Tag: China

China

  • China US Relation: ট্রাম্পের জয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া চিনের, কী বললেন জিনপিং?

    China US Relation: ট্রাম্পের জয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া চিনের, কী বললেন জিনপিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতি মেনে চলবে চিন।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হতেই সতর্ক প্রতিক্রিয়া চিনের। ট্রাম্পের নাম না করেই চিন সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সুযোগ নষ্ট করা না হলে এই ফল বেজিং-ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়া যুগের সূচনা করতে পারে।”

    গভীর রাতে ট্রাম্পকে ফোন (China US Relation)

    বুধবার গভীর রাতে ট্রাম্পকে ফোন করে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্পের জয়ে খুশি মোদি। তবে ভারত ‘বন্ধু’র জয়ে সতর্ক চিন। তাই চিনের তরফে বার্তাও দেওয়া হয়েছে কৌশলী। ট্রাম্প-চিন সম্পর্ক যে খুব একটা মধুর হবে না, তা বলাই যায়। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে নানা জনসভায় ট্রাম্প (China US Relation) যেমন মোদি-প্রশস্তি গেয়েছেন, তেমনি বারংবার খোঁচা দিয়েছেন চিনকে। ট্রাম্প শিবিরের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকাকে পুঁজি করে নিজেদের ভাঁড়ার ভর্তি করেছে বেজিং। তাদের বক্তব্য, আমেরিকায় উৎপাদন শিল্প যখন ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে, তখন নিজেদের সমৃদ্ধ করে নিয়েছে চিন। আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের দাপাদাপি রুখতে অতিরিক্ত শুল্ক চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এবার তিনি কী করেন, সেদিকেই তাকিয়ে বেজিংও।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    আমেরিকা-চিন দ্বন্দ্ব

    কেবল চিনা পণ্য নয়, তাইওয়ানকে ঘিরেও আমেরিকা-চিনের দ্বন্দ্ব ট্রাম্প জমানায় নয়া মাত্রা পেতে পারে। বছর দুয়েক আগে চিনা আপত্তি খারিজ করে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সময় লাগাতার তাইওয়ানের আকাশাসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করেছিল চিনা যুদ্ধ বিমান। সেই সময় তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকে পড়েছিল মার্কিন সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজও।

    চলতি বছর হয় তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচন। তাতে জয়ী হয় কট্টর চিন-বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি। এখন ট্রাম্প যদি এই পার্টির সরকারকে সামরিক সাহায্য করতে শুরু করেন, তাহলে আমেরিকার সঙ্গে চিনের সম্পর্কের (China US Relation) রসায়ন আরও জটিল হবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)-র কাছে নতুন বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে নয়াদিল্লি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখের (Ladakh) মুধ-নিয়োমাতে নবনির্মিত বিমানঘাঁটির যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হবে দেশের সর্বোচ্চ ‘এয়ারফিল্ড’-এর (India’s Highest Airfield)। তারই অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

    বিমানঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব

    পূর্ব লাদাখের ওই এয়ারফিল্ডটির উচ্চতা মাটি থেকে আনুমানিক ১৩ হাজার ৭০০ ফুট। এর পোশাকি নাম ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ (এএলজি)। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বাহিনীকে বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও জরুরি রসদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এবার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও।

    তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে

    এলএসি লাগোয়া ওই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। নিয়োমার নবনির্মিত বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রয়েছে তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাবতীয় অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার কথা মাথায় রেখে ওই রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেতু ও পাহাড়ি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে লাদাখের একাধিক এলাকার সঙ্গে মুধ-নিয়োমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা সীমান্তে মোতায়েন ফৌজকে গোলা-বারুদ এবং অন্যান্য রসদ সরবরাহে সাহায্য করবে। এগুলির কৌশলগত গুরুত্বও নবনির্মিত এয়ারফিল্ডের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।

