Tag: India

India

  • Germany: আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে সবার! অপারেশন সিঁদুরকে সরাসরি সমর্থন জার্মানির

    Germany: আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে সবার! অপারেশন সিঁদুরকে সরাসরি সমর্থন জার্মানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) ইস্যুতে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিল জার্মানি (Germany)। এপ্রসঙ্গে জার্মানির বার্তা, যে কোনও দেশেরই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।

    কী বললেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী?

    শুক্রবারই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায় জার্মানির (Germany) বিদেশমন্ত্রী জোহান ওয়াডেফুলকে। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘২২ এপ্রিল ভারতের পহেলগাঁও ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলায় আমরা আতঙ্কিত। সাধারণ বাসিন্দাদের উপর এই হামলার তীব্র নিন্দা করি আমরা। দুই তরফে সামরিক হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করার সবরকম অধিকার রয়েছে ভারতের।’’ একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে শান্তিরক্ষার জন্যও সওয়াল করেছেন জার্মানির বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘শান্তি যাতে বজায় থাকে, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটাই। দ্বিপাক্ষিক সমাধান মেলার জন্য আলোচনা চলতে পারে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ও পারস্পরিক সহযোগিতা পরিকল্পনায় নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত ও জার্মানি।’’ যুদ্ধ বিরতিকেও সমর্থন করেছেন তিনি।

    কী বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী?

    জার্মানির (Germany) বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জয়শংকর বলেন, ‘‘পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় যে প্রত্যুত্তর দিয়েছে ভারত, তার ঠিক পরেই আমি বার্লিনে এসেছি। আপনাদের জানাতে চাই যে ওই বিষয়টা নিয়ে আমি মিস্টার ওয়েডফুলকে (Operation Sindoor) বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি আছে ভারতের। আর ভারত কখনও পারমাণবিক (অস্ত্র নিয়ে) ব্ল্যাকমেলের কাছে নতিস্বীকার করবে না।’’ প্রসঙ্গত, দিল্লির তরফে বার বারই স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে কাশ্মীর ইস্যুতে এবং ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একমাত্র দ্বিপাক্ষিক আলোচনার রাস্তাতেই থাকতে চায় ভারত। শুক্রবার জার্মানিতে সাংবাদিক সম্মেলনেও ফের একবার স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রসঙ্গত, ত্রিদেশীয় ইউরোপ সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সফরের অংশ হিসেবে তাঁর এই জার্মানি সফর। সেখানেই এক সাংবাদিক বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী।

  • IMF: চলতি বছরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত!

    IMF: চলতি বছরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির জমানায় তরতরিয়ে চড়ছে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পারা। ব্রিটেনকে ষষ্ঠস্থানে ঠেলে দিয়ে বছর দুয়েক আগেই ভারত (India) দখল করেছিল বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির পঞ্চম স্থানটি। এই স্থানটিতে দীর্ঘদিন ধরে ছিল রাজার দেশ। ২০১৪ সালে (IMF) প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই ব্রিটেনকে সরিয়ে পঞ্চম স্থানে চলে আসে মোদির ভারত। তারপরেই চতুর্থ স্থানে থাকা জাপানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে  ভারত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারের (আইএমএফ) দাবি, চলতি বছরই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় চতুর্থ স্থানে চলে আসবে ভারত।

    আইএমএফের প্রতিবেদন (IMF)

    আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী বছর ভারতের নমিনাল জিডিপি পৌঁছবে ৪,১৮৭.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এটি থাকবে জাপানের নমিনাল জিডিপি ৪,১৮৬.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামান্য ওপরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রাভান্ডারের (IMF) পূর্বাভাস, ভারত আগামী দু’বছর ধরে ৬ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলির মধ্যে সব চেয়ে দ্রুতগতিতে বিকাশমান দেশ হিসেবে থাকবে। উল্টে দিকে, জাপানে ২০২৫ ও ২০২৬ – এই দুই বছরেই মাত্র ০.৬ শতাংশ হারে মন্দার প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ বৈশ্বিক বাণিজ্যের মন্দা তাদের রফতানি নির্ভর অর্থনীতিতে চাপ ফেলছে। ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক গতি সম্ভবত তাকে গ্লোবাল র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও ওপরে তুলে নিয়ে যাবে।

    বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ

    ২০২৮ সালের মধ্যে ভারতের জিডিপি ৫,৫৮৪.৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হয়েছে, যা তাকে জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ করে তুলবে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বর্তমানে চতুর্থ স্থানে থাকা জার্মানি বর্তমানে চলা বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে ইউরোপের সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তগুলির একটি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইএমএফের পূর্বাভাস, ২০২৫ সালে জার্মানির প্রবৃদ্ধি শূন্য থাকবে এবং ২০২৬ সালে সামান্য উন্নতি করে ০.৯ শতাংশ হবে। ২০২৮ সালের মধ্যে জার্মানির জিডিপি ৫,২৫১.৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে অনুমান।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালে ৩০,৫০৭.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আনুমানিক জিডিপি নিয়ে (IMF) বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে তার অবস্থান ধরে রাখবে। চিন থাকবে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তার জিডিপি অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে ১৯,২৩১.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার জানিয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের এক তরঙ্গ শুরু করেছে। তাই তাদের অর্থনীতিতে মন্দার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির হার ১.৮ শতাংশে এবং ২০২৬ সালে ১.৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে (India)।

    মন্থর প্রবৃদ্ধি!

