Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Shubhanshu Shukla: “আমি তোমাদের পথ দেখাব”, আইএসএস থেকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বার্তা শুভাংশুর

    Shubhanshu Shukla: “আমি তোমাদের পথ দেখাব”, আইএসএস থেকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বার্তা শুভাংশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মহাশূন্যের পরিবেশ ও জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ মিশনের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ISS) গিয়েছেন শুভাংশু। সেখান থেকে মঙ্গলবার সরাসরি হ্যাম রেডিওর মাধ্যমে ইসরোর উত্তর-পূর্ব মহাকাশ প্রয়োগ কেন্দ্র (NESAC)-এর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। শুক্লা বলেন, “আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের পরিবেশ অনন্য। এখানে মাইক্রোগ্রাভিটি ও অতিরিক্ত রেডিয়েশনের কারণে সবকিছুই আলাদা।”

    ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করলেন শুভাংশু

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ছাত্রদের মহাকাশচারী হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করে শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) বলেন, “আমি নিশ্চিত, ভারতের বহু ছাত্র ভবিষ্যতে মহাকাশচারী হবে। হয়তো তোমাদের মধ্যে কেউ প্রথম ভারতীয় হয়ে চাঁদের মাটিতে পা রাখবে। আমি ফিরে এসে তোমাদের সবাইকে পথ দেখাব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সকল সম্ভাব্য সমস্যার জন্য প্রশিক্ষিত হই। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়। এখানে সূর্যালোকের ওপর আমাদের দৈনন্দিন কাজ নির্ভর করে না।” মহাশূন্য যাত্রার শুরুর কিছু অসুবিধার কথাও অকপটে জানান শুক্লা। তাঁর কথায়, “শুরুতে কিছুটা স্পেস সিকনেস হয়েছিল, তবে তার জন্য ওষুধ রয়েছে”। তিনি আরও জানান, “আইএসএস-এ অনেক রোবোটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহৃত হয়।”

    ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ানোই লক্ষ্য

    এই আলাপচারিতার জন্য একটি বিশেষ টেলিব্রিজ স্থাপন করা হয়। এটি আয়োজন করে অ্যামেচার রেডিও অন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (ARISS)। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ছাত্রছাত্রীদের মহাকাশ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত বিষয়ে আগ্রহ বাড়ানোই লক্ষ্য। এর আগে ৪ জুলাই, শুভাংশু শুক্লা বেঙ্গালুরুর ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে ছাত্রদের সঙ্গে এমনই একটি আলাপচারিতায় অংশ নেন। অনেক হ্যাম রেডিও উৎসাহী নির্ধারিত ফ্রিকোয়েন্সিতে যুক্ত হয়ে এই কথোপকথনে অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, হ্যাম রেডিও বা অ্যামেচার রেডিও একটি অলাভজনক রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থা, যা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পরিচালনা করে থাকেন এবং এটি দুর্যোগকালীন সময়ে প্রচলিত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হলে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর বলে বিবেচিত।

    ইসরো প্রধানের সঙ্গে কথা

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রধানের সঙ্গেও ফোনে কথা বললেন মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। সেখান থেকে ইসরো চেয়ারম্যান ড. ভি নারায়ণনের সঙ্গেও কথা বললেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই টেলিফোনিক কথোপকথনের মূল বিষয় ছিল শুক্লার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর এবং মিশনের অধীনে বর্তমানে যে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগুলি চলছে, তা নিয়ে আলোচনা। ইসরো চেয়ারম্যান এই সমস্ত পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ নিখুঁতভাবে নথিভুক্ত করার উপর জোর দেন। তিনি জানান, এই গবেষণাগুলির ফলাফল আগামী দিনে ভারতের মহাকাশ অভিযান, বিশেষ করে গগনযান কর্মসূচির অগ্রগতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই টেলিফোনিক কলে ছিলেন ইসরোর একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাও। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর ড. উন্নিকৃষন নায়ার, লিকুইড প্রপালশন সিস্টেমস সেন্টারের ডিরেক্টর এম মোহন এবং ইসরো ইনশিয়াল সিস্টেমস ইউনিটের ডিরেক্টর পদ্মকুমার ই এস। তাঁরা শুভাংশুর সঙ্গে নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ও মিশনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

    পৃথিবীতে সূর্যোদয় কেমন দেখায়

    মহাকাশ থেকে ভারতে তাঁর মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছিলেন শুভাংশু। মহাকাশের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে সূর্যোদয় কেমন দেখায়, তা মা-কে ভিডিয়ো কল করে দেখান শুভাংশু। গত ২৬ জুন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের দিকে রওনা দিয়েছিলেন শুভাংশু ও তিন মহাকাশচারী। ১৪ দিনের মিশনে তাঁদের হাতে অনেক কাজ। ফসল উৎপাদন থেকে গবেষণা, বিভিন্ন কাজেই বিগত ৯ দিন ধরে ব্যস্ত তারা। যদি তাদের এই গবেষণা সফল হয়, তবে মহাকাশ অভিযানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় দিক খুলে যেতে পারে। এর আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও কথা বলেছিলেন শুভাংশু। তখন তিনি জানিয়েছিলেন মহাকাশে এসে তাঁর প্রথম অনুভূতিই হয়েছিল যে মহাকাশ থেকে কোনও দেশের সীমান্ত দেখা যায় না। পৃথিবী এক। মহাকাশ থেকে ভারত মানচিত্রের থেকেও বেশি বড় দেখায়।

    কেমন দেখায় পৃথিবী

    অন্ধকারের মাঝে ঘন নীল রঙের একটি গোলক। উপরে ভাসছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জানলা থেকে এমনই দৃশ্যের ছবিও পাঠিয়েছেন ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা। এটাই নাকি পৃথিবী! সে ছবিতে অবশ্য দেশবিদেশের সীমারেখা, স্থল, সমুদ্র— কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। মহাকাশ থেকে নাকি এমনই দেখতে লাগে পৃথিবীকে। নাসার অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। তিনিই ভারতের প্রথম নভশ্চর, যিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ পা রেখেছেন। শুভাংশু ভারতের ভবিষ্যতের ‘গগনযাত্রী’ও।

  • Water Borne Diseases: টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    Water Borne Diseases: টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের! কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সপ্তাহের শুরু থেকেই বৃষ্টি। একনাগাড়ে বর্ষার (Monsooon Season) জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় জল জমছে। বৃষ্টির ভিজে আবহাওয়ায় বাড়ছে নানান রোগের দাপট। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একটানা বৃষ্টির জেরে শিশুদের মধ্যে নানান রোগের দাপট (Water Borne Diseases) বাড়ছে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। জোর দিতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) বাড়ানোর ওপর। না হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।

    বর্ষার জেরে কোন রোগের প্রকোপ বাড়ছে?

