Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    Operation Sindoor: ধ্বংস ৬ যুদ্ধবিমান, অপারেশন সিঁদুরে বিপুল ক্ষতি পাকিস্তানের! মানছে ইসলামাবাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে (India Pakistan Conflicts) থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। জঙ্গিদের পক্ষ নিয়ে পাক সেনা ভারতের উপর হামলা চালালে তার পাল্টা দিয়েছে দিল্লিও। পাকিস্তানে থাকা একাধিক বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাতেই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর বড় ক্ষতি হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানে যে বড় আঘাত হানা হয়েছে সেই কথা একাধিকবার জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ইসলামাবাদ প্রথমে তা মানতে চায়নি। যদিও এখন সে কথা স্বীকার করছে পাকিস্তানও। সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর অভিযানে ৬টি ফাইটার জেট ছাড়াও বিপুল ক্ষতি হয়েছে পাকিস্তানের।

    পাকিস্তানের নতুন প্রতিবেদন

    পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের ওপর তৈরি প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদন — ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’-এ স্বীকার করা হয়েছে, ভারত অন্তত ২৮টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যা ভারতের পক্ষ থেকে শুরুতে বলা ২০টি লক্ষ্যবস্তুর চেয়ে অনেক বেশি। ডসিয়ার অনুযায়ী, ভারতের হামলার নতুনভাবে উন্মোচিত লক্ষ্যবস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে — পেশোয়ার, ঝাং, হায়দরাবাদ (সিন্ধ), গুজরাট (পাঞ্জাব), গুজরানওয়ালা, বাহাওয়ালনগর, অ্যাটক এবং চোর। এই স্বীকারোক্তিতে স্পষ্ট, ভারতের হামলার পরিমাণ এবং প্রভাব আগে জানানো তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি। পাকিস্তানের এই নথি মূলত নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামনে এনেছে। এর থেকেই বোঝা যায় কেন ইসলামাবাদ দ্রুত যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়।

    কী ধ্বংস হয়েছে পাকিস্তানের?

    ৬-৭ মে রাত থেকে ১০ মে পর্যন্ত ভারতীয় বিমান বাহিনীর আঘাতে পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমানের ক্ষতি হয়। সূত্রের দাবি, ভারতের লাগাতার হামলার জেরে পাকিস্তানের ৬টি পিএএফ যুদ্ধবিমান, ২টি অ্যাওয়াক্স, ১টি সি-১৩০ বিমান, ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ইউএভিএস এবং ইউসিএসভিএস ধ্বংস হয়। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সূত্রের খবর, সুদর্শন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সমস্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভারতীয় বায়ুসেনা। সুদর্শনের মাধ্যমে ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যবস্ততুতে আঘাত হানে। পাকিস্তানের ভোলারি বিমানঘাঁটিতে হামলায় একটি সুইডিশ বিমানও ধ্বংস করে ভারতীয় বায়ুসেনা। ওই বিমানঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ছিল। তবে ধ্বংসাবশেষ পাকিস্তান তড়িঘড়ি করে সরিয়ে নেয়। সেজন্য বিমানের ক্ষতির তথ্য পাকিস্তান সরকারিভাবে সামনে আনেনি। পাকিস্তানের আকাশসীমাতে থাকা ১০টিরও বেশি ইউসিভিএ আটকে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। তা ধ্বংসও করা হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনার ড্রোন হামলায় পাকিস্তানের সি-১৩০ বিমান ধ্বংস হয়। রাফাল এবং সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানের হামলায়, ‘উইং লুং’ সিরিজের বেশ কয়েকটি মাঝারি উচ্চতার চিনা ড্রোন ধ্বংস করা হয়। তবে পাকিস্তানের আরও ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।

    কেন যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত

    ভোলারি এবং নূর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলার পরে সেখানেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী অভিযানে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এস-৪০০ মিসাইল হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে পাকিস্তানের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন এয়ারক্রাফটও। একই সঙ্গে সূত্রগুলি ইঙ্গিত দিয়েছে যে পাকিস্তান ক্ষতিগ্রস্ত বিমান ঘাঁটি থেকে নিহত সৈন্যদের মৃতদেহ উদ্ধার করছে না। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার বদলা নিতে গত ৭ মে রাতেই শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর অভিযান। ওই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে নিখুঁত অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। এর পরেই ভারতকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনা। তার জবাব দেয় ভারতও। চারদিনের ওই লড়াইয়ের পরে যুদ্ধবিরতি হয়। সূত্রের খবর, ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় বিপুল ক্ষতির পরেই যুদ্ধবিরতির কথা বলে পাকিস্তান।

    এখনও সতর্ক ভারত

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর প্রত্যাঘাতের জন্য ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ চালু করেছিল পাকিস্তান। ওই হামলায় ভারতের কিছু ক্ষতি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ভারতীয় সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান জানান, অপারেশন সিঁদুর জরুরি হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের আবহে আমি যুদ্ধের কৌশল ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা জানতাম মোকাবিলা করার জন্য আমাদের হাতে ড্রোন প্রতিরোধ করার জন্য অনেক ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। ঝুঁকি কতটা ছিল, তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পেশাদার বাহিনী হিসাবে আমরা ক্ষতি বা বাধার কথা ভেবে খুব বেশি প্রভাবিত হই না। নিজেদের ভুল আমাদের বুঝতেই হবে এবং শোধরাতে হবে। বিপত্তির কারণে বসে থাকলে তো চলবে না। আমরাও তা করে দেখিয়েছি।’ একই সঙ্গে তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুর অভিযান এখনও শেষ হয়নি। তাই সতর্ক থাকতে হবে ভারতকে। একই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    বিপুল ধাক্কা পাকিস্তানের

    লজ্জায় মুখ না খুললেও, রিপোর্ট বলছে অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) ভারতের মারে কোমর ভেঙে গিয়েছে পাকিস্তানের (India Pakistan Conflicts)। মাত্র ৪ দিনের যুদ্ধে যে ধাক্কা পাকিস্তান খেয়েছে তা সামাল দিতে বহু বছর লেগে যাবে শেহবাজদের। ভারতের অপারেশন সিঁদুর আক্রমণে পাকিস্তানের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Virat Kohli : ‘ই সালা কাপ নামদু’! অবশেষে স্বপ্ন পূরণ, চোখের জলে মাটি স্পর্শ, আইপিএল ট্রফিতে চুম্বন বিরাটের

