Tag: India

India

  • Shahzadi Khan: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে শেষ কথা শাহজাদির

    Shahzadi Khan: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে শেষ কথা শাহজাদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাবা, এখন আর কিছুই করার নেই,” ফিসফিস করে কথাগুলি বলছিলেন বছর ঊনত্রিশের শাহজাদি খান (Shahzadi Khan)। উত্তরপ্রদেশের বান্দার বাসিন্দা শাহজাদি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ফোনে কথাগুলি বলছিলেন আবুধাবির (Abu Dhabi) একটি জেল থেকে। এই ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পরেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় শাহজাদির।

    মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে আবুধাবি নিয়ে গিয়েছিল এক যুবক (Shahzadi Khan)

    ছোট থেকে শাহজাদির মুখে পোড়া দাগ ছিল। সেই দাগগুলি তাঁকে পীড়া দিত। বন্ধু-বান্ধবদের কাছেও কটু কথা শুনতে হত তাঁকে। তিনি চেয়েছিলেন মুখের দাগ মুছে ফেলতে। এই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় শাহজাদির সঙ্গে পরিচয় হয় আগ্রার উজাইরের। সে তাকে প্লাস্টিক সার্জারি করার আশ্বাস দিয়ে আবুধাবি নিয়ে যায়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে আবুধাবিতে পৌঁছান শাহজাদি। অস্ত্রোপচার না করিয়ে উজাইর তাঁকে তার আত্মীয় ফয়েজের বাড়িতে রেখে আসে। সেখানে শাহজাদিকে গেরস্থালির কাজ করতে হত। পরের বছর অগাস্টে ফয়েজের স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটির যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় শাহজাদিকে। ৭ ডিসেম্বর শিশুটিকে টিকা দেওয়া হয়। রাতে মৃত্যু হয় তার। এর পরেই শাহজাদির বিরুদ্ধে শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ করা হয়। ২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আবুধাবির পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ৩১ জুলাই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় শাহজাদিকে। তার পরেই তাঁকে (Shahzadi Khan) পাঠিয়ে দেওয়া হয় আল ওয়াথবা জেলে।

    শাহজাদির শেষ ইচ্ছে

    গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। তার আগে জেল কর্তৃপক্ষ শাহজাদির কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁর শেষ ইচ্ছের কথা। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে থাকা বাবা-মায়ের সঙ্গে শেষবারের মতো একবার কথা বলতে চান। ১৪ তারিখ রাতেই প্রস্তুত করা হয় ফাঁসির মঞ্চ। তার পরেই শুরু হয় তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ-পর্ব। ফোনে শাহজাদি তাঁর বাবা সাব্বির খানকে জানিয়েছিলেন, ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত। কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে। তার পরেই তিনি বলেন, “বাবা, এখন আর কিছুই করা সম্ভব নয়।” মৃত্যুর আগে উজাইরকে ক্ষমা করে দিতে বলেন শাহজাদি।

    তিনি বলেন, “উজাইরকে দয়া করে ক্ষমা করে দিও বাবা। ওর বিরুদ্ধে করা মামলাটা তুলে নাও। এখন আর এই মামলার মানে কী? আমিই যখন থাকব না, তখন আমি আর কোনও শত্রুতা চাই না।” এরপর আর শাহজাদির সঙ্গে (Abu Dhabi) কোনও কথা হয়নি তাঁর পরিবারের। শাহজাদির পরিবার জানিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টে তারা একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছিল। তারাই সোমবার শাহজাদির মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে অবহিত করে (Shahzadi Khan)।

  • PM Modi: মোদির নেতৃত্বে বাড়ছে দেশের রফতানি, ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম যাচ্ছে চিন-ভিয়েতনামে!

    PM Modi: মোদির নেতৃত্বে বাড়ছে দেশের রফতানি, ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম যাচ্ছে চিন-ভিয়েতনামে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ক্রমশই উন্নতির শিখরে পৌঁছাচ্ছে ভারত। রফতানির দিক থেকেও ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক মানচিত্রে নিজের জায়গা অনেকটাই মজবুত করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, অ্যাপল ফোনে ব্যবহৃত একাধিক সরঞ্জামের রফতানিকারক দেশ হিসেবে নিজের জায়গা মজবুত করেছে ভারত। বিশ্বের বাজারে ভালো ব্যবসা শুরু করেছে ভারতে নির্মিত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম। এই সমস্ত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন ভারত সরবরাহ করছে চিন এবং ভিয়েতনামে। সেখানেই বিক্রি হচ্ছে ভারতে উৎপাদিত ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম (Global Electronics Supply Chain)। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির মানচিত্রে ক্রমশই এগিয়ে চলেছে ভারত। অনেকে মনে করছেন ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামের এমন সরবরাহ ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক যা আগে কখনও দেখা যায়নি এবং বিশ্বব্যাপী এই ভাবেই বাণিজ্যে ভারতের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর অবশ্য একটাই কারণ তা হল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের মেক-ইন-ইন্ডিয়া কর্মসূচি।

    মোদির নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়েছে ভারতের বাণিজ্য নীতির

    ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে এই ধরনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন বিশ্ব বাণিজ্য নীতির আমূল পরিবর্তনের ফলে। যে ধরনের উদ্যোগ মোদি সরকার (PM Modi) ক্ষমতায় আসার পর থেকে নিয়েছে তার যথেষ্ট প্রশংসা করছেন অর্থনীতিবিদরা। এমন উদ্যোগের ফলে ভারতবর্ষে ব্যবসার এক আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যেখানে অ্যাপেল ফোনের সরবরাহ সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থাগুলি যেমন মাদার সন গ্রুপ, জাবিল গ্রুপ এবং টাটা ইলেকট্রনিক্স এক অনুকূল পরিবেশ পেয়েছে। এই পরিবেশ নির্মাণ পুরোটাই সম্ভব হয়েছে মোদি সরকারের নীতির কারণে। যার ফলে সহজ হয়েছে উৎপাদন বাণিজ্য। এর ফলেই ভারতবর্ষে গড়ে উঠেছে ইলেকট্রনিক শিল্পের এক বড়সড় ইকোসিস্টেম। ভারতবর্ষের অভ্যন্তরে এমন ইকোসিস্টেম আগে কখনও দেখা যায়নি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতেই তা সম্ভব হয়েছে। অনুকূল বাণিজ্যের পরিবেশ পেয়ে এই সংস্থাগুলি নিজেদের মতো করে উৎপাদন করতে পারছে। সেই উৎপাদিত সরঞ্জাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। রফতানিকারক দেশ হিসেবে এভাবেই এগিয়ে চলেছে ভারত।

