Tag: Howrah

Howrah

  • JP Nadda: হাওড়ায় কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে জেপি নাড্ডা, কী করলেন?

    JP Nadda: হাওড়ায় কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে জেপি নাড্ডা, কী করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে বঙ্গে এসে বিজেপির ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসুচীর অঙ্গ হিসাবে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের বাড়ি দেউলটি থেকে মাটি সংগ্রহ করলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। শুক্রবার রাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জেলা পরিষদ সভাধিপতিদের নিয়ে হাওড়ার দেউলটির একটি হোটেলে এদিন সকালে একটি  কর্মশালার উদ্বোধন করেন নাড্ডা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে দুপুরে দেউলটিতে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে পরিদর্শনে আসেন জে পি নাড্ডা।

    ভিজিটার্স বুকে কী লিখলেন জে পি নাড্ডা (JP Nadda)?

    দেউলটিতে শরৎচন্দ্রের বাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করেন জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। “আমার মাটি আমার দেশ” কর্মসূচির সূচনা করেন তিনি। সেই মাটি নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লির কর্তব্যপথ বাগানে। এদিন দেউলটিতে এসে শরৎচন্দ্রের বাসভবনে, সেখানকার লাইব্রেরি রুমে ঘুরে দেখেন তিনি। সেখানকার ভিজিটার্স বুকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখে রাখেন তিনি। তিনি লেখেন ‘আজ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো মহান মানুষের নিবাস স্থানে আসতে পেরে নিজেকে খুবই সৌভাগ্য প্রাপ্ত মনে করছি। এই জায়গা থেকে অনেক প্রেরণা পেলাম।’ তিনি প্রথমে ওই বসতবাড়িতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর তিনি ওই বাসভবন চত্বরে একটি আম গাছ রোপণ করেন। পরে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রূপনারায়ণ নদীতীরে এই বাড়িতে যে কক্ষতে বসে তাঁর সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছিলেন সেই ঘর পরিদর্শন করেন। এরপর জেপি নাড্ডা আরেকটি কক্ষে গিয়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত জিনিসগুলো পরিদর্শন করেন। পরে, ওই বাড়ির দোতলার ঘরগুলিও তিনি ঘুরে দেখেন। দোতলা বাড়ির বারান্দাতে উঠে উপস্থিত সমর্থক মানুষদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, অনুপম হাজরা, রাঁচির মেয়র আশা লাকড়া, অমিত মালব্য, বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন সেখানে এক জাতীয় পতাকা বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন নাড্ডা। জে পি নাড্ডার সফর উপলক্ষে দেউলটির সামতাবেড়ে শরৎচন্দ্রের বসতবাড়ি এলাকাকে সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। দুপুরে জে পি নাড্ডা সেখানে আসেন। ১.৪০ নাগাদ তিনি দেউলটি আসেন। প্রায় আধ ঘন্টা ছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: গাড়ি কেনাই কাল হল! হাওড়ায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় দুই অধ্যাপিকা সহ তিনজনের মৃত্যু

    Howrah: গাড়ি কেনাই কাল হল! হাওড়ায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় দুই অধ্যাপিকা সহ তিনজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই অধ্যাপিকাসহ তিনজনের। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই রোডে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া উড়ালপুলে। জখম যুবককে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়ির ভিতরে থাকা দুই অধ্যাপিকা সহ তিন জনের মৃত্যু হয়। দু-জনেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ছিলেন। জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়ার বাসিন্দা নন্দিনী ঘোষ (৩৬) মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশা রায় (৩৩) দূরশিক্ষা বিভাগের পরিবেশ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক। মিশার বাড়ি সোদপুরে। একইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে গাড়িচালক বিশ্বজিত রায়ের(৩১)। বিশ্বজিতের বাড়িও উত্তরপাড়ায়।

    ঠিক কীভাবে দুঘর্টনা ঘটেছে?

