Tag: Madhyom

Madhyom

  • Daily Horoscope 30 May 2025: ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 30 May 2025: ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা সারতে পারেন।

    ২) দুপুরের পরে কিছু পাওনা আদায় হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) সখপূরণ হবে।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) দাম্পত্য জীবনে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের যোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথা নিয়ে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    Rajnath Singh: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ একদিন ভারতেই ফিরে আসবেন,” প্রত্যয়ী রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) মানুষ ভারতীয় পরিবারের অঙ্গ। নিজে থেকেই তাঁরা একদিন ভারতে ফিরে আসবেন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে পাকিস্তানকেও নিশানা করেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে একমাত্র কথা হতে পারে সন্ত্রাসবাদ ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে।

    সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা (Rajnath Singh)

    প্রসঙ্গত, ভারত বার বার দাবি করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসলে কেবল দুটি বিষয়েই আলোচনা হতে পারে –সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর সমস্যা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও নয়াদিল্লির সঙ্গে বৈঠকে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ পাশাপাশি চলতে পারে না। জল ও রক্ত পাশাপাশি বইতে পারে না।” এদিন সিআইআই বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজনাথ। সেখানেই তিনি বলেন, “আমি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষদের আপন বলেই মনে করি। ওঁরা আমাদের পরিবারেরই অঙ্গ। আমার বিশ্বাস, আমাদের যে ভাইরা ভৌগোলিক ও রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন, একদিন তাঁরা নিজেদের মনের তাগিদেই ভারতের মূল স্রোতে ফিরে আসবেন।”

    রাজনাথের বক্তব্য

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সিংহভাগ মানুষই যে ভারতের সঙ্গে গভীর সংযোগ অনুভব করেন, এদিন তাও জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেখানকার কিছু মানুষকেও ভুল বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরাও সঠিক পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন এবং ভারতে ফিরে আসবেন।” রাজনাথ বলেন, “ভারত সব সময় হৃদয়ের বন্ধনের কথা বলে। আমাদের বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং সত্যের পথে হেঁটেই একদিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ ভারতে ফিরবেন এবং বলবেন, আমরা ভারতীয়। সেই দিন খুব বেশি দূরে নেই (Rajnath Singh)।” এদিন সন্ত্রাসবাদ নিয়েও পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে পাকিস্তানকে। অপারেশন সিঁদুরের পর সেটা উপলব্ধি করেছে ইসলামাবাদ। ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিচয়ও এই অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান-সহ গোটা বিশ্ব পেয়ে গিয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হয় ২৭ জন হিন্দুর। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদেরই হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এরপর প্রত্যাঘাত করে ভারত। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত (Rajnath Singh)।

  • Himanta Biswa Sharma: কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর ব্রিটিশ স্ত্রী পাক গুপ্তচর! ‘রয়েছে পাকা প্রমাণ’, বিস্ফোরক হিমন্ত

    Himanta Biswa Sharma: কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈর ব্রিটিশ স্ত্রী পাক গুপ্তচর! ‘রয়েছে পাকা প্রমাণ’, বিস্ফোরক হিমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma) এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ-এর (Gaurav Gogoi) স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্ন-এর বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেছেন, ব্রিটিশ নাগরিক কোলবার্ন পাকিস্তানের জলবায়ু সংক্রান্ত একটি লবিং গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপর নজরদারি চালানোর কাজে লিপ্ত ছিল। এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ-এর স্ত্রী ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা (IB)-এর গোপন নথিপত্রে প্রবেশাধিকার পেয়েছিলেন এবং সেইসব তথ্যের অপব্যবহার করেছেন। এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন।”

    পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতের গোপন নথি পাচার

    হিমন্তবিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma)  দাবি করেন, কোলবার্নের পাকিস্তান সফর ‘জলবায়ু গবেষণা প্রকল্প’ বললেও, আসলে এটি ছিল পাকিস্তান সরকারের স্বীকৃত একটি সফর, যার পিছনে ছিল এক সুপরিকল্পিত যোগসাজস। তিনি বলেন, “এটি নিছক সফর ছিল না বা পারিবারিক বিষয়, বরং এটি ছিল পাকিস্তানের সরকারিভাবে অনুমোদিত ও সমন্বিত একটি প্রচেষ্টা।” মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ তোলেন, “গৌরব গগৈ এবং তাঁর স্ত্রী পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতীয় নীতিনির্ধারণী স্তরে ঢুকে পড়েন এবং গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে যুক্ত হন। তারা ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।” এই বিষয়ে প্রমাণস্বরূপ হিমন্ত (Himanta Biswa Sharma) জানান, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার এই অভিযোগের নেপথ্যে যা যা প্রমাণ পেয়েছে তা জনসমক্ষে তুলে ধরবে।

