Tag: Madhyom

Madhyom

  • Daily Horoscope 20 March 2025: শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 20 March 2025: শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ২) কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    বৃষ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ।

    ৩) চিকিৎসকের কাছে যেতে হতে পারে।

    সিংহ

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ দেখাবেন না।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    তুলা

    ১) আপনার বিষয়ে অন্যদের সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই ব্যাপারে খরচ বার বার হবে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবে না।

    বৃশ্চিক

    ১) রক্তহীনতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    ধনু

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে মনের কথা খুলে বলুন।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তি বোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মানহানির সম্ভাবনা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কুম্ভ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মীন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • RSS: আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা হবে বেঙ্গালুরুতে, জানুন বিশদে

    RSS: আরএসএসের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা হবে বেঙ্গালুরুতে, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (এবিপিএস), ২০২৫ সালের ২১ থেকে ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা সংঘের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী সংস্থা এবং এটি প্রতি বছর আয়োজিত হয়। এবারের এবিপিএস বেঙ্গালুরু শহরের কাছে চান্নেনাহল্লিতে অবস্থিত জনসেবা বিদ্যা কেন্দ্র প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে।

    সংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন (RSS)

    গত বছর সংঘের বার্ষিক প্রতিবেদন (কার্যবৃত্ত) এই বৈঠকে উপস্থাপন ও আলোচনা করা হবে। এর বিশ্লেষণের পাশাপাশি, সংঘের বিভিন্ন প্রান্ত ও শাখার দ্বারা গত বছরের বিশেষ উদ্যোগগুলির প্রতিবেদনও উপস্থাপন করা হবে। ১৯ মার্চ, বেঙ্গালুরুতে জনসেবা বিদ্যা কেন্দ্রে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে, আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর জানান, বৈঠকটি ২১ মার্চ সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ২৩ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। তিনি বলেন, “আরএসএসের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সংঘের সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে গত বছরের কাজের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন, যেখানে শাখা কার্যক্রম, বিশেষ কর্মসূচি এবং উদ্যোগগুলির বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধিরা তাদের নানা প্রান্তে হয়ে যাওয়া কাজের রিপোর্ট উপস্থাপন করবেন, যার মধ্যে উদ্যোগ, বিশেষ কর্মসূচি এবং মাঠ পর্যায়ের কাজের বিশ্লেষণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে (Bengaluru)।”

    কী বললেন সুনীল অম্বেকার?

    সুনীল আম্বেকার বলেন, “২০২৫ সালে বিজয়া দশমীতে আরএসএসের একশো বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শাখা সম্প্রসারণ এবং লক্ষ্যগুলির পর্যালোচনা করা হবে। ২০২৫-২০২৬ সালটি আরএসএসের (RSS) শতবার্ষিকী বছর হিসেবে পালিত হবে। এই সভায় সেই সময়কালে আয়োজিত কর্মসূচিগুলি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বছর, সংঘ চিন্তা ও কাজের প্রসার এবং এতে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা চালানো হবে।” তিনি বলেন, “পঞ্চ পরিবর্তন, সামাজিক পরিবর্তনের পাঁচটি মূল বিষয়, যথা সামাজিক সমরসতা (সামাজিক সম্প্রীতি), কুটুম্ব প্রবোধন, পরিবেশ সচেতনতা, ‘স্ব’ এর ওপর জোর এবং নাগরিকদের দায়িত্বগুলিও আলোচনা করা হবে।”

    দুটি প্রস্তাব

    সুনীল আম্বেকর জানান, বিভিন্ন প্রান্তের কার্যকর্তারা জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা, অন্তর্দৃষ্টি এবং চিন্তাভাবনা শেয়ার করবেন। তিনি বলেন, এই সভায় দুটি প্রস্তাব গৃহীত হবে- প্রথম প্রস্তাবটি বাংলাদেশে ঘটে চলা উদ্বেগজনক ঘটনাবলী, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এবং ভবিষ্যৎ পথনির্দেশ নিয়ে হবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি হবে আরএসএসের গত ১০০ বছরের যাত্রা, শতবর্ষ উদযাপনকালীন কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। প্রতিনিধি সভায় রানি আবাক্কার ৫০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর অবদান নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হবে।

    প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

    আরএসএসের (RSS) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পর্কে সুনীল আম্বেকর জানান, এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে স্বয়ংসেবকদের জন্য ৯৫টি প্রথম বর্গ ও দ্বিতীয় বর্গ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৭২টি বর্গ ৪০ বছরের কম বয়সীদের জন্য এবং ২৩টি বর্গ ৪০ বছর ও তার বেশি বয়সিদের জন্য হবে। প্রতিনিধি সভায় সর সংঘচালক মোহন ভাগবতজির জাতীয় পর্যায়ের প্রবাস পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। ২৩ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন এবং প্রতিনিধি সভায় আলোচিত বিষয়গুলি সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করবেন (Bengaluru)।

    শতবর্ষ উদযাপন

    গত কয়েক বছরের কাজ সম্পর্কে সুনীল আম্বেকর বলেন, “গত চার বছর ধরে, আমাদের শতবর্ষ উদযাপনের প্রেক্ষিতে, আমাদের স্বয়ংসেবকরা দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছেছেন, শাখার সংখ্যা বাড়িয়েছেন এবং আরএসএসের কার্যক্রম প্রসারিত করেছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে ‘Join RSS’ লিংকের মাধ্যমে প্রতি বছর ১.২ লক্ষ ব্যক্তি আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন।” হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “শুধু বাংলাদেশে নয়, আরএসএস বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গর্ব ও নিরাপত্তার জন্য গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, বিশেষত যেখানে হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার হয়।”

    হিংসার নিন্দা

    সুনীল আম্বেকর নাগপুরের হিংসারও নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “যে কোনও ধরনের হিংসা সমাজের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আমি মনে করি পুলিশ এই ঘটনাটি লক্ষ্য করেছে এবং বিস্তারিত তদন্ত করবে।” ঔরঙ্গজেবের প্রাসঙ্গিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি (ঔরঙ্গজেব) আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক নন।” জানা গিয়েছে, আরএসএসের (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সহ বাকি ছয় সহ-সরকার্যবাহ এবং নির্বাহী সমিতির সকল সদস্য এই সভায় উপস্থিত থাকবেন। মোট ১,৫০০ কর্মী, মূলত প্রান্ত ও ক্ষেত্র পর্যায় থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, এই সভায় অংশগ্রহণ করবেন। ৩২টি আরএসএস প্রভাবিত সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সংগঠন সম্পাদকও উপস্থিত থাকবেন (Bengaluru)।

