Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Assembly Election 2026: ছাব্বিশের নির্বাচনে ইভিএমের একাধিক নিয়মে বদল আনতে চলেছে কমিশন

    Assembly Election 2026: ছাব্বিশের নির্বাচনে ইভিএমের একাধিক নিয়মে বদল আনতে চলেছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর আবহের মধ্যেই ২০২৬ সালের ভোট প্রস্তুতি (Assembly Election 2026) শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। ইভিএম সংক্রান্ত একাধিক নিয়মে বদল আনতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইভিএম মেশিনে এবার থেকে নির্বাচনী প্রার্থীদের নামের সঙ্গে ছবিও সংযুক্ত করা হবে। ফলে বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গ সহ অসম, তামিলনাড়ু এবং পণ্ডিচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন, তাই আগেভাগেই একাধিক নিয়ম বদলের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের জন্য সবরকম প্রস্তুতিকে খতিয়ে দেখছে কমিশন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও গ্রহণ করবে।

    প্রার্থীর নামের পাশে ছবি (Assembly Election 2026)

    সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, “ইভিএমে প্রত্যেক প্রার্থীর নামের পাশে ছবি থাকবে। মেশিনে এতোদিন কেবলমাত্র নাম থাকত। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ইভিএমে নামের সঙ্গে প্রার্থীদের ছবিও থাকবে। প্রায় সময়েই দেখা যায় বিধানসভা ক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে একই নামের প্রার্থী থাকেন অনেকজন। ফলে এইরকম পরিস্থিতিতে একাধিক প্রার্থী তালিকায় নামের সঙ্গে ছবি থাকলে ভোটদাতাদের প্রার্থী নির্বাচন (Assembly Election 2026) করতে সুবিধা হবে। আর তাই নামের পাশে মেশিনে প্রার্থীদের ছবি থাকবে। প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় সেই ছবি দেখিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।”

    ১.৩ লক্ষের মতো ইভিএম প্রস্তুত

    কমিশন জানিয়েছে, ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2026) রাজ্যে বুথ সংখ্যা প্রায় ১৫০০০ বৃদ্ধি পাবে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বচানে পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা ছিল ৮০৬৮১। এবারে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৯৫০০০। ফলে আরও বেশি পরিমাণে ইভিএম মেশিন লাগবে। তবে এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত মেশিন আছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বাংলায় কত ইভিএম? এই প্রশ্নের উত্তরে কমিশন জানায়, ব্যালট কন্ট্রোল ইউনিট, রিজার্ভ মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জন্য তাদের হাতে আপাতত ১.৩ লক্ষের মতো ইভিএম আছে। আর ভিভিপ্যাট মেশিন আছে ১.৩৫ লক্ষআপাত ভাবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনায় কোনওরকম সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)

    এদিকে এসআইআর প্রসঙ্গে রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপি তরজা তুঙ্গে। বাংলাদেশিদের ব্যাঙ্কের খাতায় ঢুকেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। তা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। অপর দিকে এসআইআর-এ নথি দেখানোর ভয়ে বসিরহাটের হাকিমপুরে হাজার হাজার বাংলাদেশি বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে ভিড় জামাচ্ছে। কেউ ১ বছর কেউ বা ১০ বছর অবৈধ ভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। ফলে রাজ্যে অনুপ্রবেশদের ভোট কমার আশঙ্কায় তৃণমূল এখন চরম চাপে।

  • Shivraj Singh Chouhan: মোদি জমানায় ভারতের খাদ্যশস্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি, জানালেন শিবরাজ সিং

    Shivraj Singh Chouhan: মোদি জমানায় ভারতের খাদ্যশস্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি, জানালেন শিবরাজ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় গত ১০ বছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনে (Foodgrain Production) সর্বোচ্চ বৃদ্ধির সীমাকে অতিক্রম করেছে ভারত। সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুসারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং জানিয়েছেন, ২০১৫-১৬ সালে ২৫১.৫৪ মিলিয়ন টন থেকে উৎপাদন ১০৬ মিলিয়ন টন বৃদ্ধি ঘটিয়ে ২০২৪-২৫ সালে ৩৫৭.৭৩ মিলিয়ন টনে পৌঁছে গিয়েছে খাদ্যশস্য উৎপাদন। ২০১৪ থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের স্বদেশী উৎপাদননীতি এবং আত্মনির্ভর নীতির ফলেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশ এখন একটি বিশেষ জায়গা দখল করেছে। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    চাল-গম-মুগের উৎপাদন বৃদ্ধি

    কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan) বলেছেন, “চাল উৎপাদনও ১,৫০১.৮৪ লক্ষ টনের রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে ভারত। এই সাফল্য গত বছরের ১,৩৭৮.২৫ লক্ষ টনের তুলনায় ১২৩.৫৯ লক্ষ টন বেশি। পাশাপাশি গমের উৎপাদনও (Foodgrain Production) রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি করেছে ভারত। ২০২৪-২৫ সালে গমের উৎপাদন মাত্রা হয়েছে ১,১৭৯.৪৫ লক্ষ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ১,১৩২.৯২ লক্ষ টন উৎপাদনের তুলনায় যা ৪৬.৫৩ লক্ষ টন বেশি। একই ভাবে উৎপাদনে বৃদ্ধি পেয়েছে মুগ ডাল, সয়াবিন এবং চিনাবাদামও। মুগ ডালের ক্ষেত্রে উৎপাদন বেড়ে ৪২.৪৪ লক্ষ টন, সয়াবিনের ক্ষেত্রে বেড়েছে ১৫২.৬৮ লক্ষ টন এবং চীনাবাদামের ক্ষেত্রে বেড়ে হয়েছে ১১৯.৪২ লক্ষ টন।”

    কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, “ভুট্টা এবং বাজরা উৎপাদন যথাক্রমে ৪৩৪.০৯ লক্ষ টন এবং ১৮৫.৯২ লক্ষ টন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই খাদ্যশস্যের উৎপাদন গত বছর ছিল ৩৭৬.৬৫ লক্ষ টন এবং ১৭৫.৭২ লক্ষ টন। সবটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কৃষিক্ষেত্রের দ্রুত পরিবর্তনের প্রতিফলন। ২০২৩-২৪ সালে তৈলবীজ উৎপাদন ছিল ৩৯৬.৬৯ লক্ষ টন। এইবার ২০২৪-২৫ সালে মোট তৈলবীজ উৎপাদন রেকর্ড হয়েছে ৪২৯.৮৯ লক্ষ টন। মোট উৎপাদন বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৩.২০ লক্ষ টন।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেই উন্নয়ন

    খাদ্যশস্য উৎপাদনের (Foodgrain Production) এই বৃদ্ধিতে রয়েছে চিনাবাদাম এবং সয়াবিনের রেকর্ড উৎপাদন। যার পরিমাণ যথাক্রমে ১১৯.৪২ লক্ষ টন এবং ১৫২.৬৮ লক্ষ টন। এটি গত বছরের ১০১.৮০ লক্ষ টন এবং ১৩০.৬২ লক্ষ টন থেকে ১৭.৬২ লক্ষ টন এবং ২২.০৬ লক্ষ টন বৃদ্ধি। রেপসিড এবং সরিষা উৎপাদন হয়েছে আনুমানিক ১২৬.৬৭ লক্ষ টন।

    কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ (Shivraj Singh Chouhan) ভবিষ্যতের আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তর আলোচনা করেছেন। তিনি বর্তমান ভারতের উৎপাদন নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। তাঁর সাফ কথা, “প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে চালু হওয়া ডালে আত্মনির্ভরশীলতা মিশন-ই ডাল উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশের কৃষি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।” সরকারের বিভিন্ন কৃষি কল্যাণ কর্মসূচি খাদ্যশস্য উৎপাদনে একই রকম ইতিবাচক ফলাফলকে আরও সুদূরপ্রসারী করবে। তুর, উড়াদ, ছানা এবং মুগের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ক্রয়ের নিশ্চয়তার কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। কেন্দ্রের সুশাসন এবং সুপ্রকল্পিত নীতি সারা দেশের বিপুল সংখ্যক কৃষককে উপকৃত করেছে বলে উল্লেখ করেছেন শিবরাজ সিং।

  • Kashmir Times Office Raid: ‘দেশ-বিরোধী’ প্রচার! কাশ্মীরে সংবাদপত্রের অফিসে পুলিশি অভিযানে মিলল একে-৪৭-র গুলি

    Kashmir Times Office Raid: ‘দেশ-বিরোধী’ প্রচার! কাশ্মীরে সংবাদপত্রের অফিসে পুলিশি অভিযানে মিলল একে-৪৭-র গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশবিরোধী কাজে উৎসাহ দেওয়া, অস্ত্র মজুত করা সহ নানা অভিযোগে কাশ্মীর টাইমসের (Kashmir Times Office Raid) জম্মুর দফতরে তল্লাশি চালাল সে-রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা এসআইএ। সূত্রের খবর, সংবাদপত্রের অফিসে তল্লাশি অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের সঙ্গে একে-৪৭-এর কার্তুজ, পিস্তলের গুলি এবং গ্রেনেডের তিনটে লিভার উদ্ধার হয়েছে। অন্যদিকে, দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে আরও ৪ অভিযুক্তকে শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এখনও পর্যন্ত এনআইএ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।

