Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Iran: কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মিসাইল হামলা ইরানের, কতটা ক্ষয়ক্ষতি?

    Iran: কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে মিসাইল হামলা ইরানের, কতটা ক্ষয়ক্ষতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাতার ও ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান (Iran)। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন বাসরাত আল ফাত’। ২৩ জুন এই মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। প্রসঙ্গত, এরমধ্যে কাতারের ‘আল উদিদ’ ঘাঁটি হল মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি (US Bases in Qatar)।

    হামলার পরেই হোয়াইট হাউসে বসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

    হামলার (Iran) পর ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সেক্রেটারি ‘সিচুয়েশন রুম’ থেকে পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালান। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে মার্কিন প্রশাসন। ইরানের (Iran) রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘অপারেশন বাসরাত আল ফাত’ -এর খবরকে নিশ্চিত করে।

    মার্কিন নাগরিকদের জন্য উচ্চ সতর্কতা

    হামলার পরেই কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রক তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে জানিয়েছে, সাময়িকভাবে সেদেশের আকাশপথ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, দোহায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে সে দেশের নাগরিকদের জন্য জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা (US Bases in Qatar)। নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে অবস্থানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই হামলার আগে অবশ্য ইজরায়েলের বিমান বাহিনী তেহরানে হামলা চালায়। এমনটাই জানিয়েছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (IDF)।

    মিসাইল হামলার তীব্র নিন্দা করেছে কাতার

    অন্যদিকে, ইরানের (Iran) মিসাইল হামলার তীব্র নিন্দা করেছে কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, “এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর সরাসরি আঘাত।” কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল এবং একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “ঈশ্বরের কৃপায় এই হামলায় কোনও প্রাণহানি বা জখমের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের সামরিক বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে এই হামলা প্রতিহত করেছে। কাতার নিরাপদ, এবং আমাদের সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সদা প্রস্তুত।”

  • World Record: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ৬টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, কী কী জানেন?

    World Record: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ৬টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, কী কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Yoga Day) ছয়টি নয়া বিশ্ব রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত, যার মধ্যে রয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও (World Record)। এই ছয়টি বিশ্ব রেকর্ড গড়া হয় একেবারে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের দিনেই।

    অন্ধ্রপ্রদেশে জোড়া গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড (World Record)

    ১১তম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অন্ধ্রপ্রদেশে দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবিদার হল ভারত। আরকে সৈকতে ৩,০৩,৬৫৪ জন একসঙ্গে বসে যোগাভ্যাস করেন। এখানেই হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। যোগ অনুশীলনের সর্ববৃহৎ রেকর্ডের (World Record) স্বীকৃতি পায় এই সমাবেশ। একই সঙ্গে ২২,০০০ আদিবাসী ছাত্রছাত্রী ১০৮ মিনিট ধরে ১০৮ বার সূর্য নমস্কার করে আরেকটি বিশ্বরেকর্ড গড়েন।

    মোহালির এইমস তৈরি করল এশিয়ার রেকর্ড

    মোহালির এইমস-এ স্বাস্থ্যকর্মীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয় যোগ দিবসে। একসঙ্গে বসে যোগাভ্যাস করেন তাঁরা। এই যোগ শিবিরের মাধ্যমে তাঁরা এশিয়া বুক অব রেকর্ডসে (World Record) নাম তোলেন।

    গুজরাটে ভুজঙ্গাসনে গিনেস রেকর্ড

    গুজরাটের ভাটনগরে ২,১২১ জন একসঙ্গে ভুজঙ্গাসন করেন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে (International Yoga Day)। এর মাধ্যমে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দাবিদার হন তাঁরা।

    কুরুক্ষেত্রের ব্রহ্মসরোবর-এ রেকর্ড জমায়েত

    হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে ব্রহ্মসরোবর-এ এক লক্ষেরও বেশি মানুষের জমায়েত হয়। এদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ছিল স্কুল ছাত্রছাত্রী। তারা বিভিন্ন আসন ও প্রাণায়াম অনুশীলন করে। এখানে উপস্থিত ছিলেন যোগগুরু স্বামী রামদেব ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। এই বিশাল শিবির একাধিক রেকর্ড ভেঙে দেয়।

    কৃষ্ণা নদীর উপর ভাসমান যোগাভ্যাস

    আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা নদীতে একটি অভিনব রেকর্ড তৈরি হয়। সেখানে এক হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী স্পিডবোট ও অন্যান্য প্রায় ২০০টি জলযানে ভাসমান অবস্থায় যোগাভ্যাস করেন। এই উদ্যোগে সহায়তা করে এনটিআর জেলা প্রশাসন।

