Tag: India

India

  • India China Ties: “চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    India China Ties: “চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন-ভারত সম্পর্কের (India China Ties) উন্নতি হয়েছে।” মঙ্গলবার লোকসভায় এমনই দাবি করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি জানান, ২০২০ সালের এপ্রিলে গালওয়ানে দুই দেশের সেনা সংঘাতের পর থেকে ক্রমাগত কূটনৈতিক আলোচনার কারণেই পরিস্থিতি বদলেছে।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (India China Ties)

    জয়শঙ্কর বলেন, “২০২০ সাল থেকে আমাদের সম্পর্ক টালমাটাল হয়েছিল। চিনের কার্যকলাপের কারণে সীমান্ত এলাকায় শান্তি এবং স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়। সেই থেকে আমরা ক্রমাগত কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে গিয়েছি। যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।” তিনি জানান, সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য চিনের সঙ্গে কথা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর ভারত। স্বচ্ছ এবং দুই দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করার দিকেই নজর রয়েছে সরকারের। বিদেশমন্ত্রী বলেন, “সাম্প্রতিক ঘটনাবলী যা ক্রমাগত (India China Ties) কূটনৈতিক ব্যস্ততার প্রতিফলন ঘটায় ভারত-চিন সম্পর্ক  কিছুটা উন্নতির দিকে গিয়েছে।”

    বিচ্ছিন্নতার পর্বের সমাপ্তি

    তিনি বলেন, “আগামী দিনগুলিতে আমরা সীমান্ত এলাকায় কর্মকাণ্ডের উত্তেজনা হ্রাস ও কার্যকর ব্যবস্থাপনা উভয় বিষয়েই আলোচনা করব।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বিচ্ছিন্নতার পর্বের সমাপ্তি এখন আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার অন্যান্য দিকগুলিতে ফোকাস করতে পারে। এর পরেই ডি-এসকালেশন নিয়ে এগোতে চায় দিল্লি।” তিনি বলেন, “পরবর্তী (India China Ties) অগ্রাধিকার হবে ডি-এসকালেশন বিবেচনা করা যা এলএসি বরাবর সৈন্য জমায়েতের সমাধান করবে। তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার ছিল ফ্রকশন পয়েন্ট থেকে ডিসএনগেজমেন্ট নিশ্চিত করা।”

    আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে ‘ইন্ডি’ জোটের ফাটল, কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গরহাজির তৃণমূল, সপা

    জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা সীমানা বিষয়ে নিষ্পত্তির জন্য ন্যায্য, পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য কাঠামোয় পৌঁছানোর জন্য চিনের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” জাতীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের (India China Ties) জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থকে সর্বাগ্রে রেখে, চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে আমার সাম্প্রতিক বৈঠকে আমরা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছি যে বিশেষ প্রতিনিধি এবং বিদেশ সচিব পর্যায়ের প্রক্রিয়া শীঘ্রই আহ্বান করা হবে।”

    প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনা প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং এলএসি (S Jaishankar) থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হন (India China Ties)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

      

  • INDI Block Rift: ফের প্রকাশ্যে ‘ইন্ডি’ জোটের ফাটল, কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গরহাজির তৃণমূল, সপা

    INDI Block Rift: ফের প্রকাশ্যে ‘ইন্ডি’ জোটের ফাটল, কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে গরহাজির তৃণমূল, সপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ইন্ডি’ জোটের (INDI Block Rift) বৈঠকে গরহাজির ছিল তৃণমূল। একবার নয়, দু’দু’বার। তখনই বোঝা গিয়েছিল ফের ফাটল ধরেছে ইন্ডি জোটে। আদানি ঘুষকাণ্ডে ফের একবার প্রকাশ্যে এল ইন্ডি জোটের অন্দরের কোন্দল। আদানি ঘুষকাণ্ডে মঙ্গলবার কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন যৌথ প্রতিবাদে যোগ দিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (TMC SP Skip)।

    বিজেপির কটাক্ষ (INDI Block Rift)

    এদিন ঘুষকাণ্ডের প্রতিবাদে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের বিভিন্ন শরিকদল। এই কর্মসূচিতে সামনের সারিতে ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হয়নি তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টি। ইন্ডি জোটের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টির অনুপস্থিতিকে বিরোধী জোটে ফাটল (INDI Block Rift) বলে দাবি করেছে পদ্ম পার্টি। রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কংগ্রেস যেখানেই যায়, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে।” ইন্ডি জোটের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আপনারা অবস্থাটা দেখুন। কখনও তৃণমূল থাকে না, তো কখনও আবার আম আদমি পার্টি থাকে না।”