    নিউমোনিয়া বিপদ বাড়াচ্ছে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের অনেকেই দ্রুত ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখের কবলে পড়ে‌। যার ফলে ফুসফুসের উপরে বাড়তি প্রভাব পড়ে‌। ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাধা পায়। তার জেরেই ফুসফুসে জল জমার মতো বিপদ তৈরি হতে পারে। তার ফলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও (Water Borne Diseases) বাড়ে। শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। বর্ষায় শিশুদের নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই এই সময়ে সর্দি-কাশি নিয়ে বাড়তি নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণ ভাইরাস ঘটিত জ্বর, সর্দি-কাশি থেকেও বড় বিপদ হতে পারে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তাই বারবার সর্দি-কাশি হলে এই আবহাওয়ায় একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। বাড়তি সতর্কতা বড় বিপদের ঝুঁকি কমাতে পারে।

    ডায়ারিয়া নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি!

    একটানা বৃষ্টির জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় জল জমছে। পানীয় জলের সরবরাহের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি কতখানি মানা হচ্ছে, সে নিয়ে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জায়াগায় পেটের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত শিশুদের পেটের অসুখে ভোগান্তি বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়ারিয়ার আশঙ্কাও দেখা দিচ্ছে। তাই এই আবহাওয়ায় পেটের অসুখ নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, ডায়ারিয়া প্রাণঘাতী হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    টাইফয়েডের ঝুঁকি বাড়ছে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) প্রকোপ বাড়ছে। তাই এই সময়ে টাইফয়েডের ঝুঁকিও বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় শিশুরা টাইফয়েডে আক্রান্ত হচ্ছে। জল থেকেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।

    জন্ডিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা!

    বর্ষায় জলবাহিত রোগের (Water Borne Diseases) দাপট বাড়ছে। তাই জন্ডিস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের ঝুঁকি বেশি। কারণ, তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) তুলনামূলক কম থাকে। তাই যেকোনও জীবাণু সহজেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তাই বর্ষায় শিশুদের লিভারের নানান রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই হেপাটাইটিস থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় শিশুকে সুস্থ রাখতে কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান সাহায্য করবে। সচেতনতা ও সতর্কতা বাড়তি বিপদের ঝুঁকি কমাবে বলেই তাঁরা মনে করছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তির (Immunity Power) দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি থাকলে ভাইরাস ঘটিত রোগের দাপট সহজে এড়ানো যাবে। এর ফলে একাধিক অসুখের ঝুঁকি কমবে। সর্দি-কাশি জাতীয় অসুখের দাপট কমলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট কমানো সহজ হবে।

    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, এই সময়ে শিশুকে নিয়মিত এক ধরনের লেবু জাতীয় ফল খাওয়ানো জরুরি। কারণ এই ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি থাকে। ফলে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Immunity Power) বাড়ে। সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে‌‌। সকালে তুলসী পাতা ভেজানো জল খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তুলসী পাতা যেকোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখের মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই তুলসী পাতা নিয়মিত খেলে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কমে‌।

    পেটের অসুখ মোকাবিলা করতে ডায়ারিয়া, জন্ডিসের মতো জটিল রোগের বিপদ কমাতে জলের উপরে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, শিশু পরিশ্রুত জল খাচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এই আবহাওয়ায় জলঘটিত রোগের (Water Borne Diseases) দাপট বাড়ে। তাই পরিশ্রুত জল খেলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমানো‌ সহজ হয়। তাঁদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় বাইরের সরবৎ বা খোলা জায়গায় থাকা কাটা ফল একেবারেই খাওয়া চলবে না। এতে নানান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঘটিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত ঘরের তৈরি হালকা সহজ পাচ্য খাবার খেলে লিভার সুস্থ থাকবে। এতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) বাড়বে। রোগের প্রকোপ কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • PM Modi in Foreign Tour: রামমন্দিরের রেপ্লিকা, মধুবনী শিল্পকর্ম! মোদির উপহারে বরাবরই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক

    PM Modi in Foreign Tour: রামমন্দিরের রেপ্লিকা, মধুবনী শিল্পকর্ম! মোদির উপহারে বরাবরই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চদেশীয় সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। ঘানা, ত্রিনিদাদ-টোবাগো, আর্জেন্টিনা ঘুরে পৌছে গিয়েছেন ব্রাজিলে। যোগ দিয়েছেন ব্রিকস সম্মেলনে। দেখা হল। কথা হল। ব্রিকস বৈঠকে একসঙ্গে কথাবার্তা বললেন রাষ্ট্রনেতারা। কখনও বা নরেন্দ্র মোদি আলাদা ভাবে মুখোমুখি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে। গুরুগম্ভীর কথাবার্তা যেমন ছিল, তেমনই ছিল সৌজন্যের প্রীতি বিনিময়, কিছু ব্যক্তিগত আদানপ্রদানও। প্রীতির সঙ্গে উপহারও ছিল। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে যাননি মোদি। ভারতীয় রীতি মেনে বিভিন্ন দেশের নেতার হাতে তুলে দিয়েছেন বিশেষ উপহার। প্রতিটি উপহারই ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’র ঝলক তুলে ধরেছে বিশ্বের দরবারে।

