Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Junior Doctors Protest: “আপনাদের কণ্ঠই আমাদের শক্তি”, এবার ‘চিৎকার সমাবেশ’-এর ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    Junior Doctors Protest: “আপনাদের কণ্ঠই আমাদের শক্তি”, এবার ‘চিৎকার সমাবেশ’-এর ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ধর্মতলায় ‘চিৎকার সমাবেশ’(Shout Rally)-এর ডাক দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protest)। আন্দোলনে সাধারণ মানুষকে যোগদানের জন্য অনশনমঞ্চের সামনে আহ্বান জানালেন আন্দোলনকারীরা। এদিন বিকেল ৪টে থেকে সমাবেশ হওয়ার কথা। একই ভাবে মুখ্যসচিবের করা ইমেলের জবাব কী দেবেন ডাক্তাররা, সেই দিকেও নজর রেখেছেন সাধারণ মানুষ।

    অনশনমঞ্চে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব (Junior Doctors Protest)

    শনিবার ধর্মতলার অনশনমঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এবং আরও অনেক সরকারি আধিকারিক। তাঁদের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মুখ্যসচিব সোমবার বিকেল ৫টায় নবান্নে বৈঠকে বসার কথা বলেন। কিন্তু তার আগে অনশন তুলে নেওয়ার কথাও বলেন মুখ্যসচিব। মোট ১০ জন সদস্যকে ৪৫ মিনিটের জন্য বৈঠকে ডাকা হবে। ইতিমধ্যে সোমবারের আগে রবিবার ধর্মতলায় অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।

    বিকেল ৪ টেয় ধর্মতলায় সমাবেশ

    পশ্চিমবঙ্গে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের (Junior Doctors Protest) তরফে সামজিক মাধ্যমে চিৎকার সমাবেশের ডাক দিয়ে বলা হয়, “আমাদের দাবির কথা ছড়িয়ে পড়ুক চিৎকারের মাধ্যমে। দেখা হবে বিকেল ৪ টেয় ধর্মতলার অনশনমঞ্চে।” যদিও গত শুক্রবার আগেই অনশনমঞ্চ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিবাদ কর্মসূচির (Shout Rally) কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় নাম দেওয়া হয়নি। ওইদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, স্নিগ্ধা হাজরা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, রুমেলিকা কুমার প্রমুখ। তাঁরা বলেছিলেন, “রবিবার আপনারা এখানে আসুন। আমাদের পাশে একটু দাঁড়ান। আমাদের আশীর্বাদ করুন। আমরা না খেয়ে আছি। আমাদের কণ্ঠ দুর্বল হয়ে পড়েছে। আপনাদের কণ্ঠই আমাদের শক্তি।”

    আরও পড়ুনঃ ১৩ নভেম্বর রাজ্যে উপনির্বাচন, প্রথম দল হিসেবে ৬ কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি

    সোমবার নবান্নে বৈঠক?

    একইভাবে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protest) ঘোষণা করেছিলেন, ১০ দফা দাবি পূরণ না করলে মঙ্গলবার সারা রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট ডাকা হবে। জুনিয়র, সিনিয়র সকল ডাক্তার এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করবেন। সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালেও এর প্রভাব পড়বে। কোনও রোগীর কিছু হলে দায় নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকেই। এরপর শনিবার মুখ্যসচিব উপস্থিত হন ধর্মতলায়। তারপর সোমবার নবান্নে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। বিকেল চারটের মধ্যে নবান্নে পৌঁছানোর কথা বলেন। কোন কোন আন্দোলনকারীরা (Shout Rally) যাবেন, তাঁদের নাম আগেই জানাতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কানাডার পাশে দাঁড়িয়ে মোদি-বিরোধী পোস্ট তৃণমূল সাংসদের! মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কানাডার পাশে দাঁড়িয়ে মোদি-বিরোধী পোস্ট তৃণমূল সাংসদের! মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই ভারত-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে খালিস্তানপন্থী জঙ্গিনেতা নিজ্জরের হত্যাকে কেন্দ্র করে। নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় ভারতের যোগ থাকতে পারে বলে সেসময় কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ট্রুডো। খালিস্থানপন্থী জঙ্গি নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার জাস্টিন ট্রুডোর সমর্থনে একাধিক পোস্ট করতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাগরিকা ঘোষকে (Sagarika Ghosh)। এই আবহে সরাসরি তৃণমূলকে দেশবিরোধী তকমা দিয়ে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাগরিকার একটি এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টকে শেয়ার করে একাধিক প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।

    কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নিজের পোস্টে লেখেন, ‘‘তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আমার প্রশ্ন, কীসের ভিত্তিতে রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়েছিল সাগরিকা ঘোষকে? কারণ, তিনি দেশ বিরোধী? নাকি তিনি বিদেশি শক্তির তাঁবেদারি করতে পারেন? আর নাকি তিনি যতবার টুইট করেন বা মুখ খোলেন, তাঁর বোকামো সামনে এসে পড়ে? সঠিক জবাব হল – ওপরের সবকটি অপশন। শাসকদলের বিরোধিতা করা এক জিনিস। তবে দেশকে ছোট করে দেখানো খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এক বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা হচ্ছে, যেখানে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। এটা গ্রহণযোগ্য় নয়। তৃণমূলকে স্পষ্ট করে দিতে হবে যে এই সব বক্তব্য সাগরিকা ঘোষের ব্যক্তিগত মত নাকি দলীয় ভাবে কোনও টুলকিটকে সমর্থন করা হচ্ছে? একই সঙ্গে দুটো হতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার আবেদন, আপনি মুখ খুলুন। আপনি হয় ভারতের পক্ষে নয় দেশের বিপক্ষে।’’

    কী বলেছিলেন সাগরিকা ঘোষ?

    দেশের বিরোধিতা করে নিজের পোস্টে তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা (Sagarika Ghosh) লেখেন, ‘‘এক বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান অভিযোগ করছে যে তাঁর দেশে মোদি সরকার বেআইনি অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। আর তা নিয়ে আমাদের নন-বায়োলজিকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না? কেন জাস্টিন ট্রুডো এই ধরনের অভিযোগ করছেন? কেন ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকল? এই সবের মাঝে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভূমিকা কী? মেরুদন্ডহীন ভারতীয় মিডিয়া আনুগত্যের ট্রাম্পেট বাজাতে থাকবে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ‘‘পুলিশকে ব্যবহার করে অন্যায় কাজ করেছেন মমতা’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা-মা

    RG Kar: ‘‘পুলিশকে ব্যবহার করে অন্যায় কাজ করেছেন মমতা’’, বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘প্রথম থেকেই পুলিশকে ব‍্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী অন্যায় কাজ করে গিয়েছেন’’, দ্রোহের কার্নিভালের এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা (RG Kar)। তিলোত্তমার মা বলেন, ‘‘পুলিশই সাহায্য করেছে আমার মেয়ের তথ্য প্রমাণ লোপাটে।’’ অন্যদিকে, নির্যাতিতার বাবা-মা সিবিআইয়ের ওপরে ভরসা রেখেছেন।

    ক্ষোভ মমতা (Mamata Banerjee) পুলিশের বিরুদ্ধে (RG Kar)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে দ্রোহের কার্নিভাল ইস্যুতে ধাক্কা খায় মমতা পুলিশ। এই প্রসঙ্গে আরজি করের (RG Kar) পড়ুয়া চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে যেদিন মারা গেল, সেদিনই দেখেছি পুলিশের ভূমিকা কী! তার আগে জানতাম না, পুলিশ সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করে থাকে। সেটা এখন আরও স্পষ্ট হচ্ছে। পুলিশ এই ক’দিনে যা যা পদক্ষেপ করেছে, তার জন্য পরবর্তীতে হাইকোর্টে গিয়ে থাপ্পড় খেতে হচ্ছে তাঁদের। আজকেও তাঁরা থাপ্পড় খেলেন হাইকোর্টে।’’

    তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছে পুলিশ (RG Kar)

    আরজি করে (RG Kar) নির্যাতিতা চিকিৎসকের মায়ের কথায়, ‘‘রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে আজ যে দ্রোহের কার্নিভাল হচ্ছে, সেটা মানুষের নৈতিক জয়। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জুনিয়র ডাক্তারদের এই কর্মসূচি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন।’’ পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘‘এই পুলিশই আমার মেয়ের মৃত্যুর যাবতীয় তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে সহযোগিতা করেছে। আজকে তারা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে।’’

    সিবিআইয়ের ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘সিবিআই-এর প্রথম চার্জশিট জমা পড়েছে। তাতে সিভিক ভলান্টিয়ারকেই অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্ট সঠিক পদক্ষেপ করেছে।’’ সুপ্রিম কোর্টের চার্জশিট নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘সিবিআই নিশ্চয় পরবর্তী সময়ে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেবে কোর্টে। সিবিআইকে সময় দিতেই হবে। কারণ, আমাদের চোখের সামনেই তো সমস্ত তথ্য প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। ডিজিটাল তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে সময় লাগে। ওরা সেকথা বারবার বলেছে। সিবিআইয়ের ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে।’’

    ছাত্ররা তো অন্যায় আন্দোলন করেননি (RG Kar)

    এদিকে, রাজ‍্য সরকারের পুজো কার্নিভাল নিয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘আজকে তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) পুজো কার্নিভাল না করলেই ভালো করতেন। ডাক্তারি পড়ুয়ারা অনশন করছেন। তাঁদের সঙ্গে বসে একটা বোঝাপড়া কেন তিনি করছেন না? ছাত্ররা তো অন্যায় আন্দোলন করেননি। আমাদেরও দুঃখ দিচ্ছেন। তাঁরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। না খেয়ে ক’দিন থাকতে পারবেন। ছাত্ররা যেন চরম সিদ্ধান্ত না নেন। রিলে করে অনশন করুক।’’

     
     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Criticize Mamata: ‘‘হীরক রানির রাজত্ব…’’, কার্নিভালে কর্মরত চিকিৎসককে আটক নিয়ে সরব সুকান্ত

    Sukanta Criticize Mamata: ‘‘হীরক রানির রাজত্ব…’’, কার্নিভালে কর্মরত চিকিৎসককে আটক নিয়ে সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে কর্মরত পুর চিকিৎসককে থানায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সরব হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Criticize Mamata)। তাঁর কথায়, কতটা ভয় পেলে একজন চিকিৎসককে আটক করে প্রশাসন এই ঘটনা তাঁর প্রমাণ। পোশাকে ‘প্রতীকী অনশনকারী’ ব্যাজ লাগানো থাকায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল থেকে ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। এর বিরুদ্ধেই সরব হন সুকান্ত।

    কী বললেন চিকিৎসক

    কোনও সিজ লেটার ছাড়াই সাড়ে ৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখা হয় চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। এ প্রসঙ্গে তপোব্রত বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর কার্নিভালে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে ডিউটি ছিল। আমি কেএমসি-র ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেডিক্যাল অফিসার। দুপুর ২টো নাগাদ ডিউটিতে যোগ দিই।’’ ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের সমর্থনে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। সেই কারণেই ‘প্রতীকী অনশনকারী’ ব্যাজ ঝুলিয়ে ছিলেন বলে জানান তপোব্রত। দুর্গাপুজোর কার্নিভালে মেডিক্যাল টিমের সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। তাঁকে ডিউটি চলাকালীন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক ডেকে নিয়ে গিয়ে পুলিশের গাড়িতে তোলেন। তপোব্রত বলেন, ‘‘কোন থানায় যেতে হবে তা বলেননি কেউ। ফোন রেখে দিতে বলা হয়। থানায় ঢোকার পর ফোন দিতে বলা হয়। আমার কোনটা অপরাধ, সেটা ওঁরা বলতে পারেননি। আমি ফোন ব্যবহার করতে চাইলেও সেটা করতে দেওয়া হয়নি।’’ এই ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর খবর পৌঁছলে ময়দান থানায় হাজির হন ধর্মতলায় জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীরা। তার কিছুক্ষণের মধ্যে তপোব্রতকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    সুকান্তর দাবি

