Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • BJP Bandh: জোড়া মৃত্যুতে বিজেপির বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি, মিছিল শুভেন্দুর, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    BJP Bandh: জোড়া মৃত্যুতে বিজেপির বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি, মিছিল শুভেন্দুর, ধস্তাধস্তি পুলিশের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে (khejuri) দুই ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত খুন। এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে পৌঁছেছে। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার বিজেপির ডাকা বন‍্ধে খেজুরিতে ব্য়াপক প্রভাব পড়ে। কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় খেজুরি। একাধিক জায়গায় রাস্তায় অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। সব মিলিয়ে সোমবার দিনভর রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। শনিবারই শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, “এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং সুসংগঠিত খুন। এই ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষভাবে করতে হবে।” তাঁর আরও দাবি ছিল, “ময়নাতদন্ত রাজ্য সরকারি হাসপাতালে হলেও কোনও আপত্তি নেই, তবে সেখানে কেন্দ্রীয় হাসপাতালের একজন চিকিৎসক উপস্থিত থাকতে হবে। পরিবারের সদস্যদেরও ময়নাতদন্তের সময় থাকতে দিতে হবে।” সেসময়ই তিনি সোমবার বন‍্ধের কথা ঘোষণা করেন।

    সোমবারের বন‍্ধে স্তব্ধ খেজুরি

    বিজেপির ডাকা সোমবারের বন‍্ধ (khejuri) ঘিরে সকাল থেকেই খেজুরিতে উত্তেজনা তৈরি হয়। একাধিক এলাকায় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে অবরোধ শুরু করেন সমর্থকরা। হেঁড়িয়া, বাসগোড়া, কলাগাছিয়া, রসুলপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয়। বহু যানবাহন আটকানো হয়, কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। বিশেষ করে হেঁড়িয়া-খেজুরি রাজ্য সড়কে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। পুলিশ অবরোধ সরাতে গেলে বনধ সমর্থকদের সঙ্গে ব্যাপক বচসা এবং ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কড়া অবস্থান নেয়, গ্রেফতার করা হয় একাধিক বিজেপি কর্মীকে। পাশাপাশি, রসুলপুর নদীর ফেরিঘাট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    শুভেন্দুর মিছিল, পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ

    সোমবার সকালে বিজেপির ডাকে বন‍্ধ (khejuri) সফল করতে খেজুরির জনকা থেকে বিদ্যাপীঠ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিছিলে ছিল ব্যাপক জনসমাগম। মিছিল শেষে এক সভায় রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। তিনি বলেন, “হিন্দুদের পরিকল্পিতভাবে খুন করা হচ্ছে, আর পুলিশ তার গল্প সাজিয়ে তা লুকোচ্ছে। বিজেপি এর প্রতিবাদে রাজপথে নামতে বাধ্য হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “যে লাঠিতে ‘জয় শ্রীরাম’-এর পতাকা লাগানো হয়েছে, সেগুলোকে আরও মজবুত করতে হবে। সেই লাঠিগুলোতে তেল মাখাতে হবে, কারণ এখন লড়াইটা কঠিন।”

    শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি

    ঘটনার পরপরই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেছিলেন, “এই মৃত্যু রহস্যজনক নয়, এটি নির্মম খুন। পরিকল্পনা করে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট বলে চালাতে চাইছে।” তিনি সেসময় অভিযোগ তোলেন, পুলিশের তরফ থেকে দেহ পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার তিনি দাবি করেন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে প্রভাবিত করা হয়েছে। শুভেন্দুর দাবি, উপর মহলের নির্দেশেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট লেখা হয়েছ। এদিন তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি ঘরে বসে হয় না, রাস্তায় নামতে হয়। আমরা ২০১১ সালেও এইভাবেই পরিবর্তন এনেছিলাম। আজও পরিবর্তনের ডাক দিতে হবে।” সোমবার (khejuri) সকাল থেকেই নিহতদের পরিবারের হাহাকার খেজুরিকে যেন আরও নিস্তব্ধ করে দেয়। এই জোড়া মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা চড়ছে।

    জলসায় গিয়ে রহস্য মৃত্যু (khejuri)

