Tag: Election Commission

Election Commission

  • Election Commission: বাংলায় তিন দফায় ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের প্রশংসা কমিশনের

    Election Commission: বাংলায় তিন দফায় ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের প্রশংসা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রথম তিন দফার ভোট (Lok Sabha Vote 2024) শেষ হয়েছে। তবে বলা ভালো নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে যে ভাবে ভোট হয়েছে, তাতে খুশি নির্বাচন কমিশন। কিছু কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া তেমন কোনও বড় ঘটনা এখনও পর্যন্ত ঘটেনি। হয়নি কোনও মৃত্যুও। বাংলায় ভোট মানেই হিংসা—এই অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে বারবার তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। লোকসভা ভোট হোক বা পঞ্চায়েত নির্বাচন, যে কোনও ভোটেই পশ্চিমবঙ্গে হিংসার ইতিহাস রয়েছে। তবে এবছর লোকসভা ভোটে তিন দফা পেড়িয়ে গেলেও সেরম উল্লেখযোগ্য কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আশার আলো দেখছেন নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কর্তারা। 

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের প্রশংসা

    বাংলায় যে এবার শান্তিপূর্ণ ভোট (Lok Sabha Vote 2024) হবে সেই বিষয়ে আগেই আশ্বস্ত করেছিল নির্বাচন কমিশন। শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন (Election Commission)। আপাতত রাজ্যে প্রথম তিন দফার ভোট নির্বিঘ্নে সমাপ্ত হয়েছে। কোথায় কেমন ভোট হচ্ছে, কী ভাবে ভোট পরিচালনা হচ্ছে, সেইসব নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে ভোট নিয়ে একটি বৈঠক করে। সূত্রের খবর, সেখানেই বাংলার ভোট পরিস্থিতি নিয়ে প্রশংসা করে কমিশন। সঙ্গে প্রশংসায় ভরাল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিফ আফতাবকে। এদিনের বৈঠকে তিন দফা ভোটের মধ্যে বাংলাকে যে ‘শান্তিপূর্ণ’ রাখা গেছে সে বিষয়ে  আশ্বস্ত হয়েছে কমিশন। তবে বাকি চার দফার ভোটও যেন এমন শান্তিপূর্ণ হয়, সেই দিকেও নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কমিশনের (Election Commission) তরফে।  

    নির্বাচন কমিশনের দাবি (Election Commission) 

    এ প্রসঙ্গে কমিশনের কর্তারা জানিয়েছেন, “এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম তিনটি দফায় বাংলায় সে অর্থে বড়সড় কোনও গোলমালই হয়নি। কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে বুথ দখল, রিগিংয়ের বড় কোনও অভিযোগও ওঠেনি।” কমিশনের (Election Commission) দাবি, প্রথম দফার ভোটে কোচবিহারে কিছু বিক্ষিপ্ত গোলমাল হলেও ভোটকেন্দ্রে তার কোনও আঁচ পড়েনি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফাতেও ভোট ছিল শান্তিপূর্ণ।  

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল অপপ্রচার করতে এই সব ফেক ভিডিও ছেড়ে দিয়েছে”, তোপ সুকান্তর

    যদিও তৃতীয় দফার ভোটে সবথেকে বেশি ক্রিটিক্যাল বুথ ছিল মুর্শিদাবাদে। যার মধ্যে পড়ে ডোমকল বিধানসভা। অতীতে প্রায় প্রতিটি ভোটে ডোমকলে রক্তারক্তি এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সেকারনেই এই কেন্দ্রের ভোট নিয়ে আশঙ্কা ছিল কমিশনের (Election Commission)। এছাড়াও ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে পরপর অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিন সকাল থেকেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এই কেন্দ্রে। বাকি কেন্দ্রগুলি থেকেও অল্পবিস্তর অশান্তির খবর এসেছে ঠিকই, কিন্তু কোনওটাই বড় আকার নিতে পারেনি। ফলে এবার সেখানেও নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে। 
    প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোট (Lok Sabha Vote 2024) রয়েছে বাংলায়। সেদিন বোলপুর, বীরভূম, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান দুর্গাপুর এবং আসানসোলে ভোট হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Betul fire incident: ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন! পুড়ল একাধিক ইভিএম

