Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোটানায় বাংলাদেশ! একদিকে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে চাইছে শিক্ষিত মহল। আর একদিকে ইসলামি অ্যাজেন্ডার (Caliphate) দিকে ঝুঁকছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis)। বাংলাদেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র বা খিলাফতে রূপান্তরিত করতে চাইছে ইসলামপন্থী, জেহাদি এবং খিলাফতকামী গোষ্ঠীগুলি।

    নেতৃত্বে ইউনূস (Bangladesh Crisis)

    এদের নেতৃত্বে রয়েছেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বও। ইউনূস সরকারের এহেন আচরণে যারপরনাই উল্লসিত পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠান, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূলত তাদেরই খুশি করতে কট্টর ভারত বিরোধিতার পন্থা নিয়েছে ইউনূস প্রশাসন। এই পরিস্থিতি ইসলামাবাদের নতুন “বাংলাদেশ ২.০”-এর আকাঙ্ক্ষাকে আরও উস্কে দিয়েছে। পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি কনফেডারেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমে এই দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে “বাংলাদেশ ২.০”-কে “পূর্ব পাকিস্তান” হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। তারা ১৯৭১ সালের পরবর্তী বাংলাদেশি সরকারগুলিকে “নির্মম শাসক” বলেও অভিহিত করছে (Bangladesh Crisis)।

    পাক মিডিয়ার প্রচার

    ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। যে আন্দোলনের জেরে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল, সেই ঘটনাকে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো “দশকের পর দশক ধরে চলা নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিপ্লবী আন্দোলন” বলে বর্ণনা করেছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পালিত হয়েছে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার ৭৬তম মৃত্যু বার্ষিকী। নবাব সলিমুল্লাহ অ্যাকাডেমি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উর্দু গান ও কবিতা পরিবেশিত হয়। এতে পাকিস্তানপন্থী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্তা, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা (Caliphate) উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে বক্তরা জিন্নাহর পাকিস্তান সৃষ্টিতে ভূমিকার উপর জোর দেন। ঢাকার ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে জিন্নাহ অ্যাভেনিউ রাখার প্রস্তাব দেন। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলি থেকে গোলাবারুদ, আরডিএক্স বিস্ফোরক এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রজেক্টাইল কিনেছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পাকিস্তানের বহুজাতিক সামরিক মহড়া “ইনডাস শিল্ড-২০২৪”-এ অংশগ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে ইসলাবমাদ থেকে চিনা-নির্মিত জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারেও খোঁজখবর (Bangladesh Crisis) করেছে।

    খিলাফতে পরিণত করার চেষ্টা

    জানা গিয়েছে, ইউনূস প্রশাসন যখন ক্রমেই বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে সচেষ্ট, তখন বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা দেশের সার্বভৌমত্ব বা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্যকে খাটো করার যে কোনও চেষ্টার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হিযবুত তাহরীর এবং আল কায়েদা ও আইএস-এর সহযোগী বিভিন্ন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হিসাবে চিহ্নিত করে, পাকিস্তানের আইএসআই তাকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চেষ্টার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচার চালানো।

    সক্রিয় হামাসও

    বাংলাদেশের এই ডামাডোলের সুযোগ নিতে শুরু করেছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসও। তারা রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি করেছে (Caliphate)। সেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এর আগে, বাংলাদেশের কিছু আদালত বেশ কয়েকজন সেনা কর্তাকে এক্সট্রাজুডিশিয়াল হত্যা ও জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। দেশে গোপন আটককেন্দ্র চালানোর অভিযোগ তুলে সুপরিকল্পিত প্রচার চালানো হয়েছে, যা গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সংস্থার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: “মোদির নেতৃত্বে ভারত হবে এক বা দু’নম্বর অর্থনীতির দেশ”, বললেন চন্দ্রবাবু

    উবে গেল ‘মায়ের ডাক’

    হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের কয়েক মাস আগে, ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সংগঠন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক কভারেজ পাচ্ছিল। এই সংগঠনের সংগঠকরা “নিখোঁজ” পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসেছে বলে দাবি করেছিল। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ‘মায়ের ডাক’ হঠাৎ উবে গেল কর্পূরের মতো। এর নেপথ্যে বাইডেন প্রশাসন এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের (বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস) সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বলে অভিযোগ।

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞ দমসানা রণধীরণ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে (Bangladesh Crisis) জামাত-ই-ইসলামি এবং মুসলিম ব্রাদারহুড কংগ্রেস ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখে। যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ সামনে আসে, তবে এটি দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী মূলত ইসলামপন্থা এবং জেহাদবাদের ঘোরতর বিরোধী। তারা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষা করতে এবং ইসলামিক রিপাবলিক বা খিলাফত (Caliphate) প্রতিষ্ঠার যে কোনও প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” রণধীরণ বলেন, “আইএসআই-নিযুক্ত লবিস্ট এবং হামাসপন্থী আইন প্রণেতাদের কার্যকলাপ তীব্রভাবে পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় ছোঁয়া, বাজবে শিবম গ্রুপের ঢোল-তাসা

