Tag: Delhi

Delhi

  • India Bangladesh Relation: দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক! ভারত নিয়ে নরম সুর বাংলাদেশের, ফিরছেন দু’দেশের মৎস্যজীবীরা

    India Bangladesh Relation: দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক! ভারত নিয়ে নরম সুর বাংলাদেশের, ফিরছেন দু’দেশের মৎস্যজীবীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকা এমন কোনও পদক্ষপ করবে না যা তার প্রতিবেশীর কৌশলগত স্বার্থের পরিপন্থী। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে (India Bangladesh Relation) বোঝাপড়ার মাধ্যমে এগোনোর কথা বললেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শেখ হাসিনা সরকারের পতনে পর থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের ভারত-বিরোধী মনোভাব ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। ভারত বিরোধিতার কারণে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারও বাড়ছে। এই অবস্থায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক কিছুটা সহজ হবে বলে আশা করছে কূটনৈতিক মহল। 

    দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক

    শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে যখন উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) সেই সময় শেখ হাসিনার থেকে সেনার হাতে ক্ষমতা নেওয়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতার বার্তা দিয়েছেন। বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের মতে, তাঁদের জন্য ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশ অনেক বিষয়েই ভারতের উপর নির্ভর করে। আবার ভারতও কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের থেকে সুবিধা পায়। জেনারেল ওয়াকারের কথায়, “এটা একটা দেওয়া–নেওয়ার সম্পর্ক।” 

    পারস্পরিক বোঝাপড়া

    পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সম্পর্ক এগিয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) প্রতিবেশীদের সঙ্গে এমন কিছু করবে না, যা সেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের পরিপন্থী। তিনি চান, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলিও যেন তা বিবেচনা করে এবং বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী কিছু না করে। সরাসরি কোনও প্রতিবেশীর নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “সীমান্তে আমাদের লোকজনকে হত্যা করবে না। আমরা প্রাপ্য জল পাব। এতে তো কোনও অসুবিধা নেই!” বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের মতে, “দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন। ভারতের অনেকেই বাংলাদেশে কাজ করছেন। আবার বাংলাদেশ থেকেও অনেকে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। ভারত থেকে পণ্যও কিনছে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার সঙ্গে ভারতের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।”

    মৎস্যজীবীদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু

    বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) আটক ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী ও নৌকর্মী এবং ভারতে আটক ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ও নৌকর্মীর পারস্পরিক আদানপ্রদান প্রক্রিয়া সম্প্রতি শুরু হয়েছে। রবিবারের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে অনুমান। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশের জলসীমায় আটক হওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবী ও নৌকর্মীদের এতদিন সে দেশে রেখে দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে দিল্লির হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। অন্যদিকে, মৎস্যজীবীদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পাশাপাশি ভারতে আটক বাংলাদেশের দু’টি ফিশিং ভেসেল এবং বাংলাদেশে আটক ভারতের ছয়টি ফিশিং বোটও হস্তান্তর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। গত ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমার নিকটে ‘এফভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামে দুটি বাংলাদেশি ফিশিং ভেসেল-সহ মোট ৭৮ জন এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা ‘এফবি কৌশিক’ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ডুবে গেলে এর ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ভারতীয় কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তাঁদের কারামুক্তি ঘটেছে। ৭৮ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ও নৌকর্মী আপাতত ওড়িশার পারাদ্বীপে ভারতীয় উপকূল বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং ১২ জন পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চিনে ফের নতুন ভাইরাসের হানা! হাসপাতালে ভিড়ের ভিডিও ভাইরাল

    ট্রাম্প-মোদি সমীকরণ

    আমেরিকা যে বিশ্বের সুপারপাওয়ার, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে, ভারতও (India Bangladesh Relation) বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের দাদা। ভারতকে বাদ দিয়ে এই অঞ্চলে আমেরিকার পক্ষেও কিছু করা সম্ভব নয়। ভারতের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের নরমে-গরমে সম্পর্ক ছিল। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। প্রচার পর্বেও বারবার ট্রাম্প নরেন্দ্র মোদিকে ‘চমৎকার মানুষ’, ‘আমার বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও জোরালো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কাজেই, ট্রাম্প জয়ী হওয়ায়, আমেরিকা-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে ভারত ঢুকে পড়েছে এমনটাই মনে করে কূটনৈতিক মহল। সেক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে ইউনূস সরকারের সম্পর্ক স্বাভাবিক না হলে, বিপদে পড়বে বাংলাদেশ। এক কথায় ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ায়, বাংলাদেশের পক্ষে আর ভারতকে অবজ্ঞা করা সম্ভব হবে না। ভারত নির্ভরতা আরও বাড়বে। তাই আমেরিকায় পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সুর নরম হয়েছে। ভারতকে বন্ধু না বললেও, প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করতেও নারাজ বাংলাদেশ। দিল্লিকে অবজ্ঞা করার সাহস ঢাকা যে পাবে না তা ভালোই জানে ইউনূস প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi: বৃষ্টির জেরে দিল্লিতে কিছুটা কমল দূষণের মাত্রা, কড়া বিধি নিষেধ হল শিথিল