    Virat Kohli : ‘ই সালা কাপ নামদু’! অবশেষে স্বপ্ন পূরণ, চোখের জলে মাটি স্পর্শ, আইপিএল ট্রফিতে চুম্বন বিরাটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাপমোচন! স্বপ্নপূরণ! অধরা মাধুরী ধরা দিল। ১৮ বছর পর বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ট্রফি ক্যাবিনেটে এল আইপিএল (IPL Final 2025) খেতাব। রাজার মতোই ট্রফি হাতে অনুগতদের ভিড়ে মিশে গেলেন কিং কোহলি। আঠারোর উপাখ্যান লিখলেন ক্রিকেট দেবতা। ফাইনালে শ্রেয়স আইয়ারের পাঞ্জাব কিংসকে ছয় রানে হারিয়ে আইপিএলের অষ্টাদশ মরশুমে প্রথমবার আইপিএল জিতল ‘নম্বর ১৮’ বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। সেই ২০০৮ সাল থেকে বেঙ্গালুরুর সঙ্গে বিরাটের পথ চলা শুরু। দীর্ঘ ১৮ বছর কোহলি কখনও ট্রফি ছোঁয়ার স্বাদ পাননি। ট্রফির জন্য আরসিবি ছেড়ে অন্য দলে যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল। তাঁকে পেতে মুখিয়ে ছিল অসংখ্য দল। কিন্তু ট্রফি জয়ের থেকে বরাবরই আনুগত্যকে এগিয়ে রাখেন বিরাট। আর সেই আনুগত্যের দাম দিল ক্রিকেট দেবতা।

    চার বল বাকি থাকতেই আবেগের বিস্ফোরণ

    খেলা শেষ হতে তখনও চার বল বাকি। জশ হেজলউডের বলটা শশাঙ্ক সিং বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দিতেই হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে পড়লেন তিনি। দু’হাতে ঢাকলেন চোখ। পাশ থেকে দুই সতীর্থের পিঠ চাপড়ানি, গোটা মাঠের গর্জন, সতীর্থদের পাগলপারা উচ্ছ্বাস— কিছুই ছুঁতে পারছিল না তাঁকে। বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে চোখ ঢেকে ফেললেন কোহলি। চোখের কোনা দিয়ে গড়িয়ে পড়ল জল। খেলা শেষ না হলেও তত ক্ষণে বেঙ্গালুরুর জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তাই নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি কোহলি। প্রতীক্ষার পালা সাঙ্গ হল। এক দিনের বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, দেশের হয়ে সবই জিতে ফেলেছেন। এ বার ক্লাবের হয়ে আইপিএলও হয়ে গেল। এই ট্রফি ক্রিকেটজীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কোহলির জবাব, “সত্যি বলতে, অনেকটা উপরের দিকেই থাকবে। গত ১৮ বছর ধরে নিজের সবটা এই দলকে দিয়েছি। যা-ই হোক না কেন, এই দলের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে। কখনও কখনও মনের মধ্যে বিভিন্ন ভাবনাচিন্তা এসেছে (দল ছাড়ার)। তবু এই দলের সঙ্গে থেকে গিয়েছি। সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছি, ওঁরাও আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। ওঁদের সঙ্গেই জেতার স্বপ্ন দেখেছি। ট্রফি জয়টা আরও ভাল লাগছে কারণ আমার হৃদয় এবং আত্মা রয়েছে বেঙ্গালুরুর সঙ্গেই। আইপিএলের শেষ দিন পর্যন্ত এই দলের সঙ্গেই থাকব।”

    স্বপ্নপূরণের কান্নায় ভাসল মোতেরা

    এদিন খেলা শেষে মাঠে নামলেন কোহলির (Virat Kohli) প্রিয় বন্ধু এবি ডিভিলিয়ার্স। তাঁকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন কোহলি। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পরেও এই দলকে ডিভিলিয়ার্স কতটা ভালবাসেন তা বোঝা যাচ্ছিল। কোহলি পরে জানালেন, তাঁদের উৎসবের মঞ্চে থাকবেন এবি। মাঠে নামলেন কোহলির আর এক বন্ধু ক্রিস গেইলও। তিনিও বেঙ্গালুরুর জার্সি পরেছিলেন। তাঁকেও দেখা গেল বেঙ্গালুরুর উৎসবে। সতীর্থ, কোচ, বন্ধুরা পাশে থাকলেও তখনও কোহলির চোখ এক জনকে খুঁজছিল। বার বার গ্যালারির দিকে তাকাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে তাঁকে দেখতে পেলেন কোহলি। তিনি অনুষ্কা শর্মা। তাঁর সব লড়াইয়ের সাক্ষী। বেঙ্গালুরুর মেয়ে অনুষ্কা। দু’বছর আগে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে কাঁদতে কাঁদতে স্ত্রী অনুষ্কাকে জড়়িয়ে ধরেছিলেন কোহলি। এ বারও তাই করলেন। তবে সেই কান্না ছিল দুঃখের। স্বপ্নভঙ্গের। এই কান্না আনন্দের। স্বপ্নপূরণের। কোহলির কথায়, “এই ট্রফি দলের জন্য যতটা, ততটাই সমর্থকদের জন্য। আঠারোটা বছর পেরিয়ে গিয়েছে এই দিনটা দেখতে। এই দলটাকে নিজের যৌবন, নিজের সেরা সময় এবং অভিজ্ঞতা দিয়েছি। প্রত্যেক মরসুমে ট্রফি জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, নিজের সবটা দিয়েছি। তাতেও ট্রফি পাইনি। অবশেষে এই দিনটা দেখতে পাওয়া অবিশ্বাস্য এক অনুভূতি।”

    ই সালা কাপ নামদু

    আইপিএলের (IPL Final 2025) ইতিহাসে কোহলিই (Virat Kohli) একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি ১৮ বছর ধরে একটা দলেই খেলছেন। চেন্নাই টুর্নামেন্ট থেকে দু’বছর নির্বাসিত হওয়ায় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে অন্য দলে খেলতে হয়েছে। রোহিত শর্মা দলবদল করেছেন। কিন্তু কোহলি বেঙ্গালুরু ছাড়েননি। অধিনায়ক না থেকেও পর্দার পিছনের নায়ক তিনিই। তাঁকে বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত, কোনও পরিকল্পনা করে না বেঙ্গালুরু। রজত পাতিদারের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার আগেও কোহলির সবুজ-সঙ্কেত নেওয়া হয়েছিল। অনেকে বলেন, পাতিদার কোহলিরই ‘নির্বাচিত’। অধিনায়কত্বে তরুণ রক্ত আনতে চেয়েছিলেন বিরাট। সেই তরুণ তুর্কিরাই কোহলিকে চ্যাম্পিয়ন করতে মাঠে উজাড় করে দিয়েছেন। যেমন ২০১১ সালে এক দিনের বিশ্বকাপটা সচিন তেন্ডুলকরকে জেতানোর পণ করেছিল গোটা ভারতীয় দল। আইপিএল ফাইনালের আগে পাতিদার বলে দিয়েছিলেন, “আমরা এ বার বিরাটভাইয়ের জন্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করব। এত বছর ধরে এই দলের জন্য বিরাটভাই লড়েছে। এটা ওর প্রাপ্য।” অবশেষে সফল বেঙ্গালুরুর স্লোগান ‘ই সালা কাপ নামদু’ বাংলা তর্জমায় ‘এ বছর কাপ আমাদের’।

