Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Daily Horoscope 30 October 2025: মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 30 October 2025: মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মনের মতো পরিবেশ পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবন খুব ভালো কাটতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন।

    ২) ব্যবসায় ভালো লাভের সময়।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    কর্কট

    ১) অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে।

    ২) আয়ের দিক থেকে দিনটি ভালো।

    ৩) ব্যবসায় লাভ।

    সিংহ

    ১) কোনও ভাল কাজ না হওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) নতুন চাকরির চেষ্টা করতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) রাজনীতির লোকেদের জন্য ভালো খবর আসতে পারে।

    ২) সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    তুলা

    ১) কাজ নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) পাওনা আদায় নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) নিজের বাক্যে সংযম রাখুন।

    বৃশ্চিক

    ১) কীটপতঙ্গ থেকে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে ব্যয় কমানোর আলোচনা।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    ধনু

    ১) সকালের দিকে শরীরে আঘাত লাগতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে শান্তি পেতে পারেন।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    মকর

    ১) কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ২) দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    ৩) হতাশ হবেন না কোনওভাবে।

    কুম্ভ

    ১) অতিরিক্ত কথায় বাড়িতে বিবাদ।

    ২) শরীরে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) সাবধানে চলাফেরা করুন।

    মীন

    ১) শরীরে যন্ত্রণা হতে পারে।

    ২) প্রেমে বিরহ দেখা দিতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরতে শিখুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • India vs Australia: ভারতের ছন্দে বাধ সাধল বৃষ্টি, ক্যানবেরায় পরিত্যক্ত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

    India vs Australia: ভারতের ছন্দে বাধ সাধল বৃষ্টি, ক্যানবেরায় পরিত্যক্ত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টিই শেষ হাসি হাসল। ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ ওভার খেলার পর আর খেলা শুরুই করা গেল না। ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন সূর্যকুমার যাদব ও শুভমন গিল। দুজনেই মারমুখি মেজাজে খেলছিলেন। প্রথম ৯ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ৮২ রান তুলে নেয় ভারত। এদিন ক্যানবেরায় ফের টস হারেন সূর্য। টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। ভারতের খেলার পাঁচ ওভার পরেই বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি থামলে ফের খেলা শুরু হলেও আবার ঝেঁপে বৃষ্টি। এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ রেফারি। ৯.৪ ওভারে ভারতের রান তখন৯৭। ভালো ছন্দে ব্যাট করছিলেন সূর্যকুমার যাদব ও শুভমন গিল। কিন্তু বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়াল।

    ওয়ান-ডে এর বদলা টি-টোয়েন্টি!

    অস্ট্রেলিয়ার কাছে এক দিনের সিরিজ হারতে হয়েছে শুভমন গিলদের। সূর্যকুমার যাদবেরা কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না। এশিয়া কাপজয়ী দলকেই মূলত পাঠানো হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সফরে। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসাবে দেখছে ভারতীয় শিবির। এই সিরিজ থেকেই বিশ্ব খেতাব ধরে রাখার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দেবেন কোচ গৌতম গম্ভীর। অন্যদিকে, জসপ্রীত বুমরাহের প্রত্যাবর্তনে টিম ইন্ডিয়ার বোলিং আক্রমণ আরও শক্তিশালী হয়েছে। ইতিপূর্বে, ওয়ানডে সিরিজে টিম ইন্ডিয়া ১-২ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল। এই বদলা তারা টি-২০ সিরিজে নিতে চাইবে। তবে ক্যাঙারুদের দেশে এই টি-২০ সিরিজ জয় টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে অতটাও সহজ হবে না। তারই মধ্যে বাধা বৃষ্টি।

    সুস্থ হচ্ছেন শ্রেয়স

    প্লীহার ক্ষত সারিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন শ্রেয়স আয়ার। তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছে। চিকিৎসকেরা যেমন ভেবেছিলেন তার থেকেও আগে সুস্থ হয়ে উঠছেন ভারতীয় ক্রিকেটার। দাদার পাশে থাকতে সিডনি উড়ে যাচ্ছেন বোন শ্রেষ্ঠা। ভারতীয় বোর্ডই যাবতীয় ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবারই তিনি সিডনির উদ্দেশে রওনা দেবেন। শ্রেয়স যত দিন না দেশে ফিরছেন তত দিন তিনি সঙ্গে থাকবেন। এ দিকে, শ্রেয়সের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ছটপুজোয় প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছে সূর্যকুমার যাদবের মা-কে। সিডনির হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়েছে শ্রেয়সের। দু’দিন আগেই তাঁকে আইসিইউ থেকে বার করা হয়েছে। এখন সাধারণ বেডে রয়েছেন। সেখানেই কর্তব্যরত নার্সদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা, মজা করছেন বলে জানা গিয়েছে। বোঝা গিয়েছে, তিনি এখন অনেকটাই স্থিতিশীল।

