Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Bengal Economy: আর্থিক মাপকাঠিতে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বাংলা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    Bengal Economy: আর্থিক মাপকাঠিতে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে বাংলা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে ভালো নেই বাংলা! আর্থিক মাপকাঠিতে অন্য রাজ্যের তুলনায় ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ (Bengal Economy)। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের (PM-EAC Report) প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পশ্চিম ভারত ও দক্ষিণের রাজ্যগুলি যখন অর্থনীতির দিক দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে, তখন পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে।

    অর্থনীতির বেহাল দশা (Bengal Economy) 

    বঙ্গ অর্থনীতির এই হাঁড়ির হাল কেবল তৃণমূলের জমানায়ই হয়নি। বাম আমলেরও একটা বড় সময়ে এই ‘ক্ষয়’ শুরু হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ১৯৬০-৬১ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপিতে পশ্চিমবঙ্গের অবদান ছিল ১০ শতাংশের বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে (PM-EAC Report) দেশের জিডিপিতে পশ্চিমবঙ্গের অবদান মাত্রই ৫ শতাংশের ঘরে (Bengal Economy)। এক সময় অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় ঢের পিছিয়ে ছিল বিহার। গত দু’দশকে কিছুটা থিতু হয়েছে। পিছিয়ে ছিল আর এক পড়শি রাজ্য ওড়িশা। তারা বরাবর পিছিয়ে থাকলেও, সম্প্রতি যথেষ্ট উন্নতি করেছে। ব্যতিক্রম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ। এক সময় এগিয়ে থাকলেও, এখন ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে।

    কী বলছে রিপোর্ট (PM-EAC Report)?

    রিপোর্টটি তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অর্থনীতিবিদ সঞ্জীব স্যান্যাল এবং যুগ্ম অধিকর্তা আকাঙ্খা অরোরা। তাতে বলা হয়েছে, ১৯৬০-৬১ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের মাথাপিছু আয় জাতীয় গড় আয়ের চেয়ে বেশি। মাথাপিছু আয়ের এই অবস্থা ধরে রাখতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ (Bengal Economy)। সময় বদলেছে, বদলেছে শাসকও। তবে বদলায়নি মাথাপিছু আয়। বরং তা ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু (PM-EAC Report)। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের মাথা পিছু আয় কমে গিয়েছে রাজস্থান, ওড়িশার মতো পিছিয়ে পড়া রাজ্যের তুলনায়ও। ছয়ের দশকে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং বিহার থেকে জিডিপি হত ৫৪ শতাংশ। শিল্পের দিক থেকে এগিয়ে ছিল মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ু। মহারাষ্ট্র সাফল্য ধরে রাখলেও, শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের ভাগ ক্রমশ কমেছে। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারতের অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় ব্যাপক উন্নতি করেছে তামিলনাড়ু।

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে প্রথম দফা নির্বাচন নির্বিঘ্নেই, ভোট পড়ল ৫৮ শতাংশ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলার এই পিছিয়ে পড়ার (Bengal Economy) অন্যতম একটি কারণ হল রাজ্যের হা-শিল্প দশা। শিল্প না থাকায় চাকরি-বাকরিও নেই (PM-EAC Report)। ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে চলছে খয়রাতির রাজনীতি। সব মিলিয়ে অর্থনীতির জটিল আবর্তে ঘুরছে বঙ্গ অর্থনীতির চাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flood Situation: ‘‘উনি এসে টাটা-বাইবাই করে চলে গেলেন’’, মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দুর্গতরা

    Flood Situation: ‘‘উনি এসে টাটা-বাইবাই করে চলে গেলেন’’, মমতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দুর্গতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটানা বৃষ্টিতে পুজোর আগে বন্যা (Flood Situation) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হুগলিতে। জলের পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে ডুবেছে রাস্তা। ডুবেছে বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষভূমি। হুগলির আরামবাগ, পুড়শুড়া, খানাকুল— যেদিকে তাকানো যায় সব দিকে একই পরিস্থিতি। খতিয়ে দেখতে বুধবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানুষের মনের ক্ষোভ আঁচ ভালোমতো টের পেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। দুর্গতরা মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সামনেই ক্ষোভ উগড়ে দেন।

    মমতার সামনেই ক্ষোভ জানালেন দুর্গতরা (Flood Situation)

    এদিন, বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) সরজমিনে খতিয়ে দেখতে জেলা সফরে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে পুড়শুড়া পৌঁছন তিনি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানেই কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই নিজেদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রীকে একজন বলেন, “একটা ত্রিপল পর্যন্ত আসেনি। খাবার পর্যন্ত আসেনি।” আরও এক মহিলা বলেন, “আমরা প্রতিবছর বন্যায় ভুগি।” উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি জানি। জল ছাড়ছে তো।’’ মমতা এলাকা ছাড়তেই বিক্ষোভ শুরু হয় বন্যা দুর্গতদের।

