Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Mamata Banerjee in London: রাজ্যে হিন্দুরা কি সুরক্ষিত? শিল্পায়ন, বিনিয়োগ, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে লন্ডনে কড়া প্রশ্নের মুখে মমতা

    Mamata Banerjee in London: রাজ্যে হিন্দুরা কি সুরক্ষিত? শিল্পায়ন, বিনিয়োগ, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে লন্ডনে কড়া প্রশ্নের মুখে মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কেলগ কলেজে বক্তৃতার মাঝেই তাল কাটল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee in London)। মমতার ভাষণের মধ্যেই বাংলায় হিন্দুদের উপর অত্যাচার ও মমতার সাম্প্রদায়িক তোষণ নীতি নিয়ে লন্ডনের কলেজে প্রশ্ন তুললেন হিন্দু ছাত্ররা। সিঙ্গুর থেকে টাটার চলে যাওয়া থেকে আরজি কর কাণ্ড, প্রশ্ন এল দর্শকাসন থেকে। দর্শকদের একাংশের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় মমতার। সমালোচকদেরই সাম্প্রদায়িক স্বৈরাচার মনোভাব সম্পন্ন বলে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী।

    লন্ডনে প্রশ্নের মুখে মমতা

    বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে বক্তৃতা রাখেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee in London)। রাজ্যের নারী, শিশুদের সামাজিক উন্নয়ন ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে ভাষণ দেন মমতা। সেখানেই প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। সমালোচকদের প্রশ্ন, বাংলা থেকে টাটাকে তাড়িয়েছেন কেন? ভরা সভাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যেবাদী বলেও আক্রমণ করেন প্রশ্নকর্তা। এদিন শিল্পায়ন, বিনিয়োগ, সাম্প্রদায়িক তোষণ ইস্যু নিয়েও কড়া প্রশ্নবাণের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়েই প্রশ্নের সম্মুখীন হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথার মাঝেই দর্শকদের একাংশ হাততালিও দিতে থাকেন।

    আরজিকর নিয়ে প্রশ্ন

    লন্ডনে গিয়ে আরজি কর কাণ্ড নিয়েও প্রশ্নের মুখে মমতা (Mamata Banerjee in London)। এদিনের বক্তব্যের বিষয়ই ছিল রাজ্যের নারী, শিশুদের সামাজিক উন্নয়ন ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন। স্বাভাবিকভাবেই আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা ছিলই। কলেজের ভাষণে আরজি কর নিয়ে প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “ওটা বিচারাধীন বিষয়। আর এটা রাজনৈতিক মঞ্চ নয়।” শুরু থেকে অনুষ্ঠানের ছন্দ ঠিক থাকলেও তাল কাটে আর জি করের প্রসঙ্গে দর্শকদের তরফে প্রশ্ন উঠতেই। আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন দর্শকরা। আরজি কর ক্রাউড ফান্ডিং প্রসঙ্গেও প্রশ্ন করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। দর্শক আসন থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনার রাজ্যে এ নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলে আপনারা মন্ত্রীরা বলে আঙুল ভেঙে দেবে।’ দর্শকের এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ অনিকেত-দিলীপের

    আরজিকর কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। তিনি বলেন, ‘অভয়ার ন্যায়বিচার যদি না দেন, তাহলে বাংলার মানুষ কেন, সারা বিশ্বের মানুষ অভয়ার পাশে দাঁড়াবেই। সকল বিশ্ববাসী পাশে আছে। আমাদের স্লোগানে আমরা বলেছিলাম, ‘আর জি কর দিচ্ছে ডাক, অভয়া বিচার পাক, বিশ্ব দিচ্ছে ডাক, অভয়া বিচার পাক। সেটাই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। আমরা চাই সিবিআইও দেখুক, বিচার দিক অভয়াকে। কারা নেপথ্যে ছিল, কারা প্রমাণ নষ্ট করেছিল প্রকাশ্যে আসুক।’ শুক্রবার ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, যে আরজি কর কলেজে কী ঘটেছে তার জবাব তাঁকে দিতে হবে। দিলীপ বলেন, “আমরা আগে বলেছিলাম যে তিনি যখন যুক্তরাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিতে যাবেন, তখন তাঁকে আরজি কর কলেজে কী ঘটেছে তার জবাব দিতে হবে। বাংলায় আরজি কর-এর মতো ঘটনা ঘটছে। এখানে মহিলারা নিরাপদ নন। যদি কেউ তাকে জিজ্ঞাসা করে, তাহলে তাঁকে উত্তর দিতে হবে। সেখানকার লোকেরা এখানে প্রশ্ন করবে।”

    হিন্দুরা কতটা সুরক্ষিত প্রশ্ন মমতাকে

    এদিন বক্তৃতার মাঝে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন উঠলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee in London) বলতে শোনা গিয়েছে, দিদি কিছু নিয়ে ভাবে না। কারও পরোয়া করে না। এরপরই দর্শকদের আচরণ সংযত করতেও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন লন্ডনে হিন্দু ছাত্ররা, মমতার কাছে জানতে চান বাংলায় কতজন হিন্দুকে মরতে হয়েছে। তিনি কেন মুসলিমদের তোষণ করে যান? সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েন মমতা। তিনি বলেন, এমন আচরণ করে  ছাত্ররা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই অসম্মান করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এও বলতে শোনা গিয়েছে, “আমায় ধরতে পারলে ধরো। না ধরতে পারলে, লড়তে এসো না।”  হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবার জন্য, আমি হিন্দু, মুসলিম, শিখ, সকলের ঐক্যের পক্ষে, আপনারা নন। কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মের কথা বলবেন না, সব ধর্মের কথা একসঙ্গে বলুন।’ এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে দর্শক আসন থেকে’গো অ্যাওয়ে’ স্লোগানও ওঠে।

    সন্দেশখালিতে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ, হিন্দুদের গণহত্যা

    ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা অমিত মালব্য একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে ভিডিওতে দেখা যাওয়া বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন লন্ডনের কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee in London) মুখোমুখি হয়েছিলেন। বিজেপি মুখপাত্র অমিত মালব্য সোশ্যাল সাইটে লেখেন “লন্ডনের কেলগ কলেজে বাঙালি হিন্দুরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হন, আরজি করের মহিলা ডাক্তারের ধর্ষণ ও হত্যা, সন্দেশখালিতে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ, হিন্দুদের গণহত্যা এবং ব্যাপক দুর্নীতির জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ স্লোগান তোলেন।” বিজেপি নেতা আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের জন্য “অপমান”। “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টানা কয়েকটি পোস্টার… তিনি পশ্চিমবঙ্গের জন্য কলঙ্ক। বাংলার ঐতিহ্য ধ্বংস করে তাদের এত অপমানের মধ্যে ফেলার জন্য হিন্দু বাঙালি প্রবাসীরা তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরাতে চান।”