    তৃণমূলের সাফাই

    ইন্ডি জোটের প্রতিবাদ সভায় গরহাজির থাকার (INDI Block Rift) প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল সাংসদ তথা লোকসভার উপদলনেতা কাকলি ঘোষদস্তিদারের সাফাই, “আমাদের দল সাধারণ মানুষের সমস্যাগুলি সংসদে তুলে ধরবে।” তিনি জানান, তৃণমূল চায় মসৃণভাবে সংসদের কাজ পরিচালিত হোক। কাকলি বলেন, “আমরা সংসদ অচল করতে চাই না। বিভিন্ন বিষয়ে ব্যর্থতার জন্য আমরা এই সরকারের জবাব চাই।”

    প্রসঙ্গত, সোমবার সংসদে কক্ষ সমন্বয় নিয়ে ইন্ডি জোটের বৈঠকেও যায়নি তৃণমূল। তার আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাসভবনে আয়োজিত ইন্ডি জোটের বৈঠকেও গরহাজির ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মঙ্গলবারের কর্মসূচিতে শামিল হল না অখিলেশের দলও (INDI Block Rift)। এদিকে, সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা এদিন দেখা করেছেন লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে। সাম্ভাল ইস্যুতে আলোচনার (TMC SP Skip) জন্য অনুরোধও করেছেন। সমাজবাদী পার্টির নেতাদের মতে, আদানির বিষয়টি সাম্ভালের মতো বড় নয়। সাংসদ সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, “আমাদের কাছে আদানির চেয়ে কৃষকরা একটি বড় সমস্যা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ICC Champions Trophy: হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স  ট্রফি! কবে, কোথায় ভারত-পাক ম্যাচ?

    ICC Champions Trophy: হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! কবে, কোথায় ভারত-পাক ম্যাচ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইব্রিড মডেলেই আয়োজিত হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। রবিবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জয় শাহ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে এবার পাকিস্তানের সঙ্গে তিনিই কথা বলবেন। এই অবস্থায় কিছুটা হলেও নিজেদের অনড় অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে পিসিবি। শোনা যাচ্ছে ভারতের ম্যাচগুলি দুবাইতে আয়োজনের কথা ভাবছে তারা। সেই মতো ভারত-পাকিস্তান মহারণও হবে মরু শহরে।

    পিসিবির শর্ত

    হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy) আয়োজন করতে রাজি হলেও আইসিসি সূত্রে খবর, একগুচ্ছ শর্ত দিয়েছে পিসিবি। তার মধ্যে অন্যতম হল ২০২৭ অবধি কোনো বহুদেশীয় টুর্নামেন্টের কোনো ম্যাচ ভারতে এসে যাতে না খেলতে হয় সে বিষয়ে আইসিসি’র সবুজ সংকেত চেয়েছে পাক বোর্ড (PCB)। আসন্ন টুর্নামেন্ট গুলির মধ্যে ২০২৬-এর টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2026) রয়েছে ভারতের মাটিতে। যদিও সেখানে কো-হোস্ট হিসেবে থাকার কথা শ্রীলঙ্কার। ফলে পাকিস্তান চাইলে দ্বীপরাষ্ট্রে খেলতেই পারে ম্যাচগুলি। সমস্যা দেখা যেতে পারে আগামী বছরে মহিলাদের ওডিআই বিশ্বকাপ (Women’s World Cup 2025) ও পুরুষদের এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) নিয়ে। দুটি টুর্নামেন্টেরই একমাত্র হোস্ট ভারত। পাকিস্তান না এলে তাদের ম্যাচগুলি মধ্যপ্রাচ্য বা অন্য কোথাও আয়োজনের কথা ভাবতে হবে বিসিসিআই-কে। শোনা যাচ্ছে প্রতিটি টুর্নামেন্টের ফাইনালের জন্যও নাকি নিরপেক্ষ ভেন্যু চেয়েছে পিসিবি, তা আদৌ মানা হবে কিনা তা নিয়ে যদিও সংশয় রয়েছে। আইসিসি সূত্রে খবর, সোমবার চেয়ারম্যান হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে আইসিসির সদস্য দেশগুলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন জয় শাহ। তবে আইসিসি-র তরফে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানানো হয়নি।