    গোপাল জানা নামে এক ব্যক্তি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি। ওই ব্যক্তি বললেন, ‘‘মাইকে অঞ্চল থেকে হেঁকে যাচ্ছেন, উঁচু জায়গায় ঠাঁই নাও। কিন্তু যাবটা কোথায়? একটা ত্রিপল নেই, কিচ্ছু নেই। দিদি এলেন। নামলেন। সব মহিলাদের সঙ্গে কথা কি বলেছেন? আর নেতাগুলো একবার আসে।” আরও এক মহিলা অভিযোগ করে বললেন, ‘‘উনি যে এলেন একবার দাঁড়িয়ে অন্তত দেখতে পারতেন। উনি সাহায্য করবেন না? নাকি আমরা হড়কা বানে ভেসে যাব। বাঁধটা অন্তত ঠিক করে দিন। উনি এলেন আর টাটা-বাইবাই করে চলে গেলেন।’’ এলাকার আরও এক মহিলা বলেন, ‘‘এসে দাঁড়িয়ে তো দেখতে হবে? জোর হাত করে এসে চলে গেলে হবে?’’

    আরও পড়ুন: সব দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে আন্দোলন, গভীর রাতে ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের

    খোঁজ নেয়নি কেউ, ক্ষোভ জানালেন জলমগ্ন বাসিন্দারা

    হুগলির পাশাপাশি বন্যা-পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরেও। ঘাটালের চন্দ্রকোণার শিলাবতী নদীর জল বিপদ সীমা ছাড়িয়েছে। নদীর জল (Flood Situation) গ্রামের অলিতে-গলিতে বাড়িতে কড়া নাড়ছে। বাড়ির উঠোন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে নদীর জল। ডুবেছে বাড়ির উঠোনে থাকা রান্না করার উনুন। বন্ধ দু’বেলার রান্না। গ্রামের মহিলা থেকে পুরুষ সবাই নিজের নিজের উঠোনে মাটির বাঁধ দিয়ে বাড়ির ভিতর বন্যার জল প্রবেশ আটকাতে হিমশিম খাচ্ছে। ইতিমধ্যে জলের চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি মাটির বাড়ি। যে হারে নদীর জল গ্রামে প্রবেশ করছে, তাতে বসতবাড়ি রক্ষা হবে কি না, পরিবারের সদস্যদের কোথায় ঠাঁই হবে, এনিয়ে দুশ্চিন্তায় খাওয়া-দাওয়া থেকে রাতের ঘুম উড়েছে চন্দ্রকোনার ভবানীপুর গ্রামের ২০০টি পরিবারের। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন জলবন্দি বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামে এহেন পরিস্থিতিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে প্রশাসনে জানিয়েও কেউ খোঁজ নেয়নি। জানা গিয়েছে, কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমি জলের তলায় রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মৃত্যু নার্সিংহোমে তাও নাম উঠল মমতার তালিকায়! জুনিয়র ডাক্তারদের বদনামের চেষ্টা?

    Bankura: মৃত্যু নার্সিংহোমে তাও নাম উঠল মমতার তালিকায়! জুনিয়র ডাক্তারদের বদনামের চেষ্টা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা গত একমাসের বেশি সময় ধরে ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তৃণমূল সরকারের একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা চিকিৎসা না পেয়ে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন। ইতিমধ্যে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হওয়া বেশ কিছু নাম প্রকাশ করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে বাঁকুড়ার (Bankura) এক মৃতের পরিবার জানিয়েছে, হাসপাতালে মৃত্যু হয়নি তাঁদের রোগীর, নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতলে ভর্তি থাকার সময় ঠিক ভাবেই পরিষেবা পেয়েছিলেন। তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, রাজ্য সরকারের এই মৃতের তালিকা প্রকাশ আদতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বদনাম করার কৌশল নয় তো? অন্তত এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    আন্দোলনকে ভাঙার কৌশল (Bankura)!