    ভারতের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ

    এক ব্যবসায়ী প্রশ্ন করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে কিনা। মমতা এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমি ভিন্নমত পোষণ করি। বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা রয়েছে। যদি অর্থনৈতিক যুদ্ধের পরিস্থিতি হয়, তবে কি আপনি মনে করেন আমরা লাভবান হতে পারব?” মমতার এই কথার প্রতিবাদ করেছেন বিজেপি নেতা প্রবীণ ভান্ডারি। তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে মমতার এই মন্তব্য ভারতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে।

    হিন্দু ছাত্রদের অভিযোগ

    অনুষ্ঠান শেষে, হিন্দু ছাত্ররা জানায়, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “দুর্নীতিপূর্ণ এবং অগণতান্ত্রিক শাসন” এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, মমতার (Mamata Banerjee in London) রাজ্যে ছাত্র নির্বাচন নেই, স্কুল ছুটের সংখ্যা বেড়েছে এবং ছাত্র আন্দোলন দমন করা হয়েছে। রাজ্যে সাম্প্রদায়িক তোষণ নীতি চালাচ্ছেন মমতা। হিন্দুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে নানা জায়গায়। ভাঙা হচ্ছে দেবী মূর্তি। রাজ্য সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

  • Amit Shah: দেশ কোনও ধর্মশালা নয়! লোকসভায় পাশ নয়া অভিবাসন বিল, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে শাহি-তোপ

    Amit Shah: দেশ কোনও ধর্মশালা নয়! লোকসভায় পাশ নয়া অভিবাসন বিল, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তৃণমূলকে শাহি-তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হল অভিবাসন এবং বিদেশি নাগরিক বিল, ২০২৫। নতুন এই বিল নিয়ে বৃহস্পতিবারই লোকসভায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়। বিলের ওপর আলোচনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাউকে এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অমিত শাহের বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের চেষ্টার কথাও। এই প্রসঙ্গে তিনি তোপ দাগেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকারকেও।

    এদেশ ধর্মশালা নয়, বললেন শাহ (Amit Shah)

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে (Immigration and Foreigners Bill 2025) ভারতে আসা বিদেশিদের যাতায়াত, রেজিস্ট্রেশন ও ভিসা নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র সরকার। এতে দু’পক্ষের কাজই সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিলের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের মোট ছটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল- পর্যটক, পড়ুয়া, দক্ষ শ্রমিক, ব্যবসায়ী, উদ্বাস্ত ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিলটি পেশ করেন লোকসভায়। বিল নিয়ে আলোচনার সময়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘যদি কেউ এই দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য এখানে আসতে চান, তাঁদের সব সময় স্বাগত জানানো হবে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁদের এই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই দেশ কোনও ধর্মশালা নয়।’’

    অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তোপ তৃণমূলকে

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পর্যটক হিসেবে, ব্যবসার জন্য, শিক্ষা বা চিকিৎসার জন্য কেউ আসতে চাইলে তাঁদেরকে সব সময় এ দেশে স্বাগত জানানো হবে (Immigration and Foreigners Bill 2025)। একইসঙ্গে নয়া অভিবাসন বিলের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা আরও মজুবত হবে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি এবং ব্যবসাতেও গতি আনবে এই বিল, এমনটাই মনে করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন নিজের বক্তব্যে দেশে অনুপ্রবেশ রুখতেও কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah) বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গও। তাঁর দাবি, অসমে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সেই রাজ্য দিয়ে ব্যাপক অবৈধ অনুপ্রবেশ হয়েছে। এই সময়ই তিনি তোপ দাগেন তৃণমূল সরকারকে। মমতা জমানায় পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা এ দেশে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ শাহের। এই প্রসঙ্গে শাহের অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কাছে ভুয়ো নথিও পৌঁছে যাচ্ছে। কোথা থেকে এই আধার কার্ডগুলি দেওয়া হচ্ছে? এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সমস্ত বাংলাদেশিরা ধরা পড়েছেন, তাঁদের সকলের কাছে পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানার আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে।’’ অমিত শাহের আরও দাবি, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে জমি না-পাওয়ার কারণে সীমান্তে ৪৫০ কিলোমিটার কাঁটাতার দেওয়ার কাজ আটকে রয়েছে।’’

    তৃণমূলের গুণ্ডামির কারণেই ৪৫০ কিমি কাঁটাতার আটকে

    এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘২০২৬ সালের সেখানে (বাংলায়) বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং পশ্চিমবঙ্গে এই অনুপ্রবেশ সমস্যার সমাধান হবে।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন ‘‘যখনই সীমানা দেওয়ার কাজ চলছে তখনই সেখানে শাসকদলের কর্মীরা গুণ্ডামি করছে এবং ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছে। ৪৫০ কিলোমিটারের বেশি সীমানা বাঁধার কাজ সম্পন্ন হয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারণে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বর্ডার রয়েছে ২,২১৬ কিলোমিটার। যার মধ্যে ১৬৫৩ কিলোমিটার সীমানা দেওয়া হয়েছে। সীমানার আশেপাশের রাস্তা চেকপোস্ট বানানো হয়েছে। শুধুমাত্র জমি দিচ্ছে না বলে পশ্চিমবঙ্গের ৪৫০ কিলোমিটার সীমানা বাঁধার কাজ বাকি থেকে গিয়েছে।’’

    প্রস্তাবিত বিল খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে

    নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত বিলটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এদেশে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতেও সহায়তা করবে।’’ তাঁর আরও দাবি, বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পরে ভারতে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সময়ে বিদেশিদের চলাচলের উপর নজরদারি সহজতর হবে। বিলের ওপর আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূল বিষয় হল অভিবাসন কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং এটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে জড়িত। বিলটি ভারতে আসা প্রত্যেকের উপর নিবিড় নজরদারি নিশ্চিত করবে। কেন কেউ ভারতে আসছেন এবং কতক্ষণ থাকছেন তাও বোঝা যাবে। ভারতে আসা প্রতিটি বিদেশি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরআরও দাবি, ‘‘নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে, এই আইন মাদক কারবার, অনুপ্রবেশকারী, অস্ত্র চোরাচালানকারী এবং যারা ভারতের অর্থনীতিকে ভেতর থেকে ধ্বংস করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কুঠারাঘাত।’’