    বিরাট-রেকর্ড

    মঙ্গলবার আইপিএল ২০২৫-এর (IPL Final 2025) ফাইনালের মঞ্চে বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ব্যাট হাতে দুর্দান্ত একটি ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়েন। তিনি এক্ষেত্রে ভেঙে দেন শিখর ধাওয়ানের সর্বকালীন আইপিএল নজির। আপতত এই নিরিখে বিশ্বের সব ক্রিকেটারদের মধ্যে সবার আগে চলে আসেন কোহলি। তিনি বেঙ্গালুরুর হয়ে ওপেন করতে নেমে সব থেকে বেশি ৪৩ রান সংগ্রহ করেন। ৩৫ বলের ইনিংসের কোহলি মোট ৩টি চার মারেন। ফাইনালে এই ৩টি চার মারার সুবাদেই রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়ে নেন কোহলি। আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি রানের মালিক বিরাট (৮৬৬১)। সব থেকে বেশি সেঞ্চুরি (৮টি) করেছেন তিনি। সব থেকে বেশি হাফ-সেঞ্চুরির (৬৩টি) রেকর্ডও আগে থেকেই ছিল বিরাট কোহলির দখলে। মঙ্গলবার আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি চার মারা ক্রিকেটারে পরিণত হন কোহলি। তিনি আইপিএলের ২৬৭টি ম্যাচের ২৫৯টি ইনিংসে ব্যাট করে সাকুল্যে ৭৭১টি চার মেরেছেন। এতদিন আইপিএলে সব থেকে বেশি চার মারার রেকর্ড ছিল শিখর ধাওয়ানের। তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে সাকুল্যে ৭৬৮টি চার মেরেছেন। সুতরাং, ধাওয়ানের কাছ থেকে সেই রেকর্ড ছিনিয়ে নিলেন বিরাট। বিরাট কোহলি আইপিএল ২০২৫-এর ১৫টি ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৫৭ রান সংগ্রহ করেছেন। কোনও শতরান না করলেও তিনি মোট ৮টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে। আরসিবির হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন কোহলিই।

  • Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    Immunity Power: করোনার চোখরাঙানি বাড়ছে! ঘরোয়া উপাদানেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    করোনা প্রকোপ বাড়ছে।‌ দেশ জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কয়েক বছর আগের করোনা অতিমারির স্মৃতি এখনও তাজা। এই রোগের জেরে গত কয়েক বছরে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আক্রান্তের অনেকেই ভয়ঙ্কর ভাবে ভুগেছেন। তাই করোনার দাপট বাড়লেই বাড়তি সতর্কতা তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সবরকমের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা জরুরি। তবেই করোনার মতো রোগ সহজেই মোকাবিলা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা রুখতে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বেড়ে তোলা জরুরি। তাই সেদিকে নজর জরুরি। আর রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়তে ঘরোয়া উপাদানেই (Coronavirus Home Remedies) ভরসা রাখছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন কোন ঘরোয়া উপাদানে ভরসা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ঘরোয়া উপাদান অর্থাৎ, ভারতীয় একাধিক মশলা, সব্জি এবং নানান গাছের অংশে ঔষধি উপকার অতুলনীয়। বহু যুগ ধরেই আমাদের আশপাশের একাধিক জিনিসের মধ্যে স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি উপাদান রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে এবং করোনার মতো জটিল ও কঠিন রোগকে প্রতিরোধ (Immunity Power) করতেও সেগুলো সাহায্য করে। করোনা রুখতে এবং নিজের শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সেই উপাদানের ভরসা করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, তাঁরা জানাচ্ছেন, দুর্বল শরীরে সংক্রামক রোগ বেশি দ্রুত বাসা বাঁধে। তাই নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি ঠিকমতো থাকলে, আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।

    চায়ের মতোই রোজ থাকুক ত্রিফলা!

    আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ত্রিফলা খুবই উপকারি। একাধিক রোগের মোকাবিলায় ত্রিফলা সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে করোনা‌ মোকাবিলাতেও (Coronavirus Home Remedies) ত্রিফলা সাহায্য করবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হরতকি, আমলকি এবং বয়েরা এই তিন ফলকে একসঙ্গে ত্রিফলা বলা হয়। নিয়মিত এই তিন ফল একসঙ্গে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সারা রাত এই তিন ফল ভিজিয়ে রেখে, এর জল সকালে খালি পেটে গেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার এই তিন ফল চায়ের মতোই গরম জলে ফুটিয়ে খেলেও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। তাই এই তিন ফলের উপকার অনেক। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর পাশপাশি এই তিন ফলে অন্ত্র ঠিক রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    হলুদ বাড়তি উপকার দেবে!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, হলুদ শরীরের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষত রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে হলুদ বাড়তি সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হলুদের মধ্যে কারকিউমিন উপাদান থাকে। এই উপাদানের জেরে শরীরে ইনফ্লেমেশনের প্রবণতা কমে। যেকোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুধে হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়া কিংবা রান্নায় নিয়মিত হলুদের ব্যবহার জরুরি। যাতে শরীরে পর্যাপ্ত হলুদ পৌঁছয়। তাহলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়বে।

    সকালে উঠেই প্রথমে কয়েকটি তুলসী পাতা খাওয়া!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তুলসীর গুণ অপরিসীম। নিয়মিত কয়েকটি তুলসী পাতা খেলে একাধিক রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও তুলসী খুবই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এর ফলে যেকোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখ রুখতে তুলসী পাতা খুবই উপকারি। করোনার মতো জটিল অসুখের পাশপাশি সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বরের ভোগান্তিও সহজেই কমাতে পারে তুলসী পাতা। তাছাড়া, তুলসী পাতা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভরপুর। তাই নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, সকালে মধুর সঙ্গে তুলসী পাতা মিশিয়ে খেলে সহজেই উপকার পাওয়া যায়। আবার খাওয়ার জলে তুলসী পাতা ফেলে রাখারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত তুলসী পাতা ভেজানো জল খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

    আদাতে কাবু হবে একাধিক ভাইরাস!

