Tag: Kiren Rijiju

Kiren Rijiju

  • Kiren Rijiju: বিচারাধীন মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তিতে পূর্ণ সহযোগিতা করবে কেন্দ্র, বললেন আইনমন্ত্রী

    Kiren Rijiju: বিচারাধীন মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তিতে পূর্ণ সহযোগিতা করবে কেন্দ্র, বললেন আইনমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে বিচারাধীন মামলাগুলির সমাধানে কেন্দ্র বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ সহযোগীতা করছে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেন,  সারা দেশে বিভিন্ন আদালতে পাঁচ কোটিরও বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

    কী বলেছেন আইনমন্ত্রী?   

    তিনি (Kiren Rijiju) বলেন, “মামলাগুলি সমাধানে বিচার বিভাগকে পূর্ণ সমর্থন করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ প্রচার করছেন যে কেন্দ্র এবং বিচার বিভাগের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। দাবি করা হয়েছে সরকার বিচার বিভাগের কর্তৃত্ব দখল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবিধানকে একটি ধর্মগ্রন্থ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দেশের জনগণকে বিচার করতে হবে কারা এই ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছে। বিচারকদের অবশ্যই জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকতে হবে, সরকারের প্রতি নয়। বিচার বিভাগ অবশ্যই দেশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    তিনি (Kiren Rijiju) আরও বলেন, “বিচারে বিলম্ব করা উচিত নয়। সুপ্রিম কোর্টে এমন অনেক আইনজীবী আছেন যাদের মামলার তারিখ আগে আসে এবং কেউ কেউ বলেন যে আপনি যদি তাদের মামলা দেন, তারা আপনাকে এটি জিততে সহায়তা করবে। ওই আইনজীবীরা একবার হাজিরার জন্য ৩০-৪০ লক্ষ টাকা নেন। বাকিরা কোনও কাজ পান না। কেন এমনটা হবে? নিয়ম সবার জন্য একই হওয়া উচিত।”

    কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) বলেন, “কিছু আইনজীবী আছেন যারা বড় বড় সব মামলা পরিচালনা করে কোটি কোটি টাকা আয় করেন। বড় আইনজীবীদের পুরো জায়গা দখল করা উচিত নয়, ছোট আইনজীবীদের সুযোগ দেওয়া এবং অন্যদের সঙ্গে মামলা ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরাও নিম্ন আদালতে যেতে পারেন। সর্বোপরি, আদালত তো আদালতই।” 

    আরও পড়ুন: বান্ধবীকে স্ক্রুডাইভার দিয়ে ৫১ বার আঘাত করে খুন করল বাস কন্ডাক্টর 

    এর আগে কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) রাজ্যসভায় বলেছিলেন যে আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত এ সমস্যা থাকবেই। রিজিজু বিচারক নিয়োগে সরকারের সীমিত ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটা সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Judges’ Retirement Age: অবসরের বয়স বাড়ালে ‘অদক্ষ’ বিচারপতিরাও লাভবান হবেন, মত আইন মন্ত্রকের

    Judges’ Retirement Age: অবসরের বয়স বাড়ালে ‘অদক্ষ’ বিচারপতিরাও লাভবান হবেন, মত আইন মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিজীবন কত বছর বয়স পর্যন্ত হওয়া উচিত? এই নিয়ে নানা সময় নানা প্রশ্ন উঠেছে। আরও একবার এই প্রশ্ন উঠে এল সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা নিয়ে। সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের বিচারকদের অবসরের বয়স বাড়ানোর একাধিকবার দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে আইন মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ালে ‘অদক্ষ’ বিচারপতিদের কর্মজীবনের মেয়াদ বেড়ে যেতে পারে ও এর পাশাপাশি সরকারি কর্মীরাও একই দাবি জানাতে পারেন (Judges’ Retirement Age)।

    অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা

    বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদির নেতৃত্বাধীন কর্মিবর্গ, আইন ও বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে আইন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বকেয়া মামলার সংখ্যা কমানো ও বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা আনার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই বিচারপতিদের অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। সূত্রের খবর, বিভিন্ন সদস্যের তরফে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করলে তাঁরা আর সুপ্রিম কোর্টে আসতে চাইবেন না। ফলে মেধাবী আইনজীবীদের থেকে বঞ্চিত হবে শীর্ষ আদালত (Judges’ Retirement Age)।

