Tag: madhyom news

madhyom news

  • PM Modi: আরজেডি কংগ্রেসের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পদ নিয়েছে, তোপ মোদির

    PM Modi: আরজেডি কংগ্রেসের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী পদ নিয়েছে, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার নির্বাচনে (Bihar Election) জমজমাট প্রচার সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বিপক্ষ মহাজোটকে নিশানা করে বলেন, “আরজেডি কংগ্রেসকে বন্দুকের মুখে দাঁড় করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদকে ছিনিয়ে নিতে চাইছে।” বিহার নির্বাচনে কংগ্রেস এবং আরজেডির মধ্যে মতভেদকে তুলে ধরে আমজনতাকে এনডিএ সরকারের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেন মোদি। অপারেশন সিঁদুর থেকে মহাকুম্ভ একাধিক বিষয়ে লালুর দলকে আক্রমণ করলেন মোদি।

    মহাজোটে দ্বন্দ্ব চরম শিখরে (PM Modi)

    বিহারের আরাতে একটি নির্বাচনী (Bihar Election) প্রচার সভাতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস আরজেডি নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে চাননি। কিন্তু আরজেডি কংগ্রেসের কানে বন্দুক ঠেকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর পদ দখল করে নিয়েছে। নির্বাচন আবহেই মহাজোটের একাধিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতভেদ এবং ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব চরম শিখরে উঠেছে। ভোটের পরেও তারা একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। আরজেডি নিজেদের নির্বাচনী সংকল্পে কংগ্রেসের দাবিগুলিকে উপেক্ষা করেছে। জোর করে কংগ্রেসের বিষয়গুলিকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। নির্বাচনের আগে যাদের মধ্যে এতো ঝগড়া, নির্বাচনের পরেও তাদের মধ্যে কোন্দল অব্যাহত থাকবে। তাদের বিশ্বাস করলে মস্ত বড় ভুল হবে।”

    অনুপ্রবেশকারীদের কড়া তোপ

    নির্বাচনী প্রচারে (Bihar Election) অপারেশন সিঁদুরের কথা মনে করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “যখন পাকিস্তানে বিস্ফোরণ হয়েছিল, সেই সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারের ঘম ভেঙে গিয়েছিল। পাকিস্তান এবং কংগ্রেস অপারেশন সিঁদুরের ধাক্কা থেকে সেরে উঠতে পারেনি। আরজেডি হিন্দু ভাবাবেগকে সম্মান করে না। মহাকুম্ভকে ‘ফালতু’ শব্দ প্রয়োগ করেছিল। একই ভাবে পবিত্র ছটপুজোকেও। রাজ্যের সম্পদের উপর প্রথম অধিকার বিহারের জনগণের থাকা উচিত, অনুপ্রবেশকারীদের নয়। কংগ্রেস সরাসরি বিআর আম্বেদকরকে অপমান করেছে কারণ তিনি কংগ্রেসের প্রথম পরিবারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন। বাবা সাহেবকে সবচেয়ে বেশি অসুবিধার মধ্যে ফেলেছিল কংগ্রেসের নেতারাই।”

    প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, “আরজেডি বিহারে জঙ্গল রাজ এবং তোষণের রাজনীতি এনেছেকংগ্রেস পরিচালিত ১৯৮৪ সালের শিখ গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল আরজেডি আপনারা ভুলবেন না ১৯৮৪ সালের ১ ও ২ নভেম্বরের দিনগুলিকে। কংগ্রেসের সদস্যরাই দিল্লি এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে কীভাবে শিখদের উপর গণহত্যা চালিয়েছিল।

  • UK Incedent: ইংল্যান্ডের কেমব্রিজশায়ারে ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে জখম ১০, গ্রেফতার ২

    UK Incedent: ইংল্যান্ডের কেমব্রিজশায়ারে ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরির আঘাতে জখম ১০, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংল্যান্ডে কেমব্রিজশায়ারের একটি ট্রেনে ভয়াবহ ছুরির হামলায় দশজন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ন’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার, ২ নভেম্বর ডনকাস্টার থেকে লন্ডন কিংস ক্রসগামী (UK Incedent) একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে এই হিংসাত্মক ঘটনাটি ঘটেছে। আচমকা ছুরির (Knife Attack) হামলার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ভয় এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    গ্রেফতার-২ (UK Incedent)!

