Tag: Madhyom

Madhyom

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা রাজ্যের’’, চাঁপদানী-আমতলা-সুতির ঘটনায় শঙ্কিত শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। মুর্শিদাবাদের সুতিতে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতার নামে তাণ্ডবের নিন্দা করে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

    ব্যর্থ মমতার সরকার, আক্রান্ত পুলিশও

    সাংবাদিক বৈঠক করে শুক্রবার শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, ‘‘দুপুর আড়াইটের পর থেকেই রাজ্যে বেশিরভাগ জায়গায় জঙ্গিপুর কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে হুগলি, আমতলা সব জায়গায় একই রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন মানুষ। পুলিশও আক্রান্ত। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের ব্যর্থতা।’’ শুভেন্দুর দাবি, বেছে বেছে হিন্দুদের ওপরই আক্রমণ করা হয়েছে। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায় ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহতও হয়েছে।

    বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব

    গত কয়েকদিনের মতো এদিনও ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত হয় মুর্শিদাবাদ। তার জেরে বিভিন্ন রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক ট্রেন। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। ফলে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটাতে বাধ্য হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন রেল স্টেশনে আরপিএফ মোতায়েন করা হয়। শুক্রবার তাণ্ডবের ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায়। মুর্শিদাবাদের সুতি, সামসেরগঞ্জে পরপর বোমার শব্দ শোনা যায় শুক্রবার বিকেলে। তাণ্ডবের মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক কিশোর সহ দুজন। এদিকে, আমতলায় রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায় শুক্রবার দুপুরের পর থেকে। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের ডাকবাংলো মোড় অবরোধ করে সংখ্য়ালঘুরা। পুলিশ সরাতে এলে, শুরু হয়, ইটবৃষ্টি। পুলিশকে লক্ষ্য় করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। শুধু সামসেরগঞ্জই নয়। একই কারণে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, সুতির সাজুর মোড়। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশ কিয়স্ক। একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় যাত্রীবাহী বাসে।

    পরিস্থিতি বাংলাদেশের থেকেও খারাপ 

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা এই রাজ্যের (Mamata Govt)। কড়েয়া থানা এলাকায় জলযাত্রীদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। চাঁপদানিতে পুলিশ ফাঁড়ির পাশে হিন্দুদের পতাকা নামানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুর্গামণ্ডপ ও রাধাকৃষ্ণ মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই এলাকায় বসবাসকারী হিন্দুদের বাড়ি ও দোকান তছনছ করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ধূলিয়ান লাগোয়া সামসেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ডাকবাংলো মোড়, কাঞ্চনতলাতে ৩০টা হিন্দু দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। ঠিক একই ভাবে ১৯ সালে ঔরঙ্গাবাদ, উমরপুর, নিমতিতাতে ৬৮টা দোকান ভাঙা হয়েছিল, লুঠ করা হয়েছিল। ধূলিয়ান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে একটি মন্দির ভাঙা হয়েছে।’’

    ভোগান্তির শিকার অসংখ্য রেলযাত্রী

    স্থানীয় সূত্রের খবর, ওয়াকফ সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে এদিন রাজ্যের নানা প্রান্তে মিছিল করছিল একটি গোষ্ঠী। নিরাপত্তা দেখভালের জন্য রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশের কর্মীরাও। অভিযোগ, মিছিল থেকে আচমকা পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ চালানো হয়। শুভেন্দুর খোঁচা, ‘‘ডায়মন্ড হারবার মডেল, যিনি ৭ লক্ষ ভোটে জিতেছেন, তাঁর এলাকায় পুলিশ আক্রান্ত।’’ হুগলির চাঁপদানীতেও পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তার জেরে নিউ ফরাক্কা, জঙ্গিপুর, সাগরদিঘি ও নিমতিতা স্টেশনে আপ ও ডাউনের বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকে পড়ে। আন্দোলনের নামে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রেলের সম্পত্তিতে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মুর্শিবাবাদের ধুলিয়ান গঙ্গা এবং নিমতিতা স্টেশনের মাঝে যে ৪৩ নম্বর রেলগেট রয়েছে, সেটাকে সম্পূর্ণ ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় রেলের রিলে রুমে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, লিফটিং ব্যারিয়ার সহ একাধিক সম্পত্তি। ভোগান্তির শিকার হন অসংখ্য রেলযাত্রী। রেল জানিয়েছে, দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দু’টি ট্রেনকে গন্তব্যের আগেই থামিয়ে দিতে হয়েছে। পাঁচটি ট্রেন চালাতে হয়েছে ঘুরপথে।

    একজোট হন, প্রতিরোধ গড়ুন

    প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘মুখ্যসচিব ও জেলাশাসককে বারবার বলেছি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতা নিন। মোথাবাড়িতে ৮৬ জন নিরীহ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। একই ভাবে সামসেরগঞ্জ ও ধূলিয়ানে যা করেছেন বর্বরোচিত। রাজীব কুমারের তৈরি ফর্মুলা আছে। প্রথমে যা হওয়ার হয়ে যাবে। তার পর ফোন – ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে। জেলাশাসকের তরফে ১৬৩ ধারা জারি করা হবে। সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া বন্ধ হবে। এই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Govt) শাসনে বারবার নিশানা করা হচ্ছে হিন্দু ধ্বজকে। যা রাজনৈতিক পতাকা নয়। হিন্দু মন্দিরকেও নিশানা করা হচ্ছে। আমি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন করছি। সম্ভব হলে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। আর নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন। আর কোনও উপায় নেই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। সবাইকে অনুরোধ করছি, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হিন্দুরা একজোট হয়ে নিরাপদে থাকুন। ভাঙচুর যা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আমরা করব।’’

  • Hanuman Jayanti 2025: আজ দেশজুড়ে বজরংবলীর আরাধনা, জানুন কখন হনুমান চালিশা পড়লে কাটবে সর্ব সঙ্কট?