    লখনউয়ে সূর্য নমস্কার ভেঙে দিল পুরনো রেকর্ড

    উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে সূর্য নমস্কার অনুষ্ঠানে ব্যাপক ভিড় হয়। সরদার প্যাটেল গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এই যোগ শিবিরে প্রায় ১,২০০ ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালও। এই আয়োজন অনেক আন্তর্জাতিক রেকর্ড ভেঙে দেয় (World Record)।

  • India vs England: ‘আ সং অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার’! রাহুল-পন্থের শতরান, হেডিংলিতে দুই ভিন্ন চরিত্রের যুগলবন্দি

    India vs England: ‘আ সং অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার’! রাহুল-পন্থের শতরান, হেডিংলিতে দুই ভিন্ন চরিত্রের যুগলবন্দি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হেডিংলি টেস্টের চতুর্থ দিনে এক অনন্য ব্যাটিং মহাকাব্যের সাক্ষী থাকল ক্রিকেট বিশ্ব। ভিন্ন মেজাজের দুই ব্যাটার—কেএল রাহুল ও ঋষভ পন্থ, লিখলেন ইতিহাস। ১৯৫ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ, ভারতকে নিয়ে গেল শক্তপোক্ত অবস্থানে। একদিকে বরফের মতো ঠান্ডা মাথার রাহুল অন্যদিকে, আগুনের মতো তেজী পন্থ। একদিক, দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার রাহুল অন্যদিকে, পন্থের ব্যাটিং কখনোই প্রথাগত টেস্ট ক্রিকেটের ছাঁচে ফেলা যায় না। এই দুই চরম ভিন্ন স্বভাবের ব্যাটার মিলে গড়ে তুললেন ‘আ সং অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার’-এর মতো এক অনবদ্য কাহিনি—ঠিক যেন জর্জ আর আর মার্টিনের কাল্পনিক রাজ্য ওয়েস্টেরস-এর দুই ত্রাতা মিলে এক নতুন রাজাকে সিংহাসনে বসাতে যুদ্ধ করছে।

    নতুন রাজার জন্য নয়া যোদ্ধা

    শুভমান গিলের নেতৃত্বে লাল বলের ক্রিকেটে ভারতের ‘নতুন যুগের সূচনা’ করলেন রাহুল-পন্থ। শুরুর দিকে পন্থ নিজের স্টাইলে দ্বিতীয় বলেই ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে বাউন্ডারি হাঁকালেন। আর রাহুল খেললেন টেস্ট বইয়ের আদর্শ উদাহরণ—আউটসাইড অফ স্টাম্পে বল হলে ব্যাট লুকিয়ে রাখলেন, শৃঙ্খলা বজায় রাখলেন। তবে পন্থের আগ্রাসন ছিল একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনার ফল। স্টোকস-কার্সের অসাধারণ স্পেলের মাঝেও তিনি ধৈর্য ধরলেন, কিন্তু যখন সময় এলো, তখন ছুটে বেরোলেন যেন আগুনের ড্রাগন। ওয়েস্টেরসের যোদ্ধাদের মতোই ইংল্যান্ডের প্রতিরোধকে ছিন্ন করে দিলেন ব্যাট হাতে। চেতেশ্বর পূজারা তাদের ইনিংসের প্রশংসা করে বললেন, “প্রথম সেশনটা খুব কঠিন ছিল। ইংল্যান্ডের বোলাররা দারুণ বল করছিল—বিশেষ করে ব্রাইডন কার্স। কিন্তু রাহুল আর পন্থ সেই সময়টা সামলে নিল খুবই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ঋষভকে বেশিক্ষণ চুপ করিয়ে রাখা যায় না, এটা আমি জানি। কিন্তু আজ সে দারুণ সময়জ্ঞান দেখিয়ে আগ্রাসন চালিয়েছে। রাহুল সবসময়ের মতো ধৈর্য দেখিয়েছে, আর পন্থ সেটা মেনেই এগিয়েছে।”

