Tag: cbi

cbi

  • Mominpur clash: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    Mominpur clash: ভোট বাক্সের রাজনীতি! মোমিনপুরের ঘটনায় চুপ কেন অভিষেক? প্রশ্ন অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর হিংসায় (Mominpur clash) ভোট বাক্সের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপি (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইট করে এ নিয়ে খোঁচা দিয়েছন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন এত বড় ঘটনা যেখানে তিন জন আইপিএস অফিসার আক্রান্ত, আহত একাধিক পুলিশ কর্মী সেখানে কেন চুপ রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো?  ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখতে তাঁরা কোনও গোষ্ঠীকে আড়াল করছেন? 

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ই সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন এক পুলিশকর্তা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসএসকেএমে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর এসএসকেএম চত্বরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন যে পুলিশ অনেক সংযত থেকেছে। তিনি থাকলে বিজেপি কর্মীদের মাথায় গুলি করতেন। তাহলে এখন প্রকৃত দোষীদের মাথায় গুলি করার কথা বলছেন না কেন অভিষেক ? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকি ওই ঘটনায় আক্রান্ত  সিএমআরআই-তে চিকিৎসাধীন অফিসারদের সঙ্গে দেখাও করতে যাননি কেউ। তবে কী নিজের গা বাঁচিয়ে চলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? 

    আরও পড়ুন: একবালপুর-মোমিনপুর কাণ্ডের জেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে

    উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে রাজ্যের পাঠানো রিপোর্ট বিশ্লেষণের পর মোমিনপুর হিংসায় NIA-তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।  শুক্রবার রাতে ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। মোমিনপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নেতৃত্বে রেখে সিট গঠন করে। কারা এই হামলায় যুক্ত তা খুঁজে বার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলে আদালত। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনার রিপোর্ট নিয়ম মেনে কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে তারা। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মোমিনপুরে NIA তদন্ত প্রয়োজন কি না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের তরফে জানানো হল, NIA তদন্ত হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Tapan Dutta Murder: তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

    Tapan Dutta Murder: তপন দত্ত হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল সরকার। পরিবেশ কর্মী তপন দত্ত হত্যা মামলায় (Tapan Dutta Murder Case) সিবিআই তদন্তের (CBI Probe) নির্দেশ বহাল। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলা নিম্ন আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট এমনকি, সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছে। কিন্তু এখনও সুবিচার পাননি নিহত তপনের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। গত ৯ জুন তপন দত্ত খুনের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার এবং অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন। কিন্তু সেই আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।  

    আরও পড়ুন: পিএফআইকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের

    ২০১১ সালের ৬ মে গুলিতে প্রাণ হারান। এই ঘটনায় তৃণমূলের ১৩ জন স্থানীয় তৃণমূল নেতার নাম জড়ায়। তারপর থেকেই অস্বস্তিতে তৃণমূল সরকার। এক দশক কেটে গেলেও এই ঘটনায় কোনও সুবিচার হয়নি। অভিযুক্তরা আজও শাস্তি পায়নি। এতদিন এই তদন্তের ভার ছিল সিআইডির ওপর। রাজ্য সরকারের এই গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তের পর জানায়, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই তপনবাবুকে খুন হতে হয়েছে। ২০১১ সালের ৩০ অগাস্ট সিআইডি মামলার চার্জশিট পেশ করে। চার্জশিটে হাওড়ার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম ছিল।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকা নয়ছয়, শুভেন্দুর চিঠি নির্মলাকে, আরটিআই পত্রবোমা রাজ্যকেও

    শুরুতে তপন দত্ত খুনের মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৎকালীন তৃণমূলের জেলা সভাপতি  অরূপ রায় সহ ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পরে ওই মামলার চার্জশিট থেকে ৮ জনের নাম বাদ দিয়েছিল সিআইডি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত।  

    সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলা চলাকালীন বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিআইডি তদন্তে কেন আটজনের নাম বাদ দেওয়া হল? মামলাকারীর সিআইডি তদন্তের প্রতি অনাস্থা অনেকাংশেই যুক্তিসঙ্গত মনে হয়েছিল আদালতের। তাই  সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।  