    Hanuman Jayanti 2025: আজ দেশজুড়ে বজরংবলীর আরাধনা, জানুন কখন হনুমান চালিশা পড়লে কাটবে সর্ব সঙ্কট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। ভক্তদের বিশ্বাস, চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ভগবান হনুমানের জন্ম হয়েছিল। বিশ্বাস মতে, এই পবিত্র দিনে হনুমান চালিশা পাঠ করে বজরংবলীর পুজো করলে মনের সকল বাসনা পূরণ হয়। দেশজুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই উৎসবটি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করেন। হনুমানজিকে বলা হয় সংকটমোচন। বিশ্বাস করা হয়, রামভক্ত হনুমান কলিযুগেও জীবিত আছেন। তাঁর নাম শুনলেই সকল প্রকার কষ্ট ও ভয় দূর হয়ে যায়। হনুমান ভক্তরা দর্শনের জন্য মন্দিরের বাইরে লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।

    হনুমান জয়ন্তীর গুরুত্ব

    হনুমানজিকে শ্রী রামের সবচেয়ে বড় ভক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর সাহায্যে শ্রী রাম রাবণকে বধ করেন এবং মাতা সীতাকে অযোধ্যায় ফিরিয়ে আনেন। ঈশ্বরের প্রতি তাঁর অটল ভক্তি এবং অপরিসীম শক্তির জন্য পরিচিত, হনুমান সাহস, নিঃস্বার্থ সেবা এবং নিষ্ঠার প্রতীক। তাঁর উপাসনা জীবনের সমস্ত বাধা দূর করে এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

    হনুমান জয়ন্তী ২০২৫ তারিখ এবং শুভ সময়

    এই বছর হনুমান জন্মোৎসব ১২ এপ্রিল, শনিবার পালিত হবে। প্রতি বছর চৈত্র পূর্ণিমায় এই উৎসব পালিত হয়। এবার পূর্ণিমা তিথি ১২ এপ্রিল ব্রহ্ম মুহুর্তে ০৩:২১ মিনিটে শুরু হবে এবং ১৩ এপ্রিল ভোর ০৫:৫১ মিনিটে শেষ হবে। হনুমান জয়ন্তীতে পুজোর প্রথম শুভ সময় ১২ এপ্রিল সকাল ৭:৩৪ টা থেকে ৯:১২ টা পর্যন্ত। এর পরে, দ্বিতীয় শুভ সময় হবে সন্ধে ৬.৪৬ থেকে রাত ৮টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত।

    হনুমান চালিশা পাঠ ও পুজো পদ্ধতি

    হনুমান জয়ন্তীর দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই দিনে ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠুন। স্নান করুন। পরিষ্কার পোশাক পরে পুজো করুন। এরপর হনুমানজিকে তাঁর প্রিয় নৈবেদ্য উৎসর্গ করুন। তাতে বোঁদের লাড্ডু, মিষ্টি পান, গুড় এবং কলা দিতে ভুলবেন না। অনেক ভক্ত এই উপলক্ষে উপোসও করেন। এই দিনে, যদি কেউ সত্যিকারের হৃদয়ে হনুমান চালিশা বা সুন্দর কাণ্ড কাণ্ড পাঠ করে, তার সমস্ত ইচ্ছা হনুমানজি নিজেই পূরণ করেন। শাস্ত্রবিদদের মতে, হনুমান চালিশার এমন কিছু শ্লোক আছে, যা পাঠ করলে সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়। এর সঙ্গে ভক্তরা সম্পদ এবং বুদ্ধিমত্তার আশীর্বাদ লাভ করতে পারবেন। ভক্তদের বিশ্বাস হনুমান চালিশা দ্বারা সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। কোনও ব্যক্তি হয়তো সমস্যায় পড়েছেন এবং সামনের দিকের সমস্ত পথ বন্ধ বলে মনে হচ্ছে। সেই সময় তিনি যদি হনুমান চালিশা পাঠ করেন, তাহলে ওই ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। এমনকী, জীবনের সমস্ত বাধা-বিপত্তিও দূর হয়।

  • Daily Horoscope 12 April 2025: সখ পূরণ হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 12 April 2025: সখ পূরণ হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) ঋণমুক্তির সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্য পাবেন।

     

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের আচরণে বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) সখ পূরণ হবে।

     

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ হতে পারে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    সিংহ

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশ করবেন না।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    কন্যা

    ১) বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) কোথাও আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই ব্যাপারে বার বার খরচ হবে।

    ৩) পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) রক্তাল্পতায় ভুগতে পারেন।

    ২) কারও প্ররোচনায় দাম্পত্য কলহ।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    ধনু

     

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    কুম্ভ

     

