Tag: cbi

cbi

  • Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    Suvendu Adhikari: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে শিশুখুনের (Child Murder) আঁচ এসে লাগল বিধানসভায়ও (State Assembly)। পুলিশের বিরুদ্ধে অপদার্থতার অভিযোগে সোচ্চার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শিশু মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে সিবিআই (CBI) তদন্ত দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। খোদ পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধানসভায় হায় হায় স্লোগান বিজেপির। বুধবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউটও করেন পদ্ম-বিধায়করা। বিধানসভা কক্ষের বাইরে বিক্ষোভও প্রদর্শন করেন তাঁরা।  

    দু দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় শান্তিনিকেতনের মোলডাঙার বাসিন্দা বছর পাঁচেকের শিবম ঠাকুরের দেহ। গ্রামেরই মুদিখানার দোকানে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিল সে। পরে উদ্ধার হয় দেহ। পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার জেরে অভিযু্ক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।

    শান্তিনিকেতনের এই অশান্তির আঁচ এসে লাগে বিধানসভায়ও। বুধবার বিধানসভায় বিষয়টি তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিশুখুনের ঘটনায় পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি মেনে না নেওয়ায় হইচই করেন বিরোধীরা। পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে হায় হায় স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। নিহত শিশুর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন :চিকিৎসা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে শিশু ও কিশোরকে অপহরণ করা হচ্ছে। পুলিশ ডায়েরি নিচ্ছে না, তদন্তও করছে না। পরে তাদের দেহ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, গতকালের এই বাচ্চাটা ১৮ তারিখ নিখোঁজ হয়েছে। তার পরিবার জিডি করেছে। ২০ তারিখ পাশের বাড়ি রুবি বিবির বাড়িতে পলিথিনে মোড়া এই বাচ্চার দেহ পাওয়া গিয়েছে। শুভেন্দু বলেন, পুলিশ মন্ত্রী চোরেদের বাঁচানোর জন্য বিধানসভায় এসে মিথ্যা কথা বলতে পারেন। তিনি এত ব্যস্ত যে চোরেদের বাঁচানোর জন্য ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রেজোলিউশনে নেচে নেচে বলতে পারেন, আর এই বাচ্চাটার জন্য আমরা বলেছিলাম হাউস চলাকালীন পুলিশ মন্ত্রীকে এসে বলতে বলুন। তাঁর অভিযোগ, অধ্যক্ষ একপেশে আচরণ করেন। তিনি কর্ণপাত করেননি। আমরা বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রতিবাদ করেছি, বাইরেও করেছি। তিনি বলেন, আমরা রুবি বিবির ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান শুভেন্দু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • CBI: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

    CBI: একে অপরকে দিচ্ছেন দোষ, নিজামে পার্থ-সুবীরেশদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে পারে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে দুর্নীতির নতুন অধ্যায়। যেন রামায়ণ কাহিনী। এর শেষ কোথায় কেউ জানেন না। এই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে একের পর এক হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বের। এই মামলায় একের পর এক গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা (SP Sinha), উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। গ্রেফতার হয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও (Kalyanmay Ganguly)। জানা গিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এই চারজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র  
     
    বিকাশ ভবনে একসময়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন চারজন। ফের একসঙ্গে হবেন তাঁরা। কিন্তু এবার নিজাম প্যালেসে। শিক্ষা দফতর থেকে সোজা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতর। সোমবার নিজাম প্যালেসে একে-একে রাত কাটালেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ানম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রত্যককে পৃথক-পৃথক মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।  

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় গ্রেফতার হন এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতে। এসপি সিনহা ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয় নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগ দুনীর্তিতে সিবিআই-এর জালে। এর মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও এসপি সিনহা দুটি মামলাতেই অন্যতম অভিযুক্ত। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    সিবিআই সূত্রে খবর, এবার শিক্ষা দফতরের এই প্রাক্তনদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। কারণ তিনজনকে পৃথকভাবে জেরা করে তেমন লাভ হয়নি। সিবিআই সূত্রে খবর, তিনজনই অপর জনের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় এড়াতে চাইছেন। সেই কারণে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে সেটা করতে পারবেন না তাঁরা বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হবে। গোটা প্রক্রিয়ার করা হবে অডিয়ো বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং। পরে তা মিলিয়ে দেখা হবে পুরনো বয়ানের সঙ্গে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
     