    পরিবেশ আন্দোলনের আড়ালে ভারতের গোপন নথি পাচার

    তবে গৌরব গগৈ এই অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে এটিকে “সি-গ্রেড বলিউড সিনেমার মতো” বলে ব্যঙ্গ করেন। গগৈ স্বীকার করেছেন যে তাঁর স্ত্রী ১৩ বছর আগে পাকিস্তানে এক বছর কাজ করেছিলেন এবং তিনি একবার পাকিস্তান সফর করেছিলেন। তিনি একবার তাঁর স্ত্রীকে পাকিস্তানে একটি সফরে সঙ্গ দিয়েছিলেন এবং তাঁর স্ত্রীর দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু সংক্রান্ত কিছু কাজ ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “একজন বিদেশি নাগরিক কীভাবে ভারতের গোপন গোয়েন্দা নথি অর্জন করলেন?” মুখ্যমন্ত্রীর মতে, “ওনার এই কাজ জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে চরম অবহেলার প্রমাণ।” শর্মার (Himanta Biswa Sharma) অভিযোগ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ-এর অফিসের প্রভাব ব্যবহার করেই দম্পতি ভারতের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিলেন।

    আইএসআইয়ের এজেন্ট গগৈয়ের স্ত্রী

    কংগ্রেস এখনও গগৈকে (Gaurav Gogoi)  প্রকাশ্যে সমর্থন জানাচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। আগেই লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী দলনেতা গৌরব গগৈয়ের স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sharma) । এবার পহেলগাঁও কাণ্ডের আবহে নতুন করে সেই বিতর্ক উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা। গত কয়েক মাস ধরেই লোকসভায় কংগ্রেসের সহকারী দলনেতার স্ত্রীর ‘পাক যোগ’ নিয়ে একটানা আক্রমণ শানিয়ে আসছে বিজেপি। হিমন্ত গত ফেব্রুয়ারি মাসে গগৈয়ের স্ত্রী এলিজাবেথকে পাক এজেন্ট বলে অভিযোগ তোলার পর বিজেপিও একযোগে দাবি করে, এলিজাবেথ পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা তৌকির শেখের অধীনে ইসলামাবাদে কাজ করেছেন। মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরসের একটি সংস্থার সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে। পাশাপাশি, এলিজাবেথ ভারতীয় নাগরিক নন বলেও অভিযোগ করে বিজেপি।
    হিমন্তের (Himanta Biswa Sharma) দাবি, “স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এটা এক নজিরবিহীন ঘটনা।”

  • PM Modi: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ”, রাজ্যকে তোপ মোদির

    PM Modi: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ”, রাজ্যকে তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘মুর্শিদাবাদ-মালদায় যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। শাসকদলের কাউন্সিলর বেছে বেছে লোকেদের বাড়ি আক্রমণ করেছেন। এখানকার সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রতি বার আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এ ভাবে কি কোনও সরকার চলতে পারে?’’ বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জনসভায় এভাবেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর এই প্রথম বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন নির্ধারিত সময়ের খানিক আগেই আলিপুরদুয়ারের সভাস্থলে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই তোলেন মুর্শিদাবাদের হিংসার প্রসঙ্গ।

    তৃণমূলকে আক্রমণ (PM Modi)

    তার পরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতির জন্য এখানকার বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এঁরা নিজেদের ভুল মানতেই চাইছেন না। উল্টে আদালতকে আক্রমণ করছেন। তৃণমূল সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি এটা হতে দেবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতি করে তৃণমূল শুধু হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়নি, রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।” তিনি বলেন, “তৃণমূল আদিবাসীদের ভালো চায় না। তাই ২০২২ সালে এনডিএ সরকার যখন একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানোর চেষ্টা করছিল, তখন সবার আগে তার বিরোধিতা করেছিল তৃণমূল।”

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ

     রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘কেন্দ্রের অনেক বড় বড় প্রকল্প এ রাজ্যে কার্যকর করা হয় না। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এখানে চালু হতে দেওয়া হয়নি। এখানকার লোকেরা বাইরে গেলে ওই প্রকল্পের সুবিধা পান না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ বাড়ি পেতে পারতেন। কিন্তু এখানে তা হতে দেওয়া হয়নি। তা করতে দেয়নি এখানকার নির্মম সরকার।’’ তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ নিষ্ঠুর সরকার চায় না। তৃণমূলের শাসন ব্যবস্থায় তাঁদের কোনও বিশ্বাস নেই। বাংলার শাসক দলের স্বার্থপর রাজনীতি সাধারণ মানুষকে তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”

