Tag: madhyom bangla

madhyom bangla

  • Arijit Singh: জনপ্রিয়তায় শীর্ষে! অরিজিতের টেক্কা হলিউডের তারকাদের

    Arijit Singh: জনপ্রিয়তায় শীর্ষে! অরিজিতের টেক্কা হলিউডের তারকাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলিউডের তাবড় তারকাদের পিছনে ফেললেন বাংলার গায়ক অরিজিত্‍ সিং (Arijit Singh)। সঙ্গীত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাইয়ে ফলোয়ারের সংখ্যায় তিনিই এখন বিশ্বের সেরা শিল্পী। ২০২৫ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত অরিজিৎ সিংয়ের ফলোয়ারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫১ মিলিয়ন, যা তাকে টেলর সুইফট, এড শিরান, বিলি আইলিশ, এমনকী কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের চেয়েও এগিয়ে দিয়েছে।

    জনপ্রিয়তার নিরিখে কোথায় কারা

    ২০১৯ সালে ভারতে এসেছে স্পটিফাই। ছয় বছর সময় পেয়েছেন ভারতের শিল্পীরা। তার মধ্যে অরিজিত্‍ (Arijit Singh) যেভাবে এশিয়া থেকে উঠে এলেন তালিকার শীর্ষে, তা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। অরিজিৎ সিংয়ের অনুষ্ঠান মানেই মানুষের উপচে পড়া মানুষের ভিড়। তাঁর গানের মূর্ছনায় মুহূর্তে ভাসেন অনুরাগীরা। তাঁর গান যেমন আনন্দ দেয়, তেমনই অবলীলায় আবেগে ভাসাতে পারে। বিশ্বের সংগীতমঞ্চে ইতিহাস গড়লেন অরিজিৎ সিং। আন্তর্জাতিক পপ আইকনদের পিছনে ফেলে স্পটিফাই (Spotify)-র সবচেয়ে বেশি ফলোয়ারের মালিক এখন বাংলার ছেলে! এই মুহূর্তে স্পটিফাই-তে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৫১ মিলিয়ন—যেখানে আমেরিকান সুপারস্টার টেলর সুইফট রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে (১৩৯.৬ মিলিয়ন) এবং ব্রিটিশ গায়ক এড শিরান তৃতীয় (১২১ মিলিয়ন)। সপ্তাহের শুরুতেই চার্টমাস্টার্স (Chartmasters) এবং ভোল্ট।এফএম (Volt.fm)-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বিলি আইলিশ (১১৪ মিলিয়ন), আর পঞ্চম স্থানে দ্য উইকেন্ড (১০৭.৩ মিলিয়ন)। এই শীর্ষ দশের তালিকায় আছেন আরও কিছু হেভিওয়েট নাম—আরিয়ানা গ্র্যান্ডে, এমিনেম, ড্রেক, ব্যাড বান্নি এবং জাস্টিন বিবার।

    অনুরাগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে

    বিশ্বমানের শিল্পী, জগৎজোড়া খ্যাতি। তবু থাকেন মাটির কাছাকাছি। শিকড়ের টানে মুম্বই ছেড়ে আসেন জন্মভিটে জিয়াগঞ্জে। সেখানেই দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার। সাফল্য ও অর্থ নাকি মানুষের মাথা ঘুরিয়ে দেয়। কিন্তু সেখানেই সকলের থেকে আলাদা অরিজিৎ (Arijit Singh)। তাঁকে নিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন সমসাময়িকরা। অর্থ, প্রতিপত্তি কম নেই, কিন্তু দেখনদারি নেই অরিজিতের। জিয়গঞ্জের বাড়ি ছাড়া নাভি মুম্বইয়ে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট আছে তাঁর এ ছাড়াও প্রায় ৩ কোটির গাড়ি রয়েছে। যদিও অধিকাংশ সময় স্কুটি করেই ঘুরতে দেখা যায় তাঁকে। পোশাকেও নেই কোনও বাহুল্য। মাটির কাছাকাছি থাকতেই ভালবাসেন গায়ক। ২০২৪ সালে অরিজিৎ সিংয়ের গাওয়া কেশরিয়া, তুম কেয়া মিলে, ধুন, জানে তু গানগুলো স্থান পেয়েছে বছরের সর্বাধিক স্ট্রিমিং হওয়া গানের তালিকায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

  • Delhi News: দিল্লিতে ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালাল মৌলবাদীরা, ছিনতাই করা হল টাকা-মোবাইল