    কূটনৈতিক দিক থেকে কেন গুরুত্বপূর্ণ

    প্রসঙ্গত এই ধরনের রফতানিকারক দেশ হওয়াতে ভারতবর্ষের কূটনৈতিক দিক থেকেও একটি উল্লেখযোগ্য স্থান এসেছে। তা হল বাণিজ্যে চিনের যে একাধিপত্য, সেটাও এবার কমবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে শুধু বিশ্বের অন্যান্য দেশেই যে ভারতের বাণিজ্য বিস্তৃত হবে তা নয়, অ্যাপলের সরঞ্জাম তৈরির মাধ্যমে এদেশেও অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের কর্মসংস্থানেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে এবং তা বাড়বে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    ২০৩০ সালের মধ্যে রফতানি ব্যবসা হবে ৩৫ থেকে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

    প্রসঙ্গত বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে ভারতের এমন প্রবেশ এটাই প্রমাণ করে যে দেশ অর্থনীতিতে ক্রমশই এগিয়ে চলেছে। আপেলের সরঞ্জাম তৈরির পাশাপাশি ভারত নজর দিয়েছে অন্যান্য ইলেকট্রনিক উৎপাদন সংস্থাগুলিতেও। এই সেক্টরগুলিতে কর্মসংস্থানও হচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগও ব্যাপক পরিমাণে আসছে বলেই খবর। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, ভারতবর্ষের অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে রফতানিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ঢুকে পড়বে ভারত। আপাতত এই লক্ষ্যমাত্রা এগিয়ে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার।

    বিশ্ব অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা

    ভারতবর্ষের এমন উন্নতি বিশ্ব অর্থনীতি ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকেও এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ভারতবর্ষের এমন উদ্যোগ আসলে সামনে আনছে যে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন সংস্থাকারী দেশ হিসেবে ভারত ক্রমেই অন্যান্য যেকোনও দেশকে পিছনে ফেলতে চলেছে খুব শীঘ্রই। এর ফলে ভারতীয় অর্থনীতি এক মজবুত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে। প্রতিবেদনের প্রথমেই বলা হয়েছে যে ভারত বর্তমানে রফতানি করছে অ্যাপল কোম্পানির বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, দুটি দেশে এক, চিন এবং অপরটি হল ভিয়েতনাম। এই দুই দেশই আপেলের বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত। ভারতের এমন উদ্যোগ যথেষ্ঠ প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলবে তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান- এই সব দেশকেও। এই দেশগুলিই দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে ইলেকট্রনিক্সের বাজারকে কব্জা করে রয়েছে।

  • Kashmir-Manipur Remark: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রতিষ্ঠিত’, বিরোধিতা দিল্লির

    Kashmir-Manipur Remark: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মন্তব্য ‘ভিত্তিহীন এবং অপ্রতিষ্ঠিত’, বিরোধিতা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে (Kashmir-Manipur Remark) ভিত্তিহীন মন্তব্যের অভিযোগে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল নয়াদিল্লি। কাশ্মীর ও মণিপুর নিয়ে তুর্কের মন্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই বলে জানান রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দায়সারা মন্তব্য করে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগে সরব হন তিনি। ভারত সুস্থ ও বৈচিত্র্যময় গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদেই বিশ্বাসী বলে জানান অরিন্দম। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, ভারতকে নিয়ে এসব ভিত্তিহীন ও সারবত্তাহীন দাবির থেকে বাস্তব চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

    ভারতের কড়া জবাব

    রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন (ইউনাইটেড নেশন্‌স হাই কমিশন ফর হিউম্যান রাইট্‌স)-এর প্রধান ভল্কার তুর্কের কাশ্মীর ও মণিপুর প্রসঙ্গে মন্তব্য অপ্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অরিন্দম বাগচী। সোমবার বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন তুর্ক। ওই সময়ে ভারতের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। তুর্ক জানান, কাশ্মীরে মানবাধিকার কর্মীদের হেনস্থার শিকার হওয়া নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে মণিপুরে হিংসা বন্ধ করতে আরও উদ্যোগী হওয়ারও প্রস্তাব দেন তিনি। জেনেভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম সাধারণ সভায় ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন অরিন্দম।

    ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

    রাষ্ট্রপুঞ্জে অরিন্দম বাগচী বলেন, “যেহেতু ভারতকে নাম করে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই আমি প্রথমেই বলতে চাই, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ভারতে একটি সুস্থ, প্রাণবন্ত এবং বহুত্ববাদী সমাজব্যবস্থা রয়েছে। অপ্রতিষ্ঠিত এবং ভিত্তিহীন মন্তব্যগুলি বাস্তব পরিস্থিতির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।” অরিন্দমের মতে, এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগকে (Kashmir-Manipur Remark) বার বার ভুল প্রমাণ করেছেন ভারতবাসীরা। ভারতের বৈচিত্র এবং ভারতীয় সমাজের মুক্তচিন্তাকে আরও ভালো করে বোঝার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি। তুর্কের উদ্বেগ উড়িয়ে দিল্লি স্পষ্ট করে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি রয়েছে এবং উন্নয়নও হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন, সেখানে ভোটদানের হার এবং পর্যটনের বিকাশের কথাও তুলে ধরে ভারত। এই ঘটনাগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের দ্রুত উন্নয়নের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় জানান অরিন্দম।