    এরপর ওই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ষষ্ঠী গায়েন ও রাজ্য সরকার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। তবে তাতেও বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সিবিআই  তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Operation Garuda: অপারেশন গরুড়, সিবিআইয়ের জালে ১৭৫ জন, বাজেয়াপ্ত বিপুল মাদক

    Operation Garuda: অপারেশন গরুড়, সিবিআইয়ের জালে ১৭৫ জন, বাজেয়াপ্ত বিপুল মাদক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাদক বিরোধী অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (Central Investigation agency) সিবিআই। ‘অপারেশন গরুড়’ (Operation Garuda) নামে বিশেষ অভিযানটিতে এখনও পর্যন্ত ১৭৫ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। এই অভিযানটি আন্তর্জাতিক অপরাধদমন মূলক পুলিশ সংস্থা (International Criminal Police Organization) এবং এনসিবি (Narcotics Control Bureau)-র সঙ্গে যৌথভাবে চালানো হচ্ছে। মূলত ভারত মহাসাগরের (Indian Ocean) ওপর দিয়েই চলত মাদক পাচার, চোরাচালান। এর বিরুদ্ধেই চলছে অভিযান। 

    আরও পড়ুন: মহা পঞ্চমীর মাহাত্ম্য: জানুন তারকাসুর বধ ও স্কন্দমাতার আখ্যান

    অপারেশন গরুড় চালানো হয়েছে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। সেই রাজ্যের পুলিশবাহিনীর (State Police) সাহায্যে চালানো হয়েছে অভিযান। এখনও পর্যন্ত সিবিআই এবং এনসিবি ছাড়াও পাঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশ,গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি এবং মণিপুর সহ একাধিক রাজ্যের পুলিশও অপারেশন (Operation) চালিয়েছে।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদে ভারতকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর 

    পাঞ্জাব, দিল্লি, হিমাচলপ্রদেশ, মণিপুর সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে সন্দেহভাজন (Suspects person) প্রায় ৬ হাজার ৬০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ১২৭টি নতুন মামলা সহ ১৭৫ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা 

    ধৃতদের কাছ থেকে ৫ কেজির মতো হেরোইন (Heroin), ৩৪ কেজির মতো গাঁজা, ৩ কেজি ২৯ গ্রামের মতো চরস (Charas), প্রায় ৮৭টি নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ১২২টি মাদক ইঞ্জেকশন, প্রায় ২ কেজি আফিম, ৩০ কেজির মতো পোস্তর খোসা (Poppy Husk), ১ কেজি ৪৩০ গ্রামের মতো নেশা জাতীয় পাউডার (Intoxicant powder) উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও এমন আরও নানা নেশাজাতীয় দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মাঝে মধ্যেই মাদক বিরোধী অভিযান করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Cattle Smuggling Case: ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সায়গল! এবার জেরা করবে ইডি-ও

    Cattle Smuggling Case: ৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সায়গল! এবার জেরা করবে ইডি-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন জেলেই থাকছেন। ৫ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে জেলেই থাকতে হবে, জানাল আদালত। বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। সায়গলের আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। তিনি জানান, যে কোনও শর্তে রাজি তাঁর মক্কেল। কিন্তু এদিন সায়গলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি  দেওয়া হয় ইডিকে (ED)। আসানসোল জেলে গিয়ে সায়গলকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে  বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানায় ইডি। সেই আবেদনে সাড়া দিল আদালত। সায়গলকে ব্যবহার করেই অনুব্রতর উপর আরও চাপ বাড়াতে চাইছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে এদিন আদালত জানায়, যে কোনও দিন জেলে গিয়ে সায়গল হোসেনকে জেরা করতে পারবে দিল্লির ইডি টিম। 

    আরও পড়ুন: এফআইআর নিচ্ছে না পুলিশ! অভিষেকের ‘গুলি’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে আদালতে সুকান্ত

