Tag: madhyom news

madhyom news

  • Ramakrishna 168: “নিজে পাপ করাও ভাল না—পাপের অভিনয় করাও ভাল না”

    Ramakrishna 168: “নিজে পাপ করাও ভাল না—পাপের অভিনয় করাও ভাল না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ৭ই এপ্রিল

    নরেন্দ্র, রাখাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে বলরাম-মন্দিরে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে কীর্তনানন্দে

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) বলরামের বাড়িতে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন (Kathamrita)—বৈঠকখানার উত্তর-পূর্বের ঘরে। বেলা একটা হইবে। নরেন্দ্র, ভবনাথ, রাখাল, বলরাম, মাস্টার ঘরে তাঁহার সঙ্গে বসিয়া আছেন।

    আজ অমাবস্যা। শনিবার, ৭ই এপ্রিল, ১৮৮৩, ২৫শে চৈত্র। ঠাকুর সকালে বলরামের বাড়ি আসিয়া মধ্যাহ্নে সেবা করিয়াছেন। নরেন্দ্র, ভবনাথ, রাখাল ও আরও দু-একটি ভক্তকে নিমন্ত্রণ করিতে বলিয়াছিলেন। তাঁহারাও এখানে আহার করিয়াছেন। ঠাকুর বলরামকে বলিতেন—এদের খাইও, তাহলে অনেক সাধুদের খাওয়ানো হবে।

    কয়েকদিন হইল ঠাকুর শ্রীযুক্ত কেশবের বাটীতে নববৃন্দাবন নাটক দেখিতে গিয়াছিলেন। সঙ্গে নরেন্দ্র ও রাখাল ছিলেন। নরেন্দ্র অভিনয়ে যোগ দিয়াছিলেন। কেশব পওহারী বাবা সাজিয়াছিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (নরেন্দ্রাদি ভক্তের প্রতি)—কেশব (সেন) সাধু সেজে শান্তিজল ছড়াতে লাগল। আমার কিন্তু ভাল লাগল না। অভিনয় করে শান্তি জল!

    আর-একজন (কু-বাবু) পাপ পুরুষ সেজেছিল। ওরকম সাজাও ভাল না। নিজে পাপ করাও ভাল না—পাপের অভিনয় (Kathamrita) করাও ভাল না।

    নরেন্দ্রের শরীর তত সুস্থ নয়, কিন্তু তাঁহার গান শুনিতে ঠাকুরের (Ramakrishna) ভারী ইচ্ছা। তিনি বলিতেছেন, “নরেন্দ্র, এরা বলছে একটু গা না।”

    নরেন্দ্র তানপুরা লইয়া গাইতেছেন:

    আমার প্রাণপিঞ্জরের পাখি, গাও না রে।
    ব্রহ্মকল্পতরুপরে বসে রে পাখি, বিভুগুণ গাও দেখি,
    (গাও, গাও) ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ,
    সুপক্ক ফল খাও না রে।
    বল বল আত্মারাম, পড় প্রাণারাম,
    হৃদয়-মাঝে প্রাণ-বিহঙ্গ ডাক অবিরাম,
    ডাক তৃষিত চাতকের মতো,
    পাখি অলস থেক না রে।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 167: “মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না”

    Ramakrishna 167: “মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৯শে মার্চ

    কর্মেন্দ্রিয়াণি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন্‌ ৷
    ইন্দ্রিয়ার্থান বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচারঃ স উচ্যতে ॥
                                               (গীতা, ৩।৬)

    নরেন্দ্র প্রভৃতি নিত্যসিদ্ধ—তাদের ভক্তি আজন্ম 

    (অমৃত ও ত্রৈলোক্যের প্রতি)—নরেন্দ্র, রাখাল-টাখাল এই সব ছোকরা, এরা নিত্যসিদ্ধ, এরা জন্মে ঈশ্বরের (Ramakrishna) ভক্ত। অনেকের সাধ্যসাধনা করে একটু ভক্তি হয়, এদের কিন্তু আজন্ম ঈশ্বরে ভালবাসা। যেন পাতাল ফোঁড়া শিব—বসানো শিব নয়।