  • Subiresh Bhattacharya: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    Subiresh Bhattacharya: এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মাামলায় গ্রেফতার করা হল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে (Subiresh Bhattacharya)। সোমবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হন তিনি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কোনও উপাচার্যকে গ্রেফতার করা হল। এর আগে শুধুমাত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনের উচ্চপদস্থ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় প্রায় অনেকদিন ধরেই সিবিআই-এর নজরে ছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। আর তারই ফলে সুবীরেশকে গ্রেফতার করা হল। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ।

    সোমবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তেই সুবীরেশের বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বেশ কয়েক ঘণ্টা ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি সুবীরেশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। প্রশ্নের উত্তরে অসন্তুষ্টি হওয়ায় সিবিআই-এর আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করে। শুধু তাই নয়, সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি তদন্তে সাহায্য করছিলেন না ও প্রশ্নের সঠিক উত্তরও দিচ্ছিলেন না। এমনকি অনেক তথ্য গোপন রাখার চেষ্টা করছিলেন। ফলে তাঁকে আজ গ্রেফতার করে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও ২৪ অগাস্ট সুবীরেশ ভট্টাচার্যের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। উত্তরবঙ্গের বাড়ি ও বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির আধিকারিকরা। তাঁর বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাট আগেই সিল করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিন খবর পেয়েই উত্তরবঙ্গ থেকে সস্ত্রীক সুবীরেশ চলে আসেন কলকাতায়। তিনি এমনকি সংবাদমাধ্যমে দাবিও করেছিলেন যে, তাঁর আমলে শিক্ষক নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি।

    সিবিআই সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হওয়া সুবীরেশকে নিজাম প্যালেসেই নিয়ে যাওয়া হতে পারে। নিজাম প্যালেসেই রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহ, এমনকি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও। এর মধ্যে সুবীরেশকেও নিজাম প্যালেসে এনে এদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর সুবীরেশকে মঙ্গলবারই তোলা হতে পারে আদালতে।

  • Partha Chatterjee: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    Partha Chatterjee: ‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শুক্রবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই (CBI)। তারপর শনিবার থেকেই চলছে দফায় দফায় জেরা। এবার জেরায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় পার্থ বলেছে, “আমি শুধু ফাইলে সই করতাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) আমার বিশেষ কোনও ভূমিকা ছিল না, আমার কাছে ফাইল পাঠানো হত, আর সেই ফাইলে সই করতাম আমি।”

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    কেন না পড়ে ফাইলে সই করতেন সে বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা প্রশ্ন করলে উত্তরে পার্থ বলেন, “আমি ওদের বিশ্বাস করতাম। এই বিষয়ে আমার ভূমিকা সামান্যই। ” এবার প্রশ্ন উঠছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জবানবন্দীতে এই ‘ওরা’ কারা? সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান ‘ওরা’ বলতে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের কথাই বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  

    অন্যদিকে, একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Kalyanmay Ganguly) হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই (CBI Custody)। জেরা করা হচ্ছে তাঁকেও। জেরা করা হচ্ছে, তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকেও। জানা গিয়েছে এবার তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করতে পারে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জের, সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে আরও জোরদার হচ্ছে কেস। আজই বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জীর ফ্ল্যাটে নগদ কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই ইডি দুমাস আগে গ্রেফতার করেছিল পার্থ-অর্পিতাকে। আপাতত জেলেই রয়েছেন অর্পিতা। গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এরপর সিবিআই হেফাজতে যান পার্থ। মনে করা হচ্ছে, চার্জশিটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেশ করতে পারে ইডি। দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে বলেও সন্দেহ রয়েছে ইডি গোয়েন্দাদের। চার্জশিটে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হতে পারে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

