Tag: Madhyom

Madhyom

  • India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বরাজনীতির অঙ্ক বড় জটিল! এক সময় যে দেশ শত্রু ছিল, সেই দেশই পরে কোনও একটি দেশের বন্ধু হতে পারে। আবার বন্ধুও নিজের স্বার্থে পরিণত হতে পারে শত্রুতে। এই যেমন চিন ও ভারতের সম্পর্ক (India China Ties)। গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনা সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছিল তলানিতে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কের (Mansarovar Yatra) বরফ ক্রমশ গলতে শুরু করে। এর সর্বশেষ পদক্ষেপ হল, ভারত ও চিন সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ফের শুরু করতে যাচ্ছে সরাসরি বিমান পরিষেবা। এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে অগাস্টের শেষে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন চিনে।

    ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান (India China Ties)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা যায়, আগামী মাসের মধ্যেই যাতে ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান ফের চালু করা যায়, তার চেষ্টা চলছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভারত সরকার এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর মতো বিমানসংস্থাগুলিকে অল্প সময়ের নোটিশে চিনে বিমান চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে। একই খবর জানিয়েছে ব্লুমবার্গও। তারা জানিয়েছে, এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে অগাস্টের শেষে এসসিও সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন সফরের সময়। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যাত্রীবাহি ফ্লাইটগুলি কোভিড-১৯ অতিমারির পর স্থগিত রাখা হয়েছিল। যার ফলে ভারত থেকে চিনগামী যাত্রীদের ভায়া হংকং বা সিঙ্গাপুর হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। এই বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার আগে ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো-সহ চিনের এয়ার চায়না, চায়না সাউদার্ন এবং চায়না ইস্টার্নের মতো বিমান সংস্থাগুলি উভয় দেশের প্রধান শহরগুলির মধ্যে পরিষেবা দিত (India China Ties)।

    এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল আগেও

    উল্লেখ্য যে, এটি ভারত ও চিনের সরাসরি ফের বিমান চালুর প্রথম প্রচেষ্টা নয়। এরকম উদ্যোগ জানুয়ারি এবং জুন মাসেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণে তা থমকে গিয়েছিল। প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে ফের উড়ান চলাচল শুরু হওয়া এই ইঙ্গিতও দেয় যে, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফের ছন্দে ফিরছে ভারত ও চিনের সম্পর্ক। ২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো ভারতীয় ডিজেলের একটি চালানও চিনের পথে পাড়ি দিয়েছে (Mansarovar Yatra)। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নয়রার ভাদিনার টার্মিনাল থেকে প্রায় ৪,৯৬,০০০ ব্যারেল অতিনিম্ন সালফারযুক্ত ডিজেল বহনকারী একটি জাহাজ যাত্রা শুরু করেছে চিনের উদ্দেশে (India China Ties)।

    চিনে যাচ্ছেন মোদি

    চলতি মাসের শুরুর দিকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এই সফর হবে গত সাত বছরে মোদির প্রথম চিন সফর। এর মাধ্যমে ১০ মাস আগে রাশিয়ায় মুখোমুখি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তাঁর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি হতে চলেছে। কিন্তু শুধু এটুকুই সব নয়। যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন যে রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, তখন চিন প্রকাশ্যে নয়াদিল্লির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছিল, “ভারতের সার্বভৌমত্ব কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয় এবং এর বিদেশনীতির সিদ্ধান্ত অন্য কোনও দেশের দ্বারা প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না, তা সে যতই সেই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন।”

    অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে

    ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র একটি ছবিও এই বার্তার সঙ্গে যুক্ত করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি হাতি, যা ভারতের প্রতীক এবং একটি বেসবল ব্যাট, যা মার্কিন শুল্কের প্রতীক (Mansarovar Yatra)। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গত পাঁচ বছরের বিরতির পর ভারত ২৪শে জুলাই থেকে চিনা নাগরিকদের জন্য ফের পর্যটন ভিসা ইস্যু করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ফের চালু হয়েছে ভারত ও চিন কৈলাশ মানসসরোবর যাত্রাও (India China Ties)। দুই দেশের এই কূটনৈতিক উষ্ণতা অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারত-চিনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি কতদূর যাবে, সেটি আমাদের অপেক্ষা করে দেখতে হবে।”

    তবে এই সব কিছুই ঘটেছে গত বছরের অক্টোবরে ভারত ও চিন টহল ব্যবস্থা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে এক চুক্তিতে পৌঁছনোর পর। দুই দেশ একটি সীমান্ত (Mansarovar Yatra) পরিকল্পনায় একমত হয়েছিল যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে টহল দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে, এবং ভারতীয় রাখালরা আবারও পশুচারণ শুরু করতে পেরেছে (India China Ties)।

  • PM Modi in UNGA: ‘শুল্কযুদ্ধ’র আবহেই সেপ্টেম্বরে মার্কিন সফরে প্রধানমন্ত্রী! রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য করতে পারেন মোদি

    PM Modi in UNGA: ‘শুল্কযুদ্ধ’র আবহেই সেপ্টেম্বরে মার্কিন সফরে প্রধানমন্ত্রী! রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য করতে পারেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মার্কিন শুল্ক দ্বন্দ্বের (India-US Relations) আবহেই আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in UNGA)। সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা যাচ্ছেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনে বক্তা হিসেবে নাম রয়েছে তাঁর। এই বৈঠকে থাকবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদির এই সফর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি।

    মার্কিন সফরে যাবেন মোদি!

    সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে নিউ ইয়র্কে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। সেই বৈঠকেই যোগ দিতেই আমেরিকায় যাওয়ার কথা মোদির। তবে এ ব্যাপারে ভারত সরকারের তরফে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি। প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে মোদির মার্কিন সফর নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই নানা মহলে আলোচনা চলছিল। এমনকি, গত গত ১১ অগাস্ট রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা হয় মোদির। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যে কথা হয়েছে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন জেলেনস্কি। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকের ফাঁকে নিউ ইয়র্কে দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে আলাদা করে দেখা করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

    ট্রাম্পকে কি এড়াবেন মোদি?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি আমেরিকায় (India-US Relations) গেলে তাঁর সঙ্গে কথা হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। মোদি এবং ট্রাম্প সেখানে মুখোমুখি বসলে, গত সাত মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বৈঠকে বসবেন তাঁরা। এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তাঁরা। জি৭ বৈঠকে যোগ দিতে মোদি যখন কানাডায়, সেই সময়ই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সময় আমেরিকায় ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির, যাঁকে হোয়াইট হাউসে আপ্যায়ন করেন ট্রাম্প। সেই কারণেই সেবার ট্রাম্পের সঙ্গে মোদি দেখা করেননি বলে জানা যায়।

    আপস করবে না ভারত

    দ্বিতীয় বার আমেরিকার মসনদে ফেরার পর থেকেই শুল্ক নিয়ে কড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন ট্রাম্প। ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক বার ক্ষোভ উগরে দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতকে প্রকাশ্য়ে ভর্ৎসনা করেন তিনি। আর তার পরই দু’দফায় ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেন তিনি। এরপরই মোদি ও ট্রাম্পের ব্যাক্তিগত সম্পর্কেও ছেদ পড়ে। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান, দেশের স্বার্থে ব্যক্তিগত ভাবে মাশুল দিতেও প্রস্তুত তিনি। তাই মুখোমুখি সাক্ষাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন অনেকে।

    কবে ভাষণ দিতে পারেন মোদি

    উল্লেখ্য, ইউএনজিএ-র (United Nations General Assembly) ৮০তম অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। উচ্চপর্যায়ের সাধারণ আলোচনা চলবে ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, অধিবেশনের প্রথম বক্তা থাকবে ব্রাজিল, এরপর আমেরিকা। ২৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump) তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। বক্তাদের প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী, ভারতের ‘সরকারের প্রধান’ (Head of Government) ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। একইদিনে ইজরায়েল, চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ‘সরকারের প্রধান’রাও সাধারণ আলোচনা অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন। তবে এখনও স্পষ্ট নয়, নরেন্দ্র মোদি এই সভায় যোগ দিতে যাচ্ছেন কি না।

    ভারত নিজের জায়গায় স্পষ্ট, মিলবে কি রফাসূত্র?

    এ বছরের অধিবেশন শুরু হচ্ছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ এবং ইউক্রেন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, দ্বিতীয় মেয়াদের ছয় মাসে তিনি একাধিক যুদ্ধ মিটিয়ে দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান, কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড, ইজরায়েল-ইরান, রুয়ান্ডা-কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মিশর-ইথিওপিয়া এবং সার্বিয়া-কসোভোর মধ্যে শান্তিচুক্তি। এছাড়াও, মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামানোর কৃতিত্বও বারবার নিজের বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও ট্রাম্পের সেই দাবিও অস্বীকার করছে ভারত। দুই দেশের সম্পর্কের টানাপড়েন মধ্যে মোদি যদি আমেরিকায় যান এবং ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত অনেকের। ওই বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসতে পারে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, শুল্ক, বাণিজ্যচুক্তির প্রসঙ্গ। মিলতে পারে কোনও এক রফাসূত্রও! শুধু তা-ই নয়, ১৫ অগাস্ট (শুক্রবার) আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকও নজরে রয়েছে ভারতের।

  • Donald Trump: দুবার মার্কিন সফর মুনিরের! হঠাৎ পাক-প্রেমে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    Donald Trump: দুবার মার্কিন সফর মুনিরের! হঠাৎ পাক-প্রেমে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে পাকিস্তানের গলাগলির সম্পর্ক ক্রমশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে নয়াদিল্লির। ক্রিপ্টো অংশীদারিত্ব ও তেল সরবরাহ থেকে শুরু করে বিরল খনিজ সহযোগিতা-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপে এটা স্পষ্ট। এই পরিবর্তনটা এসেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক-সমর্থিত জঙ্গি হামলার জবাবে নয়াদিল্লির অপারেশন সিঁদুরের পর (Pakistan)।

    ট্রাম্পের দাবি (Donald Trump)

    ট্রাম্প স্বয়ং বারবার নিজেকে কৃতিত্ব দিয়েছেন দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য সংঘাত প্রশমিত করার জন্য। তিনি পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন। সমর্থন করেন পাকিস্তানের বাণিজ্য চুক্তিকেও। এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান অপরিশোধিত তেল আমদানি করবে। পাকিস্তান তার কূটনীতিকে সাধুবাদ জানালেও, ভারতের সমালোচকরা এর নেপথ্যে দেখছে কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্যোগ ও খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার থেকে শুরু করে চিনা প্রভাব মোকাবিলা করা পর্যন্ত সব। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, মার্কিন দেশের এই উৎসাহ তেলের চেয়েও বেশি বিরল খনিজ পাওয়ার প্রবেশাধিকারের বিষয়ে, যা মার্কিন অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবুও, এই সময় পাকিস্তানের জেনারেলদের প্রতি প্রকাশ্য প্রশংসা এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এই দুয়ে মিলে ইঙ্গিত দেয় যে ট্রাম্পের নীতিগত পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ।