    Delhi: বৃষ্টির জেরে দিল্লিতে কিছুটা কমল দূষণের মাত্রা, কড়া বিধি নিষেধ হল শিথিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি এবং এনসিআর অঞ্চলে (Delhi) বেশ কয়েকদিন ধরেই হালকা বৃষ্টি চলছে। এরই ফলে দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের (AQI) বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত দিল্লির বাতাসের দূষণমাত্রা একসময় ভয়ানক পর্যায়ে ছিল। এদিকে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমতেই দিল্লি এবং এনসিআর কড়া বিধি নিষেধ শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।

    দিল্লির (Delhi) এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) নেমে এসেছে ৩২৪-এ

    কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বা সিপিসিবি যে তথ্য দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির (Delhi) এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) নেমে এসেছে ৩২৪-এ। অন্যদিকে, দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্যানেলের কমিশনার জানিয়েছেন, দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের সূচক আগের চেয়ে অনেকটাই চেয়ে উন্নত হয়েছে। ভয়ানক পর্যায় থেকে তা নেমেছে। সেই কারণে দিল্লি এবং তাঁর সংলগ্ন এলাকায় জারি করা বিধিনিষেধ আপাতত শিথিল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্যানেলের কমিশনার।

    অক্টোবর মাসের গোড়া থেকেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসের গোড়া থেকেই দিল্লিতে (Delhi) দূষণের মাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে। নভেম্বর মাসে দিল্লি এবং এনসিআর এলাকায় চালু করা হয় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ (জিআরএপি-৪)। এর পর ডিসেম্বরে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমলে কড়া বিধি শিথিল করা হল কিছুটা। একিউআই শূন্য থেকে ৫০ হলে তা ভালো ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ হলে মাঝারি, ২০১ থেকে ৩০০ খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০ খুব খারাপ, ৪০১ থেকে ৫০০ ভয়ানক বলে ধরা হয়। প্রসঙ্গত, বৃষ্টির কারণে দিল্লির একিউআর দাঁড়িয়েছে ৩২৪-এ। একিউআর ভয়ঙ্কর হলে দিল্লি-এনসিআরে পাথর ভাঙা, নির্মাণকাজ বন্ধ রাখা হয়। প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস অনলাইনে চালু করা হয়। একিউআই ৪৫০ ছাড়ালে অন্যরাজ্যের গাড়ি দিল্লির রাস্তায় চলতে পারে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raja Bikramjit Ghosh: বাঙালি রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষের অমিত বিক্রম গাথা জানেন?

    Raja Bikramjit Ghosh: বাঙালি রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষের অমিত বিক্রম গাথা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির সুলতানকে (Delhi sultanate) প্রতিহত করেছিলেন বাঙালি রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষ (Raja Bikramjit Ghosh)। বাংলার মঙ্গলকোটের সদগোপ শাসক বিক্রমজিৎ। তাঁর সাহস ও দৃঢ় সঙ্কল্পের গল্প আজও ফেরে লোকের মুখে মুখে। চতুর্দশ শতাব্দীর এই শাসক পরিচিত ছিলেন বিক্রম কেশরী নামে। দিল্লির সুলতানদের একাধিক আক্রমণ তিনি রুখে দিয়েছিলেন অমিত বিক্রমে। 

    মঙ্গলকোট গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র (Raja Bikramjit Ghosh)

    সেন ও দেব বংশের পতনের পর, উত্তর দিক থেকে বারবার আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। শেষ সেন রাজা মধু সেন এবং দেব রাজা দনুজ রায়ের মৃত্যুর ফলে এই অঞ্চলে নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। সেই সময়ই একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষ। মঙ্গলকোট ছিল বাংলার গোপভূম অঞ্চলে অবস্থিত। রাজা বিক্রমজিতের শাসন কালে এটি একটি সমৃদ্ধশালী এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল। ঐতিহাসিকভাবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। এখান থেকেই লঙ্কা (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা), বার্মা (অধুনা মায়ানমার), থাইল্যান্ড-সহ দূরবর্তী অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন পরিচালনা হত।