      

      

  • Tejashwi Yadav: তেজস্বীর জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে আদালতে সিবিআই

    Tejashwi Yadav: তেজস্বীর জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে আদালতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআরসিটিসি কেলেঙ্কারিতে (IRCTC Scam) জামিন পেয়েছেন বিহারের (Bihar) উপমুখ্যমন্ত্রী আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। এবার তাঁর জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে দিল্লি আদালতে গেল সিবিআই (CBI)। অভিযোগ, জামিন পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কয়েকজন আধিকারিককে তিনি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তেজস্বী হুমকি দেন। এভাবে তিনি মামলায় প্রভাব খাটিয়েছেন বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের।

    আইআরসিটিসি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের। অভিযোগ, রাঁচি এবং ওড়িশার পুরীতে ওই সংস্থার দুই হোটেল সংস্কারের ক্ষেত্রে আর্থিক তছরুপ হয়। ২০০৬ সালের ওই ঘটনায় নাম জড়ায় তেজস্বীর। তদন্তে নেমে সিবিআই ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এদিন সিবিআইয়ের জামিন খারিজের আবেদনের প্রেক্ষিতে তেজস্বীকে নোটিশ পাঠায় আদালত।

    আরও পড়ুন : চাকরি পেতে জমি লিখে দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন লালু-পুত্র তেজস্বী!

    জানা গিয়েছে, গত মাসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তিনি বলেন, সিবিআই আধিকারিকদের কি মা এবং ছেলেমেয়ে নেই? তাঁদের কি পরিবার নেই? তাঁরা কি চিরকাল সিবিআই অফিসার হিসেবেই থাকবেন? তাঁরা কি অবসর নেবেন না? কেবল এই দলই কি চিরকাল বিহারের ক্ষমতায় থাকবে? কী বার্তা আপনারা পাঠাতে চাইছেন? আপনাদের উচিত সৎ ভাবে সাংবিধানিক সংস্থার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া।

    তেজস্বী যখন এভাবে সিবিআইকে হুমকি দিচ্ছেন, তার ঠিক আগে আগেই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কয়েকজন নেতার বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগের মামলায় তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তার পরেই সিবিআইকে তেজস্বী হুমকি দেন বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, চাকরি পেতে জমি লিখে দেওয়ার মামলায়ও নাম জড়িয়েছে বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রীর। ইউপিএ-১ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী ছিলেন আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। সেই সময়ই ওই দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rishi Agarwal: ব্যাংক জালিয়াতিকাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার এবিজি শিপইয়ার্ডের কর্ণধার ঋষি আগরওয়াল

    Rishi Agarwal: ব্যাংক জালিয়াতিকাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার এবিজি শিপইয়ার্ডের কর্ণধার ঋষি আগরওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সব থেকে বড় ব্যাংকঋণ জালিয়াতি-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এবিজি শিপইয়ার্ডের (ABG Shipyard) প্রাক্তন প্রধান ঋষি আগরওয়ালকে (Rishi Agarwal) গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। ঋষিসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মোট ২২,৮৪২ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।  

    আগেই ঋষির বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল সিবিআই। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI), আইসিআইসিআইসহ অন্তত ২৮টি ব্যাংকের সঙ্গে ঋণখেলাপি করেছে গুজরাটের জাহাজ নির্মাণকারী এবং মেরামতি সংস্থা এবিজি।

    সংস্থার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ঋষি, ডিরেক্টর শান্থনম মুথুস্বামী এবং অশ্বিনী কুমার-সহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি, বিশ্বাসভঙ্গের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক অডিট সংস্থার করা ফরেন্সিক অডিটে দেখা যায় যে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে অভিযুক্তেরা একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অর্থ তছরুপ করেছেন। অভিযোগ, ওই বিপুল অঙ্কের ঋণের প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা অন্তত ৯৮টি সংস্থায় সরিয়েছে এবিজি।  

    আরও পড়ুন: বোলপুরে শিশুহত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর, বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    কীভাবে এই জালিয়াতি করল এবিজি? 