    অপারেশন সিঁদুর

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী চলে যান অপারেশন সিঁদুরের প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় আপনাদের প্রবল রাগ হয়েছিল। সেই রাগই আমাদের শক্তি জুগিয়েছে। যারা পহেলগাঁওকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের সিঁদুরের শক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। কল্পনাই করতে পারেনি পাকিস্তান। অপারেশন সিঁদুর এখনও শেষ হয়নি। তিন বার ঘরে ঢুকে মেরেছি। ফের হামলা হলে শত্রুদের আবার বড় মূল্য চোকাতে হবে (Alipurduar)।’’ প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) বক্তব্যের আগে ভাষণ দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ের ঘটনার সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘটনার মিল রয়েছে। এই সরকারকে আমাদের উৎখাত করতেই হবে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই তা হবে।’’ তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের মতোই এ রাজ্যে অপারেশন তৃণমূল করতে হবে।”

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    সুকান্তর পরে ভাষণ দিতে ওঠেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে তৃণমূল সরকারকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে চাই বিজেপির সরকার। নরেন্দ্র মোদির সরকার। আজ দেশের জন্য বাংলাকে বাঁচাতে হবে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোর সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে। এটাই এই সভার সংকল্প হওয়া উচিত। এই বাংলার তিন জনকে পহেলগাঁওয়ে খুন করা হয়েছে ধর্ম দেখে। নরেন্দ্র মোদি তার বদলা নিয়েছেন।’’

    বাংলার উন্নতি ছাড়া দেশের প্রগতি সম্ভব নয়

    এদিন সরকারি প্রকল্পের শিলন্যাস করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বাংলার উন্নতি ছাড়া দেশের প্রগতি সম্ভব নয়। আর তাই গত দশ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প শুরু করেছে (Alipurduar)।” তিনি বলেন, “বাংলার উন্নয়ন ভারতের উজ্জ্বল আগামীর ভিত্তি স্থাপন করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলা মেক ইন ইন্ডিয়ার কেন্দ্র হয়ে উঠুক। বাংলার উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি স্টেশনের উন্নয়ন হয়েছে। কলকাতা মেট্রোর উন্নয়নের কাজ হয়েছে।”

    সিকিম সফর বাতিল…

    এদিন সকালেই রাজ্যে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বাগডোগরা থেকে তাঁর সিকিমে যাওয়ার কথা ছিল। যদিও আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেই সভা বাতিল হয়। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। পরে চলে যান আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায়। সেখানেই তিনি তাক করেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী চলে যান হাসিমারায় (Alipurduar)। সেখান থেকে তিনি রওনা দেবেন পাটনার উদ্দেশে (PM Modi)।

  • PM Modi in Alipurduar: আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন, উত্তরবঙ্গে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মোদির

    PM Modi in Alipurduar: আড়াই লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন, উত্তরবঙ্গে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর বঙ্গ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Alipurduar)। আলিপুরদুয়ারে দাঁড়িয়ে ন্যাচারাল গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। ১০১৭ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী। ২টি জেলায় ১৯টি সিএনজি স্টেশন তৈরির ঘোষণা করেন তিনি। এই প্রকল্পের ফলে আড়াই লক্ষ পরিবার উপকৃত হবেন, বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

    আলিপুরদুয়ারে প্রকল্পের উদ্বোধন

    বাংলার সকলকে নমস্কার জানিয়ে, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রকল্পের উদ্বোধন করে মোদি (PM Modi in Alipurduar) বলেন, “বাংলার বিকাশ ভারতের ভবিষ্যতের ভিত্তি। আজ মজবুত ইট গড়ার দিন। আমরা মঞ্চ থেকে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের সিটি গ্যাসের শুভারম্ভ করলাম। পাইপলাইনের মাধ্যমে আড়াই লক্ষ মানুষ সুবিধা পাবেন। সিলিণ্ডার কেনার দিন শেষ হয়ে যাবে। সিএনজি ষ্টেশনের ফলে পয়সা খরচ কম হবে। সময় বাঁচবে। পরিবেশ বাঁচবে। ২০১৪ সালের আগে ৬৬ জেলায় সিটি গ্যাসের সুবিধা ছিল। এখন তা বেড়ে ৫৫০ জেলায় এই নেটওয়ার্ক গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে গতি এসেছে। ২০১৬ থেকে এই যোজনা চালু হয়েছে। মহিলাদের ধোঁয়া থেকে মুক্তি মিলেছে। রান্নাঘরের সম্মান বেড়েছে।”