    স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, হান্টিংডনে ছুরিকাঘাতের (Knife Attack) ঘটনা কোনও কট্টরপন্থী সংগঠনের তরফে এলাকায় ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে করা হয়েছে। তবে কোন সংগঠন করেছে তা এখনও জানা যায়নি। কেমব্রিজশায়ারের পুলিশ জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রফতারও করা হয়েছে। ঘটনাটি যে বড়সড় আক্রমণের ঘটনা তা আঁচ করেই একাধিক পুলিশ অফিসার এবং আপৎকালীন বাহিনীকে নিয়ে হান্টিংডন স্টেশনে পৌঁছে যান। উল্লেখ্য, এই খানেই ট্রেনটি (UK Incedent) থেমে গিয়েছিল। সন্ত্রাস দমনকারী একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তা ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে পড়েছেন। যদিও হামলার পিছনে ঠিক কী উদ্দেশ্য ছিল, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তির পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। যাঁরা জখম হয়েছেন তাঁদেরও এখনও শনাক্ত করা হয়নি।

    উদ্বেগজনক অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী

    ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, হান্টিংডনের কাছে একটি ট্রেনে এলোপাথাড়ি ছুরি (UK Incedent) চালানো হয়। এরপর উত্তেজিত জনতা একপ্রকার সংকেত দিয়ে ঘটনার কথা পুলিশ এবং জরুরি পরিষেবাগুলিকে জঙ্গি হামলা সম্পর্কে জানায়। অপর দিকে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টার্মার এই ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। জরুরি পরিষেবাগুলিকে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সকলকে পুলিশের পরামর্শ মেনে চলার কথা বলব।”

    ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ক্রমবর্ধমান ছুরির হামলার ঘটনা সত্যিই উদ্বেগের। ওই দেশের সরকারি তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল থেকে ছুরি-সম্পর্কিত অপরাধ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত একবছরে, ছুরি নিয়ে হামলার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ৬০ হাজার ছুরি (Knife Attack) বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু অপরাধী আত্মসমর্পণও করেছে।

  • Madras High Court: সরকারি জমিতে হিন্দু অনুষ্ঠানে বাধা ডিএমকে সরকারের, হাইকোর্টের গুঁতোয় অনুমতি

    Madras High Court: সরকারি জমিতে হিন্দু অনুষ্ঠানে বাধা ডিএমকে সরকারের, হাইকোর্টের গুঁতোয় অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সরকারি জমির অবাধ ব্যবহার সম্পর্কে মাদ্রাজ হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুল জেলার একটি পাবলিক মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য একটি হিন্দু সংগঠনকে (Hindu Community) অনুমতি দিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) মাদুরাই বেঞ্চ। গত এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে খ্রিস্টান ইস্টার উদযাপনের জন্য এই স্থানটি একচেটিয়াভাবে সংরক্ষিত ছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি বলেছেন, দেশের সংবিধান ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ বলে সকল ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারকে নিশ্চয়তা দেয়। আর তাই হিন্দু সংগঠনের পক্ষে রায় দেয় কোর্ট।

    অন্যায্য আচরণে হাইকোর্টের দ্বারস্থ (Madras High Court)

    আদালত (Madras High Court) ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, এই অধিকার রক্ষা করা স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের কর্তব্য। তারা কেবল সম্ভাব্য আইনশৃঙ্খলা সমস্যার কথা উল্লেখ করে কোনও অনুষ্ঠানকে নিষিদ্ধ করতে পারে না। পরিবর্তে, পুলিশকে অবশ্যই একজন ব্যক্তির অধিকারের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং উদ্ভূত যে কোনও সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। কালীয়াম্মন মন্দিরের কাছে একটি উন্মুক্ত জন সাধারণনের ময়দানে অন্নধনম অনুষ্ঠান (Hindu Community) করতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাঠ ব্যবহারের অনুমতি তো দেওয়াই হয়নি, উল্টে তাঁকে পাবলিক রাস্তার পাশে একটি জায়গায় অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে তাঁর প্রতি অন্যায্য আচরণ মনে করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত পুলিশকে জিজ্ঞাসা করে কেন অনুরোধটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে? পুলিশের উত্তর, এটি আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি করবে বলে আশঙ্কা তাদের।

    জমির মালিকানা সরকারের

    মামলা চলাকালীন জানা গিয়েছে ১০০ বছর আগে ময়দানের একপাশে একটি মঞ্চ করা হয়। আর এই মঞ্চ কেবলমাত্র ইস্টারের উৎসবের সময়ে খ্রিষ্টানরাই ব্যবহার করতে পারত। তবে ২০১৭ সালে শান্তি কমিটির পক্ষ থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত ১০০ বছর ধরে যারা অনুষ্ঠান করে আসছে কেবলমাত্র তারাই পারবে এই অনুষ্ঠান করতে। তবে মামলায় উঠে আসে জমির মালিকানার অধিকার রয়েছে রাজ্য সরকারের হাতে। তাই বিচারপতি জিআর স্বামীনাথন বলেন, সরকারি জমিতে সমাজের সকল শ্রেণীর জন্য ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত।

    আদালত গ্রামের জনসংখ্যার দিকেও নজর দিয়েছে। যেখানে প্রায় ২,৫০০ খ্রিস্টান পরিবার এবং ৪০০ হিন্দু পরিবার রয়েছে। মনে হচ্ছে পুলিশ কেবল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিরোধিতাকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হিসাবে উল্লেখ করেছে। বিচারপতি (Madras High Court) স্বামীনাথন তাই প্রশাসনের এই ভাবনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক পরিস্থিতি বলে অভিহিত করেছেন। প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অন্যান্য ধর্মের লোকদের (Hindu Community) অংশগ্রহণ থাকা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