    ভিন্ন দুই চরিত্রের মিশেল

    রাহুলের সৌন্দর্য্যপূর্ণ ড্রাইভ আর পন্থের হঠাৎ বিস্ফোরণের এই মিশেলই ভারতীয় ব্যাটিংকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল। তাঁরা যেন নাইটস ওয়াচের রেঞ্জার হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ‘উইন্টার’ মোকাবিলায়। এখনও সিরিজের অনেকটা বাকি, আরও আটটি ইনিংস পড়ে আছে। কিন্তু এই জুটি যে এক রাজ্য রক্ষার প্রতিজ্ঞা নিয়েছে, তা হেডিংলির যুদ্ধেই প্রমাণ হয়ে গেল। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা—শুভমন গিলের রাজত্বে আরও কতবার এই দুই ‘যোদ্ধা’ ব্যাট হাতে অস্ত্র তুলে নেবে, সেটাই দেখার। ম্যাচটা ভারতের দিকে ঝুঁকেছিল তৃতীয় দিনের শেষেই। প্রথম ইনিংসে তিনটে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসটাও ছিল ব্যাটারদের। শুরুটা করেন কেএল রাহুল। ২০২ বলে তিনি সেঞ্চুরি করেন। এরপর পন্থের সেঞ্চুরি ছিল সময়ের অপেক্ষা, রাহুলের সেঞ্চুরির পরে পন্থ সেঞ্চুরি পেলেন। চলতি টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১৩০ বলে সেঞ্চুরি পেলেন পন্থ। সঙ্গে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইংল্যান্ডের মাটিতে এক ম্যাচে পরপর দুটো সেঞ্চুরি করলেন পন্থ। সঙ্গে রেকর্ডবুকে নাম লিখিয়ে ফেললেন।

    পন্থের রেকর্ড

    আইপিএলে তাঁকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে ইংল্যান্ডে গিয়ে সমালোচনার জবাব গুনে গুনে দিচ্ছেন ঋষভ পন্থ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরান করলেন তিনি। একাধিক নজির তৈরি করলেন ভারতীয় উইকেটকিপার হিসেবে। বিশ্বের দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে দুই ইনিংসেই শতরান করার নজির গড়লেন পন্থ। ২০০১ সালে হারারেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জ়িম্বাবোয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ১৪২ এবং অপরাজিত ১৯৯ করেছিলেন। পন্থ ১৩৪ এবং ১১৮ রান করলেন। বিশ্বের প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে ইংল্যান্ডে একই টেস্টে জোড়া শতরান করলেন তিনি। এক টেস্টে জোড়া শতরানের নজির রয়েছে অনেক ভারতীয়েরই। বিজয় হজারে প্রথম এই নজির গড়েন। ১৯৪৮ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেই শতরান করেছিলেন। যদিও ম্যাচটি হেরেছিল ভারত। এর পর এই নজির গড়েন সুনীল গাভাস্কর। তিন বার একই টেস্টে জোড়া শতরান করেছেন তিনি। দু’বার এই কীর্তি রয়েছে রাহুল দ্রাবিড়ের। এক বার করে এই নজির গড়েছেন বিরাট কোহলি, অজিঙ্ক রাহানে, রোহিত শর্মা। সোমবার পন্থ সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন। এ ছাড়া, একটি টেস্টে ন’টি ছক্কা মারলেন পন্থ। এই কীর্তি রয়েছে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (২০০৫, বনাম অস্ট্রেলিয়া) এবং বেন স্টোকসের (২০২৩, বনাম অস্ট্রেলিয়া)।

    রেকর্ড-বুকে রাহুল

    লিডসে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেছেন কেএল রাহুল। প্রথম ইনিংসে ভাল খেললেও ৪২ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে অভাব মিটিয়ে দিলেন তিনি। ১৮ মাস পর শতরান এল টেস্টে। নজিরও গড়েছেন ভারতের ক্রিকেটার। প্রথম ভারতীয় ওপেনার হিসাবে ইংল্যান্ডে গিয়ে তিনটি শতরান করলেন তিনি। ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৮টি ইনিংস খেলে তিন নম্বর শতরান করেছেন রাহুল। তার আগে রাহুল দ্রাবিড়, সুনীল গাওস্কর, বিজয় মার্চেন্ট এবং রবি শাস্ত্রীর দু’টি করে শতরান ছিল। টেস্টে এই নিয়ে নবম শতরান হল রাহুলের। আগেও ইংল্যান্ডে দু’টি শতরান রয়েছে তাঁর। তাঁর ১৩৭ রানের ইনিংসের গুরুত্বও কম নয়। ওপেন করতে নেমে ৮৫তম ওভার পর্যন্ত ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রাখলেন। দলকে নির্ভরতা দিলেন। যতটা সম্ভব ঝুঁকিহীন থাকার চেষ্টা করেছেন। দলের অভিজ্ঞতম ব্যাটারের ভূমিকা যেমন হওয়া উচিত, ঠিক সেটাই করেছেন। ২৪৭ বলের ইনিংসে নিজে রান তোলার গতি বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি পন্থকে সামলে রেখেছেন। দায়িত্বশীল রাহুল সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাহীন ভারতীয় শিবিরের। চতুর্থ উইকেটে তাঁদের ১৯৫ রানের জুটি একটা সময় দিশেহারা করে তুলেছিল বেন স্টোকসদের।

  • Iran-Israel Ceasefire: ফের আগেভাগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ট্রাম্পের! দাবি ওড়াল ইরান, কী বলল তেহরান?