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মীন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Nolen Gur Sandesh: নলেন গুড়ের সন্দেশ সমেত বাংলার ৭ আইটেম পেল জিআই ট্যাগ

    Nolen Gur Sandesh: নলেন গুড়ের সন্দেশ সমেত বাংলার ৭ আইটেম পেল জিআই ট্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত মানেই নলেন গুড় (Nolen Gur Sandesh), মুখে মিলিয়ে যাওয়া সন্দেশ (Nolen Gur Sandesh)। এবার সেই নলেন গুড়ের সন্দেশ পেল নয়া সম্মান। মিলল জিআই ট্যাগ পেল বাংলার এই গর্ব। এর আগে ২০১৭-তে বাংলার রসগোল্লা ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে তার প্রাপ্য জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ বা জিআই ট্যাগ। তবে বাংলার আরও তিন ঐতিহ্য তথা মুর্শিদাবাদের ছানাবড়া, বিষ্ণুপুরের মোতিচুরের লাড্ডু ও কামারপুকুরের সাদা বোঁদেও।

    ৩৫টি জিনিস রয়েছে এই তালিকায়

    এর পাশাপাশি মালদার নিস্তারি সিল্ক , রাঁধুনিপাগল চাল (শীতের এক সুগন্ধি চাল) ও বারুইপুরের পেয়ারাও পেয়েছে এই সম্মান। সব মিলিয়ে জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩৫টি জিনিস রয়েছে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগের তালিকায়। প্রসঙ্গত, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা, জয়নগরের মোয়াও জায়গা পেয়েছে রসগোল্লার পাশেই। জিআই তকমা পেলে বিদেশের বাজারে আলাদা সম্মান পেতে শুরু করে ওই খাবার। বাংলার প্রায় প্রতিটা জেলাতেই ছড়িয়ে আছে কিছু না কিছু ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। সেগুলিই এবার স্বীকৃতি পাচ্ছে। জিআই ট্যাগ মেলার পরে স্বাদ-মান বজায় রাখা সেখানে বিশেষ জরুরি হয়ে পড়ে। দামও বাড়ে অনেক সময়।

    জিআই তকমা আসলে কী?

    কোনও অঞ্চলের বিশেষত্ব এবং বিশেষ গুণসম্পন্ন কোনও জিনিসকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয় নির্দিষ্ট এক চিহ্ন দিয়ে। বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রকের অন্তর্গত শিল্প প্রচার এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতরের তরফ থেকে থেকে দেওয়া হয় এই সম্মান। প্রসঙ্গত, কোনও খাবার জিআই তকমা পাওয়ার আগে তার কেমিক্যাল এবং মাইক্রোবায়োলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয় বলে জানা যায়। কী কী উপাদান রয়েছে তাতে, তার পুষ্টিগুণই বা কী, সেইসবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এক্ষেত্রে। ইতিহাস ঘেঁটে ওই খাবারের যাবতীয় রেকর্ড, তৈরির পদ্ধতি সবটাই পাঠানো হয় সরকারি দফতরে, যাতে জিনিসটির আসল জায়গা তথা উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। তারপর সরকারিভাবে নানা কাঠখড় পুড়িয়ে আনা হয় পেটেন্ট, জিআই তকমা (Nolen Gur Sandesh)।

  • Tamil Nadu: বিধানসভায় জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি-এআইএডিএমকে, তামিলনাড়ুতে ঘোষণা শাহের

    Tamil Nadu: বিধানসভায় জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি-এআইএডিএমকে, তামিলনাড়ুতে ঘোষণা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই একদিনের সফরে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন, আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে এআইএডিএমকে ও অন্যান্য সহযোগী দলের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে বিজেপি। অমিত শাহ আরও জানান, জাতীয় স্তরে এই নির্বাচন লড়া হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এবং রাজ্যস্তরে এআইএডিএমকে নেতা কে পালানিস্বামীর নেতৃত্বে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘‘ডিএমকে দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে নিঃশর্তভাবেই এই জোট সম্পন্ন হয়েছে।’’ এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে অমিত শাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একটি নূন্যতম সাধারণ কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এই কর্মসূচির ভিত্তিতেই জোট চলবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা,  এআইএডিএমকে-র সঙ্গে জোট হওয়াতে বেশ ভালোই চাপে পড়ল ডিএমকে। আগামী বছরেই রয়েছে তামিলনাডু রাজ্যের বিধানসভা ভোট, তার আগেই দুই দল ফের একসঙ্গে হল।

    ১৯৯৮ সাল থেকেই এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে জয়ললিতা (Tamil Nadu) মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি। সেই তখন থেকেই এনডিএ-র শরিক ছিল জয়ললিতার দল। তবে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছরের এই সম্পর্কে ছেদ পড়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপির সঙ্গে জোটে ভাঙন ধরে এআইএডিএমকে-র।

    অমিত শাহের মুখে পুরনো দিনের কথা, মনে করালেন ১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোট (Tamil Nadu)

    তখন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইএডিএমকের (AIADMK) জেনারেল সেক্রেটারি ই কে পালানিস্বামী সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে একক দল হিসাবে লড়াই করবেন তাঁরা। তারপর ২০২৫ সালের ফের দুই দলের এক হওয়ার খবর সামনে এল। পুরনো দিনের কথা এদিন উঠে আসে শাহের সাংবাদিক বৈঠকেও। তিনি জানান, ১৯৯৮ সালে লোকসভায় বিজেপি এবং এআইএডিএমকে-র জোট বিরাট জয় পেয়েছিল তামিলনাড়ুতে। বিজেপি-এআইএডিএমকে (AIADMK) জোট ৩৯টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩০টি আসন জিতেছিল।

  • Super Rafale F5: বায়ুসেনার জন্য ১১৪টি ‘সুপার রাফাল’! এমআরএফএ চুক্তির যুদ্ধবিমান কি চূড়ান্ত করে ফেলল ভারত?

