Tag: Madhyom

Madhyom

  • Daily Horoscope 11 April 2025: পিতামাতার সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 11 April 2025: পিতামাতার সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) পেটের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসার জন্য বাড়তি অর্থ দরকার হতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

    মিথুন

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

    কর্কট

    ১) মহিলা বন্ধুদের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকা দরকার।

    ২) প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

    সিংহ

    ১) আয় ভালো থাকলেও দারিদ্র সহজে দূর হবে না।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুবিবেচক ব্যক্তি হিসাবে উন্নতির যোগ।

    ৩) মোটামুটি কাটবে দিনটি।

    কন্যা

    ১) মিথ্যা বদনাম রটতে পারে।

    ২) ব্যবসায় পরিশ্রম বৃদ্ধি পেলেও লাভ ভালো হবে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) পিতামাতার সঙ্গে মতের অমিল হতে পারে।

    ২) চোখের ব্যাপারে একটু সাবধান থাকুন।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের বাকপটুতায় সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবেন।

    ২) জনহিতকর কাজে সুনাম পাবেন।

    ৩) আশাপূরণ।

    ধনু

    ১) সন্তানের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

    মকর

    ১) শত্রুদের থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    কুম্ভ

    ১) একটু বিপদের সম্ভাবনা আছে।

    ২) মানসিক অস্থিরতার জন্য কোনও ভালো কাজ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

    মীন

    ১) সারা দিন ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২) ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • BJP: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন, দেশজুড়ে প্রচারে নামছে বিজেপি, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালা

    BJP: মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন, দেশজুড়ে প্রচারে নামছে বিজেপি, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত কর্মশালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকার পাশ করেছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Reforms Awareness)। এই আবহে দেশজুড়ে ওয়াকফ সংস্কার প্রচার অভিযান চালাবে বিজেপি (BJP)। এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, এই প্রচার অভিযান চলবে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই প্রচার অভিযানের মাধ্যমে বিজেপি লক্ষ্য রেখেছে, যে সমস্ত ভুল তথ্য এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে ওয়াকফ আইনকে কেন্দ্র করে সেগুলির মোকাবিলা করা। বিজেপি তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীরা মুসলিম সমাজকে ভুল বোঝাচ্ছে ওয়াকফ সংশোধনী (Waqf Reforms Awareness) আইন নিয়ে।

    মুসলিম কল্যাণেই ওয়াকফ আইন

    বিজেপির (BJP) মতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের জানা দরকার যে ওয়াকফ আইন তাদের কল্যাণের জন্যই। এই প্রচার অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে একটি কর্মশালা আয়োজিত হয় দিল্লির বিজেপির সদর দফতরে। যেখানে বিজেপির জাতীয় সভাপতির জেপি নাড্ডা প্রতিনিধিদের সামনে বক্তব্য রাখেন। তিনি নিজের ভাষণে বলেন, ‘‘ওয়াকফ সংস্কার তার সম্পত্তিগুলিকে আরও ভালোভাবে উপযোগী করে তুলবে এবং তা দরিদ্র মুসলমানদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।’’

    তোষণের কারণেই মুসলিম সমাজকে ভুল বোঝাচ্ছে কংগ্রেস, তোপ নাড্ডার

    একই সঙ্গে জেপি নাড্ডা (BJP) তোপ দাগেন কংগ্রেস এবং তার জোট সঙ্গীদের ওপর। তিনি বলেন,‘‘তোষণের রাজনীতির কারণেই মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্ত করছে এই রাজনৈতিক দলগুলি।’’ তিনি বিজেপির কর্মীদেরকে বলেন, তাঁরা যেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে যান এবং তাদেরকে বোঝান এই আইন মুসলিমদের পক্ষে ইতিবাচক।

    ওয়াকফ আইন

    ওয়াকফ আইনটি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর এবং গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুমোদন পাওয়ার পর বর্তমানে তা আইনে পরিণত হয়েছে। এই বিলটি নিয়ে ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর ৩ এপ্রিল ভোর রাতে লোকসভায় পাশ হয়। সেখানে বিলটি সমর্থন করেছিলেন ২৮৮ জন সদস্য। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৩২ জন। এরপর ৪ এপ্রিল সকালে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হয়। সেখানে ১২৮ সদস্য সমর্থন করেছিলেন, বিরোধিতা করেছিলেন ৯৫ জন। নয়া এই আইনটি ভারতের ওয়াকফ সম্পত্তির ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন সংশোধন করে করা হয়েছে।

  • Modi Govt: প্রতিশ্রুতি রক্ষা মোদি সরকারের, সংগ্রহ ১০০ লক্ষ বেল তুলো, প্রদান করা হল ৩৭,৪৫০ কোটি টাকা

    Modi Govt: প্রতিশ্রুতি রক্ষা মোদি সরকারের, সংগ্রহ ১০০ লক্ষ বেল তুলো, প্রদান করা হল ৩৭,৪৫০ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় (Modi Govt) তুলো চাষের ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের আগ্রহ এখানে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই আবহে ভারত সরকার তার নোডাল সংস্থা, কটন কর্পোরেশন ইন্ডিয়া লিমিটেড বা সিসিআইয়ের (Cotton Farmers) মাধ্যমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আওতায় ১০০ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে বলে খবর। ২০২৪-২০২৫ আর্থিক বছরে এই তুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ গত ৩১ মার্চের মধ্যেই ১০০ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে মোদি সরকার।

    নূন্যতম সহায়ক মূল্য হিসেবে প্রদান করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা

    জানা যাচ্ছে মোট তুলো উৎপাদন হয়েছে ২৯৪.২৫ লক্ষ বেল। এই মোট উৎপাদনের ৩৪ শতাংশই কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt) নিয়ে নিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বস্ত্র শিল্প মন্ত্রকের বিবৃতিও সামনে এসেছে। যেখানে তারা জানাচ্ছে, যে পরিমাণ তুলা সংগ্রহ করা হয়েছে তা ৫২৫ লক্ষ কুইন্টাল তুলোর বীজের সমান। এর ফলে দেশের ২১ লাখ কৃষককে উপকৃত করা হয়েছেন। এভাবেই নূন্যতম সহায়ক মূল্য হিসেবে প্রদান করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস (NACH) এর মাধ্যমে অর্থপ্রদান করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বচ্ছতা রাখতে আধারের প্রমাণপত্র এবং এসএমএস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে অর্থ প্রদানের বিষয়টি।

