Tag: Howrah

Howrah

  • Howrah: রূপনারায়ণের জলের তোড়ে ভাঙল বাঁশের সেতু! হাওড়ার দ্বীপাঞ্চলের তিনটি গ্রাম বিচ্ছিন্ন

    Howrah: রূপনারায়ণের জলের তোড়ে ভাঙল বাঁশের সেতু! হাওড়ার দ্বীপাঞ্চলের তিনটি গ্রাম বিচ্ছিন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রূপনারায়ণের পানার চাপ আর জোয়ারের তোড়, দুইয়ে মিলে ভাঙল হাওড়ার (Howrah) দ্বীপাঞ্চলের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সংযোগকারী তিন-তিনটি বাঁশের সেতু। তিনটি সেতু ভেঙে যাওয়ায় মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল হাওড়ার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরা এবং ঘোড়াবেড়িয়া-চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুরের মধ্যে আজানগাছি, কুলিয়া ও গায়েনপাড়া-এই  তিনটি এলাকায় তিনটি সেতুই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আপাততভাবে যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে স্পিডবোট ও নৌকা।

    কীভাবে ভাঙল সেতু?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির জেরে ডিভিসি জল ছেড়েছে। সেই জল রূপনারায়ণ নদী বয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে যায়। সঙ্গে প্রচুর পানা বহন করে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে জোয়ারের সময় সেই পানা মুণ্ডেশ্বরী নদীতে চলে আসে এবং সেই পানা প্রথমে আজানগাছির সেতুতে আটকে যায় এবং জোয়ারের তোড় আর পানার চাপে প্রথমেই ভেঙে পড়ে আজানগাছি বাঁশের সেতু। এরপর সেতুর বাঁশ এবং পানা  মিলে এসে ধাক্কা মারে কুলিয়ার সেতুতে। ভেঙে পড়ে কুলিয়ার সেতু। একইভাবে কুলিয়া সেতু ও আজানগাছি সেতুর বাঁশ ও পানা গিয়ে ফের ধাক্কা মারে গায়েনপাড়ার সেতুতে (Howrah)। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গায়েনপাড়ার সেতুও।

    কী বলছেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    ভাটোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Howrah) বিদায়ী বোর্ডের প্রধান অশোক গায়েন বলেন, ‘‘তিনটি সেতু ভেঙে যাওয়ায় দীপাঞ্চল কার্যত হাওড়ার (Howrah) মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ব্যাপক সমস্যায় পড়ে গেছেন দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দারা। আপাততভাবে তাঁদের যাতায়াতের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা।’’ যদিও দীপাঞ্চলের মানুষরা এই তিনটি প্রধান সংযোগকারী সেতু ভেঙে যাওয়ায় ভীষণ সমস্যায় পড়েছেন। কারণ এই দীপাঞ্চলের মূল দোকান-বাজার থেকে প্রায় সব জিনিসই তাঁদের হাওড়ার মূল ভূখণ্ড থেকে নিয়ে যেতে হয়। বিশেষ করে ওই দীপাঞ্চলে (Howrah) কাজের সুযোগ সেভাবে না থাকায় কাজের সন্ধানে এবং চিকিৎসার কাজে মানুষ এই সাঁকো পেরিয়ে মূল ভূখণ্ডে আসেন। সেতু ভেঙে যাওয়ায় যেমন কাজের সুযোগ বন্ধ তেমন কিছু বিপদ হলেও হাসপাতালেও পৌঁছাতে পারছেন না তাঁরা। কারণ স্পিড বোট বা ইঞ্জিন চালিত নৌকার যে পরিষেবা রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। তাই দ্রুত এই সেতুগুলি পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন দীপাঞ্চলের বাসিন্দারা (Howrah)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: যুব কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল কোয়েল

    Howrah: যুব কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল কোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ভারোত্তলনে জুনিয়র মহিলা ৪৯ কেজি বিভাগে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল হাওড়ার (Howrah) কোয়েল বর। যুব কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতে বাড়ি ফিরল সাঁকরাইলের মহিষগোট এলাকার এই ছোট্ট মেয়েটি। কোচ অষ্টম দাস থেকে শুরু করে সকলেই খুশি কোয়েলের এই সাফল্যে। হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার কোয়েলকে সংবর্ধনা জানানো হয়।

    কীভাবে এল এই সাফল্য (Howrah)?