    ১৯৮৫ সালে ঋষি আগরওয়ালের হাতে তৈরি হয় সংস্থাটি। জাহাজ নির্মাণ এবং মেরামতি সংস্থার অফিস তৈরি হয় গুজরাটের সুরাট এবং দাহেশে। আইসিআইসিআই-সহ মোট ২৮টি ব্যাংক এই সংস্থার জন্যে ঋণ দেয়। ২০০৯ সালে বিশ্ব মন্দা থাকা সত্ত্বেও ২০০৫-২০১০ সাল অবধি ব্যাংক থেকে একাধিকবার ঋণ পেয়েছে এই সংস্থা। ২০১৪ সালে এবিজিকে ঋণ দেয় এসবিআই। কিন্তু ঋণ এবং তার সুদ শোধে ব্যর্থ হয় এবিজি। এর পর থেকে বার বার ঋণখেলাপি করে এবিজি। ২০১৭ সালে এবিজিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে। সংস্থা থেকে ২৭,৪০০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করে আইসিআইসিআইসহ অন্যান্য ব্যাংকগুলি। ২০১৯ সালে আর্থিক তছরুপ দুর্নীতি চিহ্নিত করে এসবিআই। ওই বছরই একটি মামলা দায়ের করে এসবিআই। ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার  তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। সিবিআই জানায়, ২২,৮৪২ কোটি টাকার মধ্যে, আইসিআইসিআই- এর পাওনা ৭,০৮৯ কোটি টাকা, এসবিআই- এর ২,৯২৫ কোটি টাকা, আইডিবিআই- এর পাওনা ৩,৬৩৯ কোটি টাকা, ব্যাংক অফ বারোদার ১,৬১৪ কোটি টাকা, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ১,২৪৪ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংকের ১,৩২৭ কোটি টাকা, ইন্ডিয়ান ওভারসিস ব্যাংকের ১,২৪৪ কোটি টাকা, ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ৭১৯ কোটি টাকা।  

    আরও পড়ুন: পিএফআই-এর বিরুদ্ধে বাংলা সহ ১০ রাজ্যে ইডি-এনআইএ যৌথ হানা, গ্রেফতার ১০০

    উল্লেখ্য, হলদিয়া বন্দরে হ্যান্ডলিংয়ের কাজের জন্য এবিজি শিপইয়ার্ড বরাত পেয়েছিল। তার পর ২০১২ সালে হঠাৎই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করে তারা। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযোগ ছিল হলদিয়ায় আইন শৃঙ্খলার সমস্যা রয়েছে ও তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। এ কথা বলে হলদিয়া থেকে কাজ গোটোনোর কথা ঘোষণা করেছিল এবিজি। তা নিয়ে বাংলায় তীব্র রাজনৈতিক জলঘোলা হয়।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Sonali Phogat: সোনালি ফোগাট মৃত্যু রহস্য, গোয়ার সেই হোটেলে হানা সিবিআইয়ের

    Sonali Phogat: সোনালি ফোগাট মৃত্যু রহস্য, গোয়ার সেই হোটেলে হানা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গোয়ার (Goa) সেই হোটেলের ঘরে হানা দিল সিবিআই (CBI)। গোয়ার এই হোটেলের ঘরেই বিজেপি (BJP) নেত্রী তথা অভিনেত্রী সোনালি ফোগাটের (Sonali Phogat) সঙ্গে ছিলেন তাঁর পুরুষ সহযোগীও। তদন্তের স্বার্থে এবার সেই ঘরেই গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কয়েকজন আধিকারিক। সোনালির মৃত্যুর পর গ্র্যান্ড লিওন্নি হোটেলের এই ঘরটিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। পরে শুরু হয় সিবিআই তদন্ত। এদিন গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানান, তদন্তকারী দলের সদস্যরা ওই ঘর থেকে নথিপত্র সংগ্রহ করবেন। কথা বলবেন স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর যে চিকিৎসক বিজেপি নেত্রীকে প্রথম পরীক্ষা করেছিলেন, তাঁর সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই হরিয়ানায় গিয়ে সোনালির ভাইয়ের বয়ান রেকর্ড করেছেন। সোনালির ভাই ভাতান ঢাকা বলেন, সিবিআইয়ের একটি দল আমাদের বাড়িতে এসেছিল। বয়ান রেকর্ড করেছে। পরে তারা আমাদের ভাইয়ের বাড়িতেও যায়। সেখানেও বয়ান রেকর্ড করে।

