দুই জনই বাঙালি। সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্ত ও অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলির মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে ২০২২-এ। রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। তাহলে কি ঐ দুই শূন্য পদের একটায় আসতে চলেছেন সৌরভ-জায়া ডোনা। যিনি নিজেই একজন নামী ওড়িশী শিল্পী। যদিও এ বিষয় নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি বেহালার গাঙ্গুলি পরিবার। তবে, সোমবার বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে জল্পনা বেড়েছে বৈ কমেনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, দিলীপ ঘোষ বলেন, “তিনি খুশি হবেন যদি ডোনা গাঙ্গুলির মত কোন বিশিষ্টকে রাজ্যসভার জন্য বেছে নেন দেশের রাষ্ট্রপতি।” জল্পনা আরও বেড়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে। সুকান্ত মজুমদার পুরোটাই ছেড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের ওপর। সঙ্গে যোগ করেছেন,”আরও খুশি হব যদি সৌরভ গাঙ্গুলির মত কেউ রাজ্যসভায় যায়, রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে।

    এর আগেও সৌরভকে দলের প্রার্থী (election candidate) করতে চেয়ে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে রাজ্যের প্রায় সব রাজনৈতিক দলই। দলমত নির্বিশেষে সৌরভ রাজ্য রাজনীতির সব দলের কাছেই একটি গ্রহণযোগ্য নাম। সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। সবাই তাঁকে পাশে পেতে চায় ‘আইকন’ হিসেবে। কিন্তু সৌরভ কখনই কোনও রাজনৈতিক দলে নাম লেখাননি। ফলে তাঁর চাহিদা আর আকর্ষণ বেড়েছে প্রতিদিন। অমিত শাহের ছেলেকে পাশে নিয়ে বিসিসিআই সভাপতি হিসেবেও নিজের কর্মদক্ষতা দেখাচ্ছেন ক্যাপ্টেন সৌরভ। ফলে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক তাঁর।

    সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলে নাম না লেখালেও রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য হওয়াই যায়। একাধিক উদাহরণও আছে গত ৭৫ বছরের ইতিহাসে। তবে, সৌরভ নিজে রাজি না হলেও ডোনাতে আপত্তি থাকার কোন কারণ নেই। ৬ মে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারে নৈশভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী ও সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাশে দাঁড়িয়ে সারাক্ষণ তদারকি করেছিলেন ডোনা। তাঁর আগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে (Victoria Memorial) ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ওড়িশী নৃত্য পরিবেশন দেখতে হাজির ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  

  • Sidhu Moosewala: ক্ষোভের চাপ! ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ফেরাল পাঞ্জাবের আপ সরকার

    Sidhu Moosewala: ক্ষোভের চাপ! ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ফেরাল পাঞ্জাবের আপ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবে (Punjab) গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের (Sidhu Moosewala Murder) পর থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভগবন্ত সিং মানের আপ সরকার (AAP Government)। প্রশ্ন উঠেছে, উপযুক্ত নিরাপত্তা না থাকার কারণেই কি এমন মর্মান্তিক পরিণতি হল মুসেওয়ালার। যেদিন সিধুর হত্যা হয় তার ঠিক একদিন আগেই পাঞ্জাব সরকার রাজ্যের ৪২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নিরাপত্তা কাটছাঁট করেছিল। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যার জেরেই নিরাপত্তা নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হল ভগবন্ত সিং মানের (Bhagwant Singh Man) সরকার। বাকি ৪২৩ জন বিশিষ্টকে আগের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    গত ২৯ মে দুই বন্ধু গুরবিন্দর এবং গুরপ্রীতকে নিয়ে বারনালাতে অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা তথা জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala)। তখনই রাস্তায় মানসার কাছে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। তাঁর দেহে ২০টি বুলেটের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনার ঠিক একদিন আগেই মুসেওয়ালার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ভগবন্ত মানের নেতৃত্বাধীন পঞ্জাব সরকার। তার পরই এই ঘটনা ঘটায়, আপ সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। শুধু মুসেওয়ালাই নন। গত শনিবারই পাঞ্জাব সরকার খরচ কমাতে ৪২৪ জন ‘ভিআইপি’র নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে। এই ব্যাপারে মান সরকারের বক্তব্য ছিল, তাঁরা ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান চান, তাই এই সিদ্ধান্ত। যদিও পাঞ্জাব প্রদেশের ডিজিপি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন ছিল তাই নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: তিন মাসেই পাঞ্জাবে আপ-সরকারের বিরুদ্ধে জমছে ক্ষোভ!