    সাঁকরাইলের (Howrah) মহিষগোট এলাকার বাসিন্দা সবে ১৩ উত্তীর্ণ কোয়েলের এক ছোট ভাই রয়েছে। বাবা মুটে মজুরের কাজ করেন। খুবই গরিব পরিবারের কোয়েলের ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল বড় কিছু হওয়ার। বিশেষ করে খেলার প্রতি তার ঝোঁক ছিল অনেক বেশি। কোয়েল জানায়, ছোটবেলা থেকেই সে নিয়মিত এক বেলা করে প্র্যাকটিস করত। বছর দুয়েক আগে থেকে দুবেলা করে প্র্যাকটিস শুরু করে। অবশেষে যে সে সাফল্য পেয়েছে, খুবই ভালো লাগছে। আগামী দিনে আরও বড় সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে চায় সে। কোয়েল জানায়, ছোট থেকেই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে খেলতে বেরিয়ে যেত। তবে জুনিয়র বিভাগের এই সাফল্য সবে শুরু বলে মনে করে সে। কোয়েল বলেন, আগামী দিনে কঠোর পরিশ্রম করেই সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাতে চায় সে।

    মেয়ের সাফল্যে খুশি বাবা (Howrah)

    মেয়ের এই সাফল্যে খুশি কোয়েলের বাবা মিঠুন বর। তিনি জানান, নিজে সেভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি। তাই ছেলে-মেয়েকে পড়াশোনা এবং খেলাধূলায় পারদর্শী করার স্বপ্ন ছিল। আজ এই স্বপ্ন সার্থক হল। তাঁর গ্রাম (Howrah) থেকে আগে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও সাফল্য আসেনি বলে তিনি জানান। গত বছর হাওড়ারই ছেলে অচিন্ত্য শিউলি কমনওয়েলথ গেমসে ভারোত্তলনে সোনা জিতেছিল। তারপর জুনিয়র বিভাগে কোয়েলের এই সাফল্য হাওড়ার মুকুটে আরও একটা নতুন পালক জুড়ল।

    রূপো আসবেই, নিশ্চিত ছিলেন কোচ

    কোচ অষ্টম দাস বলেন, অচিন্ত্যর ক্ষেত্রেও তাঁরা আগেই বলেছিলেন যে অচিন্ত্যের (Howrah) সোনা জয় নিশ্চিত। কোয়েলের ক্ষেত্রেও তিনি জানিয়েছিলেন, যদি কোনও ভাবে অসুস্থ হয়ে না পড়ে, তাহলে সোনা জয় করতে না পারলেও অন্তত কোয়েলের ঝুলিতে রূপো আসবে। কোয়েল সোনা নিয়েই ফিরেছে তার নিজের গ্রামে। উজ্জ্বল করেছে গ্রামের মুখ। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া গ্রামকে তুলে ধরেছে বিশ্বের দরবারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Howrah: মঙ্গলাহাট কবে থেকে সচল হবে? ফের উত্তেজনা হাওড়ায়

    Howrah: মঙ্গলাহাট কবে থেকে সচল হবে? ফের উত্তেজনা হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোড়া মঙ্গলাহাটের (Howrah) ব্যবসায়ীরা সোমবার থেকেই ব্যবসা শুরু করতে গেলে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে ব্যবসায়ী সমিতির হস্তক্ষেপে এক বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হাটে বসবেন কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। 

    কেন সাময়িক উত্তেজনা (Howrah)?

    গত ২০ জুলাই গভীর রাতে মঙ্গলাহাটের একাংশ বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পোড়া মঙ্গলাহাটের নামে মঙ্গলাহাটের (Howrah) ওই অংশে চার হাজারের বেশি দোকান ভষ্মীভূত হয়ে যায়। সামনেই পুজো, আর সেই পুজোর মুখে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন হাটের ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় হাট না খুললে, দোকান না বসতে দিলে, ব্যবসায়ীদের রুটিরুজির কী সংস্থান হবে? এই নিয়ে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    মুখ্যমন্ত্রী কী আশ্বাস দিয়েছিলেন?

    আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন যে, মঙ্গলহাটের জমি বেসরকারি হাতে রয়েছে। মামলা চলছে। প্রয়োজন হলে জমি অধিগ্রহণ করব। জমি অধিগ্রহণ করে বিল্ডিং করব। আমরা নবান্ন জোর করে দখল করিনি। মঙ্গলহাটের ব্যবসায়ীরা নবান্নতে যেতে চায়নি। ওই বিল্ডিং এমনি পড়ে ছিল, তাই আমরা গেছি। গত একুশে জুলাই বিকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মঙ্গলাহাট (Howrah) পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। জেলাশাসকের নেতৃত্বে সেই কমিটি কাজ করেছে। আগে ঠিক হয়েছিল হাটের যে অংশ পুড়ে গেছে সেখান থেকে যাবতীয় জঞ্জাল সরিয়ে দেওয়া হবে, যাতে সোমবার থেকে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা ফের বিক্রিবাটা শুরু করতে পারেন। কিন্তু আজ সকালে ব্যবসায়ীরা এসে দেখেন জঞ্জালের স্তূপ এখনও সরানো হয়নি। সেই কারণে ব্যবসায়ীদের একাংশ ক্ষুব্ধ হন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার মহরম এবং রবিবার ছুটি থাকায় ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ পুরোপুরি শেষ করা যায়নি।

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

    হাটের (Howrah) ব্যবসায়ীদের একাংশ দাবি করেন যে হাটের যে অংশ পুড়ে যায়নি সেখানে তাঁদের ব্যবসা করার অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। আজ খোলা হবে কাল খোলা হবে বলে প্রশাসন কেবল আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু নিশ্চিত করে বলতে পারছে না! আর এই নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বচসা হয় পুলিশের। সবটা মিলিয়ে উত্তেজনা চরমে। যদিও এ প্রসঙ্গে মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নবান্ন কোনও ভাবেই মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের জন্য করা হয়নি। ওটি একটি আলাদা গার্মেন্টস হাব করা হয়েছিল বড় বড় ব্যবসায়ীদের জন্য। তাছাড়া হাওড়া ময়দানে যেখানে মঙ্গলাহাট রয়েছে সেই হাট ছেড়ে অন্যত্র তাঁরা কোনভাবেই যেতে রাজি নন। মুখ্যমন্ত্রী যদি পোড়া মঙ্গলাহাটের জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে তাঁদের জন্য পাকাপাকি স্টল বানিয়ে দেন, তাহলে তাঁরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে রাজি।

    ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য

    তবে ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রশাসনের পাশে রয়েছে। তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেই জঞ্জাল দ্রুত সরাতে চান। মঙ্গলবার থেকে যাতে হাট (Howrah) চালু করা যায় সেই ব্যবস্থাই করা হবে।

    এই নিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন কার্যত ওই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে আছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়া যেন জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হচ্ছে, আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে পুকুর ও জলাশয়ও!

    Howrah: হাওড়া যেন জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হচ্ছে, আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে পুকুর ও জলাশয়ও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া শহরকে পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হাওড়া (Howrah) পুরসভার উদ্যোগে ঘটা করে বিভিন্ন জায়গায় ময়লা তোলার নতুন ভ্যাট উদ্বোধন হয়েছে কিছুদিন আগেই। পুরসভা বাজার এলাকা থেকে জঞ্জাল চার্জ নেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু তার পরেও হাওড়া শহর নোংরাই থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে সময় মতো নোংরা-আবর্জনা না তোলার অভিযোগ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শহরের পুকুরগুলিতে নোংরা ফেলার অভিযোগ। হাওড়া শহরে এমনিতেই পুকুর বুজতে বুজতে জলাশয়ের অস্তিত্ব মুছতে শরু করেছে। যে কটা অবশিষ্ট আছে, সেখানেও পুকুর পাড়েই বাসিন্দারা নোংরা-আবর্জনা ফেলতে শুরু করেছেন। সেই নোংরা পুরসভার জঞ্জাল সাফাইয়ের গাড়ি তুলে নিয়েও যাচ্ছে না। ফলে সেই আবর্জনা পুকুর পাড় থেকে পুকুরের জলে মিশে পুকুরের জলকে দূষিত করে তুলছে। হাওড়া শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে যে কটি পুকুর অবশিষ্ট আছে তার বেশিরভাগ পুকুরেই এই ছবি দেখা যাবে। ফলে শহর পরিষ্কার তো হচ্ছে না উলটে দূষণ বেড়েই চলেছে। বাসিন্দাদের দাবি, শহরে ভ্যাটের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি এই নোংরা যাতে সময় মতো তোলা হয়, সেদিকে পুরসভার জোর দেওয়া উচিত।

    কী অভিযোগ করছেন পুর নাগরিকরা (Howrah)?