    Donald Trump: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় ছোঁয়া, বাজবে শিবম গ্রুপের ঢোল-তাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) শপথ নেবেন আজ সোমবার। অনুষ্ঠান হবে ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৩০ নাগাদ। দ্বিতীয় বারের জন্য মার্কিন দেশের কুর্সিতে বসতে চলেছেন ট্রাম্প। তাঁর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শোনা যাবে ভারতীয় ঢোল-বাজনার আওয়াজ। জানা যাচ্ছে, ট্রাম্পের  শপথ গ্রহণে ঢোল বাদ্যিতে মুখরিত হবে ক্যাপিটল রোটান্ডা। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছে শিবম ঢোল তাসা গ্রুপ। দলটিতে রয়েছেন ৩০ জন যুবক-যুবতী (Indian Dhol Tasha)। এই গ্রুপই এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবে।

    ২০১৪ সালে তৈরি হয় এই গ্রুপ

    দলের সদস্যদের পোশাক বিধিও রয়েছে। সাদা কুর্তা, হলুদ জ্যাকেট ও পাগড়ি। এই পরেই শিবম গ্রুপকে পারফর্ম করতে দেখা যাবে। মার্কিন সেনা, মেরিন, নেভি, এয়ারফোর্স ও আমেরিকার কোস্ট গার্ড প্লাটুনের কুচকাওয়াজ চলবে। সেখানেই হাঁটতে দেখা যাবে এই দলকে। জানা গিয়েছে, মার্কিন দেশে কর্মসূত্রে থাকা যুবক-যুবতীরা ২০১৪ সালে শুরু করে এই গ্রুপ।

    ২০১৯ সালেও পারফর্ম করে এই দল

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে এই দলকে পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছে। ওই বছরে হিউস্টনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, সেই সময় এই গ্রুপ পারফর্ম করেছিল। গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হরিশ নেহাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ভারতের প্রতিনিধিত্ব ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বার্তাই দেবে। আমরা টেক্সাসে গরম আবহাওয়ায় পারফর্ম করতে অভ্যস্ত। ওয়াশিংটনে এখন সাব-জিরো তাপমাত্রা চলছে। এই প্রতিকূল পরিবেশেই আমাদের পারফর্ম করতে হবে।”

    নৈশভোজে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা গেল আম্বানি দম্পতিকে

    ট্রাম্পের (Donald Trump) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর স্ত্রী তথা রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি। শপথগ্রহণের পূর্বে নৈশভোজে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁদের দেখা গিয়েছে।

    অন্যদিকে, ট্রাম্পের (Donald Trump) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী দীপিকা দেশওয়াল। কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়ে, জনসেবার কারণে তাঁর নাম উঠেছিল ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই

    Weather Update: রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমী ঝঞ্ঝাই শীতের কাঁটা। দক্ষিণ পূর্ব বাতাস বা পুবালী হাওয়ায় জলীয় বাষ্প ঢুকবে রাজ্যে। সপ্তাহের শেষে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পুবালী হাওয়ার সংঘাতে রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। সকালের দিকে ধীরে ধীরে ফিকে হচ্ছে শীতের আমেজ। সামান্য তাপমাত্রা কমেছে রাজ্যে। ফলে, বেড়েছে শীতের আমেজ। আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতরের মতে, আমেজটুকু বজায় থাকছে শুধুমাত্র সন্ধ্যায় ও রাতে। দিনের বেলায় তেমন কিছু বোঝা যাচ্ছে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগামী ২ দিন একই রকম থাকবে।

    কোথায় কোথায় কুয়াশা? (Weather Update)

    হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ২২ জানুয়ারি নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে ফলে জাঁকিয়ে শীতের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। ফলে, বুধবার পর থেকে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সেক্ষেত্রে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৫ ডিগ্রি কম। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রির বেশি ওঠেনি। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়া থাকলেও তিন জেলায় কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। এর ফলে যান চলাচলে সমস্যা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    কলকাতার তাপমাত্রা কত?

    দীর্ঘ দিন পরে কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নামল। তবে তা সামান্যই। আবহাওয়া (Weather Update) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৫ ডিগ্রি কম। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৬ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪৪ থেকে ৮৭ শতাংশ। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের সামান্য নীচে থাকবে। সকাল ও সন্ধেতে শীতের আমেজ বজায় থাকবে। আগামী ৫ দিনে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সকালে হালকা কুয়াশা হতে পারে।

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি

    উত্তরবঙ্গে (Weather Update) সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। দৃশ্যমানতা নামতে পারে ২০০ মিটারের নীচে। উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী দু’দিন রাতের তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। তার পরের তিন দিনে তাপমাত্রা দু’ডিগ্রি বাড়তে পারে। এদিকে দার্জিলিঙের পার্বত্য এলাকায় ২৪ জানুয়ারি, শুক্রবার হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপমাত্রায় হেরফের হবে না খুব বেশি। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামিকাল থেকেই কুয়াশায় ঢাকবে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope 22 January 2025: গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 22 January 2025: গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    বৃষ

    ১) শেয়ার বাজারে লগ্নি নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মিথুন