    এই ঘটনার প্রতিবাদে একগুচ্ছ কালো গ্যাস বেলুনের ছবি দিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Criticize Mamata) লেখেন, ‘‘ভাবুন তো রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী কতটা ভয় পেয়েছেন, কতটা ভয় পেলে সরকার এই কাজ করে। সাহস তো নেই ভয়েই না হয় পদত্যাগ করুন মুখ্যমন্ত্রী। সত্যিই হীরক রানির রাজত্ব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন করেছিলেন’’, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন করেছিলেন’’, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে ডাক্তারদের অনশন নিয়ে বলতে গিয়ে নাম না-করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। সিঙ্গুরে তৃণমূল সুপ্রিমোর অনশনের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন শুভেন্দু।

    চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন (Suvendu Adhikari)

    নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “জুনিয়র ডাক্তাররা কেউ চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করছেন না। এর আগে, যিনি ২৬ দিন অবস্থানে বসেছিলেন তিনি চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে সিঙ্গুরে অনশন করেছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা জালি নয়। এঁরা তো অরিজিনাল। সত্যিকারের অনশন করছেন। দীপক ঘোষের বই পড়বেন। তাতে বুঝতে পারবেন, সিঙ্গুরে ২৬ দিনের অনশনের কাণ্ড-কারখানা কী ছিল।” 

    আরও পড়ুন: থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করায় ‘খুন’ মহিলা, হাবড়ায় গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের কর্মীসহ ৩

    মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির লোকেরা বিদেশে চিকিৎসা করেন!

    এসএসকেএম হাসপাতালে হামলার ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “সরকার শক্ত হাতে এটার মোকাবিলা না করলে এই জিনিস কোনও দিন বন্ধ হবে না।” জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ না করায় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। বিরোধী দলনেতার কথায়, “আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সার্ভিস রুল মেনে ডাক্তারদের পদত্যাগ করতে বলছেন। হাসপাতাল ছেড়ে ডাক্তাররা চলে যাক, তিনি এটাই চাইছেন। এঁরা বিদেশে ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কিন্তু সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? ৯০ শতাংশ লোক সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল।” শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির লোকেরা বিদেশে যান চিকিৎসা করাতে। আমেরিকায় গিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করেন। চিকিৎসকদের দাবি-দাওয়াগুলিকে সরকারকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে দেখতে হবে। সমস্ত হাসপাতালগুলিকে জুনিয়র ডাক্তারের ওপর ভরসা করতে হয়। রাতে কিছু হয়ে গেলে জুনিয়র ডাক্তাররাই তো সেবা দিয়ে মানুষকে বাঁচান। সরকারকে এ বিষয়ে নমনীয় হতে হবে। ওঁদের দাবি তো সরকার পরিবর্তনের নয়! ওঁদের লড়াইয়ের ইস্যুগুলি হল সিন্ডিকেট বন্ধ করা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা, মুখ্যসচিবকে চিঠি নাগরিক সমাজের

    RG Kar: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা, মুখ্যসচিবকে চিঠি নাগরিক সমাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি যথার্থ, অবিলম্বে তার সুরাহা প্রয়োজন। এই দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যে আরজি কর (RG Kar), কলকাতা মেডিক্যাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সিনিয়র ডাক্তাররা গণ-ইস্তফা দিয়েছেন। এবার সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে এ বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপের অনুরোধ জানিয়ে ইমেল করলেন নাগরিক সমাজের একাংশ। পাশাপাশি বেথুনের প্রাক্তনীরা একদিনের প্রতীকী অনশন করলেন।