  • 150 Years Arya Samaj: আর্য সামাজের সার্ধশতবর্ষ স্মারক মুদ্রায় গায়ত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করল মোদি সরকার

    150 Years Arya Samaj: আর্য সামাজের সার্ধশতবর্ষ স্মারক মুদ্রায় গায়ত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের শতবর্ষ উদযাপন পর্বে ১০০ টাকার একটি স্মারক মুদ্রার প্রকাশ করেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার উনিশ শতকের সমাজ সংস্কারক সংগঠন আর্য সমাজের (150 Years Arya Samaj) ১৫০ বছর অর্থাৎ সার্ধশতবর্ষের পূর্তিকে মাথায় রেখে ১৫০ টাকার স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করেছে মোদি সরকার। আর্য সমাজের বিশেষ প্রতীক হল জ্ঞান, আলো এবং সত্যের চিন্তা। এই ভাবনাকেই মাথায় রেখে ১৫০ টাকার মুদ্রায় দেবনাগরী লিপিতে খোদাই করে পবিত্র গায়েত্রীমন্ত্রকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

    বর্ণ বৈষম্য ও অস্পৃশ্যতার বিরোধী আর্য সমাজ (150 Years Arya Samaj)

    ব্রিটিশ ভারতের ১৮৭৫ সালে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী আর্য সমাজকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষকে আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক জাগরণের জন্য পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় কাজ করেছে আর্য সমাজ। ‘বিশ্বকে মহৎ করুণ’-এই নীতিবাক্য নিয়ে শিক্ষা, নারীর সম্মান, ক্ষমতায়ন, বৈদিক মূল্যবোধের বার্তাকে সকল জনসমাজের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। তবে গায়েত্রীমন্ত্রের গভীর আধ্যাত্মিক শিকড় এবং সংস্কার মূলক ভবানার কথাকেই বেশি বেশি করে প্রচার করত এই সংগঠন। তাঁদের আরেকটি বড় কাজ ছিল সামাজিক বর্ণ বৈষম্য, অস্পৃশ্যতা, জাতিগত বৈষম্য সহ একাধিক সামাজিক কুপ্রথাগুলি থেকে মানুষকে বাঁচানো। হিন্দু সমাজের মধ্যে সংস্করণ আনাই ছিল আসল উদ্দেশ্য।

    উনিশশতকে পুনঃজাগরণের বিরাট ভূমিকা

    নতুন স্মারক মুদ্রাটি ১৫০ টাকার। এটি নিকেল এবং রূপার সংকর ধাতু দিয়ে তৈরি। স্থায়িত্ব এবং মূল্যের বিচারে এই মুদ্রার গুরুত্ব অপরিসীম এবং আর্য সমাজের প্রতীক। এই মুদ্রায় গাঁথা গায়েত্রী মন্ত্র (Gayatri Mantra) স্বয়ং ঈশ্বর জ্ঞানের প্রতীক। এই মুদ্রা স্বামী দয়ানন্দের (150 Years Arya Samaj) দৃষ্টিভঙ্গিকে সুন্দর ভাবে তুলে ধরে। এই প্রতীকী মুদ্রার মাধ্যমে মোদি সরকার ভারতের আধ্যাত্মিক এবং মানসিক সংযোগকে আরও শক্তিশালী করতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। দেশপ্রেম, প্রজ্ঞা, জ্ঞান প্রদীপের প্রকাশ দিয়ে হিন্দু সমাজের জাগরণের বিরাট কাজ করেছেন স্বামী দয়ানন্দ। একদিকে খ্রিষ্টান মিশনারি এবং অপর দিকে কট্টর ইসলাম দুইয়ের মধ্যে হিন্দু সামজকে সংহত করার কাজ করেছে আর্য সমাজ। ভারতীয়ত্ববোধ, ভারতীয় ইতিহাস, মূল্যবোধ, ধর্মচিন্তা, দর্শন, সাহিত্যকে উনিশশতকে পুনঃজাগরণের বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। পরাধীন ভারতে ভারতীয়দের মধ্যে ভারতীয়ত্ববোধের জাগরণ ঘটিয়েছে আর্য সমাজ। ভারত কীভাবে শতশত বর্ষ ধরে নিজের জ্ঞানের আলোকে ছড়িয়ে দিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আর্য সমাজ। এই সামাজিক সংগঠনের গুরুত্ব অপরিসীম।

  • Dev Deepavali: বারাণসীতে দেব দীপাবলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো আয়োজন যোগীর

    Dev Deepavali: বারাণসীতে দেব দীপাবলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লেজার শো আয়োজন যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী রাসপূর্ণিমায় দেব দীপাবলি (Dev Deepavali) উদযাপনে বারাণসীর রাজঘাটে বিরাট প্রস্তুতির আয়োজন করেছে যোগী সরকার। কাশীধাম (Varanasi) জুড়ে রাতভর পালিত হবে দেব দীপাবলি। দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তরা এই আলোর উৎসব উদযাপন দেখে ভিড় করবেন। কাশীর গঙ্গাবক্ষের ঘাটগুলিকে প্রদীপ জ্বালিয়ে পালিত হয় দেব দীপাবলি। এই বছর লেজার শো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনের বিশেষ আয়োজন করেছে যোগী সরকার। ইতিমধ্যে এখন থেকেই ভক্তদের সমাগম হতে শুরু করেছে তীর্থধাম শিবনগরী।

