Tag: Donald Trump

Donald Trump

  • S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, এটা ভারতের জন্য…”, বড় বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী।” কথাগুলি বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    লন্ডনে চ্যাথাম হাউসের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ব্রোনওয়েন ম্যাডক্সের সঙ্গে এক আলোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, “ট্রাম্পের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে (Donald Trump) দিল্লি আশ্চর্য হয়নি। বেশিরভাগ সময় রাজনৈতিক নেতারা যা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বেশিরভাগটাই করেন বা অন্তত চেষ্টা করেন। তাঁরা সব সময় সফল হন না, বা সব সময় যা চান, তা পান না। কিন্তু সব রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের একটা অ্যাজেন্ডা থাকে। এই আবহে আমি মনে করি, গত কয়েক সপ্তাহে আমরা যা দেখেছি এবং শুনেছি, তার বেশিরভাগটাই প্রত্যাশিত ছিল। তাই আমি একটু অবাক হয়েছি যে অন্যরা তা দেখে অবাক হচ্ছেন।”

    বহু মেরুকরণ

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকায় এখন আমরা একজন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসন দেখছি যারা বহু মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের পক্ষে এটা বেশ উপযোগী। আমাদের কখনও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের সঙ্গে কোনও সমস্যা হয়নি, অন্তত সাম্প্রতিক সময়ে। আমাদের ওপর এমন কোনও বোঝা নেই যা আমরা বহন করে চলেছি।” ব্রিকস দেশগুলি আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের বদলি খুঁজছে বলে কিছুদিন আগেই অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। সে প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “আন্তর্জাতিক মুদ্রারূপে মার্কিন ডলারের বদলি খোঁজার কোনও নীতি ভারতের নেই।” তিনি বলেন, “মার্কিন ডলার মুদ্রা রূপে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উৎস। আর আমরা বিশ্বে আরও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই। বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপন করার ব্যাপারে ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির মধ্যে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেই।”

    বুধ-সন্ধ্যায় চ্যাথাম হাউস থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আয়োজিত ‘বিশ্বে ভারতের উত্থান ও ভূমিকা’ শীর্ষক এক অধিবেশনেও যোগ দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সেখানেও তিনি ট্রাম্পের বহু মেরুকরণের উল্লেখ করেন। ট্রাম্পের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের মধ্যে একটি বড় যৌথ উদ্যোগ হল কোয়াড, যা এমন একটি বোঝাপড়া যেখানে প্রত্যেকে তাদের ন্যায্য অংশ প্রদান করে। এখানে ফ্রি রাইডার্স কেউ নেই। এটি (Donald Trump) একটি ভালো মডেল, কার্যকরীও বটে (S Jaishankar)।”

  • Volodymyr Zelenskyy: হোয়াইট হাউসের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ, জেলেনস্কির মুখে এখন শান্তির বার্তা

    Volodymyr Zelenskyy: হোয়াইট হাউসের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ, জেলেনস্কির মুখে এখন শান্তির বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)! হোয়াইট হাউসকাণ্ডের জেরে ইউক্রেনকে সব রকম সামরিক সহায়তা দেওয়া (Ukraine Peace) বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দুঃখ প্রকাশ (Volodymyr Zelenskyy)

    তিনি বলেন, “শুক্রবার ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে আমাদের বৈঠকটি যেমন হওয়া উচিত ছিল, তেমন হয়নি। এটা দুঃখজনক যে এটা এভাবে ঘটেছে। এখন সময় এসেছে সব কিছু ঠিক করার। আমরা চাই, ভবিষ্যতের সহযোগিতা ও যোগাযোগ গঠনমূলক হোক।” মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট (Volodymyr Zelenskyy) বলেন, “আমি শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমার দেশ স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনায় বসতে চায়।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি ও আমার দল সর্বদা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃঢ় নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত।” জেলেনস্কি বলেন, “কেউই এই যুদ্ধ চায় না।”

    যুদ্ধ শেষ করতে রাজি

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা যুদ্ধ শেষ করার জন্য দ্রুত কাজ করতে প্রস্তুত এবং এর প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে বন্দিদের মুক্তি এবং আকাশ ও সমুদ্রে যুদ্ধবিরতি; যদি রাশিয়াও একই কাজ করে। এর আওতায় ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার ড্রোন, জ্বালানি ও অন্যান্য অসামরিক পরিকাঠামোর ওপর বোমা-হামলা নিষিদ্ধ করা উচিত। আমরা পরবর্তী সব পদক্ষেপ খুব দ্রুত সম্পন্ন করতে চাই। এবং একটি শক্তিশালী চূড়ান্ত চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ সাহায্য করেছে, আমরা তা সত্যিই মূল্যবান বলে মনে করি। আর আমরা সেই মুহূর্তটির কথা মনে করি, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে জ্যাভেলিন সরবরাহ করেছিলেন, তখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছিল। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

