Tag: Madhyom

Madhyom

  • India: ইউনূসের দাদাগিরি! বাংলাদেশকে এড়িয়ে কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্বের নয়া পথ তৈরি করছে ভারত

    India: ইউনূসের দাদাগিরি! বাংলাদেশকে এড়িয়ে কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্বের নয়া পথ তৈরি করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা জমানায় ট্রানজিট রুট নিয়ে সমঝোতার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় (India) অগ্রগতি হয়েছিল। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে (Myanmar) বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পরেই বদলে যায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের রসায়ন। এই আবহে সমুদ্র ও মায়ানমারের সড়কপথ ব্যবহার করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগরক্ষাকারী বিকল্প পথের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের দাবি। জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের এক কর্তা ওই প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে অসমের বরাক উপত্যকার প্রাণকেন্দ্র শিলচর পর্যন্ত প্রায় ১৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চার লেনের জাতীয় সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব করেছে ভারত সরকার। ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রকল্পের এই রাস্তা যাবে মায়ানমার সীমান্তের অদূরের পাঁচগ্রাম পর্যন্ত। নির্মাণের দায়িত্বে থাকবে এনএইচআইডিসিএল।

    বিকল্প পথ (India)

    এই বিকল্প পথের সমুদ্র যোগাযোগ হবে কলকাতা থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সিট্টে বন্দর পর্যন্ত। সিট্টে থেকে বঙ্গোপসাগর ছেড়ে মায়ানমারের কালাদান নদীপথে সে দেশের পালেটয়া যাবে ওই জলপথ। এর পরে সড়কপথে মিজোরামের জোরিনপুই পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। নতুন শিলং-শিলচর জাতীয় সড়ক এই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সম্প্রসারিত করবে। পরবর্তী পর্যায়ে জোরিনপুই থেকে লুংলেই হয়ে আইজল পর্যন্ত সংযুক্ত হবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস গত মার্চ মাসে চিন সফরে গিয়ে বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে স্থলবেষ্টিত এবং ঢাকা এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। তার পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নয়া প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    রাখাইন প্রদেশের জল ও স্থলপথ ব্যবহার

    তবে মায়ানমারের সঙ্গে কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্য স্থির হলেও, তা পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে (India)। কারণ, গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত মায়ানমারের বড় অংশই সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের হাতছাড়া। যে রাখাইন প্রদেশের জল ও স্থলপথ ব্যবহার করে নয়াদিল্লি বিকল্প পথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাইছে, তার ৮০ শতাংশেরও বেশি বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে। সেখানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীও সক্রিয়। গত ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয় কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পে। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও চূড়ান্ত হয়েছে। প্রকল্পটি চালু হলে শিলং থেকে শিলচরের যাত্রাপথ কমে হবে পাঁচ ঘণ্টা। পণ্য পরিবহণের পাশাপাশি (Myanmar) উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চিনের মোকাবিলায় আরও দৃঢ় হবে ভারতীয় সেনার অবস্থান (India)।

  • PM Modi: বাংলাদেশি পণ্যের আমদানির ওপর বন্দর সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি ভারতের

    PM Modi: বাংলাদেশি পণ্যের আমদানির ওপর বন্দর সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেক আগে বাংলাদেশকে (Bangladesh) দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট প্রত্যাহার করেছিল ভারত (PM Modi)। এবার বাংলাদেশের কিছু পণ্যের আমদানির ওপর বন্দর সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করল নয়াদিল্লি। ১৭ মে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনে বাণিজ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজত খাদ্যদ্রব্য, ফল এবং ফল-স্বাদযুক্ত ও কার্বোনেটেড পানীয়, তুলা ও তুলার সুতো বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি প্রস্তুত সামগ্রী ও কাঠের আসবাবপত্রের আমদানির ওপর প্রযোজ্য।

    যেসব পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা (PM Modi)

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি সমস্ত ধরনের রেডিমেড পোশাক কোনও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। তবে এই পণ্যগুলি শুধুমাত্র নাভাশেভা এবং কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে। ফল ও ফল স্বাদযুক্ত ও কার্বোনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, তুলা ও তুলার সুতা বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি প্রস্তুত সামগ্রী এবং কাঠের আসবাবপত্রের আমদানি অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের কোনও ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনস ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট দিয়ে এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি স্থল শুল্ক চেকপোস্ট দিয়ে করা যাবে না। তবে নিজস্ব শিল্পক্ষেত্রের জন্য কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত রঞ্জক, রং, প্লাস্টিসাইজার এবং দানাদার পণ্যের আমদানি অনুমোদিত থাকবে। এছাড়া, বাংলাদেশের কাছ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল এবং পাথর গুঁড়ো আমদানির ক্ষেত্রে বন্দর সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। একইভাবে, বাংলাদেশ থেকে নেপাল ও ভুটানে রফতানি হওয়া পণ্যের ভারত হয়ে ট্রানজিটেও এই বন্দর নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

    ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা প্রত্যাহার আগেই

    গত ৯ এপ্রিল ভারত সরকার বাংলাদেশের জন্য আগের যে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করে। যুক্তি হিসেবে নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়েছিল, ভারতের বন্দর ও বিমানবন্দরগুলিতে সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা ও ভিড় (PM Modi)। এই সুবিধার অধীনে বাংলাদেশকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট থেকে কন্টেনার ট্রাক পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কলকাতা (Bangladesh) বন্দর ও কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার কার্গো কমপ্লেক্স, মহারাষ্ট্রের নাভাশেভা বন্দর ও দিল্লি বিমানবন্দরে (PM Modi)।

  • Indian Army: “পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত,” বললেন শাহ

    Indian Army: “পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র ভূয়সী প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী (Indian Army) পাকিস্তানের ভিতরে ১০০ কিলোমিটার ঢুকে জঙ্গিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।” গুজরাটের গান্ধীনগর জেলার কোলাভাডা গ্রামে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গোটা বিশ্ব আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর দক্ষতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করছে।”

    ১০০ জন সন্ত্রাসবাদী নির্মূল

    তিনি বলেন, “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসবাদীকে নির্মূল করেছে। জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর ধ্বংস করেছে এবং ১৫টি সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীর পাল্টা আঘাত হানার ক্ষমতা অনেকটাই কমে গিয়েছে।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দেশের নারীদের সম্মান জানিয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণ করেছেন। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে কয়েক বছর ধরে নিয়মিত জঙ্গি হামলা ঘটত, এখন আর তা ঘটছে না (Indian Army)।”

    মোদি জমানায় খেলা ঘুরেছে

    গান্ধীনগরের লোকসভার সাংসদ বলেন, “আগে সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তান থেকে আসত, আমাদের সেনা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করত এবং পালিয়ে যেত। তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করত। কিন্তু তখন তাদের কোনও জবাব দেওয়া হত না।” তিনি বলেন, “মোদি দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতে তিনটি বড় জঙ্গি হামলা হয়েছে—উরি, পুলওয়ামা এবং গত মাসে পহেলগাঁও।প্রধানমন্ত্রী মোদি সবগুলির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন এবং গোটা বিশ্ব বিস্ময়ের সঙ্গে তা দেখছে, আর পাকিস্তান তা আতঙ্কের সঙ্গে অনুভব করছে।”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তারা (পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা) অতীতে ভারতের প্রতিক্রিয়া থেকে কোনও শিক্ষাই নেয়নি এবং ফের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা চালিয়েছে। এবার ‘অপারেশন সিঁদুরে’র আওতায় আমরা জঙ্গি সংগঠনগুলির সদর দফতর ধ্বংস করে দিয়েছি।” তিনি বলেন, “আজ আমি গর্বের সঙ্গে বলতে এসেছি যে, আমরা পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নিয়েছি—জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর সম্পূর্ণরূপে গুঁড়িয়ে দিয়েছি। পাকিস্তানি জঙ্গিরা নিরস্ত্র ভারতীয় নাগরিকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে, তাদের পরিবারগুলোর সামনে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল (Indian Army)।”

  • UN: চলতি বছরে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছাপিয়ে যাবে আমেরিকা, চিন, ইউরোপকেও! বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    UN: চলতি বছরে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ছাপিয়ে যাবে আমেরিকা, চিন, ইউরোপকেও! বলছে রাষ্ট্রসংঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতির (India) চাকা! বিশ্ব অর্থনীতির নড়বড়ে অবস্থা। অথচ ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে আশার বাণী শুনিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ (UN)। জানিয়ে দিয়েছে, ভারত চলতি বছরেও বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির প্রধান অর্থনীতি হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রাখতে সক্ষম হবে। রাষ্ট্রসংঘের আশা, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির হার হবে ৬.৩ শতাংশ।

    কী বলছে রাষ্ট্রসংঘ? (UN)

    রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের গ্লোবাল ইকোনমিক মনিটরিং শাখা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ এবং নীতি বিভাগের সিনিয়র অর্থনৈতিক বিষয়ক কর্তা ইঙ্গো পিটারলে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ভারত দ্রুত বর্ধনশীল বৃহৎ অর্থনীতির একটি। এটি শক্তিশালী বেসরকারি খরচ ও সরকারি বিনিয়োগের দ্বারা পরিচালিত।” যদিও ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬.৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতি একটি অনিশ্চিত সন্ধিক্ষণে রয়েছে, যার লক্ষণ ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ক্রমবর্ধমান নীতিগত অনিশ্চয়তা। সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধি – কার্যকর মার্কিন শুল্ক হারকে তীব্রভাবে বাড়িয়েছে – উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত এবং আর্থিক অস্থিরতা বৃদ্ধির হুমকি দিচ্ছে।