    রাজঘাটে একটি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে (Dev Deepavali)

    দেব দীপাবালি (Dev Deepavali) উপলক্ষে এই ভব্য আয়োজনকে সামনে রেখে বারাণসীর বিভাগ কমিশনার এস রাজলিঙ্গম বলেন, “মানুষ এই উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহী হয়ে রয়েছেন। এই বছর গঙ্গার ঘাটে ঘাটে দেব দীপাবলির আয়োজন করা হবে। গতবারের মতো এই বারেও লেজার শো-এর আয়োজন করা হবে। রাজঘাটে একটি সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে। অনেক শিল্পীরা থাকবেন। সকলের সহযোগিতা এবং উদ্যোগ দেব দীপাবলির অনুষ্ঠানকে বাস্তবায়ন করবে।”

    ১ নভেম্বর থেকে শুরু অনুষ্ঠান চলবে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এরপর ৫ নভেম্বর পালিত হবে দেব দীপাবলির আসল উৎসব। কাশী (Varanasi) এখন দেবদীপাবলির জন্য সম্পূর্ণভাবে সেজে উঠেছে। রাজঘাটে ইতিমধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের বড় বড় শিল্পীরা যোগদান করেছেন। প্রতিদিনের পরিবেশনায় উপস্থিত শিল্পীদের মধ্যে থাকবেন পণ্ডিত মাতা প্রসাদ, পণ্ডিত রবিশঙ্কর মিশ্র, দিবাকর কাশ্যপ, পণ্ডিত সন্তোষ নাহার, পদ্মশ্রী গীতা চন্দন, বিদুষী কবিতা দ্বিবেদী, পদ্মশ্রী মালিনী অবস্থি, রাহুল রহংসী, রাহুল রাজকন্যা।

    ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজানো হবে

    কাশীর অর্ধচন্দ্রাকৃতি গঙ্গারঘাটগুলিকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করতে ৫ নভেম্বর ১০ লক্ষের বেশি প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। তবে সরকারি বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সমস্ত প্রদীপ গোবর থেকে তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত প্রদীপ পরিবেশ বান্ধব, ঐতিহ্যবাহী এবং গুণমান সম্পন্ন। পরিবেশের সঙ্গে সবরকম ভারসাম্য বজায় রেখে এই প্রদীপ নির্মাণ করা হয়েছে। যে কোনও উৎসব পার্বন যাতে পরিবেশ বান্ধব হয় সেই দিকে বিচার করেই এই ভাবনাকে বাস্তবায়ন করেছে যোগী সরকার। তবে ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত গঙ্গা মহোৎসব (Varanasi) পালন করা হবে। এরপর ৫ নভেম্বর পূর্ণিমায় পালিত হবে দেব দীপাবলি (Dev Deepavali)। বাংলায় অবশ্য এই সময় রাস পূর্ণিমা বা রাস মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। শান্তিপুর, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর এবং কোচবিহারের রাস জগৎ বিখ্যাত।

  • Ramakrishna 496: “মৌমাছি ভনভন কতক্ষণ করে? যতক্ষণ না ফুলে বসে, মধুপানের সময় ভনভনানি চলে যায়”

    ৪৮ শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    ঠাকুরের গলার অসুখের সূত্রপাত

    অবতার বা নরলীলার গুহ্য অর্থ—দ্বিজ ও পূর্বসংস্কার 

    কাপ্তেনের চরিত্র ও শ্রীরামকৃষ্ণ—পুরুষ-প্রকৃতি যোগ 

    কাপ্তেন ও পাণ্ডিত্য — কাপ্তেন ও ঠাকুরের অবস্থা 

    “আমি কাপ্তেনকে বকতে লাগলাম; বললাম, তুমি পড়েই সব খারাপ করেছ। আর পোড়ো না!

    “আমার অবস্থা কাপ্তেন বললে, উড্ডীয়মান ভাব। জীবাত্মা আর পরমাত্মা; জীবাত্মা যেন একটা পাখি, আর পরমাত্মা যেন আকাশ—চিদাকাশ। কাপ্তেন বললে, ‘তোমার জীবাত্মা চিদাকাশে উড়ে যায়—তাই সমাধি’; (সহাস্যে) কাপ্তেন বাঙালীদের নিন্দা করলে। বললে, বাঙালীরা নির্বোধ! কাছে মাণিক রয়েছে চিনলে না!”

    গৃহস্থভক্ত ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ — কর্ম কত দিন 

    “কাপ্তেনের বাপ খুব ভক্ত ছিল। ইংরেজের ফৌজে সুবাদারের কাজ করত। যুদ্ধক্ষেত্রে পূজার সময়ে পূজা করত,—একহাতে শিবপূজা, একহাতে তরবার-বন্দুক!