    ইডি সূত্রের খবর, গরু পাচারের টাকা কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, কোন খাতে খরচ করা হয়েছে, এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। সায়গল হোসেনের স্ত্রী ও মাকে এ প্রসঙ্গে আগেই তলব করা হয়েছিল। তাঁদের নামেও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। কনস্টেবলের চাকরি করে কী করে এত টাকার সম্পত্তি করলেন সায়গল, তা জানতে চায় তদন্তকারীরা। সায়গল গ্রেফতার হওয়ার পর তার বিপুল সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা হয়েছিল। এখন আসানলোল সংশোধনাগারে রয়েছেন সায়গল। সপ্তাহখানেক আগে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে সেবার আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর মঙ্গলবার ইডি’র তরফে আবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে সায়গলকে জেরার অনুমতির আরজি জানানো হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করল আদালত।

    আরও পড়ুন : বিজেপির নবান্ন অভিযানে ‘অশান্তি’, সিবিআই তদন্তের দাবি অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে

    সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডল তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিয়ে এই ব্যাংক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলাতেন। সায়গল হোসেন নিজেই ওই ব্যাংক আধিকারিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেন অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের হয়ে৷ অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করেই বোলপুর এবং সিউড়ির মোট চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের আধিকারিকের নাম ও ঠিকানা পেয়েছিল সিবিআই। ওই চারজন ব্যাংক আধিকারিকের মধ্যে দুজন ব্যাংক আধিকারিকের বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করেছেন গোয়েন্দারা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: গতবছর ছিলেন মঞ্চ আলোকিত করে, এবার গোটা পুজোয় গারদের অন্ধকারেই ‘অ-পা’

    Partha Chatterjee: গতবছর ছিলেন মঞ্চ আলোকিত করে, এবার গোটা পুজোয় গারদের অন্ধকারেই ‘অ-পা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আনন্দ মাটি হয়ে গেল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)! একই হাল তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরও (Arpita Mukherjee)। কারণ দুজনেরই বেড়েছে জেল হেফাজতের (Jail Custody) মেয়াদ। একদিন, দুদিন নয়, সেই ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতাকে থাকতে হবে গারদে। বুধবার বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের বিচারক এই নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে পার্থ এবং অর্পিতাকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে। এর পরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হন পার্থ-অর্পিতা। জুলাই মাসের ২৩ তারিখে গ্রেফতার হন পার্থ। তার পর থেকে এখনও মেলেনি জামিন। যে কোনও শর্তের বিনিময়ে জামিন পাওয়ার আবেদন করেছিলেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি বিচারক। তাই মেলেনি জামিন।

    বুধবার ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হয় পার্থ-অর্পিতাকে। আদালতে পার্থ জানান, তাঁকে অপ্রয়োজনে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর কেরিয়ারের কথাও বিচারককে জানান। অর্পিতার তরফে অবশ্য জামিনের আবেদন করা হয়নি। পার্থ এবং অর্পিতার জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ৩১ অক্টোবর। যার অর্থ দু্র্গাপুজো তো বটেই, কালীপুজো, ভাইফোঁটা মায় বাঙালির চলতি মাসের সব উৎসবই জেলের অন্ধকার কুঠুরিতে কাটাতে হবে পার্থ অর্পিতাকে। জামিনের আবেদন না করলেও, এদিন মায়ের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চান অর্পিতা। বিচারক তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। তিনি যাতে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, সেজন্য আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন : বিজেপির নবান্ন অভিযানে ‘অশান্তি’, সিবিআই তদন্তের দাবি অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে

    এদিকে, এদিন ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত সম্পত্তির পরিমাণ ইতিমধ্যেই দেড়শো কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, প্রতিদিন প্রায় ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলছে। গরু পাচারকাণ্ডে জেলে রয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। পার্থর মতোই পুজোটা তাঁরও কাটবে গারদে। তবে যে দলের নেতা তাঁরা, সেই তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারীরা বেড়াচ্ছেন পুজো উদ্বোধন করে।

    বিধি বাম হলে কি এমনই হয়!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Partha Chatterjee: জামিনের আবেদনই করলেন না পার্থ! লক্ষ্মীপুজোও কাটবে জেলে