    Super Rafale F5: বায়ুসেনার জন্য ১১৪টি ‘সুপার রাফাল’! এমআরএফএ চুক্তির যুদ্ধবিমান কি চূড়ান্ত করে ফেলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় নৌসেনার জন্য ৬৩ হাজার কোটি টাকায় ফ্রান্স থেকে রাফাল-এম যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Super Rafale F5)। আগামী এক-দু মাসের মধ্যেই ওই ফ্রান্সের সঙ্গে সরকারিস্তরে ওই চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে ভারত, এমন জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই চুক্তি হলে, তা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অঙ্কের প্রতিরক্ষা চুক্তি হতে চলেছে। তবে, এটা খবর নয়। কেন্দ্রীয় সূত্র মারফৎ নতুন যা তথ্য এসেছে, তা আরও চমকে দেওয়ার মতো। এক কথায়, শীঘ্রই সম্ভবত ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে হতে চলেছে ‘মাদার অফ অল ডিফেন্স ডিল’।

    যুদ্ধবিমানের বাছাই এক প্রকার সেরে ফেলেছে ভারত!

    শোনা যাচ্ছে, দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ১১৪টি মিডিয়াম রোল ফাইটার এয়ারক্র্যাফট বা এমআরএফএ চুক্তির (MRFA Deal) জন্য যুদ্ধবিমানের বাছাই এক প্রকার সেরে ফেলেছে ভারত। সূত্রের দাবি, সরকারিভাবে এখনও এই নিয়ে কোনও কথা না বলা হলেও, ভারত আবার রাফালকেই কিনতে চলেছে। তবে, এক্ষেত্রে ভারতীয় বায়ুসেনায় বর্তমানে রাফালের যে সংস্করণ ব্যবহৃত হচ্ছে, এমআরএফএ-তে সেই বিমান আসবে না। ভারত চাইছে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে একেবারে সর্বাধুনিক মডেল ‘সুপার রাফাল’-কে ঘরে তুলতে।

    কী এই ‘সুপার রাফাল’ (Super Rafale F5)

    ২০১৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে জরুরি ভিত্তিতে ফ্রান্সের সঙ্গে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট (জি-টু-জি) ডিল বা সরকারিস্তরে সরাসরি চুক্তি করেছিল ভারত। রাফালের কার্যকারিতা ও ক্ষমতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় বায়ুসেনা। যে কারণে, সম্প্রতি নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-মেরিন (নৌ-সংস্করণ) কেনায় সম্মতি জানিয়েছে মোদি মন্ত্রিসভা। এই চুক্তিও সম্ভবত হতে চলেছে জি-টু-জি পদ্ধতিতে। তবে, ভারতীয় বায়ুসেনা বর্তমানে যে রাফাল ব্যবহার করছে সেটি এফ-৩ সংস্করণের। তবে, এমআরএফএ চুক্তির (MRFA Deal) জন্য ভারতের চাইছে একেবারে এই যুদ্ধবিমানের সর্বাধুনিক তথা এই শ্রেণির সবচেয়ে শক্তিশালী এফ-৫ সংস্করণ কিনতে। অন্তত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বায়ুসেনার ইচ্ছা তেমনই। এই যুদ্ধবিমানকেই ‘সুপার রাফাল’ (Super Rafale F5) বলে অভিহিত করেছে বিমানটির ফরাসি প্রস্তুতকারক সংস্থা দাসো।

    ধারে-ভারে-ক্ষমতায় প্রায় পঞ্চম প্রজন্মের ‘সুপার রাফাল’

    ভারত নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘অ্যামকা’ (AMCA) তৈরি করছে। ফলে, ভারত চাইছে এমন একটি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান যা ক্ষমতায় পঞ্চম প্রজন্মের মতো পাল্লা দিতে সক্ষম। রাফালের এফ-৩ সংস্করণটি কার্যত চতুর্থ প্রজন্মের। কিন্তু, এফ-৫ সংস্করণটি (Super Rafale F5) ধারে-ভারে-ক্ষমতায় প্রায় পঞ্চম প্রজন্মের। এই সংস্করণে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের একাধিক প্রযুক্তি রয়েছে। অন্তত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনুমান এমনটাই। কারণ, এফ-৫ রাফাল জেটে যুক্ত করা হয়েছে এমন প্রযুক্তি, যা বর্তমান তো বটেই, এমনকী ভবিষ্যৎ যুদ্ধের জন্যও আদর্শ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌলতে এই যুদ্ধবিমানকে ‘অত্যন্ত বুদ্ধিমান’ করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই বিমানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী এক ‘লয়াল উইংম্যান’-কেও।

    কী এই ‘লয়াল উইংম্যান’?

