Tag: Delhi

Delhi

  • BJP: আম আদমি পার্টির দুর্নীতি! প্রদেশজুড়ে প্রচার চালাবেন দিল্লির সাত বিজেপি সাংসদ

    BJP: আম আদমি পার্টির দুর্নীতি! প্রদেশজুড়ে প্রচার চালাবেন দিল্লির সাত বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির আম আদমি সরকারের বিরুদ্ধে এবার তেড়েফুঁড়ে নামছে প্রদেশ বিজেপি (BJP)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে সাতটি আসনের মধ্যে সাতটিই দখল করে গেরুয়া শিবির। সেই সাংসদরা এবার প্রচার অভিযান চালাবেন দিল্লির আপ সরকারের দুর্নীতি নিয়ে। প্রসঙ্গত, একাধিক দুর্নীতির ইস্যুতে নাম জড়িয়েছে আম আদমি পার্টির। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হিসেবে উঠে আসে আবগারি দুর্নীতি। গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) ও উপমুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭০টি বিধানসভা আসন ও ২৫০টি ওয়ার্ডেই এই প্রচার অভিযান চলবে। ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণকে বিজেপির (BJP) সংসদ সদস্যরা বোঝাবেন কেজরিওয়ালের দুর্নীতি নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ব্যর্থতার কথাও তুলে ধরবেন বিজেপির সাংসদরা।

    কী বলছেন দিল্লি বিজেপির (BJP) প্রধান? 

    এ নিয়ে দিল্লি বিজেপির (BJP) সভাপতি বীরেন্দ্র সাচদেব সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) হোক কিংবা মনীশ সিসোদিয়া, সমগ্র আম আদমি পার্টিই হল দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড। দুর্নীতি লুকোতে তাঁরা এখন কেজরিওয়ালের পদত্যাগকে সামনে আনতে চাইছেন, দুর্নীতি থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য কিন্তু মানুষ কখনও ভুলে যাবে না কেজরিওয়ালের দুর্নীতির কথা এবং বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে পরাস্ত করবে দিল্লির জনগণ।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, বিজেপি কর্মীরা প্রতিটি নাগরিকের বাড়িতে পৌঁছাবে এবং কেজরিওয়ালের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কথা তাঁরা তুলে ধরবেন।

    গলি থেকে রাজপথ- আন্দোলনে নামছে দিল্লি বিজেপি (BJP) 

    আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর থেকে বিধায়কদেরও দুর্নীতির কথা বিজেপির (BJP) কর্মীরা তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন বীরেন্দ্র সাচদেব। দিল্লির জনগণ কেজরিওয়াল সরকারের প্রতি তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছে বলেও জানান দিল্লি বিজেপির প্রধান। দিল্লি বিজেপি আরও জানিয়েছেন যে, কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই দিল্লির রাস্তাতেই হবে। সাতজন বিজেপি সাংসদ সর্বদাই রাস্তায় থাকবেন- সংকীর্ণ গলি থেকে রাজপথ সর্বত্র প্রচার অভিযান চালানো হবে কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দুর্নীতি ইস্যুতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: পরিবারের নতুন সদস্য ‘দীপজ্যোতি’র সঙ্গে খুনসুটি মোদির, মজলেন নেটিজেনরা

    Narendra Modi: পরিবারের নতুন সদস্য ‘দীপজ্যোতি’র সঙ্গে খুনসুটি মোদির, মজলেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য সভায় প্রধানমন্ত্রীকে বার বার বলতে শোনা গিয়েছে মোদি কা পরিবার। সমস্ত দেশবাসীকে নিজের পরিবার বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই পরিবারে আরও এক ছোট্ট সদস্য বাড়ল। ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্যেও তার জন্য ঠিক সময় বের করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার সঙ্গে সময় কাটালেন। শনিবার সকালে তাঁর বাসভবনের নতুন সদস্যের সঙ্গে দেশবাসী তথা সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার নাম দিলেন ‘দীপজ্যোতি’! তার কপালে প্রদীপের শিখার মতো চিহ্ন থাকাতেই তার নাম রাখা হয়েছে ‘দীপজ্যোতি’। তবে, দীপজ্যোতি কোনও মানব সন্তান নয়। সে হল, একটি ছোট্ট সুন্দর গোশাবক!

