Tag: India

India

  • Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতির সংগঠিত চক্রের পর্দা ফাঁস করল মধ্যপ্রদেশের ভোপাল পুলিশ। তারা গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক আবদুল কালামকে। গত আট বছর ধরে সে নেহা (Neha) নামে রূপান্তরকামী নারী সেজে ভোপাল শহরে বসবাস করছিল। বছর দশেক বয়সে ভারতে অনুপ্রবেশ করে কালাম। দু’দশক মুম্বইয়ে কাটানোর পর চলে আসে ভোপালের বুধওয়ারা এলাকায়। অভিযোগ, সেখানে রূপান্তরকারী পরিচয় নিয়ে স্থানীয় রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠে সে। দালাদদের ধরে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় পাসপোর্ট পর্যন্ত জোগাড় করে ফেলেছিল সে।

    আবদুলই নেহা (Neha)

    তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, আবদুল কেবল ভুয়ো পরিচয়পত্রই ব্যবহার করেনি, জাল পাসপোর্ট বানিয়ে সে বিদেশও ঘুরে এসেছে। বুধওয়ারা এলাকায় সে একাধিকবার বাসা বদল করেছে। স্থানীয়রা তাকে নেহা নামেই চেনেন। সে রূপান্তরকামী কিনা, তা জানতে চলছে শারীরিক পরীক্ষা। পুলিশ এও জেনেছে, আবদুল মহারাষ্ট্রেও রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এ থেকে স্পষ্ট, তার এই ছদ্মবেশ বড় কোনও চক্রের অংশ হতে পারে। রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের আর কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা অথবা সব জেনেও কেউ তাকে সাহায্য করেছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    জাল পরিচয়পত্র

    জানা গিয়েছে, আবদুলকে (Neha) ভুয়ো পরিচয়পত্র জোগাড় করতে সাহায্য করেছে স্থানীয় দুই যুবক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র, এর নেপথ্যে রয়েছে অনুপ্রবেশ ও জাল নথিপত্র তৈরির বিস্তৃত চক্র। আবদুলের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া কল রেকর্ড এবং চ্যাটগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শালিনী দীক্ষিত বলেন, “সে গত ৮-১০ বছর ধরে ভোপালে বসবাস করছে। তার আগে সে ছিল মহারাষ্ট্রে। আমরা একটি সূত্র থেকে তথ্য পেয়ে তার পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করি। এই সময়ের মধ্যে সে বাংলাদেশেও গিয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।”

    জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে তার আগে এই পুরো (Bangladeshi) চক্রের বিস্তার এবং আবদুলের পুরানো কার্যকলাপ, বাংলাদেশে যাতায়াত এবং যোগাযোগ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে (Neha)।

  • Hindu Temple: ভারত-চিনের সম্পর্ক বহু পুরানো, সাক্ষী কোয়ানঝু শহরের হিন্দু মন্দির

    Hindu Temple: ভারত-চিনের সম্পর্ক বহু পুরানো, সাক্ষী কোয়ানঝু শহরের হিন্দু মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) ফুজিয়ান প্রদেশের কোয়ানঝু শহর। এই শহরেই রয়েছে একটি বৌদ্ধ গুম্ফা। এর ভিত্তি ও স্তম্ভে হিন্দু (Hindu Temple) চিত্রকলা খোদাই করা আছে। এ থেকে প্রমাণ হয় ভারত ও চিনের মধ্যে দীর্ঘকাল সমুদ্রপথে ব্যবসা-বাণিজ্য হত। পণ্যবাহী জাহাজ ভারতের পশ্চিম উপকূল থেকে মালাক্কা প্রণালী (সিঙ্গাপুর) হয়ে ভিড়ত চিনের বন্দরে।গুম্ফায় খোদাই করা ছবিতে রয়েছে সিংহ, যা দক্ষিণ ভারত বা চিনের কোনওটি থেকেই উৎপত্তি হয়নি। তবুও সিংহ ভারত ও চিনে রাজসিকতার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। শ্রীলঙ্কার (সিংহল অর্থাৎ সিংহ জাতি) ও সিঙ্গাপুরের (সিংহপুরা অর্থাৎ সিংহদের শহর) নামেও তা প্রতিফলিত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে কীভাবে পণ্যের পাশাপাশি কনসেপ্টগুলিও এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় গিয়েছিল।

    ভগবান বুদ্ধের মন্দির নির্মাণ (Hindu Temple)