    নিত্যসিদ্ধ একটি থাক আলাদা। সব পাখির ঠোঁট বাঁকা নয়। এরা কখনও সংসারে আসক্ত (Kathamrita) হয় না। যেমন প্রহ্লাদ।

    সাধারণ লোক সাধন করে, ঈশ্বরে ভক্তিও করে। আবার সংসারেও আসক্ত হয়, কামিনী-কাঞ্চনে মুগ্ধ হয়। মাছি যেমন ফুলে বসে, সন্দেশে বসে, আবার বিষ্ঠাতেও বসে। (সকলে স্তব্ধ)

    নিত্যসিদ্ধ যেমন মৌমাছি, কেবল ফুলের উপর বসে মধুপান করে। নিত্যসিদ্ধ হরিরস পান করে, বিষয়রসের দিকে যায় না।

    সাধ্য-সাধনা করে যে ভক্তি, এদের সে ভক্তি নয়। এত জপ, এত ধ্যান করতে হবে, এইরূপ পূজা করতে হবে—এ-সব ‘বিধিবাদীয়’ ভক্তি। যেমন ধান হলে মাঠ পার হতে গেলে আল দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হবে। আবার যেমন সম্মুখের গাঁয়ে যাবে, কিন্তু বাঁকা নদী দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হবে।

    রাগভক্তি প্রেমাভক্তি ঈশ্বরে আত্মীয়ের ন্যায় ভালবাসা(Kathamrita), এলে আর কোন বিধিনিয়ম থাকে না। তখন ধানকাটা মাঠ যেমন পার হওয়া। আল দিয়ে যেতে হয় না। সোজা একদিক দিয়ে গেলেই হল।

    বন্যে এলে আর বাঁকা নদী দিয়ে ঘুরে ঘুরে যেতে হয় না। তখন মাঠের উপর এক বাঁশ জল! সোজা নৌকা চালিয়ে দিলেই হল।

    “এই রাগভক্তি, অনুরাগ, ভালবাসা না এলে ঈশ্বরলাভ হয় না।”

    সমাধিতত্ত্ব—সবিকল্প ও নির্বিকল্প 

    অমৃত—মহাশয়! আপনার এই সমাধি অবস্থায় কি বোধ হয়?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—শুনেছ, কুমুরে পোকা চিন্তা করে আরশুলা কুমুরে পোকা হয়ে যায়, কিরকম জানো? যেমন হাঁড়ির মাছ গঙ্গায় ছেড়ে দিলে হয়।

    অমৃত—একটুও কি অহং থাকে না?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—হাঁ, আমার প্রায় একটু অহং থাকে। সোনার একটু কণা, সোনার চাপে যত ঘষ না কেন, তবু একটু কণা থেকে যায়। আর যেমন বড় আগুন আর তার একটি ফিনকি। বাহ্যজ্ঞান চলে যায়, কিন্তু প্রায় তিনি একটু  ‘অহং’ রেখে দেন—বিলাসের জন্য! আমি তুমি থাকলে তবে আস্বাদন হয়। কখন কখন সে আমিটুকুও তিনি পুঁছে ফেলেন। এর নাম ‘জড়সমাধি—নির্বিকল্পসমাধি। তখন কি অবস্থা হয় মুখে বলা যায় না। নুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছিল, একটু নেমেই গলে গেল। ‘তদাকারকারিত’। তখন কে আর উপরে এসে সংবাদ দেবে, সমুদ্র কত গভীর!

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 166: “মন ধোপা ঘরের কাপড়, যে-রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যায়”

    Ramakrishna 166: “মন ধোপা ঘরের কাপড়, যে-রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যায়”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দ্বাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৯শে মার্চ

    কর্মেন্দ্রিয়াণি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন্‌ ৷
    ইন্দ্রিয়ার্থান বিমূঢ়াত্মা মিথ্যাচারঃ স উচ্যতে ॥
                                                 (গীতা, ৩।৬)

    গেরুয়াবসন ও সন্ন্যাসী—অভিনয়েও মিথ্যা ভাল নয়

    পরমহংসদেবের (Ramakrishna) সমাধী ক্রমে ভঙ্গ হইতে লাগিল। ভাবস্থ হইয়াই কথা কহিতেছেন (Kathamrita)। আপনা-আপনি বলিতেছেন—