    Partha Chatterjee: জামিনের আবেদনই করলেন না পার্থ! লক্ষ্মীপুজোও কাটবে জেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার দশমীর দিন বিশেষ আদালতে এসএসসি মামলার (SSC Scam) শুনানি ছিল। শুনানিতে পার্থ চট্টোয়াপধ্যায় (Partha Chatterjee), শান্তিপ্রসাদ সিংহ, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং অশোক কুমার সাহাকে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়াও জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় দুই মিডলম্যান প্রসন্নকুমার রায় ও প্রদীপ সিং-কে। প্রত্যেককেই আরও ১৪  দিন কাটাতে হবে জেলে। বাকি তিন জনই এদিন জামিনের আবেদন করলেও, জামিনের আবেদন করেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বরং তিনি চুপ করে রইলেন। সব শুনলেন, বুঝলেন। কিন্তু জামিনের আবেদন করলেন না। যা দেখে হতবাক অনেকেই। এদিন পার্থর সঙ্গে এসএসসি মামলায় অভিযুক্ত শান্তিপ্রসাদ সিংহ, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং অশোক কুমার সাহাকে ভার্চুয়ালি আদালতে তোলা হয়।

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কী বলছে সিবিআই চার্জশিট?

    গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর থেকে প্রতিবার শুনানিতেই নানা কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়েছেন তিনি। চোখের জলও ফেলেছেন আদালতে। শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েও আদালতের সহানুভূতি চেয়েছেন তিনি। আদালত বার বার জানিয়েছে তাঁর মতো ক্ষমতাশালী ব্যক্তি জেলের বাইরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন। তিনি বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, বাইরে বেরোলেও এই মামলায় তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করার ক্ষমতা তাঁর নেই। কিন্তু এদিন তা করলেন না। আদালতে উপস্থিত থাকলেও এদিন জামিনের আবেদন করলেন না।

    আরও পড়ুন: ‘‘যাঁরা বেআইনি চাকরি পেয়েছেন, পদত্যাগ করুন নইলে…’’, নির্দেশ হাইকোর্টের

    অন্য দিকে, শান্তিপ্রসাদ, কল্যাণময়, অশোকরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। এমনকি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশকে ডিভিশন ওয়ান বন্দি হিসাবে দেখার আর্জি করা হলে সেই মৌখিক আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। সিবিআই (CBI)- এর আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “৩৮১ জন অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। চক্রান্তে জড়িত আরও কতগুলি নাম সামনে আসা বাকি। সিবিআই প্রত্যেক অপরাধীকেই জেলবন্দি করতে চান। কারণ যাঁরা বাইরে আছেন, তাঁরা তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করতে পারেন। জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।” এরপরই অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেন হবে সিআইডি তদন্ত? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    Cattle Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় কেন হবে সিআইডি তদন্ত? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এবার এই মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে তাদের বক্তব্য তিন সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে (PIL filed in Calcutta High Court)। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন? 

    গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই। একই মামলায় রাজ্য পুলিশ কেন পৃথক তদন্ত করবে, এই প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন সুমন শংকর চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এ দিন মামলাকারীর আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, “রাজ্য পুলিশের থেকে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত নিয়ে যেতে চাইছি। কারণ সিবিআই ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত করছে। রাজ্যের তদন্তের এক্তিয়ার নেই।” তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে চলতি বছরের ১০ জুন গ্রেফতার করা হয় । পুরনো একটি মামলায় রাজ্য এই ঘটনায় তদন্ত করে ২০১৯ সালেই চার্জশিট দিয়ে দেয়। কিন্তু সেই মামলা ফের ১২ জুলাই নতুন করে উত্থাপন করা হয়েছে। সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করার পর রাজ্য ১০ জুলাই এই মামলায় ফের তদন্ত করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানায়। অথচ আগে চার্জশিটে পরবর্তী তদন্তের আর্জি ছিল না। সিবিআই দীর্ঘদিন ধরেই তদন্ত করছে। পরবর্তী তদন্তের দরকার হলে তা সিবিআই করতে পারে। রাজ্য পুলিশ হঠাৎ করে কেন এত সক্রিয় হয়ে উঠল?”   