    কোন রাজ্যে কত তুলো সংগ্রহ করল কেন্দ্র

    যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ পরিমাণ তুলো সংগ্রহ করা গিয়েছে তেলঙ্গানায়। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪০ লক্ষ বেল সংগ্রহ করা হয়েছে, তারপরে মহারাষ্ট্রে ৩০ লক্ষ বেল এবং গুজরাট ১৪.০২ লক্ষ বেল তুলো সংগ্রহ করেছে কেন্দ্র (Modi Govt) । অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে কর্নাটকে ৫ লক্ষ বেল। মধ্যপ্রদেশে ৪ লক্ষ বেল, অন্ধ্রপ্রদেশে ৪ লক্ষ বেল, ওড়িশায় ২ লক্ষ বেল, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, এবং রাজস্থান মিলিয়ে ১.১৫ লক্ষ বেল।এই পরিসংখ্যানগুলিই তুলে ধরছে তুলো চাষীদের স্বার্থ রক্ষায় মোদি সরকার (Modi Govt) ঠিক কতটা দায়বদ্ধ। সহজেই যাতে চাষীরা নিজেদের উৎপাদিত তুলো বিক্রি করতে পারেন, তাই কটন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া সমস্ত তুলা উৎপাদনকারী রাজ্যে ৫০৮টি ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

  • Tahawwur Rana: ভারতে নামলেন তাহাউর রানা, কড়া নিরাপত্তায় এনআইএ-র বিশেষ আদালতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    Tahawwur Rana: ভারতে নামলেন তাহাউর রানা, কড়া নিরাপত্তায় এনআইএ-র বিশেষ আদালতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতেই ফিরতে হল ২৬/১১ সন্ত্রাস হামলার মূল চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। বুধবারই তাঁকে বিশেষ বিমানে চড়িয়ে আমেরিকা থেকে রওনা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। অনুমান ছিল বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতে নামবে সেই বিমান। তবে তা পৌঁছল বেলা গড়িয়ে বিকেলে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, দুপুর ২টো ৩৯ মিনিটের দিকে পালাম বিমানবন্দরে রানাকে নিয়ে অবতরণ করে বিশেষ বিমান। অবশেষে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে আমেরিকায় গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ১৬ বছর পর ভারতে নিয়ে আসা হল তাহাউর রানাকে।

    রানার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা

    এনআইএ সূত্রে খবর, তাহাউরের প্রত্যপর্ণ নিয়ে আঁটসাঁট নিরাপত্তা রাজধানী জুড়ে। বেশ কিছু এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। এছাড়াও বিমানবন্দরে আগে থেকেই দাঁড় করানো হয়েছে সোয়াট কমান্ডাদের। পাশাপাশি, যে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে রানাকে নিয়ে রওনা দেবে পুলিশ, তার আগুপিছুতে রাখা হবে অস্ত্র বোঝাই বিশেষ সাঁজোয়া গাড়ি। এছাড়াও রাখা হবে মার্কসম্যান গাড়ি। এই গাড়িতে থাকে সেনার বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কমান্ডোরা। কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ এনআইএ। তাই একইরকম দেখতে একাধিক ডিকয় (ভুয়ো) গাড়িও রাখা হয়েছে। ফলে, কোন গাড়ি করে, কোন রুট দিয়ে রানাকে নিয়ে যাওয়া হবে, তা একেবারে গোপন রাখছেন গোয়েন্দারা।

    আজই এনআইএ আদালতে রানা

    বৃহস্পতিবার ভারতে পা রাখা মাত্রই তাঁকে তোলা হবে এনআইএ-এর বিশেষ আদালতে। আর ওই বিশেষ আদালতে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের যেন অভাব না হয়, সেই কারণে আগেভাগেই মুম্বই হামলা ও তাহাউরের যোগসাজোশ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কেস ফাইল ও রের্কড করা বয়ান আদালতে জমা দিয়েছে তদন্তকারীরা। রানাকে (Tahawwur Rana) প্রথমে এনআইএ হেফাজতে রাখা হতে পারে। সেখানেই মুম্বই হামলা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাকে। এনআইএ- হেডকোয়ার্টারে একটি সেল রানার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র ১২ জন সদস্য যেতে পারবেন। এনআইএ ডিজি সদানন্দ দত্ত, আইজি অনীশ বাতরা ও ডিআইজি জয় রায় রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।

    রানার বিচারপ্রক্রিয়া দিল্লিতে

    অহেতুক কাল বিলম্ব নয়। ভারতে পা রাখার পরই যাতে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যে রানা ভারতে পা রাখার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে সওয়াল করার জন্য বিখ্যাত আইনজীবী নরেন্দ্র মানকে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রানা ভারতে নামলে সরকারিভাবে তাঁকে গ্রেফতার করে এনআইএ। কুখ্যাত ওই জঙ্গিকে রাখা হবে দিল্লির তিহাড় জেলে। প্রাথমিকভাবে রানার জন্য দিল্লি এবং মুম্বইয়ের দুটি জেলে দুটি হাই সিকিউরিটি সেল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু রানার বিচারপ্রক্রিয়া দিল্লিতে হবে, তাই এখনই তাকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে না। পরে তদন্তের প্রয়োজনে ওই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর, রানা দিল্লিতে নামার পরই দিল্লির বিশেষ এনআইএ কোর্টে তার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। দিল্লির পাটিয়ালা হাউসের বিশেষ এনআইএ আদালতে রানাকে পেশ করা হবে। ওই বিচারপ্রক্রিয়ায় এনআইএ’র হয়ে সওয়াল করবেন বিখ্যাত আইনজীবী নরেন্দ্র মান। এর আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সিবিআই এবং এনআইএর হয়ে সওয়াল করেছেন তিনি। আগামী ৩ বছরের জন্য রানার বিরুদ্ধে সওয়াল করার জন্য মানকে নিয়োগ করেছে সরকার।