    জেলেনস্কি বলেন, “ইউক্রেন যে কোনও সময় এবং যে কোনও সুবিধাজনক বিন্যাসে খনিজ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। আমরা এই চুক্তিকে বৃহত্তর নিরাপত্তা ও দৃঢ় নিরাপত্তা নিশ্চয়তার জন্য একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখছি (Ukraine Peace)। আমি সত্যিই আশা করি, এটি কার্যকরভাবে কাজ করবে (Volodymyr Zelenskyy)।”

  • Donald Trump: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, ঘোষণা ট্রাম্পের, এখন কী করবেন জেলেনস্কি?

    Donald Trump: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, ঘোষণা ট্রাম্পের, এখন কী করবেন জেলেনস্কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নয়, এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। জেলেনস্কি উদ্বিগ্ন ছিলেন মার্কিন সমর্থন ছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধেটিকে থাকার সম্ভাবনা কম। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। এবার কী করবেন তিনি? ইউরোপ কি তাঁকে বাঁচাতে পারবে? এমন প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে আন্তর্জাতিক মহলে। কোনও কোনও মহলের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেনকে চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিল ট্রাম্প প্রশাসন। চাপে পড়ে অবশ্য জেলেনস্কির (Ukraine) সুর নরম। এখন বিপদ বুঝে মুখে সমঝোতার বার্তাও দিয়েছেন নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে। এক্স মাধ্যমে জেলেনস্কির বার্তা, ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠা খুব শীঘ্রই দরকার। আমেরিকা ও ইউরোপের বন্ধুরা সেই পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা রাখি।’’ জানা গিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়া থেকে ইউক্রেনকে এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে আমেরিকা। যা দেওয়া বাকি ছিল, এখন তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।

    গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন জেলেনস্কি

    দিন কয়েক আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন (Donald Trump) সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধান। সেসময় ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির যৌথ বিবৃতি ভেস্তে যায়। ওই সময়ে ট্রাম্প এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপ্রধানের। পরে দু’দেশের যৌথ সাংবাদিক বিবৃতির সময়ে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্প এবং ভান্সের তপ্ত বাক্যবিনিময় চলে কিছু ক্ষণ, যা সাম্প্রতিক অতীতে কখনও দেখা যায়নি। এর জেরেই ভেস্তে যায় আমেরিকা-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি। এরপরেই শোনা যায়, হোয়াইট হাউস থেকে মধ্যাহ্নভোজ না সেরেই বেরিয়ে যান জেলেনস্কি। এই আবহে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য পাঠানো আপাতত বন্ধ করে দিল ট্রাম্প প্রশাসন।

    হোয়াইট হাউসের শীর্ষ আধিকারিক কী বললেন সংবাদমাধ্যমকে

    হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, “শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে স্থির রয়েছেন ট্রাম্প (Donald Trump)। আমরা চাই আমাদের বন্ধুরাও সেই একই লক্ষ্যে স্থির থাকুক। আমরা তাই আপাতত সাহায্য (ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য) বন্ধ রেখে তা পর্যালোচনা করছি, যাতে এর মাধ্যমে কোনও সমাধানের পথ বেরোয়।” বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য আপাতত বন্ধ রেখে শান্তিচুক্তির জন্য চাপ তৈরি করতে চাইছে আমেরিকা। আসলে ট্রাম্প চাইছেন রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি বন্ধ করতে উদ্যোগী হোন জেলেনস্কি।

  • Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছিল। পথ খোলা ছিল দুটো – হয় পথ বদল, নয় পদত্যাগ। শেষ পর্যন্ত এই দুই বিকল্পের মধ্যে প্ল্যান এ-টাই বেছে নিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটেন থেকে রবিবার তিনি (Zelenskyy) জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি আছেন তিনি।

    বৈঠক করতেও আপত্তি নেই (Ukraine)

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছেন, আমেরিকা যদি তাঁকে আবারও ডাকে, তাহলে ফের তিনি সেখানে যেতে প্রস্তুত। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক করতেও আপত্তি নেই তাঁর। এই সব কিছুর পরেও অবশ্য ছোট্ট একটা শর্তও দিয়ে রেখেছেন জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কথাও শুনতে হবে। বিবেচনা করতে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থাও। আমেরিকার সঙ্গে খনিজসম্পদ সংক্রান্ত চুক্তিকে তিনি বর্ণনা করেছেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম ধাপ হিসেবে। এক্স হ্যান্ডেলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমরা খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এবং এটি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম পদক্ষেপ। তবে এটি যথেষ্ট নয়, আমাদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন।”

    ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক

    তিনি লিখেছেন, “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা তিন বছর ধরে যুদ্ধ করছি, এবং ইউক্রেনের জনগণের জানা প্রয়োজন যে আমেরিকা আমাদের পাশে আছে।” সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি। তাতে বলেছেন, “আমরা ইউরোপ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। একটি বিষয়ে সকলেই একমত, সকলেই শান্তি চায়। সেই কারণেই আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। এটাই ইউরোপের অবস্থান। অবশ্যই আমরা আমেরিকাকেও গুরুত্ব দিই। ওদের কাছ থেকে আমরা অনেক সাহায্য পেয়েছি। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ইউক্রেনের প্রতিরোধ পুরোটাই তার বন্ধু দেশগুলির সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। যে সাহায্য তারা করছে ইউক্রেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। আমরা শান্তি চাই। বিরামহীন যুদ্ধ চাই না। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এই শান্তির চাবিকাঠি।”

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

    রবিবার লন্ডনে আয়োজিত ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতাদের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও। সেখানে তিনি জানান, ওয়াশিংটনের বৈঠকে যা ঘটেছে, তা থেকে আমেরিকা কিংবা ইউক্রেনের কোনও লাভ হবে না। লাভ হবে রাশিয়ার। এর পরেই জেলেনস্কি বলেন, “আমাকে যদি ডাকা হয়, আমি আবার আমেরিকায় যাব। খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে এখনও আমি প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কথাও শুনতে হবে।” ইউক্রেনের জমির মালিকানা নিয়ে তিনি যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনও (Zelenskyy) সমঝোতার পথে হাঁটবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    হোয়াইট হাউসে বিতণ্ডা

    প্রসঙ্গত, খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যেই হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট। সেখানে ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠকে তিনজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। যার জেরে বাতিল হয়ে যায় চুক্তি। মিনিট চল্লিশের ওই বৈঠক শেষেই মধ্যাহ্নভোজ না করেই হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা থেকে জেলেনস্কি সোজা চলে যান ব্রিটেনে। সেখানে তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে। পরে লন্ডনে একটি সম্মেলনেও যোগ দেন তিনি। তার পরেই জানান, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি এখনও প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেন, “আমি শুধু চাই, ইউক্রেনের অবস্থার কথাটাও শোনা হোক। বিবেচনা করা হোক। আমাদের বন্ধু দেশগুলি মনে রাখুক, এই যুদ্ধে মূল আগ্রাসী কারা, কারাই বা আগে যুদ্ধ শুরু করেছিল।”

    সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর

    আমেরিকা-ইউক্রেন (Ukraine) সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জেলেনস্কির আচরণকে ‘অত্যন্ত অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, চার্চিল “একটি বিশেষ মুহূর্তের নেতা ছিলেন, কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডকে পরবর্তী পর্বে রূপান্তর করতে পারেননি। বিশেষ করে শুক্রবার যা দেখলাম, তার পরে এটা পরিষ্কার নয় যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনকে এই যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে নিয়ে যেতে এবং আলোচনা করে আপস করতে প্রস্তুত কিনা।” ওয়াল্টজ বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য ইউক্রেন থেকে আঞ্চলিক ছাড়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে রাশিয়ার ছাড় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তবে মস্কোকে কী করতে হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও বিস্তারিত তথ্য দেননি।”

    আমেরিকার হাউস স্পিকার মাইক জনসনও ওভাল অফিসের বিতর্কের পর জেলেনস্কি সম্পর্কে বলেন, “হয় তিনি যেন যুক্তিসঙ্গত হন এবং কৃতজ্ঞতা সহকারে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসেন, নতুবা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে এগিয়ে আসতে হবে (Zelenskyy)।”

    এর পরে আর কীই বা করতে পারতেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট!

  • Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    Trump-Zelenskyy Meet: হল না খনিজ চুক্তি! ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকে তুমুল বচসা, বাতিল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! বিশ্ব রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে এমন ঘটনা খুব কমই শোনা যায়। রুদ্ধদ্বার বৈঠক বেরিয়ে এল ঘরের বাইরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন (Trump-Zelenskyy Meet)। কিন্তু মাঝপথে রেগেমেগে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। ফলে দু’জনের মধ্যে পূর্ব ঘোষণা মতো চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাতিল হয় যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও। এই ঘটনার জন্য ট্রাম্প এবং জেলেনস্কি পরস্পরকে দায়ী করেছেন।