    ভারত-পাক ম্যাচ 

    আইসিসি সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলে দুবাইয়ে খেলা হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ভারত-পাক হাইভোল্টেজ ম্যাচ। সাধারণত মেগা টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার প্রথম সপ্তাহের রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ রাখা হয়। সম্প্রচারের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রেও সেই প্রথাই মানা হবে। সম্ভবত ২৩ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি হতে চলেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Bangladesh Relation: বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ১৩৫ কোটি! টাকা চেয়ে ঢাকাকে হুঁশিয়ারি ত্রিপুরার

    India-Bangladesh Relation: বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ১৩৫ কোটি! টাকা চেয়ে ঢাকাকে হুঁশিয়ারি ত্রিপুরার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎ বিল বাবদ বাংলাদেশ (India-Bangladesh Relation) সরকারের কাছে বকেয়া ১৩৫ কোটি টাকা চাইল ত্রিপুরা সরকার। বিদ্যুৎচুক্তি নিয়ে গৌতম আদানির মালিকানাধীন শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে টালবাহানার মধ্যেই ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশকে বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলেছে। প্রসঙ্গত, এমন একটা সময় ত্রিপুরা সরকারের তরফে বাংলাদেশের কাছে বকেয়া চাওয়া হয়ছে, যখন ঢাকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে টানাপড়েন চলছে। বাংলাদেশের মধ্যে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বকেয়া বাড়ছে নিয়মিত

    বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে ভারতের ‘ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন’-এর সঙ্গে বাংলাদেশ (India-Bangladesh Relation) সরকারের চুক্তি হয়েছিল। ‘বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেড’-এর মাধ্যমে এই চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক, প্রতি ইউনিটের জন্য একটি নির্দিষ্ট অর্থ ধার্য করেছিল ত্রিপুরা সরকার। সেই অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠায় তারা। কিন্তু ত্রিপুরা সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ অনেক টাকা বকেয়া পড়ে গিয়েছে। ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন নাথ জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বাবদ প্রতি ইউনিটের হিসাবে ৬ টাকা ৬৫ পয়সা করে নেয় ত্রিপুরা সরকার।

    অশান্ত বাংলাদেশ

    গত কয়েক দিন ধরে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের একাংশে। একাধিক সংখ্যালঘু নেতা, সন্ন্যাসীকে গ্রেফতারের ফলে বাংলাদেশের কিছু জায়গায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ শামিল হয়েছেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। অভিযোগ উঠেছে যে, ভারত-বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে বাংলাদেশে। এমনকী বাংলাদেশে ত্রিপুরা-কলকাতাগামী বাসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে বাংলাদেশকে কোনও রকম ছাড় দিতে নারাজ ভারত। 

    আরও পড়ুন: আরও শক্তিশালী নৌসেনা! ফ্রান্স থেকে ২৬ রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান আসছে ভারতে, চুক্তি শীঘ্রই

    আদানির কাছে ধার

    আদানিদের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা চলছে বাংলাদেশ সরকারের। ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার আমলে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎচুক্তির বিষয়ে হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়। এর পাশাপাশি ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারও আদানি-সহ ছ’টি সংস্থার সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎচুক্তি খতিয়ে দেখছে। সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়ে জানায়, বিদ্যুতের বকেয়া বিল বাবদ ৮০ কোটি ডলার বকেয়া রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    Jagdeep Dhankhar: “ভারতের ইতিহাস বিকৃত করে আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে”, দাবি ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করে মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে জায়গা দিতে ভারতের ইতিহাস (Indian History) বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল। এমনই দাবি করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। রবিবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের ১৩৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ভাষণ দেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানেই তিনি ইতিহাস বই বিকৃত করার অভিযোগ করেন।

    কী বললেন ধনখড়? (Jagdeep Dhankhar)

    তিনি বলেন, “ভারতের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল। এতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে এই দাবি করার জন্য একচেটিয়া জায়গা দেওয়া হয়েছিল যে, তাঁরাই ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে অবদান রেখেছেন।” উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “ভারতের স্বাধীনতার ভিত্তি সম্পর্কে মানুষকে খুব ভিন্নভাবে শেখানো হয়েছে। ইতিহাস বই আমাদের আসল নায়কদের প্রতি অবিচার করেছে। আমাদের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তিত করা হয়েছিল, এবং এতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে একচেটিয়া স্থান দেওয়া হয়েছে যারা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের কৃতিত্ব পেয়েছে। এটা আমাদের বিবেকের ওপর একটি অসহনীয় ব্যথা। এটা আমাদের আত্মা ও হৃদয়ের ওপর একটি বোঝা।”

    বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ

    তিনি ভারতের ঐতিহাসিক বিবরণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আহ্বানও জানান। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “আমাদের ইতিহাস বইগুলো রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।” রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংকে তিনি একজন স্বাভাবিক কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, দূরদর্শী ও জাতীয়তাবাদী হিসেবে অভিহিত করেন। এই অবহেলাকে ‘ন্যায়বিচারের প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছেন উপরাষ্ট্রপতি। ইতিহাসের ভুল উপস্থাপনাকে সংশোধন করার গুরুত্বও এদিনের বক্তৃতায় তুলে ধরেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতার ভিত্তি স্থাপনকারী ব্যক্তিদের যাতে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া যায়, তাই এটা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা ন্যায়বিচারের প্রতি অবিচার, কী ট্র্যাজেডি। আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ তম বছরে, আমরা ব্যর্থ হয়েছি—ভয়ানকভাবে ব্যর্থ হয়েছি—রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের মতো মহান মানুষের বীরত্বপূর্ণ কীর্তিগুলিকে স্বীকার করতে। আমাদের ইতিহাস তাঁকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি। আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তিগুলি, যেগুলি তাঁর মতো মানুষদের এবং অন্যান্য অবহেলিত বা কম পরিচিত বীরদের সর্বোচ্চ ত্যাগের (Indian History) ওপর প্রতিষ্ঠিত, তা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে (Jagdeep Dhankhar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India GDP Growth: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    India GDP Growth: ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে, দাবি মর্গানের রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের জন্য ভারতের সামগ্রিক জিডিপি বৃদ্ধি (India GDP Growth) পৌঁছতে পারে ৬.৪ শতাংশে। কারণ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে জিডিপি বৃদ্ধির হার উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৬.৭ শতাংশে। অন্তত এমনই আশার বাণী শোনানো হয়েছে জেপি মর্গানের (JP Morgan) একটি প্রতিবেদনে।  

    জিডিপি বৃদ্ধির গতি ধীর (India GDP Growth)

    ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে দেশের জিডিপি ৫.৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাত ত্রৈমাসিকের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতির। বাজারের পূর্বাভাসের চেয়েও অনেকটাই কম। জিডিপি বৃদ্ধির এই মন্দা সাইক্লিক্যাল ফ্যাক্টর দ্বারা চালিত। প্রত্যাশার তুলনায় ভোক্তা ব্যয়, বিনিয়োগ এবং রফতানিতে দুর্বল পারফরম্যান্সই এ জন্য দায়ী (India GDP Growth)। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এই ধীরগতি পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না। কারণ সাম্প্রতিক মাসগুলিতে অর্থনীতি ধীর গতি হওয়ার লক্ষণ দেখিয়েছিল।

    নেমেছে গ্রস ভ্যালু অ্যাডেডও

    কোর গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড নেমে এসেছে ৫.৩ শতাংশে। এর মধ্যে অবশ্য কৃষি, সরকারি প্রশাসন এবং ভর্তুকি বাদ রয়েছে। গ্রস ভ্যালু অ্যাডেডের এই পতন গত সাত ত্রৈমাসিকের মধ্যে সব চেয়ে কম। মানিটারি জিডিপি বৃদ্ধিও (India GDP Growth) ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এটাও ডিসেম্বর ২০২০ থেকে এ পর্যন্ত চেয়ে সবচেয়ে দুর্বল পারফরম্যান্স। আসন্ন ত্রৈমাসিকগুলিতে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর সম্ভাব্য কারণগুলোর উল্লেখ করে জেপি মর্গানের (JP Morgan) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে প্রবৃদ্ধির গড় প্রায় ৬.৭ শতাংশ হতে পারে বলে আমরা আশা করছি। এটা পুরো অর্থবর্ষের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ৬.৪ শতাংশে নিয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুন: “বিরোধী দল ভোটব্যাংকের রাজনীতি করে”, কংগ্রেসকে তোপ গিরিরাজের