    বাংলার বিকাশের কাজ চলছে

    একইসঙ্গে, এদিন বাংলার সংস্কারের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi in Alipurduar)। তিনি বলেন, “২০১৪ সালে ১৪ কোটির থেকে কম এলপিজি ছিল। এখন ২১ কোটি হয়েছে। আমাদের সরকার কোণায় কোণায় গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক মজবুত করেছে। এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশন বেড়েছে। গ্রামে গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে গিয়েছে। ভারত সরকার পাইপলাইন বিছানো থেকে সব কাজ করছে। বাংলা ভারতীয় সংস্কৃতির একটা বড় দিক। বাংলা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। কেন্দ্র সরকার দশ বছরে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প করেছে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, কলকাতা মেট্রোর উন্নতি করা হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশনের উন্নতি করা হচ্ছে। বাংলার বিকাশের কাজ চলছে। এই একটা পাইপ লাইন নয়, প্রগতির একটা দিক বাংলায় বিকশিত হচ্ছে।”

    সিকিমের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা

    বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাগডোগরায় অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi in Alipurduar) বিমান। প্রথমে সিকিম যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিন সিকিমের ভারত অন্তর্ভুক্তির ৫০ বছরের পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাহাড়ি রাজ্যটিতে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর৷ কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তা বাতিল হওয়ায় বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ভার্চুয়ালি তিনি সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সিকিমের উন্নয়নে পাশে থাকার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। হিমালয়ের কোলের এই রাজ্যটি জাতির গর্ব বলেও উল্লেখ করেন মোদি।

  • S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    S-400 Missiles: রাশিয়ার কাছ থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চলেছে ভারত, সম্মতি মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানের পাল্টা হানা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাবনীয় সাফল্যের পর রাশিয়া থেকে আরও বেশ কয়েকটি এস-৪০০ (S-400 Missiles) কিনতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছে ভারত। রাশিয়ার (India-Russia Relation) কাছে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ সূত্রের খবর, মস্কো ইতিমধ্যে এই অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

    এস-৪০০ সিস্টেম-এর সাফল্য

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে থাকা রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ (S-400 Missiles) সিস্টেমগুলি সাম্প্রতিক ভারত-পাক সংঘাতের সময় পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অভিযানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের মতে, পশ্চিম সীমান্তের ওপার থেকে আকাশপথে হুমকি মোকাবিলায় এই সিস্টেমগুলি নির্ভুল এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। সুদর্শন চক্রের কর্মক্ষমতায় অভিভূত হয়ে ভারত নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আরও এস-৪০০ সিস্টেম জুড়তে চায়। সেই জন্য মস্কোর কাছে আবেদন করা হয়েছে।

    এস-৪০০ এর বিশেষত্ব

    মাটি থেকেই আকাশে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এস-৪০০ (S-400 Missiles)। আকাশে বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। যার মধ্যে রয়েছে স্টেলথ ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি ড্রোনকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে দু’টি ব়েডার সিস্টেম রয়েছে। যা আকাশে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত এবং একসঙ্গে ৮০টি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে। যে কোনও স্থানে নিয়ে গিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সিস্টেমটিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়া যায়। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে সেটি ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়ে যায়। লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার জন্য এতে একটি জ্যামার-রোধী প্যানোরামিক ব়্যাডার সিস্টেম রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সহ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জন্য ৪টি ব্যারেল বা স্টেশন রয়েছে এটিতে। ভারত ও রাশিয়ার পাশাপাশি চিন, তুরস্ক এবং বেলারুশও এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে।

    এস-৪০০ চুক্তির খুঁটিনাটি

    ২০১৮-এর অক্টোবরে পাঁচটি এস-৪০০ স্কোয়াড্রনের জন্য রাশিয়ার (India-Russia Relation) সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। ভ্লাদিমির পুতিনের দিল্লি সফরের সময় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে তিনটি স্কোয়াড্রন এস-৪০০ (S-400 Missiles) ভারতে এসে পৌঁছেছে। বাকি দু’টি ২০২৬ সালের মধ্যেই চলে আসবে ভারতের হাতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ চলার কারণে শেষ দুটি স্কোয়াড্রনের সরবরাহে দেরি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে উপেক্ষা করেই ভারত ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ চুক্তি সই করেছিল, যার মূল্য ছিল প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকা। এই চুক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে নয়াদিল্লিতে সম্পন্ন হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালের ক্যাটসা (CAATSA/ Countering America’s Adversaries Through Sanctions Act) আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ভারত সেসব চাপকে পাত্তা না দিয়ে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের ওপর জোর দেয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়া প্রথম এস-৪০০ ইউনিট সরবরাহ করে এবং বর্তমানে তিনটি স্কোয়াড্রন পাকিস্তান ও চিনের সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে।