    গত শুক্রবার খেজুরির জনকার ভাঙনবাড়ী গ্রামে একটি  জলসার আয়োজন করা হয়। সেই জলসায় অন্যান্যদের মতো উপস্থিত ছিলেন ২৩ বছর বয়সি যুবক সুজিত দাস এবং ৬৫ বছর বয়সি বৃদ্ধ সুধীরচন্দ্র পাইক। এখানেই রহস্যমৃত্যু হয় দুজনের। এই মৃত্যু ঘিরে এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, দেহে একাধিক গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল, যা নিছক দুর্ঘটনার ইঙ্গিত দেয় না বরং এটি একটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলেই তাঁরা  বিশ্বাস করেন। মৃত সুজিত দাসের বাড়ি পূর্ব ভাঙনবাড়ীপুর গ্রামে এবং সুধীরচন্দ্র পাইকের বাড়ি ছিল ঝাঁটি হাটি গ্রামে। পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটার পর স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। তাঁরা দাবি করেন, পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের না জানিয়ে মৃতদেহ তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। পরিবারের অনুমান, এর পেছনে কোনও বড় ষড়যন্ত্র থাকতে পারে যা প্রশাসনের একটি অংশ আড়াল করতে চাইছে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবাদে সরব হন। তাঁদের তরফে জানানো হয়, এই মৃত্যুর ঘটনার পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে এবং এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়া সত্য সামনে আসবে না। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই মৃত্যুর ঘটনার পেছনে শাসক দলের প্রচ্ছন্ন ভূমিকা থাকতে পারে। বিজেপির পক্ষ থেকে সরাসরি অভিযোগ করা হয় যে, রাজ্যে হিন্দুদের লক্ষ্য করে হামলা বাড়ছে এবং প্রশাসন এসব ঘটনাকে ‘দুর্ঘটনা’ বলে চাপা দিতে চাইছে।

  • Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    Ayurveda: কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ আয়ুর্বেদে! স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারত নেতৃত্ব দেবে বিশ্বকে, বলল ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা আয়ুর্বেদ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে গঠিত একাধিক উদ্যোগ এবার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ স্বীকৃতি পেল (Ayurveda)। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে যার শিরোনাম ছিল “ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের মানচিত্র”। সেখানে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের আয়ুষ ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এবং তা থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা।

    ভারতের প্রশংসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (Ayurveda)।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণা প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের (Artificial Intelligence) প্রথম দিক নির্দেশিকা হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই প্রতিবেদনে বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয়েছে ভারতের প্রাচীন জ্ঞানভাণ্ডারকে ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগকে। যেমন “প্রচলিত জ্ঞান ডিজিটাল গ্রন্থাগার” – এইভাবে প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির জ্ঞানকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতই প্রথম দেশ, যেটি ডিজিটাল গ্রন্থাগারের এমন উদ্যোগ নিয়ে দেশের ঐতিহ্যকে ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

    কৃত্রিম মেধা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি

    এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থাৎ “সবার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা” – সমস্ত ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, সেটিকেও প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং তা তাদের বিবৃতিতে উল্লিখিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালেই জানিয়েছিলেন যে, তার সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (Artificial Intelligence) জনকল্যাণে ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষের উন্নতির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক শক্তিশালী হাতিয়ার বলেও তিনি সে সময় উল্লেখ করেছিলেন (Ayurveda)।।

    এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন

    এই প্রেক্ষাপটে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন ঘোষণাকে ঘিরে আয়ুষ এবং স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রতাপরাও যাদব জানিয়েছেন, এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ের প্রতিফলন। তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার “নমস্তে”, “আয়ুষ গবেষণা” প্রভৃতি পোর্টালের মাধ্যমে শুধু চিকিৎসার আধুনিকীকরণ করেনি, বরং প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানভাণ্ডারকে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য যে “আয়ুষ গ্রিড” শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। এর মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে একটি তথ্যভাণ্ডার।

    ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই বিশেষজ্ঞ দলের মতে, ভারতের এই ধরনের উদ্যোগ যথেষ্ট উদ্ভাবনী এবং ভবিষ্যতমুখী। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে আয়ুর্বেদের (Ayurveda) নাড়ি নির্ণয়, জিভ পর্যবেক্ষণ প্রভৃতি প্রচলিত পদ্ধতিগুলিকে আরও উন্নত ও নির্ভুল করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে শুধু চিকিৎসার নির্ভুলতা বেড়েছে তা নয়, রোগ প্রতিরোধমূলক চিকিৎসাও অনেক বেশি কার্যকর হয়েছে।

    রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ সহজ হয়েছে

    ওই প্রতিবেদনে ভারতীয় গবেষকদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাসায়নিক সংবেদকের সাহায্যে আয়ুর্বেদের গুণাগুণ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিচার করা এখন সম্ভব হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে একটি কার্যকর সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে রোগ নির্ণয়, ওষুধের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ, ওষুধ উদ্ভাবন এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

    আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেন্দ্রের মোদি সরকারের এই ধরনের উদ্যোগকে আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণে ভারতের নেতৃত্বের স্বীকৃতি বলেই মনে করছেন অনেকেই। এটি শুধু ভারতের ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেনি, বরং দেখিয়েছে কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক বিজ্ঞান ও মানবকল্যাণের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র ভারতের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য এক গর্বের মুহূর্ত নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই অর্জনের মাধ্যমে ভারত তার প্রাচীন জ্ঞানকে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় বৈশ্বিক মঞ্চে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এই পথ ধরেই আগামী দিনে ভারত আরও দৃঢ়ভাবে বিশ্বস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নেতৃত্ব দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আয়ুর্বেদের ভূমিকা আরও গভীর, কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে – এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই স্বীকৃতি ভারতের ঐতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।

  • Rain Forecast: ফের তৈরি নিম্নচাপ অঞ্চল! ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে, সতর্ক করা হল মৎস্যজীবীদের

    Rain Forecast: ফের তৈরি নিম্নচাপ অঞ্চল! ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে, সতর্ক করা হল মৎস্যজীবীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত দ্রুত ঘনীভূত হচ্ছে, যা বর্তমানে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে (Rain Forecast)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখাও। এই দুটি আবহাওয়াগত সিস্টেমের মিলিত প্রভাবে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির দাপট বাড়বে।

    দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    বর্ষা সক্রিয় থাকার কারণে (Low Pressure) রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলছে। কলকাতাতেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, কখনও ঝিরঝিরে তো কখনও দাপুটে বৃষ্টি হচ্ছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার ও মঙ্গলবার কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনাতেও। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় (Rain Forecast)। বিশেষভাবে, পশ্চিম মেদিনীপুরে সোমবার অতি ভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) সম্ভাবনা থাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান ও বীরভূমে বৃষ্টি বুধবার পর্যন্ত চলবে। তবে মঙ্গলবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় আপাতত নতুন করে কোনও আবহাওয়া সতর্কতা নেই।

    উত্তাল সমুদ্র, মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা

    রবিবার বিকেলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে (Rain Forecast) একটি নিম্নচাপ অঞ্চল, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭.৬ কিলোমিটার উপরে বিস্তৃত। এর প্রভাবে উপকূলবর্তী পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার অঞ্চলে ৩৫ থেকে ৪৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ফলে সমুদ্র হতে পারে অত্যন্ত উত্তাল। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast)

    উত্তরবঙ্গেও আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টিপাত চলবে। মঙ্গলবার দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর দিনাজপুর ও মালদা জেলায়। তবে মঙ্গলবারের পর থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকলেও সপ্তাহান্তে (শনিবার ও রবিবার) আবারও দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

  • Subhanshu Sukla: ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’! মহাকাশ জয় করে ঘরে ফেরার আগে আপ্লুত শুভাংশু

    Subhanshu Sukla: ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’! মহাকাশ জয় করে ঘরে ফেরার আগে আপ্লুত শুভাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে তাকালে মনে হয়, ভারত ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা….’। আত্মবিশ্বাসী, ভয়ডরহীন, গর্বিত এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষায় পরিপূর্ণ এই দেশ। মহাশূন্য থেকে ঘরে ফেরার আগে এমনই বললেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা (Subhanshu Sukla)। সব ঠিকঠাক থাকলে ১৫ জুলাই পৃথিবীতে ফিরবেন শুভাংশু। সঙ্গে অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের আরও তিন সদস্য- পেগি হুইটসন, টিবর কাপু ও স্লাওস উজনানস্কি। আজ, সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ শুরু হবে শুভাংশুদের আনডকিং প্রক্রিয়া। আনডকিং শেষ হওয়ার পর পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন শুভাংশুরা। এই দু’টি প্রক্রিয়া সরাসরি দেখা যাবে নাসার ওয়েবসাইট এবং সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে।

    বিদায় সংবর্ধনা, মহাকাশে সংস্কৃতির আদান-প্রদান

    রবিবারই মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে তাঁদের ফেয়ারওয়েল জানানো হয়েছে। রবিবার, ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে শুরু হয় ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠান। নাসার এক্সপিডিশন ৭৩-এর সাতজন সদস্য বিদায় সংবর্ধনা দেন শুভাংশু-সহ চার মহাকাশচারীকে। সেই সংবর্ধনা সরাসরি সম্প্রচার করে নাসা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন শুভাংশুরা। গাজরের হালুয়া-আম রস অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেন শুভাংশু। পোল্যান্ডের স্লাওস উজনানস্কি ভাগ করেন পোলিশ স্যান্ডউইচ। ক্ষণিকের জন্য ঘরোষা উষ্ণতায় ভরে যায় আইএসএস।