    প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, একটি স্থিতিশীল সরকারি পুঁজি ব্যয় পরিকল্পনা, গ্রামীণ ভোগব্যয়ের অব্যাহত বৃদ্ধি এবং পরিষেবা রফতানির জন্য আসন্ন ত্রৈমাসিকগুলিতে আরও অনুকূল বৈশ্বিক পরিবেশ প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করতে পারে (India GDP Growth)। তবে, প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তাও। বলা হয়েছে, শহুরে ভোগব্যয় এবং পণ্যের রফতানি সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলোকে ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: লস্কর জঙ্গি সলমন রহমনকে আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরাল এনআইএ, রয়েছে পাকিস্তান যোগ

    NIA: লস্কর জঙ্গি সলমন রহমনকে আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরাল এনআইএ, রয়েছে পাকিস্তান যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সলমন রহমন খানকে ভারতে ফেরাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে তাকে আফ্রিকার রোয়ান্ডা থেকে ভারতে আনা হয়েছে। যৌথভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এ কাজে সাহায্য করে ইন্টারপোলও।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে? (NIA)

    পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার মদতে বেঙ্গালুরুতে নাশকতার কাজে যুক্ত ছিল সলমন। বেঙ্গালুরুতে (NIA) বিশাল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পর তার নাম উঠে আসে। তদন্তে নেমে জানা যায়, টি নাসির নামে এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি, যে যাবজ্জীবনের সাজা কাটার জন্য ওই সংশোধনাগারে বন্দি, সে-ই আবাসিকদের মধ্যে জঙ্গি প্রচার চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। এনআইএ-র দাবি, একটি পকসো মামলায় বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল সলমন রহমান খানও। সেখানে সে নাসিরের সংস্পর্শ আসে। পরে নাসিরের নির্দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র হামলাকারীদের মধ্যে বিতরণের দায়িত্ব নেয়। বেঙ্গালুরুতে অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর সংশোধনাগারে মৌলবাদী ভাবধারা প্রচার এবং মৌলবাদীদের নিয়োগের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ রয়েছে। পারাপ্পানা অগ্রহর সেন্ট্রাল প্রিজন অর্থাৎ জেল থেকে সাতটি পিস্তল, চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ম্যাগাজিন ও ৪৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছিল। চারটি ওয়াকিটকিও উদ্ধার হয় সেসময়। তারপরই অস্ত্র সরবরাহ-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে এনআইএ-র অপরাধী তালিকায় যুক্ত হয় তার নাম। অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়। তার খোঁজে তল্লাশি চলছিলই।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    এনআইএ কী জানাল?

    এই ইস্যুতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনআইএ-এর (NIA) তরফে জানানো হয়েছে – ‘‘বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সন্ত্রাসী মৌলবাদী ভাবধারার প্রচার এবং সন্ত্রাস চালানোর জন্য পরবর্তীতে মৌলবাদীদের নিয়োগ সংক্রান্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত সলমনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ। এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছে রোয়ান্ডা ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (আরআইবি), ইন্টারপোল এবং ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। ওই ব্যক্তিকে ২৭ নভেম্বর হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়।’’ এনআইএ-র তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও না কোনও গুরুতর মামলায় যুক্ত মোট ১৭ জন অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদীকে অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে।’’

    জঙ্গি গ্রেফতার প্রসঙ্গে কী বলল সিবিআই?

    সিবিআই-এর পক্ষ থেকেও আলাদা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘‘এনআইএ-র অনুরোধ অনুসারে গত ২ অগাস্ট সিবিআই-এর পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে সলমন খানের (Militant) নামে একটি রেড নোটিশ জারি করা হয়। ওই ওয়ান্টেড অপরাধীকে শনাক্ত করতে সারা বিশ্বের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলিকে সেই অ্যালার্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ রোয়ান্ডায় সলমন রহমান খানের হদিশ পাওয়া যায়। এরপরই সিবিআই-এর তরফ থেকে রোয়ান্ডার রাজধানী এবং সবথেকে বড় শহর কিগালিতে অবস্থিত ইন্টারপোল-এর ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর কাছে সলমন খানকে ধরার জন্য সাহায্য চাওয়া হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Frontier Highway: চিন সীমান্ত ঘেঁষে অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে ১,৬৩৭ কিমি হাইওয়ে, বড় বরাদ্দ কেন্দ্রের