    Iran-Israel Ceasefire: ফের আগেভাগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ট্রাম্পের! দাবি ওড়াল ইরান, কী বলল তেহরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও আগবাড়িয়ে যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ১২ দিন ব্যাপী যুদ্ধপরিস্থিতি শেষে, ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেলন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান এবং ইজরায়েলের তরফে বিবৃতি আসার আগেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে দুই দেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সম্মুখ সমরে থাকা ইরান এবং ইজরায়েল কী বলছে? তারা কি যুদ্ধবিরতিতে রাজি? উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের দাবিকে ফুৎকার মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। এদিন তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্য়মগুলিকে জানান, ‘ইরানের সঙ্গে কোনও প্রকারের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি হয়নি।’ এর আগে, মে মাসে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চলাকালীনও, সাত তাড়াতাড়ি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ভারত বরাবরই ট্রাম্পের সেই দাবিকে অস্বীকার করে।

    ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

    মঙ্গলবার ভোররাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষবিরতিতে (Iran-Israel Ceasefire) রাজি হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প (Donald Trump) লেখেন, ‘আগামী ছ’ঘণ্টার মধ্যে ইরান-ইজরায়েল দু’পক্ষই সম্পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে যাবে। এর শুরুটা করবে ইরান (প্রথম ১২ ঘণ্টা)। তাকে অনুসরণ করবে ইজরায়েল (পরের ১২ ঘণ্টা)। একপক্ষের সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করলে অপর পক্ষও শান্তি বজায় রাখবে। ২৪ ঘণ্টা পর বারো দিন ব্যাপী যুদ্ধের ইতি।’ সিএনএন জানিয়েছে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, দেশের বিদেশ সচিব তথা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ তৃতীয় পক্ষ মারফত ইরানের সঙ্গে কথাবার্তা চালান। হোয়াইট হাউসের তরফে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়, যাতে সম্মত হয় ইজরায়েল। তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের তরফে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, ইরান যদি হামলা না চালায়, তারাও আর আঘাত হানবে না।

    ট্রাম্পের দাবি অসত্য

    যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) সংক্রান্ত ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। তেহরান জানিয়ে দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত কোনও সমঝোতাই হয়নি। তবে ইজরায়েল নতুন করে হামলা না-করলে, তারাও আর সংঘাতে জড়াতে চায় না। এমনটাই জানিয়েছে ইরান। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলি ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকেই, ওই দাবিকে অস্বীকার করে আসছিল। বিভিন্ন সরকারি সূত্র মারফত তেহরানের সংবাদমাধ্যমগুলি ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘অসত্য’ বলে দাবি করছিলেন। শেষে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৬ মিনিটে তেহরানের অবস্থান স্পষ্ট করেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি লেখেন ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি ইজরায়েল এই হামলা শুরু করেছে। ইরান নয়। ইজরায়েল যদি আক্রমণ বন্ধ করে, তাহলে ইরানও সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই।’ এর পর ইরানের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়ে দেয় ভোর চারটেের পর থেকে  ইরান সংঘর্ষ বিরতিতে রয়েছে। তবে তার আগে ইজরায়েলে ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

    সংঘর্ষ বিরতির আভাস!

    আরাগচি সমাজমাধ্যমে লেখেন, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনও স্থির সমঝোতা হয়নি। তবে স্থানীয় সময় অনুসারে ভোর ৪টের (ভারতীয় সময়ে সকাল ৬টা) পর থেকে ইজরায়েল হামলা বন্ধ করলে ইরানও নতুন করে সংঘর্ষে জড়াতে অনিচ্ছুক। একই সঙ্গে তিনি এ-ও দাবি করেছেন, ইরান কোনও সংঘর্ষ শুরু করেনি। ইজরায়েলই ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল। ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ট্রাম্প যে দাবি করেছিলেন, তা এই পোস্টে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী। তবে ওই পোস্টটির কিছু ক্ষণ পরেই সমাজমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করেন আরাগচি। সেখানে তিনি লেখেন, ভোর ৪টে (স্থানীয় সময়) বাজার আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইরানের সামরিক বাহিনী ইজরায়েলি আক্রমণের জবাব দিয়ে গিয়েছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শত্রুপক্ষের হামলার জবাব দেওয়ার জন্য ইরানের সেনাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় এই পোস্টের মাধ্যমে সংঘর্ষবিরতি শুরু হওয়ার আভাস দিয়েছেন আরাগচি? তবে,  ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির পরও তেহরানে ইজরােলি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে।

    ট্রাম্পের দাদাগিরি!