    কী বার্তা দেওয়া হয়েছে? (RG Kar)

    ৭৫ জনের বেশি মানুষের স্বাক্ষর-সহ ওই চিঠি বুধবার সকালে ইমেল (RG Kar) করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবকে। ইমেলে স্বাক্ষর রয়েছে বিনায়ক সেন, গৌতম ভদ্র, মৌসুমী ভৌমিক, বিভাস চক্রবর্তী, সমাজকর্মী মিরাতুন নাহার, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, চলচ্চিত্র শিল্পী দেবলীনা, ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন, রেশমি সেন, নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, অধ্যাপক ঋত্বিকা বিশ্বাস, মইদুল ইসলামসহ শিক্ষা, চলচ্চিত্র, চিকিৎসা, আইন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদেরও। ইমেল বার্তায় বলা হয়েছে, “আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিচার, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা, সুষ্ঠু পরিকাঠামোর দাবিতে গত ৯ অগাস্ট থেকে জুনিয়র ডাক্তারেরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ একই দাবিতে মুখর।” একইসঙ্গে বলা হয়েছে, “আরজি করের ঘটনার পরেও নানা জায়গায় যৌন নিগ্রহ, হেনস্থার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ-প্রশাসনের খামতি (যেমন জয়নগর) এবং কোথাও কোথাও পুলিশই তেমন নিগ্রহে অভিযুক্ত হওয়ায় (পার্ক স্ট্রিট থানার ঘটনা) সার্বিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতার বোধ তৈরি হয়েছে। তাই জুনিয়র ডাক্তারেরা বাধ্য হয়েই আমরণ অনশন শুরু করেছেন।” ইমেলের বয়ান অনুযায়ী নাগরিক সমাজের একাংশে বক্তব্য, “আমরা মনে করি, ডাক্তারদের দাবি এবং অভিযোগগুলি একেবারেই যথার্থ এবং অনতিবিলম্বে সেগুলির সুরাহা হওয়া একান্তই প্রয়োজন। সরকার যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিল, সেগুলির ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত অগ্রগতি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানাতে অবিলম্বে তাঁদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব আলোচনায় বসা প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুন: “বাংলায় আমরা সরকার গঠন করব”, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ শুভেন্দু বলে দিলেন কৌশলও

    অনশনে বেথুনের প্রাক্তনীরা

    বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar) পাশে দাঁড়িয়ে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে (Agitation) বসলেন বেথুন কলেজের প্রাক্তনীরা। কারও বয়স ৭০, কারও বয়স ৮৩, কেউ আবার ৪৫। বেথুনের নানা বয়সের প্রাক্তনী এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। বাকিদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। বেথুন কলেজের সামনে ফুটপাথে চেয়ার পেতে বসে পড়েছেন প্রাক্তনীরা। অনশনে অংশগ্রহণকারী এক বৃদ্ধা বলেন, “আমার বয়স ৮৩ বছর। এই বয়সেও আমি বিবেকের টানে এখানে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমি বেথুন কলেজ থেকে ১৯৬০ সালে পাশ করে বেরিয়েছি। তার পর ওই কলেজেই শিক্ষকতা করেছি অনেক বছর। জুনিয়র ডাক্তারেরা আমরণ অনশন করছেন। আমাদের পক্ষে যতটা সম্ভব, আমরা করছি। এ ভাবে পাশে থাকার বার্তা দিতে চাই।” আর এক অনশনকারী বলেন, “আমার বয়স ৭০। আমি ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে গিয়েছিলেন। ওদের অবস্থা চোখে দেখা যাচ্ছে না ভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ওরা আন্দোলন করছে। আমরাও বিবেকের তাড়না অনুভব করেছি।” অনশনে অংশ নিয়েছেন বেথুন কলেজের প্রাক্তন শিক্ষিকা, প্রধান শিক্ষিকারাও। তাঁরা অন্যান্য স্কুলগুলির প্রাক্তনী এবং সাধারণ মানুষকেও এই প্রতীকী অনশনে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: মমতার ‘অনশন অস্ত্র’ই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল জুনিয়র ডাক্তারদের হাত ধরে 

