Tag: India

India

  • Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    Supreme court: ভারতীয় ভূখণ্ড চিনের দখলে! বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি ভারতীয় ভূখণ্ড নাকি চিন দখল করে রেখেছে—এমন দাবি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ভর্ৎসিত হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শীর্ষ আদালত রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে তাঁকে জানিয়েছে, প্রকৃত ভারতীয় হয়ে কখনও এই ধরনের মন্তব্য করবেন না। প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর এমন মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করার দাবি জানানো হয়েছিল। তবে সে দাবি অবশ্য খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)।

    ভারত জোড়ো যাত্রা করার সময় এমন মন্তব্য করেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)

    ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় লোকসভা ভোট। ঠিক তার দু’বছর আগে—২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার ডাক দেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই সময় তিনি বিভিন্ন সভায় দাবি করেছিলেন, চিন ২০০০ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে এবং চিনা সৈন্যরা অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সৈন্যদের মারধর করছে। এ নিয়েই পরবর্তীকালে দায়ের হয় মামলা। এই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) রাহুল গান্ধীর উদ্দেশ্যে জানতে চায়, “আপনি কীভাবে জানলেন যে ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিনা দখলে রয়েছে?” এর পরে শীর্ষ আদালত (Supreme court) রাহুল গান্ধীকে তিরস্কার করে বলে, “আপনি যদি একজন প্রকৃত ভারতীয় হতেন, তাহলে এমন কথা বলতেন না।”

    মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে

    প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-র বেঞ্চে। সেখানেই লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে তীব্র ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত আরও বলে, “আপনি বিরোধী দলের নেতা হয়ে কেন এই ধরনের কথাগুলো বলবেন?” প্রসঙ্গত, এ-সংক্রান্ত মামলাটি প্রথম উঠে এলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেখানে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ হয়। এরপরেই রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) দ্বারস্থ হন এবং তিনি জানান যে, তাঁর বিরুদ্ধে এমন মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

    রাহুলের দাবি মিথ্যা গল্প, বললেন কিরেন রিজিজু

    এদিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) রাহুল গান্ধী সম্পর্কে এমন মন্তব্যের পরেই অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করেন এবং সেখানেই বিজেপি নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে “মিথ্যা গল্প” বলে অভিহিত করেন এবং তিনি দাবি করেন, চিন অরুণাচল প্রদেশের এক ইঞ্চি জমিও দখল করেনি।প্রসঙ্গত, রাহুলের এই মন্তব্যের পরেই সেসময় তাঁর নিন্দা করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। বিদেশমন্ত্রী রাহুলের বিরুদ্ধে ‘ভুল তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি সেসময় জানান, ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময় ভারত চিনের কাছে যে জায়গা খুইয়েছিল, তাকে সাম্প্রতিক ক্ষয়ক্ষতি হিসাবে দেখাতে চাইছেন রাহুল।

    রাজস্থানে এমন দাবি করেছিলেন রাহুল

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুল গান্ধী রাজস্থানে এমন মন্তব্য করেন। রাজস্থানের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন যে, ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে চিন এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চিনের আগ্রাসনের পরেও কেন নীরব রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার—এ নিয়ে বিজেপির সমালোচনা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, “আমাদেরকে প্রশ্ন করা হয় ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে—এখানে, সেখানে, সর্বত্র অশোক গেহলট, শচীন পাইলট ইত্যাদি বিষয়ে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হয়। কিন্তু তারা কখনও চিন নিয়ে প্রশ্ন করে না। কেন ২০০০ বর্গ কিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। ২০ জন ভারতীয় সৈন্যকে হত্যা করল চিন—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় না। অরুণাচল প্রদেশে আমাদের সৈন্যদের পিটিয়ে হত্যা করল কেন চিন—এই নিয়েও প্রশ্ন করা হয় না। আবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও এ নিয়ে কোনও কিছু উত্থাপন করে না। তবে এগুলো কি সত্য নয়? দেশ সবটাই দেখছে। কোনও কিছু ভান করে কিছু হবে না। মানুষ সবটাই জানে।”

    জম্মু-কাশ্মীরে গিয়েও একই দাবি করেন রাহুল

    শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জম্মু-কাশ্মীরে একই দাবি করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি মনে করেন যে, চিনারা ভারতের কাছ থেকে কোনও জমি দখল করেনি। “আমি সম্প্রতি কিছু প্রাক্তন সেনার সঙ্গে দেখা করেছি এবং লাদাখের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও দেখা করেছি। তাঁরা আমাকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন যে, আমাদের ভারতীয় ভূখণ্ডের ২০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিন দখল করে রেখেছে।” রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে জম্মু-কাশ্মীরে এমন দাবি করতে শোনা যায় সে সময় রাহুল গান্ধীকে।

    অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এমনই দাবি রাহুলের

    প্রসঙ্গত, ওই আবহে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আরও দাবি করেছিলেন যে, প্রাক্তন সেনা কর্মীরা তাঁকে বলেছেন—ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে থাকা অনেক টহল পয়েন্টও বর্তমানে পুরোপুরি চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাহুল গান্ধীর এই সমস্ত বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য উত্তরপ্রদেশে একটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয় এবং সেখানেই তাঁকে সমন জারি করা হয়েছিল। এর পরে তিনি এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন এবং স্বপক্ষে মামলাটি বাতিল করার আবেদন জানান।

  • Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    Mamata Banerjee: ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাঙালি নয়’, মমতার দাবি নস্যাৎ করে সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সমূলে উৎপাটিত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। এই অনুপ্রবেশকারীরাই (Bangladeshi Immigrants) জাল আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে মিশে গিয়েছে ভারতের বিরাট জনারণ্যে। তাদের ধরতেই যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তখন একমাত্র প্রতিবাদ করছেন তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটব্যাংকের স্বার্থেই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ‘ত্রাতা’ হয়ে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি কেবল অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নয়, এটি একটি যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা একটি ভুয়ো এবং জাল পরিচয়পত্র তৈরির চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান।

    মমতার বাঙালি সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি! (Mamata Banerjee)

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মমতা অন্যান্য রাজ্যে শুরু হওয়া বাংলাদেশি মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলছেন। তিনি কৌশলে এই ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে অন্য রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের নিশানা করা হচ্ছে। তিনি যে আদতে মিথ্যে একটি খবর বাঙালিদের ‘খাইয়ে’ দেওয়ার চেষ্টা করছেন, তা বুঝে গিয়েছেন বাংলার শিক্ষিত সমাজ। কারণ যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তার নিশানায় বাঙালিরা নন, অবৈধ বাংলাদেশি মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা বিশেষত যারা ভিড় করেছে ওড়িশা, অসম, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি এবং ছত্তিশগড়ে, অথচ ভারতে বসবাস করার যাদের কোনও নৈতিক অধিকারই নেই।

    শাসক দলের মদতেই চলছে অনুপ্রবেশের কারবার!

