Tag: Delhi

Delhi

  • Suvendu Adhikari: দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু, আলোচনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে

    Suvendu Adhikari: দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু, আলোচনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবারই শাহের বাসভবনে এই বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্যালাইনকাণ্ড, আরজি কর কাণ্ড নিয়েও কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা। আলোচনায় উঠে এসেছে নদিয়ার স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার প্রসঙ্গও। প্রসঙ্গত, বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে দিল্লিতে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় প্রচার করছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। গতকাল বুধবার তিনি সিআর পার্কে প্রচার করেন। বুধবার বিকেলে তিনি করোলবাগে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেন। এরপর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শুভেন্দুর কথা শোনার পরে অমিত শাহ দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

    মমতা জমানায় প্রশ্নের মুখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা

    এক্স হ্যান্ডলে অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কিত বিষয়ে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্ককে শাহকে জানিয়েছেন। মমতা জমানায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। বুধবার মূলত সেই নিয়েই শাহি দরবারে পৌঁছন শুভেন্দু। এই সমস্ত কিছু আলোচনার পাশাপাশি ওঠে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও। বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও তাই কথা বলেন শুভেন্দু।

    পশ্চিমবঙ্গে কোনও স্থায়ী ডিজিপি নেই!

    বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে কোনও স্থায়ী ডিজিপি নেই বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার মতে, নিয়ম অনুযায়ী, স্থায়ী ডিজি নিয়োগ করতে হলে প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনটি নাম পাঠাতে হয় রাজ্যকে। তারপর সেখান থেকে একজনকে নির্বাচন করা হয়। রাজীব কুমারের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয়নি বলেই অভিযোগ। রাজীব কুমারকে তাই স্থায়ী ডিজি বলতে নারাজ বিরোধী দলনেতা। জানা গিয়েছে, সমস্ত কিছু শোনার দেখে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে অমিত শাহ জানিয়েছেন, ভারত সরকারের তরফে পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সবরকম ব্যবস্থা করা হবে।

  • Amit Shah: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠিত হবে”, প্রত্যয়ী শাহ

    Amit Shah: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপি সরকার গঠিত হবে”, প্রত্যয়ী শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এবার অবশ্যই দিল্লিতে বিজেপির নির্বাসন শেষ হবে এবং বিজেপি সরকার গঠিত হবে।” মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। গত ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে (Delhi Election) ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিজেপি। এই পর্বে দিল্লি শাসন করেছে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি। শেষ দু’বারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পারফরম্যান্স ছিল মোটামুটি। ৭০টি আসনের দিল্লি বিধানসভায় ক্ষমতায় আসে আপ। বিধানসভায় ফল খারাপ হলেও, লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে ব্যাপক ভালো ফল করেছে পদ্ম শিবির। গত বছর সাতটি আসনেই জয়লাভ করেছে গেরুয়া পার্টি।

    কী বললেন শাহ

    শাহ বলেন, “আপ হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। তারা আন্না হাজারের দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছিল।” তিনি বলেন, “মিথ্যারও একটি আয়ু আছে। এখানে মিথ্যা বহুদিন ধরে চলছে। ১০ বছর হয়ে গেছে। জনগণ সব জানতে পেরেছে। তাই এবার পরিবর্তন আসবে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “কিছু প্রতিশ্রুতি একই রকম হতে পারে। তারা সেগুলো পূরণ করেনি। কিন্তু জনগণ জানে যে মোদিজি সেগুলো পূরণ করবেন।” প্রসঙ্গত, ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। এবার লড়াই হবে ত্রিমুখী। নির্বাচনী ময়দানে রয়েছে শাসক দল আপ, বিজেপি এবং কংগ্রেস।

    মদ কেলেঙ্কারিই বড় ইস্যু

    দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মদ কেলেঙ্কারিই বড় ইস্যু। ক্যাগ রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে আপকে নিশানা করেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, মদ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দিল্লিতে দুহাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাদের দাবি, টাকা ঢুকেছে আম আদমি পার্টির নেতাদের পকেটে। ক্যাগের লিক হওয়া রিপোর্ট পেশ করেছে বিজেপি। বিজেপি দিল্লি সরকারের ওপর এক্সপার্ট প্যানেলের সুপারিশ না মানার অভিযোগও করেছে। বিজেপির দাবি, ক্যাগের রিপোর্টে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এসেছে। মদ কেলেঙ্কারিতে সরকারি তহবিলের ২০২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে (Amit Shah)। বিজেপির দাবি, পলিসি লাগু করতেও ব্যর্থ হয়েছে (Delhi Election) আপ। আপ নেতাদের পকেটে মোটা টাকা ঘুষও ঢুকেছে।