    (মাস্টারের প্রতি) “তবে কি জানো, রাতদিন বিষয়কর্ম! মাগছেলে ঘিরে রয়েছে, যখনই যাই দেখি! আবার লোকজন হিসাবের খাতা মাঝে মাঝে আনে। এক-একবার ঈশ্বরেও মন যায়। যেমন বিকারের রোগী; বিকারের ঘোর লেগেই আছে, এক-একবার চটকা ভাঙে! তখন ‘জল খাব’ ‘জল খাব’ বলে চেঁচিয়ে উঠে; আবার জল দিতে দিতে অজ্ঞান হয়ে খায়, — কোন হুঁশ থাকে না! আমি তাই ওকে বললাম,—তুমি কর্মী। কাপ্তেন বললে, ‘আজ্ঞা, আমার পূজা এই সব করতে আনন্দ হয়—জীবের কর্ম বই আর উপায় নাই।

    “আমি বললাম (Kathamrita), কিন্তু কর্ম কি চিরকাল করতে হবে? মৌমাছি ভনভন কতক্ষণ করে? যতক্ষণ না ফুলে বসে। মধুপানের সময় ভনভনানি চলে যায়। কাপ্তেন বললে, ‘আপনার মতো আমরা কি পূজা আর আর কর্ম ত্যাগ করতে পারি?’ তার কিন্তু কথার ঠিক নাই, — কখনও বলে, ‘এ-সব জড়।’ কখনও বলে, ‘এ-সব চৈতন্য (Ramakrishna)।’ আমি বলি, জড় আবার কি? সবই চৈতন্য!”

    পূর্ণ ও মাস্টার—জোর করে বিবাহ ও শ্রীরামকৃষ্ণ 

    পূর্ণর কথা ঠাকুর মাস্টারকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—পূর্ণকে আর-একবার দেখলে আমার ব্যাকুলতা একটু কম পড়বে!—কি চতুর!-আমার উপর খুব টান; সে বলে, আমারও বুক কেমন করে আপনাকে দেখবার জন্য। (মাস্টারের প্রতি) তোমার স্কুল থেকে ওকে ছাড়িয়ে নিয়েছে, তাতে তোমার কি কিছু ক্ষতি হবে?

    মাস্টার — যদি তাঁরা (বিদ্যাসাগর)—বলেন, তোমার জন্য ওকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিলে,— তাহলে আমার জবাব দিবার পথ আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—কি বলবে?

    মাস্টার—এই কথা বলব, সাধুসঙ্গে ঈশ্বরচিন্তা হয়, সে আর মন্দ কাজ নয়; আর আপনারা যে বই পড়াতে দিয়েছেন, তাতেই আছে—ঈশ্বরকে প্রাণের সহিত ভালবাসবে।

    ঠাকুর হাসিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কাপ্তেনের বাড়িতে ছোট নরেনকে ডাকলুম। বললাম, তোর বাড়িটা কোথায়? চল যাই।—সে বললে, ‘আসুন’। কিন্তু ভয়ে ভয়ে চলতে লাগল সঙ্গে—পাছে বাপ জানতে পারে! (সকলের হাস্য)

    (অখিলবাবুর প্রতিবেশীকে)—“হ্যাঁগা, তুমি অনেক কাল আস নাই। সাত-আট মাস হবে।”

    প্রতিবেশী—আজ্ঞা, একবৎসর হবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—তোমার সঙ্গে আর-একটি আসতেন।

    প্রতিবেশী—আজ্ঞা হাঁ, নীলমণিবাবু।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita)—তিনি কেন আসেন না?—একবার তাঁকে আসতে বলো, তাঁর সঙ্গে দেখা করিয়ে দিও। (প্রতিবেশীর সঙ্গী বালক দৃষ্টে)—এ-ছেলেটি কে?

    প্রতিবেশী—এ-ছেলেটির বাড়ি আসামে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ(Ramakrishna)—আসাম কোথা? কোন্‌ দিকে?

    দ্বিজ আশুর কথা বলিতেছেন। আশুর বাবা তার বিবাহ দিবেন। আশুর ইচ্ছা নাই।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখ দেখ, তার ইচ্ছা নাই, জোর করে বিবাহ দিচ্ছে।

    ঠাকুর একটি ভক্তকে জ্যেষ্ঠভ্রাতাকে ভক্তি করিতে বলিতেছেন,—“জ্যেষ্ঠ-ভাই, পিতা সম, খুব মানবি।”

  • JNUSU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে বন্দেমাতরম ধ্বনিতে বিশাল মিছিল এবিভিপির

    JNUSU: জেএনইউতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আগে বন্দেমাতরম ধ্বনিতে বিশাল মিছিল এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNUSU) ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ ক্যাম্পাসে বিরাট মশাল মিছিলের আয়োজন করেছে। ক্যাম্পাসে বিদ্যার্থী পরিষদ কতটা শক্তিশালী তাকেই প্রদর্শিত করেছে এই মিছিলে। ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরে সরব হতে দেখাও গিয়েছে। একই ভাবে জাতীয়তাবাদী স্লোগান ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘ভারত মাতা জয়ধ্বনি’-তে ক্যাম্পাস বিরাট ভাবে আলোড়িত হয়।

