Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Cancel Flight: ফ্লাইট বাতিল কিংবা তারিখ পরিবর্তনে লাগবে না চার্জ, জানাল ডিজিসিএ

    Cancel Flight: ফ্লাইট বাতিল কিংবা তারিখ পরিবর্তনে লাগবে না চার্জ, জানাল ডিজিসিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে বিনামূল্যে ফ্লাইট বাতিল (Cancel Flight) কিংবা যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করা যাবে। বিমান পরিষেবায় যাত্রীদের জন্য বড় স্বস্তির খবর দিল ডিজিসিএ। বেসামরিক বিমান চলাচল অধিদফতর ডিজিসিএ (DGCA) জানিয়েছে, রিফান্ড এবং বাতিলের নিয়মে এখন থেকে অনেক সংস্করণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একটি খসড়াও প্রকাশ করেছে। আর তাতেই বলা হয়েছে, যাত্রীরা অতরিক্ত টাকা ছাড়াই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বুকিং বা সংশোধন করতে পারবেন। অবশ্য বিমানযাত্রীদের অনেক দিন ধরেই অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। এবার তা কার্যকর হয়েছে।

    অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না (Cancel Flight) 

    সিভিল এভিয়েশন রিকোয়ারমেন্ট বা সিএআর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সিস্টেমটিকে আরও যাত্রী-বান্ধব করতে আগ্রহী সংস্থা। বিশেষ করে যখন যাত্রীরা শেষ মুহূর্তে নিজেদের টিকিট বাতিল বা সময় পরিবর্তন করতে চান, সেই সময় সেই সময় বিমান সংস্থার নানা পোর্টাল থেকে সঠিক সময়ে কার্যকর রেসপন্স পাওয়া যায় না। ডিজিসির নতুন নিয়মের খসড়ায় বলা হয়েছে, সমস্ত বিমান সংস্থাকে বুকিংয়ের সময় থেকে ৪৮ ঘণ্টার লুক-ইন পিরিয়ড প্রদান করা হবে। ফলে কোনও যাত্রীই অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না। যদি কোনও যাত্রী টিকিট বাতিল করে অন্য কোনও ফ্লাইটে পুনরায় টিকিট (Cancel Flight) কাটতে চান তাহলে তাঁকে কেবলমাত্র পার্থক্যের ভাড়াটা দিতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে

    ডিজিসিএ (DGCA) আরও জানিয়েছে, যখন ট্র্যাভেল এজেন্ট বা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে টিকিট বুক (Cancel Flight) করে তখন টাকা ফেরতের দায়িত্ব বিমান সংস্থার ওপর বর্তায়। কারণ এজেন্টরা কেবল প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। এই নিয়মের একমাত্র উদ্দেশ্য হল যাত্রী, ট্র্যাভেল এজেন্ট এবং বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে রিফান্ড দেরির ফলে তৈরি হওয়া নানাবিধ বিরোধ ও জটিলতা দূর করা। নতুন নিয়মের একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ছোটখাটো নামের ভুল সংশোধনের জন্য কোনও অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে না। তবে বুকিং করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। টিকিট সরাসরি বিমান সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হবে।

    একই ভাবে চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা বিষয়ের জন্য যদি ফ্লাইট বাতিল হয় তাহলে টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়ার জন্য ক্রেডিট সেল দিতে হবে। এই মর্মে বিমান সংস্থাগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কত টাকা ফেরত দেবে, তা সংস্থার বিচারাধীন। ডিজিসিএর এক কর্তা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল ভারতীয় বিমান চলাচলের মান আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং যাত্রীদের প্রতি ন্যায্য আচরণ সুনিশ্চিত করা।”

  • ICC Women’s World Cup: হচ্ছে না বিজয় মিছিল! বুধেই বিশ্বজয়ীদের সঙ্গে চা-য়ে পে চর্চায় প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ICC Women’s World Cup: হচ্ছে না বিজয় মিছিল! বুধেই বিশ্বজয়ীদের সঙ্গে চা-য়ে পে চর্চায় প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজয়ী (ICC Women’s World Cup) ভারতীয় দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দক্ষিণ আফিকাকে হারিয়ে বিশ্বজয়ের পর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে (Indian Women Cricket Team) শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঐতিহাসিক জয় ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়নদের যে অনুপ্রেরণা জোগাবে, সে কথা লেখেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, বুধবার ৫ নভেম্বর হরমনপ্রীতদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি।

    দলকে অভিনন্দন

    বুধবার নয়াদিল্লিতে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির। সোমবার এক অনুষ্ঠানে আবারও ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি প্রথমে ভারতের অসাধারণ জয়ের কথা বলব। এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা ভারত। এটা ভারতের প্রথম মহিলা বিশ্বকাপ জয়। ভারতীয় দলকে অভিনন্দন। তোমাদের জন্য গর্বিত।” দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছেন হরমনপ্রীতরা। ঐতিহাসিক এই সাফল্যে এখন সেলিব্রেশনের মুডে অসমুদ্রহিমাচল। গোটা দলের জন্য ৫১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। তবে কোনও বিজয় প্যারেডের কথা জানানো হয়নি।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত

    এর আগে ২০২৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ (2024 ICC Men’s T20 World Cup) জয়ের পর ভারতের পুরুষ ক্রিকেট দলের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার তিনি মহিলা দলের সঙ্গে দেখা করছেন। ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল সিনিয়র পর্যায়ে প্রথমবার যে কোনও ফর্ম্যাটে বিশ্বকাপ জেতায় সারা দেশ উচ্ছ্বসিত। প্রধানমন্ত্রীও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে পোস্টের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবার ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভিনন্দন জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিসিসিআই (BCCI) কর্তারাও এই সাক্ষাতে থাকতে পারেন। বুধবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে মহিলা দলের সদস্যদের সংবর্ধনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অনুষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

    কেন নেই বিজয় শোভাযাত্রা

    দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস থাকলেও, নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) এবার কোনো বিজয় শোভাযাত্রা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোর্ড জানিয়েছে, লজিস্টিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ। এ বছরের শুরুতে বেঙ্গালুরুর এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএল শিরোপা উদযাপনকালে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনায় কয়েকজন প্রাণ হারান। সেই অভিজ্ঞতার পর বড় জনসমাবেশ এড়িয়ে সতর্ক পথে হাঁটছে বোর্ড। পুরো দেশ যেখানে এই ঐতিহাসিক জয়ে আনন্দে ভাসছে, সেখানে শোভাযাত্রা না হওয়ায় ভক্তদের মধ্যে খানিক হতাশা দেখা দিয়েছে।

    বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ৫১ কোটি টাকার ঘোষণা

    বিসিসিআই সোমবার ঘোষণা করেছে, খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ ও নির্বাচক কমিটির জন্য মোট ৫১ কোটি টাকার নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) থেকেও ভারতীয় দল পাবে ৪০ কোটি টাকার পুরস্কার — যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বাধিক এবং আগের ৫০ ওভারের আসরে অস্ট্রেলিয়া পাওয়া পুরস্কারের তুলনায় ২৯৭ শতাংশ বেশি। এছাড়াও সুরাটের শিল্পপতি ও রাজ্যসভা সাংসদ গোবিন্দ ঢোলাকিয়া (চেয়ারম্যান, শ্রী রামকৃষ্ণ এক্সপোর্টস প্রা. লি.) ঘোষণা করেছেন, তিনি প্রত্যেক খেলোয়াড়কে হাতে তৈরি হীরার গয়না উপহার দেবেন এবং তাঁদের বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ (solar panel) স্থাপন করবেন। ঢোলাকিয়া বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লাকে চিঠি লিখে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

    বিভিন্ন রাজ্যএর তরফে নানা পুরস্কার

    রাজ্য ও সংস্থার তরফেও পুরস্কার। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু শিমলার কন্যা ও পেসার রেনুকা ঠাকুরকে ১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব একই পরিমাণ অর্থ প্রদান করবেন খেলোয়াড় ক্রান্তি গৌদ-কে। পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (PCA) জানিয়েছে, অধিনায়ক হরমানপ্রীত কৌর ও অলরাউন্ডার অমনজোত কৌর-কে ১১ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে, আর ফিল্ডিং কোচ মুনীশ বালিকে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। শীঘ্রই এই তিনজনকে সম্মান জানাতে একটি বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও আয়োজন করবে পিসিএ। বিভিন্ন ক্রিকেটারদের সঙ্গে কর্পোরেট সংস্থার চুক্তির পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপ জেতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হরমনপ্রীতের সঙ্গে চুক্তি করেছে একটি নির্মাণ সংস্থা। হরমনপ্রীতকে ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ করেছে তারা। স্মৃতি ইতিমধ্যেই অনেক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞাপনের জন্য প্রচুর সংস্থা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করেছে

     

     

     

     

     

  • Nuclear Testing in India: চিন-পাকিস্তানকে ঠেকাতে ‘হাইড্রোজেন বোমা’ পরীক্ষা করা দরকার ভারতের, কিন্তু বাধা কোথায়?

    Nuclear Testing in India: চিন-পাকিস্তানকে ঠেকাতে ‘হাইড্রোজেন বোমা’ পরীক্ষা করা দরকার ভারতের, কিন্তু বাধা কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৩ বছর পর আবার, পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার ঘোষণা করেছে আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া ও চিনের দ্রুত অস্ত্রভাণ্ডার বৃদ্ধির মোকাবিলায় এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করার পর ট্রাম্প আরও বলেন, উপযুক্ত সময়ে এই পরীক্ষা শুরু করা হবে। তাঁর দাবি, আমেরিকা এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, দ্বিতীয় স্থানে রাশিয়া এবং অনেক দূরে চিন। ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তে নয়াদিল্লির কৌশলগত মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। ভারতের এক প্রাক্তন সরকারি উপদেষ্টা বলেন, “এখন হয়তো ভারতেরও সময় এসেছে থার্মোনিউক্লিয়ার বা হাইড্রোজেন বোমার পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা করার।” তার মতে, ১৯৯৮ সালে ভারতের যে থার্মোনিউক্লিয়ার পরীক্ষা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ সফল হয়নি, তাই চিনের ক্রমবর্ধমান পরীক্ষা নিরীক্ষার জবাবে নয়াদিল্লি নতুন পরীক্ষার পথে যেতে পারে।

