Tag: Madhyom

Madhyom

  • Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “হিন্দুরা শক্তিশালী হলে তবেই পাত্তা দেবে বিশ্ব,” বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুদের (Hindu) নিয়ে কেউ তখনই চিন্তা করবে, যখন হিন্দুরা নিজেরাই যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কারণ হিন্দু সমাজ এবং ভারত একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাই হিন্দু সমাজের গৌরবময় রূপ ভারতকেও গৌরবান্বিত করবে।” সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “এমন একটি শক্তিশালী হিন্দু সমাজই কেবল তাদের সঙ্গেও চলার পথ দেখাতে পারে, যারা নিজেদের হিন্দু মনে করে না, যদিও এক সময়ে তারাও হিন্দুই ছিল। যদি ভারতের হিন্দু সমাজ শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। এই কাজ চলছে। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ধীরে ধীরে হলেও সেই পরিস্থিতির বিকাশ ঘটছে।”

    হিন্দু নিপীড়ন (Mohan Bhagwat)

    প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু নিপীড়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এবার বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে রকম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, তা আগে কখনও দেখা যায়নি। স্থানীয় হিন্দুরাও এখন বলছেন, ‘আমরা পালিয়ে যাব না। আমরা এখানেই থাকব এবং আমাদের অধিকার নিয়ে লড়ব।’ এখন হিন্দু সমাজের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়ছে। সংগঠন যত বাড়বে, এর প্রভাবও ততটাই স্বাভাবিকভাবে প্রতিফলিত হবে। তার আগে পর্যন্ত, আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” ভাগবত বলেন, “বিশ্বের যেখানেই হিন্দু আছে, আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তাদের জন্য যা কিছু সম্ভব, সব কিছু করব। সংঘ আছে সেই উদ্দেশ্যেই। স্বয়ংসেবকেরা শপথ নেয়—‘ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজ রক্ষা করে হিন্দু রাষ্ট্র বিকাশের জন্য কাজ করব।’”

    কী বললেন ভাগবত

    তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের শক্তিশালী হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিনের প্রার্থনায় আমরা যেভাবে প্রার্থনা করি – ‘অজয়্যম চ বিশ্বস্য দেহীশ শক্তিম’ — ‘আমাদের এমন শক্তি দাও যাতে আমরা গোটা বিশ্বের কাছে অজেয় হই।’ সত্যিকারের শক্তি হল অভ্যন্তরীণ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের অন্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। আমাদের নিজেদের (Hindu) আত্মরক্ষা করার সামর্থ্য থাকা উচিত। একাধিক শক্তি একসঙ্গে হলেও কেউ যেন আমাদের জয় করতে না পারে (Mohan Bhagwat)।”

  • Constitution Murder Day: ফি বছর ২৫ জুন দিনটিকে পালন করা হবে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে, সিদ্ধান্ত এনডিএ-র বৈঠকে

    Constitution Murder Day: ফি বছর ২৫ জুন দিনটিকে পালন করা হবে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসেবে, সিদ্ধান্ত এনডিএ-র বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা (Emergency) ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। অতীতের সেই কালো অধ্যায় স্মরণ করিয়ে দিতে বার বার সরব হয়েছে বিজেপি। এবার সেই দিনটি স্মরণ করে নয়া ঘোষণা করল এনডিএ। জোটের তরফে এই মর্মে ঘোষণা করা হয়, এবার থেকে ফি বছর ২৫ জুন দিনটিকে পালন করা হবে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ (Constitution Murder Day) হিসেবে। এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    কী লিখলেন অমিত শাহ? (Constitution Murder Day)

    তিনি লিখেছেন, “১৯৭৫ সালের ২৫ জুন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁর স্বৈরাচারী মানসিকতায় দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেন। এবং ভারতীয় গণতন্ত্রের আত্মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিনা কারণে কারাগারে ঢোকানো হয় এবং সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়। ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতি বছর ওই কালো দিন ২৫ জুনকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। বিশেষ এই দিনে সেই সব মানুষের অবদানকে স্মরণ করা হবে যারা ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার কারণে অমানবিক যন্ত্রণা সহ্য করেছিলেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হল সেই লক্ষ লক্ষ মানুষের লড়াইকে সম্মান করা, যারা স্বৈরাচারী সরকারের অবর্ণনীয় নির্যাতন সত্ত্বেও গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করে গিয়েছেন। সংবিধান হত্যা দিবস গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে এবং প্রতিটি ভারতীয়ের মধ্যে ব্যক্তি স্বাধীনতার অমর জ্যোতিকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করবে। যাতে ভবিষ্যতে কংগ্রেসের মতো কোনও একনায়কতান্ত্রিক মানসিকতা এর পুনরাবৃত্তি করতে না পারে।”