    ‘কাশ্মীর টাইমস’ এর অফিস থেকে উদ্ধার অস্ত্র

    দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে জম্মুতে ‘কাশ্মীর টাইমস’ সংবাদপত্রের (Kashmir Times Office Raid) অফিসে হানা দিয়েছে এসআইএ (স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি)। দিল্লির লাল কেল্লায় গাড়ি বিস্ফোরণ এবং জইশ-ই-মহম্মদের ‘ডাক্তার জঙ্গি’ নেটওয়ার্কের তদন্তে বৃহস্পতিবার জম্মুর রেসিডেন্সি রোডে কাশ্মীর টাইমস সংবাদপত্রের অফিসে তল্লাশি চালায় রাজ্য তদন্ত সংস্থা (এসআইএ)। সম্প্রতি এই সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করা হয়েছে। এই এফআইআর-এর কারণেই তল্লাশি চালানো হয়েছে। এদিন কাশ্মীর টাইমসের অফিসে থাকা নথি এবং ডিজিটাল ডিভাইসগুলিতে অনুসন্ধান চালানো হয়। এসআইএ-র তল্লাশি চলাকালীন উদ্ধার হয় একে-৪৭-এর কার্তুজ, পিস্তলের গুলি এবং গ্রেনেডের তিনটে লিভার। পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, ‘আমরা মনে করছি যে, এই সব কিছুই বেআইনি ভাবে রাখা হয়েছিল যা দেশ-বিরোধী বা চরমপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের ইঙ্গিত করছে। আরও বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।’

    ভারত-বিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশ -এর অভিযোগ 

    জম্মু-কাশ্মীর পুলিশে সন্ত্রাস-দমন শাখা এসআইএ-র অভিযোগ, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে লেখা ভারত-বিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় এই সংবাদপত্রে। এই সব প্রতিবেদন লেখকের নামও উল্লেখ থাকে। দেশবিরোধী কার্যকলাপ প্রচারের অভিযোগে সংবাদপত্রটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এসআইএ। কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা ভাসিনের নামও এফআইআর-এ রয়েছে। বছর চারেক ধরে বন্ধ শ্রীনগরের প্রেস এনক্লেভে ‘কাশ্মীর টাইমস’-এর অফিস। ২০২১-২২ থেকে বন্ধ প্রকাশনাও। বর্তমানে পুরোটাই অনলাইন। সেই বন্ধ অফিসেই বৃহস্পতিবার সাতসকালে হানা দেয় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ‘স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)।’ পুলিশ ‘কাশ্মীর টাইমস’–এর বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করেছে, সেখানে বলা হয়েছে — এই নির্দিষ্ট মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ভাবধারা প্রচার করছিল। পাশাপাশি উস্কানিমূলক মন্তব্য, সাজানো ও মিথ্যে বক্তব্য তুলে ধরা, জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণ প্রজন্মকে মৌলবাদে উৎসাহিত করা, জঙ্গিদের প্রতি নরম মনোভাব, শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলাকে বিঘ্নিত করা এবং সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে তাদের প্রকাশিত সংবাদ ও ডিজিটাল কনটেন্ট-এর মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।

    এর পরে কী?

    এর আগে, ২০২০-এর অক্টোবরে জম্মু ও কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ ‘কাশ্মীর টাইমস’-এর শ্রীনগর অফিস সিল করে দেয়। পরে অবশ্য মেন গেট-সহ দু’একটা রুমে যাওয়ার অনুমতি ছিল। তার প্রায় পাঁচ বছর পরে ফের তল্লাশি চলল এই সংবাদমাধ্যমের অফিসে। এর পরে কী? তা নিয়ে অবশ্য কিছু জানায়নি পুলিশ। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সব কিছু ফরেন্সিকে পাঠানো হবে। তা হলেই বোঝা যাবে কোন উদ্দেশ্যে, কেন, কোথায় এই সব ব্যবহার করা হতো এবং কোনও জঙ্গি সংগঠন বা সন্ত্রাসবাদ-সহমর্মী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগ রয়েছে কি না।

    দিল্লি বিস্ফোরণে শ্রীনগর থেকে ধৃত আরও ৪

    দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে শ্রীনগর থেকে আরও চার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। ধৃতদের তালিকায় রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল গণাই, অনন্তনাগের চিকিৎসক আদিল আহমেদ রাথের, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের চিকিৎসক শাহিন সাঈদ এবং শোপিয়ানের মুফতি ইরফান আহমদ ওয়াগে। পাটিয়ালা হাউস কোর্টের নির্দেশে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়। এনআইএ জানিয়েছে, হামলার পরিকল্পনা, অর্থসংস্থান, প্রযুক্তিগত সহায়তা, সব দিকেই বড় ভূমিকা ছিল এই চার জনের।

  • SIR: এসআইআর-এ তথ্যের গোলমাল! ৭ বিএলওকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

    SIR: এসআইআর-এ তথ্যের গোলমাল! ৭ বিএলওকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিবিড় তালিকা সংশোধনে তথ্যের হেরফের এবং গোলমালের অভিযোগ! এবার ৭ বিএলওকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিএলওরা ডিজিটাইজেশন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এই প্রকিয়ার কাজ সম্পন্ন করতে টেকনিক্যাল নানা সমস্যা হচ্ছে। ঠিক এই সময় পর্বেই বেশ কিছু তালিকার তথ্যের হেরফের দেখা গিয়েছে। আর এই ব্যাপারে উপযুক্ত জবাব চাওয়া হয়েছে কমিশনের (Election Commission) তরফে । তবে উপযুক্ত জবাব না পেলে হতে পারে কড়া ব্যবস্থা। রাজ্য এসআইআর (SIR) আবহে উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে।

    বিএলওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে (SIR)