    ১) সকাল থেকে শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কর্কট

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    সিংহ

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশযাত্রার সুযোগ পেতে পারেন। 

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    কন্যা

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) সমাজের কাজে সাফল্য।

    তুলা

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যাত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) চোখ কান খোলা রেখে বিশ্বাস করুন।

    ধনু

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মকর

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মীন

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে। কপালে অপমান জুটতে পারে। 

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahakumbh Mela 2025: রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি অমৃত স্নানে যোগদান করবেন, জানালেন যোগী

    Mahakumbh Mela 2025: রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি অমৃত স্নানে যোগদান করবেন, জানালেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর উত্তরপ্রদেশে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হিন্দু মেলার মহা আয়োজনে মহাপুণ্যস্নান অংশগ্রহণ করছেন ভারত সহ বিশ্বের সনাতনী সমাজের বহু মানুষ। এই অমৃত স্নানের মূল উদ্দেশ্য হল গঙ্গা, যমুনা (পৌরাণিক) সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে মোক্ষলাভ। পুরাণে কথিত আছে,  গঙ্গায় সমুদ্রমন্থনের ফলে উৎপন্ন অমৃতের কুম্ভ থেকে মহামুক্তির অমৃতের ফোঁটা পড়েছিল প্রয়াগরাজের এই নদীসঙ্গমে। তাই পবিত্র গঙ্গায় ডুব দিয়ে সকল পাপের স্খলন হয় এবং জগত-জীবন সব কিছুর পরিবর্তন হয়। এই মাহেন্দ্রক্ষণে সূর্য মকরে প্রবেশ করে এবং বৃহস্পতি ভালো জায়গায় অবস্থান করে, ফলে জগতবাসীর কল্যাণ হয়। সকল অশুভ শক্তির পরাজয় হয় এবং শুভ শক্তির উদয় হয়। এবার এই মহাকুম্ভের পুণ্যতিথিতে কোটি কোটি ভক্তদের সঙ্গে অমৃত স্নান যাত্রায় (Mahakumbh Mela 2025) অংশগ্রহণ করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই কথা জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।

    ব্যবস্থায় কমতি রাখা নিয়ে আপোশ করবেন না যোগী (Mahakumbh Mela 2025)

    ইতিমধ্যে ১৪ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমা এবং ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তিতে আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং সৌদি আরব থেকে অনেক ভক্ত অমৃতস্নানে (Mahakumbh Mela 2025) অংশ নিয়েছেন। রাশিয়ার সনাতনী ভক্ত অনর্গল বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ করে মহাকুম্ভের আধ্যাত্মিক ভাবকে বিশ্বের কাছে আরও ছড়িয়ে দিয়েছেন। আগামী ২৯ জানুয়ারি রয়েছে মৌনী অমাবস্যা এবং ৩ জানুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীর অমৃত স্নান। এদিন মুখ্যমন্ত্রী যোগী জানিয়েছেন, আনুমানিক ৮-১০ কোটি পুণ্যার্থী পবিত্র গঙ্গায় স্নান করবেন। তাই যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে মেলার পরিষেবায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং প্রয়োজনীয় যাতায়াতের বিশেষ নজর রেখেছেন তিনি। রবিবার মেলায় একটি স্থানে আকস্মিক আগুন লাগার ঘটনায় সঠিক তদন্তের নির্দেশ দিয়ে প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকদের মেলার ব্যবস্থাকে আরও কড়া ভাবে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কট্টর মৌলবাদীরা আগেই কুম্ভকে টার্গেট করার হুমকি দিয়েছিল। তাই কোনও ব্যবস্থায় খামতি নিয়ে কোনও আপোশ করবেন না বলে সাফ নির্দেশ দিয়েছেন যোগী।

    রাজ্যের মন্ত্রীসভার বৈঠক ২২ জানুইয়ারি মেলাপ্রাঙ্গণে

    এদিন প্রশাসনিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath) বলেন, “বিশেষ দিনে ভালো ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য পন্টুন সেতুতে চলাচল একমুখী রাখতে হবে। মৌনী অমাবস্যা ও বসন্ত পঞ্চমীতে পুরো মেলা এলাকাকে নো-ভেহিক্যাল জোন ঘোষণা করতে হবে। ভক্তদের অনুভূতিকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে এবং কর্মকর্তাদের অবশ্যই প্রয়োজনে কাউকে সহায়তা করতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি যথা সময়ে শেষ করতে হবে। একই ভাবে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক আগামী ২২ জানুয়ারি এই মেলাপ্রাঙ্গণেই (Mahakumbh Mela 2025) অনুষ্ঠিত হবে।”

    আরও পড়ুনঃ মহাকুম্ভে অগ্নিকাণ্ডের পরে ত্রিবেণী সঙ্গম পরিদর্শন যোগীর, দিলেন একগুচ্ছ নির্দেশিকা

    ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং পার্কিং ব্যবস্থার দিকে সজাগ নজর