  • India vs Bangladesh: ফিরছেন সুনীল! বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে মলদ্বীপের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ ভারতের

    India vs Bangladesh: ফিরছেন সুনীল! বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে মলদ্বীপের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দলের জার্সিতে আজ, বুধবার প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে কিংবদন্তী ভারতীয় ফুটবলার সুনীল ছেত্রীর। বুধবার শিলংয়ে মলদ্বীপের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি খেলতে নামবে ভারতীয় দল। এই প্রথম মেঘালয়ের রাজধানীতে খেলবে মেন-ইন ব্লু। পরের সপ্তাহে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিয়াফার খেলবে ভারত। সেখানেও থাকার কথা সুনীলের। ক্রিকেটে বাংলাদেশকে (India vs Bangladesh) পরাজিত করার পর ফুটবলেও তাদেরকে হারিয়েই এএফসি এশিয়ান কাপ এর মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে চায় ভারত।

    কেন অবসর ভাঙলেন সুনীল

    ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে দারুণ ফর্মে আছেন ছেত্রী। বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে খেলে ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার প্রমাণ করেছেন যে বয়স কেবল একটি সংখ্যা। আইএসএলের লিগ পর্বে ১২টি গোল করেছেন তিনি সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেছেন ২টিতে। সেই কারণেই ভারতীয় কোচ মানোলো মার্কেজ সুনীলকে ফিরে আসতে অনুরোধ করেন। তারপরই অবসর থেকে ইউ-টার্ন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুনীল। বুধবার শিলং-য়ে দেশের হয়ে ১৫২তম ম্যাচে নামবেন তারকা ফুটবলার। মানোলোর অনুরোধে অবসর ভেঙে ফিরেছেন সুনীল। বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) ফুটবল সমর্থকদের একাংশের দাবি, হামজা চৌধুরীর ভয়ে নাকি সুনীল ছেত্রীকে অবসর ভেঙে খেলতে নামতে হচ্ছে। কারণ হামজা চৌধুরীর কাছে রয়েছে ইউরোপে খেলার অভিজ্ঞতা। তাই বাংলাদেশে তাঁর ডিফেন্স ভাঙার জন্যই নাকি সুনীলকে অবসর ভেঙে নামতে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের সমর্থকরা হামজা চৌধুরীকে নিয়ে গর্ব করলেও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ফুটবল ম্যাচের ফল কিন্তু বলছে অন্য কথা। ভারত-বাংলাদেশ মোট ৩১টি ম্যাচের মধ্যে ১৬টিতে জিতেছে ভারত। বাংলাদেশ ২টিতে, ১৩টি ম্যাচ অমীমাংসিত।

    বাংলাদেশকে হারানোই লক্ষ্য ব্লু-টাইগার্সদের

    কোচ হওয়ার পর আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ মানোলোর। তার আগে দলের কম্বিনেশন দেখে নিতে চান স্প্যানিশ কোচ। মলদ্বীপ ম্যাচকে তার প্রস্তুতি হিসেবেই নিচ্ছেন। মানোলো বলেন, ‘অবশ্যই সুনীল সব ম্যাচে খেলবে। শুরু করবে না পরিবর্ত হিসেবে নামবে সেটা এখনও ঠিক করিনি। আমরা ছটা পরিবর্ত ব্যবহার করতে পারি। সুতরাং, ১৭ জন খেলতে পারবে। সুনীল তারই মধ্যে একজন হবে। চলতি মরশুমে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল সুনীলের। প্লেয়ারের বয়স ২০ না ৪০, না ৮৭, আমার দাদুর বয়সী, সেটা বিষয় নয়। কেউ ছন্দে থাকলে, জাতীয় দলে থাকবে। জাতীয় দল প্লেয়ার তৈরি করার জন্য নয়। এখানে তৈরি প্লেয়াররাই আসবে। ম্যাচ জিততে হবে। সেটা করতে হলে, যারা ছন্দে আছে তাঁদের ডাকতে হবে।’ আসন্ন এশিয়ান কাপ (Asian Cup) বাছাই পর্বে ভারতের গ্রুপে রয়েছে হংকং, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ। সফল হলে ২০২৭-এর এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলবে ভারত। আগামী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে উঠলে ভারত টানা তৃতীয়বার এই টুর্নামেন্টে খেলবে, যা ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।

     

     

     

     

  • Sunita Williams: ‘‘পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল’’, সুনীতা ফিরতেই উচ্ছ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদির

    Sunita Williams: ‘‘পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল’’, সুনীতা ফিরতেই উচ্ছ্বাস প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:ঘরের মেয়ে গিয়েছিল মহাকাশ-জয়ে। মহাশূন্যেই আটকে পড়েছিল দীর্ঘ ৯ মাস। অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাঃস। পৃথিবীতে ফিরলেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। সঙ্গে আরও ২ নভশ্চর। তাঁদের স্বাগত জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। লিখলেন, “ওয়েলকাম ব্যাক, ক্রু৯! পৃথিবী আপনাদের মিস করছিল।” ভারতের সঙ্গে যে নাসার (NASA) মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের (Sunita Williams) নিবিড় যোগ রয়েছে তা সকলের জানা। তাই দীর্ঘ ৯ মাস পর তাঁর সুরক্ষিতভাবে মহাকাশ থেকে ফিরে আসায় উচ্ছ্বসিত প্রত্যেক ভারতবাসীও। চলতি বছরেই ভারতে আসতে পারেন সুনীতা, এমনই খবর দিলেন তাঁর পরিবারের লোকেরা।