    আপস করতে হবে ইউক্রেনকে

    ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করছিলেন। বরফ গলে ইউক্রেনের (Trump-Zelenskyy Meet) খনিজ সম্পদের উপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরে জেলেনস্কি রাজি হওয়ার পর। শুক্রবার দুই প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে একদিকে যেমন রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা নিয়ে কথা হয়েছে, তেমনই ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তি নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে জানিয়েছেন, তিনি নিরপেক্ষ থেকে দুদেশের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে চান। রাশিয়া বা ইউক্রেন কারও দিকেই তিনি ঝুঁকে নেই। তবে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে হলে খানিকটা আপস করতে হবে ইউক্রেনকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগে এগিয়ে আসতে হবে ন্যাটোকেও। ক্রমে বাক্যালাপ গড়ায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে।

    উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়

    ট্রাম্প রাশিয়া-ইউক্রেন (Trump-Zelenskyy Meet) যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দায়ী করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আপনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু জেনে যান এই যুদ্ধ আপনি হেরে গিয়েছেন। আপনার সৈন্য কমে গিয়েছে। অস্ত্র কমে গিয়েছে। আপনি কিছুতেই জিততে পারেন না। কারণ আমরা আপনার পাশে নেই। আপনার উচিত কৃতজ্ঞ থাকা। আমরা অনেক কিছুই দিয়েছি আপনাদের।’’ পাল্টা জবাব দেন জেলেনস্কি। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার ভুল নীতির জন্য পুতিনের মতো খুনি মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াই ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। যেখানে তাঁদের দেশে মানুষ মারা যাচ্ছেন, আগুনে জ্বলছে শহরগুলি, সেখানে আপসের কথা আসছে কোথা থেকে।’’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কিন্তু আপনাদের তো এই মুহূর্তে কিছুই করার নেই।’’ ইউক্রেনকে বাস্তববাদী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। শেষপর্যন্ত জেলেনস্কির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে থাকে ট্রাম্পের। বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতার স্পষ্ট দাবি, জেলেনস্কির জায়গায় তিনি থাকলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতেই দিতেন না। এহেন পরিস্থিতিতে হোয়ইট হাউজ থেকে বেরিয়ে আসেন জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনের মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন বলেও তোপ দাগেন ট্রাম্প। দেন একাই লড়ার হুঁশিয়ারি।

    কেন বাদানুবাদ

    ঠিক কী নিয়ে দু’জনের আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তা জানা যায়নি। কূটনৈতিক মহলের অনুমান, খনিজ চুক্তি নিয়ে শেষ মুহূর্তে ইউক্রেনের উপর কিছু শর্ত চাপাতে চান ট্রাম্প (Trump-Zelenskyy Meet)। তাতেই বেঁকে বসেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ড। অতীতে আমেরিকার জো বাইডেনের সরকার ইউক্রেনের পাশে ছিল। জেলেনস্কির দেশকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা করেছে আমেরিকা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেই সব অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। ট্রাম্প এসেই সেই সব সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন। মার্কিন সহায়তা চালু রাখতেই ট্রাম্পের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে ইউক্রেনের খনিজ পদার্থ নিয়ে চুক্তি করতে এবং হোয়াইট হাউস সফরে রাজি হন জেলেনস্কি।

    ক্ষমা চাইবেন না জেলেনস্কি

    হোয়াইট হাউস (White House Meeting) সূত্রে খবর, ট্রাম্প কোনও চুক্তির সম্ভাবনাকে এখনও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে তাঁর শর্ত হল ইউক্রেনকে গঠনমূলক কথাবার্তা চালাতে হবে। অন্যথায় খনিজ চুক্তি হওয়া সম্ভব নয়। বল এখন ইউক্রেনের কোর্টে। ওভাল অফিসে (Oval Office) যা হয়েছে, তা যে দুই দেশের সম্পর্কের পক্ষে ভাল নয়, মেনে নিয়েছেন জেলেনস্কিও (Trump-Zelenskyy Meet)। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের বাদানুবাদ উভয় পক্ষের জন্যই খারাপ। ট্রাম্প যদি ইউক্রেনকে সাহায্য না-করেন, তবে রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকানো আমাদের পক্ষে মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তবে আমি নিশ্চিত, এই সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব। কারণ, এটা শুধু দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্পর্কের বিষয় নয়। এটা দুই দেশের মধ্যেকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক। আমি সবসময় আমাদের দেশের মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না।’’