    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে জল্পনা

    বুধবার একটি অনুষ্ঠানে ভারতের সামরিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস অ্যালিপভ। বিশেষ করে অপারেশন সিঁদুরে ব্রহ্মোস মিসাইল ও এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের (S-400 Missiles) সফল ব্যবহারের তিনি প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এই অস্ত্রগুলি আরও কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ডেনিস অ্যালিপভের কথায়, ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে তৈরি ব্রহ্মোস মিসাইল এবং অন্যান্য অস্ত্রগুলির কার্যকারিতা অত্যন্ত সন্তোষজনক। তাঁর মতে, “এই সমস্ত অস্ত্র ডিজাইন ও তৈরি হচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে মিলেই। ভবিষ্যতে আরও যৌথ প্রকল্প শুরু হবে এবং কিছু ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে।”

    মোদির নেতৃত্বে শক্তিশালী ভারত

    রাশিয়ার (India-Russia Relation) রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে ভারতের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষতা নিয়ে কারোর সন্দেহ নেই। তাঁর শক্তিশালী নেতৃত্বে ভারত বৈশ্বিক মঞ্চে আরও এগিয়ে যাচ্ছে।” পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ টেনে ডেনিস অ্যালিপভ বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপ যথার্থ। প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিষয়ে নরেন্দ্র মোদিকে বার্তা পাঠিয়েছেন এবং সহানুভূতি জানিয়েছেন। অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই একমাত্র পথ।” রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে পরিষ্কার, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর ভারত আরও অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কেনার পথে হাঁটছে। এতে রাশিয়া ভারতের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও আরও ‘সুদর্শন চক্র’ বা এস-৪০০-এর (S-400 Missiles) মতো আধুনিক অস্ত্র মস্কো থেকে দিল্লি আসতে পারে।

  • Bangladesh Crisis: নানা অছিলায় নির্বাচন পিছোতে চাইছেন ইউনূস, ক্ষমতার লোভ নাকি অন্য অঙ্ক?

    Bangladesh Crisis: নানা অছিলায় নির্বাচন পিছোতে চাইছেন ইউনূস, ক্ষমতার লোভ নাকি অন্য অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরের মধ্যেই সাধারণ নির্বাচন করতে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) ওপর। বুধবার ইউনূস সরকার জানিয়েছে যে, তারা ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের কথায় বিশ্বাস করছে না অধিকাংশ বাংলাদেশিই। ঘটনাপ্রবাহ দেখে তাঁরা বলছেন সাধারণ নির্বাচন হবে হয় চলতি মাসের ডিসেম্বরেই, নয়তো তা পিছিয়ে করা হতে পারে ২০২৬ সালের শেষে।

    বিএনপির সংশয় (Bangladesh Crisis)

    এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ইউনূসের জুনে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে সংশয় প্রকাশ করছে। তাদের মতে, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার একটি কৌশল। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়ে দেশব্যাপী আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে বিএনপি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়া আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো। তার ওপর আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিএনপির পক্ষে ফাঁকে মাঠে গোল দেওয়া সহজ হয়েছে। তাই তারা চাইছে নির্বাচন হোক ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই। যদিও তাদের আশঙ্কা, নানা অছিলায় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে ইউনূস সরকার ভোটের ফল প্রভাবিত করতে চাইছে।

    নানা অছিলায় সময় নষ্ট!

    বিএনপির দাবির আগেই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে আদতে বেলা গড়াতে চাইছেন ইউনূস। তাতে আর কিছু হোক বা না হোক তাঁর দলের পায়ের নীচের মাটিটা অন্তত শক্ত করার সময় পাওয়া যাবে। শহরাঞ্চলে ইউনূসের নবগঠিত দলের একটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হলেও, গ্রামীণ বাংলাদেশে এখনও পানি পায়নি তাঁর দল। অথচ এই গ্রামীণ বাংলাদেশের ভোট না পেলে ক্ষমতায় ফেরা ইউনূসের পক্ষে মুশকিল। তাই নানা অছিলায় বারবার নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে ইউনূস সরকার। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবিধান অনুয়ায়ী, নির্বাচিত সরকারের পতন হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হয়।

    জুনে নির্বাচন কীভাবে

    আগামী বছরের জুনে যে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, তা মালুম হয় বাংলাদেশে উৎসবের ক্যালেন্ডার দেখলেই। ২০২৬ সালের প্রথমার্ধজুড়ে রয়েছে পাবলিক পরীক্ষা, রমজান, ইদ, কালবৈশাখী, ঝড়, মৌসুমি বৃষ্টি এবং কোরবানির ইদের মতো উৎসব। এই উৎসবের জেরে সৃষ্টি হতে পারে লজিস্টিক জটিলতা। তাই জুনের মধ্যে নির্বাচন করা আদতেই সম্ভব নয় বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দিন কয়েক (Bangladesh Crisis) আগে চলতি বছরের ডিসেম্বরে ভোট করাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে তাঁরা জানান, তাঁরা হতাশ এবং বিভ্রান্ত। তাঁদের প্রশ্ন, কেন একজন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এমন কঠিন আবহাওয়ার সময়ই নির্বাচনের আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর?