    আবার মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) একটি প্রশাসনিক যোগী বৈঠকে বলেন, “প্রায় দেড় কোটি ভক্ত বর্তমানে মেলার মাঠে উপস্থিত রয়েছেন এবং ৭ কোটিরও বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই ত্রিবেণীতে পবিত্র অমৃত স্নান করেছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রচুর জনসমাগম প্রত্যাশা করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুদৃঢ় ব্যবস্থা করা হবে। আগত তীর্থযাত্রীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ, পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের যথাযথ ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। ভ্রম্যমান সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং একটি সুপরিকল্পিত ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের বিশেষ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের ভালোভাবে পরিচালনার জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং পার্কিং ব্যবস্থার দিকে নজর রাখার উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    মিডিয়া, পুলিশ এবং ভক্তদের মধ্যে সমন্বয় রাখা

    যোগী (Yogi Adityanath) মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela 2025) মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবাগুলি উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন একই ভাবে। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে মিডিয়া, পুলিশ এবং ভক্ত সহ সকলের সঙ্গে সংযোগকে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। মেলার টাওয়ারগুলি থেকে সব দিকে নজরদারি ঠিক করে রাখতে হবে। মেলার প্রচার প্রসারকে সঠিক ভাবে আগত ভক্তদের কাছে তুলে ধরতে হবে। জরুরি পরিষেবাগুলিকে আরও বেশি করে জনমুখী করে দিতে হবে। ভক্তরা যাতে কাছের ঘাটগুলিতে স্নান করতে পারেন এবং হাঁটার জন্য প্রয়োজনীয় দূরত্ব কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। হারিয়ে যাওয়া এবং খুঁজে পাওয়া কেন্দ্রগুলির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য স্থানীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    রেলকে বিশেষ ভাবে সক্রিয় থাকার বার্তা

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী (Yogi Adityanath) রেল কর্তৃপক্ষকে ২৫ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে বিশেষ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের অনুরোধ বলেছেন। ট্রেনের সময়সূচি এবং প্ল্যাটফর্ম নম্বর সম্পর্কে নিয়মিত ঘোষণার গুরুত্বের উপর জোর দেন। একটি প্ল্যাটফর্মে যদি রেলের ঘোষণা করে দেওয়া হয় বা বরাদ্দ করা হয় তাহলে তা যেন অপরিবর্তিত থাকে। নয়তো ভিড় আর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। স্নান করার পরে, ভক্তরা তাঁদের গন্তব্যে দ্রুত ফিরে যেতে পারেন তাই ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে রেলের আধিকারিকদের পরিষেবাকে অতি সক্রিয় রাখার অনুরোধ করেন। দৈনিক ট্রেন, মেলা (Mahakumbh Mela 2025) স্পেশাল ট্রেনের জন্য আলাদা স্টেশনগুলিকে সচল রাখার উপদেশও দিয়েছেন।

         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘ত্রিশক্তি’! প্রথমবার একসঙ্গে কুচকাওয়াজ করবে সেনার তিন বাহু

    Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘ত্রিশক্তি’! প্রথমবার একসঙ্গে কুচকাওয়াজ করবে সেনার তিন বাহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসে প্রথমবার দিল্লির রাজপথে এক সঙ্গে শক্তিপ্রদর্শন করবে দেশের তিন বাহিনী। সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে এবার বিরাট বদল। ২৬ জানুয়ারির বিশেষ দিনে প্রতি বছর প্যারেডে আলাদা আলাদা ভাবে পরাক্রম দেখায় স্থল, নৌ ও বায়ুসেনা। এবার সেই ছবিতে বদল আসতে চলেছে। দেশের তিন সেনাবাহিনীর ঐক্য প্রদর্শনের লক্ষ্যে অভিনব এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ইন্ট্রিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ (IDS)। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে সামরিক বাহিনীর তিন বাহুর (ট্রাই-সার্ভিস) সমন্বিত ট্যাবলো।

    কেন এই পদক্ষেপ

    এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল, দেশের তিন বাহিনীর একে অপরের প্রতি সহযোগিতা ও বোঝাপড়া দৃঢ় করা। দেশের নিরাপত্তা বিপদের মুখে পড়লে একজোট হয়ে ‘ত্রিশূল’-এর মতো শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে ভারতের তিন বাহিনী, এমনই স্বপ্ন দেশবাসীর। ভারতের তিন বাহিনীকে একছাতার নিচে আনতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে তিন সেনাবাহিনীর মধ্যে একে অপরের মধ্যে বোঝাপোড়া যেমন বাড়বে, তেমনই যুদ্ধক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে সুবিধা হবে। এই লক্ষ্যেই তিন সেনাবাহিনীর মাথায় নতুন পদ তৈরি হয়েছে যার নাম ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’ (CDS)। 

    আরও পড়ুনঃ সইফ আলি খানের হামলাকারী বাংলাদেশি, ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ

    এক অনন্য নজির

    প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর কেন্দ্রীয় সরকার একটি নির্দিষ্ট থিম নির্বাচন করে দেয়। ২০২৫ সালে থিম ‘স্বর্ণিম ভারত’। এই বছরের থিমটি দেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং এর প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের যাত্রাকে তুলে ধরে। ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, চণ্ডীগড়, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশ সহ ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ট্যাবলো কার্তব্য পথ কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কেরাও উপস্থিত থাকতে পারেন ওই দিন।প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে রাজপথে তিন বাহিনীর এই পরাক্রম শত্রুপক্ষের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা। সেনা কর্তাদের মতে, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আসতে চলেছে আমূল বদল। যেখানে তিন বাহিনীর আধুনিকীকরণ তো বটেই, কৃতিত্ব এবং সহযোগিতামূলক ক্ষমতা প্রদর্শনের এক অনন্য নজির দেখবে ২৬ জানুয়ারি রাজপথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Oxfam Global Report: ১৭৬৫ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে ভারত থেকে ৬৫ লক্ষ কোটি ডলার সম্পদ লুট করে ব্রিটিশরা!

    Oxfam Global Report: ১৭৬৫ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে ভারত থেকে ৬৫ লক্ষ কোটি ডলার সম্পদ লুট করে ব্রিটিশরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি অক্সফাম গ্লোবালের (Oxfam Global Report) একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখানো হয়েছে ভারত আর্থিক ভাবে কতটা সমৃদ্ধ ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরাধীন ভারত থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার সম্পত্তি লুট করে নিয়ে গিয়েছে ব্রিটিশরা। মূলত, ১৭৬৫ থেকে ১৯০০ সালের মধ্য়ে এই লুট করেছে তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এর মধ্যে প্রায় ৩৪ লক্ষ কোটি টাকা শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের ১০ শতাংশ ধনীর কাছে পৌঁছেছে। আজকের দিনের মূল্য বিচার করলে, ৫০ পাউন্ডের নোট দিয়ে গোটা লন্ডন শহরকে চারবার মুড়ে ফেলা যাবে ওই লুটের টাকা দিয়ে। ফলে ভারতের ধনে যে তারা ধনী হয়েছিল একথা আরও একবার প্রমাণিত হয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    তবে ভারতবর্ষ সুপ্রাচীনকাল থেকেই জ্ঞানচর্চা, আধ্যাত্মিক চিন্তা-চেতনা, সাহিত্য, প্রযুক্ত্যি বিদ্যা, চারুকলা, অর্থনীতির এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে এক কথায় পরম পরম বৈভবশালী ছিল। ভারতের সভ্যতা যখন বিকশিত হয়ে চরম উৎকর্ষের জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। সেই সময়ে পশ্চিমের দেশে ভালো করে সভ্যতার বিকাশই হয়নি। ভারত কোনও সময়েই ঔপনিবেশিকতার মানসিকতার আঙ্গিকে বিশ্বকে দেখেনি, উল্টে ভারতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ থেকে বার বার আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। ৭২০ সালের মহম্মদ বিন-কাশেম থেকে ১৭৫৭ সালের রবার্ড ক্লাইভ (British) পর্যন্ত সকলেই আক্রমণকারী ছিলেন। তাঁরা অমানবিক লুট, হত্যা, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর এবং সম্পদ হরণ করে নিয়ে গিয়েছেন। অকাতরে এই দেশের পার্থিব সম্পত্তির লুট হলেও শেষ হয়ে যায়নি ভারতীয় সংস্কৃতির প্রভাব। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে যাঁরা ইতিহাস রচনা করেছেন তাঁরা কেবল ভারতের কী ছিল না, কতটা খারাপ আর গরীব ছিল সেই কথাই খোঁজ করেছেন। ভারত যে আর্থিক ভাবেও বিশ্বকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রেখেছিল তার উল্লেখ কোনও ইতিহাসবিদ সন্ধান করতে চাননি। অক্সফাম গ্লোবালের প্রতিবেদন প্রমাণ করে ভারতের অর্থনীতি কতটা প্রভাবশালী ছিল।

    ব্রিটিশদের ১০ শতাংশ ধনী ভারতের সম্পদের ধনবান (Oxfam Global Report)

    অক্সফাম গ্লোবালের (Oxfam Global Report) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৭৬৫ সাল থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে ব্রিটিশদের (British) কেবলমাত্র ১০ শতাংশ ধনী ভারত থেকে আজকের বর্তমান সময়ের ৩৩.৮ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার সমান সম্পত্তি লুট করেছিল। এই বিপুল পরিমাণে সম্পদ ৫০ পাউন্ডের নোটে পরিণত করলে তা লন্ডন শহরকে ওই নোটের কার্পেট দিয়ে চার বার ঢাকতে পারবে। এই প্রতিবেদনের লেখক উৎসা পট্টনায়েক এবং প্রভা পট্টনায়েক বলেন, পরাধীন ভারতে ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের যুগে ইংরেজরা ভারত থেকে ৬৪.৮২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পত্তি লুট করেছিল। ইংল্যান্ডে বড় বড় ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে এই সম্পদ পারিবারিক সূত্রে প্রবাহিত হয়েছে। তবে এই বিরাট পরিমাণ টাকা বা সম্পত্তি ঔপনিবেশিক শাসনকে কায়েম রাখতে ব্যবহার করা হতো। মূলত দাস কেনা-বেচা এবং নতুন বিনিয়োগে ব্যবহার হতো। পরবর্তী সময়ে গোটা বিশ্বসাম্রাজ্যকে ধরে রাখাতে এই অর্থকে ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে রিপোর্ট থেকে অনুমান করা যেতেই পারে ভারতে থেকে উপার্জিত বা আয়ের টাকা বাকি বিশ্বে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করত ইংরেজরা। ফলে ভারতের সম্পত্তি ছিল না, কোনও অর্থনীতি সুব্যবস্থা ছিল না এই যুক্তি অনেক গবেষক আলোচ্য প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মানতে নারাজ।