    কেন এই পথে আমেরিকা

    মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক রুশ দীর্ঘপাল্লার পারমাণবিক সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও চিনের দ্রুত বিস্তৃত অস্ত্রভাণ্ডারের জবাব হিসেবেই আমেরিকা আণবিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেজিং সম্প্রতি একটি অ-পরমাণু থার্মোনিউক্লিয়ার (তাপ-পরমাণু) যন্ত্র পরীক্ষা করেছে, যা বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিবেশে নতুন ভারসাম্য তৈরি করছে। ১৯৯২ সালে নেভাডায় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল—যেটি ছিল তাদের ১,০৫৪তম পরীক্ষা। এভাবে দীর্ঘ তিন দশক পর দেশটি নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টার ধারাকে উল্টে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্পের ভাষায়, “কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে” এই পদক্ষেপ জরুরি। ট্রাম্প বলেন, চিনের পারমাণবিক কর্মসূচি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমেরিকার সমকক্ষ হয়ে উঠবে। আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাসের নীতি অনুসরণ করে আসছে, কিন্তু ট্রাম্প এখন তা পরিবর্তন করেছেন। চিন শেষবার ১৯৯৬ সালে এবং রাশিয়া ১৯৯০ সালে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা করেছিল।

    কী করবে ভারত

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ৯০-এর দশকে আন্তর্জাতিক স্তরে চেষ্টা করেও ভারত ও পাকিস্তানকে থামানো যায়নি—দুই দেশই ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। তাই, যদি আমেরিকা নিজেই পরীক্ষা পুনরায় শুরু করে, তবে ভারতীয় নিরাপত্তা ভাবনায় পরিবর্তন আসা অবশ্যম্ভাবী। ভারতের অভ্যন্তরে বিশেষজ্ঞ ও কৌশলবিদরা বলছেন, নতুন এক বৈশ্বিক পারমাণবিক প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেউ কেউ সতর্ক করেছেন, ভারতের নতুন পরীক্ষা পাকিস্তানকে পাল্টা পদক্ষেপে উসকে দিতে পারে। আবার অনেকে মনে করেন, এ পরিস্থিতিতে ভারতীয় প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করা সময়ের দাবি। চিন তার পারমাণবিক অস্ত্রের ভান্ডার ১,০০০-এ উন্নীত করার জন্য কাজ করছে। দেশটি একটি অ-পারমাণবিক হাইড্রোজেন বোমাও পরীক্ষা করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চিনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ভারতের এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা করা উচিত।

    চিনকে আটকাতে পরমাণু পরীক্ষায় ভারত!

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু ট্রাম্প উত্তেজনাপূর্ণ বিশ্ব পরিস্থিতি এবং চিনের পারমাণবিক অস্ত্রের কথা উল্লেখ করছেন, তাই ভারতও “পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতি”-র কথা বলে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে। মার্কিন বিশেষজ্ঞ অ্যাশলে টেলিস তিন বছর আগে ভারতকে চিনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ অর্জনের জন্য হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছিলেন। অ্যাশলি জে. টেলিস ২০২২ সালে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ভবিষ্যতে এশিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর নির্ভরতা বাড়বে। টেলিসের মতে, ১৯৯৮ সালে ভারত হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। তিনি বলেন, চিনের সঙ্গে ভারতের শত্রুতা বাড়লে, ভারতকে একদিন হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করতে বাধ্য হতে হবে। উল্লেখ্য, ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ চিন পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে সাহায্য করেছিল। লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত যুদ্ধের জন্য চিন প্রস্তুতি নিচ্ছে। চিন যে হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করছে, তা আমেরিকার পাশাপাশি ভারতের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হতে পারে। তাই বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারতের হাইড্রোজেন বোমা উন্নয়নে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

    পারমাণবিক অস্ত্রের সমীকরণ

    বর্তমানে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বে নয়টি দেশ পারমাণবিক অস্ত্রধারী। তাদের হাতে মোট প্রায় ১৩,০০০ পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে—যা ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কার ৬০,০০০-এর তুলনায় অনেক কম। এর মধ্যে আমেরিকা ও রাশিয়া অধিকাংশ ওয়ারহেডের মালিক, আর চিন দ্রুত তাদের মজুত বাড়াচ্ছে। ভারত ও পাকিস্তানের হাতে আনুমানিক কয়েকশ’ অস্ত্র রয়েছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক কৌশলগত ভারসাম্যে নতুন অধ্যায় খুলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, বড় শক্তিগুলোর এমন পদক্ষেপ প্রায়শই আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমীকরণ পাল্টে দেয়—আর এবার ভারতের সামনে প্রশ্ন, “এই প্রতিযোগিতায় সে কি পিছিয়ে থাকবে, নাকি হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখবে?”

  • SIR: রাজ্যে শুরু হল এসআইআর, এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলওরা, চলছে হাতে-কলমে কাজ

    SIR: রাজ্যে শুরু হল এসআইআর, এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলওরা, চলছে হাতে-কলমে কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু হল। একসঙ্গে দেশের মোট ১২টি রাজ্যে এই এসআইআরের কাজ শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (Election Commisson) বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দিতে শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে ভোটারদের তথ্যসংগ্রহের কাজও। তবে এসআইআরকে ঘিরে বিএলওদের ‘প্রকাশ্যে হুমকি’ দিয়েছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা কমিশনও বিএলওদের সবরকম নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অপর দিকে অবৈধ অনুপ্রবশকারীদের নাম যেন ভোটার লিস্টে না থাকে তা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপি। ফলে নির্বাচনের আগেই এসআইআর (SIR) ইস্যুতে রাজনৈতিক উত্তাপ নরমে-গরমে চরম আকার নিয়েছে রাজ্যে।

