Tag: news in bengali

news in bengali

  • Canada: কানাডার নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের

    Canada: কানাডার নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) নয়া মন্ত্রিসভায়ও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের (Indian Origin Ministers)। জাস্টিন ট্রুডো সরকারের পতনের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন মার্ক কার্ন। তাঁর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন বছর চল্লিশের অনিতা আনন্দ ও বছর ছত্রিশের কমল খেরা। কমল হয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনিতা হয়েছেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ট্রুডোর মন্ত্রিসভায়ও ছিলেন এই দুই ভারতীয় বংশোদ্ভুত।

    নয়া মন্ত্রিসভায় দিল্লির কমল (Canada)

    কমলের জন্ম দিল্লিতে। স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি চলে যান কানাডায়। টরেন্টোর ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন বিজ্ঞানে। ২০১৫ সালে প্রথমবার ব্রাম্পটন ওয়েস্ট থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন কমলা। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটে কমলের বিষয়ে লেখা হয়েছে, তিনি পেশায় নার্স ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে কমল লিখেছেন, “নার্স হিসেবে আমি সব সময় রোগীদের পাশে থাকার চেষ্টা করতাম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবেও তা-ই করে যাব। আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য মার্ক কার্নেকে ধন্যবাদ।”

    রাজনীতিতে আসার আগে টরেন্টোর সেন্ট জোসেফ হেল্থ সেন্টারের অঙ্কোলজি বিভাগের নার্স ছিলেন কমল। অতিমারির সময় তিনি ফের তুলে নেন স্বাস্থ্য সেবাদানের দায়িত্ব (Canada)। ব্রাম্পটনের এক হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। ট্রুডো মন্ত্রিসভায় কানাডার অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন মন্ত্রক, স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও জাতীয় রাজস্ব মন্ত্রকের পার্লামেন্টারি সচিব ছিলেন কমল। এবার তিনি স্বাধীনভাবে সামলাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্ব।

    অনিতার জন্মই কানাডায়

    কার্নের মন্ত্রিসভার আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত অনিতার জন্মই কানাডায়। ১৯৮৫ সালে তাঁর পরিবার চলে যান কানাডায়। নোভা স্কটিয়ায় জন্মেছিলেন অনিতা। ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনিই। পেশায় আইনজীবী অনিতা নয়া মন্ত্রিসভায় সামলাবেন উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রকের দায়িত্ব। মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। জাতীয় প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে অনিতা লিখেছেন, “নয়া মন্ত্রক পেয়ে আমি গর্বিত। নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে কিছু ভালো করা যাবে না।” বরং (Indian Origin Ministers) ঐক্যবদ্ধ হয়ে কানাডা ও কানাডার অর্থনীতিকে মজবুত করার ডাক দিয়েছেন তিনি (Canada)।

  • Pakistan Blast: চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ফের বিস্ফোরণ পাকিস্তানে, নিহত প্রবীণ ধর্মগুরু

    Pakistan Blast: চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ফের বিস্ফোরণ পাকিস্তানে, নিহত প্রবীণ ধর্মগুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ফের বিস্ফোরণ পাকিস্তানে (Pakistan Blast)। শনিবারের বিস্ফোরণে হত হয়েছেন এক প্রবীণ ধর্মগুরু (Cleric Killed)। জখম হয়েছেন তিনজন। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি মাদ্রাসা-কাম-মসজিদে ঘটে বিস্ফোরণের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মুফতি মুনির শাকিরের। লেডি রিডিং হাসপাতালের (এলআরএইচ) মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “মুফতি শাকিরকে সংকটজনক অবস্থায় এলআরএইচ-এ আনা হয়েছিল। আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।”

    ধর্মীয় মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ (Pakistan Blast)

    পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি পেশোয়ার জেলার উরমুর বালা গ্রামের একটি ধর্মীয় মাদ্রাসায় ঘটে। পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ, বম্ব নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট এবং সন্ত্রাসবিরোধী বিভাগের সদস্যরা। ঘটনাস্থলের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গন্ডাপুর বিস্ফোরণের নিন্দা করে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন পুলিশের কাছে। দোষীদের গ্রেফতারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি (Pakistan Blast)। এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইহতেশাম আলি মুফতি মুনির শাকিরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