    ভারতীয়দের রান্নাঘরে অত্যন্ত পরিচিত রান্নার উপকরণ হলো আদা। একাধিক রান্নার স্বাদ বাড়াতে প্রায় সব বাড়িতেই আদা ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নার এই উপকরণ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব উপকারি। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদায় রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। এই দুই উপাদান শরীরে যেকোনও ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আদা নিয়মিত খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। আবার করোনার মতো সংক্রামক রোগের (Coronavirus Home Remedies) ঝুঁকিও কমাবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 04 June 2025: সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 04 June 2025: সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ২) বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) বেশিরকাজ কাজেই সাফল্য মিলবে।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    সিংহ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) ধর্মস্থানে ভ্রমণ।

    ধনু

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কুম্ভ

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ram Mandir Ayodhya: রাম লালা থেকে রাজাধিরাজ রাম, ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা ২.০’-এর জন্য প্রস্তুত অযোধ্যা

    Ram Mandir Ayodhya: রাম লালা থেকে রাজাধিরাজ রাম, ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা ২.০’-এর জন্য প্রস্তুত অযোধ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার প্রাচীন মন্দিরনগরী ফের একবার ভক্তির সুরে মুখর হয়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি ঐতিহাসিক রাম লালার ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’র (Ram Mandir Ayodhya) পর, এবার আসছে আরও এক মহার্ঘ মুহূর্ত—‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা ২.০’। আগামী ৫ জুন, গঙ্গা দশহরার দিন এই নতুন ধর্মীয় অধ্যায় শুরু হচ্ছে, যেখানে প্রথম তলায় রাজারূপে রামচন্দ্রের প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। বালক রামের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়ে গিয়েছিল ১৫ মাস আগে। এবার অযোধ্যায় হবে রামলালার রাজ্যাভিষেক পর্ব। মন্দিরের প্রথম তলায় রামদরবার বা রাজদরবার স্থাপনের পরে, রাজা রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

    রামমন্দির নির্মাণের কাজ শেষের পথে

    রাজদরবার স্থাপনের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিক ভাবে অযোধ্যার রামমন্দির (Ram Mandir Ayodhya) নির্মাণের কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু ৩ দিনের এই প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান (Pran Pratistha)। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাম দরবার’। ৮টি মন্দিরে আট বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক নেতা এবং ভিআইপি-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শুধু থাকবেন ধর্মগুরুরা। বিতর্ক এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। রামমন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র আগেই জানিয়েছিলেন, নির্মাণকাজ ৫ জুনের মধ্যে শেষ হলেও, মন্দিরের নীচের অংশে ভগবান রামের কাহিনী খোদিত দেওয়ালচিত্রগুলি স্থাপন করার কাজ বাকি থাকবে। ৫ জুন প্রাণ প্রতিষ্ঠার এক সপ্তাহ পর, মন্দিরের নবনির্মিত অংশগুলি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

    রাজা রাম-এর আরাধনায় দ্বিতীয় দফার উৎসব

    শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, তিন দিনের অনুষ্ঠানে (৩-৫ জুন) থাকছে বৈদিক যজ্ঞ, পুজো, শোভাযাত্রা, ও মহা আরতি। শহরজুড়ে রং-বেরঙের পতাকা, গাঁদাফুলের মালা ও রঙ্গোলিতে সেজে উঠেছে পথঘাট। তবে ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, “এই অনুষ্ঠান কোনও জনসমাগম বা রাজনৈতিক জমায়েত নয়, বরং একটি গভীর আধ্যাত্মিক অনুষঙ্গ। তাই অযথা ভিড় না করে, কেবল রাম লালার দর্শনে ইচ্ছুকরাই আসুন।” রাজা রাম-এর ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’—৫ জুন বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে সম্পন্ন হবে। সেই দিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের জন্মদিনও, তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

    বালক রাম থেকে রাজা রাম

    ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রামচন্দ্রের বালক রূপের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল মন্দিরের নিচতলায় গর্ভগৃহে। এবার মন্দিরের প্রথম তলায় রাজা রূপে রামের প্রতিষ্ঠা হবে। তাঁর সঙ্গে থাকবে দেবী সীতা, লক্ষ্মণ, ভরত, শত্রুঘ্ন ও ভক্ত হনুমান—যিনি সেবা ও ভক্তির চিহ্ন হয়ে থাকবেন। মূল দেবমূর্তির পাশাপাশি, মন্দিরের পরিধিতে (পরিকোটায়) সাতটি প্রধান মন্দিরে বিভিন্ন দেব-দেবীর ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ হবে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, দেবতাদের অবস্থান ঠিক করা হয়েছে। ঈশান কোণে শিব, অগ্নি কোণে গণেশ, দক্ষিণে হনুমান, নৈঋতে সূর্যদেব, ব্যায়ব্য কোণে ভগবতী, উত্তরে অন্নপূর্ণা, দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে শেশাবতার লক্ষ্মণ-এর মন্দির প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়াও, বাল্মীকি, বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, অহল্যা, শবরী ও নিশাদ রাজের নামে সাতটি মন্দিরে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ সম্পন্ন হবে।

    সোনার শিখর: ভক্তির শিরমণি

    নতুন এই পর্বে সবচেয়ে নজরকাড়া স্থাপত্যিক সংযোজন হল ‘স্বর্ণ শিখর’—রাম মন্দিরের (Ram Mandir Ayodhya) সোনায় মোড়া চূড়া। নগর শৈলীর ঐতিহ্য মেনে নির্মিত এই শিখরটি মন্দিরের আধ্যাত্মিক চূড়া বা ‘মেরু’র প্রতীক। এটি মাইলের পর মাইল দূর থেকে দৃশ্যমান, ভক্তির দীপ্ত প্রতীক।

    নিরাপত্তার চূড়ান্ত ব্যবস্থা

    উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ১০,০০০-এরও বেশি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ড্রোন, সিসিটিভি ক্যামেরা ও মাল্টি-লেভেল চেকপোস্টের সাহায্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। অযোধ্যার জেলা শাসক নিখিল তিকরাম ফুন্ডে জানিয়েছেন, “যাত্রী ও দর্শনার্থীদের জন্য যথাযথ স্থান ও ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে কোনও ভক্তর কোনও অসুবিধা না হয়।”

    ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে সম্পূর্ণ মন্দির

    ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর, ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট ভূমি পূজনের মাধ্যমে রাম মন্দির (Ram Mandir Ayodhya) নির্মাণের সূচনা হয়। এরপর থেকে দ্রুতগতিতে মন্দির নির্মাণ চলছে। ৩৮০ ফুট দীর্ঘ, ২৫০ ফুট প্রস্থ ও ১৬১ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন মন্দিরটি সম্পূর্ণভাবে গোলাপি বেলেপাথরে নির্মিত হচ্ছে। ৩৯২টি খোদাইকৃত স্তম্ভ ও ৪৪টি অলঙ্কৃত দরজা রয়েছে এই মন্দিরে। ২০২৫ সালের অক্টোবর নাগাদ পুরোপুরি মন্দিরের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, “এই নির্মাণ শুধুই আধ্যাত্মিক না, এটি আমাদের জাতীয় গর্ব এবং সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের প্রতীক।”

  • Asian Athletics Championships: পাশে মোদি সরকার, দুরন্ত পারফরম্যান্স অ্যাথলিটদের, ২৪ পদক নিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় ভারত

    Asian Athletics Championships: পাশে মোদি সরকার, দুরন্ত পারফরম্যান্স অ্যাথলিটদের, ২৪ পদক নিয়ে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships) ২৪টি পদক জিতে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করল ‘টিম ইন্ডিয়া’। দক্ষিণ কোরিয়ার গুমিতে সম্পন্ন হলো ২৬তম এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে। এই টুর্নামেন্টে অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। এই পদকের মধ্যে ছিল ৮টি সোনা, ১০টি রুপো এবং ৬টি ব্রোঞ্জ। ক্রীড়াক্ষেত্রেও ভারতকে সবার আগে নিয়ে যাওয়ার অনবরত চেষ্টা করে চলেছে মোদি সরকার। খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীন ভারত থেকে তুলে আনা হচ্ছে ছোট ছোট অ্যথলিটদের। যাঁদের প্রতিভা সকলের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে।

    প্রতিযোগিতায় ভারতের সাফল্য

    এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships) ৩২ পদক নিয়ে শীর্ষস্থানে চিন। তার মধ্যে রয়েছে ১৯টি সোনা, ৯টি রুপো এবং ৪টি ব্রোঞ্জ। অন্যদিকে, জাপান ৫টি সোনা, ১১টি রুপো এবং ১২টি ব্রোঞ্জ সহ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এই চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের অর্জন শুধু পদক জয়েই সীমাবদ্ধ ছিল না, তারা একটি জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করার পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তিগত সেরা ফলাফলও অর্জন করেছে। প্রতিযোগিতার শেষ দিনে ভারতের ঝুলিতে ৬টি পদক এসেছে। শনিবার পুরুষদের জ্যাভলিন ফাইনালে তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন সচিন যাদব। তিনি রুপোর পদক নিশ্চিত করেছেন। সচিন ছাড়াও মহিলাদের ৫০০০ মিটার দৌড়ে রুপো পেয়েছেন পারুল চৌধুরী। ১৫:১৫.৩৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন তিনি। এর আগে তিনি ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজে রুপো পদক জিতেছিলেন।

    দুরন্ত ভারতের মেয়েরা

    মহিলাদের ৪x১০০ মিটার রিলে টিমের ঝুলিও ভরে উঠেছে একটি রুপোর পদকে। অবিনায়া রাজারাজন, স্নেহা এসএস, শ্রাবণী নন্দা এবং নিত্য গান্ধের রিলে টিম ৪৩.৮৬ সেকেন্ড সময়ে দৌড় শেষ করেন। অন্যদিকে, স্প্রিন্টার অনিমেষ কুজুর পুরুষদের ২০০ মিটার দৌড়ে ব্রোঞ্জ জিতে ২০.৩২ সেকেন্ডের জাতীয় রেকর্ড গড়েন। মহিলাদের ৮০০ মিটার রেসে ব্রোঞ্জ জিতেছেন পূজা। তাছাড়াও এশিয়ান গেমসের পদকজয়ী ভিথ্যা রামরাজ মহিলাদের ৪০০ মিটার হার্ডলেসে তৃতীয় হন। গতবারের তুলনায় এবার সোনার পদক বেশি পেয়েছেন ভারতীয় অ্যাথলিটরা। গতবার ভারত পেয়েছিল ৬টি সোনা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৮।

    খেলাধূলার উন্নতিতে সক্রিয় মোদি সরকার

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবরই ভারতের খেলাধূলার উন্নতিতে সক্রিয় থেকেছেন। ক্রিকেট মাঠ বা অ্যাথলেটিক্স সব জায়গাতেই ক্রীড়াবিদদের পাশে থেকেছে মোদি সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ‘খেলো ইন্ডিয়া’র জন্য মোট ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের থেকে ২০০ কোটি টাকা বেশি। সব মিলিয়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রকের জন্য ৩৭৯৪.৩০ কোটি টাকার বাজেট ধার্য করা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের থেকে ৩৫১.৯৮ কোটি টাকা বেশি। মূলত তৃণমূল স্তর থেকে প্রতিভা তুলে আনা ও তাদের বিকাশ খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় চলে। ন্যাশনাল স্পোর্টস ফেডারেশনকে সাহায্য করার জন্যও ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারবার অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়েছে মোদি সরকার। অনবরত চলছে প্রতিভা অন্বেষণ ও সেই প্রতিভার বিকাশের চেষ্টা। অন্যদিকে ২০৩৬-এর অলিম্পিক আয়োজনের কথাও বারবার বলছে মোদি সরকার। গত অলিম্পিক, কমনওয়েলথ বা এশিয়ান গেমসেও ভালো ফল করেছে ভারত। এবার ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা এশিয়ান অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে (Asian Athletics Championships) নিজেদের দাপট দেখাল।

    পদকজয়ী ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের সম্পূর্ণ তালিকা

    সোনা

    পুরুষদের ১০ হাজার মিটার: গুলবীর সিং
    মিক্সড ৪x৪০০ মিটার রিলে: রূপাল চৌধুরী, সন্তোষ কুমার, বিশাল টিকে এবং শুভা ভেঙ্কটেশন
    পুরুষদের ৩ হাজার মিটার স্টিপলচেজ: অবিনাশ সাবলে
    মহিলাদের ১০০ মিটার হার্ডলেস: জ্যোতি ইয়ারাজি
    মহিলাদের ৪x৪০০ মিটার রিলে: জিসনা ম্যাথু, রূপাল চৌধুরী, কুঞ্জ রাজিথা এবং সুভা ভেঙ্কটেশন
    পুরুষদের ৫ হাজার মিটার: গুলবীর সিং
    মহিলাদের হাই জাম্প: পূজা
    হেপ্টাথলন: নন্দিনী আগাসরা