    পাকিস্তান পেতে চলেছে অপরিশোধিত তেলের চালান

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তান এ বছরের শেষের দিকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের প্রথম অপরিশোধিত তেলের চালান পেতে চলেছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামাবাদের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করার পর, এই প্রথম হবে অপরিশোধিত তেলের ব্যবসা (Pakistan)। ইসলামাবাদকে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি, ওয়াশিংটন পাকিস্তানকে বৃহৎ তেল মজুদ উন্নয়নে সাহায্য করবে। আমেরিকা ও পাকিস্তানের এই চুক্তি একাধিক দফা আলোচনার ফল। এই আলোচনা শুরু হয়েছিল এপ্রিলে, যখন ট্রাম্প পাকিস্তানি আমদানির ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন। চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রিফাইনারি, সিনার্জিকো, আমেরিকান অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য ভিটল কোম্পানির সঙ্গে এক মিলিয়ন ব্যারেলের চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এটি পাকিস্তানের প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনার ঘটনা। ভাইস চেয়ারম্যান উসামা কুরেশি দুই দেশের এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তেল পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় আমদানি পণ্য, যার মূল্য ১১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Donald Trump)।

    ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রিপ্টো চুক্তি

    গত এপ্রিলে ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সময় পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন (ডি-ফাই) প্ল্যাটফর্ম, যার ৬০ শতাংশ মালিকানাই ট্রাম্পের পরিবারের। এই প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর লক্ষ্য হল দেশের ব্লকচেইন প্রযুক্তির উন্নয়ন। উল্লেখ্য যে, এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে যেদিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করেছিল ২৬ জন পর্যটককে, তার মাত্র পাঁচ দিন পরেই (Pakistan)। দ্য ডন  নামের সংবাদপত্র জানিয়েছে, ওয়ার্ল্ড লিবার্টির একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। সেখানে তারা পাকিস্তান জুড়ে ব্লকচেইন উদ্ভাবন, স্টেবলকয়েন গ্রহণ এবং বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন একীকরণকে ত্বরান্বিত করতে ইন্টেন্ট লেটারে স্বাক্ষর করেছে। ডিটি মার্কস ডি-ফাই এলএলসি যুক্ত ট্রাম্প (Donald Trump) পরিবারের সঙ্গে। এটি ওয়ার্ল্ড লিবার্টির মূল প্রতিষ্ঠানের ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক এবং নির্দিষ্ট ক্রিপ্টো রাজস্বের ৭৫ শতাংশ পাওয়ার দাবি করে। উল্লেখ্য যে, ট্রাম্প আছেন ‘চিফ ক্রিপ্টো অ্যাডভোকেট’ পদে, এরিক ও ডোনাল্ড জুনিয়র ‘ওয়েব৩ অ্যাম্বাসাডর’ এবং ব্যারন ট্রাম্প ‘ডি-ফাই ভিশনারি’ হিসেবে যুক্ত এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

    আমেরিকার সঙ্গে দোস্তি

    আমেরিকার সঙ্গে দোস্তি বজায় রাখতে ইসলামাবাদ ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। পাকিস্তানের বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে তাঁর সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের কৃতিত্বের জন্যই এই পুরস্কার পাওয়া উচিত। আর ট্রাম্প স্বয়ং দাবি করেছেন, “আমার তো চার-পাঁচবার এটা পাওয়া উচিত ছিল। তারা আমাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবে না। কারণ তারা কেবল এটা উদারপন্থীদেরই দেয়।” পহেলগাঁও হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে তাঁর ভূমিকার দাবি প্রথম থেকেই প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। ট্রাম্প বলেছিলেন, “হ্যাঁ, আমিই যুদ্ধ থামিয়েছি। আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। আমি মনে করি মোদি একজন অসাধারণ মানুষ। তবে আমিই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছি (Pakistan)।” ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিছু মার্কিন আধিকারিক আবার পাকিস্তানের অনাবিষ্কৃত বিরল খনিজ ভাণ্ডারের দিকে শ্যেন দৃষ্টি দিচ্ছেন, যা ইলেকট্রনিকস ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন এই খনিজের প্রধান সরবরাহকারী। সেই চিনের সঙ্গে বেড়ে চলা উত্তেজনার জেরে ওয়াশিংটনের আগ্রহ বেড়েছে বিকল্প উৎসের প্রতি। মার্কিন আধিকারিকরা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান মিনারেলস ইনভেস্টমেন্ট ফোরামেও অংশ নিয়েছিলেন বলে খবর (Donald Trump)।

    পরিবহণ নেটওয়ার্ক নির্মাণে চিনের ভূমিকা

    চিন ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলকে দক্ষিণের গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করে ২ হাজার মাইল দীর্ঘ পরিবহণ নেটওয়ার্ক নির্মাণ করছে। তবে বালুচিস্তানে স্বাধীনতাকামীদের বিদ্রোহ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় তালিবানদের তৎপরতা এসব প্রকল্পকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সম্প্রতি বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা খনির ট্রাকে হামলা চালিয়ে সতর্ক করেছে যে, যে কেউ বালুচ জাতীয় সম্পদ লুটে জড়িত থাকবে, তাদেরই টার্গেট করা হবে। এদিকে, সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA) এবং এর সশস্ত্র শাখা সংগঠন মাজিদ ব্রিগেডকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণাটি ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। তার আগে অবশ্য সমস্ত রীতি ভেঙে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজ সারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিছু মার্কিন আধিকারিক পাকিস্তানের অপ্রচলিত রেয়ার আর্থ খনিজ ভান্ডারের দিকে নজর দিচ্ছেন, যা ইলেকট্রনিক্স ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Donald Trump)।

    মুনিরের আমেরিকা সফর

    এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের এক প্যানেলের সাক্ষ্যে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে এক অসাধারণ অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, তারা মার্কিন স্বার্থে হামলা চালানো জঙ্গিদের প্রত্যর্পণে সদিচ্ছা দেখিয়েছে। কুরিলা ভূয়সী প্রশংসা করেন পাক সেনাপ্রধান মুনিরের, যিনি ২০২১ সালের কাবুল বিমানবন্দর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মোহাম্মদ শরিফুল্লাহকে গ্রেফতার করে প্রত্যর্পণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওই হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল (Pakistan)। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের জন্য মুনির আমেরিকা সফর করেন। কিন্তু মুনিরের এই সফর পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র দমন করার অভিযোগ এনেছেন। ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা মুনিরকে “স্বৈরাচারী” ও “প্রতারক” আখ্যা দেন (Donald Trump)।

    সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলেছে। সমালোচকদের মতে, অসামরিক নেতৃত্বকে উপেক্ষা করে আমেরিকার সরাসরি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব আরও শক্তিশালী করছে (Pakistan)।

  • Central Government: পরিবেশ বান্ধব ও চাষীদের লাভ, পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানোর ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্র

    Central Government: পরিবেশ বান্ধব ও চাষীদের লাভ, পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানোর ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানো নিয়ে সমাজমাধ্যমে ক্রমশই সমালোচনা করছেন এক শ্রেণির মানুষ। এই আবহে মঙ্গলবারই, এ নিয়ে একটি নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। সেখানে ইথানল মেশানোর পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সুবিধাগুলি তুলে ধরা হয়েছে (Central Government)। নীতি আয়োগের সাম্প্রতিক একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, পেট্রলের তুলনায় আখ থেকে তৈরি ইথানল থেকে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন হয় ৬৫ শতাংশ কম। অন্যদিকে, ভুট্টা থেকে তৈরি ইথানল ব্যবহার করলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম হয়।

    ইথানল মেশানোর ফলে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে

    এটা যেমন একটি পরিবেশগত সুবিধা, তেমনই এর বাইরে গ্রামীণ জীবিকাকেও মজবুত করেছে। কারণ, ইথানল মূলত আখ ও ভুট্টার মতো কৃষিপণ্য থেকে উৎপন্ন হয়, যা দেশের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে কৃষিপ্রধান অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। ইথানল উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল সরবরাহের কাজে কৃষকরা সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন। ফলে তাঁরা অতিরিক্ত আয়ও করছেন। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের মতো এলাকাগুলিতে, যেখানে অতীতে কৃষকের আত্মহত্যার হার উদ্বেগজনক ছিল, সেখানে ইথানল-ভিত্তিক কৃষি-অর্থনীতি একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আরও জানিয়েছে, ২০১৪-১৫ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত ইথানল মেশানোর ফলে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে (Ethanol Blending)।

    কমেছে কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন

    এর পাশাপাশি, কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনও অনেকটা কমেছে, যা প্রায় ৩০ কোটি গাছ লাগানোর সমতুল্য (Central Government)। চলতি বছরে ইথানল মেশানোর কারণে কৃষকরা প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং এতে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। এক্ষেত্রে বলা দরকার (Ethanol Blending), ইথানল বর্তমানে পরিশোধিত পেট্রলের চেয়ে ব্যয়বহুল—২০২৪-২৫ সালেও গড়ে প্রতি লিটার ৭১.৩২ টাকা।

  • OCI Card Holders: ওভারসিজ নাগরিকদের জন্য কড়া নিয়ম, দুবছর বা তার বেশি সাজা হলে বাতিল কার্ড, জানাল কেন্দ্র

    OCI Card Holders: ওভারসিজ নাগরিকদের জন্য কড়া নিয়ম, দুবছর বা তার বেশি সাজা হলে বাতিল কার্ড, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া (OCI) রেজিস্ট্রেশনের জন্য নতুন নিয়ম-কানুন জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই নির্দেশিকায় (OCI Card Holders) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে কঠোর নিয়ম। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হন এবং সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁর ওসিআই রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যেতে পারে।

    ১২ অগাস্ট জারি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা, কী বলা হল তাতে? (OCI Card Holders)

    এই নতুন নির্দেশ ১২ অগাস্ট জারি হয়েছে এবং এটি সমস্ত বিদ্যমান ওসিআই কার্ডধারীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও ওসিআই কার্ডধারীকে দুই বছর বা তার বেশি মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়, অথবা যদি তাঁর নাম এমন চার্জশিটে উল্লেখ থাকে যেখানকার সাজা সাত বছর বা তার বেশি, তাহলে তাঁর কার্ড বাতিল করা যেতে পারে (OCI Card Holders)।

    ওসিআই স্কিম চালু হয়েছিল ২০০৫ সালে (MHA)

    ওসিআই স্কিম চালু হয়েছিল ২০০৫ সালে। এই স্কিমের আওতায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের ভারতে যাতায়াতের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, যেটির জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন পড়ে না। ওসিআই কার্ডধারীরা ভারতে কিছু নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক, শিক্ষামূলক এবং আবাসন সংক্রান্ত সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে তাঁদের কোনও রাজনৈতিক অধিকার থাকে না—যেমন ভোট দেওয়া, সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত হওয়া ইত্যাদি।

    ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন মোতাবেক নেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই নতুন পদক্ষেপ মূলত ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ধারা অনুযায়ী গৃহীত হয়েছে। ওই আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনও ওসিআই কার্ডধারী ব্যক্তি দুই বছরের বা তার অধিক মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত হন, অথবা এমন কোনও অপরাধে অভিযুক্ত হন যার সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর বা তার বেশি, তাহলে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যেতে পারে। এই শাস্তি ভারতে হোক বা বিদেশে—উভয় ক্ষেত্রেই নির্দেশ কার্যকর হবে। সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ওসিআই কার্ডধারীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে—যেমন অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকা, অথবা দেশদ্রোহমূলক কাজ। সেই কারণেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করা হচ্ছে (OCI Card Holders)।

  • Jessica Radcliffe Orca Attack: জেসিকা র‍্যাডক্লিফকে ঘিরে গুজব! টিকটকে ভাইরাল ‘অরকা হামলার’ ভিডিও-র সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন

    Jessica Radcliffe Orca Attack: জেসিকা র‍্যাডক্লিফকে ঘিরে গুজব! টিকটকে ভাইরাল ‘অরকা হামলার’ ভিডিও-র সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয় জেসিকা র‍্যাডক্লিফ (Jessica Radcliffe Orca Attack) নামে এক ২৩ বছর বয়সি মেরিন ট্রেনার ঘাতক তিমির (killer whale) আক্রমণে নিহত হয়েছেন। ভিডিওতে দাবি করা হয়, পারফরম্যান্স চলাকালীন ওই দাঁতাল তিমি বা অরকা তাঁকে আক্রমণ করে। তাঁকে কোনওরকমে উদ্ধার করা হলেও ১০ মিনিটের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ভিডিওটি মূলত টিকটক এবং ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, জেসিকা নামে কোনও মেরিন ট্রেইনারের অস্তিত্বই নেই। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও এই খবর অস্বীকার করেছে। ভিডিওটি এআই প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি বলেও মনে করেন অনেকে।

    পুরনো অরকা আক্রমণের ঘটনা

    এই গুজব (Jessica Radcliffe Orca Attack) ছড়ানোর পেছনে বাস্তব কিছু ঘটনাকে ব্যবহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে, টিলিকাম নামে একটি অরকা সি-ওয়ার্ল্ড, অরল্যান্ডোতে পারফরম্যান্স চলাকালীন ডন ব্রাঞ্চো নামে এক অভিজ্ঞ ট্রেইনারকে হত্যা করে। এই ঘটনা নিয়ে ২০১৩ সালে তৈরি হয় বিখ্যাত তথ্যচিত্র ব্ল্যাকফিশ। ২০০৯ সালে, স্পেনের এক ট্রেইনার আলেক্সিস মার্টিনেজ প্রশিক্ষণ চলাকালীন কেটো নামের এক অরকার আঘাতে নিহত হন। ১৯৯১ সালে, কানাডার এক ব্যক্তিকে তিনটি তিমি একসঙ্গে জলে টেনে নিয়ে যায়। এইসব সত্য ঘটনার রেফারেন্স দিয়ে ভাইরাল ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে, বলেই মনে করা হচ্ছে।

    অরকা কি মানুষের জন্য বিপজ্জনক

    অরকা বা “কিলার হোয়েল” বা ঘাতক তিমি (Jessica Radcliffe Orca Attack) মূলত অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তারা একসঙ্গে দু-তিনজন করে থাকে। এরা সাধারণত সামুদ্রিক শিকারি। যদিও বন্য অরকা দ্বারা মানুষের উপর হামলার ঘটনা খুবই বিরল, কিন্তু বদ্ধ অবস্থায় রাখা অরকাদের দ্বারা কিছু মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর প্রমাণ মেলে। ভারতের পশ্চিম উপকূল এবং আন্দামান সাগরে মাঝে মাঝেই অরকা দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় সমুদ্রসীমায় অরকার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে জেসিকার যে ভিডিওটি সমাজ-মাধ্যমে ভাইরাল, তা ভুয়ো বলেই দাবি করছে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা।

  • RBI: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারতীয় রুপির ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের

    RBI: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভারতীয় রুপির ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে চাইছে ভারত (RBI)। তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারতীয় রুপির (Rupee) ব্যবহার বাড়ানোর কথা ঘোষণা করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এর ফলে বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির জন্য বিশেষ রুপি ভস্ত্রো অ্যাকাউন্ট (Special Rupee Vostro Accounts সংক্ষেপে  SRVA) খোলার প্রক্রিয়া সহজ হয়। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে বিদেশি ব্যাঙ্কগুলি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য রুপিতে অর্থ জমা ও ব্যবহার করতে পারে। ফলে ভারতীয় রফতানিকারী এবং আমদানিকারীদের ডলার বা ইউরোর মতো তৃতীয় পক্ষের কোনও মুদ্রার প্রয়োজন হয় না।

    নয়া নিয়ম (RBI)

    নয়া নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলার ক্যাটাগরি-১-এ অন্তর্ভুক্ত ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের বিদেশি অংশীদার ব্যাঙ্কের জন্য এসআরভিএ খোলার আগে আর আরবিআইয়ের আগাম অনুমতি নিতে হবে না। আগে প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদাভাবে আরবিআইয়ের অনুমোদন নিতে হত। এতে সব কাজে দেরি হত। এই পরিবর্তনের ফলে প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও সহজ হবে। বিদেশি ব্যাঙ্কের জন্য এই রুপি অ্যাকাউন্ট দ্রুত খোলার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আরবিআইয়ের আশা, বাণিজ্য নিষ্পত্তির গতি বাড়বে, ভারতের বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেম শক্তিশালী হবে এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনে রুপিকে একটি নির্ভরযোগ্য মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সরকারের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।

    আববিআইয়ের সার্কুলার

    এই পদক্ষেপটি সার্কুলার নং আরবিআই/২০২৫-২৬/৭১ এর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় এবং আরবিআইয়ের চিফ জেনারেল ম্যানেজার এন সেন্টিল কুমার স্বাক্ষর করেন। এটি বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন (FEMA), ১৯৯৯-এর ১০(৪) ও ১১(১) ধারা অনুসারে গৃহীত হয়েছে। এটি পূর্ববর্তী ব্যবস্থার থেকে ভিন্ন, যেখানে প্রতিটি এসআরভিএ খোলার জন্য শীর্ষ ব্যাঙ্কের পৃথক অনুমোদন প্রয়োজন হত। বর্তমান বিশ্বে স্থানীয় মুদ্রা চাপের মধ্যে রয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ১ মার্কিন ডলারের মূল্যমান ৮৬.৭০ রুপিতে পৌঁছেছে। বিদেশি মুদ্রার অস্থিরতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক পথজুড়ে নিষেধাজ্ঞার চলমান প্রভাব, এবং পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক দেশের অর্থনীতিকে তাদের লেনদেন নিষ্পত্তির বিকল্প বৈচিত্র্যময় করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ভারত ইতিমধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং মলদ্বীপের সঙ্গে মউ (MoU) স্বাক্ষর করেছে, যা স্থানীয় মুদ্রায়, বিশেষত রুপিতে লেনদেনকে (Rupee) সক্ষম করবে।