    Betul fire incident: ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন! পুড়ল একাধিক ইভিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মঙ্গলবার ৭ মে ছিল তৃতীয় দফার নির্বাচন। সারা দেশে নির্বিঘ্নে ভোটদান হলেও ভোট শেষে রাতের অন্ধকারে ঘটল অগ্নিকান্ডের (Betul fire incident) ঘটনা। আগুন লাগার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যায় দমকল। ধীরে ধীরে আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। জানা গেছে, বাসে মোট ছটি ইভিএম ছিল। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।  

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Betul fire incident)

    ঘটনাটি মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের গোলা গ্রামের কাছে ঘটেছে। ভোট শেষ হওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের বেতুল ভোটকেন্দ্র থেকে ইভিএম (Electronic Voting Machines) নিয়ে বাসে ফিরছিলেন পোলিং অফিসারেরা। ঠিক সেই সময় পথে হঠাৎ বাসে আগুন (Betul fire incident)লেগে যায়। হঠাৎ করে আগুন লেগে যাওয়ায় বাস থেকে চালক-সহ সকলে নেমে যান। দুটি ইভিএম মেশিন অক্ষত অবস্থায় বের করা গেলেও বাকি চারটি ইভিএম আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 
    জানা গেছে, বেতুলের ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ২৭৮, ২৭৯ এবং ২৮০ নম্বর বুথের ইভিএম–এর ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে (Election commission) জানানো হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি বিচার করে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে ওই ছটি বুথে আবারও ভোট হবে কি না। 

    আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় যে ৯৩টি আসনে ভোট হয়েছে (Lok Sabha election 2024), তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪ টির পাশাপাশি গুজরাতের ২৫, কর্নাটকের ১৪, মহারাষ্ট্রের ১১, উত্তরপ্রদেশের ১০, মধ্যপ্রদেশের ৯ টি, ছত্তীসগঢ়ের ৭ টি, বিহারের ৫ টি, অসমের ৪ টি, গোয়ার ২ টি, দাদরা ও নগর হভেলীর ১ টি এবং দমন ও দিউয়ের ১ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেতুল লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃতীয় দফায় মোট ৭২.৬৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে আগ্নিকান্ডের ঘটনায় (Betul fire incident) ইভিএম মেশিন গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কমিশন আবারও এই কেন্দ্রে পরবর্তীতে ভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা তা সময়ই বলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    Lok Sabha Election 2024: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে ভারতের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) তৃতীয় ধাপ। ৭ মে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের ১০ রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৯৩ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্যায়ে (third phase of Lok Sabha polls) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬১.৪৫%। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময় অশান্তির অভিযোগ ওঠানো হয়েছিল, কিন্তু সে রাজ্যেও নির্বিঘ্নেই মিটেছে তৃতীয় পর্ব।

    তৃতীয় দফায় যে ৯৩টি আসনে ভোট হচ্ছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪টির পাশাপাশি গুজরাতের ২৫, কর্নাটকের ১৪, মহারাষ্ট্রের ১১টি, উত্তরপ্রদেশের ১০টি, মধ্যপ্রদেশের ৯টি, ছত্তিশগড়ের ৭টি, বিহারের ৫টি, অসমের ৪টি, গোয়ার ২টি, দাদরা ও নগর হভেলীর ১টি এবং দমন ও দিউয়ের ১টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। 

    তৃতীয় দফায় ৬০ শতাংশের বেশি ভোট (Lok Sabha Election 2024) 

    লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় পর্বে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৬১.৪৫% ভোট পড়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিহারে ৫৬.০১%, ছত্তিশগড়ে ৬৬.৮৭%, মহারাষ্ট্রে ৫৩.৪০%, অসমে ৭৫.২৬%, গোয়ায় ৭৪.২৭%, কর্নাটকে ৬৬.০৫%, মধ্যপ্রদেশে ৫৫.১৩%, উত্তরপ্রদেশে ৬২.২৮%, পশ্চিমবঙ্গে ৭৩.৯৩% এবং গুজরাটে ৫৫.২২% ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। 

    উল্লেখ্য বড় বড় রাজ্যগুলিতে যেখানে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) হার অত্যধিক পরিমাণে কম, সেখানে কার্যত উলটো পথে হাঁটছে বাংলা। প্রথম তিন দফাতেই অসম ও গোয়ার পর বাংলায় ভোটের হার অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। পাশাপাশি মহিলা ভোটারের হারও পুরুষদের তুলনায় বেশি। 

    কোন দফায় কত ভোট পড়ল? 