    দুই অধ্যাপিকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোয়ার্টার রয়েছে। তবে, মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে গাড়ি করে যাতায়াত করতেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খড়্গপুরের দিকে যাচ্ছিল ট্রেলারটি। উল্টো লেনে ছিল গাড়িটি। মেদিনীপুর থেকে নন্দিনীর গাড়ি করে তাঁরা হাওড়ার দিকে ফিরছিলেন। হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া উড়ালপুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেলারটি হঠাৎই ডিভাইডার টপকে পাশের লেনে চলে যায়। সেই সময় ওই লেনে কোলাঘাটের দিক থেকে আসছিল নন্দিনীদের গাড়িটি। ট্রেলারের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। গাড়ির মধ্যে আটকে পড়েন চালক সহ তিন যাত্রী। খবর পেয়ে আসে উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের নিয়ে আসা হয় উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?

    নন্দিনী ঘোষের বাবা সুদীপ ঘোষ বলেন, এক সময় মেয়ে শ্রীরামপুর কলেজে পড়াত। পরে, সে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়। ট্রেনে যাতায়াত করত। কিন্তু, লকডাউনের সময় গাড়ি কিনেছিল। গাড়ি করে যাতায়াত করত। সঙ্গে সোদপুরের মিশা থাকত। সোমবার সকালে আমি নিজে হাতে টিফিন তুলে দিয়েছি। বিকেলের পর মেদিনীপুর থেকে বেরিয়ে ওর মায়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। রাত ৮ টার পর আর তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। প্রাক্তন আইপিএস হিসেবে তিনি লালবাজারে পুরানো সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরই হাওড়ার (Howrah) পথ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কার্যত তিনি ভেঙে পড়েন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Accident: বেহালার পর ফের দুর্ঘটনা শহরে! সৌরনীলের মৃত্যুর পর রাতারাতি বদলে গেল ট্রাফিক নিরাপত্তা

    Kolkata Accident: বেহালার পর ফের দুর্ঘটনা শহরে! সৌরনীলের মৃত্যুর পর রাতারাতি বদলে গেল ট্রাফিক নিরাপত্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালায় (Behala) ট্রাকের ধাক্কায় ৭ বছরের শিশুর মৃত্যুর পর শুক্রবার রাতে ফের এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন হাওড়ার এক যুবতী। মৃতের নাম সুনন্দা দাস। কলকাতার ধর্মতলা এলাকার এক হোটেলের কর্মী ছিলেন সুনন্দা। হাওড়ার নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা তিনি। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুনন্দা। ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে পিছন থেকে একটি লরি এসে স্কুটিতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। লরির ধাক্কায় সুনন্দার শরীরের একাংশ গাড়ির তলায় পিষে যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা সুনন্দাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ লরিটিকে আটক করলেও ঘটনাস্থল থেকে পলাতক লরির চালক।

    ট্রাক চলাচলে নয়া নিয়ম

    বেহালায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর পর অবশেষে টনক নড়ল পুলিশের (Police)। লালবাজারের (Lalbazar) নির্দেশ, সকাল ৬টার পর কলকাতায় (Kolkata) ঢুকবে না কোনও ট্রাক। আজ থেকেই চালু হয়েছে এই নিয়ম। মৌখিকভাবে সমস্ত ট্রাফিক গার্ডকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি হোক বা বেসরকারি, কলকাতার সমস্ত স্কুলের বাইরে থাকতে হবে ওসি বা অ্যাডিশনাল ওসি পদমর্যাদার একজন অফিসারকে। সমস্ত স্কুলের বাইরে যান নিয়ন্ত্রণ ও ভিড় সামলাতে থাকবে পুলিশ। গতকাল পথ দুর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর পরের দিন বদলে গেল বেহালা চৌরাস্তার ছবিও। 

    আরও পড়ুন: ‘‘গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করুন পুলিশ কমিশনার’’, বেহালা কাণ্ডে মন্তব্য শুভেন্দুর