    শ্রীরামকৃষ্ণ (গেরুয়াদৃষ্টে)—আবার গেরুয়া কেন? একটা কি পরলেই হল? (হাস্য) একজন বলেছিল, চন্ডী ছেড়ে হলুম ঢাকী—আগে চণ্ডির গান গাইত, এখন ঢাক বাজায়! (সকলের হাস্য)

    বৈরাগ্য তিন-চার প্রকার। সংসারের জ্বালায় জ্বলে গেরুয়াবসন পরেছে—সে বৈরাগ্য বেশিদিন থাকে না। হয়তো কর্ম নাই, গেরুয়া পরে কাশী চলে গেল। তিনমাস পরে ঘরে পত্র এল, আমার একটি কর্ম হইয়াছে, কিছুদিন পরে বাড়ি যাইব, তোমরা ভাবিত হইও না। আবার সব আছে, কোন অভাব নাই, কিন্তু কিছুভাল লাগে না। ভগবানের জন্য একলা একলা কাঁদে। সে বৈরাগ্য যথার্থ বৈরাগ্য।

    মিথ্যা কিছুই ভাল নয়। মিথ্যা ভেক ভাল নয়। ভেকের মতো যদি মনটা না হয়, ক্রমে সর্বনাশ হয়। মিথ্যা বলতে বা করতে ক্রমে ভয় ভেঙে যায়। তার চেয়ে সাদা কাপড় ভাল। মনে আসক্তি, মাঝে মাঝে পতন হচ্ছে, আর বাহিরে গেরুয়া! বড় ভয়ঙ্কর!”

    কেশবের বাড়ি গমন ও নববৃন্দাবন-দর্শন 

    এমনকি, যারা সৎ, অভিনয়েও তাদের মিথ্যা কথা বা কাজ ভাল নয়। কেশব সেনের ওখানে নববৃন্দাবন নাটক দেখতে গিছলাম। কি একটা আনলে ক্রস (cross); আবার জল ছড়াতে লাগল, বলে শান্তিজল। একজন দেখি মাতাল সেজে মাতলামি করছে!”

    ব্রাহ্মভক্ত—কু—বাবু।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—ভক্তের পক্ষে ওরূপ সাজাও ভাল নয়। ও-সব বিষয়ে মন অনেকক্ষণ ফেলে রাখায় দোষ হয়। মন ধোপা ঘরের কাপড়, যে-রঙে ছোপাবে সেই রঙ হয়ে যায়। মিথ্যাতে অনেকক্ষণ ফেলে রাখলে মিথ্যার রঙ ধরে যাবে।

    আর-একদিন নিমাই-সন্ন্যাস, কেশবের বাড়িতে দেখতে গিছিলাম। যাত্রাটি কেশবের কতকগুলো খোশামুদে শিষ্য জুটে খারাপ করেছিল। একজন কেশবকে বললে, কলির চৈতন্য হচ্ছেন আপনি! কেশব আমার দিকে চেয়ে হাসতে হাসতে বললে, ‘তাহলে ইনি কি হলেন?’ আমি বললুম (Kathamrita), ‘আমি তোমাদের দাসের দাস। রেণুর রেণু।’ কেশবের লোকমান্য হবার ইচ্ছা ছিল।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 165: “ঈশ্বরপ্রেমে অহরহঃ মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমের চক্ষু—বাৎসল্যভাবের উদয় হইল”

    Ramakrishna 165: “ঈশ্বরপ্রেমে অহরহঃ মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণের প্রেমের চক্ষু—বাৎসল্যভাবের উদয় হইল”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    একাদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ২৯শে মার্চ

    দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়িতে শ্রীযুক্ত অমৃত, শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তের সঙ্গে কথোপকথন