    হোয়াইট হাউসের দাবি, আমেরিকার জন্যই এই যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) সম্ভব হয়েছে। আমেরিকা তাদের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালানোর পরই সুর নরম করেছে ইরান। সূত্রের খবর এই যুদ্ধবিরতিতে কাতার মধ্যস্থতা করেছে। সিএনএন-এর খবর অনুযায়ী, কাতারে আমেরিকার সেনাঘাঁটিতে ইরান হামলা চালানোর পর, দেশের এমিরকে মধ্যস্থতা করতে অনুরোধ জানান খোদ ট্রাম্প। সেই মতো কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করান। এর পর ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালীন একইভাবে সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। জানান, তাঁর জন্যই বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। পাকিস্তান সেই নিয়ে কোনও আপত্তি না করলেও, ট্রাম্পের সেই দাবি বারবার নস্যাৎ করেছে ভারত। দিল্লি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে তৃতীয় কোনও পক্ষের ভূমিকা ছিল না। ভারত এবং পাকিস্তান পারস্পরিক সম্মতিতেই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছয়। ঠিক একইভাবে এবার ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের সংঘর্যবিরতির দাবি সরাসরি খণ্ডন করেছে তেহরান। এমনকি ইজরায়েলও সরকারিভাবে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি।

  • RSS: ৪ থেকে ৬ জুলাই দিল্লিতে বসছে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক

    RSS: ৪ থেকে ৬ জুলাই দিল্লিতে বসছে আরএসএস-এর অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে বসছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রান্ত প্রচারক বৈঠক। সংঘ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই বৈঠক শুরু হবে ৪ জুলাই এবং চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-এর ভবন কেশব কুঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। সেখানে দেশের সমস্ত প্রান্ত প্রচারক (Prant Pracharak Baithak), সহ প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারক এবং সহ ক্ষেত্র প্রচারকরা হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    সংঘের সাংগঠনিক দৃষ্টিতে ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে

    বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) গঠন অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রান্ত রয়েছে। এই সমস্ত ক্ষেত্রীয় প্রচারক ও প্রান্ত প্রচারকরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। আরএসএস-এর বিবিধ ক্ষেত্রের অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদকরাও (Prant Pracharak Baithak) এই বৈঠকে হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী নিয়ে আলোচনা হবে?

    ২০২৫ সালের মার্চ মাসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, বিশেষ করে সংঘের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে। পরবর্তীকালে সেই শিবিরগুলি অনুষ্ঠিত হয় এপ্রিল, মে ও জুন মাসে। এরপরেই, প্রতিনিধি সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আগামী বর্ষে সংঘের কর্মসূচি কী হবে, তা স্থির করতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। আরএসএস-এর প্রান্ত প্রচারক এবং ক্ষেত্র প্রচারকরা নিজেদের রাজ্যের রিপোর্ট দেবেন, প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি কীভাবে অনুষ্ঠিত হল (RSS), কত জন অংশগ্রহণ করেছেন এবং আগামী পরিকল্পনাগুলি কী কী, সেইসব বিষয়ে।

    ২০২৫ সালের ২ অক্টোবর শতবর্ষে পা দিচ্ছে আরএসএস (RSS)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এই সংগঠন। চলতি বছরে বিজয়া দশমী পড়েছে ২ অক্টোবর। শতবর্ষ উপলক্ষে আরএসএস (RSS) একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, এই বিষয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। প্রান্ত প্রচারকদের এই বৈঠকে হাজির থাকবেন সরসংঘচালক ডঃ মোহন ভাগবত। সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে ও সমস্ত সহ-কার্যবাহরাও উপস্থিত থাকবেন। আরএসএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, ডঃ মোহন ভাগবত ২৮ জুন দিল্লিতে হাজির হবেন।