    বদলে গেল বেহালার ছবি

    রাতারাতি পাল্টে দিল বেহালা চৌরাস্তা এলাকার ট্রাফিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহরের অন্যান্য গুরত্বপূর্ণ মোড়গুলির মত বেহালা চৌরাস্তায় শুক্রবার রাতেই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে ম্যানুয়াল ড্রপ গেট। জেব্রা ক্রসিংয়ের ঠিক সমান্তরাল ভাবেই। দড়ির বাঁধনের কন্ট্রোলে পুলিশকর্মীরা ড্রপ গেট তুলছেন এবং নামিয়ে দিচ্ছেন। রাস্তা পারাপার করতে হবে এখান দিয়েই। আর কোনও অবস্থাতেই, কোনওভাবে রাস্তা পারাপারের চেষ্টা করামাত্র জুটবে পুলিশের কড়া ধমক। বড়িশা হাই স্কুলের সামনেও বসানো হয়েছে ম্যানুয়াল ড্রপ গেট, মোতায়ন পুলিশ।ঠাকুরপুকুর থেকে তারাতলা পর্যন্ত ফুটপাতের সিংহভাগ কার্যত হকারদের দখলে। ব্যস্ততার মধ্যে একপ্রকার বাধ্য হয়েই পথচারীদের রাস্তার ধার ঘেঁষেই চলাচল করতে হয়। তাঁদের জন্য রাস্তার দু’দিকের লেনের এক পাশে আড়াই মিটার অংশ পথচারীদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    Siliguri: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া, মালদার ছায়া এবার শিলিগুড়িতে। সালিশি সভায় পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে এক আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার বাগডোগরা থানার ভুজিয়াপানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম প্রদীপ সরকার, গৌরী সরকার, শিবা বাল্মিকী, ললিতা বাল্মিকী। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে তাদের তোলা হয়। পাশাপাশি গোটা ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে আদিবাসী কল্যাণ সমিতির রাজ্য নেতৃত্ব এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে।

     ঠিক কী হয়েছিল?

    ভুজিয়াপানির বাসিন্দা প্রদীপ সরকারের সঙ্গে এলাকার এক মহিলার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে গত ১৯ জুলাই এলাকায় সালিশি সভা বসে। সেখানে প্রদীপ সরকারের স্ত্রী ও অপর এক মহিলার সঙ্গে হাতাহাতি হয়। তাদের ছাড়াতে গেলে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ওই নির্যাযিতা মহিলাও। ঘটনার পরের দিন আবার ওই ঘটনা নিয়ে সালিশি সভা ডাকা হয়। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বুলবুলি সিংহ। শিলিগুড়ির (Siliguri) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

     কী বললেন নির্যাতিতা মহিলা?

    নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলা বলেন, সালিশি সভার প্রথম দিন প্রদীপ সরকারের সঙ্গে যে মহিলার পরকীয়া চলছিল, তার সঙ্গে গৌরিদেবীর হাতাহাতি শুরু হয়। গৌরিদেবী প্রদীপ সরকারের স্ত্রী।  আমি হাতাহাতি থামাতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়। তারপর সবাই মিটমাট করে দিলে বাড়ি চলে আসি। পরের দিন আবার সালিশি সভা ডাকা হয়। আমি যাইনি। আমাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পৌঁছতেই অভিযুক্ত মহিলা আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করে। পঞ্চায়েত সদস্যের সামনে এই ঘটনা ঘটে। তারপর আরও কয়েকজন আমাকে মারধর করে। সকলের সামনেই আমাকে বিবস্ত্র করেই হামলা চলে। আমি মাটিতে পড়ে যেতেই সকলে চলে যায়। কয়েকজন এসে আমাকে গামছা চাপা দিয়ে লজ্জা নিবারণ করে। খবর পেয়ে আমার ছেলে বাড়ি থেকে নাইটি নিয়ে যায়। সেই নাইটি পরে বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফেরার পর রবিবার রাতে আমার নড়ার ক্ষমতা ছিল না। সেই সঙ্গে লজ্জায় বাড়ির বাইরে বের হইনি। বাড়িতে শুয়েই ছিলাম। সোমবার স্থানীয় কয়েকজনের পরামর্শে আমি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করি। 

    কী বললেন পঞ্চায়েত সদস্য?

    কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য বুলবুলি সিংহ সালিশি সভা ও আদিবাসী  মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ওই মহিলাকে মারধর করা হলেও বিবস্ত্র করা হয়নি।

    নিন্দায় সরব আদিবাসি কল্যাণ সমিতি

    এই খবর পেয়ে এদিন ওই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনা শোনে আদিবাসি কল্যাণ সমিতির নেতৃত্ব। সমিতির অন্যতম সদস্য মন্টু বরাইক বলেন,  আদিবাসী কল্যাণ সমিতির  রাজ্য নেতৃত্ব এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। হাওড়া, মালদার পর শিলিগুড়িতে এধরনের ঘটনা ঘটায় আমরা উদ্বিগ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মহিলাদের বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, হাওড়ায় পথে নেমে আন্দোলন বিজেপির

    BJP: মহিলাদের বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, হাওড়ায় পথে নেমে আন্দোলন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচলা এবং মালদায় মহিলাদের বিবস্ত্র করে তাঁদের উপর অত্যাচার চালানোর প্রতিবাদে হাওড়ায় প্রতিবাদে সামিল হল বিজেপি (BJP)। সোমবার বিজেপির তফশিলি মোর্চা ও মহিলা মোর্চা এক জোট হয়ে তাঁরা আইন ভঙ্গের কর্মসূচিতে অংশ নেন। এদিন বিকেলে তাঁরা পঞ্চাননতলায় বিজেপির পার্টি অফিস থেকে মিছিল করে হাওড়া থানার দিকে রওনা দেন। বিজেপি কর্মীদের প্রতিবাদ যখন হাওড়া থানার দিকে এগোতে থাকে, তখন তাদের আটকানোর জন্য সিটি পুলিশের উদ্যোগে আগেই তৈরি করা হয়েছিল লোহার ব্যারিকেড। হাওড়া ময়দানে সেই ব্যারিকেডের সামনে বিজেপির মিছিল এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। আর তখনই পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার ধস্তাধস্তি ও খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। প্রতিবাদকারী বিজেপি কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ পুলিশের তৈরি করা লোহার ব্যারিকেড ভেঙে হাওড়া থানার দিকে এগিয়ে যায়। পরে, তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, হাওড়ার পাঁচলায় দুই মহিলা বিজেপি কর্মীকে সম্পূর্ণভাবে বিবস্ত্র করে তাদের ওপর অত্যাচার চালানো হয়। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যে নারীদের কোনও নিরাপত্তা নেই।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) হাওড়া জেলা সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য জুড়ে যেভাবে নারীদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে তারই প্রতিবাদে বিজেপির মহিলা মোর্চা সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা এবং সাধারণ মানুষ এদিনের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন রাজ্যের নারীদের সন্মানের দাম বিভিন্ন রকম। মণিপুরের ঘটনায় যে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তার নিজের রাজ্যের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীরব। অন্যদিকে বিজেপি মণিপুরের ঘটনার সমালোচনা করেছে। এই রাজ্যের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বিজেপি পথে নেমেছে। শুধুমাত্র গত কয়েক দিনের ঘটনাই নয়, এর আগেও একের পর এক মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনও নীরব ভূমিকা পালন করেছেন, আবার কখনও পার্ক স্ট্রিটের মতো ঘটনায় সেই মহিলার চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। এটা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ল গাছ, মাঝপথে আটকে গেল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

    Vande Bharat: প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ল গাছ, মাঝপথে আটকে গেল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল ঝড়ে বিপত্তির মুখে পড়ল পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রবিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে যেটুকু জানা গিয়েছে, কালবৈশাখীর প্রবল ঝড়ের দাপটে একটি বড় গাছ এসে পড়ে ট্রেনের উপরে। তার জেরে ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যায়। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ। ইঞ্জিনের কাচেও নানা জায়গায় চিড় ধরে যায়। কয়েকটি কামরায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রেল জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে মেরামতের কাজ চলছে। তা সম্পন্ন হলেই ট্রেন ছাড়বে। তবে গোটা কাজ শেষ হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিক জানিয়েছেন, ভদ্রকের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময় দুপুর ১ টা ৫০ মিনিটে পুরী স্টেশন থেকে ছেড়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ওড়িশায় ট্রেনটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ঝড়ের গতিবেগ এতটাই তীব্র ছিল যে একটি গাছ উড়ে এসে ট্রেনের ওপর পড়ে। তাতেই বিপর্যয় ঘটে।