    বৃদ্ধির অনুমান

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বৃদ্ধির অনুমান ৬.৬ শতাংশ থেকে সামান্য সংশোধিত হলেও, ভারত এখনও অন্যান্য বৃহৎ অর্থনীতির তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। পরের বছর ভারতের অর্থনীতি ৬.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও এটি আগের প্রত্যাশার চেয়ে সামান্য কম। প্রসঙ্গত, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার দিকে ইঙ্গিত করে রাষ্ট্রসংঘ (UN) বলেছে, বিশ্ব অর্থনীতি একটি অনিশ্চিত মুহূর্তে রয়েছে। অনেক দেশ এখন আগের অনুমানের চেয়ে ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিশ্বের অন্যান্য বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের সঙ্গে তুলনা করলে ভারতের পরিসংখ্যান চিত্তাকর্ষক বলেই মনে হচ্ছে। যেখানে আমেরিকার প্রবৃদ্ধি ১.৬ শতাংশ, চিনের প্রবৃদ্ধি ৪.৬ শতাংশ, জাপানের প্রবৃদ্ধি ০.৭ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন মাত্র ১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, সেখানে ভারত এদের চেয়ে (India) এগিয়ে রয়েছে ঢের বেশি। জার্মানির প্রবৃদ্ধি -০.১ শতাংশ দেখা যেতে পারে বলেও অনুমান রাষ্ট্রসংঘের (UN)।

  • Daily Horoscope 18 May 2025: আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 18 May 2025: আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।

    ২) বাত-জাতীয় রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) সতর্ক থাকতে হবে।

    মিথুন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) বাণীতে সতর্ক থাকুন।

    সিংহ

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটা।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে কথা বলুন।

    তুলা

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভালো সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে বেশি সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) সতর্কভাবে চলাফেরা করুন।

    ধনু

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কুম্ভ

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে, কীভাবে জানেন?

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) পাকিস্তান যে নাস্তানাবুদ হয়েছিল, সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে তা জানে তামাম বিশ্ব। তবে সেই অপারেশন নিখুঁত করতে গিয়ে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে (Pakistan)। ভারতের পাঠানো পাইলটবিহীন ছদ্ম বিমানের মোকাবিলা করতে যখন ব্যস্ত পাক সেনা, সেই সময়ই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানে ভারত। ৯ মে রাতে ও ১০ মে ভোরে একের পর এক পাক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। যার জেরে দেশে যুদ্ধবিমান মজুত থাকলেও, সেগুলি ওড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল ইসলামাবাদ। কারণ, রানওয়েতে বিশাল গর্ত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, তার পরেই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় ভারতকে। বিশ্বকে শান্তির ললিত বাণী শোনায় যে ভারত, সেই ভারতই সাড়া দেয় পাকিস্তানের প্রস্তাবে। তারই ফসল এই সংঘর্ষ বিরতি। বিভিন্ন সূত্র মারফত এমন খবর পেয়েছে সংবাদ মাধ্যম। ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে, কীভাবেই বা সাজানো হয়েছিল পাক বধের ঘুঁটি, কীভাবে পাকিস্তানকে কার্যত লেজেগোবরে করে ছেড়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত?

    ডামি যুদ্ধবিমান (Operation Sindoor)

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করতে ডামি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল ভারতীয় সেনা। পাইলটবিহীন এই যুদ্ধবিমানগুলি যে আদতে খেলনা বিমানের মতো, তা বুঝতে পারেনি পাক সেনা (Operation Sindoor)। ভারতীয় যুদ্ধ বিমানকে আঘাত করতে সক্রিয় হয় তারা। তখনই ভারতীয় সেনা জেনে যায় পাকিস্তানের লুকিয়ে রাখা রেডারের অবস্থান। এর পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরই সফল হয় অপারেশন সিঁদুর। ‘লক্ষ্য’ ও ‘বানশি’ নামে পরিচিত এই ডামি ইউএভিগুলি রাফাল, সুখোই-৩০, মিগ-২৯ এবং জাগুয়ারের মতো ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলিকে অনুকরণ করতে পারে।