    প্রশংসা প্রাক্তন সেনাকর্তাদের

    ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই ঘাঁটি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। এর জন্য আনুমানিক ২১৪ কোটি টাকা খরচ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। উল্লেখ্য, সাড়ে ১৩ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় বায়ুসেনার ঘাঁটি নির্মাণ মোটেই সহজ কাজ ছিল না। এটি তৈরিতে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাই ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই প্রতিকূলতা সয়ে সময়ের মধ্যে কাজ হওয়ায় সরকারের সদিচ্ছার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মুহূর্তে পাশার দান উল্টে দিতে সক্ষম হবে এই এয়ারফিল্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • LAC: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলল ৪ বছর পর! পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি শুরু

    LAC: ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলল ৪ বছর পর! পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ গলল ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ! চার বছরেরও বেশি সময় পর পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর টহল দেওয়া (Patrolling Begins) শুরু করেছে ভারতীয় ও চিনা সেনারা। ২০২০ সালে গলওয়ানে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট সীমান্ত উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    শুরু টহলদারি (LAC)

    বৃহস্পতিবার, দীপাবলি উপলক্ষে মিষ্টি বিনিময়ের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেপসাং এবং দেমচক এলাকায় সেনারা টহল দেন। মিলিটারি ডিসএনগেজমেন্টের একদিন পর শুরু হয়েছে এই টহলদারি। ২০২০ সালের মে-জুন মাসে প্যাঙ্গং লেক ও গলওয়ান অঞ্চলে সংঘর্ষের পর এই দুই এলাকায় প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে টহল বন্ধ ছিল। ভারত-চিনের সেই সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা। দুই দেশের সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে টহল সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির লক্ষ্য চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে চলা উত্তেজনার অবসান ঘটানো। এই বিচ্ছিন্নতা চুক্তির আওতায় ডেপসাং এবং দামচোক থেকে সৈন্য ও পরিকাঠামো অপসারণ করা হয়। এপ্রিলে ২০২০-র আগের অবস্থানে সৈন্যদের প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।

    দীপাবলি

    দীপাবলি উপলক্ষে, গতকাল পাঁচটি জায়গায় যেমন লাদাখের চুশুল মল্ডো এবং দৌলত বেগ ওল্ডি-তে, সৈন্যরা মিষ্টি বিনিময় করেন। সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনাবাহিনী এখন দেখছে, চিন চুক্তি অনুসারে সত্যিই তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করেছে কি না। ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে প্রতিটি পক্ষের স্থল-স্তরের কমান্ডাররা টহল দেওয়ার আগে একে অপরকে অবহিত করবেন (LAC)। দেপসাং ও দেমচকে উভয় পক্ষই নজরদারির বিকল্পগুলি বজায় রাখতে পারবে।

    আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস! অস্তিত্বের সঙ্কটে হিমাচলি হিন্দুরা, পালটা প্রতিরোধের ডাক

    বৃহস্পতিবারই সেনার তরফে জানানো হয়, দেমচক ও দেপসাংয়ে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকা থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করেছে দুই দেশ। শুরু হয়েছে স্বাভাবিক নজরদারি। তবে এখনও যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো মেটানোর জন্য নিয়মিত আলোচনায় বসবেন দুই দেশের সেনার কমান্ডার পর্যায়ের আধিকারিকরা। সীমান্ত এলাকায় যাতে কোনও (Patrolling Begins) ভুল বোঝাবুঝি না হয়, তাই সেদিকেও নজর রাখবেন তাঁরা (LAC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Trade in Diwali: দেশে বেড়েছে ভারতীয় পণ্য কেনার ঝোঁক, ১.২৫ লক্ষ কোটির ক্ষতি চিনের

    Indian Trade in Diwali: দেশে বেড়েছে ভারতীয় পণ্য কেনার ঝোঁক, ১.২৫ লক্ষ কোটির ক্ষতি চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা মতো দেশীয় পণ্য (Indian Trade in Diwali) কেনার দিকে মন দিয়েছে ভারতবাসী। সস্তার চিনা পণ্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা, এমনটাই জানিয়েছে সিএআইটি। আর এর এতেই, কপাল পুড়ল চিনের। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, চলতি উৎসবের (Diwali 2024) মরসুমে, ভারতীয়দের মধ্যে দেশীয় পণ্য কেনার ঝোঁক বেড়েছে। এর ফলে, চিনের ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকার!