    Delhi News: দিল্লিতে ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালাল মৌলবাদীরা, ছিনতাই করা হল টাকা-মোবাইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi News) সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ। একদল মৌলবাদী এই হামলা চালিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা গেছে, গত ৪ জুলাই সাংবাদিক সুপ্রিয়া পাঠক এবং তাঁর ক্যামেরাম্যান স্যামের উপর হামলা চালায় একটি দল। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির সীমাপুরি থানা এলাকার বেঙ্গলি মার্কেট অঞ্চলে। অভিযোগ, সেখানে সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছিল। এই বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়েছিলেন (Journalist) সুপ্রিয়া ও স্যাম। সেই সময়েই তাঁদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালানো হয়।

    জিনিসপত্র লুটও করে তারা (Delhi News)

    ঘটনার ফলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। আহত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, আচমকাই বেশ কয়েকজন বোরখা পরা মহিলা এবং কিছু অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর তাঁদের উপর নির্মমভাবে হামলা চালায়। তাঁদের ক্যামেরা, মোবাইল, মাইক, নগদ টাকা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার (Delhi News) হয়নি। সোমবার সন্ধ্যাবেলায় দুই সাংবাদিক বেঙ্গলি বস্তির কাছাকাছি যান। দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় সরকারি জমি দখল, অনুপ্রবেশকারী এবং বেআইনি নির্মাণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছিল। অভিযোগ, সেই এলাকায় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বসবাস রয়েছে।

    ২০০ জনের দল হামলা চালায়

    প্রথমে প্রায় ২০-৩০ জনের একটি দল সাংবাদিকদের (Journalist) বাধা দেয়। এরপর সেই সংখ্যা দ্রুত বেড়ে প্রায় ২০০ জনে পৌঁছায়। তাদের হাতে ছিল লাঠি ও অন্যান্য অস্ত্র। তারা লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উপর হিংস্র আক্রমণ চালায়। সুপ্রিয়া পাঠকের উপর বিশেষভাবে চড়াও হয় তারা এবং তাঁর মোবাইল, ক্যামেরা, মাইকসহ যাবতীয় সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয়। সাংবাদিকরা একটি বাসে উঠতে (Delhi News) চাইলেও হামলা থেমে থাকেনি। হামলাকারীরা বাসের জানলা ভেঙে ফেলে এবং বাসের মধ্যেও তাদের উপর হামলা চালাতে থাকে। অভিযোগ, বাসমালিক সাংবাদিকদের (Journalist) সাহায্য না করে উলটে তাঁদের জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেন। এই ঘটনার একাধিক ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার জেরে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

  • CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    CBI: শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর! আদালতের নির্দেশে তিন বিজেপি কর্মীর খুনের তদন্তভার নিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তভার শেষমেশ গ্রহণ করল সিবিআই। ওই ঘটনায় তিন বিজেপি কর্মীর খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল দুষ্কৃতী শাহজাহান শেখের নাম। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই (CBI)। শনিবার এই তথ্য সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

    ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

    গত ৩০ জুন কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, সন্দেশখালির তিন বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করবে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিবিআইকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের নির্দেশও দেন। ওই তিন বিজেপি কর্মী—প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডল। ২০১৯ সালের ৮ জুন এঁরা খুন হন বলে অভিযোগ।

    শাহজাহানের বাড়িতে ইডি

    প্রাথমিক চার্জশিটে শাহজাহান শেখের নাম থাকলেও, পরবর্তী সময়ে সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ (CBI) করলে তাঁর নাম বাদ পড়ে বলে দাবি নিহতদের পরিবারের। নিহতদের পরিবারগুলোর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয় । উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আরেকটি খুনের মামলার চার্জশিটেও শাহজাহানের নাম ছিল, কিন্তু পরে তিনি জামিন পান।
    ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে (CBI) রেশন দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চালাতে গিয়ে শাহজাহানের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিক ও আধাসেনা জওয়ানরা ‘আক্রান্ত’ হন বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির আন্দোলন

    এই ঘটনার কিছুদিন পর থেকেই সন্দেশখালির বহু বাসিন্দা শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সরব হতে থাকেন। অভিযোগ ওঠে, স্থানীয়দের কৃষিজমি জোর করে দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে, সেই ভেড়ির লিজের টাকা প্রাপ্যদের দেওয়া হয়নি, এবং একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁরা জড়িত। এছাড়াও, এলাকায় মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় (CBI)। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় বিজেপি-সহ একাধিক বিরোধী দল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে অংশ নেয়। এই চাপের মুখেই তৃণমূল কংগ্রেস শাহজাহান শেখকে দল থেকে সাসপেন্ড করে।

  • Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    Amit Shah: ফৌজদারি ক্ষেত্রে নয়া আইন, দেশের বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সংস্কার, জানালেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় আনা সবচেয়ে বড় সংস্কার হিসেবে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইনের প্রশংসা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) মঙ্গলবার বলেছেন, দেশজুড়ে এই নতুন আইনগুলি পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার পর, এফআইআর দায়েরের তিন বছরের মধ্যেই বিচার নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। নতুন তিনটি আইন—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (BNSS) এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন (BSA)—২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এই আইন তিনটি যথাক্রমে ঔপনিবেশিক যুগের ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC), ফৌজদারি কার্যবিধি (CrPC) এবং ১৮৭২ সালের ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করেছে।