    জেলেনস্কির পাশে ইউরোপ

    এই বৈঠকের পর ইউরোপের একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা মুখ খুলেছেন। তাঁরা জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের যে সমস্ত দেশের বন্ধুত্ব রয়েছে, মূলত তাঁরাই জেলেনস্কিকে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্প আমেরিকার কুর্সিতে বসার পর থেকে এই মিত্র দেশগুলি আতঙ্কিত। তাদের ধারণা, জেলেনস্কিকে চাপে রেখে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকেই জয়ী ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। তাই একযোগে ইউরোপের রাষ্ট্রনেতারা মুখ খুলেছেন। জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ বলেন, ‘‘ইউক্রেনের মানুষ শান্তি চান।’’ ফান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ বলেন, ‘‘রাশিয়া আগ্রাসী, ইউক্রেনের মানুষ সেই আগ্রাসনের শিকার। আমরা ইউক্রেনের পাশে রয়েছি।’’ ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘‘ভেদাভেদ নয়, একজোট হতে হবে।’’

  • Make in India: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’! ভারত থেকে অত্যাধুনিক কামান কিনবে ট্রাম্পের আমেরিকা

    Make in India: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’! ভারত থেকে অত্যাধুনিক কামান কিনবে ট্রাম্পের আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের বিরাট সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া (Make in India) প্রকল্পের সফল রূপায়ণ ঘটছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। প্রতিরক্ষাতেও সেই ছবি ধরা পড়েছে। শুধু দেশীয় উৎপাদন নয়, ভারতের সমরাস্ত্রের চাহিদা এখন বিশ্ববাজারেও হু হু করে বাড়ছে। আর্মেনিয়া থেকে ফিলিপাইন্স, ফ্রান্স থেকে ভিয়েতনাম— সকলেই ভারত থেকে অস্ত্র কিনছে ও কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। বিগত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি বিপুল হারে বেড়েছে। যা মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ (Make in India Made For The World) নীতির পালে হাওয়া দিয়েছে। এবার সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে উন্নত আর্টিলারি গান বা কামান কিনতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশীয় সংস্থা ভারত ফোর্জের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড (KSSL) এবং এএম জেনারেলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ট্রাম্পের আমেরিকা। আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী আইডিএক্স ২০২৫ (IDEX 2025) এ আবু ধাবিতে একটি ইচ্ছাপত্র (Letter of Intent) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    মোদি-ট্রাম্প সাক্ষাতের পর চুক্তি!

    প্রতিরক্ষা খাতে মেক-ইন-ইন্ডিয়া উদ্যোগে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। প্রথমবার ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আর্টিলারি গান সরবরাহ করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে সম্প্রতি একটি দ্বিপাক্ষীয় বৈঠকে ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সুরক্ষা সহযোগিতার অঙ্গীকার করা হয়। দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত আলোচনায় বেশ কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত জানুয়ারিতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বড় কিছু পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলেন যে, ভারতকে তাঁর দেশ আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে প্রস্তুত। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জানিয়েছিলেন, ভারতের প্রতিরক্ষাকে আরও মজবুত করতে আমেরিকা ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ নিতে চলেছে। এই আবহেই ভারত থেকে আমেরিকার কামান কেনার কথা সামনে এল।

    চুক্তি থেকে আশা

    কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড সম্প্রতি এএম জেনারেলের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে তারা আগামী প্রজন্মের আর্টিলারি সমাধানগুলি, যেমন মাউন্টেড, টোড এবং অতিক্ষুদ্র গানের সিস্টেমগুলি ১০৫ মিমি এবং ১৫৫ মিমি ক্যালিবারে তৈরি করবে। এএম জেনারেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য উন্নত আর্টিলারি সমাধান খুঁজে বের করতে কাজ করছে। কেএসএসএল এক ঘোষণায় জানিয়েছে, “এই ইচ্ছাপত্রে স্বাক্ষর আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএসএসএল-এর প্রমাণিত আর্টিলারি সক্ষমতা এবং আমাদের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে একত্রিত করে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য উন্নত আর্টিলারি সমাধান নিয়ে আসার বিশাল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।”

  • Trump’s Gold Card: মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে গুনতে হবে ৪৩ কোটি টাকা! ‘গোল্ড কার্ড’ চালুর ঘোষণা ট্রাম্পের

    Trump’s Gold Card: মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে গুনতে হবে ৪৩ কোটি টাকা! ‘গোল্ড কার্ড’ চালুর ঘোষণা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনছে আমেরিকা। মার্কিন মুলুকে অভিবাসীদের নাগরিকত্ব পেতে এত দিন চালু ছিল ‘গ্রিন কার্ড’। এ বার চালু হতে চলেছে ‘গোল্ড কার্ড’। ‘গ্রিন কার্ড’-এর নতুন সংস্করণ এটি। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন নীতির কথা ঘোষণা করেন। এবার আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে হলে গুনতে হবে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা। ওই পরিমাণ টাকা দিলেই মিলবে ‘গোল্ড কার্ড’, যা আমেরিকায় নাগরিকত্বের প্রমাণ।