    কয়েকশত ছাত্রের মিছিল (JNUSU)

    ৩১ অক্টোবর রাতে জেএনইউতে মশালের লাল আগুনের মহামিছিল ক্যাম্পাসকে দারুণ ভাবে শিহরিত করে তুলেছিল। ক্যাম্পাসের গঙ্গা ধাবা থেকে মিছিল শুরু হয় এবং বরাক হস্টেল পর্যন্ত পদযাত্রা করে শেষ করা হয়। মিছিলে অংশগ্রহণ করেন এবিভিপির রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. বীরেন্দ্র সোলাঙ্কি। এই মশাল যাত্রা ছিল বাম-নকশালদের লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যাত্রা। কয়েক’শ ছাত্র, অধ্যাপক, গবেষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী যোগদান করেন। তবে আগামী ছাত্র সংসদের নির্বচানে এবিভিপি বিশেষ ভাবে আশাবাদী। এই মশাল মিছিলে যোগদান করে নেতৃত্ব দেন এবিভিপির কেন্দ্রীয় প্যানেলের প্রার্থীরা। সভাপতি পদপ্রার্থী দাঁড়িয়েছেন বিকাশ প্যাটেল, সহসভাপতি পদে প্রার্থী তানিয়া কুমারী, সাধারণ সম্পাদক পদে পদপ্রার্থী রাজেশ্বর কাণ্ডদুবে আর যুগ্ম সম্পাদক অনুজ।

    বামপন্থীরা ক্যাম্পাসের বাতাবরণকে বিষিয়ে দিয়েছে

    এবিভিপির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী প্রচার প্রধান অরুণ শ্রীবাস্তব বলেন, “আজ আমরা ক্যাম্পাসে একটি বড় মশাল মিছিল করেছি। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বামপন্থীরা ক্যাম্পাসের বাতাবরণকে বিষিয়ে দিয়েছে। নৈরাজ্য এবং বিশৃঙ্খলা থেকে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা মুক্তি চায়। এই বছর ক্যাম্পাসের সকল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনা চরম তুঙ্গে। প্রত্যকে পদে এবিভিপি জয়ী হবে।” উল্লেখ্য গত বছর এবিভিপির তরফে যুগ্ম সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছিল।

    উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ আফজল গুরু, ইয়াকুব মেমনরে মতো জঙ্গির মৃত্যুদিন পালন করে ভারতকে ভাগ করার স্লোগান তুলেছিল। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে বিরাট ঝড় উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত লজ্জার এবং ভারতের জন্য অত্যন্ত খারাপ বলে রাজনীতির একাংশের মানুষ মন্তব্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সাধারণ মানুষের মনেও ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল।

  • Financial Rule Change: ব্যাঙ্ক থেকে আধার, জিএসটি থেকে পেনশন, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল এই নিয়মগুলি

    Financial Rule Change: ব্যাঙ্ক থেকে আধার, জিএসটি থেকে পেনশন, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল এই নিয়মগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার, ১ নভেম্বর থেকে বদলে গেল ব্যাঙ্কিং (Bank News) ও টাকা সংক্রান্ত নিয়ম (Financial Rule Change)। গ্রাহক হিসেবে আপনার জীবনেও পড়তে পারে একাধিক প্রভাব। পরিষেবা পেতে কি আরও বেশি খরচ হবে? ব্যাঙ্কিং নিয়ম থেকে আধার একাধিক ক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে ৫টি নিয়ম। আসুন দেখে নিই কোন কোন নিয়ম বদলে যাচ্ছে।

    এসবিআইতে অতিরিক্ত চার্জ (Financial Rule Change)

    ১ নভেম্বর থেকে স্টেট ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড (Financial Rule Change) ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট লেনদেনের ওপর অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। ক্রেড বা মোবিকুইক-এর মতো তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের মাধ্যমে করা শিক্ষা-সম্পর্কিত পেমেন্ট যেমন স্কুল বা কলেজের ফিতে ১ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। আবার যদি ১০০০ টাকার বেশি এসবিআই কার্ডের (Bank News) সঙ্গে একটি ডিজিটাল ওয়ালেট লোড অর্থাৎ পেটিএম বা ফোন-পে করেন তাহলে ১ শতাংশ ফি করে চার্জ দিতে হবে।

    আধার আপডেট

    শিশুদের জন্য আধার কার্ড আপডেটের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে ইউআইডিএআই। শিশুদের জন্য বায়োমেট্রিক আপডেট এখন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া হবে। তবে আধার কার্ডে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ বা মোবাইল নম্বর আপডেটের জন্য খরচ হবে ৭৫ টাকা। আঙুলের ছাপ বা চোখের স্ক্যান খরচ হবে ১২৫ টাকা। তবে কোনও প্রকার নথি ডাউনলোড না করেই মৌলিক বিবরণ- যেমন নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা—আপডেট করতে করতে পারবেন।