    নাসার ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার

    ১৪ জুলাই ভারতীয় সময়ানুসারে বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে (আমেরিকার সময় ভোর ৭টা বেজে ৫ মিনিটে) ড্রাগন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তারপর পৃথিবীর অভিমুখে যাত্রা করবে ড্রাগন। প্রায় ৩০ মিনিট এই যাত্রার সরাসরি সম্প্রচার করবে নাসা। তারপর নাসার সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। শুভাংশুদের মহাকাশযান পৃথিবীতে প্রবেশের পর যখন সমুদ্রে অবতরণ করবে, তখন ফের শুরু হবে লাইভ টেলিকাস্ট। ভারতীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল তিনটের সময় পৃথিবীতে ফিরবেন শুভাংশুরা। সেই দৃশ্যও সম্প্রচারিত হবে নাসার ওয়েবসাইটে।

    সাতদিন রিহ্যাবে শুভাংশুরা

    ক্যালিফোর্নিয়ায় উপকূলে অবতরণ করবেন শুভাংশুরা। এরপর সাতদিন রিহ্যাবে থাকবেন ভারতীয় নভশ্চর। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো একথা জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব নেই। যার ফলে হাড়ের ওজন কমে যায়। দুর্বল হয়ে পড়ে পেশি। এছাড়াও একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পৃথিবীতে ফিরলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব পড়বে শরীরে। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। সেজন্যই এই রিহ্যাব। বিবৃতিতে ইসরো জানিয়েছে, ‘স্প্ল্যাসডাউনের পর ফ্লাইট সার্জনের পর্যবেক্ষণে সাতদিনের রিহ্যাবে থাকবেন গগনযাত্রী। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতেই এই পদক্ষেপ। যেমন হয়েছিল সুনীতা উইলিয়ামসের ক্ষেত্রেও। বর্তমানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়রে মাধ্যমে শুভাংশুর স্বাস্থ্যের খবর রাখছেন ইসরোর ফ্লাইট সার্জনরা।’

    সারে জাঁহা যে আচ্ছা

    ১৯৮৪ সালে প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা যে অবিস্মরণীয় মন্তব্য করেছিলেন, সেটার রেশ ধরেই ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু বলেন, ‘আজও এখান থেকে ভারতকে দেখে মনে হচ্ছে, সারে জাঁহা যে আচ্ছা….।’ সোমবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পৃথিবীর দিকে রওনা দিতে চলেছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন। তার আগে অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের মহাকাশচারীদের জন্য বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি জানান, আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছেন। আর তিনি যা শিখেছেন, সেই অভিজ্ঞতা দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। তাঁর কথায়, ‘এটা আমার কাছে মায়াবী মনে হচ্ছিল। আমার এই যাত্রাটা দুর্দান্ত কাটছে।’

    মহাকাশে ১৭ দিন, শুভাংশুদের জন্য ইসরোর কত খরচ

    মহাকাশে ১৭ দিনে শুভাংশু শুক্লা ৬০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ভারতের পক্ষ থেকে তিনি ৭টি বিশেষ পরীক্ষা করেছেন, যার মধ্যে ছিল— টার্ডিগ্রেডস, একটি ক্ষুদ্র জীব যা মহাকাশে কীভাবে বেঁচে থাকে এবং বংশবৃদ্ধি করে তা দেখার জন্য গবেষণা। মেথি ও মুগ চাষ, যা থেকে মহাকাশে খাদ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা বাড়বে। সায়ানোব্যাকটেরিয়া, মহাশূন্যে অক্সিজেন ও জৈবজ্বালানির সম্ভাব্য উৎস খোঁজাও ছিল শুভাংশুর কাজ। মায়োজেনেসিস, মানুষের পেশীর উপর স্থানের সংস্পর্শের প্রভাব বোঝারও চেষ্টা করেন ভারতীয় মহাকাশচারী। বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুকে যে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে, সেটার জন্য ইসরোর প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আসলে কয়েক মাস পরেই ভারতের গগনযান মহাকাশে পাড়ি দেবে। তার আগে যাতে আরও নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করতে পারে ইসরো এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু মহাকাশের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, সেটার জন্যই তাঁকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল।

     

     

     

  • Indonesia: মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ১২টি বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরের পুনঃসংস্কার

    Indonesia: মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় ১২টি বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরের পুনঃসংস্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কয়েক দশক ধরে মুসলিম সংখ্যাগুরু রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় হিন্দু ধর্মের এক নবজাগরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে (Indonesia)। বিশেষ করে দেশটির বালি দ্বীপ, যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত, সেখানে ধর্মীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এই দ্বীপপুঞ্জজুড়ে মোট ১২টি বিখ্যাত মন্দিরের পুনঃসংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যে দেশের ৮৭ শতাংশের বেশি মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী এবং হিন্দু জনসংখ্যার হার এক শতাংশের সামান্য বেশি, সই দেশে পরপর মন্দির সংস্কারের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বটে।

    এক হাজার মন্দির তৈরি (Hindu Temples)

    সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) হিন্দু সম্প্রদায় এক পরিকল্পনার উদ্যোগ নিয়েছে। যার নাম “এক হাজার চান্দি নুয়াসান”। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল— গোটা ইন্দোনেশিয়া জুড়ে এক হাজার নতুন মন্দির নির্মাণ করা। “চান্দি” শব্দটি ইন্দোনেশিয়ান সংস্কৃতিতে মন্দির বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা মূলত হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের উপাসনাস্থল হিসেবে বিবেচিত।

    চলছে প্রচার (Hindu Temples)

    এই কর্মসূচিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে এক ব্যাপক প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে। হিন্দু ধর্মের মূল্যবোধ, শান্তির বার্তা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি তুলে ধরা হচ্ছে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। গোটা দ্বীপপুঞ্জে এই কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং অনেক যুবক হিন্দু এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে (Indonesia)। অনেকে একে ‘হিন্দু সংস্কৃতির নতুন জোয়ার’ হিসেবেও অভিহিত করছেন।

    সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    এই প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia) হিন্দু ধর্মের প্রসার ও ঐতিহ্য রক্ষায় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এর ফলে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক চিরকালই গভীর এবং এই কর্মসূচি সেই বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    গুরুত্বপূর্ণ মন্দির

    সংস্কার চলছে এমন মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম হল কেদুলান মন্দির, যা ভগবান শিবকে উৎসর্গ করে নির্মিত। এই মন্দিরটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে এবং বর্তমানে এর সংস্কারকাজ জোরকদমে চলছে। এছাড়া রয়েছে কালাসান মন্দির, যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের স্পষ্ট প্রভাব দেখা যায়। এটিও ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং বর্তমানে এটি সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। লাউসান মন্দির নামের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্দির, যার স্থাপত্যে বৌদ্ধ ধর্মীয় শৈলী লক্ষ করা যায়, সেটিও পুনঃসংস্কারের আওতায় এসেছে। এ ছাড়া সুকুয়া মন্দির, যা মধ্য জাভা প্রদেশে অবস্থিত, সেখানেও সংস্কারকাজ চলছে পুরোদমে।

  • Daily Horoscope 14 July 2025: তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 14 July 2025: তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

    ২) তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না।

    ৩) ভাই-বোনের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি লাভজনক থাকবে।

    ২) কোনও অভিজ্ঞতা অর্জনের ফলে আনন্দিত হবেন।

    ৩) আয় বৃদ্ধি হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের বদলির কারণে স্থান পরিবর্তন করতে হতে পারে।

    মিথুন

    ১) মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ব্যবসায়ীরা মন্দার কারণে চিন্তিত থাকলে এবার উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে।

    ৩) সন্তান আপনার প্রত্যাশা পূরণ করবে।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, তাঁরা আপনার জন্য লাভজনক প্রমাণিত হবেন।

    ৩) ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করে সুনাম অর্জন করবেন।

    সিংহ

    ১) আজ মিশ্র পরিণাম লাভ করবেন।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্যের কথা আপনার খারাপ লাগতে পারে।

    ৩) চাকরিজীবী জাতকরা পদোন্নতি লাভের ফলে আনন্দিত হবেন।

    কন্যা

    ১) আজ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে।

    ২) কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করতে হবে, তা না-হলে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) অংশীদারীর কাজে লাভ হবে।

    তুলা

    ১) আজ কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীরা আপনার পরিশ্রম ও সমর্পণ দেখে আশ্চর্যচকিত হবেন।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে, তা না-হলে সমস্যা হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার পরিকল্পনা করবেন।

    ২) মানসিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    ৩) পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে তর্ক হলে লোকসান হতে পারে।

    ধনু

    ১) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সফল হবেন।

    ২) কর্মক্ষেত্রে আপনাকে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হলে তা পূর্ণ করুন।

    ৩) বরিষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে সতর্ক থাকুন।

    মকর

    ১) পারিবারিক জীবনে সমস্যা চললে ধৈর্য ধরুন ও সতর্কতার সঙ্গে তার সমাধান করুন।

    ২) ব্যবসায়ীরা যাত্রায় যেতে পারেন, মুনাফার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বড়সড় লগ্নি করবেন না, তা না-হলে টাকা আটকে যেতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি আনন্দে ভরপুর থাকবে।

    ২) পরিবারে কোনও অতিথির আগমনের আনন্দ থাকবে।

    ৩) পৈতৃক ব্যবসায়ে নতুন কিছু শুরু করতে পারেন।

    মীন

    ১) আশপাশের পরিবেশ আনন্দে পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২) একের পর এক সুসংবাদ পাবেন।