  • Draupadi Murmu on Rafale: সিঁদুর যোদ্ধা পাইলট শিবাঙ্গীর সঙ্গে ছবি, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে সওয়ারি দ্রৌপদী মুর্মুর

    Draupadi Murmu on Rafale: সিঁদুর যোদ্ধা পাইলট শিবাঙ্গীর সঙ্গে ছবি, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে সওয়ারি দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফাল যুদ্ধবিমানে সওয়ার হলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu on Rafale)। বুধবার হরিয়ানার অম্বালা বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তাঁকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। এরপরেই তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর রাফাল যুদ্ধবিমানে একটি সর্টি উড়ানে অংশ নেন। সামরিক পোশাক পরেই রাফাল যুদ্ধবিমানে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। রাফাল যুদ্ধবিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং-এর সঙ্গে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন রাষ্ট্রপতি। গত মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় সমাজমাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। যেখানে দাবি করা হয়েছিল, পাকিস্তান এই পাইলট শিবঙ্গী সিংকে বন্দি করেছে। হাস্যকর সেই দাবি উড়িয়ে বুধবার সিঁদুর যোদ্ধা শিবঙ্গীর সঙ্গে ছবি তুললেন মুর্মু।

    রাষ্ট্রপতির ঐতিহাসিক উড়ান

    এর আগে ২০২৩ সালে ‘সুখোই ৩০ এমকেআই’ যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu on Rafale)। হরিয়ানার অম্বালার বায়ু সেনাঘাঁটি থেকেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হয়েছিল। বুধবার সেই বিমানঘাঁটিই পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখান থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান উড়িয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন। এই বিশেষ অভিযানে বিমানঘাঁটিতে উপস্থিত ছিলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। রাষ্ট্রপতির এই ঐতিহাসিক উড়ানকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য গর্ব এবং দেশের মহিলাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সামরিক পোশাক এবং চোখে সানগ্লাস পরে রাফালের পাইলটের সঙ্গে ছবি তোলেন মুর্মু। তাঁর হাতে ধরা ছিল হেলমেট। এদিন, বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে তাঁকে নিয়ে উড়ে যায় একটি রাফাল। বিমানের ভিতরে বসে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাতে দেখা যায় রাষ্ট্রপতিকে।

    রাফাল ভারতের সামরিক সাফল্যের প্রতীক

    প্রসঙ্গত, পদাধিকারবলে রাষ্ট্রপতি ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে অসমের তেজপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন মুর্মু। তার আগেই অবশ্য মুর্মুর দুই পূর্বসূরি এপিজে আবদুল কালাম এবং প্রতিভা পাটিল ওই যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কালাম এবং ২০০৯ সালে প্রতিভা পাটিল যথাক্রমে পুণের লোহেগাঁও বিমানঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই বিমানে উড়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সেই ঐতিহ্যের আধুনিক অধ্যায় খুলে দিলেন রাফাল যুগে। রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এপ্রিলের পহেলগাঁও-এ জঙ্গি হামলার পর চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ এই যুদ্ধবিমানের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন অভিযানে ভারতীয় সেনার দাপুটে ‘অপারেশন সিঁদুর’র পর থেকেই শিরোনামে উঠে এসেছে রাফাল। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধুলিসাৎ হয়ে যায় জঙ্গিদের ঘাঁটি। পাকিস্তান এবং পাকঅধিকৃত কাশ্মীরে মোট নয় জায়গায় হামলা চালায় ভারত। মাত্র ২৫ মিনিটের হামলায় ভারত মূলত রাফাল যুদ্ধবিমানই ব্যবহার করেছে।

    প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে

    উল্লেখ্য, প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালের যাত্রী হলেন মুর্মু (Draupadi Murmu on Rafale)। বিশ্বের প্রথম সারির অতি উন্নত যুদ্ধবিমান হিসাবে খ্যাতি রয়েছে রাফালের। এটির প্রস্তুতকারক সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন। ফ্রান্সের কাছ থেকে এর আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। ২০১৬ সালের চুক্তিতে ভারতে আসা সেই যুদ্ধবিমানগুলি ব্যবহার করছে বায়ুসেনা। ২০২০ সালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির পর অপারেশন সিঁদুর ছিল প্রথম বড় রাফাল-নেতৃত্বাধীন অভিযান। সম্প্রতি ৬৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে ভারত।

  • Assam: ‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত’ গাইছেন কংগ্রেস নেতা! অসমে ভাইরাল ভিডিও, তুলোধনা বিজেপির

    Assam: ‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত’ গাইছেন কংগ্রেস নেতা! অসমে ভাইরাল ভিডিও, তুলোধনা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমে কংগ্রেসের এক সভায় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত (Bangladesh National Anthem Controversy) ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি অসমের করিমগঞ্জ জেলার শ্রীভূমি শহরে কংগ্রেস সেবাদলের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্যের ক্ষমতাসীন বিজেপি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ তৈরির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি-র দাবি, কংগ্রেসের ‘বাংলাদেশ প্রীতি’ দেখার মতো৷ বিজেপি-র কথায়, যে বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারতকে নিজের মানচিত্রের মধ্য ঢুকিয়ে ভারত বিরোধী বার্তা দিতে চায়, সে দেশেরই জাতীয় সঙ্গীত ভারতে বসে গাইছেন কংগ্রেসকর্মী৷