    পাকিস্তানি বায়ুসেনাকে খোঁড়া করে দেওয়া

    ভারত প্রথম থেকেই ঠিক করেছিল পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হবে আকাশ পথে (Pakistan)। উদ্দেশ্য, পাকিস্তানি বায়ুসেনাকে খোঁড়া করে দেওয়া। ভারতের হামলার মোকাবিলা করতে পাকিস্তান তাদের মেড ইন চায়না, এইচকিউ-৯ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের লঞ্চার ও রাডারগুলি দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করে। কয়েকটির অবস্থান ভারত আগে থেকেই জেনে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন কয়েকটি জায়গায়ও মোতায়েন করা হয়েছিল লঞ্চার ও রাডারগুলি। ভারত ডামি যুদ্ধ বিমান পাঠাতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে পাকিস্তানের রাডার এবং লঞ্চার। সক্রিয় হয় এয়ার ডিফেন্স নেটওয়ার্কও। এইচকিউ-৯-ও সক্রিয় হয় (Operation Sindoor)।

    বেআব্রু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    ব্যস, খেল খতম! পাকিস্তানের কোথায় কোথায় রাডার এবং লঞ্চার রাখা হয়েছে, তা জেনে যায় ভারত। তারপর করা হয় পদক্ষেপ। এর পরেই পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স রাডার, কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেমগুলিকে লক্ষ্য করে ইজরায়েলে তৈরি হারোপ-সহ একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী (Pakistan)। দূরপাল্লার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যেই ছিল ব্রহ্মোস এবং স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্রও। এই হামলায় প্রায় ১৫টি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্ক্যাল্প, রাম্পেজ এবং ক্রিস্টাল মেজ ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই প্রথম ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কোনও সংঘাতে ব্যবহার করা হল। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের পাঠানো ডামি যুদ্ধবিমানের টোপ গেলাই কাল হয়েছিল পাকিস্তানের। ভারতের পাতা ফাঁদে পা দিতেই এ দেশের সেনার কাছে ধরা পড়ে যায় তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঠিক অবস্থান। তার পরেই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত করে ভারতীয় সেনা (Operation Sindoor)।

    পাক সেনাকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ল ভারত

    পাক সেনাকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের ছোড়া ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র নষ্ট করে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতির’। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই প্রাচীরই রুখে দিয়েছিল পাকিস্তানের হামলা। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭জন হিন্দু পর্যটককে। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। পরে অবশ্য তারা অস্বীকার করে হামলার দায় (Pakistan)।

    এর পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে কোমর বাঁধে ভারতীয় সেনা। এই লক্ষ্যে ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। ৯-১০ মে রাতে ভারতের হানায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনাঘাঁটিও আক্রান্ত হয়। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনাঘাঁটির মধ্যে ১১টি আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “ওই অভিযানে (Pakistan) ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল সেনা। তাতে রাতের অন্ধকারে দিন দেখেছে পাকিস্তান (Operation Sindoor)।”

  • Teesta Prahar: বাংলাদেশের বুকে কাঁপুনি! পূর্ব সীমান্তেও প্রস্তুত, চিকেন নেকে ভারতীয় সেনার ‘তিস্তা প্রহার’

    Teesta Prahar: বাংলাদেশের বুকে কাঁপুনি! পূর্ব সীমান্তেও প্রস্তুত, চিকেন নেকে ভারতীয় সেনার ‘তিস্তা প্রহার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম সীমান্তে যে সময় অপারেশন সিঁদুর-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা, ঠিক সেই সময়ই (৮-১০ মে) বাংলাদেশ সীমান্তে ব্যাপক সামরিক মহড়া সেরে রাখল ভারতীয় স্থলসেনা (Indian Army)। উত্তরবঙ্গে তিন দিন ধরে চলল ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ‘তিস্তা প্রহার’ (Teesta Prahar)। শিলিগুড়ির অদূরে চিকেন নেক এলাকার আশেপাশেই এই মহড়া দেয় ভারতীয় স্থলসেনা। ওদলাবাড়ির (Odlabari) সাওগাঁ বস্তির অদূরে তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে চলল মহড়া। তত্ত্বাবধানে সেনার ছিল ইস্টার্ন কমান্ড।

    কেন এই মহড়া

    উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে আপাতত যুদ্ধবিরতি চললেও, পূর্ব সীমান্তেও ভারতীয় সেনাবাহিনী যে আক্রমণ রুখে দিতে একেবারে প্রস্তুত তারই ঝলক দেখা গেল তিস্তা প্রহার-এ (Teesta Prahar)। তাহলে লক্ষ্য কি ঢাকা? পাকিস্তানের সমর্থনে বেশ লম্ফঝম্প করছিল বাংলাদেশ। এমনকি, হুমকি দেওয়া হয়েছে যে ভারত-পাক যুদ্ধ হলে চিনের সাহায্যে সেভেন সিস্টার্স দখল করা হবে। তারই জবাব দিল ভারত, এমনই অনুমান বিশ্লেষকদের। এমনিতে, পাকিস্তানের শোচনীয় অবস্থা দেখে সুর পাল্টেছে ইউনূসরা। হিন্দুদের সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পাকিস্তান যদি এতটা পর্যুদস্ত না হত, বা পাকিস্তান যদি ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিত। তাহলে কি বাংলাদেশ এমন চুপ থাকত? বাংলাদেশ হায়নার মতো আচরণ করতে না কে বলতে পারে? সাতপাঁচ ভেবেই কি সামরিক মহড়া? ঘুরিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত, অভিমত কূটনৈতিক মহলে।