    অধ্যবসায়ের আসল অর্থ বোঝালেন সুনীতা

    বুধবার ভোর-রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ফ্লোরিডায় অবতরণ করে স্পেস এক্সের ড্রাগন স্পেসক্রাফ্ট। ৯ মাস পর পৃথিবীর মাটিতে পা রাখেন সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। তাঁদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও ক্রু৯ মহাকাশচারীরা আরও একবার দেখালেন যে অধ্যবসায়ের আসল অর্থ কী। অজানার সম্মুখীন হয়েও যে একাগ্রতা দেখিয়েছেন, তা লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।” তিনি আরও বলেন, “মহাকাশ গবেষণা হল মানুষের সম্ভাবনার সীমাকে পার করা, স্বপ্ন দেখার সাহস দেখানো এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করা। সুনীতা উইলিয়ামস, একজন আইকন, তিনি নিজের কেরিয়ারকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরলেন। যাঁরা তাঁদের (সুনীতা ও বুচ) নিরাপদভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, আমরা তাঁদের উপরও গর্বিত। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন যে, নির্ভুলতার সঙ্গে প্যাশন এবং প্রযুক্তির সঙ্গে দৃঢ়তা মিলে গেলে কী হয়।”

    সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ

    মোদি আরও বলেন, “অন্তঃরীক্ষ ভ্রমণ তাঁদের জন্যই, যাঁরা স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার সাহস দেখান। সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) তাঁর কেরিয়ারে সেটাই বারবার প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। সুনীতাদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে যারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের সকলের জন্য আমরা খুব গর্বিত। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন লক্ষ্যে অবিচল থাকলে কতটা সাফল্য আসতে পারে।” উল্লেখ্য, এর আগে সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১ মার্চের সেই চিঠি গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। ১৪০ কোটি ভারতীয় সুনীতার কর্মকাণ্ডের জন্য গর্বিত বলে জানান মোদি। সুনীতার মা বনি পাণ্ডিয়া মেয়ের আসার অধীর অপেক্ষা করছেন বলে জানান মোদি। প্রয়াত বাবার আশীর্বাদও সুনীতার সঙ্গে সর্বদা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘ঘরের মেয়ে’ সম্বোধন করে সুনীতাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান নরেন্দ্র মোদি।

    সুনীতার পৈতৃক বাড়ি গুজরাট

    প্রসঙ্গত, সুনীতার বাবা দীপক পাণ্ডিয়া প্রধানমন্ত্রী মোদিরই রাজ্য অর্থাৎ গুজরাটের বাসিন্দা ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি প্রয়াত হন। তাঁদের আলাপেরই একটি ছবি দিয়ে সুনীতা উইলিয়ামসকে ফের একবার পৃথিবীতে স্বাগত জানিয়েছেন মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত, মাত্র ৮ দিনের মহাকাশে গিয়ে ৯ মাস ধরে আটকে ছিলেন সুনীতা এবং তাঁর সহকর্মী ব্যারি উইলমোর। শেষমেশ নাসা-স্পেস এক্সের রকেট তাঁদের উদ্ধার করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনেছে। এই প্রথমবার মহাকাশ যাননি সুনীতা বা উইলমোর কেউই। দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকা, স্পেসওয়াক করার রেকর্ড রয়েছে তাঁদের। তবে, ৮ দিনের জন্য গিয়ে ৯ মাস আটকে থাকা তাঁদের দুজনের কাছেই প্রথম।

    পৈতৃক গ্রামে আনন্দোচ্ছ্বাস

    সুনীতা (Sunita Williams) পৃথিবীতেই ফিরতেই আনন্দে আত্মহারা সুনীতার পৈতৃক গ্রাম ঝুলাসান। গুজরাটের এই গ্রামের সাধারণ মানুষ পথে নেমে এসেছেন উদযাপন করতে। তাঁদের দেখা গিয়েছে আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতে উঠতে। সুনীতার ভ্রাতৃবধূ ফাল্গুনী পাণ্ডিয়া বলছেন, ‘‘একদম সঠিক কোনও তারিখ বলতে পারছি না। তবে এটা নিশ্চিত, অতি শিগগিরিই ও ভারতে আসবে। এই বছরের মধ্যেই।’’ আর সুনীতা গ্রামে ফিরলেই হবে সামোসা পার্টি। এত কিছু থাকতে সামোসাই কেন? ‘‘আসলে হৃদয়ে ভারতীয়ত্বের ছোঁয়ায় সুনীতা সামোসার বিরাট ফ্যান। মহাকাশ স্টেশনেও তাঁর খাদ্য তালিকায় ছিল এই সামোস বা সিঙ্গারা। আর তাই তিনি এদেশে এলে পার্টি দেওয়া হবে সামোসারই।’’ বলছেন ফাল্গুনী।

  • Indian Railway: বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সস্তায় ট্রেনে চড়া যায় ভারতেই, লোকসভায় বললেন রেলমন্ত্রী

    Indian Railway: বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সস্তায় ট্রেনে চড়া যায় ভারতেই, লোকসভায় বললেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতেই সবচেয়ে কম খরচে করা যায় ট্রেন সফর। বিগত পাঁচ বছরে সিকে পয়সাও বাড়েনি ভাড়া। সংসদে তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে এমনটাই জানালেন রেলমন্ত্রী (Indian Railway) অশ্বিনী বৈষ্ণব। মন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, ভারতের লোকাল ট্রেনে চড়তে গড়ে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকার মধ্যে খরচ হয় একজন যাত্রীর। প্রসঙ্গত, গোটা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সস্তায় ট্রেনে চড়া যায় এই ভারতেই।

    সবচেয়ে ভালো রেল পরিষেবা ভারতে (Indian Railway)

    মঙ্গলবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) বলেন, ‘‘২০২০ সাল থেকে ভারতীয় রেলমন্ত্রক টিকিটের দামে কোনও পরিবর্তন আনেনি। এক পয়সাও বাড়ানো হয়নি টিকিটের দর। এমনকি পড়শি দেশগুলির তুলনায় সবচেয়ে কম খরচেই একজন যাত্রীকে ভারতে রেল পরিষেবা (Indian Railway) নিয়ে থাকেন।’’