    আরও পড়ুন: ‘আরজি কর কাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রত্যেক দেশবাসী’, সুইৎজারল্যান্ডে বললেন জয়শঙ্কর

    এক্স হ্যান্ডলে ‘দীপজ্যোতি’ ছবি শেয়ার প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi)

    দিল্লিতে (Delhi) লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গরু রয়েছে। সম্প্রতি এক গরু সন্তান প্রসব করেছে। পরিবারের সেই নতুন সদস্যকে পেয়ে খুশি প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডলে নিজের সেই খুশি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন মোদী। লিখলেন, লোক কল্যাণ মার্গে তাঁর বাসভবনে নতুন সদস্যের আগমন ঘটেছে। ছোট্ট দীপজ্যোতিকে কখনও প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আদর করছেন, কখনও তার কপালে এঁকে দিচ্ছেন সস্নেহ চুম্বন, কখনও আবার তার সঙ্গে একেবারে ছোটদের মতোই খুনসুটি আর খেলায় মেতে রয়েছেন দেশের প্রশাসনের শীর্ষে থাকা মানুষটি! এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রীর শেয়ার করা ভিডিও দেখা যাচ্ছে, বাসভবনের যেখানে দুর্গামূর্তি রয়েছে, সেখানে তিনি নিয়ে গিয়েছেন দীপজ্যোতিকে। পরিবারের নতুন সদস্যকে পুজো করেন তিনি। তাকে আদরে ভরিয়ে দেন। যেমন করে পরিবারের নতুন সদস্যকে সবাই স্বাগত জানান। তেমনভাবেই দীপজ্যোতিকে নিজের পরিবারে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। এইসব ছবি এবং ভিডিও দীপজ্যোতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নানা সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

     

    মন জয় করেছে নেটিজেনদের

    স্বাভাবিকভাবেই এমন একটি ভিডিও এবং সঙ্গে থাকা ছবিগুলি নেট নাগরিকদের মন জয় করে নিয়েছে। তাঁরা নিজেদের মতো করে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) বাসভবনের এই নয়া সদস্যকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দীপজ্যোতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির কাটানো এই সুন্দর মুহূর্তগুলি ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ছবিগুলি ‘রিপোস্ট করা হয়েছে। লাইক করেছেন ৯১ হাজারের বেশি মানুষ। আর ছবিগুলির ভিউ হয়েছে লক্ষ লক্ষ। রাষ্ট্রনেতাদের পশুপ্রেম নতুন কিছু নয়। বিশ্বের অনেক তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানেরই পোষ্য রয়েছে। মার্কিন মুলুকের হোয়াইট হাউস হোক, কিংবা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন – সর্বত্রই দেখা গিয়েছে এক ছবি। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পোষ্য হিসেবে বিড়াল বা কুকুরই বেশি পছন্দ করেন প্রশাসনের শীর্ষে থাকা মানুষগুলি। এক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের নতুন সদস্য কিছুটা ব্যতিক্রমী তো বটেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: জালনোটের ‘কিংপিন’ থেকে খুন! দিল্লি থেকে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মালদার তৃণমূল নেতা

    Malda: জালনোটের ‘কিংপিন’ থেকে খুন! দিল্লি থেকে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মালদার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে গ্রেফতার করা হল রাজ্যের প্রভাবশালী তৃণমূল (TMC) নেতা আসাদুল্লাহ বিশ্বাসকে। আন্তঃরাজ্য জালনোট পাচার চক্রের ‘কিংপিন’ ছিলেন তিনি। গতমাসেই মালদার (Malda) কালিয়াচকের একটি খুনের মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে আসে রাজ্যের মালদা জেলার ‘কালিয়াচকের ত্রাস’ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা আসাদুল্লাহ বিশ্বাসের। 

    দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) এম. হর্ষবর্ধনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির পাহাড়গঞ্জের একটি পানশালায় বসে বসে বেশ জমিয়ে মদ খাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। তখনই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদার রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল’ হিসেবে পুলিশের খাতায় নাম রয়েছে আসাদুল্লাহর। তারপরেও তিনি কালিয়াচক তৃণমূলের শেষ কথা বলে পরিচিত।

    খুনের পরই দিল্লিতে আত্মগোপন করেন আসাদুল্লাহ

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মালদার (Malda) খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত আসাদুল্লাহ বিশ্বাস নিজের গ্রেফতারি এড়াতে দিল্লিতে গিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। কালিয়াচক থানা ইতিমধ্যে আসাদুল্লাহর ছেলে সরফরাজ বিশ্বাস সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে এই খুনের ঘটনায়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রধান মহম্মদ সারিউলও। গত ১৮ অগাস্ট অহেদুল শেখ নামে এক যুবককে খুন করার অভিযোগ ওঠে আসাদুল্লাহর বিরুদ্ধে। এর আগেও কালিয়াচক থানা পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিন বছর জেল খেটেছিলেন আসাদুল্লাহ। কিন্তু পরে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরে আসেন তিনি। এবার ঝাড়খণ্ড হয়ে দিল্লিতে জালনোট পাচার করতে গিয়ে সেই রাজ্যের পুলিশের জালে ধরা পড়লেন  আসাদুল্লাহ।

    একাধিক অভিযোগ (Malda) 

    ২০১৭ সালেও এনআইএ আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করে বলে জানা যায়। তার আগে, ২০১৬ সালে এই তৃণমূল নেতাকে বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি), ইডি’র খাতায় আশাদুল্লাহ বিশ্বাসের নামে অন্তত ৫০টি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মালদার জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মালদায় (Malda) নিয়ে আসা হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: নির্যাতিতার চোয়ালে কামড়ের দাগ কি ধৃত সিভিকের? দিল্লিতে নমুনা পাঠাল সিবিআই

    CBI: নির্যাতিতার চোয়ালে কামড়ের দাগ কি ধৃত সিভিকের? দিল্লিতে নমুনা পাঠাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার চোয়ালের ডান দিকে কামড়ের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। ওই চিহ্ন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের কি না, তা জানতে চায় সিবিআই। এর আগে সিএফএসএল বিশেষজ্ঞদের মত ছিল, কামড়ের দাগ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের। সূত্রের খবর, তবে সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিলেন না সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। নিশ্চিত হতে এ বার সঞ্জয়ের দাঁতের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। দিল্লির ফরেন্সিক ল্যাবে নমুনা পাঠানো হল।  

    জেলে গিয়ে অভিযুক্ত সিভিকের নমুনা সংগ্রহ (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সঞ্জয়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য আলিপুরের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারীরা। আদালত সেই অনুমতি দেওয়ার পরই বুধবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সির আধিকারিকরা পৌঁছন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক সেখানে কাটান। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি তাঁর দাঁতের গঠনের ছবি করেন। সঞ্জয়ের কামড়ের নমুনা বা টিথ ইমপ্রেশন সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার শরীরে যে কামড়ে চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, এই নমুনার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, যেদিন সেমিনার হল থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই দিন তাঁর ডানদিকের চোয়ালে কালশিটে দাগ পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে বিষয়টিকে ‘বাইট মার্ক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এবার নির্যাতিতার শীরের দাগটি সঞ্জয়ের থেকেই তৈরি হওয়া কি না তা নিশ্চিত হতেই দিল্লিতে সিএফএসএল দিল্লিতে এই নমুনা পাঠাল সিবিআই। অপরদিকে, প্রাথমিকভাবে যাচ্ছে, এইমসে যে ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়েছিল তাতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তির অস্তিত্বের জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    সিবিআইয়ের অনুমান

    আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে গত ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল বলে উল্লেখ রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। যদি সঞ্জয়ের দাঁতের থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে নির্যাতিতার শরীরের কামড়ের চিহ্ন না মেলে তাহলে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরও কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনা থাকবে বলে অনুমান সিবিআইয়ে (CBI)। উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার গিয়েছিল সিবিআই-এর হাতে। আপাতত আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন সঞ্জয়। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র অভিযুক্ত তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: শাহি তলব! আরজি কর কাণ্ডের আবহে দ্রুত দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল বোস