    ত্রিনিদাদা ও টোবাগোয় মোদির উপহার

    নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিনিদাদা ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কমলা প্রসাদ বিসেসরকে মোট দু’টি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। প্রথমটি হল অযোধ্যার সরযূ নদীর জল। এই নদীর উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও। সেই পবিত্র নদীর জল একটি কলসি ভরে তা ওই দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন মোদি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল, ত্রিনিদাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে বিহার-যোগ। তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁর পরিবার একেবারে বিহারের বক্সার এলাকার মানুষ ছিলেন। এক কথায় ‘ভারত কি বেটি’ তিনি। কলস হিন্দু ধর্মে পবিত্রতা, কল্যাণ এবং আধ্যাত্মিক অনুগ্রহের প্রতীক। এই কলসি ছাড়াও শুদ্ধতা, ধর্ম, ও সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতীক হিসেবে তাঁর হাতে রামমন্দিরের একটি ছোট প্রতিরূপও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    আর্জেনটিনায় মোদির উপহার

    এই ত্রিনিদাদ সফর সেরে, মোদি যান মারাদোনার দেশ আর্জেন্টিনা। সেদেশের প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলেইয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi in Foreign Tour)। বৈঠক শেষে সৌজন্য ও বন্ধুত্বের খাতিরে তাঁকে একটি উপহার দেন মোদি। আর্জেটিনার প্রেসিডেন্টকে রাজস্থানে তৈরি হওয়া সিংহের মূর্তি দিয়েছেন তিনি। একখণ্ড ফুকসাইট পাথরের উপর হাতে খোদাই করা রুপোর সিংহ, সাহস ও নেতৃত্বের প্রতীক। মোদির উপহারের তালিকা থেকে বাদ পড়েন না উপ-রাষ্ট্রপতিও। আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়াররুয়েলকে এক টুকরো বিহারের ছোঁয়া দিয়ে আসেন তিনি। তাঁর হাতে তুলে দেন মধুবনী শিল্প দ্বারা তৈরি সূর্যের ছবি। সূর্যকে জীবনের শক্তি ও ইতিবাচকতার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়। এটি ঘিরে থাকা ফুলেল মোটিফ মিথিলার মধুবনী শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন।

    ঘানায় মোদির উপহার

    পঞ্চ দেশীয় সফরে সবার প্রথম ঘানায় গিয়েছিলেন মোদি (PM Modi in Foreign Tour)। সেখানে ঘানার প্রেসিডেন্ট জন মাহামার জন্য কর্নাটকে তৈরি বিদরি শিল্পের একটি ফুলদানি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দস্তা-তামা দিয়ে এই ফুলদানিগুলি তৈরি হয় কর্নাটকের প্রান্তিক এলাকায়। যার মূল উপাদান বিদরি শিল্প। ভারতের এক টুকরো শিল্পের অংশকেই আপাতত ঘানার রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা ঘটান তিনি। শুধু রাষ্ট্রপতিই নয়। তাঁর স্ত্রীর জন্য একটি রুপোর কাজ করা হাতব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন মোদি। যা ওড়িশার কটকের তারাকাশি হস্তশিল্পের প্রতীক। গত ৫০০ বছর ধরে রুপো দিয়ে নানা রকম সামগ্রী তৈরি হয় কটকের একটি গ্রামে। মোদির দেওয়া উপহারে রয়ে গেল সেই চিহ্নটাও। এছাড়াও, ঘানার উপরাষ্ট্রপতির জন্য কাশ্মীর থেকে বিশেষ উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরি উল দিয়ে তৈরি বিখ্যাত পাশমিনা শাল দক্ষিণ আফ্রিকার ওই দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে উপহার হিসাবে দিয়ে এসেছেন মোদি। ঘানার সংসদের অধ্যক্ষকে বাংলায় তৈরি হওয়া শ্বেতপাথরের হাতি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-লুলা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Foreign Tour) সোমবার রাতে রিও ডি জেনেইরোতে ১৭তম ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর ব্রাসিলিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ১৯৬৮ সালের পর এটি প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসিলিয়া সফর। এই রাষ্ট্রীয় সফরে মোদি ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন, যেখানে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, শক্তি, মহাকাশ, প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার মতো পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলোতে ভারত-ব্রাজিল কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রসারের উপর জোর দেওয়া হবে। ভারত ও ব্রাজিলের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব ২০০৬ সাল থেকে ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছে, এবং এই সফর এই সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। মোদির ব্রাজিল সফর ভারতের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-ব্রাজিল বাণিজ্য ২০২৩-২৪ সালে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, এবং এই সফরে নতুন বাণিজ্য চুক্তি এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সফর শেষে মোদি ৯ জুলাই নামিবিয়া যাবেন।

  • Weather Update: রাতভর বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতা! ঘূর্ণাবর্তের জেরে শক্তি বাড়ল নিম্নচাপের, চলবে দুর্যোগ

    Weather Update: রাতভর বৃষ্টি, জলমগ্ন কলকাতা! ঘূর্ণাবর্তের জেরে শক্তি বাড়ল নিম্নচাপের, চলবে দুর্যোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক রাতের বৃষ্টিতেই (Weather Update) জলমগ্ন কলকাতা। বিপর্যস্ত শহরের স্বাভাবিক জীবন। উত্তর-থেকে দক্ষিণ, মধ্য কলকাতা কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও আবার গোড়ালি পর্যন্ত জল। ফিয়ার্স লেন, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউ, নর্থ পোর্ট থানা লাগোয়া এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কাঁকুড়গাছি, পাতিপুকুর এবং উল্টোডাঙা আন্ডারপাসেও জল জমেছে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে আজ বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে।

    জলমগ্ন উত্তর থেকে দক্ষিণ

    কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টির (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটাফলে ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, বৌবাজারের একাংশ থেকে শুরু করে বেহালা, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল জমেছে। এই সব এলাকা থেকে জল বার করার চেষ্টাও শুরু হয়েছে। তবে যেহেতু অনেক ক্ষণ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই জল নামতে দেরি হচ্ছে। বিভিন্ন গলিপথগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে, মাত্র এক রাতের বৃষ্টিতেই এত জল জমা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শহরবাসীর মনে। মঙ্গলবারও সারাদিন ধরেই কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেলে জল জমার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

    গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত

    রাজ্যে এই মুহূর্তে বর্ষার (Rain in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি চলবে। জেলার কিছু অংশে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটাবাতাস অত্যন্ত সক্রিয়। সেই সঙ্গে গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং দু’টি অক্ষরেখা। এর প্রভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণের বিস্তীর্ণ অংশে। কলকাতাতে সোমবার রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। এর ফলে শিয়ালদহ মেইন শাখাতেও কিছু জায়গায় লাইনে জল জমতে শুরু করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বেশ কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে চলাচল করছে বলে খবর। ফলে সকালের বৃষ্টির দুর্ভোগের মধ্যে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে অফিসযাত্রীদের। রাস্তাতেও জল জমে থাকার কারণে গাড়ি ধীরে চলাচল করছে। শহরের বেশ কিছু জায়গায় ফুটপাথও জল জমে গিয়েছে। ফলে পথচারীদেরও রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

    কতদিন পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি

    দিনভর বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি (Weather Update) হতে পারে উত্তরবঙ্গে। একই অবস্থা বজায় থাকবে হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোয় অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিকিছুটা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। কলকাতায় আজ মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। শনিবার থেকে ফের বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে।

     

  • Daily Horoscope 08 July 2025: ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয় এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 08 July 2025: ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয় এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    বৃষ

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে, বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    ২) প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ।

    ৩) ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন।

    কর্কট

    ১) আগুপিছু না ভেবে উপার্জনের রাস্তায় পা দেবেন না।

    ২) অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ।

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    সিংহ

    ১) কর্মচারীর জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়।

    ৩) ধৈর্য্য রেখে কাজ করুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) কোনও বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়বেন না আজ।

    তুলা

    ১) ভালো কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

    ২) দুপুর নাগাদ ব্যবসা ভালো হবে।

    ৩) সমাজে আপনার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে আজ।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) নিজের বাণীতে সংযম রাখুন।

    ধনু

    ১) চাকরিতে সুখবর আসতে পারে।

    ২) রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    মকর

    ১) শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা।

    ২) আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে।

    ৩) ব্যবসায় লোকসানের সম্ভাবনা।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) সন্তান-স্থান শুভ।

    ২) আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে খুশিতে কাটান দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Catherine Perez-Shakdam: ঘরেই লুকিয়ে ছিল মোসাদের ভয়ঙ্কর অস্ত্র, জানতেই পারেননি খামেনেই

    Catherine Perez-Shakdam: ঘরেই লুকিয়ে ছিল মোসাদের ভয়ঙ্কর অস্ত্র, জানতেই পারেননি খামেনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও হলিউড সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। একেবারে বাস্তব গল্প। এমন এক গল্প যা রোমহর্ষকতায় পর্দার কাহিনিকেও হার মানাবে। হলিউড সিনেমার দৌলতে অনেকেই হয়ত সুন্দরী, রহস্যময়ী মহিলা গুপ্তচর-আততায়ীদের সঙ্গে পরিচিত। তা সে আমেরিকার ‘ব্ল্যাক উইডো’-ই হোক কিংবা রাশিয়ার ‘রেড স্প্যারো’। তবে, এই গল্পের নায়িকা কোনও পর্দার কাল্পনিক চরিত্র নয়, সত্যিকারের মানুষ। এক কথায়, বাস্তবের ‘ব্ল্যাক উইডো’, রক্ত-মাংসের ‘রেড স্প্যারো’। এই কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের এক উচ্চশিক্ষিত ও প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন মহিলা গুপ্তচর (Catherine Perez-Shakdam), যিনি কিনা ইরানে ঢুকে, ধর্ম বদলে, দিনে দিনে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইরানের শীর্ষ কর্তাদের কাছে। স্রেফ পৌঁছে গিয়েছিলেন তাই নয়, রীতিমতো আস্থাভাজন হয়ে উঠেছিলেন। ধীরে ধীরে জোগাড় করেছিলেন গোপন তথ্য। পাঠিয়ে দিয়েছিলেন মোসাদকে (Mossad Spy)। তারপর আচমকা একদিন উধাও! তাঁর দেওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতেই যুদ্ধে ইরানকে পর্যুদস্ত করতে সক্ষম হয় ইজরায়েল। তন্নতন্ন করে খুঁজেও এখন তাঁর কোনও হদিশ পাচ্ছে না ইরান! কীভাবে সম্ভব হল? জেনে নিন সেই রোমহর্ষক গল্প।

    রহস্যময়ী মোসাদ এজেন্টের পরিচয়…

    প্রথমেই পরিচয় করে নেওয়া যাক এই রহস্যময়ী নারীর সঙ্গে, যাঁকে নিয়ে আজ কৌতুহলের শেষ নেই বিশ্বে। মোসাদের এই গুপ্তচরের নাম ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম (Catherine Perez-Shakdam)। আদতে ফ্রান্সের বাসিন্দা। উচ্চ শিক্ষিত, অত্যন্ত বুদ্ধিমতী, এবং বলা বাহুল্য প্রচণ্ড সাহসী। ফ্রান্সের একটি ইহুদি পরিবারে জন্ম নেন ক্যাথরিন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান পড়াশোনা করেন এবং তার পরে অর্থ ও জনসংযোগ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে থাকাকালীন তিনি ইয়েমেনের এক সুন্নি মুসলিম ব্যক্তির প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ২০১৪ সালে এই বিবাহের সমাপ্তি ঘটে। এর পরই, ক্যাথরিনের জীবনে এক বিশাল পরিবর্তন আসে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে মোসাদ। তাঁকে রাজি করানো হয় ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করার। মুসলিমের সঙ্গে সংসার করায় ইসলামিক রীতিগুলো রপ্ত ছিল ক্যাথরিনের। ফলে, মোসাদের খুব বেশি সময় লাগেনি ক্যাথরিনকে গড়ে তুলতে।

    মাথায় হিজাব, মস্তিষ্কে মোসাদ!

    মোসাদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৭ সালে সাংবাদিক, গবেষক ও চিন্তাবিদের পরিচয়ে ইরানে প্রবেশ করেন ক্যাথরিন। তিনি নিজেকে এক মুসলিম নারী এবং একজন ইয়েমেনি পুরুষের স্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করতেন। ইরানে তিনি শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেন এবং হিজাব পরতেন। ক্যাথরিন (Catherine Perez-Shakdam) দাবি করেছিলেন যে, তিনি কেবল ইসলাম সম্পর্কে কৌতূহলী। তাই তিনি শিয়া ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য ইরানের সরকার এবং সেনার প্রতি আনুগত্য দেখাতে থাকেন তিনি। প্রথমে তাঁকে দেখা গিয়েছিল টিভির বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষক হিসেবে। তিনি ইয়েমেন যুদ্ধ, সৌদি নীতিমালা ও ইসরায়েল-বিরোধী অবস্থান নিয়ে প্রবন্ধ লিখতেন, যা তাসনিম, মেহর এবং এমনকি সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই পরিচালিত ওয়েবসাইটেও প্রকাশ পেত। খামেনেই ডট আইআর–এ তাঁর লেখা ১৮টির বেশি প্রতিবেদন রয়েছে।

    ইরানের শীর্ষকর্তাদের স্ত্রীদের হাত করেন!

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিসি-র উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন তিনি। তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করেন এবং তাঁদের বাড়িতে নিয়মিত অতিথি হয়ে ওঠেন ক্যাথরিন। সেই মওকায় শীর্ষ কর্মকর্তা এবং তাঁদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন। নানা জায়গায় ঢুকে পড়েন, ছবি তোলেন এবং সংগ্রহ করেন নানা গোপন তথ্য। ক্যাথরিন (Catherine Perez-Shakdam) এতটাই বিশ্বস্ত ছিলেন যে, যেসব বাড়িতে এবং স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাধারণত খুব কড়া, সেই ব্যক্তিগত স্থানেও প্রবেশ করতে পারতেন। ইরানের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের স্ত্রীদের সঙ্গে আড্ডা ও বিশ্বাসের আড়ালে গৃহিণীদের মুখ থেকে তুলে আনতেন চরম গোপন তথ্য—স্বামী কোথায় কর্মরত, কখন কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে মিটিং করছেন, কারা তাঁর সঙ্গে থাকেন ইত্যাদি। এই কথোপকথন গোপনে রেকর্ড করতেন ক্যাথরিন।

    ক্যাথরিনের তথ্য দিয়েই হামলার নকশা!

    ইরানি সেনা অফিসারদের একাংশের বাড়িতে ছিল তাঁর অবাধ যাতায়াত। ফলে কিছু দিনের মধ্যেই তাঁদের গতিবিধি চলে যায় ক্যাথরিনের নখদর্পণে। তরুণী গুপ্তচরের (Mossad Spy) থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে চলে আসে মোসাদের। ওই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই শিয়া কমান্ডারদের নিকেশ করার নীল নকশা ছকে ফেলে ইজরায়েল। যুদ্ধ বাঁধতেই, একের পর একে ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সেনা ও গোয়েন্দা কর্তার মৃত্যু হতে থাকে ইজরায়েলি হানায়। ইজরায়েলি হানার জেরে অনেক শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তা নিরাপত্তার জন্য নিজেদের লোকেশন পরিবর্তন করেছিলেন। হয়ত ভেবেছিলেন যে, তাঁরা এখন নিরাপদ। কিন্তু প্রতিবারই যখনই কোনও আক্রমণ হয়েছিল, তখন তা এত নির্ভুল ছিল যে, মনে হয়েছিল যেন কেউ সঠিক লোকেশন ইজরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে। এমনকি, নিহত কমান্ডারদের জায়গায় যাঁদের নিযুক্ত করা হয়, তাঁরাও ইজরায়েলের ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এর শিকার হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়ি বা গাড়িতে থাকাকালীন ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমায় নিশানা করা হয়েছে তাঁদের। সেই আক্রমণ এতটাই নিখুঁত ছিল যে আশপাশের কোনও কিছু সে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

    আচমকা ভ্যানিশ হয়ে যান ক্যাথরিন…

    এর পরেই নড়েচড়ে বসে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মিনিস্ট্রি অফ ইন্টেলিজেন্স অফ দ্য ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান’। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে, সর্ষের মধ্যেই ভূত লুকিয়ে। বিভিন্ন ছবি খতিয়ে দেখে ক্যাথরিনকে (Catherine Perez-Shakdam) চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ক্যাথরিন ততদিনে ভ্যানিশ। ক্যাথরিন সম্পূর্ণরূপে নিখোঁজ। ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা তার পোস্টার এবং ছবি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। তন্নতন্ন করে খুঁজেও আজও তাঁর কোনও নাগাল পাননি ইরানের গুপ্তচররা । কারও মতে, ক্যাথরিন তাঁর পরিচয় পরিবর্তন করেছে এবং এখন অন্য দেশে বাস করছেন। কিন্তু কোথায় তিনি? কেউ জানে না। তাঁর কোন চিহ্ন নেই, যেন হাওয়ায় মিশে গিয়েছেন। শুধু রয়ে গিয়েছে ক্যাথরিন পেরেজ শাকদাম নামটা। ইজরায়েলি ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী গুপ্তচরদের (Mossad Spy) একজন, যিনি ইরানকে হতবাক করেছেন এবং বিশ্বকে হতবাক করেছেন।

  • India vs England: শুভ-মহরৎ শুরু! ৬৩ বছরে এজবাস্টনে প্রথম জয়, টেস্টে একগুচ্ছ রেকর্ড ভারতের