    ম্যাপিং-এ আড়াই লক্ষ ভোটারের মিল (SIR)

    পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভার ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছে সাড়ে সাতকোটির বেশি। নির্বাচন কমিশন (Election Commisson) দফতর সূত্রে খবর, বাংলায় এসআইআর ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে সোমবার পর্যন্ত ২ কোটি ৪৫ লক্ষ ৭১ হাজার ১১৪ জন ভোটারের তথ্য মিলেছে। শতাংশের বিচার করলে বাংলায় ৩২.০৬ শতাংশ ভোটারের তথ্য ম্যাপিংয়ে (SIR) মিলেছে। এই বর্তমান তালিকার সঙ্গে ২০০২ সালের তালিকার কতজন ভোটারের নাম রয়েছে এটা যেমন দেখা হয়েছে, ঠিক তেমনি বর্তমান ভোটারদের বাবা-মায়ের নাম ২০০২ সালে রয়েছে কিনা তাও মিলিয়ে দেখা হয়েছে।

    এনুমারেশন কী?

    এনুমারেশন হল শুমারি বা গণনা বা পরপর উল্লেখ। এই ফর্মের মাধ্যমে ভোটার গণনা করা হবে। একজন ভোটারের স্বাক্ষর থাকলে তবেই খসড়া ভোটার হিসেবে গণনা করা হবে। ২৭ অক্টোবর ২০২৫ সাল পর্যন্ত নির্বাচনী খসড়া তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের বাড়িতে বাড়িতে যাবে এনুমারেশন ফর্ম। দুটি করে ফর্ম দেওয়া হবে। একটিতে সই করে বিএলওকে দেওয়া হবে অপর আরেকটি ভোটারের কাছে থাকবে।

    ২-১ দিন পর অনলাইনে আবেদন

    যেসব নাগরিক অন্যরাজ্য বা বাইরে থাকেন তাদের জন্য অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম পূরণের (Election Commisson) ব্যবস্থা করেছে কমিশন। তবে তা আজ থেকেই কার্যকর হবে না। কাজের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে দ্রুত পরিষেবা উপলব্ধ করবে। কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অনলাইনে শুরু করতে আরও ২-১ দিন সময় লাগবে। কমিশন এসআইআর-এ যে ম্যাপিং কাজ করেছে তা ভোটার তালিকার সঙ্গে চলতি বছরের সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকাকে মিলিয়ে দেখছে। বাংলায় শেষ নিবিড় তালিকা সংশোধনের কাজ হয়েছে গত ২০০২ সালে। ইতিমধ্যে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের নতুন ওয়েবসাইটেও (SIR) তুলে ধরা হয়েছে।

    ২৯৪টি আসনে যাবে এনামুরেশন ফর্ম

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যাপিংয়ের সময় যে যে ভোটারদের তথ্যে মিল রয়েছে তাদের এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করলেই হবে। আলাদা করে কোনও নথি দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তবে যাদের ২০০২ সালের তালিকায় যোগসূত্র পাওয়া যাবে না তাদের ক্ষেত্রে তথ্য ভেরিফিকেশন করতে হবে। তবে সকল ভোটারদের কাছেই যাবে এনুমারেশন ফর্ম। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের ২৯৪টি আসনে ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৯ জন ভোটারের কাছে এনামুরেশন ফর্ম যাবে। ইতিমধ্যে দ্বিগুণ সংখ্যক ফর্ম ছাপানো হয়েছে।

    আসছে দিল্লির প্রতিনিধি দল

    এদিকে রাজ্যে এসআইআর (SIR) কেমন ভাবে কাজ করছে তা পরিদর্শন করতে বুধবার দিল্লি থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এক প্রতিনিধিদল আসছে। এই দলে থাকবেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী, ডেপুটি সেক্রেটারি অভিনব আগরওয়াল এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এসবি যোশী। শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যে নানা প্রকার কাজ খতিয়ে দেখবেন। এখন উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে কাজ পরিচালনার কাজে যুক্ত থাকবেন। বিএলওদের (Election Commisson) কাজগুলিকে পর্যালোচনা করবেন।

    ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেওয়া হবে এনুমেরেশন ফর্ম। খসড়া প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি সময়ে। ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যন্ত চলবে অভিযোগ শোনা এবং খতিয়ে দেখার কাজ। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

  • SIR: ‘মঙ্গলগ্রহ হোক বা আন্টার্কটিকা যেখানে খুশি মিছিল করুন মমতা, এসআইআর হচ্ছেই’: শমীক

    SIR: ‘মঙ্গলগ্রহ হোক বা আন্টার্কটিকা যেখানে খুশি মিছিল করুন মমতা, এসআইআর হচ্ছেই’: শমীক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মিছিলকে শমীকের কটাক্ষ। মঙ্গলবার এসআইআর-এর (SIR) প্রতিবাদে কলকাতায় মেগা মিছিল করেছে তৃণমূল। সেই মিছিলে হাঁটবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে মিছিলে আবার পা মেলাবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। তিনি রাজ্যের ভোটার সংখ্যার বৃদ্ধিকে গুরুতর সমস্যা বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর সাফ কথা, এরাজ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হারের তুলানায় ভোটার তালিকায় নাম বৃদ্ধি অস্বাভাবিক ভাবে হয়েছে।

    দুর্নিতিকে ভোলাতেই এসআইআর বিরোধী আন্দোলন (SIR)!