    দেশে সওয়া চার লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা

    দুই দেশের ভূ-রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপেড়েনের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চিনা পণ্য সরিয়ে ভারতীয় পণ্য কেনার ঝোঁক বাড়ছে। দীপাবলির (Diwali 2024) মরসুমে দেশব্যাপী প্রায় সওয়া চার লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসার (Indian Trade in Diwali) আশা করছে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা সিএআইটি। ব্যবসায়ী সংগঠনটির আশা, সারা দেশের মধ্যে শুধুমাত্র দিল্লিই প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করতে পারে। ই-কমার্স সংস্থা এবং চিনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পাল্লা দেওয়ার জন্য কোমর বেঁধে নামতে চলেছে দেশের বিভিন্ন অংশের খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। 

    উপহারে দেশি পণ্য চাই

    লোকাল সার্কল নামের একটি সংস্থার সমীক্ষা অনুসারে, উৎসবের দিনে ভারতীয়রা একে অপরকে উপহার দেন। এবার সেই উপহারে ভারতীয় পণ্যের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে, উৎসবের মরসুমে (Diwali 2024) শহুরে নাগরিকরা আনুমানিক ১.৮৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করতে পারেন (Indian Trade in Diwali)। সমীক্ষাটি প্রকাশ করেছে যে, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১.২ লক্ষ কোটি টাকা উৎসবের জন্য খরচ করে ফেলেছেন ভারতীয়েরা। সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৫৩ শতাংশ ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি, বেকারির পণ্য বা চকোলেট জাতীয় উপহার কিনতে পছন্দ করেন। ৪৮ শতাংশ মানুষ উপহার দেওয়ার জন্য শুকনো ফল বেছে নেন। ২৭ শতাংশ মানুষ সুগন্ধি, মোমবাতি এবং বাতি বেছে নেন। ১৮ শতাংশ জনতা রান্নাঘরের জিনিসপত্র কেনেন। ১২ শতাংশ ভারতীয় দীপাবলি (Diwali 2024) উপলক্ষে বাড়ির জন্য আসবাব ও বাসনপত্র কিনতে পছন্দ করেন। চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধির আশায় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সামগ্রী যেমন উপহার, পোশাক, গয়না, ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল ফোন, আসবাবপত্র, সাজসজ্জার জিনিসপত্র, পূজার সামগ্রী, রঙ্গোলি, দেবতার প্রতিমা ও ছবি, তৈরি পোশাক ইত্যাদি কিনেছেন।

    আরও পড়ুন: আর চিনা সামগ্রী নয়, দীপাবলিতে অযোধ্যার রাম মন্দির সেজে উঠেছে শুধুই মাটির প্রদীপে

    চিনের লোকসান

    উৎসবের মরসুমে (Indian Trade in Diwali) পড়শি দেশ চিনের ব্যবসা কমেছে, এমন পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছে সিএআইটি। ফেডারেশনের সচিব প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, উৎসবের মরসুমে চিনা পণ্যের চাহিদা কমেছে। যার ফলে, প্রায় ১.২৫ লক্ষ কোটির ব্যবসা মার খেতে পারে চিন, বলে অনুমান করছেন প্রবীণ। ধনতেরাস ও কালিপুজোর বাজার আশা যোগাচ্ছে মৃৎশিল্পীদেরও। চিনা বাতির দাপটে (Diwali 2024) কৌলিন্য হারাতে বসেছিল ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম প্রদীপ শিল্প। কিন্তু গত দু-তিন বছর ধরে প্রদীপের চাহিদা ধীরে ধীরে বেড়েছে। রঙবেরঙের নানা নকশায় সজ্জিত বিভিন্ন প্রদীপ বাজার ছেয়েছে। এখন মাটির প্রদীপের চাহিদা তুঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার, সরকারিভাবে জানিয়ে দিল চিনও