    তিন বছরের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে এবার জানালেন শাহ (Amit Shah)

    দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “এই তিনটি আইন এক ধরনের রূপান্তর আনতে চলেছে আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায়। এতদিন এই ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা ছিল বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা না থাকা। আমি ভারতের প্রতিটি নাগরিককে (New Criminal Law) আশ্বস্ত করতে চাই যে, আগামী তিন বছরের মধ্যে নতুন আইনগুলির পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে এবং তারপরে, কোনও এফআইআর দায়ের হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে তার বিচার নিষ্পত্তি হবে—এটি নিশ্চিত করা হবে।”

    ভারত মণ্ডপমে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    রাজধানীর ভারত মণ্ডপমে (Amit Shah) ভাষণ দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “এই সংস্কার প্রতিটি নাগরিকের অধিকারকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। এটি তাঁদের নিরাপত্তার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, সময়োপযোগী এবং সহজলভ্য করে তোলাই এই সংস্কারের মূল লক্ষ্য। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এটাই দেশের সবচেয়ে বড় আইনি সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে।” তিনি আরও জানান, এই আইনগুলির প্রণয়নের (New Criminal Law) পেছনে ছিল বিস্তৃত পরামর্শ, বহু বিশেষজ্ঞের মতামত ।

  • Indore: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে লাভ জেহাদের অভিযোগ, পলাতক নেতার মাথার দাম ১০ হাজার

    Indore: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে লাভ জেহাদের অভিযোগ, পলাতক নেতার মাথার দাম ১০ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানা প্রলোভনে হিন্দু মহিলাদের (Hindu Girls) ফাঁদে ফেলে তাঁদের ‘লাভ জিহাদ’-এর শিকার বানানোর অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের এক কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই কংগ্রেস কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস কাউন্সিলরের নাম আনোয়ার কাদরী। ইতিমধ্যেই তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর মাথার দাম মধ্যপ্রদেশ (Indore) প্রশাসন ১০,০০০ টাকা ঘোষণা করেছে। তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।

    কী বলছেন মধ্যপ্রদেশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ?

    এ নিয়ে মধ্যপ্রদেশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ রাজেশ দন্দিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনায় আনোয়ার কাদরী অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার (Indore) অভিযোগে ওয়ান্টেড ঘোষণা করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।

    স্থানীয়ভাবে ‘আনোয়ার ডাকাত’ নামে পরিচিত কাদরি (Hindu Girls)

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস কাউন্সিলর আনোয়ার কাদরী একাধিক অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত — এজন্য তাঁকে ‘আনোয়ার ডাকাত’ নামেও ডাকা হয়। ‘লাভ-জিহাদ’ অভিযানে অর্থায়ন এবং একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার নাম (Indore) আসার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন আনোয়ার। উল্লেখযোগ্যভাবে, আনোয়ার কাদরী তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাহিল শেখ এবং আলতাফ খানকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রদান করেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, এই অর্থ মূলত ব্যবহৃত হত হিন্দু সম্প্রদায়ের তরুণী ও মহিলাদের নানা প্রলোভনের মাধ্যমে ফাঁদে ফেলার কাজে। সাহিল এবং আলতাফ ওই অর্থের সাহায্যে পরিকল্পিতভাবে মহিলাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলতেন এবং পরবর্তীতে তাদের বিয়ে করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতেন বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, লাভ জিহাদের মূল উদ্দেশ্য হল, ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নারীদের টার্গেট করা। এই কার্যকলাপের পেছনে আনোয়ার কাদরীর প্রত্যক্ষ অর্থায়ন ও মদত ছিল বলেই তদন্তকারীদের ধারণা।

  • BrahMos Strike: ‘স্রেফ ৩০ সেকেন্ড সময় ছিল’! ব্রহ্মস হামলায় কাঁপে পাক সেনার ‘নার্ভ সেন্টার’, স্বীকার শেহবাজের উপদেষ্টার

    BrahMos Strike: ‘স্রেফ ৩০ সেকেন্ড সময় ছিল’! ব্রহ্মস হামলায় কাঁপে পাক সেনার ‘নার্ভ সেন্টার’, স্বীকার শেহবাজের উপদেষ্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময় চাপে ছিল পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। এতদিনে সেই কথা মানলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বিশেষ উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ভারতের নিক্ষিপ্ত ব্রহ্মস সুপারসনিক মিসাইল (BrahMos Strike) যখন পাকিস্তানের চট্টগ্রামের নুর খান এয়ারবেসে আঘাত হানে, তখন পাকিস্তানের কাছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড। মিসাইলটি পারমাণবিক কিনা তা নির্ধারণ করাই ছিল লক্ষ্য।

