Tag: India

India

  • Amit Shah: অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুনভাবে গড়ে তুলতে বিরাট নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    Amit Shah: অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুনভাবে গড়ে তুলতে বিরাট নির্দেশ শাহি মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুনভাবে গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত (Amit Shah) শাহ ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিটি প্রধান প্রতিবাদ আন্দোলনের খুঁটিনাটি স্টাডি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই সমীক্ষায় প্রতিবাদের ধরণ খোঁজা হবে, অনুসন্ধান করা হবে অর্থ কারা জুগিয়েছিল, নেপথ্যেই বা ছিল কারা। পর্দার আড়ালে (India) থাকা সক্রিয় ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হবে। নয়া জাতীয় প্রতিবাদ প্রতিরোধ প্রোটোকল তৈরি করতেই এই সমীক্ষা করা হবে।

    ‘জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল সম্মেলন ২০২৫’ (Amit Shah)

    ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো নয়াদিল্লিতে আয়োজন করেছিল ‘জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল সম্মেলন ২০২৫’-এর। সেখানেই দেওয়া হয় এই নির্দেশ। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ গবেষণা ও উন্নয়ন ব্যুরোকে অর্ধ শতাব্দীর বিভিন্ন গণআন্দোলনের কারণ এবং এর নেপথ্যে কারা, তা বিশ্লেষণ করার দায়িত্ব দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, এতে জেপি আন্দোলন, এমারজেন্সি পর্বের অস্থিরতা, সিএএ-র প্রতিবাদ ও কৃষক আন্দোলন-সহ নানা সময়ের প্রতিবাদ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অমিত শাহের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রয়েছে ভারতের তিন পড়শি দেশে সংঘঠিত হওয়া বিভিন্ন গণঅভ্যুত্থান। সম্প্রতি এই গণঅভ্যুত্থানের জেরেই পতন হয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং নেপালের সরকারের। অশান্ত হয়েছে ভারতের বিহার ও মণিপুর রাজ্য।

    গোয়েন্দা সংস্থগুলিকে নির্দেশ

    কোনও গণঅভ্যুত্থানই একদিনে সংগঠিত হয় না। এর ছক কষা হয় অনেক আগে থেকেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে নেপথ্যে থাকে বিদেশি শক্তির হাত, আবার কোনও কোনও জায়গায় আন্দোলনে ইন্ধন জোগায় বিদেশি মদতপুষ্ট কোনও শক্তি। কেবল মদত জোগানোই নয়, আন্দোলন জিইয়ে রাখতে করা হয় অর্থায়নও। সেই কারণেই জানা দরকার ভারতে সংঘটিত বিভিন্ন বিক্ষোভের মূল কারণ এবং তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে কারা। গোয়েন্দা সংস্থগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিক্ষোভের মূল কারণ কী, উদ্দীপকগুলিই বা কী খুঁজতে। অর্থ জুগিয়েছিল কে? সেই অর্থ কোথা থেকে কোথায় গিয়েছিল? এই সব বিক্ষোভের ফল কী হয়েছে? তারা কি রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক কোনও পরিবর্তন সাধন করতে পেরেছ? যদি তা না হয়, তাহলে খামোকা আন্দোলন কেন? সব শেষে রয়েছে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (India) প্রশ্নটি। এই সব আন্দোলনে অক্সিজেন জুগিয়েছে কারা? কোনও এনজিও, বিদেশি প্রতিষ্ঠান নাকি রাজনৈতিক কর্মচারীরা (Amit Shah)?

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ

    এই অর্থ জোগানের ধরনও খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে গোয়েন্দাদের। শাহের মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই কাজ করবে ইডি, ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-ইন্ডিয়া এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস। এই সংস্থাগুলিকে একটি স্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর প্রধান লক্ষ্যই হল আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে জঙ্গি নেটওয়ার্ক শনাক্ত করা। মনে রাখতে হবে, বিক্ষোভে অর্থের জোগান দেওয়াকে জাতীয় নিরাপত্তার সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে গণ্য করা হয় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আলাদাভাবে এনআইএ, বিএসএফ এবং এনসিবিকে নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাবে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেটওয়ার্ককে দুরমুশ করে দিতে সৃজনশীল কোনও কৌশল প্রণয়ন করতে। এই কৌশলের মধ্যে রয়েছে এই নেটওয়ার্কের জেলবন্দি মাস্টারমাইন্ডদের রাজ্যের বাইরে অন্য কোনও জেলায় স্থানান্তর করা, যাতে তারা পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জঙ্গিদের এই চাঁইদের নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলতে (India) পারলেই গুঁড়িয়ে যাবে আন্দোলনের কোমর (Amit Shah)।

    ধর্মীয় সমাবেশের ওপর গবেষণা

    একই সঙ্গে গোটা দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় সমাবেশের ওপর গবেষণা করবে বিএপিআর অ্যান্ড ডি। অত্যধিক ভিড়ের কারণে যাতে পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা না ঘটে, দানা বাঁধতে না পারে কোনও আন্দোলন। কুম্ভমেলা কিংবা ঈদের মতো বড় ইভেন্টে রিয়েল-টাইম মনিটরিং, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং গোয়েন্দা-ভিত্তিক ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি করা হবে এসওপি। সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমে বলেন,  “একটি প্রতিবাদ শুধু প্ল্যাকার্ড দেখানো নয় — এটি প্রায়ই একটি দাবার খেলা। আমাদের জানতে হবে কে প্যাউন সরাচ্ছে, কে অর্থায়ন করছে, এবং কীভাবেই বা স্বার্থান্বেষী পক্ষের হাত থেকে ভিন্নমতের লোকজনকে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে নিরস্ত করা যায় (Amit Shah)।”

    কেন বেছে নেওয়া হল ১৯৭৪ সালকে?