    আগের চার আইন কী কী ছিল?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রস্তাবিত আইনটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার, বিদেশিদের ঘন ঘন আসা-যাওয়ার স্থানগুলির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিদেশি এবং অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলি বর্তমানে চারটি আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয় – পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন, ১৯২০, বিদেশিদের নিবন্ধন আইন, ১৯৩৯, বিদেশী আইন, ১৯৪৬ এবং অভিবাসন (বাহকদের দায়বদ্ধতা) আইন, ২০০০। তবে এই সমস্ত আইনগুলি বর্তমানে বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নয়া বিলে আগের চার আইনের বেশ কিছু বিধান রয়েছে বলেই জানিয়েছে। নয়া এই বিলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা এবং অভিবাসনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং পর্যটনকে উৎসাহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

  • Jammu Kashmir Encounter: বাহিনীকে সাহায্য স্থানীয়দের, জম্মু-কাশ্মীরে সংঘর্ষে খতম ৩ জঙ্গি, নিহত ৩ পুলিশকর্মীও

    Jammu Kashmir Encounter: বাহিনীকে সাহায্য স্থানীয়দের, জম্মু-কাশ্মীরে সংঘর্ষে খতম ৩ জঙ্গি, নিহত ৩ পুলিশকর্মীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কাঠুয়া জেলায় (Kathua district) জঙ্গিদমন অভিযানে (anti-terrorist action) তিন পাকিস্তানি জঙ্গি (Pakistani militant) নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে তিন পুলিশ কর্মীরও। এছাড়া পুলিশের একজন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার-সহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। জঙ্গি দমন অভিযানে অংশ নেয় স্থানীয় তরুণেরাও। তারা অস্ত্রসহ সংঘর্ষে রসদ সরবরাহ করে নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্য করে।

    গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে আশ্রয়

    কাঠুয়ার ঘতি যুথানা এলাকার জাখোলা গ্রামে গত রবিবার থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর (Jammu Kashmir Encounter) লড়াই চলছে। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর জঙ্গিরা গত শনিবার সেখানে ঢুকে পড়ে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে আশ্রয় নেয় তারা। জঙ্গলের ভিতরে থাকা গ্রামের মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীকে খবর দিলে বড় আকারে সংঘর্ষ শুরু হয়। তার আগে জঙ্গিরা গ্রামবাসীদের কাছে আশ্রয় চেয়ে ভয় দেখাতে শুরু করে। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই কাঠুয়ার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী গ্রাম সানিয়ালের কাছের এক জঙ্গলে জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় এক দম্পতি প্রথম সশস্ত্র জঙ্গিদের দেখতে পেয়েছিলেন। প্রায় পাঁচ-ছয় জন জঙ্গির একটি দল ওই জঙ্গলে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করছিল। তাদের দেখতে পেয়েই গ্রামবাসীরা খবর দিয়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীকে। তার পরি শুরু হয় অভিযান।

    পাঁচ দিন ধরে অভিযান

    গত পাঁচ দিন ধরে, জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir Encounter) পুলিশের ডিআইজি নলিন প্রভাতের নেতৃত্বে সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী হিরানগর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে। এই জঙ্গিরা পাকিস্তানের দিক থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গিদের এই দলটি একেবারে নতুন বলে অনুমান নিরাপত্তা বাহিনীর। রবিবার হীরানগর সেক্টরে জঙ্গি এবং নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে গুলিযুদ্ধ হয়েছিল। তাতে আহত হয়েছিল এক কিশোরী। বৃহস্পতিবার ওই হীরানগর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রাজবাগের ঘতি যুথানার জাখোল গ্রামে নতুন করে গুলিযুদ্ধ শুরু হয়। তাতেই দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। মনে করা হচ্ছে, রবিবার যাঁরা সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিলেন, তাঁরাই বৃহস্পতিবার আবার হামলা চালিয়েছেন।

    পাক জঙ্গিদের খোঁজে শুক্রবারও অভিযান

     হীরানগর এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ, সেনা, বিএসএফ, সিআরপিএফ, এনএসজি। শুক্রবার সকাল (Kathua Gunfight) থেকে ফের অভিযান শুরু হবে বলে বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট নামে জইশ-ই মহম্মদ পরিচালিত একটি সংগঠন সংঘর্ষে তাদের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও এই ঘটনার বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর নিহত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে একজন সিলেকশন গ্রেড কনস্টেবল এবং বাকি দু’জন সীমান্তের এসডিপিও-র নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

  • Daily Horoscope 28 March 2025: দামি কিছু প্রাপ্তি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 28 March 2025: দামি কিছু প্রাপ্তি হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের কাছ থেকে ভালোবাসা পাবেন।

    ২) গাড়িচালকদের জন্য দিনটি শুভ।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে।

    ২) কোমরের নীচে যন্ত্রণা নিয়ে চিন্তা।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) খুব কাছের কোনও মানুষের জন্য পারিবারিক অশান্তি হতে পারে।

    ২) দামি কিছু প্রাপ্তি হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কর্কট

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    সিংহ

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) কারও সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না।

    কন্যা

    ১) উপার্জন নিয়ে মনে প্রচুর ক্ষোভ থাকবে।

    ২) ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে মিশ্রফল।

    ২) নিজের ভাগের সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ ছাড়তে হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে  দিনটি শুভ নয়।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মকর

    ১) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ।

    ২) স্বামীর সঙ্গে তর্ক না করাই ভালো হবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) গরিব মানুষকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দ লাভ।

    ৩) সমাজে খ্যাতি বাড়বে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Vladimir Putin: ‘বন্ধু’ মোদির আমন্ত্রণে সাড়া! ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার ভারতে আসছেন পুতিন