    ব্রহ্মস আক্রমণের প্রেক্ষাপট

    চলতি বছর ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় পাকিস্তান ঘেঁষা সন্ত্রাসীরা ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে। এই ঘটনার জবাবে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় বাহিনী। নিহত হয় ১০০-র বেশি জঙ্গি। পাকিস্তান পাল্টা ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালালে সেগুলি প্রতিহত করে ভারতীয় প্রতিরক্ষা। এরপর ভারত সোজাসুজি পাক সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ব্রহ্মস হামলা চালায়। ৯ মে রাত থেকে ১০ মে ভোর পর্যন্ত একযোগে ১১টি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়— যার মধ্যে ছিল সর্গোধা, রফিকি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চকলালার নুর খান এয়ারবেস।

    কেন এত গুরুত্বপূর্ণ নুর খান ঘাঁটি?

    নুর খান এয়ারবেস পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ভিআইপি ফ্লিট, তুরস্ক থেকে কেনা উন্নত ড্রোন (Bayraktar TB2), এবং স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড সেন্টারের কেন্দ্রবিন্দু। এটি রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদর দফতরের পাশেই। এমন স্পর্শকাতর স্থানে ভারতের এই সুপারসনিক হামলা ছিল নজিরবিহীন।

    ব্রহ্মসের গতি এবং পাকিস্তানের বিভ্রান্তি

    ব্রহ্মস একটি ইন্দো-রাশিয়ান যৌথভাবে তৈরি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এটি মাক ২.৮–৩.০ (প্রায় ৩৪৫০ কিমি/ঘণ্টা) গতিতে ছুটে আসে এবং মাটির কাছাকাছি উড়ে আসায় সহজে ধরা যায় না। রানা সানাউল্লাহ বলেন, “এই মিসাইল যদি পারমাণবিক হতো, পাকিস্তানের সামনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ছিল মাত্র ৩০ সেকেন্ড। পরিস্থিতিটা ছিল সত্যিই ভয়ানক।” তিনি এটিকে বিশ্ব যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করার মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি বলেও মন্তব্য করেন। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, নুর খান ঘাঁটিতে রানওয়ে ভাঙা, হ্যাঙ্গার বিধ্বস্ত, রাডার ইনস্টলেশন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একই ধ্বংসের ছবি দেখা যায় সর্গোধা, ভোলারি, রহিম ইয়ার খান, ও সুক্কুর ঘাঁটিতে। এই হামলায় পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা কার্যত বিপর্যস্ত হয়। পাকিস্তান শুরুতে বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার স্বীকার করেন— “ভারত দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে হামলা করেছে।”

    যুদ্ধবিরতির বিতর্ক

    পাকিস্তান দাবি করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতা করে যুদ্ধবিরতি করান এবং তাঁকে শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার কথাও বলেন রানা সানাউল্লাহ। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক তা খণ্ডন করে জানায়, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন (DGMO) নিজেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠান। আসলে ভারতের হামলায় দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল ইসলামাবাদ। রানা সানাউল্লাহ-এর কথা থেকেই তা স্পষ্ট। তবে পারমাণবিক হামলায় যে আশঙ্কার কথা রানা সানাউল্লাহ উল্লেখ করছেন, তা অমূলক। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র নীতির (No First Use) ভিত্তিতে পাকিস্তানের বোঝা উচিত ছিল, ব্রহ্মসে পারমাণবিক ওয়ারহেড থাকার সম্ভাবনা কম। এই কথা বলে পাকিস্তান পাকিস্তান আন্তর্জাতিকভাবে সহানুভূতি আদায় করতে চাইছে।

    পাকিস্তানের আতঙ্ক

    পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও সম্প্রতি স্বীকার করে নিয়েছিলেন ভারতের ব্রহ্মস মিসাইলে বিপর্যস্ত হয়েছিল পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। যার মধ্যে ছিল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর। আজারবাইজানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, পাক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল ভারত। পাকিস্তান তার আগেই হামলার মতলব কষেছিল। কিন্তু তাদের হতভম্ব করে আগেই হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সব রণকৌশল ব্যর্থ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। এবার সেই পাক আতঙ্কের কথা জানালেন সানাউল্লাহও। এই ব্রহ্মস হামলা পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কতটা অসহায় করে দিয়েছিল, রানা সানাউল্লাহর স্বীকারোক্তি থেকে তা জলের মতো পরিষ্কার।

  • Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    Defence Purchase: ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের! ১ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক কেনাকাটায় ছাড়পত্র কেন্দ্রের, কী কী থাকছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের। আত্মনির্ভর ভারতের ক্ষমতা তাক লাগিয়ে গিয়েছে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিকে। এবার আরও শক্তি বাড়তে চলেছে। এবার সেনাকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন করে আরও অস্ত্র কেনার (Defence Purchase) জন্য তৎপরতা শুরু করল কেন্দ্র। শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (Defence Acquisition Council) দেশীয় উৎস থেকে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা অপারেশন সিঁদুরের পর সামরিক বাহিনীর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।

    কী কী থাকছে কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায়?