    প্রস্তুত তিহাড়

    দিল্লির তিহাড় জেলের একটি হাই-সিকিউরিটি ওয়ার্ডে তাঁকে রাখা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কারাকর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ, তবে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী। ইতিমধ্যেই জেলের ভিতরে ও বাইরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। রানাকে যে সেলে রাখা হবে সেখানে সিসিটিভি-র ব্যবস্থা রাখা হবে। থাকবে হাই অ্যালার্ট ক্যামেরা। রানার ওয়ার্ডে আরও ২ বন্দি থাকবে। তবে রানাকে কারুর সঙ্গে মিশতে, কথা বলতে দেওয়া হবে না। রানা কোন সেলে থাকবে নিরাপত্তার স্বার্থে তা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি জেল কর্তৃপক্ষ।

    দূরত্ব তৈরির চেষ্টা পাকিস্তানের

    আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরানো হল ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। এই আবহে তাহাউর প্রসঙ্গে প্রথম বিবৃতি দিল পাকিস্তান সরকার। পাক বংশোদ্ভূত তাহাউরের থেকে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। বিবৃতিতে পাকিস্তান বোঝাতে চাইছে, ভারতে প্রত্যর্পিত হওয়া তাহাউর বর্তমানে পাকিস্তানের নাগরিক নন। পাক বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “তাহাউর রানা গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানি নথিপত্র পুনর্নবীকরণ করেননি। তিনি যে কানাডার নাগরিক, তা স্পষ্ট।” বস্তুত, তাহাউরকে ভারতে আনার পরে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে তাহাউরের মুখ থেকে মুম্বই হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ভারতের জয়

    উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসতেই বড় কূটনৈতিক জয় পায় ভারত। তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ভারত-মার্কিন বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি মেনে তাঁকে দিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সিলমোহর দিয়েছিল আমেরিকার শীর্ষ আদালত। এনআইএ আধিকারিকদের হাতে বুধবার রানাকে তুলে দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও।

     

     

     

     

  • Waqf Protest in Kolkata: চাকরিহারা শিক্ষকদের মিছিলে লাঠিচার্জ! ওয়াকফের বিরোধিতায় রাস্তা-দখলে কেন চুপ করে দাঁড়িয়ে মমতার পুলিশ?

    Waqf Protest in Kolkata: চাকরিহারা শিক্ষকদের মিছিলে লাঠিচার্জ! ওয়াকফের বিরোধিতায় রাস্তা-দখলে কেন চুপ করে দাঁড়িয়ে মমতার পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অফিস টাইমে শহর কলকাতায় (Waqf Protest in Kolkata) নাভিশ্বাস নিত্যযাত্রীদের। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আজ রাস্তায় নেমেছেন বহু সংখ্যালঘু মানুষ। থুড়ি! বেলা ১০টার শিয়ালদা-মৌলালি চত্বর বলছে, বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণ নীতির ফলে এরাই এখন ‘সংখ্যাগুরু’। কলকাতা না করাচি বোঝা দায়। বাসে লাগানো পাকিস্তানের পতাকা! চৈত্রের কাঠ-ফাটা রোদে স্কুল থেকে মায়ের হাত ধরে ২ কিমি পথ হেঁটে চলেছে ছোট-ছোট ছেলে-মেয়েরা। শিয়ালদা মৌলালির মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দুধারে সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে। গন্তব্য এনআরএস হাসপাতাল। বেজে চলেছে অ্যাম্বুল্যান্সের ঘণ্টা। তবু পথ ছাড়তে নারাজ মিছিলকারীরা। রোগীর পরিবারের লোকেদের আর্তি পুলিশ কোথায়? সত্যি পুলিশ তো চোখে পড়ছে না, যে-কয়েকজন রয়েছে তারা নীরব দর্শক। চাকরিহারা শিক্ষকরা ন্যায্য দাবি জানালে তাদের উপর লাঠিচার্জ করা যায়। কিন্তু এখানে?

    অবরুদ্ধ মৌলালি চত্বর

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তীব্র যানজট শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ৷ ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে এদিন মৌলালির রামলীলা ময়দানে জমায়েত কর্মসূচি ছিল ৷ সেখানে যোগ দিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে এদিন বাস বোঝাই করে শহরমুখী বিক্ষোভকারীরা ৷ এর ফলে পার্ক সার্কাস, মৌলালি, লেনিন সরণি, এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভার প্রায় অবরুদ্ধ ৷ যান চলাচল খুব ধীরগতিতে চলছে মল্লিকবাজারমুখী সব রাস্তা, এমনকি পার্ক সার্কাসমুখী মা ফ্লাইওভারেও। লালবাজার ট্র্যাফিক বিভাগ সূত্রের খবর, কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয় সিআইটি রোড। আর তার জেরে তীব্র যানযট হয় গোটা কলকাতা জুড়ে। এদিন ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মৌলালিতে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়া ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি মিছিল যায় মৌলালির রামলীলা ময়দান পর্যন্ত। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে আয়োজক সংগঠনের বহু সদস্য উপস্থিত হয়েছেন শহরে। বাইরে থেকে বহু গাড়ি ঢুকেছে কলকাতায়। ফলে মধ্য কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে মন্থর হয়ে গিয়েছে যান চলাচলের গতি।

    গরিব মুসলিমরা কী চান!