    ইউরোজোন এলাকায়ও মন্থর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি মাত্র ০.৮ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং ২০২৬ সালে তা সামান্য বেড়ে ১.২ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রবৃদ্ধি আগামী দুবছরে যথাক্রমে ০.৬ শতাংশ এবং ১ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস (IMF)। স্পেন তার অন্যান্য ইউরোপীয় অংশীদারদের চেয়ে ভালো পারফর্ম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালে তার প্রবৃদ্ধির হার হবে ২.৫ শতাংশ। তবে ২০২৬ সালে এটি হ্রাস পেয়ে ১.৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। একই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ১.১ শতাংশ এবং ১.৪ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    আইএমএফের রিপোর্টে আর্থিক বৃদ্ধির হার 

    আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ২.১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪.৩ লাখ কোটি ডলার। গত ১০ বছরে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ১০৫ শতাংশ। কিন্তু জাপানের ক্ষেত্রে তা হয়নি। বর্তমানে বিশ্বে অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত (IMF)। শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই রয়েছে চিন, জার্মানি এবং জাপান। এই বৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৫ সালেই জাপানকে পিছনে ফেলে দেবে নরেন্দ্র মোদির ভারত। শুধু তাই নয়, ২০২৭ সালে জার্মানির অর্থনীতিকে টপকে যাওয়ারও সমূহ সম্ভাবনা (India)। ডব্লিউইও-এর এপ্রিল ২০২৫ সংস্ককরণ বলছে, জানুয়ারি ২০২৫ সালের আপডেটের তুলনায় একটি নিম্নমুখী সংশোধন দেখানো হয়েছে। এটি বর্ধিত বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উত্তেজনা ও ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার প্রভাব প্রতিফলিত করে। এদিকে, আইএমএফ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক কম হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।

    শুল্কযুদ্ধের মধ্যে ২০২৫ সালের জন্য জাপানের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আন্তর্জাতিক এই সংস্থা জাপানের জন্য তার পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। ২০২৫ সালের পূর্বাভাস জানুয়ারিতে ১.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৬ শতাংশ করেছে। এই হ্রাস অর্থনৈতিক (India) কর্মদক্ষতার ওপর মার্কিন শুল্কের প্রত্যাশিত নেতিবাচক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে (IMF)।

  • Agniveer: জীবনের প্রথম অগ্নিপরীক্ষায় সফল ৩ হাজার অগ্নিবীর, পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে তাঁদের অবদান কতখানি, জানেন?

    Agniveer: জীবনের প্রথম অগ্নিপরীক্ষায় সফল ৩ হাজার অগ্নিবীর, পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে তাঁদের অবদান কতখানি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চালায় ভারত। ভারতীয় সেনা এই অপারেশনে পাকিস্তানকে কাবু করে ফেলে। এই অপারেশনে সেনাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন অন্তত ৩ হাজার অগ্নিবীরও (Agniveer)। এঁদের প্রায় সকলের বয়সই কুড়ির কোঠায়। গত দু’বছরের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁরা।

    অগ্নিবীরদের ভূমিকা (Agniveer)

    ৭ থেকে ১০ মে-র মধ্যে একাধিক ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি, বিমান ঘাঁটি এবং শহরগুলিতে পাকিস্তান একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালালেও অগ্নিবীরদের হাঁটু কাঁপেনি। চার দিনের সামরিক সংঘর্ষের সময়ে বিভিন্ন ভূমিকায় সম্মানের সঙ্গে নিজেদের প্রমাণ করেছেন তাঁরা। এ বার অন্তত অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে বিতর্কের অবসান হওয়া উচিত বলে মনে করছেন সেনাকর্তারা। জানা গিয়েছে, এয়ার ডিফেন্স ইউনিটে চারটি প্রধান পেশায় বিশেষজ্ঞ অগ্নিবীরদের মোতায়েন করা হয়েছিল – গোলন্দাজ, ফায়ার কন্ট্রোল অপারেটর, রেডিও অপারেটর এবং কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র-সহ ভারী সামরিক যানবাহনের চালক। সেনা সূত্রে খবর, প্রতিটি ভূমিকায়ই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন অগ্নিবীররা।

    অগ্নিবীরদের অবদান

    সেনা সূত্রে খবর, পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছিল যে এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলি তার প্রতিটিতে ১৫০-২০০ জন করে অগ্নিবীর ছিলেন। দেশীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশতীর পরিচালনার ভার ছিল তাদের হাতে। সংঘর্ষের সময় ভারতের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই আকাশতীর। সেনা সূত্রে খবর, অগ্নিবীররা যথারীতি নিয়মিত সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে রেখে চালানো যায় এমন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে শত্রুপক্ষের টার্গেট ধ্বংস করেছে। এল-৭০ এস, জেডইউ ২৩-২বি’র মতো কামান, পেচোরা, শিলকা, ওসাক, স্ট্রেলা এবং তুঙ্গুস্কা অস্ত্র ব্যবস্থা পরিচালনা করেছে। বিভিন্ন ধরণের রেডার পরিচালনা করেছে। যাঁরা সামরিক যান চালানোর দায়িত্বে ছিলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করার পরে তাঁরাও সৈন্য হিসেবে কাজ করেছেন (Agniveer)।

    প্রসঙ্গত, অগ্নিবীর পদে নিয়োগ নিয়ে মোদি সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন বিরোধীরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে বিরোধীদের মুখের মতো জবাব দিয়েছেন অগ্নিবীররা। সূত্রের খবর, অগ্নিবীররা এই প্রথমবার যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির (Operation Sindoor) মুখোমুখি হয়েছিলেন। সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁরা দুরমুশ করে দিয়েছেন পাক সেনাদের (Agniveer)।