    জিএসটিসিতে সুবিধা

    ১ নভেম্বর থেকে জিএসটি কাঠামোতে বড় পরিবর্তন হয়েছে। আগের চারটি স্ল্যাব ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ, ২৮ শতাংশ–কে আরও সরলীকরণ করা হয়েছে। ১২ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ স্ল্যাব বাদ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত, বিলাসবহুল এবং ক্ষতিকারক পণ্যের উপর এখন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি হারে প্রযোজ্য হবে। সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিতেই এই সরলীকরণ করা হয়েছে।

    লকারে মনোনয়ন সুবিধা

    ১ নভেম্বর থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (Bank News) জন্য মনোনয়ন নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মগুলিকে (Financial Rule Change) সংশোধন করা হয়েছে। এখন একটি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট, লকার, নিরাপদ করতে সর্বাধিক চারজন মনোনীত করা যেতে পারে। মনোনীত ব্যক্তির নাম সংযোজন করবে। ফলে আপদকালীন পরিস্থিতিতে এই তহবিল থেকে সব এক্সেসকে সহজ করা হবে।

    পেনশনে সুবিধা

    তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুখবর বার্তা রয়েছে। জাতীয় পেনশন ব্যবস্থায় ইউনিফায়েড পেনশন স্কিমকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই পরিষেবায় যে সব গ্রাহকরা সুবিধা পেতে চান, দ্রুত আবেদন করতে পারবেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সময়ে কর্মীরা নিজেদের বিকল্পগুলিকে পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা করার বিশেষ সুযোগ পাবেন।

  • NCERT: স্কুলের বিজ্ঞান পাঠ্যে আয়ুর্বেদ পড়ানো হবে, জানাল এনসিইআরটি

    NCERT: স্কুলের বিজ্ঞান পাঠ্যে আয়ুর্বেদ পড়ানো হবে, জানাল এনসিইআরটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির এনসিইআরটি-র (Ayurveda Chapters) বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকে আয়ুর্বেদ সম্পর্কিত একটি অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। ছাত্র–ছাত্রীদের প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞান, চিকিৎসা ব্যবস্থা, পরম্পরা, ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞান দেওয়ার জন্য এই পাঠ্যক্রমকে বিশেষ জায়গা দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর শুরু করেছে মোদি সরকার। প্রাচীন ভারতের জ্ঞান-পরম্পরা সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা, ভারতীত্ববোধে পড়াশোনা করার সিলেবাস গঠন এবং তাকে  কার্যকরতে বিশেষ ভাবে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।

    কীভাবে পড়ানো হবে (Ayurveda Chapters)?

    এনসিইআরটি শিক্ষা ব্যবস্থায় আয়ুর্বেদকে (Ayurveda Chapters) অন্তর্ভুক্তি করে জানিয়েছে, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছেলে মেয়েরা এবার থেকে বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে আয়ুর্বেদ পড়বে। আয়ুর্বেদ প্রাচীন ভারতের একটি উল্লেখযোগ্য জ্ঞানকাণ্ড। সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই আয়ুর্বেদ (NCERT) চর্চা হয়ে আসছে। এবার এই জ্ঞান চর্চার ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে রাখা হয়েছে। বেসরকারি একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এনসিইআরটি একই ভাবে উচ্চ শ্রেণির শিক্ষা পাঠক্রমে যথা কলেজগুলিতেও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সহযোগিতার কাজে পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগ রীতিমতো ভাবনা চিন্তা শুরু করে পাঠ্যক্রম তৈরির কাজে একাধিক পদক্ষেক গ্রহণ করেছে।

    কিউরিওসিটি-র তৃতীয় অধ্যায়

    এনসিইআরটির (NCERT) নির্দেশক দীনেশ প্রসাদ সাকলানি বলেছেন, বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে আয়ুর্বেদ যুক্ত করে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। শরীর, বিদ্যা এবং মনকে একদিকে পরিচালিত করতে অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকে কিউরিওসিটি-র তৃতীয় অধ্যায়ে পরিচয় হিসেবে রাখা হয়েছে। দৈনিক জীবন, ঋতকালীন পরিচর্চা, শরীরের জন্য পুষ্টিকর খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম ইত্যাদি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।

    আয়ুষ মন্ত্রী প্রতাপরাও যাদব বলেছিলেন, “এনসিইআরটি, ইউজিসি উচ্চশিক্ষার জন্য নিজেদের কোর্স মডিউল তৈরি করতে এক যোগে কাজ করছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্বাস্থ্য এবং নীতিগত শিক্ষা সম্পর্কে যেন ভালো করে জানতে পারে তাই এই প্রচেষ্টা চলছে। একই ভাবে নীতি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষণ পদ্ধতি এবং স্কীল ডেভলোপমেন্ট বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে। আর তাই পাঠ্যে আয়ুর্বেদ (Ayurveda Chapters) যুক্ত করা হয়েছে।”

  • Ramakrishna 495: “যার জ্ঞান হয়েছে, তার নিন্দার ভয় কি? কামারের নেয়াই, কত হাতুড়ির ঘা পড়েছে, কিছুতেই কিছু হয় না”