    কমিশন (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, “কলকাতার বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের সাতজন বিএলও-কে শোকজ করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। মূলত ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার কাজকে কেন্দ্র করেই এই অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি পালন করে ডিজিটাইজেশন করা হয়নি বলে অভিযোগ। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে কেন ঠিকমতো কাজ করতে পারেননি? এই বিষয়ে বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে ওই বিএলওদের কাছে। তবে এসআইআর (SIR) সংক্রান্ত  সন্তোষজনক উত্তর না পেলে ওই নির্দিষ্ট বিএলওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।”

    সামান্যতম অনিয়ম মানতে চায়না কমিশন

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) সাফ নির্দেশ ছিল, সংগ্রহ করা ফর্মের ৩০ শতাংশ ডিজিটাইজ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে নির্ধারিত সময়ে মাত্র ৪ থেকে ৮ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন এলাকার বিএলওরা নানা ভাবে অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগও করা হয়েছে। কিন্তু এই কাজে আবার একাধিক জায়গায় বেশ কিছু তথ্যের গোলমাল ধরা পড়েছে। কাজের ক্ষেত্রে সামান্যতম অনিয়ম মানতে চায় না কমিশন। তাই জবাবে সন্তোষ না হলে কমিশন শাস্তি দেওয়ার কথা বলেও আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। আবার হুগলির কোন্নগরে ফর্ম বিলি (SIR) করতে গিয়ে মাথা ঘুরিয়ে পরে গিয়েছেন বিএলও তপতী বিশ্বাস। তাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিতে হয়েছে। ঠিক একই রকম ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জেও।

  • ED raids: সাতসকালে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড জুড়ে ইডির হানা, কয়লা ব্যবসায়ীদের ৪০টি ঠিকানায় তল্লাশি

    ED raids: সাতসকালে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড জুড়ে ইডির হানা, কয়লা ব্যবসায়ীদের ৪০টি ঠিকানায় তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড জুড়ে বড়সড় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED raid)। শুক্রবার সকাল থেকেই কয়লা কেলেঙ্কারিতে (coal scam) দুই রাজ্য মিলিয়ে প্রায় ৪০টির বেশি ঠিকানায় হানা দিয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (West Bengal and Jharkhand)। আসানসোল, পুরুলিয়া, কলকাতার কয়েকটি এলাকা থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ – সব জায়গাতেই অভিযানে নেমেছেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁদের সহায়তায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। লক্ষ্য মূলত কয়লা ব্যবসায়ী লালবাবু সিং ও তাঁর ভাই কুম্ভনাথ সিং-এর একাধিক ঠিকানা।

    রাজ্যের কোথায় কোথায় তল্লাশি

    শুক্রবার সকাল থেকে একসঙ্গে রাজ্যের ২৫টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা। কলকাতা-সহ পুরুলিয়া, আসানসোল, দুর্গাপুরে তল্লাশি চলছে। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার সংক্রান্ত (coal smuggling) মামলায় এই তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে কয়লা মাফিয়ার (ED raid) বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। এদিন সকালে সল্টলেকের দুটি জায়গায় পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। সল্টলেকে সেক্টর-২তে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইডি আধিকারিকরা বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন। সল্টলেকের একে ব্লকেও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সল্টলেকের একে ব্লকে ২২৫ নম্বর বাড়িতে সকাল সকাল পৌঁছে যান ইডির আধিকারিরকরা, সিজে ব্লকের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলে তল্লাশি। বাড়ির মালিকের নাম নরেন্দ্র খারকা। বাইপাস সংলগ্ন একটি আবাসনেও চলছে অভিযান। হাওড়ার সলপ মোড়েও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে চলছে তল্লাশি। দেখা যায়, অফিসাররা পৌঁছে গেলেও অধিকাংশ অফিস ও বাড়ির মূল গেটে তালা।

    এক যোগে দুই রাজ্যে অভিযান

    কয়লা পাচার মামলায় (coal smuggling) তদন্ত চালাচ্ছে ইডি (ED raid)। সম্প্রতি সিবিআই আদালতে ইডি জানিয়েছিল, কয়লা পাচার মামলায় খুব শীঘ্রই সামনে আসবে প্রভাবশালীদের নাম। তারপরই এদিন রাজ্যের ২৫ জায়গায় একসঙ্গে হানা দিল ইডি। ঝাড়খণ্ডের ধনবাদ এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোট ১২ জায়গায়ও অভিযান শুরু করেছে ইডি। এর মধ্যে সকাল ৬টা থেকে বিসিসিএল (BCCL)-এর ঠিকাদার ও বড় কয়লা ব্যবসায়ী এলবি সিংয়ের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিও রয়েছে। ​জানা গিয়েছে, ইডির এই অভিযান বিসিসিএলর বিভিন্ন টেন্ডারে অনিয়ম ও দুর্নীতির মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। ​এছাড়াও, ইডি-র কলকাতা টিম পশ্চিমবঙ্গেও কয়লা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার, পরিবহনকারী এবং ইসিএল (ECL)-এর আধিকারিকদের ঝাড়খণ্ডের আস্তানাগুলিতে সমান্তরালভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে।