    আরও পড়ুন: গুজরাট বিধানসভায় বিপুল জয় বলে দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনে কী হবে! অভিমত অমিত শাহের

    সম্প্রতি, সংসদে আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, বিচারপতিদের অবসরের বয়স বাড়ানোর কোনও প্রস্তাব বিবেচনা করছে না কেন্দ্র। কমিটিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স বাড়ালে বিভিন্ন সরকারি বিভাগ ও কমিশনের কর্মীরাও অবসরের বয়স বাড়ানোর দাবি জানাবেন। আবার, অবসরের বয়স বাড়ানোর ফলে নির্দিষ্ট কিছু ‘অযোগ্য’রা বর্ধিত বছরের চাকরির ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। ফলে এ সব বিষয় বিবেচনা করেই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি (Judges’ Retirement Age)।

    অবসরের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে অতীতের কিছু সুপারিশ

    ২০১০ সালে হাইকোর্টের বিচারকদের অবসরের বয়স ৬৫ বছরের বেশি বাড়ানোর জন্য দাবি করা হয়েছিল।

    প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অবসরের বয়স ৬৮ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বিবেচনা করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছিলেন।

    আইন ও বিচার সংক্রান্ত পার্ল প্যানেল তাদের প্রতিবেদনে ২০১৮ সালে অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে সমর্থন করেছিল।

    উল্লেখ্য, বর্তমানে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা যথাক্রমে ৬২ ও ৬৫ বছর বয়সে অবসর নেন।

  • Kiren Rijiju: ফের কলেজিয়ামকে নিশানা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর! কী বললেন, জানেন?

    Kiren Rijiju: ফের কলেজিয়ামকে নিশানা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর! কী বললেন, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি (Judges) নিয়োগের নয়া ব্যবস্থা তৈরি না হলে উচ্চ আদালতে (High Court) শূন্য পদের সমস্যা মিটবে না। পুরানো মামলার পাহাড়ও কমানো যাবে না। শুক্রবার রাজ্যসভায় এই কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। মাসখানেক আগে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়। তখন থেকেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু বিচারপতি নিয়োগের যে কলেজিয়াম ব্যবস্থা রয়েছে, তার সমালোচনা করতে শুরু করেছেন। এদিনও কলেজিয়ামকেই ফের একবার নিশানা করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। এর আগে বৃহস্পতিবারও তিনি বলেছিলেন, এত মামলা যখন ঝুলে রয়েছে, তখন জামিনের আর্জি শোনা উচিত নয় সুপ্রিম কোর্টের।

    শূন্যপদের সংখ্যা…

    এদিন রাজ্যসভায় মোদি (PM Modi) সরকারের আইনমন্ত্রী বলেন, আদালতে বকেয়া মামলার সমস্যা মিটছে না। শূন্য পদ রয়েছে। কিন্তু বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সীমিত। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আদালতে ছুটির তালিকা যে দীর্ঘ, এদিন তারও উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। রিজিজু বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বছরে ১৪১ দিন, হাইকোর্টগুলিতে বছরে ১৫৫ দিন ছুটি থাকে। অনেক দিন ছুটি থাকায় মানুষের বিচার পেতে সমস্যা হচ্ছে। শুধু আইনমন্ত্রী নন, সংসদের চলতি অধিবেশনের প্রথম দিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও বিঁধেছিলেন বিচার বিভাগকে।

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    সংসদে পাশ হওয়ার পরেও জাতীয় বিচারপতি নিয়োগ কমিশন আইন খারিজ করে দেওয়ার জন্য দেশের শীর্ষ আদালতের সমালোচনাও করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে মামলার সংখ্যা পাঁচ কোটির কাছাকাছি। তিনি বলেন, এর অনেক কারণ রয়েছে। তবে তার মধ্যে প্রধান কারণটি হল, বিচারপতি নিয়োগ এবং শূন্যপদ পূরণ। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের ১২ তারিখ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, ডিস্ট্রক্ট এবং লোয়ার কোর্টগুলিতে বিচারপতি ও বিচারক মিলিয়ে রয়েছেন ১৯ হাজার ১৯২ জন। যদিও পদ রয়েছে ২৫ হাজার ১১টি। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদালতে পিটিশন জমা পড়ে রয়েছে ৫৯.৫৬ লক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Aadhaar-Voter ID Linking: ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার যুক্ত করা বাধ্যতামূলক নয়! কী জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    Aadhaar-Voter ID Linking: ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার যুক্ত করা বাধ্যতামূলক নয়! কী জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক করা না হলেও কারোর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না। ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার সংসদে তিন সাংসদের প্রশ্নের জবাবে সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু।