    প্রশ্ন হল, এজন্য কেন বেছে নেওয়া হল ১৯৭৪ সালকে? এই বছরেই সূচনা হয়েছিল জেপি আন্দোলনের। পরের বছরই জারি হয় জরুরি অবস্থা (Emergency)। বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের অর্থ হল, তারা বুঝতে চায় কীভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন রাজনৈতিক ভূমিকম্পে পরিণত হয় এবং কীভাবেই এগুলি বিশাল আকার ধারন করার আগে দমন করা যায়। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী এখন পুরোনো সিআইডি ফাইল ও গোয়েন্দা ইউনিটের আর্থিক ফরেনসিক শাখাকে সক্রিয় করে তুলছে। ভারত (India) আস্তিন গুটোচ্ছে তার ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত প্রতিবাদ কর্মসূচির পশ্চাৎপর্যালোচনার কারণ জানতে (Amit Shah)।

  • Mohan Bhagwat: “আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি, কিন্তু কোনও দেশ জয় করিনি”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি, কিন্তু কোনও দেশ জয় করিনি”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমরা কোনও দেশ জয় করিনি, কারও ব্যবসার ক্ষতি করিনি, কাউকে পরিবর্তন করিনি, কাউকে ধর্মান্তরিতও করিনি। যেখানে যেখানে আমরা গিয়েছি, সভ্যতা, জ্ঞান ছড়িয়ে দিয়েছি, শাস্ত্র শিখেছি, জীবন উন্নত করেছি।” রবিবার কথাগুলি বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। প্রহ্লাদ প্যাটেল রচিত ‘নর্মদা পরিক্রমা’ গ্রন্থের আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ (India) দিয়ে তিনি বলেন, “ভারত প্রায় ৩ হাজার বছর আগে বিশ্বের নেতৃত্ব দিয়েছিল। কিন্তু কোনও দেশ জয় করেনি, বা কারও ব্যবসা নষ্ট করেনি। সেই সময় পৃথিবীতে কোনও বিবাদ ছিল না। উচ্চ প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সত্ত্বেও পরিবেশেরও অবনতি হয়নি।”

    প্রতিটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ছিল (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস প্রধান বলেন, “সেই সময় প্রতিটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ছিল। সব কিছু ছিল। তাদের মধ্যে ভালো যোগাযোগও ছিল। আজকাল তা আর নেই।” তিনি ভারতকে শ্রেষ্ঠ দেশ হিসেবেও উল্লেখ করেন। বলেন, “সচেতনতা এবং পবিত্রতার অনুভূতির মাধ্যমে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের অনেক কিছু দিয়েছেন। সেই সময় ভারত ছিল শ্রেষ্ঠ দেশ। পৃথিবীতে গত ৩ হাজার বছরে কোনও সংঘাত ছিল না। প্রযুক্তিগত অগ্রগতিও খুবই উন্নত ছিল। যদিও পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয়নি। মানবজীবন ছিল সুখী ও সংস্কৃতিপূর্ণ।”

    ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ

    শুক্রবারই এক অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “ভয় থেকে ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।” তিনি এও বলেছিলেন, “বিশ্ব শক্তিগুলি ভারতের এই উত্থিত শক্তি নিয়েই চিন্তিত।” আরএসএস প্রধান এই মন্তব্য করেছিলেন নাগপুরে ব্রহ্মাকুমারিজ বিশ্ব শান্তি সারোভারের ৭ম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে। সেখানেও তিনি বিশ্বে ভারতের ভূমিকা এবং সমষ্টিগত চিন্তার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন। সেদিন কোনও দেশের নাম না নিয়েই ভাগবত বলেছিলেন, “মানুষ ভয় পায় যদি অন্য কেউ বড় হয়ে যায়। যদি ভারত বড় হয়, তারা কোথায় থাকবে? এজন্য তারা শুল্ক আরোপ করেছে।” তাঁর যুক্তি, শুল্ক আরোপ ভারতের দোষ নয়, বরং এটি করা হয়েছে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের বিস্তৃত অবস্থান নিয়ে ভয় থেকেই। আরএসএস প্রধান বলেন, “আমরা কিছুই বলিনি। তারা তাকে তুষ্ট করছে, যারা সবটা করেছে। কারণ যদি এটি তাদের হাতে থাকে, তবে তারা ভারতের (India) ওপর সামান্য চাপ প্রয়োগ করতে পারে।” তিনি বলেন, “এমন পদক্ষেপগুলি স্বার্থকেন্দ্রিক মানসিকতার ফল।”

    চার্চিলের প্রসঙ্গও টানেন ভাগবত

    বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের প্রসঙ্গও টানেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “চার্চিল বলেছিলেন স্বাধীন ভারত টিকে থাকবে না, বিভক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু আজ ভারত সেই সব ভবিষ্যদ্বাণীকে ভুল প্রমাণ করছে। ব্রিটিশ শাসনের পরেও ঐক্যবদ্ধ থেকে ভারত বদলে দিয়েছে ইতিহাসের ধারাকে।” তিনি বলেন, “উন্নয়নশীল ভারত সেই সব পূর্বাভাসকে ভুল প্রমাণ করছে, যারা এই দেশকে দুর্বল ও ভাগ হতে দেখে মন গড়া মন্তব্য করেছিল।” ইংল্যান্ডের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ভাগবত বলেন, “এখন ইংল্যান্ড নিজেই বিভাজনের পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু ভারত বিভক্ত হবে না। আমরা একবার বিভক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমরা একে আবারও ঐক্যবদ্ধ করব (India)।” তাঁর মতে, ভারতের উন্নয়ন ও ঐক্য তার নাগরিকদের আস্থা এবং কর্মপরায়ণতার ওপর নির্ভরশীল (Mohan Bhagwat)।