    Vladimir Putin: ‘বন্ধু’ মোদির আমন্ত্রণে সাড়া! ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার ভারতে আসছেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিলের আলোচনাসভায় পুতিনের ভারত সফরের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন লাভরভ। গত বছর মস্কো গিয়ে পুতিনকে দেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই ‘ডাকেই’ সাড়া দিয়ে দেশে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট (Russia)। ২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবার ভারতে আসছেন তিনি। তবে পুতিনের ভারত সফর প্রসঙ্গে এখনও দিনক্ষণের কথা জানায়নি সেদেশের বিদেশমন্ত্রক।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির ডাকে সাড়া

    গত অক্টোবরে ‘ব্রিকস’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। দু’জনের পার্শ্ববৈঠকও হয়েছিল সে সময়। তার আগে গত বছরেরই জুলাইয়ে রাশিয়া গিয়েছিলেন মোদি। সে সময়ই তিনি ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পুতিনকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে লাভারভ বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারত সরকারের প্রধানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তাঁর সফরের প্রস্তুতি চলছে।’’ রাশিয়ান আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিল আয়োজিত ‘রাশিয়া এবং ভারত: একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক অধ্যায়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় লাভারভ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন পর্বের সূচনা হবে পুতিনের সফরে (Putin Visit India)।

    যুদ্ধের আবহে পুতিনের ভারত সফর

    এখনও কাটেনি রাশিয়া-ইউক্রেন জট। আর এমন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেই ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধের আবহে প্রেসিডেন্টে ভারত সফর কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ। বরাবরই, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের মাঝে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে যখন একের পর এক দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছে, সেই আবহেও বিবাদ থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে ভারত। এই যুদ্ধের মাঝে একাধারে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আবার একই ভাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায় তাঁকে।

    পাশাপাশি ভারত-রাশিয়া

    নরেন্দ্র মোদি ও ভ্লাদিমির পুতিনের (Modi-Putin Meet) বন্ধুত্বের সম্পর্ক কারও অজানা নয়। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই আমেরিকা-সহ নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি রাশিয়াকে কূটনৈতিক দুনিয়ায় একঘরে করার চেষ্টা করেছে। মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে তাদের উপর একাধিক অর্থনৈতিক অবরোধও জারি করেছে আমেরিকা। যদিও আমেরিকার আপত্তি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে নয়াদিল্লি। আমেরিকার সঙ্গে নিবিড় কৌশলগত সম্পর্ক রাখলেও পুরনো মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে যায়, সরাসরি এমন কোনও সিদ্ধান্তে সায় দেয়নি ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারতের আরও কাছে এসেছে রাশিয়া। রাষ্ট্রসংঘে মস্কো বিরোধী প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ভারত। তবে যুদ্ধ থামাতে বার বার আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি।

    পুতিনের সফরের প্রস্তুতি শুরু

    যুদ্ধের আবহে মোদি দু’বার গিয়েছেন রাশিয়া সফরে। আর সে দিকে ইঙ্গিত করেই লাভারভ বলেছেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর রাশিয়ায় তাঁর প্রথম বিদেশ সফর করেছিলেন। এ বার তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার পালা আমাদের।’’ পুতিন যে এদেশে আসতে পারেন সেকথা শোনা গিয়েছিল নভেম্বরেই। রাশিয়ার প্রশাসনিক দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমাত্রি পেসকভ জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই ভারত সফরে যাবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর ভারত সফরের দিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। এবার রাশিয়া জানিয়ে দিল পুতিনের সফরের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

    নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন সূচনা

    ক্রেমলিনের তরফে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন পর্বের সূচনা হতে চলেছে পুতিনের ভারত সফরে (Putin Visit India)। যুদ্ধ আবহে হোক কিংবা নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হওয়ার পর, মোদি রাশিয়া সফর করেছেন। তাই এবার তাঁদের উচিত পাল্টা সৌজন্য দেখানো। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতেই ভারতে আসছেন পুতিন। পাশাপাশি, ইউক্রেনের সঙ্গে চলতে থাকা যুদ্ধ নিয়েও ভারতের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। পুতিন এবং মোদি নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখেন, প্রতি দুই মাসে একবার টেলিফোনে কথোপকথন করেন। দুই নেতা ব্যক্তিগতভাবেও বৈঠক করেন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে। ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই ভারতের সাথে রাশিয়ার দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পুতিনের ভারত সফরের খবরে খুশির হাওয়া দু’দেশেই।

  • Bangladesh: হাসিনাই ছিল ভালো! অসুখী ইউনূসের বাংলাদেশ, বাড়ছে দারিদ্রতা, লাগামছাড়া ওষুধের দাম

    Bangladesh: হাসিনাই ছিল ভালো! অসুখী ইউনূসের বাংলাদেশ, বাড়ছে দারিদ্রতা, লাগামছাড়া ওষুধের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্ট মাসেই পতন হয় হাসিনা সরকারের। জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস (Yunus Government)। তবে পালাবদলের বাংলাদেশে (Bangladesh) সুখে নেই নাগরিকরা। এমনটাই বলছে রিপোর্ট। সেদেশে বেড়েই চলেছে দারিদ্রতা। লাফিয়ে বাড়ছে জীবনদায়ী ওষুধের দাম। একইসঙ্গে ইউনূস জমানায় বেড়েছে রাজনৈতিক হিংসা। সংখ্যালঘু নির্যাতন তো প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের অন্দরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বাড়ন্ত মূল্যবৃদ্ধি, দারিদ্রতা সব নিয়েই একটা চাপা ক্ষোভ পূঞ্জীভূত হচ্ছে সেদেশের নাগরিকদের মনে। নাগরিকদের বড় অংশই মনে করছেন, সুখে নেই পালাবদলের বাংলাদেশ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ (Yunus Government) যে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সেদেশের এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ছাত্র সমাজ যে আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্নের সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিল, তা তো হয়নি উল্টে অবস্থা আরও বেহাল হয়েছে। একাধিক রিপোর্টে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে বাংলাদেশের এই নিদারুণ অবস্থার কথা।

    দারিদ্রতার অন্ধকারে বাংলাদেশ (Bangladesh), বাড়ছে ক্ষোভ নাগরিকদের মধ্যে

    রিপোর্ট বলছে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন রয়ে গিয়েছে অধরাই। সম্প্রতি, বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা BIDS তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এখানেই উঠে এসেছে, বাংলাদেশে আগের তুলনায় দারিদ্র্যের হার ও নিরাপত্তাহীনতার কথা। দারিদ্রতা ও নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে বলেই জানাচ্ছে এই রিপোর্ট। ইতিমধ্যে ওই দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে খবরও প্রকাশিত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে গোটা বাংলাদেশে দারিদ্রতার হার ছিল ১৮.০৭ শতাংশ। যা এই ইউনূস আমলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.১১ শতাংশে। বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, আগে শহরে দরিদ্রের হার আগে ছিল ১৪.৭ শতাংশ। ২০২৪ সালে এটা এসে ঠেকেছে ২০.৪৩ শতাংশে। গ্রামের হালও একই বলে জানা যাচ্ছে।