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থেকে দুই ছেলে ও এক মেয়ের হাত ধরে কলকাতায় এসেছেন সংখ্যালঘু পরিবারের এক মহিলা। ছোট ছেলের পাঁচদিন ধরে জ্বর। শিয়ালদায় ট্রেন থেকে নেমে কোনওরকমে এগিয়ে চলেছেন এনআরএসে ডাক্তার দেখাবেন বলে। কিন্তু ভিড় ঠেলে এগোতে পারছিলেন না। তাঁর কথায়, ‘‘এসব বিল-টিল বুঝি না, গরিব মুসলিমরা সরকারের বিলের বিরোধিতা করছে না।’’ তাহলে যারা রাস্তায়, তারা কারা? তারা রাজনৈতিক মুসলিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট-ব্যাঙ্ক। উল্লেখ্য, এর আগে লোকসভায় এই ওয়াকফ বিল উপস্থাপনের দিনও দিল্লি এবং ভোপালে বহু মুসলিম মহিলাদের মোদি বন্দনা করতে দেখা গিয়েছিল।

    বাংলায় ওয়াকফের পরিমাণ

    উল্লেখ্য, ওয়াকফের অধীনে ভারতে মোট ৮.৭ লক্ষ সম্পত্তি আছে। ৯.৪ লক্ষ একর জমি নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে ওয়াকফ। যার আনুমানিক মূল্য ১.২ লক্ষ কোটি টাকা। দেশে সবচেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি আছে উত্তরপ্রদেশে (২,৩২,৫৪৭, দেশের মোট ওয়াকফ সম্পত্তির ২৭ শতাংশ)। তারপরই তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গ। রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মোট ৮০ হাজার ৫৪৮টি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। বাংলায় ওয়াকফ সম্পত্তির ওপরে রয়েছে ১৫৮টি স্কুল, ৪টি মডেল ইংলিশ মিডিয়াম মাদ্রাসা, ১৯টি মুসলিম হস্টেল, ৯টি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বীরভূমে ওয়াকফের জমির ওপরে রয়েছে একটি শপিং কমপ্লেক্সও। তবে এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ভারতে ওয়াকফের বার্ষিক আয় নাকি মাত্র ১৬৩ কোটি টাকা। এই আবহে বিজেপি ওয়াকফ সম্পত্তি পরিচালনায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। ওয়াকফ পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনতেই এই সংশোধনী বিল আনা হয়েছিল। এর ফলে উপকৃত হবে গরিব মুসলিমরা।

    পাশে মমতার সরকার

    সব ইসলামি দেশে ওয়াকফ ব্যবস্থা নেই। তুরস্ক, লিবিয়া, মিশর, সুদান, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডন, তিউনিসিয়া, ইরাকের মতো অনেক ইসলামি দেশের নাম করা যেতে পারে, যেখানে ওয়াকফ বলে কিছু নেই। কিন্তু বাংলায় মোদি বিরোধিতা না করলে দিদি-কে তুষ্ট করা যাবে না। তাই চাকরিহারা শিক্ষকদের মিছিলকে গৌণ করতেই সকাল থেকে ওয়াকফ নিয়ে পথে নেমে পড়া। তাতে বন্ধ হোক, স্কুল-কলেজ-অফিস। ব্যহত হোক চিকিৎসা পরিষেবা। প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো (Mamata Banerjee) বলেছেন, “দিদি যতদিন আছে আপনাদের সম্পত্তি সুরক্ষিত।”

    ঘুরিয়ে দেওয়া হল চাকরিহারাদের মিছিল

    এদিনই বেলা ১২টা নাগাদ শিয়ালদা থেকে শুরু হয় চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের মিছিল (SSC Jobless Rally)। কালো ব্যাজ পরে মিছিলে হাঁটেন শিক্ষাকর্মীরাও। কিন্তু ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে মিছিলের জেরে মৌলিতে তৈরি হয় প্রবল যানজট। যানজটের জেরে বদলে দেওয়া হয় মিছিলের রুট। চাকরিহারাদের মিছিলের রুট পরিবর্তন করে দেয় পুলিশ। কোলে মার্কেট হয়ে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ দিয়ে কলেজ স্ট্রিট হয়ে ধর্মতলা যান চাকরিহারারা। যোগ্য চাকরিহারাদের বিচার চাই। মিরর ইমেজ প্রকাশ করুক এসএসসি (SSC)’। ওএমআর-এর মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হোক’, বুধবারের ঘটনায় পুলিশমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। মিছিল থেকে দাবি চাকরিহারাদের। কিন্তু তিনি তো চাকরিহারাদের পাশে নেই। ব্যস্ত রয়েছেন তাঁর ভোট-ব্যঙ্ক গোছাতে।

  • Olympics 2028: ১২৮ বছর পরে অলিম্পিক্সে ফিরছে ক্রিকেট! টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলবে ৬ দেশ

    Olympics 2028: ১২৮ বছর পরে অলিম্পিক্সে ফিরছে ক্রিকেট! টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলবে ৬ দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সে (Olympics 2028) একবারই জায়গা পেয়েছিল ক্রিকেট। ১৯০০ সালে। প্যারিস অলিম্পিক্সে খেলা হয়েছিল ক্রিকেট। তার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ১২৮ বছর। ফের একবার অলিম্পিক গেমসের আসরে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছে ‘জেন্টলম্যান্স গেম’। ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সের আসরে দেখা যাবে ক্রিকেটকে। বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটি (আইওসি) জানিয়েছে, ছ’টি দেশ অংশগ্রহণ করবে ক্রিকেটে (Cricket)। জানা যায়, ১৯০০ সালের অলিম্পিক্সে ছিল ক্রিকেট। সেবছর মাত্র একটি ম্যাচই খেলা হয়েছিল। অলিম্পিক্সে (Olympics 2028) দীর্ঘ দিন ধরেই ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছিল আইসিসি। অবশেষে তা সফল হল।

    ছটি দল খেলবে ক্রিকেট, কীভাবে যোগ্যতা অর্জন?

