Tag: Delhi

Delhi

  • Heavy  Rain: প্রবল বৃষ্টি, জলে ভাসছে দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, বন্ধ স্কুল

    Heavy  Rain: প্রবল বৃষ্টি, জলে ভাসছে দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, বন্ধ স্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাময়িক বিরতির পর ফের প্রবল বর্ষণ। তার জেরে জলে ভাসার জোগাড় দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এবং তেলঙ্গানা। ২৮ জুলাই পর্যন্ত এভাবেই বৃষ্টি (Heavy  Rain) চলবে বলে পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। আগামী দু দিনের জন্য রাজ্যের সব স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে জল থইথই হায়দরাবাদ। স্কুল বন্ধ তেলঙ্গানায়ও। একই কারণে স্কুল বন্ধ থাকছে নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডায়ও।

    নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডা

    বুধবার সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দিল্লি ও লাগোয়া কিছু এলাকায়। দ্রুত বাড়ছে যমুনা নদীর জল। নয়ডা, গাজিয়াবাদ এলাকার কয়েকটি জায়গায় জল জমে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টি ও জমা জলের কারণে এদিন নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডার সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছে প্রশাসন। নয়ডায় বন্যার (Heavy  Rain) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যমুনার পাশাপাশি ফুঁসছে হিন্দন নদীও। ইতিমধ্যেই নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে শতাধিক মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে মহারাষ্ট্রেও। দিল্লি ও নয়ডায় জারি হয়েছে ইয়োলো অ্যালার্ট।

    হড়পা বানের আশঙ্কা

    প্রবল ধারাপাতে বিপর্যস্ত কর্নাটকও। হড়পা বানের আশঙ্কায় বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজে। নিতান্ত প্রয়োজন (Heavy  Rain) ছাড়া লোকজনকে বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে। রাজ্যের মালনাড এলাকায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণ কান্নাডা, উত্তর কান্নাডা, উদুপি, চিকমাগালুরু, কোডাগু ও শিবমোগা জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় হতে পারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি।

    নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে তেলঙ্গানায়ও। আগামী দু দিনও রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামী দু দিনের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে। বুধবারের জন্য রেড অ্যালার্ট (Heavy  Rain) জারি করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের রায়গড়, পুণে, সাতারা এবং রত্নগিরি জেলায়। মুম্বই, পালঘর ও ঠানেতে জারি রয়েছে অরেঞ্জ সতর্কতা। রায়গড় সহ বিভিন্ন জেলায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজে।

    আরও পড়ুুন: মমতা ঘনিষ্ঠ হলেই ডবল চাকরি! ট্যুইটে তোপ শুভেন্দুর

    ওড়িশায়ও জারি হয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ২৭ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। বৃষ্টির জেরে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। বৃষ্টির বিরাম (Heavy  Rain) নেই হিলাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডেও। বুধ ও বৃহস্পতিবার বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের আট জেলায়। এদিকে, মঙ্গলবারও ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। তার জেরে প্রচুর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে কুলু জেলায়। ক্ষতি হয়েছে চাষের জমিরও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত-হিংসার আঁচ সংসদেও! অভিনব প্রতিবাদ বাংলার বিজেপি সাংসদদের

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত-হিংসার আঁচ সংসদেও! অভিনব প্রতিবাদ বাংলার বিজেপি সাংসদদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে এবার দিল্লিতে সোচ্চার বাংলার বিজেপি সাংসদরা। সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদশে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। বাংলার ভোটে হিংসার দায় শাসকদল তৃণমূলের কাঁধে চাপিয়ে সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, এসএস আলুওয়ালিয়ারা সোচ্চার হলেন। একই সঙ্গে এদিন ট্যুইটারে বাংলায় তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে সোচ্চার হন  বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে সীমাহীন সন্ত্রাস