    সংঘচালকের বক্তব্য

    সংঘচালক বলেন, “৩ হাজার বছর ধরে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল ভারত। তখন পৃথিবী ছিল সংঘর্ষমুক্ত। ব্যক্তিগত স্বার্থ ও অহংকারই পৃথিবীর সব সমস্যা ও সংঘর্ষের মূল কারণ।” তিনি বলেন, “ভারত সব সময় কর্ম, যুক্তি এবং আস্থার সমন্বয় সাধন করে। তাই আজও তামাম বিশ্ব একে অন্য চোখে দেখে। আজও এর একটা আলাদা পরিচয় আছে।” জীবনকে নাটকের সঙ্গে তুলনা করে ভাগবত বলেন, “আমরা সবাই এই জীবনরূপী নাটকের অভিনেতা। আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ভূমিকা পালন করি। নাটক শেষ হলেই আমাদের আসল স্বরূপ প্রকাশ পায়।” তিনি বলেন, “ভারতের ভবিষ্যৎও এই ভারসাম্য ও কর্মপরায়ণতার ওপর নির্ভরশীল।” তাঁর সাফ কথা, “ভারতের পরিচয় শুধু ক্ষমতা কিংবা শক্তিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কর্ম, যুক্তি ও আস্থার সঙ্গে জড়িত।” ওযাকিবহাল মহলের মতে, এদিনের (India) বক্তব্যে কারও নাম না নিলেও, ভাগবত স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারত অন্যান্য বিশ্বশক্তির চেয়ে একেবারেই আলাদা (Mohan Bhagwat)।

  • India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বিঘ্নিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক প্রাচীন, “সময়-পরীক্ষিত” এবং “স্থিরভাবে” এগিয়ে চলেছে। রবিবার মস্কোর তরফে আমেরিকাকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব (India-Russia Relation) নাপসন্দ আমেরিকার। রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কিনছে বলে, শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এবার সর্বসমুখে সম্মান দিল রাশিয়াও।

    ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল

    ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে হলে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করতে হবে। আমেরিকার একার চেষ্টায় তা সম্ভব নয়। তার জন্য ইউরোপের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও এক বার ইউরোপের দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে চাপ দিলেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকার লাগাতার চাপের মুখে ভারতের অনড় অবস্থানের প্রশংসা করল রুশ বিদেশ মন্ত্রক। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের এবং তা ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারাই এই সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তারা বিফল হতে বাধ্য।” মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কঠিন সময়েও স্থিতিশীল ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’

    দিল্লির প্রশংসা রুশ বিদেশ মন্ত্রকের

    আমেরিকা ও নেটো সদস্য দেশগুলির চাপের মুখেও ভারত যেভাবে দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি, তার প্রশংসা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। ভারত-রাশিয়ার সুদীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও ঐতিহ্যের কারণেই ভারত এমন অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা যে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রমাণ আমেরিকার কাছে মাথা নত করেনি ভারত। দিল্লির প্রশংসা করে রুশ বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমেরিকা এবং নেটো-র সদস্য দেশগুলির অনবরত চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করে চলেছে। ভারতের এই অবস্থান আসলে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন। দুই দেশের সম্পর্কে সবসময় জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’’ প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া চলতি মাসেই যৌথ সামরিক অভিযানে সামিল হতে চলেছে। মহাকাশ মিশনেও ভারতকে সাহায্য করছে রাশিয়া, রসকসমসে প্রশিক্ষণ চলেছিল ভারতীয় মহাকাশচারীদের। এছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক তো আছেই।

  • Sushila Karki: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়”, নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েই বললেন কার্কি

    Sushila Karki: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়”, নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েই বললেন কার্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানুষের সেবা করতেই দায়িত্ব নিয়েছি আমি ও আমার সহযোগীরা, ক্ষমতায় টিকে থাকতে নয়।” রবিবার নেপালের (Nepal) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে এমনই বললেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। এদিনই তিনি জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণ দেন। বলেন, “যুব সমাজের আন্দোলনে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের শহিদের মর্যাদা দেওয়া হবে।” তিনি জানান, সময় পেরিয়ে গেলে মানুষের সমর্থন ছাড়া তিনি গদি আঁকড়ে বসে থাকবেন না। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন সুশীলা। কাঠমাণ্ডুর সিংহ দরবার হল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। আন্দোলনের সময় গণরোষের আঁচে পুড়ে গিয়েছে ওই ভবনের সিংহভাগ অংশ। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দফতরকেই আপাতত প্রধানমন্ত্রীর দফতর করা হয়েছে। এদিন সেখানে বসেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সুশীলা।

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (Sushila Karki)

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি এবং আমার দল এখানে ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি। আমরা ছ’মাসের বেশি পদে থাকব না। নতুন পার্লামেন্টকে দায়িত্ব দিয়ে দেব। আপনাদের সমর্থন ছাড়া থাকব না।” নেপাল পুনর্গঠনের ডাকও দেন সুশীলা। বলেন, “নেপালকে আবার গড়ে তোলার জন্য সব অংশীদারের এগিয়ে আসা উচিত। আমরা হাল ছাড়ব না। আমাদের দেশকে পুনরুদ্ধার করতে এক সঙ্গে কাজ করব।” তিনি (Sushila Karki) বলেন, “আমাদের জেন জেড প্রজন্মের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কাজ করতে হবে। এরা যা দাবি করছে, তা হল দুর্নীতির সমাপ্তি, সুশাসন ও অর্থনৈতিক সমতা। আপনাকে এবং আমাকে এই লক্ষ্য পূরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে।”

    নেপালে সাধারণ নির্বাচন

    জানা গিয়েছে, নেপালে সাধারণ নির্বাচন হবে আগামী বছরের ৫ মার্চ। প্রসঙ্গত, নেপালের ক্ষমতায় ছিল কেপি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সোচ্চার হন আম নেপালবাসী। পথে নামে জনতা। এদের নেতৃত্ব দেয় জেন জেড। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ নিজের দফতরে আসেন সুশীলা। তার পরেই দেন জাতির উদ্দেশে ভাষণ। জেন জেডের তরফে বলা হয়েছে, “আমাদের মূল দাবি ছিল দুর্নীতিমুক্ত নেপাল। সুশীলা কার্কির (Sushila Karki) নেতৃত্বে নয়া আইন আসুক। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা (Nepal) হোক। আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।”

  • Hindus: দেশে-বিদেশে বাড়ছে হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এ সপ্তাহের ছবিটা