    প্রসঙ্গত, ছ’টি দল অলিম্পিক্সে (Olympics 2028) খেলবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। পুরুষ এবং মহিলা, দুই বিভাগের ক্ষেত্রেই এই সংখ্যা একই থাকছে। জানা যাচ্ছে, প্রতিটি দলে থাকতে পারেন সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্য। আইসিসির অধীনে এই মুহূর্তে ১২টি দেশ পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পায়। আরও ৯৪টি দেশ সহযোগী সদস্য হিসেবে অংশ গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তবে যোগ্যতা অর্জন কী ভাবে হবে তা নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সারা বছর ধরেই চলে বিভিন্ন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এই আবহে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জনকারী টুর্নামেন্ট আয়োজন করা কঠিন। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আইসিসি ব়্যাঙ্কিংকেই যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। অনেকের মতে, এক্ষেত্রে আয়োজক হিসেবে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে পারে আমেরিকা।

    কমছে ফুটবলের দেশের সংখ্যা

    ক্রিকেট (Cricket) যেমন ১২৮ বছর ফিরছে একইসঙ্গে ফুটবলে দেশের সংখ্যা কমছে বলেও জানিয়েছে অলিম্পিক্স (Olympics 2028) কর্তৃপক্ষ। পুরুষদের ফুটবলে এত দিন পর্যন্ত ১৬টি দেশ খেলত। তবে বর্তমান তা কমে হচ্ছে ১২। অন্যদিকে মহিলাদের ফুটবলে দেশের সংখ্যা বেড়েছে। ১৬টি দেশ এ বার থেকে অংশ নিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিকে, এবছরের অলিম্পিক্সে কম্পাউন্ড তিরন্দাজি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’’, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত

    Bangladesh Crisis: ‘‘এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’’, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে ফের সতর্ক করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাংককে বিমস্টেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের। সেই বৈঠকে পড়শি দেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় ভারত (New Delhi) যে উদ্বিগ্ন, ইউনূসকে তা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার বিকেলে এ ব্যাপারে ফের একবার ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আগেও বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা কথা হয়েছে ভারতের। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হয়, তাঁদের ওপর যে নির্মমতার অভিযোগ উঠে আসে, তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে বাংলাদেশকে।

    বাংলাদেশ পুলিশের দাবি (Bangladesh Crisis)

    গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছিল, সে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের সিংহভাগ ঘটনাই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে। পরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছিল, গত ৫ অগাস্ট থেকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে ২ হাজার ৩৭৪টি। তার মধ্যে ১ হাজার ২৫৪টি অভিযোগ যাচাই করে দেখেছে পুলিশ। যাচাই করা অভিযোগগুলির ৯৮ শতাংশই রাজনৈতিক কারণে বলে দাবি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তবে এদিন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে দেখিয়ে বা সংবাদমাধ্যমের অতিরঞ্জিত বলে ঘটনাগুলিকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

    কী বললেন রণধীর জয়সওয়াল

    রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনাগুলিকে কখনও রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে বা সংবাদ মাধ্যমের অতিরঞ্জিত, এসব বলে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এই ধরনের নৃশংসতায় যারা অভিযুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পদক্ষেপ করবে বলে আমরা আশা করি।” প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে ভারতের প্রতিবেশী এই দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারকে আগেও বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছে ভারত। যদিও ইউনূস প্রশাসন বিভিন্ন সময় জানিয়ে দিয়েছে, সে দেশে সংখ্যালঘুরা নিরাপদেই রয়েছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভিন দেশের মন্তব্য (New Delhi) যে তাদের না-পসন্দ, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিল ইউনূস সরকার (Bangladesh Crisis)।

  • SSC Scam: মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে এসএসসি দফতরের সামনে অনশন শুরু চাকরিহারাদের একাংশের

    SSC Scam: মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে এসএসসি দফতরের সামনে অনশন শুরু চাকরিহারাদের একাংশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিহারাদের একাংশ গতকাল বুধবার থেকে এসএসসি দফতরের সামনে অবস্থান শুরু করেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন। বেলা ১১টা থেকেই শুরু হয়েছে অনশন। জানা যাচ্ছে, আপাতত চার শিক্ষক অনশনে বসেছেন। চাকরিহারাদের সাফ কথা, এসএসসি-কে মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে ‘এসএসসি ২০১৬ প্যানেলের বৈধ চাকরিহারা সমাজ’ মঞ্চের তরফে সুমন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা আগেও বলেছি, আত্মত্যাগের জন্য আমরা প্রস্তুত। তাই আমরা লাগাতার অনশন শুরু করতে চলেছি। আপনারা আসুন, সহযোগিতা করুন।’’

    মিরর ইমেজ প্রকাশ না করা পর্যন্ত চলবে অনশন

    বুধবারই কসবার ডিআই অফিস অভিযানে শিক্ষকদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে পুলিশের। লাঠি থেকে লাথি, চড়-ঘুষি কিছুই বাদ যায়নি। চাকরিহারাদের বক্তব্য, এসএসসি বলেছে যে তাদের কাছে মিরর ইমেজ আছে, আর তারা তা প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু কবে তা প্রকাশিত হবে সেনিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। তাই যতদিন না পর্যন্ত মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হচ্ছে, ততদিন অনশন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারারা। এদিকে আজ বৃহস্পতিবারই কসবা কাণ্ডে চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কসবা ডিআই-র করা অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে, অপরটি কসবা থানার পুলিশের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে কারও নামে অভিযোগ দায়ের হয়নি। অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

    শনিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি অভিজিতের

    চাকরিহারাদের অন্য একটি একটা অংশ ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’ এদিনই পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এবং যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে শহরে মিছিলের ডাক দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবারই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসএসসি দফতরে গিয়েছিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। সেখানে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করার পর এসএসসিকে ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশের জন্য দু’দিন সময় দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যথায় শনিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

  • Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার আগে তাহাউর রানাকে ২৩১ বার ফোন করেন ডেভিড হেডলি! বলছে এনআইএ

    Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার আগে তাহাউর রানাকে ২৩১ বার ফোন করেন ডেভিড হেডলি! বলছে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি-আমেরিকান জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলি ২০০৮ সালের মুম্বই জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর হুসেন রানার (Tahawwur Rana) সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ২৬/১১ হামলার আগে তিনি ভারতে এসেছিলেন সব মিলিয়ে আটবার। এই সময় তিনি রানাকে ফোন করেছিলেন মোট ২৩১ বার।