    ভারতীয় রুপির কাঠামো

    ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই পদক্ষেপ জুলাই ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষ্পত্তির জন্য ভারতীয় রুপির কাঠামোর একটি বিস্তৃত পর্যালোচনার পর এসেছে। ওই কাঠামোর অধীনে ভারতীয় রফতানিকারী ও আমদানিকারীদের জন্য বিশেষ ভোস্ট্রো রুপি অ্যাকাউন্ট চালু করা হয়েছিল, যাতে তাঁরা তৃতীয় দেশের মুদ্রা, যেমন ডলার বা ইউরো ব্যবহার না করেই রুপিতে পণ্য বিল, অর্থপ্রদান এবং বাণিজ্যিক লভ্যাংশ পেতে পারেন (RBI)। নয়া ব্যবস্থায় এসআরভিএর জন্য আরবিআইয়ের আগাম অনুমতির প্রয়োজন নেই। এডি ক্যাটেগরি-১ ব্যাঙ্কগুলি এখন তাদের সম্পর্ক থাকা বিদেশি সমতুল্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে সরাসরি এসআরভিএ খুলতে পারবে, আরবিআইয়ের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হবে না। এই পরিবর্তন সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হবে এবং ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের সদস্য ও গ্রাহকদের এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। প্রক্রিয়াগত বাধা দূর হলেও ব্যাঙ্কগুলিকে এখনও বিদ্যমান ফেমা আইন, কেওয়াইসি নির্দেশিকা, অর্থপাচার প্রতিরোধ নীতি এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিধি মেনে চলতে হবে।

    সুবিধা পাবেন কারা

    ভারতের বাইরে বসবাসকারী ব্যক্তিরা এখন তাঁদের ভারতীয় রুপি অ্যাকাউন্ট, বিশেষ নন রেসিডেন্ট রুপি অ্যাকাউন্ট এবং এসআরভিএতে থাকা ব্যালেন্স ব্যবহার করে বিদেশে নন-ডেট (non-debt) উপকরণে, যেমন এফডিআইয়ে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ভারতীয় রফতানিকারীরা এখন বিদেশে বিদেশি মুদ্রায় মনোনীত (Rupee) অ্যাকাউন্ট খুলে রফতানি থেকে প্রাপ্ত আয় নিতে এবং সেই অর্থ ব্যবহার করে আমদানি করতে পারবেন (RBI)। প্রশ্ন হল, কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? প্রথমত এর কার্যকরী দক্ষতা। অনুমোদনের ধাপ বাতিল হওয়ায় বিদেশি অংশীদার ব্যাঙ্কের অনবোর্ডিং সময়সীমা কমবে। দ্রুত কার্যকরী প্রক্রিয়াকরণ মানে ব্যবসায়িক চুক্তি প্রক্রিয়াগত জটিলতা বা বিলম্ব ছাড়াই সম্পন্ন হবে। দ্বিতীয়ত, এটি রুপিকে একটি বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত নিষ্পত্তি মুদ্রা করার প্রচেষ্টার অংশ। তৃতীয়ত, ভারতীয় আমদানিকারী ও রফতানিকারীদের জন্য (RBI) রুপিতে বাণিজ্য করার সুযোগ ডলারের ওঠানামার ঝুঁকি দূর করে এবং এক্সচেঞ্জ খরচ কমায়। এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য সেই অংশীদারদের ক্ষেত্রে, যাদের নিজস্ব অঞ্চলে ডলার সংকট বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। চতুর্থত, ভারতীয় আমদানিকারী ও রফতানিকারীদের জন্য আইএনআরে বাণিজ্য করার সুযোগ ডলারের ওঠানামার ঝুঁকি দূর করে এবং এক্সচেঞ্জ খরচ কমায়।

    ডলার সংকটে সুফল দেবে

    এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য সেই অংশীদারদের ক্ষেত্রে, যাদের নিজস্ব অঞ্চলে ডলার সংকট বা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পঞ্চমত, আইএনআরে চালান করার ফলে বহু বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ধাপ বাদ যায়, যা কিছু অংশীদারের জন্য ভারতীয় পণ্য ও সেবাকে তুলনামূলকভাবে সস্তা (Rupee) করে তুলতে পারে। ষষ্ঠত, বর্তমানে ২০টিরও বেশি দেশে ৮০টির বেশি এসআরভিএ কার্যকর রয়েছে। এটি ডলার-ভিত্তিক ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটলেও ভারতের শক্তিশালী বাণিজ্য প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

  • Supreme Court On SIR: ‘নাগরিকত্ব প্রমাণে যথেষ্ট নয় আধার কার্ড’, এসআইআর মামলায় নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court On SIR: ‘নাগরিকত্ব প্রমাণে যথেষ্ট নয় আধার কার্ড’, এসআইআর মামলায় নির্বাচন কমিশনকে মান্যতা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কিংবা ভোটার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমাণের চূড়ান্ত নথি হতে পারে না। অন্যান্য নথির সাপেক্ষে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অবস্থানকে মান্যতা দিয়ে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিহারে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (Supreme Court On SIR) ইস্যুতে গোটা দেশ যখন তোলপাড়, সেই সময় কার্যত বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিল শীর্ষ আদালত। ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না শীর্ষ আদালত। জানিয়ে দিল, তালিকা ত্রুটিমুক্ত করাই ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের উদ্দেশ্য, এতে কমিশনের কোনও ভুল নেই।

    কমিশনকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের

    বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court On SIR) বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ভারতের নাগরিক হিসেবে আধার কার্ডকে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। আধার আইনের ৯ ধারা দেখলেই তা স্পষ্ট বোঝা যাবে। বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন করে লাখ লাখ নাম বাতিল করেছে। এই মর্মে বেশ কিছুদিন আগেই অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস, তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন এর আগেই আদালতে জানিয়েছিল, আধার কখনও স্থায়ী বাসিন্দার উপযুক্ত প্রমাণ হতে পারে না। তাই আধার কার্ড থাকলেই ভোটদানের অধিকার থাকতে পারে না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ কমিশনের সেই যুক্তিকেই সমর্থন করেছে। তারা পরিষ্কার জানিয়েছে, মূলত বিশ্বাসের অভাবে এসআইআর নিয়ে বিবাদের এই ইস্যুটি তৈরি হয়েছে। আর অন্য কিছু নয়। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি কিংবা বাতিলের অধিকার রয়েছে কমিশনের।