  • Artificial Intelligence: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগে পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে এগিয়ে চলেছে দেশ, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Artificial Intelligence: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগে পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে এগিয়ে চলেছে দেশ, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) যুগ চলছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ দ্রুত এগিয়ে চলেছে, যাতে কৃত্রিম মেধার বিষয়ে পরবর্তী প্রজন্ম শুধুমাত্র সচেতনই নয়, তারা এটিকে প্রয়োগ করার ব্যাপারেও প্রস্তুত হতে পারে।

    ১৫ জুলাই থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর একটি নতুন কোর্স চালু হচ্ছে

    প্রসঙ্গত, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। পড়ুয়াদের কেবল প্রযুক্তি সম্পর্কে নয় বরং চারপাশের সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কেও সচেতন করতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলাফল কী হতে পারে, তাও তাদের জানাতে হবে, সেটা চ্যাটজিপিটি হোক বা ভারতীয় মডেল ‘সর্বম’ হোক। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ১৫ জুলাই থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর একটি নতুন কোর্স (Artificial Intelligence) চালু হচ্ছে, এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের এই বিষয়ে শিক্ষাদান করা হবে। এই কোর্সের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে AI for Everyone – AI for All.

    শিক্ষকদেরও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister Jayant Chaudhary) আরও জানিয়েছেন, এই কোর্সটি প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সহায়তায় তৈরি করা হচ্ছে এবং ভারতবর্ষের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ভোকেশনাল ট্রেনিং এই কোর্সটির বিভিন্ন দিক দেখভাল করছে। শিক্ষকদেরও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ৩০ হাজারেরও বেশি স্কুল ইতিমধ্যেই স্কিল হাব তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স প্রভৃতি বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা চালাতে পারবে (Artificial Intelligence)।

    সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) ওপর চালু হয়েছে AI Readiness Program। এই প্রোগ্রাম শুরু হবে জওহর নবোদয় বিদ্যালয় থেকে। প্রসঙ্গত, জওহর নবোদয় বিদ্যালয় হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি আবাসিক স্কুল যা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। স্কুল পাঠ্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের পরিকল্পনার বিশদ ব্যাখ্যা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকারের এই প্রচেষ্টা কেবল শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়। সরকার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে এনসিআইআরটি-র সঙ্গে কাজ করছে। একইসঙ্গে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারিক প্রয়োগের জন্য ১০ হাজার ল্যাবরেটরির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি, ৫০,০০০ স্কুলে এই ধরনের পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। তিনি (Union Minister Jayant Chaudhary) আরও বলেন, Skill India Digital Hub, FutureSkills-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বিভিন্ন পড়ুয়াদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোর্স অফার করছে।

  • Daily Horoscope 24 June 2025: ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 24 June 2025: ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) অভিনেতারা খুব ভালো সুযোগ পেতে পারেন।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য পাড়ার লোকের কাছে হাসির পাত্র হবেন।

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কর্কট

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত উদারতার জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে হবে খুব বেশি।

    তুলা

    ১) শত্রুর কারণে সকালে মাথাগরম হতে পারে।

    ২) সাবধান থাকতে হবে, শরীরে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না কারও সঙ্গে।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথাবার্তা বলুন।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য কাজের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার যে কোনও কাজ সফল হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) কিছু কেনাকাটার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের কাছে সুনাম অর্জন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    National Emergency: জরুরি অবস্থায় সঞ্জয়ের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর দফতর হয়ে ওঠে অসাংবিধানিক কাজের আখড়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরি অবস্থার (National Emergency) ২১ মাসে অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী দফতর, এমনই দাবি পিএন. ধরের। যিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রধান সচিব। জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-১৯৭৭) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দফতর এক ধরনের অসাংবিধানিক কার্যকলাপের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছিল, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ইন্দিরা গান্ধীর তৎকালীন মুখ্যসচিব পিএন. ধর। তাঁর লেখা বই “Indira Gandhi, Emergency and Indian Democracy”–তে। ধরের অভিযোগ, ইন্দিরা গান্ধীর ছোট ছেলে সঞ্জয় গান্ধী-র প্রত্যক্ষ প্রভাবেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কার্যক্রম বিপথ পরিচালিত হতে থাকে। তিনি লিখেছেন, মোরারজি দেশাইয়ের রাজনৈতিক ক্ষমতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে সঞ্জয় গান্ধী ও ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি বাসভবনকে কার্যত প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।

    সঞ্জয় গান্ধীর প্রভাব (National Emergency)