    এবারের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সীমাহীন সন্ত্রাস দেখেছে বাংলা। জেলায়-জেলায ভোট-হিংসার বলি হয়েছেন শাসকদল তৃণমূল থেকে শুরু করে বিরোধী বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, আইএসএফ-সহ অন্য দলের কর্মীরা। ভোটের নামে লুঠতরাজ চলেছে বহু বুথে। শাসকদল তৃণমূলের মদতেই বাংলার ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বুধবার কলকাতায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার প্রতিবাদে মিছিল করেছে রাজ্য বিজেপি। এবার প্রতিবাদ খাস রাজধানীতে। সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা বৃহস্পতিবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে একত্রিত হয়ে বাংলার তৃণমূল সরকারকে উচ্ছেদের ডাক দিয়েছেন।

    এদিনের এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের নির্দেশে যেভাবে বিডিও ও থানার আইসিরা ভোট লুঠ করেছেন সেটা মানা যায় না। তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনেই ভোট লুঠ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন পশ্চিমবঙ্গে। এই মৃত্যুর জন্যও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। ওঁর অঙ্গুলিহেলনেই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে। তাই আজ দিল্লিতে বিজেপির সংসাদরা তৃণমূল সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন।’

    আরও পড়ুন: ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাত! বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের

    নাড্ডার ট্যুইট বার্তা

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েতের হিংসায় বাংলায় মহিলারাও আক্রান্ত বলে অভিযোগ ওঠে ৷ সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে মহিলা সাংসদদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল বিজেপি ৷ সেই প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট পেশ করে ৷ ওই রিপোর্ট দেখে ট্যুইটারে নাড্ডার হুঁশিয়ারি, বাংলার জনগণের উপর তৃণমূলের অত্যাচার বিজেপি সহ্য করবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Taj Mahal: গত ৪৫ বছরে এই প্রথম! তাজমহলের দেওয়াল ছুঁল যমুনার জল

    Taj Mahal: গত ৪৫ বছরে এই প্রথম! তাজমহলের দেওয়াল ছুঁল যমুনার জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজমহলের (Taj Mahal) দেওয়ালে ধাক্কা মারছে যমুনার ঢেউ। এমন ঘটনা অনেকের কাছেই কাল্পনিক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই বাস্তব। ৪৫ বছরে এই প্রথমবার যমুনার জল পৌঁছে গেল তাজমহলের দোরগোড়ায়। শেষবার এই ছবি দেখা গিয়েছিল ১৯৭৮ সালে। তাজমহল চত্ত্বরে ঢুকে গিয়েছিল যমুনা নদীর জল। তারপর কেটে গিয়েছে সাড়ে চার দশক। তাজমহলের পাশের শান্ত যমুনা যে হঠাৎই এমন ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে, তা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ছিল অকল্পনীয়।

    ভাসছে উত্তরভারত

    গোটা উত্তরভারত জুড়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে প্রবল বৃষ্টিপাত। তার জেরে যমুনার জলস্তর এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। যা টপকে গিয়েছে বিপদসীমার রেখাও। তার ফলে প্লাবিত হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা। জল থৈ থৈ লালকেলা চত্বরের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্লাবিত হয়েছিল দিল্লর সবচেয়ে বড় শ্মশান নিগমবোধ ঘাটও। এবার যমুনার জল ঢুকে পড়ল তাজমহলে। তবে এর ফলে বড় কোনও বিপদের সংকেত এখনও পাওয়া যায়নি।