    আকাশ যুদ্ধে ‘লয়াল উইংম্যান’ কনসেপ্ট বা ব্যবস্থা নিয়ে বর্তমানে ভারত সহ বিশ্বের তামাম সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশ গবেষণা চালাচ্ছে। ভারতের ‘অ্যামকা’-তেও এই ‘লয়াল উইংম্যান’ কনসেপ্ট রাখা হয়েছে। ‘লয়াল উইংম্যান’ হচ্ছে একটি আনম্যানড্ কমব্যাট এরিয়াল ভেহিক্যল বা ইউসিএভি (UCAV)। এক কথায় সশস্ত্র মানববিহীন যুদ্ধবিমান। এটি মাদারশিপের (চালক যুদ্ধবিমান) সঙ্গে সুসংহত যোগাযোগ রেখে পাশাপাশি উড়বে। পেটে ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম ‘লয়াল উইংম্যান’ (Loyal Wingman) মাদারশিপের পাইলটের কমান্ডে যাবতীয় কাজ করবে। শুধু তাই নয়। প্রয়োজন পড়লে, পাইলট তথা মূল যুদ্ধবিমানকে বাঁচাতে নিজেকে বলিদান দেবে।

    ছায়াসঙ্গী সবচেয়ে ঘাতক ড্রোন

    ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়াঁ ল্য কর্নুর দাবি, নতুন এফ-৫ রাফাল (Super Rafale F5) জেটটি একটি স্টেলথ ফাইটার ড্রোন দিয়ে সজ্জিত হবে।” মন্ত্রীর কথার সত্যতা স্বীকার করে নেন রাফালের প্রস্তুতকারক সংস্থা দাসো-র সিইও এরিক ত্রাপিয়ে। তাঁর মতে, রাফালের সঙ্গে এই ইউসিএভি যুক্ত করলে আকাশ থেকে ভূমি এবং আকাশ থেকে আকাশ উভয় ক্ষেত্রেই মিশনের কর্মক্ষমতা এবং সাফল্যের শতাংশ বহুগুণ উন্নত হতে পারে।” তিনি আরও জানান যে, রাফাল এফ-৫ জেটের (Super Rafale F5) ইউসিএভি-র ওজন হবে ১০ টন এবং তার অস্ত্রবহন ক্ষমতা প্রায় ১৫ থেকে ১৬ টন হবে। এছাড়া, পূর্বসূরি এফ-৪-এর তুলনায় এফ-৫ সংস্করণে আরও শক্তিশালী সাফরান ইঞ্জিন এবং সর্বাধুনিক ডেটা লিঙ্ক থাকবে। এতে মোতায়েন করা যাবে স্ক্র্যামজেট-নির্ভর হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে ০-২০ গুণ বেশি গতি) ক্ষেপণাস্ত্র, যা লড়াইয়ে যুদ্ধবিমানকে প্রভূত সুবিধা দেবে।

    এমআরএফএ নিয়ে ফ্রান্সের আগ্রহ

    কিন্তু, কেন রাফাল এফ-৫ (Super Rafale F5) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে? কেনই বা এই বিমানের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় কর্তারা? কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ফ্রান্স এবং উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে একাধিকস্তরে এমআরএফএ চুক্তি (MRFA Deal) নিয়ে আলোচনা চালিয়েছে ভারত। সূত্রের দাবি, আলোচনার টেবিলে ফ্রান্স ভারতের এই শর্তে রাজি হয়েছে যে, এমআরএফএ চুক্তি হলে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি বিমান ফ্রান্সে তৈরি হয়ে আসবে। বাকিগুলো ভারতেই তৈরি হবে। শুধু তাই নয়, দাসোর সিইও ত্রাপিয়ে ভারতকে খোলা প্রস্তাব দিয়েছেন যে, তারা ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমান উৎপাদনের একটি পৃথক অ্যাসেম্বলিং ইউনিট খুলতে ভীষণই আগ্রহী। শর্ত একটাই— যদি ভারতের থেকে ন্যূনতম ১০০টি যুদ্ধবিমানের বরাত মেলে তবেই। এদেশে দাসোর অ্যাসেম্বলি ইউনিট হলে, খরচ অনেকটাই কম হবে। পাশাপাশি, রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রেও প্রচুর সুবিধা হবে। জানা যাচ্ছে, নৌসেনার জন্য রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি করতে শীঘ্রই ভারতে আসতে পারেন ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়াঁ ল্য কর্নু। তখনই, এমআরএফএ চুক্তি (MRFA Deal) নিয়ে ফের বসা হবে বলে আশা।

    চুক্তি হলেই ভারতে অ্যাসেম্বলি ইউনিট

    এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, রাফাল এফ-৫ যুদ্ধবিমান (Super Rafale F5) এখনও হাতে পায়নি ফরাসি বায়ুসেনাই। ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আশা, ২০২৬-২৭ সালের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হবে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ এই যুদ্ধবিমান সেদেশের বায়ুসেনার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। ভারত যদি আগামী এক-দু বছরের মধ্যে এই চুক্তি করে নেয়, তাহলে, দাসো দ্রুত এদেশে অ্যাসেম্বলি ইউনিট তৈরির কাজ শুরু করতে পারবে। সেক্ষেত্রে, দাসোর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে ভারতের এক বা একাধিক বেসরকারি সংস্থাও। তেমনটা হলে, ২০৩২ সাল থেকেই ভারতের কারখানা থেকে রাফাল এফ-৫ বের হবে।