    বিএনপির বক্তব্য

    বিএনপির প্রবীণ নেতা খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন (Bangladesh Crisis), “আমরা আগেই বলেছি যে ডিসেম্বরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার সঠিক সময়, এবং আমরা সেই অবস্থানেই অটল আছি। ডিসেম্বরের পর ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরু হবে। তারপর বর্ষাকাল। এসএসসি ও এইচএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষাগুলিও রয়েছে এই সময়। তাই আমরা মনে করি, ডিসেম্বরের পর আর কোনও সময় নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত নয়।” তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি হয়েছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী পরিস্থিতিতে। বাকি আর সব জাতীয় নির্বাচন সাধারণত ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হয়েছে (Muhammad Yunus)।

    ঝড়-বৃষ্টি

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে কালবৈশাখী ঝড় হয় মার্চ ও এপ্রিল মাসে। মে বা জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলে বর্ষাকাল। এই সময় প্রায়ই বাংলাদেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশের জনজীবন। ঝড়ের দাপটে গৃহহীন হন বহু মানুষ। রমজান মাস উপবাস ও আত্মিক সাধনার মাস। এই সময় বাংলাদেশে কাজের সময়সীমা কমে যায়। তাই এই সময় নির্বাচন পরিচালনা করা কঠিন। পাবলিক পরীক্ষাগুলির সময় (সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল) অধিকাংশ স্কুল-কলেজের শিক্ষক পরীক্ষার তত্ত্বাবধান, মূল্যায়ন এবং ফল প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই এই সময় গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের পাওয়া যায় না। হোসেন বলেন, “আমরা নির্বাচন ইস্যুতে সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে প্রেস সেক্রেটারির দেওয়া বিবৃতিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপের স্পষ্ট অভাব প্রতিফলিত হয়েছে (Bangladesh Crisis)।”

    জাতীয় পার্টির বক্তব্য

    আওয়ামি লিগের পূর্বতন মিত্র জাতীয় পার্টি, যেটি অগাস্ট ২০২৫-এ হাসিনা সরকারের পতনের পর হামলার শিকার হয়, তারাও একটি স্পষ্ট নির্বাচনী সময়সূচি দাবি করছে। বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির নেতা মাসরুর মাওলা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার ডাক দিয়ে বলেন, “যতক্ষণ না নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হচ্ছে, ততক্ষণ বাংলাদেশে কোনও নতুন বিনিয়োগ আসবে না।” তিনি বলেন, “আমরা যখনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলি, তারা শুধু নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন করে। তারা বাংলাদেশে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ শুনতে চায়। নির্বাচন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনও বিনিয়োগ আসবে না। পুরোনো বিনিয়োগকারীরাও —মানে যারা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছেন — তাঁরাও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।” ইউনূস সরকারের তীব্র সমালোচনা করে মাওলা বলেন, “গত ছ’-সাত মাস ধরে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু আমরা কোনও উন্নয়ন দেখিনি। বরং প্রতিদিন অপরাধের হার বেড়েই চলেছে। অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। কারণ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনও নতুন বিনিয়োগকারী আসছেন না (Muhammad Yunus)।” এদিকে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান গত সপ্তাহে ইউনূসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার কেবলমাত্র একটি নির্বাচিত সরকারেরই আছে (Bangladesh Crisis)।”

    ইউনূস জমানায় ব্যাপক অত্যাচার

    ২০২৪ সালের অগাস্টে ছাত্র-আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগের প্রধান শেখ হাসিনা। এর পরেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয় ইউনূসকে। ইউনূস ক্ষমতায় আসার পরেই দেশজুড়ে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে। ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বাংলাদেশের হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর। মন্দির-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়েও হামলা চালানো হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘরে। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় আওয়ামি লিগকে। এই দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপরও ব্যাপক অত্যাচার করা হয় (Muhammad Yunus)। তার পরেও ঠুঁটো হয়ে বসে থাকেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূস। তা নিয়ে দেশে তো বটেই, বিদেশেও সমালোচিত হয় ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

    জল্পনা ছড়িয়ে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা!

    এহেন আবহে দিন কয়েক আগে হঠাৎই জল্পনা ছড়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে ইস্তফা দিতে চলেছেন ইউনূস। গত শনিবার দুপুরে আচমকাই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক ডাকেন তিনি। তারপরেই জল্পনার জল ক্রমশ গড়াতে থাকে। বৈঠক শেষে পরিষদের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাফ জানিয়ে দেন, “প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গেই থাকছেন। উনি বলেননি উনি পদত্যাগ করবেন (Bangladesh Crisis)।”

    ক্ষমতার লোভ বোধহয় এমনই হয়!