    ভারতের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা হোক

    বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দেওয়ার সময়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে দিল্লি। জেনেভায় ওই সভায় তুর্ককে পাল্টা জবাব দিয়ে বাগচী বলেন, “এধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্যকে বারবার ভারত ভুল প্রমাণিত করেছে। ভারত সম্পর্কে বলতে গেলে আরও পড়াশোনা করে আসার অনুরোধ রইল। ভারতের বৈচিত্র্য ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে সঠিক জ্ঞানটুকু থাকা প্রয়োজন।” রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান সোমবার বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি তুলে ধরার সময়ে ইউক্রেন, গাজা, আমেরিকা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান-সহ বিভিন্ন দেশের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে সেখানে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ভারতের সাফ বার্তা, যাঁরা বলছেন এসব কথা, তাঁদের উদ্দেশে একটাই পরামর্শ— আয়নায় নিজেকে ভালো করে দেখুন।

    মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা

    উল্লেখ্য, অশান্তি কবলিত মণিপুরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়। তারপর থেকেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার উন্নতিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২৩ সালের ৩ মে মণিপুরে শুরু হয় মেতেই-কুকি সংঘর্ষ। সেই থেকেই জাতিহিংসায় উত্তপ্ত উত্তরপূর্বের রাজ্যটি। এই মুহূর্তে মণিপুরের কী পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কী কী করণীয়, সবটাই আধিকারিকদের থেকে খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দ্রুত উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে আগামী দিনে বড়সড় পদক্ষেপ করা হতে পারে, বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র।

    কাশ্মীরে উন্নয়ন যজ্ঞ

    প্রসঙ্গত, এমন একটি যুগ ছিল যখন দেশের অন্যান্য অংশে আইন প্রয়োগ করা জম্মু ও কাশ্মীরে কার্যকর করা যায়নি। সারা দেশে দরিদ্রদের কল্যাণের জন্য নানা প্রকল্পের বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। ৩৭০ ধারার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর তা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। এখন সময় বদলেছে। ৩৭০ ধারা রদের পর সারা দেশ যে সুবিধা পায়, সেই সুবিধাই পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর। এখানে সম্প্রতি পর্যটন সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। উপত্যকায় নয়া রেল প্রকল্প চালু হয়েছে। আগামী দিনে জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নে যা সাহায্য করবে। উন্নয়নের শক্তি, পর্যটন সম্ভাবনা, কৃষকদের ক্ষমতায়ন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের নেতৃত্বই এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশ, এমনই আশা করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। উন্নত ভারত গঠনের জন্য উন্নত-আধুনিক কাশ্মীরও চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    India Vs Australia: বিশ্বকাপের বদলা নিতে মরিয়া ভারত, রোহিতের চিন্তা বাড়াচ্ছে দুবাইয়ের পিচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের বদলা নিতে মরিয়া ভারত (India Vs Australia)। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু করেছিল ভারত। সব মিলিয়ে টানা দশ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছিলেন রোহিত-বিরাটরা। কিন্তু ফাইনালে আশাভঙ্গ হয় ১৪০ কোটি ভারতবাসীর। সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ পড়তে পারে মঙ্গলবার। বদলার ম্যাচে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারত। এ বারও নকআউট ম্যাচ। যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল, সেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ট্রফি জয়ের থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ রয়েছে রোহিত ব্রিগেডের।

    মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া

    দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (India Vs Australia)। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে গ্রুপ পর্বে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে ভারত। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপের ম্যাচগুলি খেলেছে পাকিস্তানের ব্যাটিং সহায়ক পিচে। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তাড়াও করেছে। কিন্তু বাকি দু-ম্যাচের মধ্যে একটিতে বল গড়ায়নি, আর একটি মাঝপথেই ভেস্তে যায়। এ বার খেলতে হবে দুবাইয়ের মন্থর পিচে। ভারতের কাছে ভয়ের কারণ ট্র্যাভিস হেড। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে বিশ্বকাপ ফাইনাল, ভারতে জোড়া স্বপ্ন একার হাতে ধূলিসাৎ করেছেন। দ্বিতীয়জন স্টিভ স্মিথ। ভারতের বিরুদ্ধে রানের খিদে কোনও দিন তাঁর কমবে বলে মনে হয় না। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্নাস লাবুশেনের মতো পুরনো ‘শত্রু’রা তো রয়েছেনই।

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন

    আইসিসি প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়ার শাসন। যতই ভাঙাচোরা দল হোক, অস্ট্রেলীয় (India Vs Australia) আইসিসি প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরা উজাড় করে দেয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৩৫০ রান তাড়া করে জেতার পরেই তা বোঝা গিয়েছে। অন্যদিক, ভালো খেললেও রোহিতদেরও হলুদ জার্সি নিয়ে একটা চাপা আতঙ্ক রয়েছে। এবার সেই আতঙ্ক বদলের পালা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ব্যাটিং ভরসা দিয়েছে। তিনটি ম্যাচেই ব্যাটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও মিডল অর্ডার সামলে দিয়েছে। শ্রেয়স আয়ারের দায়িত্বশীল ব্যাটিং, অক্ষর পটেলের বুদ্ধিদীপ্ত ইনিংস এবং হার্দিক পাণ্ডিয়ার পরিমিত আগ্রাসন ভারতকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে। রোহিত-কোহলি যে কোনও দিন জ্বলে উঠতে পারেন। রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব— এই স্পিন ত্রয়ী এখন গোটা বিশ্বের ত্রাস। তার সঙ্গে যোগ হয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী, যাঁর বল এখনও অস্ট্রেলিয়া খেলেনি। ফলে বোলিং বিভাগে ভারত বেশ শক্তিশালী হয়েই নামবে।