    গত ৯ অগাস্ট আরজি করে অভয়াকে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। সুবিচারের দাবিতে ঘটনার পর থেকে টানা প্রতিবাদে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চলছে লাগাতার কর্মবিরতি। আন্দোলনকে তুলে দিতে নানা সময়ে নানা কৌশল অবলম্বন করছে তৃণমূল সরকার। হাসপাতলে ঠিক করে পরিষেবা না দেওয়ার কথা দাবি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এমন কী যেসব রোগীর মৃত্যু হয়েছে তাঁদের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় নাম রয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) শিবু মালাকারের। তবে কীভাবে এই রোগীর নাম তালিকায় এসেছে, তা নিয়ে হতবাক মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুর দায় বিষয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যাপকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, “সিনিয়র ডাক্তাররা সবসময় পরিষেবা দিচ্ছেন। দরকার হলে আমরাও আন-অফিসিয়ালি গিয়ে কাজ করছি। চিকিৎসার কোনও গাফিলতি হয়নি। ন্যায়-বিচারের আন্দোলনকে বদনাম করা হচ্ছে।”

    হাসপাতালে চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি

    বাঁকুড়ার (Bankura) ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা শিবু মালাকার পেশায় ছিলেন একজন শ্রমিক। তিনি মাল বহন করতেন। গত ১১ অগাস্ট সিভিয়ার ব্রেইন স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। প্রথমে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় কিন্তু পরে তাঁকে নিকটবর্তী নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ২২ অগাস্ট শিবুর মৃত্যু হয়।

    মৃত শিবুর স্ত্রী সুমিত্রা মালাকার বলেন, “নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল এবং সেখানেই মৃত্যু হয় স্বামীর। হাসপাতালে চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। সরকার এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়নি। আমরা গরিব মানুষ। সরকার যদি দেয়, তাহলে টাকা নেব।”

    আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে চলছে ‘মাফিয়া রাজ’, সিবিআই চেয়ে রাজ্যকে চিঠি রাজ্যপালের

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    উল্লেখ্য পরিবারের পক্ষ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসায় গাফিলতির কথা অস্বীকার করলেও স্থানীয় (Bankura) তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ আজিজুল হাসপাতালে গাফিলতির কথা বলেন। তিনি বলেন, “শিবুকে ঠিকমতো পরিষেবা দেওয়া হয়নি।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: মমতার পদত্যাগ-বিনীতের গ্রেফতারি চেয়ে আন্দোলনে বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব শুভেন্দু-সুকান্ত

    BJP: মমতার পদত্যাগ-বিনীতের গ্রেফতারি চেয়ে আন্দোলনে বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব শুভেন্দু-সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতার বিচার চায় বিজেপি (BJP)। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ ও কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়ালের গ্রেফতারিও চায়। এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্যাতিতার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলনেই থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    সরকারি মদতেই খুন! (BJP)

    এদিন ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, প্রথম দিন থেকেই নির্যাতিতার বিচার চেয়ে নিঃস্বার্থভাবেই জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে রয়েছে বিজেপি (BJP)। প্রথম দিন থেকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপিই প্রথম রাজ্যপালের কাছে সিবিআই তদন্তের আবেদন করেছিল। এমনকী, কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতিরও কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি করে বিজেপি। তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি মদতে এই খুন হয়েছে। পুলিশমন্ত্রী সরাসরি যুক্ত বলেও এদিন দাবি করেছে বিজেপি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘টালা থানার ওসির গ্রেফতারি প্রমাণ করে দিল যে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এখন মিথ্যার পর মিথ্যা কথা বলেছেন। টালা থানার ওসির বাড়িতে সহমর্মিতা দেখানোর জন্য পুলিশ পাঠিয়েছেন যাতে সিবিআইয়ের কাছে বিনীত গোয়ালের নাম না নেন অভিজিৎ মণ্ডল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা মনে করি প্রমাণ লোপাট করার জন্য ২০ জনের টিম পাঠানো হয়েছিল। এটাও একটা তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা।’’

    আরও পড়ুন: জ্বলবে না উনুন! আজ পালিত হচ্ছে অরন্ধন উৎসব, জানুন রান্না পুজোর তাৎপর্য

    মমতার পদক্ষেপ থেকে সরকারি কর্মচারীরা শিক্ষা নিন

    শুভেন্দু (BJP) অধিকারী এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘তথ্যপ্রমাণ লোপাটে ভূমিকা পালনকারীদের জেলে পাঠানো উচিত। পৈশাচিক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া শুধুমাত্র কয়েকজন আধিকারিকের পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের রায়ে সকলেই জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছাড়া পিন থেকে হাতি, কিছুই নড়ানো যায় না।’’ ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অন্যতম দায়ী বলে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। শুভেন্দু লেখেন, ‘‘মমতার পদত্যাগও যথেষ্ট নয়। গোটা বিষয়ে তাঁর ভূমিকা নিয়েও উপযুক্ত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের বলব, এই অধ্যায় থেকে অনুগ্রহ করে শিক্ষা নিতে। কেন না সময় এলে, নিজেকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি কর্মচারীদের বলিদানের ভেড়া মনে করে ফিরেই তাকাবেন না। সে কারণে সংবিধানের বর্ণিত নির্দেশিকা, আইন মেনে ন্যায়পরায়ণ থেকেই দায়িত্ব পালন করুন।’’