    বাংলাদেশিদের প্রতি সহানুভূতিশীল

    গত ২৭ অক্টোবর অসমের শ্রীভূমি জেলার ইন্দিরা ভবনে তোলা ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ দাস বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন৷ কংগ্রেস সেবাদলের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে গানটি গাওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷ সেই ভিডিওর কথা উল্লেখ করে বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল দাবি করেন, ‘কংগ্রেস সব সময় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের প্রতি সহানুভূতিশীল।’ অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশোক সিংহল ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, “বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সোনার বাংলা” অসমের শ্রীভূমিতে কংগ্রেসের সভায় গাওয়া হয়েছে – সেই দেশ যারা উত্তর-পূর্ব ভারতকে ভারতের থেকে আলাদা করতে চায়! সেই দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়েছে ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে৷ এখন এটা স্পষ্ট যে, কংগ্রেস কেন কয়েক দশক ধরে অসমে অবৈধ অনুপ্রবেশের অনুমতি দিয়ে এসেছে এবং উৎসাহিত করেছে – ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য রাজ্যের জনসংখ্যা তথা ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় পরিবর্তন এনে “বৃহত্তর বাংলাদেশ” তৈরি করতে চেয়েছে।

    অসম বিজেপি ইউনিটের তীব্র প্রতিক্রিয়া

    অসম বিজেপি ইউনিটও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। দলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সম্প্রতি একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল, যেখানে পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে নিজের অন্তর্ভুক্ত দেখানো হয়েছে। এখন সেই বাংলাদেশ-আচ্ছন্ন কংগ্রেস গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইছে অসমে। যদি কেউ এই উদ্দেশ্য দেখতে না পায়, তবে সে হয় অন্ধ, নয় সহযোগী, নয়তো উভয়ই।’ অসম বিজেপির দাবি, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের তোষণ করতেই কংগ্রেস এই গান গেয়েছে৷ রাজ্য পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পায়নি, তবে কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে অভিযোগ দায়ের করা হলে ভিডিয়োটি খতিয়ে দেখা হতে পারে।

    কংগ্রেসের বাংলাদেশ-প্রীতি নিয়ে সরব নেটিজেনরা

    প্রসঙ্গত, ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় বাংলা বিভাজনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে রচনা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন সে সময় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ১৯১১ সালে তা রদ করতে বাধ্য হয় তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসন৷ ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান পরিচয় ঘুচিয়ে বাংলাদেশ জন্ম নেওয়ার পরে সে দেশ রবি ঠাকুরের এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহণ করে৷ অসমের শ্রীভূমি জেলা, যা আগে করিমগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল, সেটি বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন৷ বরাক উপত্যকার এই অংশটি বাঙালি অধ্যুষিত৷ যদিও গানটি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট, কিন্তু বিজেপির দাবি, অসমের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ‘দেশদ্রোহিতার সামিল’। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে, অনেকেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নেতৃত্বাধীন সরকারকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি আইনবিদ নই, তবে সাধারণ বুদ্ধি বলছে এটি দেশদ্রোহিতা। যদি এটি সত্যি হয়, তবে এসব লোকদের ভারতের পতাকা তলে থাকার কোনও অধিকার নেই—আশা করি সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এবং একটি উদাহরণ স্থাপন করবে।” অন্য একজন বলেন, “এদের লজ্জা হওয়া উচিত… ভিন্ন মতাদর্শ থাকা ঠিক, তবে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।” একজন ব্যবহারকারী কংগ্রেসকে “দেশের বিরুদ্ধে সবকিছুর পক্ষে দাঁড়ানো” বলে অভিহিত করেছেন, এবং আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “কংগ্রেস অসমকে বাংলাদেশে পরিণত করতে চায়, এবং এটি তার প্রমাণ।”

  • Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আইপ্যাক ভাইপো লিস্ট বানিয়েছে, লাভ হবে না”, এসআইআর নিয়ে অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশন এসআইআর (SIR) ঘোষণা করেছে এই রাজ্যে। দেশজুড়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ মোট ১২টি রাজ্যে রীতিমতো কাজও শুরু হয়েগিয়েছ। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা এসআইআর-এর বিরোধিতা করে কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, ‘দেখে নেবো। যেখানেই থাকেন খুঁজে বার করব।’ এবার অভিষেককে আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “কাছের আমলাদের নিয়ে তালিকা তৈরি করে কোনও লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারিতেই হবে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন।” এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অবশ্য সাফ কথা কোনও অবৈধ ভোটারদের নাম তালিকায় রাখা যাবে না। পাশাপাশি কোনও বৈধ ভোটারের নামও তালিকা থেকে বাদ যাবে না।

    ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট বানিয়েছে (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হুগলির ভদ্রেশ্বরে দক্ষিণপাড়া সারদাপল্লিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করেন। এরপর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এসআইআর নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের বিরুদ্ধে নাম না করে তোপ দাগেন। আইপ্যাক ও ভাইপো বলে সম্বোধন করেন। শুভেন্দু বলেন, “আইপ্যাক ভাইপো আর ভাইপোর কাছে আইএএস-রা ক্যামাক স্ট্রিটে বসে লিস্ট (SIR) বানিয়েছে। তবে কোনও লাভ হবে না। কমিশনের নজরদারি কঠিন থাকবে। আমরাও কড়া ভাবে নজর রাখব। এসআইআর কেউ আটকাতে পারবে না, এসআইআর হলেই ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত হবে।”

    ভারতীয়দের কোনও চিন্তা নেই…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এসআইআর প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আমরা বলেছিলাম এসআইআর হবে। অনুপ্রবশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না। যারা ভারতীয় নয়, তারা কেন ভারতে ভোট দেবে? এই তালিকায় কোনও ভারতীয়দের চিন্তা নেই সে যে দল করুক না কেন। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের কোনও চিন্তা নেই। একইভাবে ভারতীয় মুসলমানদেরও চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভারতীয়দের জন্য কোনও ভয় নেই। ভাষা ও জাতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক কারণে আলাদা না হওয়ার কথা বলছি। পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভোটারদের সংখ্যা কমছে। হিন্দুরা নিজের নিজের ধর্মপালনে সবরকম ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। আমাদের হাজার হাজার বছরের পরম্পরাকে মানতে চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। হিন্দু ধর্ম-উৎসব, পালা-পার্বণে এক অশুভশক্তি বিরাট প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। স্বাধীনতার পর পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশে ৩৩ শতাংশ হিন্দু ছিল। এখন তা কমে মাত্র ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর ভারতে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৮৫ শতাংশ। ২০৩১ সালে হিন্দুদের সংখ্যা হবে ৬৫ শতাংশে নেমে আসবে।”

    মা কালীকে উনি প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন…

    আবার একই দিনে দুর্গাপুরে স্বপ্ন উড়ান-এর জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) হাতে ত্রিশূল নিয়ে রণংদেহী মেজাজে তৃণমূলের অপশক্তির বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “ঠিক ভাবে বাংলায় এসআইআর হলে অনেকেই প্রাক্তন হয়ে যাবে। মা কালীকে প্রিজন ভ্যানে তুলেছেন মমতা। আর ভাতা, ভিক্ষাতে তিনি চটকদারির রাজনীতি করেন। কারণ উনি জানেন, ওনার সঙ্গে সলিড ৩৫% ভোট রয়েছে। আরও ১০%-এর দিকে ভাতা ছুড়ে দেন। তাতে যা আসে। তারপর তো ছাপ্পা আছে। কিন্তু এসআইআর হলে কোনও কিছুই হবে না।”

    তবে বিহারে এসআইআর (SIR) ব্যাপক ভাবে সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই রাজ্যে যাতে জাল ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ যায় তা নিয়েই তৎপর কমিশন। মমতা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কাজে বাধা দিলে রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট হয় কিনা তাই এখন দেখার।

  • Cyclone Montha: ভিজল কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা! মন্থার প্রভাবে বিপর্যস্ত অন্ধ্র-ওড়িশা

    Cyclone Montha: ভিজল কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা! মন্থার প্রভাবে বিপর্যস্ত অন্ধ্র-ওড়িশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মন্থার (Cyclone Montha) প্রভাবে জগদ্ধাত্রী পুজোর আগেই কলকাতার আকাশে কালো মেঘ। তবে যতটা অন্ধ্র উপকূলে শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ার পর রাত পোহাতেই প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। বুধবার ভোর থেকেই তার পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে রাজ্যে। আকাশ মেঘলা, সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি। যদিও ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে অন্ধ্র ও ওড়িশায় ব্যাহত জনজীবন৷ প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অন্ধ্রের কমপক্ষে ১৫ জেলা। ওড়িশার একাধিক জেলাতেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্য়েই অন্ধ্রে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে গাছ পড়ে।

    কলকাতায় শুরু বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তি ক্ষয় হলেও মন্থা এখনও পুরোপুরি থামেনি। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আজও ঝিরঝিরে থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়ছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায়। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩১ ডিগ্রি, সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের মাত্র ৪০ শতাংশ ভূমিভাগে প্রবেশ করেছে। বাকী ৬০ শতাংশ উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে থেকে গিয়েছে সমুদ্রেপৃষ্ঠেই। ল্যান্ডফল হওয়ার সময় মান্থার গতি ধরা হয়েছিল ১১০ কিলোমিার প্রতি ঘণ্টা। কিন্তু অন্ধ্রের কাকিনাড়ায় যখন এটি ল্যান্ডফল করে তখন এটির গতি দাঁড়ায় ঘণ্টায় ৭৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। ঘূর্ণিঝড়ের যে অংশ সুমদ্রপৃষ্টে রয়ে গিয়েছে সেটি জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করতে করতে ওড়িশা হয়ে বাংলা উপকূলে আসতে পারে।