    তিনি আরও জানান, সঞ্জয় গান্ধী, হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা বংশী লাল, এবং তাঁদের অনুগতরা জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে একচ্ছত্র প্রাধান্য অর্জন করেন। এই সময় তাঁরা সংবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করেছিলেন। এমনকি, একটি নতুন গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনার কথাও ভাবা হয়েছিল। পি. এন. ধর লেখেন, ইন্দিরা গান্ধীও এই প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন।

    ইন্দিরা গান্ধী বেশি চিন্তিত ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে

    ধরের মতে, ইন্দিরা গান্ধী সবচেয়ে বেশি চিন্তিত (National Emergency) ছিলেন সঞ্জয় গান্ধীকে নিয়ে। কারণ, সঞ্জয়ের দাদা রাজীব গান্ধী তাঁর আচরণে বিরক্ত ছিলেন। পি. এন. ধর লেখেন, একদিন রাজীব গান্ধী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসে বলেন, তিনি মায়ের জন্য খুব চিন্তিত, কিন্তু ভাইয়ের কার্যকলাপের ক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ অসহায়। তিনি বলেন, “আমি কেবল দর্শক মাত্র।”

    কমিউনিস্ট তত্ত্বকেই মেনে নেন ইন্দিরা গান্ধী

    পি. এন. ধর আরও এক বিস্ফোরক দাবি করেন। জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধীর বন্ধু ছিল কমিউনিস্টরা। বামপন্থীদের মতে, জেপি আন্দোলন ছিল আমেরিকার মদতপুষ্ট ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র। ইন্দিরা গান্ধী এই ধারণাকেই গ্রহণ করেন, যার ফলেই জরুরি অবস্থা (National Emergency) জারি করা হয়, এমনটাই মত পিএন ধরের। পিএন ধর (PN Dhar) তাঁর বইতে আরও লেখেন ১৯৭৭ সালের ১৮ জানুয়ারি, ইন্দিরা গান্ধী হঠাৎ ঘোষণা করেন যে লোকসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং দুই মাস পরেই নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

  • Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ২১শে জুন, গত রবিবার ভোর রাতে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। ‘বাংকার বাস্টার’ নামে পরিচিত অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে চালানো এই হামলায় ওইসব কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগ পরিকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। তবে ইরান দাবি করেছে, ক্ষয়ক্ষতি ছিল সামান্য এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি থেমে যাবে না। আন্তর্জাতিক স্তরে এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযানে কারা কারা সহযোগিতা করেছে, তা প্রকাশ করেনি। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের দাবি—এই অভিযানে পাকিস্তান (Pakistan sell out Ummah) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    পাকিস্তানের ভূমিকা

    আমেরিকা যখন ইরানে (USA attack on Iran) সামরিক হামলা চালাল, তখন মোদি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের মধ্যে ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ হয়। মোদি সেখানে উত্তেজনা প্রশমনের ডাক দেন, আর পেজেশকিয়ান ভারতকে “বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন—বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতের ভূমিকা ও কণ্ঠস্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে পাকিস্তান কিন্তু এই হামলা নিয়ে প্রায় নীরব। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানই যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল। অতীতে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতার আশায় যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর পাকিস্তানি ইতিহাস এই সন্দেহকে আরও জোরালো করছে।

    পাকিস্তানের কৌশলগত সাহায্য

    পাকিস্তানের ৯০০ কিমি ইরান সীমান্ত থাকায়, আমেরিকার জন্য পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে ইরানের পক্ষে কথা বললেও, পাকিস্তান ভেতরে ভেতরে উলটো চাল দিচ্ছে। ভারত বরাবরই পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের মুখ হিসেবে দেখে। আর ট্রাম্প আসলে পাকিস্তানকে পাশে পেতে চান ইরান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে। পাকিস্তানও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানায়—চমৎকার লেনদেন! সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং উন্নতমানের ড্রোন ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—ইসলামী ঐক্য বা উম্মাহ’র কথা বলা পাকিস্তান কি আবারও তা বিসর্জন দিল কিছু সুবিধার বিনিময়ে?

    আবারও বিশ্বাসঘাতকতা?

    ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হন কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করে, তারা এই অভিযানের বিষয়ে কিছুই জানত না, কিন্তু একজন এত বড় সন্ত্রাসীর দীর্ঘদিন পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা ও তাকে খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার প্রশ্নে সন্দেহ থেকেই যায়। একইভাবে, ইরানের মতো ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশের উপর যুক্তরাষ্ট্র এমন বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাবে, আর পাকিস্তান কিছুই জানবে না বা সহযোগিতা করবে না—এমনটা বিশ্বাস করাও কঠিন।

    ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ রাষ্ট্রকে পেছন থেকে ছুরি?