    কুলদেবী ছিলেন মা অভয়া চণ্ডী

    ঐতিহাসিকভাবে বাংলায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল সদগোপদের। মেদিনীপুর রাজ, নারায়ণগড় রাজ, বলরামপুর রাজ, নাড়াজোল রাজ এস্টেটের মতো বিশিষ্ট এস্টেট ও সমগ্র অঞ্চলের অন্যান্য জমিদারি নিয়ন্ত্রণ করতেন এই সদগোপরা। মঙ্গলকোটের সদগোপ শাসক পরিবার গৌড়িয় বৈষ্ণব ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত ছিল। এঁদের কুলদেবী ছিলেন মা অভয়া চণ্ডী। ত্রয়োদশ (Raja Bikramjit Ghosh) শতাব্দীর শেষ ভাগ ও চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাংলায় প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছিল দিল্লির সুলতানরা। বাংলায় তারা বারংবার হানা দিয়েছিল। এই সময়ই রুখে দাঁড়ান মঙ্গলকোটের রাজা বিক্রমজিৎ ঘোষ। সদগোপ সম্প্রদায়ের এই রাজার বাধায় পিছু হটে দিল্লির  মুসলমান শাসকরা। মঙ্গলকোটের ওপর প্রথম বড় ধরনের আক্রমণ হয় ১৩০৩ সালে। নেতৃত্ব দেন উজবেক গাজি। এই বাহিনী মঙ্গলকোটের পশ্চিমাঞ্চলের জঙ্গলে শিবির গড়ে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।মা অভয়া চণ্ডীর একনিষ্ঠ ভক্ত রাজা বিক্রমজিৎ তাঁর সদগোপ যোদ্ধাদের সংগঠিত করে পাল্টা আক্রমণ করেন। প্রবল যুদ্ধে পরাস্ত হয় হানাদারেরা। বহু সৈন্যের মৃত্যু হয়। রাজা বিক্রমজিতের আদেশে তাদের মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয় অজয়ের জলে।

    আরও পড়ুন: ক্রিসমাসে পালিত হয় বীর বাল দিবস, কী কারণে জানেন?

    বিক্রমজিতের বিক্রম

    ১৩০৩ থেকে ১৩২৭ সালের মধ্যে দিল্লির সুলতানরা অন্তত ১৭ বার মঙ্গলকোট আক্রমণ করেছিল। এই ১৭ বারই বুক চিতিয়ে লড়াই করে শত্রুদের মুখের মতো জবাব দিয়ে মঙ্গলকোট রক্ষা করেছিলেন বিক্রমজিৎ। আক্রমণকারীদের মধ্যে বিশিষ্ট সাত হানাদার হল মহম্মদ, হাজি ফিরোজ, গুলাম পাঠান, মহম্মদ ইসমাইল গাজি, আব্দুন্নাহ গুজরাটি, মকচুম বিলায়ে এবং গজনাভি। বিক্রমজিতের নেতৃত্বে এই যুদ্ধগুলি কেবল সদগোপ যোদ্ধাদের সামরিক দক্ষতাই প্রদর্শন করেনি, রাজা বিক্রমজিতের কৌশলগত প্রজ্ঞাও প্রতিপন্ন করেছে। অমিত বীরত্বের কারণে তাঁকে “বিক্রম কেশরী” উপাধিতে ভূষিত করা হয় (Raja Bikramjit Ghosh)। দিল্লির সুলতানদের বিশাল সম্পদ এবং নিরলস প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, রাজা বিক্রমজিতের শাসনকালে তারা মঙ্গলকোটকে বশীভূত করতে ব্যর্থ হয়।

    সনাতন ধর্ম রক্ষায় ছিলেন একনিষ্ঠ

    রাজা বিক্রমজিৎ কেবল একজন যোদ্ধাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সংস্কৃতি ও সনাতন ধর্মের একজন পৃষ্ঠপোষকও। তাঁর দরবারে উদযাপিত হত গৌড়ীয় বৈষ্ণব ঐতিহ্য। গীতগোবিন্দ ছিল ভক্তির কেন্দ্রীয় গ্রন্থ। তিনি বাংলার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য বজায় রাখতে জানও বাজি রেখেছিলেন। মুসলমান শাসকদের আধিপত্যের মধ্যেও মাথা উঁচু করে সনাতন ধর্ম রক্ষায় অটল ছিলেন বিক্রমজিৎ। রাজা বিক্রমজিতের (Raja Bikramjit Ghosh) মৃত্যুর পর নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় মঙ্গলকোট। অস্থায়ীভাবে এই অঞ্চল দখল করে অটোমান হানাদারেরা। তারা এখানে নিহত জেনারেলদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে সমাধি নির্মাণ করে। যা তাদের বিজয়গাথা ঘোষণা করে। তাদের জয় ছাপিয়ে গিয়েছিল বিক্রমজিতের জয়। কারণ যতদিন তিনি বেঁচেছিলেন, ততদিন মঙ্গলকোটে দাঁত ফোটাতে পারেননি দিল্লির সুলতানরা। মুসলমাদের (Delhi sultanate) ওই সমাধি কি বিক্রমজিতের বিজয়গাথাও ঘোষণা করে না (Raja Bikramjit Ghosh)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • NDA Leaders Meet: কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচার ঠেকাতে নাড্ডার বাড়িতে বৈঠক এনডিএ’র