  • India-US Relation: ফেব্রুয়ারিতেই আমেরিকায় মোদি! বেআইনি অভিবাসী ইস্যুতে ভারতে ভরসা ট্রাম্পের

    India-US Relation: ফেব্রুয়ারিতেই আমেরিকায় মোদি! বেআইনি অভিবাসী ইস্যুতে ভারতে ভরসা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও মজবুত হতে চলেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক (India-US Relation)। আগামী মাসেই আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার এই কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার নানা বিষয় নিয়ে ফোনে কথা হয় মোদি-ট্রাম্পের। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের বিষয়টি ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সেইসঙ্গে ভারতের উপরে আস্থা রেখে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, ‘বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যেটা ঠিক, ভারত সেটাই করবে।’ জানা গিয়েছে, বিশ্ব শান্তির পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়েও কথা বলেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিশেষত ভারত-আমেরিকার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক এবং চিনের দাপট রুখতে কোয়াড জোটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

     

    ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সফরে মোদি

    সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প (Trump Talks With Modi) শুধু বলেছেন যে ‘ফেব্রুয়ারির কোনও একটা সময় আমেরিকায় আসবেন মোদি।’ তবে ঠিক কবে আমেরিকায় যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কতদিন থাকবেন, সফরসূচিতে কী কী থাকবে, সে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিছু জানাননি। দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প ৷ শপথ নেওয়ার পর সোশাল মিডিয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদি ৷ তবে সোমবার দু’জনের মধ্যে প্রথমবার ফোনে কথা হয় ৷ তারপরই মোদির আমেরিকা সফরের কথা বলেন ট্রাম্প। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।

     

    ট্রাম্প-মোদি ফোনালাপ

    দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট (India-US Relation) হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথমবার সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁদের এই ফোনালাপ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস৷ দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক এবং ভারত-মার্কিন সহযোগিতার পথ আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোন করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে৷ আমেরিকার অভিবাসীদের মধ্যে একটা বড় অংশ ভারতীয় জনতা। সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “অভিবাসন নিয়ে কথা হয়েছে মোদির সঙ্গে। অভিবাসীদের ফেরানোর ক্ষেত্রে ভারত সঠিক পদক্ষেপই করবে।”

     

    বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত

    ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের (Trump Talks With Modi) পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত। তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন। পারস্পরিক উন্নয়ন এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।’’ ট্রাম্প ও মোদির ফোনালাপ সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফোনালাপ ফলপ্রসূ হয়েছে । দুই রাষ্ট্রনেতা পারস্পরিক সহযোগিতা গভীর ও সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকায় তৈরি নিরাপত্তা সরঞ্জাম ক্রয় বৃদ্ধির জন্য দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্ব দিয়েছেন ’’

     

    বেআইনি অভিবাসন

    নতুন করে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরেই আমেরিকা থেকে বেআইনি অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নয়াদিল্লির (India-US Relation) তরফে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে যে উপযুক্ত নথি দেওয়া হলে বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। গত সপ্তাহে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “আমরা বেআইনি অভিবাসনের বিরোধী। কারণ সেই বিষয়টা বিভিন্ন ধরনের সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।” তিনি আরও বলেছেন, “শুধুমাত্র আমেরিকায় থাকা ভারতীয়দের ক্ষেত্রে নয়, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যদি ভারতীয়রা নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি থাকেন বা উপযুক্ত নথি ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশে থাকেন, তাহলে আমরা তাঁদের ফিরিয়ে নেব। আমাদের সঙ্গে উপযুক্ত নথি ভাগ করে নিতে হবে, যাতে আমরা তাঁদের নাগরিকত্ব যাচাই করে নিতে পারি এবং নিশ্চিত হতে পারি যে তাঁরা সত্যিই ভারতীয়। যদি সেটাই বিষয় হয়, তাহলে আমরা পুরো বিষয়টা এগিয়ে নিয়ে যাব এবং তাঁদের ভারতে ফেরানোর কাজটা প্রশস্ত করব।”