    কী বলছেন ট্রাম্প

    ট্রাম্পের কথায়, ‘‘আমরা আমেরিকায় গোল্ড কার্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছি। এতে গ্রিন কার্ডের সুবিধাও মিলবে, যা আমেরিকায় নাগরিকত্বের নতুন পথ খুলে দেবে। ধনী ব্যক্তিরা এই কার্ড কিনে আমাদের দেশে আসতে পারবেন। এখানে এসে তাঁরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করবেন, কর দেবেন, সেই সঙ্গে কর্মসংস্থানও তৈরি করবেন। এ দেশে এসে তাঁরা সফল হবেন।’’ তাঁর আশা ১০ লক্ষ কার্ড বিক্রি হবেই। আর সেই বিপুল অর্থ দিয়ে আমেরিকার যত ঋণ রয়েছে সব শোধ করা যাবে। কিন্তু যদি স্রেফ অর্থ দিয়েই নাগরিকত্ব ‘কেনা’ যায়, তাহলে তো রুশরাও আমেরিকায় এসে নাগরিক হয়ে যেতে পারে? সাংবাদিকদের এহেন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘হ্যাঁ, আসতেই পারে। আমি তো কয়েকজন রুশ ধনকুবেরকে চিনি, যাঁরা খুবই সজ্জন ব্যক্তি।’’

    কবে থেকে ‘গোল্ড কার্ড’ চালু

    ট্রাম্প জানান, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে। এর জন্য আমেরিকান কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন না ট্রাম্প। তবে কী ভাবে ‘গোল্ড কার্ড’ পাওয়া যাবে বা প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, আমেরিকায় বিদ্যমান ‘ইবি-৫ প্রোগাম’কে প্রতিস্থাপন করতে চলছে এই ‘গোল্ড কার্ড’ সিস্টেম। নতুন এই সিস্টেম চালু করা হলে ‘ইবি-৫ প্রোগাম’ আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বার আমেরিকায় ক্ষমতায় এসেই একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

  • Kash Patel: ‘‘কাশকে সবাই পছন্দ করে’’, বললেন ট্রাম্প, গীতা ছুঁয়ে শপথ নিলেন নয়া এফবিআই প্রধান

    Kash Patel: ‘‘কাশকে সবাই পছন্দ করে’’, বললেন ট্রাম্প, গীতা ছুঁয়ে শপথ নিলেন নয়া এফবিআই প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গীতা ছুঁয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের প্রধান হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্যপ ওরফে কাশ প্যাটেল (Kash Patel)। তিনি জানান, এফবিআই-এ “সততা এবং ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার” করার সময় এসেছে। এফবিআই-র প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডিরেক্টর প্যাটেল। এ দিন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি তাঁকে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-এর নবম পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ বাক্য পাঠ করান।

    কাশকে কেন পছন্দ ট্রাম্পের

    আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ ঘনিষ্ঠ কাশ (Kash Patel)। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন। কেন তিনি কাশকে পছন্দ করেন, কেন তাঁকেই এই পদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে হয়, জানিয়েছেন ট্রাম্প। শনিবার হোয়াইট হাউসের ইইওবি ভবনে ভারতীয় চুক্তি কক্ষে কাশের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এফবিআইয়ের ডিরেক্টর হিসাবে শপথগ্রহণের সময়ে গীতার উপরে হাত রেখেছিলেন কাশ। ট্রাম্প বলেন, ‘‘কাশকে আমি পছন্দ করি। এই কাজের দায়িত্ব উনি পান, আমি চেয়েছিলাম। তার অন্যতম কারণ হল, এফবিআইয়ের সমস্ত এজেন্ট ওঁকে ভীষণ সম্মান করেন। এই পদের জন্য উনিই সবচেয়ে উপযুক্ত।’’ শপথের অনুষ্ঠানে কাশকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

    গীতা হাতে শপথ

    ৪৪ বছরের কাশের (Kash Patel) শিকড় রয়েছে ভারতে। গুজরাটের আনন্দ জেলার ভদ্রন গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। তাই হিন্দু সংস্কৃতির মতোই গীতা হাতে শপথ নেন কাশ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যাটেলের বান্ধবী এবং পরিবারের সদস্যরা। পথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শেষে মার্কিন জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমেরিকানদের স্বপ্নের মধ্যেই বেঁচে আছি। যারা মনে করেন আমেরিকানদের স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সামনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আমি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব দিতে চলেছি। এটি অন্য কোথাও ঘটতে পারত না।’’