    সকালেও দুর্ঘটনা

    অন্যদিকে, শনিবার রাতে অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় হাওড়া-পুরী সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস। চলন্ত ট্রেন থেকে কাপলিং খুলে আলাদা হয়ে যায় ইঞ্জিন ও দুটো বগি। বেশ কিছুদূর এগিয়ে যায় ইঞ্জিন সহ বগি দুটি। জানা গেছে, সেই সময় ট্রেনের ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন যাত্রীরা। আচমকাই ঝাঁকুনিতে শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের আধিকারিকদের। ওই দুটি বগিকে মেরামতি না করতে পারায় নতুন করে দুটি বগি লাগানো হয় ট্রেনের সঙ্গে। যাত্রীদের নামিয়ে নতুন বগি লাগিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। শনিবার রাত ১.০৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকুরসেনি স্টেশনের কাছে। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Express: বৃহস্পতিবার চালু হচ্ছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! ভাড়া কত? জেনে নিন সময়সূচি

    Vande Bharat Express: বৃহস্পতিবার চালু হচ্ছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস! ভাড়া কত? জেনে নিন সময়সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরী বাঙালির অতি প্রিয়। বহু বাঙালি পরিবার বছরে অন্তত একবার পুরী যাত্রা করেন। জগন্নাথ ধামের আকর্ষণে বাঙালি ছোটে বারবার। হাওড়া থেকে পুরী এবার আরও কম সময়ে যাওয়া যাবে। ১৮ মে, বৃহস্পতিবার থেকেই চালু হচ্ছে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। ওই দিন পুরী থেকে যাত্রা শুরু করবে এই ট্রেন। ২০ মে, শনিবার থেকে নিয়মিত চলবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে পুরী ৫০২ কিমি পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে সাড়ে ৬ ঘণ্টা। 

    ট্রেনের খুঁটিনাটি

    ভারতীয় রেল জানিয়েছে, হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ছাড়বে ২২৮৯৫ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। পুরী পৌঁছবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। পুরী থেকে ওই দিন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে বন্দে ভারত। হাওড়া পৌছবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। ১৬ কামরার এই ট্রেন হাওড়া থেকে পুরী যাওয়ার পথে থামবে খড়্গপুর, বালেশ্বর, ভদ্রক, জাজপুর, কেওনঝড়, কটক, ভুবনেশ্বর, খুরদা রোড স্টেশনে। বুধবার থেকে এই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। শুধু বৃহস্পতিবার চলবে না এই ট্রেন। যদিও উদ্বোধনের পরেই রেলের তরফে অফিসিয়ালি বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে। আইআরসিটিসি-র অ্যাপে এখনও ভাড়া নিয়ে কোনও আপডেট দেওয়া হয়নি। জল্পনা এই বন্দে ভারতের ভাড়াও হতে চলেছে হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারতের মতোই। যতদূর জানা গেছে, ভাড়া হবে এইরকম-চেয়ার কার ১২৬৫ টাকা, এগজিকিউটিভ ২৪২০ টাকা। এই ট্রেনে ৯২৬টি চেয়ার কার আসন এবং ৮৬টি এগজিকিউটিভ আসন থাকবে।

    আরও পড়ুন: ‘ওয়াই’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটেগরি! সৌরভের নিরাপত্তা বাড়াল নবান্ন, কেন?

    রেল সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটির উদ্বোধন করবেন। এটি ওড়িশা রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত (Vande Bharat Express) হতে চলেছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের জন্য এটি হতে চলেছে দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ওড়িশার পাশাপাশি কলকাতার রেলপ্রেমীদের কাছেও এটি যে অন্যতম সেরা আকর্ষণ হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকছে হাওড়ার উপরেই। ইতিমধ্যেই রেলের তরফে হাওড়া-পুরী রুটে বন্দে ভারতের ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে। ট্রায়াল রানের দিন হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্স থেকে ট্রেনটি ছেড়েছিল পুরীর উদ্দেশে। এবার পুরী থেকেই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: হাওড়া পুরী রুটে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কবে থেকে জানেন?