     

    মোদি-ট্রাম্প বৈঠকের গুরুত্ব

    কূটনৈতিক মহলের মতে, বেআইনি অভিবাসীদের ফেরানোর মতো ‘ছোট’ ব্যাপারে ট্রাম্পের মন জিতে নিয়ে ‘বড়’ কাজের পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি (India-US Relation)। যে তালিকায় এইচ-১বি ভিসা, বাণিজ্যের মতো বিষয় থাকতে পারে। মোদি এবং ট্রাম্প উভয়ই ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কোয়াড অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়েছেন ৷ চলতি বছরের শেষের দিকে প্রথমবার ভারতে হবে কোয়াড বৈঠক৷ অনেক দেশের মতোই অভিবাসন এবং শুল্কের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগে রয়েছে ভারত৷ ইতিমধ্যেই ট্রাম্প ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর উপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন ৷ ৯ সদস্যভুক্ত ব্রিকসে ভারতও অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং আসন্ন মোদি-ট্রাম্প বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ৷

  • Arvind Kejriwal: “দিল্লি বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”, যমুনার স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে কেজরিকে নিশানা শাহের

    Arvind Kejriwal: “দিল্লি বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”, যমুনার স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে কেজরিকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দিল্লি (Delhi) বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”। যমুনা নদীর দূষণকে কেন্দ্র করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) সরকারকে এই ভাষায়ই আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তিনি আপ সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। খুব স্পষ্টভাবে এই প্রবীণ বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, গত ১০ বছরে ক্ষমতায় আসার পরে দিল্লির সরকার যমুনা দূষণ নিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিজেপির দাবি, ভারতে নদীকে মাতৃসম বলে মনে করা হয়। অথচ যমুনার জলকে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে আপ সরকার।

    আপের শাসনে দিল্লির যমুনা নদী এখন ‘নোংরা ড্রেন’ (Delhi)

    বিজেপি নেতা অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) নিশানা করে বলেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে কথা দিয়েছিলেন যে ৭ বছরে যমুনা নদীকে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার করবেন। এই যমুনা (Delhi) নদী হবে লন্ডনের টেমস্ নদীর মতো।” একই ভাবে দিল্লিবাসীকে তিনি বলেন, “এই যমুনায়ও ডুব দেবেন। তাই মানুষ অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন কবে সেই বিশ্ব বিখ্যাত ডুব দেবেন। তবে যমুনায় যদি যেতে না পারেন তাহলে মহাকুম্ভে যেতে পারেন, তাঁর এই পাপ থেকে মুক্তি পেতে ডুব দিতে পারেন ওখানে।”
    উল্লেখ্য, আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সংবাদ মাধ্যম এবং একাধিক প্রচার সভায় বলেছিলেন, “আপের শাসনে দিল্লির যমুনা নদী এখন ‘নোংরা ড্রেনে’ পরিণত হয়েছে। এই নদী কার্যত কেজরিওয়ালের পাপ স্বরূপ। আমি আমার রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়েছি। দিল্লির যমুনা নদীতে কেজরিওয়ালজিকে তাঁর রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে স্নান করার সাহস দেখাতে বলব।”

     

    “আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমায় ভোট দেবেন না”

    এদিন দিল্লি বিধানসভার (Delhi) বিজেপি প্রার্থী পারভেশ শর্মাও আপকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) আক্রমণ করে তাঁর নামাঙ্কিত কাটআউট নদীতে ভাসিয়ে দেন। তাতে লেখা, আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমায় ভোট দেবেন না। শর্মা বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে যমুনা নদীর জল সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করা হবে। এই কাজে কোনও রকেট সায়েন্স লাগবে না। মেশিনের মাধ্যমে সমস্ত পলি অপসারণ করা উচিত। স্যুয়ারেজ ট্রিটমেণ্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা উচিত। ঠিক যেমনটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবরমতী নদীর ওপর কাজ করেছিলেন। একই ভাবে যমুনা রিভারেণ্ট তৈরি করা যেতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Republic Day 2025: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে চলেছে দেশ, জানেন এই দিনের গুরুত্ব