    RG Kar Incident: মমতার ‘অনশন অস্ত্র’ই ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল জুনিয়র ডাক্তারদের হাত ধরে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘অনশন অস্ত্র’কেই হাতিয়ার করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ১৮ বছর পর নিজের অস্ত্রেই ঘায়েল হচ্ছেন কি মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন বাংলার রাজনৈতিক মহলে। ২০০৬ সালে মেট্রো চ্যানেলে টানা ২৬ দিন অনশন করেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তার থেকে বড় জোর ৫০ মিটার দূরত্বে মঞ্চ বেঁধে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে সাত জন, তাঁদের ১০ দফা দাবির সমর্থনে।

    অনশন অস্ত্র

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পথে রাজনৈতিক সাফল্য পেয়েছিলেন, আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident) সেই পথই বেছে নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারেরা সরকারকে বেগ দিচ্ছে। সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ে জাতীয় সড়কে মঞ্চ বেঁধে ২১ দিন একটানা পড়ে থেকেছেন মমতা। তার আগে ২০০৬ সালে মেট্রো চ্যানেলে অনশন করেছিলেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পরে মমতাকেও বারংবার তাঁরই দেখানো অনশন অস্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ২০১৪ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ এবং তার সঠিক তদন্তের দাবিতে যাদবপুরে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। ২০১৫ সালেরই ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর পরীক্ষায় পাশ করে শিক্ষক পদপ্রার্থীরা অনশনে বসেন। সেই সঙ্গে চুক্তি-শিক্ষক, বৃত্তি-শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক-সহ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্ত কর্মী সংগঠনের অনশন-আন্দোলন শুরু হয় কলকাতা জুড়ে। মমতাকে বেগ পেতে হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অনশনে। মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে—এই দাবিতে মেয়ো রোডে অনশনে বসেন হবু শিক্ষকেরা। সেই আন্দোলনে প্রায় ৮০ জন এসএসসি চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন।  এবার একই পথে জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    অনশন প্রসঙ্গে বিজেপি

    আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Incident)  বিজেপি যদিও মমতার (Mamata Banerjee) অনশনের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে এক করে দেখতে চাইছে না। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘‘ওটা অনশন ছিল না কি! রাতে পর্দার আড়ালে কী হত, তা নিয়ে তো ওঁর দলের লোকেরাই নানা কথা বলেন। এখন যে অনশন চলছে, তার সঙ্গে রয়েছে গোটা রাজ্যের মানুষের সমর্থন।’’ একই সঙ্গে সুকান্তের দাবি, ‘‘অনশনকে মমতার ‘অস্ত্র’ বললে আন্দোলনের এই পথকে অসম্মান করা হবে। অনশনের অনেক ঐতিহাসিক নজির রয়েছে আমাদের দেশে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arjun Singh: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন’’, বিস্ফোরক অর্জুন

    Arjun Singh: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন’’, বিস্ফোরক অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবন লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি, গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তিনি তোপ দাগেন।

    মমতা আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন (Arjun Singh)

    শনিবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, ‘‘পুলিশের সামনেই আমার বাড়িতে হামলার ঘটনাটি ঘটেছ। পুলিশের ওপরে আমাদের কোনও আস্থা নেই। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, সঠিক যারা দোষী তাদেরকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি।’’ তিনি বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছেন। এই পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা প্রতিবাদ করবেন তাঁদেরকেই সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন এই মুখ্যমন্ত্রী। আরজি করের ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাগ ফুটে চলে গিয়েছেন। কোনও রাজনৈতিক দল নয়, ডাক্তার, সাধারণ মানুষ যাঁরাই প্রতিবাদ করবেন, তাঁদের কাউকে মিথ্যা কেস দিয়ে বা খুন করিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মিডিয়া তাঁর বিপক্ষে কেউ কথা বললে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হচ্ছে। মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন   