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা তথ্য অনুযায়ী, ৬১.৪৫% ভোট পড়েছে তৃতীয় পর্বে। ২০১৯ সালে যে পরিসংখ্যান ছিল ৬৭.৩৩ শতাংশ। এবারের প্রথম দফার নির্বাচনে ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024) হয়। ভোটের হার ছিল ৬৬.১৪%। আর দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬৬.৭১%।

    আরও পড়ুন: নির্বিঘ্নেই সাঙ্গ তৃতীয় দফার ভোট, তৃণমূলের গা-জোয়ারি দেখল বাংলা

    সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) ১১ কোটির বেশি ভোটার দেশের ১ হাজার ৩৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেছে। এবার ভারতের ৫৪৩ আসনে নির্বাচন হবে সাত ধাপে। চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। শুরু হয়েছে ১৯ এপ্রিল। শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Election Commission: রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা‌! কড়া সিদ্ধান্ত কমিশনের

    Election Commission: রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা‌! কড়া সিদ্ধান্ত কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রবীন্দ্র জয়ন্তী (Rabindra Jayanti)। আপামর বাঙালির কাছে এই দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এবছর ভোটের আবহের মধ্যেই পড়েছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। আর সেই কারনেই এবার রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও রাশ টানল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকতে পারবেন না বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। কেবল মুখ্যসচিব-সহ সরকারি স্তরের আধিকারিকরা সরকারিভাবে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করতে পারবেন।

    কমিশনের নির্দেশ (Election Commission)

    ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে সাধারণ বাঙালি, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে নেতা–মন্ত্রীরা কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বা রবীন্দ্র জয়ন্তীর কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না নেতা–মন্ত্রীরা। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী বুধবার রবীন্দ্র সদনে থাকতে পারবেন না। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না বলেই জানিয়েছে কমিশন (Election Commission)। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত?

    প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছরের মত এই বছরও রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্র সদনে। প্রত্যেক বছরের এই অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের মন্ত্রীরা। তবে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্দেশে এবার সেটি আর হচ্ছে না। কমিশন আরও জানিয়েছে, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির ছবি রবীন্দ্র জয়ন্তী সংক্রান্ত ব্যানার বা হোর্ডিং ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। 

    আরও পড়ুন:সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    আগেও দেখা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে রাজ্য সরকারকে শর্তসাপেক্ষে ‘‌বাংলা দিবস’‌ পালনের অনুমতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। পয়লা বৈশাখ পালন করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ছিল, সেই অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকবেন শুধুমাত্র সরকারি অফিসাররাই। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট ছিল রাজ্যে। তার আগে ১৪ এপ্রিল ছিল পয়লা বৈশাখ। কিন্তু তাতেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। এমনকী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও। আর পয়লা বৈশাখের পর এবার নিষেধাজ্ঞা জারি হল রবীন্দ্র জয়ন্তী (Rabindra Jayanti) পালনের ক্ষেত্রেও। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: ভোটের মধ্যেই মালদা-মুর্শিদাবাদে আইসি-ওসি’কে সরাল কমিশন

    Election Commission: ভোটের মধ্যেই মালদা-মুর্শিদাবাদে আইসি-ওসি’কে সরাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭মে তৃতীয় দফায় ভোট মালদা-মুর্শিদাবাদে। আর তার আগেই মালদা-মুর্শিদাবাদে আইসি-ওসি-কে সরাল নির্বাচন কমিশন।  মালদার হবিবপুর থানার (Habibpur Police Station) আইসি ও মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার (Ranitala Police Station) ওসিকে সরিয়ে দিল কমিশন (Election Commission)। 

