Tag: mohan bhagwat

mohan bhagwat

  • RSS: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

    RSS: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে অবশ্যই ভারত-কেন্দ্রিক হতে হবে, এমনটাই জানালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। একই সঙ্গে তিনি সামাজিক সম্প্রীতিরও বার্তা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যে, ভারতকে এমন একটা মডেল দেশে পরিণত করা হোক, যাকে অনুসরণ করতে পারে গোটা বিশ্ব। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) শাখা সংগঠন ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের তিনদিনের ‘ভিশন ফর বিকশিত ভারত’, সম্মেলন শুরু হয়েছে গুরুগ্রামে। অংশগ্রহণ করেছেন দেশের তরুণ গবেষকরা।

    ভাগবতের ভাষণ (RSS) 

    সেই সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘শিক্ষাকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়, কিন্তু শিক্ষাকে অবশ্যই ভারত-কেন্দ্রিক হতে হবে। আমাদের উচিত সারা বিশ্ব থেকে ভালো ভালো ভাবগুলিকে সংগ্রহ করা। কিন্তু কখনও আমরা অন্ধ অনুগামী হব না। প্রত্যেক শিক্ষকের দায়িত্ব হল, তাঁর ছাত্রদেরকে দিশা দেখানো। যাতে তাঁদের গবেষণা ভারত-কেন্দ্রিক হতে পারে।’’ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান আরও বলেন, ‘‘আজকে সারা পৃথিবীব্যাপী মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ, ৮০ শতাংশ সংস্থানকে ভোগ করছেন। বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন এখন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে বড় সমস্যার কারণ হলে দাঁড়িয়েছে।’’ মোহন ভাগবত আরও (RSS) বলেন, ‘‘সারা বিশ্বব্যাপী বিতর্ক চলছে যে তারা উন্নয়নকে নেবে নাকি পরিবেশকে রক্ষা করবে।’’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের বস্তুগত বিষয়গুলির উন্নয়ন যেমন দরকার, তেমন আমাদের মনেরও উন্নয়ন দরকার। যাতে আমাদের ভিতরে সর্বদাই সমৃদ্ধি এবং সুখী ভাবটা থাকে।’’

    হাজির ইসরো চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী

    প্রসঙ্গত, এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথও। তিনি এই সম্মেলনকে সম্বোধন করে বলেন, ‘‘আমাদের চন্দ্রযান মিশন সফল হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য রয়েছে চাঁদে মানুষ পাঠানো ও ২০৪০ সালের মধ্যে নিজেদের নতুন স্পেস স্টেশন তৈরি করা।’’ এই সম্মেলনে হাজির ছিলেন নোবেল জয়ী কৈলাশ সত্যার্থীও। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য ১,২০০ গবেষক এবং দু লাখ অংশগ্রহণকারী এক ছাদের তলায় এসে জড়ো হয়েছেন। এটা পৃথিবীর বড় ইভেন্ট বলা যেতে পারে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে”, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সারা বিশ্ব ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে।” কথাগুলি বললেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “পশ্চিমী দৃষ্টিকোণ থেকে এখন পর্যন্ত যে উন্নয়ন ঘটেছে তা অসম্পূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে, ধর্ম এবং রাজনীতির ধারণাকে একসময় ব্যবসা বানানো হয়েছিল। পরবর্তীকালে, বৈজ্ঞানিক যুগের আগমনের পর এটি অস্ত্রের বাণিজ্যেও পরিণত হয় এবং দুটি বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই প্রেক্ষাপটে, এতে সুখ এবং সমৃদ্ধি আসেনি, বরং আরও বেশি ধ্বংস হয়েছে।”