    সমাধিমন্দিরে 

    ফাল্গুনের কৃষ্ণা পঞ্চমী তিথি, বৃসস্পতিবার, ১৬ই চৈত্র; ইংরেজী ২৯শে মার্চ, ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দ। মধ্যাহ্ন ভোজনের পর ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিতেছেন। দক্ষিণেশ্বর-কালীবাড়ির সেই পূর্বপরিচিত ঘর। সম্মুখে পশ্চিমদিকে গঙ্গা। চৈত্র মাসের গঙ্গা। বেলা দুইটার সময় জোয়ার আসিতে আরম্ভ হইয়াছে। ভক্তেরা কেহ কেহ আসিয়াছেন। তন্মধ্যে ব্রাহ্মভক্ত শ্রীযুক্ত অমৃত ও মধুরকন্ঠ (Kathamrita) শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্য, যিনি কেশবের ব্রাহ্মসমাজে ভগবল্লীলাগুণগান করিয়া আবালবৃদ্ধের কতবার মন হরণ করিয়াছেন।

    রাখালের অসুখ। এই কথা শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তদের বলিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—এই দেখ, রাখালের অসুখ। সোডা খেলে কি ভাল হয় গা? কি হবে বাপু! রাখাল তুই জগন্নাথের (Kathamrita) প্রসাদ খা।

    এই কথা বলিতে বলিতে ঠাকুর অদ্ভুতভাবে ভাবিত হইলেন। বুঝি দেখিতে লাগিলেন, সাক্ষাৎ নারায়ণ সম্মুখে রাখালরূপে বালকের দেহধারণ করে এসেছেন! একদিকে কামিনী-কাঞ্চনত্যাগী শুদ্ধাত্মা বালকভক্ত রাখাল, অপরদিকে ঈশ্বরপ্রেমে অহরহঃ মাতোয়ারা শ্রীরামকৃষ্ণের সেই প্রেমের চক্ষু—সহজেই বাৎসল্যভাবের উদয় হইল। তিনি সেই বালক রাখালকে বাৎসল্যভাবে দেখিতে লাগিলেন ও ‘গোবিন্দ’ ‘গোবিন্দ’ এই নাম প্রেমভরে উচ্চারণ করিতে লাগিলেন। শ্রীকৃষ্ণকে দেখিয়া যশোদার যে-ভাবের উদয় হইত এ বুঝি সেই ভাব! ভক্তেরা এই অদ্ভুত ব্যাপার দর্শন করিতেছেন, এমন সময়ে সব স্থির! ‘গোবিন্দ’ নাম করিতে করিতে ভক্তাবতার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের (Ramakrishna) সমাধি হইয়াছে। শরীর চিত্রার্পিতের ন্যায় স্থির! ইনিদ্রয়গণ কাজে জবাব দিয়া যেন চলিয়া গিয়াছে! নাসিকাগ্রে দৃষ্টি স্থির। নিঃশ্বাস বহিছে, কি না বহিছে। শরীরমাত্র ইহলোকে পড়িয়া আছে! আত্মাপক্ষী বুঝি চিদাকাশে বিচরণ করিতেছে। এতক্ষণ যিনি সাক্ষাৎ মায়ের ন্যায় সন্তানের জন্য ব্যস্ত হইয়াছিলেন, তিনি এখন কোথায়? এই অদ্ভুত ভাবান্তরের নাম কি সমাধি (Kathamrita)?

    এই সময়ে গেরুয়া কাপড়-পরা অপরিচিত একটি বাঙালী আসিয়া উপস্থিত হইলেন ও আসন গ্রহণ করিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 164: “যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়…নদী কত জীবের পিপাসা শান্তি করে”

    Ramakrishna 164: “যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়…নদী কত জীবের পিপাসা শান্তি করে”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    দশম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও গৃহস্থধর্ম

    প্রায় সাড়ে পাঁচটা-ছয়টা হইল। ঠাকুর (Ramakrishna) ভক্তসঙ্গে নিজের ঘরের দক্ষিণ-পূর্ব বারান্দায় বসিয়া আছেন। ভক্তদের দেখিতেছেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (কেদারাদি ভক্তদের প্রতি)—সংসারত্যাগী সাধু—সে তো হরিনাম করবেই। তার তো আর কোন কাজ নাই। সে যদি ঈশ্বরচিন্তা (Kathamrita) করে তো, আশ্চর্যের বিষয় নয়। সে যদি ঈশ্বরচিন্তা না করে, সে যদি হরিনাম না করে তাহলে বরং সকলে নিন্দা করবে।