    আধার কার্ড – ভোটার আইডি যুক্ত করা নিয়ে অনেকের মনেই একাধিক প্রশ্ন। অনেকে জানেন, ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্তটা করাটা বাধ্যতামূলক। আবার অনেকে বলেন, ভোটার-আধার আইডি লিঙ্ক করার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। আবার কিছু সোশ্যাল মিডিয়াতে বলা হয়েছে, ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত না করলে ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বে নাম।  ফলে পুরো বিষয়টির কোনও কিছুই নিশ্চিত নয়। কিন্তু এবারে এই বিষয়টি সংসদে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    আরও পড়ুন: ‘এটা রাহুলের প্রপিতামহ নেহরুর ভারত নয়…’, কেন বললেন বিজেপি নেতা, জানেন?

    কিরেন রিজিজু কী ঘোষণা করলেন?

    আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ভোটার আইডি ও আধার কার্ডের লিঙ্ক করা নিয়ে বলেন, ” ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করাটা একেবারেই ভোটারদের ইচ্ছাধীন। এটা না করলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ করার কোনও সম্ভাবনাই নেই।” আরও জানানো হয়েছে, লিঙ্ক করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারদের সম্মতি নিতে হবে। নির্বাচনী আইন (সংশোধনী), ২০২১-এ নির্বাচনী আধিকারিকদের শুধুমাত্র পরিচয় প্রমাণের জন্য ভোটারদের আধার নম্বর জিজ্ঞেস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, ভোটাররা না চাইলে, তা নাও দিতে পারেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।

    চলতি বছরের ১ অগাস্ট থেকে ভারতের নির্বাচন কমিশন ভোটারদের ইচ্ছার ভিত্তিতে তাঁদের আধার নম্বর সংগ্রহ করা শুরু করেছে। তবে, এরপরই অভিযোগ উঠেছিল, নির্বাচন কর্তৃপক্ষ ভোটার পরিচয়পত্রের সঙ্গে আধার সংযোগ করা বাধ্যতামূলক করেছে। আধার-ভোটার কার্ড লিঙ্ক করা সংক্রান্ত দুটি বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদনও করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, সরকারি নিয়ম এবং বিজ্ঞপ্তি জারি করে, ভারতের নির্বাচন কমিশন নাগরিকদের আধার নম্বর ভোটার তালিকার সঙ্গে লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক করতে চাইছে। কিন্তু এরপরেই ভোটার বা আধার লিঙ্ক করা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠলে কিরেন রিজিজু স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, আধার কার্ড না থাকলেও, ভোটার তালিকায় নাম থাকা কোনও নাগরিকের ভোট দিতে অসুবিধা হবে না। যদি কোনও নাগরিক আধার-ভোটার লিঙ্ক করাতে চাইলে করবেন ও আবার যদি কেউ লিঙ্ক করতে না চান, তবে করবেন না। পুরো বিষয়টি নাগরিকদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।

  • Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    Kiren Rijiju: ‘বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে’, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আবেদনে’র প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলেন রিজিজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার ব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্র বাঁচানোর আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আইনের শাসনকে হরণ করেছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা সামান্যই। ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই এই কথাগুলো বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    রবিবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সসের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি বলছি না যে মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে এটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের কান্না শুনতে হবে। মানুষ দরজার আড়ালে কাঁদছে। আজকাল অনেক কিছুই চলছে। রায়ের আগে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। তারা যে কাউকে অভিযুক্ত করতে পারে? আমাদের সম্মান না থাকলে কিছু থাকে না। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে বাঁচান। অহেতুক হয়রানি চলছে, প্লিজ গণতন্ত্র বাঁচান।