    বাংলার মানুষের কাছে হেরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

    রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘শুধু জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নয়, শহর-গ্রাম-মফস্বলে যে ন্যায়বিচার চেয়ে আন্দোলন চলছে। তার চাপে পড়ে কিছু ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০ কোটি মানুষের আন্দোলনে তিনি ভয় পেয়ে পদক্ষেপ করেছেন। তবে না আঁচালে বিশ্বাস নেই।’’ সুকান্ত বলেন, ‘‘যতক্ষণ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন না হচ্ছে ততক্ষণ বিশ্বাস নেই। টালা থানার প্রাক্তন ওসি তথ্যপ্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার। বিনীত গোয়েল আগে সিবিআইয়ে ভরসা রেখেছিলেন। বলেছিলেন, সিবিআই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের প্রমাণ পেলে পদক্ষেপ করুক। ফলে তথ্যপ্রমাণ লোপাটকারীদের কাউকে সরালে হবে না। শাস্তি দিতে হবে। বিনীতকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে হবে না। তাঁকে জেলে যেতে হবে বলে মনে করি।’’ সুকান্ত আরও বলেন, ‘‘কয়েকজন স্বাস্থ্য অধিকর্তাকেও সরানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসলে তিনি বাংলার মানুষের কাছে হেরে গেলেন। ঘুণ ধরা ব্যবস্থা তিনিই তৈরি করেছেন। সরকারি কর্মচারীরা আনন্দে বলির পাঁঠা হচ্ছেন। বাংলার মানুষ বলির পাঁঠা হতে চান না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: চাপের কাছে নতিস্বীকার সরকারের, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এখনই উঠছে না

    RG Kar Incident: চাপের কাছে নতিস্বীকার সরকারের, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এখনই উঠছে না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ৩৮ দিন আন্দোলনের পর জুনিয়র ডাক্তারদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হল সরকার। আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনরত পড়ুয়া চিকিৎসকদের চাপে কার্যত মাথা নত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকে ভয় দেখিয়ে দমাতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হলেন। সোমবার গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, ডিসি নর্থকে বদলি করা হবে। সরানো হবে শিক্ষা অধিকর্তা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য অধিকর্তাকেও। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৪টের মধ্যে সরকারি নির্দেশ আসবে। সরকার বৈঠক সদর্থক বললেও, জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের তিন দাবি পূরণের কথা মুখ্যমন্ত্রী মৌখিক ভাবে বললেও ভরসা পাচ্ছেন না তাঁরা। দাবি যতক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন থেকে সরছেন না তাঁরা। 

    জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য

    তবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখের কথায় চিঁড়ে যে ভেজার নয়, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের কথায়, “যতক্ষণ না অবধি এর বাস্তবায়ন ঘটছে, ততক্ষণ অবধি আমরা আমাদের আন্দোলন, অবস্থান, কর্মবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। আগে বাস্তবায়ন হবে, সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার শুনানি হবে, তারপর আমরা প্রত্যেকটা কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা সকলে বসে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেব। তার আগে নয়।” জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, আন্দোলনের ৩৮তম দিনে এসে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনা করলেন। তাঁর কথায়, “সুপ্রিম কোর্টে যেমন মামলা চলছে, তেমনই রাজ্য সরকারের কাছেও আমাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। বারবার আমরা তাই আলোচনায় বসতে চেয়েছি। আমাদের সদিচ্ছার কোনও অভাব ছিল না। ৯ তারিখের ঘটনা ও পরবর্তী ঘটনাক্রমে বাধ্য হয়েছেন উনি বলতে যে, সিপিকে সরানো হবে। ডিসি নর্থকেও সরানোর কথা বলেন।”

    অর্ডার না বেরোনো অবধি আন্দোলন চলবে

    মুখ্যমন্ত্রী মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দের কথা বললেও জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, গণতান্ত্রিক পরিবেশ যদি না থাকে যত টাকাই দেওয়া হোক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ বলেন, “প্রথম থেকে যে স্বচ্ছতার কথা আমরা বলেছি, সেটাই আমাদের শক্তি। আজ সরকার বাধ্য হয়েছে আমাদের দাবি মেনে নিতে। তবে এখনও বহু দাবি মানা বাকি। এখনও কোনও অর্ডার বেরোয়নি। তাই অর্ডার না বেরোনো অবধি আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা কোনও আপস করতে আসিনি। আমরা বিচার চাই। সেই বিচারের দাবিতে আমাদের লড়াই চলছে চলবে।”

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে এবার ‘আকাশ দখল’, বিশ্বকর্মা পুজোয় কালো ঘুড়ি উড়িয়ে প্রতিবাদ