    রাজ্যের তরফের আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (এজি) এদিন শুনানির সময় পাল্টা প্রশ্ন করেন, “২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর বিএসএফের এফআইআর-এর ভিত্তিতেই রাজ্য তদন্ত শুরু করেছিল। এতদিন পরে কেন এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা?” সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “এনামুল হক নামে গরুপাচার চক্রের মাথাকে গ্রেফতার করার পর সিবিআই জানতে পারে মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় এই চক্র অত্যন্ত সক্রিয়। এই ধরনের সীমান্তবর্তী এলাকায় সিবিআই তদন্ত করছে কারণ এর সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যই সুপ্রিম কোর্টের একটা মামলায় বলেছে, সিবিআই এই ব্যাপারে কিছু করছে না।” 

    আরও পড়ুন: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর   

    আইনজীবী জয়দীপ কর ফের বলেন, “তদন্ত স্থগিত রাখার কোনও আর্জি আমরা জানাচ্ছি না। আমরা চাই তদন্ত সিবিআই করুক। সীমান্ত বিষয়টি কেন্দ্রের আওতায় পড়ে।” দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই বিচারপতি তিন সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ নভেম্বর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Subiresh Bhattcharya: সুবীরেশের গ্রেফতারির পরই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোড়ানো হচ্ছে ‘নথি’! ভিডিও প্রকাশ সুকান্তর

    Subiresh Bhattcharya: সুবীরেশের গ্রেফতারির পরই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোড়ানো হচ্ছে ‘নথি’! ভিডিও প্রকাশ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattcharya)। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে সোমবারই গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকারকে আবারও কাঠগড়ায় তুলেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি নিজের ট্যুইটার ও ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে সরকারকে নিশানা করছেন।

    ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, রাতের বেলা কয়েকজন ব্যক্তি আগুনে কিছু কাগজ জাতীয় জিনিস পোড়াচ্ছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ওই ভিডিয়োটি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের। কেন রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালানো হচ্ছে? তা নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিন সুকান্ত ট্যুইটারে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতের অন্ধকারে নথি জ্বালাতে দেখা যাচ্ছে কিছু ব্যক্তিকে। এই নথি জ্বালানোর উদ্দেশ্য কী কীসের তথ্য গোপন করতে কী কী নথি জ্বালিয়ে ফেলা হল উপস্থিত ব্যাক্তিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া উপাচার্যও নেই তো? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যায়। ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।’

    আরও পড়ুন: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    সুকান্ত মজুমদার ওই ভিডিয়োটি শেয়ার করতেই তা নেট মাধ্যমে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে। শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। যদিও এই ভিডিয়োর বিষয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, শুধুমাত্র কিছু পুরানো, অকেজো সামগ্রী পোড়ানো হয়েছে। ট্যুইট বার্তায় সুকান্ত আরও দাবি করেন, ‘তৃণমূল সরকারের হাতে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। এত লজ্জা বাঙালি রাখবে কোথায় ?’ 

    উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় অনেকদিন ধরেই সিবিআই-এর নজরে ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। সোমবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে সুবীরেশের বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। প্রশ্নের উত্তরে অসন্তুষ্টি হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পুজো (Durga Pujo)। তবে এবার পুজোটা তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্টকে কাটাতে হবে জেলের ঘুপচি প্রায়ান্ধকার ঘরে। কারণ বুধবার আসানসোলের (Asansole) বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ করা হয় কেষ্টকে। শরীর খারাপ, বাড়িতে দুর্গাপুজো রয়েছে এই জোড়া যুক্তি প্রদর্শন করেন তাঁর আইনজীবী। তার পরেও মেলেনি জামিন। এদিন বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যার অর্থ, এবার পুজোর দিনগুলি এই তৃণমূল নেতাকে কাটাতে হবে কারাগারেই।

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তার পর থেকে দফায় দফায় জেলেই রয়েছেন তিনি। এদিন ফের তাঁকে তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। আবারও জামিনের আবেদন করেন তিনি। কেষ্টর আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের শরীর ভাল নয়। কলকাতায় থেকে প্রতিদিন সিবিআই অফিসে গিয়ে হাজিরাও দিতে রাজি তিনি। প্রয়োজনে জেলায় ঢুকবেন না বলেও বিচারককে জানান তাঁর আইনজীবী। তিনি এও বলেন, অনুব্রতের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। বাড়িতে তাঁর মেয়ে একা রয়েছেন। তাঁর একার পক্ষে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব নয়। এত করেও জামিন মেলেনি কেষ্টর।