    Republic Day 2025: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে চলেছে দেশ, জানেন এই দিনের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি (Republic Day 2025) মানেই রাজধানীর রাজপথে কুচকাওয়াজ, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। দিল্লির পাশাপাশি কলকাতার রেড রোডেও সেই আড়ম্বর চোখে পড়ে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন দেশের রাষ্ট্রপতি। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হওয়ার দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয়। আর বেশিদিন নেই ভারত অধীর আগ্রহে সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য অপেক্ষা করছে। উৎসবের মূল আকর্ষণ হবে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে কর্তব্য পথে দর্শনীয় কুচকাওয়াজ। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত এই কুচকাওয়াজে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেবেন। এতে বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে।

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস 

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ সালে। এ বছর সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে, যা ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। অর্থাৎ ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস (76th Republic Day) উদযাপন করবে। অনেকেই ১৯৪৯ সাল থেকে গণনা শুরু করেন এবং ভাবেন যে সংবিধান সেই দিনেই কার্যকর হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। ১৯৫০ সালে দেশে সংবিধান কার্যকর করা হয় এবং ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে, এ বছর ৭৭তম নয়, ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2025) পালিত হচ্ছে।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের গুরুত্ব

    ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট বিদায় নেয় ব্রিটিশরা। ২০০ বছরের কালিমা মুছে স্বাধীনতার সূর্যোদয় হয় ভারতের আকাশে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন জওহরলাল নেহরু। যদিও তখনও ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়নি। ১৯৪৭-এর ২৯ আগস্ট একটি খসড়া কমিটি তৈরি করে প্রথম সরকার। উদ্দেশ্য সংবিধান রচনা ও কার্যকর। সেই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন বাবাসাহেব বিআর আম্বেদকর। ১৯৪৭ সালের ৪ নভেম্বর ওই কমিটি সংবিধানের একটি আনুষ্ঠানিক খসড়া পেশ করে গণপরিষদে। এর তিন বছর পর ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় প্রস্তাবিত সংবিধান। যা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় ২৬ জানুয়ারি।

    RepublicDayParade preparations are in full swing! The 76th Republic Day Parade will showcase the strength, diversity and resilience of India with six elite contingents from the Indian Army, stunning displays of advanced tech & weaponry and the spirit of indigenisation. pic.twitter.com/sYs0seNxpT

    — Republic Day 2025 (@republicday2025) January 18, 2025

    সংবিধানের শাসন কার্যকর

    স্বাধীনতা দিবসের সমান গুরুত্বপূর্ণ এই দিন। সেই কারণেই বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্রের পোশাকি নাম ‘ভারতীয় সাধারণতন্ত্র’ (Republic Day 2025) । যে সাধারণতন্ত্রের গণতান্ত্রিক, সমতাবাদী এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজের কাঠামো হল সংবিধান। সাধারণতন্ত্র দিবস স্মরণ করে স্বাধীন ভারতের চেতনাকে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি (76th Republic Day) থেকেই সদ্য স্বাধীন দেশটির রাষ্ট্র পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সংবিধানের শাসন কার্যকর হয় আসমুদ্রহিমাচলে। ২৬ জানুয়ারি সকালে বর্ণাঢ্য সামরিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। এদিন দেশের বাছাই করা নাগরিকদের পদ্ম পুরস্কারে ভূষিত করেন তিনি। এছাড়াও সেনাকর্মীদের পরমবীর চক্র, অশোক চক্র ও বীর চক্রে ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি।

    আরও পড়ুন: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    প্রজাতন্ত্র দিবসের থিম

    এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) থিম হল ‘স্বর্ণিম ভারত’  যা ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যতের প্রতি নিবেদিত। ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে, ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, চণ্ডীগড়, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ – দিল্লির কর্তব্যপথে তাদের ট্যাবলো প্রদর্শন করবে। এ বছর প্রথম বার দেশের তিন বাহিনী সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা একসঙ্গে কর্তব্য পথে সামরিক কৌশল দেখাবে।