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীর সম্প্রতি ট্রাম্পের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন। এই সফরের ফলাফল হিসেবেই কি পাকিস্তান ‘বন্ধুত্বপূর্ণ মুসলিম’ দেশ ইরানকে পেছন থেকে ছুরি মারল? যদি পাকিস্তান সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে থাকে, তাহলে এটি হবে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। মুখে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের কথা বললেও, বাস্তবে মুসলিম দেশগুলোর বিপক্ষে কাজ করছে পাকিস্তান? আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের পতনে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং ওসামা ইস্যুতে পাকিস্তানের ভূমিকা স্মরণ করলে, এটি নতুন কিছু নয়।

    পাকিস্তান কীভাবে সাহায্য করতে পারে

    যুদ্ধকবলিত অর্থনীতি, আইএমএফ-এর চাপে থাকা রাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পড়ে পাকিস্তান হয়তো সামান্য সাহায্যের আশায় যুক্তরাষ্ট্রকে এই সুবিধা দিয়েছে। সামান্য অস্ত্রচুক্তির জন্য যদি পাকিস্তান উম্মাহর পিঠে ছুরি চালায়, তাহলে ইয়েমেন, সিরিয়াসহ অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলিরও সাবধান হওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক মহলের অনুমান, পাকিস্তান আমেরিকাকে সীমিত সময়ের জন্য তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। প্রশ্ন উঠছে ভারতের সন্ত্রাসবাদবাদ বিরোধী অবস্থান ও অপারেশন সিঁদুরের পর সারা বিশ্বের কাছে ইসলামিক ঐক্য নিয়ে ধর্মের তাস খেলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। এখন ইরানের বিপক্ষে মার্কিন সামরিক তৎপরতা দেখে-শুনেও তেহরানকে কেন সতর্ক করল না পাকিস্তান। ইসলামাবাদের কাজের কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ হয়তো পাওয়া যাবে না, কিন্তু পাকিস্তানের নীরবতা ও কৌশলী মনোভাব অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

     

     

     

     

  • Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    Bangladesh: বাংলাদেশে চলছেই হিন্দু নির্যাতন, এবার লালমনিরহাটের বাজারে মারধর বাবা-ছেলেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছেই। সরাসরি ভাবে মৌলবাদীরা সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা তো চালাচ্ছেই, এর পাশাপাশি হিন্দুদেরকে লক্ষ্যবস্তু করে বেশ কিছু ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগও আনা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য একটাই, হিন্দুদেরকে নির্যাতন করা। বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলা থেকে এমনই এক খবর সামনে এসেছে।

    বাবা-ছেলেকে নির্যাতন (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ধর্ম অবমাননার (Bangladesh) মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মৌলবাদীরা প্রকাশ্য দিবালোকে এক হিন্দু পরিবারের বাবা ও তাঁর ছেলেকে ব্যাপক নির্যাতন করে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নির্যাতিত হওয়া ওই বাবার নাম পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলের নাম বিষ্ণুচন্দ্র শীল। লালমনিরহাট জেলার গোশালা বাজার এলাকায় তাঁদের বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু মৌলবাদী গুজব ছড়িয়ে দেয় যে হযরত মহম্মদ সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন ওই বাবা এবং ছেলে। এই গুজব ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদীরা বাজারে জড়ো হয় এবং বাবা ও ছেলেকে নির্যাতন শুরু করে।

    ২২ জুন রবিবার ঘটে এই ঘটনা (Bangladesh)

    স্থানীয় একজন ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গত ২২ জুন মৌলবাদীরা ওই বাবা ও ছেলেকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে মারধর শুরু করে। পরেশ চন্দ্র শীল এবং তাঁর ছেলে বিষ্ণুচন্দ্র শীল দুজনেই মৌলবাদীদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তাঁরা এই ধরনের কাজ করেননি। কিন্তু মৌলবাদীরা তাঁদের কোনও কথাই শুনতে চায়নি। আধঘণ্টা ধরে এভাবেই মারধর চলতে থাকে। পরে পুলিশ এসে মৌলবাদীদের কবল থেকে বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়। এর পরে স্থানীয় এক মৌলবাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ।

    বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন চলছেই (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে হিন্দু (Hindu) সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের অজস্র সংখ্যালঘু হিন্দুকে টার্গেট বানানো হচ্ছে এবং তাদের জীবন-জীবিকা নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে উঠে আসছে এমন সব ঘটনা।

LinkedIn
Share