    কী বলছে এএসআই

    এদিকে, তাজমহল (Taj Mahal) চত্বর জলে ভেসে যাওয়া চিন্তায় পড়েছেন ইতিহাসবিদরাও। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। এখনও তাজমহলের বেসমেন্ট পর্যন্ত জল প্রবেশ করেনি। তবে যমুনার বাড়তে থাকা জলস্তরের দিকে নজর রাখছেন তাঁরা। আগামীদিনে বিপদ বাড়তে পারে কি না, তা নিয়ে কাটাছেড়া চলছে। তবে তাজমহলের দেওয়াল স্পর্শ করে ফেলেছে যমুনার জল। আকির্ওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাজমহলের বেসমেনেট এখনও জল ঢোকেনি। তাজমহলে এএসআই-এর সংরক্ষণ সহকারী প্রিন্স বাজপেয়ী বলেন, ‘বন্যার প্রবল জলোচ্ছ্বাসেও তাজমহলের মূল স্মৃতিসৌধের মধ্যে জল ঢুকতে পারবে না। কারণ, সেই মতো পরিকল্পনা করেই তা বানানো হয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ‘মণিপুরকে বাঁচান’! উদ্বিগ্ন অলিম্পিয়ান মীরাবাঈ চানুর চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

    ১৯৭৮ সালে শেষ বার যমুনার জল তাজমহলের (Taj Mahal) পিছনের দেওয়ালে ধাক্কা মেরেছিল। তখন যমুনার জলস্তর ছিল ২০৭.৪৯ মিটার। গত সপ্তাহে সেই রেকর্ড অবশ্য ভেঙে গিয়েছে। যমুনার জলস্তর পৌঁছে গিয়েছিল ২০৮.৬৬ মিটার। তার পরেও সুরক্ষিত তাজমহল। তবে নতুন করে প্রবল বর্ষণ না হলে আপাতত ভয়ের কিছু দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Flood Like Situation: যমুনার জলে ভাসছে দিল্লি, তরল তারিণী ঢুকে পড়ল মেট্রো টানেলেও

    Flood Like Situation: যমুনার জলে ভাসছে দিল্লি, তরল তারিণী ঢুকে পড়ল মেট্রো টানেলেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টি, তার সঙ্গে ব্যারাজ থেকে ছাড়া জল, জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত দিল্লি (Flood Like Situation)। বৃষ্টির জমা জলে এমনিতেই ভোগান্তির শেষ ছিল না রাজধানীর বাসিন্দাদের। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো বৃহস্পতিবার যমুনার জল উপচে ভাসল শহর। হু হু করে জল ঢুকে গেল মেট্রো টানেলে। তবে তার জেরে বন্ধ হয়নি রাজধানীর লাইফ লাইন। যদিও ট্রেন চলেছে শম্বুক গতিতে। মঙ্গলবার থেকেই বাড়ছিল যমুনার জল।

    ফুলেফেঁপে উঠেছে যমুনা

    বৃহস্পতিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ যমুনার জলস্তর ছিল ২০৮.৬৬ মিটার, বিপদসীমার থেকে অন্তত তিন মিটার বেশি। হরিয়ানার হথিনীকুণ্ড ব্যারাজ থেকে ক্রমাগত জল ছাড়ায় যমুনার জল বাড়ছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, হথিনীকুণ্ড থেকে জলছাড়া বন্ধ করতে পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র। সে যাই হোক, ধারাবর্ষণ এবং যমুনার উপচে পড়া জল জমে গিয়ে শোচনীয় অবস্থা (Flood Like Situation) ময়ূর বিহার, মজনু কা টিলা, সিভিল লাইন্স, যমুনা বাজার, মদনপুর এবং খাদার এলাকার। কোথাও হাঁটু সমান, তো কোথাও কোমর সমান জল। যমুনা তীরবর্তী গীতা কলোনি, নিগম বোধ ঘাট সহ বিভিন্ন এলাকা কার্যত জলের তলায়।

    দুয়ারে যমুনা 

    জল চলে এসেছে দিল্লি বিধানসভার অদূরে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাসভবন থেকেও বানের জল (Flood Like Situation) খুব বেশি দূরে নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিল্লিতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। উদ্ধারকার্যে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ টিমকে। ইতিমধ্যেই ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে শহরের নিচু এলাকাগুলি থেকে সরানো হয়েছে নিরাপদ স্থানে। বন্যা পরিস্থিতির জেরে রবিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুল-কলেজ। জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকি সরকারি কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: নদীর ধারে ব্যালট! বিক্ষোভ বিজেপির, লাঠিচার্জ পুলিশের, উত্তপ্ত কুমারগঞ্জ