    Ramakrishna 495: “যার জ্ঞান হয়েছে, তার নিন্দার ভয় কি? কামারের নেয়াই, কত হাতুড়ির ঘা পড়েছে, কিছুতেই কিছু হয় না”

    ৪৮ শ্রীরামকৃষ্ণ কাপ্তেন, নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বরে

      প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৫, ১৩ই জুন
    ঠাকুরের গলার অসুখের সূত্রপাত

    অবতার বা নরলীলার গুহ্য অর্থ—দ্বিজ ও পূর্বসংস্কার 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—মনুষ্যলীলা কেন জান? এর ভিতর তাঁর কথা শুনতে পাওয়া যায়। এর ভিতর তাঁর বিলাস, এর ভিতর তিনি রসাস্বাদন করেন।

    “আর সব ভক্তদের ভিতর তাঁরই একটু একটু প্রকাশ! যেমন জিনিস অনেক চুষতে চুষতে একটু রস, ফুল চুষতে চুষতে একটু মধু। (মাস্টারের প্রতি) তুমি এটা বুঝেছ?”

    মাস্টার-আজ্ঞা হাঁ, বেশ বুঝেছি।

    ঠাকুর (Ramakrishna) দ্বিজর সহিত কথা কহিতেছেন। দ্বিজর বয়স ১৫।১৬, বাপ দ্বিতীয় পক্ষে বিবাহ করিয়াছেন। দ্বিজ প্রায় মাস্টারের সঙ্গে আসেন। ঠাকুর তাঁহাকে স্নেহ করেন। দ্বিজ বলিতেছিলেন, বাবা তাঁকে দক্ষিণেশ্বরে আসিতে দেন না।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (দ্বিজর প্রতি) — তোর ভাইরাও? আমাকে কি অবজ্ঞা করে?

    দ্বিজ চুপ করিয়া আছেন।

    মাস্টার—সংসারের আর দু-চার ঠোক্কর খেলে যাদের একটু-আধটু যা অবজ্ঞা আছে, চলে যাবে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—বিমাতা আছে, ঘা (blow) তো খাচ্ছে।

    সকলে একটু চুপ করিয়া আছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (মাস্টারের প্রতি)—একে (দ্বিজকে) পূর্ণর সঙ্গে দেখা করিয়ে দিও না।

    মাস্টার—যে আজ্ঞা। (দ্বিজর প্রতি)—পেনেটিতে যেও।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—হাঁ, তাই সব্বাইকে বলছি—একে পাঠিয়ে দিও; ওকে পাঠিয়ে দিও। (মাস্টারের প্রতি) তুমি যাবে না?

    ঠাকুর পেনেটির মহোৎসবে যাইবেন। তাই ভক্তদের সেখানে যাবার কথা বলিতেছেন।

    মাস্টার—আজ্ঞা, ইচ্ছা আছে।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Kathamrita)—বড় নৌকা হবে, টলটল করবে না। গিরিশ ঘোষ যাবে না?

    হাঁ’ ‘না’ “Everlasting Yea— Everlasting Nay”

    ঠাকুর দ্বিজকে একদৃষ্টে দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—আচ্ছা এত ছোকরা আছে, এই বা আসে কেন? তুমি বল, অবশ্য আগেকার কিছু ছিল!

    মাস্টার—আজ্ঞা হাঁ।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—সংস্কার। আগের জন্মে কর্ম করা আছে। সরল হয়ে শেষ জন্মে। শেষ জন্মে খ্যাপাটে ভাব থাকে।

    “তবে কি জানো?—তাঁর ইচ্ছা। তঁর ‘হাঁ’তে জগতের সব হচ্চে; তঁর ‘না’তে হওয়া বন্ধ হচ্চে। মানুষের আশীর্বাদ করতে নাই কেন?

    “মানুষের ইচ্ছায় কিছু হয় না, তাঁরই ইচ্ছাতে হয়—যায়!

    “সেদিন কাপ্তেনের ওখানে গেলাম (Kathamrita)। রাস্তা দিয়ে ছোকরারা যাচ্ছে দেখলাম। তারা একরকমের। একটা ছোকরাকে দেখলাম, উনিশ-কুড়ি বছর বয়স, বাঁকা সিঁতে কাটা, শিস দিতে দিতে যাচ্ছে! কেউ যাচ্ছে বলতে বলতে, ‘নগেন্দ্র! ক্ষীরোদ!’

    “কেউ দেখি ঘোর তমো;—বাঁশী বাজাচ্ছে,—তাতেই একটু অহংকার হয়েছে। (দ্বিজর প্রতি) যার জ্ঞান হয়েছে, তার নিন্দার ভয় কি? তার কূটস্থ বুদ্ধি — কামারের নেয়াই, তার উপর কত হাতুড়ির ঘা পড়েছে, কিছুতেই কিছু হয় না।

    “আমি (অমুকের) বাপকে দেখলাম রাস্তা দিয়ে যাচ্চে।”

    মাস্টার—লোকটি বেশ সরল।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কিন্তু চোখ রাঙা।

LinkedIn
Share