    Hindus: দেশে-বিদেশে বাড়ছে হিন্দু নির্যাতন, দেখুন এ সপ্তাহের ছবিটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত তো বটেই, বিদেশেও হিন্দু (Hindus) এবং হিন্দু ধর্মের ওপর আক্রমণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। দশকের পর দশক (Roundup Week) ধরে চলা এই আক্রমণের প্রকৃত গভীরতা এবং বিস্তার অগ্রাহ্য করে চলেছে বিশ্ব। তার জেরেই বাড়ছে হিন্দু নিধন কিংবা নির্যাতন। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশ-বিদেশের ছবিটা।

    প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিল (Hindus)

    সম্প্রতি অনুষ্ঠিত থিরুভোনমের দিনে উত্তর কেরালার কন্নুর জেলায় এক দল তরুণী প্যালেস্তাইনের সমর্থনে মিছিল করে। মিছিলটি আবার নিয়ে যাওয়া হয় কয়েকটি মন্দিরের সামনে দিয়ে। কেরালার কমিউনিস্ট শাসক এবং উন্মুক্ত চিন্তাবাদী অনুসারীরা ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলে ধর্মনিরপেক্ষতার বাণী প্রচার করলেও, নিজের রাজ্যে ওড়ায় প্যালেস্তাইনের পতাকা, হামাস জঙ্গিদের সমর্থনে মিছিল হয়, যাহিয়া সিনওয়ার মতো ব্যক্তিদের জন্য জানাজা পড়া হয়, অথচ সেখানে পিনরাই বিজয়ন সরকার একটি ওনম পুক্কোলামে অপারেশন সিন্দুর লেখা শব্দটি কেটে দেয়। এদিকে, স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বজরং দল জেনেছে, এক হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করে হিন্দু নামধারী এক মুসলমান যুবক। মনীশ চৌধুরী নাম নিয়ে সে ওই মহিলাকে প্রতারণা করে।

    গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পাথর

    মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুর জেলার ভিরোদা গ্রামে গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ইসলামি উগ্রবাদীরা পাথর ছোড়ে। পাথরের ঘায়ে জখম হন বেশ কয়েকজন। প্রেমিকার বাড়িতে গণেশপুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেতা আলি গোনি। তাঁর অমুসলিম প্রেমিকা গণপতি বাপ্পা মোরিয়া বললেও, তিনি ছিলেন নীরব। তা নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়। প্রত্যুত্তরে আলি বলেন, “আমার ধর্মে পূজা করা নিষেধ। কোরআনেও এটি বলা হয়েছে। আমি প্রথমবার গণেশ পূজায় গিয়েছিলাম। আমাকে টার্গেট করা হয়েছে কারণ আমি মুসলিম। তবে কেউ যদি আমার সামনে গালাগালি করে, আমি তার গলা কেটে ফেলব।” তাঁর এই বক্তব্য ইসলামিক ফান্ডামেন্টালিজমের মানসিকতারই পরিচয় দেয়। কর্নাটকের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো হয় গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায়। কোথাও মূর্তির ওপর থুতু ফেলা হয়, কোথাও আবার পাথর ছোড়া হয় মসজিদ থেকে। ওই ঘটনাগুলিতে সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ২১জনকে। ঘটনার প্রতিবাদে অংশ নেওয়া হিন্দুদের ওপর লাঠিচার্জও করা হয়েছে বলে অভিযোগ (Roundup Week)। মহারাষ্ট্রের কেশব নগরের গোদরেজ ইনফিনিটি হাউজিং সোসাইটিতে অবস্থিত শিব মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পবিত্র শিবলিঙ্গটি গাছের গোড়ায় উল্টে ফেলা হয়। তার ওপর ফেলা হয় নোংরা আবর্জনা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় (Roundup Week)।

    এক মাসে নিখোঁজ ৫৬ জন মেয়ে

    অম্বেদকর নগর জেলায় মাত্র এক মাসে নিখোঁজ হয়েছেন ৫৬ জন মেয়ে। এঁদের অধিকাংশই হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স্ক, তফশিলি জাতি ও দরিদ্র পরিবারের। পুলিশি রেকর্ড থেকেই জানা গিয়েছে, ১৮টি থানায় মোট ৫৬টি অপহরণের ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে বেশ কিছু হিন্দু পরিবার সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে অভিযোগ দায়ের করেনি। উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় এক হিন্দু মহিলাকে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইহসান হুসেন। পরে তাঁকে জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করা হয়। চেন্নাই থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই মহিলাকে (Hindus)।গোরখপুরের রামগড়তল এলাকায় বছর ছাব্বিশের এক হিন্দু মহিলাকে যৌন নিপীড়ন ও প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় শামশাদ আলম নামে এক ব্যক্তি। ওই মহিলার অভিযোগ, শামশাদ বিহারের বেতিয়া জেলার বাসিন্দা। ইনস্টাগ্রামে সে নিজেকে রাকেশ নিশাদ পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শামশাদ তাঁর কাছ থেকে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা ও পরে বিদেশ যাওয়ার কথা বলে আরও ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় (Hindus)। অন্যদিকে, কেরল হাইকোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষ কমিশনারের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাচীন শবরীমালা মন্দিরের ভেতরে মণ্ডপের দু’পাশে যে দুজন দ্বারপাল রয়েছেন, আগাম অনুমতি ছাড়াই তাঁদের গা থেকে খুলে নেওয়া হয়েছে সোনার মোড়ক।

    লাভ জিহাদ

    ইনস্টাগ্রামে সানি বলে পরিচয় দিয়েছিল শানু নামের এক মুসলমান যুবক। সে তফশিলি জাতির এক মহিলাকে প্রতারণার জালে ফাঁসিয়ে ধর্ষণ করে। তদন্তে জানা গিয়েছে, শানু হিন্দু নামে নকল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করত মহিলাদের। কথা বলার সময় সে এমন ভান করত যে সে যেন ওই মহিলার জাতি ও সম্প্রদায়ের লোক। এভাবে সে তাদের আস্থা অর্জন করে ফাঁদে ফেলত (Hindus)।মুম্বইয়ের বিক্রোলি পার্কসাইট এলাকায় এক অটোরিকশা চালক নীরজ উপাধ্যায়কে মুসলমানরা ‘সর তন থেকে জুয়া’ হুমকি দেয়। তিনি ছত্রপতি সাম্ভাজির নামফলক ঈদের পোস্টার দিয়ে ঢেকে ফেলার প্রতিবাদ করেন। তাই এই হুমকি।