    যে কারণে ভাসছে দিল্লি, সেই একই কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতেও। টানা বৃষ্টি এবং তিস্তা ব্যারাজের ছাড়া জলে প্লাবিত হওয়ার জোগাড় জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া এলাকা। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে জলপাইগুড়ি শহরে ঢুকতে শুরু করেছে করলা নদীর জল। জলঢাকা নদীর সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত দুই এলাকায়ই জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। হাতিনালা উপচে পড়ে বানারহাটে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। নাগরাকাটায় ডায়না নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, বাড়ছে যমুনার জলস্তর, অমিত শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের 

    Delhi Flood: ভাসছে দিল্লি, বাড়ছে যমুনার জলস্তর, অমিত শাহকে চিঠি কেজরিওয়ালের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্যার আশঙ্কায় প্রহর গুনছে দিল্লিবাসী (Delhi Flood)। অতি বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছে যমুনা নদী। দিল্লিতে ৪৫ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল যমুনার জলস্তর। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয় ২০৮.৪৬ মিটার। যা ১৯৭৮ সালের বন্যার সময় জলস্তরের রেকর্ডকে টপকে গিয়েছে। ওই সময় যমুনার জলস্তর বেড়ে হয়েছিল ২০৭.৪৯ মিটার। তবে এই জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তার চিঠিতে বলেছেন-হাথনিকুন্ড থেকে সীমিত পরিমাণে জল ছাড়তে হবে, যাতে যমুনার জলস্তর আরও না বাড়ে। 

    বিপদের মুখে রাজধানী

    আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বন্যাপ্রবণ (Delhi Flood) এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। বড় বিপদের মুখে রাজধানী। বিপদ বাড়িয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য় হরিয়ানা। সে রাজ্য় থেকে জল ছাড়তেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে যমুনা নদী। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে নদীর জল রাস্তায় উঠে এসেছে। নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করায় শহরের ভিতরেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মনাস্ট্রি মার্কেট, কাশ্মীরি গেট, রিং রোডে বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ চলছে। রিং রোডে বালির বস্তা ফেলে অস্থায়ী বাঁধ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাসিন্দাদের উদ্ধারের জন্য বড় বড় গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হওয়ায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 

    ভাসছে নীচু এলাকা

    জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে তাই দিল্লিতে বন্যা (Delhi Flood) হলে তা বিশ্বের কাছে ভালো বার্তা যাবে না, বলে মনে করছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কোজরিওয়াল। বুধবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন যে যমুনা নদীর পাড়ে নীচু এলাকাগুলিতে যারা বসবাস করেন, তারা যেন দ্রুত এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ী তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেই সাধারণ মানুষকে আশ্রয় নিতে অনুরোধ করেন কেজরিওয়াল। জমা জলের কারণে ব্য়াপক যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে দিল্লির রাজপথে। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফুঁসছে মন্দাকিনী ও অলকানন্দা, অতি ভারী বৃষ্টির কারণে বন্ধ কেদারনাথ যাত্রা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rain: প্রবল বৃষ্টি উত্তর পশ্চিম ভারতেও, হিমাচল প্রদেশে মৃত ৫

    Rain: প্রবল বৃষ্টি উত্তর পশ্চিম ভারতেও, হিমাচল প্রদেশে মৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দু দিন ধরে প্রবল বৃষ্টি (Rain) হয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। শনিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলছে রবিবারও। ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে দিল্লিতেও। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৯৮২ সালের জুলাই মাসের পর এবারই একদিনে রকর্ড বৃষ্টি হল। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫৩ মিলিমিটার। বস্তুত মরশুমের প্রথম ভারী বৃষ্টি হল এদিনই।