    CV Ananda Bose: শাহি তলব! আরজি কর কাণ্ডের আবহে দ্রুত দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দিল্লিতে তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আরজি কর কাণ্ডের আবহেই বৃহস্পতিবার বিকেলেই রাজধানীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। কোন কারণে রাজ্যপালকে (CV Ananda Bose) দিল্লিতে তলব করা হয়েছে, সেই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। 

    কেন দিল্লিতে তলব

    রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপালকে ডেকে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেই তলবেই তড়িঘড়ি দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। বাংলার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে শাহের আলোচনা হতে পারে। আরজি করকাণ্ডের আবহে রাজ্যপালকে বৈঠকের জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ। তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজ্যপাল দিল্লি যাবেন বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আরও সিরিয়াস বিষয় আছে’’, ছবি মুক্তি নিয়ে রাজ্যের আপত্তি শুনলই না হাইকোর্ট

    সুকান্ত-দিলীপ সাক্ষাত

    আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামের একটি সংগঠন মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন করেছিল বিজেপি। তার পরে বুধবার তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন বিজেপিকে। তাঁর কিছু মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বুধবার ওই মন্তব্যের প্রতিবাদে শাহকে (Amit Shah) চিঠি লিখেছিলেন সুকান্ত। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছিলেন। মমতার মন্তব্য ‘বদলার রাজনীতিকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে’, বলে অভিমত সুকান্তর। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পর বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেছেন সুকান্ত। এরপরই দিল্লিতে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বোসকে ডাকা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

    BJP: দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। ‘বিজেপিকে জানুন’ নামে একটি কর্মসূচিতে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি সম্প্রতি তিন দিনের সফরে এসেছেন ভারতে। নাড্ডা দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে অত্যন্ত আশা প্রকাশ করেছেন।

    ঠিক কী বললেন নাড্ডা (BJP)?

    বিজেপির (BJP) বিদেশ পর্যবেক্ষক বিজয় চৌথাইওয়ালে জানিয়েছেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠকে ওই দেশের শাসকদল ও বিজেপির মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে ‘বিজেপিকে জানুন’-এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে নাড্ডা (JP Nadda) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বলেন, “এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের শাসক দলের মধ্যে সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ভাবনার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাই দাতো সেরি আনোয়ার বিন ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা করে বেশ সম্মানিত হয়েছি। আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক দল সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি বিনিময় করতে পেরেছি। দুই দেশ এবং দুই শাসক দলের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও গভীর ভাবে অধ্যায়ন করা সম্ভবপর হয়েছে। ভারত-মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে ইউনূস জমানায় মুক্ত করে দেওয়া হল জঙ্গি নেতা রাহামানিকে

    শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আয়ুর্বেদ নিয়ে আলোচনা

    বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। গত এক দশকে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বেশ উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে একাধিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনার বিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। দুই দেশের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আয়ুর্বেদ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। দুই নেতার মধ্যে মতবিনিময়ে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং পিপলস জাস্টিস পার্টির মধ্যে সহজতর সম্পর্ক নির্মাণে আলোচনা হয়েছে। দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং পরস্পরের বোঝাপড়া গড়ার বিষয়ে ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয়েছে। উল্লেখ্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কার্যকালের প্রথম সফরসূচি বলে জানা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসি হয়েছিল ৭ বছর পর!  কবে হবে তিলোত্তমার খুনের বিচার?

    RG Kar Incident: নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসি হয়েছিল ৭ বছর পর! কবে হবে তিলোত্তমার খুনের বিচার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের (Nirbhaya Case) কথা মনে আছে? কলকাতায় সম্প্রতি আরজি করে এক মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনার পর ফের উঠে আসছে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের কথা। নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডের প্রায় ১২ বছর পর কলকাতায় আরজি করে (RG Kar Incident) এই তরুণী চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনায় সরব হয়েছেন সবাই। সবার একটাই প্রশ্ন, দোষীদের শাস্তি হবে কবে?   

    নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ড (Nirbhaya Case) 

    ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ দিল্লির মুনির্কাতে ওই নৃশংস ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। বিক্ষোভ, মিছিল, দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছিল সবাই। সেদিন রাতে নির্ভয়া ও তাঁর বন্ধু সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রথমে অটো ধরে মুনির্কা বাসস্ট্যান্ডে আসেন। রাত তখন সাড়ে ৯টা। তাঁদের সামনে একটি বাস এসে দাঁড়ায়। এক নাবালক মুখ বাড়িয়ে জানতে চায়, তাঁরা কোথায় যাবেন। দ্বারকার কথা বলতেই সে জানায়, ওইপথেই বাস যাবে। বাসে উঠেন নির্ভয়া ও তাঁর বন্ধু। বাসে তখন চালক-সহ ৬ জন। নির্ভয়ার কাছ থেকে ২ জনের ভাড়া হিসেবে ২০ টাকা নেয় কন্ডাক্টর। তখনও কিছু সন্দেহ হয়নি তাঁদের। কিন্তু, বাস অন্য রুট ধরতেই নির্ভয়ার বন্ধু চমকে ওঠেন। রুট বদলানোর কারণ জানতে চান। ততক্ষণে নিজেদের আসল মূর্তি ধারণ করেছে ওই ৬ জন। বাসের দরজা বন্ধ করে দেয়। নির্ভয়ার বন্ধুকে মারধর করা হয়। তারপর শুরু হয় সেই নৃশংসতা। নির্ভয়াকে গণধর্ষণের পাশাপাশি তাঁর যৌনাঙ্গে রড ঢোকানো হয়। ৬ জনের মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস ছিল এক নাবালক। নৃশংস অত্যাচারের পর নির্ভয়া ও তাঁর বন্ধুকে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে পালায় তারা। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে নির্ভয়াকে। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর দোষীদের চিহ্নিত করতে ও তাদের সাজা পাওয়াতে কেটে গেছিল অনেকগুলো বছর। বহু ঘাতপ্রতিঘাত পেরিয়ে অবশেষে নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রায় ৭ বছর ৪ মাস পর ২০২০ সালের ২০ মার্চ মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর ও পবন গুপ্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার আগে এক অভিযুক্ত জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। আর এক অভিযুক্ত নাবালক হওয়ায় তাকে ৩ বছর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। 

    আরও পড়ুন: কলকাতার রাস্তায় শারীরিক হেনস্থার শিকার গায়ক দুর্নিবার, সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মোহরও

    তিলোত্তমার অপরাধীরা কবে শাস্তি পাবে? (RG Kar Incident) 

    নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডের (Nirbhaya Case) মতো এবারেও কলকাতায় আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে নৃশংস খুনের ঘটনায় সরব হয়েছেন সবাই। ‘রাত দখল’ করেছেন মহিলারা। নির্ভয়াকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলছেন অনেকে। নির্ভয়াকাণ্ডের মতো আরজি করের নৃশংস ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির সাজার দাবি উঠছে। কিন্তু এই দোষীদের কি আদৌ সাজা হবে? কবে আসবে সেই দিন? অপেক্ষায় গোটা দেশ। 
    যদিও ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আরও কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে নারকীয় এই ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যেতেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে এজেন্সি। আরজি করের (RG Kar Incident) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও জেরা করে চলেছে সিবিআই। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: একটানা ৯৮ মিনিট! স্বাধীনতা দিবসের দীর্ঘতম ভাষণ দিয়ে রেকর্ড গড়লেন মোদি