  • USAID Fund Controversy: ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ উদ্বেগের’, ১৮২ কোটি মার্কিন অনুদান নিয়ে মত মোদি সরকারের

    USAID Fund Controversy: ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ উদ্বেগের’, ১৮২ কোটি মার্কিন অনুদান নিয়ে মত মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ (USAID Fund Controversy) করেছিল জো বাইডেন প্রশাসন। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। শুক্রবার সেই বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ করল নয়াদিল্লি (Modi Govt)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) জানিয়েছে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। গোটা বিষয় সংশ্লিষ্ট দফতর খতিয়ে দেখছে বলেও জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

    বিদেশমন্ত্রকের অভিমত

    সম্প্রতি, আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর ভারত-সহ একাধিক দেশে বরাদ্দ (USAID Fund Controversy) বাতিলের কথা জানায়। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এই দফতর জানায়, ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করতে আমেরিকা যে ১৮২ কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) দিয়েছিল, তা দেওয়া বন্ধ করা হচ্ছে। শুক্রবার এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের (Modi Govt) মুখপাত্র রণধীর বলেন, ‘‘সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের তরফে তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’’ তার পরই রণধীর জানান, ভারত সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পুরো বিষয়টি যাচাই না করে জনসমক্ষে মন্তব্য করা অনুচিত বলে মনে করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার কয়েকটি কাজ এবং অর্থ জোগান নিয়ে মার্কিন প্রশাসন যে তথ্য সামনে এনেছে, সেটা আমরা দেখেছি। বিষয়টির গভীরে গিয়ে পরবর্তীকালে আমরা ওই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারব বলে আশা করছি।”

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ভারতে ভোটাদানের (USAID Fund Controversy) হার বৃদ্ধি করার জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার (খরচ করা হয়েছে)! ভারতের ভোটদানের হার নিয়ে আমাদের এত মাথাব্যথা কীসের? আমাদের যথেষ্ট সমস্যা আছে। আমরা আমাদের ভোটাদানের হার বাড়াতে চাই।’ এরপরই ভারতে ভোটারদের ভোটমুখী করতে যে অনুদান দেওয়া হয়েছিল, তা বন্ধের কথা জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাঁর দাবি, “আমার মনে হয়, কাউকে জেতানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানিয়েছি।” ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী কেন বৈদেশিক সহায়তা চাইছিলেন।

  • Kash Patel: এই প্রথম, এফবিআই প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত! কাশের নিয়োগে মার্কিন সেনেটের অনুমোদন

    Kash Patel: এই প্রথম, এফবিআই প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত! কাশের নিয়োগে মার্কিন সেনেটের অনুমোদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম এফবিআইয়ের ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হল কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই (ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন)-এর মাথায় বসতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল (Kash Patel)। কাশের নিয়োগে বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সেনেট। প্রেসিডেন্ট ঘনিষ্ঠ কাশের নিয়োগ নিয়ে বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের আপত্তি থাকলেও, ৫১-৪৯ ভোটে জয়ী হয় রিপাবলিকানদের পছন্দের প্রার্থী কাশ। এফবিআই-এর ডিরেক্টর হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা হতেই ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে বাবা-মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন কাশ। তিনি “জয় শ্রী কৃষ্ণ” বলে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।

    প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কাশ

    এর আগে গত ১০ বছর ধরে এফবিআইয়ের ডিরেক্টর ছিলেন ক্রিস্টোফার রে। এবার তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পাচ্ছেন কাশ (Kash Patel)। ৪৪ বছরের কাশ এর আগে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থায় দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। গত বছর ট্রাম্পের মনোনয়ন প্রক্রিয়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন কাশ। ট্রাম্পের মতে, কাশ নিজের কর্মজীবনে আইনজীবী হিসেবে বারবার দুর্নীতিকে প্রকাশ্যে আনার কাজ করেছেন, সওয়াল করেছেন ন্যায়ের পক্ষে এবং আমেরিকার জনতাকে রক্ষা করেছেন। সেই কারণেই এবার গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফায় কাশের আগেও, একাধিক ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে বড় পদে বসিয়েছেন ট্রাম্প, যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিবেক রামস্বামী এবং তুলসি গাবার্ড।