    NDA Leaders Meet: কংগ্রেসের মিথ্যা প্রচার ঠেকাতে নাড্ডার বাড়িতে বৈঠক এনডিএ’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনে, বুধবার বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার (NDA Leaders Meet) বাড়িতে বিশেষ বৈঠকে বসে এনডিএ’র শীর্ষ নেতৃত্ব। ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ও জোটের মুখ্যমন্ত্রীরা। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) বাসভবনে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে (NDA meeting) উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু, আপনা দল নেত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল, জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামী, টিডিপি নেতা রামমোহন নাইডু এবং জেডিইউর রাজীবরঞ্জ সিং। এনডিএর এই বৈঠক কংগ্রেসকে আম্বেদকর ইস্যুতে চাপে ফেলতে একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কৌশল

    সূত্রের খবর, বৈঠকে (NDA Leaders Meet) আম্বেদকর ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। অমিত শাহ অভিযোগ করেন যে তাঁর বক্তব্যের একটি অংশ কংগ্রেসের তরফে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আউট অফ কনটেক্সট তুলে ধরা হয়েছে এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এনডিএ শরিকদের কংগ্রেসের ভূমিকা তুলে ধরতে বলা হয়েছে। অমিত শাহ শরিকদের অনুরোধ করেন, সংবিধান রচনায় কংগ্রেসের অবদান এবং আম্বেদকরের ইস্যুতে তাদের দাবির যথার্থতা নিয়ে সরব হতে। এছাড়া, শরিকদেরকে এই বিষয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৈঠক প্রসঙ্গে  চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, “আম্বেদকর ইস্যুতে এনডিএর অবস্থান স্পষ্ট। শরিকদের সঙ্গে এই বিষয়ে কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    শরিকদের মধ্যে সমন্বয়

    বৈঠকে (NDA Leaders Meet) সিদ্ধান্ত হয়, শরিকদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে, একজন পূর্ণমন্ত্রী এবং একজন রাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়মিতভাবে শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। এনডিএর পক্ষ থেকে প্রতিটি ইস্যুতে শরিকদের জানানো হবে এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শরিকদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লি এবং বিহারের আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গও বৈঠকে উত্থাপিত হয়। নির্বাচনে এনডিএ শরিকদের কৌশল কী হবে এবং কীভাবে ভোটারদের আকৃষ্ট করা যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক নিয়ে অনুপ্রিয়া প্যাটেল বলেন, “আমাদের মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করতে মন্ত্রীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা সব সময় এনডিএর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ।” এইচডি কুমারস্বামীর কথায় , “আসন্ন নির্বাচনের আগে এমন বৈঠক খুবই প্রয়োজন ছিল। আমরা সবাই মিলে এনডিএর অবস্থান আরও মজবুত করতে কাজ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    Delhi: জাল পরিচয় পত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জন গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট তৈরির চক্রের হদিশ পেল দিল্লি পুলিশ (Delhi)। দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালিয়ে ৫ বাংলাদেশি নাগরিক সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সাথে জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। ২৪ ডিসেম্বর, দিল্লি পুলিশ এই ১১ জনকে গ্রেফতার করে। এরা অবৈধ অভিবাসীদের জন্য জাল আধার কার্ড, জন্ম সনদ, এবং অন্যান্য পরিচয়পত্র তৈরি করছিল। এই চক্রটি প্রধানত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় পরিচয়পত্র পেতে সাহায্য করছিল।

    জাল নথি তৈরির চক্রের হদিশ

    দক্ষিণ দিল্লির (Delhi) ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (DCP) অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আধার কার্ড অপারেটর, প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ এবং জাল ডকুমেন্ট তৈরি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা রয়েছে। তারা সম্প্রতি সান্তো শেখ নামে একজন ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত। সান্তোই এই অভিবাসীদের ভারতে আনার কাজ করত, বলে অনুমান পুলিশের। ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিত চৌহান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে অনেক অবৈধ অভিবাসী ভারতীয় বনাঞ্চল বা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। তারপর দিল্লিতে এসে এই চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারাও সান্তো শেখের মাধ্যমেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিল। শেখের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাহিল নামে একজন ব্যক্তি, যিনি রোহিণী এলাকায় পুণাম কম্পিউটার সেন্টারের মালিক। তারা একসঙ্গে এই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য জাল জন্ম সনদ এবং আধার কার্ড তৈরি করছিল।