    হিটলারের সঙ্গে মমতার তুলনা

    এদিন হিটলারের সঙ্গে মমতার তুলনা করে অর্জুন (Arjun Singh) বলেন, ‘‘হিটলারের মতো ক্ষমতা প্রয়োগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকতে চাইছেন। কিন্তু, জেনে রাখুন তিনি বেশিদিন এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। আরজি করের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেই মমতার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবার জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবন লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি এবং গুলিও চলে বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা নমিত সিং ও তাঁর দলবল এই কাজ করেছে বলেই দাবি প্রাক্তন সাংসদের। অর্জুন সিং দাবি করেছিলেন, ২০-২৫ জন পুলিশকর্মী ছিলেন। তাঁদের সামনেই বোমা ছোড়া হয়। কয়েকজন পুলিশকর্মীকেও হামলাকারীরা ধাক্কাধাক্কি করে।

    তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর

    অর্জুনের বাড়ি লক্ষ্য করে হামলার ভিডিও শেয়ার করে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। ঘটনাস্থলে পৌঁছেও হামলাকারীদের না ধরে কার্যত হাত গুটিয়েই বসে ছিল পুলিশ, অভিযোগ শুভেন্দুর। ভিডিয়োয় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে কড়া শাস্তিরও দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দাড়িভিটে নিহত দুই ছাত্রকে বাংলা ‘ভাষা শহিদ’ ঘোষণার দাবি সুকান্তর, চিঠি মমতাকে

    Sukanta Majumdar: দাড়িভিটে নিহত দুই ছাত্রকে বাংলা ‘ভাষা শহিদ’ ঘোষণার দাবি সুকান্তর, চিঠি মমতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা ভাষাকে ভারতীয় ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। অবশ্য বাংলা ভাষার এই মর্যাদার জন্য নানা মহল থেকে অনেক দিন ধরেই দবি উঠছিল। এবার কেন্দ্রীয় সরকার সেই সম্মান জানিয়েছে। বাংলার মুকুটে আরেক পালক যুক্ত হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যে বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আরও এক নতুন দাবি রাখলেন। ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর দাড়িভিটে দুই স্কুল পড়ুয়াকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। তাঁদের একটাই দাবি ছিল— স্কুলে উর্দু নয়, বাংলার শিক্ষক চাই। তাই এই দুই আত্মবলিদানকারী ছাত্রদের ‘ভাষা শহিদ’ (Bhasha Shahid) হিসেবে সম্মান জানানোর কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

    বুকে এবং পেটে গুলি লাগে (Sukanta Majumdar)?

    ঘটনা ঘটেছিল ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে। স্কুলে কোনও উর্দু পড়ুয়া না থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার উর্দু শিক্ষক জোর করে নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত এবং বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। প্রতিবাদে স্কুলের মধ্যে বিক্ষোভ-আন্দোলন চলে। এরপর ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস এবং লাঠি চালানো হয়। এরপর পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি করে। গুলি গিয়ে লাগে রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণের বুকে এবং পেটে। ঘটনায় বিপ্লব সরকার নামে আরও এক ছাত্রের পায়ে গুলি লেগেছিল। কিন্তু অত্যধিক রক্তক্ষরণের কারণে রাজেশ-তাপসের (Bhasha Shahid) মৃত্যু হয়। একই ভাবে পুলিশের লাঠির আঘাতে আরও অনেক ছাত্র আহত হয়েছিলেন। এরপর থেকে ওই গ্রামে ‘বাংলা মাতৃভাষা দিবস’ রূপে ২০ সেপ্টেম্বর পালন করা হয়। উল্লেখ্য কারা গুলি চালিয়েছিল, এখনও পর্যন্ত সন্ধান করে নাম প্রকাশ্যে আনতে পারেনি পুলিশ বা সিআইডি। এবার স্বীকৃতির দাবিতে মমতাকে চিঠি লিখলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।

