Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Delhi Red Fort Blast: দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল উমর! দাবি এনআইএ-র

    Delhi Red Fort Blast: দিল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল উমর! দাবি এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লার কাছে গাড়ি-বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে কাশ্মীরের জঙ্গলে বোমার পরীক্ষা করেছিল দিল্লিকাণ্ডের আত্মঘাতী জঙ্গি উমর নবি! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি এনআইএ-র। এই মামলায় ধৃতদের জেরা করে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই ধৃতদের নিয়ে অনন্তনাগ জেলায় গিয়ে পরীক্ষার জায়গায় চিরুনি তল্লাশি করে বেশ কিছু সামগ্রী পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এদিকে, দিল্লির লালকেল্লার ঘটনায় অষ্টম সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, তার নাম বিলাল নাসের মাল্লা। ধৃত পেশায় একজন চিকিৎসক। থাকেন দিল্লিতে। আদতে, জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লার বাসিন্দা। তদন্তকারীদের দাবি, বিলাল নাসের মাল্লা ডক্টর্স টেরর মডিউল বা হোয়াইট কলার টেরর মডিউল নেটওয়ার্কের অন্যতম সদস্য। আত্মঘাতী জঙ্গি উমরকে সে লুকোতে সাহায্য করেছিল।

    কে এই চিকিৎসক বিলাল নাসের মাল্লা?

    লালকেল্লা বিস্ফোরণকাণ্ডে মঙ্গলবার দিল্লি থেকে এনআইএ বিলাল নাসের মাল্লাকে গ্রেফতার করেছে। লালকেল্লা এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্রে বিলালের জড়িত থাকার বিষয়টি এনআইএ নিশ্চিত করেছে। তদন্তকারীদের দাবি, লালকেল্লায় বিস্ফোরণ ঘটানো চিকিৎসক আত্মঘাতী চিকিৎসক-জঙ্গি উমরের সহযোগী ছিল চিকিৎসক মাল্লাও। এমনকী উমরকে আশ্রয় দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এনআইএ তদন্ত অনুসারে, বিলাল জেনেশুনে মৃত অভিযুক্ত উমর উন নবিকে লজিস্টিক (থাকা-খাওয়া) সহায়তা দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রমাণ নষ্ট করারও অভিযোগ রয়েছে। এনআইএ জনিয়েছে, প্রকৃত ষড়যন্ত্র ও আসামিদের পরিচয় গোপন করতে প্রমাণ নষ্ট করারও চেষ্টা করেছিল বিলাল।

    দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনায় ধৃত ৮

    গত ১০ নভেম্বর সেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের। কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। মামলাটির তদন্ত করছে এনআইএ। ওই মামলায় যুক্ত সন্দেহে এর আগে আল ফালাহ্ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুই চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল, শাহিন সঈদ ও আমির রশিদ আলিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গ্রেফতার করা হয় বিলালি মসজিদের ইমাম মহম্মদ আসিফ ও ইলেক্ট্রিশিয়ান নজর কামালকে। সবার আগে, ফরিদাবাদ টেরর মডিউল ফাঁস করার সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই চিকিৎসক আদিল রাথর এবং জসির বিলাল ওয়ানিকে। মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিলাল নাসের মাল্লা হল অষ্টম গ্রেফতারি। এই নেটওয়ার্কের বাকি সদস্যদের খোঁজে উপত্যকা জুড়ে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    অনন্তনাগের জঙ্গলে বোমা পরীক্ষা উমরের

    এদিকে, বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে এনআইএ। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দিল্লিতে বিস্ফোরণের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের জঙ্গলে বোমা পরীক্ষা করেছিল আত্মঘাতী চিকিৎসক-জঙ্গি উমর মহম্মদ ওরফে উমর-উন-নবি। পরীক্ষা সফল হওয়ার পর দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় সেই বোমা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার আদিল রাথর এবং জসির বিলাল ওয়ানিকে সঙ্গে নিয়ে আনন্তনাগের জঙ্গলে যায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ এবং এনআইএ-র তদন্তকারীরা। বোমার পরীক্ষা করার জায়গাটি চিহ্নিত করা হয়। তদন্তকারীরা বোমা পরীক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু উপাদান উদ্ধার করেছেন। তদন্তকারী ওই সূত্রের খবর, তল্লাশি অভিযানের সময় একটি ক্ষতিগ্রস্ত গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। তা থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, বোমার পরীক্ষার জন্য এই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছিল। অননন্তনাগের বিভিন্ন জঙ্গলেও তল্লাশি অভিযান চালানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

  • India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    India vs South Africa: হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, বিশাল জয় ভারতের, রাবারাটিতে লজ্জার নজির প্রোটিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাইশ গজে মধুর প্রত্যাবর্তন। ২৮ বলে ৫৯ রান, ৬টি চার ও ৪টি ছয়, ফের ঝড় তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে ভারতীয় দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান করেছিল। জবাবে ৭৪ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এই ফরম্য়াাটে এটাই প্রোটিয়াদের ন্যূনতম স্কোর। ১৮ বলে শেষ ৫ উইকেট হারাল প্রোটিয়ারা। ১০১ রানে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সূর্যকুমারেরা।

    হার্দিকের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন, হতাশ শুভমন

    শুভমন গিল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। চোট সারিয়ে কটকে প্রত্যাবর্তন দুই ক্রিকেটারের। ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের উৎসাহ ছিল শুভমনকে নিয়ে। টেস্ট এবং এক দিনের দলের অধিনায়ক শুভমন। হতাশ করলেন শুভমন টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক। তবে নেতৃত্বের দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া হার্দিক ঝড় তুললেন ব্যাট হাতে। তাঁর ২৮ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই এডেন মার্করামের দলের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছোন সূর্যকুমার যাদবেরা। শুভমন কটকের ২২ গজে টিকলেন ২ বল। করলেন ৪ রান। চিন্তায় রাখল অধিনায়ক সূর্যের ফর্মও। তবে ভারতীয় বোলাররা সফল ১০০ শতাংশই।