    দাবি এখনও অধরা

    সোমবার হল বৈঠক। পাঁচ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন। কিন্তু, সেই বৈঠকেও জুনিয়র ডাক্তারদের সব দাবি মানা হল না। আরজি কর কাণ্ডের পর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতি, থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব হন জুনিয়র ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য সচিবকে সরানোর দাবি জানান। বৈঠকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে বদল করা হবে। তবে স্বাস্থ্য সচিবকে সরানো হচ্ছে না। স্বাস্থ্য সচিবকে না সরানোয় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা যে খুশি নন, তা তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। 

    অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের পর কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। আরজি করে ঘটনার পর সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন এসএসকেএমের জুনিয়র ডাক্তার অভীক দে। তাঁকে ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সপার্ট বলেছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও ডিসি নর্থকে সরানো হলেও ডিসি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। 

    এর পরই, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা জানালেন, তাঁদের স্বাস্থ্য ভবন সাফাই অভিযান সম্পূর্ণ হয়নি। সব দাবি মানা হয়নি। ফলে, তাঁদের আন্দোলনও থামছে না। তাঁদের কর্মবিরতিতেও ছেদ পড়ছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চেও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ, আপ্লুত স্বয়ং বিচারক

    RG Kar Case: ডান্স রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চেও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ, আপ্লুত স্বয়ং বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) নিয়ে প্রতিবাদ শুধু এই রাজ্যের রাজপথেই সীমাবদ্ধ ছিল না। আমেরিকা, ইউরোপে সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষকে। নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলিউড, টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার ন্যায় বিচারের জন্য প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে দেখা গেল ‘ইন্ডিয়া’জ বেস্ট ডান্সার’-এর (India’s Best Dancer) মঞ্চে। প্রতিবাদের এই অভিনব ভাষায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেলেন বিচারকরাই।

    রিয়েলিটি শো-র মঞ্চে প্রতিবাদের ঝড় (RG Kar Case)

    ‘ইন্ডিয়া’জ বেস্ট ডান্সার’ ৪ রিয়্যালিটি শো-র মঞ্চে নাচের মাধ্যমে ধর্ষণ করে হত্যার (RG Kar Case) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরলেন। ‘জিতে হে চল’ গানে নৃত্য পরিবেশন করলেন প্রতিযোগী অর্জুন শাটে এবং কোরিওগ্রাফার পঙ্কজ থাপা। তবে দুই জনেই বাংলার কেউ নন, কিন্তু আরজি করে ঘটা পৈশাচিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন ডাক্তারকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে নিজেদের নাচের ভাষায় প্রতিবাদ তুলে ধরেন। তাঁদের পারফর্মেন্স দর্শকদের মন জয় করে ন্যায় বিচারের ঝড় তুলেছে।

    নৃত্যের মধ্যে দোষীদের শাস্তির দাবি

    এই শো-র (India’s Best Dancer) বিচারকের আসনে ছিলেন টেরেন্স, গীতা ও অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুর। প্রতিযোগীদের নাচ দেখে একেবারে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন সকলেই। এই নাচে শুধু ধর্ষণ করে খুনের মতো জঘন্যকাণ্ডের (RG Kar Case) সমালোচনাই করা হয়নি, সেই সঙ্গে দোষীদের শাস্তির কথাও বলা হয়েছে। গানের মাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘‘ছেলেদের পুরুষ হওয়ার মধ্যে দিয়ে মনুষত্বের পাঠ দিতে হবে। নারীদের প্রতি সম্মানের ভাব মনে রাখতে হবে।’’ এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। তাতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রচুর পরিমাণে দর্শক (India’s Best Dancer)।

    আরও পড়ুনঃআরজি কর-কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ, ৩০০ তরুণীকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ এবিভিপি-র

    ৫ দাফ দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা

    গত ৯ অগাস্ট থেকে আন্দোলন, বিক্ষোভ, ধর্না, মানবন্ধন করে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। সর্বত্র একটাই দাবি তিলোত্তমার বিচার চাই। জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Case) গত ৩৭ দিন ধরে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে ৫ দফা দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বার বৈঠকের কথা হলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। মমতার চায়ের আবেদন প্রত্যাখান করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার বিকেল ৫ টায় ফের একবার কালীঘাটে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি নিয়ে অনড় তাঁরা। কোনও সমাধান সূত্র বের হয় কিনা তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: বাংলাদেশের ছায়া পশ্চিমবঙ্গে! পুজোর আগেই দুর্গার মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা!