    সংবিধান হত্যা দিবস

    ২৫ মে নয়াদিল্লিতে এনডিএ-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই জরুরি অবস্থার ৫০তম বার্ষিকী পালনের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় (Constitution Murder Day)। ২০২৪ সালে ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল যে, ২৫ জুন প্রতিবছর সংবিধান হত্যা দিবস (Emergency) হিসেবে স্মরণ করা হবে, যেটি দেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। জরুরি অবস্থা চলাকালীন দেশবাসীর মৌলিক অধিকারসমূহ স্থগিত করা হয়েছিল এবং কঠোর সেন্সরশিপ জারি করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক মতপার্থক্য দমন করা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা। এদিকে, রবিবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এনডিএর মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ২০ জন মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৮ জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অংশ নেন। এই বৈঠকের শেষে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়। একটি হল ‘অপারেশন সিন্দুরে’র জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করা এবং অন্যটি হল জাতিভিত্তিক জনগণনার উদ্যোগকে সমর্থন করা।

    নাড্ডার বক্তব্য

    বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিন্দুরে’র জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা বিভিন্ন নেতাদের দ্বারা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আজ আমাদের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আমাদের ২০ জন মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৮ জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। দুটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে (Emergency)। প্রথমটি ছিল অপারেশন সিঁদুর নিয়ে, যা প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল এবং এতে আমাদের সেনাবাহিনীর কাজ এবং তাদের সাহসিকতা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে (Constitution Murder Day)।” নাড্ডা বলেন, “আজ বৈঠকে জাতিভিত্তিক জনগণনা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। সবাই এতে সম্মতি দিয়েছেন এবং মোদিজির এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন ও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি, আমরা জাতিভিত্তিক রাজনীতি করি না। বরং যাঁরা বঞ্চিত, নিপীড়িত ও শোষিত, তাঁদের মূল স্রোতে নিয়ে আসতে চাই। এটি সমাজের জন্য একান্ত প্রয়োজন।”

    গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ

    এই সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। এটি রাজ্য-স্তরে সুশাসনের কার্যকরী পদ্ধতি ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে। উপস্থিত নেতারা ছত্তিশগড় সরকারের উন্নয়ন মডেল এবং উদ্ভাবনী পদক্ষেপগুলিও নিয়ে আলোচনা করেন। এনডিএর মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে (Emergency) ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাইয়ের বস্তার অলিম্পিকস এবং বস্তার পাণ্ডুম নিয়ে প্রেজেন্টেশন প্রধানমন্ত্রী ও বৈঠকে অন্যান্য অংশগ্রহণকারী মুখ্যমন্ত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে (Constitution Murder Day)।

  • Chinese PL-15E missile: প্লিজ একবার দাও! ভারতের হেফাজতে থাকা আস্ত চিনা ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেতে লাইন বিশ্বের হেভিওয়েটদের

    Chinese PL-15E missile: প্লিজ একবার দাও! ভারতের হেফাজতে থাকা আস্ত চিনা ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেতে লাইন বিশ্বের হেভিওয়েটদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালীন পাকিস্তানের নিক্ষেপ করা চিনা নির্মিত ‘পিএল-১৫ই’ ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile) সফলভাব ইন্টারসেপ্ট বা মাঝপথেই ধ্বংস করেছে ভারত। সেই ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ এসে পড়ে ভারতের ভূমিতে, যা বর্তমানে রয়েছে কেন্দ্রের হেফাজতে। এখন, এই ধ্বংসাবশেষ হয়ে উঠেছে বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তাবড় তাবড় দেশ এখন এই চিনা ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পরীক্ষা চাইছে। সেই কারণে, সকলে এক এক করে এখন ভারতের দ্বারস্থ হচ্ছে। আমেরিকা থেকে শুরু করে ফ্রান্স, জাপান থেকে শুরু করে ‘পঞ্চ অক্ষী’ জোট— কে নেই সেই তালিকায়!

    ‘পিএল-১৫ই’ বিভিআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile)

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময়, পাকিস্তানের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সফলভাবে ধ্বংস করে দেয় ভারতের ইন্টিগ্রেটেড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ধ্বংস হওয়া পাকিস্তানের নিক্ষিপ্ত সেই ক্ষেপণাস্ত্রের তালিকায় ছিল চিনা নির্মিত ‘পিএল-১৫ই’ বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র (BVRAAM)। তালিকায় ছিল তুরস্কের ‘বায়রাক্তার টিবি-২’ কামিকাজে ড্রোন। আকাশে ধ্বংস হওয়ার পর এগুলির বহু অংশ ভারতের ভূমিতে এসে পড়ে। এমনকি, একটি গোটা চিনা ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ধার হয় পঞ্জাবের হোসিয়ারপুর থেকে। ওই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ছোড়া হয়েছিল পাক ফাইটার জেট থেকে। কিন্তু ইন্টারসেপ্ট হওয়ায় গোঁত্তা খেয়ে তা ভারতে পড়ে। কিন্তু, কোনও বিস্ফোরণ না হওয়ায় ক্ষেপণাস্ত্রটিকে (Chinese PL-15E missile) প্রায় গোটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    প্লিজ, একবার ক্ষেপণাস্ত্রটা দাও!