    PM Modi: একটানা ৯৮ মিনিট! স্বাধীনতা দিবসের দীর্ঘতম ভাষণ দিয়ে রেকর্ড গড়লেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সাল থেকে এই নিয়ে টানা ১১ বার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় ভাষণ দিলেন মোদি (PM Modi)। আর এই দিনই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতার দিবস উপলক্ষে দীর্ঘতম ভাষণ (Independence Day Speech) দিয়ে ইতিহাস গড়লেন তিনি। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে একটানা ৯৮ মিনিট ভাষণ দেন মোদি। এর আগে ২০১৬ সালে মোদি টানা ৯৬ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন। এতদিন সেটাই ছিল দীর্ঘতম ভাষণের রেকর্ড। ফলে, অতীতে নিজের গড়া নজির এদিন নিজেই ভেঙে নয়া নজির গড়লেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অন্যদিকে, ২০১৭ সালে তিনি ৫৬ মিনিট বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এটাই তাঁর সংক্ষিপ্ততম ভাষণ। গড়ে, মোদি ৮২ মিনিট বক্তব্য রাখেন— এটিও দেশের যে কোনও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে দীর্ঘতম।

    সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে মোদি (PM Modi)

    সবচেয়ে বেশিবার ভাষণ দেওয়া প্রধানমন্ত্রীদের নিরিখে মোদি এখন তৃতীয় স্থানে। কারণ ২০১৪ সাল থেকে টানা ১১ বার লালকেল্লায় ভাষণ দিয়েছেন মোদি। তাঁর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সবচেয়ে বেশিবার লালকেল্লায় ভাষণ দিয়েছেন জওহরলাল নেহরু। লালকেল্লায় মোট ১৭ বার ভাষণ দিয়েছেন তিনি। স্বাধীন দেশের প্রথম ভাষণও দেন নেহরুই। আর তাঁর পর ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ এবং পরে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সে সময় ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোট ১৬ বার পতাকা উত্তোলনের পর দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ (Independence Day Speech)  দেন। তাঁদের পরে এতদিন তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন মনমোহন সিং। তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১০ বার স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। তবে এবার টানা ১১ বার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দিয়ে মনমোহনকে ছাপিয়ে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাধীনতা দিবসে ভাষণের নিরিখে তৃতীয় স্থানে উঠে গেলেন নরেন্দ্র মোদি।  

    আরও পড়ুন: “কারণ ছাড়াই টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশ নিয়ে বললেন মোহন ভাগবত

    উল্লেখ্য, এবারের স্বাধীনতা দিবসে  সরকারের মূল লক্ষ্যগুলিকে নতুন মোড়কে তুলে ধরলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে  তুললেন ‘বিকশিত ভারতে’র কথা। স্বপ্ন দেখালেন ভারতকে ‘বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ’ হিসাবে গড়ে তোলার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে প্যারিস অলিম্পিক্স দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে প্যারিস অলিম্পিক্স দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুদিন বাদেই পালিত হবে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। আর সেই উপলক্ষে প্রতিবারের মত দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। লাল কেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এরই ফাঁকে ভারতের প্যারিস অলিম্পিক্স দলের (Paris Olympics contingent) সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পর দুপুর ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী দলটির সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

    অলিম্পিক্স পদকজয়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের ১১৭ জন অ্যাথলিটের সম্পূর্ণ দল উপস্থিত থাকবে। একইসঙ্গে এও জানা গিয়েছে, যে সব ক্রীড়াবিদরা এবছরের প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে ভারতকে ছ-ছটি পদক এনে দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা ভাবে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যদিও প্যারিস অলিম্পিক্সে পদক জেতার পরেই প্রধানমন্ত্রী বিজয়ীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। অন্যদিকে,  একটুর জন্য পদক হাতছাড়া হওয়া ভিনেশ ফোগাটের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন তিনি এবং কুস্তিগীরের পরিস্থিতির পাশে থেকে ট্যুইট করে তাঁকে সাহস জুগিয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে অতিথি তালিকায় যুব-দরিদ্র-নারী-কৃষকদের আমন্ত্রণ, উদ্যোগী মোদি