    বাংলাদেশের পাশেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর একটা বিরাট অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। কেন্দ্রের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায়ই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের এই অংশে বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। দালাল ধরে সেই ফোকর গলেই পশ্চিমবাংলায় ঢুকে পড়ছে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা। তার পর এ রাজ্যেরই শাসক দলের কোনও নেতাকে দিয়ে বানিয়ে নিচ্ছে জাল পরিচয়পত্র। এদের অনেকেই জাল পাসপোর্টও জোগাড় করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গে কিনে ফেলেছে জমি-জিরেতও। যেহেতু শাসক দলের নেতাদের মদতেই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই কারবার, তাই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ এরাই বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় নাগরিক সেজে শাসক দলকে জিতিয়ে চলেছে। তাই শাসক দলও নিশ্চিন্তে ভাতঘুম দিচ্ছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা যে ভারতীয়দের পেটের ভাতে ভাগ বসাচ্ছে, তা দেখেও না দেখার ভান করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই কারণেই শুরু হয়েছে ঝাড়াই-বাছাই অভিযান, যে অভিযানে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না এতদিন ধরে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে যেসব কার্ড (রেশন, ভোটার, আধার ইত্যাদি) দাখিল করা হয়েছে, সেগুলিকে। কারণ এসব কাগজপত্র আসলে নাগরিকত্বের বৈধ প্রমাণ নয়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। এখানকার বিভিন্ন পরিচয়পত্র হরবখত জোগাড় করা হয় জালিয়াত চক্রের কাছ থেকে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যেও এগুলিকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশি (Bangladeshi Immigrants) মুসলমান এবং রোহিঙ্গারা যেসব প্রমাণপত্র দাখিল করছে, তা জাল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে (Mamata Banerjee)।

    ঝুলি থেকে বেরল বেড়াল

    এতেই বেরিয়ে এসেছে ঝুলি থেকে বেড়াল। অনেক নথিপত্রই পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যারা আদতে ভারতীয়ই নন, অনুপ্রবেশকারী। মধ্যপ্রদেশের পলাশের কথাই ধরা যাক। সে নিজেকে পলাশ অধিকারি বলে পরিচয় দিয়েছিল। প্রমাণস্বরূপ দাখিল করেছিল প্যান, আধার মায় ভোটার আইডিও। বাংলাদেশি সন্দেহে তাকে আটক করে পুলিশ। টানা পুলিশি জেরায় শেষমেশ সে কবুল করে, সে পলাশ নয়, বাংলাদেশের শেখ মঈনউদ্দিন। খুলনার আহমদপুর এলাকার বাসিন্দা সে। তাহলে কীভাবে অনুপ্রবেশকারী শেখ মঈনুদ্দিন হয়ে উঠল ভারতীয় পলাশ অধিকারী? জানা গিয়েছে, শাসক দলের নেতা ও সরকারি কর্তাদের একাংশের যোগসাজশে জাল নথি তৈরি করে তাকে একজন প্রকৃত ভারতীয় হিন্দু কৃষকের সন্তান হিসেবে মিথ্যা পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল (Mamata Banerjee)।

    লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান

    রাজনৈতিক মহলের মতে, এটি একটি উদাহরণ মাত্র। পশ্চিমবঙ্গে লাখ লাখ বাংলাদেশি মুসলমান রয়েছে, যারা তৃণমূল এবং তার আগে বাম সরকারের আমলে নেতা এবং এক শ্রেণির অসাধু সরকারি কর্মীদের সাহায্যে জাল নথি বানিয়ে নিয়েছিল। বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত এক পদস্থ আধিকারিক বলেন,  “বাংলাদেশিরা এলোমেলোভাবে ভারতে প্রবেশ করে না। তারা প্রায়ই কাঁটাতারের বেড়া না থাকা এলাকায় কিংবা বিএসএফের টহল এড়িয়ে দুই দেশের পাচারকারীদের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ করানো হয় (Bangladeshi Immigrants)। ভারতে প্রবেশের পর তাদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির সেফ হাউসে। এই প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।” এর পরেই শুরু হয়ে যায় জাল নথিপত্র তৈরির কাজ। বছর কয়েক আগে কয়েকজন বিএসএফ কর্তা একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন, সেখানে বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছিল কীভাবে বাংলাদেশিরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং নাগরিকত্ব জোগাড় করে (Mamata Banerjee)।

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার আগে কমিউনিস্ট দলগুলি এই অবৈধ অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করেছে এবং জাল নথি দিয়ে তাদের নাগরিকত্বের ছদ্মাবরণ দিয়েছে কেবলমাত্র একটি বিশ্বস্ত ভোটব্যাংক গড়ে তুলতে।” তিনি জানান, এই কারণেই ভোটার আইডি, আধার, প্যান কার্ড বা পাসপোর্টের মতো নথিকেও ভারতীয় নাগরিকত্বের নির্ভুল প্রমাণ হিসেবে ধরা উচিত নয়।

    মমতার মিথ্যে অভিযোগ

    প্রত্যাশিতভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের এই সব পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের অন্যায়ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা চান না এই জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসুক। কারণ এদের চিহ্নিত করা হলে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পড়ে যাবে বিশবাঁও জলে। তাই মিথ্যে অভিযোগ তুলে অযথা গলা ফাটাচ্ছেন তিনি (Bangladeshi Immigrants)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই জালিয়াতি কারবারে সাহায্যকারী রাজনীতিবিদ, পুরসভা-কর্মী এবং সরকারি কর্মচারীদেরও চিহ্নিত এবং আইনের আওতায় আনা উচিত। তাঁদেরও চিহ্নিত করে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হোক বিচারের। দিতে হবে কঠোর শাস্তিও (Mamata Banerjee)।

    বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি মুসলমান ও বাঙালি মুসলমান এক নয়। অনুপ্রবেশকারীরা এমন উপভাষায় কথা বলেন, যা পশ্চিমবঙ্গের বাংলার থেকে অনেকটাই আলাদা। পার্থক্য রয়েছে সাংস্কৃতিক দিক থেকেও। ভোটব্যাংকের স্বার্থে এই পার্থক্যকেই ঝাপসা করে দিয়ে বাংলাদেশি মুসলমানদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চালানোর নিরন্তর চেষ্টা করছেন মমতা। ভারতীয় বাঙালিরা এই ফারাক সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তাই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরাই বাংলাদেশি মুসলমানদের শনাক্ত করতে প্রশাসনকে সাহায্য করছেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “আপনি বাংলাদেশের একটা বই এনে পড়ুন। আর পশ্চিমবঙ্গের একটা বই এনে পড়ুন। নিজেই বুঝতে পারবেন, কোনটা সুবোধ সরকার লিখেছেন, আর কোনটা বাংলাদেশের সফিকুল ইসলাম লিখেছেন। ওই ভাষাটা পড়লেই বোঝা যায়। সুতরাং, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে (Bangladeshi Immigrants) কেউ ভারতবাসী হয়ে যাবে, বাংলা ভাষায় কথা বললেই যে তার নামটা ভোটার লিস্টে রেখে দিতে হবে, এটা হতে পারে না। পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় নকল আধার কার্ড বানিয়ে এখন ওরা বঙ্গভবনের মধ্যেও ঢুকে পড়ছে (Mamata Banerjee)।”

  • PIB Fact Check: ট্যারিফ-কাণ্ডের জেরে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত! ‘ভুয়ো খবর’ বলল পিআইবি

    PIB Fact Check: ট্যারিফ-কাণ্ডের জেরে আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত! ‘ভুয়ো খবর’ বলল পিআইবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনার আবহে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভুয়ো খবরকে খণ্ডন করল ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)। ওই খবরে বলা হয়েছিল, ভারত সরকার নাকি আমেরিকার (India-US Tariff) সঙ্গে থাকা দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি পর্যালোচনা বা স্থগিত করার পরিকল্পনা করছে। এ প্রসঙ্গে পিআইবি-র (PIB Fact Check) ফ্যাক্ট চেক ইউনিট এক স্পষ্ট বিবৃতিতে জানায়, “বিদেশ মন্ত্রক এমন কোনও বিবৃতি দেয়নি। বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে সতর্ক থাকুন এবং সরকারের বিশ্বাসযোগ্য সূত্র ছাড়া কোনও খবর শেয়ার করবেন না।”

    ভুয়ো খবর থেকে সাবধান

    ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য নিয়ে গুজব (PIB Fact Check) ছড়িয়ে পড়েছিল একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। যেখানে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য নিয়ে বিদেশ মন্ত্রক উদ্বিগ্ন বলে প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকার ‘চড়া শুল্ক, নয়া অর্থনৈতিক নীতি’র প্রতিক্রিয়ায় দিল্লি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৩০ জুলাই ঘোষণা করেন যে ভারতের রফতানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, যা ১ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। মূলত ভারতীয় বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, ইলেকট্রনিক্স ও পোশাক খাত এই শুল্কের আওতায় পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ভারত “অন্যায্য বাণিজ্যনীতি” অনুসরণ করছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও জ্বালানি চুক্তি বজায় রাখার ফলেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

    ভারতীয় ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ

    এই শুল্কবৃদ্ধির ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ী (India-US Tariff) মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষত ভারতীয় দ্রব্য রফতানি ও আমেরিকায় চাকরির ওপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে জল্পনা চলছে। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, “ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা চলছে। কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি পর্যালোচনা বা স্থগিত করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা একটি সুষম বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করে চলেছি।” সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৃষি এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার খুলে দিক নয়াদিল্লি। কিন্তু, কেন্দ্রের মোদি সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এ দেশের কৃষক এবং দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের লোকসান করে কোনও সমঝোতা সম্ভব নয়। তাই বিকল্প পথের সন্ধানেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।

  • Crude Politics: অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাজনীতি, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার জল গড়াবে কতদূর?

    Crude Politics: অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাজনীতি, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার জল গড়াবে কতদূর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত তিন বছরে ভারতের জ্বালানি কৌশলে একটি বড়সড় পরিবর্তন এসেছে, যেখানে রাশিয়াকে অপরিশোধিত তেলের (Crude Politics) আমদানির কেন্দ্রে জায়গা দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ০.২ শতাংশ। কিন্তু যুদ্ধকালীন-পর্বে রাশিয়ান তেল ভারতের প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছে (Donald Trump Tariff)। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় ভারত নিরপেক্ষতার নীতি অবলম্বন করেছিল। সোভিয়েত-নেতৃত্বাধীন কমিউনিজমের বিরুদ্ধে পশ্চিমী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতেও অস্বীকার করেছিল। এর ফলে মস্কোর সঙ্গে ভারতের এক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক অস্ত্র স্থানান্তর, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং কূটনৈতিক সহায়তা।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Crude Politics)

    ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এরপর পশ্চিমী বিশ্বের একটি বড় অংশ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর মধ্যে রয়েছে তেল আমদানিও। যুদ্ধের আগে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির মধ্যে রাশিয়ার অংশ ছিল মাত্রই ০.২ শতাংশ। ২০২৩ সালের মে মাসে সেই হার লাফিয়ে হয়ে যায় ৪০ শতাংশেরও বেশি। রিয়েল-টাইম তথ্য ও বিশ্লেষণ সংস্থা কেপলারের (Kpler) মতে, ২০২৩ সালের মে মাসে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি সর্বোচ্চ ২১.৫ লাখ ব্যারেল ছুঁয়েছিল। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রাশিয়া প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল সরবরাহ করেছে, যা ভারতের মোট আমদানির ৪১ শতাংশ। সেই তুলনায় ইরাকের অংশ ছিল ২০ শতাংশ, সৌদি আরবের ১১ শতাংশ, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ৪ শতাংশ। বর্তমানে প্রতি মাসে গড় রাশিয়ান তেল আমদানির পরিমাণ ১৭.৫ থেকে ১৭.৮ লাখ ব্যারেল। উল্টো দিকে, ইরাক এবং সৌদি আরব প্রতিদিন সরবরাহ করে যথাক্রমে প্রায় ৯ লাখ ও ৭ লাখ ব্যারেল তেল (Crude Politics)।