    কী কী হল মহড়ায়

    পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ আবহে উদ্বেগ বেড়েছিল ‘চিকেন নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডর নিয়ে। ভারত-পাক সংঘাতের সুযোগ নিয়ে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত (সেভেন সিস্টার) দখলের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারতীয় সেনার শক্তি দেখে নিয়েছে বিশ্ব। ইসলামাবাদকে যোগ্য জবাব দেওয়ার পাশাপাশি পরোক্ষে বার্তা দেওয়া হয়েছে চিন-বাংলাদেশকেও। দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে পূর্ব সীমান্তেও যে জওয়ানরা জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত তারই ঝলক দেখা গেল তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে। তিনদিনের এই ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়ায় ভারতীয় সেনার ইনফ্যানট্রি, আর্টিলারি, আর্মার্ড কোর, আর্মি অ্যাভিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং সিগনাল কোর অংশগ্রহণ করেছিল। ভারতীয় সেনার অস্ত্রভান্ডারে সদ্য নিয়োজিত ‘নেক্সট জেনারেশন’ অস্ত্রশস্ত্র, মিলিটারি প্ল্যাটফর্ম এবং যুদ্ধক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগের মতো গুরুত্ব দিয়ে তিনদিনের মহড়ায় তুলে ধরা হয়। এছাড়াও প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাহিনীর প্রতিটি বিভাগের মধ্যে নিখুঁত সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় সেই প্রক্রিয়াতেও শান দেওয়া হয়েছে। মহড়ার একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ভারতীয় সেনার অস্ত্রভান্ডারে সদ্য নিয়োজিত ‘নেক্সট জেনারেশন’ অস্ত্রশস্ত্র। মহড়ায় এই যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহার, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও আধুনিকীকরণের উপর জোর দেওয়া হয়। বিভিন্ন দুর্গম জায়গাতেও প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সেই প্রক্রিয়াতেও শান দেওয়া হয়।

    ঢাকার বুকে কাঁপুনি

    তিনদিনের ‘তিস্তা প্রহার’ (Teesta Prahar)মহড়া শেষে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে প্রেস বার্তায় দাবি করা হয়েছে, যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সেনা একশো শতাংশ প্রস্তুত। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে একেবারে নিখুঁত সমন্বয় সাধনের জন্য এই মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছে সেনা। ভারতীয় সেনার এই মহড়ায় ঢাকার বুকে কাঁপুনি ধরাতে পারে।

    আকাশকুসুম স্বপ্ন নয়

    সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সেখানে তিনি বলেন, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়, ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” এই মন্তব্যের ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট যে, ভারতের ৭ রাজ্য (সেভেন সিস্টার)কে ভেঙে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। এই একই ইচ্ছা চিনের। বাংলাদেশের মুখে এমন মন্তব্যে দুয়ে দুয়ে চার করতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি দিল্লির। কড়া জবাব হিসাবে ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ব্যবসার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, কয়েকদিন আগেই ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ওপার বাংলার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, দিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে যুদ্ধ লাগলে নাকি ঢাকার উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো দখল করে নেওয়া। আর এর জন্য তারা হাত মেলাবে চিনের সঙ্গে। পড়শি দেশের এই আকাশকুসুম স্বপ্ন যে কোনও দিনই সফল হবে না তা বুঝিয়ে দিল ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়া।

  • Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক উভয় ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময় আক্রমণ করতে পারে ভারত।” অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন মার্কিন সেনার প্রাক্তন রণকৌশলবিদ (US Army Warfare Expert)।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পড়শি দেশের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটিকে দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির এই অপারেশন উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে তামাম বিশ্বে। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত কেবল পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিই ধ্বংস করেনি, পাকিস্তানি বায়ুসেনার প্রায় এক ডজন বিমানঘাঁটিও ধ্বংস করেছে। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুদ্ধবিশারদরা।

    মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জন স্পেন্সার বলেন, “যে চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে পাকিস্তান, তা ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়াতেই পারবে না।” স্পেন্সার বলেন, “পাকিস্তানের গভীরে আক্রমণের বিরুদ্ধে ভারত সফলভাবে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি ড্রোন আক্রমণ এবং উচ্চ গতির ক্ষেপণাস্ত্র।”