    দ্বিশতাধিকবার ফোন (Tahawwur Rana)

    ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতে প্রথমবারের মতো রেইকি করার সময় ডেভিড হেডলি রানাকে ৩২ বারেরও বেশি বার ফোন করেছিলেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয় নাগরিক রানা, কাজ করতেন পাক সেনায়। তিনি ছিলেন ডাক্তার। ২৬/১১ হামলার অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হেডলির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৬ জন (Mumbai Terror Attack)। হেডলি তাঁর দ্বিতীয়বার ভারত সফরে রানাকে ২৩ বার ফোন করেছিলেন। তৃতীয়বার সফরের সময় ফোন করা হয়েছিল ৪০ বার। পঞ্চমবার সফরের সময় ফোন হয়েছিল ৩৭ বার। ষষ্ঠ ও অষ্টমবারের সফরে ফোন করা হয়েছিল যথাক্রমে ৩৩ ও ৬৬ বার।

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    ট্রাম্পের আমন্ত্রণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় মোদির পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার সরকার ভেরি এভিল (খুব দুষ্টু) রানার প্রত্যর্পণ অনুমোদন করেছে। তিনি এও বলেছিলেন, “বিশ্বের অন্যতম শত্রু, যিনি ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় জড়িত, তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ট্রাম্পের এই বক্তব্যের দু’মাসের মধ্যেই ২৬/১১ হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ভারতে পৌঁছাবেন। জানা গিয়েছে, হেডলির জন্য ভিসা জোগাড় করা থেকে শুরু করে তাঁর ঘন ঘন ভারত সফরের সময় তাঁকে শনাক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা পর্যন্ত সব চেষ্টাই করেছেন রানা। এনআইএ-এর মামলায় এর বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। নথিগুলি থেকে জানা গিয়েছে, রানা কীভাবে হেডলিকে ভারতে থাকার ব্যবস্থা করতে এবং জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য জায়গা বাছাই করতে সাহায্য করেছিলেন। রানা ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলা চালানোর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য ডেভিড হেডলি ও অন্যান্য সহ-ষড়যন্ত্রকারীদেরকে লজিস্টিক্যাল, আর্থিক এবং অন্যান্য সাহায্য দিয়েছিলেন।

    ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা

    তাহাউর রানা ডেভিড হেডলি, আবদুর রহমান হাশিম সৈয়দ এবং ইলিয়াস কাশ্মীরির সঙ্গে ভারতের ভবিষ্যৎ হামলার পরিকল্পনাও ছকে ফেলেছিলেন। তার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। মুম্বই হামলার আগে ডেভিড হেডলির প্ররোচনায় তাহাউর দুবাইতে আবদুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন (Tahawwur Rana)। ২০০৫ সালের শুরুতে, ডেভিড হেডলি লস্কর-ই-তৈবা (LeT) এবং হুজির (HUJI) নির্দেশে ভারতের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে নরমেধ যজ্ঞ ও সম্পত্তি ধ্বংসের উদ্দেশ্যেও একটি ষড়যন্ত্র করেছিলেন। লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সৈয়দ ডেভিড হেডলিকে ভারত ঘুরে জঙ্গি হামলার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন (Mumbai Terror Attack)। সৈয়দ আরও নির্দেশ দিয়েছিলেন, ডেভিড হেডলি তাহাউরের সাহায্য নেবেন এবং তাঁর সফরের প্রকৃত উদ্দেশ্য গোপন রাখতে তাঁর যোগাযোগের মাধ্যমগুলি ব্যবহার করবেন।

    ষড়যন্ত্রের নীল নকশা

    ২০০৬ সালের জুন মাসে ডেভিড হেডলি শিকাগো গিয়ে তাহাউরের সঙ্গে পুরো ষড়যন্ত্রের নীল নকশা ছকে ফেলেছিলেন। ডেভিড হেডলি তাহাউরের সাহায্য নিয়েছিলেন এবং লস্কর-ই-তৈবার দেওয়া দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁর ইমিগ্রেশন ফার্ম ‘ফার্স্ট ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’-কে কভার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। ২০০৬ সালের ৩০ জুন তাহাউর রানার সক্রিয় সমর্থনে ডেভিড হেডলি মুম্বইয়ে ‘ইমিগ্র্যান্ট ল সেন্টার, শিকাগো’র একটি শাখা অফিস স্থাপনের উদ্দেশ্যে ভারতের কাছে মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসার আবেদন করেছিলেন। ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ডেভিড হেডলি মুম্বইয়ে পৌঁছেছিলেন। তাঁকে রিসিভ করেছিলেন তাহাউরের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি।

    হেডলির জন্য অভ্যর্থনা

    তাহাউর ওই ব্যক্তিকে ডেভিড হেডলির জন্য অভ্যর্থনা, যাতায়াত, থাকার ব্যবস্থা এবং অফিস-সহ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাহাউরের পরিচিত ওই ব্যক্তি প্রথমে হেডলিকে মুম্বইয়ের হোটেল আউট্রামে রাখেন। পরে তিনি আর একজন পরিচিতির বাড়িতে পেইং গেস্ট হিসেবে থাকতে শুরু করেন। ২০০৭ সালের জুন মাসে তাহাউরের সাহায্যে ডেভিড হেডলি তাঁর ভারতীয় ভিসা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে তাঁকে দশ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা এক্সটেনশন দেওয়া হয়। তাহাউরের হস্তক্ষেপে ভিসা এক্সটেনশনের প্রক্রিয়াটি অনায়াস হয়েছিল (Tahawwur Rana)।