    হিমাচল প্রদেশে মৃত্যু, ভূমিধস

    প্রবল বর্ষণ হয়েছে হিমাচল প্রদেশেও। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শিমলায় রয়েছেন তিনজন, কুল্লু ও ছাম্বায় একজন করে। বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে বিয়াস নদীর জল। কাংড়া, মান্ডি ও শিমলায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের। বিরামহীন বৃষ্টিপাত হচ্ছে হিমাচল প্রদেশের মানালিতে। রাজ্যের সাত জেলায় আবহাওয়া দফতর জারি করেছে (Rain) রেড অ্যালার্ট। সোলান জেলার কাসাউলি এলাকায় ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬টি নির্মীয়মাণ বাড়ি। ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। শ্রমিকদের সরানো হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। ধস ও হড়পা বানের জেরে শিমলা, সিরমাউর, লাহাউল, স্পিতি, ছাম্বা ও সোলান জেলায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন রাস্তা।

    কাশ্মীরে বাড়ছে নদীর জল 

    প্রবল বর্ষণের জেরে দ্রুত বাড়ছে কাশ্মীরের ঝিলম নদীর জল। নদীর পাড়ে যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। নিষেধ করা হয়ছে নদীতে নামতে। কোনও কোনও জায়গায় নদীর জল বইছে বিপদ সীমার (Rain) ওপর দিয়ে। অমরনাথ সহ বিভিন্ন এলাকায় রবিবার সকালের দিকে তুষারপাত হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে এদিন বিরতি দেওয়া হয়েছে অমরনাথ যাত্রায়। ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানায়ও।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস মানেই লুঠের দোকান, মিথ্যের বেসাতি”, রাজস্থানের জনসভায় বললেন মোদি

    ভারী বৃষ্টি হয়েছে রাজস্থানের বিভিন্ন জেলায়ও। পৃথক দুর্ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। চিত্তোরগড়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা ও এক পুরুষের। বিচ্ছন্ন ঘটনায় সাওয়াই মাধোপুরে জলে ডুবে মৃত্যু হয়ে দুজনের। এদিকে, আজমেঢ়, আলোয়ার সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

    এদিকে, মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী তিন থেকে পাঁচ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি (Rain) হতে পারে দিল্লি, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরে। উত্তর ভারতের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণ ভারতেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Air India Flight: দিল্লিগামী বিমানে মাঝ-আকাশে আসনের পাশেই মলত্যাগ, গ্রেফতার যাত্রী

    Air India Flight: দিল্লিগামী বিমানে মাঝ-আকাশে আসনের পাশেই মলত্যাগ, গ্রেফতার যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত কাণ্ড এয়ার ইন্ডিয়ায় (Air India Flight)! একের পর এক আজব ঘটনার সাক্ষী থাকছে এয়ার ইন্ডিয়া’র বিমানের যাত্রীরা। এবার এক যাত্রী মাঝ আকাশে বিমানের শৌচাগার ব্যবহার না করে আসনের পাশেই মলত্যাগ করেছেন বলে অভিযোগ। প্রস্রাব করা এবং থুতু ফেলার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যাত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আবার কাজের সময়সীমা শেষ, তাই আর বিমান চালাবেন না বলে, ৩৫০ জন যাত্রীকে ককপিটে ছেড়ে চলে গেলেন এয়ার ইন্ডিয়ার এক পাইলট।