    বাংলায় মন্থার প্রভাব

    সমুদ্র এখনও অশান্ত, ভাঁজ তুলছে ঢেউ। তাই ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ বহাল রয়েছে। আজ বুধবার বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, দিনের শুরু থেকেই আকাশে ঘন মেঘের ছাপ থাকবে। আজ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩০ থেকে ৩১ অক্টোবর পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি এই দুদিন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের যে অংশ ইতিমধ্যেই ল্যান্ডফল করেছে সেটিও স্থলভাগ দিয়ে ছত্তিশগড়ের দিকে যাচ্ছে। আগামিকাল ঝাড়খণ্ড, বিহার হয়ে সেটি উত্তরবঙ্গে ঢুকবে। আগামিকাল অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। ল্যান্ডফল না করা অংশ যেটি সমুদ্রপৃষ্টে রয়েছে সেটির অভিমুখ ওড়িশা উপকূল। আজ দুপুরের পরে এর জেরে কলকাতায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হয়েছে, এই বৃষ্টি আরও বাড়বে। পাশাপাশি যে গুমোট গরম অনুভূত হচ্ছে তা কাটতে সময় লাগবে।

    অন্ধ্রপ্রদেশে মন্থার প্রভাব

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ স্থলভাগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মন্থা। বুধবার গভীর রাত আড়াইটে নাগাদ, তীব্র ঘূর্ণিঝড় থেকে দুর্বল হয়ে মন্থা উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের উপর দিয়ে বয়ে যায়। তারপর এটি আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়, বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের কোনাসিমা জেলার মাকানাগুডেম গ্রামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজ্যের ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল ধ্বংস হয়েছে এবং ১.৩৮ লক্ষ হেক্টর বাগানের ফসল নষ্ট হয়েছে। মন্থার প্রভাবে, অন্ধ্রের নেলোর জেলায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অন্তত ৭৬ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, অন্ধ্র সরকার বিভিন্ন স্থানে ২১৯ টি চিকিৎসা শিবিরের ব্যবস্থা করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে ৮৬৫ টন পশুখাদ্যের ব্যবস্থাও করেছে। সরকার মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলা কৃষ্ণা, এলুরু এবং কাকিনাড়ায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।

    ওড়িশায় মন্থার প্রভাব

    প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ওড়িশায় ভূমিধস এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ পাশাপাশি উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ ৷ দক্ষিণ ওড়িশার আটটি জেলা – মালকানগিরি, কোরাপুট, রায়গড়া, গজপতি, গঞ্জাম, কন্ধমাল, কালাহান্ডি এবং নবরঙ্গপুর থেকে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে । তবে, এই অঞ্চলের মোট ১৫টি জেলায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। গজপতি জেলার আনাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, কাছাকাছি পাহাড় থেকে বড় বড় পাথর পড়ে পাঁচটি গ্রামের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জায়গাটি আগে ভূমিধস-প্রবণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাই, অবরোধ দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ এছাড়াও রায়গড়া জেলার গুণুপুর, গুড়ারি এবং রামনাগুড়া এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। খ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি ঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় রাজ্যের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার জন্য ২০০০-টিরও বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে এবং কোনও হতাহতের খবর নেই৷ এনডিআরএফ, ওডিআরএএফ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সমন্বয়ে ১৫৩টি উদ্ধারকারী দল (৬০০০ জনেরও বেশি কর্মী) দক্ষিণের আটটি জেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষ যাতে উপকূলে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রশাসন সমস্ত সৈকত সিল করে দিয়েছে।

  • India Maritime Week: ২০৪৭-এর মধ্যেই লক্ষ্যপূরণ! বিশ্বে বৃহৎ জাহাজ নির্মাণকারী দেশ হওয়ার পথে ভারত

    India Maritime Week: ২০৪৭-এর মধ্যেই লক্ষ্যপূরণ! বিশ্বে বৃহৎ জাহাজ নির্মাণকারী দেশ হওয়ার পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি জাহাজ নির্মাতা দেশের অন্যতম হয়ে উঠতে চলেছে ভারত। ২০৪৭ সালের মধ্যেই এই সাফল্য মিলবে। “বিকশিত ভারত ২০৪৭” লক্ষ্য সামনে রেখে কেন্দ্র সরকার এবার জোর দিচ্ছে স্বনির্ভর সামুদ্রিক খাতে বিনিয়োগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে। ভারতের বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সোমবার (২৭ অক্টোবর) মুম্বইয়ে আয়োজিত ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক ২০২৫ (IMW 2025) অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন যে, দেশীয় জাহাজ বহর এবং জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই সরকারের মূল লক্ষ্য।