    Vande Bharat: হাওড়া পুরী রুটে ছুটবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একটা বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস পেতে চলেছে বাংলা। আগেরটি চলছে হাওড়া (Howrah) নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। এবার চলবে হাওড়া পুরী (Puri) রুটে। শুক্রবার শুরু হবে মহড়া যাত্রা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রেই এমন খবর মিলেছে। আগামী রবিবার হাওড়া থেকে ওড়িশার ভদ্রক পর্যন্ত আরও একটি ট্রায়াল রান হবে ওই বন্দে ভারতের। জানা গিয়েছে, মহড়া যাত্রায় সময় লাগবে সাড়ে ছ ঘণ্টা।

    বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান…

    খড়্গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিসিএম রাজেশ কুমার জানান, ট্রায়াল রান সফল হলে খুব শীঘ্রই পুরোদমে ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে। তবে যাত্রী পরিষেবা কবে থেকে শুরু হবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানান তিনি। এদিকে, বুধবার রাতেই বন্দে ভারতের (Vande Bharat) একটি রেক এসেছে হাওড়ায়। ওড়িশার বালেশ্বর হয়ে সাঁতরাগাছি কারশেডে এসে পৌঁছায় ১৬ কামরার ওই রেকটি। রেল সূত্রে খবর, মহড়া যাত্রায় শুক্রবার সকাল ৬টি ১০ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে বন্দে ভারতের ওই রেকটি। দুপুর ১২টি ৩৫ মিনিটে সেটি পৌঁছাবে পুরী। মাঝে ২ মিনিটের জন্য ট্রেনটি দাঁড়াবে খড়্গপুরে। ফিরতি পথে ট্রেনটি পুরী ছাড়বে ১টা ৫০ মিনিটে। হাওড়ায় পৌঁছবে রাত্রি সাড়ে ৮টায়। খড়্গপুর ছাড়াও আরও ৬টি স্টেশনে দাঁড়ানোর কথা বন্দে ভারতের।

    আরও পড়ুুন: রামনবমী কাণ্ডে তদন্তভার এনআইএ-র হাতে যেতেই মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দু-সুকান্তর

    জানা গিয়েছে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের রেক চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল ফ্যাক্টরি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সাঁতরাগাছি স্টেশনে ওই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে। মে মাসের প্রথম দিকেই উদ্বোধন করা হতে পারে হাওড়া পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। তবে ঠিক কবে উদ্বোধন হবে, তা জানা যায়নি। রাজেশ কুমার বলেন, বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের একটি রেক বুধবার রাতে এসেছে। খড়্গপুর হয়ে সেটা সাঁতরাগাছি কারশেডে পৌঁছেছে। কোন রুটে, কবে থেকে ট্রেন চলবে সেটা এখনও জানানো হয়নি। বুধবার রাতে ট্রেনটি বালেশ্বর হয়ে এসেছিল খড়্গপুর। ৫ মিনিট পর সেটি সাঁতরাগাছি চলে গিয়েছে। ট্রায়াল রান শুরু হবে কয়েক দিনের মধ্যে। তবে কবে থেকে চালু হবে, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Police Officer: সরিয়ে দেওয়া হল ইসলামপুরের পুলিশ সুপারকে! হাওড়ার দুটি থানার আইসি-কে বদল, কেন?

    Police Officer: সরিয়ে দেওয়া হল ইসলামপুরের পুলিশ সুপারকে! হাওড়ার দুটি থানার আইসি-কে বদল, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমা। আইন শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের কালঘাম ছুটছে। তারই জেরে কি ইসলামপুর জেলার পুলিশ সুপার (Police Officer) বিশপ সরকারকে বদল করে বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার যশপ্রীত সিং- কে আনা হয়েছে, নাকি এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কোনও কারণ? তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। পাশাপাশি রামনবমীর মিছিল এবং হামলার ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য–রাজনীতি। আর তা নিয়ে হাওড়ার একাধিক এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল। তার পরই এবার হাওড়া ও শিবপুর থানার আইসি-কে সরিয়ে দেওয়া হল। সোমবার রাতে হাওড়ার এই দুই থানা এলাকাতেই পুলিশে রদবদল করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, হাওড়া থানার আইসি (Police Officer) দীপঙ্কর দাসকে পাঠানো হয়েছে ঝাড়গ্রামের কোর্ট ইনসপেক্টর করে। আর চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আইবি থেকে সন্দীপ পাখিরাকে এনে হাওড়া থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম থেকে শিবপুর থানার দায়িত্বে আনা হয়েছে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। শিবপুরের দায়িত্বে ছিলেন অনুপ কুমার রায়। তাঁকে রাজ্য পুলিশের আইবিতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

    আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্যই কী ইসলামপুরের এসপি (Police Officer) বদল?