    ‘অভব্যতা’র অভিযোগ

    মুম্বই থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Flight) বিমানে নিজের সিটের পাশেই মলত্যাগ করার অভিযোগ উঠেছে এক যাত্রীর বিরুদ্ধে। প্রস্রাব করে থুতুও নাকি ফেলেছেন তিনি। গত ২৪ জুন মুম্বই থেকে দিল্লির দিকে যাচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআইসি ৮৬৬ বিমান। সেখানেই ছিলেন রাম সিং। তাঁর আসনের নম্বর ১৭এফ। অভিযোগ, বিমানের আসনের ৯ নম্বর সারির কাছে তিনি প্রস্রাব, মলত্যাগ করেন। থুতুও ফেলেন। তাঁর আচরণে অসঙ্গতি দেখে বিমানকর্মীরা ওই যাত্রীকে প্রথমে মৌখিক ভাবে সতর্ক করেন। পরে তাঁকে অন্য যাত্রীদের থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়।যাত্রীর আচরণের কথা পাইলটকে জানানো হয়। বিমান সংস্থাকেও খবর দেওয়া হয় তৎক্ষণাৎ। দিল্লি বিমানবন্দরে নামতেই এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে নিরাপত্তারক্ষীদের পাঠিয়ে ওই যাত্রীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশে খবর দেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গ্রেফতার করে ওই যাত্রীকে। জানা গেছে, ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪, ৫১০ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ১২ বছর পর পঞ্চায়েত প্রচারে মমতা! ‘‘বিজেপির কৃতিত্ব’’, বললেন সুকান্ত

    ককপিট ছাড়লেন পাইলট

    রবিবার লন্ডন থেকে দিল্লি আসার এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Flight) বিমানটি দিল্লিতে অবতরণের সময় খারাপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়। এরফলে জরুরি অবতরণ করতে হয় রাজস্থানের জয়পুর এয়ারপোর্টে। নির্ধারিত সময় অনুসারে, রবিবার ভোর চারটে নাগাদ দিল্লি পৌঁছনোর কথা যদি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির। কিন্তু দিল্লির আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় জয়পুরে নামতে হয়। জয়পুরে আপৎকালীন অবতরণের দু’ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর দিল্লি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে দিল্লি যাত্রার ছাড়পত্র পাওয়া যায়। তখনই বিমান চালাতে অস্বীকার করেন পাইলট। বিমানে ছিলেন ৩৫০ জন যাত্রী। পাইলটের দাবি, তাঁর ডিউটির সময়  পেরিয়ে গিয়েছে, এরপর বিমান চালাতে তিনি অপারগ। পাইলটের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে সত্যিই পাইলটের কাজের সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল, বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিৎ ছিল কোম্পানির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দিল্লিতে ন্যাশনাল ট্রেনিং কনক্লেভের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: দিল্লিতে ন্যাশনাল ট্রেনিং কনক্লেভের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম ন্যাশনাল ট্রেনিং কনক্লেভের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার দিল্লির প্রগতি ময়দানের ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে ওই কনক্লেভের উদ্বোধন করা হয়। দেশের সমস্ত সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এদিনের কনক্লেভে। কনক্লেভের মূল লক্ষ্য ছিল, দেশের বিভিন্ন সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা। ওই প্রতিষ্ঠানগুলির পরিকাঠামো শক্তিশালী করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

    কনক্লেভে যাঁরা ছিলেন

    এদিনের কনক্লেভে ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানগুলির দেড় হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন সেন্ট্রাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটস, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রেনিং ইন্সটিটিউটস, রিজিওনাল ও জোনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এবং রিসার্চ ইন্সটিটিউটসের প্রতিনিধিরাও। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের সিভিল সার্ভিস আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের কনক্লেভে। যোগ দিয়েছিলেন বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার বিশেষজ্ঞরাও।

    মত বিনিময়

    সরকারের তরফে জারি করা বিবৃতিতে (PM Modi) বলা হয়েছে, এই যে বিভিন্ন দফতরের লোকজন ছিলেন, তাঁদের মধ্যে মত বিনিময় হয়েছে। বর্তমানে কোন কোন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে, সুযোগই বা কী কী রয়েছে, সমস্যার সমাধানই বা কীভাবে করা যায়, দক্ষতা বাড়ানোর জন্যই বা কী কী করা যেতে পারে, এসব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কনক্লেভে আটটি প্যানেল ডিসকাসন হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘মমতা চাইছেন গন্ডগোল হোক, সেই ফাঁকে তাঁরা জিতে যাবেন’, দাবি দিলীপের