    আইসি-ওসি বদল মালদহ-মুর্শিদাবাদে

    শনিবার রানিতলা থানার ওসি রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে সরিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আর রবিবার মালদার হবিবপুর থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় কমিশনের (Election Commission) পক্ষ থেকে। ভোটের মাঝে একের পর এক পুলিশ অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনিকমহলে।

    কেন এই পদক্ষেপ? (Election Commission) 

    সূত্রের খবর, সম্প্রতি হবিবপুর থানা এলাকায় গোলমালের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইসির বিরুদ্ধে কমিশনে (Election Commission) নালিশ গিয়েছিল। তারই জেরেই ভোটের মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে হবিবপুর থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। 
    সূত্রের খবর, হবিবপুর থানার দায়িত্ব ও রানিতলা থানার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। ইতিমধ্যেই রাজ্যকে তিনজন অফিসারের নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। আর এই দুই থানার আইসি ও ওসিকে আপাতত পুলিশ হেড কোয়ার্টারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কমিশন এও জানিয়েছে, ওই দুই অফিসারকে ভোটের কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখা যাবে না। 
    উল্লেখ্য, ভোটের মাঝে একের পর এক থাানার অফিসার বদল কোনও নতুন ঘটনা নয়। এর আগে কলকাতার আনন্দপুর এবং ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের আওতাভুক্ত আনন্দপুর ও ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য রাজনীতিতে। আর এবার পুলিশ অফিসার বদল আরও ২ থানায় (Malda-Murshidabad)।

    আরও পড়ুন: এবার যোগ্য শিক্ষকদের পাশে বিজেপি, আইনি সহায়তা দিতে গঠন করা হল লিগ্যাল সেল

     
    এছাড়াও দেশে আদর্শ আচরণ বিধি চালু হওয়ার পরে রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রাজীব কুমারকে। আদর্শ আচরণ বিধি চালু হওয়ার পরে সেটাই রাজ্যে বড় পদক্ষেপ ছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)। তার মাস খানেক আগেই রাজীব কুমারকে রাজ্যে পুলিশের ডিজি পদে আনা হয়েছিল। কিন্তু বেশিদিন অবশ্য ওই পদে থাকতে পারলেন না তিনি। দেশে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেই ওই পদক্ষেপ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক! প্রশ্ন তুলে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অভিযোগ দায়ের

    Rahul Gandhi: রাহুল গান্ধী ব্রিটিশ নাগরিক! প্রশ্ন তুলে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে অভিযোগ দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়বরেলি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), ঠিক এই আবহে তাঁর নমিনেশন বাতিলের দাবি তুললেন অনিরুদ্ধ প্রতাপ সিং নামে এক ব্যক্তি। জনৈক ওই ব্যক্তি রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন! তাঁর দাবি রাহুল গান্ধীর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে। তাহলে তিনি ভারতে নির্বাচনের লড়ছেন কী হিসেবে? এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগও দায়ের করেছেন অনিরুদ্ধ প্রতাপ সিং।

    গুজরাটের আদালতের সাজা ঘোষণা

    এর পাশাপাশি ওই অভিযোগে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) মোদি পদবী নিয়ে অপমানজনক মন্তব্যের কারণে ২ বছরের কারাবাসের সাজার কথাও তুলে ধরা হয়ছে। উল্লেখ্য, সাজা প্রাপ্ত কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। প্রসঙ্গত, বছর কয়েক আগেই রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন এক জনসভায়, ‘‘সব চোরেদের পদবী কেন মোদি হয়?’’ সে সময় এ নিয়ে মামলা দায়ের করেন তেলি সমাজের পক্ষ থেকে প্রহ্লাদ মোদি। গুজরাটের আদালত এই মামলায় রাহুল গান্ধীকে দু বছরের সাজা ঘোষণা করে। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট সাজাতে স্থগিতাদেশ দেয়।

    কী বলছেন মামলাকারীর আইনজীবী? 