    এই খবর চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। চিনা ক্ষেপণাস্ত্রটির ধ্বংসাবশেষ দ্রুত নিজেদের হেফাজতে নেয় ভারতীয় সেনা। বর্তমানে তা রয়েছে ডিআরডিও-র পরীক্ষাগারে। ক্ষেপণাস্ত্রটিকে বিশ্লেষণ করছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। একটা আস্ত চিনা ‘পিএল-১৫ই’ ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile) ভারতের হাতে এসে পড়েছে, এটা জানতে পেরেই বহু দেশের সামনে একটা বড় সুযোগের দ্বার খুলে গিয়েছে। চিনের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রকে পরীক্ষা করে প্রযুক্তি বোঝার সুযোগ পেতে তাদের তর সইছে না। সেই কারণে, তারা এক এক করে ভারতের দ্বারস্থ হচ্ছে। সকলের আবদার অনেকটা যেন এরকমই— প্লিজ, একবার ক্ষেপণাস্ত্রটা দাও।

    চিনা ক্ষেপণাস্ত্রের দুর্বলতা বের করছে ভারত?

    এই ‘পিএল-১৫ই’ (Chinese PL-15E missile) হল চিনের ‘পিএল-১৫’ মূল ক্ষেপণাস্ত্রের রফতানি সংস্করণ, যা পাকিস্তান সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ব্যবহার করে। চিনের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন দ্বারা নির্মিত এই আকাশ-থেকে-আকাশ মিসাইলটির পাল্লা ১৪৫ কিমি। এতে ডুয়াল-পালস রকেট মোটর এবং অ্যাক্টিভ রেডার গাইডেন্স রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে অত্যাধুনিক সিকার এবং ইলেকট্রনিক কাউন্টার-মেজার রয়েছে। এটি চিনা আস্ত্রাগারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বর্তমানে ডিআরডিও-র (DRDO) পরীক্ষাকেন্দ্রে এই ক্ষেপণাস্ত্রের কাটাছেঁড়া চলছে। এর ফলে, ভবিষ্যতের যুদ্ধে উপকৃত হতে পারে ভারত। এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রোপালশন সিস্টেম, গাইডেন্স প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধের উপাদানগুলির অধ্যয়ন করে ভারত তার দুর্বলতা বের করে ফেলতে পারে। অচিরে এতে ভারতের নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করবে। চিন যে ভারতের সবচেয়ে বড় শত্রু, এটা একটা শিশুও জানে। ফলে, শত্রুর সামরিক প্রযুক্তি হাতে পাওয়া মানে ভবিষ্যতের যুদ্ধে এগিয়ে থাকা।

    চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ

    কিন্তু, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এত আগ্রহ কেন? এর অন্যতম কারণ হল, চিনের অ্যাডভান্সড ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি সম্পর্কে অন্য দেশের কাছে সীমিত তথ্য থাকা। বেজিং বরাবরই গোপনীয়তা বজায় রাখে। যে কারণে, আমেরিকা থেকে শুরু করে জাপান— বিশ্বে চিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে এটা একটা সুবর্ণ সুযোগ। ভারতের হাতে এসে পড়া চিনা ‘পিএল-১৫ই’ ক্ষেপণাস্ত্র (Chinese PL-15E missile) তাই এখন বিশ্বের কাছে ‘হট-কেক’। ফ্রান্স এবং জাপানের মতো দেশগুলি ক্ষেপণাস্ত্রটির অভ্যন্তরীণ গঠন এবং রেডার এড়িয়ে যাওয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি বুঝতে আগ্রহী বলে জানা গিয়েছে। আবার আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত ‘ফাইভ আইজ’ গোয়েন্দা জোটও ধ্বংসাবশেষ হাতে পেতে নয়াদিল্লির সাথে আলোচনা করছে বলেও জানা গিয়েছে।

    ভারতের হাতে এখন তুরুপের তাস

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সময় হাতে আসা এই ধ্বংসাবশেষ আদৌ কারোর সঙ্গে ভাগ করা হবে কিনা, সেই বিষয়ে ভারত এখনও পর্যন্ত কাউকে কিছুই জানায়নি। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, তাড়াহুড়ো নয়, কৌশলগত ও কূটনৈতিক স্বার্থকে মাথায় রেখে সব দিক পর্যালোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেবে ভারত। তাঁদের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের হাতে তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে। ভারতে এর বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি হস্তান্তর করিয়ে নিতে পারে।

    অন্যদিকে, প্রমাদ গুণছে চিন…

    এদিকে, ভারতের হাতে তাদের আস্ত একখান অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে চিন। বেজিং ভালোই বুঝতে পারছে, প্রতিপক্ষ ভারত এখন ক্ষেপণাস্ত্রের (Chinese PL-15E missile) নাড়িভুঁড়ি বের করে পোস্ট-মর্টেম করছে এবং সব রহস্য বের করছে। এর পর, ভারত যদি ওই ক্ষেপণাস্ত্র অন্য দেশকে দেয়, তাহলে বিপদ বাড়বে বৈকি। এই ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্লেষণ করে চিনের জন্য পাল্টা দাওয়াই-এর ব্যবস্থা করে ফেলবে ভারত সহ গোটা বিশ্ব। এতে, চিনের উন্নত প্রযুক্তির ধার অনেকটাই ভোঁতা হতে পারে।

  • OIC: বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ  

    OIC: বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কাশ্মীর ইস্যুতে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব মঞ্চে ফের একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত হয় ইসলামিক কো-অপারেশন সংস্থার বৈঠক (OIC)। ওই বৈঠকে পাকিস্তান (Pakistan) কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করে। যদিও তা ব্যর্থ হয়। এই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র হল ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং বাহরিন। এই তিন মুসলিম দেশই পাকিস্তানের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। যার ফলে চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়নি সেটি। আয়োজক দেশ ছিল ইন্দোনেশিয়া।

    ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকা (OIC)

    ইসলামিক এই দেশটি পাকিস্তানের এই উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার নীতিতে বিশ্বাসী দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ইন্দোনেশিয়া। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, তারা ওআইসির মঞ্চকে কোনও সদস্য রাষ্ট্রকে টার্গেট করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চায় না। ইন্দোনেশিয়ার এই অবস্থানকে সমর্থন করে মিশর এবং বাহরিনও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং বাহরিনের এই অবস্থান ভারতের সঙ্গে তাদের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্কের প্রতিফলন।

    চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র

    জাকার্তা সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে প্যালেস্তাইন ও গাজায় চলা পরিস্থিতির কড়া নিন্দা করা হয়। যদিও ভারতের প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে সংযমী ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় মুখ পুড়লেও (OIC) স্বদেশে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে পাকিস্তান। তাদের দাবি, তাদের অবস্থান ওআইসি দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হলেও, ইসলামাবাদ নিজের দেশে তাদের কলঙ্কিত ভাবমূর্তি বজায় রাখতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।

    কাশ্মীর ইস্যুতে সমর্থন আদায়ের জন্য ওআইসির দিকে দীর্ঘদিন ধরে তাকিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী দেশগুলির মধ্যে এই বিষয়ে অনীহা ক্রমেই বাড়ছে যে তারা নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে এই ধরনের কাজে ব্যবহৃত হতে দিতে চাইছে না। অনেক দেশ এখন আদর্শগত সংহতির চেয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও কৌশলগত সহযোগিতাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তার জেরেই বারবার বিশ্ব দরবারে মুখ পুড়ছে ইসলামাবাদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওআইসি পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রস্তাব আটকে যাওয়া ইসলামাবাদের (Pakistan) একটি বিরাট কূটনৈতিক ব্যর্থতা। নয়াদিল্লির কাছে এটি একটি বড় সাফল্য, যা মুসলিম বিশ্বের ভেতরে পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক অবস্থানগুলির ইঙ্গিত দেয় (OIC)।

  • Irritable Bowel Syndrome: মাঝ বয়স থেকে ভোগাচ্ছে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম! কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    Irritable Bowel Syndrome: মাঝ বয়স থেকে ভোগাচ্ছে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম! কেন বাড়ছে এই সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং চলার মাঝেই কিংবা বাড়িতে নানান কাজে ব্যস্ততার মধ্যে বারবার পেটের ভিতরে অস্বস্তি কিংবা পেট ব্যথা হয়। আবার অনেক সময়েই দিনের একাধিকবার মলত্যাগ হয়। পেটের গোলমালে জেরবার হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। পেটে ব্যথা, বারবার মলত্যাগের প্রবণতা এমন নানান উপসর্গের জন্য কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক সময়েই নানান অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (Irritable Bowel Syndrome) আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের মধ্যে এই রোগ সাধারণত দেখা যেত। কিন্তু গত এক দশকে দেখা গিয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে কম বয়সিদের মধ্যে ইরেটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বেড়েছে। এর ফলে তাদের শারীরিক সমস্যার পাশপাশি কাজের ক্ষতি হচ্ছে। মানসিক চাপ বাড়ছে।

    কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বাড়ছে?

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, খাদ্যাভাস ও জীবন যাপনের ধরনের জেরেই খুব কম বয়সিদের মধ্যেও ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা বাড়ছে। লাগাতার পেটের এই অসুখের জেরে আরও নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের মধ্যে এই শারীরিক সমস্যা দেখা যেত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজম শক্তি কমে। তার জেরেই পেটের এই সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশ এই সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সময়েই তরুণ প্রজন্মের খাদ্যতালিকায় সহজ পাচ‌্য খাবার থাকে না। আবার অনেক সময়েই কম বয়সিদের খাবারের সময় অনিয়মিত থাকে। খাবার খাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ও অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পাচনতন্ত্রের উপরে। তার ফলেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

    কোন ছয় খাবার এড়িয়ে চললে বিপদ কমানো‌ যেতে পারে?

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটের এই লাগাতার সমস্যা (IBS Treatment) নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ছয়টি খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষত যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ক্যাফিন জাতীয় খাবার!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অনেকেই অতিরিক্ত কফি-প্রেমী! যা অনেক সময়েই‌ শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদ তৈরি করছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনে বারবার কফি খাওয়ার ফলে পাচনতন্ত্রের ক্ষতি হচ্ছে। পেটের সমস্যা থাকলে তাই ক্যাফিন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কফি পানে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তার পাশপাশি চকোলেট এবং সোডা খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ এগুলোতেও ক্যাফিন থাকে।

    চিনি এড়িয়ে চলা দরকার!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা রুখতে চিনি একদম বর্জন করতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের একেবারেই চিনি খাওয়া চলবে না। চিনি হলো প্রক্রিয়াজাত মিষ্টি। এটা শরীরের উপরে মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে। বিশেষত হজমের সমস্যা তৈরি করে। অন্ত্রের ক্ষতি করে। তাই চিনি এড়িয়ে চলা দরকার।

    যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম রুখতে যেকোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানান রাসায়নিক থাকে। যা লিভার, পাকস্থলী এবং অন্ত্রের উপরে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বার্গার, পিৎজা, হটডগ‌ বা কোনও প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে হজমের সমস্যা হয়। তাই যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।

    অ্যালকোহল পান চলবে না!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের (Irritable Bowel Syndrome) মতো সমস্যা থাকলে অ্যালকোহল বর্জন করতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অ্যালকোহলে অভ্যস্ত হলে লিভারের কার্যক্ষমতা আরও কমে যায়। এর ফলে হজমের সমস্যা বাড়ে। তার ফলে পেটের একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

    ফাইবার জাতীয় খাবারে নিয়ন্ত্রণ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফাইবার জাতীয় খাবার হজম করতে অনেক সময়েই অতিরিক্ত সময় লাগে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার বিশেষ সাহায্য করে। তবে যাঁরা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, অনেক সময়েই তাঁদের জন্য ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বাড়তি সমস্যা তৈরি করে। তার উপরে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable Bowel Syndrome) থাকলে আরও ভোগান্তি বাড়ায়। তাই মটর, ছোলা বা যেকোনও দানা শস্য খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি।

    দুগ্ধজাত খাবারে রাশ!

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পেটের সমস্যা থাকলে দুগ্ধজাত খাবার বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড। আর এই জৈব উপাদানের জেরেই হজমের সমস্যা থাকলে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার ভোগান্তি বাড়ায় (IBS Treatment)। পেটের সমস্যাও‌ তৈরি করে। তাই পেটের সমস্যা থাকলে দুধ, টক দই কিংবা পনীরের মতো খাবারে রাশ জরুরি। তার পরিবর্তে সোয়া মিল্ক বা বাদাম দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 26 May 2025: সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 26 May 2025: সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ২) বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    মিথুন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) বাণীতে সতর্ক থাকুন।

    সিংহ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটা।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    তুলা

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে বেশি সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    ধনু

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কুম্ভ

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • EtherealX: বিশ্বে প্রথম! বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ তৈরি করল পুনর্ব্যবহারযোগ্য মিডিয়াম-লিফট রকেট

    EtherealX: বিশ্বে প্রথম! বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ তৈরি করল পুনর্ব্যবহারযোগ্য মিডিয়াম-লিফট রকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য মিডিয়াম-লিফট লঞ্চ ভেহিকল তৈরি করল বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক স্টার্টআপ ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন গিল্ড (EtherealX)। ভারতের প্রযুক্তি নগরীর এই সাফল্য এখনও পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম মহাকাশ সংস্থা ইলন মাস্কের স্পস এক্সও (SpaceX) অর্জন করতে পারেনি। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা ইতিমধ্যেই ভারতের বেসরকারি মহাকাশ শিল্পে এক শক্তিশালী সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ইসরোর প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার মানু জে. নায়ার, শুভায়ু সরদার এবং প্রশান্ত শর্মার হাত ধরে ভারতের এই সংস্থার পথ চলা শুরু। এই সংস্থার তৈরি প্রধান রকেট রেজর ক্রেস্ট মার্ক-১ (Razor Crest Mk-1), যে কোনও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। এই রকেট ইসরোর (ISRO)-এর বর্তমান রকেটগুলোর থেকেও উন্নত, বলে দাবি প্রস্তুতকারকদের।

    নতুন প্রযুক্তি, নতুন দিগন্ত

    রেজর ক্রেস্ট মার্ক-১ (Razor Crest Mk-1)-এর সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো এর দুটো ধাপ—বুস্টার এবং আপার স্টেজ—উভয়কেই পুনর্ব্যবহারযোগ্যভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। যেখানে স্পেস এক্স সহ বহু সংস্থাই উচ্চতাপে পোড়া আপার স্টেজ ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন একটি বিপরীতমুখী কৌশল নিয়েছে। তারা এই প্রবল তাপকে রকেটের নিজস্ব ইঞ্জিন চালানোর জন্য ব্যবহার করছে। সংস্থার সিইও মানু নায়ার বলেন, “পুনঃপ্রবেশ তাপের সঙ্গে যুদ্ধ না করে, যদি তা দিয়ে ইঞ্জিন চালানো যায়—তবেই তো আসল উদ্ভাবন।” আদতে এই স্টার্টআপটির লক্ষ্য হল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ শিল্পে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা, যেখানে রকেটের বুস্টার এবং উপরের স্তর উভয়কেই পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এটি একটি উদ্ভাবনী ধারণা, যা আগে কেউ সফলভাবে করতে পারেনি।