    আরও পড়ুনঃ নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুন’, নিষ্ক্রিয় পুলিশকে ঝাঁটাপেটা, ফাঁড়িতে আগুন, অগ্নিগর্ভ জয়নগর

    দাড়িভিটে তৈরি করা হোক দুই শহিদ স্মারক

    এখন এই মৃত্যুর কারণ স্বরূপ সুকান্ত (Sukanta Majumdar), মমতাকে চিঠিতে লিখেছেন, “ওই স্কুলে প্রয়োজন ছাড়াই উর্দু শিক্ষকের নিয়োগকে কেন্দ্র করে একটি ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কারণ ওই এলাকায় উর্দুভাষী মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। জোর করে উর্দু শিক্ষক চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হওয়া পড়ুয়াদের উপরে লাঠি, গুলি চালায় পুলিশ। দুই ছাত্র তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকারের মৃত্যু হয়। বাংলা ভাষার ধ্রুপদী স্বীকৃতি মেলার পরে রাজ্য সরকার ওই দুই ছাত্রকে ভাষা শহিদ হিসেবে ঘোষণা করুক। দাড়িভিটে তৈরি করা হোক দুই শহিদ স্মারক (Bhasha Shahid)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলার পাঠ্য পুস্তকে উর্দু ভাষার দাপট’’! মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলার পাঠ্য পুস্তকে উর্দু ভাষার দাপট’’! মমতাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মুখে বাংলাকে (Bengali Language) ধ্রুপদী ভাষার তকমা দিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার (PM Modi)। সেই আনন্দ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একই সঙ্গে রাজ্যের পাঠ্য পুস্তকে বাংলা ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, দেখা যাচ্ছে উর্দু আগ্রাসন, তাই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন সুকান্ত। প্রশ্ন তুললেন বাংলার গৌরব ক্ষুন্ন করে কেন উর্দুকে প্রাধান্য দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। 

    কী বললেন সুকান্ত

    এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য বাংলার পাঠ্যপুস্তক থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলা ভাষা। তিনি বলেন,  ‘‘ আপনার ভোট-ব্যাঙ্কের অন্যায় রাজনীতির স্বার্থে বাংলার পাঠ্য পুস্তক থেকে যেভাবে একের পর এক বাংলা শব্দ ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হয়েছে উর্দুতে, আজ আনন্দের দিনেও সেগুলি বাঙালির জন্য উদ্বেগের।’’ সম্প্রতি বাংলাদেশেও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের উর্দু আগ্রাসন চোখে পড়েছে।

    শহিদ স্মরণ

    মুখ্যমন্ত্রীর তোষণনীতির ফলে রাজ্যে বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করা দুই শহিদের কথাও এদিন উল্লেখ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর কথায়, ‘‘আজকের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের একজন নাগরিক এবং বাঙালি হিসেবে বাংলা ভাষার (Bengali Language) জাতীয় স্বীকৃতিলাভের আনন্দ আপনার সঙ্গেও ভাগ করে নিচ্ছি। ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত সমগ্র বাঙালি সমাজকে গৌরবান্বিত করেছে। তবে একই সঙ্গে আজ স্মরণ করছি সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা দুই শহিদকেও। ২০১৮ সালে বাংলার পবিত্র ভূমিতেই  উর্দু আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হতে হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের দাঁড়িভিটের দুই বাঙালি সন্তান রাজেশ বর্মন এবং তাপস সরকার – কে। আজকের দিনে তাঁরা সশরীরে জীবিত থাকলে হয়তো প্রতিটি বাঙালির মতোই গর্বিত অনুভব করতে পারতেন!’’ 

    আরও পড়ুন: ধ্রুপদী ভাষার তকমা পেল বাংলা, আপামর বাঙালিকে পুজোর উপহার মোদি মন্ত্রিসভার

    প্রসঙ্গত,  ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল। অবরোধ থেকে শুরু করে ইট পাথর ছোড়ার মতো ঘটনাও ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ ও তাপসের। এই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share