    দুবাই-এর পিচ নিয়ে রোহিত

    ভারত একই ভেনুতে তিনটি ম্যাচ খেলায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন, অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে ভারত (India Vs Australia)। সেমিফাইনালের আগে সেই প্রশ্নের সমালোচনা করে ভারত অধিনায়ক বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচেই পিচে আলাদা চ্য়ালেঞ্জ থাকছে। তিন ম্যাচেই পিচ আলাদা আচরণ করেছে। এটা আমাদের হোমগ্রাউন্ড নয়। এটা দুবাই। সারা বছর এখানে খেলি না। এখানকার পরিবেশ আমাদের কাছেও নতুন।’ রোহিত আরও যোগ করেন, ‘এখানেও চার-পাঁচটি পিচ রয়েছে। প্রত্যেকটা পিচেরই চরিত্র ভিন্ন। সেমিফাইনালে কোন পিচে খেলা হবে, সেটার আচরণ আমিও জানি না। যাই হোক না কেন, দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে, সেখানেই খেলতে হবে।’

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি।

    কখন, কোথায় দেখবেন ম্যাচ: ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, প্রথম সেমিফাইনাল দুপুর ২.৩০, স্পোর্টস ১৮, স্টার স্পোর্টস, জিওহটস্টারে সম্প্রচার

  • Viksit Bharat: “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত হবে উচ্চ আয়ের দেশ”, বললেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান

    Viksit Bharat: “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত হবে উচ্চ আয়ের দেশ”, বললেন অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার শতবর্ষপূর্তি হবে ২০৪৭ সালে। সেই সময় দেশকে বিকশিত ভারত (Viksit Bharat) হিসেবেই দেখার স্বপ্ন দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই লক্ষ্য পূরণে নিরন্তর কাজও করে চলেছেন তিনি। তাঁর সেই স্বপ্ন যে নিছক স্বপ্ন নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গেল ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগাড়িয়ার (Arvind Panagariya) কথায়। নয়াদিল্লিতে ৪৯তম সিভিল অ্যাকাউন্টস ডে উদযাপনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।

    পানাগাড়িয়ার বক্তব্য (Viksit Bharat)

    সেখানেই পানাগাড়িয়া বলেন, “২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত উন্নত জাতির মর্যাদা অর্জনের পথে সুপ্রতিষ্ঠিত।” তিনি সেই বৃদ্ধির পথের কথা উল্লেখ করেন যা ভারতকে আগামী দশকে ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে। তিনি জানান, ২০০৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত বর্তমান মূল্যে মার্কিন ডলারের হিসেবে গড়ে ১০.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই গতি বজায় থাকলে, ভারতের অর্থনীতি আগামী দশ বছরে ৯.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবে। তিনি ম্যাক্রোইকোনমিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক শাসনকে এই বৃদ্ধির গতি বজায় রাখার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেন।

    গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক

    ভারতের অর্থনৈতিক (Viksit Bharat) যাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হল ২০৪৭ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১৪,০০০ মার্কিন ডলারে পৌঁছানো। বর্তমানে ভারতের মাথাপিছু আয় ২,৫৭০ মার্কিন ডলার। পানাগাড়িয়ার মতে, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন বার্ষিক ৭.৩ শতাংশ মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার। তিনি বলেন, “২০২৩ সালের ডলারের মূল্যে, ভারতকে উচ্চ আয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য ১৪,০০০ ডলারের মাথাপিছু আয় দরকার। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থাকলে, এই লক্ষ্য পূরণ করাও সম্ভব।”

    ভারতের অর্থনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সমর্থনকারী গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির একটি হল নিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা বৃদ্ধি। পানাগাড়িয়া বলেন, “২০৪৭ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বছরে মাত্র ০.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে, যা অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।” তিনি বলেন, “বিকশিত ভারত অভিযানের সম্ভাবনাগুলি তাই বাস্তবায়নযোগ্য থাকে।” ভারতের সামাজিক অগ্রগতির (Arvind Panagariya) ওপর জোর দিয়ে পানাগাড়িয়া বলেন, “দেশে দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, সে পরিমাপের পদ্ধতি যাই হোক না কেন (Viksit Bharat)।”

  • Bangladesh Crisis: হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ!

    Bangladesh Crisis: হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) দেশে ফেরাতে (Bangladesh Crisis) ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। শনিবার বিকেলে ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সরকারি আইনজীবী তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল হোসেন।

    সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য (Bangladesh Crisis)

    ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।” তিনি জানান, ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে এ বিষয়ে চুক্তি রয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন তাজুল। বাংলাদেশের সরকারি আইনজীবী তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর বলেন, “হাসিনা-সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মামলার তদন্ত রিপোর্ট আমরা মার্চ মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাব বলে আশা করছি। যদি আনুষ্ঠানিকভাবে ওই রিপোর্ট পেয়ে যাই, তাহলে এক-দেড় মাসের মধ্যেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে।”

    বিরতি ছাড়াই চলবে বিচার

    তিনি বলেন, “কতদিন ধরে তা চলবে, এখনই বলা সম্ভব নয়। নথির পরিমাণ, সাক্ষীদের বয়ান বিচার করে আদালত সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের দিক থেকে যত দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার কাজ এগোনো যায়, সেই চেষ্টা করব। কোনও বিরতি ছাড়াই চলবে ট্রাইব্যুনালের বিচার।” তাজুল বলেন, “ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। আওয়ামি লিগ সরকারই তা স্বাক্ষর করেছিল। আশা করছি, এই চুক্তির শর্ত মেনেই ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে।”

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি কোনও সাধারণ খুনের ঘটনা নয়। এগুলি মানবতাবিরোধী অপরাধ। যার বিস্তৃতি ৫৬ হাজার বর্গমাইল। দু’হাজারেরও বেশি মানুষ এতে শহিদ হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। আমরা দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করছি।” প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। তাঁকে ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠিও দিয়েছে ঢাকা (Sheikh Hasina)। সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করলেও, ভারত এখনও তার জবাব দেয়নি (Bangladesh Crisis)।

