Tag: imran khan

imran khan

  • Imran Khan: তিনদিনের স্বস্তি, আগাম জামিন মঞ্জুর ইমরান খানের, গ্রেফতার করা যাবে না ২৫ অগাস্ট অবধি 

    Imran Khan: তিনদিনের স্বস্তি, আগাম জামিন মঞ্জুর ইমরান খানের, গ্রেফতার করা যাবে না ২৫ অগাস্ট অবধি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার (Arrest) হতে পারেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। এরকম খবর আগেই ছিল। জঙ্গি দমন আইনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে পিটিআই (pakistan tehreek-e-insaf) সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে । ইসলামাবাদে র‍্যালিতে বিচারপতি সহ দুই শীর্ষ আধিকারিককে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। ইমরান খানের গ্রেফতারি আটকাতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই পিটিআই কর্মী সমর্থকরা ভিড় করেছেন ইমরান খানের বাড়িতে। কিন্তু আপাতত তিনদিনের স্বস্তি। 

    আরও পড়ুন: বিলম্বিত বোধোদয় পাকিস্তানের! কাশ্মীর নিয়ে কী বললেন শাহবাজ শরিফ জানেন?

    আভাস পেয়েই গ্রেফতারি এড়াতে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে আগাম জামিনের (Transit Bail) আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতেই ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত তিন দিনের জন্য ট্রানজিট জামিন পেলেন তিনি। এর ফলে আগামী অন্তত তিনদিন ইমরান খানকে গ্রেফতার করা যাবে না। 

    গত শনিবার ইসলামাবাদে একটি জনসভায় প্রাক্তন পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দেন। একজন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানান তিনি। ইমরানের সহযোগী শেহবাজ গিলকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর সে বিষয় নিয়েই বিরোধী এবং সরকারি আধিকারিকদের নিশানা করেন তিনি। শাসকদলের অভিযোগ, পাক সেনাকে কটূক্তি করেছেন ইমরান।

    আরও পড়ুন: ভারত বিরোধী প্রচার, ৮ ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করল কেন্দ্র, একটি পাকিস্তানের  

    ইমরানের বক্তব্যের লাইভ সম্প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাক সরকার। ইমরানের বক্তব্য লাইভ না দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলিকে। পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি জানিয়েছে, সবদিক খতিয়ে দেখে সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণের পরেই দেখানোর অনুমতি দেওয়া হবে। সাধারণত, ইমরান খান কোনও বড় জনসভা করলে তা সরাসরি সম্প্রচার করে পাক মিডিয়া। এবার পাক সরকার নির্দেশ দিয়েছে, পিটিআই -এর চেয়ারম্যানের কোনও বক্তৃতার সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।  

    পিটিআই ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশি সাংবাদিকদের বলেন, “ইমরান খান যদি গ্রেফতার হন, তবে তাঁর দল আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত। যড়যন্ত্রকারীদের পরিণতি ভোগ করতে হবে।” 

  • Imran Khan: ফের ভারত-স্তুতি ইমরানের! জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শাহবাজ সরকারকে তোপ ‘কাপ্তান’-এর

    Imran Khan: ফের ভারত-স্তুতি ইমরানের! জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শাহবাজ সরকারকে তোপ ‘কাপ্তান’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) এক ধাক্কায় প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ৩০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় দেশের বর্তমান প্রশাসককে একহাত নিলেন ইমরান খান (Imran Khan)। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পাকিস্তানে পেট্রোলের নয়া দাম কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে শেহবাজ শরিফের সরকারের সমালোচনা করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে ফের একবার ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ‘কাপ্তান’। কেন্দ্রের পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর উদ্যোগের তারিফ করেন তিনি। 

    ইমরানের দাবি, আমেরিকার চাপের মুখে ভারত সরকার নতিস্বীকার না করে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পদক্ষেপ সে দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয়। তাঁর কথায় কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে তেল কিনছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে মাথা নোয়ানি তারা। এতে ভারতের সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন, “আমার সরকারও একই ধরনের কাজ করছিল। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করবে এমন বিদেশ নীতি অত্যন্ত জরুরি।” 

    [tw]


    [/tw]

    বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এই পরিস্থিতিতে শাহবাজ শরিফের সরকারকে কটাক্ষ করে ইমরানের সংযোজন, “আমার সরকার পাকিস্তানের জনসাধারণের স্বার্থকে গুরুত্ব দিত। আর বর্তমান সরকার বিদেশি শক্তির সামনে মাথা নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