    সংসারী লোক যদি হরিনাম করে, তাহলে বাহাদুরি আছে। দেখ, জনক রাজা খুব বাহাদুর। সে দুখানি তরবার ঘুরাত। একখানা জ্ঞান ও একখানা কর্ম। এক দিকে পূর্ণ ব্রহ্মজ্ঞান, আর-একদিকে সংসারে কর্ম করছে। নষ্ট মেয়ে সংসারের সব কাজ খুঁটিয়ে করে, কিন্তু সর্বদাই উপপতিকে চিন্তা করে।

    সাধুসঙ্গ সর্বদা দরকার, সাধু ঈশ্বরের সঙ্গে আলাপ (Kathamrita) করে দেন।

    কেদার—আজ্ঞে হাঁ! মহাপুরুষ (Ramakrishna) জীবের উদ্ধারের জন্য আসেন। যেমন রেলের এঞ্জিন, পেছনে কত গাড়ি বাঁধা থাকে, টেনে নিয়ে যায়। অথবা যেমন নদী বা তড়াগ, কত জীবের পিপাসা শান্তি করে।

    ক্রমে ভক্তেরা গৃহে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত হইলেন। একে একে সকলে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন ও তাঁহার পদধূলি গ্রহণ করিলেন। ভবনাথকে দেখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন, তুই আজ আর যাস নাই। তোদের দেখেই উদ্দীপন!

    ভবনাথ এখনও সংসারে প্রবেশ করেন নাই। বয়স উনিশ-কুড়ি, গৌরবর্ণ, সুন্দর দেহ। ঈশ্বরের (Ramakrishna) নামে তাঁহার চক্ষে জল আসে। ঠাকুর তাঁহাকে সাক্ষাৎ নারায়ণ দেখেন।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 163: “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

    Ramakrishna 163: “পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল…শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম”

    শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে

    নবম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৩, ১১ই মার্চ

    পঞ্চবটীমূলে কীর্তনানন্দে

    অপরাহ্নে ভক্তেরা পঞ্চবটীমূলে কীর্তন করিতেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) তাঁহাদের সহিত যোগদান করিলেন। আজ ভক্তসঙ্গে মার নামকীর্তন করিতে করিতে আনন্দে ভাসিলেন (Kathamrita):

    শ্যামাপদ-আকাশেতে মন ঘুড়িখান উড়তেছিল ৷
    কলুষের কুবাতাস পেয়ে গোপ্তা খেয়ে পড়ে গেল ॥
    মায়াকান্নি হল ভারী, আর আমি উঠাতে নারি ৷
    দারাসুত কলের দড়ি, ফাঁস লেগে সে ফেঁসে গেল ॥
    জ্ঞান-মুণ্ড গেছে ছিঁড়ে, উঠিয়ে দিলে অমনি পড়ে ৷
    মাথা নেই সে আর কি উড়ে, সঙ্গের ছজন জয়ী হল ॥
    ভক্তি ডোরে ছিল বাঁধা, খেলতে এসে লাগল ধাঁধা ৷
    নরেশচন্দ্রের হাসা-কাঁদা, না আসা এক ছিল ভাল ॥

    আবার গান হইল। গানের সঙ্গে সঙ্গে খোল-করতাল বাজিতে লাগিল। ঠাকুর ভক্তসঙ্গে নাচিতেছেন:

    মজলো আমার মনভ্রমরা শ্যামাপদ নীলকমলে ৷
    (শ্যামাপদ নীলকমলে, কালীপদ নীলকমলে!)
    যত বিষয়মধু তুচ্ছ হল কামাদি কুসুম সকলে ॥
    চরণ কালো, ভ্রমর কালো, কালোয় কালো মিশে গেল ৷
    পঞ্চতত্ত্ব, প্রধান মত্ত, রঙ্গ দেখে ভঙ্গ দিলে ॥
    কমলাকান্তেরই মনে, আশাপূর্ণ এতদিনে ৷
    তায় সুখ-দুঃখ সমান হলে আনন্দ সাগর উথলে ॥