    কমিশনকে মান্যতা শীর্ষ আদালতের

    বিহারে কমিশনের এসআইআর (Supreme Court On SIR) প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একঝাঁক আবেদন পেশ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিন তার শুনানিতে কমিশন জানায়, বিহারের ভোটার সংখ্যা ৭.৯ কোটি। এর মধ্যে সাড়ে ছ’কোটি ভোটারকেই নিজেদের বা বাবা-মায়ের কোনও নথি পেশ করতে হয়নি।’ এর প্রেক্ষিতেই আবেদনকারী আরজেডি নেতা মনোজ ঝায়ের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে শীর্ষ আদালত জানায়, ৭.৯ কোটির মধ্যে যদি ৭.২৪ কোটি ভোটার এসআইআর প্রক্রিয়ায় সাড়া দিয়ে থাকেন, তাহলে এক কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়ার তত্ত্ব খাটে না।’ সিব্বলের যুক্তি, বাবা-মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য নথি সংগ্রহে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। বিচারপতি সূর্য কান্ত তখন বলেন, ‘বিহারে কারও নথি নেই, এটা সম্পূর্ণভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি। বিহারে এই অবস্থা হলে দেশের অন্যান্য অংশে কী ঘটবে?’ শুধুমাত্র আধার কার্ডের উপর ভিত্তি করে কমিশন ভোটার তালিকায় নাম তুলবে না, তার সঙ্গে আরও কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে। তার কারণ কমিশন জানিয়েছে, অনেক জায়গায় ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি হয়েছে।

    আধার পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক

    আবেদনকারীদের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল যুক্তি দেন যে, আধার, রেশন এবং সচিত্র পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও ভোট আধিকারিকরা সেগুলি কোনও প্রমাণ বলেই গ্রহণ করতে চাইছেন না। এর জবাবে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘এই নথিগুলি প্রমাণ করে যে আপনি ওই এলাকায় বাস করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে আধার বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক হিসাবে কাজ করতে পারে। কিন্তু বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। কোনও আবেদনকারী বা ভোটার আধার দেখিয়ে নিজেকে নাগরিক হিসাবে দাবি করতে পারেন না। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে যা বলেছে তা সঠিক।’

    বুধবার ফের শুনানি

    এসআইআর (Supreme Court On SIR) প্রক্রিয়া নিয়ে এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে আপত্তি জানান প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক সিংভি ও প্রশান্ত ভূষণ। সেই সঙ্গে মৃত, স্থানান্তর বা অন্য কেন্দ্রে নাম রেজিস্টার করা ৬৫ লক্ষ ভোটারের তথ্য সংক্রান্ত প্রশ্নও তোলেন। কমিশনের তালিকায় মৃত হিসেবে নাম থাকা ভোটারদের এদিন আদালতে হাজির করেন রাজনৈতিক অধিকারকর্মী যোগেন্দ্র যাদব। সিবাল যুক্তি দেন, একটি কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে, ১২ জনকে কমিশন মৃত হিসেবে ঘোষণা করলেও তাঁরা জীবিত। কমিশনের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, খসড়া তালিকায় এধরনের কিছু ভুলত্রুটি থাকবেই। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগে তা শুধরে নেওয়া যাবে। আজ, বুধবার ফের এই মামলার শুনানি।

  • Daily Horoscope 13 August 2025: সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 13 August 2025: সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম লাভ বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা।

    ২) আজ আপনাকে অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর আসতে পারে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা মিটে যেতে পারে।

    ২) অপরের উপকার করতে গেলে বিপদ হতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) বাতজ রোগে কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা।

    ২) কর্মস্থলে নিজের মতামত প্রকাশ না করাই ভাল হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    তুলা

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় রয়েছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    ৩) আশাহত।

    ধনু

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Demographic Reconstruction Research: পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন ১.০৪ কোটিরও বেশি অতিরিক্ত ভোটার, বলছে সমীক্ষা

    Demographic Reconstruction Research: পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন ১.০৪ কোটিরও বেশি অতিরিক্ত ভোটার, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গে যত ভোটার ছিলেন, এবার ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে তার চেয়েও ১.৪ কোটিরও বেশি ভোটারের। সাম্প্রতিক এক ডেমোগ্রাফিক রিকনস্ট্রাকশন রিসার্চেই উঠে এসেছে এই তথ্য। এটি মোট ভোটারের সংখ্যার তুলনায় ১৩.৬৯ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি। এই অতিরিক্ত নামগুলিকে জন্ম, মৃত্যু বা অভিবাসন দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না ঠিকই, তবুও সেগুলি তালিকায় রয়েই গিয়েছে (Demographic Reconstruction Research)।

    ভোটার তালিকার যথার্থতা (Demographic Reconstruction Research)

    একটি গণতন্ত্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য নির্বাচনের বৈধতা সর্বাগ্রে নির্ভর করে ভোটার তালিকার যথার্থতার ওপর। যদি ভোটাধিকারপ্রাপ্তদের তালিকা (West Bengal) এমন সব নাম দিয়ে ফুলে ওঠে যেগুলি আর প্রকৃত যোগ্য বাসিন্দাদের প্রতিনিধিত্ব করে না, তবে নির্বাচনী সততার মৌলিক ভিত্তিটাই পড়ে বিপদের মুখে। দুর্ভাগ্যবশত, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার বাস্তবতা এই মানদণ্ডে খাপ খায় না। সমীক্ষকদের গবেষণা- “পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার ফুলে ওঠা: বৈধ ভোটার গণনার জনমিতি পুনর্গঠন (২০২৪)” – যা সম্পূর্ণ সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে এবং কঠোর জনমিতিক হিসাবপদ্ধতিতে পশ্চিমবঙ্গের বৈধ ভোটার সংখ্যা পুনর্গঠন করে দেখায় যে পশ্চিমবঙ্গে অতিরিক্ত ভোটার রয়েছেন ১.০৪ কোটি।