    তেল বিক্রির জন্য রাশিয়া ঝোঁকে ভারত ও চিনের দিকে

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর তেল বিক্রির জন্য রাশিয়া ঝোঁকে ভারত ও চিনের মতো দেশের দিকে। ডিসকাউন্টের তুঙ্গ সময়ে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট দামের চেয়ে প্রায় ৪০ মার্কিন ডলার কমে বিক্রি হত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ছাড়ের পরিমাণ কমে এসেছে। সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ভারত রাশিয়ান তেলের প্রতি মেট্রিক টনে গড়ে ৫২৫.৬০ মার্কিন ডলার মূল্য দিয়েছে, যা ইরাক থেকে আমদানি করা তেলের দামের চেয়ে প্রতি ব্যারেলে প্রায় ৫ মার্কিন ডলার কম। আইসিআরএর দাবি, গত দুই অর্থবর্ষে তেল আমদানিতে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করেছে ভারত (Donald Trump Tariff)।

    ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের রাশিয়ান তেল কৌশলকে নতুন চাপে ফেলেছেন। ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছেন। রাশিয়ান তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ধার্য করা হয়েছে জরিমানাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, “ভারতকে তাই ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে, সঙ্গে থাকবে একটি জরিমানাও।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “মস্কো যদি ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তিচুক্তিতে না পৌঁছায়, তাহলে রাশিয়ান তেল কেনা সব দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।” উল্লেখ্য, ভারত প্রতিদিন প্রায় ৫.২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল খরচ করে, যার প্রায় ৮৫ শতাংশই আমদানি করতে হয়। এই চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে (Crude Politics)।

    ভারতের অবস্থান

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় নয়াদিল্লি বরাবরই নিরপেক্ষ কূটনৈতিক অবস্থান বজায় রেখেছে। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বহুবার বলেছেন, “ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কিনত, তাহলে তেলের দর আকাশ ছুঁতো (Donald Trump Tariff)।”

    ট্রাম্পের দাবি

    এদিকে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার দাবি করেন, তিনি শুনেছেন ভারত আর রাশিয়ার তেল কিনবে না। তিনি একে একটি ভালো পদক্ষেপ আখ্যা দেন। উল্লেখ্য, এর কয়েকদিন আগেই তিনি মস্কোর সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও সামরিক সম্পর্ক নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছিলেন। ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। আমি জানি না এটা ঠিক কি না, তবে এটি একটি ভালো পদক্ষেপ। দেখা যাক, ভবিষ্যতে কী হয়।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন মন্তব্যের আড়ালে রয়েছে একটি প্রচ্ছন্ন হুমকি। কারণ তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

    সাফ কথা ভারতের

    এহেন আবহে শনিবার প্রকাশিত নতুন একটি প্রতিবেদনে ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তারা জানিয়েছেন, নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। একজন কর্তা তো বলেই দিলেন, সরকার তেল আমদানিকারী সংস্থাগুলিকে রাশিয়া থেকে আমদানি কমাতে কোনও নির্দেশই দেয়নি (Donald Trump Tariff)। পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞার জেরে তেলের দাম কমে যাওয়ায় রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা বেড়েছে এবং এর মাধ্যমে মস্কো গুরুত্বপূর্ণ রফতানি রাজস্ব ধরে রাখতে পেরেছে। একই সঙ্গে ভারত পাচ্ছে সস্তায় জ্বালানি। যাতে পূরণ হচ্ছে তার ক্রমবর্ধমান চাহিদা।

    ট্রাম্পের এক্সিকিউটিভ অর্ডার

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডারের মাধ্যমে প্রায় ৭০টি দেশের রফতানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। যদিও ওই অর্ডারে রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার কারণে অতিরিক্ত শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল না, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও সেই ব্যবস্থা নিতেই পারে (Crude Politics)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারতের জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা পূরণের ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য এবং সেই সময়কার বৈশ্বিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।”

    তেল কেনা অব্যাহত রইবে

    শনিবার প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শাস্তির হুমকি সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। কারণ এগুলি দীর্ঘমেয়াদি তেলের চুক্তি। রাতারাতি কেনা বন্ধ করে দেওয়া সহজ নয়। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারত রাশিয়া থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৭.৫ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি।

    রাশিয়ান তেল আমদানির ব্যাখ্যা

    ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়ান তেল আমদানির ব্যাখ্যায় আর এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ান গ্রেডের তেল আমদানির ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দামে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি এড়ানো গিয়েছে। যদিও পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার তেলের দাম তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রিতই রয়েছে। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ইরান ও ভেনেজুয়েলার তেলের মতো রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল সরাসরি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে না। তাই ভারত সেটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ধারিত দামের সীমার নীচে কিনছে। অবশ্য সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জুলাই মাসে ডিসকাউন্টের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল পরিশোধন সংস্থাগুলি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে (Donald Trump Tariff)। ছাড়ের পরিমাণ ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল তখন, যখন মস্কোর ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড তাদের কত রাশিয়ান তেলের প্রয়োজন, গত এক সপ্তাহে তা জানায়নি তারা (Crude Politics)।

  • Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    Donald Trump: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-চাপ’, ভারতের অর্থনীতিতে এর কতটা প্রভাব পড়বে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের (Indian Goods) ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারতকে চাপে রাখতে চেয়েছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে তাতে যে ভারতের খুব একটা বড়সড় সমস্যা হবে না, তা জানিয়ে দিল সরকারি বিভিন্ন সূত্র। তাদের বক্তব্য, দেশের অর্থনীতির ওপর এর ‘অত্যন্ত সামান্য’ প্রভাব পড়বে। সূত্রের খবর, জিডিপিতে এর প্রভাব ০.২ শতাংশের বেশি হবে না।

    অর্থনীতিবিদের বক্তব্য (Donald Trump)

    উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে ভারতীয় এক অর্থনীতিবিদও বলেছিলেন, জিডিপি হয়তো ০.৩ শতাংশ পর্যন্ত স্লো হবে। ওই সূত্র এও জানিয়ে দিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে সরকার দামের দিক থেকে সংবেদনশীল কৃষি ও দুগ্ধ বাজার খুলে দেবে না। গোমাংস বা ‘নন-ভেজ মিল্ক’ (অর্থাৎ যেসব গরুকে পশু-ভিত্তিক খাবার যেমন হাড়গুঁড়া খাওয়ানো হয়, সেই গরুর দুধ) আমদানি করার অনুমতিও দেবে না। এগুলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে। সরকার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় পদক্ষেপ করবে এবং কৃষক, উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গোষ্ঠীর কল্যাণেও দায়বদ্ধ থাকবে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সরকার কৃষকদের স্বার্থে কোনও আপস করবে না। আর তাই জিএম ফসল আমদানি করার অনুমতিও দেয়নি।