  • S Jaishankar: “দিনের আলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছে জঙ্গিরা, সব জানে পাক সরকার”, বিস্ফোরক জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “দিনের আলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছে জঙ্গিরা, সব জানে পাক সরকার”, বিস্ফোরক জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কুখ্যাত জঙ্গিরা সকলে পাকিস্তানেই (Pakistan) রয়েছে। দিনের আলোয় তারা বড় শহরগুলিতে সক্রিয়। তাদের ঠিকানা সকলেই জানেন। তাদের কাজকর্মও সকলেই জানেন। ওদের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে, তাও সকলের জানা। তাই পাকিস্তান জড়িত নয়, এটা বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। এই রাষ্ট্রও জড়িত। তাদের সেনাও জড়িত।” এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে গেলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তার পরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, “পাকিস্তান এই জঙ্গি হামলা বন্ধ না করলে ফল ভুগতে হবে।”

    জয়শঙ্করের প্রশ্ন (S Jaishankar)

    পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, বিশ্বের দরবারে তা তুলে ধরতে পৃথিবীর ৩৩টি দেশে ঘুরবে ভারতের ৭টি প্রতিনিধি দল। এহেন আবহে নেদারল্যান্ডসে রয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানকার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের শহরে দিনের আলোয় জঙ্গিরা ঘুরে বেড়ায়। সে দেশে জঙ্গিদের ঠিকানা সকলেই জানেন। পাকিস্তান সরকারের অজান্তে এটা কি আদৌ সম্ভব?” ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে দেশগুলির সঙ্গে ভারত বাণিজ্য করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল নেদারল্যান্ডস। দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করতেই নেদারল্যান্ডস সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র। আমি এ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি না, বিবৃতি দিচ্ছি।” এ বিষয়ে পাক সরকার যে অবহিত, তাও ফাঁস করে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ধরা যাক, “আমস্টারডামের মতো শহরের মধ্যভাগে সেনাকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ সেনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আর আপনার সরকার কিছু জানে না, এটা কি বলতে পারেন? অবশ্যই নয়।”

    পহেলগাঁও হামলার কথা

    জয়শঙ্করের সাক্ষাৎকারে অনিবার্যভাবেই উঠে আসে পহেলগাঁও হামলার কথা। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “ওই ঘটনায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। বেশিরভাগই পর্যটক। জঙ্গিরা কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পকে নিশানা করেছে। নিজেদের স্বার্থে তারা কাশ্মীরের জিনিস ধ্বংস করছে। ইচ্ছা করেই হামলার সঙ্গে ধর্মীয় বিষয়ও জড়িয়ে দিয়েছে। এ ধরনের কাজকে গোটা বিশ্বের মেনে নেওয়া উচিত নয়।”

    তবে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কাশ্মীর বিষয়ক আলোচনার যে কোনও সম্পর্ক নেই, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। ভারত যে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানবে না, তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে বসে আমরাই কথা বলব।”

  • China: নেপথ্যে চিন, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি সক্রিয় করছে বাংলাদেশ! ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে কি?

    China: নেপথ্যে চিন, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি সক্রিয় করছে বাংলাদেশ! ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে জব্দ করতে চিনের (China) সঙ্গে সখ্যতা গড়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের লালমনিরহাট (Lalmonirhat) জেলায় একটি বিমানঘাঁটি নির্মাণ করছে চিন। বাংলাদেশের এই জেলাটি ভারতের ‘চিকেন’স নেক’ থেকে ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলারও খুব কাছে ওই বিমানঘাঁটি। কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল এই এলাকা। এহেন পরিস্থিতিতে চিনকে এই এলাকায় বিমানঘাঁটি নির্মাণের অনুমতি দিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, চিনা কর্তারা সম্প্রতি লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও বাংলাদেশি বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে চিনা কর্তাদের সফরের খবর পেয়েছে।

    ব্রিটিশ আমলে তৈরি (China)

    লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি বাংলাদেশের রংপুরে অবস্থিত। এটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৩১ সালে। ব্রিটিশ সরকার একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে এটি নির্মাণ করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনী পূর্ব ফ্রন্টে তাদের অভিযানের জন্য এটিকে ব্যবহার করেছিল একটি ফরওয়ার্ড বিমানঘাঁটি হিসেবে। এটি মিত্রবাহিনীর জন্য একটি ফরওয়ার্ড বিমানঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হত। এই বাহিনীই পূর্ব ফ্রন্টে জাপানি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল।

    অসামরিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার চেষ্টা

    তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই বিমানঘাঁটিকে (China) একটি অসামরিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার চেষ্টা করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস চিনকে এটিকে অসামরিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার জন্য অনুরোধ করেছেন (Lalmonirhat)। গত মাসে চিন সফরে গিয়ে তিনি এই বিষয়টি তুলে ধরেন। সেই সময় তিনি বিতর্কিত একটি মন্তব্যও করেছিলেন। ইউনূস বলেছিলেন, “বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য সহ সমগ্র অঞ্চলের সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।” বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন হলেও, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে প্রায় নিষ্ক্রিয় রয়েছে এই বিমানঘাঁটিটি। চিনের সাহায্যে এটাকেই এখন বিমানবন্দরে উন্নীত করতে চাইছে ইউনূস সরকার। কেবল এটিই নয়, ব্রিটিশ আমলের আরও পাঁচটি বিমানবন্দরকে পুনরুজ্জীবিতও করতে চাইছে তারা।