    ৩) বাজেট অনুযায়ী ব্যয় করুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Indian Army: মায়ানমারে অপারেশন সিঁদুরের ছায়া, ভারতীয় সেনার ড্রোনের নিশানায় জঙ্গি শিবির

    Indian Army: মায়ানমারে অপারেশন সিঁদুরের ছায়া, ভারতীয় সেনার ড্রোনের নিশানায় জঙ্গি শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ড্রোনের নিশানায় আলফা (আই) শিবির, ফের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ছায়া মায়ানমারে! সর্বভারতীয় বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, মায়ানমারের (Myanmar) অভ্যন্তরে ভারতীয় সেনা (Indian Army) ড্রোন হামলা চালিয়েছে আলফা (আই)-এর একাধিক ঘাঁটির উপর। শুধু আলফা (আই)-ই নয়, একই সঙ্গে নিশানায় ছিল ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অফ নাগাল্যান্ড (খাপলাং) বা NSCN (K)-এর একাধিক ঘাঁটিও। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সেনার এই কৌশলগত হামলার ফলে NSCN (K)-এরও বেশ কয়েকজন জঙ্গি হতাহত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্রান্স ও ইজরায়েলের তৈরি উন্নত ড্রোন ব্যবহার করে এই অভিযান চালানো হয়।

    হামলায় মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি আলফা (আই)-এর 

    এই হামলার কথা স্বীকার করেছে আলফা (আই)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার গভীর রাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের কয়েকটি শিবিরে একের পর এক আক্রমণ হয়। ভারতীয় সেনার এই হামলায় সংগঠনের নিম্ন পরিষদের সভাপতি নয়ন অসমের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৯ থেকে ২০ জন। হামলায় শুধু ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়নি, মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বলে দাবি আলফা (আই)-এর। তবে এই ঘটনায় ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    মনে পড়ল অপারেশন সিঁদুরের কথা (Indian Army)

    উল্লেখ্য, আলফা (আই) বহুবার ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে উঠে এসেছে। তবে এ ধরনের সেনা অভিযান নিয়ে তারা এই প্রথম প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করল। এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায় পাকিস্তানে চালানো ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা। পহেলগাঁও পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারতীয় বাহিনী রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়েছিল (Indian Army)। সেবারও নিশানায় ছিল লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সংগঠন। ভারত স্পষ্ট করেছিল, লক্ষ্য শুধুই জঙ্গি ঘাঁটি, পাক সেনার কোনও ঘাঁটি নয়। এবার আবারও সেই পুরনো দৃশ্যপটের পুনরাবৃত্তি! আলফা (আই)-এর দাবি অনুযায়ী, ভারতের তরফে চালানো এই হামলা যেন ফিরিয়ে আনছে সেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর স্মৃতি।

    মূল লক্ষ্য ছিল পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন আলফা (আই)-এর ৭৭৯ নম্বর বেস ক্যাম্প

    গোপন সূত্রের ভিত্তিতে চালানো এই হামলায় মূল লক্ষ্য ছিল পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন আলফা (আই)-এর ৭৭৯ নম্বর বেস ক্যাম্প। সূত্রের খবর, ওই ঘাঁটিটির অবস্থান মায়ানমারের ওয়াক্তাম বস্তিতে। জানা গিয়েছে, হামলার সময় আলফা (আই)-এর অন্তত পাঁচজন ক্যাডার ওই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিল। ভারতীয় সেনার ড্রোন হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভিযানের ফলেই মৃত্যু হয়েছে নয়নমেধি ওরফে নয়ন অসম-এর, যিনি আলফা (আই)-এর একজন সিনিয়র এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী কমান্ডার ছিলেন। নয়নমেধি শুধু সংগঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন না, বরং জঙ্গি প্রশিক্ষণের দিকটিও তিনিই দেখভাল করতেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। তাঁর মৃত্যু ভারতীয় সেনার কাছে বড় কৌশলগত সাফল্য বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    আলফা (আই)-এর ইস্টার্ন কমান্ড হেডকোয়ার্টারেও হামলা

    এই অভিযানের সময় ভারতীয় বাহিনী হামলা চালায় আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি—হায়াত বস্তিতে অবস্থিত আলফা (আই)-এর ইস্টার্ন কমান্ড হেডকোয়ার্টারেও। এখান থেকেও সংগঠনের নানা অপারেশন পরিচালিত হত বলে মনে করা হয়। মায়ানমারের সীমান্তবর্তী ঘন অরণ্যে ছড়িয়ে থাকা এই ক্যাম্পগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। আলফা (আই) এবং NSCN (K)-এর বহু বেস ক্যাম্প এই অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।

    জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এদেশের জিরো টলারেন্স নীতি

    বিশ্লেষকদের মতে, এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে এদেশের (Indian Army) একটাই নীতি। সেটা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তা রক্ষাই সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। গোপন সূত্রের মাধ্যমে বহুদিন ধরেই এই শিবিরগুলির ওপর নজর রাখছিল ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই পরিকল্পিতভাবে এই অভিযান চালানো হয়। ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মায়ানমারে আলফা (আই) ও NSCN (k)-এর ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনার হামলা শুধু সামরিক পদক্ষেপ নয়, কূটনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—উত্তর-পূর্ব ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করা হবে না।বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন-সহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির উদ্দেশে এটি এক কড়া সতর্কবার্তা। উত্তরপূর্ব ভারতে শান্তি ভঙ্গকারীদের রেয়াত করা হবে না এই অপারেশন তারই প্রমাণ।

  • Bihar Election: বিহার ভোটে কমিশনের সমীক্ষায় উঠে এল নেপাল-বাংলাদেশ-মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক

    Bihar Election: বিহার ভোটে কমিশনের সমীক্ষায় উঠে এল নেপাল-বাংলাদেশ-মায়ানমারের অবৈধ নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই বিহারে ভোট (Bihar Election)। এই আবহে নির্বাচন কমিশনের সমীক্ষায় ধরা পড়ল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যাচ্ছে, নেপাল, বাংলাদেশ, এমনকি মায়ানমারের বহু নাগরিক বর্তমানে বিহারে বসবাস করছেন এবং তাঁরা অবৈধভাবে নিজেদের নামে আধার কার্ড, স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র এবং রেশন কার্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সরকারি আধিকারিকরা ব্লক ধরে ধরে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছেন। এই সমীক্ষার মাধ্যমে বহু বিদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্টের মধ্যে এই অবৈধ ভোটারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক তদন্ত ও অভিযান চালানো হবে। যাচাই-বাছাই শেষে যাঁরা অবৈধ প্রমাণিত হবেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

    ৩০ সেপ্টেম্বর বিহারের সংশোধিত ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে

    বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের (Bihar Election) সিদ্ধান্ত ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বহু বাংলাদেশি, নেপালি ও মায়ানমারের বাসিন্দা বেআইনিভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন।নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত করে এদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বিহারের সংশোধিত ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা।

    মোট ভোটার ৭ কোটি ৮০ লাখ (Bihar Election)

    ২৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ অভিযান, যা চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মোট ৭.৮ কোটি ভোটারের বৈধতা যাচাই করবে বলে জানানো হয়েছে।নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, এবার ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য শুধুমাত্র আধার কার্ড বা রেশন কার্ড যথেষ্ট নয়। জন্ম সনদ বা সরকারি স্বীকৃত জন্ম-পরিচয়ের নথি দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর অর্থ, এবার আরও বেশি  কঠোর নির্বাচন কমিশন।

  • Sadanandan Master: আরএসএস করার অপরাধে দুই পা কেটে নেয় সিপিএম, রাজ্যসভায় যাচ্ছেন কেরলের সদানন্দন মাস্টার

    Sadanandan Master: আরএসএস করার অপরাধে দুই পা কেটে নেয় সিপিএম, রাজ্যসভায় যাচ্ছেন কেরলের সদানন্দন মাস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) রাষ্ট্রপতি মনোনীত চার সদস্যের নাম ঘোষণা করল রাইসিনা হিলস। রবিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু চার জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছেন। যাঁরা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁরা হলেন, বিশিষ্ট আইনজীবী উজ্জ্বল নিকম, কেরলের সমাজকর্মী ও শিক্ষাবিদ শ্রী সদানন্দন মাস্টার, প্রাক্তন বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং ইতিহাসবিদ মীনাক্ষী জৈন। জাতীয় রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, এই চার জনের মনোনয়নের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তর ও ক্ষেত্রকে প্রতিনিধিত্ব করার চেষ্টা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে কেরলের সদানন্দন মাস্টারের (Sadanandan Master) মনোনয়ন অনুপ্রেরণামূলক সিদ্ধান্ত। তাঁর জীবন আদর্শের জন্য সংঘর্ষ, সাহস ও দীর্ঘ সংকল্পে মোড়া।

    ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সদানন্দ মাস্টারের দুই পা কেটে নেয় সিপিএম