    জনশ্রুতি অনুযায়ী, এক বণিক জমির মালিককে অনুরোধ করেছিলেন যাতে তিনি ভগবান বুদ্ধের মন্দির নির্মাণের জন্য জমি দেন। মালিক জমি দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তিনি শর্ত দিয়েছিলেন, যদি তাঁর তুঁত গাছে সাদা পদ্মফুল ফোটে, তবেই তিনি জমি দেবেন। এই অলৌকিক ঘটনাটি ঘটার পরেই মালিক জমি দেন। সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয় বৌদ্ধ মন্দির, যা গুম্ফা নামে পরিচিত। এই জায়গাটি পরে বিভিন্ন বৌদ্ধ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী ও বণিকদের দ্বারা নানা ধরণের মন্দির নির্মাণের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। সেই কারণেই আজও দেখা যায়, সেখানে রয়েছে একটি শিবলিঙ্গ, যাঁকে পুজো করছে একটি হাতি। আর একটি চিত্রে শিবকে দেখা যায় জটাজুটধারী হিসেবে।

    ভগবান নৃসিংহের ছবি

    ভগবান নৃসিংহের একটি ছবিও রয়েছে। এটি দক্ষিণ ভারতের একটি বিরল রূপ। এঁকে ব্যাঘ্রপাদ বলা হয়, যিনি শিবের এক বাঘ-পদধারী ভক্ত। আর একটি ছবিতে দেখা যায় মা পার্বতীর পায়ের কাছে একটি অসুর বসে রয়েছে। এঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা চিনা ঐতিহ্যের করুণাময় নারী বোধিসত্ত্ব গুয়ান ইনের এক রূপ বলে পুজো করেন। এখানে একটি স্তম্ভও রয়েছে, যা দেখতে শিবলিঙ্গের মতো। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এটি একটি পাথরের বাঁশের কুঁড়ি। কিন্তু সম্ভবত এটি একটি শিবলিঙ্গ। জানা গিয়েছে, প্রথমে ভারত-চিনের (China) মধ্যে বাণিজ্য হত স্থলপথে, মধ্য এশিয়ার মাধ্যমে। পরে মৌসুমি বায়ুর সুবিধা কাজে লাগাতে চালু হয় সমুদ্রপথ (Hindu Temple)।

    মহাভারতে চিনের উল্লেখ

    সবচেয়ে প্রাচীন রামায়ণের পাণ্ডুলিপিতে চিনের কোনও উল্লেখ নেই। তবে সবচেয়ে পুরনো মহাভারতের পাণ্ডুলিপিতে চিনের উল্লেখ রয়েছে। চিন প্রথমে ভারতের সঙ্গে পরিচিত হয় উপজাতিগুলির মাধ্যমে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০০ সালের দিকে। পরে খ্রিস্টীয় ২০০ সালের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয় এই দুই প্রতিবেশী দেশের। এই সময়টি ছিল হান সাম্রাজ্যের যখন চিন এক হয়েছিল। ভারতকে তারা ডাকত  শেন্দু (সিন্ধু থেকে উদ্ভূত) এবং থিয়েনচু (স্বর্গীয় বাঁশবন — বৌদ্ধ শব্দ ‘বেনু- বন’ থেকে উদ্ভূত) নামে। বৌদ্ধধর্মকে চিনে স্বাগত জানানো হয়েছিল এমন একটি কঠিন সময়ে যখন সে দেশে গৃহযুদ্ধ চলছিল। বৌদ্ধধর্মা সেই সময় চিনাদের মানসিক শান্তি এনে দিয়েছিল।

    বৌদ্ধ নিদর্শন আমদানিতে উৎসাহ

    তাং যুগে চিন ভারত থেকে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ এবং বৌদ্ধ নিদর্শন আমদানিতে উৎসাহিত করে। এই সময়ই সংস্কৃত ভাষায় রচিত বৌদ্ধ আদর্শগুলি চিনা লিপিতে অনুবাদ করা শুরু হয়। এই সময়ের শেষের দিকে চিনের কনফিউশীয় পণ্ডিতরা বৌদ্ধধর্ম ও লিঙ্গ পুজোর মতো প্র্যাকটিশের বিরুদ্ধে মনোভাব পোষণ করতে শুরু করেন। সোং যুগে চিনকে বৌদ্ধ ধর্মের কেন্দ্র হিসেবে দেখা হত। এই সময়ে ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের পতন ঘটে। সেই সময় বহু মানুষ চিনে ভ্রমণ করতে থাকেন। তাঁরা একে মৈত্রেয় বুদ্ধ, মঞ্জুশ্রী এবং অমিতাভ বুদ্ধের দেশ হিসেবে বিবেচনা করতেন (Hindu Temple)।

    মৌসুমী বায়ুর ব্যবহার

    তবে এই সময় চিনে যাওয়ার স্থলপথগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে মোঙ্গল সেনার উত্থানের কারণে। তাই সমুদ্রপথই চিনে যাওয়ার প্রধান পথ হয়ে ওঠে (China)। এই সময়ই দক্ষিণ ভারতের চোল রাজারা ইন্দোনেশিয়ার মাধ্যমে চিনের রাজদরবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। মৌসুমী বায়ু ব্যবহার করে প্রায় ৩০ দিনে জাহাজগুলি আরব থেকে ভারতের পশ্চিম উপকূলে পৌঁছত। এরপর ভারতের পূর্ব উপকূল থেকে আরও ৩০ দিনে যেত মালাক্কা প্রণালী পর্যন্ত। তারপর আরও ৩০ দিনে পৌঁছত চিনে। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ, যেখানে আরব থেকে ঘোড়া সমুদ্রপথে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং চিনে নিয়ে যাওয়া হত, বিশেষত যখন স্থলপথ অবরুদ্ধ থাকত (Hindu Temple)।