    China: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহার, সরকারিভাবে জানিয়ে দিল চিনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে দেপসাং সমতলভূমি ও দেমচকে শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া। ভারতীয় সেনবাহিনী সূত্রে (LAC) এ খবর আগেই নিশ্চিত করা হয়েছিল। এবার সরকারিভাবে চিনের (China) তরফেও জানানো হল, চিনা ও ভারতীয় সীমান্তের সেনারা সংশ্লিষ্ট কাজ নিয়ে (সেনা প্রত্যাহার) ব্যস্ত রয়েছে এবং এই মুহূর্তে কাজটি মসৃণভাবে চলছে।

    কী বলছে চিনা বিদেশমন্ত্রক (China)

    চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “সীমান্ত এলাকার বিষয়গুলো নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে চিন ও ভারতের মধ্যে যে সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়েছে, তার আলোকে চিনা ও ভারতীয় সীমান্তের সেনারা সংশ্লিষ্ট কাজ পরিচালনা করছে এবং এই মুহূর্তে কাজটি মসৃণভাবে চলছে।” বলা বাহুল্য, কাজ বলতে তিনি সেনা প্রত্যাহারের কথাই বলেছেন। শনিবার চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র এই মর্মে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রক্রিয়াটি সম্ভবত ২৮-২৯ অক্টোবরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। তবে এই এলাকাগুলির ভূখণ্ড এবং আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।

    জয়শঙ্করের বক্তব্য

    এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “তাঁরা ভারত-চিন সীমান্তে অত্যন্ত কল্পনাতীত পরিস্থিতিতে মোতায়েন রয়েছেন।” তিনি বলেন, “আজ আমরা যেখানে পৌঁছেছি, তার একটা কারণ হল আমাদের পক্ষ থেকে খুব দৃঢ় প্রচেষ্টা করা ও আমাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরা। সামরিক বাহিনী এলএসিতে অত্যন্ত কল্পনাতীত পরিস্থিতিতে দেশ রক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিল। সামরিক বাহিনী তার দায়িত্ব পালন করেছে, কূটনীতিও তার ভূমিকা পালন করেছে (China)।”

    আরও পড়ুন: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    জয়শঙ্কর বলেন, “২০২০ সাল থেকে সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই অস্থির হয়ে উঠেছে যা সামগ্রিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারত একটি সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার জন্য চিনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে।” সমাধানের বিভিন্ন দিক রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রথমত চাপের বিষয় হল বিচ্ছিন্নকরণ, কারণ সেনাবাহিনী একে অন্যের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং কোনও ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর রয়েছে ডি-এসক্যালেশন। কারণ উভয় পক্ষেই সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, “এরপর রয়েছে বৃহত্তর একটি বিষয়, কীভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত নিষ্পত্তি নিয়ে (LAC) আলোচনা করা হবে। বর্তমানে যা কিছু চলছে তা প্রথম দিক নিয়ে, অর্থাৎ বিচ্ছিন্নকরণ নিয়ে (China)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relation: পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারত-চিনের, মোদি-জিনপিং বৈঠকের সুফল?

    India China Relation: পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারত-চিনের, মোদি-জিনপিং বৈঠকের সুফল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে (India China Relation) দুই দেশের সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হল শুক্রবার। এদিন সকাল থেকে পূর্ব লাদাখের ডেমচোক এবং ডেপসাং এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা শুরু করল ভারত ও চিন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Rajnath Singh) সূত্রে খবর, দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় সৈন্যরা সংশ্লিষ্ট এলাকার পিছনের অবস্থানে সামরিক সরঞ্জামগুলি ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে, চিনেরও সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।

    শুরু হল সেনা সরানোর প্রক্রিয়া

    পূর্ব লাদাখের ভারত-চিন (India China Relation) সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন অংশে, গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক অচলাবস্থা চলছিল। দুই পক্ষেরই সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম রেখে দেওয়া হয়েছিল ওই সব এলাকায়। অবশেষে সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটছে। গত সোমবারই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহল দেওয়ার বিষয়ে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছনো গিয়েছে। বেজিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বরফ গলার ইঙ্গিত দেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র, লিন জিয়ান-ও। এরপর বুধবার, রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের সমান্তরালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর মধ্যে। সেই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতাই পূর্ব লাদাখে প্রকৃ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহলদারি এবং সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত-চিনের চুক্তিকে সমর্থন করেন। 