    লালবাবুদের ডেরায় হানা

    ইডি (ED raid) সূত্রের দাবি, কয়লা রফতানিতে (coal scam) দুর্নীতি ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অসঙ্গতির অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তল্লাশি অভিযান। লালবাবুদের সংস্থার অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত বিসিসিএল-এর খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের ঠিকা রয়েছে। তা নিয়েই দুর্নীতির সূত্রপাত। উল্লেখ্য, প্রায় দশ বছর আগে বিসিসিএল-এর টেন্ডার সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই লালবাবুর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দিকে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার সেই লালবাবু সিং-এর ঠিকানাতেই হানা দিল আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা, ইডি। প্রসঙ্গত, ঠিকাদার এলবি সিংয়ের সংস্থায় এর আগে আয়কর বিভাগও অভিযান চালিয়েছিল। সেই সময় ১০০ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

  • Suvendu Adhikari: ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ কমিশনে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ কমিশনে মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো, অবৈধ ভোটার দিয়ে তালিকা ভরিয়ে রাখার স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়াকে বিকৃত করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখেছেন। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রক্রিয়া এবং পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বিকেলে জ্ঞানেশকে মমতার পাল্টা চিঠি লিখলেন শুভেন্দু। চিঠিতে এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছিলেন মমতা। দীর্ঘ চিঠিতে একাধিক উদাহরণ দিয়ে শুভেন্দু লিখলেন, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য এসআইআর সঠিক ভাবে সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন। ভারতের গণতন্ত্র রক্ষার জন্যও এটা গুরুত্বপূর্ণ।

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে চিঠি লিখেছেন, তা আদতে কোনও গঠনমূলক কারণে নয়, অবৈধ ভোটব্যাঙ্ককে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। এমন বার্তাই কমিশনে পৌঁছে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন তিনি। কর্তব্যরত আধিকারিক ও সাধারণ মানুষের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে চিঠি লিখেছেন মমতা। পাল্টা চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, আদতে রাজ্যের শাসক দল ভোটের স্বার্থে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের এতদিন ধরে সুরক্ষা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু উল্লেখ করেছেন, জায়গায় জায়গায় বাংলাদেশিদের ঘর ছাড়ার হিড়িক বেড়েছে। হাকিমপুরে বাংলাদেশ সীমান্তে ভিড় বাড়ছে, এমন ছবিও সামনে এসেছে। শুভেন্দুর চিঠিতে সেই ঘটনারও উল্লেখ আছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লিখে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, মমতার চিঠি আদতে নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষের যে আস্থা, তাতে আঘাত হানছে। সঙ্গে শুভেন্দু এও উল্লেখ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে বিএলও দের হুমকি দিয়েছেন।

    মুকুল রায়ের মামলার কথা

    মমতার চিঠি ছিল তিন পাতার। শুভেন্দু পাল্টা চিঠিটি লিখেছেন চার পাতার। সেই চিঠিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, শুধু ভোট চুরি করা নয়। মমতার রাজনৈতিক ধরন হল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকেও চুরি করা। সে কারণেই হাইকোর্ট মুকুল রায়ের বিধানসভার সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছে। এসআইআরের চাপ সইতে না-পেরে দুই বিএলও-র মৃত্যু, মানুষের হেনস্থা, আলু তোলার মরসুমে এই প্রক্রিয়া চাপিয়ে দেওয়ার একাধিক অভিযোগ করেছেন মমতা। শুভেন্দু তাঁর চিঠিতে পাল্টা যুক্তির জাল বুনতে চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিএলওদের অর্থবৃদ্ধির ফাইল এখনও রাজ্যের অর্থ দফতর এখনও ফেলে রেখেছে।

    ‘‘বাংলায় কায়েম জঙ্গলরাজ’’

    শুভেন্দুর বক্তব্য, গত তিন মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রী বারংবার বিএলওদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন, ভোটের পরে রাজ্য সরকারের চাকরিই তাঁদের করতে হবে। যা কমিশনের নির্দেশ পালনের বদলে রাজনৈতিক দাসত্ব পালনে প্ররোচনা দিয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী মনোজ আগারওয়ালের বিরুদ্ধেও মমতা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তা-ও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে মমতা যে ভাবে চিঠি লিখেছেন, তা নিয়ে কমিশনের কঠোর মনোভাব নেওয়া উচিত বলে জ্ঞানেশকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর আরও বক্তব্য, এই চিঠিই প্রমাণ করে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ কায়েম হয়েছে। এ প্রসঙ্গেই তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা উল্লেখ করছেন শুভেন্দু। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কমিশনই এ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছিল, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে সারা বাংলা জুড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরা কোনও কাজই করেনি। তাহলে স্বচ্ছ নির্বাচন হল কীভাবে প্রশ্ন শুভেন্দুর।

    সাংবিধানিক সংস্থার উপর সরাসরি আক্রমণ

    এসআইআর বন্ধের দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাংবিধানিক সংস্থার উপর সরাসরি আক্রমণ করেছেন, বলে দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়,  এসআইআর কোনো নতুন প্রক্রিয়া নয়, দেশে এটা নবমবারের মতো হচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই উনি মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, সিইসি-কে গালিগালাজ করছেন।