    স্পেন্সার বর্তমানে মডার্ন ওয়ারফেয়ার ইনস্টিটিউটের আরবান ওয়ারফেয়ার স্টাডিজের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের ব্যবহৃত চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার জন্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা ভারতের উন্নত সামরিক সক্ষমতার (Operation Sindoor) প্রমাণ। চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতের তুলনায় দুর্বল। ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র চিনা ও পাকিস্তানি উভয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের বার্তা স্পষ্ট ছিল। এটি যে কোনও সময় পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সব চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এটি ভূপৃষ্ঠের যে কোনও জায়গা থেকে এবং সমুদ্রের সাবমেরিন থেকে, আকাশে যুদ্ধবিমান থেকে এবং স্থলে লঞ্চার থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে (US Army Warfare Expert)। এটিই বিশ্বের একমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র যা চারটি উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম থেকে নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে (Operation Sindoor)।

  • Pakistan: ‘‘ধর্মের অপব্যবহার করে জিহাদের প্রসার ঘটাচ্ছে পাকিস্তান’’, মত ইতিহাসবিদ টম কুপারের

    Pakistan: ‘‘ধর্মের অপব্যবহার করে জিহাদের প্রসার ঘটাচ্ছে পাকিস্তান’’, মত ইতিহাসবিদ টম কুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) ধর্মের “ব্যাপক অপব্যবহার” করে জিহাদের জন্ম দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সামরিক বিমানচালনা বিশ্লেষক এবং ইতিহাসবিদ টম কুপার (Tom Cooper)। তিনি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। কুপার বলেন, ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসবাদ পশ্চিম আফ্রিকার নাইজেরিয়া থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ফিলিপিন্স পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে সামরিক শাসনের কবলে রয়েছে। কুপারের কথায়, “পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ও অসামরিক নেতৃত্বের সম্পর্ক কখনওই ভালো ছিল না। দেশটিতে একাধিক সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে এবং বেশিরভাগ সময়ই দেশটি সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। ফলে এই সমস্যার সমাধান হবে না বলেই আমি মনে করি।” ধর্মকে ব্যবহার করে আমজনতাকে ভুল বুঝিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। বারবার এমনই অভিমত প্রকাশ করেছে ভারতও।

    পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

    পাকিস্তানের (Pakistan) পারমাণবিক নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন টম কুপার (Tom Cooper)। তিনি বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ইঙ্গিতপূর্ণ। পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্রও নিরাপদ নয়। কুপার বলেন, “ভারত তার গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলির উপর কড়া নজরদারি করছে। ভারতের হাতে এই বিষয়ে নির্ভুল তথ্য রয়েছে। এটি স্পষ্ট করে যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ।” তাঁর দাবি, এই উদ্বেগ নতুন কিছু নয় এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা বহু বছর আগেই এই ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। পাকিস্তানের উপর ভারতের আধিপত্য নিয়ে কুপার বলেন, “ভারত তার কৌশলগত গোয়েন্দা উপগ্রহের মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পাকিস্তানের পক্ষে এতে বাধা দেওয়া প্রায় অসম্ভব।”

    পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা

    পাকিস্তানের (Pakistan) অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং ধর্মভিত্তিক সন্ত্রাসবাদের প্রসার বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুপারের (Tom Cooper) মতে, পাকিস্তান শুধু নিজের দেশের মধ্যেই জিহাদবাদের প্রজনন ঘটাচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিকভাবেও এর অর্থায়ন এবং সংগঠন করছে। এই প্রক্রিয়া আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে, যা বিশ্ব শান্তির জন্য এক কঠিন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দেশের রাজনৈতিক কাঠামোতে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এটি শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরীণ নীতি নির্ধারণেই প্রভাব ফেলে না, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কুপারের মতে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী নিজস্ব স্বার্থ এবং উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়, যা দেশের ব সরকারের সঙ্গে সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

  • Illegal Bangladeshi Muslims: নিঃশব্দে বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালাচ্ছে ভারত, কী ঘটছে সেখানে?

    Illegal Bangladeshi Muslims: নিঃশব্দে বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালাচ্ছে ভারত, কী ঘটছে সেখানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডেরে জেরে পড়শি দেশকে সবক শেখাতে দেশের পশ্চিমপ্রান্তে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছিল ভারত (Deportation)। সরকারি কর্তাদের অবশ্য দাবি, জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতেই চালিয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত (Illegal Bangladeshi Muslims)। তার পরেই বাংলাদেশি মৌলবাদীদের একাংশ ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরাতে থাকে।

    ‘অপারেশন পুশব্যাক’ (Illegal Bangladeshi Muslims)