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এসআইআর (SIR) বিরোধিতার মিছিলকে তোপ দেগে শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাট থেকে নামতে পারেন, দিঘা থেকে নামতে পারেন, মঙ্গলগ্রহে মিছিল করতে পারেন, আন্টার্কটিকা থেকে করতে পারেন। মুম্বইয়ের জুহু বিচে করতে পারেন। যেখানে যেমন খুশি মিছিল করতে পারেন কিন্তু এসআইআর তো হবেই। এসআইআর বিরোধী মিছিলের একটাই উদ্দেশ্য সীমাহীন দুর্নীতি, তৃণমূলের অবাধ লুটপাট, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, বগটুইয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা আরও নানা অপকর্মকে ঢাকতে চাওয়া। সব কিছুর মূলে মমতা নিজেই।”

    মানুষ চায় একটাই নির্ভুল তালিকা

    জনসংখ্যার তুলনায় ভোটারদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ঘটনাকে কটাক্ষ করে শমীক (Samik Bhattacharya) বলেন, “২০০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ছিল ৮.০২ কোটি। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০.৫৬ কোটি। মোট বৃদ্ধি ২.৫৪ কোটি (৩১.৭%)। তবে ভোটার তালিকার সংখ্যার গল্প আলাদা। ২০০২ সালে ভোটার ছিল প্রায় ৪.৫৮ কোটি, ২০২৫ সালে হয়েছে ৭.৬৪ কোটি। যার বৃদ্ধির পরিমাণ ৩.০৬ কোটি (৬৭%)। ভোটার সংখ্যা, জনসংখ্যার বৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি। যদি ধরে নিই বাংলাদেশে গত ২০ বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমেছে। ধরে নিলাম এই কমে যাওয়া পুরো সংখ্যাটাই ভারতে এসেছে তবুও এতো বাড়তি ভোটারকে বিশ্লেষণ করা যায় না। তবে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়, এটা নাগরিকের অধিকার। মানুষ চায় একটা নির্ভুল তালিকা (SIR), সঠিক ভোট আর প্রকৃত গণতন্ত্র।”

  • ICC Women’s World Cup: সমতাই সাফল্যের চাবিকাঠি! বিসিসিআই দেখাল সমান পারিশ্রমিক বদলে দিতে পারে মানসিকতা

    ICC Women’s World Cup: সমতাই সাফল্যের চাবিকাঠি! বিসিসিআই দেখাল সমান পারিশ্রমিক বদলে দিতে পারে মানসিকতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup) অনেকের কষ্ট মুছে দেয়। ৬ বিশ্বকাপ খেলেও মিতালি রাজ পারেননি। ৫টা বিশ্বকাপ খেলে পারেননি ঝুলন গোস্বামী। সব আক্ষেপ এক রাতে মুছে দিলেন হরমনপ্রীত, স্মৃতি, দীপ্তি, শেফালিরা। ফারাক একটাই সমতা। নবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের উজ্জ্বল আলোয় ইতিহাস রচনা করলেন হারমনপ্রীত কৌর। শেষ বলে উড়ে আসা ক্যাচটি যখন তিনি মাথার উপরে তুলে ধরলেন, তখন তাঁর সতীর্থরা ছুটে এলেন মাঠে, চোখে জল, মুখে অবিশ্বাসের হাসি। প্রথমবার ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল জয় করল বিশ্বের সর্বোচ্চ মঞ্চ—ওয়ানডে বিশ্বকাপ। কিন্তু এই জয় শুধুই ক্রিকেটের নয়, এটি এক নীতির জয়—যার সূচনা হয়েছিল তিন বছর আগে বোর্ডরুমের এক নীরব বৈঠকে।

    “আবেগতাড়িত সিদ্ধান্ত”ই যুক্তিযুক্ত

    ২০২২ সালের অক্টোবরে, বিসিসিআই-এর (BCCI) ১৫তম অ্যাপেক্স কাউন্সিল বৈঠকে নেওয়া হয়েছিল এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত—পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে সমান ম্যাচ ফি চালুর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। রোহিত-বিরাটদের মতো পারিশ্রমিক বা ম্যাচ -ফি পেতে শুরু করেন হরমনপ্রীত, মান্ধানারা। সেই সিদ্ধান্ত তখন আলোড়ন তুলেছিল বিশ্ব ক্রীড়ামহলে। তখন বিসিসিআই সচিব পদে ছোট-খাটো চেহারার এক ব্যক্তি জয় অমিতভাই শাহ। যার রাজনৈতিক পরিচয়, প্রভাব নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তিনি নীরবে কাজ করে গিয়েছেন। সমালোচকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন—মহিলা ক্রিকেট কি এখনও সেই অর্থনৈতিক উচ্চতায় পৌঁছেছে যেখানে সমান পারিশ্রমিক যুক্তিযুক্ত? কেউ কেউ বলেছিলেন এটি “আবেগতাড়িত সিদ্ধান্ত”, যুক্তির নয়।