    কী বললেন আরএসএস কর্তা? (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস (RSS) কর্তা (Mohan Bhagwat) বলেন, “পুরো বিশ্ব দুটি মতাদর্শে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল—নাস্তিক ও আস্তিক। পরে এটি সংঘর্ষের কারণও হয়ে ওঠে, যেখানে শক্তিশালীরা বেঁচে থাকে এবং দুর্বলরা হারিয়ে যায়।” বর্তমান সময়ে বিশ্বকল্যাণের জন্য হিন্দুত্বের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান হয়েছিল জবলপুরে। ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “গোষ্ঠীগুলির শক্তির ধারণাও সামনে আসে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সম্পদ সীমাহীন হয়ে উঠেছে। কিন্তু সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই কারণেই আজ সারা বিশ্ব আধ্যাত্মিক শান্তির প্রত্যাশায় ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।”

    ভারত তার জ্ঞান ভুলে গিয়েছে

    তিনি বলেন, “পৃথিবীর কল্যাণ প্রয়োজন। যদি তাই হয়, তবে কার ওপর এর প্রতি সর্বাধিক বৈশ্বিক দায়িত্ব বর্তায়? আজকের দিনে পৃথিবী কার কাছ থেকে এই সমস্যার সমাধান আশা করছে?” সরসঙ্ঘ চালক (Mohan Bhagwat) বলেন, “আজ বিশ্ব সম্পদে পরিপূর্ণ, জ্ঞানের কোনও সীমা নেই। কিন্তু মানবকল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় পথ নেই। এই দিক থেকে ভারত সমৃদ্ধশালী। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত তার জ্ঞান ভুলে গিয়েছে। এর অনেক কারণ আছে, যার মধ্যে একটি হল বিলাসিতা এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের প্রাপ্তি। কিন্তু আমাদের স্মরণ করতে হবে আমরা কী ছিলাম। তাই আমাদের এই বিস্মৃতির গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

    আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রভাব ফেলছে অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা! বলছে সমীক্ষা

    ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “ভারতীয় জীবনদর্শনে অজ্ঞতা ও জ্ঞান উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ, উভয়ের একটি সমন্বয় প্রয়োজন যাতে জাগতিক ও আধ্যাত্মিক জীবনে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। এটি হিন্দু ধর্মে গৃহীত হয়েছে, তাই হিন্দু ধর্ম অজ্ঞতা ও জ্ঞানের উভয় পথেই চলে (RSS)। যে কারণে এখানে কোনও চরমপন্থী বা উগ্রপন্থী নেই। অথচ পশ্চিমের ধারণায় চরমপন্থা ও উগ্রতা দেখা যায়। কারণ তারা তাদের স্বার্থের ক্ষতির আশঙ্কা করে, যার ফলে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অসম্পূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • Mohan Bhagwat: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    Mohan Bhagwat: সনাতন ধর্ম রক্ষার আহ্বান ভাগবতের, প্রয়োজনে লাঠি ব্যবহারের নিদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বয়ংসেবকদের সনাতন ধর্মের মূলনীতি রক্ষা ও তাদের কাজে বাধা দিতে চাওয়া বিরোধী শক্তি থেকে সাধু-সন্তদের সুরক্ষার আহ্বান জানালেন আরএসএস (Mohan Bhagwat) প্রধান মোহন ভাগবত। চিত্রকূটে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভাগবত সনাতন ধর্ম রক্ষার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। ভারতকে সহিষ্ণু, ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে বর্ণনা করেন (RSS) তিনি।

    লাঠি ব্যবহারের নিদান (Mohan Bhagwat)

    তাঁর মতে, ভারত নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে ন্যায়ের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরসংঘচালক বলেন, “সনাতন ধর্ম ও সাধু-সন্তদের কাজে বাধা সৃষ্টি করা সব বাধা অপসারণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে তারা লাঠির ব্যবহারও করবেন।” তিনি বলেন, “সমাজের সম্প্রীতিতে হুমকি সৃষ্টি করে এমন ঘটনাগুলি প্রতিরোধ করা মূলত প্রশাসনের দায়িত্ব। তবে প্রয়োজনে নিজেদের সুরক্ষার জন্য সমাজকেও প্রস্তুত থাকতে হবে।”

    ‘আমরা ধর্মের পথে দাঁড়িয়ে আছি’