    এই মুহূর্তে পাকিস্তানে লিটার প্রতি পেট্রল বিকোচ্ছে ১৭৯.৮৬ টাকায়। ওই দেশে কেরোসিনের দাম (প্রতি লিটারে) ১৫৫.৫৬ টাকা। লাইট স্পিড ডিজেলের দাম (প্রতি লিটারে) ১৪৮.৩১ টাকা।

    [tw]


    [/tw]

    পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে সেদেশের সরকার পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম প্রতি লিটার ৩০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রতিক টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF)-এর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। এর পরেই এই বিশাল মূল্যবৃদ্ধি ফের পাক অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রচেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। গত সপ্তাহে কাতারের রাজধানীতে শুরু হওয়া পাকিস্তান ও আইএমএফ আলোচনার প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ভর্তুকি। বর্তমান সরকার ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্যাকেজের মধ্যে বাকি ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেতে আগ্রহী বলে খবর। যদিও মুদ্রাস্ফীতি সংশোধিত না হওয়ায় চুক্তিতে এগোয়নি আইএমএফ।

    এমনকী আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলারের নিরিখে পাকিস্তানের টাকার দাম বৃহস্পতিবার কমেছে অনেকটাই। প্রায় ঐতিহাসিক রেকর্ডও বলা চলে।  

  • Imran khan: “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    Imran khan: “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (pakistan) অবিলম্বে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। বিস্ফোরক ইমরান খান (Imran khan)।

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf) পার্টির প্রধান বলেন, পাকিস্তান এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা হারালে তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান। যদি চলতি সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়, তাহলে এদেশ আত্মঘাতী হতে যাচ্ছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তিনি যে এখনই ফিরে আসছেন না, এদিন তাও জানান ‘কাপ্তান’। তিনি বলেন, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ফিরে আসার মানে হবে ষড়যন্ত্র স্বীকার করে নেওয়া।

    আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    ইমরানেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসে শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকার। ইমরানের দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে দিন কয়েক আগে ইসলামাবাদে বিশাল জমায়েত করেন ইমরান। ওই জমায়েত ঠেকাতে চেষ্টার কসুর করেনি শাহবাজের সরকার। তার পরেও রোখা যায়নি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে। ইসলামাবাদের বুকে জনসভা করেন তিনি।

    ওই দিনই ইমরান জানিয়েছিলেন, তিনি এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, আমি নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ভোগ করিনি। ক্ষমতার প্রকৃত কেন্দ্রগুলি পড়ে রয়েছে অন্যত্র। সবাই জানে যে কোথায় আছে। ইমরান আরও বলেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমাদের সরকার দুর্বল ছিল। তাই জোটসঙ্গী খুঁজতে হয়েছিল। তবে এরকম পরিস্থিতি আবার দেখা দিলে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনে নির্বাচন বেছে নেবেন বলেও জানান পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : অশান্ত পাকিস্তান! ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে শাহবাজ সরকারকে হুঁশিয়ারি ইমরানের

    তাঁর সরকার ব্ল্যাকমেলের শিকার বলেও অভিযোগ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ইমরান বলেন, আমাদের হাত বাঁধা ছিল। সব জায়গা থেকে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। ক্ষমতা আমাদের সঙ্গে ছিল না। এর পরেই তিনি বলেন, আমরা দেখব তারা আমাদের আইনি ও সাংবিধানিক উপায়ে নির্বাচনের দিকে যেতে দেয় কিনা, অন্যথায় এই দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।

    এদিকে, দেশের বিরুদ্ধে নগ্ন হুমকি দেওয়ায় বৃহস্পতিবার পূর্বসূরি ইমরান খানকে পাবলিক অফিসের জন্য অযোগ্য বলে অভিযুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের বিভাজনের বিষয়ে কথা না বলতে তাঁকে সতর্কও করেন।

     

  • Imran khan: অশান্ত পাকিস্তান! ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে শাহবাজ সরকারকে হুঁশিয়ারি ইমরানের

    Imran khan: অশান্ত পাকিস্তান! ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে শাহবাজ সরকারকে হুঁশিয়ারি ইমরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকারকে “চরম হুঁশিয়ারি” দিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran khan)। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (pakistan Tehreek-i-insaf) দলের প্রধান বলেন, মাত্র ছ’দিন। তার মধ্যেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে হবে। এই সময়সীমার মধ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের দিন ঘোষণার দাবি জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আজাদি মিছিলে (protest march) যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামাবাদে আসেন ইমরান। সেখানকার জিন্নাহ অ্যাভেনিউতে দাঁড়িয়ে শাহবাজের সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন ‘কাপ্তান’। সরকার যদি এই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ না করে, তাহলে এবার গোটা দেশকে পাশে নিয়ে রাজধানীতে আসবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন ইমরান।

    আরও পড়ুন : গদি বাঁচাতে সেনাপ্রধানকে সরিয়ে পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করতে চেয়েছিলেন ইমরান?