    গ্রামীণ বাংলাদেশে (Bangladesh) দারিদ্রতার চিত্র

    গত দু’বছরে গ্রামীণ বাংলাদেশে দারিদ্রতা বেড়েছে ৪ শতাংশ। আগে ছিল যা ছিল ২০ শতাংশ। এখন বর্তমানে হয়েছে ২৪ শতাংশ। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ছিল ৩৮ শতাংশ। যা ২০২৪ সালে পৌঁছে গিয়েছে ৪৬ শতাংশে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সমীক্ষা কিন্তু শুধু একা বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান করেনি। তাদের এই সমীক্ষায় সাহায্য করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের আওতাধীন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিও।

    পালাবদলের বাংলাদেশে জীবনদায়ী ওষুধের দাম লাগামছাড়া

    পালাবদলের বাংলাদেশে জীবনদায়ী ওষুধের দামও বেড়েই চলেছে। ইউনূস জমানায় গত কয়েক মাসেও বেড়েছে ওষুধের দাম। বিভিন্ন ওষুধের দাম ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে বলে খবর। অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষদের আয় স্বল্প। এই পরিস্থিতিতে স্বল্প আয়ের মানুষজন বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেরই আবার নিঃস্ব হওয়ার দশা হয়েছে। কিন্তু কী এর কারণ? ওষুধের দামের এই ব্যাপক বৃদ্ধির জন্য জন্য উৎপাদক ও সবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলির অনৈতিক বিপণন চর্চা বা প্রোমোশনাল মার্কেটিং কর্মসূচিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের উপহার বা উৎকোচ দেয় কোম্পানিগুলো। এই উপহারের পুরোটাই আবার কেটে নেওয়া হয় ক্রেতারই পকেট থেকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধের কোনও বিকল্প নেই, রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ওষুধ অপরিহার্য। সেখানে যদি এমনটা হয়, তবে দরিদ্র মানুষজন কীভাবে বেঁচে থাকবেন!

    বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৫ শতাংশই শুধু ওষুধের জন্য ব্যয় হয়, বলছে রিপোর্ট

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ওষুধের গুরুত্ব এতটাই যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওষুধকে স্বাস্থ্য খাতের ছয়টি অত্যাবশ্যকীয় উপাদানের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করেছে। তাই একথা বলাই যায় যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ওষুধ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই আবহে আবার সামনে এসেছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণকের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের একটি গবেষণা। ওই গবেষণায় বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের মোট চিকিৎসা ব্যয়ের মধ্যে ৬৫ শতাংশই শুধু ওষুধের জন্য ব্যয় হয়। খুব সহজে বললে বলা যায়, যদি কোনও বাংলাদেশি নাগরিক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে মোট ১০০ টাকা খরচ করেন, তার মধ্যে ৬৫ টাকা খরচ হয় শুধুমাত্র ওষুধ কিনতে।

    কী বলছেন ওষুধের দোকানের মালিক?

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এটা থেকেই বোঝা যায়, বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ওষুধের ওপর ঠিক কতটা নির্ভরশীল। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সেদেশে গ্যাস্ট্রিক তথা অ্যাসিডিটির সমস্যা নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। সমীক্ষা বলছে, বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মালিবাগের ফেনী ফার্মেসির মালিক হলেন আব্দুল মালেক সুমন। তিনি এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় বিভিন্ন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। এরপরেই বিক্রির তালিকায় স্থান রয়েছে প্রেসার এবং ডায়াবেটিসের ওষুধ। জানা যাচ্ছে, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় সারজেল, প্যানটোনিক্স এবং ম্যাক্সপ্রো। এছাড়াও প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপাও বেশ ভালোই বিক্রি হয় বাংলাদেশে। এবার এই সমস্ত ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়াতে চরম হতাশ সেদেশের নাগরিক সমাজের বড় অংশ। অনেকেই বলছেন, এর থেকে হাসিনা জমানা অনেক ভালো ছিল।

    স্বল্প আয়ের মানুষ বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন

    প্রসঙ্গত, ঢাকার মধ্য বাড্ডা বাজারের এক ফার্মেসির ব্যবস্থাপক তাপস দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশে ওষুধের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ। এদেশের স্বল্প আয়ের মানুষ বাড়তি মূল্যে ওষুধ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওষুধের দাম বৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের মনে ব্যাপক চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। জানা গিয়েছে, ওষুধের মূল্য নির্ধারণে বাংলাদেশ সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই একেবারে অসহনীয় পর্যায়ে দাম বাড়ছে। ওষুধ কোম্পানিগুলির অনৈতিক কাজ নিয়ে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মিজানুর রহমান কল্লোল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে ওষুধের দাম বাড়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানি ও চিকিৎসকদের মধ্যে চলা প্রোমোশনাল কার্যক্রমের নামে অনৈতিক বিপণন চর্চা। প্রোমোশনাল মার্কেটিংয়ের নামে ডাক্তারদের দেওয়া উৎকোচ বা উপহার কোনও কোম্পানিই নিজেদের পকেট থেকে দিচ্ছে না। ওষুধের দাম বাড়িয়ে সেই টাকা তুলছে তারা। ক্রেতাদের কাছ থেকেই আদায় করা হয়। তিনি জানিয়েছেন এটা বন্ধ হলেই দাম কমবে ওষুধের।

    বাংলাদেশের ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের বিশ্লেষণ

    ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনকে এবার বিশ্লেষণ করা যাক। কস্ট অব গুডস অর্থাৎ ওষুধের উৎপাদন খরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। মার্কেটিং, প্রোমোশন এবং অন্যান্য খরচ আরও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এরপর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হল কোম্পানির মুনাফা। বাংলাদেশের ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, কোনওও ওষুধের গায়ে যদি মূল্য ১০০ টাকা থাকে, সেখান থেকে বাংলাদেশ সরকার ভ্যাট পায় ১৫ শতাংশ। ফার্মেসির লাভ থাকে ১৫ শতাংশ। বাকি ৭০ টাকার মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কাঁচামালসহ উৎপাদন খরচ। আর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মার্কেটিং ও প্রোমোশনাল খরচ, বাকিটা কোম্পানির মুনাফা।

  • Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওলা-উবেরের রমরমা শেষের পথে। ওলা বা উবেরের মতো অ্যাপ ক্যাবকে টক্কর দিতে কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’ (Sahkar Taxi) পরিষেবা। খুব শীঘ্রই এই ক্যাব পরিষেবা আনা হবে বলে সংসদে ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সমবায়-ভিত্তিক এই পরিষেবা ক্যাব চালকদের সরাসরি সুবিধা দেবে। ওলা এবং উবরের মতো অ্যাপ-ভিত্তিক পরিষেবার আদলে তৈরি এই উদ্যোগটি সমবায় সমিতিগুলিকে চালকদের আয় থেকে মধ্যস্থতাকারীদের কোনও কর ছাড়াই দু’চাকার যান, ট্যাক্সি, রিকশা এবং চার চাকার যানবাহন রেজিস্টারের অনুমতি দেবে।

    আসছে সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ অর্থাৎ সহযোগিতায় সমৃদ্ধিলাভের যে স্বপ্ন তাকেই সত্যি করে তুলবে এই পরিষেবা। এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘এটা একটা স্লোগানমাত্র নয়। সমবায় মন্ত্রক গত সাড়ে তিন বছর ধরে একে সার্থক করে তুলতে চেষ্টা করে চলেছে। আর কয়েকমাসের মধ্যে এক প্রধান সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা (Sahkar Taxi) শুরু হয়ে যাবে। যা থেকে সরাসরি লাভবান হবেন চালকরা।” কেননা এক্ষেত্রে কোনও মধ্যস্থতাকারী থাকবেন না। ফলে সরাসরি লভ্যাংশ তাঁদের কাছেই যাবে।

    কেন এই ভাবনা

    ওলা, উবরের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এই প্রকল্প আনছে কেন্দ্র সরকার। আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের মাধ্যমে বুকিং করতে গেলে রাইডের ভাড়ায় তারতম্য হয় বলে সম্প্রতি এক অ্যাপ ক্যাব ব্যবহারকারী অভিযোগ জানান। এর পরই কেন্দ্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (সিসিপিএ) সম্প্রতি উভয় কোম্পানিকে নোটিশ জারি করে। অভিযোগের জবাবে, ওলা বৈষম্যের দাবি অস্বীকার করেছে। সিসিপিএ-কে তাদের দাবি, “আমাদের সব গ্রাহকের জন্য সমমূল্য কাঠামো রয়েছে। ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে কোনও পার্থক্য করা হয় না।” উবেরও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, “দাম কোনও যাত্রীর ফোন মডেলের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় না। আমরা কোনও যাত্রীর ফোন প্রস্তুতকারকের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করি না।” ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই ধরনের বৈষম্যমূলক দাম নির্ধারণকে “অনৈতিক ব্যবসায়িক পদ্ধতি” হিসেবে দাবি করেছেন।

  • Harichand Thakur: মতুয়া ধর্মের প্রবর্তকের আবির্ভাব তিথি, শুরু বারুণীর স্নান, জানুন হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনকথা

    Harichand Thakur: মতুয়া ধর্মের প্রবর্তকের আবির্ভাব তিথি, শুরু বারুণীর স্নান, জানুন হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবনকথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রবর্তক শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের (Harichand Thakur) ২১৪তম আবির্ভাব তিথি। এই উপলক্ষ্যেই শুরু হচ্ছে বারুণী মেলার পুণ্যস্নান। জানা যায়, ১৮১২ খ্রীষ্টাব্দে বাংলাদেশের ওড়াকান্দির নিকটবর্তী সাফলিডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মতুয়া ধর্মাবলম্বী মানুষরা বাস করেন। এঁদের সকলের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুর। বিগত কয়েক বছর ধরে মতুয়া সম্প্রদায় নিয়ে আগ্রহের সঞ্চার হয়েছে। সামাজিক আন্দোলনে হরিচাঁদ ঠাকুরের কৃতিত্ব প্রশংসার দাবি রাখে। জানা যায়, নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন যশোবন্ত ঠাকুর ও অন্নপূর্ণা দেবী। দুজনেই ছিলেন পরম বৈষ্ণব। এঁদের ঘরেই জন্ম নেন হরিচাঁদ ঠাকুর। অনেকেই তাঁকে গৌতম বুদ্ধ ও চৈতন্যদেবের অবতার হিসেবে মনে করেন। কেউ কেউ তাঁকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার মানেন।

    সাদামাঠা জীবনযাপনে অভ্যস্ত হরিচাঁদ ঠাকুর (Harichand Thakur)

    সাদামাঠা জীবনযাপনে অভ্যস্ত হরিচাঁদ ঠাকুর (Harichand Thakur) ছোট থেকে সেভাবে পড়াশোনার সুযোগ পাননি। তিনি নিজেই স্বশিক্ষিত হয়েছেন। হিন্দু, বৌদ্ধশাস্ত্র, দেশীয় চিকিৎসা, ভূমি ব্যবস্থাসহ একাধিক বিষয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। পরবর্তীকালে অবতার পুরুষ হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ হয়। নিজের ব্যক্তিত্ব, কাজ, জনসেবা, ধর্মকথা এসবের মাধ্যমে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এরপর থেকেই হরিচাঁদ ঠাকুরের ভক্তদের মতুয়া বলার প্রচলন হয় এবং ওড়াকান্দি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। বর্তমান বাংলাদেশের এই ওড়াকান্দি তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে যেখানে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় প্রতি বছর।

    হরিচাঁদ ঠাকুরের সরল ধর্মীয় দর্শন মতুয়া সম্প্রদায়কে জনপ্রিয় করে তোলে

    হরিচাঁদ ঠাকুরের (Harichand Thakur) সরল ধর্মীয় দর্শন খুব তাড়াতাড়ি মতুয়া সম্প্রদায়কে জনপ্রিয় করে তোলে। তাঁর অন্যতম বাণী ছিল, ‘হাতে নাম মুখে কাজ’। এই মূলমন্ত্রকে সঙ্গী করে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সদা সচেষ্ট ছিলেন জীবনভর। মাত্র ৬৬ বছর বয়সে তাঁর জীবনাবসান হয়। তাঁর মহাপ্রয়াণের আগেই নিজের উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করে যান জ্যেষ্ঠপুত্র গুরুচাঁদ ঠাকুরকে (Matua Sect)। মতুয়া সম্প্রদায়ের সশক্তিকরণের জন্য অনেক পদক্ষেপ করেছিলেন হরিচাঁদ ঠাকুর।