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনার গাড়িতে হামলা! গুলমার্গে শহিদ দুই জওয়ান সহ ৪

    আলোচনার মধ্য দিয়েই অগ্রগতি

    ভারত ও চিনের (India China Relation) মধ্যে থাকা আন্তর্জাতিক সীমান্তের যে জায়গাগুলি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ঐকমত্যে পৌঁছেছে দু’দেশ৷ বৃহস্পতিবার চাণক্য ডিফেন্স ডায়লগ অনুষ্ঠানে এই কথা জানান কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও (Rajnath Singh)৷ তিনি জানান, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) কয়েকটি জায়গায় সেনার প্রহরা দেওয়া এবং গবাদি পশুদের বিচরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ঐকমত্যে পৌঁছেছে দু’দেশ ৷ এই চুক্তি আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিরক্ষা বিষয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ৷ রাজনাথ সিং বলেন,“প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কয়েকটি নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে মতভেদ ছিল৷ এই বিবাদ মেটাতে দুই দেশ সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে নিজেদের মধ্য়ে আলোচনা করেছে৷ এই কথোপকথনের ফলেই বাস্তবের মাটিতে বৃহত্তর ক্ষেত্রে একমত হয়েছে দু’দেশ৷ সমানাধিকার এবং পারস্পরিক নিরাপত্তার নীতিতে এই চুক্তি হয়েছে৷ এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সেনার প্রহরা এবং গবাদি পশুদের বিচরণের বিষয় দু’টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে৷ এটাই নিরবচ্ছিন্ন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার শক্তি৷ কারণ আজ হোক বা কাল, সমাধান মিলবেই৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India China Relationship: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    India China Relationship: “পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি”, জিনপিংকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পারিস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতাই দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নয়া দিশা দেখাবে।” চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (India China Relationship) শেষে একথাই জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি সপ্তাহেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রহরা দেওয়া নিয়ে চুক্তি হয়েছে ভারত চিনের মধ্যে। তার পরেই রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে (BRICS Summit) মুখোমুখি হয়েছেন মোদি ও জিনপিং।

    পার্শ্ববৈঠক (India China Relationship)

    বুধবার পড়শি এই দুই রাষ্ট্রনেতার পার্শ্ববৈঠকও হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “কাজানে ব্রিকস সম্মেলনে ফাঁকে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল। ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশের মানুষের জন্য। পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বিশ্বে শান্তি এবং স্থিরতা আনতে দু’দেশের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    জিনপিংয়ের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ভারত-চিন সম্পর্ক কেবল আমাদের জনগণের জন্য নয়, আন্তর্জাতিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথনির্দেশিকা স্থির করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত (India China Relationship) চার বছরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যে ইস্যুগুলি নিয়ে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে একমত হতে পেরেছে দু’টি দেশ। এই বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সীমান্ত এলাকায় শান্তি, স্থিরতা বজায় রাখাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।” 

    চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, “চিন ও ভারত উভয়ই প্রাচীন সভ্যতা, প্রধান উন্নয়নশীল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দু’দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের মধ্যে মতবিরোধের ক্ষেত্রগুলি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    প্রসঙ্গত, প্রায় পাঁচ বছর পরে ফের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন মোদি ও জিনপিং। এর আগে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে এই দুই রাষ্ট্রনেতার। উনিশে তামিলনাড়ুর মহাবলিপূরমে দেখা হয়েছিল মোদি-জিনপিংয়ের। ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি২০ সম্মেলনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গেও দেখা হয়েছিল এই দুই রাষ্ট্রনেতার। তবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হল (BRICS Summit) এই প্রথম।