    হিন্দু মন্দির

    এর বদলে চিন থেকে রেশম, রূপা, চা এবং চিনামাটি রফতানি হত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে সোনা, ভারতীয় সূতিবস্ত্রের বিনিময়ে লেনদেন হত। মশলা ও সুগন্ধি উদ্ভিদও এই বাণিজ্যের অংশ ছিল। এটি ছিল এক বিস্তৃত বাণিজ্য নেটওয়ার্ক (China)। ভারতের একটি শক্তিশালী বণিক সংঘ এই বাণিজ্যের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করত। এই বাণিজ্যের ফলে রাষ্টকূট রাজবংশ, যারা খ্রিস্টীয় ৮০০ সালের দিকে কর্নাটকের অনেক অংশ নিয়ন্ত্রণ করত প্রচুর সমৃদ্ধ হয়। এই সম্পদ ভারতের প্রাচীনতম কিছু মন্দির নির্মাণে এবং দক্ষিণ-পূর্ব চিনের কিছু মন্দির প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিল (Hindu Temple)।

  • NCERT: ‘ভারত বিশ্বের ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে’, জানাল এনসিইআরটির বই

    NCERT: ‘ভারত বিশ্বের ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে’, জানাল এনসিইআরটির বই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনসিইআরটি (NCERT)-র অষ্টম শ্রেণির সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের ঔপনিবেশিক যুগ সংক্রান্ত অংশে টিপু সুলতান, হায়দর আলি এবং সপ্তদশ শতকের অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধগুলির কোনও উল্লেখ করা হয়নি। এই বইয়ে (Social Science) এই সময়কালকে বর্ণনা করা হয়েছে এমন একটি যুগ হিসেবে, যখন ভারত বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ থেকে সবচেয়ে গরিব দেশগুলির একটিতে পরিণত হয়েছিল। ‘এক্সপ্লোরিং সোশ্যাইটি: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শিরোনামে বইটির প্রথম ভাগ এই শিক্ষাবর্ষে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগটি প্রকাশিত হওয়ার কথা বছর শেষে।

    ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ (NCERT)

    এই অধ্যায়ে ঔপনিবেশিক সময়কাল ধরা হয়েছে ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামার আগমন থেকে শুরু করে অষ্টাদশের শেষ দশক পর্যন্ত। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ বা ভারতের মহা বিদ্রোহ। এতে বর্ণনা করা হয়েছে কীভাবে ব্রিটিশরা ব্যবসায়ী থেকে শাসকে পরিণত হয়েছিল। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধকে তুলে ধরা হয়েছে ‘আ ব্যাটেল দ্যাট মার্কড এ টার্নিং পয়েন্ট অ্যাজ দি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ বাংলার নবাবকে পরাজিত করেছিল। এই সময়কালে ভারতের ড্রেন অফ ওয়েল্থ-এর কথাও বিশদভাবে বলা হয়েছে। এই বইয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক প্রতিরোধ আন্দোলনগুলিকেও স্থান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ১৭০০-এর দশকের সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহ, কোল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ, এবং ১৮০০-এর দশকে বিভিন্ন কৃষক বিদ্রোহ (NCERT)

    মারাঠাদের নিয়ে পৃথক অধ্যায়

    বইটিতে মারাঠাদের নিয়ে একটি পৃথক অধ্যায়ে অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধগুলি (১৭৭৫–১৮১৮) নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, ব্রিটিশরা মুঘল বা অন্য যে কোনও শক্তির তুলনায় মারাঠাদের কাছ থেকেই ভারতে আধিপত্য নিয়েছে (Social Science)। অষ্টম শ্রেণির আগের পাঠ্যবইয়ে ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সম্প্রসারণ তুলে ধরা হয়েছিল। সেখানে মহীশূরের শাসক হায়দর আলি ও মহীশূরের বাঘ টিপু সুলতানের প্রতিরোধ এবং ১৭০০-এর দশকে সংঘটিত চারটি অ্যাংলো-মহীশূর যুদ্ধের বিবরণ ছিল। মারাঠাদের সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সংঘাতের কথাও সেখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। পাঠ্যবইটি “উপনিবেশবাদের যুগ” এবং ইউরোপীয় সম্প্রসারণকে ১৫শ শতক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে বর্ণনা করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উপনিবেশবাদীরা যদিও নিজেদের সভ্যতার বার্তাবাহক বলে দাবি করত, আদতে তারা ভারতীয়দের ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা ধ্বংস এবং বিদেশি সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ চাপিয়ে দেওয়ার কাজই করেছে।