    কীর্তন চলিতেছে। ভক্তেরা গাহিতেছেন:

    (১)      শ্যামা মা কি এক কল করেছে।
    (কালী মা কি এক কল করেছে)
    চোদ্দপোয়া কলের ভিতরি, কল ঘুরায় ধরে কলডুরি,
    কল বলে আপনি ঘুরি, জানে না কে ঘুরাতেছে।
    যে কলে জেনেছে তারে, কল হতে হবে না তারে,
    কোন কলের ভক্তিডোরে আপনি শ্যামা বাঁধা আছে।

    (২)       ভবে আসা খেলতে পাশা কত আশা করেছিলাম।
    আশার আশা ভাঙা দশা প্রথমে পঞ্জুড়ি পেলাম ॥
    পঞ্চবার আঠার ষোল, যুগে যুগে এলাম ভাল ৷
    শেষে কচে বারো পড়ে মাগো, পঞ্জা-ছক্কায় বন্দী হলাম ॥

    ভক্তেরা আনন্দ করিতে লাগিলেন। তাহারা একটু থামিলে ঠাকুর গাত্রোত্থান করিলেন। ঘরে ও আশেপাশে এখনও অনেকগুলি ভক্ত আছেন।

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) পঞ্চবটী হইতে দক্ষিণাস্য হইয়া নিজের ঘরের দিকে যাইতেছেন। সঙ্গে মাস্টার। বকুলতলায় আসিলে পর শ্রীযুক্ত ত্রৈলোক্যের সহিত দেখা হইল। তিনি প্রণাম করিলেন।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ত্রৈলোক্যের প্রতি)—পঞ্চবটীতে ওরা গান গাচ্চে (Kathamrita)। চল না একবার —

    ত্রৈলোক্য—আমি গিয়ে কি করব?

    শ্রীরামকৃষ্ণ—কেন, বেশ একবার দেখতে।

    ত্রৈলোক্য—একবার দেখে এসেছি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আচ্ছা, আচ্ছা বেশ।

    আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”

    আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: গার্ডেনরিচের মণ্ডপে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, পুজো বন্ধ করার হুমকি! ক্ষোভ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: গার্ডেনরিচের মণ্ডপে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, পুজো বন্ধ করার হুমকি! ক্ষোভ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাস কলকাতায় মণ্ডপে ঢুকে দুর্গাপুজো (Durga Puja) বন্ধ করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার ভিডিও পোস্ট করে এই দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য অনুযায়ী, গার্ডেনরিচের নিউ বেঙ্গল স্পোর্টিং ক্লাবের মণ্ডপে ঢুকে দুষ্কৃতীরা পুজো বন্ধ না করলে মণ্ডপ ও মূর্তি ভাঙচুরের হুমকি দিয়েছে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পোস্ট

    গতকাল শুক্রবার অষ্টমীর বিকেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর পোস্ট করা একটি ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, কিছু যুবক একটি মণ্ডপে ঢুকে ধাক্কাধাক্কি করছে। সঙ্গে চলছে ব্যাপক শোরগোল। সেই ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘‘আজ কলকাতা পুলিশের আওতাভুক্ত গার্ডেনরিচ এলাকার নিউ বেঙ্গল স্পোর্টিং ক্লাবের দুর্গাপুজোয় দুষ্কৃতীদের বিনা প্ররোচনায় হামলা চালায় এবং পুজো বন্ধ না করলে মায়ের মূর্তি, মণ্ডপসহ পুরো প্যান্ডেল ভাঙচুর করার হুমকি দেয়।’’

    আলিপুরদুয়ার নিয়েও পোস্ট শুভেন্দুর

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন, ‘‘ক্লাব কতৃপক্ষ  ইতিমধ্যেই গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি কলকাতা পুলিশের কমিশনার মাননীয় শ্রী মনোজ কুমার ভার্মার কাছে দাবি করছি, এই ঘটনায় জড়িত সকলকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এই নোংরা মানসিকতা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার প্রচেষ্টার আমি তীব্র নিন্দা করি। দুষ্কৃতীদের এমন প্রবণতা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এদের বোঝাতে হবে যে এটা কলকাতা, ঢাকা নয়।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় একই রকম অভিযোগ উঠেছিল আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায়। অভিযোগ, মণ্ডপে ঢুকে পুজোর শঙ্খ ও লাউড স্পিকার বাজালে মূর্তি (Durga Puja) ভাঙচুরের হুমকি দেয় স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। এনিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: তামিলনাড়ুতে মালগাড়ি-ট্রেন সংঘর্ষ, বেলাইন ১২টি বগি, আহত ১৯