    নিয়মিত যোগাযোগ

    ডেভিড হেডলি এবং তাহাউর ভারত সফরের সময় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। যখন ডেভিড হেডলি মার্কিন (Mumbai Terror Attack) যুক্তরাষ্ট্রে তাহাউরের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তাঁরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। যেহেতু রানা একজন সেনা ডিজার্টার ছিলেন, তাই ডেভিড হেডলি তাঁকে মেজর ইকবালের মাধ্যমে সাহায্যের আশ্বাস দেন। ২৬/১১ হামলার ঠিক আগে ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে তাহাউর ফের ভারত সফরে আসেন। তাঁর এই সফর বেশ কয়েকজন লস্কর-ই-তৈবার সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ করে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল। তাঁর ভারতে থাকাকালীন সময়ে, তাহাউর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছিলেন, যার মধ্যে ছিল হাপুড়, দিল্লি, আগ্রা, কোচিন, আহমেদাবাদ, মুম্বই প্রভৃতি জনবহুল শহর।

    প্ররোচনায় লস্কর-ই-তৈবা

    ডেভিড হেডলি এবং তাহাউরের সক্রিয় সাহায্য ও প্ররোচনায় লস্কর-ই-তৈবা ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে নাশকতা চালাতে পেরেছিল (Tahawwur Rana)। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সম্প্রতি আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রানা। সেই আবেদন নাকচ করে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (Mumbai Terror Attack) সুপ্রিম কোর্ট। বছর চৌষট্টির রানা অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে মার্কিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টসের বেঞ্চে গত ৪ এপ্রিল রানার আবেদন বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সোমবারই জানানো হয়েছে, সেই আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। তাঁকে ভারতে ফেরাতে আমেরিকা পৌঁছে গিয়েছে এনআইএর একটি দল।

    তিহাড় জেলে ঠাঁই!

    জানা গিয়েছে, ভারতে পৌছনোর পর তিহাড় জেলের চূড়ান্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে একটি ওয়ার্ডে রাখা হতে পারে রানাকে। তাঁকে ভারতে নিয়ে আসার আগেই জেলে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে বলেও খবর। তাঁকে সম্ভবত কয়েক সপ্তাহের জন্য এনআইএর হেফাজতে রাখা হবে। এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তারা যাবতীয় ব্যবস্থা করে ফেলেছেন বলে খবর (Tahawwur Rana)।

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ১০ জন পাক জঙ্গির একটি দল আরব সাগর দিয়ে মুম্বইয়ে ঢোকে। এরপর একটি রেলস্টেশন, দুটি বিলাসবহুল হোটেল এবং একটি ইহুদি কেন্দ্রে একযোগে হামলা চালায় তারা। হামলা চলে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে। মৃত্যু হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬৬ জন নাগরিকের। এই হামলারই মাস্টারমাইন্ড ছিলেন ডেভিড হেডলি। তাঁকে বিভিন্ন তথ্য ও নথি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তাহাউর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বন্দি ছিলেন মার্কিন জেলে (Mumbai Terror Attack)। বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর শেষমেশ তাঁকে ফেরানো হচ্ছে ভারতে (Tahawwur Rana)।

  • Supreme Court: ত্রিপুরায় চাকরির প্যানেল বাতিলের মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের, বাংলায়ও কি পালাবদল আসন্ন?

    Supreme Court: ত্রিপুরায় চাকরির প্যানেল বাতিলের মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের, বাংলায়ও কি পালাবদল আসন্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে চাকরি হারিয়েছিলেন ১০ হাজার ৩২৩ জন। তার জেরে কুর্সি খোয়াতে হয়েছিল ত্রিপুরার (Tripura) বাম সরকারকে। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক সরকার। কেলেঙ্কারি হয়েছিল তাঁর আমলেই, দু’দফায়। তারই মাশুল গুণতে হয়েছিল বামেদের। পরের বছর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যায় বামেরা।

    দুর্নীতির পাঁকে আকণ্ঠ ডুবে তৃণমূল! (Supreme Court)

    পশ্চিমবঙ্গেও সেই দুর্নীতির গন্ধ। যে পাঁকে আকণ্ঠ ডুবে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার। গরু পাচার, বালি পাচার, এসএসসিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারি – একের পর এক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের কেষ্ট-বিষ্টুদের। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ‘ঢাকি সমেত’ বিসর্জন হয়ে গিয়েছে ২৬ হাজার চাকরি। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। গদি খোয়ানোর আশঙ্কায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসে দেশের শীর্ষ আদালতকে যা-নয়-তা-ই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কয়েকজন তাঁবেদারও আস্থা হারিয়েছেন দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর! রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কেলেঙ্কারির জেরে গদিচ্যুত হতে হয়েছিল ত্রিপুরার বাম সরকারকে, সেই একই ‘পাপে’ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা হারাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। আর যদি তা হয় তাহলে দেশের আর কোথাওই অস্তিস্ত্ব থাকবে না তৃণমূলের।

    ত্রিপুরায় পালাবদল

    ‘শিবের গীত’ বন্ধ করে ফেরা যাক খবরে। ত্রিপুরায় তখন বাম শাসন। রাজ্যের যে দিকেই চোখ যায়, সর্বত্রই লালে লাল। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে সিপিএমের মানিক সরকার। ২০১০ ও ২০১৩ সালে দু’দফায় স্কুল শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক পদে ১০ হাজার ৩২৩ জনকে নিয়োগ করেছিল মানিকের সরকার। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ওই নিয়োগ নিয়ে মামলা হয় ত্রিপুরা হাইকোর্টে। গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে (Tripura) সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ত্রিপুরার বাম সরকার। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখে হাইকোর্টের রায়ই। তার পরের বছরই ছিল ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটেই কার্যত ত্রিপুরা থেকে মুছে যায় বামেরা। লাল রং বদলে ত্রিপুরা হয়ে যায় পদ্মময়। সরকার গঠন করে বিজেপি।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি

    প্রসঙ্গত, ২০১০-’১৩ সালের মধ্যে কেবল মৌখিক (Supreme Court) পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে নিয়োগ করেছিল ত্রিপুরার তৎকালীন বাম সরকার। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কয়েকজন প্রার্থী হাইকোর্টে যান। রায় দিতে গিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি স্বপন দেবনাথের ডিভিশন বেঞ্চ সামগ্রিক নিয়োগ পদ্ধতিকেই অবৈধ ঘোষণা করে নতুন ও স্বচ্ছ পদ্ধতি তৈরি করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্ট এও জানিয়েছিল, নিয়োগ করতে হবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ভিত্তিতে।