    ১৭৫০ সালে বিশ্বের মোট উৎপাদনে ভারতের ছিল ২৫ শতাংশ

    এই প্রতিবেদনে (Oxfam Global Report) আরও বলা হয়েছে যে বর্তমানে আমরা যে বহুজাতিক সংস্থাগুলিকে দেখছি তা আদতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকাতার ফল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির (British) সম্পূর্ণ শাসন এবং ব্যবস্থা ছিল আজকের দিনে বহুজাতিক সংস্থার অনুরূপ। তারা নিজেরাই আইন করে সাম্রাজ্যকে চালাতেই সমগ্র শাসন ব্যবস্থাকে তৈরি করেছিল। ১৭৫০ সাল নাগাদ গোটা বিশ্বের বাজারে উৎপাদনের বিচারে ভারতীয় উপমহাদেশ বা অখণ্ড ভারত মোট শিল্প উৎপাদনের প্রায় ২৫ শতাংশের অধিকারী ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশদের অত্যাচার, লুটপাট এবং দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থাকে নষ্ট করার ফলে ১৯০০ সাল থেকে ২ শতাংশ কমে গিয়েছিল। খুব স্পষ্ট ভাবে এবং কৌশল করে ভারতের উৎপাদন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা। ইংরেজরা নিজেদের বস্ত্রকলগুলিকে বিশ্ববাণিজ্যে আরও বিস্তার করতে ভারতীয় এবং এশিয়া মহাদেশের কাপড়ের কলগুলিকে কাঁচামাল, আর্থিক জোগান এবং শ্রমিকের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে সকল উৎপাদন পদ্ধতিকে সমূলে নিকেশ করেছে। ফলে ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনে আনুমানিক ৬৪.৮২ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার লুট করেছে।

    খুব দ্রুত ভারত

    রিপোর্টে (Oxfam Global Report) আরও বলা হয়, ২০২৪ সালে বিশ্বের ধনকুবেরদের সম্পত্তি ২ লক্ষ কোটি বৃদ্ধি হয়েছে। বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ভারতের ২০৪ জন সংযুক্ত হয়েছেন নতুন ভাবে। প্রত্যেক সপ্তাহে ৪ জন করে ভারতীয় ধনবান তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন। গত বছরেই এই গবেষণা সংস্থা ভারতকে ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিয়েছে, এবারেও আগামী একদশকে পাঁচ ট্রিলিয়নে পৌঁছাবে ভারতীয় অর্থনীতি, ঠিক এমনটাই জানিয়েছে এই গবেষণা।

          

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hamas: যুদ্ধবিরতি শুরু হতেই তিন ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস, পাল্টা মুক্ত ৯০ প্যালেস্তিনীয়

    Hamas: যুদ্ধবিরতি শুরু হতেই তিন ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস, পাল্টা মুক্ত ৯০ প্যালেস্তিনীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় শুরু হয়েছে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন তিন ইজরায়েলি (Israel) পণবন্দিকে মুক্ত করল হামাস (Hamas)। গতকাল রবিবারই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ইজরায়েল মুক্ত করেছে ৯০ জন প্যালেস্তাইনের নাগরিককে। হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, রোমি গনেন, এমিলি ডামারি, ডোরন স্টেইনব্রিচার নামের তিন মহিলাকে মুক্ত করা হল।

    ৪৭১ দিন পরে মিলল মুক্তি

    প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সেই সয়ম বহু ইজরায়েলিকে অপহরণ করে পণবন্দি করা হয়। তাঁদের মধ্য়ে এই তিন মহিলাও ছিলেন। ৪৭১ দিন পরে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের পুনর্মিলন হল। এমন অবস্থায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সকলেই। অন্যদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স এক্স মাধ্যমে পোস্টও করে। তারা এই তিন মহিলাকে স্বাগত জানায়। এর পাশাপাশি, এক্স মাধ্যমে লেখা হয়, ‘‘৪৭১ দিনেরও বেশি সময় ধরে আমরা এই লড়াই করে আসছি।’’

    তিনজনেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন

    জানা গিয়েছে, ওই তিনজনেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। ৩ পণবন্দি মহিলার দেশে প্রত্যাবর্তনকে সরাসরি সম্প্রচারিত করা হয় তেল আভিভে। সেখানেই দেখা যায় ওই তিন মহিলা হামাস জঙ্গিদের (Hamas) দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে রেডক্রসের একটি গাড়িতে উঠছেন এবং সীমান্ত অতিক্রম করার সময় তাঁর উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। প্রসঙ্গত, ইজরায়েল-হামাস (Hamas) সংঘাত শুরুর পর থেকেই যুদ্ধবিরতির জন্য লাগাতার মধ্যস্থতা করছিল কাতার, মিশর, সৌদি আরবের মতো একাধিক দেশ। ইজরায়েলকে সমর্থন করে যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হয় আমেরিকাও।