    বিশ্বাসে অটল বিসিসিআই

    সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের (ICC Women’s World Cup) লিগ পর্বে যখন ভারতের পারফরম্যান্স দুর্বল হচ্ছিল, তখন সেই সমালোচনা আরও জোরালো হয়। সামাজিক মাধ্যমে বাড়তে থাকে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য। কিন্তু বিসিসিআই তাদের বিশ্বাসে অটল ছিল। বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে নিয়ে হরমনপ্রীতরা প্রমাণ করলেন, সেই বিশ্বাস বৃথা যায়নি। বিশ্বকাপ জয়ের পর বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এক টুইটে লেখেন, “ভারতের মেয়েদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় ভারতের প্রতিটি নাগরিককে গর্বিত করেছে। দলের লড়াই, আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতা যেমন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, তেমনি বিসিসিআই-এর নীতিগত সিদ্ধান্ত—সমান পারিশ্রমিক, বাড়তি বিনিয়োগ, উন্নত কোচিং কাঠামো ও উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ-এর অভিজ্ঞতা—এই সাফল্যের ভিত গড়ে দিয়েছে।”

    এক সুপরিকল্পিত কাঠামোর ফল

    এই জয় আকস্মিক নয়, এটি এক সুপরিকল্পিত কাঠামোর ফল। সমান পারিশ্রমিকের সঙ্গে সঙ্গে মহিলা ক্রিকেটে এসেছে উন্নত পরিকাঠামো, দক্ষ কোচিং স্টাফ, এবং উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ (WPL)-এর মতো প্রতিযোগিতা, যা মেয়েদের আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট খেলার সুযোগ দিয়েছে। সমান পারিশ্রমিক শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানসিক বিপ্লবও ঘটিয়েছে। মহিলা ক্রিকেটাররা এখন সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত। সেই আত্মবিশ্বাসই আজ প্রতিটি রান, প্রতিটি উইকেটে প্রতিফলিত। সমান পারিশ্রমিক তাদের মনে করিয়ে দিয়েছে—সমতা কোনও দয়া নয়, এটি অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত।

    ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা

    বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup) জয়ের পর ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআই (BCCI)। সংস্থার সচিব দেবজিৎ শাইকিয়া জানান, এই পুরস্কার দলের সব সদস্য, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “জয় শাহ ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিসিসিআই সচিব থাকাকালীন মেয়েদের ক্রিকেটে একাধিক বদল এনেছেন। পে প্যারিটি বা সমান বেতন কাঠামোর বিষয়টি তখনই কার্যকর হয়। গত মাসে আইসিসি চেয়ারম্যান মহিলা ক্রিকেটের প্রাইজমানি ৩০০ শতাংশ বাড়িয়েছেন। ২.৮৮ মিলিয়ন ডলার থেকে তা বেড়ে ১৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এসব উদ্যোগে মহিলাদের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিসিসিআই ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।”

    জয় শাহের নেতৃত্বে আইসিসি-তেও নয়া ধারা

    জয় শাহের নেতৃত্বে আইসিসি-র তরফেও প্রাইজমানির পরিমাণ এবার বেড়েছে। ভারত পেয়েছে ৪.৪৮ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। আগের আসরে যেখানে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল মাত্র ১.৩২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১২ কোটি। রানার্স-আপ দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে ২.২৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২০ কোটি টাকা), আর সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল প্রত্যেকে পেয়েছে ১.১২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০ কোটি টাকা)। পুরো টুর্নামেন্টের মোট প্রাইজমানি ছিল ১৩.৮৮ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২৩ কোটি টাকা), যা আগের বিশ্বকাপের ৩.৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। এমনকি এই পরিমাণ পুরস্কার ২০২৩ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপের ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার অর্থকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।

    সমতা আগে এলে সাফল্য আসবেই

    ভারতের এই সাফল্য বিশ্ব ক্রীড়াজগতে এক নতুন বার্তা দিচ্ছে। এতদিন মহিলা ক্রিকেটারদের বলা হত, “প্রথমে তোমাদের খেলা বাণিজ্যিকভাবে সফল হোক, তারপর আসবে সমান অধিকার।” ভারত দেখিয়ে দিল—সমতা আগে এলে সাফল্য আসবেই। বিসিসিআইয়ের (BCCI) মতো একটি বাণিজ্যিকভাবে প্রভাবশালী বোর্ড যখন সমতাকে কৌশল হিসেবে গ্রহণ করে, তখন সেটি বিশ্ব ক্রীড়ার মানদণ্ড বদলে দেয়। এই জয় শুধু ট্রফি নয়—এটি এক নতুন ভারতীয় বাস্তবতার প্রতীক। ডিওয়াই পাতিলের আকাশে যখন তেরঙা উড়ছিল, ট্রফি হাতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় দল নতুন ভবিষ্যতের ছবি আঁকছিল। এটি শুধু ভারতের মেয়েদের জয় নয়—এটি সারা বিশ্বের কাছে এক বার্তা: সমান সুযোগ দিলে, মেয়েরা ইতিহাস লেখে।

  • Dengue Malaria: হেমন্তের আমেজ থাকলেও ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ায় নাজেহাল বঙ্গবাসী! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    Dengue Malaria: হেমন্তের আমেজ থাকলেও ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ায় নাজেহাল বঙ্গবাসী! কেন বাড়ছে ভোগান্তি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষা বিদায় নিয়েছে। হেমন্তের আমেজ এখন বাতাসে ভরপুর। কিন্তু এখনো মশার দাপট কমেনি। মশাবাহিত রোগের জেরে বিপদে পড়ছেন বঙ্গবাসী! ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার দাপটে নাজেহাল। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নভেম্বরে এই ধরনের রোগের দাপট কমে। কিন্তু চলতি বছরে ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না। বরং উৎসবের মরশুমের শেষেও শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপটে কাবু।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য?