    আরও পড়ুন : বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিবিআই, নির্দেশ স্বরাষ্টমন্ত্রকের

    মৃত্যুর দিন গোয়ার আঞ্জুনায় ‘কার্লিস’ নামে একটি রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী সোনালি। সেই সময়ই অস্বস্তি শুরু হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে দলের কর্মীরাই তাঁকে নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে সোনালির। যদিও তাঁর পরিবারের তরফে খারিজ করে দেওয়া হয় এই দাবি। তাঁদের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই বিজেপি নেত্রীকে। মৃতের ভাই রিঙ্কু ঢাকা আঙুল তোলেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সুধীরের দিকেই। মৃতের পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়ে সুধীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাঁর সহযোগী সুখবিন্দর সিং এবং রেস্তরাঁর এডউইন নানসকেও।

    ঘটনার পরে পরে সিবিআই তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি দেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির প্রমোদ সাওয়ান্ত। তার পরেই রাজ্য পুলিশের হাত থেকে মামলা যায় সিবিআইয়ের হাতে। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। করে মৃত বিজেপি নেত্রীর পরিবারের বয়ান রেকর্ডও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Shantiprasad Sinha: শান্তিপ্রসাদ সিনহার জামিনের আর্জি খারিজ! ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই

    Shantiprasad Sinha: শান্তিপ্রসাদ সিনহার জামিনের আর্জি খারিজ! ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোয় আর বাড়ি ফেরা হচ্ছে না শান্তিপ্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha)। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Case) তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করল বিশেষ সিবিআই আদালত।  ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকবেন তিনি।  শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে গত ১০ অগাস্ট গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁর হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায়  তাঁকে আদালতে তোলা হয়।

    আরও পড়ুন: প্রাইমারিতে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি হয়েছে! চার্জশিটে দাবি ইডির

    পুজোর আগে জামিন পাননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও (Partha Chatterjee) ৷ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত। পার্থ ছাড়াও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়,অশোক সাহারও জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে। গ্রুপ সি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদকে। অভিযোগ, তাঁর আমলেই মূলত নিয়োগ দুর্নীতি হয়।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ৩১টি পলিসির জন্য দেড় কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ! চার্জশিটে দাবি ইডির

    শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার আদালতকে সিবিআই জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া দুই মিডলম্যান প্রসন্ন রায় এবং প্রদীপের কম্পিউটারে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা খুঁজে পেয়েছে তারা। এই দু’জনের সঙ্গে শান্তিপ্রসাদের যোগাযোগের কথা আগেই জানতে পেরেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাঁদের ধারণা, এই তালিকা থেকেই নাম যেত এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদের কাছে। নগদের বিনিময়ে পাওয়া যেত চাকরিও। তবে লেনদেনের দায়িত্বে থাকতেন দুই মিডলম্যানই। সিবিআইয়ের এই যুক্তি শোনার পর এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cattle Smuggling: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে,  অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    Cattle Smuggling: দুটি গাড়ি দিয়েছিলেন নেতাকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার (Cattle Smuggling Case) মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে আসছেন একের পর এক অনুব্রত ঘনিষ্ঠ। নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন পেশার মানুষ। ব্যবসায়ী থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার কে নেই অনুব্রতর বন্ধু তালিকায়! গরু পাচার মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে তত ভিন্ন ভিন্ন নাম হাতে আসছে গোয়েন্দাদের। এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে তলব করল সিবিআই। এর আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক পলিটেকনিক কলেজে হানা দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। অনেকদিন ধরেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিলেন মলয় পিট (Malay Peet)। কলেজে গিয়ে তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফের সিবিআই ক্যাম্পে তলব করা হল তাঁকে।  