    এয়ারবেসের রাশ

    ১ হাজার ১৬৬ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই এয়ারবেসে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। রয়েছে একটি বিশাল টারম্যাকও। এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হয়নি। তবে এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগত সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এই এয়ারবেসের রাশ চলে যায় পাকিস্তানের হাতে। ১৯৫৮ সালে কিছু সময়ের জন্য এটিকে ফের অসামরিক ব্যবহারের জন্য চালু করা হয়। তার পর এটি আবার পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন কালে এই বিমানঘাঁটির একটি অংশ বাংলাদেশ অ্যারোস্পেস অ্যান্ড অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটি তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অধীনে পরিচালিত হয়। এই উন্নয়ন সত্ত্বেও বিমানঘাঁটির সামরিক ও কৌশলগত সম্ভাবনা সাম্প্রতিক পুনরুজ্জীবনের প্রস্তাবের আগে পর্যন্ত অনাবিষ্কৃতই থেকে গিয়েছিল। শিলিগুড়ি করিডরের কৌশলগত গুরুত্বকে অবহেলা করা যায় না। এটি একটি সংকীর্ণ এলাকা। তাই যে কোনও ব্যাঘাত ঘটলেই ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে (Lalmonirhat)।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে চিন (China) ভারতের সামরিক চলাচলের উপর নজরদারি করতে পারে বা শিলিগুড়ি করিডরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। চিনের এই ধরনের কাজকর্মের ফলে দুর্বল হয়ে যেতে পারে ভারতের গোপন সামরিক তৎপরতা এবং গতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষমতা। বিশেষ করে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর চিন-ভারতের মধ্যে চলা সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চিন-তাইওয়ান স্টাডিজের গবেষক কল্পিত মানকিকার বলেন, “একটি বিষয় নিশ্চিত যে চিনের ওই অঞ্চলের জন্য সুস্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। এতদিন সেই পরিকল্পনাগুলি হয়তো নিষ্ক্রিয় ছিল কারণ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। কিন্তু এখন, সরকার পরিবর্তনের পর এবং মহম্মদ ইউনূসের খোলাখুলি প্রস্তাব যে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে একটি ‘ফাউন্টেনহেড’ হতে পারে। এটা যে চিনের জন্য একটি অত্যন্ত লোভনীয় একটি প্রস্তাব হয়ে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য।”

    তিনি বলেন, “আমরা এখনও জানি না প্রকল্পটির জন্য চিনের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা কী। তবে এটি ভারতের বাকি অংশ থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অসামরিক (China) ও সামরিক চলাচল নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে।” প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি করিডরের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হলে তা শুধু ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতার জন্যই নয়, বরং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতের (Lalmonirhat) অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরও গভীর প্রভাব পড়তে পারে। বস্তুত, এই অঞ্চলটি ইতিমধ্যে জাতিগত ও বিচ্ছিন্নতাবাদী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি (China)।

  • Operation Sindoor: “সিঁদুর এখন বারুদে পরিণত,” রাজস্থানের সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Operation Sindoor: “সিঁদুর এখন বারুদে পরিণত,” রাজস্থানের সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা যে সিঁদুর ব্যবহার করি, তা এখন বারুদে পরিণত হয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে।” রাজস্থানের বিকানেরে বৃহস্পতিবার এক জনসমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে প্রত্যাশিতভাবেই আসে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রসঙ্গ। তার আগে আসে ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গও। ওই দিন বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এর ঠিক পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের ঘাঁটি।

    সিঁথির সিঁদুর (Operation Sindoor)

    এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা সেদিন সিঁথির সিঁদুর মুছে দিতে এসেছিল, তাদের আমরা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছি।” তিনি বলেন, “সেদিন জঙ্গিরা পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে মেরেছিল, মুছে দিয়েছিল মহিলাদের সিঁথির সিঁদুর। জঙ্গিদের ছোড়া সেই গুলি কেবল পহেলগাঁওয়ের মাটিতেই লাগেনি, লেগেছিল ১৪০ কোটির হৃদয়ে। কিন্তু যারা ভেবেছিল ভারত চুপ করে থাকবে, তারা আজ নিজেদের ঘরে লুকিয়ে আছে, আর যারা অস্ত্রে ভরসা করত, তারা আজ নিজেদের ঘরে লুকিয়ে রয়েছে, তারা আজ তাদেরই ধ্বংসস্তূপের নীচে। প্রতিটি রক্তফোঁটার দাম আদায় করে নিয়েছে ভারত।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সঙ্কল্প নিয়েছিলাম যে আমরা সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করব। আমরা তাদের কল্পনার চেয়েও বড় শাস্তি দেব। সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে। আজ, আপনাদের আশীর্বাদ এবং দেশের সেনাবাহিনীর সাহসিকতায় আমরা সকলেই তা পূরণ করতে পেরেছি। আমাদের সরকার তিন সেনাকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছিল। তিন সেনা মিলে ওদের নাস্তানাবুদ করেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “তিন বাহিনী মিলে এমন একটি চক্রব্যূহ তৈরি করেছে যে পাকিস্তানকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়েছে।”

    এই ভারত আগের ভারত নয়

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ভারত আগের ভারত নয়। এখনকার ভারত প্রতিশোধ নিতে জানে – তা যেমন কূটনৈতিকভাবে, সেমনই সামরিকভাবেও।” তিনি বলেন, “মাত্র ২২ মিনিটের মাথায় সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করে দেয় আমাদের সেনা। যার জেরে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। এটাই নতুন ভারতের জবাব। এটাই অপারেশন সিঁদুর।” জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে মোদি সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেনাকে সম্পূর্ণ ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে। তিন বাহিনী এমন একটা চক্রব্যূহ তৈরি করেছিল যে পাকিস্তান পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। যারা আগুন জ্বালাতে এসেছিল, তারাই এখন ছাইয়ের নীচে।”