    India vs England: শুভ-মহরৎ শুরু! ৬৩ বছরে এজবাস্টনে প্রথম জয়, টেস্টে একগুচ্ছ রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জয়ের শুভ-মহরৎ শুরু। হেডিংলির প্রতিশোধ বার্মিংহ্যামে নিল শুভমন গিলের ভারত (India vs England)। দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনল গম্ভীরের ছেলেরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের ফলাফল এখন ১-১। যে এজবাস্টনে ভারত কোনওদিন জিততে পারেনি, সেই স্টেশনে এসেই অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলেন গিল। তিনিই নায়ক, তিনিই অধিনায়ক। ক্যাপ্টেন্স নক-প্রথম ইনিংসে ২৬৯, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১। অধিনায়কোচিত ইনিংসকে সম্মান জানালেন দলের বোলাররা। ১০ উইকেট নিয়ে বুমরাহীন ভারতীয় বোলিংকে ভরসা দিলেন বাংলার আকাশদীপ। ম্যাচের শেষ উইকেটটিও তাঁর দখলে। আর শেষ ক্যাচটিও ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের হাতেই। অনেক ক্যাপ্টেন চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জয়ের স্বাদ পাননি এই মাঠে। অবশেষে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন, জয়ের ইতিহাসও গড়লেন শুভমন গিল। রোহিত-বিরাট পরবর্তী যুগে ভারতীয় ক্রিকেটের নয়া আইকন শুভমন।

    সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়

    ইংল্যান্ডকে ৬০৮ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছিল ভারত। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ৭২। পঞ্চম ও শেষ দিনে ৫৩৬ রান করলে জিতবে ইংল্যান্ড (India vs England), এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে বেন স্টোকসরা থেমে গেলেন ২৭১ রানে। ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারাল ভারত। এটাই রানের ব্যবধানে টেস্টে ভারতের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩১৮ রানে হারিয়েছিল ভারত। সেই রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমনেরা। শুধু ভারত নয়, ইংল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে এটা সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এই প্রথম বার টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০০০ বা তার বেশি রান করেছে ভারত। এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রানের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪২৭ রান করেছে ভারত। অর্থাৎ, এই টেস্টে মোট ১০১৪ রান করেছে ভারত।

    এজবাস্টনে নজির

    ১৯৬২ সাল থেকে এজবাস্টনে শুরু হয়েছে টেস্ট। কিন্তু প্রথম এশীয় কোনও দলের সেখানে জিততে লাগল ৬৩ বছর। এর আগে এজবাস্টনে ৮টি টেস্ট খেলেছিল ভারত (India vs England)। এর মধ্যে ৭ ম্যাচেই হার। একটি ড্র হয়েছিল। অবশেষে নবম সাক্ষাতে জয়। এই জয়ের ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাঠে টেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়েছে ভারত। ১৯৩২ সালে প্রথম বার টেস্ট খেলা শুরু ভারতের। তার পর ৯৩ বছরে বিশ্বের মোট ৮৫টি মাঠে ম্যাচ খেলেছে ভারত। তার মধ্যে ৬০টি মাঠে জিতেছে তারা। এত দিন ৫৯টি মাঠে জিতেছিল ভারত। তাতে যুক্ত হল এজবাস্টন। এই ৬০টি মাঠের মধ্যে ২৩টি ভারতে। তার মধ্যে চেন্নাইয়ে সবচেয়ে বেশি ১৬টি টেস্ট জিতেছে ভারত। বিদেশের মাটিতে ৩৭টি মাঠে অন্তত একটা হলেও টেস্ট জিতেছে ভারত। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট জিতেছে মেলবোর্নে। অস্ট্রেলিয়ার এই মাঠে চার বার টেস্ট জিতেছে ভারতীয় দল। লর্ডসে তারা জিতেছে তিন বার।

    রেকর্ড বুকে শুভমন

    এজবাস্টনে দুই ইনিংসে অসাধারণ খেলে রেকর্ডের পাহাড়ে শুভমন গিল (Shubhman Gill)। এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে দ্বিশতরানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে এসেছে ১৬১ রান। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে এই টেস্টে ৪৩০ রান করেছেন ভারত অধিনায়ক। এই টেস্টে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। শুভমনই বিশ্বের একমাত্র ব্যাটার যিনি এক টেস্টের দুই ইনিংসে দ্বিশতরান ও ১৫০-এর বেশি রানের ইনিংস খেললেন। এর আগে এক টেস্টের দুই ইনিংসে ১৫০-এর বেশি রানের ইনিংস খেলেছিলেন একমাত্র অ্যালান বর্ডার। ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেটা করেছিলেন বর্ডার। কিন্তু শুভমনের কীর্তি এখনও পর্যন্ত কেউ করতে পারেননি। এশীয় ব্যাটারদের মধ্যে এশিয়ার বাইরে এক টেস্টে সর্বাধিক রান করেছেন শুভমন। ছাপিয়ে গিয়েছেন সুনীল গাভাসকরকে। ১৯৭১ সালে পোর্ট অফ স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে এক টেস্টে ৩৪৪ রান করেছিলেন তিনি। শুভমন ভারতের কনিষ্ঠতম অধিনায়ক যিনি বিদেশের মাটিতে টেস্ট জিতেছেন। ২৫ বছর ৩০১ দিনে এই কীর্তি করেছেন তিনি। এর আগে ১৯৭৬ সালে ২৬ বছর ২০২ দিন বয়সে অকল্যান্ডে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়েছিলেন সুনীল গাভাসকর। তাঁর রেকর্ড ভেঙেছেন শুভমন।

    ইংল্যান্ডের আকাশে জ্বলল দীপ

    ইংল্যান্ডে (India vs England) ভারতীয় বোলারদের মধ্যে এক টেস্টে সেরা বল করেছেন আকাশদীপ। এজবাস্টনে দুই ইনিংসে মিলিয়ে ১৮৭ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এর আগে ১৯৮৬ সালে এই মাঠেই ১৮৮ রান দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন চেতন শর্মা। ইংল্যান্ডে আর কোনও ভারতীয় বোলারের এক টেস্টে ১০ উইকেটের নজির নেই। বিহারের সাসারামের ছেলে আকাশদীপ। সেই রাজ্যে ক্রিকেটীয় পরিকাঠামো না থাকায় চলে এসেছিলেন কলকাতায়। ক্লাব ক্রিকেটে খেলার পর বাংলার হয়ে রঞ্জিতে ভাল খেলে আইপিএলের চুক্তি আদায় করেছেন। সেখানেও ভাল খেলে ঢুকে গিয়েছেন জাতীয় দলে। লাল বলে অন্য রূপে দেখা যাচ্ছে আকাশদীপকে।