    এর পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, মমতা দিদি পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে সত্য বলছেন। কারণ বিচারব্যবস্থার প্রতি তৃণমূলের (TMC) আস্থা সামান্যই। বিচারকদের প্রতি কোনও শ্রদ্ধাও নেই। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে আইনের শাসনের বদলে তৃণমূলের শাসন চলছে। রিজিজু বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র রক্তাক্ত, কাঁদছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন শুভেন্দুও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এই কথাগুলো বলছেন। এর আগেও তিনি বিচারপতিরা কীভাবে বিচার করবেন, সে পরামর্শ দিয়েছেন। এ রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির ইস্যু নিয়ে যেভাবে বিচার ব্যবস্থা অগ্রসর হয়েছে, তাতে তিনি ভীত এবং আতঙ্কিত। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নন, গোটা তৃণমূল কংগ্রেস আতঙ্কিত। মিডিয়া ট্রায়াল প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, চাকরি বিক্রি সহ যেভাবে সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন দুর্নীতি জনসমক্ষে তুলে ধরছে, সেই কারণেই সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছেন উনি। সংবাদ মাধ্যম একের পর এক দুর্নীতি ফাঁস করাতেই মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত ও ভীত হয়েই এমন বক্তব্য পেশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cheetah Helicopter: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    Cheetah Helicopter: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল সেনার চিতা হেলিকপ্টার, মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার অফিসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে (Tawang) ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা (Cheetah) হেলিকপ্টার। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন  সেনা এভিয়েশন কোরের এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (Lieutenant Colonel) পদমর্যাদার অফিসারের। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি সহকারী পাইলট। তেজপুরের সেনা মুখপাত্র কর্নেল এএস ওয়ালিয়া সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, চিনা (China) সীমান্তের কাছে রুটিন টহলদারির সময় আচমকা ওই হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন চিকিৎসাধীন। সকাল ১০ টা নাগাদ ভেঙে পড়ে চিতা হেলিকপ্টারটি। দ্রুত দুই পাইলটকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার সময়ই একজনের মৃত্যু ঘটে।

    [tw]


    [/tw]

    যদিও সেনাবাহিনীর (army) তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানানো হয়নি। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পরেই বিস্তারিত জানানো হবে। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত লেফটেন্যান্ট কর্নেলের নাম সৌরভ যাদব (Lt. Col Saurabh Yadav)। আরেক জখম পাইলটের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

    এই ঘটনার জেরে ফের একবার সেনাবাহিনীর চিতা ও চেতক হেলিকপ্টারের গ্রহনযোগ্যতার উপর প্রশ্ন উঠেছে। ১৯৬০-৭০ সাল থেকে ব্যবহৃত এই হেলিকপ্টারগুলি বর্তমানে বার্ধক্যের ভারে নুইয়ে পড়েছে। এমত পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের উন্নত প্রযুক্তির হেলিকপ্টারের সামনে ভারতীয় সেনা কিভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট রাজ্যসভায় জানিয়েছিলেন যে, গত পাঁচ বছরে বায়ুসেনা বা তার সঙ্গে জড়িত এমন ৪২ জন যুদ্ধবিমান বা সামরিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: গরবা নাচতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ছেলের শোকে প্রাণ হারালেন বাবাও

    অরুণাচল প্রদেশে গত কয়েক বছরে একাধিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে যে খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১০ সাল থেকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ৬টি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন অরুনাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh)  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দর্জি খাণ্ডুও (Dorjee Khandu)।

    এর আগে গত মার্চ মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সেনাবাহিনীর আরও একটি চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছিল। সেই দুর্ঘটনায় একজন পাইলটের মৃত্যু হয়েছিল। সহকারি পাইলট গুরুতর আহত হয়েছিলেন। প্রাক্তন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) মৃত্যুও হয়েছিল এই কপ্টার দুর্ঘটনার জেরেই। ২০২১-এর ডিসেম্বরে তামিলনাড়ুতে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী-সহ ১২ সেনা শীর্ষকর্তার মৃত্যু হয়।

    হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে ট্যুইট করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। যিনি নিজেও অরুণাচল প্রদেশের প্রতিনিধি। তিনি বলেছেন, ‘অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলা থেকে মর্মান্তিক খবর আসছে। ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাইলটদের জন্য প্রার্থনা করছি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share