    ‘‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’’

    বিরোধী দলনেতার প্রশ্ন, ‘এসআইআর থামানোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে?’ ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর (এসআইআর) অধীনে ৫০.৪০ কোটিরও বেশি ভোটার, যা প্রায় ৯৯ শতাংশ, গণনার ফর্ম পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত এই ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ৫০.৯৭ কোটি ভোটার রয়েছেন। এসআইআর-এর দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি হল ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাট, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, লাক্ষাদ্বীপ এবং পুদুচেরি।

    ‘‘এসআইআর না হলে নির্বাচনও হবে না’’

    বিজেপি নেতা আরও যোগ করেন,‘‘এসআইআর না হলে নির্বাচনও হবে না। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা না এলে এপ্রিলে নির্বাচন হবে না। মৃত, ভুয়ো এবং অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে হট্টগোল করছেন… যখন ১ কোটিরও বেশি ভোটার বাদ যাবে, যারা হয় মৃত, ভুয়ো অথবা অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, তখন উনি কীভাবে জিতবেন… বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের ভোটের পার্থক্য মাত্র ২২ লক্ষ…’’

  • Kids Breakfast: স্কুল পড়ুয়াদের বাড়ছে অপুষ্টি আর স্থূলতা! নেপথ্যে কি বেঠিক ব্রেকফাস্ট?

    Kids Breakfast: স্কুল পড়ুয়াদের বাড়ছে অপুষ্টি আর স্থূলতা! নেপথ্যে কি বেঠিক ব্রেকফাস্ট?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ঘড়ির কাঁটা মেপে পৌঁছে যেতে হবে স্কুলে! কিন্তু অনেক সময়েই ঘুম থেকে উঠতে বেশ দেরি হয়ে যায়। আর তার জেরেই বাড়ছে নানান বিপদ। স্কুল পড়ুয়াদের শরীরে বাসা বাঁধছে নানান অসুখ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দিয়ে সকাল শুরু না হলে, তার প্রভাব হয় দীর্ঘমেয়াদি। তাই সন্তানকে সুস্থ রাখতে, তার সকালের প্রথম খাবার নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    স্কুল পড়ুয়াদের কোন‌ সমস্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে?

    ইউনিসেফের সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে শিশুদের ওবেসিটি বাড়ছে। শরীরের অতিরিক্ত ওজন নানান রোগের কারণ হয়ে উঠছে। শিশুদের সুস্থ দীর্ঘ জীবনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ জন শিশুর মধ্যে একজন ওবেসিটিতে ভুগছে। ভারতের প্রায় দু’কোটির বেশি শিশু অতিরিক্ত শারীরিক ওজনের সমস্যায় ভুগছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ২০১৭ সালে দু থেকে চার বছর বয়সী ভারতীয় শিশুদের ১১ শতাংশ ওবেসিটিতে আক্রান্ত হয়েছিলো। তাঁদের আশঙ্কা ২০৩০ সালের মধ্যে ১৭ শতাংশের বেশি শিশু এই সমস্যায় আক্রান্ত হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওবেসিটি শিশুর কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেবে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোন ঘটিত নানান অসুখের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেবে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওবেসিটি শরীরের মেদ বাড়ালেও পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারছে না।‌ ফলে শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬৫ শতাংশ শিশুর মৃত্যুর প্রধান কারণ অপুষ্টি। বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছেন, এখানেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। শিশু খাবার খেলেও, এমন কিছু খাবার খাচ্ছে, যা শরীরে পুষ্টির জোগান দিচ্ছে না। বরং তাতে পেটের মেদ বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে অন্যান্য রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কেন ব্রেকফাস্টে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে?

    শরীরের এনার্জি লেভেল নির্ভর করে!

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবার সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে কোন খাবার খাওয়া হচ্ছে, ওর উপরে সারাদিনে শরীরের ক্লান্তি নির্ভর করে। শরীরে কতখানি এনার্জি থাকবে, সেটাও অনেকটাই নির্ভর করে জলখাবারের উপরেই।

    শিশুর হজম ক্ষমতার নির্ধারক!

    প্রথম খাবার পাকস্থলী, লিভারের এবং অন্ত্রের উপরে গভীর প্রভাব ফেলে। এতে হজম শক্তির মাত্রা নির্ভর করে। তাই বারবার বমি কিংবা হজমের অন্যান্য অসুবিধা এড়াতে জলখাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।

    মস্তিষ্কের বিকাশেও জরুরি!