    ভাগবত বলেন, “আমাদের অবিচারের ভয় পাওয়ার বা সহ্য করার প্রয়োজন নেই। ধর্ম আমাদের কর্মের মাধ্যমে অর্জিত হয়। সৎ ও অসৎ সবসময়ই বিদ্যমান। ধর্মে প্রোথিত একটি জাতি হিসেবে আমরা ধর্মের পথে দাঁড়িয়ে আছি।” তিনি (Mohan Bhagwat) বলেন, “আরএসএস ঋষিদের সেবা করে এবং ধর্মের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। তারা এটা নিশ্চিত করবে যে মন্দিরে ধর্মীয় কাজকর্মে নিয়োজিত ঋষিরা যেন বাধাগ্রস্ত না হন।”

    আরএসএসের এই কর্তা নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে ভারতের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, এর শক্তির ভিত্তি প্রাচীন ঋষি ও সাধুদের স্থাপিত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ভাগবত বলেন, “জাতির বৈচিত্র্যের মধ্যেও, ভারত ধর্মের প্রতি তার প্রতিশ্রুতিতে এককাট্টা। কিছু শক্তি হয়তো ভারতকে দমন করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু সত্যকে কখনও দমানো যায় না।”

    আরও পড়ুন: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    অযোধ্যার রাম মন্দিরকে সনাতন ধর্মের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে ভাগবত বলেন, “এটি সব সনাতনীর জন্য এবং তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য। যদি রাম মন্দির সনাতনের প্রতীক হয়, তাহলে সনাতনীদের কর্তব্য হল আমাদের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করা ও সমুন্নত রাখা।” আরএসএসের প্রথম দিকের দিনগুলির কথা স্মরণ  করিয়ে দিয়ে সরসংঘচালক বলেন, “অসাধারণ প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি (RSS)।” সংগঠনের জাতীয় ঐক্য ও দৃঢ়তার প্রতি স্থায়ী অঙ্গীকারের ওপরও জোর দেন তিনি (Mohan Bhagwat)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS Pracharak Varg: ৩১ অক্টোবর গোয়ালিয়রে শুরু হচ্ছে আরএসএসের প্রচারক বর্গ, জানালেন সুনীল আম্বেকর

    RSS Pracharak Varg: ৩১ অক্টোবর গোয়ালিয়রে শুরু হচ্ছে আরএসএসের প্রচারক বর্গ, জানালেন সুনীল আম্বেকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে শুরু হতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক বর্গ (RSS Pracharak Varg)। সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আরএসএসের সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ শ্রী সুনীল আম্বেকর (Sunil Ambekar)। তিনি জানিয়েছেন, প্রচারক বর্গ (RSS Pracharak Varg) শুরু হবে দীপাবলির দিন থেকে এবং চলবে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, সারা দেশ থেকে মোট ৫৫৪ জন প্রচারক এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। প্রসঙ্গত, প্রচারক বর্গ অনুষ্ঠিত হয় প্রতি চার-পাঁচ বছর অন্তর। ২০২৫ সালেই আরএসএস শতবর্ষে পা রাখতে চলেছে। তার আগে এমন প্রচারক বর্গ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে এবং অন্যান্য সহকার্যবাহ ও সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় স্তরের পদাধিকারীরা এই বৈঠকে যোগদান করবেন।

    কোন কোন বিষয়ে আলোচনা (RSS Pracharak Varg)?