    ভারতীয় বোলাররা ১০০ শতাংশ সফল

    বল হাতে রাতের বারবাটি শাসন করলেন ভারতীয় বোলারেরা। ১৭৬ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হন কুইন্টন ডি কক (০)। অর্শদীপের এই ধাক্কা সামলানোর আগেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে অর্শদীপ আউট করেন ট্রিস্টান স্টাবসকে (১৪)। অক্ষর নিজের প্রথম ওভার করতে এসে তুলে নেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক এডেন মার্করামের (১৪) উইকেট। ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান সফরকারীরা। সেই চাপের মুখে পর পর ফিরে যান মিলার এবং ফেরেইরা (৫)। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ম্যাচের ফলাফল এক রকম ঠিক হয়ে যায়। ভারতীয় বোলারদের দাপটে কেউই আর লড়াই করতে পারলেন না। ধস নামল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে। পর পর আউট হলেন জানসেন (১২), ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (২২), কেশব মহারাজ (০), অনরিখ নোখিয়া (১), লুথো সিমপালারা (২)। ১২.৩ ওভারেই শেষ হয়ে গেল তাঁদের ইনিংস। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম অক্ষর ৭ রানে ২ উইকেট নিলেন। ১৪ রানে ২ উইকেট অর্শদীপের। এ দিন ১৭ রানে ২ উইকেট নিলেন বুমরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পূর্ণ করলেন তিনি। ১৯ রানে ২ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর। ১৬ রানে ১ উইকেট নিলেন হার্দিক। ১ রানে ১ উইকেট শিবমের। ভারতের ছ’জন বোলারই উইকেট পেলেন। তিনবছর আগে ভারতেরই বিরুদ্ধে রাজকোটে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ৷ যা এতদিন ছিল সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাঁদের সর্বনিম্ন স্কোর ৷ মঙ্গলবার তা ভেঙে গেল ৷

    নিজের নয়, ভারতের প্রয়োজনই প্রাধান্য

    চোট সারিয়ে এশিয়া কাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নেন হার্দিক। জানান গত ছ’সাত মাস ধরে ফিটনেসের উপর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন। যাতে দেশের জার্সি পরে নিজের সেরাটা দিতে পারেন। নিজের পারফরম্যান্সে খুশি হার্দিক। হার্দিক বলেছেন, ‘‘গত ছ’-সাত মাস আমার ফিটনেস ভাল জায়গাতেই ছিল। শেষ ৫০ দিন পরিবার ছেড়ে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে থেকে খুব উপকৃত হয়েছি। বেশ কিছু দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছি। শট মারার সময় একটু সতর্ক ছিলাম। নিশ্চিত করতে চেয়েছি শটগুলো যাতে ঠিকঠাক হয়। শেষ দিকে কয়েকটা সাহসী শটও খেলতে হয়েছে। টাইমিং ঠিক রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমার এদিনের ব্যাটিংয়ে আমি সন্তুষ্ট।’’ নিজের বোলিং নিয়েও খুশি হার্দিক। তিনি বলেছেন, ‘‘মাঠে আমার ভূমিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না। নিজের দায়িত্ব জানি। আমি কী চাই সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের প্রয়োজন। ভারতের প্রয়োজন। এই মানসিকতা নিয়েই খেলতে নামি। এটা আমাকে ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করে।’’ জয়ের নেপথ্যে হার্দিকের অবদান মেনে নিয়েছেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও।

  • SIR in Bengal: অপসারণের পরেও কাজ! বারুইপুরে দুই বিএলও-সহ চার জনকে শোকজ কমিশনের

    SIR in Bengal: অপসারণের পরেও কাজ! বারুইপুরে দুই বিএলও-সহ চার জনকে শোকজ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও এমুনারেশন ফর্ম (Enumeration Form) আপলোড করেছেন এক বিএলও (BLO)। ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিএলও-র পাশাপাশি অপর আর এক বিএলও এবং তাঁদের কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইআরও, এইআরও-কেও শোকজ করল কমিশন (Election Commission)। বারুইপুর পূর্বের ৯৪ নম্বর বুথের দুই বিএলও (বুথ স্তরের আধিকারিক), ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এবং এইআরও (সহকারী ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার)-কে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলেছে কমিশন।

    দুই বিএলও, ইআরও এবং এইআরও-কে শো কজ

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের হাড়দহের ৯৪ নম্বর বুথে (Booth Number 94) প্রথম যিনি বিএলও ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের স্থানীয় পদাধিকারী। তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। ওই বিএলও-কে নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ায় তাঁকে রিমুভ করে দ্রুত অন্য একজনকে বিএলও (BLO) হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু অভিযোগ, অপসারণের পরেও ওই বিএলও কাজ করে যান। ওই বুথে নতুন যে বিএলও এসেছেন, তিনি নিযুক্ত হয়েও পুরনো বিএলও-কে কাজ চালিয়ে যেতে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আগে ওই বুথে বিএলও ছিলেন সোমা সেন। পরে বিএলও হয়েছিলেন দেবী হালদার। পর্যবেক্ষক দুই বিএলও-র সই দেখে চিহ্নিত করেছেন। ওই বুথে ইআরও হলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী। দুই বিএলও, ইআরও এবং এইআরও-কে শো কজ করেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। সেই সূত্রে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট অফিসারদের শোকজ করে কারণ দর্শাতে বলেছে কমিশন।