    ২২ তারিখের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২২ তারিখের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে আমরা জঙ্গিদের ৯টি ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছি (Operation Sindoor)। ২২ তারিখে ধর্ম বেছে বেছে খুন করা হয়েছে। দেশের শত্রুরা দেখে নিয়েছে, সিঁদুর যখন বারুদে পরিণত হয়, তখন ফল কী হয়!” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা প্রতিশোধ নয়, এটা ন্যায়ের নয়া রূপ (PM Modi)। এটা আক্রোশ নয়, এটা সমগ্র ভারতের প্রত্যয়। এটাই ভারতের নয়া স্বরূপ। আগে ঘরে ঢুকে আঘাত করেছিলাম। এখন সোজা বুকে আঘাত করেছি। এরপর আর ভারতে কোনও হামলা হলে আরও কড়া জবাব দেওয়া হবে। এর পরেও সময় ঠিক করবে সেনা, আঘাতের উপায়ও ঠিক করবে তারাই।” পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার ভয় দেখানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পারমাণবিক বোমার এই ভুয়ো ভয়ে ভারত আর ভীত হবে না। আতঙ্কের গুরু এবং সন্ত্রাসকে সাহায্য করা সরকারকে আমরা আলাদা আলাদা করে দেখব না। আমরা তাদের একই হিসেবে দেখব। তাদের এই স্টেট, নন-স্টেটের খেলা আর চলবে না। গোটা বিশ্বে তাদের মুখোশ খোলার জন্য আমরা দল পাঠিয়েছি। আমরা এখন গোটা বিশ্বকে পাকিস্তানের আসল চেহারা দেখাব।”

    বীরভূমি রাজস্থান

    তিনি (PM Modi) বলেন, “পাঁচ বছর আগে যখন বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক হয়েছিল, তখন আমার প্রথম জনসভা হয়েছিল রাজস্থানে। এটা বীরভূমি। অপারেশন সিঁদুরের পরেও আমার প্রথম জনসভা হল বীরভূমি রাজস্থানের বিকানেরে (Operation Sindoor)।” এদিন বিকানের সফরে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন নাল এয়ার ফোর্স স্টেশনে। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন এখানেই হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই হামলা সফলভাবে প্রতিহত করে ভারতীয় বাহিনী। সেখানে সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী, প্রশংসা করেন ভারতীয় বাহিনীর মনোবলের। এদিন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় পুনর্নির্মিত দেশনোক স্টেশন। এর পাশাপাশি, তিনি উদ্বোধন ও সূচনা করেন ২৬ হাজার কোটি টাকার একাধিক রেল প্রকল্পের (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে চুরু-সাদুলপুর নয়া রেললাইন এবং পাঁচটি রেলপথের বিদ্যুদয়নও (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় দল, কেন বেছে নেওয়া হল এই ৩৩ দেশকে?

    Operation Sindoor: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় দল, কেন বেছে নেওয়া হল এই ৩৩ দেশকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে বিশ্বের ৩৩টি দেশে প্রতিনিধি দল (All Party Delegation) পাঠাচ্ছে ভারত। শুধু তা-ই নয়, এই প্রতিনিধি দল পাঠানোর (Operation Sindoor) আরও একটা উদ্দেশ্য আছে, সেটা হল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর বিশ্বের দরবারে ঐক্যবদ্ধ ভারতের চেহারাটা তুলে ধরা। সেই ‘মহাভারতের যুগ’ থেকে বিপদের সময় ভারত যে এক হতে পারে, বিশ্বমঞ্চে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়াও এই প্রতিনিধি দল পাঠানোর আর একটা উদ্দেশ্য।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি। প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দেয় জঙ্গিদের মাথারা। পাক জনগণের ভিড়েও মিশে গিয়েছে কয়েকজন। তার পরেও পাকিস্তান বারবার দাবি করছে, সন্ত্রাস কিংবা জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই। অপারেশন সিঁদুরে ভারতের বিজয় নিয়েও মিথ্যা বক্তব্য পরিবেশন করে চলেছে শাহবাজ শরিফের দেশ।

    খোলা হবে পাকিস্তানের মুখোশ

    পাকিস্তানের এই মিথ্যা বলার অভ্যাস এবং দেশটি যে আদতে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর এবং জঙ্গি তৈরির কারখানা, বিশ্বের দরবারে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে ভারত সরকার তৈরি করেছে ৭টি সংসদীয় প্রতিনিধি দল। প্রতিটি প্রতিনিধি দলেই শাসক ও বিরোধী মিলিয়ে একাধিক সাংসদ রয়েছেন। রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ৮ জন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতও। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য-সহ মোট ৩৩টি দেশে পৌঁছবে এই প্রতিনিধি দলগুলি। বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, রবিবারের মধ্যেই প্রতিনিধি দলগুলি তাঁদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে। এই প্রচার অভিযান চলবে ১০ দিন ধরে। অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেসের শশী থারুর, বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ ও বৈজয়ন্ত পাণ্ডা, জেডিইউয়ের সঞ্জয় কুমার ঝা, শিবসেনার একনাথ শিন্ডে, ডিএমকের কানিমোঝি ও করুণানিধি, এনসিপির সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। এই উদ্যোগের সমন্বয় করছেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    যে দেশগুলিতে যাবে প্রতিনিধি দল