  • PM Modi At BRICS Summit: ‘সুবিধা বুঝে নয়, সন্ত্রাসের নিন্দাই নীতি হওয়া উচিত’, ব্রিকস-মঞ্চ থেকে বিশ্বকে বার্তা মোদির

    PM Modi At BRICS Summit: ‘সুবিধা বুঝে নয়, সন্ত্রাসের নিন্দাই নীতি হওয়া উচিত’, ব্রিকস-মঞ্চ থেকে বিশ্বকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে এবার পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi At BRICS Summit)। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলনে মোদি বলেন, ‘‘ভারত সন্ত্রাসবাদের শিকার আর পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সমর্থক। তাই আক্রান্ত ও সমর্থককে একই পাল্লায় বিচার করা যায় না।’’ এই সময় যে দেশগুলি ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল, তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। একইসঙ্গে যারা ব্যক্তিগত স্বার্থ বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলে না, তাদের তীব্র ধিক্কার জানান প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “চুপ থেকে জঙ্গিদের সম্মতি দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত একাধিকবার প্রমাণ দিয়েছে যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়ে পাকিস্তান কীভাবে সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রনীতি বলে চালাচ্ছে।”

    মানবতার উপর আঘাত

    ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ব্রিকস (BRICS) শীর্ষ সম্মেলনে রবিবার, প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পহেলগাঁওয়ে যে হামলা হয় তা শুধুমাত্র ভারতের উপর নয়, এটি মানবতার উপর আঘাত। মানবতার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সন্ত্রাসবাদ। পহেলগাঁওয়ে একটি অমানবিক এবং কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়ে দ্বিমুখী নীতির কোনও স্থান নেই। যদি কোনও দেশ সন্ত্রাসবাদকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করে, তবে তাকে অবশ্যই এর মূল্য চোকাতে হবে।” আগামী বছরের ব্রিকস সম্মেলন হতে চলেছে ভারতে। তার আগেই ব্রিকসের মঞ্চ থেকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    শান্তির পথই সর্বোত্তম

    ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে ‘শান্তি ও নিরাপত্তা এবং বৈশ্বিক শাসন সংস্কার’ শীর্ষক অধিবেশনে, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের প্রতি ভারতের অবস্থানের কথাও স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi At BRICS Summit)। তিনি মহাত্মা গান্ধী ও গৌতম বুদ্ধের শান্তির বার্তা উদ্ধৃত করে বলেন, “পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, মানবতার কল্যাণের জন্য শান্তির পথই সর্বোত্তম।” মোদি বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে নিন্দা করা আমাদের সুবিধামতো নয়, বরং নীতিগত অবস্থান হওয়া উচিত।” তিনি আরও বলেন, যারা রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না, তারা প্রকৃতপক্ষে মৌন সমর্থন দিচ্ছে। এটা কখনও গ্রহণযোগ্য নয়। ব্রিকস সম্মেলনে দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির ‘বঞ্চনা’ নিয়েও সরব হন মোদি। তাঁর দাবি, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলির প্রায়শই দ্বিচারিতার শিকার হচ্ছে। দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলি বর্তমান বিশ্ব কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলেও এই দেশগুলির স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে না।

    ভারতের সঙ্গে সহমত

    উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। এই হামলার দায় গ্রহণ করে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ওই হামলার পিছনে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীদের হাত আছে তা সামনে আসার পরেই অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করার জন্য ব্রিকস দেশগুলিকে একটি স্পষ্ট এবং ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর সঙ্গে সমহত প্রকাশ করে যৌথ ঘোষণাপত্র ব্রিকসের রাষ্ট্রনেতারা সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেন। তাদের উদ্দেশ্য যা-ই হোক না কেন, যে বা যারা সন্ত্রাস করছে, তাদের অপরাধী বলেই অ্য়াখ্যা দেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, “জম্মু-কাশ্মীরে ২২ এপ্রিল যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, যেখানে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন, আমরা তার তীব্র নিন্দা করি। সীমান্ত পার করে সন্ত্রাসবাদ থেকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়া- সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা করি আমরা।”

    ভারতের বড় কূটনৈতিক জয়

    যদিও ঘোষণাপত্রে পাকিস্তানের নাম সরাসরি লেখা হয়নি, কিন্তু সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ, অর্থ জোগান, ও নিরাপদ আশ্রয়ের মতো শব্দগুলি দিয়ে যে ইঙ্গিত কোথায়, তা স্পষ্ট। ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, ব্রিকস সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমন্বিত পদক্ষেপে বিশ্বাস করি। ব্রিকসের এই ঘোষণায় স্বাগত জানানো হয়েছে জোটের ‘কাউন্টার-টেরোরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর চলমান কর্মসূচিকে। রাষ্ট্রসংঘে ‘কমপ্রিহেনসিভ কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিজম’ দ্রুত চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ব্রিকস। ব্রিকসের এই সরাসরি এবং স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া ভারতীয় কূটনীতির এক বড় জয় হিসেবে দেখছে বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের বন্ধু চিনের উপস্থিতিতেই এই সম্মেলনে ইসলামাবাদের সন্ত্রাস-নীতির সমালোচনা করেন মোদি। তাঁর পাশে দাঁড়ায় ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। চিনের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা ঘোষণা করা হয়।

  • High Blood Pressure: শুধু নুন নয়, এই চার খাবারেও লুকিয়ে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের বিপদ!

    High Blood Pressure: শুধু নুন নয়, এই চার খাবারেও লুকিয়ে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপের বিপদ!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দেশ জুড়ে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপে (High Blood Pressure) আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে। ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের মধ্যে অতিরিক্ত নুন খাওয়ার প্রবণতা আছে। আর তাতেই বাড়তি বিপদ তৈরি হচ্ছে। তবে, নুন খাওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আরও চারটি খাবার বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, নুন খাওয়ায় লাগাম টানার পাশাপাশি আরও চার ধরনের খাবারে (Foods to Avoid) লাগাম দেওয়া জরুরি। তবেই উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমবে।

    কোন চারটি খাবার বাড়তি বিপদ তৈরি করছে?