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে ডিএসি-র (DAC) বৈঠকে যে যে সামরিক সরঞ্জামের কেনার বিষয়ে ছাড়পত্র মিলেছে, তাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাথায় রেখে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখাকেই (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামরিক কেনাকাটার (Defence Purchase) তালিকায় অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে, ‘ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র’, সাঁজোয়া গাড়ি (আর্মার্ড রিকভারি ভেহিকল্‌) এবং অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন যুদ্ধব্যবস্থার (ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার) উপকরণ। নৌসেনার জন্য আকাশহানা প্রতিরোধী ‘সুপার র‌্যাপিড গান’, মাইন চিহ্নিতকারী জাহাজ এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন ‘সাব-মার্সিবল অটোনোমাস ভেসেল’ রয়েছে এই তালিকায় (Defence Purchase)। দেশেই হবে ১২টি মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল (MCMVs) নির্মাণ। এই জল সুরক্ষা যান তৈরির বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৪৪,০০০ কোটি টাকা। এই ৯০০-১,০০০ টনের বিশেষ যুদ্ধজাহাজগুলি জলের নিচে মাইন নিস্ক্রিয় করতে কার্যকরী, যুদ্ধের সময় বন্দর বা জলপথ অবরোধ করা প্রতিহত করতেও কাজে লাগবে।

    ১০,০০০ কোটি টাকায় তিনটি গুপ্তচর বিমান

    আবার বায়ুসেনার জন্য কেনা হবে (Defence Purchase) বিশেষ গুপ্তচর বিমান। ১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি ইন্টেলিজেন্স, সার্ভেলিয়ান্স, টার্গেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড রিকনেসেন্স (ISTAR) বিমান। ৩৬,০০০ কোটি টাকার কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল (QRSAM) কেনা হবে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এটি তৈরি করবে সেনাবাহিনীর তিনটি রেজিমেন্ট ও বিমানবাহিনীর তিনটি স্কোয়াড্রনের জন্য। এই মিসাইলগুলি অত্যন্ত দ্রুত শত্রুপক্ষের বিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন ধ্বংস করতে পারে, ৩০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে যে কোনও শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে।

  • Good Sleep: সন্ধ্যা ছ’টার পরেই নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা! কোন রোগ রুখতে এই পরামর্শ?

    Good Sleep: সন্ধ্যা ছ’টার পরেই নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা! কোন রোগ রুখতে এই পরামর্শ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নানান শারীরিক জটিলতা। আবার অনেক সময়েই ডায়াবেটিস (Diabetes), উচ্চ রক্তচাপের (High Blood Pressure) মতো জটিল রোগ খুব কম বয়সেও হানা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবন যাপনে কিছু বদল একাধিক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের (Healthy Lifestyle Tips) মধ্যেই দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সূর্যাস্তের পরে কিছু অভ্যাস (Good Sleep) নিয়মিত করলে শরীরে রোগের ঝুঁকি কমে। তাই সন্ধ্যা ছ’টার পরে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কোন বাড়তি সতর্কতার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ ভাবে দীর্ঘ জীবনের জন্য সন্ধ্যার পরে খাদ্য ও পানীয়তে বাড়তি নজরদারি জরুরি। তাই তাঁদের পরামর্শ, সন্ধ্যা ছটার পরে কখনই একাধিকবার কফি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, কফিতে থাকে ক্যাফিন। এই প্রাকৃতিক ক্যাফিন শরীরের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে। সাময়িকভাবে বাড়তি এনার্জির জোগান বলে মনে হলেও এই উপাদান শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত ক্যাফিন অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে ঘুম কম (Good Sleep) হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলেই নানান হরমোন ঘটিত সমস্যা হতে পারে।