    সবগুলিই সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং ইন্সটিটিউট সংক্রান্ত। কীভাবে ফ্যাকাল্টি উন্নত করা যায়, ট্রেনিং ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট করা যায়, কনটেন্ট ডিজিটাইজেশন করা যায়, এসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শাসন পদ্ধতি ও পলিশি উন্নয়নের ওপর জোর দেন। প্রসঙ্গত, যাঁরা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় (PM Modi) পাশ করে কাজে যোগ দেন, প্রথমে তাঁদের পাঠানো হয় ট্রেনিংয়ে। সেখানের পাঠ শেষ হলে নিয়োগ করা হয় তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: ‘‘আরএসএস দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়’’, মত সুনীল আম্বেকরের

    RSS: ‘‘আরএসএস দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়’’, মত সুনীল আম্বেকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সঙ্ঘ দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়।’’ মঙ্গলবার দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর এমনই মন্তব্য করলেন একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় কলা কেন্দ্রে এদিন উদ্বোধন হয় ‘হামারা জীবন, হামারি ইয়াদেঁ’ নামের বই। জানা গেছে, সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের চার কার্যকর্তার জীবন সংগ্রাম এবং সমাজ তথা দেশের কাজে তাঁদের অবদান নিয়েই বইটি লেখা হয়েছে। বিশিষ্ট লেখক রামানন্দের সম্পাদনায় বইতে রয়েছে জনজাতি কার্যকর্তা আশা লকড়া, স্বর্গীয় অনিকেত, কলীরাম এবং ধনরাজের কথা। দেশ তথা সমাজের কাজে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে সমর্পণ করে কীভাবে লোকজনের মধ্যে এঁরা প্রেরণার স্রোত হয়ে উঠেছিলেন, তাই-ই এই বইয়ের মূল বিষয় বলে জানা গেছে।

    কী বললেন সুনীল আম্বেকর?

    নিজের ভাষণে সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘বিদ্যার্থী পরিষদ বা সঙ্ঘের আদর্শ ব্যক্তির মধ্যে দ্বেষ নয়, দেশপ্রেমকে ভরে দেয়।’’ সঙ্ঘ (RSS) বা বিদ্যার্থী পরিষদের কাজের প্রসার উল্লেখ করে শ্রী আম্বেকর আরও বলেন, ‘‘শুধুমাত্র নিজেদের ব্যবস্থাতেই সঙ্ঘ বা বিদ্যার্থী পরিষদ, তাদের কার্যকর্তাদের আটকে রাখেনা। সমাজ তথা দেশের কাজেও তাঁদের প্রেরণা দেওয়া হয়। সঙ্ঘ বা বিদ্যার্থী পরিষদের এই ব্যবস্থা কার্যকর্তাদের এতটাই মজবুত করে যে তাঁরা যেকোনও সংকট মোকাবিলায় সর্বদাই প্রস্তুত থাকেন।’’

    কারা হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে?

    সঙ্ঘের (RSS) প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মোদি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, তফশিলি উপজাতি কমিশনের চেয়ারম্যান হর্ষ চৌহ্বান সমেত অন্যান্যরা। তফশিলি উপজাতি কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘এই বই শুধুমাত্র কার্যকর্তা নির্মাণ করবে তাই নয়, বরং সাধারণ মানুষ কীভাবে অসাধারণ কাজ সম্পন্ন করেন, তার দলিলও বটে।’’ অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, ‘‘শুধু ভাষণ দিয়ে সামাজিক সদ্ভাব তৈরি করা যায় না, এটা আসে সমস্ত ধরণের মানুষকে হৃদয়ে জায়গা দেওয়ার মাধ্যমে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Wrestlers Protest: ‘‘এ জন্যই কি দেশের হয়ে পদক জিতলাম’’! মধ্যরাতে যন্তর মন্তরে পুলিশ-কুস্তিগির খণ্ডযুদ্ধ