    বাংলাদেশের এক মৌলবীকে আত্মঘাতী জঙ্গি বাহিনী পাঠিয়ে কলকাতা দখল করার হুমকি দিতেও শোনা যায়। তার পরেই গোপনে ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালু করেছে ভারত। এর আগে নানা সময় ভারতে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ফেরত নিয়ে ঢাকাকে অনুরোধ করেছিল ভারত। কিন্তু ঢাকা সেই বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে অস্বীকার করে। অনেক ক্ষেত্রে তারা যে বাংলাদেশি তাও অস্বীকার করতে শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। এর পরেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব বাংলাদেশি মুসলমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, তাদের ধরে ধরে পুশব্যাক করানো হচ্ছে বাংলাদেশে।

    মুখে কুলুপ কেন্দ্রের

    জানা গিয়েছে, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করছিল, এমন বহু বাংলাদেশি মুসলমানকে ৬ মে থেকে গোপনে সড়ক ও বিমানপথে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরার আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার ভারত একতরফাভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো শুরু করেছে। যদিও এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, সরকারের তরফে অস্বীকারও করা হয়েছে ‘অপারেশন পুশব্যাক’কেও।

    পুশব্যাক করতে সময় লাগত বছরের পর বছর

    এতদিন ভারত ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশে যৌথ সীমান্ত নির্দেশিকা, ২০১১ সালের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং বিএসএফ এবং বিজিবির কর্তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হত। এই প্রক্রিয়ায় পুশব্যাক করতে সময় লাগত বছরের পর বছর। এই দীর্ঘসূত্রিতার বোঝার দায় বইতে হত ভারতকে। অনেক ক্ষেত্রে আবার বাংলাদেশিরা তাদের দেশের নাগরিকদের ফেরত নিতেও অস্বীকার করত। তার ফলে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভিড় বাড়তে থাকে অবৈধ মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের। তারা এদেশে যে কেবল রোজগারের ধান্ধায় আসত, তা নয়, নানা অসামাজিক কাজকর্মেও জড়িয়ে পড়ত। কেউ কেউ তো আবার জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল হিসেবেও কাজ করত! যেহেতু বাংলাদেশ তাদের নাগরিকদের ফেরাতে অস্বীকার করত, তাই ভারত এবার ঢাকঢোল না পিটিয়েই শুরু করে ‘অপারেশন পুশব্যাক’। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ বারবার এই অনুপ্রবেশকারীদের তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং ফেরত নিতে চায়নি।” তিনি বলেন, “এটি অত্যন্ত হতাশাজনক (Deportation)।”

    তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্যকে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী পাকিস্তানি ও বাংলাদেশিদের শনাক্ত করতে ও তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় (Illegal Bangladeshi Muslims)। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশ পেয়ে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে বিভিন্ন রাজ্য সরকার। অসম, গুজরাট, দিল্লি, হরিয়ানা, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে গ্রেফতার করা হয় বহু বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীকে। তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে অভ্যস্ত কয়েকটি রাজ্যে আবার অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ধরতে গা ছাড়া ভাবও দেখা গিয়েছে।

    দুর্গম ও অনাবাদী এলাকা দিয়ে পুশব্যাক

    ধৃত এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত ‘অপারেশন পুশব্যাক’ চালু করে। এর পরেই বিএসএফের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় সীমান্তের এমন কিছু অংশ চিহ্নিত করতে, যেখান দিয়ে এই পুশব্যাক নির্বিঘ্নে চালানো যাবে। নির্দেশ পেয়েই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে বিএসএফ। তারা বেছে নেয় ভারতের সীমান্তবর্তী কিছু দুর্গম ও অনাবাদী এলাকা যেখানে বিজিবি নিয়মিত টহল দেয় না। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই তালিকা ছোট করে কিছু নির্বাচিত অংশে এই পুশব্যাক অভিযান অনুমোদন করে। এর মধ্যে রয়েছে অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু সীমান্ত অঞ্চল, যার মধ্যে সুন্দরবনও রয়েছে।

    বাংলাদেশি মুসলমানকে ফেরত

    জানা গিয়েছে, গত ৬ মে ত্রিপুরা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৬৬ জন বাংলাদেশি মুসলমানকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলায় ফেরত পাঠানো হয়েছে (Illegal Bangladeshi Muslims)। বাংলাদেশি সূত্র অনুযায়ী, ১৫ জনকে মাতিরাঙ্গার তাইডং সীমান্ত দিয়ে, ২৭ জনকে গোমতীর শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে এবং ২৪ জনকে পানছড়ির রূপসেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই সব এলাকাই খাগড়াছড়ি জেলার। সেদিন যাদের ফেরত পাঠানো হয়, তাদের অনেকেই গুজরাটে গ্রেফতার হয়েছিল। তাদের বিমানপথে ত্রিপুরায় এনে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে ফেরত পাঠানো হয় বাংলাদেশে। ওই ৬৬ জনকে বিজিবি হেফাজতে নেয় এবং তাদের পরিচয় যাচাই করে নিশ্চিত হয় যে তারা বাংলাদেশি নাগরিক (Deportation)।