    বৈঠকে শ্রমিক, কৃষক, ছাত্রদের বিভিন্ন ইস্যু উঠে আসবে। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, গ্রামীণ সমস্যা নিয়েও আলোচনা হবে। এর পাশাপাশি ওই বৈঠকে সমাজ জীবনের প্রয়োজনীয় কাজগুলি সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। জাতীয় স্তরের নানা ইস্যু এবং সামাজিক ইস্যুও বৈঠকে উঠে আসবে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে (RSS Pracharak Varg) আলোচনা হবে আত্মনির্ভরতা, দেশের নিরাপত্তা, জৈব কৃষি, জল সংরক্ষণ, পরিবেশ রক্ষা সমেত আরও অন্যান্য ইসুতে।

    মথুরায় সঙ্ঘের কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠক শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার 

    মথুরায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের দুদিনের বৈঠক সমাপ্ত হয় গতকাল শনিবার ২৬ অক্টোবর। শুক্রবার ২৫ অক্টোবর এই বৈঠকের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক ডক্টর মোহন ভাগবত। মথুরার পারখম গ্রামের দীনদয়াল গাভী বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নবধা অডিটোরিয়ামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সঙ্ঘের ১১টি ক্ষেত্র এবং ৪৬টি প্রদেশ থেকে মোট ৩৯৩ জন এই বৈঠকে অংশ নেন। জম্মু ও কাশ্মীর, কেরল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল, মণিপুর, ত্রিপুরা থেকেও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। আগামী মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে পরিকল্পনা করা হয় বৈঠকে। সরসঙ্ঘচালক ডক্টর মোহন ভাগবত, সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে এবং সহ সরকার্যবাহ ডক্টর কৃষ্ণ গোপাল, শ্রী মুকুন্দ, অরুণ কুমার, রামদত্ত চক্রধর, অলোক কুমার, অতুল লিমায়ে হাজির ছিলেন বৈঠকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: শুক্রবার মথুরায় সঙ্ঘের বৈঠক শুরু, বাংলাদেশি হিন্দুদের নিরাপত্তা সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা

    RSS: শুক্রবার মথুরায় সঙ্ঘের বৈঠক শুরু, বাংলাদেশি হিন্দুদের নিরাপত্তা সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল শুক্রবার মথুরায় (Mathura) শুরু হচ্ছে আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠক। এই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। বঞ্চিত শ্রেণির কাছে পৌঁছানো, জাতীয় স্তরের বিভিন্ন ইস্যু, জম্মু-কাশ্মীরের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি, বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তাহীনতা, ওটিটি প্লাটফর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ— এই সমস্ত কিছুই আলোচিত হবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠকে। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠকে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হবে আরএসএস-এর (RSS) শতবর্ষে অনুষ্ঠিত হতে চলা নানা কর্মসূচি নিয়েও।

    সারা দেশ থেকে যোগ দেবেন ৩৯৩ জন পদাধিকারী

    জানা গিয়েছে, সারা দেশ থেকে মোট ৩৯৩ জন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পদাধিকারী, এই বৈঠকে যোগ দেবেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়া দশমীর ভাষণেই সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত বিবিধ ইস্যু স্থির করে দিয়েছিলেন, সে নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হবে এই বৈঠকে।

    কী জানালেন সুনীল আম্বেকর?

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সঙ্ঘের এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে যে সমাজকে কিভাবে সংঘটিত করা যায়, একসঙ্গে সমাজে কীভাবে থাকা যায়, যে কোনও ধরনের গুজবের মোকাবিলা করে। এর পাশাপাশি, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলির কন্টেন্টগুলি শিশুদের মনে যেভাবে খারাপ প্রভাব ফেলছে, সে নিয়েও আলোচনা হবে। একইসঙ্গে সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ কিভাবে গড়ে তোলা যায়, সে নিয়েও হবে আলোচনা। একই সঙ্গে সুনীল আম্বেকর আরও জানিয়েছেন, এই বৈঠকে আলোচনা হবে ভারতের মহান সন্তানদের জীবনী ও সে বিষয়ে সঙ্ঘের কর্মসূচি (Mathura) নিয়েও। মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, বিরসা মুণ্ডা, অহল্যাবাঈ হোলকার, রানি দুর্গাবতীদের নিয়ে আলোচনা হবে। জানা যাচ্ছে, সঙ্ঘের এই বৈঠকেই আগামী বছরের বিজয়া দশমী কীভাবে উদযাপন করা হবে, সে নিয়েও আলোচনা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: আরএসএসের সর্বভারতীয় বৈঠক যোগ দিতে ১০ দিনের মথুরা সফরে মোহন ভাগবত