    সকালের খাবার মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সকালে কী খাবার খাওয়া হচ্ছে, তার উপরে শরীরের এনার্জি নির্ভর করে। তাই মস্তিষ্ক কেমন করে কাজ করবে সেটা সকালের জলখাবারের উপরেই কিছুটা নির্ভর করে। তাই পুষ্টিবিদেরা ব্রেকফাস্টকে ‘ব্রেন ফুড’ বলছেন।

    অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    সকালের জলখাবার অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছেকে ও নিয়ন্ত্রণ করে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন সকালের প্রথম খাবার পেট ভরে ঠিকমতো খেলে খেলে দিনদিন নানান খাবার খাওয়ার ইচ্ছে থাকবে না। অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস বা ‘ওভার ইটিং’ হবে না। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। তাই সকালের জলখাবার সুস্থ থাকার জন্য অত‌্যন্ত জরুরি।

    স্কুল পড়ুয়াদের জন্য কোন ধরনের খাবার জরুরি?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালে শুধু কার্বোহাইড্রেট কিংবা প্রোটিন নয়। জলখাবারে রাখতে হবে ব্যালেন্সড্ ডায়েট। অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাটের ঠিকঠাক সমতা। তবেই শরীর পর্যাপ্ত এনার্জি পাবে। মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, স্কুল যাওয়ার আগে রুটি, ডিম সিদ্ধ, আপেল, ডাল জাতীয় খাবার খেতে হবে। যাতে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবার শরীরে পৌঁছয়। এতে দিনভর ঘনঘন খিদে পাবে না। আবার শরীরে এনার্জি থাকবে। চটজলদি খাবার নয়। এমন কিছু ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেতে হবে, যাতে শরীর সুস্থ থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ শিশু শুধু দুধ খেয়ে স্কুলে যায়। কিন্তু শুধু দুধ থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া যায় না। দুধের সঙ্গে যেকোনও ধরনের বাদাম, খেজুর, কিংবা যেকোনও ফল খেতে হবে। কিংবা সব্জি দেওয়া খিচুড়ি, ডিম সিদ্ধ খাওয়া দরকার। এই ধরনের খাবারে শরীর ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন সবকিছুই পাচ্ছে। তাই শরীরে ক্লান্তি গ্রাস করবে না। মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকবে। অপুষ্টি কিংবা অতিরিক্ত ওজন, কোনো সমস্যাই গ্রাস করবে না।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 21 November 2025: প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 21 November 2025: প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

     

    কর্কট

    ১) কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি থেকে সাবধান।

    ২) নতুন কাজের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) কর্মচারীর জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    ধনু

     

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

     

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) সমাজে আপনার প্রশংসা বৃদ্ধি পাবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • SIR: কত সংখ্যক বাংলাদেশি মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হয়েছে? তদন্ত চান অগ্নিমিত্রা

    SIR: কত সংখ্যক বাংলাদেশি মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হয়েছে? তদন্ত চান অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা সরাসরি বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্টে দিয়েছে মমতা সরকার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। রাজ্যে এসআইআর (SIR) আবহে অনুপ্রবেশকারীদের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। উল্লেখ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু করতেই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাকিমপুরে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপক ভিড় জমেছে। তাঁদের লক্ষ্য এখন সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে যাওয়া। অনুপ্রবেশকারী খোদ বাংলাদেশিদের মুখে শোনা গিয়েছে, কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ রেশনের মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন! আর তাতেই তৃণমূলকে তোপ দেগেছে বিজেপি।

    রাজ্যের টাকা কেন অনুপ্রবেশকারীদের পকেটে?

    বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “আমাদের করের টাকা থেকে কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাংলাদেশিদের অ্যাকাউন্টে ঢুকল? এই প্রকল্প ২ কোটি ১৫ লক্ষ বাংলার মহিলাকে দেওয়া হয়। এই রাজ্যের বহু সংখ্যক মহিলাদের মধ্যে বাংলাদেশের অনেক মহিলারাও রয়েছে। তৃণমূল সরকার তাদেরও টাকা দিচ্ছে! কত সংখ্যক বাংলাদেশি মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা দেওয়া হয়েছে, তার তদন্ত দাবি করছি আমরা। আমাদের রাজ্যের ভাইবোনদের জন্য এই টাকা খরচ করা হোক, এটাই কাম্য।”

    এসআইআর-এর গুঁতোয় ফের বাংলাদেশ ফিরতে হচ্ছে

    উল্লেখ্য, বসিরহাটের হাকিমপুর সীমান্তে হাজার হাজার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা জমায়েত হয়েছেন। এ যেন ঠিক শুভেন্দুর কথায় কার্বলিক অ্যাসিড দেওয়ায় অনুপ্রবেশকারীরা বের হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের পথে বাংলাদেশিরা। রাতের অন্ধকারে দালাল ধরে মোটা টাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল তারা। পরে টাকার বিনিময়ে জাল কাগজপত্র (Lakshmi Bhandar) বের করে সরকারি সুবিধা নিয়েছে। তাদের মধ্যে রোকেয়া বিবি নামক এক বাংলাদেশি বলেন, “ভারতে ঢুকে আধার-ভোটার কার্ড বানিয়ে দুবার ভোটও দিয়েছি আমরা। দশ বছর আগে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকে প্রবেশ করেছি। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ ঝুপড়িতে বাস করতাম। এখন এসআইআর-এর (SIR) গুঁতোয় ফের বাংলাদেশ ফিরতে হচ্ছে আমাদের।” আবার অপর আরেক অনুপ্রবেশকারী বলেছেন, “সীমান্তে অবৈধভাবে টাকার বিনিময়ে এখানে এসেছি। আমরা কাগজ কোরানোর কাজ করি। জায়গায় জায়গায় ময়লা ফেলার কাজ করি। স্থানীয় নেতারা টাকা নিয়ে কাজপত্র বানিয়ে দিয়েছিল।”