    হাওড়া শহর জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় নোংরা জমে থাকা পুকুরগুলি পরিষ্কারের জন্যে ইতিমধ্যেই হাওড়া পুরসভাকে চিঠি দিয়েছেন নাগরিকরা। তার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। হাওড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাকলি দত্ত জানান, মধুসুদন পাল চৌধুরি লেনের (Howrah) কাছে একটি পুকুর দীর্ঘদিন নোংরা-আবর্জনায় ভরে রয়েছে৷ পুরসভার কাছে আবেদন করা সত্ত্বেও সেই পুকুর সংস্কার করা হয়নি। হাওড়ার ডুমুরজলার বাসিন্দা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক সুকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা পুকুরগুলি থেকে নোংরা তুলছে না। আর এই সুযোগকে কাজে  লাগিয়েই এক শ্রেণির লোক পুকুর পাড়ে নোংরা ফেলে একটু একটু করে পুকুরগুলিকে বুজিয়ে ফেলছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় খুব দ্রুত পুকুরগুলি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, পুকুরের নোংরা আবর্জনা তুলে ফেলা হচ্ছে না বলেই দূষণ বাড়ছে।

    কী জানালেন পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান (Howrah)?

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ডক্টর সুজয় চক্রবর্তী বলেন, হাওড়া (Howrah) শহরের পুকুরগুলিতে এভাবে নোংরা ফেলা হচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই পুরসভার নজরে এসেছে। তাই পুরসভার পক্ষ থেকে হাওড়া পুর এলাকায় ব্যক্তিগত ও ভেস্টেড এলাকা মিলিয়ে ১১০ টি পুকুরের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী পুকুর পাড়গুলিকে বাঁধিয়ে দিয়ে বেড়া দিয়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই পরিকল্পনা রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে৷ ফান্ড এলেই কাজ শুরু হবে। আপাতত নাগরিকরা যাতে এভাবে পুকুরের পাড়ে নোংরা না ফেলে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়া পুরসভার ১০-১২টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বেগে বাসিন্দারা

    Howrah: হাওড়া পুরসভার ১০-১২টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বেগে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার দাপট শুরু হতেই হাওড়া (Howrah) শহরজুড়ে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা। হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডেঙ্গি ক্রমশ বাড়ছে। তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গি বেশি ছড়াচ্ছে পুরসভার ২৯ এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অন্য বছরের তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ এখনও অনেকটাই কম। বৃষ্টি বাড়লে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। হাওড়া পুরসভার ৫০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ থেকে ১২ টি ওয়ার্ডে এই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে পুর নাগরিকরা জানিয়েছেন।

    কী বলছে হাওড়া (Howrah) পুরসভার তথ্য?

    হাওড়া পুরসভার তথ্যই বলছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে যেভাবে ডেঙ্গি রোগী পাওয়া গেছে, সেই তুলনায় গত এক মাসে সংখ্যাটা বেড়েছে অনেকটাই। দ্বিগুণের থেকেও বেশি। যদিও হাওড়া পুরসভার হিসাব বলছে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত পুর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি। তবে সাধারণ মানুষের মতে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা এর প্রায় চারগুণ। হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষার শুরু থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে একটি পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। হাওড়া পুরসভায় ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠক করেন চেয়ারম্যান নিজে। তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজখবর নিতে হরে, কোথাও জল জমিয়ে রাখা হচ্ছে কিনা। এর পাশাপাশি মশা মারার তেল নিয়মিত স্প্রে করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকার নর্দমাগুলি যাতে ঠিকমতো পরিষ্কার হয়, সে ব্যাপারে সাফাই কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বোপরি তিনি নিজে পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন।

    কী অভিযোগ করলেন বাসিন্দারা (Howrah)?

    যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, মশা মারার তেল নিয়মিত দেওয়া হয় না। বিগত কয়েক বারের বৃষ্টির জল নেমে গেলেও শহরে নোংরা-আবর্জনা নিয়ম করে পরিষ্কার করা হচ্ছে না। উত্তর হাওড়ার বাসিন্দা সুধাকর দুবে জানান, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর হাওড়া (Howrah) পুরসভা এলাকার পার্কগুলিকে ঢেলে সাজানো হয়েছিল। নিয়মিত জঞ্জাল পরিষ্কার হত। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে প্রশাসক মণ্ডলীর পরিচালনায় পুরসভা চলছে। বিভিন্ন এলাকা জঙ্গলে ভরে গেছে। আবাসন, পার্ক এমনকী রাস্তার দু’ধারে আগাছা ও জঞ্জাল জমা হয়। সেখানেই বাড়ছে মশার উপদ্রব। ফলে নাগরিকরা খুবই চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। নিয়মিত মশা মারার তেল দেওয়ার পাশাপাশি যাতে শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: প্রোমোটারের সঙ্গে গ্রামবাসীদের গন্ডগোলে রণক্ষেত্র জগৎবল্লভপুর, গুলিবিদ্ধ মহিলা

    Howrah: প্রোমোটারের সঙ্গে গ্রামবাসীদের গন্ডগোলে রণক্ষেত্র জগৎবল্লভপুর, গুলিবিদ্ধ মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঠের ধারে একটি নবনির্মিত ভবনের জানালা রাখা নিয়ে প্রোমোটারের সঙ্গে গন্ডগোলের জেরে গুলি চলল হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরের পোলগুস্তিয়া এলাকায়। কয়েকদিন আগে থেকে গণ্ডগোল চলছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে ভয় দেখাতে আসেন দিলীপ চোংদার নামে এক প্রোমোটার। দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে বোমাবাজি করতে থাকে বলে অভিযোগ। পরে, অভিযুক্ত প্রোমোটার সহ ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার (Howrah) পোলগুস্তিয়া এলাকায় একটি জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগ, দিলীপ চোংদার নামে এক প্রোমোটার জোর করে গ্রামের একটি জমি দখল করে আবাসন তৈরি করছিলেন। এই মাঠেই গ্রামের ছেলেমেয়েরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলো করে। সেই জমি দখলের অভিযোগ ওঠে ওই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েক মাস ধরে এলাকায় উত্তেজনা ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে ভয় দেখাতে আসেন ওই প্রোমোটার। দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে বোমাবাজি করতে থাকে বলে অভিযোগ। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েকজন মহিলা। অভিযোগ, আচমকা গুলি চলায় এক মহিলা জখম হন। তাঁর পায়ে এসে লাগে গুলি। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিরোধ গড়়ে তোলেন। তখনই দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের তরফ থেকেও ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। পরে, দুষ্কৃতীরা এলাকা ছাড়ে। আপাতত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনাস্থলে বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।

    কী বললেন অভিযুক্ত প্রোমোটার?

    হামলার প্রসঙ্গে প্রোমোটার দিলীপ চোংদার বলেন, আমার নিজের জমি। সমস্ত অনুমতি নিয়েই আমি বিল্ডিংটা তৈরি করছি। থানাকে জানানো আছে। জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়েছি। কিন্তু, স্থানীয় যুবক সমিতি ক্লাবের কিছু ছেলে আমার কাছে চার লক্ষ টাকা চেয়েছিল। আমি তা দিইনি। এটাই অপরাধ। তার জন্য ওরা মাঠের দিকে আমাকে জানালা রাখতে দেবে না। তাই নিয়েই বিবাদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দুর্গাপুজোর বৈঠকে নাক গলাতে না পেরে হামলা, জখম ৪, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: দুর্গাপুজোর বৈঠকে নাক গলাতে না পেরে হামলা, জখম ৪, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো কমিটিতে নাক গলানোর চেষ্টা শাসক দলের। আর সেখানে বাধা পেয়ে পুজো কমিটির সদস্যদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগদীশপুরে। হামলার জেরে চার জন গ্রামবাসী জখম হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    রবিবার বিকেলে জগদীশপুর মাঝেরহাট এলাকায় দীর্ঘদিনের পুরানো দুর্গাপুজোর প্রস্তুতির জন্য মাঝেরহাট দুর্গা উৎসব কমিটির বৈঠক ডাকেন গ্রামবাসীরা। এলাকার মানুষের অভিযোগ, গত দুবছর ধরে বাইরের বেশ কয়েকজন তৃণমূলের (TMC) নেতা ও কর্মী পুজো কমিটি দখল করে পুজোর ব্যবস্থা করছেন। এলাকার মানুষ নিজেদের পুজোয় ঠিক মতো অংশগ্রহণ করতে পারছিলেন না। এই নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল। এবছর বহিরাগত তৃণমূলদের বাদ দিয়ে গ্রামবাসীরা জোট বেঁধে পুজো করবেন বলে ঠিক করেন। সেইমতো রবিবার বিকেলে ক্লাবের মধ্যে গ্রামবাসীরা বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে মহিলারাও অংশগ্রহণ করেন। অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন বেশ কিছু বহিরাগত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আসেন। তাঁদের সঙ্গে পুজো কমিটির সদস্যদের প্রথমে বচসা বাধে। পরে, তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। গ্রামবাসীদের বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চার জন গ্রামবাসী জখম হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে লিলুয়া থানার পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করেন। পরে, পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা তাপস আইন বলেন, এটা পুরোপুরি গ্রামবাসীদের মিটিং ছিল পুজো নিয়ে। সেখানে গ্রামবাসীদের একাংশ বাইরে থেকে লোক এনে কমিটি দখল করতে চাইছিল। এনিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ব্যাপার নেই। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আমতায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, শুনলেন ক্ষতিগ্রস্তদের কথা