    দোষ প্রমাণিত হওয়ায় কড়া পদক্ষেপ

    বাংলার এসআইআরের (SIR in West Bengal) কাজ সুস্পষ্টভাবে খতিয়ে দেখতে একাধিক রোল অবজার্ভার (Roll Observer) রাজ্যে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ECI)। তাঁদেরই একজন সি মুরুগান। সূত্রের খবর, তিনিই এই বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করে স্পেশ্যাল অবজার্ভার (Special Observer) সুব্রত গুপ্তকে জানান। পরে তিনি সিইও দফতরে (CEO Office) রিপোর্ট দেন এবং সিইও দফতর কমিশনকে জানায়। শুধু ওই বিএলও নন, তাঁর জায়গায় যিনি কাজের জন্য নিযুক্ত হয়েছিলেন সেই বিএলও এবং ওই এলাকার ইআরও, ডিইও-র ভূমিকাও খতিয়ে দেখে কমিশন। দোষ প্রমাণিত হওয়ায় এরপরই কড়া পদক্ষেপ করা হল।

    স্পেশ্যাল রোল অবজার্ভারের কাজ

    নানা ঘটনার পর ভোটার তালিকা সংশোধন (SIR West Bengal) পর্বে আরও কঠোর হয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গত শুক্রবারের বৈঠকেই যার ইঙ্গিত মিলেছিল। সোমবার সকালেই সেই ইঙ্গিতকে বাস্তবায়িত করে কমিশন নতুন নির্দেশিকা জারি করে। পাঁচ ডিভিশনে পাঁচজন শীর্ষস্থানীয় আইএএস অফিসারকে স্পেশ্যাল রোল অবজার্ভার (Special Roll Observer) হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। যাঁদের প্রত্যেকেই কেন্দ্রের মন্ত্রকের যুগ্মসচিব। কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, এই পর্যবেক্ষকদের দায়িত্ব থাকবে তিনটি বিষয়ে কঠোর নজরদারি করা। কোনও যোগ্য নাগরিক যাতে ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়েন, তা দেখাই বিশেষ পর্যবেক্ষকদের প্রধান কাজ। কোনও অযোগ্য ব্যক্তি যাতে তালিকায় ঢুকতে না পারেন, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে। দাবি–আপত্তি থেকে গণনা, নোটিস নিষ্পত্তি এবং চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ – প্রতিটি ধাপে কঠোর পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন এঁরা।

  • Calcutta High Court: কলকাতার জলাভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: কলকাতার জলাভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ নির্মাণগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব কলকাতার জলাভূমির যে কোনও দাগ নম্বর-সহ জায়গা-জমিতে আর কোনও নির্মাণ করা যাবে না। রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের ওয়েবসাইট এবং সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে এই মর্মে জানাতে হবে বলে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উল্লেখ্য কলকাতা এবং শহরতলী সংলগ্ন বহু পুকুর, জলাশয় ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ (Illegal Constructions) গজিয়ে উঠেছে। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, টাকা নিয়ে প্রমোটার রাজ কায়েম করেছে তৃণমূল সরকার। অধিকাংশ জায়গায় তৃণমূল কাউন্সিলরাই এই অবৈধ নির্মাণের পিছনে রয়েছে।

    অমৃতা সিনহার নির্দেশ (Calcutta High Court)

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিন‍্‍হার বিশেষ বেঞ্চ নির্দেশে বলেছে, “এই দাগ নম্বরে নির্মিত সকল নির্মাণ অবৈধ (Illegal Constructions)। অবিলম্বে তা ভেঙে ফেলতে হবে। রাজ্য, পুরসভা, এবং পূর্ব কলকাতার জলাভূমি কর্তৃপক্ষকে কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। কোনও বেআইনি নির্মাণের নথিভুক্তিকরণ (রেজিস্ট্রেশন) হবে না। একই ভাবে জলাভূমির উপর নির্মিত বেআইনি নির্মাণের উপর কোনও যেন বিদ্যুৎ পরিষেবা না দেওয়া হয়। সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমকে সুনিশ্চিত করতে হবে বেআইনি কাজকে যেন কোনও রকম সুবিধা যেন না দেওয়া হয়। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে জমা করতে হবে। কেন আপনারা অবিলম্বে এই সমস্ত জমিতে তৈরি নির্মাণ বন্ধ করছেন না? পাশাপাশি, এর আগে যে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত হয়েছে সেগুলির ব্যাপারে কী পদক্ষেপ করা হল এতদিনে ? এর আগে আদালতের কাছেই তথ্য এসেছে ৫০০-র বেশি বেআইনি নির্মাণ চিহ্নিত হয়েছে। সেই সমস্ত বেআইনি নির্মাণের কোনও দেওয়াল বা বারান্দা আপনারা ভেঙেছেন? তাই দ্রুত পদক্ষেপ করুন।”

    কত অবৈধ নির্মাণ?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) স্পষ্ট নির্দেশ যে আসতে চলছে তা বুঝে আগেই রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসেছিল। সরকারের তরফ থেকে যেখানে যেখানে বেআইনি নির্মাণ রয়েছে সেগুলি নিয়ে তথ্য দিয়ে আদালতে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কত সংখ্যক বেআইনি নির্মাণ (Illegal Constructions) হয়েছে তা নিয়ে পুরসভা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। জলাজমি, পুকুর এবং মাছের ভেরি বাঁচাতে পরিবেশ কর্মীরা আদালতে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেছিল। পরিবেশের ভারসাম্য এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে আদালতের রায়ে এলাকাবাসীদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

  • Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    Malaria in Winter: একমাসে আক্রান্ত ১৫০! শীতেও রাজ্যে দাপট ম্যালেরিয়ার, প্রশাসনের গাফিলতিই দায়ী, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    দরজায় শীত কড়া নাড়লেও মশার দাপট চলছেই। তাই ডিসেম্বরেও রাজ্যবাসীর মশাবাহিত রোগ থেকে রেহাই নেই। এমনটাই খবর রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রশাসনের অন্দরে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় বছরভর ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো উদ্বেগজনক। শীতের মরশুমে মশা বাহিত রোগের ঝুঁকি কিছুটা কমবে বলেই আশা করেছিলেন চিকিৎসক মহল। কিন্তু ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও রাজ্যের একাধিক জায়গায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে নতুন করে প্রায় দেড়শো জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে‌। উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়ার মতো একাধিক জেলায় ম্যালেরিয়ার দাপট রয়েছে। তবে কলকাতার শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক, যাদবপুর, টালিগঞ্জের মতো এলাকায় নভেম্বর মাস জুড়ে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক ছিল। এই এলাকা থেকেই গত এক মাসে প্রায় ৬০ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন।

    কেন ডিসেম্বরেও মশাবাহিত রোগের দাপট অব্যহত?

    সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ মূলত বর্ষাকালেই হয়। সেই হিসাব মতো সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর এই দুই মাস মশাবাহিত রোগের দাপট রাজ্যে বেশি থাকে। বর্ষায় জমা জল মশার আতুর ঘর। তাই এই সময়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো রোগের সংক্রমণ বেশি হয়। কিন্তু চলতি বছরে শীতের মরসুমেও মশাবাহিত রোগের দাপট চলছে। বিশেষজ্ঞ মহল অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকেই এর জন্য দায়ী করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় অপরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় না। পার্ক, পুকুর সংলগ্ন এলাকা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। আগাছা পরিষ্কার হয় না। এর ফলে মশার বংশবিস্তার সহজ হচ্ছে। তাই শীত পড়লেও মশাবাহিত রোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া যাচ্ছে না।

    কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ম্যালেরিয়া রুখতে প্রশাসনের সক্রিয়তার পাশপাশি জনসচেতনতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাকার পরিচ্ছন্নতার পাশপাশি বাড়ি ও আশপাশের জায়গা পরিষ্কার রয়েছে কিনা সে সম্পর্কেও সতর্ক থাকতে হবে। ছাদে বা বাগানে জল জমতে দেওয়া যাবে না। অনেকেই ছাদে টবে গাছ রাখেন।‌ বাগান করেন। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় ছাদে বাগান‌ তৈরির রেওয়াজ বাড়ছে। কিন্তু সেই বাগানে জল জমছে কিনা সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। পাশপাশি প্রশাসনের সক্রিয়তা প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের পরামর্শ, এলাকায় পুকুর কিংবা পার্ক থাকলে প্রতি সপ্তাহে নিয়ম মাফিক, তার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি জরুরি। আগাছা পরিষ্কার করা, পুকুরের জল যাতে পরিষ্কার থাকে, সেদিকে নজর রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। ম্যালেরিয়া রোগ সম্পর্কেও সচেতনতা প্রসার জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায় আক্রান্তকে দ্রুত চিহ্নিত করা। বারবার জ্বর আসা, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শারীরিক পরীক্ষা করানো দরকার। যাতে রোগ চিহ্নিত সহজ হয়। পরিবারের কেউ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে বাকিদের বাড়তি সতর্কতা নেওয়া দরকার। রোগীকে মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। অন্যদের ও কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে রোগ সংক্রমণ বেশি না ছড়ায়।

  • Vande Mataram: “বন্দে মাতরমকে টুকরো টুকরো করেছিলেন পণ্ডিত নেহরু, তখন থেকেই তোষণ”, তোপ অমিত শাহের

    Vande Mataram: “বন্দে মাতরমকে টুকরো টুকরো করেছিলেন পণ্ডিত নেহরু, তখন থেকেই তোষণ”, তোপ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত বন্দে মাতরম (Vande Mataram) গানের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে সংসদে চলছে বিশেষ আলোচনা পর্ব। সোমবার সূচনা ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন রাজ্যসভায় ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “বঙ্কিমের গানের ভিত্তিভূমি ছিল ভারতের আধ্যাত্মিক ও সংস্কৃতি রাষ্ট্রভক্তি। দেশকে মা বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ব্রিটিশরা যখন বিদেশী সংস্কৃতিকে আমদানি করেছিল সেই সময় বঙ্কিমচন্দ্র ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী’ মন্ত্রের জাগরণ ঘটান। গানে যদুনাথ ভট্টাটার্যের সুর দেওয়ারও ১৫০ বছর হয়েছে।” একই ভাবে লোকসভায় তিনি সোজাসুজি কংগ্রেসকে তোপ দেগে বলেন, “যে গান গাইলে ব্রিটিশরা ভারতীয়দের বন্দি করত, ১৯৭৫ সালে সেই বন্দে মাতরম গান গেয়েই প্রচুর লোককে জেলে ঢুকিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তাই যাঁরা গানের গুরুত্ব বুঝবেন তাঁদের আত্ম সমালোচনা করা উচিত।”

    দেশব্যাপী বিরাট আলোড়ন (Vande Mataram)

    রাজ্যসভায় বন্দে মাতরম (Vande Mataram) গানের সর্বভারতীয় জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “একথা সত্য বঙ্কিমচন্দ্র পরাধীন ভারতের বঙ্গভূমিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আনন্দমঠের উৎপত্তিও বঙ্গভূমিতেই। গান প্রকাশিত হওয়ার বছর ত্রিশের মাথায় সারা দেশব্যাপী বিরাট আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। এমনকি, দেশের বাইরেও এই গান ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েও বন্দে মাতরম গান সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক। আমাদের সেনা বাহিনী যেকোনও অভিযানে এই মন্ত্র উচ্চারণ করে থাকেন। এমনকি কোনও সেনা নিহত হলেও বন্দেমাতরম গানে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।”