    মিশরে বৈঠক হয় হামাস-ইজরায়েলের প্রতিনিধিদের 

    সেইমতো চলতি মাসেই মিশরের কায়রোতে আলোচনায় বসেন হামাস (Hamas) ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা। দুপক্ষের বৈঠক সেখানে সদর্থক হয়। তারপরেই শুরু হল যুদ্ধবিরতির বিভিন্ন ধাপ। কিন্তু রবিবার ফের একবার সংশয় দেখা দিয়েছিল। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা আক্রমণ চালিয়ে যাবে। কারণ হিসেবে তারা জানায়, এখনও তালিকা প্রকাশ করেনি হামাস। তবে পরে অবশ্য তালিকা প্রকাশ করে দেয় হামাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs England: ভারত ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরার জন্য অতিরিক্ত ট্রেন পূর্ব রেলের, কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    India vs England: ভারত ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরার জন্য অতিরিক্ত ট্রেন পূর্ব রেলের, কেমন থাকবে আবহাওয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের কলকাতায় বসছে ক্রিকেট কার্নিভাল। বুধবার থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ভারত–ইংল্যান্ড (India vs England) টি২০ সিরিজ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম খেলা ইডেনে। ভারত–ইংল্যান্ড এখনও অবধি ২৪ বার টি২০ ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছে। জয়ের নিরিখে ভারত একটু এগিয়ে। জিতেছে ১৩ ম্যাচ। আর ইংল্যান্ড জিতেছে ১১ ম্যাচ। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় পর চোট সারিয়ে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে মহম্মদ সামির। প্রায় ১৪ মাস পর। শেষবার সামি খেলেছিলেন ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল। দিনটা ছিল ১৯ নভেম্বর। তারপর ইডেনেই সম্ভবত কামব্যাক করবেন শামি। 

    অতিরিক্ত ট্রেন পূর্ব রেলের 

    ২২ জানুয়ারির ম্য়াচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে না চড়তেই এবার বড় ঘোষণা করে দিয়েছে পূর্ব রেল। ক্রিকেটপ্রেমীদের (India vs England) সুবিধার কথা মাথায় রেখে চলবে অতিরিক্ত ট্রেন। এদিন রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। চলবে দু’টি অতিরিক্ত লোকাল। প্রিন্সেপ ঘাট ও বারাসত, বিবাদী বাগ ও বারুইপুরের মধ্যেও চলবে এই অতিরিক্ত ট্রেন। ২২ তারিখ রাত ১১টা ৫০ মিনিটে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে বারাসতের উদ্দেশ্যে যাবে একটি স্পেশ্যাল লোকাল। ১টায় পৌঁছাবে বারসতে। অন্যদিকে ২৩ তারিখ রাত ১২টা বেজে ২ মিনিটে বিবাদী বাগ থেকে একটি লোকাল ট্রেন ছেড়ে যাবে বারুইপুরের উদ্দেশ্যে। বারুইপুরে পৌঁছাবে ১টা বেজে ৩২ মিনিটে। রেল বলছে ম্যাচ দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের বাড়ি ফিরতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    ইডেনের পিচ আবহাওয়া

    ইডেন গার্ডেন্স তার ব্যাটিং-ফ্রেন্ডলি পিচের জন্য বিখ্যাত, যা উভয় দলকেই সাহায্য করবে। ম্যাচ চলাকালীন শিশির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করা হচ্ছে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

    ভারতের সম্ভাব্য স্কোয়াড: সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), হার্দিক পান্ডিয়া, রিঙ্কু সিং, নীতিশ কুমার রেড্ডি, অক্ষর প্যাটেল (সহ অধিনায়ক), অর্শদীপ সিং, মহম্মদ শামি, বরুণ চক্রবর্তী।

    ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ: জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিল সল্ট (উইকেটকিপার), হ্যারি ব্রুক, জেমি স্মিথ, জ্যাকব বেটেল, লিয়াম লিভিংস্টোন, আদিল রশিদ, ব্রাইডন কার্স, জোফ্রা আর্চার, মার্ক উড, রেহান আহমেদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BSF: থার্মাল ক্যামেরা থেকে বায়োমেট্রিক যাচাই, বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজর বিএসএফের