  • SSC Scam: চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে সুপ্রিম-নির্দেশের অবমাননা! মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আইনি  নোটিশ

    SSC Scam: চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে সুপ্রিম-নির্দেশের অবমাননা! মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আইনি নোটিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বাতিল (SSC Scam) প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে ‘মন্তব্য’ করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠাল ‘আত্মদীপ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন দিল্লির আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত। নোটিসে তিনি জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষ আদালতের রায় সকলকেই মেনে নিতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই রায় কার্যকর করবেন না বলেই দাবি ওই আইনজীবীর। তাঁর হুঁশিয়ারি, মুখ্যমন্ত্রী যদি নিজের মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।

    নোটিশে কী বলা হয়েছে

    নোটিশে দাবি করা হয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মন্তব্যের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত ভাবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতি অবমাননা করেছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, আইনগতভাবে বাধ্য থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন করবেন না। যা স্পষ্টতই একটি ইচ্ছাকৃত কাজ। মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন, তা সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল। তিনি তাঁর বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন মমতা। আইনি নোটিসে বলা হয়েছে, নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার জন্য… একটা চক্রান্ত চলছে… একটা পরিকল্পনা চলছে। ৯, ১০, ১১, ১২-তে যাঁরা শিক্ষক, গেটওয়ে অফ হায়ার এডুকেশন তৈরি করছেন, তাঁরা অন্যদের খাতা দেখছেন, তাঁদের মধ্যে গোল্ড মেডেলিস্ট আছেন। তাঁদের জীবনেও ভাল রেজাল্ট ছিল। তাঁদের সবাইকে চোর বলে দিচ্ছেন। সবাইকে অযোগ্য বলে দিচ্ছেন। এই বলার অধিকার আপনাকে কে দিল? আমি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছি।’’

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

    ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল সম্প্রতি বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার জন। এই পরিস্থিতিতে চাকরিহারাদের একাংশকে নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘‘আমি এই রায় মানতে পারছি না।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে আদালত অবমাননার যে নোটিস পাঠানো হয়েছে, তাতে নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার কিছু অংশ তুলে দেওয়া হয়েছে। নোটিসে লেখা হয়েছে, গত ৭ এপ্রিলের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কারও চাকরি কাড়ার এই অধিকার কারও নেই। আমাদের প্ল্যান— এ রেডি, বি রেডি, সি রেডি, ডি রেডি আর ই রেডি। এই কথা বলার জন্য আমাকে জেলে, হ্যাঁ, ভরে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু আই ডোন্ট কেয়ার (আমি পরোয়া করি না)। আপনারা আপনাদের কাজ করুন। কে আপনাদের আটকাচ্ছে? সুপ্রিম কোর্ট? সে ক্ষেত্রে মনে রাখবেন যা-ই বিকল্প হোক, আমরা করব।’’ এরপরই দেশের শীর্ষ আদালতকে অবমাননার দায়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ও নবান্নে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

  • VHP: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর জিহাদি চক্রান্ত ব্যর্থ, জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    VHP: ওয়াকফ ইস্যুতে দেশজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর জিহাদি চক্রান্ত ব্যর্থ, জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদ জেলার জুড়ে মৌলবাদীদের তাণ্ডব সামনে এসেছে। এই আবহে এই ঘটনাকে চক্রান্ত বলে উল্লেখ করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের দাবি, দেশজুড়ে অশান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই এমন চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা ডক্টর সুরেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, যে ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ চলছে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে সেখানেই মেকি ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি ও জিহাদিদের মধ্যে একটা আঁতাত তৈরি হয়েছে। এরাই এই আইনের বিরোধিতা করছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওয়াকফ আইনের বিষয়ে এক কোটিরও বেশি ভারতীয় তাঁদের মতামত দিয়েছেন। একইসঙ্গে ২৫ ঘন্টা ধরে দেশের সংসদে আলোচনা চলেছে, তর্কবিতর্ক হয়েছে তবেই পাস হয়েছে এই আইন।

    ভূমি মাফিয়ারা এই আইন আসাতে সব চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে

    তিনি আরও জানিয়েছেন, যাঁরা সর্বদাই সংবিধানের কথা বলেন। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন না। তার বদলে তাঁরা হিংসা ছড়ানোর জন্য সমস্ত রকমের উস্কানি দিচ্ছেন। সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘১৮টিরও বেশি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে, এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে। যাঁরা এই অভিযোগ জানিয়েছেন, তাঁদের সংবিধানের প্রতি ন্যূনতম মর্যাদা রাখা উচিত। বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখা উচিত। ভারতীয় মূল্যবোধের প্রতি আস্থা রাখা উচিত।’’ এদিন তিনি অভিযোগ আনেন যে ভূমি মাফিয়ারা এই আইন আসাতে সব চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

    নিজের বক্তব্যে উদাহরণও তুলে ধরেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা এ নিয়ে ২০১৩ সালের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে গুরুগ্রামের পালম্বী হার পার্ককে হঠাৎই ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে দাবি করা হয়। কোনও রকমের প্রমাণ ছাড়াই সেখানে প্রার্থনা শুরু হয়ে যায়। তৎকালীন হরিয়ানাতে চলছিল কংগ্রেস সরকার এবং তারা কোনও রকম প্রমাণ ছাড়াই ওই সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণাও করে। এইভাবেই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার দিল্লিতে ১২৩টি সরকারি সম্পত্তি ওয়াকফকে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা।