    Train Accident: তামিলনাড়ুতে মালগাড়ি-ট্রেন সংঘর্ষ, বেলাইন ১২টি বগি, আহত ১৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে ফের রেল দুর্ঘটনা (Train Accident)। চেন্নাইয়ের (Tamil Nadu) কাছে কাভারাইপেট্টাই স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। মহীশূর-দ্বারভাঙা বাগমতি এক্সপ্রেস, একটি মালগাড়িকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই, তবে ১৯ জন যাত্রী এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার ফলে ট্রেনের ১২টি কামরা বেলাইন হয়ে যায়। ট্রেনটিতে (Train Accident) মোট ১,৩৬০ জন যাত্রী ছিলেন বলে খবর। 

    এক্সপ্রেস ট্রেনটি অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে যাচ্ছিল (Train Accident)

    জানা গিয়েছে, এক্সপ্রেস ট্রেনটি অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় আচমকাই দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সঙ্গে সঙ্গে চারটি কামরা বেলাইন হয়ে যায়। সংঘর্ষের জেরে বগিতে আগুনও লেগে যায়। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাগমতি এক্সপ্রেস দ্বারভাঙার দিকে যাচ্ছিল। রাত ৭টা ৫০ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি পেরামবুর স্টেশন থেকে ছাড়ে। এরপর সেটা কাভারাইপেট্টি স্টেশন পৌঁছয় রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ যায়। প্রথমদিকে ১০৯ কিমি প্রতি ঘণ্টায় প্রথমদিকে ট্রেনটি যাচ্ছিল। পরে এটি লুপ লাইনে প্রবেশের পরে গতি কিছুটা কমিয়ে ফেলে। সেই সময় ট্রেনের গতি প্রায় ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা ছিল বলে খবর। তখনই একটা মালগাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী এক্সপ্রেস ট্রেনটি।

    উদ্ধারকাজে স্থানীয়রাই

    ধাক্কার পরেই এক্সপ্রেসের (Train Accident) একটা পাওয়ার কোচ ও একটি মোটর ভ্যানে আগুন ধরে যায়। স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান বলে খবর। এরপর উদ্ধারকাজ শুরু হয়। এই দুর্ঘটনার (Tamil Nadu) ফলে ওই রুটের ১৮টি ট্রেন শনিবার বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। দুর্ঘনার পরেই রেলওয়ে সেফটির কমিশনার অনন্ত মধুকর চৌধুরি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ratan Tata: শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রতন টাটা ভর্তি মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে

    Ratan Tata: শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রতন টাটা ভর্তি মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটা (Ratan Tata) সংকটজনক অবস্থায় ভর্তি মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সূত্র মারফত এই খবর জানা গিয়েছে। যদিও টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি ঘোষণা করা হয়নি। প্রসঙ্গত, রতন টাটার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সোমবারই গুজব ছড়ায়। তখন টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান নিজেই এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করে জানান যে এই খবর গুজব। তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে নিয়মিত চেকআপ করাতেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলেই জানান। এই আবহে দুদিনের মাথায় ফের তাঁর অসুস্থতার খবর সামনে এল।

    ২০০৮ সালে পেয়েছিলেন পদ্মবিভূষণ সম্মান (Ratan Tata)

    প্রসঙ্গত, রতন টাটা ভারতবর্ষের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি (Ratan Tata) এই সম্মান পান। এর আগে ২০০০ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ পুরস্কার দেওয়া হয়। ছাত্র জীবনে তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীকালে জেআরডি টাটার উত্তরসূরি হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি টাটা সন্সের দায়িত্ব নেন ১৯৯১ সালে। ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্ম হয় রতন টাটার (Ratan Tata Health Update) এবং তিনি একজন ভারতীয় শিল্পপতি বলে পরিচিত। ১৯৯০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি টাটা (Ratan Tata) গ্রুপকে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীকালে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফের তিনি ওই দায়িত্ব সামলান। বর্তমানে তিনি নানারকম সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