    এনিয়ে অভিযোগকারীর আইনজীবী অশোক পাণ্ডে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, “প্রথমত, রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে উনি নির্বাচনে লড়ার অযোগ্য। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে, কিন্তু আফজল আনসারির মতো নির্বাচনে লড়াইয়ের অনুমতি দেয়নি। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) উচিত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো।” তিনি আরও বলেন, “২০০৬ সালে রাহুল গান্ধী একবার নিজেই বলেছিলেন, তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। ব্রিটিশ নাগরিক হয়ে উনি কীভাবে ভারতের নির্বাচনে লড়ছে? আমার অভিযোগ জানানোর পরই রাহুল গান্ধীর প্রতিনিধিকেও ডাকা হয়। আমার অভিযোগ গৃহীত হয়েছে।” কেরালার ওয়েনাড়ে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। সেই আসনে ভোট মিটেছে ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সতর্ক কমিশন! মুর্শিদাবাদে বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি

    Murshidabad: সতর্ক কমিশন! মুর্শিদাবাদে বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফায় মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ভোটগ্রহণ হবে। তৃতীয় দফায় মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ এই চার আসনের জন্য ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার চিন্তাভাবনা নিয়েছে কমিশন। শুধু মুর্শিদাবাদে মোতায়েন থাকবে ১১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রত্যেকটি সংবেদনশীল বুথ ধরে পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তৃতীয় দফায় জঙ্গিপুর (Jangipur) পুলিশ জেলায় মোতায়েন করা হবে ৬৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ। সঙ্গে থাকবেন রাজ্য পুলিশের ২৬২৮ জন জওয়ান। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় মোতায়েন হবে ১১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ৪৭২৪ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী। অর্থাৎ তৃতীয় দফায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে মোট ৩৩৪ কোম্পানি ও রাজ্য পুলিশের ১৩ হাজারের পাশাপাশি আশেপাশে পুলিশ কর্মী।

    মুর্শিদাবাদে বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি

    পরিস্থিতি বিচার করে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রে বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব।

    সন্দেশখালিতে ‘স্টিং অপারেশনের’ ভিডিওর সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির

    স্পর্শকাতর এলাকায় অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী

    কমিশন (ECI) সূত্রে জানা গিয়েছে স্পর্শকাতর এলাকায় অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে। রামনবমীর অশান্তির পরেই সতর্ক কমিশন। বাহিনীর একটা বড় অংশ কুইক রেসপন্স টিমের (QRT) সদস্য হিসেবে কাজ করবে। অতিরিক্ত বাহিনীর একটা বড় অংশ স্ট্রং রুম পাহারা দেওয়ার জন্য কাজে লাগানো হবে। এছাড়াও বাহিনীকে দিয়ে এরিয়া ডমিনেশন করানো হবে।মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) নিয়ে কমিশনের চিন্তার সবচেয়ে বড় কারণ এই জেলায় অতীতের নির্বাচনী রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ইতিহাস। অতীতের প্রায় সব ভোটেই মুর্শিদাবাদে প্রবল অশান্তি হয়েছে। এর মধ্যে শেষ পঞ্চায়েত ভোটে বহু প্রাণহানি দেখেছে এই জেলা। শুধু ভোটের দিনই অন্তত চার জনের মৃত‌্যু হয়। চলতি বছর রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় এই জেলায় শক্তিপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে রামনবমীর মিছিলে ইট পাটকেল ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই শক্তিপুর ও বেলডাঙা থানার ওসিকে সরিয়ে দেয় কমিশন। তার আগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজিকে। এর পরও জেলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানো বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে কমিশন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • No Dues Certificate: দেবাশিস ধরের প্রার্থীপদ বাতিলের জের! বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

    No Dues Certificate: দেবাশিস ধরের প্রার্থীপদ বাতিলের জের! বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারের ঘরে তাঁর বকেয়া নেই, এই সংক্রান্ত সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি তিনি। জীবনের প্রথম লড়াইয়ে প্রার্থীপদ বাতিল হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের (Debashis Dhar)। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর এই ঘটনার পর নড়ে চড়ে বসে কমিশন। “নো ডিউস সার্টিফিকেট” (No Dues Certificate) নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ।