    নিয়মিত চিজ খাওয়া!

    সকালের জলখাবারে অনেকেই অমলেটের সঙ্গে কিংবা স্যান্ডুইচের মধ্যে চিজ দিয়ে খেতে পছন্দ করেন। আবার পাস্তা, পিৎজা, বার্গারের মতো মন-পসন্দ খাবারে তো অবশ্যই থাকে অতিরিক্ত পরিমাণ চিজ। আর এই চিজ বিপদ বাড়াচ্ছে। এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক তথ‌্য। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ১০০ গ্রাম চিজের মধ্যে ৬২১ মিলিগ্রাম নুন থাকে। নিয়মিত পাউরুটি, রুটি কিংবা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে চিজ খেলে রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়াম মিশতে থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় না। উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই চিজ খেলে বাড়বে রক্তচাপ। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নুনের পাশপাশি চিজ খাওয়ায় রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়ছে বিপদ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছে। অনেকেই শুধু বিরিয়ানি, পিৎজা হটডগ‌ কিংবা বার্গারকেই অস্বাস্থ্যকর খাবার ভাবেন। কিন্তু এই খাবারের পাশাপাশি আরও একাধিক খাবার আছে, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত খাবার দীর্ঘদিন তাজা রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ রাসায়নিক মেশানো হয়, সেই সব খাবার অস্বাস্থ্যকর। সবুজ সতেজ সব্জি, টাটকা মাছ, মাংস পরিমিত তেল মশলায় রান্না করলে তবেই তা স্বাস্থ্যকর হয়‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই জলখাবারে সপ্তাহে অন্তত একাধিকবার সসেজ, হ্যাম, সালামির মতো নানান দেশি-বিদেশি মাংসের পদ খান। অনেকেই মনে করেন, এই ধরনের পদ স্বাস্থ্যকর। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এই খাবার একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। এই খাবার প্রক্রিয়াজাত। এগুলোতে রক্তে (High Blood Pressure) অতিরিক্ত সোডিয়াম মেশে। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এই খাবারগুলো হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকারক।

    নরম পানীয় বিপজ্জনক!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নোনতা জাতীয় খাবারের পাশপাশি পানীয়তেও বিপদ বাড়তে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত নরম পানীয় অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। প্যাকেটজাত ফলের রস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্যাকেটজাত ফলের রসে থাকে অতিরিক্ত চিনি। এই মাত্রাতিরিক্ত শর্করা শরীরে রক্তচাপ ওঠানামা অনিয়ন্ত্রিত করে তোলে। আবার অতিরিক্ত কফি খেলেও উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকি বাড়তে পারে।

    রান্নায় সস ব্যবহারে নজর জরুরি!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নায় নানান ধরনের মশলা এবং সস ব্যবহারের রেওয়াজ বাড়ছে। আধুনিক নানান রান্নায় সস ব্যবহারের রেওয়াজ বাড়ছে‌। তাই সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। সোয়া সস, টমেটো কেচাপ, বার্বিকিউ সস এবং নানান ধরনের প্যাকেটজাত মশলা নিয়মিত রান্নায় ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নজরদারি জরুরি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) অন্যতম কারণ এই ধরনের প্যাকেটজাত সস নিয়মিত রান্নায় ব্যবহার। এতে শরীরের পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ছে।

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত তাজা ফল ও সব্জি খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত কলা, আপেল, বেদানা এবং লেবু জাতীয় ফল খেলে শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশপাশি মোচা, ডুমুর, পটল, পালং শাকের মতো সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের তাজা ফল ও সব্জি নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 06 July 2025: নিজের স্বপ্ন পূরণ করার সুযোগ পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 06 July 2025: নিজের স্বপ্ন পূরণ করার সুযোগ পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি অশুভ প্রমাণিত হতে পারে।

    ২) চিন্তাভাবনা ও কাজের প্রতি অধিক মনোযোগী হন।

    ৩) নিজের প্রয়োজনীয়তা বোঝার ও তা পুরো করার চেষ্টা করুন।

    বৃষ

    ১)  আজকের দিনটি ভালো।

    ২) কাজে বড়সড় সাফল্য লাভ করতে পারবেন।

    ৩) আর্থিক লাভ হবে।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) কাজে সফল হলে আপনাদের আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হবে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে অধিক সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন।

    কর্কট

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল নয়।

    ২) কাজকর্মে সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

    ৩) দায়িত্ব পূরণের জন্য চেষ্টা করতে হবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল নয়।

    ২) কাজকর্মে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) সাফল্য লাভের জন্য অধিক প্রচেষ্টা করতে হবে।

    কন্যা

    ১) আজকের দিনটি খুব ভালো।

    ২) কাজের ভালো ফল পাবেন।

    ৩) পুরনো লগ্নির মাধ্যমে ভালো রিটার্ন পাবেন।

    তুলা

    ১) আজকের দিনটি অত্যন্ত শুভ।

    ২) সমস্ত অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণ হবে।

    ৩) মনে আনন্দ থাকবে।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি বিশেষ অনুকূল নয়।

    ২) কাজে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

    ৩) চাকরিতে আর্থিক লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি খুব ভালো থাকবে।

    ২) নিজের স্বপ্ন পুরো করার সুযোগ পাবেন।

    ৩) কেরিয়ারে ভালো সুযোগ পাবেন।

    মকর

    ১) আজকের দিনটি সাধারণত অনুকূল নয়।

    ২) ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।

    ৩) কাজের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

    কুম্ভ

    ১) অসম্পূর্ণ ইচ্ছা পূরণ হবে।

    ২) স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

    ৩) ব্যস্ততায় দিনটি অতিবাহিত হবে।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি বিশেষ ভালো নয়।

    ২) ব্যবসা বা চাকরিতে আর্থিক লোকসান সম্ভব।

    ৩) আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share