    উন্নত ভারত

    নতুন বইটিতে এই বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে যে, ষোড়শ শতকের আগে যখন ইউরোপীয় শক্তিগুলি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবেশ করেনি, তখন ভারত বিশ্বের মোট জিডিপির অন্তত এক চতুর্থাংশ অবদান রাখত। সেটি ছিল চিন-সহ বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির একটি (NCERT)। পরবর্তী এক অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, “ঔপনিবেশিক শাসন কালে ভারতের বৈশ্বিক জিডিপিতে অংশ ক্রমশ কমতে থাকে, স্বাধীনতার সময় তা গিয়ে দাঁড়ায় মাত্র ৫ শতাংশে। দুই শতকেরও কম সময়ে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হয়ে পড়ে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ।” “ভারত থেকে সম্পদের নিঃশেষণ” শীর্ষক একটি অংশে বলা হয়েছে, ঔপনিবেশিক শাসকরা বহু বিলিয়ন পাউন্ড ভারত থেকে কেড়ে নিয়েছিল। অর্থনীতিবিদ উৎসা পট্টনায়েকের সাম্প্রতিক এক হিসেব অনুযায়ী, ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে আজকের হিসেবে প্রায় ৪৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ সম্পদ ইংল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল (Social Science)।

    ব্রিটিশদের চুরি

    বইটিতে বলা হয়েছে, “যদি এই বিপুল সম্পদ ভারতে থেকে যেত এবং এখানেই বিনিয়োগ করা হত, তাহলে স্বাধীনতা পাওয়ার সময় ভারত একেবারেই ভিন্ন চেহারার দেশ হত। ভারতে রেলপথ নির্মাণ ঔপনিবেশিক শাসকদের কোনও উপহার ছিল না।” আরও লেখা হয়েছে, “রেলপথের অধিকাংশ খরচই বহন করা হয়েছিল ভারতীয় জনগণের দেওয়া রাজস্ব থেকে (NCERT)।” অর্থাৎ এই পরিকাঠামো প্রধানত ব্রিটিশদের কৌশলগত ও বাণিজ্যিক স্বার্থের জন্য নির্মিত হয়েছিল। পাঠ্যপুস্তকটি অনুসারে, ওই একই কথা প্রযোজ্য টেলিগ্রাফ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও। বইটিতে আরও বলা হয়েছে, “ঔপনিবেশিক শক্তিগুলি ভারত থেকে হাজার হাজার মূর্তি, চিত্রকর্ম, রত্ন, পাণ্ডুলিপি ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক নিদর্শন চুরি করে নিয়ে গিয়েছে এবং সেগুলি ইউরোপীয় জাদুঘর ও ব্যক্তিগত সংগ্রহে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই বিরাট চুরির ঘটনা কেবল ভারতেই নয়, বরং সমগ্র ঔপনিবেশিক বিশ্বের ক্ষেত্রেই ঘটেছে (Social Science)। প্রসঙ্গত, আগের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে রেলপথ, সাংস্কৃতিক নিদর্শনের চুরি কিংবা বৈশ্বিক জিডিপি সম্পর্কে কোনও আলোচনাই ছিল না (NCERT)।

  • Russia Recruits Indian Workers: ভারতের উপর ভরসা, ১০ লক্ষ ভারতীয়কে মোটা মাইনের চাকরি দেবে রাশিয়া

    Russia Recruits Indian Workers: ভারতের উপর ভরসা, ১০ লক্ষ ভারতীয়কে মোটা মাইনের চাকরি দেবে রাশিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপুল সংখ্যায় ভারতীয়দের চাকরি বা রোজগারের ব্যবস্থা করতে চলেছে নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠ ‘বন্ধু’। এক-দু’জন নন, মনে করা হচ্ছে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে কাজ পাবেন প্রায় ১০ লক্ষ ভারতীয়। চলতি বছরের শেষ থেকে যাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এতে দুই দেশের সম্পর্ক যে আরও মজবুত হবে, তা বলাই বাহুল্য। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। মূলত নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে তাঁদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে পুতিন প্রশাসনের।

    নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর চুক্তি

    ব্যাপারে ‘উরাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর প্রধান আন্দ্রেই বেসেদিন বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে নয়াদিল্লির সঙ্গে মস্কোর একটা চুক্তি হয়েছে। ভারতীয় সহকর্মীদের থেকে বিষয়টা জানতে পারি আমি। চলতি বছরের শেষ দিকে ওই দেশের মোট ১০ লক্ষ মানুষকে সভেরদলোভস্ক এলাকায় নিয়ে আসা হবে। শ্রমিক ছাড়া সেই দলে থাকবেন বিশেষজ্ঞেরাও।’’ বেসেদিনের দাবি, ভারতীয় শ্রমিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সভেরদলোভস্কের রাজধানী ইয়েকাটেরিনবার্গে নতুন একটি দূতাবাস খোলার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের। এ ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে কথাবার্তা বেশ কিছু দূর এগিয়েছে। গত সাড়ে তিন বছর ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ লড়ছে রাশিয়া। এর ফলে দেশের মধ্যে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সঙ্কট। সেই ঘাটতি পূরণ করতে ভারতীয়দের কাজে লাগাতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

    ভারতীয় দক্ষ শ্রমিকে আস্থা

    চলতি বছরে ভারত সফরে আসার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। সেখানেই এই বিষয় নিয়ে কথা হতে পারে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। এ দেশ থেকে প্রতি বছর উচ্চশিক্ষা, চাকরি এবং ব্যবসার জন্য বহু তরুণ-তরুণী চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটনের সিলিকন ভ্যালির মূল চালিকাশক্তি হিসাবে এ দেশের প্রতিভাবান তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদেরই গণ্য করা হয়। সেই অভিমুখ এবার রাশিয়ার দিকে ঘুরতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী থেকে নির্মাণ শ্রমিক বা স্বাস্থ্যকর্মী, কাজের বাজারে দুনিয়া জুড়ে রয়েছে ভারতীয়দের চাহিদা। আমেরিকার পাশাপাশি ব্রিটেন ও ফ্রান্স-সহ ইউরোপের নানা দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন এ দেশের কর্মদক্ষ নাগরিকেরা। পশ্চিম এশিয়ার সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে মূলত রিয়্যাল এস্টেট, বস্ত্র, হোটেল এবং অন্যান্য শিল্পে কাজ করেন তাঁরা। এবার পালা রাশিয়ার।

  • TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়ানক এক জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। তিন মাস পার হয়ে গেলেও সেই হামলার রেশ এখনও রয়ে গেছে। ওই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। এবার সেই সংগঠনটিকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা। আমেরিকার এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তিনি বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিই হল জিরো টলারেন্স এবং অপারেশন সিঁদুর।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “আজ থেকে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে ‘ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ (FTO) এবং ‘স্পেশালি ডিজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ (SDGT) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, পহেলগাঁও হামলাকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হওয়া অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামেও পরিচিত, পহেলগাঁওয়ের হামলার দায় শুরুতে স্বীকার করলেও, কয়েক দিনের মধ্যেই তারা সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২২ এপ্রিল হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকাকে সমর্থন

    মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “TRF-এর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেবল জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিকেও বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।” এছাড়াও, ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের সময় সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় আমেরিকা। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

    কারা এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’?

    হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার অধীনে কাজ করা একটি শাখা সংগঠন হল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ২০১৯ সাল থেকে সংগঠনটি সক্রিয়। জম্মু-কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক, কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সাধারণ মানুষের উপর একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও TRF-এর উপর বর্তেছে। এমনকি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও তাদের যোগ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০২৩ সালেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

  • Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    Satyajit Ray’s House Demolish: ‘সত্যজিতের পৈতৃক বাড়ি রক্ষায় সাহায্য করতে ইচ্ছুক ভারত’, বাংলাদেশকে জোরালো বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি বাংলার নবজাগরণের প্রতীক। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সরকারকে মনে করিয়ে দিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। এই বাড়ি সংরক্ষণ, সংস্কার এবং মেরামতের জন্যে ভারত সরকার সব রকমের সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ভাঙা হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। সমাজ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর হয় ভারত। ঢাকাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা যেন এই ঐতিহাসিক বাড়ি না ভাঙে। প্রয়োজনে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণে সাহায্য করবে দিল্লি।

    উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতে

    বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি। এটি সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা তথা সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি ছিল। উপেন্দ্রকিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে এই বাড়িতেই। তবে ইউনূস সরকার বর্তমানে এই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে। ভারত সরকারের তরফে এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে যোগকে উল্লেখ করে বলা হয় যে এই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। তার বদলে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করে সাহিত্য়ের মিউজিয়াম গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যা দুই দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধকেই তুলে ধরবে।

    ভারত-সরকার সংরক্ষণে সহায়তা করতে প্রস্তুত

    ভারত সরকারের তরফে সত্য়জিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে সংস্কারের কাজে সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলে, ‘আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি, যা তাঁর পিতামহ ও প্রখ্যাত সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ছিল, তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’ এর পরেই বিবৃতিতে বাড়িটি রক্ষা করার আবেদন জানায় ভারত সরকার। সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলার সাংস্কৃতিক নবজাগরণের প্রতীক। তাই এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে বাড়িটি মেরামত ও সংস্কার করে একে সাহিত্য জাদুঘর ও ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে রক্ষা করাই শ্রেয়। এই উদ্দেশ্যে ভারত সরকার সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।’

    একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি

    বাংলার স্বনামধন্য রায় পরিবারের এই বাড়িটি বাংলাদেশের ঢাকার হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত। হরিকিশোর রায় চৌধুরী নিজে উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার এবং সত্যজিতের পূর্বপুরুষ ছিলেন। শশী লজের ঠিক পিছনে অবস্থিত বাড়িটি, এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। প্রায় একশো বছরের পুরোনো এই বাড়ি। বাংলাদেশের পুরাতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাড়িটি সেদেশের সরকারের হাতে আসে। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সেনাশাসক হুসেন মহম্মদ এরশাদের সময় ওই ভবনটি ব্যবহার শুরু করেছিল শিশু অ্যাকাডেমি। তবে সম্প্রতি জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে অ্যাকাডেমির কাজও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০০৭-এর পর থেকে বাড়িটি অব্যাবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।

    বাংলাদেশ সরকারের যুক্তি

    শতাব্দীপ্রাচীন এই বাড়িটি এখন জরাজীর্ণ তাই এটি একেবারে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনূস সরকার। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ বাড়িটিই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঢাকার শিশু বিষয়ক আধিকারিক মহম্মদ মেহেদি জামান বাংলাদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টারকে জানান যে, বিগত ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাড়িটি যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। তিনি জানান, এর জায়গায় সেমি-কংক্রিটের একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে। তাঁর কথায়, এই বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তবে নিয়ম মেনেই বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের একাংশ। তাঁদের মতে, সরকারের উচিত ছিল আগে থেকেই বাড়িটি মেরামত করা। সেটি না করে তারা এখন পুরোটাই ভেঙে ফেলতে চাইছে। বাড়িটি ভেঙে ফেললেও যেন একই আদলে তৈরি করা হয় সেই দাবিও উঠেছে।

    ইউনূস-জমানায় আক্রান্ত সংস্কৃতি

    হাসিনা সরকারের পতন এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সরকার গঠনের পর থেকেই ওপার বাংলায় সাহিত্যিক থেকে সঙ্গীতশিল্পী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িঘর হামলার মুখে পড়েছে। মাস খানেক আগেই বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। এবার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িও ভাঙার মুখে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে দুই বাংলার মানুষের মনে। ভারত সরকার বিষয়টির নিন্দা করে বাড়ি রক্ষণে সবরকম সহযোগিতার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ইউনূস-সরকার এই বাড়ির গুরুত্ব বুঝবে কি না তা সময় বলবে।

  • India Energy: দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশই অজীবাশ্ম জ্বালানি থেকে! ‘ঐতিহাসিক’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    India Energy: দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশই অজীবাশ্ম জ্বালানি থেকে! ‘ঐতিহাসিক’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি ঘোষণা করেছেন যে, বর্তমামনে ভারত (India Energy) দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৫০ শতাংশ এখন আসছে অজীবাশ্ম জ্বালানির উৎস (non-fossil fuel) থেকে। প্রসঙ্গত, এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০৩০ সাল। তবে পাঁচ বছর আগেই, ২০২৫ সালেই ভারত এই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

    এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রী

    এই উপলক্ষে নিজের এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি ঘটনাটিকে “ঐতিহাসিক” আখ্যা দেন এবং এর কৃতিত্ব দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়েছেন। ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত, ভারতে মোট স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৪৮৪.৮ গিগাওয়াট, যার মধ্যে ২৪২.৮ গিগাওয়াট অজীবাশ্ম জ্বালানি উৎস (non-fossil fuel) থেকে আসে। এর মধ্যে ১৮৪.৬ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস (সৌর, বায়ু, জৈব শক্তি প্রভৃতি) থেকে। ৪৯.২ গিগাওয়াট বৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে, এবং ৮.৭ গিগাওয়াট পারমাণবিক শক্তি থেকে আসে।