    কমিশনের বড় সিদ্ধান্ত (No dues Certificate)

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহ দেশের সমস্ত রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। জানানো হয়েছে প্রার্থীর আবেদনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনও বকেয়া না থাকলে “নো ডিউজ সার্টিফিকেট” (No Dues Certificate) ইস্যু করতে বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর। যদি বকেয়া থাকে সে ক্ষেত্রেও বিশদ তথ্য দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরকে। “নো ডিউস সার্টিফিকেট” সংক্রান্ত ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ বদল আনা হল। এরপর মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়মই কার্যকর হবে।

    অভিষেকের গড়ে একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, মহিলাদের শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবাশিস ধর

    প্রসঙ্গত দেবাশিস ধরকে বীরভূম (Birbhum) লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Ray) বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। প্রচারও শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্য “নো ডিউজ সার্টিফিকেট” জারি না করায় তাঁর প্রার্থী পদ বাতিল হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বিকল্পপ্রার্থী হিসেবে দেবতনু ভট্টাচার্যকে দিয়ে নমিনেশন করানো হয় বিজেপির তরফে। দেবাশিস ধরের প্রার্থী পদ বাতিল হওয়ায় বিজেপি এই কেন্দ্রে চাপে রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন দেবাশিস বাবু। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে বলে। দেবাশিস বাবুর অভিযোগ প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলনে তৃণমূল প্রার্থীকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য “নো ডিউজ সার্টিফিকেট” নিয়ে গড়িমসি করে প্রশাসন।

    কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস

    প্রসঙ্গত কমিশন (ECI) সূত্রে খবর রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্টের সেকশন ৩৬ অনুযায়ী কোন প্রার্থী যদি সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে নো ডিউজ সার্টিফিকেট জমা করতে হয়। ২৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে হলফনামা দেওয়ার সময় তিনি (No Dues Certificate) সার্টিফিকেট দিতে পারেননি বলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। দেবাশিস ধর (Debashis Dhar) কোচবিহারের পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শীতলকুচি কাণ্ডের পর তাঁকে বলির পাঁঠা করা হয় বলে দাবি করেছেন দেবাশিস বাবু। এই মামলায় পরে তাঁর বিরুদ্ধে সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও কম্পালসারি ওয়েটিং এ রাখা হয়েছিল তাঁকে। এমনকি বেশ কয়েকটি মামলায় সাক্ষী হিসেবে তাঁর নাম ঢুকিয়ে তাকে টানা জেরা করা হয় বলে অভিযোগ প্রাক্তন পুলিশ কর্তার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: দফার সঙ্গে বাড়বে বাহিনীর সংখ্যা, পঞ্চম দফায় ৭৫০ কোম্পানি

    Loksabha Election 2024: দফার সঙ্গে বাড়বে বাহিনীর সংখ্যা, পঞ্চম দফায় ৭৫০ কোম্পানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন (Loksabha Election 2024) দক্ষিণবঙ্গের দিকে এগোতেই বাড়তে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা। রাজ্যের তৃতীয় দফায় ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্র বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। চতুর্থ দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা কাছাকাছি ৬০০ কাছাকাছি পৌঁছতে চলেছে এমনই তথ্য জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবং পঞ্চম দফায় রাজ্যে প্রায় ৭৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চম দফায় অন্তত ১২৬ কোম্পানি অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

    তৃতীয় দফায় রাজ্যে মোতায়েন থাকবে ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    আগামী ১৭ ই মে মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) আসনে নির্বাচন (Loksabha Election 2024)  হবে। এই দফায় দুটি জেলাতেই প্রচুর সংখ্যায় সংবেদনশীল কেন্দ্র। প্রত্যেকটি সংবেদনশীল বুথ ধরে পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই মত বাহিনী মোতায়নের চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তৃতীয় দফায় জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় মোতায়েন করা হবে ৬৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ। সঙ্গে থাকবেন রাজ্য পুলিশের ২৬২৮ জন জওয়ান। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা জুড়ে ভোটের সময় ডিউটি করবে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় মোতায়েন হবে ১১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ৪৭২৪ জন রাজ্য পুলিশের কর্মী। অর্থাৎ তৃতীয় দফায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে মোট ৩৩৪ কোম্পানি ও রাজ্য পুলিশের ১৩ হাজারের পাশাপাশি আশেপাশে পুলিশ কর্মী।