    আইসিইউ-তে ভর্তির খবরও ছড়ায় গত সোমবার

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, রবিবার গভীর রাতে রতন টাটাকে (Ratan Tata) মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিছু সংবাদমাধ্যম আর এক কদম এগিয়ে আরও দাবি করে, আচমকা তাঁর (টাটার) শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু সোমবার সকালেই এই সব জল্পনা উড়িয়ে দেন খোদ শিল্পপতি নিজেই। তিনি জানান, এ সবই ভুয়ো খবর। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে নিয়মমাফিক চেক-আপের জন্যই তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Pradesh: ফের ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা, রায়বরেলীতে লাইনের ওপর রাখা হল সিমেন্টের ব্লক

    Uttar Pradesh: ফের ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা, রায়বরেলীতে লাইনের ওপর রাখা হল সিমেন্টের ব্লক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রায়বরেলীতে। রেললাইনের ওপর সিমেন্টের ব্লক ফেলে রাখা হয়েছিল বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই ট্র্যাক ধরে তখন ছুটে আসছিল একটি মালগাড়ি। রেললাইনের ওপরে সিমেন্টের ব্লকগুলি পড়ে থাকতে দেখেই মালগাড়ি থামান চালক। তবুও সেগুলির সঙ্গে ধাক্কা লাগে মালগাড়ির। চালক যদি সময়মতো ব্রেক না কষতেন, তা হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।

    মধ্যপ্রদেশের সাতনা থেকে আসছিল মালগাড়িটি

    রেল সূত্রে (Uttar Pradesh) জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে একটি মালগাড়ি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কুন্দনগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। সেটি মধ্যপ্রদেশের সাতনা থেকে আসছিল। এই রুটের রায়বরেলী-প্রয়াগরাজ রেল ডিভিশনের লক্ষ্মণপুর এবং দরিয়াপুর স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ওপরেই সিমেন্টের ব্লক ফেলে রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে। রাত্রি ১১টা নাগাদ চালক হঠাৎ দেখতে পান রেললাইনের ওপরে কিছু পড়ে রয়েছে। আপৎকালীন ব্রেক কষে মালগাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই সিমেন্টের ব্লকে ধাক্কা লাগে মালগাড়ির।

    গত রবিবার রায়বরেলীতে (Rae Bareli) একই প্রচেষ্টা করা হয় 

    খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় রেলপুলিশ এবং রেল সুরক্ষা বাহিনী। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই এই রায়বরেলীতেই (Uttar Pradesh) ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টা করা হয়। রেললাইনের ওপর প্রচুর পরিমাণ মাটি ফেলে রাখা হয়েছিল। সেখানকার রঘুরাজ সিং স্টেশনের কাছেই ঘটনাটি ঘটে। চালক দেখতে পেয়েই ট্রেন থামিয়ে দেন। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পায় যাত্রিবাহী ট্রেন। কখনও গুজরাত, কখনও মধ্যপ্রদেশ আবার কখনও উত্তরপ্রদেশে ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কখনও রেললাইনের ওপর গ্যাস সিলিন্ডার রেখে, কখনও সিমেন্টের ব্লক, কখনও লোহার পাত, কখনও বা মাটি ফেলে ট্রেন লাইনচ্যুত করানোর চেষ্টার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গুজরাতে রেললাইনে লোহার রড রাখার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল ২ জনকে। কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। মধ্যপ্রদেশে ভেস্তে দেওয়া গিয়েছিল আরও বড় নাশকতার ছক। সে রাজ্যের বুরহানপুরে যে লাইন দিয়ে সেনাকর্মীদের ট্রেন যাওয়ার কথা ছিল সেখানে ট্র্যাক থেকে উদ্ধার হয়েছিল বেশ কিছু ডিটোনেটর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share