  • S Jaishankar: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    S Jaishankar: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত একাধিপত্যকে মেনে নেবে না আমেরিকা। ক্ষমতায় এসেই কোয়াডের (Quad Meetings) সঙ্গে সুর মিলিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সরাসরি চিনের নাম না করা হলেও ভারত, জাপান, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা যৌথ বিবৃতিতে বেজিংকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, শক্তিপ্রয়োগ করে বা জোরজবরদস্তি করে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একতরফা কোনও স্বাভাবিক অবস্থার বিঘ্ন ঘটনার চেষ্টা করা হলে সেটা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বৈঠক শেষে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানান, কোয়াডের বৈঠকের পর স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, যে বর্তমান কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করবে কোয়াড।

    কোয়াডকে গুরুত্ব ট্রাম্পের

    কূটনৈতিক সূত্রের খবর, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) যখন আমেরিকা যাত্রা করেন, তখনও নয়াদিল্লির উদ্বেগ ছিল চিন-বিরোধী এই কোয়াড অক্ষটিকে কতটা গুরুত্ব দেবেন ট্রাম্প। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট করে দেয় তাদের মনোভাব। প্রথম দিন দায়িত্ব নিয়েই আমেরিকার নতুন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো চতুর্দেশীয় অক্ষ কোয়াডের গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা জানিয়ে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওয়ং জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শপথের পরপরই কোয়াড গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বৈঠক প্রমাণ করে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে ‘সমমনস্ক বন্ধুদের’। তাঁর বক্তব্য, “কোয়াডভুক্ত সমস্ত রাষ্ট্রের সামগ্রিক দায়বদ্ধতা এটাই প্রমাণ করে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যখন ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন, সেখানে প্রত্যেকেই লৌহ সংকল্পে আবদ্ধ।”

    চিন নয়, ভারতই ভরকেন্দ্র

    চিন নয় বরং ভারতকেই যে এশিয়ার প্রধান ভরকেন্দ্র হিসাবে দেখছে আমেরিকার নতুন জমানা, তার ইঙ্গিত মিলেছে প্রথম দিনই। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে জয়শঙ্করকে আসন দেওয়া হয়েছিল একেবারে প্রথম সারিতে, যাকে ইতিবাচক সংকেত হিসাবেই দেখা হচ্ছে। তাঁর দু’টি সারি পিছনেই বসেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি আইওয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওয়ং, অর্থাৎ কোয়াডের আর দুই সদস্য। অর্থাৎ কোয়াডভুক্ত রাষ্ট্রগুলিকে প্রথম দিকেই রেখেছে আমেরিকার নতুন প্রশাসন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar) জানিয়েছেন, কোয়াডের বৈঠক থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে এই অনিশ্চিত দুনিয়ায় বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করবে কোয়াড। 

    ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল মুক্ত রাখার বার্তা

    ওয়াশিংটনে কোয়াড সদস্য দেশগুলির মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেকের বৈঠকের পরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কোয়াডের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের যে বৈঠক হল, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে বন্ধু রাষ্ট্রগুলির ক্ষেত্রে (আমেরিকার) বৈদেশিক নীতি কতটা অগ্রাধিকার পায়। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল যাতে মুক্ত, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধশালী থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    কোয়াড বৈঠক (Quad Meetings) প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আরও বৃহাদাকারে ভাবনাচিন্তা করা, নিজেদের পদক্ষেপকে আরও দৃঢ় করা এবং আমাদের সমন্বয় আরও মজবুত করার বিষয়ে একমত হয়েছি (আমরা)। আজ যে বৈঠক হল, সেটা থেকে স্পষ্ট বার্তা গেল যে এই অনিশ্চিত এবং অস্থির দুনিয়ায় কোয়াড বিশ্বের ভালোর জন্য একটি শক্তি হয়ে থাকবে।”

    আরও পড়ুন: ভারত-মার্কিন সম্পর্কের নয়া সমীকরণ! ট্রাম্পের শপথের সময় সামনের সারিতে জয়শঙ্কর