    “রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল,” বীরভূমে ভোট প্রচারে বিস্ফোরক মোদি

    (Loksabha Election 2024) চতুর্থ দফায় আটটি কেন্দ্রে নির্বাচন

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে চতুর্থ দফায় (Loksabha Election 2024)  যে আটটি কেন্দ্রে নির্বাচন হবে তাতে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে প্রথম পূর্ব বর্ধমানে। এখানে ১৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও বীরভূমে ১৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ঠিক পিছনেই রয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। এখানে ৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। কৃষ্ণনগরে ৮১, মুর্শিদাবাদে ৭৩ ও রানাঘাটে ৫৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও সবমিলিয়ে রাজ্য পুলিশের তরফে থাকছেন ২২ হাজার ৬৭৬ জন। কুইক রেসপন্স টিম টিমের সংখ্যা থাকবে ১৫০-এর কাছাকাছি।

    ষষ্ঠ ও সপ্তম দফায় বাহিনী সংখ্যা

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের পরিকল্পনা (Loksabha Election 2024)  অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম দফায় ৬৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার প্রস্তাব ছিল। বর্তমানে এই পরিস্থিতিতে সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ রাজ্যে যে পরিমাণ বোমা গুলি উদ্ধার হচ্ছে এবং কমিশন কমিশনের যে গোয়েন্দা রিপোর্ট এসেছে তাতে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করাতে আগেভাগে কোমর বেঁধে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: এবার ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: এবার ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে তৃতীয় দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগেই ফের ২ পুলিশ আধিকারিকের বদলি। এবার নির্বাচন কমিশন ডায়মন্ড হারবার এবং আনন্দপুর থানার ওসিকে বদল করল। গতকাল শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকায় এই বদলির কথা জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই দুই ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে বিজেপি আগেই সরব হয়েছে। তবে এই প্রথম নয় ইতিপূর্বে মুর্শিদবাদে অশান্তির ঘটনায় পুলিশ আধিকারিকে বদল করছে নির্বাচন কমিশন। আগেও একাধিক জেলার জেলা শাসককেও বদলি করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।

    তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ ছিল (Lok Sabha Election 2024)!

    নির্বাচন কমিশন রাজ্য প্রশাসনের কর্তব্য বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর। এই দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাত দোষের অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Election 2024)  সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই পুলিশ অফিসারকে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন পদে বদলি করা হবে। তাঁদের পরিবর্তে ৩ জন পুলিশ আধিকারিকের নাম রাজ্যের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ডায়মন্ড হারবার থানার ওসির নাম হল শুভাশিস ঘোষ এবং আনন্দপুর থানার ওসির নাম হল সুমন কুমার দে। বিজেপি অবশ্য আগেই তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ জানিয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” মন্তব্য হুমায়ুনের, শক্তিপুর থানায় এফআইআর বিজেপির

    কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ

    উল্লেখ্য এই সপ্তাহেই আনন্দপুর থানা এলাকায় বিজেপির মহিলা বুথ সভাপতিকে ব্যাপক মারধর করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এলাকায় বিজেপির পতাকা লাগানোকে ঘিরে তৃণমূলের বেশ কিছু গুন্ডা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে ওঁই মহিলাকে। এরপর মহিলা কর্মীর মাথা ফেটে প্রচুর রক্তাক্ত হয়। প্রতিবাদে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী, আক্রান্ত মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দপুর থানায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন। ওসির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপি প্রার্থী। এরপর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ঘটনার জল গড়ায় নির্বাচন কমিশনে (Lok Sabha Election 2024)। অপর দিকে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র হল ডায়মন্ড হারবার। সেখানেও পুলিশ আধিকারিক নিরপেক্ষ নয় বলে বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছে আগেই। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ছিল দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এই দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ আগামী ১ জুন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share