    তৃণমূলের লাফালাফি

    ত্রিপুরা হাইকোর্টের সেই রায়ের পর লাফালাফি করতে শুরু করে দেয় তৃণমূল। সর্বভারতীয় দল হওয়ার লক্ষ্যে তখন ত্রিপুরায় পায়ের নীচে মাটি খুঁজে বেড়াচ্ছে তৃণমূল। সেরকম একটা সময়ে চাকরি বাতিলের মতো একটা হাতিয়ার হাতে পেয়ে যারপরনাই উল্লিসিত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের তৎকালীন (Tripura) চেয়ারম্যান বলেছিলেন, “ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। রাজ্যে শিক্ষা দফতরের নিয়োগ নীতি আদতে শাসক দলের দুর্নীতিকে এতদিন ধরে প্রশ্রয় দিয়েছে। আজ আদালতে সেটাই প্রমাণিত হল।”

    বাংলায় মুখ আমশি!

    ত্রিপুরায় একলপ্তে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলে হওয়ার পর তৃণমূল যেমন উল্লসিত হয়েছিল, তেমনি বাংলায় ২৬ হাজারের চাকরি যেতে মুখ আমশি হয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের! ত্রিপুরার ক্ষেত্রে তারা বলেছিল, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আর বাংলায় তারা বিজেপি এবং আলাদতের ‘ষড়যন্ত্রের’ (ষড়যন্ত্র শব্দটি অবশ্য উল্লেখ করেননি তৃণমূল নেতারা, তবে তাঁদের আকার-ইঙ্গিতে তেমনই অনুযোগের জল্পনা) গন্ধ পাচ্ছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী চাকরি হারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করেছিলেন। সেখানে ‘আমরা যোগ্য’ লেখা কার্ড ঝুলিয়ে অনেককে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। সেই সভায় তিনি এবং তাঁর স্তাবকদের দল কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করেন এবং আদালতের নির্দেশের সমালোচনা করেন বলে অভিযোগ।

    কাজ করতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক বিরোধিতা!

    উত্তর-পূর্বের (Supreme Court) পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের দাবি, তাঁদের রাজ্যে বাম সরকার পতনে যেভাবে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিল ১০ হাজার ৩২৩ জনের চাকরি বাতিল, সেই একই ঘটনা ঘটবে তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গেও। ত্রিপুরা বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “বাংলা আর ত্রিপুরার মাটি আলাদা।” তবে একটা মৌলিক মিল রয়েছে। তা হল, দুই রাজ্যেই দীর্ঘ বামশাসনের পরে মানুষ সরকার বদলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূল যেভাবে দুর্নীতি করেছে, তাতে মানুষের ক্ষোভ হিমালয়সমান জায়গায় পৌঁছেছে। চাকরি বাতিল-সহ যা যা হচ্ছে, তাতে সামনের ভোটে তাদের বিদায় আসন্ন।”

    কী বলছেন ত্রিপুরার বাম নেতা?

    ত্রিপুরার (Tripura) বাম সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ভানুলাল সাহা আবার ত্রিপুরার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিষয়টিকে এক করে দেখতে চাননি। তিনি বলেন, “ত্রিপুরা আর বাংলার বিষয়ের মধ্যে ফারাক রয়েছে। আমাদের রাজ্যে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি হয়েছিল। কিন্তু বাংলায় টাকা-পয়সার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছে। দুটো বিষয় এক নয়।” ত্রিপুরা সিপিএমের প্রবীণ নেতাদের একাংশের দাবি, শুধু চাকরি বাতিলের জন্য বাম সরকারের পতন হয়নি। দীর্ঘদিন সরকারে থাকার ফলে কাজ করেছিল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাও। বছর ঘুরলেই বাংলায়ও বিধানসভা নির্বাচন। তখন মমতা সরকারের ১৫ বছর পূর্ণ হয়ে যাবে। তাই নিদারুণ উদ্বেগে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের রায় শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে নবান্নে তলব করা হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। শিক্ষামন্ত্রী এবং সরকারি আমলাদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশ মেনেই তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন, এই মামলায় তো তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) জেলে রেখে দেওয়া হয়েছে অনেক দিন হয়ে গেল! একজনের অপরাধে কতজনের শাস্তি হয়?

    বলির পাঁঠা করা হল পার্থকে!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল সুপ্রিমোর এহেন বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বলির পাঁঠা করা হল পার্থকে? তাঁর দলের যেসব নেতা কিংবা তাঁদের (Supreme Court) নিয়োজিত এজেন্টরা টাকার বিনিময়ে চাকরি ‘বিক্রি’ করেছিলেন, পার্থকে বলি দিয়ে তাঁদের গায়ের কেলেঙ্কারির কালি মুছে ফেলতে চেয়েছেন মমতা! রাজনৈতিক মহলের অন্য অংশের মতে, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার নানা চেষ্টা করবে তৃণমূল সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতো হয়তো ‘সিভিক শিক্ষক’ও নিয়োগ করে ফেলতে পারে মমতার সরকার! কিংবা ‘শ্রী’যুক্ত কোনও ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে পারে রাজ্য সরকার। মোট কথা, যেন-তেন প্রকারে ফের ক্ষমতায় ফিরতে চাইবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। একবার ক্ষমতায় আসার পর যে ‘রসে’র সন্ধান পেয়েছেন তৃণমূল নেতারা, সেই রসের ভাগ যাতে দীর্ঘদিন ঝোলায় পড়ে, সেই ব্যবস্থা করতে প্রাণপাত করবেন তৃণমূল নেতারা।

    তবে গণতন্ত্রে তো (Supreme Court) শেষ কথা বলে জনতা জনার্দন। তারা কী বলে, সেটাই দেখার (Tripura)!

LinkedIn
Share