    RSS: আরএসএসের সর্বভারতীয় বৈঠক যোগ দিতে ১০ দিনের মথুরা সফরে মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই ১০ দিনের সফরে মথুরা পৌঁছেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। প্রসঙ্গত, আগামী বছরেই শতবর্ষ পূর্তি হতে চলেছে সংগঠনের। সেই আবহে মথুরার এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ সারা দেশ থেকেই আরএসএসের নেতারা হাজির হবেন এই বৈঠকে। প্রসঙ্গত, শতবর্ষকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজ্যে সফর করছেন মোহন ভাগবত।

    কী বলছেন সুনীল আম্বেকর?

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর সঙ্ঘচালকের (Mohan Bhagwat) মথুরা সফর নিয়ে সংগঠনের প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘মথুরার কাছেই পারখম গ্রামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বছরেই আরএসএস তার শতবর্ষ পূরণ করবে। সেই লক্ষ্যেই দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েই আলোচনা চলবে বৈঠকে।’’

    ১০ দিনে ঠাসা বৈঠক করবেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস (RSS) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ১০ দিনে ঠাসা বৈঠক করবেন মোহন ভাগবত। ২৫ ও ২৬ অক্টোবর সঙ্ঘের কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। মথুরার পারখম গ্রামের এই বৈঠক নিয়ে আরএসএস নেতা তথা সহ প্রান্ত প্রচারক কীর্তি জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোহন ভাগবত থাকবেন এখানে। ৮ থেকে ৯ দিন ঠাসা বৈঠক চলবে। যা শুরু হচ্ছে রবিবার থেকে।

    ২৩ ও ২৪ অক্টোবর প্রশিক্ষণ পর্ব চলবে

    জানা যাচ্ছে, আরএসএসের (RSS) বিভিন্ন পদাধিকারী ও দেশের ৪৬টি সাংগঠনিক প্রান্তের সঙ্ঘ নেতারা হাজির থাকবেন বৈঠকে। জানা যাচ্ছে, ২২ অক্টোবরই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের আরএসএস নেতারা হাজির হবেন মথুরায়। ২৩ ও ২৪ অক্টোবর প্রশিক্ষণ পর্ব চলবে। আরএসএস সূত্রে খবর, প্রতিবছর দীপাবলীর আগেই এমন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মোহন ভাগবত ছাড়াও এই বৈঠকে হাজির থাকবেন সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। এই বৈঠকে প্রান্ত প্রচারক, সহ প্রান্ত প্রচারক, কার্যবাহ এবং অন্যান্য প্রচারকরাও হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: বাংলাদেশে হামলার মুখেও হিন্দুদের ঐক্য শিক্ষনীয়, বার্তা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: বাংলাদেশে হামলার মুখেও হিন্দুদের ঐক্য শিক্ষনীয়, বার্তা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের হিন্দুদের দেখে সমগ্র হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) । প্রতিবেশী রাষ্ট্রে তাদের ওপর অত্যাচার রুখতে এই প্রথম এক হয়েছেন সে দেশের হিন্দুরা। শনিবার  বিজয়া দশমীর প্রাক্কালে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। শনিবার নিজের বক্তব্যে বাংলাদেশিদের একাংশের মধ্যে পাকিস্তান প্রেমকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

    সমগ্র হিন্দু সমাজের কাছে এটা শিক্ষণীয় (Mohan Bhagwat)