    তাপ নয়, শক্তিতে রূপান্তর

    রকেটের আপার স্টেজ পুনরুদ্ধারের প্রধান সমস্যা হচ্ছে বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময় সৃষ্ট তাপ। এই তাপ ঠেকাতে সাধারণত হিট শিল্ড ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বেঙ্গালুরুর এই সংস্থা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে। নায়ার বলছেন, “আমরা এই তাপকে ঠেকানোর পরিবর্তে সেটিকে কাজে লাগানোর একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছি। এই তাপ দিয়ে আমরা ইঞ্জিন চালাতে পারি, এটাই আমাদের নতুন ফিড সাইকেল।” এর ফলে, এই রকেট প্রতি কেজি উৎক্ষেপণে খরচ হবে মাত্র ৩৪০ থেকে ২০০০ মার্কিন ডলার— যা স্পেস এক্স-এর আটভাগের এক ভাগ। অতএব কম খরচেই রকেট লঞ্চ সম্ভব হবে।

    ভারতের স্পেস রেনেসাঁয় বেঙ্গালুরুর নেতৃত্ব

    ভারতের মহাকাশ প্রযুক্তিতে যে নবজাগরণ ঘটছে, তার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বেঙ্গালুরু। ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ বলেছিলেন, “আজ ছোট স্যাটেলাইট বানানো হয় ঠিকই, কিন্তু আমি আশা করি একদিন ৪-৬ টন ওজনের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটও ভারতেই তৈরি ও উৎক্ষেপণ হবে।” এই দিক দিয়ে বেঙ্গালুরু এখন ভারতের স্পেস হাব হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে ইউরোপ, জাপানসহ একাধিক দেশের সংস্থার সঙ্গে ১১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন (EtherealX)। বর্তমানে প্রতিরক্ষা ও বৈজ্ঞানিক দিক থেকে বিশ্বের বহু দেশ এখন চিন ও রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প খুঁজছে। এক্ষেত্রে ভারত হয়ে উঠছে সেই বিকল্প। ইন্দো-ইউএস স্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন, মহাকাশ প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা লজিস্টিক্সের নতুন বিশ্বজোটেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।

    ২০২৭-এর দিকে নজর

    রেজর ক্রেস্ট মার্ক-১ (Razor Crest Mk-1)-এর প্রযুক্তিগত ডেমো লঞ্চ হতে চলেছে ২০২৬ সালে। এই রকেটটির পূর্ণাঙ্গ লঞ্চ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৭ সালের মার্চে। ইতিমধ্যে তারা ১.২ মেগা-নিউটন ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন তৈরি করছে, যা ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী বেসরকারি রকেট ইঞ্জিন হতে চলেছে। সরকারি ও বেসরকারি তহবিল থেকে প্রাথমিক ৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে তারা। আগামী দিনে আরও বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছে সংস্থাটি।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র বিশ্ব জয়

    ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন (EtherealX)-এর প্রযুক্তি সম্পূর্ণভাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ মডেলে তৈরি হচ্ছে। প্রায় সব যন্ত্রাংশই ভারতেই উৎপাদিত, কিছু বড় ও জটিল উপাদান বর্তমানে আউটসোর্স করা হলেও ভবিষ্যতে তা ভারতেই উৎপন্ন করার কথা জানিয়েছেন সংস্থার সিইও। নায়ার মনে করেন, স্পেস এক্স-এর মতো প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে গেলে মূল বাধা শুধু পুঁজি। তবে বর্তমানে মোদি সরকারের আমলে মহাকাশ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ছে। সরকার নিজেও সেক্টর-ফোকাসড ভেঞ্চার ফান্ড তৈরি করেছে। ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন দেখিয়ে দিচ্ছে, শুধুমাত্র লঞ্চ সাইট হিসেবে নয়, একটি লঞ্চ শক্তি হিসেবেও বিশ্ব মানচিত্রে ভারতের উঠে আসা সম্ভব।

  • Christian Conversion Racket: খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে গিয়ে পুলিশের জালে জন থমাস

    Christian Conversion Racket: খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে গিয়ে পুলিশের জালে জন থমাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সামনে এল খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত (Christian Conversion Racket) করার উদ্বেগজনক ঘটনা। রবিবার উত্তেজনা ছড়ায় ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) কাওরধার আদর্শ নগর এলাকায়। অভিযোগ, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষদের বিশ্বাস, নিরাময় ও দানের নাম করে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। এই ঘটনা উপজাতি ও বঞ্চিত অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। খ্রিস্টান মিশনারিদের এহেন কার্যকলাপে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

    গোপনে ধর্মান্তরিত (Christian Conversion Racket)

    স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি বেসরকারি স্কুলের পরিচালক জন থমাস। তিনি ওই স্কুলের চত্বর ব্যবহার করে গোপনে ধর্মান্তরিত করছিলেন। হিন্দু সংগঠনের প্রায় ২৫ জন সদস্য পাশের একটি বাড়িতে হানা দেন। তাঁরাই থমাসের বিরুদ্ধে দরিদ্র বাসিন্দাদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তোলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কাওরধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুষ্পেন্দ্র বাঘেল জানান, অভিযোগে বলা হয়েছে যে প্রার্থনা সভার ছদ্মবেশে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছিল। পরে জন থমাসকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আরও ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ

    স্থানীয় বাসিন্দা পুসাইয়া বাঈ ও পদ্মিনী চন্দ্রবংশী অভিযোগ করেন, জন থমাস অসুস্থ ও দরিদ্র গ্রামবাসীদের নজরে রাখতেন। পরে নিরাময় ও আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের স্কুলে নিয়ে যেতেন। ওখানে ভূত তাড়ানোর রীতিনীতি ও অদ্ভুত আওয়াজে আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পদ্মিনী বলেন, “শিশুরা বাইরে বেরোতে ভয় পেত। সব কিছু আমাদের চোখের সামনেই ঘটছিল, অথচ বহুবার অভিযোগ করেও প্রশাসন (Christian Conversion Racket) কিছু করেনি।”

    প্রসঙ্গত, গ্রামীণ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করা একাধিক খ্রিস্টান মিশনারি সংস্থার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে যে তারা সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ধর্মান্তরিত করছে। অর্থনৈতিক সাহায্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মাঝে মাঝে সম্পত্তির টোপ দিয়ে, তারা মানুষকে এমনভাবে ধর্মান্তরিত করছে, যাতে তাদের সম্মতি থাকে না। এই ধরনের কাজকর্ম চলে (Chhattisgarh) মানবিক সহায়তার মুখোশ পরে। স্থানীয়রা জন থমাসের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ এবং প্রতারণামূলক ধর্মান্তর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আরও বৃহৎ অভিযানের দাবি জানিয়েছেন (Christian Conversion Racket)।

  • US Defence Intelligence: নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না ভারত, বলছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট

    US Defence Intelligence: নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না ভারত, বলছে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ও ভারতের (India) ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চলছে। একটি মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানকে (US Defence Intelligence) কেবল একটি গৌণ নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে।

    ওয়ার্ল্ডওয়াইড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট (US Defence Intelligence)

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার “২০২৫ ওয়ার্ল্ডওয়াইড থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট” রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত চিনকে তার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে। সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাত সত্ত্বেও পাকিস্তানকে একটি গৌণ নিরাপত্তা সমস্যা হিসেবে দেখে ভারত সরকার। এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য একটি বিষয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের প্রভাব মোকাবিলা ও বৈশ্বিক নেতৃত্বে ভূমিকা জোরদারে ভারত, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে ভারত যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র বিক্রি ও তথ্য আদান-প্রদান করছে। রিপোর্টটি জানিয়েছে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দু’টি বিতর্কিত জায়গা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ভারত ও চিন চুক্তিতে পৌঁছালেও সীমান্ত নির্ধারণ সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী বিরোধের মীমাংসা এখনও হয়নি। তবে, এই পদক্ষেপ ২০২০ সালে বেড়ে যাওয়ায় উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত করেছে (US Defence Intelligence)।

    প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট

    প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (DIA) রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ২০২৫ সালেও “মেড ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগ চালিয়ে যাবে, যাতে দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলা যায়, সরবরাহ ব্যবস্থার উদ্বেগগুলি হ্রাস করা যায় এবং সামরিক ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণ করা যায়। রিপোর্টে পরমাণু সক্ষম অগ্নি-প্রাইম মধ্য-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অগ্নি-৫ এর মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেটলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিক্যাল প্রযুক্তির পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে।

    মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারত ২০২৫ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে। কারণ ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে অর্থনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা লক্ষ্য অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। মোদি সরকারের অধীনে ভারত রাশিয়ায় তৈরি সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় কিছুটা কমালেও, রাশিয়ায় তৈরি ট্যাংক এবং যুদ্ধবিমানের বড় মজুদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এখনও রাশিয়ার খুচরো যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভর করে (US Defence Intelligence)।

    রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত পাকিস্তানকে একটি গৌণ নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হিসেবে দেখে, কিন্তু পাকিস্তান ভারতকে অস্তিত্বের হুমকি বলে মনে করে। রিপোর্টে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, ভারতীয় প্রচলিত সেনা শক্তির ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলার জন্য পাকিস্তান তার সামরিক আধুনিকীকরণ চালিয়ে যাবে, যার মধ্যে থাকবে (India) যুদ্ধক্ষেত্র উপযোগী পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “পাকিস্তান প্রায় নিশ্চিতভাবেই বিদেশি সরবরাহকারী ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র সামগ্রী সংগ্রহ করেছে (US Defence Intelligence)।”

  • Vietnam: গোল্ডেন ভিসা চালু করেছে ভিয়েতনাম, কীভাবে উপকৃত হবেন ভারতীয়রা?

    Vietnam: গোল্ডেন ভিসা চালু করেছে ভিয়েতনাম, কীভাবে উপকৃত হবেন ভারতীয়রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বল্পমেয়াদী পর্যটন গন্তব্য থেকে চরিত্র বদলে দেশটিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী আন্তর্জাতিক দর্শনার্থী কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে ভিয়েতনাম (Vietnam)। এই লক্ষ্যে তারা চালু করেছে ১০ বছরের একটি “গোল্ডেন ভিসা” (Golden Visa Program)। বিদেশি বিনিয়োগকারী, দক্ষ কর্মী এবং দীর্ঘমেয়াদী পর্যটকদের —বিশেষ করে ভারতের মতো উদীয়মান বাজার থেকে লোক টানতেই এই ভিসা চালু করেছে এশিয়া মহাদেশের এই দেশটি।

    গোল্ডেন ভিসা (Vietnam)