  • Sesame Seeds: তিলেই হবে বাজিমাত! কোন‌ কোন রোগের মুশকিল আসান করবে তিল?

    Sesame Seeds: তিলেই হবে বাজিমাত! কোন‌ কোন রোগের মুশকিল আসান করবে তিল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

     

    নিয়মিত এক মুঠো তিল (Sesame Seeds), আর তাতেই হবে বাজিমাত। একাধিক রোগের ঝুঁকি কমবে। সঙ্গে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি। আধুনিক জীবনে নানান রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, হাড়ের রোগের মতো সমস্যা এখন খুব কম বয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের একাংশ পরামর্শ দিচ্ছেন, নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকুক এক মুঠো তিল। তাতেই একাধিক রোগের (Medicinal Benefits) সমস্যা কমবে।

    হাড়ের সমস্যা কমাবে তিল (Sesame Seeds)!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরোলেই বাড়লে হাড়ের সমস্যা। কোমড় ও হাঁটুর যন্ত্রণার জেরে, অনেকের নিয়মিত কাজেও প্রভাব পড়ছে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতির জেরেই হাড়ের রোগ বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই বয়স তিরিশের‌ চৌকাঠে পৌঁছলেই নিয়মিত তিল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, তিলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। পাশপাশি প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। এই দুই উপাদান হাড়ের গঠন মজবুত করে। তাই নিয়মিত তিল খেলে হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি কমবে।

    মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানসিক নানান সমস্যা বাড়ছে। মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ থেকেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কাজের চাপ এবং পারিপার্শ্বিক নানান কারণে এই ধরনের সমস্যা বাড়ছে। এই মানসিক চাপ কমাতেও তিল সাহায্য করে। তাই তিরিশের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তিল (Sesame Seeds) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, তিল খেলে শরীরে সেরোটোনিন তৈরি হয়। এই সেরোটোনিনের অভাবেই মস্তিষ্কে উদ্বেগ বাড়ে। মানসিক চাপ তৈরি হয়। তাই নিয়মিত তিল খেলে এই উদ্বেগ কমবে। মানসিক শান্তি বজায় থাকবে।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে!

    কম বয়সি ভারতীয়দের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতীয়দের হৃদরোগ উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ। নিয়মিত তিল খেলে এই সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তিলের (Sesame Seeds) মধ্যে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও যৌগ রয়েছে। এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া তিলের বীজে ভিটামিন ই থাকে। এই ভিটামিন হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে (Medicinal Benefits)।

    হজমের গোলমাল কমাতে সাহায্য করে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এখন তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনিয়মিত খাওয়া এবং অধিকাংশ সময়েই চটজলদি খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীরে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘদিন হজমের গোলমালের জেরে লিভার এবং অন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। এর দীর্ঘপ্রসারি ফল হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, হজমের গোলমাল কমাতে নিয়মিত তিল খাওয়া উচিত।‌ তিলে (Sesame Seeds) প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই নিয়মিত তিল খেলে হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।

    অ্যানিমিয়ার সমস্যা কমাবে তিল!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ মহিলারা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভোগেন। আয়রনের ঘাটতির জেরেই এই সমস্যা দেখা যায়। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তিলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই হিমোগ্লোবিন কম থাকলে নিয়মিত তিল খাওয়া উচিত।

    কীভাবে তিল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, তিলের বীজ থেকে তিলের তেল তৈরি করা যায়। রান্নায় ওই তিল নিয়মিত অল্প ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। তাছাড়া তিলের বীজ (Sesame Seeds) থেকে নাড়ু বা লাড্ডু বানিয়েও খাওয়া যায়। তাঁদের পরামর্শ, চিনি বা গুড় ব্যবহার করা যাবে না। তিলের বীজ গুঁড়ো করে, তার সঙ্গে কাঠবাদাম কিংবা পেস্তা গুঁড়ো মিশিয়ে লাড্ডু বানিয়ে, নিয়মিত একটা করে খেলে প্রচুর উপকার (Medicinal Benefits) পাওয়া যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Elon Musk: ট্রাম্প-মাস্ক বন্ধুত্বে চিড়? মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন টেসলা-কর্তা

    Elon Musk: ট্রাম্প-মাস্ক বন্ধুত্বে চিড়? মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন টেসলা-কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ (DOGE) ছাড়লেন টেসলা কর্তা ইলন মাস্ক (Elon Musk)। ওই পদে তাঁর কাজের মেয়াদ ছিল ৩০ মে পর্যন্ত। একদিন আগেই ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশাসন ছাড়লেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় নিজেই সে কথা জানিয়েছেন টেসলা কর্তা। তবে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি।