    BJP: আমতায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা, শুনলেন ক্ষতিগ্রস্তদের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার আমতা সহ বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েত ভোটে গোলমালের কারণ খুঁজতে একের পর এক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি (BJP)। দলীয় সাংসদদের প্রতিনিধি দলের পর সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরের মহিলা সাংসদদের প্রতিনিধিরা ঘুরে গিয়েছেন বাংলা থেকে। এ বার তফশিলি সাংসদদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম এল আমতায়। আমতার কাঁকরোলে ভোটের পর বিজেপি কর্মীদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা খতিয়ে দেখতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন তফশিলি সাংসদ দলের সদস্যরা। যদিও এই প্রতিনিধি দল আসার আগে আমতায় রাস্তা আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।

    কী বললেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা?

    বিজেপির (BJP) তফশিলি সাংসদদের এই দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মনোজ রাজরি, এস মুনিস্বামী। তাঁরা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে তফশিলি সম্প্রদায়ের ২৮ জন মানুষ খুন হয়েছেন। বিজেপির যে ১০ জন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮জন তফশিলি।’ মনোজের অভিযোগ, ‘বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। পুলিশ রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করছে। আমতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা জানান,  এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন। অথচ এই রাজ্যে গণতন্ত্রকে কিভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে তা আপনারা (সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন) সারা দেশের সামনে তুলে ধরুন। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যেই মহিলাদের উপর সব থেকে বেশি নির্যাতন চলছে। গরিব ও দলিত মানুষদের উপর সব থেকে বেশি অত্যাচার হয়েছে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ ঠিক মতো তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে সব ঘটনার পুনরায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে।

    প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সামনে কী বললেন ক্ষতিগ্রস্তরা?

    প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন ক্ষতিগ্রস্ত মহিলারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সামনে তাঁরা বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি, দোকান ঘর সবকিছু ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা কোথায় থাকব তা ভেবে পাচ্ছি না। মনোজ রাজরি তখন তাদের শান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আপনারা চিন্তা করবেন না। সব অপরাধীরা সাজা পাবে। তিনি বলেন, এই বোনেদের চোখের জল মমতা দিদির সরকারকে ডোবাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Botanical Garden: শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৩০ টাকা

    Botanical Garden: শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৩০ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার এ জে সি বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেনের (Botanical Garden) প্রবেশ মূল্য বাড়ছে। ভারতীয় নাগরিকদের জন্য এই প্রবেশ মূল্য আগে ছিল ১০ টাকা। তা বেড়ে হচ্ছে ৩০ টাকা। একই ভাবে বিদেশি নাগরিকদের জন্য এই প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া বাগানে ফটোগ্রাফির চার্জ ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হচ্ছে। হাওড়ার শিবপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই প্রবেশ মূল্য বৃদ্ধির নোটিস বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় টাঙিয়ে দিয়েছে গার্ডেনের প্রবেশ দ্বারে। ১ অগাস্ট থেকে এই নতুন হারে প্রবেশ মূল্য নেওয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ নোটিসে জানিয়েছে।

    কী বললেন গার্ডেনের (Botanical Garden) জয়েন্ট ডিরেক্টর?