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশে কী হচ্ছে তা আমরা দেখছি। এই প্রথম হিন্দুরা নিজেদের রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। যত দিন পর্যন্ত এই চরমপন্থী হিংসা জারি থাকবে, ততদিন পর্যন্ত সব সংখ্যালঘুরাই বিপদের মধ্যে রয়েছেন। সারা বিশ্বের হিন্দুদের তাঁদের সমর্থন করা উচিত। ভারত সরকারেরও পদক্ষেপ করা উচিত।” হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়াকে জোর দিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা দুর্বল হয়ে পড়লে অত্যাচারের ঘটনাগুলিকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমরা যেখানেই থাকি না কেন, আমাদের সবাইকে এক হতে হবে। বাংলাদেশে হিন্দুরা রাস্তায় বেরিয়ে প্রতিবাদ করছেন। সমগ্র হিন্দু সমাজের কাছে এটা শিক্ষণীয়। এমনই মনে করেন।” পাশাপাশি গোটা বিশ্বের তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলেও মনে করেন সঙ্ঘ প্রধান।

    আরও পড়ুন: কলকাতার রাজপথে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’! ঘরে ঘরে অরন্ধনের ডাক

    অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে মুখ খুললেন মোহন

    শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশে বিপুল রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) বক্তব্য, “বাংলাদেশে আলোচনা হচ্ছে, ভারত নাকি তাদের হুমকি দিয়েছে। তারা বলছে, ভারতের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে তারা জোট বাঁধার কথা ভাবছে। মনে করছে, তাহলেই ভারতকে থামাতে পারবে।” এই প্রসঙ্গে তিনি কোনও দেশের নামোল্লেখ না করে আরও বলেন, “আমরা জানি, কোন দেশগুলি এই ধরনের আলোচনায় মদত জোগাচ্ছে। তাদের নাম নেওয়ার দরকার নেই। তারা ভারতেও একই রকম অবস্থা তৈরি করতে চায়। তারা ভারতের প্রগতির গতি রুখতে চায়।”

    পাকিস্তান প্রেমকেও কটাক্ষ

    মোহন বলেন,  “ওরা প্রথমে দেশের সংস্কৃতি ধ্বংস করবে। তার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করবে। তার পর তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে যে মানুষ নিজের সভ্যতা সংস্কৃতিকেই ঘৃণা করতে শুরু করে। তারা অসন্তোষ ছড়াবে। সমাজে প্রত্যক্ষ সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করবে। ব্যবস্থা, আইন, প্রশাসনের ওপর অনাস্থা তৈরি করতে একটা অরাজকতা ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করবে তারা। এতে তাদের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে সুবিধা হবে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যা ঘটছে তা থেকে ভারতের হিন্দুদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে আমরা একজোট না হলে অত্যাচারকে আমন্ত্রণ জানাব।’ ভগবৎ বলেন, “হাসিনা দেশ ছাড়তেই সেখানকার কিছু মানুষের মধ্যে পাকিস্তান প্রেম জেগে উঠেছে। তারা বলছে, পাকিস্তানের কাছে পরমাণু বোমা আছে। যা দিয়ে হিন্দুদের চাপে রাখা যাবে। যারা এই ধরণের প্রচার করছে তারা ভারতের ক্ষতি চায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RSS chief: ‘‘দ্রৌপদীর পোশাকে কেউ স্পর্শ করলে মহাভারত ঘটে যায়’’, আরজি কর ইস্যুতে তোপ সঙ্ঘ প্রধানের

    RSS chief: ‘‘দ্রৌপদীর পোশাকে কেউ স্পর্শ করলে মহাভারত ঘটে যায়’’, আরজি কর ইস্যুতে তোপ সঙ্ঘ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া দশমীতে আরএসএস-এর (RSS chief) নাগপুরের সভায় ফের উঠল আরজি কর কাণ্ড (RG Kar incident)। শনিবারই দশেরা উৎসবের প্রাক্কালে এই সভায় আরজি কর-কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুললেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। আরজি করের ঘটনাকে মহাভারতে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সঙ্গেও তুলনা করলেন তিনি, এর পাশাপাশি মনে করালেন, ভরা রাজসভায় দ্রোপদীর বস্ত্রহরণের কারণেই ঘটেছিল কুরুক্ষেত্র। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক অভিযোগ তুললেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার জড়িতদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।

    তুলনা টানলেন দ্রোপদীর বস্ত্রহরণের (RSS chief)