    আধ্যাত্মিক রাষ্ট্রবাদের পাঠ

    বন্দে মাতরম (Vande Mataram) গানের আলোচনার প্রাসঙ্গিতাকে তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের পক্ষে থেকে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে লোকসভায়। অভিযোগ, সামনেই পশ্চিমবঙ্গে ভোট তাই ইতিহাসকে প্রাসঙ্গিক করে তোলা হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যসভায় বিরোধীদের অভিযোগকে তুলোধনা করে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “বন্দে মাতরম স্বাধীনতার সময়ে যেমন প্রাসঙ্গিক ছিল বর্তমান সময়েও একই ভাবে প্রাসঙ্গিক। কেউ কেউ বাংলার ভোটের সঙ্গে যুক্ত করে গানের গুরুত্বকে ছোট করছেন। ভারতের এই সংসদ বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী বহন করে চলেছে। এবার বন্দে মাতরম গানকে চিরস্মরণীয় করতে এই আলোচনা। আগামী প্রজন্মকে আধ্যাত্মিক রাষ্ট্রবাদের পাঠ দিতে এই গানের বিরাট ভূমিকা পালন করবে।”

    স্বাধীনতার মন্ত্র

    অমিত শাহ ব্রিটিশ শাসনের অন্যতম খারাপ দিক সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে তোপ দেগে বলেন, “ব্রিটিশ শাসনে শুধু রাজনৈতিক আগ্রাসন ছিল না, এক নতুন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তৈরি করতে চেয়েছিল। আর সেই সময় ভারতীয় সংস্কৃতির ঢাল হয়ে বঙ্কিম রচনা করেন বন্দে মাতরম। তবে তখনকার সময়ে কোনও সামাজিক মাধ্যম ছিল না। শাসকরাও ব্যাপক বাধা দিয়েছিল। এই গান মন্ত্ররূপে সমস্ত জনমানসের মনকে স্পর্শ করে শিহরিত করে তুলেছিল। তাই কীভাবে ভারত মায়ের মুক্তির স্লোগান হয়ে উঠেছিল তাও আগামী প্রজন্মের মানুষকে জানতে হবে। স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল এই গান (Vande Mataram)।”

    তবে এই বঙ্কিমচন্দ্রের গানকে চরম আঘাত হেনেছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বন্দে মাতরম গানের যখন সুবর্ণজয়ন্তী সেই সময় পণ্ডিত নেহরু গানকে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন। গানের শব্দ বুঝতে অভিধানের ব্যবহার করতে হয়েছিল। নেহরু সাফ জানান গানে হিন্দু দেবদেবীর উল্লেখ রয়েছে তাই মুসলিম সমাজের জন্য পরিপন্থী। অমিত শাহ বলেন, “গানকে দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন জওহরলাল নেহরু। গানের মহিমাকে ক্ষুণ্ণ করেছে কংগ্রেস। সেখান থেকেই শুরু তোষণ, আর তার পরবর্তীতে হয় দেশভাগ।”

    দেবী সরস্বতী, লক্ষ্মী, দুর্গা তিন রূপই ভারত

    ১৯৭৫ সালে কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। গানের যখন শতবর্ষ পূর্ণ হয় সেই সময় দেশে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তিনি। বন্দে মাতরম (Vande Mataram) স্লোগান দেওয়া, গান গাওয়া ভারতীয়দের জেলে ভরে ছিলেন। এই গানের সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও কালেই আত্মিকতা ছিল না। তাই অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “আমাদের দেশ অনন্য অসাধারণ। ভারত একমাত্র এমন দেশ যে দেশের সীমান্ত সংস্কৃতি দিয়ে ঘেরা। আমাদের দেশের প্রত্যেক মানুষ এক সুতোতে গাঁথা রয়েছে। আর তাই একতার প্রতীক বন্দে মাতরম। বঙ্কিমবাবু একবার চিঠি লিখে বলেছিলেন আমার সব সাহিত্যকে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিলেও কোনও অসুবিধা নেই। কেবলমাত্র বন্দে মাতরম গান অনন্তকাল ধরে চলবে। এই গানকে ঋষি অরবিন্দ বলেছিলেন নতুন ধর্মমত। ভারত আবার পুনঃনির্মিত হবে। বঙ্কিমের স্বপ্ন স্বার্থক হয়েছিল। ভারত শুধু কয়েক হাত জমি নয়, ভারত ভূমি হল মায়ের স্বরূপা। দেবী সরস্বতী, লক্ষ্মী, দুর্গার তিন রূপই ভারত মাতা। আমাদের সমৃদ্ধি, সুরক্ষা, জ্ঞান সবটাই ভারত মায়ের কৃপা। বিরাট সংকল্প ছিল ভারতের এই গানে।”

  • PM Modi Advised NDA: দেশ এখন ‘রিফর্ম এক্সপ্রেস’ পর্যায়ে! জনসাধারণের জীবনকে সহজ করতে সাংসদদের বিশেষ নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi Advised NDA: দেশ এখন ‘রিফর্ম এক্সপ্রেস’ পর্যায়ে! জনসাধারণের জীবনকে সহজ করতে সাংসদদের বিশেষ নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ এখন পূর্ণমাত্রায় ‘রিফর্ম এক্সপ্রেস’ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার এনডিএ সংসদীয় সদস্যদের (PM Modi Advised NDA) সঙ্গে বৈঠকে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্রুত, উদ্দেশ্যনিষ্ঠ এবং নাগরিককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনই এই পর্যায়ের মূল বৈশিষ্ট্য বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, সরকারের সংস্কার উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি বা রাজস্ব বাড়ানো নয়; মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করা। ইন্ডিগো বিপর্যয়ের আবহে সংসদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘নিয়ম মানুষের ভালোর জন্য, হেনস্তার জন্য নয়।’

    জনসাধারণের জীবন সহজ করুন

    এনডিএ সংসদীয় দলের বৈঠক বসে মঙ্গলবার। এনডিএ সংসদীয় দলের (NDA Parliamentary Party Meet)  এই বৈঠকে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানান এনডিএ সাংসদরা। এই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র জয়ের জন্য সকল এনডিএ নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সমস্ত এনডিএ সাংসদকে তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার জন্য কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। জনসাধারণের জীবনযাপন সহজ করতে এবং তাঁদের যাতে কোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সকল ক্ষেত্রে সংস্কারের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সাংসদদের যুব সমাজের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের আহ্বানও জানান। এই নির্দেশনার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এনডিএ সংসদীয় দলের এটি একটি খুব ভালো বৈঠক ছিল।”