    বোট্যানিক্যাল গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দর সিং জানিয়েছেন, বাগানের যে ম্যানেজমেন্ট কমিটি আছে, সেই কমিটির প্রধান রাজ্যের চিফ সেক্রেটারি। গত মাসে সেই ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকেই এই টিকিট মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব পাশ হয়। তিনি বলেন, যাঁরা বাগানে (Botanical Garden) প্রাতঃভ্রমণে আসেন, তাঁদের প্রবেশ মূল্য কিছুটা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা বাড়ানোর কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তিনি বলেন, গবেষণার কাজে বা স্কুল পড়ুয়ারা একসঙ্গে বাগানে এলে স্কুল থেকে চিঠি দিলে তাদের জন্য কোনও প্রবেশ মূল্য লাগবে না। বাকিদের প্রবেশ মূল্য দিয়েই বাগানে ঢুকতে হবে। দেবেন্দর সিং বলেন, বহু জায়গা থেকে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি, ডকুমেন্টেশন ফটোগ্রাফি ও সিনেমাটোগ্রাফির জন্যও আবেদন আসছে। ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে সেই বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তা অনুমোদন এলেও বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তার কাছ থেকে আলাদা করে অনুমোদন নিয়ে তবেই সেই সুযোগ দেওয়া হবে।

    কী প্রতিক্রিয়া প্রাতঃভ্রমণকারীদের (Botanical Garden)? 

    বি গার্ডেনে প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণে আসা ব্যক্তিদের সংগঠন বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden) ডেইলি ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তাপস দাস বলেন, এটা একটা গবেষণার বাগান। প্রতিদিন বহু ছাত্র-ছাত্রী গবেষণার কাজেও এই বাগানে প্রবেশ করেন। এখানে এক ধাপে এতটা প্রবেশ মূল্য বাড়ানো ঠিক হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Howrah: মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানি করে নগ্ন করে নির্যাতন তৃণমূলের, তোলপাড় হাওড়ায়

    Howrah: মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানি করে নগ্ন করে নির্যাতন তৃণমূলের, তোলপাড় হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন ৮ জুলাই হাওড়ার পাঁচলায় (Howrah) এক মহিলা বিজেপি প্রার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, এই প্রার্থীকে কাপড় খুলে নগ্ন করে অসম্মানিত করার অভিযোগও করা হয়েছে। মণিপুরের ছায়া কি বাংলাতেও! প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতারা। বর্তমানে ওই পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

    নিপীড়িত মহিলার বক্তব্য

    আক্রান্ত মহিলা (Howrah) জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। গত ৮ ই জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিনে সকাল ১১ টা নাগাদ স্থানীয় বুথে তিনি যখন ভোট দিতে যান, তখন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর তাঁর কাপড় ধরে টানাটানি করা হয়। ঠিক তারপরেই ওই মহিলা দৌড়ে বুথ থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর তাঁকে নগ্ন করে নির্যাতন চালানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং তাঁর স্বামী তাঁকে উদ্ধার করেন। পরিবারের অভিযোগ, বুথ থেকে সব ভোট লুট করেছিল তৃণমূল। তাঁর উপর যে নির্যাতন হয়, তাতে অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর গোটা পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর মেল করে পাঁচলা থানার ওসির কাছে অভিযোগ জানায় পরিবার। এরপরই তদন্তে নামে হাওড়া জেলা গ্রামীণ পুলিশ। মহিলার বেশি চোট না থাকায় তিনি মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেন। গোটা পরিবার এখন শান্তিতে বসবাস করতে চাইছে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইট করে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।

    স্বামীর বক্তব্য

    আক্রান্ত মহিলার (Howrah) স্বামী জানিয়েছেন, তিনি পরপর দুটি পঞ্চায়েত নির্বাচন দেখলেন। বিজেপি করার জন্য তাঁর স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে নগ্ন করে যেভাবে অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, সেই ঘটনার স্মৃতি মনে পড়লে তাঁরা আঁতকে উঠেছেন। তাই তাঁরা আর এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে চান না। তাঁদের পরিবার চায় বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় এসে রাজ্য জুড়ে এই নারী সমাজের উপর অত্যাচার, হিংসা এবং অরাজকতার অবসান ঘটাক।

    আজকেই দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মুজমদার এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মলেন করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপির কর্মী-সমর্থক এবং প্রার্থীদের উপর অত্যাচারের কথায় সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গে হাওড়ার পাঁচলায় নারী নির্যাতনের কথাকে তুলে ধরে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য যথারীতি বলেন, পাঁচলায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share