    অবশেষে জনসাধারণের চাপে, বৃহস্পতিবার আপ সরকারের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জুন থেকে যাঁদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ওপি সিং হাইকোর্টে এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

     

  • Kashmir Killings: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    Kashmir Killings: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় আরও বাড়ল আতঙ্ক। সরকারি করণিক, দোকানের কর্মী, স্কুল শিক্ষিকার পর এ বার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। আবার কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গিদের গুলিতে খুন হলেন এক হিন্দু পণ্ডিত। বৃহস্পতিবার কুলগাম জেলার এলাকুয়াই দেহাতি ব্যাঙ্কের (Elaqahi Dehati Bank) ভিতরে ঢুকে বিজয় কুমার নামে ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে (bank employee) গুলি করে খুন করে এক আততায়ী। সংবাদ সংস্থা সেই খুনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে। বিজয়, রাজস্থানের হনুমানগড়ের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তাঁর পোস্টিং ছিল উপত্যকায়।

    মঙ্গলবার জম্মুতে স্কুলে ঢুকে গুলি চালিয়ে এক হিন্দু স্কুল শিক্ষিকা খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা। একইভাবে এদিনও আরে মোহনপুরা এলাকায় ব্যাঙ্কে ঢুকে ম্যানেজার বিজয়ের উপর গুলি চালায় এক অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি। গুলিতে আহত বিজয়কে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ সূত্রের খবর, খুব কাছ থেকে গুলি লাগায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিজয়ের।

    [tw]


    [/tw]

    গত কয়েকমাস ধরেই উপত্যকায় জঙ্গিদের নিশানায় কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। কেন্দ্র এবং জম্মু-কাশ্মীর সরকার সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও ভরসা করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। হিন্দু পণ্ডিতদের একাংশ ফের উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছেন। রাস্তায় ট্রাক দাঁড় করিয়ে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জম্মু ফিরে আসতে চাইছেন হিন্দু পণ্ডিতরা। ফারুক আবদুল্লার মতো প্রবীণ নেতারা আরজি জানিয়েছেন, ১৯৯০-এর দশকের মতো উপত্যকা ছেড়ে না যেতে। উপত্যকা আবারও অশান্ত হয়ে ওঠার পিছনে তিনি বিবেক অগ্নিহোত্রীর কাশ্মীর ফাইলস (The Kashmir Files) সিনেমাকে দায়ী করেছেন।

    আরও পড়ুন: ঘর ছাড়া কাশ্মীরি পণ্ডিতরা, জরুরি বৈঠক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

    কাশ্মীরে একের পর এক গুলিচালনার ঘটনায় কাশ্মীরি পণ্ডিত (Kashmiri Pandit) থেকে অন্য সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপির (BJP) মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর জানিয়েছেন, “আবারও লজ্জাজনক এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। এলাকাই দেহাতি ব্যাঙ্কের ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, রাজস্থানের বাসিন্দা বিজয় কুমার কুলগামে সন্ত্রাসবাদীদের বুলেটের কবলে পড়েন৷ এখন সরকারি কর্মচারীদেরও টার্গেট করছে জঙ্গিরা। এটি একটি গুরুতর বিষয় এবং উদ্বেগের বিষয়। সহিংস এই দুষ্টচক্র বন্ধ করার জন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলির একটি কৌশল তৈরি করা উচিত এ বার।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও মৃত ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন।

  • Dilip Ghosh: “বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়, টেররিস্টদের হাব হয়ে গিয়েছে”, রাজ্য প্রশাসনকে  তুলোধনা দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: “বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়, টেররিস্টদের হাব হয়ে গিয়েছে”, রাজ্য প্রশাসনকে  তুলোধনা দিলীপ ঘোষের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: জাহাঙ্গিরপুরী (Jahangirpuri) গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ-যোগ উঠে আসতেই এবার রাজ্য প্রশাসনকে একহাত নিল বিজেপি (BJP)। মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে (TMC Govt) তুলোধনা করলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়। বাংলাদেশে ক্রাইম করে এসে এখানে আশ্রয় নিচ্ছে। পাঞ্জাবে ক্রাইম করে এসে বাংলায় লুকোচ্ছে। এটা একটা টেররিস্টদের হাব হয়ে গিয়েছে। সমাজবিরোধী এবং গুন্ডাদের হাব বাংলা। এখানকার সরকার কতটা অকর্মণ্য তা এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে। বাংলার ইমেজ নষ্ট হচ্ছে।’‌

    খড়্গপুরের সাংসদ আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা থাকা উচিত। ১১ বছর ধরে উনি পুলিশমন্ত্রী। কি করেছেন? প্রথমে বিরোধীদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সফলও হয়েছেন। ওনার কথা চলছে না, শুনছে না তাহলে উনার পদত্যাগ করা উচিত।’‌

    প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গিরপুরীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বড় সাফল্য পায় দিল্লি পুলিশ। ঘটনার অন্যতম চক্রী ফরিদ ওরফে নিতুকে তমলুক থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গোড়া থেকেই দিল্লি পুলিশ অভিযোগ করে আসছিল, জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার অভিযুক্তরা পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছে। সেই মতো দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল বেশ কয়েকদিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরে এসে তল্লাশি চালাচ্ছিল।  

    বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে দিল্লি পুলিশের দলটি জানতে পারে, কাকার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে ফরিদ। এরপরই তার কাকার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। ধলহরা গ্রামের ওই বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল ফরিদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে অতর্কিতে হানা দিয়ে অবশেষে নিতুকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

     

     

LinkedIn
Share