    খালিস্তানপন্থী জঙ্গিকে নিরাপত্তা

    এবার তাকানো যাক বিশ্বের দিকে। ভারতের পড়শি দেশ নেপালে পশুপতিনাথ দর্শনে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে সর্বস্ব খুইয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের এক তীর্থযাত্রী দল। হামলাকারীরা বাসে পাথর ছোড়ে। যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ব্যাগ, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন (Roundup Week)। কানাডা দীর্ঘদিন ধরেই খালিস্তানপন্থীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। সম্প্রতি সে দেশের সরকার খালিস্তানপন্থী জঙ্গি ইন্দরজিৎ গোসলকে সুরক্ষা দিয়েছে। সে ব্র্যাম্পটন হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল (Hindus)।

  • Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    Lashkar E Taibas: পাক মদতে লস্কর ফের তৈরি করছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ গুঁড়িয়ে দেওয়া সদর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তার পর কিছুদিন ভয়ে গুটিয়ে ছিল জঙ্গিরা। অভিযোগ, পাকিস্তানের মদত পেয়ে তারা ফের মাথা তুলেছে। ওই অভিযানে পাক পাঞ্জাবের মুরিদকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar E Taibas) সদর দফতর মার্কাজ তায়েবা। ধ্বংসপ্রাপ্ত সেই সদর দফতর পুনর্নিমাণে ফের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠন। এই তথ্য জানা গিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে প্রাপ্ত একটি রিপোর্টে।

    অপারেশন সিঁদুর (Lashkar E Taibas)

    পাকিস্তানের সময় অনুযায়ী, ওই দিন রাত ১২টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ভারতীয় মিরাজ বিমান পাঞ্জাব প্রদেশের গভীরে ঢুকে মার্কাজ তায়েবা ক্যাম্পাসের ১.০৯ একর এলাকায় তিনটি প্রধান কাঠামোর ওপর বিমান হামলা চালায়। টার্গেটে ছিল, একটি লাল রংয়ের বহুতল ভবন, যেটি ব্যবহৃত হত ক্যাডারদের ব্যবস্থাপনা ও অস্ত্রসংগ্রহের জন্য, এবং হলুদ রংয়ের দুটি ভবন যেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এবং সংগঠনের সিনিয়র কমান্ডারদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হত। অপারেশন সিঁদুরের জেরে ওই তিনটি ভবনেরই ধ্বংসাবশেষ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই হামলা লস্করের পরিকাঠামোর ওপর ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর সব চেয়ে বিধ্বংসী আঘাত। সূত্রের খবর, ১৮ অগাস্ট লস্কর-ই-তৈবা ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করে ধ্বংসাবশেষগুলি সরিয়ে ফেলে। লস্করের ক্যাডারদের দেখা গিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর তদারকি করতে।

    পুনর্নির্মিত ভবনের উদ্বোধন ফেব্রুয়ারিতে!

    সূত্রের খবর, বর্তমানে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নজর আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির দিকে। ফি বছর এই দিনটি পালিত হয় ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে। এই দিনেই উদ্বোধন করা হতে পারে পুনর্নির্মিত ভবনের। এদিনই হতে পারে লস্করের বার্ষিক সম্মেলনও। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পুনর্নির্মিত মার্কাজ ফের প্রশিক্ষণ, আদর্শায়ন এবং অপারেশনাল পরিকল্পনার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। সদর দফতর পুনর্নির্মাণের কাজ ব্যক্তিগতভাবে তত্ত্ববধান করছেন মাওলানা আবু জার। তিনি মার্কাজ তৈবার পরিচালক এবং লস্করের প্রধান প্রশিক্ষক। তিনি উস্তাদ উল মুজাহিদ্দিন হিসেবেও পরিচিত। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ইউনূস শাহ বুখারিও। অপারেশনাল তত্ত্বাবধানে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বুখারি (Lashkar E Taibas)।

    জঙ্গি গোষ্ঠীটির অস্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    জানা গিয়েছে, এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি অস্থায়ীভাবে তাদের প্রশিক্ষণ শাখাগুলিকে বাহাওয়ালপুরের মারকাজ আকসায় এবং পরে কাসুর জেলার পাটোকির মারকাজ ইয়ারমুকে স্থানান্তরিত করেছে (Operation Sindoor)। এর নেতৃত্বে ছিলেন উপ-প্রধান সাইফুল্লাহ কাসুরির বিশ্বস্ত সহযোগী আবদুল রশিদ মহসিন। ডসিয়ার অনুসারে, ইসলামাবাদ প্রকাশ্যে লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের (জেইএম) ধ্বংস হওয়া কার্যালয়গুলির জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এগুলিই ধ্বংস হয়েছিল অপারেশন সিন্দুরে। অগাস্ট মাসে লস্কর-ই-তৈবা পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা পেয়েছে। অনুমান, ওই ভবনগুলি তৈরি করতে খরচ হবে ১৫ কোটি টাকারও বেশি। এই আর্থিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বন্যা ত্রাণ কর্মসূচি তহবিলের আড়ালে অর্থ সংগ্রহ করেছে লস্কর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের এহেন আচরণ মুখোশ খুলে দিয়েছে ইসলামাবাদের ভন্ডামির। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা দাবি করছে, পাকিস্তান উগ্রপন্থার শিকার, যদিও রাষ্ট্র স্বয়ং অর্থায়ন করে চলেছে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে (Lashkar E Taibas)।

    পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    ২০০৫ সালে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) ভূমিকম্পের পরে লস্কর (সেই সময় জামাত-উদ-দাওয়া নামে পরিচিত ছিল) মানবিক সাহায্যের নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। পরবর্তীকালে জানা যায় যে, সংগৃহীত অর্থের  ৮০ শতাংশই জঙ্গিঘাঁটি গড়তে খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতলি অঞ্চলে অবস্থিত মার্কাজ আব্বাস নির্মাণও ছিল, অপারেশেন সিঁদুরে যেটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।অপারেশন সিঁদুরের কৌশলগত সাফল্যের পরেও, লস্করের দ্রুত উত্থান তার মজবুত সংগঠনেরই প্রমাণ দেয়, যে গোষ্ঠীতে নিয়মিত অর্থায়ন করে চলে রাষ্ট্র নিজে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মার্কাজ পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করেছে (Operation Sindoor)। এটি প্রতিরোধ ও প্রচারের কাজ করবে। নিশ্চিত করবে পাকিস্তানের ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধে তার কেন্দ্রীয় ভূমিকা। লস্করের প্রক্সি ফ্রন্টগুলির বিস্তার দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট, কাশ্মীর টাইগার্স এবং মাউন্টেন ওয়ারিওর্স অফ কাশ্মীর – একদিকে যেমন পাকিস্তানকে অস্বীকার করার সুযোগ করে দেয়, তেমনি অন্য দিকে ভারত-বিরোধী হিংসার ধারাবাহিকতাকে নিশ্চিত করে (Lashkar E Taibas)।

    ইসলামাবাদের অর্থায়ন

    মুরিদকের এই ঘটনা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ও জঙ্গি সংগঠনগুলির মধ্যের গভীর সম্পর্কের সুস্পষ্ট নিদর্শন। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করার বদলে, ইসলামাবাদের অর্থায়ন, সাহায্য এবং উদাসীনতা নিশ্চিত করে যে লস্করের মতো গোষ্ঠীগুলি শুধু টিকে থাকবে না, বরং আরও ডালপালা বিস্তার করবে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার দিন পনেরো পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত (Lashkar E Taibas)।

  • India: গত ১০ বছরে প্রায় তিন গুণ বেড়েছে ভারতের  কৃষি রাসায়নিক রফতানি

    India: গত ১০ বছরে প্রায় তিন গুণ বেড়েছে ভারতের  কৃষি রাসায়নিক রফতানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১০ বছরে প্রায় তিন গুণ বেড়েছে ভারতের (India) কৃষি রাসায়নিক রফতানি। ২০২৫ অর্থবর্ষে এই রফতানি পৌঁছেছে ৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ২০১৪-’১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এভাবে ভারত চিন ও আমেরিকার পর কৃষি রাসায়নিক রফতানিতে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে উঠে এসেছে। সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে ভারতের এগ্রো-কেমিক্যালস ফেডারেশন (ACFI) ও ডেলয়েটের তৈরি একটি রিপোর্টে (Agrochemical Exporter)।

    সরকারকে প্রস্তাব (India)

    এই প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এসিএফআই সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে একটি প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিম তৈরি করতে। এই খাতের জন্য কর ছাড় ঘোষণা করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির দাবি, এই পদক্ষেপগুলি গুরুত্বপূর্ণ মলিকিউল আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাবে এবং ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কৃষি রাসায়নিক উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। এর ফলে বৃদ্ধি পাবে দেশীয় উৎপাদন। ভারতের প্রধান কৃষি রাসায়নিক কোম্পানিগুলির প্রতিনিধিত্বকারী এই সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, গবেষণা ও উন্নয়নে আরও বেশি পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্বের প্রয়োজন। বাড়াতে হবে মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (MSMEs)-এর সক্ষমতা।

    ভারতীয় কৃষি রাসায়নিক বাজারের মূল্য

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় কৃষি রাসায়নিক বাজারের মূল্য ২০২৪ অর্থবর্ষে প্রায় ৬৯ হাজার কোটি টাকা অনুমান করা হয়েছে। এর মধ্যে রফতানি অংশীদারিত্ব ৫১ শতাংশ এবং দেশীয় ফর্মুলেশন ৪৯ শতাংশ (India)। এটি মূলত একটি মাল্টিসোর্স জেনেরিক্স বাজার, যার অংশীদারিত্ব প্রায় ৮০ শতাংশ। বিশ্বব্যাপী আরও বেশি পণ্য পেটেন্ট মুক্ত হওয়ায় জেনেরিক্সের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই অনুমান। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ’২৪ অর্থবর্ষে ভারতীয় কৃষি রসায়ন বাজারে কীটনাশকের অবদান ৪১ শতাংশ, আর আগাছানাশকের অবদান ২২ শতাংশ। বাকিদের অবদান যথাক্রমে ছত্রাকনাশকের ২১ শতাংশ, উদ্ভিদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রকের ৬ শতাংশ, বায়োস্টিমুল্যান্টের ৮ শতাংশ এবং বীজ চিকিৎসা পণ্যের ২ শতাংশ।

    অর্থবর্ষ ’২১ থেকে অর্থবর্ষ ’২৪ পর্যন্ত কীটনাশক সেগমেন্টটির বার্ষিক যৌগিক বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ, ছত্রাকনাশক ৮ শতাংশ এবং আগাছানাশক ১০ শতাংশ। যার ফলে আগাছানাশক হয়ে উঠেছে কৃষি রাসায়নিকের (Agrochemical Exporter) মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল সেগমেন্ট। জানা গিয়েছে, কৃষি রাসায়নিক বাজারে ধান, তুলো, গম, সোয়াবিন, মরিচ, আঙুর, দারুচিনি এবং ছোলার অবদান প্রায় ৬৫ শতাংশ (India)।

  • SIR: বাংলায় এসআইআর শুরুর প্রস্তুতি, ভোটার ম্যাপিংয়ের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    SIR: বাংলায় এসআইআর শুরুর প্রস্তুতি, ভোটার ম্যাপিংয়ের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এসআইআর-এর (SIR) লক্ষ্যে আরও একধাপ এগলো নির্বাচন কমিশন। এবার রাজ্যের ভোটার তালিকার মূল্যায়ন শুরু করতে চলেছে তারা। এ রাজ্যে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসের ওয়েবসাইটে সেই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই ভোটার তালিকার সঙ্গে এবার মিলিয়ে দেখা হবে রাজ্যের বর্তমান ভোটার তালিকা -কমিশনের ভাষায় ‘ম্যাপিং অফ ইলেক্টর’ (Voter Mapping)।

    ‘ম্যাপিং অফ ইলেক্টর’ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ (SIR)