    বিস্তর ফারাক

    এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে শুধুমাত্র সরকারি তথ্যভাণ্ডারের ওপর নির্ভরশীল এক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া থেকে। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তী ভোটার তালিকা, জনগণনা থেকে প্রাপ্ত বয়স্কভিত্তিক প্রোফাইল, বেঁচে থাকার হার, জন্ম এবং নিট অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য। সমীক্ষকরা একটি যাচাইকৃত প্রাথমিক ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে, জন্ম, মৃত্যু ও অভিবাসনের হার অনুযায়ী কীভাবে তা দু’দশকে বদলানো উচিত, তার হিসেব করেন এবং সেটি নির্বাচন কমিশনের বর্তমান তালিকার সঙ্গে তুলনা করেন।তাতেই চোখে পড়ে এই বিস্তর ফারাক। দেখা যায়, গড়ে প্রায় প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ৩৫ হাজারেরও বেশি যাচাইহীন নাম যুক্ত হচ্ছে। বহু নির্বাচনে এই ব্যবধানই নির্বাচনের ফল বদলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। এই প্রভাব নিয়ে আলোচনা করার আগে গবেষণায় ব্যবহৃত জনমিতি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিটি বোঝা জরুরি। সমীক্ষদের সূচনাবিন্দু হল ২০০৪ সালের নির্বাচনী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ৪.৭৪ কোটি নিবন্ধিত ভোটার। এঁরা ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন। এই ভোটার তালিকাটি বেছে নেওয়ার কারণ এটি ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের পর উপলব্ধ সরকারি ভোটার সংখ্যা। তাই এটি একটি নির্ভরযোগ্য ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে।

    প্রথম ধাপ

    প্রথম ধাপে সমীক্ষকরা ২০০৪ সালের ভোটারদের বয়সভিত্তিক দলে ভাগ করেছিল। ২০০১ সালের জনগণনার বয়সবণ্টন ব্যবহার করে প্রতিটি বয়সগোষ্ঠীকে তিন বছর এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ২০০৪ সালের সঙ্গে সামঞ্জস্য করেছিলেন। পরে প্রতিটি গোষ্ঠীতে মৃত্যুহার বিবেচনা করতে স্যাম্পল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম জীবন-সারণী থেকে প্রাপ্ত সরকারি বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রয়োগ করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের নির্বাচনী তালিকার বয়সভিত্তিক বিভাজনের তথ্য পাওয়ার পর সেগুলিকে আরও ২০ বছর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন সমীক্ষকরা। এভাবে জানতে চেয়েছিলেন ২০০৪ সালের ভোটারদের মধ্যে কতজন ২০২৪ সালেও জীবিত থাকবেন (Demographic Reconstruction Research)।

    প্রথম ধাপ

    দ্বিতীয় ধাপে ২০০৪ সালের পর যাঁরা ১৮ বছরে পা দিয়ে ভোটদানের যোগ্য হয়েছেন, তাঁদের হিসেব নেওয়া। এর মধ্যে রয়েছেন ১৯৮৬ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া নাগরিকরা, যাঁরা ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচন থেকে ২০২৪ সালে ভোট দেওয়ার যোগ্য হয়েছেন। এই সময়সীমার প্রতিটি জন্মবর্ষের জন্য বার্ষিক জন্মসংক্রান্ত অনুমান নেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ হেলথ ইন্টেলিজেন্স থেকে। এরপর এই জন্ম-গোষ্ঠীগুলির ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে নমুনা নিবন্ধন পদ্ধতির জীবন-সারণি অনুযায়ী বয়সভিত্তিক টিকে থাকার সম্ভাবনা, যাতে ২০২৪ সালে প্রতিটি গোষ্ঠীর কতজনের জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তা অনুমান করা যায়।

    চূড়ান্ত ধাপ

    চূড়ান্ত ধাপটি করা হয়েছে স্থায়ী অভিবাসনের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে। পশ্চিমবঙ্গ বহু দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে একটি নিট বহিঃঅভিবাসন রাজ্য, যেখানে প্রাপ্তবয়স্করা চাকরি ও শিক্ষার জন্য অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। সমীক্ষকরা ২০০১ ও ২০১১ সালের জনগণনা অভিবাসন তথ্য ব্যবহার করেছেন (West Bengal), যেখানে নথিভুক্ত আছে সেই ব্যক্তিদের তথ্য, যাঁদের শেষ স্থায়ী বাসস্থান ছিল বর্তমানে তাঁরা রাজ্যের বাইরে রয়েছেন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। এটি একটি স্থায়ী অভিবাসনের জন্য প্রচলিত মানদণ্ড। তাঁরা বহিঃঅভিবাসন ও অন্তঃঅভিবাসন প্রবাহ উভয়ের যৌগিক বার্ষিক বৃদ্ধির হার (CAGR) গণনা করেছেন। তারপরেই তা ২০২৪ সালের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছে (Demographic Reconstruction Research)।

    পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে বাড়ি- বাড়ি গিয়ে যাচাই করা হয়নি। এর ফলে এমন একটি তালিকা তৈরি হয়েছে যা প্রকৃত জনসংখ্যাগত বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। যার ফলে ভোটদানের হার, প্রতিনিধিত্ব ও বৈধতার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত মোট সংখ্যাটি কৃত্রিমভাবে (West Bengal) ফুলে উঠেছে। যার জেরে রমরমা শাসক দলের (Demographic Reconstruction Research)।

LinkedIn
Share