    প্রতিবেশী কোন দেশে টিকিটের দাম কত তাও বলেন রেলমন্ত্রী

    একইসঙ্গে সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রসঙ্গও টানেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। অশ্বিনী বৈষ্ণব (Indian Railway) বলেন, ‘‘বর্তমানে ভারতীয় ট্রেনে চেপে ৩৫০ কিলোমিটার পথ যেতে খরচ হয় ১২১ টাকা। সেই একই দূরত্ব পার করে পাকিস্তান রেল যাত্রীদের থেকে নিয়ে থাকে ৪৩৬ টাকা ও বাংলাদেশ নিয়ে থাকে ৩২৩ টাকা। এমনকি, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাতেও একই দূরত্ব যেতে খরচ পড়ে ৪১৩ টাকা।’’

    বেড়েছে রেলের সময়ানুবর্তীতা

    উল্লেখ্য, দেশের ট্রেন পরিষেবা নিয়ে এদিন একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী (Ashwini Vaishnaw)। তিনি বলেন, ‘‘আগের তুলনায় বেড়েছে রেলের সময়ানুবর্তীতা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আধুনিক সিগন্যালিং সিস্টেম, রিয়েল-টাইম মনিটরিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারেই আগের তুলনায় ৯০ শতাংশ সময়ানুবর্তীতা বেড়েছে ভারতীয় রেলের।’’ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় রেল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিকে বড় বড় শহরের সঙ্গে জুড়তে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে বেড়েছে ভারতের অর্থনীতি। তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান। বিভিন্ন সামাজিক জনগোষ্ঠীর কাছে এর ফলে সহজ হয়েছে যাত্রা। সামাজিক একতাও গড়ে তুলতে পেরেছে ভারতীয় রেল।

  • Electoral Fraud: ভুয়ো ভোটার নির্মূল করতে আধার-এপিক কার্ড লিংকের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের

    Electoral Fraud: ভুয়ো ভোটার নির্মূল করতে আধার-এপিক কার্ড লিংকের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুতুড়ে ভোটারদের (Electoral Fraud) নির্মূল করতে বড়সড় পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিল (AADHAAR Voter Cards Link) কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী-সহ অবাঞ্ছিত ভোটারদের ভোট-প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিংক করানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (ইউআইডিএআই) বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকার (Electoral Fraud)

    এই উদ্যোগ নিতে হলে প্রযুক্তিগত ও আইনি পরিকাঠামো কী হবে তা নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিক, ইউআইডিএআই এবং অন্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও আরও দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সান্ধু ও বিবেক জোশিম। সেখানে নির্বাচন কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংবিধানের ৩২৬ নম্বর ধারার অধীনে ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকার সংরক্ষিত থাকলেও, আধার কার্ড কেবল পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। এই দুইয়ের সংযোগ সাংবিধানিক বিধান ও আইনি নির্দেশিকা অনুসরণ করবে। এই সিদ্ধান্তের পর শীঘ্রই ইউআইডিএআই এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

    আধার-ভোটার কার্ড সংযোগ

    জানা গিয়েছে, আধার-ভোটার কার্ডের এই সংযোগ ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ২৩(৪), ২৩(৫), এবং ২৩(৬)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং ডাব্লুপি (সিভিল) নং ১৭৭/২০২৩-এ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ২৩(৬) নিশ্চিত করে যে, কোনও নির্বাচক যদি পর্যাপ্ত কারণ দেখাতে পারেন, তাহলে আধার নম্বর দেওয়া বা শেয়ার করতে না পারার কারণে তাঁকে নির্বাচনী তালিকা থেকে সরানো হবে না। এটি নিশ্চিত করে যে আধার সংযোগ শুধুমাত্র তখনই হবে যখন নির্বাচক স্বেচ্ছায় তাঁর আধার নম্বর জমা দেবেন। যাঁরা আধার বিবরণ প্রদানে বৈধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারেন, তাঁদের অধিকার রক্ষা করা হবে (AADHAAR Voter Cards Link)।

    স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচি

    নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালের ১ অগাস্ট থেকে একটি স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচি চালু করেছে, যার মাধ্যমে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য ভোটারদের থেকে আধার নম্বর সংগ্রহ করা হবে। আধার প্রমাণীকরণের (Electoral Fraud) জন্য সম্মতি ফর্ম ৬বি-র মাধ্যমে নেওয়া হয়, এবং একবার সম্মতি দেওয়া হলে, তা প্রত্যাহারের কোনও ব্যবস্থা নেই।

    নির্বাচনী জালিয়াতি

    এই উদ্যোগটি ভারতের নির্বাচনী জালিয়াতি ও কারচুপি মোকাবিলার প্রচেষ্টায় একটি উল্লেখযোগ্য মোড় হিসাবে চিহ্নিত। আধার সিস্টেমের সুবিধা নিয়ে নির্বাচন কমিশন একটি আরও নির্ভুল এবং বিশ্বস্ত ভোটার ডেটাবেস তৈরি করতে চায়। আধার-ইপিআইসি সংযোগ নকল ভোটারদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা নিশ্চিত করবে যে শুধুমাত্র যোগ্য ভোটাররাই তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সততা শক্তিশালী হবে।

    ভুতুড়ে ভোটার

    কয়েক বছর আগে কারও মৃত্যু হয়েছে, অথচ ভোটার তালিকায় দিব্যি রয়েছেন তিনি। তাঁর ভোটার কার্ড কিংবা রেশন কার্ড জমা দিয়ে ভোট দিয়ে দিচ্ছেন অন্য কেউ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর নাম রয়ে যাচ্ছে ভোটার তালিকায়। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন, যাঁরা জীবিত থাকলেও, ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা গিয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের খাতায় তিনি মৃত। নানা সময় এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যের শাসক কিংবা বিরোধীরাও এনিয়ে সরব হয়েছেন। ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে মঙ্গলবার একই দিনে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপি।

    বিজেপির অভিযোগ

    দুপক্ষই নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অভিযোগ জানিয়েছিল (Electoral Fraud)। বিজেপির অভিযোগ, বাংলায় ১৩ লাখের বেশি ভুয়ো ভোটার রয়েছে তালিকায়। স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবিতে সরব হয় পদ্ম শিবির। এনিয়ে উত্তপ্ত হয় সংসদের উভয় কক্ষই। ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ হতেই বিক্ষোভে শামিল হন দেশের বিভিন্ন দলের সাংসদরা (AADHAAR Voter Cards Link)।