    আরও পড়ুন: বিগ্রহ সরিয়ে ওড়ানো হয়েছিল ইসলামি পতাকা, দখলমুক্ত গঙ্গা মন্দির

    বিধানসভা নির্বাচনের আগে সক্রিয় পুলিশ

    ইতিমধ্যেই পুলিশ (Delhi) একটি ওয়েবসাইট চিহ্নিত হয়েছে, যা এই জাল সনদ তৈরি করতে ব্যবহৃত হতো। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কমপক্ষে ২২৮টি জাল সনদ তৈরি হয়েছে, তবে পুলিশের সন্দেহ, মোট সংখ্যা হাজারেরও বেশি হতে পারে। গ্রেফতার হওয়া ১১ জনের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি এবং ৬ জন তাদের ভারতীয় সহযোগী। অবৈধ অভিবাসীরা এই জাল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে দিল্লিতে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারত বলে জানান ডেপুটি কমিশনার চৌহান। এই চক্রের অপারেশন সম্পর্কে আরও তথ্য জানার জন্য পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থানও চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কতগুলি জাল ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে, তারও খোঁজ চলছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা দিল্লি পুলিশকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরও তীব্র অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই ১৭৫ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অভিবাসী চিহ্নিত হয়েছে। তাদের ডকুমেন্ট যাচাই করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • AAPs Rule: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

    AAPs Rule: ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যের প্রতিশ্রুতি কেজরি সরকারের, দেখে নিন এক নজরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের সকালে দিল্লির মহিলা ও শিশু উন্নয়ন দফতর থেকে দিল্লিবাসীর (Delhi) উদ্দেশে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। এই বিজ্ঞপ্তিতে বর্তমানে ঘটে যাওয়া প্রতারণা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মহিলা সম্মান যোজনা ও সঞ্জীবনী প্রকল্পের উল্লেখ করা হয়েছে (AAPs Rule)। এই প্রকল্পই ঘোষণা করেছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মহিলা সম্মান যোজনা প্রকল্পে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রতিটি মহিলাকে মাসে ২,১০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। আর সঞ্জীবনী প্রকল্পে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

    কী বলছে সরকারি বিবৃতি

    বিজ্ঞপ্তিতে ডাব্লুসিডি দফতর স্পষ্টভাবে জানায়, “এমন কোনও প্রকল্প ঘোষণা করা হয়নি। নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, এই ধরনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হবেন না।” এই প্রকল্পগুলির মতোই, আপ সরকারের অন্যান্য অনেক বড় প্রতিশ্রুতিও মিথ্যা বলে সমালোচিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, গত দশ বছর ধরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তার আম আদমি পার্টি নিজেদের দিল্লিতে পরিবর্তন ও স্বচ্ছতার পথিকৃত হিসেবে উপস্থাপন করে এসেছে। তবে, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জনসেবার ক্ষেত্রে রাজধানীকে এক স্বপ্নপুরীতে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, বাস্তবতা সেই প্রচারের কাছাকাছি নয়। কেজরিওয়ালের শাসনকাল একাধিক প্রতিশ্রুতি, ব্যর্থ প্রকল্প এবং শহরবাসীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের কারণে চিহ্নিত হয়েছে। এখানে আপ সরকারের বিভিন্ন মিথ্যার ‘উদাহরণ’ তুলে ধরা হল।

    মিথ্যের বেসাতি

    ফ্রি হেল্থ কেয়ার রেভ্যুলিশন(AAPs Rule): কেজরিওয়ালের মহল্লা ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবায় বিপ্লব ঘটানোর দাবি দ্রুত ভেঙে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে দিল্লির স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে প্রচারিত এই ক্লিনিকগুলো এখন জনসাধারণের উপহাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্বল পরিকাঠামো, যথাযথ চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব এবং প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের অনুপস্থিতি এই ক্লিনিকগুলোকে অকার্যকর করে তুলেছে।

    শিক্ষা সংস্কার : কেজরিওয়ালের দিল্লিতে শিক্ষা বিপ্লবের প্রতিশ্রুতি তার সরকারের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল। সরকারি স্কুলগুলোকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার দাবি তুলে, কেজরিওয়ালের লক্ষ্য ছিল সবার জন্য উচ্চ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তব অন্য কথা বলছে। গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় দেড় লক্ষ ছাত্রকে ফেল করানো হয়েছে। ৭০০টিরও বেশি স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষার কোনও সুযোগ নেই। দিল্লির শিক্ষা ব্যবস্থা এখন চরম সংকটে।

    আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    ফ্রি রেশন : দিল্লির গরিবদের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও আপের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা রেশন কার্ড ছাড়াই রয়েছেন, যার ফলে তাঁরা সরকার প্রদত্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। রেশন সরবরাহে দুর্নীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এখনও এক মরীচিকা হয়ে রয়ে গেছে।

    বিদ্যুতের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি : অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিদ্যুতের দাম কমিয়ে সকলের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করবেন। কিন্তু তাঁর শাসনকালে বিদ্যুৎ বিল আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। ত্রুটিপূর্ণ মিটার ও অতিরিক্ত চার্জের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে (AAPs Rule)।