    বিজিবি তাদের পরিচয় যাচাই করে

    এর ঠিক পরের দিনই বিজিবি ফের শনাক্ত করে ১৫ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে। তাদের পাঠানো হয় সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে। বিজিবি তাদের পরিচয় যাচাই করে জানতে পারে যে তারা বাংলাদেশের নড়াইল ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ১৫ জনের এই দলটি গত কয়েক বছর ধরে অসমে অবৈধভাবে বসবাস করছিল। ভারতীয় নাগরিকত্বের নথিও সংগ্রহ করে ফেলেছিল। দু’সপ্তাহ আগে অসম পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে এবং তাদের বাড়িঘর ভেঙে দেয়। বিজিবি যে এই ১৫ জনকে হেফাজতে নিয়েছিল, তারা প্রায় ৩০০ জনের দলের একটা অংশ। এরপর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন অংশ দিয়ে বিপুল সংখ্যক অনুপ্রবেশকারী মুসলমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

    নাটকীয় ঘটনা

    ‘অপারেশন পুশব্যাকে’র নাটকীয় ঘটনাটি ঘটে ৯ মে ভোরে। সেদিন ৭৮ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে নৌকায় করে নিয়ে গিয়ে রেখে আসা হয় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের একটি দুর্গম দ্বীপ মন্দরবারিয়ায়। পরে বাংলাদেশের কোস্ট গার্ড তাদের হেফাজতে নেয় এবং পুলিশকে হস্তান্তর করে। যাচাই করে দেখা যায়, তারা সত্যিই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল (Illegal Bangladeshi Muslims)। মন্দরবারিয়া দ্বীপে নিয়ে যাওয়া অনুপ্রবেশকারীদের কাউকে কাউকে গুজরাট ও দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা জাল ভারতীয় নথিপত্র সংগ্রহ করেছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভারতীয় মহিলাদের বিয়ে করেছিল, তাদের সন্তানও রয়েছে (Deportation)।

    মোদির বার্তা

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্রের খবর, এই পুশব্যাক চালিয়ে যাওয়া হবে। কোনও দেশই বিপুল সংখ্যক বিদেশি, যারা অবৈধভাবে প্রবেশ করে বসবাস করছে, তাদের উপস্থিতি মেনে নিতে পারে না। যদি তাদের স্বদেশ তাদের নিজের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকার করে এবং তাদের ফেরত নিতে না চায়, তাহলে অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এ প্রসঙ্গে ওই সূত্র এপ্রিলের শুরুতে ব্যাঙ্ককে বিমস্টেকে শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের কথোপকথনের টানেন। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউনূসকে স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লঙ্ঘনযোগ্য নয়। ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে সংঘটিত অপরাধ ও অনুপ্রবেশ সহ্য করবে না এবং এসব মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ করবে। অপারেশন পুশব্যাক অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও সীমান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতির প্রকাশ।”

    ঢাকাকে স্পষ্ট বার্তা দিল্লির

    বাংলাদেশের সন্দেহ ভারত গত এক (Deportation) সপ্তাহে কয়েক হাজার মানুষকে চুপিসারে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে এবং তারা সকলেই নিজেদের পুরনো গ্রামে ফিরে গিয়েছে (Illegal Bangladeshi Muslims)। ভারতের অপারেশন পুশব্যাক নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও, রাগে গরগর করছে বিজিবি। বাহিনীর ডিজি মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকির দাবি, ভারত যা করছে, তা অমানবিক। সীমান্তে নজরদারি বাড়ালেও, বিজিবি প্রধান স্বীকার করে নিয়েছেন, একে আটকানো সম্ভব নয়। একইসঙ্গে তিনি এও জানান যে, ভারত যেহেতু রাষ্ট্রসংঘের ১৯৫১ বা ১৯৬৭ সালের রেফিউজি কনভেনশনের স্বাক্ষর করেনি, তাই তা ভারতের ওপর কার্যকর হবে না। ফলে, বাংলাদেশ যদি রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও, তাতে লাভের লাভ কিছু হবে না। ঢাকার দাবি, তারা ভারতের বিদেশমন্ত্রককে চিঠি দিয়ে বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও, ভারত কোনও প্রকার চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। কেন্দ্রীয় সূত্রের মতে, ঢাকাকে স্পষ্ট করে দিল্লি জানিয়ে দিয়েছে যে, অপারেশন পুশব্যাক চলবে।

LinkedIn
Share