    এখন দেখার, ভারত-চিন সম্পর্কের (India China Relationship) বরফ গলে কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: চিন সীমান্ত নিয়ে বড় আপডেট দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    S Jaishankar: চিন সীমান্ত নিয়ে বড় আপডেট দিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইন্দো-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত সমস্যার ৭৫ শতাংশ সমধান হয়ে গিয়েছে।” মাসখানেক আগেই এ কথা জানিয়েছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে তিনি এও বলেছিলেন, “২০২০ সালে গলওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে পুরো ইন্দো-চিন সম্পর্ক গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এর মধ্যে সব চেয়ে বড় সমস্যা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েন।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    মাসখানেক পরে সোমবার সেই জয়শঙ্করই জানিয়ে দিলেন, “২০২০ সালের সংঘর্ষের আগে যেসব এলাকায় প্রবেশ সম্ভব ছিল, সেখানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ফের টহল দিতে পারবে।” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিদেশ সচিব ঘোষণা করেছিলেন, ভারতীয় ও চিনা নেগোসিয়েটররা পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন। এদিন তা নিশ্চিত করেন বিদেশমন্ত্রী।

    ‘পেট্রোলিংয়ে ফিরে যেতে পারব’

    এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড সামিটে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আমরা ২০২০ সালের পেট্রোলিংয়ে ফিরে যেতে পারব।” এদিনই সকালে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেছিলেন, “ভারতীয় ও চিনা আলোচকরা শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে অবশিষ্ট বিষয়গুলি সমাধানের জন্য আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বোঝা যাচ্ছিল, ডেপসাং ও ডেমচক অঞ্চলে পেট্রলিং সংক্রান্ত চুক্তির দিকে এগোচ্ছে আলোচনা। এই ব্রেকথ্রুর ঘোষণা এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়ার কাজান শহরে ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের একদিন আগেই এসেছে।”

    আরও পড়ুন: এবার মলদ্বীপেও চালু হতে চলেছে ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা, ঘোষণা মুইজ্জুর

    প্রসঙ্গত, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও (S Jaishankar) কোনও ঘোষণা হয়নি, তবুও ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পার্শ্ববৈঠক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিনয় বলেন, “আমরা চিনা পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সামরিকস্তরেও বিভিন্ন স্তরের কমান্ডারদের বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা করেছি। অতীতে এই আলোচনা বিভিন্ন জায়গায় সংঘাতের অবসানে ফলপ্রসূ হয়েছে। আপনারা জানেন, কিছু জায়গায় এখনও অবসান হয়নি দ্বন্দ্বের (S Jaishankar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Predator Drones: শঙ্কিত চিন-পাকিস্তান! চুক্তি সম্পন্ন, ৩১টি মার্কিন ‘প্রিডেটর ড্রোন’ পাচ্ছে ভারত

    Predator Drones: শঙ্কিত চিন-পাকিস্তান! চুক্তি সম্পন্ন, ৩১টি মার্কিন ‘প্রিডেটর ড্রোন’ পাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে পাকিস্তান ও চিনের আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে বেশ কয়েকদিন ধরেই মার্কিন ড্রোন কেনার লক্ষ্য ছিল ভারতের। মঙ্গলবার তা চূড়ান্ত রূপ পেল। আমেরিকার অন্যতম ঘাতক অস্ত্র ‘প্রিডেটর ড্রোন’ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। এখন শুধু হাতে পাওয়ার অপেক্ষা। সূত্রের খবর, ৩২ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। তার বিনিময়ে ভারতের হাতে ৩১টি ‘প্রিডেটর ড্রোন’ তুলে দেবে আমেরিকা। 

    মোদি-বাইডেন আলোচনার ফল

    লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের সঙ্গে বিবাদের আবহে ভারতের হাতে প্রিডেটর ড্রোন আসার খবর চিন্তায় রাখবে বেজিংকে। চিনের লালফৌজের চোখরাঙানির মাঝেই ভারতীয় সেনার হাতে আসবে এই ‘এমকিউ-৯বি’ ড্রোন। ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও মজবুত হবে। সম্প্রতি আমেরিকার ডেলওয়ারে ‘কোয়াড’ শীর্ষ সম্মেলন হয়। সেখানে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর আলোচনাও হয়। তার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই ড্রোন নিয়ে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার ফল বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই ড্রোন কবে ভারতে আসবে তা এখনও জানা যায়নি। ৩১টি ড্রোনের মধ্যে ১৫টি পাবে নৌসেনা। অন্যদিকে, ৮টি করে পাবে স্থলসেনা এবং বায়ুসেনা।