    কাশের পরিচয়

    মা-বাবা ভারত থেকে আমেরিকায় গিয়ে সংসার পেতেছিলেন। নিউ ইয়র্কেই গুজরাটি পরিবারে জন্ম কাশের। পুরো নাম কাশ্যপ প্রমোদ প্যাটেল (Kash Patel)। তাঁর পরিবার পূর্ব আফ্রিকা থেকে কানাডার পথে গিয়েছিল আমেরিকায়। সেই থেকেই প্যাটেল পরিবারের বসবাস আমেরিকায়। একটি অসামরিক বিমান সংস্থায় আর্থিক অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন কাশের বাবা। রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যান্ড হিস্ট্রি’ বিষয়ে তিনি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক আই বিষয়ে ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’ থেকে ডিগ্রি পান। পরবর্তী শিক্ষা ‘পেস ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ ল’ থেকে। কাশের পড়াশোনা নিউইয়র্কে হলেও ফ্লোরিডায় শুরু কর্মজীবন। প্রথমে স্টেট পাবলিক ডিফেন্ডার এবং পরে ফেডেরাল পাবলিক ডিফেন্ডার হিসেবে কাজ করেছেন কাশ।

    মনে প্রাণে হিন্দু কাশ

    মার্কিন প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে খাঁটি ভারতীয় ‘টাচ’! সৌজন্যে এফবিআই-এর ডিরেক্টর পদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত প্রার্থী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্যপ প্যাটেল ওরফে কাশ প্যাটেল। সেনেটের অনুমোদন পাওয়ার আগে প্রথা মাফিক, সেনেট জুডিশিয়ারি কমিটির সামনে নিজের ‘কনফারমেশন হিয়ারিং’-এ উপস্থিত ছিলেন কাশ। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাশের (Kash Patel) পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কাশের মা, বাবা ও বোন। তাঁদের সঙ্গে বাকি সকলের পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। আর নিজের বাবা-মাকে এই প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে স্বাগত জানাতে আর পাঁচজন গুজরাটির মতোই বলেন, ‘জয় শ্রী কৃষ্ণ’!

    কাশের কথা

    কাশের এই ‘জয় শ্রী কৃষ্ণ’ অভিবাদন ইতিমধ্য়েই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি এই অনুষ্ঠানে আমার বাবাকে স্বাগত জানাতে চাই। এবং আমার মা, অঞ্জনাকে। ওঁরা আজ এখানেই বসে রয়েছেন। ওঁরা শুধুমাত্র এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতেই এখানে এসেছেন। আমার বোনও এখানে রয়েছেন। তিনিও সাগর পেরিয়ে এসেছেন, শুধুমাত্র এখানে উপস্থিত থাকবেন বলে। আমার সঙ্গে থাকবেন বলে। আপনারা যে এখানে এসেছেন, এটাই আমার কাছে সবকিছু। জয় শ্রী কৃষ্ণ।’’

    কোন কোন দায়িত্বে ছিলেন কাশ

    ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে ছিলেন কাশ (Kash Patel)। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা সচিব হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এফবিআই-এর ডিরেক্টরপদে কাশের নাম ঘোষণা করে নিজের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্পকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘‘আমি এই ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত যে এফবিআইয়ের পরবর্তী ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করবেন।’’ কাশের ভূয়সী প্রশংসা করে ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘‘কাশ একজন দুর্দান্ত আইনজীবী, তদন্তকারী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ লড়াকু যিনি নিজের গোটা কেরিয়ার জুড়ে অনেক দুর্নীতি ফাঁস করেছেন এবং ন্যায়ের জন্য লড়ে মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করেছেন।’’

    কাশের অঙ্গীকার

    দায়িত্ব পেয়ে এফবিআই-এর প্রতি আম মার্কিনিদের আস্থা ফেরানোর কথা বলেন কাশ (Kash Patel)। তিনি জানান, কড়া হাতে হিংসা ও অপরাধের মোকাবিলা করবেন। কাশ্যপ মনে করেন, এফবিআই-এর উপর মানুষের আস্থা ফেরাতে হলে স্বচ্ছতা আনা দরকার এবং নিয়মিত তদারকি থাকা দরকার। কারণ, তাঁর মনে হচ্ছে, আমেরিকার আম নাগরিকরা আর আগের মতো এফবিআই-এর উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। যা নিয়ে কাশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কাশ প্য়াটেলের মতে, আমজনতার ভরসা ফিরে পেতে অনেক কাজ করতে হবে। তিনি জানান, তাঁর কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, হিংসাত্মক অপরাধের মোকাবিলা করা এবং তিনি সেটা করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার প্রধান লক্ষ্য হবে, আমাদের সম্পূর্ণ সমাজকে সুরক্ষিত রাখা। যাতে আমাদের সন্তানরা নির্ভয়ে পার্কে খেলা করতে পারে।’’ মার্কিন কংগ্রেসের সঙ্গে আরও বেশি করে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন কাশ্যপ। তাঁর প্রতিশ্রুতি হল, প্রয়োজনের সময় সব পক্ষকেই জরুরি তথ্য সরবরাহ করে সাহায্য করবেন তিনি।

LinkedIn
Share