  • India: জানুয়ারিতে দেশে বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    India: জানুয়ারিতে দেশে বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ, কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে বাড়ল জিএসটি সংগ্রহের (GST Collections) পরিমাণ। গত জানুয়ারি মাসে গ্রস এবং নিট দুটি ক্ষেত্রেই বেড়েছে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ। গত ডিসেম্বরে এই বৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ৭.৩ শতাংশ এবং ৩.৩ শতাংশ। এনসিএইআর-এর মাসিক পর্যালোচনা অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছিল (India) যথাক্রমে ১২.৩ এবং ১০.৯ শতাংশ। উৎপাদন ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।

    পিএমআই বৃদ্ধি পেয়েছে (India)

    জানুয়ারিতে এই ক্ষেত্রে পিএমআই বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৭.৭ শতাংশ। এটি আরও বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। যদিও পরিষেবা ক্ষেত্রের পিএমআই রয়ে গেছে ৫৬.৫ শতাংশে। এনসিএইআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল পুনম গুপ্তা বলেন, “মূল্যস্ফীতির মডারেশন আরও নীতিগত সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কৃষি ক্ষেত্রেও বহুল প্রতীক্ষিত স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য আশাব্যঞ্জক।” ২০২৪-২৫ রবি মরশুমে গত ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বপন স্বাভাবিক, বপন এলাকার ১০৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যেখানে ধান ও ডাল জাতীয় শস্যের বপন যথাক্রমে ১০১.২ শতাংশ ও ১০০.৩ শতাংশে পৌঁছেছে।

    প্রবৃদ্ধির হার

    তবে ব্যাঙ্ক ঋণের প্রবৃদ্ধির হার ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ১১.২ শতাংশে সীমাবদ্ধ ছিল। তার আগের ডিসেম্বরে এই হার ছিল ২০.২ শতাংশ। ব্যাঙ্কগুলি থেকে এনবিএফসি-তে ঋণও কমে গিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ১৫ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ৬.৭ শতাংশে নেমে আসে। গুপ্ত বলেন, “এনবিএফসি-র মাধ্যমে ভোক্তা অর্থায়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (SME) খাতে অর্থায়নের (India) একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে, ঋণের এই ধীর প্রবৃদ্ধির হার দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।”

    এর প্রেক্ষিতে, নির্ধারিত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির এনবিএফসি-তে প্রদত্ত এক্সপোজারের ওপর ঝুঁকি পুনরুদ্ধারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে তিনি স্বাগত জানান। এনসিএইআরয়ের ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, “আর একটি বিষয় যা নজরে রাখা প্রয়োজন, তা হল বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের প্রবাহের ধারাবাহিক বহির্গমন।” তিনি বলেন, “প্রায়োগিক গবেষণা দেখায় যে এফআইআই প্রবাহ প্রধানত বাহ্যিক কারণ দ্বারা চালিত হয়, অভ্যন্তরীণ কারণের তুলনায়, এবং এই কারণে এটি যথেষ্ট অস্থির প্রকৃতির। অতীতের মতো, ভারতের এফআইআই প্রবাহের বর্তমান বিপরীত প্রবণতা একটি বৈশ্বিক ঘটনা এবং এটি অন্যান্য অনেক (GST Collections) উদীয়মান বাজার থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের সঙ্গেও সম্পর্কিত (India)।”

  • Bangladesh: ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে অস্বীকার! তথ্য-বিকৃতি বাংলাদেশের ৪৪১ পাঠ্যপুস্তকে

    Bangladesh: ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে অস্বীকার! তথ্য-বিকৃতি বাংলাদেশের ৪৪১ পাঠ্যপুস্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাসেই পদচ্যুত হন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান রূপে দায়িত্ব নেন মহম্মদ ইউনূস (Yunus Regime)। এরপর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা যেমন বাড়তে থাকে, একইভাবে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকাকে অস্বীকার করার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপও করতে থাকে ইউনূস সরকার। এ নিয়ে ভারতেরই একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে খবর। ওই খবরগুলোতে উঠে এসেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় পাঠক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানকে অবমূল্যায়ন করার জন্য চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের জাতীয় পাঠক্রমে যেভাবে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তার মধ্যে একটি উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে, সে দেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যে অবদান সেটিকে অবমূল্যায়ন করা ও ভারতের সেনাবাহিনীকে খাটো করা। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকদের ভুলিয়ে দেওয়া, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানি সেনাকে পরাস্ত করতে সরাসরি যুদ্ধে নেমেছিল ভারতের সেনা।

    ৪৪১টি বইতে পরিবর্তন, অবমূল্যায়ন করা হয়েছে ভারতের ভূমিকা

    বাংলাদেশ (Bangladesh) নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য আরও সামনে এসেছে। তথ্য বলছে, গত অগাস্ট মাসের পর থেকেই বাংলাদেশের পাঠ্য পুস্তকগুলিতে এ ধরনের পরিবর্তন করা হতে থাকে। প্রাথমিক স্তর, মাধ্যমিক স্তর এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলিতে সিলেবাসের ৪৪১টি বইতে এই ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সম্পূর্ণভাবে ভারতের ভূমিকাকে খাটো করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের ষষ্ঠ শ্রেণির একটি ইংরেজি বই ছিল। এই বইতে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ২টি ছবি ছিল। এই দুটি ছবি ১৯৭২ সালের তোলা। ইউনূস সরকারের জমানায় এই ছবি দুটিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দুটি ছবির মধ্যে একটি ছিল কলকাতার সমাবেশে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে মুজিবুর রহমানের একসঙ্গে তোলা ফটো। অপরটি ছিল ঢাকা বিমানবন্দরে ইন্দিরা গান্ধীকে স্বাগত জানাচ্ছেন মুজিবুর রহমান, এমন একটি ছবি।