    পদকজয়ীদের শুভেচ্ছা বার্তা মোদির 

    উল্লেখ্য, এবারের প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের লক্ষ্য ছিল ১০টি পদক জেতার। তবে খেলা শেষে ভারতের ঝুলিতে এসেছে মোট ৬টি পদক, এর মধ্যে ১টি রুপো ও ৫টি ব্রোঞ্জ পদক রয়েছে। ২০২০ টোকিও অলিম্পিক্সে স্বর্ণপদক বিজয়ী নীরজ চোপড়ার হাত ধরেই এ বছর প্যারিস অলিম্পিক্সে একমাত্র রুপোর পদক এসেছে। আর অন্যদিকে মনু ভাকেরের হাত ধরে দু’দুটি ব্রোঞ্জ পদক এসেছে। মনু ভাকের ১০ মিটার এয়ার পিস্টল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছেন এবং পরে সরবজোৎ সিংয়ের সঙ্গে ১০ মিটার এয়ার পিস্টল মিশ্র দল ইভেন্টে আরও একটি পদক যেতেন। এছাড়াও টেবিল টেনিসে মানিকা বাত্রা এবং শ্রীজা আকুলা উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছেন। ভারতের এই সাফল্যে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) পদকজয়ীদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে বলেছেন, ”সমস্ত ক্রীড়াবিদ (Paris Olympics contingent) তাদের সেরাটা দিয়েছেন এবং প্রত্যেক ভারতীয় তাদের জন্য গর্বিত। আমাদের ক্রীড়া নায়কদের তাদের এই প্রচেষ্টার জন্য শুভকামনা জানাই।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে এক বাঙালির নাম! জানেন কে তিনি?

    Victoria Memorial: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে এক বাঙালির নাম! জানেন কে তিনি?

    হরিহর ঘোষাল

    ১৯০১ সালের ২২ জানুয়ারি প্রয়াত হন রানি ভিক্টোরিয়া। ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী। ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া তখন আবার ভারতেরও সম্রাজ্ঞী। তাঁর রাজত্বকাল ১৮৫৭ থেকে ১৯০১-এর ২২ জানুয়ারি। সেই বিশেষ দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বলা বাহুল্য, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রাজত্বকালও শেষ হয়। রানির (Victoria Memorial) প্রয়াণের পর কলকাতায় তড়িঘড়ি এক বৈঠক ডাকেন তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন। প্রয়াত রানিকে বিশেষভাবে সম্মান জানানোর প্রস্তাব রাখেন তিনি। প্রস্তাব ওঠে তাক লাগানো এক স্মৃতিসৌধ তৈরির। এশিয়াটিক সোসাইটিতে তিনি সে কথা বলেনও। শুরু হয় প্রস্তুতি।

    তাজমহলের আদলে ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial)

    স্মৃতিসৌধ বানাতে কলকাতায় (Kolkata) জমি খোঁজা শুরু হয়। যে জমিতে আজ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (Victoria Memorial) অবস্থান করছে, অতীতে সেটি ছিল প্রেসিডেন্সি জেলের জমি। প্রধানত রাজনৈতিক বন্দিদেরই এই জেলে রাখা হত। তবে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাবের পর প্রেসিডেন্সি জেল সেই জমি থেকে আলিপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। ভিক্টোরিয়াকে হঠাৎ দেখলে তাজমহল বলে ভুল হয়। আসলে তাজমহলের অনুসরণেই এই স্মৃতিসৌধটি তৈরি করা হয়েছিল। বেলফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করেন স্যার উইলিয়াম এমারসন। তাঁকে ইতালীয় রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীতে স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুধুমাত্র ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর প্রয়োগ তাঁর পছন্দ ছিল না। তাই ইন্দো-সারাসেনিক শৈলীর সঙ্গে মুঘল শিল্পকলা যুক্ত করে মূল সৌধের নকশা প্রস্তুত করেন এমারসন। এছাড়াও ভিক্টোরিয়াতে মিশরীয়, ইসলামিক, ভেনেটিয়ান এবং ডেকানি সংস্কৃতির প্রভাব স্পষ্ট। রানির নামে সেই সৌধের নাম রাখা হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।