    কী চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

    প্রসঙ্গত, ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত হয়ে রয়েছে। এই আলোচনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় তাদের কৃষক ও দুগ্ধ উৎপাদকরা যেন ভারতে পণ্য বিক্রি করতে পারে। ভারত বারবার বলেছে, এই বাজার খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি ভারতের জিডিপিতে ২০ শতাংশেরও কম অবদান রাখে। তবে দেশের ১৪৪ কোটির প্রায় অর্ধেক জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই খাতে নিয়োজিত (Donald Trump)।

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    এটি এত বড় ভোট ব্যাংক যে, কোনও সরকারই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করার ঝুঁকি নিতে পারে না। এই বাস্তব বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে ২০২১ সালে যখন তীব্র প্রতিবাদের মুখে বিজেপি সরকারকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। এই বিষয়ে মতপার্থক্য ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে খবর। ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, “ভারত আমাদের ভালো বন্ধু। কিন্তু ওরা প্রায় সব দেশের চেয়ে বেশি শুল্ক ধার্য করেছে। এটা আর চলতে পারে না (Indian Goods)।”

    ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আমেরিকা

    সামগ্রিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং গত চার বছর ধরেই এমনটি রয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৩২ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রফতানি ১১.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮৬.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। তার আগের বছরে (২০২২-২৩) এর পরিমাণ ছিল ৭৭.৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদিকে, আমদানি বেড়ে হয়েছে ৪৫.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ছিল ৪২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Donald Trump)।

    দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা

    সূত্রের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা সঠিক পথেই রয়েছে এবং ইতিবাচকভাবেই এগোচ্ছে। এই আলোচনার সূচনা হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। এই আলোচনাই এখনও চলছে। ওই সূত্রেরই খবর, চূড়ান্ত চুক্তির পর ২৫ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা পুনর্বিবেচনা ও তা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হবে। গত সপ্তাহে ভারতের একটি সংবাদ সংস্থাকে জানানো হয়, ভারত একটি অন্তর্বর্তী চুক্তি চূড়ান্ত করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই চুক্তি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে। এর আগে অনুমান করা হয়েছিল, ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার (আগামী ৭ আগস্ট) আগেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিন্তু এখনই সেটি সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না (Donald Trump)।

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আলোচনার জন্য ভারত সফরে আসতে পারেন মার্কিন কর্তারা। তাই দিল্লি তার আস্তিনে রেখে দিয়েছে তুরুপের তাসটি। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওয়াশিংটন সফরের পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, উভয় পক্ষ ভারতে অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের শীর্ষস্থানীয় (Indian Goods) সরবরাহকারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য মার্কিন বাণিজ্য চুক্তিতে জ্বালানি কেনার বিষয়টি স্থান পেয়েছে। তাই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দর কষাকষি হতে পারে (Donald Trump)।

  • Indus Waters Treaty: পাক আপত্তি উড়িয়ে চন্দ্রভাগা নদীর ওপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে টেন্ডার ডাকল ভারত

    Indus Waters Treaty: পাক আপত্তি উড়িয়ে চন্দ্রভাগা নদীর ওপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে টেন্ডার ডাকল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে হাতের পাশাপাশি পাকিস্তানকে (Pakistan) ভাতেও (Indus Waters Treaty) মারতে উদ্যোগী হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাকিস্তান হাতে-পায়ে ধরায় আপাতত চলছে যুদ্ধবিরতি। তবে পাক প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের দেশকে ভাতে মারতে আরও একধাপ এগোল নয়াদিল্লি। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে যে প্রকল্প, শেষমেশ সেই প্রকল্পই শুরুর উদ্যোগ নিল ভারত। জম্মু-কাশ্মীরের চন্দ্রভাগা নদীর ওপর সাওয়ালকোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জন্য ডাকা হল টেন্ডার।

    পাক আপত্তি উড়িয়েই হবে প্রকল্প (Indus Waters Treaty)

    এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছিল আটের দশকে। তার পর থেকে বার বার আপত্তি জানিয়ে এসেছে পাকিস্তান। এতদিন পর এবার তাদের আপত্তি উড়িয়ে দিয়েই শুরু হচ্ছে প্রকল্পের কাজ। ন্যাশনাল হাইড্রোলিক্টক পাওয়ার কর্পোরেশন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বিডিংয়ের ভিত্তিতে সাওয়ালকোট প্রকল্পের টেন্ডার ডাকা হয়েছে। টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর। কাজ শুরু হচ্ছে এনএইচপিসি এবং জম্মু-কাশ্মীর পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে। সাওয়ালকোট ভারতের সবচেয়ে বড় রান-অফ-দ্য-রিভার জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। একে দেখা হচ্ছে সিন্ধু অববাহিকার জলস্রোত ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে, বিশেষত যখন স্থগিত রয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি।

    সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি

    বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে সিন্ধু ও তার পাঁচটি উপনদীর জল বণ্টিত হয়ে থাকে দুই দেশের মধ্যে। সিন্ধু, চন্দ্রভাগা এবং বিতস্তা – এই তিন পশ্চিমমুখী নদী পাকিস্তানের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে। সেই দেশের ৮০ শতাংশ কৃষি এই তিন নদীর ওপর নির্ভরশীল। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্যে ছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী। তারাই এই হত্যালীলা চালিয়েছিল। ওই ঘটনার পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায় ভারত। শুরু হয় দুই পড়শি দেশের সংঘাত। তার আগেই অবশ্য ভারত বাতিল করে দিয়েছিল সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। এখনও সেই সিদ্ধান্তই বহাল রয়েছে। তাই চুক্তির শর্ত মেনে চন্দ্রভাগার ওপরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য পাকিস্তানের সম্মতির আর প্রয়োজন নেই। সাওয়ালকোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে সেই সম্মতি ছাড়াই কাজ শুরু (Pakistan) করতে চলেছে ভারত।

    ডিপিআর জমা দেওয়া হয় ২০১৮ সালে

    সাওয়ালকোট প্রকল্পটি জম্মু-কাশ্মীরের রামবান ও উধমপুর জেলাজুড়ে (Indus Waters Treaty) বিস্তৃত। জম্মু থেকে ওই এলাকার দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার, আর শ্রীনগর থেকে ১৩০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছিল সেই ১৯৬০ সালে। তবে ডিপিআর জমা দেওয়া হয় ২০১৮ সালে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায়। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার পর এখন এই প্রকল্পের কাজই দ্রুত শেষ করতে চাইছে নয়াদিল্লি। চন্দ্রভাগা নদীর ওপর যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে, তা থেকে মেলার কথা ১ হাজার ৮৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এটিই হবে কাশ্মীরের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে আশা ভূস্বর্গ প্রশাসনের। ভারত চন্দ্রভাগার ওপর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করলে বিপাকে পড়বে পাকিস্তান। ইতিমধ্যেই তারা এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে (Pakistan)। তাদের বক্তব্য, ভারতের এই পদক্ষেপের জেরে প্রভাবিত হবে চন্দ্রভাগার জলপ্রবাহ।