    Durga Puja: বাংলাদেশের ছায়া পশ্চিমবঙ্গে! পুজোর আগেই দুর্গার মূর্তি ভাঙল দুষ্কৃতীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গা পুজোর (Durga Puja) আগেই দেবী দুর্গা এবং অন্যান্য হিন্দু দেবতার মূর্তি ভাঙচুর (Broke idol) করেছে দুষ্কৃতীরা। মা দুর্গার মূর্তির সঙ্গে লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর মূর্তিও ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিও শেয়ার করে অমিত মালব্য বলেন, “মা দুর্গা, লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর মূর্তিগুলিকে অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয় দিয়ে পুজোর আগেই ভাঙচুর করা হয়েছে। বাংলায় হিন্দুরা সঙ্কটে রয়েছেন।” ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনা কোথায় ঘটেছে (Durga Puja)?

    বাংলায় সবথেকে বড় উৎসব হল দুর্গা পুজো (Durga Puja)। কিন্তু হিন্দুদের এই উৎসবের আগেই হুগলি জেলার ঝরিয়া গ্রামে নির্মীয়মাণ দুর্গা মূর্তিগুলিকে ভাঙচুর করা হয়েছে। মুসলমান রাষ্ট্র বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তানে এই ধরনের ঘটনা প্রায় প্রায় ঘটে থাকে। এবার পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের দেবদেবীর উপর আঘাত নেমে এল। শনিবার, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডলে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “হুগলির গোঘাট থানা এলাকায় মা দুর্গা, লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘটনার কথা জানার পরেও গোঘাট পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি। তবে পুলিশকে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সামনে মিথ্যা আশ্বাস দিলেও অপরাধীদের ধরা এবং শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনও সদর্থক ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। এই মামলাটিও অন্যান্য অগণিত মামলার মতো ধামাচাপা দেওয়া হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা সব সময় তোষণের রাজনীতি করেন। যদি আমাদের দেবদেবীরাও নিরাপদ না থাকেন, তবে বাংলার নারীরা কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন।”

    আরও পড়ুনঃ দেহ উদ্ধারের সকালে সন্দীপ-অভিজিৎ ফোনে কথা, মোক্ষম অস্ত্র সিবিআইয়ের হাতে

    ধুপগুড়িতে আগেও হামলা হয়েছিল

    পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিমা ভাঙচুরের (Broke idol) ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এই বছরের মে মাসের শুরুতেই জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়িতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা তিনটি হিন্দু মন্দিরে ঢুকে ব্যাপক ভাবে মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। ঘটনার পর স্থানীয় হিন্দুরা বিরাট প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিল। একই ভাবে গত বছর আবার বহরমপুরে সরস্বতী মূর্তি ভাঙা হয়। ২০২২ সালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে রাধাকৃষ্ণ, কালী মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাউকেই আটক করতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী, দুর্গা (Durga Puja) পুজোর ভাসান, শিব ভক্তদের শোভা যাত্রা-সহ নানা সময়ে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। সব ক্ষেত্রেই প্রশাসন নির্বিকার বলে অভিযোগ বিজেপির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: সন্দীপ-অভিজিতের পর কি বিনীত গোয়েল? সিবিআই এবার এগচ্ছে মাথার দিকে

    RG Kar Case: সন্দীপ-অভিজিতের পর কি বিনীত গোয়েল? সিবিআই এবার এগচ্ছে মাথার দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Case) এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা ৩। শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে ওঁই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। তাঁদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। অপরাধের মূল মাথাকে সন্ধান করতে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তোলা হয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী মমতাকে গ্রেফতার করার কথাও বলেছিলেন। অপর দিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সিপি বিনীত গোয়েল (Vineet Goyal) এবং মমতাকে নিশানা করে তথ্য লোপাটের অভিযোগ তুলেছেন। অবিলম্বে তাঁদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছেন তিনি। আবার সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর সিপি বিনীত গোয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে তদন্তকারী অফিসাররা তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।

    পুলিশ কমিশনার ধামাচাপা দিয়েছেন (RG Kar Case)?

    বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, “টালা থানার ওসিকে গ্রেফতারের পর আরও স্পষ্ট হল, ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার ক্রাইম সিনকে সম্পূর্ণ ভাবে পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত তথ্য লোপাট করে দেওয়া হয়েছে। দোষীদের বাঁচাতে প্রত্যক্ষ মদত করছে পুলিশ।” একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “অভিজিৎ মণ্ডল সেই ব্যক্তি যাকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গ্রেফতারকে উপেক্ষা করতে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু চিত্রনাট্যের বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের এক প্রমোটারকে ফোন করে ধমক দিয়েছিলেন মমতা। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন, নৃশংস অপরাধটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির ফল। কার্যত পশ্চিমবঙ্গের জনস্বাস্থ্যকে ধ্বংস করেছে। কলকাতা পুলিশের কমিশনারও (Vineet Goyal) মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করতে এবং অপরাধ ধামাচাপা দিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।”

    আরও পড়ুনঃ সিজিও থেকে বের করতেই টালা থানার সেই ‘করিতকর্মা’ ওসিকে জুতো দেখিয়ে বিক্ষোভ

    ওসিকে প্রশ্ন, কার নির্দেশ ছিল?