    আইন মানুষের সুবিধার জন্য

    সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে (PM Modi Advised NDA) বার্তা দিয়েছেন মোদি। কিরেন বলেন, “মানুষের যাতে দুর্ভোগ না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। নিয়মবিধি যা রয়েছে, তা সবই ভালো। কিন্তু এই সব নিয়মবিধি বানানো হয় গোটা ব্যবস্থাকে আরও ভালো করার জন্য। মানুষকে হেনস্তা করতে নয়।” কিরেনের সংযোজন, “প্রধানমন্ত্রী খুব স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, এমন কোনও নিয়মকানুন থাকা উচিত নয়, যার কারণে মানুষের সমস্যা হতে পারে। আইন মানুষের সুবিধার জন্য, বোঝা হওয়ার জন্য নয়।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্ডিগো বিপর্যয়ের আবহে এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে এই বার্তার মধ্য দিয়ে আদতে মোদি প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিলেন, আইনকানুনে কোনও ভুল নেই। ভুল সেই সব আইনকানুনের প্রয়োগে হয়েছে।

    আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করুন

    সংসদীয় সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী এনডিএ সাংসদদের (NDA Parliamentary Party Meet) বলেন, “নাগরিকদের প্রতিদিনের সমস্যাগুলো দূর করাই আমাদের লক্ষ্য, যাতে তারা নিজেদের পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে পারেন।” মোদি অনুরোধ করেন, বাস্তবিক পর্যায়ে মানুষ যে সমস্যাগুলো সাংসদদের কাছে তুলে ধরছেন, সেগুলো যেন দ্রুত সরকারের নজরে আনা হয়। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ফরম পূরণ, বারবার একই নথি জমা দেওয়ার মতো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতেই সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানুষের দরজায় সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং বিভিন্ন দফতরে একই তথ্য বারবার জমা দেওয়ার প্রয়োজন দূর করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

    যুব সমাজের সঙ্গে সংযোগ তৈরিতে জোর

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সেবা ও প্রকল্পে স্ব-প্রত্যয়ন (self-certification) চালুর সিদ্ধান্ত ছিল নাগরিকদের ওপর সরকারের আস্থার বহিঃপ্রকাশ—এবং গত দশ বছরে এর অপব্যবহার নগণ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইজ অব লিভিং এবং ইজ অব ডুয়িং বিজনেস—উভয়ই সরকারের নীতির কেন্দ্রবিন্দু। চলমান সংস্কারগুলো শাসনব্যবস্থাকে আরও দ্রুত, সহজ ও স্বচ্ছ করে তোলার পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারে সুবিধা পৌঁছে দিতে সহায়ক হবে। রিজিজুর বক্তব্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বিহারসহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর উন্নয়নমূলক কাজে কীভাবে এগোতে হবে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশও প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের আইন যাতে মানুষের কাজে লাগে, সে ভাবে সকলকে কাজ করতে হবে। দেশের নাগরিকেরা যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, সে দিকে সাংসদদের নজর দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মোদি। দেশের যুব সমাজের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ তৈরির কথাও শোনা গিয়েছে মোদির মুখে।

    এবার লক্ষ্য বাংলা জয়

    সামনেই ২০২৬ এর নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal Assembly Election) বিজেপি এবার ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। সূত্রের খবর, এদিন এনডিএর সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন বিহার জয়ের পরবর্তীতে এবার তাদের একমাত্র লক্ষ্য বাংলা জয়। শুধু তাই নয়, তিনগুণ বেশি করে কাজ করার জন্য সাংসদদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। আর সেখানেই এনডিএর সমস্ত সাংসদদের নিয়ে আগামী দিনের রূপরেখা সংক্রান্ত বার্তা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • SIR: ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ ঠিক করতে বিএলও-দের কড়া বার্তা কমিশনের, বেঁধে দেওয়া হল ডেডলাইন

    SIR: ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ ঠিক করতে বিএলও-দের কড়া বার্তা কমিশনের, বেঁধে দেওয়া হল ডেডলাইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরকে নির্ভুল করতে বিএলও-দেরকে আরও কড়া বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। এসআইআর-এর কাজে (SIR) সময়ের মধ্যে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ শুধরে নিতে বিএলও-দের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সঙ্গে সতর্কবার্তা— যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভুলকে ঠিক না করা হয়, তাহলে সেগুলিকে ইচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সেক্ষেত্রে বিএলও-দের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই নিয়ে কাজের অতিরিক্ত চাপের জন্য তৃণমূল সমর্থিত বিএলওরা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিকবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। অপর দিকে বিজেপির তরফে অভিযোগ, এক শ্রেণির বিএলওরা প্রত্যক্ষভাবে শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন। মৃত, অবৈধ ভোটার এবং স্থানান্তরিত হয়েছে এমন ভোটারদের নাম রেখে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভুল কাজ করলে কমিশন (Election Commission) কড়া অবস্থান নেবে বলে এখন থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে।

    বিএলওরা ভুল প্রসঙ্গ কানে দেননি

    কাজের চাপ এবং স্বচ্ছতার কথা ভেবে (Election Commission) এনুমারেশন ফর্ম (SIR) দেওয়া এবং সংগ্রহের জন্য এক সপ্তাহ সময় বাড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সময়ে কাজ করতে না পারার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বিএলও অসুস্থ এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তাই সকল বিষয়কে মাথায় রেখে ফর্ম জমা করার কাজকে ৪ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিন বাড়িয়ে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে এসআইআর-এ যদি কোনও ভুল ধরা পরে, তাহলে এই ভুলকে অনিচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে ধরা হবে। সময়ের মধ্যে তা শুধরে নেওয়ার সুযোগও পাবেন বিএলও-রা। কিন্তু, তার পরে হলে, তা ইচ্ছাকৃত ভুল বলে ধরা হবে। কমিশন কোনও ভাবেই কাজের ভুলকে সাধারণ ভুল হিসেবে গ্রহণ করবে না। তবে আগেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রোল অবজার্ভাররা বহু বিএলও-কে নিজেদের ভুল ঠিক করে নিতে বলেছিলেন। প্রয়োজনে রিপোর্টও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বিএলওরা কোনও ভাবেও কানে দেননি। এই অবস্থায় কমিশনের তরফ থেকে সরাসরি বার্তা এসেছে। অপর দিকে বাংলার এসআইআর কাজকে আরও গতি দিতে পাঁচজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন।