    গণপরিবহণ: গণপরিবহণ আর একটি ক্ষেত্র যেখানে কেজরিওয়াল বিপ্লব আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁর সরকারের আমলে বাসের বহর চালু করা, মেট্রো সংযোগ উন্নত করা এবং একটি টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, এবং কর্মীরা বেতন না পাওয়ায় ধর্মঘট করেছেন।

    ন্নত স্বাস্থ্যসেবার প্রতিশ্রুতি: কেজরিওয়াল বেশ কয়েকটি নতুন হাসপাতাল এবং উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে বাস্তব সেই প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে। প্রচুর পরিমাণে তহবিল পাওয়া সত্ত্বেও, নতুন হাসপাতাল নির্মাণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিলম্বিত হয়েছে। রোগীদের এখনও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হা-পিত্যেশ করে থাকতে হয়।

    চাকরির প্রতিশ্রুতি: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে কেজরিওয়াল চাকরি সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিশেষ করে দলিত সম্প্রদায়ের জন্য। তবে, তাঁর শাসনকালে দিল্লিতে সরকারি খাতে তেমন কোনও চাকরির বৃদ্ধি দেখা যায়নি। দলিতদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কার্যত পরিত্যক্ত হয়েছে।

    মহিলাদের নিরাপত্তা: কেজরিওয়ালের সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দিল্লিকে মহিলাদের জন্য আরও নিরাপদ করে তোলা হবে। নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য নির্ভয়া ফান্ড বরাদ্দ করা হলেও, তা অপব্যবহার করা হয়েছে, এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের হার বেড়েছে।

    বেকারত্ব বৃদ্ধি: বেকারত্ব বৃদ্ধি দিল্লির একটি বড় সমস্যা। কেজরিওয়ালের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতির ফানুস গিয়েছে চুপসে। দিল্লির (Delhi) তরুণরা চাকরির জন্য হা-পিত্যেশ করছে। কেজরিওয়ালের অস্থায়ী শ্রমিক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের ওপর নির্ভরশীলতা দিল্লির চাকরির বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে (AAPs Rule)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Tania Sachdev: সোনা জিতেও মেলেনি সম্মান! দিল্লি সরকারের ভূমিকায় হতাশ ভারতীয় দাবাড়ু

    Tania Sachdev: সোনা জিতেও মেলেনি সম্মান! দিল্লি সরকারের ভূমিকায় হতাশ ভারতীয় দাবাড়ু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের দরবারে ভারতীয় দাবাড়ুদের এখন আধিপত্য। একের পর এক খেতাব অর্জন করে দেশের গৌরব বৃদ্ধি করছেন গুকেশ ডোম্মারাজু,প্রজ্ঞানন্দ রমেশবাবু, বৈশালী, তানিয়ারা। কিন্তু দিল্লি সরকার এই সমস্ত ক্রীড়াবিদদের পুরস্কৃত করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করছে না বলে এবার অভিযোগ করলেন ভারতের মহিলা দাবাড়ু তানিয়া সচদেব (Tania Sachdev)। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকারের (Delhi) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি।

    তানিয়ার ক্ষোভ

    ভারতীয় দাবাড়ুদের মধ্যে সর্বাধিক সাফল্য পেয়েছেন তামিলনাড়ুর দাবাড়ুরা। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্য থেকে একাধিক দাবাড়ু উঠে এলেও দিল্লি থেকে তেমন ভাবে দাবাড়ুরা উঠে আসছেন না। যার জন্য অবশ্য দিল্লি সরকারকেই দুষছেন তানিয়া সচদেব (Tania Sachdev)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তানিয়া লেখেন, “২০০৮ সাল থেকে ভারতের হয়ে দাবা খেলছি। দাবাতে কৃতিত্বের জন্য দিল্লি সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতির অভাব দেখে আমি হতাশ। যে রাজ্যগুলি তাদের চ্যাম্পিয়নদের সমর্থন করে এবং তাদের জয় উদযাপন করে ওই রাজ্যগুলিই সরাসরি শ্রেষ্ঠত্বকে অনুপ্রাণিত করে এবং প্রতিভাকে তুলে ধরতে সক্ষম। দুঃখের বিষয়, দিল্লি এখনও এই পদক্ষেপ নিতে পারেনি।”

    তিনি আরও লেখেন, “২০২২ সালে চেস অলিম্পিয়াডে আমি ব্যক্তিগত এবং দলগত বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম। তারপর ২০২৪ সালের দাবা অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলাম। ওই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সম্মান জানানো হয়নি। দিল্লি এবং ভারতকে গর্বের সঙ্গে প্রতিনিধিত্ব করে এমন একজন হিসেবে আমি আশা করি আম আদমি পার্টি, অতিশী ম্যাম এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্যার তাঁদের দাবাড়ুদের গুরুত্ব দেবেন এবং সমর্থন করবেন”। উল্লেখ্য, অতিশী বর্তমানে দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PMML: লেডি মাউন্টব্যাটেন-আইনস্টাইনকে লেখা নেহরুর চিঠিগুলি ফেরত দিন, রাহুলকে আর্জি পিএম মিউজিয়ামের