    কফিতে নিয়ন্ত্রণের পাশপাশি বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ সন্ধ্যা ছটার পরে অতিরিক্ত ভারি খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি। বিশেষত চর্বিজাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন এবং অতিরিক্ত তেল ও মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের চর্বিযুক্ত খাবার সন্ধ্যার পরে খেলে অন্ত্রের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রাতে খুব উচ্চস্বরে গান শোনার অভ্যাস বিপজ্জনক বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দীর্ঘসময় খুব উচ্চস্বরে গান-বাজনা চললে মস্তিষ্কের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। যার ফলে স্নায়ুর বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    সন্ধ্যার পরের বাড়তি সতর্কতা কোন রোগের ঝুঁকি কমাবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম (Good Sleep), একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নানান রোগের দাপট বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, অপর্যাপ্ত ঘুম। তাই সূর্যাস্তের পরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। নির্দিষ্ট সময়ে যাতে ঘুম হয়। প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম হলে শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্ধ্যার পরে একাধিকবার কফি খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করলে শরীরে স্নায়ু বাড়তি উত্তেজিত থাকবে না। বরং সারাদিনের পরিশ্রমের পরে ঠিকমতো বিশ্রাম (Good Sleep) পাবে।

    রাতের খাবারে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন লিভারের উপরেও বাড়তি চাপ তৈরি করে। আবার হজমের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই রাতে নিয়মিত ভারী খাবার খেলে লিভারের রোগের (Liver Problem) ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রাতে হালকা খাবার খেলে, সহজপাচ্য খাবার খেলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। আবার সহজেই হজমের গোলমাল এড়ানো‌ যায়। বারবার বমি, পেটের অসুখের মতো ভোগান্তিও কমে।

    মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাসের (Memory Loss) মতো সমস্যা এড়াতে সন্ধ্যা ছটার পরে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম (Good Sleep) হলেই মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমবে। কারণ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকলে এবং স্নায়ুর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলেই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় থাকে। পাশপাশি স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকিও কমে‌। তাই বয়স বাড়লে ডিমেনশিয়ার (Dementia) মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পর্যাপ্ত ঘুমের (Good Sleep) দিকে নজরদারি জরুরি‌‌ (Healthy Lifestyle Tips) বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • PM Modi in Trinidad and Tobago: নারী শক্তির প্রশংসা, লারা-নারাইনের গল্প! ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সংসদে অকপট মোদি

    PM Modi in Trinidad and Tobago: নারী শক্তির প্রশংসা, লারা-নারাইনের গল্প! ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সংসদে অকপট মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ভক্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয়রাও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের সমর্থক। শুধু যখন শচিন বনাম লারা খেলা হতো তখন বিষয়টা আলাদা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারের এই ঐতিহাসিক ভাষণে মোদি কূটনৈতিক বন্ধুত্বের পাশাপাশি ক্রিকেটপ্রেমের উল্লেখ করে বলেন, “আমাকে বলতেই হবে, ভারতীয়রা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম উৎসাহী সমর্থক। আমরা তাদের জন্য মনপ্রাণ দিয়ে গলা ফাটাই — শুধু তখন নয়, যখন তারা ভারতের বিরুদ্ধে খেলছে।”

    ভারতীয় স্পন্দনের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান ছন্দ

    ক্রিকেটের মাধ্যমে ভারত ও ক্যারিবিয়ান দেশের বন্ধুত্বের উষ্ণতা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁর মজার মন্তব্যে অধিবেশনকক্ষে হাসি ও করতালির রোল পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বক্তব্যে ভারত ও ত্রিনিদাদ-টোবাগোর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও গণতান্ত্রিক বন্ধনের উল্লেখ করেন। তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানান ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের প্রতি, যাঁরা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তিনি বলেন, “প্রায় ১৮০ বছর আগে দীর্ঘ ও কষ্টকর সমুদ্রযাত্রার পর ভারতীয়রা এই দেশে এসে পৌঁছেছিলেন। সেই ভারতীয় স্পন্দন আজ ক্যারিবিয়ান ছন্দের সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি থেকে কবিতা, ক্রিকেট থেকে বাণিজ্য—সব ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান আজ গর্বের বিষয়।”

    ২৫ বছর আগের ঘটনা

    ক্রিকেটে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে সুগভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি সেখানে পৌঁছনোর পরে ক্রিকেটারদের কথাও উল্লেখ করেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে ক্রিকেট খুব জনপ্রিয়। এখান থেকে অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার এসেছেন। যাঁদের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার ব্রায়ান লারাও রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি ঘটনাও শোনান। তিনি বলেন, “২৫ বছর আগে যখন আমি এখানে এসেছিলাম, তখন সবাই লারার পুল শট, তাঁর কাট শটের প্রশংসা করতে ক্লান্ত হতো না।” প্রধানমন্ত্রী এর পরে পুরান এবং নারাইনেরও প্রশংসা করেন, এই দুজনেই ভারতে হওয়া বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট লিগ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (IPL) খেলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সুনীল নারাইন এবং নিকোলাস পুরান আমাদের যুবকদের মধ্যে উৎসাহ জোগান, সেই থেকে এখনও পর্যন্ত আমাদের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে।”