    কী বলছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান

    এ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে সে দেশের শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম রিয়াজুল হাসানকে। তিনি স্পষ্টত স্বীকার করেন যে এই ছবিগুলি ২০২৩-২৪ সালের পাঠক্রমের অংশ ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা বাতিল করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এনসিটিভির চেয়ারপার্সন একেএম রিয়াজুল হাসান এক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “পুরোনো বইগুলিতে বলা হয়েছে যে ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে ভারতই প্রথম বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে, আমরা জানি ভুটানই প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর। চলতি বছরে সময় কম থাকায় আমরা এটি সংশোধন করতে পারিনি। আমরা পরের বছর এটি সংশোধন করব।” এখানেই থামেননি রিয়াজুল হাসান। আরও জানিয়েছেন যে, পাঠ্যপুস্তকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ঘটনাটাই রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কিংবা জাতীয় সংগীত নিয়ে কিছু ছিল না। এ প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ তোলেন যে এগুলি ভারত, বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল এবং তাঁরা তা সংশোধন করছেন।

    ব্যাপক মিথ্যাচার! বঙ্গবন্ধু নয়, স্বাধীনতার ঘোষক নাকি জিয়াউর রহমান

    ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়ারদের জন্য নয়া পাঠ্য পুস্তকের প্রবর্তন করে। কিন্তু সেখানে ব্যাপক মিথ্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই দাবি করা হয় যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। যদিও আসল সত্য হল যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ গ্রেফতার করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। গ্রেফতারের আগে তিনি একটি ওয়ারলেস বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। ওই বার্তাতে বঙ্গবন্ধু বলেন, “এটিই আমার শেষ বার্তা হতে পারে, তবে আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি যে, আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ করুন। পাকিস্তানের দখলদার সেনাবাহিনীর শেষ সৈনিককে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত আপনাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” এই বার্তাটি বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলের একটি অংশ। শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দুবার সম্প্রচারিত হয়েছিল। জানা যায় সে সময়ে এ নিয়ে খবরও করেছিল ভারতের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম। যেমন দ্য স্টেটসম্যান, দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া। আন্তর্জাতিক স্তরে খবর করে দ্য লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস। তা সত্ত্বেও সম্পূর্ণভাবে মিথ্যাচার করে ইউনূস সরকারের অধীনে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্য পুস্তক থেকে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাটি জিয়াউর রহমানের নামে করে দেয়।

    স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক হিসেবে জিয়াউরের নাম পাওয়া যায়না

    প্রকৃতপক্ষে ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ এমন কোনও ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর রহমান, এক্ষেত্রে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে এটা নথিভুক্ত রয়েছে যে তার একদিন পরে জিয়াউর রহমান একটি ঘোষণা করেন। কালুরঘাট যা চট্টগ্রাম শহরের উত্তর দিকে অবস্থিত সেখান থেকে দ্বিতীয় স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন জিয়াউর। কী বলেছিলেন ওই ঘোষণায়? ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তিনি রেডিওতে ঘোষণা করেন, “আমি, মেজর জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে, এতদ্বারা ঘোষণা করছি যে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমি সকল বাঙালিকে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। আল্লাহর রহমতে, বিজয় আমাদের।”

    ভারতের ভূমিকাকে অবমূল্যায়ন ও বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা

    অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে একদিকে যেমন ভারতের ভূমিকাকে অবমূল্যায়ন ও খাটো করা হচ্ছে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলারও এক ব্যাপক প্রয়াস বাংলাদেশ জুড়ে শুরু করেছে ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। স্কুলের পাঠক্রমগুলিতে এভাবেই মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় সেনাবাহিনীতে ছিলেন জিয়াউর রহমান। পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি স্থাপন করেন। বাংলাদেশের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জানা যায় শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে বাঙালি পরিচয়কে আগে রেখেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান ইসলামের ওপর ভিত্তি করে একটি আলাদা পরিচয় প্রচার করেছিলেন। শুধু তাই নয় জিয়াউর রহমানের আমলে বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি চেয়ারপার্সন হন। তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্ব কালে বাংলাদেশে উগ্র ইসলামিক সংগঠনগুলির বাড়বাড়ন্ত বাড়তেই থাকে। এর পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পায়। ভারতে বাড়ে জঙ্গি কার্যকলাপ। বাংলাদেশে হিন্দু সমাজের মানুষজনের ওপরে অসংখ্য হামলার অভিযোগ ওঠে।

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ভারত বিরোধিতা

    প্রসঙ্গত এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনাকে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। দখল করা হয় গণভবন। তারপর থেকেই ভারতের সঙ্গে একেবারে শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে চলতে দেখা যায় মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা ভারত সরকারকে সরাসরি হুমকি দেয়। ওই হুমকিতে বলা হয়, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেয়, তাহলে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিবাদ শুরু হবে। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিতে শোনা যায় বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সার্জিস আলমকে। সারজিস আলম ওই সময় বলেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চাই যে, এটা গুজরাট নয় এটা বাংলাদেশ। গুজব ছড়িয়ে এবং মানুষ হত্যা করে আপনি এখানে ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। একইসঙ্গে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের দাবিও জানিয়েছিলেন সারজিস। এমন একাধিক ঘটনা সামনে আসতে থাকে।

  • JP Nadda: ‘‘২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করা সম্ভব’’, লক্ষ্যপূরণে প্রত্যয়ী জেপি নাড্ডা

    JP Nadda: ‘‘২০২৫ সালেই ভারত থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করা সম্ভব’’, লক্ষ্যপূরণে প্রত্যয়ী জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই ভারতবর্ষ থেকে যক্ষ্মা নির্মূল করা হবে। এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Union Health Minister) জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। শুক্রবার, জেপি নাড্ডা হাজির ছিলেন নবম জাতীয় সম্মেলন সামিট অন গুড অ্যান্ড রেপ্লিকেবল প্র্যাকটিস অ্যান্ড ইনোভেশন-এ। সেখানেই তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, নির্ধারিত সময়সীমার পাঁচ বছর আগেই যক্ষ্মামুক্ত ভারত গড়া সম্ভব।