  • Kolkata Saffron Flag Remove: ‘খাস কলকাতায় জোর করে গেরুয়া পতাকা খোলাল মৌলবাদীরা, দাঁড়িয়ে দেখছে পুলিশ’! কী চান মমতা? প্রশ্ন বিজেপির

    Kolkata Saffron Flag Remove: ‘খাস কলকাতায় জোর করে গেরুয়া পতাকা খোলাল মৌলবাদীরা, দাঁড়িয়ে দেখছে পুলিশ’! কী চান মমতা? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ কলকাতায় বাস থেকে গেরুয়া পতাকা (Kolkata Saffron Flag Remove) খুলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, জোর করে বাসচালককে ওই পতাকা খোলান ওয়াকফ আন্দোলনকারীরা। ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দুর দাবি, যে গেরুয়া পতাকা সাহস, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতীক, সেটিকে জোর করে একটি বাস থেকে খুলে ফেলেছে উগ্রপন্থীরা। এনিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে একটি হিন্দু সংগঠন। শ্রী রাম স্বাভিমান পরিষদ ট্রাস্টের তরফে তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    কলকাতায় বাস থেকে গেরুয়া পতাকা (Kolkata Saffron Flag Remove) খোলা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘যে কলকাতা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভূমি, সেখানে ভয়ংকর দৃশ্য ধরা পড়ল। যে গেরুয়া পতাকা সাহস, ত্যাগ এবং বীরত্বের প্রতীক, সেটিকে জোর করে একটি বাস থেকে খুলে ফেলেছে উগ্রপন্থীরা। স্বামীজি এই সম্প্রীতি ও সহনশীলতার হয়ে সওয়াল করেছিলেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে বাধাহীনভাবে এরকম কাজ হয়। আর পুলিশে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দেখে। আমাদের সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের প্রতি কোন শ্রদ্ধা কোথায়? মমতা, আপনার শাসনামলে হিন্দু হওয়া কখন অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে? নাকি এখন আপনার একমাত্র নীতি হল তোষণ?’’ সেইসঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করে পুরো বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রামকৃষ্ণ মিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শুভেন্দু। একইসুরে বঙ্গ বিজেপির মিডিয়ার কো-ইনচার্জ কেয়া ঘোষ অভিযোগ করেছেন, গেরুয়া পতাকা খুলে নেওয়ার পাশাপাশি অশ্লীল ভাষাও প্রয়োগ করা হয়েছে।

    হনুমান জয়ন্তীতে প্রতিবাদ

    বৃহস্পতিবার ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে জামাত উল উলেমা হিন্দ। মিছিলের কারণে কলকাতার কয়েকটি রাস্তা প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায়। যানজটে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। এর মধ্য়েই অভিযোগ ওঠে কলকাতার লেনিন সরণিতে একটি বাসে লাগানো গেরুয়া পতাকা জোর করে খুলে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ছবি পোস্ট করে এনিয়ে সরব হন। এদিন কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চলেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওটা বিজেপির পতাকা ছিল না। এটি ছিল একটি জয় শ্রী রাম পতাকা। এটা বিশ্বাসের অপমান। হিন্দুদের অপমান করা হয়েছে। কলকাতায় গেরুয়া পতাকা খোলা হয়েছে? বাস চালককে পুলিশের সামনেই পতাকা খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা লজ্জার বিষয়। হিন্দু সংগঠনগুলি গতকালই একটি এফআইআর দায়ের করেছে। আজ আমরা ডিসি সেন্ট্রালে প্রতিবাদ করব। আগামীকাল হনুমান জয়ন্তী। পুরো রাজ্যে প্রতিবাদ হবে।’’

    পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরির প্রেক্ষাপট

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী তিলোত্তমা কলকাতার বুকে জোর করে বাস থেকে গেরুয়া পতাকা খোলা হচ্ছে। হিন্দু সমাজ দেখুক, পশ্চিম বাংলাদেশ তৈরির প্রেক্ষাপট তৈরী হচ্ছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এখানে আপনি হামাস, প্যালেস্তাইন, পাকিস্তান, সিরিয়া এবং আইসিস-এর পতাকা উড়তে দেখতে পাবেন, কিন্তু গাড়ি থেকে রাম নবমীর পতাকা সরিয়ে ফেলা হয়। কলকাতা কি ঢাকা, সিরিয়া নাকি আফগানিস্তান হয়ে গিয়েছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এটাই চান?’’