    মতুয়াদের পরবর্তীকালে সংগঠিত করেন গুরুচাঁদ ঠাকুর

    পরবর্তীকালে, পিতার দেখানো পথেই গুরুচাঁদ ঠাকুর হিন্দু সমাজের অবহেলিতদের একত্র করেছিলেন বলে জানা যায়। তবে একথা উল্লেখ করতেই হবে যে, হরিচাঁদ ঠাকুর এবং ওঁর পুত্র গুরুচাঁদ দুজনেই হিন্দু সমাজের নমঃশূদ্রদের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেননি। হিন্দু ধর্মের অন্যান্য সম্প্রদায় বরং তেলি, মালি, মাহিষ্যসহ সকল সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে গিয়েছেন পিতা-পুত্র। দুজনেই মতুয়া ভাবাদর্শ প্রচারের সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারেও বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে জানা যায়। জানা যায়, দলিত সমাজের মানুষ হয়ে নিজের পিতার স্বপ্নপূরণ করেন গুরুচাঁদ ঠাকুর। জানা যায়, বর্ণহিন্দুদের জন্য ১৮৮০ সালে গুরুচাঁদ ঠাকুর ওড়াকান্দিতে প্রথম স্কুল স্থাপন করেন এবং ১৯০৮ সালে সরকারি সহায়তায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে রূপান্তরিত হয় সেটি।

    হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে শুরু হয় বারুণী মেলা

    প্রতি বছরই হরিচাঁদ ঠাকুরের (Harichand Thakur) জন্মতিথি উপলক্ষে শুরু হয় বারুণী মেলা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে পূণ্য স্নান করেন লক্ষাধিক মতুয়া ভক্ত। দূর দূরান্ত থেকে ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়। এই আবহে ঠাকুরনগরে বসে মতুয়া ধর্ম মহামেলা। সাত দিন ধরে চলা এই মেলাতে মতুয়া সম্প্রদায় ছাড়াও অন্যান্য অনেক মানুষ ভিড় করেন। মতুয়া (Matua Sect) ভক্তরা জানাচ্ছেন, পুরাণেও উল্লেখ পাওয়া যায় বারুণী কথার। তাঁদের মতে, স্কন্দপুরাণে লেখা আছে চৈত্রমাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুণী নামে পরিচিত হয়।

    বহুশত গঙ্গাস্নানের ফল মেলে বলে বিশ্বাস ভক্তদের

    মতুয়া ধর্মের ভক্তদের বিশ্বাস, এই তিথিতে স্নান করলে বহুশত গঙ্গাস্নানের ফল পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। মতুয়া ভক্তদের কাছে বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ। বাংলা বছর অনুযায়ী, প্রতি চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই স্নান অনুষ্ঠিত হয়। শাস্ত্র মতে, কোনও বছর যদি ঐদিনটি শনিবার হয় তবে ওই বারুণী স্নানের মাহাত্ম্য আরও বেড়ে যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, বারুণী স্নানে মেলে পুণ্য, দূর হয় পাপ। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি যেন মতুয়া ভক্তদের মিলন মেলা।

  • Indian Naval Diplomacy: লক্ষ্য ভারত মহাসাগরে চিনা প্রভাবের মোকাবিলা, আফ্রিকার ১০টি দেশের সঙ্গে নৌ-মহড়া ভারতের

    Indian Naval Diplomacy: লক্ষ্য ভারত মহাসাগরে চিনা প্রভাবের মোকাবিলা, আফ্রিকার ১০টি দেশের সঙ্গে নৌ-মহড়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরে চিনের দাদাগিরি একেবারে মুখ বুজে মেনে নেবে না ভারত (Indian Naval Diplomacy)। ভারত মহাসাগরে চিনের ক্ষমতাবৃদ্ধির মোকাবিলা করতে তৈরি ভারতীয় নৌসেনা। এপ্রিলের গোড়ায় আফ্রিকা মহাদেশের ১০টি রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারত মহাসাগরে নৌযুদ্ধের মহড়ায় অংশ নেবে ভারতীয় নৌসেনা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই ১০টি দেশের অনেকগুলিই ‘চিনের সহযোগী’ বলে চিহ্নিত।

    ভারত-আফ্রিকা নৌ মহড়া

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, এপ্রিলের মাঝামাঝি ভারতীয় নৌসেনা এবং তানজানিয়ার ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ যৌথ ভাবে ভারত মহাসাগরে ‘আইকেম’ নামের ওই নৌমহড়ার আয়োজন করবে। উদ্বোধন কর্মসূচি হবে তানজানিয়ার দার-এস-সালামে। নৌযুদ্ধের পাশাপাশি বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পাবে বাণিজ্যিক জাহাজের সুরক্ষা এবং জলদস্যুর মোকাবিলা। কমোরোস, জিবুতি, এরিট্রিয়া, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মরিশাস, মোজাম্বিক, সেশেলস্ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ওই মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি জিবুতিতে নৌঘাঁটি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চিন।

    অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক দৃঢ়করণ

    ভারত-আফ্রিকা (Indian Naval Diplomacy) বাণিজ্য ২০২৩-২৪ সালে ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা সামুদ্রিক নিরাপত্তার গুরুত্বকে তুলে ধরে। ভারতের বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ এবং তার শক্তির আমদানি অধিকাংশই ভারত মহাসাগর দিয়ে চলে। অধিকাংশ আফ্রিকান দেশে প্রায়  ৮ বিলিয়ন ডলার লাইন অফ ক্রেডিট (LoCs) প্রদান করেছে ভারত, যার মাধ্যমে নৌ বন্দরের আধুনিকীকরণ, উপকূলীয় নজরদারি রাডার নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং বাণিজ্য সুবিধা প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ভারতের নৌবাহিনীর উপ প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল তারুণ সোবটি, আইকেম-কে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং নৌ সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে তুলে ধরেছেন।