    যক্ষ্মামুক্ত ভারত ২০২৫ সালেই

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘Sustainable development goals-এর কর্মসূচি অনুযায়ী, ভারতবর্ষকে যক্ষ্মামুক্ত করার কথা ২০৩০ সালের মধ্যে। কিন্তু আমরা মনে করছি, সেই লক্ষ্যমাত্রা ২০২৫ সালের মধ্যেই আমরা পূরণ করে নেব।’’ জেপি নাড্ডা (JP Nadda) যদি নিজের বক্তব্যে সম্পূর্ণ তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ‘‘২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতবর্ষে ১৭.৭ শতাংশ টিবি বা যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমেছে। প্রসঙ্গত, এই সময়ের মধ্যে বিশ্বজুড়ে যক্ষ্মা রোগের সংখ্যা কমেছে ৮.৩ শতাংশ।’’ একথা জানিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘পৃথিবীর যে গড় তার চেয়ে দ্বিগুণ হারে আমরা যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা কমাতে পেরেছি। একথা উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেই ক্ষমতায় আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার। তারপর থেকেই এই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘করোনা কালে সারা ভারত যখন লকডাউন আক্রান্ত ছিল, তখনও আমাদের যক্ষ্মা রোগীর নির্মূলের কর্মসূচি চলেছিল।’’

    ১০০ দিনে পাঁচ লাখেরও বেশি যক্ষ্মা রোগী চিহ্নিত

    নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘‘বিগত ১০০ দিনে আমরা এখনও পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি যক্ষ্মা রোগীকে চিহ্নিত করেছি। তাঁদের যথাযোগ্য চিকিৎসা চলছে। এর পাশাপাশি যক্ষ্মা মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযানও চলছে। ৪৫৫টি জেলাতে যক্ষ্মা মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযান চলছে। আমরা ব্লক স্তর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছি এবং সেখানেও টিবি মুক্ত ভারতের প্রচার অভিযান চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা মুক্ত ভারত নির্মাণে আমরা সংকল্পবদ্ধ।’’ প্রসঙ্গত, এই সম্মেলন দুদিন ধরেই চলবে এবং আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি ও ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর মুকেশ মাহালিং। এর পাশাপাশি হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র যিনি পুরী লোকসভার সাংসদ।

    কমেছে ম্যালেরিয়াও

    এই সম্মেলনে বিভিন্ন গবেষকরা নিজেদের প্রদর্শনী দেখান এবং যক্ষ্মা মুক্ত ভারত নির্মাণ করতে তাঁরা কী কী উদ্যোগ নিয়েছেন, সেই সমস্ত নথিও তাঁরা দেখান। নিজের বক্তব্যে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) তুলে ধরেন মোদি জমানায় ভারতবর্ষের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলিকে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে আরও তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট। তিনি জানান যে বিশ্ব সংস্থা স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৪ সালে ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত যে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে সেখানেও ভারতবর্ষে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা গিয়েছে। এদেশে কমেছে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা। মোদি জমানায় ২০১৪ সাল থেকে ভারত স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি ২০১৭ সালের কথা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-র নীতি অনুযায়ী আমরা প্রিভেন্টিভ প্রোমোটিভ ও কম্প্রিহেনসিভ পদ্ধতিতে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নত করার চেষ্টা করছি।

    আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের কথাও উঠে আসে নাড্ডার বক্তব্যে

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) নিজের বক্তব্য বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদাই দায়বদ্ধ হয়ে রয়েছে সারা দেশ জুড়ে সকলকে একটি ভালো স্বাস্থ্যপরিষেবা দেওয়ার জন্য।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের কথা। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের এই প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে দেশবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, সে কথাও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষে শিশু মৃত্যুর ঘটনা কমেছে মোদি জমানায়।’’ এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে আশা কর্মীদের কথা এবং একেবারে নিচুস্তরে যাঁরা স্বাস্থ্য কর্মী আছেন তাঁদের কথা তুলে ধরেন তিনি। জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করা হবে। যে রোগগুলি সংক্রামিত নয় সেগুলি সম্পর্কে বলতে গিয়ে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে আমাদেরকে জীবনশৈলীর বদল করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে জেপি নাড্ডা উল্লেখ করেন যে কীভাবে তাঁরা ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ও তিন ধরনের ক্যান্সার এর মোকাবিলা করছেন। জেপি নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘এদেশের প্রতিটি জেলাতে একটি করে ক্যান্সার সেন্টার গড়ে তোলা হবে আগামী তিন বছরের মধ্যে। আমরা লক্ষ্যমাত্রারে রেখেছি যে ২০০ জেলাকে এর আওতায় আনব।’’

  • Bangladesh: ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা! নয়া দলের আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে! ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত?

    Bangladesh: ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা! নয়া দলের আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে! ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) আত্মপ্রকাশ করল নতুন রাজনৈতিক দল। ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে এই নয়া দল। ছাত্রদের এই নতুন রাজনৈতিক দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (Jatiyo Nagarik Party)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারাই তৈরি করেছেন এই নয়া দল। বাংলাদেশে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন দলের আহ্বায়ক বা নেতা হয়েছেন নাহিদ ইসলাম। দলের সদস্যসচিব হয়েছেন আখতার হোসেন। জানা গিয়েছে, তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নতুন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে এসেছেন সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব। সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব পদে নিযুক্ত হয়েছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার (নিভা)। অন্যদিকে দলের প্রধান সমন্বয়কারী পদে থাকছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। যুগ্ম সমন্বয়ক পদে এসেছেন আবদুল হান্নান মাসউদ। হাসনাত আবদুল্লাকে মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ও সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) পদে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে খবর। নতুন রাজনৈতিক দলের হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।