    রুপো

    মহিলাদের ৪০০ মিটার: রূপল চৌধুরী
    মহিলাদের ১৫০০ মিটার: পূজা
    ডেকাথলন: তেজস্বিন শঙ্কর
    পুরুষদের ট্রিপল জাম্প: প্রবীণ চিত্রভেল
    পুরুষদের ৪x৪০০ মিটার রিলে: জয় কুমার, ধর্মবীর চৌধুরী, মনু থেক্কিনালিল সাজি এবং বিশাল টিকে
    মহিলাদের লং জাম্প: অ্যান্সি সোজা
    মহিলাদের ৩ হাজার মিটার স্টিপলচেজ: পারুল চৌধুরী
    পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো: শচীন যাদব
    মহিলাদের ৫ হাজার মিটার: পারুল চৌধুরী
    মহিলাদের ৪x১০০ মিটার রিলে: শ্রাবণী নন্দা, অভিনয় রাজারাজন, স্নেহা এসএস, এবং নিথ্যা গান্ধে

    ব্রোঞ্জ

    পুরুষদের ২০ কিমি রেস ওয়াক: সার্ভিন সেবাস্টিয়ান
    পুরুষদের ১৫০০ মিটার: ইউনুস শাহ
    মহিলাদের লং জাম্প: শৈলী সিং
    পুরুষদের ২০০ মিটার: অনিমেষ কুজুর
    মহিলাদের ৪০০ মিটার হার্ডলেস: ভিথ্যা রামরাজ
    মহিলাদের ৮০০ মিটার: পূজা

  • Tobacco Health Risks: তামাক বাড়াচ্ছে বিপদ! কতখানি প্রাণঘাতী হতে পারে এই অভ্যাস?

    Tobacco Health Risks: তামাক বাড়াচ্ছে বিপদ! কতখানি প্রাণঘাতী হতে পারে এই অভ্যাস?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ‘স্মার্ট’ দেখানোর কৌশল কিংবা আর পাঁচ জনের সামনে ‘আধুনিক’ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার জন্য অনেকেই প্রথম সুখটান দেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নিছক আনন্দ, অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। আর তার জেরেই বাড়ে বিপদ। ধূমপান বা গুটখার মতো তামাকজাত পণ্য সেবনের জেরে একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে (Tobacco Health Risks)। অনেকক্ষেত্রে তা প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে‌ বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কিন্তু তারপরেও ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে একাধিক সমীক্ষার রিপোর্ট। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন‌ বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে তামাক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বয়স ১৪ বছরের চৌকাঠ পেরোলেই অধিকাংশ ভারতীয় ছেলেমেয়েরা ধূমপান করছে। ছেলের পাশপাশি মেয়েদের মধ্যেও ধূমপানের অভ্যাস থাকছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই ছেলেমেয়েরা নিয়মিত ধূমপান করছে। দীর্ঘকাল এই অভ্যাস থাকছে। যার ফলে নানান রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিচ্ছে (Tobacco Health Risks)। ধূমপানের পাশপাশি গুটখা, পানমশলার মতো তামাকজাত পণ্যেও তরুণ প্রজন্মের একাংশ অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। ওই সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে। তাই প্রশাসনের সর্বস্তরে এবং স্কুলেও এই নিয়ে বাড়তি কর্মশালা জরুরি। ১ জুন ওয়ার্ল্ড নো টোবাকো ডে (World No Tobacco Day)! জুন মাস জুড়ে তাই বিভিন্ন স্তরে চিকিৎসক সংগঠনগুলো তামাক নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালানোর পরিকল্পনা করেছে। স্কুলগুলোতে ও নানান কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

    কেন তামাক বিপদ বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তামাক সেবনের জেরে দেহের একাধিক রোগের ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকের ঘটনাও গত এক দশকে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। দেখা গিয়েছে, ধূমপান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ তামাক সেবন। ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে (Tobacco Health Risks)। তামাক সেবন তার অন্যতম কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের সমস্যা বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের তামাক সেবনের অভ্যাস, তার জন্য দায়ী বলেও মনে করছেন একাংশের চিকিৎসক।

    ফুসফুসের সমস্যা এবং সংক্রমণের অন্যতম কারণ তামাক বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত এক দশকে ভারতে উল্লেখযোগ্য ভাবে ফুসফুসের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ফুসফুসের লাগাতার সংক্রমণে ভুগছে। নিউমোনিয়ার মতো‌ রোগের প্রকোপ বাড়ছে। নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যুর সংখ্যাও যথেষ্ট বেড়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধূমপান ফুসফুসের সংক্রমণের অন্যতম কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধূমপান করলে ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে যায়। ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায় (Tobacco Health Risks)। কম বয়স থেকেই ধুমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে ফুসফুসে জটিল রোগ সহজেই বাসা বাঁধে। এমনকি ফুসফুসের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    তামাক ডেকে আনে বন্ধ্যাত্ব থেকে হরমোনের সমস্যা

    নিয়মিত তামাক সেবন করলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন। তামাক সেবন তার অন্যতম কারণ বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। তামাক শরীরের নানান হরমোনের নিঃসরণের উপরে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এর ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাই তামাক সেবন করলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তামাক মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তামাক সেবন করলে মস্তিষ্কে অসাড়তা তৈরি হয়। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে। স্মৃতিশক্তির উপরেও প্রভাব পড়ে। তাই তামাক সেবন শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক (Tobacco Health Risks)।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্কুল স্তর থেকে তামাক নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি প্রয়োজন। তামাক সেবন থেকে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তামাক সেবন হার্ট অ্যাটাক, কিডনির রোগ এবং নানান সংক্রামক রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। এই সম্পর্কে সর্বস্তরে বারবার জানানো দরকার। স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি হলে তবেই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস কমবে। এর পাশপাশি প্রয়োজন কাউন্সেলিং। স্কুলে স্কুলে বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের বোঝানো‌ দরকার। তাঁদের পরামর্শ, প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করা দরকার। বন্ধু মহলে স্মার্ট দেখানো বা নিজেকে আধুনিক প্রমাণের হাতিয়ার অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। বরং ধূমপান একেবারেই একটি খারাপ অভ্যাস। এর সঙ্গে আধুনিকতার কোনো মেলবন্ধন হয় না। এটা বোঝানো এবং প্রচার জরুরি। তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলোর (Tobacco Health Risks) পাশপাশি এই দিক থেকেও বিষয়টি বারবার কম বয়সিদের সামনে তুলে ধরতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবেই তামাক সেবন নিয়ে সচেতনতা (Tobacco awareness) গড়ে উঠবে। এর পাশপাশি তামাকজাত পণ্যও যেন স্কুল পড়ুয়াদের কাছে সহজে না পৌঁছয় সে সম্পর্কে প্রশাসনকে সতর্ক হতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Sharmistha Panoli Case: শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ব্যক্তিই নিখোঁজ! ওয়াজাহাত খানকে গ্রেফতারের উদ্যোগ অসম পুলিশের