    Arunachal Frontier Highway: চিন সীমান্ত ঘেঁষে অরুণাচলে তৈরি হচ্ছে ১,৬৩৭ কিমি হাইওয়ে, বড় বরাদ্দ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৈরি হচ্ছে ১ হাজার ৬৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ে (Arunachal Frontier Highway)। এই হাইওয়ে নির্মাণের জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছে ২৮ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। এই হাইওয়েটি ভারত-চিন আন্তর্জাতিক সীমানায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর রাজ্যের ১২টি জেলাকে সংযোগ করবে। হাইওয়েটি তৈরিতে আনুমানিক ব্যয় ধার্য হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা।

    বদলাবে অরুণাচলের ভোল (Arunachal Frontier Highway)

    নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলে বদলে যাবে অরুণাচল প্রদেশের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এই রাস্তা তৈরি করছে ভারত। জানা গিয়েছে, এই হাইওয়েটি ভারত-তিব্বত-চিন-মায়ানমার সীমান্ত বরাবর নির্মিত হচ্ছে। হাইওয়েটি (Arunachal Frontier Highway) তৈরি হচ্ছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমানা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে।

    কোথায় শুরু, শেষই বা কোথায়

    জানা গিয়েছে, হাইওয়েটি বমডিলা থেকে শুরু হবে এবং নাফ্রা, হুরি এবং মোনিগং শহরগুলির মধ্য দিয়ে যাবে। এই এলাকাগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বা ম্যাকমোহন লাইনের কাছাকাছি অবস্থিত। হাইওয়েটি (Arunachal Frontier Highway) শেষ হবে ভারতের-মায়ানমার সীমান্তের কাছে, বিজয়নগরে গিয়ে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের মুখ্য ইঞ্জিনিয়র তথা ব্রহ্মাঙ্ক প্রকল্পের প্রধান সুবাস চন্দ্র লুনিয়া বলেন, “অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার হাইওয়ের জন্য কেন্দ্র ২৮ হাজার ২২৯ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। এটি ১ হাজার ৬৮৩টি গ্রামকে সংযুক্ত করবে। ম্যাকমোহন লাইনের সমান্তরালে নির্মিত জাতীয় সড়কটি (Arunachal Frontier Highway) নির্মাণের কাজ শেষ হবে ২০২৭ সালের মধ্যে।”

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয় ইসকন, আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল সেদেশের হাইকোর্ট

    তিনি জানান, অরুণাচল ফ্রন্টিয়ার ন্যাশনাল হাইওয়ে-৯১৩ (Arunachal Frontier Highway)-এর ১৯৮ কিমি (তাতো-তুতিং) অংশ নির্মাণের কাজ চলছে। ২০১৪ সালের পরে বিভিন্ন রাজ্যে বিআরও-এর কাজের জন্য সড়ক উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই বরাদ্দ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ঢের বেশি। লুনিয়া বলেন, “সিয়াং, আপার সিয়াং, ওয়েস্ট সিয়াং এবং শি-য়োমি জেলার পাশাপাশি অসমের ধেমাজি জেলার চারটি সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ-সহ সড়ক পরিকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজও চলছে।” তিনি বলেন, “ব্রহ্মাঙ্ক প্রকল্প প্রতিষ্ঠার দিন থেকে আজ পর্যন্ত ১৭টি রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ৪৯৬ কিলোমিটার (Arunachal Frontier Highway)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: ফাটল হচ্ছে চওড়া! ফের ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক এড়াল তৃণমূল, কেন জানেন?

    TMC: ফাটল হচ্ছে চওড়া! ফের ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক এড়াল তৃণমূল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে হয়ে গেল ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠক। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ওই জোটে যোগ দিয়েছিলেন জোটের শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা। এই বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল (TMC)। ছাব্বিশে এ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। বাম এবং বিজেপির পাশাপাশি এ রাজ্যে কংগ্রেসও তৃণমূলের ঘোষিত শত্রু।

    দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল!

    রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এখন থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করে দিল তৃণমূল। তাছাড়া, সদ্য সমাপ্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে মহা বিকাশ অঘাড়ী জোট। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ রাজ্যে কংগ্রেস কোনও ক্যারিশ্মা দেখাতে না পারায় রাহুল গান্ধীর দলকে আর ধর্তব্যের মধ্যেই আনছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই কারণেই ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দেননি ঘাসফুল শিবিরের ছোট কোনও নেতাও।

    ইন্ডির বৈঠকে গরহাজির তৃণমূল

    সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে ইন্ডি জোটের নেতাদের নিজের বাসভবনে বৈঠকে ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে সংসদে মোদি সরকারকে চেপে ধরা হবে, সেই কৌশল স্থির করতেই ডাকা হয়েছিল বৈঠক। বৈঠকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ, শরদ পাওয়ারের দল এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, সিপিএম, সিপিআই এবং ডিএমকে-সহ ১৩টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত কেবল তৃণমূল।