    কাজ হবে দু’টি ধাপে

    জানা গিয়েছে, চন্দ্রভাগার ওপর ভারতের এই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা দু’টি ধাপে। কারণ প্রক্রিয়াগত নানা অসুবিধার কারণে বার বার পিছিয়ে গিয়েছে এই প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পে খরচ হওয়ার কথা ২২ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা (Indus Waters Treaty)। সাওয়ালকোট প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চন্দ্রভাগার তীরের একাধিক গ্রাম। সেই সব গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং তাঁদের অন্যত্র থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়াও প্রকল্পের অংশ।

    কী বলছেন ওমর আবদুল্লা

    জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা রয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের দায়িত্বেও। এই প্রকল্প শুরুর উদ্যোগকে তিনি বহু প্রতীক্ষিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন (Indus Waters Treaty)। রামবানের বিধায়ক অর্জুন সিং রাজু বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি উপকৃত হবে পুরো দেশ (Pakistan)।” প্রসঙ্গত, সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে পাকিস্তান। তাদের বক্তব্য, এই জলের ওপর নির্ভরশীল পাকিস্তানের বহু মানুষ। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছে তারা (Indus Waters Treaty)।

  • S Jaishankar: ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর ম্যাপে ভারতের অংশ, বাংলাদেশ-তুরস্কের নতুন চক্রান্ত! কী বললেন জয়শঙ্কর?

    S Jaishankar: ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর ম্যাপে ভারতের অংশ, বাংলাদেশ-তুরস্কের নতুন চক্রান্ত! কী বললেন জয়শঙ্কর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ (Greater Bangladesh Map Controversy) নিয়ে একটি ম্যাপ প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ। ওই মানচিত্রে ভারতেরও বেশ কিছু অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছিল। এ নিয়ে ব্যাপক হইচই করতে শুরু করে দেন বিরোধীরা। দেশজুড়ে ওঠে রব। সম্প্রতি প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বিষয়টি উত্থাপন করেন। তারই জবাব দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “সরকার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। ঢাকার একটি ইসলামপন্থী গোষ্ঠী ‘সলতনাত-ই-বাংলা’, যেটি তুরস্কভিত্তিক একটি এনজিও ‘তুর্কিশ ইয়ুথ ফেডারেশনে’র সাহায্যে পরিচালিত হয়, তারাই একটি তথাকথিত ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর মানচিত্র প্রকাশ করেছে। ওই মানচিত্রে ভারতের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই মানচিত্রটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিতও হয়েছিল।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশের সরকারি ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম বাংলাফ্যাক্টের দাবি, ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামে কোনও সংগঠনের অস্তিত্বের প্রমাণ বাংলাদেশে মেলেনি। প্ল্যাটফর্মটি জানিয়েছে, মানচিত্রটি ছিল একটি ঐতিহাসিক প্রদর্শনীর অংশ, যা ২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হয়েছিল। এটি বাংলার সালতানাত সংক্রান্ত ছিল। আয়োজকেরা কোনও বিদেশি রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।” ভারত সরকার যে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে, তাও জানিয়ে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত সব ধরনের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয় (S Jaishankar)।”

    বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের মাখামাখি!

    প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের মাখামাখি। তুরস্ক বাংলাদেশকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের একে পার্টির ঘনিষ্ঠ তুর্কি এনজিওগুলিও বাংলাদেশে তাদের কাজকর্মের ক্ষেত্র বাড়িয়ে চলেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তারই ফলশ্রুতি এই ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’-এর ম্যাপ (Greater Bangladesh Map Controversy)। এই প্রসঙ্গেই জয়শঙ্কর ফের একবার জানিয়ে দিলেন, ‘ভারতের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য যা করতে হয়, করা হবে (S Jaishankar)।’

  • Sacred Piprahwa Relics: ১২৭ বছর পরে দেশে ফিরল ‘পিপ্রাহওয়া’ বুদ্ধ স্তুপের ধ্বংসাবশেষ

    Sacred Piprahwa Relics: ১২৭ বছর পরে দেশে ফিরল ‘পিপ্রাহওয়া’ বুদ্ধ স্তুপের ধ্বংসাবশেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১২৭ বছর পরে দেশে ফিরল ‘পিপ্রাহওয়া’ বুদ্ধ স্তুপের ধ্বংসাবশেষ। এই পিপ্রাহওয়া ধ্বংসাবশেষ-কে (Sacred Piprahwa Relics) মনে করা হচ্ছে ভারতের সাংস্কৃতিক যাত্রাপথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি ভারতের আত্মপরিচয়ের আধার হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। এইভাবে পিপ্রাহওয়া ধ্বংসাবশেষের দেশে প্রত্যাবর্তন, ভারতের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে— বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে।

    সহায়তা করেছে ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন

    এই ঐতিহাসিক উদ্যোগে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রক। তাদের পাশাপাশি সহায়তা করেছে ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন। প্রসঙ্গত, এই পবিত্র ধ্বংসাবশেষ (Sacred Piprahwa Relics) আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৮৯৮ সালে। এর আবিষ্কারক ছিলেন ব্রিটিশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার উইলিয়াম ক্ল্যাক স্ট্যান্ডফোর্ড পেপে। এই আবিষ্কারটি হয়েছিল ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী বস্তি জেলা অঞ্চলে। এটি ছিল পিপ্রাহওয়া স্তুপ—
    যেটিকে অনেকে মনে করেন গৌতম বুদ্ধের ‘মহাভিনিষ্ক্রমণ’-এর (অর্থাৎ, রাজ্য ও ভোগবিলাস ত্যাগ করে সত্যের সন্ধানে যাত্রা) প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক স্থান।

    এই আবিষ্কারের ফলে পাওয়া গিয়েছিল (Sacred Piprahwa Relics)

    স্বর্ণমুদ্রা

    বিভিন্ন অলংকার

    মানুষের হাড়ের ধ্বংসাবশেষ

    ব্রাহ্মী লিপিতে লেখা প্রাচীন শিলালিপি

    প্রাকৃত ভাষার ব্যবহার

    মোদি সরকারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা (India)