    আরও পড়ুন :কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    কারণ প্রভাবশালী তত্ত্বে এদিনও জামিন মেলেনি বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার। সিবিআইয়ের আইনজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অনুব্রত জামিন পেলে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। বিচারককে তিনি এও জানান, এখনও তদন্ত চলছে। অনেক তথ্য মিলেছে। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত অনেক সন্দেহভাজনের খোঁজও মিলছে। তাদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগও পাওয়া গিয়েছে। তাই অনুব্রতকে এখনই জামিন দেওয়া যাবে না।

    এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানান, দুটি এনজিওর সঙ্গে অনুব্রতর যোগ থাকার কথা সামনে এসেছে। খোঁজ মিলেছে প্রায় ১৯টি নতুন সম্পত্তির। প্রচুর নগদ টাকাও পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রতকে ফের আদালতে পেশ করা হবে ৫ অক্টোবর। সেদিন অবশ্য ঢাকের বোলে বাজবে বিজয়া দশমীর বাজনা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: সিবিআই-এর কাছে সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিলেন অনুব্রত কন্যা

    Cattle Smuggling Case: সিবিআই-এর কাছে সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিলেন অনুব্রত কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গ্রেফতার পর থকেই তদন্তকারীদের নজরে ছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি নিয়ে আগে থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। পেশায় একজন শিক্ষিকা হয়েও এত বিপুল সম্পত্তি কোথায় থেকে পেলেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল। আর এই সম্পত্তির সন্ধান করতে হন্যে হয়ে পড়েছিলেন তদন্তকারীর দল। সুকন্যাকে এই সম্পত্তির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি মুখে কুলুপ আঁটেন ও তাঁর থেকে তেমন কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। আর তার ফলেই সুকন্যাকে তাঁর সম্পত্তির হিসেব পেশ করতে নোটিস দেওয়া হয়েছিল সিবিআই-এর (CBI) তরফে। আর আজ সেই সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি দেওয়া হল সিবিআই-এর অফিসে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ, বুধবার নিজাম প্যালেসে সব সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন সুকন্যা। তাঁর নামে থাকা টাকা, সম্পত্তি, গত ৫ বছরের আয়করের হিসেবও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এদিন তিনি নিজে আসেননি সিবিআই দফতরে। তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে এই নথি পাঠান তিনি।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-কন্যার ব্যাংকের নথি চাইল সিবিআই! মেয়ের অ্যাকউন্ট থেকেই কি লেনদেন?

    উল্লেখ্য, কয়েকটি সংস্থা ও একটি রাইস মিলের ডিরেক্টর হিসেবে তাঁর নাম এর আগেই পাওয়া গিয়েছে। আর সেকারণেই আয়-ব্যয়ের নথি খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। এরপর তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করার পরেই তাঁর সমস্ত সম্পত্তির হিসাব দেখতে চায় সিবিআই। এর আগেও সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট, ব্যবসা ও কোম্পানি সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তখন নথি জমা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁর নামে অনেক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশও পাওয়া যায়। ফলে যেসব ব্যাংকে তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেইসব ব্যাংকেও হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এবার তিনি সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন তথ্যও দিয়েছেন সিবিআই-কে। এছাড়া যেসব রাইস মিল তাঁর নামে পাওয়া গিয়েছিল, সেই সংক্রান্ত নথিও পেশ করেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, তবে শুধু আয়-ব্যয় নথি নয়, বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের দিকেও নজর রেখেছিলেন সিবিআই। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুকন্যা দাবি করেছিলেন যে, এবিষয়ে হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি সব জানেন। পরে এনাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে শুধুমাত্র কেষ্ট কন্যা সুকন্যা নয়, সিবিআই-এর নজরে রয়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ীও। তাঁদেরও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তবে আজকের এই নথিতে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share