    নেতৃত্বে নারী শক্তি

    ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর নেতৃত্বে নারী শক্তির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দেশের জনগণ দু’জন অসাধারণ নারী নেত্রীকে তাদের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত করেছেন — রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে গর্বের সঙ্গে পরিচয় দেন।” ত্রিনিদাদ ও টোবাগো সংসদে নারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিতেও খুশি হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই সংসদে এত নারী সদস্য দেখে আমি আনন্দিত। ভারতে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, সংস্কৃতির অন্তর্গত। আমাদের পবিত্র স্কন্দ পুরাণেও বলা হয়েছে — একটি কন্যা সন্তান দশটি পুত্র সন্তানের সমান আনন্দ বয়ে আনে। আমরা আধুনিক ভারতের নির্মাণে নারী শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করছি।” তিনি আরও বলেন, “অন্তরীক্ষ থেকে ক্রীড়া, স্টার্টআপ থেকে বিজ্ঞান, শিক্ষা থেকে উদ্যোগ, বিমান চলাচল থেকে সশস্ত্র বাহিনী — সর্বত্র নারীরা ভারতের ভবিষ্যৎ নির্মাণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।”

    গণতন্ত্রের জয়গান

    এদিন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারতের কাছে গণতন্ত্র শুধু একটি রাজনৈতিক মডেল নয়, বরং একটি জীবনধারা। আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে উপস্থিত বহু সংসদ সদস্যের পূর্বপুরুষ বিহার থেকে এসেছিলেন, যা ছিল মহাজনপদের — প্রাচীন প্রজাতন্ত্রের — কেন্দ্র।” তিনি যোগ করেন, “আমাদের দুই দেশই ঔপনিবেশিক শাসনের ছায়া থেকে উঠে এসে সাহসের কালি ও গণতন্ত্রের কলমে নিজেদের গল্প নিজেরাই লিখেছে।”

    মোদিকে বিশেষ সম্মান

    উত্তর অতলান্তিক সাগরের ছোট্ট দু’টি দ্বীপ! আর তা নিয়েই ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, একটা রাষ্ট্র। সেখান থেকেই বিশেষ সম্মানেও ভূষিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘অর্ডার অফ দ্য রিপাবলিক অফ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো’ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি হলেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রথম বিদেশি নেতা, যিনি এই মর্যাদা পেলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির ঝুলিতে এখন ২৫টি আন্তর্জাতিক সম্মাননা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর রাষ্ট্রপতি ক্রিস্টিন কাঙ্গালু প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার প্রদান করেছেন। পুরস্কার গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি এই সম্মান ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে গ্রহণ করছি। এই পুরস্কার দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের বন্ধনের প্রতীক।” তিনি আরও বলেন, “এই সম্পর্কের মূলে রয়েছে আমাদের যৌথ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, যা ১৮০ বছর আগে এই দেশে আগত ভারতীয়দের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে।” প্রধানমন্ত্রী মোদির এই ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে ভারত ও ত্রিনিদাদ-টোবাগোর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেই আশাবাদী দুই দেশ।

  • Rath Yatra 2025: আজ উল্টোরথ, তিনদিন মন্দিরে প্রবেশ করবেন না প্রভু জগন্নাথ! জানুন বিশেষ রীতি

    Rath Yatra 2025: আজ উল্টোরথ, তিনদিন মন্দিরে প্রবেশ করবেন না প্রভু জগন্নাথ! জানুন বিশেষ রীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার ৫ জুলাই, উল্টো রথের (Rath Yatra 2025) পুণ্য তিথি। আট দিন পর মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দির থেকে এবার ফেরার পালা (Lord Jagannath Homecoming) প্রভুর। আষাঢ় মাসের দশমী তিথিতে শ্রীক্ষেত্র জগন্নাথ ধামে ফিরে আসবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। গত ২৭ জুন তিন দেবদেবী মাসির বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। আট দিন সেখানে কাটিয়ে আজ গুণ্ডিচা থেকে জগন্নাথধামের (Jagannath Dham) পথে তিন দেবদেবী। সেদিন ছিল রথযাত্রা। আজকের গন্তব্য ঠিক উল্টো। তাই ফেরাকে বলা হয় উল্টো রথযাত্রা। আজকের এই ফিরতি যাত্রার মধ্য দিয়েই সম্পন্ন হবে বার্ষিক রথযাত্রা উৎসব (Rath Yatra 2025)। তবে, সারা বিশ্ব এটিকে উল্টো রথ হিসেবে জানলেও, আসলে এর নাম ‘বহুদা যাত্রা’ (Bahuda Yatra)। মন্দিরের সামনে এসেও তিনদিন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। কিন্তু কেন? কেন তিনদিন নিজ গৃহে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে প্রভুকে। এই তিনদিন কোথায় থাকবেন তাঁরা?