    কোয়াড বৈঠকে যৌথ বিবৃতি

    ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানের পরই কোয়াড বৈঠক নিয়ে কূটনৈতিক মহলের মত, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের বাড়বাড়ন্ত, আগ্রাসন রুখতে গঠিত কোয়াডের উপর আমেরিকা যে আগের সরকারের মতোই জোর দেবে, সেই বার্তাটা দেওয়া হল। কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতেও সেই বিষয়টা উঠে এসেছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আগামীদিনে কোয়াডের কাজকর্মকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা মুখিয়ে আছি। ভারত যে পরবর্তী কোয়াড নেতাদের সম্মেলেনের আয়োজন করবে (২০২৫ সালেই হবে), সেটার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মধ্যেই আমরা নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAG Report: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির জেরে ক্ষতি, আপকে আক্রমণ শানাল বিজেপি-কংগ্রেস

    CAG Report: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির জেরে ক্ষতি, আপকে আক্রমণ শানাল বিজেপি-কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মদ নীতি কেলেঙ্কারির জেরে আপ সরকারের আমলে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ ২ হাজার ২৭ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক এক অডিট রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে (BJP)। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, সংক্ষেপে ক্যাগ (CAG Report)। রিপোর্টে আবগারি দফতরের শাসন ও দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ত্রুটিগুলিরও সমালোচনা করা হয়েছে।

    ক্ষতির পরিমাণ (CAG Report)

    বলা হয়েছে, আবগারি দফতরের কাজের ধরন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন হয় যে তারা কীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। অডিটের ফল থেকে আর্থিক প্রভাবের মোট পরিমাণ প্রায় ২.০২৬.৯১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ওই কেলেঙ্কারির অভিযোগে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।

    আপকে নিশানা বিজেপির

    ক্যাগের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আপকে নিশানা করেছে বিজেপি। পদ্ম-পার্টির জাতীয় সভাপতি আক্রমণ শানিয়েছেন আপ এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ক্ষমতার নেশায় মত্ত, অপশাসনের ওপরে। আপ দা (‘AAP’DA) মডেল লুটের সম্পূর্ণ প্রদর্শনে এবং তাও মদের মতো কিছুতে। আপ সরকারকে ভোট দেওয়া ও তার অপকর্মের জন্য শাস্তি দেওয়া মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যাপার।”

    পদ্ম সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মদ কেলেঙ্কারির ‘মূল হোতা’ বলে অভিহিত করেছেন (CAG Report)। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছে কংগ্রেসও। হাত শিবিরের প্রবীণ নেতা সন্দীপ দীক্ষিত বলেন, “কেজরিওয়াল ভুল করেছেন। তিনি বলেন, সিএজি বলেছে যে মদের নীতিতে ২ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। এখন এটা পরিষ্কার যে তিনি (কেজরিওয়াল) ভুল করেছেন। তিনি সরকারি কোষাগার খালি করেছেন। যদি মদ নীতির কারণে ছ’মাসে ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়, আর যদি সেই স্কিমটি এখনও চালু থাকত, তাহলে আমাদের ক্ষতি হত (BJP) ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা (CAG Report)।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী ভারত! মহাকুম্ভে যোগ দিয়ে আবেগে ভাসলেন বিদেশিরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Undivided India: আইএমডি-র দেড়শো বছর, দিল্লিতে ‘অখণ্ড ভারত’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত পাকিস্তান-বাংলাদেশ

    Undivided India: আইএমডি-র দেড়শো বছর, দিল্লিতে ‘অখণ্ড ভারত’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত পাকিস্তান-বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের আবহাওয়া দফতরের দেড়শ বছর পূর্তি, এই উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত হচ্ছে ‘অখণ্ড ভারত’ (Undivided India) অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দিল্লি। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকেও। প্রসঙ্গত, হাল আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বলতে গেলে তলানিতেই ঠেকেছে। অন্যদিকে, সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবরই খারাপ ভারতের। এই আবহে আবহাওয়া দফতরের ‘অখণ্ড ভারত’ (Undivided India)  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। ইতিমধ্যে পাকিস্তানের তরফ থেকে ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবার বাংলাদেশের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী দিল্লি, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। 

    উপমহাদেশের অন্যান্য দেশও আমন্ত্রিত (Undivided India) 

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান (Pakistan) ও বাংলাদেশ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত থাকছে আফগানিস্তান, মায়ানমার, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। উপমহাদেশের এই দেশগুলি ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য ও দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে আবহাওয়া দফতরের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম যে ভারতের আবহাওয়া দফতরের প্রতিষ্ঠার সময় অখণ্ড ভারতের অংশ থাকা সমস্ত দেশই এই অনুষ্ঠানে সামিল হোক (Undivided India)।’’