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু অক্টোবর মাসে কলকাতায় ৩৫০ জনের বেশি নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। যা ২০২৪ সালের তুলনায় বেশি। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের হিসাব অনুযায়ী, কলকাতায় ৮৫ জন নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। আবার ডেঙ্গির পাশপাশি কলকাতার একাধিক এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। বিশেষত শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক, যাদবপুর, টালিগঞ্জের মতো একাধিক এলাকায় কয়েকশো মানুষ ম্যালেরিয়ার আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার জোড়া আক্রমণে জর্জরিত কলকাতাবাসী।

    কলকাতা পুরসভার পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে উত্তরের তুলনায় কলকাতার দক্ষিণে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেশি। বালিগঞ্জ পার্ক রোড, পাম অ্যাভিনিউ, পণ্ডিতিয়া রোড সহ দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায় হাই এলার্ট‌ জারি করা হয়েছে। মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ রুখতে বিশেষ সতর্কতা ও পদক্ষেপ জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কলকাতার পাশপাশি অক্টোবর মাসে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হুগলি ও হাওড়া জেলায় উল্লেখযোগ্য ভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবর শেষে রাজ্যে নতুন করে প্রায় দেড় হাজার মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন‌। যা বিগত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। জেলাগুলোতেও ডেঙ্গির পাশপাশি ম্যালেরিয়ার দাপট বাড়ছে। বিশেষত হাওড়া এবং হুগলি এই দুই জেলায় গত মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন মশাবাহিত রোগের দাপট অব্যাহত?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষার শেষে মশাবাহিত রোগের দাপট কমে। বিশেষত নভেম্বর মাসে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়। তাপমাত্রার রকমফেরে মশাবাহিত রোগের দাপট কমে। কিন্তু চলতি বছরে পরিস্থিতি অন্যরকম। তার মূল কারণ আবহাওয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছরে বৃষ্টি অনেক বেশি হয়েছে। বর্ষার উপস্থিতিও ছিল দীর্ঘমেয়াদি। তাই জল জমার সমস্যাও বেশি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মশার বংশবিস্তার সহজ হয়। তাই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার দাপট ও বাড়ছে।

    আবহাওয়ার পাশপাশি জনসচেতনতার অভাব এবং প্রশাসনের সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি কিংবা ম‌্যালেরিয়ার মতন মশাবাহিত সংক্রামক রোগ রুখতে সচেতনতা জরুরি। নিজের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় যাতে জল না জমে সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। বাগান কিংবা ছাদে যাতে জল না জমে সেটা নজরদারি প্রয়োজন। চৌবাচ্চায় যাতে সাত দিনের বেশি এক জল না থাকে সেটাও নজর দিতে হবে।

    জনসাধারণের সচেতনতার পাশপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক এলাকায় কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টির পরেই জল জমে থাকে। জমা জলে একাধিক রোগের দাপট বাড়ে। জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের আরও বেশি পরিকল্পনা জরুরি। তাছাড়া ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার দাপট গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে চলছে। মানুষের ভোগান্তি কমাতে প্রশাসনের আরও বেশি নজরদারি প্রয়োজন।‌

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Donald Trump: ‘পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে চিন-পাকিস্তান’! বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস ট্রাম্পের

    Donald Trump: ‘পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে চিন-পাকিস্তান’! বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোপনে পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তান। তলায় তলায় পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে পাকিস্তান, চিন-সহ চার দেশ। রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়াও তাদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছে। সম্প্রতি, ৩৩ বছরের স্থগিতাদেশের পর আমেরিকার সেনা বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। এরপরেই তাঁর এই মন্তব্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ট্রাম্প বলেন, “আমরা পরীক্ষা করছি, কারণ বাকিরাও পরীক্ষা করছে।” একই সঙ্গে ট্রাম্পের সংযোজন, “হঠাৎই উত্তর কোরিয়া পরীক্ষা করছে। পাকিস্তান পরীক্ষা করছে। তারা কিন্তু আপনাকে গিয়ে এই খবর দেয়নি। তারা গোপনে এই পরীক্ষা করছে, যাতে মানুষ জানতেও না পারে কী হচ্ছে।” তার পরেই ট্রাম্প দাবি করেন, রাশিয়া এবং চিনও একই ভাবে তাদের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা করছে। ওই দেশগুলিকে দুষে ট্রাম্পের বক্তব্য, মুক্ত সমাজে গোপনীয়তার সঙ্গে এই সব কাজ করা হচ্ছে। ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, ‘রাশিয়া এবং চিন পরীক্ষা করছে, কিন্তু তাঁরা এটা নিয়ে কথা বলে না। কিন্তু আমরা একটি উন্মুক্ত ব্যবস্থায় বিশ্বাসী। আমরা আলাদা। আমরা এটা নিয়ে কথা বলি। তাদের কাছে এমন কোনও সাংবাদিক নেই যারা এটা নিয়ে লিখবে।’ পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, মাটির গভীরে এই পরীক্ষা করছে সবাই। সেই কারণে মৃদু কম্পন ছাড়া কিছুই বুঝতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। যদিও ট্রাম্পের দাবি খারিজ করে দিয়েছে চিন। চিনের বিদেশ মন্ত্রক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছে, তারা একটি দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর দেশ। তাই আত্মরক্ষার প্রয়োজন ছাড়া তারা পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা করে না।