  • Mothabari: ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার’’, মোথাবাড়ি পৌঁছে এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Mothabari: ‘‘শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার’’, মোথাবাড়ি পৌঁছে এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার সাম্প্রদায়িক হিংসা কবলিত মোথাবাড়িতে (Mothabari) পৌঁছলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা এদিন মোথাবাড়িতে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। ওঠে জয় শ্রী রাম ধ্বনি। এদিন মোথাবাড়িতে পৌঁছে আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন তিনি। এর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘ডালখোলা, রিষড়া, শিবপুর ঠান্ডা করে দিয়েছি। মোথাবাড়িতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব আমার।’’

    হাইকোর্টের শর্ত মেনে মোথাবাড়িতে (Mothabari) শুভেন্দু

    এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, মোথাবাড়ি (Mothabari) যেতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই আবহে গত ৮ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি মেনে নেয়। তাঁকে মোথাবাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। তবে এক্ষেত্রে একাধিক শর্ত দেন বিচারপতি। উচ্চ আদালত জানায়, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কেবলমাত্র একজন বিজেপি বিধায়ক ও নিরাপত্তারক্ষীই মোথাবাড়ি যেতে পারবেন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট জানায়, মোথাবাড়ি গিয়ে কোনওরকমের রাজনৈতিক ভাষণ দিতে বা মন্তব্য করতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, মোথাবাড়ির চারটি অঞ্চলে যেতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Mothabari) । উচ্চ আদালত সেই আবেদন মেনে নেয়। কোর্ট জানায়, চারটি জায়গাতেই যেতে পারবেন বিরোধী দলনেতা এবং কথাও বলতে পারবেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টের মধ্যে তাঁকে সফর শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছিল হাইকোর্ট।

    যাদের ধরেছে তারা প্রকৃত দোষী নয়, ক্ষতিগ্রস্ত ৮৬ হিন্দু পরিবার, অভিযোগ শুভেন্দুর

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী মোথাবাড়ি (Mothabari) পৌঁছতেই জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে ফেটে পড়ে গোটা এলাকা। প্রথমেই তিনি মোথাবাড়ি বাজারে আক্রান্ত হিন্দু পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে নানা সাহায্য সামগ্রী তুলে দেন। এর পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এখানে মানুষকে সরকার নিরাপত্তা না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে। যাদের ধরেছে তারা প্রকৃত দোষী নয়। ভিডিও ফুটেজ দেখে সব দোষীদের ধরতে হবে। আমরা আদালতে এনআইএ ও সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি।’’ পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ যখন ব্যবস্থা নেওয়ার নেয়নি। ওরা যা করার করে দিয়েছে। ফেসবুক লাইভ করতে করতে করেছে। হঠাৎ তো হয়নি, জানিয়ে করেছে। যদি কারও আস্থায় কেউ আঘাত দেয় থানায় যান। আইন হাতে তুলে নেবেন কেন? যে ৮৬টি হিন্দু পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেন এরা তো কোনও দোষ করেনি।’’

    কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করাব

    মোথাবাড়িতে (Mothabari) শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘এখানে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে সবকটা দোষীকে গ্রেফতার করাব। ঠিক যেভাবে ডালখোলা, রিষড়া, শিবপুরে করিয়েছি। একই ভাবে মোথাবাড়িতে পার্মানেন্ট শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব বিরোধী দলনেতার।’’ প্রসঙ্গত, শুভেন্দুকে মোথাবাড়ি যেতে অনুমতি দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই মতো নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে মোথাবাড়ি থানা এলাকায় পরিদর্শন করলেন বিরোধী দলনেতা।

    মুক্তির স্বাদ পেয়েছে মোথাবাড়ি

    মোথাবাড়িতে (Mothabari) বাড়ি বাড়ি গিয়ে আক্রান্ত পুরুষ-মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। মোথাবাড়ির পালপাড়ায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘১৫ দিন পর এরা মুক্তির স্বাদ পেয়েছেন।’’ বিরোধী দলনেতা রয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন, তাই ভয় নেই, গ্রামবাসীদের এমন আশ্বাসও দিতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিনই বিরোধী দলনেতার কাছে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক গ্রামবাসীকে। সাংবাদিকদের সামনে ওই মহিলা জানান, মোথাবাড়ি অশান্তিতে ব্যাপক আহত হয়েছেন তিনি।

    সরকার মানুষকে প্রোটেকশন না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে

    কোর্টের অনুমতিতে মোথাবাড়ি পরিদর্শন করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘‘এখানে সরকার মানুষকে প্রোটেকশন না দিয়ে দাবিয়ে রেখেছে। আমরা এনআইএ, সিবিআই দাবি করছি। কেন হিন্দুরা অত্যাচারিত হবে? দেখার দায়িত্ব কার? মোথাবাড়িতে (Mothabari) পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছি তিনবার, অনুমতি দেয়নি।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সময়ের মধ্যে চলে এসেছি। তিনটি জায়গায় পরিদর্শন সেরেছি। ৬ জনকে নিয়ে আইনি লড়াই করছি।’’

    শাসকদলের মদতেই মোথাবাড়িতে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, অভিযোগ শুভেন্দুর

    শাসকদলের মদতেই মোথাবাড়িতে (Mothabari) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মালদার ইংরেজবাজারের বাধাপুকুর মোড়ে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে স্বাগত জানান। সম্প্রতি অশান্ত হয়ে ওঠে মালদার মোথাবাড়ি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দোকান ও গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সারি সারি বাইক ও গাড়িতে। হিন্দুদের ওপর ব্যাপক হামলা চলে বলে অভিযোগ। এরপর পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশ। ব্য়বহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। ৬টি মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপরে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। গত শুক্রবারই মোথাবাড়ি ইস্যুতে মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই অঞ্চলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের বলেই জানান বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ।

LinkedIn
Share