    এই আবিষ্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ—ধ্বংসাবশেষসহ—ব্রিটিশ উপনিবেশের সময় ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে সংগ্রহশালায় (মিউজিয়ামে) সংরক্ষণ করা হয়। অনেক বছর ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ ধ্বংসাবশেষ ভারতের নাগরিকদের নাগালের বাইরে ছিল। অবশেষে ইন্টারন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট কনফেডারেশন, যা একটি স্বশাসিত আন্তর্জাতিক সংস্থা। তারা এই ধ্বংসাবশেষ (Sacred Piprahwa Relics) ফেরত আনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বৌদ্ধ ধর্মের ঐতিহাসিক স্তুপ, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। সারনাথ, কুশীনগর, বোধগয়া, লুম্বিনীসহ একাধিক পবিত্র বৌদ্ধ তীর্থক্ষেত্রের উন্নয়নে ব্যাপক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ধর্মীয় ভাবনার নিরিখে নয়, বরং ভারতীয় সংস্কৃতির বৈচিত্র্য, সহিষ্ণুতা ও প্রাচীন ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগগুলিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়েছে।

  • Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার নয়, শুল্ক-যুদ্ধে ট্রাম্পের চোখে চোখ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের হালটা যে নরেন্দ্র মোদির হাতে, মার্কিন চাপের কাছে নতিস্বীকার না করে তা বুঝিয়ে দিল ‘হাতি’। ভারতকে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করেও, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) জানিয়ে দিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর (American Bullying) ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি নয়াদিল্লিকে অতিরিক্ত পেনাল্টিও দিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, নয়াদিল্লি অসহনীয় নন-মানিটরি ট্রেড ব্যারিয়ার্স বজায় রেখেছে, রাশিয়া থেকে জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম কিনছে এবং বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার সময় মার্কিন চাপকে প্রতিহত করছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, “মনে রাখবেন, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও, বছরের পর বছর ধরে তাদের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা তুলনামূলকভাবে খুব কম হয়েছে। কারণ ওরা অনেক বেশি শুল্ক নেয়। বিশ্বের সব চেয়ে বেশি হারে শুল্ক নেওয়া দেশগুলির মধ্যে একটি। ওদের সঙ্গে ব্যবসায় অনেক বিরক্তিকর বাধা রয়েছে, যার সঙ্গে আর্থিক কোনও সম্পর্ক নেই। এছাড়া ওরা সব সময় সামরিক সরঞ্জামের একটি বড় অংশ কেনে রাশিয়া থেকে। রাশিয়ার জ্বালানিও ওরা সব চেয়ে বেশি কেনে।” তিনি লিখেছেন, “যখন সকলে চাইছে রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যালীলা বন্ধ করুক, তখন এসব কাজ ভালো নয়। তাই ভারত ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে এবং উল্লিখিত বিষয়গুলির জন্য একটি জরিমানাও নেওয়া হবে ১ অগাস্ট থেকে।”

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ

    ট্রাম্পের এই চাপের কাছে মাথা নত করেনি মোদির দেশ। বরং নিজের অবস্থানেই অটল রয়েছে ভারত। অর্থনৈতিক অধীনতার বদলে অগ্রাধিকার দিয়েছে কৌশলগত সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে (Donald Trump)। সম্প্রতি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সঙ্গীকে ১৫ শতাংশ বা তারও কম হারে শুল্কের সুবিধা দিয়েছেন ট্রাম্প। ‘বন্ধুদেশ’ হওয়ায় ভারতও তেমনটাই আশা করেছিল। ভারতের সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি আমেরিকার কৃষিপণ্যকে অবাধ প্রবেশাধিকার দিত এবং নিজস্ব শিল্প রক্ষার নীতি শিথিল করত, তাহলে মার্কিন শুল্কে ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। ভারত তা তো করেইনি, উল্টে দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে কঠোর অবস্থান নেয় মোদি সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মোদির এই কঠোর অবস্থানেই ‘ব্যবসায়ী’ ট্রাম্প বুঝে যান, এই দেশ নয়া ‘ইন্ডিয়া’ নয়, বরং (American Bullying) ‘মোদির ভারত’।

    বন্ধুদেশকে শাস্তি

    বন্ধুদেশকে শাস্তি দেওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। সেটি হল ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জেরে ভারত-পাক যে সংঘাত হয়েছিল, তাতে রাশ টেনেছিলেন তিনি। ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, ভারত-পাক যুদ্ধবিরতি হয়েছে তাঁরই হস্তক্ষেপে। ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ প্রত্যাশী ট্রাম্পের এহেন দাবিকেও নস্যাৎ করে দেয় নয়াদিল্লি। বিভিন্ন সময় নানা জায়গায় ভারত সাফ জানিয়ে দেয়, পাকিস্তান অনুনয়-বিনয় করায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপে নয় (Donald Trump)। বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তির দেশের তালিকায় আমেরিকা রয়েছে এক নম্বরে, চারে রয়েছে ভারত। তাই ফোর্থ হওয়া স্টুডেন্টটি যেভাবে ‘ফার্স্টবয়’কে উপেক্ষা করছে, সেটা ভালো চোখে দেখেননি ট্রাম্প। অথচ মোদি জমানায় ভারত বরাবর তা-ই করে এসেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায় আমেরিকা।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র  

    রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় জারি করে নিষেধাজ্ঞা। মার্কিন রক্তচক্ষুর ভয়ে যখন বিড়াল সেজে বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে সেঁধিয়ে গিয়েছে টেবিলের তলায়, সেই সময়ও রাশিয়া থেকে বীর-বিক্রমে নিয়মিত তেল কিনে চলেছেন “৫৬ ইঞ্চির ছাতি”র মানুষের (নরেন্দ্র মোদি নিজেকে এভাবেই পরিচয় দেন) দেশ। তার জেরে ব্যয় কমেছে ভারতের জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে। কারণ মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জেরে বিশ্ববাজারে বেড়ে যায় জীবাশ্ম জ্বালানির দাম, কমতে থাকে রাশিয়ার তেলের দর (American Bullying)। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাঁচিয়ে তিনি আদতে আরও বেশি করে মজবুত করেছেন দেশীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ডটি।