    কেন ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত গত অগাস্ট মাসেই শুরু হয় বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একটা সময় দেখা যায় এই আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ নেয়। পরে তা সাম্প্রদায়িক হিংসাতেও পরিণত হয়। নিজের বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আশ্রয় নেন ভারতে। এরপরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মহম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভেবেছিলেন যে অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া ইউনূস বাংলাদেশকে উন্নতি শিখরে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। কিন্তু ইউনূস জামানায় বাংলাদেশের অর্থনীতি শুধু নয়, ভেঙে পড়েছে গোটা শাসন ব্যবস্থাও। দেশ জুড়ে চলছে বিশৃঙ্খলার রাজত্ব। শান্তি ও ঐক্যের বাংলাদেশ গঠনে বারবার তাঁর কাছে আবেদন জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। প্রতি পদক্ষেপেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউনূস সরকার। সত্যি কথা বলতে তা জামাত ও বিএনপির হাতের পুতুলই হয়ে গিয়েছে। ইউনূসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে হামলা। সেই হামলা বন্ধ করতে ইউনূস সরকার যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনই বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনও হিন্দুদের বিপক্ষে কাজ করছে। একাধিক সাধু সন্ন্যাসীকে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইউনূস সরকারের ওপর সেদেশের জনগণের ক্ষোভ যে বাড়ছে তা ক্রমে অনুধাবন করতে শুরু করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। অবস্থা খুবই খারাপ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিও হচ্ছে না, বেসরকারি সংস্থাগুলিতে কর্ম ছাঁটাই চলছে। বিশেষত পোশাকশিল্পে এবং আইটি সেক্টরে। সারা দেশ জুড়ে এক হতাশার পরিবেশ তৈরি হয়।

    এবার ইউনূসের কী হবে (Bangladesh)

    সব জায়গা থেকেই বর্তমানে একটি বড় প্রশ্ন উঠছে যে এবার ইউনূসের কী হবে? নতুন রাজনৈতিক দল তো ঘোষণা করে দিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা করে দিল যে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই জামাত-ই-ইসলামী অথবা তার ছাত্র সংগঠন ইসলামিক ছাত্র শিবিরের সঙ্গে। কিন্তু ইউনূসও এই দুই মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এই জামাতের সঙ্গে বৈঠকের পরেই পাকিস্তানিদের তিনি দেশে ডেকে এনেছেন। পাক কূটনীতিকদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছেন। এই অবস্থাতে পাকিস্তানের ভিসা ফ্রি হয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। শুধুমাত্র জামাত এবং তার ছাত্র সংগঠনের চাপে পড়েই আনসার বাংলা টিমের একাধিক নেতাকেও ছেড়ে দিয়েছে ইউনূস সরকার। আনসার বাংলা টিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে পরিচিত এবং তারা আল-কায়েদার হয়ে কাজ চালায় বলেই সবাই জানে। বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দলের নেতা কোনওভাবেই ইউনূস হচ্ছেন না। অনেকে তাই মনে করছেন, এবার হয়তো ইউনূস সামাজিক কাজেই ফিরে যাবেন।

    আওয়ামি লিগ-বিএনপির কী হবে

    এই আবহে আওয়ামি লিগ এবং বিএনপি’র কি হবে? এই প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত বর্তমানে দেশ ছাড়ার পরেও বাংলাদেশে (Bangladesh) বেশ প্রাসঙ্গিকই আছেন শেখ হাসিনা। নিয়মিতভাবে ভার্চুয়ালি তিনি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আওয়ামি লিগের ফেসবুক পেজ থেকে তিনি লাইভও আসেন। তিনি তাঁর সমর্থকদের ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি তিনি দেশে ফিরবেন এবং যেভাবে অচলাবস্থা চলছে তা তিনি সামাল দেবেন। এই আবহে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে শেখ হাসিনা আসলে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘোষণার দিকে তাকিয়ে। কিন্তু কেউ কেউ মনে করছেন তাঁর অনুপস্থিতিতে আওয়ামি লিগের পক্ষে নির্বাচন লড়া কঠিন হয়ে যাবে। অন্যদিকে, হাসিনার বিরুদ্ধে রয়েছে শতাধিক মামলা। তাই নির্বাচনের আগে দেশে ফিরলে তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। অন্যদিকে, ইউনূসের কাজকর্মে বিএনপি নেতারাও ব্যাপক হতাশ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে আওয়ামি লিগ এবং বিএনপি নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়া বন্ধ করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই চাইছেন যে ইউনূস সেদেশের নির্বাচনকে ঘোষণা করুন। আওয়ামি লিগ ও বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে জুড়ল আর এক নয়া দল।

    ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত

    নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে ভারতের বিদেশ নীতি কি প্রভাবিত হবে? এমন চর্চাও শুরু হয়েছে। গত অগাস্ট মাসের পর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। বাংলাদেশের প্রতি হতাশার কথাও অভিব্যক্ত করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয় শংকর। প্রসঙ্গত, নতুন যে রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে, তারা স্পষ্ট ঘোষণা করেছে তাদের বিদেশ নীতি নীতির ক্ষেত্রে ফোকাস করা হবে মূলত অর্থনীতিকেই। একইসঙ্গে, স্বচ্ছতা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমেই তাঁরা বিদেশে নীতি তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবর ভালো। তবে, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও ভারতে তাঁর আশ্রয় নেওয়ার পর সেই সম্পর্কে খানিক পরিবর্তন এসেছে, তা বলাই যায়। এই আবহে ছাত্রদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়বে ভারতের সঙ্গে সে দেশের বাণিজ্য, দ্বি-পাক্ষিক এবং নিরাপত্তার সম্পর্কে। এই আবহে বাংলাদেশের ওপর কড়া নজর রেখে চলেছে ভারত।

LinkedIn
Share