    আরও পড়ুন: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে মলয় পিটের। তৃণমূল সরকারের আমলেই শান্তিনিকেতনে মেডিকেল কলেজও তৈরি করেছেন মলয় পিট। এছাড়াও রয়েছে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। একটি হল ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’ এবং অপরটি ‘সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুটির অধীনেই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। 

    এর আগে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ তৈরির সময় অনুব্রতকে পাশে থাকার কৃতিত্ব দিয়েছেন খোদ ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, ওই মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে অনুব্রত মণ্ডল আর্থিক সাহায্য করেছেন বলেও জানতে পেরেছে সিবিআই। সেই আর্থিক লেনদেন সম্পর্কেই এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মলয় পিটকে বলে জানা গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ তৈরির এই বিপুল টাকা কোথা থেকে এল, প্রশ্ন করা হবে সে বিষয়ে। কোন পথে হয়েছিল লেনদেন  পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চান গোয়েন্দারা। গতকাল তলব করা হয়েছিল বেশ কিছু ব্যাংক কর্মীকে। আজ নিশানায় মলয় পিট।  

    আরও পড়ুন: কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
     
    বোলপুরে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যারাজে সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা একটি গাড়ি ও স্বাধীন ট্রাস্টের নামে থাকা আর একটি গাড়ি দেখতে পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সাংবাদিকরা মলয়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি স্বীকার করে নেন যে, ওই দুটি গাড়ি তিনিই দিয়েছিলেন অনুব্রতকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Manik Bhattacharya: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    Manik Bhattacharya: রাত ৮টার মধ্যে মানিককে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের, আজই কি গ্রেফতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) আজই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে। নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি ওএমআর শিট মামলায় (OMR Sheet Case) সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি সিবিআইকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, অপসারিত চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে যেতে বলা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ দেন, পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তদন্তে সাহায্য না করলে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারে। 

    আরও পড়ুন: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির    

    প্রাথমিক টেট মামলায় সময়ের আগেই কেন ওএমআর শিট নষ্ট করা হল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। সদুত্তর দিতে পারেননি তৎকালীন চেয়্যারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এ দিন মানিককে সিবিআই দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা না করলে, প্রয়োজনে মানিককে সিবিআই গ্রেফতারও করতে পারে বলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা উচ্চ আদালত।  

    ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিট নষ্ট করায় অ্যাড হক কমিটির কী ভূমিকা ছিল, তা জানতেই মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করবে সিবিআই। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে চায় মানিক ভট্টাচার্যকে কেন ওই পদে নিয়োগ করা হয়েছিল, কী ভাবে তাঁকে বাছাই করা হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: ‘মানিক ইজ টেকিং মানি…’, অভিযোগ পেয়েও চেপে গিয়েছিলেন পার্থ! দাবি ইডির

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা আদালতে ওঠার পরেই চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়েছিল মানিককে। তদন্তের স্বার্থে বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির খতিয়ান হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান মানিকবাবু। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে।   

    এক মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ১ নভেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট। বিচারপতি এ দিন মন্তব্য করেন, “সিবিআই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে এটা শুধু আদালতই চায় না, নাগরিক সমাজও তাদের ওপরে ভরসা রাখবে বলে আশা করি।” 

    ইডি (Enforcement Directorate) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তের যে চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে, তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নাম ছিল। গত বুধবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল মানিকবাবুকে। প্রায় ৬ ঘণ্টার জেরা চলে। তবে মানিক ভট্টাচার্যের উত্তরে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি গোয়েন্দারা। আর আজ মানিকবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share