    কলকাতার আরজি করের সঙ্গে মহাভারতের তুলনা টেনে ভাগবতের মন্তব্য, ‘‘মনে রাখতে হবে, দ্রৌপদীর পোশাকে কেউ স্পর্শ করলে মহাভারত ঘটে যায়। আরজি করে এমন জঘন্য অপরাধের পরেও অপরাধীদের আড়াল করার জন্য কিছু লোক ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’’ একই সঙ্গে এদিন নাগপুরের সভায় দেশ জুড়ে মহিলাদের ওপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতেও দেখা যায় সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতকে (RSS chief)। তাঁর মতে, সামগ্রিক ভাবে সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে। তার ফলেই ধর্ষণের মতো অপরাধ বাড়ছে। আক্রান্ত হচ্ছে মাতৃশক্তি।

    অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে

    রবিবার নাগপুরে সঙ্ঘের সদর দফতরে আয়োজিত নবরাত্রির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে শনিবার সকালে ভাগবত (RSS chief) বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনা আমাদের সকলের কলঙ্ক (RG Kar incident)। এমন ঘটনা ঘটতে দেওয়া উচিত নয়। আর ঘটলে সকলকে একসঙ্গে তার মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু সেখানে অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে।’’ আরজি করের ঘচনার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলায় এখনও কয়েকজন বসে রয়েছেন আমরণ অনশনে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদেরও সমর্থন করেছেন আরএসএস প্রধান। তাঁর মন্তব্য, ‘‘পুরো দেশ আজ ডাক্তার ভাইদের পাশে রয়েছে।’’

     

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘‘শতবর্ষে আরএসএস-এর লক্ষ্য সুশৃঙ্খল, শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠন’’, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘শতবর্ষে আরএসএস-এর লক্ষ্য সুশৃঙ্খল, শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠন’’, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংগঠনের শতবর্ষে আরএসএস-এর (RSS) প্রাথমিক লক্ষ্য হল সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠন, রাজস্থানে সঙ্ঘের এক বৈঠকে সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করতে শোনা গেল সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat)। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই ৪ দিনের মরুরাজ্যে সফরে যান ভাগবত। ধর্মদা ধর্মশালায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজিত হয়। সেখানেই এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে ১০০ বছরে পদার্পণ আরএসএস। এনিয়ে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে আগামী বছর। সেই সমস্ত কর্মসূচিগুলি নিয়েই রাজ্যে-রাজ্যে আলোচনা চলছে। রাজস্থানে সঙ্ঘ প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘সংগঠনের শতবর্ষ, উৎসব হিসেবে উদযাপন করা উচিত নয় বরং ঐক্যবদ্ধ-শক্তিশালী-শৃঙ্খলাবদ্ধ হিন্দু সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন কীভাবে বাস্তবায়িত হতে পারে, সেদিকেই মনোনিবেশ করা উচিত আমাদের।’’

    সমর্পিত কর্মকর্তাদের সংখ্যা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়

    প্রসঙ্গত, চার দিনের রাজস্থান সফরে জেলা প্রচারক ও ক্ষেত্র প্রচারকদের বৈঠকে সঙ্ঘপ্রধান (RSS) আরও বলেন, ‘‘শক্তিশালী হিন্দু সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সংগঠনের প্রতি সমর্পিত কর্মকর্তাদের সংখ্যা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’’ উল্লেখ্য চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই কেরলের পালাক্কড়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের অখিল ভারতীয় সমন্বয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠক চলেছিল ৩১ অগাস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এখানে ২০২৫ সালের সঙ্ঘের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

    ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) কী কী কর্মসূচি নিচ্ছে?