    ভারত যে ৩৩টি দেশ বেছে নিয়েছে, সেগুলি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, রাশিয়া, ইজরায়েল, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার (All Party Delegation), স্পেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইটালি, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর (Operation Sindoor), ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, নাইজিরিয়া, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপিন্স।

    গুরুত্বপূর্ণ ২৫

    জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ২৫টি দেশ ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ১৫টি দেশ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য, অদূর ভবিষ্যতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হবে আরও ৫টি দেশ। আরও ৫টি দেশ রয়েছে, যারা প্রভাবশালী। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সমস্ত দেশের কাছে যাচ্ছি, যাদের সংখ্যা ১৫।” বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা ষড়ঙ্গী বলেন, “আমরা এমন পাঁচটি দেশেও যাচ্ছি, যারা শীঘ্রই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হবে। কিছু নির্দিষ্ট দেশকে বাছাই করা হয়েছে, যাদের কণ্ঠ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্ব সহকারে শোনা হয়। এই দেশগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিনিধিরা ২৫টিরও বেশি দেশে যাচ্ছেন।” তিনি জানান (Operation Sindoor), ১৫টি দেশের মধ্যে পাঁচটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। বাকি ১০টি হল অস্থায়ী সদস্য। প্রতি দু’বছর অন্তর বদলে যায় এই অস্থায়ী সদস্যপদ (All Party Delegation)। জেডিইউয়ের সঞ্জয় কুমার ঝা-র নেতৃত্বে গঠিত প্রতিনিধি দলের সদস্য হলেন অপরাজিতা। এই দলটি যাবে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং সিঙ্গাপুরে। ইতিমধ্যেই তাঁরা রওনা দিয়েছেন জাপানের উদ্দেশে।

    পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। যে ১০টি দেশ অস্থায়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়, তাদের মেয়াদ দু’বছর। পাকিস্তানের টার্ম শেষ হতে আরও ১৭ মাস বাকি। ভুবনেশ্বরের সাংসদ অপরাজিতা বলেন, “আমাদের সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বিভিন্ন দলের সাংসদরা এক সঙ্গে বিভিন্ন দেশে যাবেন এবং সেখানকার আমলাতন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন, আমাদের অবস্থান তুলে ধরবেন। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদ প্রচারে পাকিস্তানের পদ্ধতির নিন্দাও করবেন। এটা আমাদের দায়িত্ব (Operation Sindoor)।” তিনি বলেন, “এই প্রতিনিধি দল বিশ্বের কাছে বার্তা দিতে চায় যে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।”

    তৃণমূলের কৌশলী চাল!

    যে সাতটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে, তার একটি দলে নাম ছিল সাংসদ তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের। তবে মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার এবং (All Party Delegation) পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলার পরেও মুখ খোলেননি পাঠান। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণে ইউসুফের বদলে ওই প্রতিনিধি দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বছর ঘুরলেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ইউসুফকে ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পাঠানো হলে মুসলমানদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ধস নামতে পারে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে (Operation Sindoor)। অতএব…

  • World Health Assembly: “একটি সুস্থ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ওপর”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    World Health Assembly: “একটি সুস্থ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ওপর”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একটি সুস্থ বিশ্বের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ওপর। ভারতের স্বাস্থ্য সংস্কারে অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রধান নীতি। আমরা আয়ুষ্মান ভারত চালাচ্ছি—বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প।” মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করেন (World Health Assembly) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি জেনেভায় অনুষ্ঠিত ৭৮তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ভাষণ দেন তিনি (PM Modi)। ‘এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্য’ এই ঐক্যবদ্ধ মূলভাবের আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য উদ্যোগে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

    আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প (World Health Assembly)

    এদিন তাঁর ভাষণে অবধারিতভাবেই আসে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কথা। তিনি বলেন, “আমরা আয়ুষ্মান ভারত চালাচ্ছি—বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প। এটি ৫৮ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে। সম্প্রতি এই কর্মসূচি সম্প্রসারিত হয়ে ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে সব ভারতীয়কেও আওতায় এনেছে।” প্রধানমন্ত্রী ভারতের হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার নেটওয়ার্কের গুরুত্বও তুলে ধরেন, যা ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনের মতো রোগ চিহ্নিত ও নির্ণয়ে কাজ করে।

    হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের বিশাল নেটওয়ার্ক

    তিনি বলেন, “আমাদের কাছে হাজার হাজার হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। এরা ক্যানসার, ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশনের মতো রোগ নির্ণয় ও চিহ্নিত করে। হাজার হাজার সরকারি ফার্মাসিস্ট বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দামে উচ্চ মানের ওষুধ সরবরাহ করে।” এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী ভারতের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, উদ্ভাবন ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ফের মনে করিয়ে দেন।

    প্রধানমন্ত্রী এ বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অংশগ্রহণের জন্য দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এবার যোগ দিবসের থিম “এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য-এর জন্য যোগ” (World Health Assembly)।

    তিনি বলেন, জুন মাসে ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বছরের থিম হল ‘এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্য-এর জন্য যোগ’। যে দেশ থেকে যোগ বিশ্বকে উপহার দেওয়া হয়েছে, সেই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি সকল দেশকে এতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাই।” প্রধানমন্ত্রী ডব্লিউএইচও (WHO) -র সদস্য দেশগুলোকে ভবিষ্যৎ মহামারির বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী সহযোগিতার লক্ষ্যে আইএনবি চুক্তি সফলভাবে আলোচনার জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন।

    তিনি (PM Modi) বলেন, “আমি ডব্লিউএইচও এবং সমস্ত সদস্য দেশকে আইএনবি চুক্তির সফল আলোচনার জন্য অভিনন্দন জানাই। এটি একটি যৌথ অঙ্গীকার, যার মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতের মহামারির বিরুদ্ধে বৃহত্তর সহযোগিতার সঙ্গে লড়াই করতে পারব এবং একটি সুস্থ পৃথিবী গড়ে তুলতে পারব। আসুন আমরা নিশ্চিত করি, যেন কেউ পিছিয়ে না পড়ে (World Health Assembly)।”

  • ISI Spy: ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আইএসআইয়ের চর জ্যোতিকে!