    বন্ধুত্বের বার্তা

    ২০২০ সালে গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্পে’র আয়োজন করে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন মোদি। পরে ট্রাম্পও পাল্টা বন্ধুত্বের বার্তা দিতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’র। তার পরিণতি যে এমন হবে, চার বছর পরে মার্কিন কুর্সিতে ফিরে তা ভাবতেও পারেননি ট্রাম্প। তাঁর আশা ছিল, ভারত আর পাঁচটা দেশের মতোই মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করতে পারবে না (Donald Trump)। রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা বন্ধ করবেন মোদি। কিন্তু তা না হওয়ায় বড্ড হতাশ হয়েছেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। এহ বাহ্য। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক অস্ত্র কিংবা যুদ্ধ সরঞ্জাম কিনে আসছে রাশিয়া থেকে। সেই নেহরু জমানা থেকে শুরু করে ভায়া অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিং হয়ে বর্তমানে মোদি আমলেও ছেদ পড়েনি তাতে। কারণ মস্কোর সঙ্গে নয়াদিল্লির প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রচিত হয়েছে প্রয়োজন এবং নির্ভরযোগ্যতার ভিত্তিতে (American Bullying)। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা তারও আগে বিভিন্ন সংঘাতের সময় বারবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে মস্কো।

    ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকার ভূমিকা

    অথচ ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকা আফগানিস্তানে মুজাহিদিন যুদ্ধ চালানোর জন্য পাকিস্তানকে কোলে টেনে নিয়েছিল। যার জেরে তখন ভারতের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজারের দোর। সেই সময়ও প্রকৃত বন্ধুর মতোই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাশিয়া। এমতাবস্থায় ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা তাঁর দেশ যদি আশা করে, ভারত দশকের পর দশক ধরে গড়ে তোলা অস্ত্র ব্যবসার কার্যকর সামঞ্জস্যতা, প্রশিক্ষণ প্রোটোকল এবং সরবরাহ শৃঙ্খলা ছিঁড়ে বেরিয়ে স্রেফ মার্কিন খামখেয়ালিপনা মেটাতে পদক্ষেপ করবে, তবে তা হবে আদতে অবাস্তব এবং মূর্খের স্বর্গে বাস করার শামিল (Donald Trump)। বস্তুত, এই ঘটনা কেবল বাণিজ্য সংক্রান্ত নয়। এটা ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। ব্যবসায়ী ট্রাম্পের আগ্রাসী এবং লেনদেন নির্ভর কূটনীতির সামনে নতিস্বীকার না করে ভারত তামাম বিশ্বকে এই বার্তাই দিয়েছে যে, ভারত কোনও বৈশ্বিক শক্তির তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত হবে না। হবে না ‘জো হুজুরে’র মতো ধামাধারীও। তা সে সামরিক সিদ্ধান্তই হোক কিংবা জ্বালানি কেনা কিংবা বাণিজ্য নীতি – ভারত সিদ্ধান্ত নেবে তার জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই, অন্য কোনও দেশকে খুশি করতে নয়।

    কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত

    ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখে নয়াদিল্লি দেখিয়ে দিয়েছে, কৌশলগত স্বাধীনতা বজায় রাখতে অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতেও প্রস্তুত মোদির ভারত। বন্ধুরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে আমেরিকা ভেবে ছিল, চাপে পড়ে বাপ বলবে ভারত। তবে তা না করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট-সহ তামাম দুনিয়াকে নয়াদিল্লি বুঝিয়ে দিয়েছে (American Bullying), কোনও মূল্যেই ভারত তার সার্বভৌমত্ব বিক্রি করবে না, এমনকি পৃথিবীর সব চেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের কাছেও নয়। ভারত কারও উপগ্রহ হয়ে থাকতে চায় না, চায় না কৃপার পাত্র হয়ে থাকতে, সে নিজেই হতে চায় গ্রহ, বাঁচতে চায় নিজের শর্তে। মোদির ভারত কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পায় না, বরং চোখে চোখ রেখে কথা বলে।

    ওহ, ডার্লিং ইয়ে হ্যায় নয়া ইন্ডিয়া (Donald Trump)!

  • Donald Trump: ‘দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত,’ শুল্ক-যুদ্ধে সাফ কথা নয়াদিল্লির

    Donald Trump: ‘দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত,’ শুল্ক-যুদ্ধে সাফ কথা নয়াদিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা (Donald Trump)। এর প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুলল নয়াদিল্লি। সাফ জানিয়ে দিল, দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করবে ভারত সরকার। বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতের (Indias Reaction) বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এই শুল্কের কী প্রভাব পড়তে পারে, তা খতিয়ে দেখছে সরকার।

    ভারতের বিবৃতি (Donald Trump)

    বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তা সরকারের নজরে এসেছে। সরকার এর প্রভাব খতিয়ে দেখছে। একটি ন্যায্য, ভারসাম্যপূর্ণ এবং দুই দেশই উপকৃত হবে এমন একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তির জন্য গত কয়েক মাস ধরে ভারত এবং আমেরিকা আলোচনা চালাচ্ছে। আমরা সেই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, কৃষক, উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের স্বার্থরক্ষা ও তাঁদের উন্নয়নকেই সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভারত সরকারের ওই বিবৃতিতে এও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করবে ভারত সরকার। উদাহরণ হিসেবে সম্প্রতি ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই দু’দিনের ব্রিটেন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ই স্বাক্ষরিত হয় ওই চুক্তি। ওই চুক্তিতে আদতে লাভবান হবে ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশই।

    রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘মাখামাখি’ সম্পর্ক

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ‘মাখামাখি’ সম্পর্ক ভালো চোখে দেখেনি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই কারণেই নয়াদিল্লির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কের পাশাপাশি একটি জরিমানাও চাপানো হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে সেই পেনাল্টির পরিমাণ কত বা কী হতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টে তার উল্লেখ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া হামলা বন্ধ না করলে মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য করা দেশগুলির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে (Donald Trump)।

    বুধবার বিকেলে ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের পাতায় তিনি এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে ভারতকে (Indias Reaction) বন্ধুরাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেও, নয়াদিল্লি চড়া হারে শুল্ক নেয় বলে অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাশিয়া থেকে ভারত যে অস্ত্র এবং জ্বালানি কিনছে, সে কথাও সমাজমাধ্যমে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তার পরেই ২৫ শতাংশ হারে শুল্কের ঘোষণা।

    এর পরেই বিবৃতি জারি করে ভারত। জানিয়ে দেয়, সরকার দেশের কৃষক, উদ্যোগপতি, ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প রক্ষার ওপর সব থেকে বেশি জোর দেয় (Indias Reaction)। জাতীয় স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে, তার জন্য সরকার সব রকম পদক্ষেপ করবে (Donald Trump)।

LinkedIn
Share