    Sharmistha Panoli Case: শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ব্যক্তিই নিখোঁজ! ওয়াজাহাত খানকে গ্রেফতারের উদ্যোগ অসম পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্মিষ্ঠা পানোলি মামলায় (Sharmistha Panoli Case) নয়া মোড়। তাঁর বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছিলেন সেই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই দাবি করলেন তাঁর বাবা। উল্লেখ্য, শর্মিষ্ঠা পানোলির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন ওয়াজাহাত খান (Wazahat Khan) নামের এক ব্যক্তি। ওয়াজাহাত খানের বাবা সাদাত খানের দাবি রবিবার রাত থেকে তাঁর ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শর্মিষ্ঠা পানোলি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর পরিবার একের পর এক হুমকি ফোন পাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। শর্মিষ্ঠা পানোলি কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন গত শুক্রবার গভীর রাতে। ঘটনাটি ঘটে গুরগাঁওয়ে। এরপর তাঁকে কলকাতায় আনা হয় এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পানোলির গ্রেফতারিকে ঘিরে রবিবার রাজনৈতিক মহলে প্রবল বিতর্ক ছড়ায়। বিজেপি-র একাধিক নেতা তাঁর মুক্তির দাবি তোলেন। অন্যদিকে, ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধেও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সনাতন ধর্মের প্রতি অবমাননার জন্য ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধে দিল্লি ও অসমে অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই ওয়াজাহাতের পরিবার জানায়, তিনি নিখোঁজ।

    নিখোঁজ ওয়াজাহাত

    গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার হওয়া আইন ছাত্র এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলির (Sharmistha Panoli Case) বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেই ওয়াজাহাত খান এখন নিখোঁজ বলে দাবি করেছেন তাঁর বাবা সাদাত খান। রবিবার রাত থেকে ছেলের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারের পর থেকেই তাঁদের পরিবার ক্রমাগত হুমকির ফোন পাচ্ছে। এক সাংবাদিক যখন সাদাত খানকে প্রশ্ন করেন, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে হিন্দুধর্মকে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে, তখন তিনি জানান, ওয়াজাহাতের প্রোফাইল হয়তো হ্যাক হয়েছে। তাঁর দাবি, ছেলের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিনে বহু কুৎসিত এবং হুমকিসূচক ফোন এসেছে। এসব ফোনে বলা হয়েছে, ও নাকি পানোলির জীবন নষ্ট করেছে। সাদাত খান নিজেও একই ধরনের ফোন পেয়েছেন এবং গালিগালাজের শিকার হয়েছেন।

    ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে শ্রী রাম স্বাভিমান পরিষদ নামে একটি সংগঠন। সোমবার অভিযোগটি জমা পড়েছে গার্ডেনরিচ থানায়। ওই সংগঠনের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে অবমাননাকর এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন ওয়াজাহাত খান। ২ জুনের তারিখে লেখা ওই চিঠিতে পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে, যেন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৬(১)(এ), ২৯৯, ৩৫২, ৩৫৩(১)(সি) ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ও ৬৭ ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, খান হিন্দুদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও তিনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ধর্মীয় উৎসব নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। এই অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সাদাত খান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে কনটেন্ট ছড়াচ্ছেন। এর ফলে জনশান্তি ব্যাহত হচ্ছে এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির মধ্যে শত্রুতা বাড়ছে। অতএব, যাতে আর কোনও বিশৃঙ্খলা না ছড়ায়, তার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে। শ্রী রাম স্বাভিমান পরিষদের তরফ থেকে গার্ডেনরিচ থানায় ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু ধর্ম ও হিন্দু দেব-দেবীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন ওয়াজাহাত। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে— “রেপিস্ট কালচার”, “মূত্রপানকারী” প্রভৃতি শব্দ ব্যবহার করে হিন্দু সমাজ ও ধর্মকে অপমান করা হয়েছে।

    অসমেও অভিযোগ দায়ের

    হিন্দু ধর্মবিশ্বাস ও দেব-দেবীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে ওয়াজাহাত খানের বিরুদ্ধে অসমে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইতিপূর্বে সমাজমাধ্যমে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত খান, এবার মা কামাখ্যা ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। অসম পুলিশের এক উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, খান একজন অভ্যাসগত অপরাধী, যিনি আগেও একাধিকবার সনাতন ধর্ম ও হিন্দু দেব-দেবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য রেখেছেন। এই ঘটনার জেরে রাজ্যজুড়ে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই প্রসঙ্গে বলেন, “মা কামাখ্যার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অসম পুলিশ মামলা রুজু করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অসমে এনে আইনি ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তা চাইব।” মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, অসম সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং যারা বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে সমাজে অশান্তি ছড়াতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদিও এরপরই ওয়াজাহাতের বাবা সাদাত খান জানায়, তাঁর ছেলে নিখোঁজ। নানা মহলে জল্পনা, গ্রেফতারি এড়াতেই হয়তো কোথাও চলে গিয়েছেন ওয়াজাহাত।

  • Errol Musk : ‘শিবকে অনুসরণ করলেই বিশ্বে শান্তি আসবে’ ভারতে এসে কী বললেন ইলন মাস্কের বাবা ইরল?