    আরও পড়ুন: সম্পর্কে ইতি! কানাডার ৬ কূটনীতিককে বহিষ্কার, ভারতীয় দূতকে ডেকে নিল দিল্লি

    প্রিডেটর ড্রোনের ক্ষমতা

    তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর থেকে আল কায়দা প্রধান আয়মান আর জাওয়াহিরি— গত দু’দশকে আমেরিকার প্রিডেটর ড্রোনের ‘শিকারের’ তালিকায় এমন অনেকেই রয়েছেন। জেনারেল অ্যাটোমিক্স-এর তৈরি এই ড্রোনের পোশাকি নাম এমকিউ-৯বি। আবহাওয়া যেমনই হোক, নিঃশব্দে শত্রু শিবিরে আঘাত হানতে পারে প্রিডেটর ড্রোন। এর সর্বোচ্চ গতি ৪৪২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। আকাশ থেকে ভূমি, আকাশ থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র বহনেও এই প্রিডেটর ড্রোন বেশ কার্যকরি। মূলত, ১৭ হাজার কেজি কার্গো বহন করতে পারে এই ড্রোন। ৪৫০ কেজির বোমাও বহন করতে পারে এই প্রিডেটর ড্রোন। জানা যাচ্ছে, ভারতে ৪টি বিশেষ সামরিক ঘাঁটিতে এই ড্রোন মোতায়েন হতে পারে। তার মধ্যে একটি আইএনএস রাজালি, এটি চেন্নাইয়ের কাছে। গুজরাটের পোরবন্দর, সারসাওয়া, ও উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে এটি মোতায়েন থাকতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: মঙ্গলে এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর, কোন বার্তা দেবেন?

    S Jaishankar: মঙ্গলে এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর, কোন বার্তা দেবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও সামিটে (SCO Summit) যোগ দিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবারই ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা তাঁর। এ মাসেরই ১৫ ও ১৬ তারিখে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলন। এই সম্মেলনে যেসব আঞ্চলিক দেশের শীর্ষনেতারা যোগ দেবেন, তাঁরা হলেন চিনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসটিন এবং জয়শঙ্কর।

    নৈশভোজের আয়োজন (S Jaishankar)

    সম্মেলনের আগে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এই ওয়েলকাম ডিনারে যোগ দিতে পারেন জয়শঙ্কর। তবে পাক প্রধানমন্ত্রীর ওয়েলকাম ডিনারে যোগ দিলেও, ভারত-পাক প্রতিনিধিদের পার্শ্ববৈঠকের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছিল দুই দেশেরই বিদেশমন্ত্রক। চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, জয়শঙ্কর একটি প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেবেন। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) নিজেও তাঁর সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। প্রায় একই ধরনের বক্তব্য শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানের গলাতেও।

    এসসিও-র সদস্য দেশ

    ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও চিন, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই এসসিও-র সদস্য। এই দেশগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আয়োজন করে শীর্ষ বৈঠকের। প্রথা মাফিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আমন্ত্রণ জানান এসসিও-র সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রধানকেই। অগাস্ট মাসে আমন্ত্রণ আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী কি আদৌ পাকিস্তানে যাবেন? এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে পরে ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় সম্মলেন যোগ দিতে যাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে পাক প্রতিনিধির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেবেন না।

    আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে বাবা সিদ্দিকি খুনে ফের আলোচনায় বলিউড-আন্ডারওয়ার্ল্ড যোগ

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছে ভারতের চার প্রতিনিধির একটি দল। কিরঘিজস্তানেরও চার প্রতিনিধি দলও চলে এসেছে। চিনা প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ১৫ জন সদস্য। ইরানের দুই প্রতিনিধিও পৌঁছে গিয়েছে ইসলামাবাদে। প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রী হিসেবে এটাই জয়শঙ্করের প্রথম পাকিস্তান সফর। এর আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক (SCO Summit) নানা মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ইসলামাবাদকে তুলোধনা করেছেন তিনি। এমতাবস্থায় জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই সফর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share