    ভারত মহাসাগরের কৌশলগত গুরুত্ব

    ভারত মহাসাগর (Indian Naval Diplomacy) বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ। এই পথে বিশ্বের ৮০ শতাংশ তেল বাণিজ্য হয়। চিন ও ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপ, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ তৈরি করেছে এই ভারত মহাসাগর। কৃটনৈতিক মহলের অনুমান, ভারত মহাসাগরের ভূরাজনীতি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ গঠনে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো যখন প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, তখন ভারতের উচিত সুস্পষ্ট কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। নৌ-শক্তি বৃদ্ধি, আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ও বহুপাক্ষিক সামুদ্রিক উদ্যোগে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারত তার স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে পারে। একইসঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করতে পারে।

    চিনের সামুদ্রিক সম্প্রসারণ মোকাবিলা

    এ বার সরাসরি ‘বেজিংয়ের প্রভাব বলয়ে’ হানা দিয়েছে নয়াদিল্লি। গত কয়েক বছর ধরেই আফ্রিকার দেশগুলিতে প্রভাব বাড়িয়ে চলেছে চিন। অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতার পাশাপাশি সামরিক ক্ষেত্রেও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে আফ্রিকার অনেকগুলি দেশের। ভারতের আফ্রিকার সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা তীব্রতর হচ্ছে চিনের আগ্রাসী এবং আধিপত্যবাদী নৌ ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের পরিপ্রেক্ষিতে। চিনের মারাত্মক সামুদ্রিক অবকাঠামো বিনিয়োগ, বিশেষত জিবুতি এবং কেনিয়ায়, ঋণের স্থিতিশীলতা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। চিনের প্রথম বিদেশি সামরিক ঘাঁটি, পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি (PLAN)-এর ঘাঁটি, জিবুতি, বৈশ্বিক অপারেশনাল উপস্থিতি বাড়িয়েছে, যা আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ভারত তো বটেই, আমেরিকাও ভারত মহাসাগরে প্রভাব বৃদ্ধির এই খেলায় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল চিনের চেয়ে। এই পরিস্থিতিতে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাদেশের ১০টি দেশকে নিয়ে ভারতের নৌমহড়া চিনের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই অনেকে মনে করছেন।

    আফ্রিকার দৃষ্টিভঙ্গি

    আফ্রিকার দেশগুলো সাধারণভাবে ভারতের সামুদ্রিক উদ্যোগে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। চিনের থেকে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ নীতিই তাদেরকে আপাতত বেশি আকৃষ্ট করেছে। যেখানে গঠনমূলক ও মজবুত অংশীদারিত্ব, স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং সক্ষমতা তৈরির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতের এই সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি চিনের সমালোচিত মডেল থেকে পৃথক। চিনা মডেলে রয়েছে উচ্চ ঋণের বোঝা, পরিবেশগত প্রভাব এবং স্থানীয় সুবিধার অভাব। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং মনোহর পরিক্কর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালাইসিস (MP-IDSA) এর মতো শীর্ষ চিন্তনক্ষত্রগুলো ভারতের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহযোগিতামূলক কৌশলকে প্রশংসা করেছে, যা আফ্রিকার জন্য কৌশলগতভাবে লাভজনক এবং ভারতের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব

    ভারত এবং চিনের (Indian Naval Diplomacy) ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ক্রমেই বাড়ছে। ভারতের সহযোগিতামূলক সামুদ্রিক কূটনীতি আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে এক মহৎ বিকল্প হিসেবে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ভূ-রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আশা করছেন, ভারতের সামুদ্রিক কূটনীতি আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করবে এবং আফ্রিকান দেশগুলিকে চিনের বিস্তৃত প্রভাবের বিকল্প একটি কৌশলগত পথ সরবরাহ করবে। ভারতীয় কৌশল, যা প্রকৃত অংশীদারিত্ব এবং পারস্পরিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়, তা আফ্রিকায় দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সহায়ক হবে।

  • Sepak Takraw: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! ঐতিহাসিক সোনা জয়ী ভারতীয় সেপাক তাকরাও দলকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    Sepak Takraw: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! ঐতিহাসিক সোনা জয়ী ভারতীয় সেপাক তাকরাও দলকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। এবার সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বা কিক ভলিবলে সোনা জিতল ভারতের ছেলেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভারতের সেপাক তাকরাও দলকে বিশ্বকাপে তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেপাক তাকরাও বিশ্বকাপ ২০২৫ প্রতিযোগিতায় ভারত ৭টি পদক জিতেছে। যার মধ্যে পুরুষদের রেগু ইভেন্টে প্রথম সোনা জিতেছে ভারত। সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বা কিক ভলিবল, মালয়েশিয়ার জাতীয় খেলা হিসেবে বিবেচিত হয়। মঙ্গলবার পাটনায় ২০২৫ সালের সেপাক তাকরাও বিশ্বকাপে সোনার পদক জিতেছে ভারত। ঘরের মাঠে জাপানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে রেগু ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতের ছেলেরা।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি এই সাফল্যকে “চমৎকার পারফরম্যান্স” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, এই সাফল্য ভারতকে আরও এগিয়ে দেবে। ভারতের জন্য সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বিশ্ব মঞ্চে একটি “প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ” নির্দেশ করছে। তিনি তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের দলকে অভিনন্দন জানাই ঐতিহাসিকভাবে ভারতের প্রথম সোনার পদক জয়ের জন্য। এই চমৎকার পারফরম্যান্স ভারতকে সেপাক তাকরাও বিশ্ব মঞ্চে একটি প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।” সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) ভারতে খুব একটা পরিচিত নয়। ১৯৮২ সালের দিল্লি এশিয়ান গেমসে এটি একটি প্রদর্শনী ক্রীড়া হিসেবে খেলা হয়েছিল। ২০০০ সাল থেকে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক এই খেলাকে স্বীকৃতি দেয়।

    অভিনন্দন ক্রীড়ামন্ত্রীর

    ক্রীড়া মন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্যও ২০২৫ সালের সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বিশ্বকাপে ভারতের সাতটি পদক জয়ী দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে পুরুষদের দলের প্রথম সোনার পদক জয়ের জন্য প্রশংসিত করেন। তাঁর কথায়, “ভারতের সেপাক তাকরাও দলকে ৭টি পদক জয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। বিশেষত পুরুষদের দলকে অভিনন্দন জানাই প্রথম সোনার পদক জেতার জন্য। আপনারা যারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তারা আমাদের জাতির যুবকদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। ভবিষ্যতে আরো বড় সাফল্য কামনা করছি।

LinkedIn
Share