    তিন দিন প্রভুর অপেক্ষা

    কথিত আছে, মাসির বাড়ি থেকে ফিরে সহজে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মূল মন্দিরে (Jagannath Temple) প্রবেশের অনুমতি পান না। কারণ তাঁরা দেবীর লক্ষ্মীকে শ্রী মন্দিরে একা রেখেই মাসির বাড়িতে (Rath Yatra 2025) গিয়েছিলেন এবং আনন্দে মেতে ছিলেন। তাই অভিমানী দেবী সটান মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন। সেই থেকে টানা তিন দিন দরজার সামনেই অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। আর এই দিনগুলিতে হয় নানান ধরনের উৎসব।

    তিনদিন মহোৎসব (Bahuda Yatra)

    রীতি অনুযায়ী, মন্দিরের সামনে তিনদিন মহোৎসব পালন করা হয়। উল্টো রথের (Rath Yatra 2025) পরের দিন অর্থাৎ একাদশীতে ‘সুনা বেশে’ পুজো করা হয়। অর্থাৎ, সোনা দিয়ে সাজানো হয় তিন দেব-দেবীকে। তিন দেব-দেবী সোনার বেশভূষায় সজ্জিত হন রথেই। স্বর্ণালংকার পরিয়ে তাঁদের আরাধনা হয়। দ্বিতীয় দিন, দ্বাদশীতে পালন করা হয় ‘অধরপনা’ উৎসব। এই রীতি অনুযায়ী দ্বাদশীর দিন সন্ধ্যাবেলায় জগন্নাথ দেবকে সরবত খাওয়ানো হয়। তৃতীয় দিন হয় রসগোল্লা উৎসব বা ‘নীলাদ্রি ভেজ’। ত্রয়োদশীর দিন পালন করা হয় এই উৎসব। জগন্নাথ দেবকে কয়েকশো হাঁড়ি রসগোল্লা ও ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হয়। এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় তিন দিনের সাজা। তৃতীয় দিনই মূলরত্ন বেদীতে তোলা হয় জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রাকে।

    ‘বহুদা যাত্রা’র মাহাত্ম্য

    পুরীর জগন্নাথ ধামের রথযাত্রা (Rath Yatra 2025) জগদ্বিখ্যাত। বলা বাহুল্য, রথযাত্রার মতো উল্টো রথেও সেখানে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। পুরীর এই উৎসবের অনেক মাহাত্ম্যও রয়েছে। সুভদ্রার (দর্পদলন) রথটি মাঝখানে, তার পরে পশ্চিমে বলভদ্রের (তালধ্বজ) রথ এবং সবশেষে পূর্বে জগন্নাথের (নন্দীঘোষ) রথ। অর্থাৎ, মাঝখানে সুভদ্রা, ডানে জগন্নাথ এবং বামদিকে বলভদ্র। উল্টো রথযাত্রার (Bahuda Yatra) সময় প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার রথগুলি মৌসিমা মন্দিরে থামে। ভগবান জগন্নাথের মাসিকে উৎসর্গ করা মৌসিমা মন্দিরে তিন দেবতাকে ‘পোদা পিঠা’ পরিবেশন করা হয়, যা ভাত, নারকেল, মসুর এবং গুড় সমন্বিত একটি অনন্য সুস্বাদু খাবার। এর পরে, জগন্নাথের রথ গজপতির প্রাসাদের সামনে লক্ষীনারায়ণ ভেতা বা লক্ষ্মীর সমাবেশের জন্য থামে। তারপর রথ টানা হয় এবং তার চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছায়।

    পুরাণ মতে…

    কথিত রয়েছে, মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্নর আমলে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি তৈরি হয়। সেই সময়েই রথযাত্রাও চালু হয়। আবার অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন, রথযাত্রার ইতিহাস আলাদা। ১০৭৮ সালে তৈরি হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) । ১১৭৪ সালে মেরামতি করানোর হয়। তার পরেই নাকি তা বর্তমান জগন্নাথ মন্দিরের চেহারা নেয়। তখন শুরু হয় রথযাত্রা। কপিলা সংহিতা, ব্রহ্ম পুরাণ, পদ্ম পুরাণ ও স্কন্দ পুরাণে রথযাত্রা সম্পর্কে পাওয়া যায় তথ্য। ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ বলছে, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত। সমুদ্রে ভেসে আসা কাঠের খণ্ড দিয়ে তিনি দেবমূর্তি নির্মাণে আদেশ পান। আরও এক সূত্র বলে, তিনি বিষ্ণু মন্দির গড়ার স্বপ্নাদেশ পান। তবে এই মন্দির গড়া নিয়ে ছিল না ধারণা। আদেশ ছিল মূর্তি গড়ার সময়ে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না মন্দিরে। মূর্তি গড়ছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা।

LinkedIn
Share