    ১০ লক্ষ কোটি টাকার সমঝোতা চুক্তি

    জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, “আমাদের নিজস্ব জাহাজ না থাকার কারণে প্রতি বছর বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলিকে ৭০-৭৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়। আমরা নিজেদের ফ্লিট এবং ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ বাড়িয়ে প্রতি বছর প্রায় ৪-৫ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারব। এটাই আমাদের স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্য।” এই অনুষ্ঠানে মোট ১০ লক্ষ কোটি টাকার সমঝোতা চুক্তি (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার মধ্যে ১.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে জাহাজ নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের জন্য। সোনোয়াল জানান, গত এক দশকে ভারতের বন্দরগুলির বার্ষিক পণ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ১,৩৫০ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ২,৭০০ এমটিপিএ (MTPA) হয়েছে। আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে এই ক্ষমতা ১০,০০০ এমটিপিএ-তে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্রুজ পর্যটনে দশগুণ বৃদ্ধি এবং উপকূল ও অভ্যন্তরীণ জলপথে কার্গো পরিবহণের অংশীদারি ১২ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও অংশীদারিত্বের ঘোষণা করা হয়।

    ভারত ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে সামুদ্রিক সহযোগিতা চুক্তি

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, সরকার সামুদ্রিক খাতের বাজেট ছয়গুণ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ১০ বিলিয়ন ডলারের বধভন বন্দর প্রকল্প এবং ৫ বিলিয়ন ডলারের গ্রেট নিকোবর প্রকল্প ভারতের বৈশ্বিক সামুদ্রিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে এদিন ভারত ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে একটি সামুদ্রিক সহযোগিতা চুক্তি (Maritime Cooperation MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় রটারডাম ও ভারতের প্রধান বন্দরগুলির মধ্যে একটি সবুজ ও ডিজিটাল সি করিডর (Green and Digital Sea Corridor) গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া আদানি পোর্টস, জেএসডব্লিউ ইনফ্রাস্ট্রাকচার, গোয়া শিপইয়ার্ড এবং আবু ধাবি পোর্টস গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সবুজ জাহাজ নির্মাণ, আর্থিক বিনিয়োগ ও বন্দর সম্প্রসারণ সংক্রান্ত একাধিক ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এই সম্মেলনে। বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত, ভারতের সামুদ্রিক খাতের এই বিশাল উদ্যোগ দেশকে শুধু আত্মনির্ভরতার পথে নয়, বরং বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণের মানচিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছে দিতে চলেছে।

  • Elon Musk: পক্ষপাতদুষ্ট উইকিপিডিয়া থেকে মুক্তি! এলন মাস্ক আনলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত ‘গ্রোকিপিডিয়া’

    Elon Musk: পক্ষপাতদুষ্ট উইকিপিডিয়া থেকে মুক্তি! এলন মাস্ক আনলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত ‘গ্রোকিপিডিয়া’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক ট্যুইটার)-এর এআই চ্যাটবট ‘গ্রোক’ দ্বারা অনুপ্রাণিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অনলাইন এনসাইক্লোপিডিয়া ‘গ্রোকিপিডিয়া’ বাজারে আনলেন সংস্থার কর্তা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্ক (Elon Musk)। এই গ্রোকিপিডিয়াকে বহুল-প্রচলিত উইকিপিডিয়ার একটি বিকল্প হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এলন মাস্ক বলেছেন, ‘‘গ্রোকিপিডিয়া (Grokipedia) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সত্য-নির্ভর প্ল্যাটফর্ম হবে। উইকিপিডিয়ার মতো পক্ষপাতদুষ্ট নয়।’’

    ৮৮ হাজার ৫০০টি নিবন্ধ উপলব্ধ (Elon Musk)

    এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে উইকিপিডিয়ার বিরুদ্ধে এলন মাস্ক (Elon Musk) বলেন, “অনলাইন বিশ্বকোষটি হতাশাজনক ভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। যদিও গ্রোকিপিডিয়ার (Grokipedia) বিষয়বস্তু উইকিপিডিয়া এবং ব্রিটানিকার মতো বিশ্বকোষের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বর্তমানে আমাদের প্রযুক্তি উক্ত বিষয়বস্তুর একটি অংশকেই ধারণ করে। এই প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৮৮ হাজার ৫০০টি নিবন্ধ উপলব্ধ রয়েছে। আগামী দিনে এই পরিসর আরও বাড়বে।