    সূত্রের খবর, ধৃত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে (RG Kar Case) জেরা করে বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে কর্তব্যে গাফিলতি রয়েছে। গোটা তদন্তকে ভুল পথে পরিচালনা করেছেন ওসি। কিন্তু অভিজিৎ কেন করলেন? কার নির্দেশ? ইতিমধ্যে ডিসি ডিডি স্পেশাল, ডিসি নর্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশের প্রধান হিসেবে বিনীত গোয়েলের ভূমিকা তাই প্রশ্নের মুখে।

    জুনিয়র ডাক্তাররা গত ৯ অগাস্ট থেকে ন্যায় বিচারের (RG Kar Case) জন্য টানা রাজপথে আন্দোলন করছেন। সন্দীপ-অভিজিৎ গ্রেফতারের পর তাঁরা বলেন, “আমাদের বোন অভয়ার মৃত্যু একটি সংগঠিত প্রাতিষ্ঠানিক অপরাধ। সন্দীপ ঘোষ অত্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত লোক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কুর্নিশ জানাই। কান ধরা পড়েছে এবার মাথাও সমানে আসবে। যতক্ষুণ ন্যায় বিচার না পাব, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ফেরানো হয়েছে”, অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar: “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ফেরানো হয়েছে”, অভিযোগ জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘হয় আপনারা বেরিয়ে যান, নয়ত বাস ডেকে বের করে দেওয়া হবে’’, একথা বলতে গিয়ে একপ্রকার গলা ভিজে আসে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের। শেষ মুহূর্তে জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের বেশ কিছু শর্ত ত্যাগ করেন। তাঁরা রাজি হন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে (RG Kar)। তবে বেঁকে বসে প্রশাসন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জুনিয়র চিকিৎসকদের কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কোনও কোনও মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এমন অপমানের ঘটনা প্রমাণ করে, দুপুরে মাননীয়ার ধর্নাস্থলে যাওয়া নেহাত ছলনা ছাড়া কিছু নয়। মমতার বাড়ি থেকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ফেরানো হয়েছে তাঁদের, এমন অভিযোগ ডাক্তারদের। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরে এতটুকু দমে যাননি জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্নামঞ্চে ফিরে এসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। মমতা সরকার কতটা আন্তরিক আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের বিচার দিতে, সে প্রশ্নও তেলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার বলছে তারা দুঘণ্টা অপেক্ষা করেছে, আর তাঁরা ৩৫ দিন অপেক্ষা করছেন। বৃষ্টিতে ভিজছেন।

    কী বলছেন ডাক্তার নেতা দেবাশিস? (Junior Doctor)

    শনিবারই জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) দেবাশিস হালদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করেছিলাম। সেখানে বলেছিলাম, বৈঠকে যেন স্বচ্ছতা থাকে। আমরা এলাম। আসার পর বললাম লাইভ স্ট্রিমিং যেন করা যায়। কিন্তু ওঁরা বললেন, সম্ভব নয়। আমরা বললাম, অন্তত দু’পক্ষকে স্বচ্ছভাবে ভিডিয়ো করতে দেওয়া হোক। তাতেও বললেন, নাহ দুপক্ষকে ভিডিও করতে দেওয়া যাবে না। আমরা চাই ভিডিয়ো-র কপি। ওঁরা বললেন সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দিলে তবে কপি দেওয়া হবে। আমরা এও বললাম যে, ভিডিওটা তো প্রমাণ হিসেবে আমাদের লাগবে (RG Kar)। আমরা তারপর আবার আলোচনা করলাম। মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে এসে বললেন, তোমরা চা খেয়ে যাও। তবে ভিডিও কিন্তু দেওয়া যাবে না। এটা বিচারাধীন বিষয়, ভিডিও পরে দেব। এই ঘটনার পর আবার আমরা আলোচনা করলাম। আমরা তাতেই রাজি হলাম। বললাম এইটুকুতেই রাজি। আমাদের ভিডিও দরকার নেই। আমরা বিশ্বাস রাখলাম।’’

    ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল আমাদের

    দেবাশিস আরও বলেন, ‘‘এরপর আমরা যখন রাজি হলাম যে ওই মিনিটসটুকু দেওয়া হোক, তখন হঠাৎ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভটাচার্য বললেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, আর সম্ভব নয়। আমরা দু-তিন ঘণ্টা ওয়েট করেছি। আমরা আর আলোচনায় বসতে রাজি নই। কিন্তু আমাদের বলা হল, হয় আপনারা বেরিয়ে যান। নয়ত বাস ডেকে বের করে দেওয়া হবে। তারপর নিজেরা গাড়়ি করে বেরিয়ে গেলেন। ওরা বলছে দুঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আর আমরা ৩৫ দিন অপেক্ষা করছি। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বৃষ্টিতে ভিজছি। আমরা আমাদের সমস্ত রকম শর্ত ছেড়ে দিলাম। তখন ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হল। আমরা প্রথম থেকে স্বচ্ছতার (RG Kar) দাবি রেখেছিলাম।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ৫ দফা দাবি মিটলে তবেই আন্দোলন প্রত্যাহার, মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar: ৫ দফা দাবি মিটলে তবেই আন্দোলন প্রত্যাহার, মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আমরাও দ্রুত আলোচনায় বসতে চাই, কাজে ফিরতে চাই। তবে, ৫ দফা দাবি নিয়ে কোনও সমঝোতা নয়। দাবি মিটলে তবেই উঠবে আন্দোলন।’’ হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না মঞ্চে যাওয়া নিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors)। মুখ্যমন্ত্রী ধর্না স্থল ঘুরে যাওয়ার পরও আন্দোলনকারীদের (RG Kar) কেউ কেউ জানান, তাঁরা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতে অনড়। ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে বেসামাল অবস্থা মমতা সরকারের। অবশেষে ডাক্তারদের (RG Kar) আন্দোলনের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    নিজের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরলেন মুখ্যমন্ত্রী 

    শনিবারে দুপুরে আচমকা ধরনা মঞ্চে গিয়ে হাজির তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের (Junior Doctors) দাবিতে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। তিনি আগেই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন যে মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন। তবে তিনি তা করেননি! এদিনও একই কথা শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়, ‘‘আমার পোস্ট বড় কথা নয়, মানুষের পোস্ট বড় কথা।’’ দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আশ্রয় দিয়ে, প্রশ্রয় দিয়ে তাঁদেরকে ক্ষমতার অলিন্দে নিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আরজি করের সন্দীপ ঘোষকে প্রাইজ পোস্টিং দেন তিনি তাও আবার ইস্তফার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। সেই মুখ্যমন্ত্রী একমাস পরে ১৮০ ডিগ্রি (RG Kar) ঘুরে গেলেন আন্দোলনের চাপে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই চালে ভোলেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের সাফ কথা পাঁচ দফা দাবি মিটলে তবেই তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন।

    আন্দোলনকারীদের পাঁচ দাবি

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে, প্রথম থেকেই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে সরব জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনকারীদের দাবিগুলি হল— এক) ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোরশাস্তির ব্যবস্থা, অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে আনা। দুই) তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িতদের চিহ্নিত করা। তিন) কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা। চার) হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। পাঁচ)  রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করা।

    কী বলছেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো? 

    আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে অনিকেত মাহাতো সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আন্দোলনের (RG Kar) যে স্পিরিট নিয়ে চলছিল তা নিয়েই চলবে। আমরা আমাদের ৫ দফা দাবি নিয়ে যে কোনও জায়গায় আলোচনায় বসতে চাই। দ্রুত কাজেও ফিরতে চাই। আমরা কোনও অন্যায় দাবি করছি না। এই দাবি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসতে চাই। এই ৫ দফা নিয়ে আমরা কোনওরকম সমঝোতায় যেতে এখনও রাজি নয়।’’ পাশে দাঁড়িয়ে আর এক আন্দোলনকারী বললেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা নিজেরা আলোচনা করব। সেই অনুযায়ী জানাব। আমরা সবসময় চাই আলোচনা করতে। কারণ আমরা চাই এই সমস্যার সুস্থ সমাধান হোক।’’

    ন্যায় বিচারের পাঁচ দফা দাবিতে আমরা কোনও সমঝোতা করব না

    অপর এক আন্দোলনকারীর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে সদর্থক ভূমিকা হিসাবে দেখছি। ওয়েলকাম জানাচ্ছি। কিন্তু ন্যায় বিচারের পাঁচ দফা দাবিতে আমরা কোনও সমঝোতা করব না। মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন, আলোচনার সদিচ্ছা জানাচ্ছেন। আমরা সেটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। আমরা অচলাবস্থা কাটাতে চাই। আমরা চাই এক্ষুনি উনি আলোচনার টেবিলে বসুন। মিডিয়ার সামনেই সব হোক। আমরা চাই আমাদের দাবি উনি মেনে নিন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share