    সোমের পর আজ, বুধবারও ইন্ডি জোটের বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। এদিন দুপুর ১টায় নিজেদের সংসদীয় দলের আলাদা বৈঠক ডেকেছিল তৃণমূল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।  মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদের দুই কক্ষে সরব হবে ঘাসফুল শিবির।  এ নিয়ে রণকৌশল চূড়ান্ত করতে এদিন (TMC) সংসদ ভবনে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে গুরু দায়িত্বে বাঙালি, মার্কিন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মাথায় কলকাতার জয়ন্ত

    কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, “বিজেপি, আদানির বিরুদ্ধে বিরোধীদের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে, সেই ঐক্যের বিরোধিতা করতে হবে। ঐক্যের বিরোধিতার যে দাদন, সেটা তৃণমূল নিয়েছে। তাই বিরোধীদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চাইছে।” 

    ইন্ডি জোটের বৈঠকে গরহাজির রইলেও, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন মমতা। হেমন্তর দল ইন্ডি জোটের শরিক। রাজনৈতিক মহলের মতে, ইন্ডি জোটের বৈঠকে হাজির না হয়ে হেমন্তের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতা বোঝাতে চাইছেন, তিনি ইন্ডি জোটেই আছেন। তবে তাঁকে বসানো হোক চালকের আসনে।

    একটা আঞ্চলিক দলের হাতে কি ইন্ডি জোটের স্টিয়ারিং তুলে দেবে কংগ্রেস? উঠছে প্রশ্ন (TMC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Perth Test: পারথ-জয় করতেই ফের টেস্ট বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ভারত

    Perth Test: পারথ-জয় করতেই ফের টেস্ট বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্টে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। শীর্ষস্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম ম্যাচে অসামান্য জয়ের পরেই চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে উঠে এল ভারত। অস্ট্রেলিয়া নেমে গেল দ্বিতীয় স্থানে। পারথ টেস্ট (Perth Test) ভারত জিততেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) পয়েন্ট টেবলেও হল বড় বদল হল।

    পয়েন্ট তালিকায় কে কোথায়?

    প্রসঙ্গত, বিগত ১৫টি টেস্টের মধ্যে (Perth Test) নটি টেস্ট জিতেছে ভারত। পাঁচটিতে হেরেছে, একটি হয়েছে ড্র। এই মুহূর্তে ভারতের পয়েন্ট ১১০। অন্যদিকে পয়েন্টের শতাংশ হল ৬১.১১। প্রসঙ্গত, পয়েন্ট শতাংশের ওপর নির্ভর করেই স্থির হয় কোন দুটি দল ফাইনাল খেলবে। নিয়ম অনুযায়ী, শীর্ষে যে দুই দল থাকবে, তারাই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে। বিগত দুইবারই ফাইনাল খেলেছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ১৩টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে আটটি জিতেছে ও চারটিতে হেরেছে। একটি টেস্ট ড্র হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট এই মুহূর্তে ৯০ এবং পয়েন্টের শতাংশ ৫৭.৬৯। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় স্থানে (Perth Test) থাকা অস্ট্রেলিয়ার ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে আরও তিনটি দল। তিন নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কার পয়েন্টের শতাংশ হল ৫৫.৫৬। চার নম্বরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। ভারতকে হারিয়ে তাদের পয়েন্টের শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৪.৫৫। পাঁচ নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্টের শতাংশ ৫৪.১৭।

    সিরিজ যে দল জিতবে টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল তারা নিশ্চিত ভাবে খেলবে

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম দুই স্থানে থাকলেও ফাইনাল খেলবে নাকি এই দুই দল, সে নিয়ে নিশ্চিতভাবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তার কারণ ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ভারতের পয়েন্ট শতাংশ সত্তরেরও বেশি ছিল। পরপর তিনটি টেস্টে হারে ভারত। এরপর টিম ইন্ডিয়ার পয়েন্টের শতাংশ ৬০ শতাংশের নিচে নেমে যায়। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে এখনও চার টেস্ট বাকি (Perth Test) রয়েছে। এই সিরিজ যে দল জিতবে টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল তারা নিশ্চিত ভাবে খেলবে।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share