    ভুতুড়ে ভোটারমুক্ত তালিকা

    এর পরেই ভোটার তালিকা ভুতুড়ে ভোটারমুক্ত করতে তৎপর হয় নির্বাচন কমিশন। ডাকা হয় বৈঠক। বর্তমানে ভোটার আইডির সঙ্গে আধার লিংক করা কারও ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে এবং নাগরিকদের আইনত আধারের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া জোরদার করতে ইসিআই রাজনৈতিক দলগুলিকে এর সঙ্গে জুড়ছে। নির্বাচন কমিশন ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব (AADHAAR Voter Cards Link) জাতীয় ও রাজ্য রাজনৈতিক দলগুলিকে ইআরও, ডিইও এবং সিইওদের কাছে এ সংক্রান্ত অমীমাংসিত সমস্যার কথা জানানোর কথা বলেছে (Electoral Fraud)।

  • PM Modi: ‘‘সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে’’, লোকসভায় মহাকুম্ভের ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা মোদির

    PM Modi: ‘‘সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে’’, লোকসভায় মহাকুম্ভের ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ ২০২৫-এর (Maha kumbh 2025) ব্যাপক সাফল্যের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই মহাকুম্ভের সাফল্যের জয়গান করেন প্রধানমন্ত্রী।

    জাতীয় চেতনার প্রমাণ (PM Modi)

    তিনি একে ভারতের আধ্যাত্মিক ও জাতীয় চেতনার প্রমাণ বলে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী এই বিশাল সমাবেশের সুন্দর ব্যবস্থাপনারও প্রশংসা করেন, যা বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্ত, সাধু ও মানুষকে আকর্ষণ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভকে বিভিন্ন “অমৃত”-এর উৎস বলে বর্ণনা করেন। এর মধ্যে “ঐক্য” হল সবচেয়ে পবিত্র। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভ হল সেই বিশেষ মুহূর্ত যখন মানুষ সারা দেশ থেকে একত্রিত হয়েছিলেন। তাঁরা তাঁদের জাত, ভাষা, অঞ্চল, লিঙ্গ এবং অন্যান্য পক্ষপাত ভুলে গিয়ে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছিলেন। এই ভাবনা প্রচার করেছিলেন যে এটি কখনও “আমি” এর জন্য নয়, বরং সর্বদা “আমরা” এর জন্য।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা মহাকুম্ভের পরিমাণ ও প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁরা তাঁদের উত্তর পেয়েছে দেশজুড়ে দেখা গেছে অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ ও আধ্যাত্মিক জাগরণের মাধ্যমে।”

    রেকর্ড-ভাঙা উৎসাহ

    মহাকুম্ভে রেকর্ড-ভাঙা উৎসাহের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহাকুম্ভ ২০২৫-এ জাতীয় সচেতনতার একটি অসাধারণ প্রদর্শনী দেখা গিয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ প্রয়াগরাজে একত্রিত হয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “তরুণ প্রজন্ম গভীর আবেগ নিয়ে এই অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়েছে, যা ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মধ্যে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে মহাকুম্ভ আঞ্চলিক, ভাষাগত এবং সামাজিক সীমা অতিক্রম করে একটি সম্মিলিত চেতনা গড়ে তুলেছে। তিনি বলেন, “মহাকুম্ভের মহিমা হল ভারতের ঐক্যের ক্ষমতার প্রতিফলন, যা বিভেদের ঊর্ধ্বে উঠে একটি সাধারণ লক্ষ্যের দিকে কাজ করে।”

    প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিচারণ

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর মরিশাস সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমি যখন ত্রিবেণী সঙ্গমের পবিত্র জল গঙ্গা তালাবে উৎসর্গ করেছিলাম, তখন তা প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে এক গভীর ভক্তির অনুভূতি জাগিয়েছিল।” তিনি বলেন, “ভারতের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল তার বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, এবং এই একত্রিত হওয়ার চেতনাকে আরও লালন করা প্রয়োজন (Maha kumbh 2025)।”

    মহাকুম্ভে অমৃত স্নান

    চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল মহাকুম্ভে অমৃত স্নান। শেষ হয়েছিল ৪৫ দিন পরে, ২৬ ফেব্রুয়ারি। তিন পক্ষের এই মহাকুম্ভ বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশগুলির মধ্যে একটি। ৬৬ কোটিরও বেশি ভক্ত গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও ৫ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে এই পবিত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানের প্রভাব ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তিনি মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গাবার্ডকে মহাকুম্ভের গঙ্গাজল উপহার দেন। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে অংশ নিয়েছিলেন ৭৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা। ১০০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) মতে, এটি এই গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক সমাবেশের বৈশ্বিক সচেতনতা প্রদর্শন করে।

    ভারতের ঐক্যের শক্তি

    বিশ্বজুড়ে চলা সংঘাতের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “মহাকুম্ভ ভারতের ঐক্যের শক্তিকে প্রতিফলিত করে। বিশ্বের অনেক অংশ বিভক্ত থাকলেও, ভারত ঐক্য ও সম্মিলিত ঐতিহ্যের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।” তিনি বলেন, এই ঐক্যই আমাদের আশীর্বাদ ও আমাদের শক্তি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকটের সময় ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিক প্রথাগুলি ঐক্যবদ্ধকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে। মহাকুম্ভ, যা বিশ্বাসীদের এক বিশাল সমাবেশ, এটি লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে ঐক্য ও বিশ্বাসের অনুভূতি পুনরায় জাগ্রত করে।” তিনি বলেন, “এই ধরনের বৃহৎ অনুষ্ঠানগুলি বিশ্বের কাছে ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে এবং ঐতিহ্য রক্ষার পথে দেশকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।”

    পরিবেশগত গুরুত্বে জোর

    প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভের পরিবেশগত গুরুত্বের ওপরও জোর দেন। তিনি একটি বৃহত্তর নদী সংরক্ষণ আন্দোলনের আহ্বানও জানান। জল সংরক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ‘নদী উৎসব’ প্রসারিত করার অনুরোধও জানান। তিনি (PM Modi) বলেন, “কুম্ভমেলায় বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম টেকসই উন্নয়নে জন আন্দোলনের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।” নদী দূষিত ও শুকিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি জোর দিয়েছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলাশয় সংরক্ষণের পদ্ধতি শেখানো প্রয়োজনের ওপর। তাঁর মতে, নদী উৎসবের প্রসার ভারতের বিশাল নদী ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত ও সংরক্ষণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে (Maha kumbh 2025)।