  • Supreme Court: রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালকে বিলের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালকে বিলের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিল অনুমোদনে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া আদালতের কাজ নয়। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছে, রাজ্যপাল কোনও বিল অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখতে পারেন না। হয় সেটাতে সম্মতি দিতে হবে। নয় বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে হবে। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, সংবিধান ইচ্ছাকৃতভাবেই কিছু ক্ষেত্রে নমনীয়তা রেখেছে, আর সেই জায়গায় সময়সীমা চাপিয়ে দেওয়া হলে সেই নমনীয়তায় ব্যাঘাত ঘটবে। তাতে রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হবে।

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের কাছে কোনও বিল পাঠানো হলে তাঁদের কী করা উচিত, এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রশ্ন উঠছিল। তামিলনাড়ুর করা মামলার রায়ে সেই বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, লোকসভা বা বিধানসভা থেকে পাশ হওয়া বিলগুলিতে সম্মতি দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালদের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া যায় না ৷ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যপালরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিল আটকে রাখতে পারেন না ৷ এটা আদতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি লঙ্ঘন করার সামিল। প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সুর্যকান্ত, বিক্রম নাথ, পিএস নরসিমহা ও এএস চন্দরকর। ‘প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স’ মামলায় বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া, ক্ষমতা পৃথকীকরণকে অসম্মান করার সামিল ৷ শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, ২০০ এবং ২০১ অনুচ্ছেদ আদতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই ভারসাম্য রক্ষার জন্যই তৈরি করা হয়েছে ৷ ফলে সময়সীমা আরোপ করলে এর বিপরীত অবস্থানে যাওয়া হবে।

    কী করবেন রাজ্যপাল

    কোনও বিল রাজ্যের আইনসভায় পাশ হওয়ার পর রাজ্যপালের কাছে গেলে, তাঁর কী করণীয়, তা ব্যাখ্যা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানায়, রাজ্যপালের সামনে তিনটি সাংবিধানিক বিকল্প রয়েছে। ১) বিলটিতে সই করা, ২) সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো, ৩) সম্মতি না-দিয়ে বিলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠানো। একই সঙ্গে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, এই তিনটি বিকল্পের মধ্য থেকে কোনটি বেছে নেবেন— এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপালই। এটি আদালতের বিবেচনার বিষয় নয় বলে জানায় সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি গভাই বলেন, “রাজ্যপালকে কত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেই সময়সীমাও আদালত নির্ধারণ করে দিতে পারে না।” একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি তাঁদের কাজ কী ভাবে করছেন, তা আদালতের বিচারযোগ্য নয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে কোনও পদক্ষেপ না-করা, অনির্দিষ্ট কাল ধরে বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করা এবং সেটির কোনও ব্যাখ্যা না দেওয়া—এই সমস্ত ক্ষেত্রে আদালত সীমিত নির্দেশ দিতে পারে, যাতে তাঁরা দায়িত্ব পালন করেন।

    কী করতে পারে আদালত

    বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে শীর্ষ আদালত জানায়, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের কাজের উপর সাধারণ ভাবে বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপ করা যায় না। তবে দীর্ঘ দিন ধরে নিষ্ক্রিয়তা থাকলে সাংবিধানিক আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে জানিয়েছে সাংবিধানিক বেঞ্চ। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪৩ উদ্ধৃত করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোনও বিল নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে রাষ্ট্রপতিকে প্রতি বার শীর্ষ আদালতের মতামত চাইতেই হবে— এমন বাধ্যবাধকতা নেই। অনুচ্ছেদ ১৪২ অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের ক্ষমতা পূরণ করতে পারে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, বিল আইনে পরিণত না হলে, রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।

    কোন প্রক্ষিতে এই অভিমত

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ বছরের মে মাসে সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একটি রেফারেন্স পাঠিয়েছিলেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, কোনও আদালত কি রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিতে পারে? বিশেষত তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির এই প্রশ্ন ছিল। সংবিধানের ১৪৩ ধারা প্রদত্ত বিশেষ অধিকার বলে শীর্ষ আদালতের রায় নিয়ে ১৪টি প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। যার ফলে ওই রায় পর্যালোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স বেঞ্চ তৈরি হয়। বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে সম্মতি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট । তার পরেই এই বিষয়ে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ব্যাখ্যা করতে শীর্ষ আাদালতের সামনে ১৪টি প্রশ্ন পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। এ ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির থেকে মতামত নেওয়ার পর গত জুলাই মাস থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স মামলার শুনানি চলছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চে ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিল, তারা রাজ্যপালকে বিল সইয়ের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার বিরোধী।

LinkedIn
Share