    প্রধানমন্ত্রী কুসুম এবং পিএম সূর্য ঘর

    মন্ত্রী জানান, ভারতের বিদ্যুৎ (India Energy) খাতে অজীবাশ্ম জ্বালানির অংশ বৃদ্ধির পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ‘প্রধানমন্ত্রী কুসুম’ (PM-KUSUM) এবং ‘পিএম সূর্য ঘর’ (PM Surya Ghar) প্রকল্পগুলির মাধ্যমে দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রামীণ পরিবার এবং কৃষকদের জন্য সৌরশক্তি সহজলভ্য হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন তাঁদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগও তৈরি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষেত্রেও সৌর পাম্পের ব্যবহার যেমন সেচ খরচ কমিয়েছে, তেমনই নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ তাদের উৎপাদনশীলতাও বাড়িয়েছে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয়, গ্রামীণ ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়ন—উভয়ই সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। এর পাশাপাশি সৌর পার্ক, জৈব শক্তি এবং ভবিষ্যতে কৃত্রিম মেধা (AI)-র প্রয়োগ জ্বালানির পরিকাঠামোতেও গভীর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ইন্টেলিজেন্ট এনার্জি মার্কেটপ্লেস, স্মার্ট মিটার, এবং ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্ট সম্ভব হচ্ছে। তবে, প্রহ্লাদ জোশি সতর্ক করে দিয়েছেন, এ সব কিছুর মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে (India Energy) সাইবার নিরাপত্তাকে। কারণ ভবিষ্যতের জ্বালানি ব্যবস্থার ডিজিটাল নির্ভরতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার ঝুঁকিও বাড়বে।

  • Nimisha Priya: আপাতত পিছিয়ে গেল ইয়েমেনে কেরলের নার্সের ফাঁসি

    Nimisha Priya: আপাতত পিছিয়ে গেল ইয়েমেনে কেরলের নার্সের ফাঁসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ইয়েমেনে (Yemen) ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল কেরলের মেয়ে পেশায় নার্স নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya)। তার ঠিক একদিন আগে এল চমকে দেওয়ার মতো খবর। জানা গিয়েছে, আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের তারিখ। প্রিয়াকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছিল ভারত। ফাঁসির ঠিক একদিন আগে মঙ্গলবার আসরে নেমে পড়েন সুন্নি মৌলানা কান্থাপূরম এপি আবুবাকার মুসলিয়ার। তিনি ‘গ্র্যান্ড মুফতি অফ ইন্ডিয়া’ নামেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, ইয়েমেনের তালাব আবদো মাহাদির নামে যে নাগরিককে খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা হয়েছে প্রিয়ার, তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন ওই মৌলানা। ‘ব্লাড মানি’ নিয়ে প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

    ময়দানে ‘গ্র্যান্ড মুফতি অফ ইন্ডিয়া’ (Nimisha Priya)

    বছর চুরানব্বইয়ের এই মৌলানা ইয়েমেনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেও কথা বলেছেন। মঙ্গলবার ধামার এলাকায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত তথা সুফি নেতা শেখ হাবিব উমর বিন হাফিজাও। মৌলানার অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিহতের এক আত্মীয় হুদেইয়া স্টেট কোর্টের বিচারক। তিনি ইয়েমেনি সুরা কাউন্সিলেরও সদস্য। ধামারের বৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। ফলে সেই আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে প্রিয়াকে ক্ষমা করে দেওয়ার আর্জি রাখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ওই মৌলানা। তাঁর দেখা করার কথা সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও। যাতে কোনওভাবে অন্তত প্রিয়ার ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়া যায়। ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে গেলে ব্লাড মানি জোগাড় করার সময় মিলবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই মর্মেই ইয়েমেন সরকার আপাতত (Nimisha Priya) স্থগিত করেছে কেরলের নার্সের ফাঁসি।

    ‘ব্লাড মানি’

    প্রসঙ্গত, নিহতের পরিবার ধামার গোষ্ঠীর সদস্য। এতদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কথা বলার কোনও উপায় ছিল না। এই প্রথম মৌলানার হস্তক্ষেপে প্রিয়ার হয়ে আর্জি জানানো সম্ভব হল। ‘ব্লাড মানি’ হল এমন এক ধরনের ক্ষতিপূরণ যা একজন অপরাধী সাধারণত খুনি, যাঁকে খুন করেন, তাঁর পরিবার কিংবা আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে থাকে। ইয়েমেনে (Yemen) এটি একটি আইনি প্রথা যেখানে রক্তের প্রতিশোধের পরিবর্তে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় (Nimisha Priya)।

  • S Jaishankar: ‘ভারত-চিন বাণিজ্যে যেন কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা না আসে’, ওয়াং ই-কে সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: ‘ভারত-চিন বাণিজ্যে যেন কোনও রকম প্রতিবন্ধকতা না আসে’, ওয়াং ই-কে সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলতে চলেছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ! সোমবার বেজিংয়ে চিনা (China) বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ওই বৈঠকে বাধাদানকারী বাণিজ্যিক পদক্ষেপ ও রাস্তায় থাকা বিভিন্ন বাধা সরানোর আহ্বানও জানান তিনি। জয়শঙ্কর দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস গড়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। কারণ দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনার পর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে দুই দেশই।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    জয়শঙ্কর বলেন, “এই প্রসঙ্গে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে দুই দেশের বাণিজ্যে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা বা প্রতিবন্ধকতা যেন আরোপ না করা হয়। আমি আশা করি, এই বিষয়গুলি নিয়ে আরও বিশদে আলোচনা করতে পারব।” তিনি জানান, গত ন’মাসে উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছে। জয়শঙ্করের এই চিন সফর হচ্ছে পাঁচ বছর পরে, ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর। ওই সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তার মারাত্মক প্রভাব পড়েছিল ভারত-চিন সম্পর্কের ওপর।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক

    প্রসঙ্গত, জয়শঙ্করের ওই মন্তব্য এমন একটা সময়ে এল যখন চিন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সার-সহ ভারতের বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে নানা প্রতিবন্ধকতারও সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “গত ন’মাসে আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ভালো অগ্রগতি করেছি। এটি সীমান্তে উত্তেজনার অবসান এবং সেখানে শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার ফল।”  তিনি বলেন, এই হল পারস্পরিক কৌশলগত আস্থার মৌলিক ভিত্তি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মসৃণ বিকাশের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এখন আমাদের দায়িত্ব সীমান্ত-সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ের মোকাবিলা করা, যার মধ্যে রয়েছে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টিও।”

    চিনের সংবেদনশীল খাতগুলিতে রফতানি নিয়ন্ত্রণের নাম না করে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, “ভবিষ্যতের সহযোগিতা নির্ভর করবে উভয় পক্ষই বাণিজ্যিক সীমাবদ্ধতা থেকে সরে আসে কি না, তার ওপর। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ স্বাভাবিক করার জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলি নিশ্চিতভাবেই পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতা বাড়াতে পারে (China)। একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হল বাণিজ্যে সীমাবদ্ধতা এবং প্রতিবন্ধকতা এড়ানো।”

  • Indian Railways: যাত্রী সুরক্ষায় বজ্র আঁটুনি! রেলের সব কামরায় বসছে সিসি ক্যামেরা

    Indian Railways: যাত্রী সুরক্ষায় বজ্র আঁটুনি! রেলের সব কামরায় বসছে সিসি ক্যামেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী সুরক্ষার (Passengers Safety) পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের ধরতে এবার ট্রেনের সব কামরাতেই সিসি ক্যামেরা লাগাতে চলেছে রেল (Indian Railways)। রবিবার রেলমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে। উত্তর রেলের আওতায় থাকা লোকো ইঞ্জিন এবং কামরায় পরীক্ষামূলকভাবে সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। সেখানে ইতিবাচক সাড়া মিলতেই এবার রেলের সব জোনের কামরা ও লোকো ইঞ্জিনে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক।

    খতিয়ে দেখলেন রেলমন্ত্রী (Indian Railways)

    শনিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং রেল প্রতিমন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টু ট্রেনের কামরা এবং লোকো ইঞ্জিনগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ খতিয়ে দেখেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রেলবোর্ডের কর্তারাও। জানা গিয়েছে, অশ্বিনী বৈষ্ণবের মন্ত্রক খুব শীঘ্রই ১৫ হাজার লোকো ইঞ্জিন এবং ৭৪ হাজার কোচে সিসি ক্যামেরা লাগাবে। প্রতিটি কোচে থাকবে ৪টি করে সিসি ক্যামেরা। আর লোকোমোটিভে থাকবে ৬টি। রবিবার রেলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে যাত্রীসুরক্ষার বিষয়টি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে। যাত্রীদের সারল্যের সুযোগ নেয় দুষ্কৃতীরা। সিসি ক্যামেরার সাহায্যে এই ধরনের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে কমানো যাবে। রেলের তরফে এও জানানো হয়েছে, যাত্রীদের ব্যক্তিগত পরিসর সুরক্ষিত রাখতে ক্যামেরা লাগানো হবে কেবল কামরায় ঢোকার মুখে।

    গম্বুজ সিসিটিভি

    রেল সূত্রে খবর, লোকোমোটিভের ভেতরে, সামনে এবং পিছনের দিকে একটি করে গম্বুজ সিসিটিভি থাকবে। দুটি ডেস্ক মাউন্ট করা মাইক্রোফোনও থাকবে। রেলের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “ট্রেনের বগিতে দুর্বৃত্তদের ঠেকাতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলের সব জোনের কোচে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Indian Railways)।” ঘণ্টা প্রতি ১০০ কিলোমিটার গতিতে এবং কম আলোয়ও স্পষ্ট ফুটেজ দেখাবে এই উচ্চমানের ক্যামেরাগুলি। রেল সূত্রে খবর, উন্নতমানের ও আধুনিক এসটিকিউসি সার্টিফায়েড সিসি ক্যামেরায় বাড়তি জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের রেলমন্ত্রীর নির্দেশ, এমন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো (Passengers Safety) হোক যা এআই-পাওয়ার্ড এবং ঘণ্টা প্রতি ১০০ কিলোমিটার গতিবেগেও স্থিতিশীল ভিডিও তুলতে পারে (Indian Railways)।

LinkedIn
Share