    স্মৃতিসৌধ করতে লেগেছিল ১১ বছর

    ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত স্মৃতিসৌধ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (Victoria Memorial) তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯০১ সালে, যেখানে থাকবে প্রচুর গাছ এবং ফুলের বাগান। ভাইসরয়ের ইচ্ছে ছিল, তাক লাগানো সেই স্মৃতিসৌধ দেখতে পর্যটকরা কলকাতায় ভিড় জমাবেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল তাজমহলকে টেক্কা দেওয়ার। তবে তাজমহলকে টেক্কা দিতে না পারলেও জনপ্রিয়তায় তাজের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। রানির স্মৃতিসৌধ বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাব করা হয় ১৯০১ সালে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তার নকশা তৈরি সহ অন্যান্য কাজ এগোতে থাকে। ১৯০৬ সালে শুরু হয় সৌধ নির্মাণের কাজ। সৌধটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। বোন ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর তাঁরই রাজা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বাবা সপ্তম এডওয়ার্ড বেঁচে থাকা পর্যন্ত তিনি রাজা হতে পারেননি। পঞ্চম জর্জ যখন ভারতে এসেছিলেন, ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের জাতিগত বিদ্বেষ দেখে অত্যন্ত বিরক্ত হন। ভারতীয় রাজনীতি এবং প্রশাসনিক কাজে ভারতীয়দের অংশগ্রহণকে উৎসাহ দেন। তাঁর রাজত্বকালেই ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।

    ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরি হতে সময় লাগে প্রায় ২০ বছর। রানি ভিক্টোরিয়া প্রয়াত হন ১৯০১ সালে। তাঁর স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয় ১৯০৬ সালে। অফিশিয়ালি নির্মাণকাজ শুরু হয় তার প্রায় চার বছর পর অর্থাৎ ১৯১০ সালে। নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় লাগে ১১ বছর। সব মিলিয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নির্মাণ শেষ হয় ১৯২১ সালে। এর নকশা করেছিলেন স্যার উইলিয়ম এমার্সন। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ ইনস্টিটিউট অফ আর্কিটেক্ট-এর প্রেসিডেন্ট। সৌধ-সংলগ্ন বাগানটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও স্যার জন প্রেইন। সৌধ নির্মাণের বরাত দেওয়া হযেছিল কলকাতার মার্টিন অ্যান্ড কোং-কে। এই সংস্থার যুগ্ম মালিক ছিলেন স্যার থমাস অ্যাকুইনাস এবং স্যার রাজেন মুখোপাধ্যায়। সৌধ নির্মাণের পর রাজেন মুখোপাধ্যায়কে নাইট উপাধি দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।

    কত খরচ?

    ভিক্টোরিয়া (Victoria Memorial) স্মৃতি সৌধ তৈরির জন্য পাথর আনা হয়েছিল রাজস্থান থেকে। বিশালাকার স্মৃতসৌধটির উচ্চতা প্রায় ৫৬ মিটার। মধ্যভাগে রয়েছে একটি বিশালাকার গম্বুজ এবং চার ধারে রয়েছে চারটি ছোট গম্বুজ। দেশের টাকায় রানির স্মৃতিসৌধ তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন ব্রিটিশ ভাইসরয়। অথচ সেটি তৈরির খরচ প্রধানত বহন করতে হয়েছিল দেশের মানুষকে। তুলনায় ব্রিটিশদের খরচ ছিল অনেক কম। স্মৃতিসৌধ তৈরির জন্য লর্ড কার্জন ভারতীয় রাজা, জমিদার, ধনী-অভিজাত ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থদানের আবেদন জানান। আদতে তা ছিল ভাইসরয়ের আদেশ। সেই আদেশ খণ্ডন করার সাহস কারও ছিল না। সেই সময় স্মৃতিসৌধ তৈরি করতে খরচ পড়েছিল প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কালো রং

    শ্বেত পাথরের তৈরি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে (Victoria Memorial) একবার সম্পূর্ণ কালো রং করে দেওয়া হযেছিল। সালটা ছিল ১৯৪৩। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল সেই সময়। এমনকী জাপানি সৈন্যদের আক্রমণের ভয়ে ভিক্টোরিয়ার ছবি প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। শ্বেত পাথরের সাদা ইমারত বহু দূর থেকেও দেখা যায়। ফলে সে সব স্থান বোমায় উড়িয়ে দেওয়া সহজ। সে কারণেই সতর্কতা স্বরূপ স্বরূপ ভিক্টোরিয়ার রং কালো করে দেওয়া হয়। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় সংগ্রহশালা এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share