    ২০২৫ সালে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেখা যাবে সঙ্ঘকে। ইতিমধ্যেই আরএসএস ঘোষণা করেছে ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে নেওয়া হবে পঞ্চ পরিবর্তন কর্মসূচি, যা চলবে ২০২৬ সালের বিজয় দশমী পর্যন্ত। পঞ্চ পরিবর্তনের বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে সামাজিক সম্প্রীতি, কুটুম্ব প্রবোধন যার অর্থ হল পরিবারকে শক্তিশালী করা, পরিবেশ সংক্রান্ত ইস্যু, আত্মনির্ভরতা-এক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক চিহ্নগুলিকে মুছে ফেলার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে, সব শেষে রয়েছে সিভিক ডিউটি বা নাগরিক কর্তব্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mohan Bhagwat: ‘‘সনাতন ধর্মের উত্থানের সময় এসেছে’’, বললেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ‘‘সনাতন ধর্মের উত্থানের সময় এসেছে’’, বললেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) প্রত্যেককে বৈদিক জীবন পদ্ধতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের উত্থানের সময় এসেছে, ঋষি অরবিন্দ ঘোষ একথা বলে গিয়েছেন। এই ধর্মের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টিভঙ্গিরও বদল হচ্ছে।’’ শ্রীপদ ​​দামোদর সাতভালেকরের লেখা বেদের হিন্দি ভাষ্যের তৃতীয় সংস্করণের উদ্বোধন হয় এদিন নয়াদিল্লিতে। সেখানেই হাজির ছিলেন ভাগবত।

    ভারতবর্ষের ঋষিরা বিশ্ব কল্যাণ অর্থাৎ সমগ্র পৃথিবীর কল্যাণের জন্য বেদ তৈরি করেছিলেন

    বুধবার আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘বেদ হচ্ছে জ্ঞানের ভাণ্ডার। এখানে বস্তুগত ও আধ্যাত্মিকতা- উভয় শিক্ষাই রয়েছে যা সমাজের জন্য খুবই মঙ্গলজনক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের ঋষিরা বিশ্ব কল্যাণ অর্থাৎ সমগ্র পৃথিবীর কল্যাণের জন্য বেদ তৈরি করেছিলেন।’’ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালকের আরও সংযোজন, ‘‘এ কারণে আমি আগেই বলেছিলাম ভারত এবং বেদ হল সমার্থক শব্দ। আমাদের কাছে বেদনিধি আছে।’’ নিধি শব্দের অর্থ ভাণ্ডার। অর্থাৎ বেদের আকারে জ্ঞানের ভাণ্ডার ভারতবাসীর কাছে আছে একথাই বলতে চান ভাগবত। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের প্রত্যেকেরই বেদ পড়া উচিত এবং আমাদের জীবনে তা প্রয়োগ করা উচিত। আমরা যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে বেদের জ্ঞান ও শিক্ষা পৌঁছে দিতে পারব ততই ভালো হবে।’’

    বেদই হল শাস্ত্রের ভিত্তি (RSS)

    গতকাল মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘ধর্মের জ্ঞান বেদ থেকেই আসে। বেদই হল শাস্ত্রের ভিত্তি। সত্যের উপলব্ধিতে তা তৈরি হয়েছে।’’ মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘ধর্ম সবাইকে আলিঙ্গন করে, সবাইকে একত্রিত করে তাদের উন্নীত করে, তাদের সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। তাই ধর্মই হল জীবনের ভিত্তি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ধর্মের ওপর ভিত্তি করে শরীর-মন-বুদ্ধি-আত্মার মধ্যে মেলবন্ধন হলেই একটি আদর্শ জীবন তৈরি হয়। এর ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেই মানুষ পাগল হয়ে যান। যখন এটি শেষ হয় তখনই মানুষ মারা যান। তাঁর মতে, ‘‘ধর্মই ভারসাম্য প্রদান করে।’’ মোহন ভাগবত আরও বলেন, ‘‘আধুনিক বিজ্ঞানের আবির্ভাবের হাজার হাজার বছর আগে বেদে উল্লেখ করা হয়েছে, পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ঠিক কতটা! সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে কত সময় লাগে!’’ বেদের মন্ত্রগুলিতে গণিত রয়েছে বলেও তিনি জানান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share