    খসড়া বের হলে কমিশনের পদক্ষেপ

    কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রোল পর্যবেক্ষকরা (SIR) একাধিক বিএলওকে সতর্ক করেছে। কিন্তু কোথাও কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ভুল কাজের কোনও রকম সংশোধন করা হয়নি। এরপর অনিচ্ছাকৃত ভুল শুধরে নেওয়া হয়নি। আগামী ১১ ডিসেম্বর খসড়া লিস্ট প্রকাশ হলে কমিশন কী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাই এখন দেখার।

  • PM Modi on Vande Mataram: “মমতা কিছুই করেননি, মোদিজির কাছে কৃতজ্ঞ”, বন্দে মাতরম নিয়ে অকপট বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপৌত্র

    PM Modi on Vande Mataram: “মমতা কিছুই করেননি, মোদিজির কাছে কৃতজ্ঞ”, বন্দে মাতরম নিয়ে অকপট বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপৌত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘অবহেলা করার’ অভিযোগ তুললেন তাঁরই প্রপৌত্র সজল চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০তম বার্ষিকী উদযাপন -এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi on Vande Mataram) তাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সজল। তাঁর কথায়, এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। তিনি আরও বলেন যে দিল্লি থেকে যদি কেউ আসেন, যেমন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি আধিকারিক, তাঁরা সবসময় পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, তাঁদের খোঁজখবর নেন এবং ‘বন্দে মাতরম’ গানটিকে প্রচার করার জন্য বিভিন্ন ভাবনাচিন্তা আলোচনা করেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের একবারও আমন্ত্রণ জানাননি।

    বাংলায় অবহেলিত বঙ্কিমচন্দ্র

    সোমবার এক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে সজল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একজন প্রতীকী নাম। তিনি ব্রিটিশদের উপর চাপ তৈরি করে রেখেছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকার (কংগ্রেস) না বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দিয়েছে, না তাঁর কাজকে। এমনকী, ওরা এখনও একই রকম অবহেলা করে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ওরা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম ব্যবহার করেছে। অবশ্য বলে রাখা প্রয়োজন, এখনকার কেন্দ্রীয় সরকার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দেয়। তবে বাংলার সরকার সেই একই রকম রয়েছে।” এ বছরে ‘বন্দে মাতরম’ স্তোত্রর ১৫০ বছর পূর্তি উদযাপন হচ্ছে। বছরভর জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা নিয়ে যদুনাথ ভট্টাচার্যের সুরারোপিত এই গানের ১৫০ বছর পূর্তি পালন করা হবে। সোমবারই সংসদে ‘বন্দে মাতরম’ রচনার ১৫০ বছর উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে বিঁধলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রপৌত্র সজল চট্টোপাধ্যায়।

    মুখ্যমন্ত্রীর এটা আগে করা উচিত ছিল

    রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের তৈরি হওয়া তাঁর ভাল সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন সজল। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা যে তাঁর মাঝে মধ্যেই খোঁজ নেন সেটাও জানিয়েছেন তিনি। সজল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০১৮ সালে অমিত শাহ আমাদের কলকাতার বাড়িতে এসেছিলেন। তখন তো এখানে কোনও নির্বাচন ছিল না। তিনি তাও এসেছিলেন। রাজ্য সরকারের মানসিকতা আমি বুঝতে পারি না।” রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে সজল বলেন, “এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। আমি এর জন্য নরেন্দ্র মোদিকে স্যালুট জানাই। বন্দে মাতরমকে জাতীয় মন্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই মন্ত্রটি জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িয়ে ছিল। আমার প্রপিতামহের জন্য এখন পর্যন্ত কেউ কিছু করেনি। এমন একটা সময়ে যখন পরবর্তী প্রজন্ম এই (বন্দে মাতরম) গানটি ভুলে যাচ্ছে, তখন মোদিজি যা করেছেন তা খুবই ভালো। আমি গর্বিত বোধ করছি। উনি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এখনও পর্যন্ত কিছুই করেননি; ওনার এটা আরও আগে করা উচিত ছিল। উনি মুখ্যমন্ত্রী; এত ক্ষমতা দিয়ে উনি এটা করতেই পারতেন। এই সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চেষ্টাই করা হয়নি।”

    কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই

    তিনি জানান যে, তিনি কোনও রাজনৈতিক কারণ দেখাচ্ছেন না, শুধু নিজের সত্যিটা তুলে ধরছেন। তাঁর কথায়, “আমরা রাজনৈতিক মানুষ নই। আমরা রাজনীতি করি না। আমরা শুধু সত্যি কথা বলি।” তিনি বলেন যে তিনি শুধু চান ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে জানুক এবং তাঁর অবদানের মূল্য দিক। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভারতের প্রথম স্নাতক ছিলেন, কিন্তু দেশে এখনও তাঁর নামে কিছুই নেই। সোমবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রপৌত্র বলেন, “আমাদের বঙ্কিম ভবন এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় চাই। সংসদে প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত বাজে, এটা মৌখিক ভাবে হয়। তারপর ‘বন্দে মাতরম’ বাজে, কিন্তু সেটা হয় শুধু সুরের মাধ্যমে অর্থাৎ ইনস্ট্রুমেন্টাল। আমাদের দাবি, এটাও গাইতে হবে।”

    ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভুলে যাচ্ছে বঙ্কিমচন্দ্রকে 

    দিল্লিতে দেশের আইনসভায় বঙ্কিমচন্দ্রকে নিয়ে এত আলোচনা হলেও লেখকের প্রপৌত্রের অভিযোগ, নিজের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গেই বঞ্চিত ‘আনন্দমঠের’ লেখক। তাঁর দাবি, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বা ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন সেজন্য তিনি কৃতজ্ঞ। কিন্তু রাজ্য সরকার বঙ্কিমচন্দ্র বা তাঁর পরিবারকে কোনওদিন উপযুক্ত সম্মান দেয়নি। তা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে লেখকের প্রপৌত্রের আরও দাবি, অনেক লেখক, সাহিত্যিকের নামে রাজ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্য়ালয় রয়েছে। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্রের নামে কোনও প্রতিষ্ঠান নেই। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অবদান দেশের এবং রাজ্যের মানুষ ভুলে যাচ্ছে। সাহিত্য সম্রাটের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করা যায় না?  বঙ্কিম ভবন কোথায়? নেই। অথচ থাকা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার যদি তা করতে উদ্যোগী হয় তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে বন্দেমাতরম কী, কেন লেখা হয়েছিল ইত্যাদি। যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থাকে, তাহলে সেখানকার পড়ুয়ারাও বঙ্কিম চর্চা করতে পারবেন।

  • SIR In Bengal: মৃত্যুহীন বুথ ২২০৮ থেকে নামল ২টিতে! বাংলার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নামের সংখ্যা বাড়ল

    SIR In Bengal: মৃত্যুহীন বুথ ২২০৮ থেকে নামল ২টিতে! বাংলার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া নামের সংখ্যা বাড়ল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ প্রায় শেষের পথে। ১৬ ডিসেম্বর এসআইআর-এর (SIR In Bengal) খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। বাংলায় ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের আবহে এখনও পর্যন্ত বাদ যেতে পারে ৫৬ লাখেরও বেশি ভোটারের নাম। সোমবার পর্যন্ত এই তথ্যই জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এই সংখ্যাটা বাড়ছে।

    ৫৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৩১ জনের নাম বাদের তালিকায়

    নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৩১ জনের নাম বাদের তালিকায় চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৪৫। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটার ১৯ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬২৯, নিখোঁজ ভোটার ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭১০, ডুপ্লিকেট ভোটার ১ লক্ষ ৩২ হাজার ২১৫, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৮৩২। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও একাধিক জেলায় এখনও আনকালেক্টেবল ফর্মের সংখ্যা আপলোড করা হয়নি। এই আবহে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হতে হতে আনকালেক্টবল ফর্মের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত, মূলত চারটি ক্ষেত্রে একটি ফর্ম ‘আনকালেক্টবল’ থাকে। যদি কোনও ভোটারের মৃত্যু হয়ে থাকে, দ্বিতীয়ত যদি কোনও ভোটারের দুই জায়গায় ভোটার কার্ড থাকে, তৃতীয়ত যদি কোনও ভোটার নিখোঁজ থাকেন এবং চতুর্থ হল যদি কোনও ভোটার পাকাপাকিভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়ে যান।

    মৃত্যুহীন বুথ নামল মাত্র ২ টিতে

    অন্যদিকে, রাজ্যের মোট দু’হাজারেরও বেশি বুথে কোনও ‘মৃত’ ভোটার নেই বলে জানা গিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, ২ হাজার ২০৮টি পোলিং স্টেশনে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত কিংবা ডুপ্লিকেট ভোটারের খোঁজ মেলেনি। তার ফলে পূরণ করা সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম ফেরত আসে। এই অবাক করা তথ্য সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। রিপোর্ট চায় তারা। এরপর ২২০৮টি যে বুথ ছিল সেটা কমতে কমতে এসে দাঁড়াল ২টি বুথে। প্রথমে ২,২০৮, দ্বিতীয়বার ৪৮০, তৃতীয়বার ২৯, চতুর্থবার ৭ ৭-এর পর এবার মৃত্যুহীন বুথ নামল মাত্র ২টিতে! শুধুমাত্র হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরেই এই বুথ রয়েছে। যেখানে কোনও মৃত, স্থানান্তরিত হওয়া, ডুপ্লিকেট ভোটার নেই। অর্থাৎ, গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচন কমিশন যে ভুল-ত্রুটি শুধরে নেওয়ার কথা বলছিল বারবার, সেই প্রক্রিয়া চলছে।

    বিজেপি-নেতৃত্বের কথাই ঠিক প্রমাণিত

    ২২০৮টি বুথে কোনও ‘আন-কালেক্টবল’ ফর্ম নেই, এ বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপি নেতারা। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, “আমি শুধু একটা কথাই বলব, যদি কেউ মরতে না চান, যদি সারাজীবন বেঁচে থাকতে চান, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসুন। নিশ্চিতভাবে বেঁচে থাকবেন। ২০০০-এর উপর বুথে কোনও মৃত্যু হয়নি, কেউ অন্য কোথাও যায়নি, এটাই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। অদ্ভুত এক ভূতুড়ে জায়গা। আর জেলা প্রশাসন হচ্ছে গেছো ভূত।” বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা আমাদের পিসি সরকারের ম্যাজিক। আমাদের যে পিসির সরকার…অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ওই সমস্ত এলাকায় কেউ মারা যায় না। পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষকে বলব ওই এলাকাতেই, সবাই নিজের নিজের জেলায় যে বুথে কেউ মারা যায়নি, সেই বুথে ভোটার তালিকায় নাম লেখান। যাতে কেউ মারা না যান। ওখানে গেলে আপনারা অমরত্ব লাভ করবেন।” এনিয়ে পাল্টা দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু দেখা গেল বিজেপি-নেতৃত্বের কথাই ঠিক হলো।

LinkedIn
Share