    Errol Musk : ‘শিবকে অনুসরণ করলেই বিশ্বে শান্তি আসবে’ ভারতে এসে কী বললেন ইলন মাস্কের বাবা ইরল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবই শক্তির উৎস, শিবই শান্তির আধার। পুরো বিশ্ব যদি শিবকে অনুসরণ করে তাহলেই শান্তি আসবে। ভারতে দাঁড়িয়ে এই কথা বলেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের বাবা ইরল মাস্ক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন তিনি। আশ্বাস দেন ভারতে হবেই টেসলার (Tesla In India) কারখানা। যদিও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ইলন মাস্কের (Elon Musk) ওপরই সব ছেড়েছেন ইরল মাস্ক (Errol Musk)। তিনি জানান, ক্রম উন্নতি হচ্ছে এমন অর্থনীতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারত। ভারতের জন্য এটা খুব ভালো সময়।

    শিব-বন্দনা, হিন্দুধর্মের প্রতি অনুরাগ

    দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ী ইরল মাস্ক রবিবার ৫ দিনের ভারত সফরে এসেছেন। দিল্লিতে এসেছেন তিনি। পলিসি নির্মাতা, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, আমলাদের সঙ্গে তাঁর মিটিংয়ের কথা রয়েছে। ৬ জুন তিনি ফের সাউথ আফ্রিকার জন্য রওনা দেবেন। ৭৯ বছর বয়সি ইরল মাস্ক (Errol Musk) রিয়ানার সাফিয়াবাদে সৌর ও ইভি চার্জার তৈরির ইউনিট পরিদর্শন করবেন। অযোধ্যার রামমন্দিরেও যাবেন তিনি। সোমবার, এক অনুষ্ঠানে হিন্দুধর্মও শিবের প্রতি তাঁর ভক্তির কথা জানান ইরল। সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে হিন্দু পর্যটকদের হত্যার নিন্দা করে মাস্ক বলেন, “শিবের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। শিবই শক্তি, শিবই শান্তি। শিবকে অনুসরণ করলেই পৃথিবীতে শান্তি আসবে।”

    প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা

    সোমবার ভারতে টেসলার কারখানা হওয়ার বিষয়ে আশা দেখিয়েছেন ইরল মাস্ক (Errol Musk)। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, কোনও সন্দেহ নেই, ভারতে একটি টেসলার উৎপাদন কারখানা থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইলন মাস্ককে এই বিষয়ে বসে আলোচনা করতে হবে। দেখতে হবে, আলোচনা যেন, উভয়ের জন্যই লাভজনক হয়। টেসলাকে দেশে আনার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি ভারতের স্বার্থের দিকে নজর দেবেন। ঠিক তেমনই ইলনকে একটি কোম্পানি হিসেবে টেসলার স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে। সুতরাং, তাদের এমন কিছু ঠিক করতে হবে, যা টেসলার পাশাপাশি ভারতের জন্যও ভালো হয়। মাস্ক আরও বলেছেন, “আমার কোনও সন্দেহ নেই যে ভারতে একটি টেসলার উৎপাদন কারখানা থাকবে। ভারতে একটি টেসলা প্ল্যান্ট থাকা উচিত। ভারত বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান।” প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে মুগ্ধ ইরল বলেন, “নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। যে কোনও বিষয়ে তাঁর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেশকে সঠিক দিশা দেখায়। তাঁর বুদ্ধি ও দক্ষতা ভারতকে বিশ্বগুরু-র আসনে নিয়ে যাবে।”

  • IRCTC: টিকিটের সঙ্গেই বুক করা যাবে ই-প্যান্ট্রির খাবার, পৌঁছে যাবে যাত্রীর সিটে, বড় উদ্যোগ আইআরসিটিসি-র

    IRCTC: টিকিটের সঙ্গেই বুক করা যাবে ই-প্যান্ট্রির খাবার, পৌঁছে যাবে যাত্রীর সিটে, বড় উদ্যোগ আইআরসিটিসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনে সফর অনেকেই করেন। এই সময়ে চিন্তা থাকে খাবার নিয়ে। সমস্ত ভ্রমণকারীর পক্ষে সম্ভব হয়না বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসার। এক্ষেত্রে যাত্রীদের ভরসা করতে হয় ট্রেনের খাবার বিক্রেতাদের ওপরেই। এতদিন পর্যন্ত প্রিমিয়াম ট্রেনে অনলাইনেই খাবার বুক করার সুবিধা পাওয়া যেত। এবার থেকে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বড় উদ্যোগ নিল আইআরসিটিসি (IRCTC)। জানা যাচ্ছে, এক্সপ্রেস ও মেল ট্রেনের যাত্রীরাও এবার থেকে টিকিট কাটার সময়ই নিজের পছন্দসই খাবার বুক করে নিতে পারবেন। আপাতত বিবেক এক্সপ্রেস ট্রেনে এই পরিষেবা চালু রয়েছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আরও ২৫টি ট্রেনে এই পরিষেবা চালু হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল।

    আরএসি যাত্রীরাও এই পরিষেবার সুবিধা পাবেন (IRCTC)

    দূরপাল্লার ট্রেনে সফর করার সময় অনেকেই খাবারের অতিরিক্ত দাম, নিম্নমান নিয়ে অভিযোগ করে থাকেন। এরপর তাঁদের আর এই অভিযোগ করতে হবে না। যাত্রীদের জন্য দুর্দান্ত ও সুবিধাজনক পরিষেবা দিচ্ছে আইআরসিটিসি (IRCTC)। এক্সপ্রেস ও মেল ট্রেনেও মিলবে ই-প্যান্ট্রির সুবিধা। ডিজিটাল ভাবে আপনি খাবার বুকিং করলে, তা একেবারে পৌঁছে যাবে আপনার সিটে। সবচেয়ে বড় কথা, আরএসি যাত্রীরাও এই পরিষেবার সুবিধা পাবেন। যে সমস্ত ট্রেনে প্যান্ট্রি কারের (E-Pantry) সুবিধা রয়েছে, সেখানেই মিলবে এই পরিষেবা।

    কীভাবে বুক করবেন ই-প্যান্ট্রির খাবার (E-Pantry)?

    টিকিট বুক করার সময় অথবা পরে হিস্ট্রি খুলে সেখানে গিয়ে প্রথমে ই-প্যান্ট্রি অপশনে ক্লি করতে হবে। এরপর আপনি নিজের পছন্দ মতো ডিশ বুক করতে পারবেন।

    বুকিং সম্পূর্ণ হয়ে গেলে এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে বুকিংয়ের ভেরিফিকেশন কোড আসবে আপনার ফোন নম্বরে।

    আপনার ভ্রমণের দিন এই কোড দেখানো মাত্র আপনি সিটে বসে অর্ডার করা খাবার পেয়ে যাবেন।

    পেমেন্ট আপনাকে ডিজিটাল মাধ্য়মেই করতে হবে। আইআরসিটিসি-র লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতারাই খাবার আপনার সিটে পৌঁছে দিয়ে যাবে। এর জন্য লাগবে না অতিরিক্ত কোনও ফি বা চার্জ (IRCTC)।

LinkedIn
Share