    ISI Spy: ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আইএসআইয়ের চর জ্যোতিকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে চর (ISI Spy) জ্যোতি মালহোত্রর (Jyoti Malhotra) সম্পর্ক ছিল, তা আগেই জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতীয় গোয়েন্দাদের চিহ্নিত করতে ও তাদের ওপর নজরদারি করতে ভারতীয় ইউটিউবার জ্যোতিকে ব্যবহার করেছিল আইএসআই। হরিয়ানার ওই ইউটিউবার রয়েছে পুলিশি হেফাজতে। তাকে জেরা করেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আইএসআইয়ের সঙ্গে জ্যোতির করা সব হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাদের হাতে এসেছে। প্রতিটিতে একটি করে কোড ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়েছে। আরএসআইয়ের এক এজেন্ট জ্যোতিকে নির্দেশ দেয়, ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে ঢোকার সময় সে যদি কোনও ভারতীয় গুপ্তচরকে বিশেষ কোনও দায়িত্ব নিতে দেখে, তা যেন তাকে জানায়। আপাতত এই চ্যাটের মাধ্যমেই জ্যোতির আসল সত্যিটা খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    জ্যোতি ও আলি হাসান (ISI Spy)

    সূত্রের খবর, জ্যোতি এবং আলি হাসান নামে একজন আইএসআই চরের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সেখানে সাংকেতিক ভাষায় দু’জনের কথাবার্তা হয়েছে। আলি জ্যোতিকে জিজ্ঞেস করে, আটারি সীমান্তে জ্যোতি কোনও ভারতীয় এজেন্টকে বিশেষ প্রোটোকল পেতে দেখেছে কিনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গোটা চ্যাটে ‘প্রোটোকল’ এবং ‘আন্ডারকভার এজেন্ট’ এই দুই শব্দের ব্যবহার হয়েছে একাধিকবার। এ থেকেই গোয়েন্দাদের ধারণা, জ্যোতিকে ভারতীয় এজেন্টদের তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করাত আইএসআই।

    ষড়যন্ত্র ফাঁস

    জ্যোতির গ্রেফতারের মাধ্যমে আইএসআইয়ের একটি বড় মডিউলের সঙ্গে জড়িত একটি ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে। দেখা গিয়েছে, কীভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতে একটি গুপ্তচর (ISI Spy) নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা হচ্ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, জ্যোতি পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। এই অঞ্চলটি জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত।

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, আইএসআই একটি পরিকল্পিত মডিউল তৈরি করে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ করেছে, যাদের সামাজিক মাধ্যমে প্রচুর প্রভাব রয়েছে। শুধু গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করাই নয়, পাকিস্তানের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রচারের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল জ্যোতিদের। প্রসঙ্গত, জ্যোতির (Jyoti Malhotra) ইউটিউবে প্রায় ৪ লাখ সাবস্ক্রাইবার ও ইনস্টাগ্রামে ১ লাখ ৩২ হাজার ফলোয়ার রয়েছে (ISI Spy)।

  • Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    Pahalgam: বিশ্বমঞ্চে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে প্রয়োজন শক্তিশালী সরকারি প্রচার মাধ্যমের, উঠছে দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটাই সেই মোক্ষম সময়! এখন ভারত (India) একটি গ্লোবাল সরকারি প্রচার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে তার সফট পাওয়ার ঘাটতিকে বিশ্ব প্রভাবের এক মজবুত ভিত্তিতে রূপান্তর করতে পারে। এটা করা হলে ভারতের কণ্ঠস্বর (Pahalgam) প্রতিধ্বনিত হত এশিয়া মহাদেশজুড়ে।

    ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা (Pahalgam)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার প্রেক্ষিতে গত ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই কৌশলগত সামরিক অভিযান সফল হয়। শুধু তাই নয়, এটি চিহ্নিত হয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক জয় হিসেবে। যাদের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে পশ্চিম আকাশে সন্ত্রাসবাদের কালো মেঘ জমা হয়, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে তাদেরও।

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে

    ভারতের এই বিজয়গাথা পৌঁছে দেওয়া যায়নি তামাম বিশ্বে। সমরাঙ্গনে ভারতীয় বাহিনী জয়ী হলেও, পাকিস্তানের নিরবচ্ছিন্ন প্রচারযুদ্ধ এবং পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি সত্যকে বোতলবন্দি করে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরে একটি বিকৃত চিত্র। এই জন্যই ভারতের অবশ্যই প্রয়োজন একটি রাষ্ট্র-সমর্থিত শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সম্প্রচার মাধ্যম গড়ে তোলা। এই মাধ্যমে ভারত তার কণ্ঠস্বর পৌঁছে দেবে বিশ্ববাসীর দরবারে। এটি চালু হলে শত্রুপক্ষকে টক্কর দেওয়া যাবে সমানতালে। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সৈন্য যে বিক্রম দেখিয়েছে, তা আদৌও প্রচার করেনি বিবিসির মতো প্রচারমাধ্যমগুলিও। বরং তারা পাকিস্তানের ভিত্তিহীন বক্তব্যকে তুলে ধরেছে অতিরঞ্জিতভাবে।

    মিথ্যা খবর প্রচার!   

    ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের সামরিক কাঠামো ও জঙ্গিঘাঁটির ওপর পরিচালিত নির্দিষ্ট হামলার চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ-সহ সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করলেও, অনেক সংবাদমাধ্যম কোনও কিছু বিচার-বিবেচনা না করেই এই সংঘাতকে “অচলাবস্থা” হিসেবে উপস্থাপন করেছে এবং একতরফাভাবে “উভয় পক্ষই দোষী”— এই সরলীকরণ করে ফেলেছে (Pahalgam)। আল জাজিরার কথাই ধরা যাক। এই সংবাদ মাধ্যমটি মিথ্যাভাবে এক ভারতীয় মহিলা পাইলটের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ করে (India)। পরে অবশ্য দুই দেশের কর্তারাই ঘটনাটিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন। এর পাশাপাশি মিডল ইস্ট আই এমন কিছু যাচাই না করা ভিডিও প্রচার করে যাতে দাবি করা হয় ভারত নিজেই উদ্যোগী হয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা চেয়েছে — যা একেবারেই ভিত্তিহীন। ঘটনা হল, পাকিস্তান নিজেই চুপ করে থেকেছে ভারতের ওই দাবির পর, যেখানে নয়াদিল্লি জানিয়েছিল পাকিস্তানই ব্যাপক ক্ষতির পর যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানিয়েছে।

    ভারতের কৌশলগত সাফল্য তুলে ধরা হয়নি

    পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলি পাকিস্তানের “পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে” এমন দাবি যাচাই না করেই একতরফাভাবে প্রচার করেছে। সিএনএন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফরাসি কর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে একটি যুদ্ধবিমানের ক্ষতির কথা বলেছে, আর দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট তো এসব সন্দেহজনক দাবির ভিত্তিতে পাকিস্তানের “নিঃসন্দেহ বিজয়” ঘোষণা করেছে। অতিরঞ্জিত প্রশংসা করেছে চিনা ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির। এইসব প্রতিবেদনে ভারতের কৌশলগত সাফল্য, যেমন নৌবাহিনীর করাচির ওপর চাপ সৃষ্টি করে পাকিস্তানকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা — এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে (Pahalgam)।

    প্রতিবেদনে পক্ষপাতিত্ব

    এই পক্ষপাতিত্ব আরও প্রকট হয়ে ওঠে যখন অনেক সংবাদমাধ্যম ভারত ও পাকিস্তানকে সমান দায়ী হিসেবে তুলে ধরেছে বিশ্বমঞ্চে। তারা ভারতকে একই বন্ধনীভুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানও, যারা জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির আশ্রয়দাতা হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমালোচনার মুখে পড়েছে একাধিকবার (India)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সন্ত্রাসে জড়িত থাকার কথা কবুল কিংবা পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা — যা একটি অনেক বেশি শক্তিশালী দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী সংঘর্ষে তাকে আরও বেশি দুর্বল করে তোলে — এসব বিষয় খুব কম প্রতিবেদনেই উল্লেখ করা হয়েছে।

    চিনের মিথ্যা প্রচার

    এদিকে, চিনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলি জে-১০সি যুদ্ধবিমানের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে, দাবি করেছে এটি ভারতের রাফালের চেয়ে উন্নত— এমন একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার, যেটি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্সের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিতেও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলির এই ভ্রান্ত প্রচার শুধুমাত্র জনমতকেই প্রভাবিত করেনি, শেয়ার বাজারেও প্রভাব ফেলেছে। চিনের জে-১০ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বেড়েছে ৩৬ শতাংশ, আর রাফালের শেয়ার কমেছে ৫ শতাংশ (Pahalgam)। যদিও, পরবর্তীকালে, সত্য প্রকাশ পেতেই চিনা সংস্থার শেয়ার জোর ধাক্কা খায়। সেখানে রাফালের শেয়ার দর আবার দ্রুত উঠতে শুরু করে।

    ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য

    একতরফা সাংবাদিকতা না হলে পাকিস্তানের অবাস্তব দাবিগুলিকে — যেমন ভারতের প্রমাণিত আঘাতের বিরুদ্ধে তাদের প্রমাণবিহীন “জয়ে”র দাবি বিচার করে প্রকাশ করত। তামাম বিশ্বকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিত, কোনটা সত্য, মিথ্যাই বা কোনটা (India)।ভারতের রাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যমের লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি বিশ্বাসযোগ্য, কর্তৃত্বপূর্ণ এবং সংস্কৃতিমূলকভাবে প্রাসঙ্গিক কণ্ঠস্বর হিসেবে বিশ্বমঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা। এর মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত পহেলগাঁও হামলার মতো সঙ্কটকালে ভ্রান্ত তথ্যের মোকাবিলা করা, কৌশলগত স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এবং ভারতের সভ্যতাগত ভাবধারাকে বিশ্বে তুলে ধরা। এটি প্রসার ভারতীর সম্প্রসারিত কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হতে পারে (India)। তবে এটি একটি আইনত স্বায়ত্তশাসিত সত্তা হিসেবে কাজ করবে যাতে সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ সীমিত থাকে (Pahalgam)।

LinkedIn
Share