    PMML: লেডি মাউন্টব্যাটেন-আইনস্টাইনকে লেখা নেহরুর চিঠিগুলি ফেরত দিন, রাহুলকে আর্জি পিএম মিউজিয়ামের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেডি মাউন্টব্যাটেন, অ্যালবার্ট আইনস্টাইনসহ বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের চিঠি লিখেছিলেন জওহরলাল নেহরু। তাঁর সেই পাঠানো বিখ্যাত ব্যক্তিদের চিঠি ফেরত চেয়ে রাহুল গান্ধীকে আর্জি জানাল প্রধানমন্ত্রীর মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি। জানা গিয়েছে, ২০২৩-এ ১৫ জুন অনুষ্ঠিত NMML সোসাইটির একটি সভায়, নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরির নাম পরিবর্তন করে ‘প্রধানমন্ত্রী মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটি’ (PMML) রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

    পিএমএমএল (PMML) সোসাইটির সদস্য কী বললেন?

    পিএমএমএল (PMML) সোসাইটির সদস্য রিজওয়ান কাদরি রাহুল গান্ধীকে একটি চিঠি লিখেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে, ইউপিএ সরকারের সময় ৫১টি বাক্সে প্যাক করা নেহরুর ব্যক্তিগত চিঠি সোনিয়া গান্ধীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। এডউইনা মাউন্টব্যাটেন, আলবার্ট আইনস্টাইন, জয়প্রকাশ নারায়ণ, পদ্মজা নাইডু, বিজয়া লক্ষ্মী পণ্ডিত, অরুণা আসাফ আলী, বাবু জগজীবন রা এবং গোবিন্দ বল্লভ পন্ত প্রমুখকে এই চিঠিগুলি লিখেছিলেন জওহরলাল নেহেরু। পিএমএমএল সদস্য রিজওয়ান কাদরি ১০ ডিসেম্বর রাহুল গান্ধীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। এর আগে তিনি সেপ্টেম্বরে সোনিয়া গান্ধীকেও চিঠি লিখেছিলেন। পিএমএমএল (PMML) জানিয়েছে, এই চিঠিগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অসীম। চিঠিগুলি ১৯৭১ সালে জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরিতে (বর্তমানে পিএমএমএল) এসেছিল। পরে ২০০৮ সালে তা সোনিয়া গান্ধীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেগুলিরই অরিজিনাল বা অন্ততপক্ষে ফটোকপি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ও সোনিয়া গান্ধীর কাছে।

    আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে বিজয় দিস পালন! বীর যোদ্ধাদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর, সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতির

    চিঠিতে কী বলা হয়েছে?

    চিঠিতে বলা হয়েছে, “আমরা বুঝতে পারছি যে এই নথিগুলির ‘নেহরু পরিবারে ব্যক্তিগত গুরুত্ব থাকবে। তবে, পিএমএমএল ( PMML)-এর বিশ্বাস, এই ঐতিহাসিক নথিগুলি জনসাধারণের হাতের নাগালে থাকলে তা পড়াশোনা এবং গবেষকদের ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে।” জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পিএমএমএল সোসাইটির মেয়াদ কয়েক মাস বাড়ানো হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৮ নভেম্বর। PMML-এর সহ-সভাপতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। PMML-এর সভাপতির পদে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ধর্মেন্দ্র প্রধান, নির্মলা সীতারামন, অনুরাগ ঠাকুর -রা ২৯ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lal Krishna Advani: ফের অসুস্থ লালকৃষ্ণ আডবাণী, ভর্তি করা হল দিল্লির হাসপাতালে, কেমন আছেন?

    Lal Krishna Advani: ফের অসুস্থ লালকৃষ্ণ আডবাণী, ভর্তি করা হল দিল্লির হাসপাতালে, কেমন আছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হঠাৎই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন নবতিপর বিজেপি (BJP) নেতা তথা প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী (Lal Krishna Advani)। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে দিল্লির একটি হাসপাতালে। গত সাত মাসে এ নিয়ে তিনবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হল আডবাণীকে। ২৬ জুন দিল্লি এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রীকে। কয়েকদিন পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ৩ জুলাই ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় আবারও তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেবারও তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল নিউরোলজি বিভাগে।

    হাসপাতালে ভর্তি আডবাণী (Lal Krishna Advani)

    দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন বছর ছিয়ানব্বইয়ের আডবাণী। শুক্রবার আচমকাই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ বিনীত সূরির নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে ঠিক কী কারণে প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রীকে এদিন হাসপাতালে ভর্তি করা হল, তা জানানো হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে।