    সোমবার বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর থানার আগডিমটি খুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিয়াভিটা গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে ১২ টি তাজা বোমা ও বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। গত ৩০শে মার্চ দলের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুইজনের। ঘটনাটি ঘটে চোপড়া থানার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের দীঘাবানা এলাকায়। ১০ ই মার্চ চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি। ৮ই মার্চ বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ইসলামপুরের দক্ষিন মাটিকুন্ডা গ্রামে। মৃতের নাম সাকিব আখতার। অভিযোগ ওঠে ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনায় প্রধান সহ ১২ জন গ্রেফতার হয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী প্রকাশ্যে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এমনকী তাঁর দল বদল নিয়ে জেলা জুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে কথাও বলেছিলেন। আর তারপরই পুলিশ সুপার (Police Officer) বদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    হাওড়া–শিবপুরে আইসি (Police Officer) বদলের কারণ কী?‌

    এই দুই জায়গায় রামনবমীর মিছিলে যে অশান্তি হয়েছিল তার জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‌যখন প্রচুর লোক ঢুকে গিয়েছে, তখন পুলিশ গুলি চালালে যে কারও মাথায় লাগতে পারত। ফলে কিল খেয়ে কিল হজম করতে হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমরা আটকাতে পেরেছি। এখানে হল না। এই জায়গায় অবশ্যই পুলিশের ব্যর্থতা আছে, স্বীকার করছি। যা পদক্ষেপ করার করব।’‌ এবার পদক্ষেপ করা হল হাওড়া–শিবপুরের ক্ষেত্রে। তবে রিষড়ার ক্ষেত্রে পৃথক সার্কেল তৈরি করা হয়েছে। রিষড়া থানাকে কেন্দ্র করে ওই সার্কেলের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রবীর দত্তকে। আগে তিনি রিষড়া থানার ওসি ছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আটকানো হল বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। রবিবার তাঁকে হাওড়ার (Howrah) শিবপুরে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য যেতে দেওয়া হয় বালুরঘাটের সাংসদকে। সোমবার রিষড়ার পর মঙ্গলবার শ্রীরামপুরেও (Serampur) ধর্নায় যেতে বাধা দেওয়া হয় সুকান্তকে। এদিন দুপুরে ডানকুনির জগন্নাথপুরে দিল্লি রোডে আটকে দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়ি। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। কিছুক্ষণ পরেই ধর্না শেষ করে রাজ্যপালের কাছে যাব। ১৭ বছরের ছাত্রকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইছি।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছে। যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, যারা অশান্তি করছে, পুলিশ তাদের আশ্রয় দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। রাজ্যপালকে সব কিছু জানিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইব। এদিন পুলিশের বাধা পেয়ে ডানকুনিতে পুলিশ ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থানে বসে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি না হওয়া সত্ত্বেও যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধীদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ইচ্ছে করে জনমানবহীন এলাকায় আটকে রাখা হচ্ছে, যাতে জল, খাবারটুকুও কেউ না পায়।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি আটকে আমাদের আহত কর্মীদের দেখতে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকলে পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যায় না। আমিও পুলিশকে বলেছিলাম পাঁচজনের বেশি লোক যাবে না, আমাদের ঢুকতে দিন। দুই সাংসদ সহ যেতে চাইলেও, তাও দেওয়া হচ্ছে না। সুকান্ত বলেন, ডানকুনি থানা এলাকায় চন্দননগর কমিশনারেট নিয়ন্ত্রণ করছে। কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    সোমবার আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির কনভয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে টানাপোড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এর প্রতিবাদেই মঙ্গলবার শ্রীরামপুর বটতলায় ধর্নায় বসার কথা ঘোষণা করেন সুকান্ত। সেই মতো এদিন সকালে মঞ্চ বাঁধতে শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ গিয়ে খুলে দেয় সেই মঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

     

LinkedIn
Share