    কেন্দ্রের সমস্ত মন্ত্রক মাঠে নেমেছে অনুষ্ঠানকে সফল করতে

    ইতিমধ্যে ‘অখণ্ড ভারত’-এর (Undivided India) এই অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে মোদি সরকারের একাধিক মন্ত্রক মাঠে নেমেছে। অর্থমন্ত্রক এই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তুলতে ইতিমধ্যে দেড়শো টাকার একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ভারতের আবহাওয়া দফতরের দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রজাতন্ত্র দিবসে একটি ট্যাবলো প্রকাশ করার অনুমোদন দিয়েছে।

    ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আইএমডি

    প্রসঙ্গত ভারতের আবহাওয়া দফতর, যা পরিচিত ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট নামে, এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি। তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। তার আগে অবশ্য দেশের একাধিক প্রান্তে ছিল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এই আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ১৭৮৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতাতে প্রতিষ্ঠা করে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। ১৭৯৬ সালে (তৎকালীন) মাদ্রাজে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। ১৮২৬ সালে গড়ে ওঠে বম্বে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। এরপরে উনিশ শতকের প্রথম প্রথমদিকে ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে প্রতিষ্ঠিত করা হতে থাকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।

    কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হল আইএমডি

    ১৮৬৪ সালে কলকাতায় ব্যাপক ঘূর্ণিঝড় হয়। ১৮৬৬ এবং ১৮৭১ সালে ব্যাপক বন্যার কারণে বাংলাজুড়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তখনই নড়েচড়ে বসে ব্রিটিশ সরকার। এধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলিকে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলির ব্যর্থতা বলে মনে করে ব্রিটিশ সরকার। এরপরে ১৮৭৫ সালে ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বা আইএমডি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ সরকার তখন সিদ্ধান্ত নেয় যে আবহাওয়ার খুঁটিনাটি রেকর্ড সংরক্ষণ এবং সেই অনুযায়ী তথ্য বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করবে এই সংস্থা। আবহাওয়া সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করার কাজে স্থাপিত হয় ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। জানা যায়, ১৮৭৫ সালে  ইন্ডিয়া মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর সদর দফতর ছিল কলকাতায়। পরবর্তীকালে ১৯০৫ সালে আইএমডির দফতর স্থানান্তরিত হয় সিমলায়। ১৯২৮ সালে আইএমডি-এর দফতর চলে যায় পুণেতে। ব্রিটিশ শাসনের একদম শেষের দিকে ১৯৪৪ সালে নতুন দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয় আইএমডির দফতর এবং তখন থেকে এটা দিল্লিতে রয়েছে।

    দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে আইএমডি

    বছরের পর বছর ধরে আইএমডি-এর বিবর্তন হয়েছে এবং বর্তমান দিনে এশিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি আবহাওয়া পূর্বাভাস দফতরে তা পরিণত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবহাওয়া বিজ্ঞান সমেত নানা গবেষণার কাজে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে আইএমডি। জানা যায়, প্রথমদিকে টেলিগ্রামের যুগে, আইএমডি টেলিগ্রামের মাধ্যমে আবহাওয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খুঁটিনাটি আপডেট এবং সতর্কতা পাঠাত। পরবর্তীকালে যখন কম্পিউটার আসে, তখন এর মাধ্যমে কাজ চলতে থাকে। স্বাধীন ভারতে ইসরো স্থাপিত হওয়ার পরে, ওই সংস্থাকেও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে থাকে আবহাওয়া দফতর। বর্তমানে আবহাওয়া দফতরের নিজস্ব উপগ্রহ রয়েছে যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “দিল্লিকে বিকশিত ভারতের রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “দিল্লিকে বিকশিত ভারতের রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গত দশ বছরে দিল্লি যে সরকার দেখেছে, তা বিপর্যয়ের (AAP) চেয়ে কম কিছু নয়।” রবিবার দিল্লির রোহিণীর জাপানিজ পার্কে ‘পরিবর্তন র‍্যালি’-তে ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই সভায় বিজেপিকে একটা সুযোগ দেওয়ার আবেদনও জানান তিনি।