    BSF: থার্মাল ক্যামেরা থেকে বায়োমেট্রিক যাচাই, বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজর বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অশান্ত হয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এই আবহের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র সঙ্গে বিএসএফ-এর সংঘাতের খবর সামনে আসছে বারবার। এমনকী কাঁটাতার দিতে গিয়ে একাধিক অরক্ষিত সীমান্তে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বিএসএফকে (BSF)। এই আবহে সীমান্ত দিয়ে বার বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বাংলাদেশিরা। বিষয়টি যে যথেষ্ট অস্বস্তির, তা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন বিএসএফের শীর্ষ কর্তারা। যদিও তা প্রতিহত করতে সদা তৎপর বিএসএফ। নিত্যনতুন কৌশলে সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে তারা। জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের ধরার জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এখন বিএসএফের ১০২ ব্যাটালিয়নের হাতে। বসিরহাটে মোট ৩৩ কিমি দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh Border) সীমান্তের মাত্র ১২ কিলোমিটার কাঁটাতার করা হয়েছে। বাকি অংশ এখন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এই এলাকা দিয়ে যাতে অনায়াসে বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করতে না পারে, তারজন্য উদ্যোগী হয়েছে বিএসএফ (BSF)। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ২৪ ঘণ্টা টহল নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ওপর নজরদারি চালাতে বাহিনীর হাতে হাতে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    নজরদারির জন্য কী কী পদক্ষেপ? (BSF)

    এমনিতেই কয়েকদিন আগে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে কাঁটাতারে লাগানো হল কাচের বোতল। ফুলকাডা বুড়ি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে কিছুদিন আগেই লাগানো হয় কাঁটাতার। বিএসএফের সাহায্যে সেখানে কাচের বোতল লাগিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। দুষ্কৃতীরা ওই তার কেটে নিলে সশব্দে ভাঙবে কাচের বোতল। তাতে সতর্ক হবে বিএসএফ (BSF), দাবি স্থানীয়দের। কোচবিহার ছাড়াও মালদা, নদিয়া সহ সীমান্ত এলাকায় এখনও অনেক ফাঁকা জমি রয়েছে। সেই জমিতে কাঁটাতার দিতে বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশিরা। তাতে মদত দিচ্ছে বিজিবি। মূলত, অনুপ্রবেশে মদত রয়েছে ইউনূস প্রশাসনের। ফলে, অনুপ্রবেশ রুখতে অন্য কৌশল নিয়েছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, হ্যান্ড-হেল্ড থার্মাল ইমেজিং সিস্টেম হল সেনাদের কাছে নজরদারির অন্যতম হাতিয়ার। এতে জড় বস্তু এবং শত্রু বাহিনীর মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য ধরা পড়ে। সীমান্ত দিয়ে কেউ পারাপার করার চেষ্টা করলে তা এই ক্যামেরায় ধরা পড়়বে। বিএসএফের (BSF) সূত্র জানায়, ক্যামেরাগুলো বিশেষ করে ঘন কুয়াশার সময় এবং রাতের টহল দেওয়ার জন্য কাজে লাগে। সীমান্তে নজরদারি রাখতে ক্যামেরা ছাড়াও নাইট ভিশন ডিভাইসও ব্যবহার করছে বাহিনী। আংশিক কাঁটাতার দেওয়া সীমানার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় একটি বিশেষ জাল যা লাগানো হয়েছে। একজন সিনিয়র বিএসএফ আধিকারিক বলেন, এমনিতেই সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ রুখতে জওয়ানরা সবমসয় টহল দেন। তারপরও রাতের অন্ধকারে কাঁটাতার দিয়ে কোনও কিছু ফেলতে না পারে, তার জন্য জাল লাগানো হয়েছে। তাতে অনেকটাই কাজ হচ্ছে।

    চাষিদের বায়োমেট্রিক!

    বিএসএফ (BSF) দ্বারা নেওয়া আরেকটি পদক্ষেপ হল কাঁটাতারের এলাকার বাইরে জমি রয়েছে, সেই জমিতে যাওয়ার জন্য চাষিদের বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ শুরু করা। গ্রামবাসীরা যারা কৃষিকাজের জন্য তাদের জমিতে যেতে চান তাদের এখন তাদের বায়োমেট্রিক বিবরণ প্রদান করতে হবে, যা তাদের পাস করার অনুমতি দেওয়ার আগে রেকর্ডের সঙ্গে মিলে যায়। কৈজুরির স্থানীয় গ্রামবাসী নিমাই দাস বলেন,  “প্রতিদিন বিএসএফ আমার বুড়ো আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখার পর আমার জন্য গেট খুলে দেয়। উত্তেজনা সত্ত্বেও, অফিসার এবং জওয়ানরা সবসময় আমাদের সাহায্য করে।’’ আরা যাদের জমি নেই, অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করতে যান, তাঁদের আধার কার্ড জমা নেওয়া হয়। পরে, কাজ শেষ হলে তা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়।

    সীমান্তে টহলরত কুকুর

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু জওয়ানরাই নয়, টহলরত কুকুররাও নজরদারিতে তাদের ভূমিকা পালন করছে। জার্মান ম্যালিনোইস জাতের ম্যাক্স নামে প্রশিক্ষিত কুকুর রয়েছে। যার বয়স আড়াই বছর। তার একজন মাস্টার হ্যান্ডলার রয়েছে, সীমান্তের ওপার থেকে সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে জওয়ানদের সতর্ক করে। জানা গিয়েছে, এই কুকুরটি বেশ কয়েকটি আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে। ফলে, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এই কুকুরকেও কাজে লাগানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share