    অবিলম্বে সংসদ ভেঙে নির্বাচনের দিন ঘোষণার দাবিতে উত্তাল ভারতের প্রতিবেশী দেশটি। বুধবার থেকেই ইমরানের সভা নিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়েছে অশান্তির আগুন। রাজধানী ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিণ্ডি, করাচি, লাহোর, খাইবার পাখুনখাওয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ইসলামাবাদের রেড জোন, ব্লু জোনেও ব্যাপক অশান্তি হয়। বুধবার ইসলামাবাদের অদূরে আটকে দেওয়া হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। তবে এদিন সকালে রাজধানীতে সভা করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : ১৫ কোটি টাকার সরকারি গাড়ি নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন ইমরান, দাবি পাক মন্ত্রীর

    ইমরান বলেন, আমি ঠিক করেছি যে যতক্ষণ না এই সরকার সংসদ ভেঙে নতুন করে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করছে, ততক্ষণ আমি এখানেই বসে থাকব। গত ২৪ ঘণ্টায় আমি যা দেখেছি, তাতে বুঝতে পারছি যে দেশে নৈরাজ্য চলছে। সাধারণ মানুষ ও পুলিশের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা চলছে।

    প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বুধবার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সংঘর্ষে তাঁর দলের পাঁচ সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। একজন অ্যাটোক ব্রিজ থেকে পড়ে গিয়েছেন। নদীতে ডুবেও মৃত্যু হয়েছে একজনের। করাচিতেও তাঁর দলের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

    ইমরান বলেন, জুনে নির্বাচনের জন্য সংসদ ভেঙে দিতে হবে। দাবি পূরণ না হলে ফের রাজধানীতে মিছিল করবেন বলেও জানান পাক প্রধানমন্ত্রী। এদিন ইমরান ফের দাবি করেন, গত মাসে আস্থাভোটে তাঁর পতনের নেপথ্যে ছিল মার্কিন ষড়যন্ত্র। তাঁর পেছনে যে জাতীয় সমর্থন রয়েছে, এদিনের সভায় তাও জানিয়ে দেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।

    এদিনের এই সভা করতে ইমরামকে কম বাধার প্রাচীর ডিঙোতে হয়নি। শেষমেশ সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে খোলা জায়গায় ইমরানকে সভা করার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেইমতো এদিন সভা করেন ইমরান। তার আগে রাজধানীতে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায় ইমরানের সমর্থকদের সঙ্গে পাক পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে, বিক্ষোভ মিছিলের ভ্যানগার্ডের উপর লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। সরকারি সূত্রে খবর, দু’পক্ষের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন ১৮ জন পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর কর্মী।

     

     

  • Imran Khan: ১৫ কোটি টাকার সরকারি গাড়ি নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন ইমরান, দাবি পাক মন্ত্রীর

    Imran Khan: ১৫ কোটি টাকার সরকারি গাড়ি নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন ইমরান, দাবি পাক মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কয়েক কোটি টাকার বিলাসবহুল সরকারি গাড়ি নিজের কব্জায় রেখে দিয়েছেন ইমরান খান (Imran Khan)। এমনই অভিযোগ করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) তথ্যমন্ত্রী মারিয়ম ঔরঙ্গজেব।

    অনাস্থা ভোটে (No confidence vote) হেরে গতমাসে গদি হারান প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী (Former Pakistan PM) ইমরান। এর ফলে, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনও ছেড়ে দিতে হয়। মন্ত্রীর অভিযোগ, বেরনোর সময় বিদেশি অতিথিদের জন্য রাখা একটি সরকারি গাড়ি করে বের হন “কাপ্তান”। তারপর থেকে সেই গাড়ি তিনি আর ফেরত দেননি। নিজের কাছেই রেখে দিয়েছেন।

    ৬ বছর আগে ৩ কোটি পাকিস্তানি টাকায় কেনা হয়েছিল ওই বুলেটপ্রুফ ও বম্ব-রোধক গাড়িটি। বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় পাঁচগুণ বেশি, অর্থাৎ ১৫ কোটি টাকা। পাক মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়ার সময় একটি BMW X5 সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন। গাড়িটি মূলত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গাড়ি। বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্যে ব্যবহার করা হত।’  

    তিনি আরও জানান, গাড়িটি নিজের কাছে জোর করেই রাখতে চেয়েছিলেন ইমরান খান। যদিও আগের প্রধানমন্ত্রীদের বাড়িতে দামী গাড়ি রাখা নিয়ে পূর্ববর্তী সরকারগুলির সমালোচনা করেছিলেন ইমরান। পাক মন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, ইমরান খান এক বিদেশি কূটনীতিকের দেওয়া হ্যান্ডগানও নিজের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন। যদিও পাকিস্তান আইন অনুযায়ী, বিদেশি প্রতিনিধিদের দেওয়া উপহার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর তোশাখানায় জমা করা উচিৎ ছিল।