    ১৯৯৪ সালের ২৫ জানুয়ারি, সদানন্দন মাস্টারের (Sadanandan Master) বয়স তখন মাত্র ৩০ বছর। সেই সময়ে তিনি কমিউনিস্ট মতাদর্শ ত্যাগ করে যোগ দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে। ঠিক এই কারণেই সিপিএমের সন্ত্রাসীরা তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। ভয়াবহ সেই হামলায় তাঁর দুটি পা কেটে ফেলা হয়। পরবর্তীকালে তিনি কৃত্রিম পায়ে হাঁটতে শেখেন। এই ঘটনার পর থেকে তিনি আরও দৃঢ়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে। ২০১৬ সালে, সিপিএমের প্রবল সন্ত্রাস উপেক্ষা করেই তিনি কেরালার কুথুপারাম্বা থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রার্থী হন। চরম রাজনৈতিক হিংসার পরিবেশে তিনি সমগ্র নির্বাচনী এলাকা জুড়ে প্রচার চালান। কেরলে কমিউনিস্টদের রাজনৈতিক সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়। প্রায়ই আরএসএস-এর কার্যকর্তাদের উপর হামলা হয়, চলে হত্যা ও হিংসার রাজনীতি। এই হিংসার শিকার হওয়া আরএসএস সদস্যদের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন সদানন্দন মাস্টার (Sadanandan Master)। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন আজ একটি প্রেরণার প্রতীক। তিনি প্রমাণ করেছেন, রাজনৈতিক হিংসার মুখেও আদর্শে অবিচল থাকা যায়।

    মানবতার বিরুদ্ধে সিপিএম

    ২০১৬ সালে যে এলাকায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, সেই এলাকায় একাধিক গ্রাম ‘কমিউনিস্ট পার্টি ভিলেজ’ নামে পরিচিত ছিল। অর্থাৎ, সিপিএমের গ্রাম। কান্নুর জেলায় এমন প্রায় চল্লিশটি গ্রাম পাওয়া যায়, যেখানে সিপিএম বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলকে কার্যত ঠাঁই দেয়নি। এসব গ্রামের মধ্যে কয়েকটির নাম—চকলি, পরাদ ইত্যাদি। এই এলাকাগুলিতে গেলে চোখে পড়ে বড় বড় সাইনবোর্ড, যেখানে লেখা থাকে, “Welcome to Communist Party Village”।

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, বিরোধী দলকে টিকতে না দেওয়া এবং এমন সাইনবোর্ড টাঙানোই আসল ফ্যাসিবাদের পরিচয়। শুধু তাই নয়, এই গ্রামগুলিতে কোনও বিরোধী দলের পোস্টারও লাগানোর অনুমতি নেই। সিপিএমের এই ধরনের কার্যকলাপ মানবাধিকার এবং ভারতের সংবিধানে স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এমনটাই মনে করছেন অনেকেই। এই রকম এক এলাকাতেই ২০১৬ সালে প্রার্থী হয়েছিলেন সদানন্দন মাস্টার।

  • Shivaji Maharaj: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পেল শিবাজী মহারাজের বারোটি দুর্গ

    Shivaji Maharaj: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পেল শিবাজী মহারাজের বারোটি দুর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের (Shivaji Maharaj) বারোটি দুর্গ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পেল। এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। তিনি ইউনেস্কোর এই সিদ্ধান্তকে রাজ্যের জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন।

    দুর্গগুলির নাম কী কী?

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪৭তম বৈঠক। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় যে দুর্গগুলো স্থান পেয়েছে, সেগুলি হল— মহারাষ্ট্রের সালহের, শিবনেরি, লোহগড়, খান্দেরি, রায়গড়, রাজগড়, প্রতাপগড়, সুবর্ণ দুর্গ, পানহালা, বিজয়দুর্গ, সিন্ধুদুর্গ
    এবং তামিলনাড়ুর জিঞ্জি দুর্গ (Shivaji Maharaj)।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি

    এই উপলক্ষে নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ লেখেন: “মহারাষ্ট্রের সকল নাগরিক এবং ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের ভক্তদের আন্তরিক অভিনন্দন। মহারাষ্ট্র সরকার আমাদের প্রিয় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজকে (Shivaji Maharaj) প্রণাম জানাচ্ছে।” তিনি আরও লেখেন, “শিবাজী মহারাজ স্বরাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য এই দুর্গগুলি নির্মাণ (UNESCO World Heritage List) করেছিলেন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রথমত, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই। তিনি আমাদের যে সমর্থন দিয়েছেন তা অত্যন্ত মূল্যবান। ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ এবং সংস্কৃতি মন্ত্রক এই বিষয়ে প্রচুর সাহায্য করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও অজিত দাদা পাওয়ারও আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রী অসীস সেলার ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতও করেছেন।”

    উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের বিবৃতি

    এ বিষয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, “এই দুর্গগুলি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ (Shivaji Maharaj) এবং মারাঠা যোদ্ধাদের বীরত্ব ও ত্যাগের সাক্ষ্য বহন করে। এখন এই দুর্গগুলির ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার সারা বিশ্বে পরিচিত হলো এবং সম্মান লাভ করলো।” তিনি এই বিষয়ে সক্রিয় সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীকে ধন্যবাদ জানান এবং মহারাষ্ট্রের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

LinkedIn
Share