    উইকিপিডিয়া-গ্রোকিপিডিয়ার ফলাফলে পার্থক্য

    সাধারণত, উইকিপিডিয়ায় অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট এবং বামপন্থী, সেকুলারপন্থী মতাদর্শকে এর বিষয়বস্তুতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই পদ্ধতি বিশ্বকোষ হওয়ার নীতির বিরুদ্ধে যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, উইকিপিডিয়া অনুসারে, লিঙ্গ হল একজন পুরুষ (বা ছেলে), মহিলা (বা মেয়ে), বা তৃতীয় লিঙ্গ হওয়ার সামাজিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক এবং আচরণগত দিকগুলির পরিসরে মানুষ। অপর দিকে গ্রোকিপিডিয়া (Grokipedia) এটিকে যেমনটি হওয়া উচিত তেমন সংজ্ঞায়িত করে। তাতে বলে এটি জৈবিক লিঙ্গের উপর ভিত্তি করে পুরুষ বা মহিলা হিসাবে বংশবিস্তার এবং সন্তান ধারণের বাস্তব জ্ঞানে সংজ্ঞায়িত। উভয়ের বিশ্লেষণ পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য হল, উইকিপিডিয়া ফলাফল দেখায় মত ও আদর্শ মেনে। অপরে গ্রোকিপিডিয়া ফলাফল দেখায় তথ্যের উপর ভিত্তি করে।

    গ্রোকিপিডিয়ার (Grokipedia) কন্টেন্টগুলি একই বৃহৎ ভাষা মডেল দ্বারা তৈরি করা হয়েছে যা এক্স-এ গ্রোক চ্যাটবট দ্বারা নির্ভর করে তৈরি হয়। লাইভ ব্যবহারকারীর ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারে, যা ক্রমাগত আপডেটের অপশনও দেবে। তবে বর্তমান ব্যবহারকারীরা উইকিপিডিয়ার মতো গ্রোকিপিডিয়ার কন্টেন্ট সম্পাদনা করতে পারবেন না। ত্রুটিযুক্ত লেখা নির্বাচন করতে পারবে। ব্যবহারকারীরা ত্রুটি বা ভুল বোতামে ক্লিক করতে পারবেন। সঠিক তথ্য এবং উৎসসূত্র সহ নানা তথ্য প্রদান করা যাবে। কন্টেন্টের পরিবর্তন তাৎক্ষণিক হবে না। তবে বর্তমানে গ্রোকিপিডিয়ার কেবলমাত্র পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

  • Jagaddhatri Puja 2025: কীভাবে শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? জানুন সেই অজানা ইতিহাস

    Jagaddhatri Puja 2025: কীভাবে শুরু হয়েছিল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? জানুন সেই অজানা ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগৎকে ধারণ করেন মা দেবী শক্তি, তাই তাঁর নাম দেবী জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2025)। তাঁর বিশাল রূপ, টানা চোখ, অপরূপ সুন্দর ত্রিনয়ন, চার হাতে শোভা পাচ্ছে অসুর সংহারের জন্য অস্ত্র। দেবী দুর্গার আরেক রূপ মা জগদ্ধাত্রী। তিনিও সিংহবাহিনী। এই রূপেই পূজিত হন দেবী জগদ্ধাত্রী। সারা বাংলা জুড়েই বিশাল বিশাল মাতৃ মূর্তি নির্মাণ করে আরাধনা করা হয়। কৃষ্ণনগরেই জন্ম জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagaddhatri Puja 2025)। তবুও চন্দননগরের পুজোই বিখ্যাত হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে এক অজানা ইতিহাস। উল্লেখ্য চন্দননগরের পুজোর আলোকসজ্জা, সুবিশাল প্রতিমা দর্শনার্থীদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। আশেপাশের জেলা, রাজ্য এমনকী বিদেশ থেকেও দর্শনার্থীরা পুজো দেখতে আসেন। অথচ এই পুজো শুরুর পিছনে রয়েছে কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বিশেষ প্রভাব এবং অবদান। কীভাবে প্রচলিত হল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja Chandannagar)? আসুন জেনে নিই এই অজানা কাহিনি।

    দেবী রাজাকে স্বপ্নাদেশ দেন

    সময়টা তখন ব্রিটিশ শাসনের অধীন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে দমন করতে ব্রিটিশদের সহযোগী হয়ে বাংলার রাজাদের বন্দি করেন মির কাশিম। এই বন্দিদের তালিকায় ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এবং তাঁর ছেলে। কিন্তু যখন রাজা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান সেই সময় দেখেন দুর্গাপুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। পুজোর আনন্দ থেকে রাজা বঞ্চিত হন এবং এরপর মনমরা হয়ে পড়েন। কথিত আছে রাজা এরপরেই দেবীর কাছে স্বপ্নাদেশ পান। কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে মায়ের চতুর্ভূজা রূপের আরাধনা করার আদেশ পান রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। দেবী রাজাকে স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন, “জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja 2025) করতে হবে। জনসেবা এবং বিশ্বকে সব রকম অশুভ শক্তি থেকে মুক্ত করতে দেবী পুজো আবশ্যক।” সেই থেকে শুরু হয় কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। পরবর্তীতে রাজবাড়ির রাজপ্রাসাদের গণ্ডি টপকে ছড়িয়ে পড়ে নগরের অলিগলিতে। এরপর থেকেই এই পুজো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে গোটা কৃষ্ণনগরে। মোটামুটি জানা গিয়েছে, ১৭৬৩-৬৪ সালে হৈমন্তিকার আরাধনা শুরু হয় জলঙ্গি নদীর পাড়ে। তবে, সঠিক সময় নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

    কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী পুজো

    তবে বাংলার জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja 2025) নিয়ে পৌরাণিক মত খুব একটা স্পষ্ট করে পাওয়া যায় না। একটি মতে বলা হয়, ত্রেতা যুগের শুরুতে করীন্দ্রাসুর নামে এক হস্তীরূপী অসুরকে বধ করার জন্য দুর্গার মতো ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের শক্তি থেকে সিংহবাহিনী, চতুর্ভুজা এই দেবীর জন্ম হয়। জগদ্ধাত্রী দেবী চার হাতে থাকে চক্র, শঙ্খ, ধনুক এবং পঞ্চবান। আবার অপর আরেক মতে, কোনও অসুর বধ নয়, মহিষাসুরের বধের পর অগ্নি, পবন, বরুণ এবং চন্দ্র দেবতা আত্ম অহংকারে ভুগতে শুরু করেন।দেবতাদের দর্পচূর্ণ করতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আর্বিভাব। সেখানে হস্তীকে অহংকারের স্বরূপ ধরা হয়। তাঁকেই বধ করেন দেবী। শাস্ত্রমতে কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja Chandannagar)।

    সুবিশাল মণ্ডপ, প্রতিমা ভক্তদের আকর্ষণ করে চন্দননগর

    কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি চন্দননগরেও পুজো শুরু হয়েছিল। জলঙ্গির পাড় থেকে গঙ্গার পাড়ে কীভাবে পৌঁছাল পুজো? জানা যায়, জমিদার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন ফরাসিদের দেওয়ান জনৈক ইন্দ্রনারায়ণ রায়। তিনি নিজের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagaddhatri Puja 2025) শুরু করেছিলেন। ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জের চাউলপট্টির বাসিন্দা। সেখানেই চাউলপট্টির নিচুপাটিতে ইন্দ্রনারায়ণ প্রথম শুরু করেন জগদ্ধাত্রী পুজো। আবার আরেকটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান দাতারামের বিধবা কন্যা থাকতেন ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলায়। সেখানে রাজার অনুমতি নিয়ে পুজো শুরু হয়েছিল। এই পুজোর অনুদান দিতেন স্বয়ং রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। ক্রমে ক্রমে এই পারিবারিক পুজো এবং সর্বজনীন পুজোতে পরিণত হয়েছে। তবে সময়ের ব্যবধানে জাঁকজমক, আলোর খেলায় চন্দননগরের (Jagaddhatri Puja Chandannagar) জনপ্রিয়তা অনেক বড় জায়গা করে নিয়েছে। এখানকার সুবিশাল মণ্ডপ, প্রতিমা ভক্ত, দর্শকদের ব্যাপক ভাবে আকর্ষণ করে। দেশ-বিদেশেও বাঙালির বড় পুজোর মধ্যে এই জগদ্ধাত্রী পুজো বড় জায়গা করে নিয়েছে।

  • Daily Horoscope 29 October 2025: কাজকর্মে ধৈর্য বজায় রাখুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 29 October 2025: কাজকর্মে ধৈর্য বজায় রাখুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) অসম্পূর্ণ ইচ্ছাপূরণ হতে পারে।

    ৩) মনে আনন্দ থাকবে।

    বৃষ

    ১) কাজকর্মে ধৈর্য বজায় রাখুন।

    ২) বরিষ্ঠদের পরামর্শ প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ভালো সময় কাটাবেন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) কাজে সাফল্য লাভ।

    ৩) কাজকর্মে দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কাটবে।

    ২) নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখুন।

    ৩) সাবধানে কাজ করতে হবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত কঠিন।

    ২) সমস্যা মোকাবিলার জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ৩) ব্যবসাতে সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) অসম্পূর্ণ ইচ্ছাপূরণ হতে পারে।

    ৩) নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবেন।

    তুলা

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) কাজে সফল হবেন।

    ৩) পরিশ্রমের ফল পাবেন হাতেনাতে।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত কঠিন।

    ২) দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পন্ন করতে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

    ৩) হঠাৎই কোনও সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ধনু

    ১) আজ নিজের কাজে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।

    ২) কোনও বড় লগ্নির দ্বারা ভালো রিটার্ন পেতে পারেন।

    ৩) চাকরিজীবী জাতকদের পদোন্নতি ও বেতনবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি অসাধারণ কাটবে।

    ২) নিজের কাজে বড়সড় সাফল্য লাভ সম্ভব।

    ৩) নিজের স্বপ্নপূরণের সুযোগ পেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) লাভ অর্জন করতে পারবেন।

    ৩) চাকরি ও ব্যবসাতে ধন লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি কঠিন।

    ২) প্রতিদিনের কাজকর্মে নানান সমস্যায় জড়াতে পারেন।

    ৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share