    [tw]


    [/tw]

    গতমাসে অনাস্থা প্রস্তাবে পরাজিত হওয়ার পরই ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ইমরানের কার্যকলাপে বার বার অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে (Pakistan Tehreek-i-Insaf)। 
    বিদেশি প্রতিনিধিদের থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কী কী উপহার পেয়েছেন, সেই তালিকা প্রকাশ করতে সম্প্রতি শেহবাজ (Pak PM Shehbaz) শরিফের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে নির্দেশ দেয় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে হাইকোর্টের তরফে এ-ও বলা হয় যে, বিদেশি প্রতিনিধিদের দেওয়া উপহার কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, দেশের সম্পত্তি। এর উত্তরে ইমরান খান বলেন, ‘আমার উপহার আমার মর্জি।’ বিদেশি উপহার নিজের কাছে রাখার জন্যে তোশাখানার নিয়মেও বদল করেছিলেন ইমরান, বলে দাবি করেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী।

     

     

  • New Pak PM Shehbaz Sharif: গদি রাখতে গেলে শেহবাজকে জিইয়ে রাখতেই হবে কাশ্মীর ইস্যু

    New Pak PM Shehbaz Sharif: গদি রাখতে গেলে শেহবাজকে জিইয়ে রাখতেই হবে কাশ্মীর ইস্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই শান্তির বুলি আওড়েছেন পাকিস্তানের (pakistan) নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (prime minister shehbaz sharif)। তবে আদতে তা কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে সন্দিহান কূটনৈতিক মহল। কারণ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। পাল্টা টুইটে তিনিও মোদির সাফল্য কামনা করেছেন। এর পরেই শান্তির বার্তা দিয়েছেন শেহবাজ। যদিও উসকে দিয়েছেন কাশ্মীর ইস্যু। 

    পাক পার্লামেন্টে (Pakistan National Assembly) বিরোধীদের আনা অনাস্থায় (no confidence or trust vote) গোহারা হেরে যান পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Former Pak PM Imran khan)। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন শেহবাজ। তিনি পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী। ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে পরেই তাঁকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানান মোদি। তিনি লেখেন, ভারত চায় সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে শান্তি এবং স্থায়িত্ব, যাতে করে আমরা উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারি। দেশবাসীর উন্নতি এবং সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করতে পারি।
    মোদিকে পাল্টা টুইট করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রীও। তিনি লেখেন, জম্মু-কাশ্মীরের মতো বিতর্কিত ইস্যুগুলির শান্তিপূর্ণ সমাধানও অপরিহার্য। দেশবাসীর উন্নতি ও সমৃদ্ধিও যে নয়া পাক প্রধানমন্ত্রীর মূল ফোকাস, টুইটে তাও জানিয়ে দিয়েছেন শেহবাজ।

    [tw]


    [/tw]

    বস্তুত, কাশ্মীর ইস্যুই যে শেহবাজের মূল হাতিয়ার হবে, প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই তিনি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এর কারণও রয়েছে। পাকিস্তানের সরকার ব-কলমে চালনা ও পরিচালনা করে সে দেশের সেনাবাহিনী এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। শেহবাজ যে পাক প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন, তার পেছনেও সেনার একটা অদৃশ্য হাত রয়েছে। এই সেনাই জিইয়ে রাখতে চায় কাশ্মীর ইস্যু।

    কাশ্মীর ইস্যু জিইয়ে রাখতে পারলে আদতে লাভ সরকারেরই। কারণ, তখন দারিদ্র, অশিক্ষা, অপুষ্টির মতো জ্বলন্ত ইস্যুগুলির দিক থেকে পাক নাগরিকদের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে। তখন সরকার চলবে মসৃণ গতিতে। সেই কারণেই কাশ্মীর ইস্যুকেই হাতিয়ার করেন পাকিস্তানের সব প্রধানমন্ত্রীই। সেই কারণেই মুখে শান্তির বার্তা দিলেও, তলায় তলায় মদত দিতে থাকে লস্কর-ই-তৈবা (lashkar-e-taiba) সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে। তার জন্য কনকনে ঠান্ডায়ও হিংসার তাপে পোড়ে ভূস্বর্গ। বাতাস ভারী হয় বারুদের গন্ধে। আচমকাই লাশ হয়ে যান জলজ্যান্ত কোনও কাশ্মীরি।

     

LinkedIn
Share