    ১০ অগাস্ট দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সিইওদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সিইও মনোজ আগরওয়াল। ওই বৈঠকেই ‘ম্যাপিং অফ ইলেক্টর’ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। সেই মতো এই প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে সিইও অফিস। মূলত, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজ করবেন বুথ লেভেল আধিকারিকরা। এদিকে, ১৭ সেপ্টেম্বরই রাজ্যে আসছেন সিনিয়র ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করতে পারেন তিনি। অন্য একটি সূত্রের খবর, ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে রাজ্যের এসআইআর প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা। ২০ তারিখে দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেবেন তিনি।

    সারা দেশেই এসআইআর চালু

    বিহারের পর এবার সারা দেশেই এসআইআর চালু করার পথে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব রাজ্যকে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। অক্টোবরে জারি করা হতে পারে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি। তার পরেই শুরু হতে পারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। যদিও ঠিক কবে থেকে এই কাজ শুরু হবে, তা জানা যায়নি। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের (SIR) তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালের কাছে পাঠানো চিঠিতে প্রস্তাব দেন, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে রেশন কার্ড এবং স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকেও নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি হিসেবে গ্রহণ করা হোক। রাজ্যের দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের সাফ কথা, আধার কার্ডের পরে আর কোনও নথি গ্রহণ করা হবে না। সারা দেশেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

    এই রাজ্যগুলিতে এসআইআর হবে আগে

    সামনেই রয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ পার্বণ দুর্গাপুজো। তাই এ রাজ্যে এসআইআরের কাজ শুরু হবে পুজোর পরে। যদিও নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসম, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরিতেও সেপ্টেম্বরের মধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। অক্টোবরের প্রথম দিকেই শেষ দুর্গাপুজো। কালীপুজো-ভাইফোঁটার পর্ব চুকতে আরও দিন পনেরো। তার পরেই জোরকদমে (Voter Mapping) শুরু হয়ে যাবে এসআইআর প্রক্রিয়া। কারণ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে এই রাজ্যগুলিতে (SIR)।

  • Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে।” শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম না নিয়েই এ কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন ট্রাম্প প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করে সরসংঘচালক বলেন, “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে। সিদ্ধান্তটি হতাশা থেকে ও চাপে পড়ে নেওয়া হয়েছে।”

    জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় জরিমানা (Mohan Bhagwat)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে থাকায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর চাপানো হয় ৫০ শতাংশ শুল্ক, সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানাও। যুক্তি হিসেবে ট্রাম্প বলেন, “এটি (রাশিয়া থেকে তেল কেনা) প্রকৃতপক্ষে মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করছে।” মার্কিন প্রশাসনের এই চড়া শুল্ক হারকে ভারত অন্যায়, অপ্রমাণিত এবং অযৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে যে, “নয়াদিল্লি কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবে না।”

    কী বললেন ভাগবত

    আরএসএস প্রধান বলেন, “বিশ্বের মানুষ আশঙ্কিত যে, যদি ভারত শক্তিশালী হয় তাহলে তাদের কী হতে পারে এবং তাদের নিজস্ব অবস্থান কী হবে। এ জন্য ভারতীয় পণ্যগুলিতে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।” শুক্রবার ভাগবত যোগ দিয়েছিলেন নাগপুরে “ব্রহ্ম কুমারিজ বিশ্বশান্তি সরোবর” নামের একটি যোগ ও আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি বলেন, “মানব মনোভাব ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’-র দিকে পরিবর্তন করলে অনেক সমস্যার সমাধানই করা সম্ভব।” সরসংঘচালক বলেন, “আজকের বিশ্ব সমাধান খুঁজছে, কারণ তাদের অসম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তারা সঠিক পথ খুঁজে পাচ্ছে না। শুধুমাত্র আমি মনোভাবের কারণে তাদের পক্ষে পথ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।” ভারত যে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে এবং বিশ্বকে উন্নতির পথে পরিচালিত করতে পারে, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসও প্রকাশ করেন সরসংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “ভারত মহান দেশ। ভারতীয়দেরও উচিত মহান হওয়ার চেষ্টা করা।” তিনি আরও বলেন, “ভারত বড় দেশ এবং এটি আরও বড় হতে চায়।” বর্তমান ভারতের সামর্থ্যের উল্লেখ করতে গিয়ে ভাগবত (RSS) বলেন, “ভারত বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে এবং তামাম বিশ্বকে সঠিক পথ দেখাতে সক্ষম।”

    ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসা

    এদিন ভাগবত ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসাও করেন। বিশেষ করে উল্লেখ করেন কঠিন সময়ে তাঁদের স্থিরধৈর্য এবং সন্তুষ্টির কথা। বলেন, “কোনও সংকট থাকা উচিত নয়।  তবে যদি থেকেও থাকে, তাহলে সময় এলে তা পরিবর্তিত হবে। তবু, দুঃখ-দুর্দশা থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষ এই একাত্মতার আত্মার কারণে সন্তুষ্ট থাকে (Mohan Bhagwat)।” প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের আমদানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করেন। এটা কার্যকর করা হয় ১ অগাস্ট থেকে। এরই দিন কয়েক পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটি বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশে নিয়ে যান। জানিয়ে দেন, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনায় এই শাস্তি।  ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে। এর পাশাপাশি তিনি ভারতকে এই বলেও সতর্ক করেন যে, যদি নয়াদিল্লি সরে না আসে, তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আমেরিকার আরও অভিযোগ, ভারত রুশ তেল কিনে অন্যান্য দেশকে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে (Mohan Bhagwat) নয়াদিল্লি।

    ভারতের অনড় মনোভাব

    এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কৌশলের মুখে পড়েও ভারত তার দৃঢ় মনোভাব বজায় রেখেছে (RSS)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ বলে দিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশের মানুষের স্বার্থেই। ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে তিনি অন্যায়, অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক আখ্যা দিয়েছেন। এর ঠিক পরে পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান চিনে। সেখানে তিনি সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন (Mohan Bhagwat) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তার পরেই সুর নরম করেন ট্রাম্প। ভারতকে আরও একবার ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