    ভারতীয় সংস্কৃতির শেকড়

    এদিন তিনি ফের বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির শেকড় বুঝতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মহাকুম্ভের মতো ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।” একটি ক্রমবর্ধমান আধুনিক বিশ্বে, যেখানে অনলাইন শক্তি জীবনকে রূপান্তরিত করছে, সেখানে তিনি আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি গর্বিত হয়েছেন এই ভেবে যে যখন দেখলেন তরুণরা তাদের ঐতিহ্যকে শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে গ্রহণ করছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “মহাকুম্ভের মতো উৎসবগুলি কেবল ধর্মীয় সমাবেশই নয়, বরং ভারতের ঐতিহাসিক সহনশীলতার গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে এই ধরনের উৎসবগুলি যেন অক্ষুণ্ন রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন (Maha kumbh 2025)।”

  • Suvendu Adhikari: রামনবমী নিয়ে চড়ছে পারদ! ‘‘ক্ষমতা থাকলে আটকান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রামনবমী নিয়ে চড়ছে পারদ! ‘‘ক্ষমতা থাকলে আটকান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমী পালন নিয়ে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। এবার হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রামনবমী (Ram Navami) পালনের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জয় শ্রীরাম গালি!’’ একইসঙ্গে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাস্তায় থাকব। পিছনে থাকবে লাখ হিন্দু ভক্ত জনতা। পারলে আটকে নিন। ক্ষমতা থাকে তো আটকে নিন। হিন্দুস্তান মে হিন্দুই রাজ করেগা। যো হিন্দু হিত মে কাজ করেগা ওই হি আগলে দিন বাঙ্গাল মে রাজ করেগা।’’

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশে জয় শ্রী রাম স্লোগান দেন কিছু যুবক। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাড়ি থেকে নেমে বলেন, তাঁকে গালি দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার নিজের বক্তব্যে সেই ঘটনার কথাও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘২০২৩ সালে রামনবমীর মিছিলে হামলা হয়। এই ঘটনায় আমার দায়ের করা মামলায় এনআইএ তদন্ত শুরু হয়। এই সময় উস্কানি আসে রাজ্যের শাসক দল পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীর দিক থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জয় শ্রীরাম হল গালি। যোগেশচন্দ্র, হরিণঘাটায় সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। দোলপূর্ণিমায় সাঁইথিয়ায় ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে।’’

    প্রশাসন হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রামনবমীর (Ram Navami) পালন নিয়ে প্রশাসন হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রামনবমীর উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সবাইকে আবেদন করব, আপনারা প্রোটোকল মেনে, গত বছরের অনুমতির কাগজ সহ, পুলিশকে দেবেন। নতুন করে কোনও মমতা পুলিশের পাঠানো প্রোফর্মা ফিলাপ করবেন না। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার লোককে প্রতিনিধিত্ব করি। আমি এবং আমাদের বিজেপি এমএলএ-রা আপনাদের সম্পূর্ণভাবে আইনি সুরক্ষা দেব। আপনারা কেউ নতুন প্রোফর্মা ফিলাপ করবেন না। গত বছরে যা হয়েছিল, একইভাবে এবারে উৎসব পালন করা হবে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর সাফ কথা, ‘‘ প্রোফর্মাতে কমিটির নাম, পুজোর স্থান, সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্টের নাম ও মোবাইল নম্বর, শোভাযাত্রা হবে কিনা, হলে যাত্রাপথ জানতে চাইছে। একইসঙ্গে বলছে ওই রুটে অন্য ধর্মের কোনও প্রতিষ্ঠান আছে কিনা, মুসলিম মহল্লার নাম, পুলিশ চাইছে।’’

    পুজো আয়োজকদের মধ্যে ঝামেলা কারা করতে পারে? জানতে চাইছে পুলিশ

    এখানেই না থেমে আশঙ্কার কথা জানিয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘জমায়েতের বিষয়ে জানতে চাইছে। একইসঙ্গে ওই পুজোতে কারা গন্ডোগোল-ঝামেলা করতে পারে তাঁদের নাম ও ফোন নম্বর চাইছে। মানে পুজোর আয়োজকদের মধ্যে যাঁরা ঝামেলা করতে পারে তাঁদের নাম-ফোন নম্বর চাইছে। একইসঙ্গে পুজোতে প্রধান কন্ট্রোলার ব্যক্তি ও পুলিশ ফ্রেন্ডদের নাম ও মোবাইল নম্বর চাইছে।’’ এরপরই পুলিশের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘‘পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধিতে যদি পড়েন তাহলে খেসারত আপনাকে দিতে হবে।’’

    রামনবমী আটকাতে পারবেন না মমতা

    একইসঙ্গে মমতা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মিছিলের সংখ্যা এতটাই হবে, গোটা রাজ্যের পুলিশ-সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগিয়েও আটকাতে পারবেন না’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মহাকুম্ভে ৬৬ কোটি মানুষ স্নান করেছেন। সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী পালন করুন। এবার মিছিলের সংখ্যা এতটাই হবে, গোটা রাজ্যের পুলিশ-সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগিয়েও আটকাতে পারবেন না। প্রত্যেকে রাস্তায় থাকব, রামনবমীর মিছিলে সামিল হব। হাওড়ায় শ্যামপুরে ৭ এপ্রিল মিছিল করব, ক্ষমতা থাকে আটকান। যাঁরা হিন্দুদের পাশে দাঁড়াবে, তাঁরাই চেয়ারে থাকবে।’’