    Wrestlers Protest: ‘‘এ জন্যই কি দেশের হয়ে পদক জিতলাম’’! মধ্যরাতে যন্তর মন্তরে পুলিশ-কুস্তিগির খণ্ডযুদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের (Wrestlers) সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। বুধবার মধ্য রাতে যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) হঠাৎ পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। শেষ পর্যন্ত তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারী কুস্তিগিরদের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশের একটি দল মত্ত অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে শুরু করেন। মহিলা কুস্তিগিরদের কটু ভাষায় আক্রমণ, মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন কুস্তিগিরের মাথায় আঘাত করা হয়, একজন সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুইজনের চোট গুরুতর বলেও জানা গিয়েছে।

    যন্তর মন্তরে ধুন্ধুমার 

    ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর গ্রেফতারি চেয়ে দিল্লির যন্তর মন্তরে চলছে কুস্তিগিরদের আন্দোলন। কুস্তিগির বিনেশ ফোগট  বলেন, “সারা দিন বৃষ্টি হওয়ার ফলে মাটি ভিজে থাকায় আমরা বিক্ষোভস্থলে খাট পাতার চেষ্টা করছিলাম। তখনই পুলিশ আমাদের উপর হামলা করে। একজনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। এই সময় ধাক্কাধাক্কিতে কেউ কেউ মাথাতেও আঘাত পান।” ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের সঙ্গে কুস্তিগিরদের বচসা, ধস্তাধস্তির ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। রাহুল রাও নামক এক কুস্তিগিরকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতেও দেখা যায়। 

    কান্নায় ভেঙে পড়লেন বীনেশ

    মধ্যরাতের সাংবাদিক বৈঠকে বীনেশ ফোগট বলেন, “ওই পুলিশ কর্মী সবাইকে ধাক্কা দিচ্ছিলেন। আমরা কেউ অপরাধী নই যে আমাদের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার করা হচ্ছে”। ঘটনাস্থলে মহিলা পুলিশকর্মীর অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বীনেশ। তিনি বলেন, “পুলিশকর্মীরা আমায় গালমন্দ করে এবং ধাক্কা দেয়। মহিলা পুলিশকর্মীরা কোথায় ছিল তখন? এই দিনটি দেখার জন্যই কি আমরা দেশের হয়ে এত পদক জিতলাম?” এর পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বীনেশ। কুস্তিগির বজরং পুনিয়া বলেন, “সারা দেশের মানুষের আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে আমাদের উপর বলপ্রয়োগ করছে।” 

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের পটচিত্র কিনেছিলেন পাবলো পিকাসো! বাংলার এই লোকশিল্প হারিয়ে যাচ্ছে কেন?

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি 

    বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চারটি পদক জেতা বজরং বলেন, “আমি সরকারকে অনুরোধ করব যেন আমার সব পদক ফিরিয়ে নেওয়া হয়।” এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বলেও জানান বজরং পুনিয়া। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে চারটি দাবি রেখেছেন। তাঁদের দাবি, কুস্তিগিরদের উপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, জলরোধী তাঁবু স্থাপনের অনুমতিও দিতে হবে।

    আটক সোমনাথ ভারতী 

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোমনাথ ভারতী নামক আম আদমি পার্টির বিধায়ককে আটক করা হয়েছে। তিনিই প্রথম বিনা অনুমতিতে বিক্ষোভস্থলে ফোল্ডিং খাট এনে পাতার চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। সোমনাথ এবং তাঁর লোকেদের সমর্থন জোগান বিক্ষোভরত কুস্তিগিরেরা। পুলিশ যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ যন্তর মন্তর এলাকা সিল করে দিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share