     

  • PM Modi in Mizoram: রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম, প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত ধরে আইজল-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সূচনা

    PM Modi in Mizoram: রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম, প্রধানমন্ত্রী মোদির হাত ধরে আইজল-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সূচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমূল পরিবর্তন আসছে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থায়। দেশের রেল মানচিত্রে যুক্ত হচ্ছে আইজল (Bairabi-Sairang Railway Line)। একটা সময় যে উত্তর-পূর্ব ভারতকে মনে করা হতো এক দূরবর্তী অঞ্চল। উন্নয়নের অপেক্ষায় থাকত উত্তর- পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে বসবাসকারী মানুষজন। সেই চিত্রপটে আমূল বদল এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi in Mizoram) উদ্যোগে। কারণ, তিনিই সূচনা করেছিলেন ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির। তারই সাফল্য হিসেবে শনিবার বৈরাবি-সায়রাং রেলপথের উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    মিজোরামে মোদি

    বৃহস্পতিবার এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ৫১ কিলোমিটারের প্রকল্পটি এই প্রথম আইজলকে যুক্ত করবে জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে। পাশাপাশি সায়রাং থেকে দিল্লি (রাজধানী এক্সপ্রেস), কলকাতা (মিজোরাম এক্সপ্রেস) এবং গুয়াহাটি (আইজল ইন্টারসিটি) পর্যন্ত তিনটি ট্রেনের যাত্রার সূচনাও করবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর মিজোরাম সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির এটি মিজোরামে দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তিনি তুরিয়াল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের (৬০ মেগাওয়াট) উদ্বোধন করতে এসেছিলেন, যা আসাম সীমান্তবর্তী কলাসিব জেলায় অবস্থিত। এদিন আইজলের লামমুয়ালে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি মোদি নতুন রেলপথের উদ্বোধন ও ট্রেন সার্ভিসগুলির সূচনা করবেন। এছাড়াও তিনি দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করবেন এবং ছয়টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন।

    কলকাতা-আইজল রেল যোগাযোগ

    মিজোরামের রাজধানী আইজলের সঙ্গে কলকাতার সরাসরি রেল যোগাযোগ শুরু হচ্ছে আগামিকাল। আইজলের সাইরাং স্টেশন থেকে ০৩১২৬ সাইরাং – কলকাতা স্পেশাল সকাল ১০ টায় উদ্বোধনী যাত্রা শুরু করে পরের দিন বিকেল ৫ টায় কলকাতা স্টেশনে পৌঁছানোর কথা। এরপর আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩১২৫ কলকাতা – সাইরাং ত্রি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস নিয়মিত পরিষেবা শুরু হবে। প্রতি শনি, মঙ্গল ও বুধবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে পরের দিন সন্ধ্যা সাতটা ২৫ মিনিটে সাইরাং পৌঁছাবে। একই ভাবে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ১৩১২৬ সাইরাং – কলকাতা ত্রি সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস প্রতি সোম, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে সাইরং থেকে ছেড়ে পরের দিন দুপুর আড়াইটেতে কলকাতা পৌঁছাবে। যাতায়াতের পথে ট্রেন টি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের বদরপুর জংশন, গুয়াহাটি, গোয়ালপাড়া টাউন, গোলকগঞ্জ, নিউ জলপাইগুড়ি ও মালদা টাউন স্টেশনে থামবে বলে রেল সূত্রে খবর।

    রেলপথে যুক্ত দুর্গম মিজোরাম

    এই অঞ্চলের জন্য রেলে বাজেট বরাদ্দ দ্বিতীয় ইউপিএ জমানার তুলনায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র এই আর্থিক বছরে ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্গম মিজোরামকে রেলপথে যুক্ত করতে ১৪৩টি সেতু এবং ৪৫টি টানেল নির্মাণ করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। এর মধ্যে সাইরাং-এর কাছে ১১৪ মিটার উচ্চতার ব্রিজ নম্বর ১৪৪ বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে উঁচু পিয়ার রেল ব্রিজ। ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বাইরাবি-সাইরাং রেলপথ প্রকল্পটি ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’-র অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই রেলপথ আইজলকে আসামের শিলচর-এর সঙ্গে যুক্ত করবে এবং মিজোরামকে প্রথমবারের মতো ভারতের জাতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ২০০৮-০৯ সালে এই প্রকল্প অনুমোদন পায় এবং ₹৮,২১৩.৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।

    উত্তর-পূর্বে উন্নয়নের জোয়ার

    গোটা দেশে রেল (Bairabi-Sairang Railway Line) যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন আইজলে নতুন ট্রেন চালু হলে দিল্লি, কলকাতা ও গুয়াহাটিতে যাতায়াত সহজ হবে। এই রেলপথ চালু হলে আইজল থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার সময় কমে ১২ ঘণ্টা হবে, যেখানে সড়কপথে এটি ১৬ ঘণ্টা সময় লাগে। আইজল-শিলচর যাত্রাও সাত ঘণ্টা থেকে তিন ঘণ্টায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। এর ফলে সহজ হবে খাদ্যশস্য ও সারের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণ। উপকৃত হবেন কৃষকরা। পাশাপাশি জোয়ার আসবে পর্যটন শিল্পেও। চাঙ্গা হবে স্থানীয় ব্যবসা। যুব সমাজের কাছে তৈরি হবে কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ।

    প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তা

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Mizoram) সফরকে ঘিরে মিজোরাম জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাজ্যের আইজি (আইন শৃঙ্খলা) এইচ রামথলেংলিয়ানা জানিয়েছেন, রাজ্যের সমস্ত পুলিশ ইউনিট হাই অ্যালার্টে রয়েছে এবং আইজলে বিএসএফ ও সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের রুটে যান চলাচলে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে, দোকানপাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা, ছাত্রছাত্রী ও সরকারি কর্মচারীদের প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মিজোরাম সফরের পরে প্রধানমন্ত্রী মোদির মণিপুর সফরের কথাও রয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে মণিপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরুর পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম মণিপুর সফর।

LinkedIn
Share