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গোল্ডেন ভিসা উদ্যোগটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভিয়েতনামকে একটি বৈশ্বিক ব্যবসা, সংস্কৃতি ও সহযোগিতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। ভিয়েতনাম এখন বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ভারতীয় পর্যটকদের মধ্যে ভিয়েতনামকে নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা রয়েছে। ভিয়েতনাম ন্যাশনাল অথরিটি অফ ট্যুরিজমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩১ শতাংশ। প্রশ্ন হল, কী এই গোল্ডেন ভিসা? জানা গিয়েছে, গোল্ডেন ভিসায় যাঁরা ভিয়েতনামে যাবেন, তাঁদের সে দেশে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে ৫ থেকে ১০ বছরের জন্য। এই ভিসা নবীকরণও করা যাবে। বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ানো এবং অর্থনীতির ভিত মজবুত করার লক্ষ্যেই চালু করা হয়েছে এই ভিসা।

    ভারত ও ভিয়েতনামের সম্পর্ক

    যদিও গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন গ্রহণ এখনও শুরু হয়নি এবং চূড়ান্ত যোগ্যতার মানদণ্ডও এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি আরও স্থায়ী ভিত্তি খুঁজছেন এমন উচ্চ-সম্পদশালী ব্যক্তি, উদ্যোক্তা, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং ডিজিটাল যাযাবরদের দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের সুযোগ দেওয়া। এ ধরনের ব্যক্তিরা পর্যটন, উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মতো খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। ভারত ও ভিয়েতনামের (Vietnam) মধ্যে রয়েছে কূটনৈতিক সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এটি পর্যটন, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। ভারতীয় পর্যটকদের ভিয়েতনাম ভ্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম কারণ হল দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতার মতো প্রধান ভারতীয় শহরগুলোর সঙ্গে বিমান যোগাযোগের উন্নতি (Golden Visa Program)।

    ফোর্বসের বক্তব্য

    ফোর্বসের মতে, ভিয়েতনাম ২০২৫ সালে ২.৩ কোটি পর্যটক আকর্ষণ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। এর একটা বড় অংশই ভারতীয় পর্যটক হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্পটি কেবল পর্যটনের ক্ষেত্রেই নয়, বিনিয়োগ ও ব্যবসার ক্ষেত্রেও অনেক নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে। যেসব ভারতীয় তাঁদের ব্যবসা প্রসারিত করতে চান বা বিদেশে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান, তাঁরা ভিয়েতনামের উদীয়মান বাজারে বিনিয়োগ করে আইনসম্মতভাবে ব্যবসা করতে পারেন। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত ভিয়েতনামে মোট ১৬,০২৪ জন ভারতীয় বসবাস করছেন। তাঁদের মধ্যে ৭,৫৫০ জন হচ্ছেন অনাবাসী ভারতীয় (NRI), ৪৬২ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত (PIO), এবং ৮,০১২ জনকে প্রবাসী ভারতীয় (Golden Visa Program) হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। গোল্ডেন ভিসা প্রকল্প (Vietnam) চালু হলে এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে।

    সুবর্ণ সুযোগ ভারতীয়দের সামনে 

    ভারতীয় উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল নোমাডদের জন্য ভিয়েতনাম শুধু আবাসনের সুযোগই নয়, বরং ব্যবসার বিকাশেরও বড় সম্ভাবনা তৈরি করছে। তথ্য প্রযুক্তি(IT), বস্ত্রশিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ও পর্যটন পরিকাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয় ভিয়েতনাম দ্রুত উন্নতি করছে, যা দেশের তরুণ কর্মশক্তি ও গতিশীল অর্থনীতির দ্বারা সমর্থিত। ভারতের পর্যটন খাতের জন্য ভিয়েতনাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার হয়ে উঠেছে। ভিয়েতনামের সাশ্রয়ী জীবনযাত্রা, নিরাপত্তা ও সম্প্রসারিত প্রবাসী-সহায়ক পরিকাঠামো ভারতীয় দক্ষ কর্মী, বিনিয়োগকারী ও অন্যান্য কর্মীদের আকর্ষণ করছে।

    প্রতিষ্ঠিত কিছু শহরে চালু

    অনুমোদন মিললে সরকার এই কর্মসূচি প্রথমে বিদেশিদের জন্য প্রতিষ্ঠিত কিছু শহরে চালু করবে, যার মধ্যে রয়েছে হো চি মিন সিটি, হ্যানয় এবং দা নাং (Vietnam)। মার্চ মাসে ভিয়েতনাম পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও সুইজারল্যান্ডের পর্যটকদের জন্য ভিসা-মুক্ত থাকার মেয়াদ ৪৫ দিনে বাড়িয়েছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া-সহ ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বাজারের জন্য ২০২৮ সাল পর্যন্ত ভিসা ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা গিয়েছে। ভিয়েতনামের জাতীয় পর্যটন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত দেশটি (Golden Visa Program) ৭.৬৭ মিলিয়নেরও বেশি পর্যটক পেয়েছে — যা এখনও পর্যন্ত ত্রৈমাসিক হিসেবে সর্বোচ্চ এবং ২০২৪ সালের এই সময়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি (Vietnam)।

LinkedIn
Share