    ডজ-থেকে দূরে

    বন্ধুত্বের খাতিরে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। ঢেলেছিলেন বিপুল টাকা। সেই বন্ধুত্বের প্রতিদান দিয়েছিলেন ট্রাম্পও (Donald Trump)। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেই ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন টেসলা কর্তাকে। তাঁর জন্য সরকারি দক্ষতা বিষয়ক আলাদা একটি দফতরও তৈরি করে দেন, যার দায়িত্ব ছিল ইলনের কাঁধেই। কিন্তু সুখের সংসারে চিড়। বুধবারই বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ঘোষণা করেন যে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি, যা সংক্ষেপে ডজ (DOGE) নামে পরিচিত, তার নেতৃত্বে ইতি টানার সময় এসেছে। মাস্ক টুইট করে জানিয়েছেন, “মার্কিন সরকারের বিশেষ কর্মচারী হিসেবে আমার সময় শেষ হয়েছে। অপচয়মূলক সরকারি ব্যয় কমানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডজ-এর লক্ষ্য আরও শক্তিশালী হবে।”

    ট্রাম্প-মাস্ক দূরত্ব

    ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের অন্যতম এক উদ্যোগ ডজ (DOGE)। এই দফতরের দায়িত্ব মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলির আমূল সংস্কার এবং খরচ কমানো। যার মাথায় বসানো হয়েছিল টেসলা কর্তাকে। ইলন মাস্ককে (Elon Musk) বিশেষ সরকারি কর্মী হিসেবেই নিয়োগ করা হয়েছিল। এই পারমিটে বছরে ১৩০ দিন কোনও ব্যক্তি সরকারের জন্য কাজ করতে পারেন। কিন্তু ৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট বৈঠকে ট্রাম্প পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ডজ-এর প্রধান হওয়া সত্ত্বেও ইলন মাস্ক কোনওভাবেই নিয়োগ বা ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তাঁর ভূমিকা কেবলই পর্যবেক্ষকের। তখন থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসনে সামিল হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ইলন মাস্ককে। এমনকী ক্ষুব্ধ জনগণ তাঁর গাড়ি কোম্পানি টেসলাকেও বয়কট করে। কোম্পানির বিক্রি ও শেয়ারেও ব্যাপক পতন হয়।

    ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়ে মতান্তর

    প্রশ্ন উঠছে ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে মতান্তরই কি টেসলা প্রধান মাস্কের এই অব্যাহতির প্রধান কারণ? সদ্য আমেরিকায় জনকল্যাণমূলক কাজে ও সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি বিলে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। যে বিলকে ট্রাম্প ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ বলে অভিহিত করেন। সেই বিল নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা গিয়েছিল মাস্কের তরফে। মাস্ক (Elon Musk), প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করে বিলটি পুনরায় বিবেচনা করার কথা বলেন। হোয়াইট হাউসের বহু কর্মীর দাবি ছিল যে ট্রাম্প এই বিলে সই করার ফলে মার্কিন রাজকোষে বহু টাকা বাঁচবে। এদিকে, মাস্কের দাবি ছিল এই বিলের ফলে রাজকোষে ঘাটতি বাড়বে। সেই মাতন্তর থেকেই কি মাস্ক সরে গেলেন পদ ছেড়ে? পদত্যাগের পরও মাস্ক জানান, তিনি ডজ-এর লক্ষ্যকে সমর্থন করবেন এবং সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন সময় দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও মাস্কের প্রশংসা করেছেন এবং জানিয়েছেন, মাস্ক সরাসরি যুক্ত না থাকলেও পরোক্ষে কাজ করবেন।

  • Daily Horoscope 29 May 2025: আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময় এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 29 May 2025: আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময় এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বাড়তি ব্যবসা থাকলে বিনিয়োগ করবেন না।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে জরুরি আলোচনা হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বুদ্ধির ভুলে ক্ষতি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় কর্মচারীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মিথুন

    ১) মনের মতো স্থানে ভ্রমণের জন্য আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    সিংহ

    ১) খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে বাধা।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের চক্রান্তে সংসারে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় লাভ বাড়তে পারে।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে বাধা।

    তুলা

    ১) মনে দুর্বুদ্ধির উদয় হতে পারে।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) ধৈর্য্য ধরুন।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের সুযোগ।

    ২) আর্থিক উন্নতির জন্য খুব ভালো সময়।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) বিষয়সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য পরিবারে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) সখ পূরণ হবে।

    কুম্ভ

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথা নিয়ে কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কিছু কেনার জন্য খরচ হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) সপরিবার ভ্রমণে যাওয়ার আলোচনা এখন বন্ধ রাখাই ভালো।

    ২) সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share