    রামনবমী ঘিরে চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ

    বছর ঘুরলেই বঙ্গে ভোট। এই আবহে তোষণের রাজনীতির ইস্যুতে মমতা সরকারকে নিশানা শুরু করেছে বিজেপি। এপ্রিল মাসে রয়েছে রামনবমী। এমন সময় রাজ্যজুড়ে বিজেপির দেওয়াল লিখনও দেখা যাচ্ছে হিন্দুত্ব ইস্যুতে। বিজেপির ‘হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই’ পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে চারিদিক। পাল্টা পোস্টারেই কটাক্ষবাণ শানিয়েছে রাজ্যের শাসকদলও। এই আবহে রামনবমী ঘিরে ক্রমশই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে দফায় দফায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। আক্রমণের ধার বাড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘রামনবমী (Ram Navami) নতুন করে পালনের ব্যাপার নেই। অনেকদিন থেকেই পালন হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর আগে অনেকবারই রাম নবমীর উৎসবে পুলিশ দিয়ে বাধা দিয়েছেন। কোর্টে যেতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দু’বার জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে অপশব্দ বা খারাপ শব্দ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।’’

  • India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    India Pakistan Relation: ‘পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শান্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা’, বলল বিদেশ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ভূখণ্ডে অবৈধ ও জোর করে দখলে রাখা এলাকা ছেড়ে দিক পাকিস্তান (India Pakistan Relation)। তাহলেই সীমান্তে শান্তি ফিরবে। পাকিস্তানের কাশ্মীর সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এই কথা বলেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে সহায়তা প্রদান শান্তি ও নিরাপত্তার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদের আখড়া! সন্ত্রাসবাদের যে বীজ পাকিস্তান বপন করেছে, তার ফল তাদেরকে ভুগতে হচ্ছে, বলে জানান রণধীর।

    পাকিস্তানের বিশ্বাসঘাতকতা

    সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক মার্কিন পডকাস্টে পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টার কথা শেয়ার করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রথম শপথ গ্রহণের সময় তখনকার পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি উল্লেখ করেন যে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর প্রতিটি প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে শান্তির উদ্দেশ্যে লাহোরে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, আমি বিশেষভাবে পাকিস্তানকে আমার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যেন আমরা একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে পারি। তবুও, শান্তির প্রতি আমার প্রতিটি মহৎ প্রচেষ্টা শত্রুতা ও বিশ্বাসভঙ্গের মুখে পড়েছিল।” কিন্তু এই পডকাস্ট প্রচারের পর পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনে। পাক বিদেশমন্ত্রকের দাবি, ভারত রেষারেষি করছে। পাক-ভূমে সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে দিল্লি। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, বালোচ বিদ্রোহীরা জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং তারা আফগানিস্তানের রিং লিডারদের সঙ্গে যোগাযোগে ছিল। ভারত এই ঘটনার মজা নিয়েছে।

    গুজব ছড়ানোর প্রয়াস

    পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শাফকত আলি খান দাবি করেছিলেন, “ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। বিশেষত, জাফর এক্সপ্রেস হামলায়, সন্ত্রাসীরা তাদের হ্যান্ডলারদের এবং রিং লিডারদের সঙ্গে আফগানিস্তানে যোগাযোগ করেছিল।” ভারত এই অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করেছে। দিল্লির তরফে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা পাকিস্তানের মিথ্যা অভিযোগগুলো অস্বীকার করছি। পৃথিবী জানে, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের উৎস কোথায়। পাকিস্তানকে অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর বদলে নিজেদের ভেতরে দেখতে হবে।” বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘পাকিস্তানের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিদ্বেষে ভরা। ভারত-বিরোধী প্রচার চালানোর এটি একটি নবতম পন্থা। সারা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান দীর্ঘ দিন ধরে সন্ত্রাসবাদ, সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ আন্তর্দেশীয় কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল। পাকিস্তান যেমন বীজ বপন করবে, তেমন ফসলই পাবে।’’

    কাশ্মীর নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার

    রণধীর দাবি করেন, পাকিস্তান (India Pakistan Relation) গুজব না ছড়িয়ে বরং জোর করে ভারতের যে যে জায়গা তারা দখল করে রেখেছে তার ওপর থেকে সরে যাক। পাক দখলীকৃত জায়গা দিল্লিকে ফিরিয়ে দিলেই, ভারত সেখানে উন্নয়নের জোয়ার আনবে। সম্প্রতি কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘আমরা সবাই সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা বলি। বিশ্বের বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে যা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে অন্য কোনও দেশের এলাকায় সবথেকে দীর্ঘ অবৈধ উপস্থিতির সাক্ষী রয়েছে ভারতের কাশ্মীর।’ কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং পশ্চিমী বিশ্বের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা ইউনাইটেড নেশনসে গিয়েছি। কাশ্মীরের একাংশ দখলের ঘটনাকে বিতর্ক বলে দাবি করা হচ্ছে। তাহলে অপরাধী কে? ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা? আমাকে ক্ষমা করবেন। ওই বিষয়ে আমার এই রকম অনেক প্রশ্ন আছে।’ এর পরই রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা শক্তিশালী করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জের দরকার নিরপেক্ষতা। শক্তিশালী গ্লোবাল অর্ডারে কিছু বেসিক স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা যেমন দরকার, তেমন আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলারও প্রয়োজন।’

    ভারতকে দোষারোপের কারণ নেই

    বিদেশমন্ত্রীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত (India Pakistan Relation) এবং অন্যান্য অনেক দেশ প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে এই বলে বারবার সতর্ক করেছে যে, সন্ত্রাস এবং হিংসার সংস্কৃতির কারণে তারা নিজেদেরই ক্ষতি করছে। পাকিস্তানের নিজস্ব কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতকে দোষারোপ করা কোনও যুক্তিযুক্ত সমাধান হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছে বিদেশ মন্ত্রক। দিল্লির দাবি, অন্যের দিকে আঙুল তোলা এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য বহিরাগত শক্তিকে দোষারোপ করার পরিবর্তে পাকিস্তানের আত্মসমালোচনা করা উচিত।

  • Eknath Shinde: ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান’’, প্রতিক্রিয়া শিবসেনা প্রধান শিণ্ডের