    বিকশিত ভারতের রাজধানী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দিল্লিকে বিকশিত ভারতের রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি দিল্লির জনগণের কাছে আবেদন করছি যে দিল্লির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বিজেপিকে একটি সুযোগ দিন। দিল্লিকে উন্নত করতে পারে কেবল বিজেপি।” এর পরেই তিনি বলেন, “গত দশ বছরে দিল্লি যে সরকার দেখেছে, তা বিপর্যয়ের চেয়ে কম কিছু নয়। এখন দিল্লিতে শুধু শোনা যায়, ‘আপ-দা’ (বিপর্যয়) নয় সহ্য করব, বদলে দেব। দিল্লি উন্নয়ন চায় এবং দিল্লির জনগণ বিজেপির ওপর আস্থা রাখে।”

    দিল্লির অবদান অপরিহার্য

    প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ উদ্বোধন করার পরে এই জনসভায় বক্তব্য রাখতে এসেছেন। আগামী পঁচিশ বছর সমগ্র দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বিকশিত ভারত মিশনে দিল্লির অবদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, “আমি এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার দিল্লির উন্নয়ন প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধন করার পরেই এসেছি। আমরা এখন ২০২৫ সালে আছি। আগামী ২৫ বছর দিল্লি এবং পুরো দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ২৫ বছর ভারত একটি বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) হিসেবে গড়ে তোলার সাক্ষী হবে। আমরা এর অংশ হব। এই বছরগুলি ভারতকে আধুনিকায়নের নতুন যুগে নিয়ে যাবে। শীঘ্রই সেই সময় আসছে যখন ভারত বিশ্বের তৃতীয় অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে, এবং দিল্লির অবদান এর জন্য অপরিহার্য।”

    আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, গায়ক অভিজিৎকে আইনি নোটিশ

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মানুষ বিজেপিকে বিশ্বাস করে। কারণ এটি এমন একটি দল যা সুশাসনে বিশ্বাস করে। বিজেপি প্রতিটি নাগরিকের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য নিবেদিত।” তিনি বলেন, “দিল্লিতে এখন কেবল একটাই আওয়াজ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ‘আপনি অন্যায় সহ্য করবেন না, পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।’ এখন (AAP) দিল্লি উন্নয়নের জমি চায় এবং আমি আনন্দিত যে দিল্লি বিজেপির ওপর আস্থা রাখে (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

  • PM Modi: মোদিকে বিদায়ী চিঠি বাইডেনের! দুই দেশের সম্পর্ককে শক্ত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: মোদিকে বিদায়ী চিঠি বাইডেনের! দুই দেশের সম্পর্ককে শক্ত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় পালাবদলের তোড়জোড়। আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় বার দায়িত্ব নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিদায়ী চিঠি পাঠালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করে বাইডেনের বিদায়ী চিঠি তাঁর হাতে দেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। 

    মোদি-সুলিভান সাক্ষাত

    সোমবার মোদি ও সুলিভানের মধ্যে আলোচনায় ‘ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজি’ (আইসিইটি)-র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো প্রসঙ্গ এসেছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। বৈঠকের পরে এক্স পোস্টে মোদি লেখেন, ‘‘সুলিভানের সাথে সাক্ষাৎ করতে পেরে আনন্দিত হয়েছি। ভারত-আমেরিকা কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, জৈবপ্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। জনগণের স্বার্থে এবং বিশ্বের মঙ্গলের জন্য আমাদের দুই গণতন্ত্রের মধ্যে সম্পর্কের এই গতিকে তরাণ্বিত করার জন্য আমি উন্মুখ।’’ বাইডেনের চিঠিটি পাওয়ার পর গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মোদি। তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা স্মরণও করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত-আমেরিকা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে বাইডেন আরও মজবুত করেছেন বলে জানান মোদি।

    আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিযুক্ত সুলিভানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে এটাই শেষ বিদেশ সফর। ২০ জানুয়ারি ওই পদে বসবেন ট্রাম্পের মনোনীত মাইকেল ওয়াল্টজ। এদিন বৈঠক শেষে সুলিভান বলেন, ‘‘আগামী দিনে উন্নত প্রযুক্তিগত সহায়তা ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হবে।’’ ভারতের পরমাণু সংস্থাগুলির সঙ্গে আমেরিকার সহায়তারও বার্তা দেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share