    আধুনিক পদ্ধতিতে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা

    সম্প্রতি নতুন করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার রাস্তায় হাঁটা নিয়ে কথা চলছে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্দরে। পুরোনো দিনের মতো বিস্ফোরণ না করে আধুনিক পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত ভাবে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া ও চিনের মতো প্রতিপক্ষ দেশগুলি পরমাণু পরীক্ষা করছে ধরে নিয়েই এই পদক্ষেপ করার কথা ভেবেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই আবহেই আলতো করে অন্য দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর হুমকি, ‘অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় আমেরিকার কাছে অনেক বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে।’ ট্রাম্পের নতুন মন্তব্যে কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে – বিশ্ব কি ফের পারমাণবিক প্রতিযোগিতার অন্ধকার অধ্যায়ে ফিরছে? আর সত্যিই যদি চিন-পাক গোপনে পরীক্ষা চালায়, তাহলে কি ভারতও পোখরান-৩-এর পথে হাঁটবে? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নজরে রাখা ছাড়া উপায় নেই। তবে একথা স্পষ্ট, বৈশ্বিক নিরাপত্তা মানচিত্রে উত্তাপ বাড়া যে এখন সময়ের অপেক্ষা, ট্রাম্পের মন্তব্য সেই ইঙ্গিতই দিল।

  • Daily Horoscope 04 November 2025: নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 November 2025: নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি।

    ৩) পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে।

    বৃষ

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও বিপুল অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) বন্ধুদের সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কর্কট

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    সিংহ

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) দাম্পত্য কলহের কারণে মন চঞ্চল হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) দুশ্চিন্তা বাড়বে।

    তুলা

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    বৃশ্চিক

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    ধনু

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ হতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    মকর

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা ও সেই কারণে আপনার মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে পদন্নোতি।

    ২) বাসস্থান পরিবর্তন নিয়ে খরচ বৃদ্ধি।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    মীন

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভালো হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • SIR: মমতা সরকারের আবেদন খারিজ, সোদপুরে শুভেন্দুর সভা-মিছিলে অনুমতি হাইকোর্টের

    SIR: মমতা সরকারের আবেদন খারিজ, সোদপুরে শুভেন্দুর সভা-মিছিলে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ অনুমতি দেয়নি কিন্তু তবুও থেমে থাকেনি বিজেপি। প্রদীপ করের মৃত্যু প্রসঙ্গে তৃণমূলের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মিছিল করতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন করেছিল বঙ্গ বিজেপি। এবার হাইকোর্ট রাজ্য প্রশাসনের আবেদন খারিজ করে শর্ত সাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। উল্লেখ্য মৃত্যু নিয়ে কোনও রকম তদন্ত করার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ‘এই মৃত্যু আত্মহত্যা! এসআইআর (SIR) আবহে এনআরসির কারণে মানসিক ভাবে ভয় পেয়ে এই কাজ করেছেন। আর এখান থেকেই বিজেপির প্রশ্ন তদন্তের আগে মৃত্যু নিয়ে মমতা এতো নিশ্চিত কীভাবে?

    বিকেল ৩ টে থেকে সন্ধ্যে ৫ টা পর্যন্ত মিছিল (SIR)

    সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলার (Calcutta High Court) শুনানি হয়। বিজেপিকে অনুমতি দিয়ে বিচারপতির নির্দেশ, বিকেল ৩টে থেকে সন্ধ্যে ৫টা পর্যন্ত মিছিল করতে পারবে। মিছিলের শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখতে পারবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১০০০ লোক নিয়ে মিছিল করা যাবে। তবে আয়োজকদের নিশ্চিত করতে হবে স্থানীয়দের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। মানুষের ভোগান্তী যেন না হয়। পুলিশকে আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে কড়া নজরদাড়ি রাখতে হবে। মিছিল সোদপুর থেকে আগরপাড়া তেঁতুলতলা বাস স্টপ পর্যন্ত করতে হবে।

    ২০০২ সালে প্রদীপ করের নাম রয়েছে

    রাজ্যে এসআইআর (SIR) আবহে সোদপুরের প্রদীপ করের মৃত্যুকে এনআরসি আতঙ্ক বলে চিহ্নিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার তৃণমূলের পক্ষেই পুলিশ তথ্য দিয়ে বলেছে, দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়ায় নোটেও সেরকমই লেখা রয়েছে। যদিও সেই নোটের হাতের লেখা নিয়ে হাজারও সংশয় রয়েছে। ইতিমধ্যে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক টিম। তবে বিজেপির বক্তব্য, মৃত প্রদীপ বাবুর হাতের চারটি আঙ্গুল নেই। উপরন্তু তিনি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি কীভাবে আত্মহত্যার নোট লিখবেন? ফলে এটা কী হত্যা নাকি আত্মহত্যা, এই নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে। বিজেপির সাফ কথা পুলিশের করা কেস সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা।

    তবে এই প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “যেখানে ২০০২ সালে প্রদীপ করের নাম রয়েছে, তিনি কেন আত্মঘাতী হবেন।” পাল্টা বিজেপির দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। ফলে ঘটনার অপপ্রচার এবং আসল মৃত্যুর কারণ জানতে রাস্তায় নামতে চলেছে বিজেপি। তৃণমূলের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বিজেপি সোদপুর থেকে আগরপাড়া পর্যন্ত মিছিল করবে।

LinkedIn
Share