    Eknath Shinde: ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান’’, প্রতিক্রিয়া শিবসেনা প্রধান শিণ্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঔরঙ্গজেবের (Aurangzeb) সমাধি অপসারণ আন্দোলনে উত্তাল নাগপুর। এই আবহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা গেল সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেকে (Eknath Shinde)। মঙ্গলবার শিবসেনা প্রধান  বলেন, ‘‘ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করা দেশদ্রোহিতার সমান। যাঁরা এটা করছেন তাঁদেরকে কখনও ক্ষমা করা হবে না। ঔরঙ্গজেব মহারাষ্ট্রে এসেছিলেন শুধুমাত্র ধ্বংসলীলা চালাতে এবং তাঁকে গৌরবান্বিত করা উচিত নয়। কিন্তু মহারাষ্ট্রে আমাদের বিরোধীদের আমরা দেখছি, তাঁরা এমন ভাবে আচরণ করছেন যেন ঔরঙ্গজেব তাঁদের আত্মীয় হতেন। যাঁরা ঔরঙ্গজেবকে গৌরবান্বিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের লজ্জিত হওয়া দরকার।’’

    ঔরঙ্গজেবের সমাধি মহারাষ্ট্র থেকে সরানো খুবই প্রয়োজন

    এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী (Eknath Shinde) ব্রিটিশ শাসনেরও উদাহরণ দেন নিজের বক্তব্যে। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘ব্রিটিশরা এই দেশে আক্রমণ করেছিল। এই দেশকে শাসন করেছিল। ব্রিটিশরা ২০০ বছরে ভারত শাসন করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়ার পরে এই দেশ থেকে ব্রিটিশদের চিহ্ন মোছার কাজ শুরু হয়। কারণ তা ছিল ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতীক। একইভাবে এই দেশের ওপরে যিনি অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন সেই রকমই একজন হলেন ঔরঙ্গজেব। যাঁর সমাধি মহারাষ্ট্র থেকে সরানো খুবই প্রয়োজন।’’ প্রসঙ্গত, ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে গত সোমবার উত্তাল হয় নাগপুর। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিরাট পুলিশ বাহিনী নামাতে হয় সরকারকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের সেই আন্দোলনে পরে ফের একবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণ নিয়ে। আগেই এই দুই সংগঠন ঘোষণা করেছিল, ঔরঙ্গজেবের সমাধি হল আসলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন এবং নৃশংসতার প্রতীক। যে কোন মূল্যে এই সমাধি সরাতে হবে।

    নাগপুর হিংসা পূর্ব পরিকল্পিত

    এই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদে বক্তব্য রাখেন শিণ্ডে (Eknath Shinde)। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, নাগপুরের হিংসা আসলে পূর্ব পরিকল্পিত। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘১০০ থেকে ১৫০টি দুই চাকার গাড়ি নাগপুরে প্রতিদিন পার্কিং করা থাকে। কিন্তু সোমবার দেখা যায় যে সেখানে কোনও গাড়ি পার্কিং করা ছিল না। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে সোমবারে যে হিংসা ছড়ায় নাগপুরে তা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। একইসঙ্গে দেখা যায় অন্যান্য দু’চার এবং চার চাকার গাড়িগুলিকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে পাথর ছোড়াও হতে থাকে। শুধু তাই নয়, আশ্চর্যজনকভাবে হাসপাতালকেও টার্গেট বানানো হয়। এই হিংসার হাত থেকে বাদ দেওয়া হয়নি পাঁচ বছরের শিশুকেও। হাসপাতালে দেব-দেবীদের ছবিগুলিকেও জ্বালিয়ে দিয়েছে মৌলবাদীরা। দমকল বাহিনীর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের কার্যকলাপ যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

    টেনে আনেন লাদেনের উদাহরণও

    এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেন ওসামা বিন লাদেনের কথাও। ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে আমেরিকা। শিণ্ডে (Eknath Shinde) জানিয়েছেন যে লাদেনকে মহিমান্বিত করতে কোথাও তাঁর কবরস্থান তৈরি করেনি আমেরিকা। এরকম সন্ত্রাসীর দেহ সমুদ্রেই ফেলে দেয় তারা।’’ নাগপুর হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতা তথা উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাকেও (ইউবিটি) এক হাত নেন। বিধান পরিষদের সদস্য অনিল পরবের প্রশ্নের জবাবে শিণ্ডে (Eknath Shinde) বলেন, ‘‘ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে এত চর্চা চলছে কেন? কেন তাঁকে মহিমান্বিত করা হচ্ছে! আমাদের দেশের ইতিহাসে উনি একজন নৃশংসতম ব্যক্তি।’’

    সম্ভাজিরাজকে হত্যা করেছিলেন ঔরঙ্গজেব

    একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde) আরও বলেন, ‘‘মুঘল সম্রাট মারাঠা ছত্রপতি রাজা সম্ভাজিরাজেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঔরঙ্গজেবের সেই প্রস্তাব না মানার জন্য সম্ভাজিরাজেকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে মুঘল সম্রাট।’’ এই প্রসঙ্গে একনাথ শিণ্ডে কড়া নিশানা করেছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি হর্ষবর্ধন সপকালকে। ঔরঙ্গজেবের শাসন এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের শাসনের তুলনা করেন একনাথ শিণ্ডে। তিনি বলেন, ‘‘দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ এখনও পর্যন্ত কি সেই রকমের কোনও অত্যাচার তাঁর বিরোধীদের ওপরে করেছেন? যেটা ঔরঙ্গজেব করতেন, তাঁর শত্রুদের সঙ্গে!’’ কংগ্রেসকে তীব্র নিশানা করে শিণ্ডে বলেন, ‘‘এটা ছিল সেই কংগ্রেস, যারা বছরের পর বছর ধরে ঔরঙ্গজেবের সমাধিকে রক্ষা করে এসেছে।’’ বিরোধীদের ওপরে তীব্র নিশানা করে শিণ্ডে আরও বলেন, ‘‘উদ্ধব ঠাকরেপন্থী শিবসেনার সদস্য অনিল পরবের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে আমি ঠিক কী করেছি? আমি যা করেছি প্রকাশ্যে করেছি। আমি যেটা করেছি সেটা শিবসেনাকে রক্ষা করার জন্য করেছি। আমি যা করেছি সেটা ঔরঙ্গজেবের প্রতি যাঁরা সহানুভূতি জানায়, তাঁদের হাত থেকে শিবসেনাকে রক্ষা করার জন্য করেছি।’’

LinkedIn
Share