    আডবাণীর রাজনৈতিক কেরিয়ার

    অবিভক্ত ভারতের করাচিতে জন্ম আডবাণীর, ১৯২৭ সালে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের হাত ধরে শুরু হয় তাঁর রাজনৈতিক জীবন। ধীরে ধীরে ভারতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন আডবাণী। ১৯৮০ সাল থেকে দীর্ঘদিন বিজেপির সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল এই পর্বে তিনি ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০০২-২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার উপপ্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালে তাঁকে পদ্মবিভূষণ দেওয়া হয়। এর ঠিক ন’বছর পরে, ২০২৪ সালে ভারতরত্ন পান আডবাণী। তিনি অবশ্য রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে পুরস্কার নেননি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাতে তুলে দেন দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান (Lal Krishna Advani)।

    আরও পড়ুন: “মাথায় তলোয়ার ঠেকিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশ নিয়ে বিস্ফোরক রাধারমণ

    আডবাণী রাম জন্মভূমি আন্দোলনের অন্যতম মুখ। তিনিই বলেছিলেন, ‘সওগন্ধ রাম কি খাতে হ্যায়, হম মন্দির ওয়হি বনায়েঙ্গে।’ যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সেই অর্থে সক্রিয় ছিলেন না আডবাণী। যদিও তাঁকে রাখা হয়েছিল বিজেপির (BJP) ‘মার্গদর্শক মণ্ডলে’ (Lal Krishna Advani)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।   

     

  • Delhi: একাধিক ভুয়ো পাসপোর্ট সিন্ডিকেটের খোঁজ, ১৩জন বাংলাদেশি সহ ১৯ বিদেশি নাগরিক আটক

    Delhi: একাধিক ভুয়ো পাসপোর্ট সিন্ডিকেটের খোঁজ, ১৩জন বাংলাদেশি সহ ১৯ বিদেশি নাগরিক আটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় নাগরিকত্বের ভুয়ো নথি তৈরি করে দেশে গা ঢাকা দিয়ে থাকেন অনেকে। চলতি বছর, দিল্লি পুলিশ (Delhi) ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইউনিট ভারত জুড়ে একাধিক ভুয়া পাসপোর্ট সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৯ বিদেশি নাগরিক, এর মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশি, ৩ জন মায়ানমারী, ৩ জন নেপালি এবং ১ জন আফগান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও, ২৩ জন এজেন্টকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে ১ জন বাংলাদেশি এবং ১ জন মায়ানমারের নাগরিকও রয়েছেন। 

    জাল পাসপোর্ট চক্র

    দিল্লি পুলিশ (Delhi) কমিশনার (এয়ারপোর্ট) উষা রঙ্গনানি জানিয়েছেন, “ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক (IGI) বিমানবন্দর পুলিশ সফলভাবে একাধিক ভুয়া পাসপোর্ট সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছে। এই নেটওয়ার্কগুলি প্রতিবেশী দেশগুলির বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে গঠিত। যারা প্রায়ই ভারতে বেআইনি প্রবেশ করে। জাল নথি ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করার চেষ্টা করে।” এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাসপোর্ট জালিয়াতি শুধু বেআইনি নয়, এটি বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জন্য গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। জাল পাসপোর্টগুলি সারা বিশ্বে ট্যুরিজমের উপরও প্রভাব ফেলে। মানব পাচার, সন্ত্রাসবাদ, আর্থিক জালিয়াতির মতো অপরাধে সহায়তা করতে পারে এই নেটওয়ার্কগুলি।

    আরও পড়ুন: ‘‘বিজেপি সংবিধানকে বাঁচায়, কংগ্রেস তা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে’’, সংসদে রাজনাথ

    কঠোর পদক্ষেপ

    দিল্লি পুলিশ (Delhi) এই নেটওয়ার্কগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চে, এক বাংলাদেশি নাগরিক আরব থেকে ফেরার সময় একটি জাল ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে ধরা পড়েন। তদন্তে জানা যায় যে, তিনি ২০২০ সালে মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং পরে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন। এর পরবর্তী তদন্তে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করছিল। এছাড়া, নভেম্বর মাসেও এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ভারতে বেআইনি ভাবে প্রবেশ করে, একটি জাল ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে রাশিয়া যাচ্ছিলেন। এ সময় পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্টকেও আটক করা হয়। অক্টোবরে, দুটি বাংলাদেশি নাগরিককে হংকং থেকে ফিরতে গেলে জাল পাসপোর্ট নিয়ে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই সিন্ডিকেটগুলি নেপাল, মায়ানমার, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে সংগঠিত অপরাধীদের মধ্যে গড়ে উঠেছে। যারা জাল নথি তৈরির মাধ্যমে ভারতে প্রবেশের পথ তৈরি করে এবং অবৈধভাবে ভারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share