    মুফতি মুনির শাকিরের মৃত্যু

    তিনি বলেন, “মুফতি মুনির শাকিরের শহিদ হওয়ার খবর শুনে গভীরভাবে মর্মাহত। মুফতি মুনির শাকির তাঁর আঘাতের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন।” তিনি শহিদ হয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে নিষিদ্ধ করা হয় লস্কর-ই-ইসলাম। এটি খাইবারের উপজাতীয় অঞ্চলের বারা-ভিত্তিক একটি জঙ্গি সংগঠন। এর নেতৃত্বে ছিল মঙ্গল বাঘ। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে লস্কর-ই-ইসলাম গঠন করেন বারার এক স্থানীয় আলেম মুফতি শাকির। মাত্র ছ’মাস পর, তাঁর চরমপন্থী মতাদর্শ ও স্থানীয় কমান্ডার হাজি নামদারের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তাঁকে বার ক্বামবারখেল এলাকা থেকে বহিষ্কার করা হয়।

    ২০০৫ সালের শুরুর দিকে মুফতি শাকির ও পীর সাইফুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর স্থানীয় (Cleric Killed) প্রবীণদের একটি উপজাতীয় পরিষদের সর্বসম্মত রায়ে দুজনকেই বারা থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয় (Pakistan Blast)।

  • Amit Shah: “ইন্দিরার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ায় জেলে যেতে হয়েছিল”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “ইন্দিরার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ায় জেলে যেতে হয়েছিল”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের সফরে উত্তর-পূর্ব ভারতে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবারই অসমে (Assam) গিয়েছেন তিনি। শনিবার অসমের ডেরগাঁওতে লাচিত বরফুকন পুলিশ অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহ বলেন, “অসমে কংগ্রেস সরকারের আমলে আমি মারও খেয়েছি। সেই সময় হিতেশ্বর সইকিয়া অসমের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আমরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে স্লোগানও দিয়েছিলাম।”

    শাহ উবাচ (Amit Shah)

    পূর্বতন কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে বর্তমান বিজেপি-শাসিত অসমের তুলনা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অসমে সাতদিন আমায় জেলের খাবার খেতে হয়েছিল। সারা দেশ থেকে মানুষ এসেছিলেন অসমকে বাঁচাতে। আজ অসম উন্নয়নের পথ ধরে এগিয়ে চলছে।” প্রসঙ্গত, অসমে দু’দফায় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের হিতেশ্বর সইকিয়া। প্রথমবার ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সাল এবং তারপর ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। হিতেশ্বর জমানার কথা তুলে ধরে শাহের কটাক্ষ, ওরা রাজ্যে শান্তি আনতে দেয়নি।

    ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা

    এদিকে, আজ, রবিবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই বৈঠকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। এটি পূর্ববর্তী ভারতীয় দণ্ডবিধির পরিবর্তে চালু করা হয়েছে। শনিবার রাতটি মিজোরামে কাটিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি অসম রাইফেলসের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।

    রবিবার তিনি দিনটি (Amit Shah) শুরু করবেন কোক্রাঝারে সফরের মাধ্যমে। সেখানে তিনি অল বোডো স্টুডেন্টস ইউনিয়নের ৫৭তম বার্ষিক সম্মেলনে ভাষণ দেবেন। প্রসঙ্গত, আবসু ঐতিহাসিক বোডো শান্তি চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী। এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল পাঁচ বছর আগে।

    জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে শাহ পৌঁছবেন গুয়াহাটিতে। সেখানে অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন। প্রসঙ্গত, গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের পর মণিপুর রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে থাকায় বৈঠকে রাজ্যের (Assam) প্রতিনিধিত্ব কে করবেন, তা জানা যায়নি (Amit Shah)।

  • Donald Trump: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার, মৃত অন্তত ২৩

    Donald Trump: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার, মৃত অন্তত ২৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইয়েমেনে ব্যাপক বোমাবর্ষণ আমেরিকার। এই হামলার পর অন্তত ২৩ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি সংবাদ মাধ্যমের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা এবং শিশুরাও। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধেই মূলত অভিযান ট্রাম্পের (Donald Trump)। হুঁশিয়ারির সুরে ইরানের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা, “আপনারা থামুন, না হলে আকাশ থেকে নরক বর্ষণ হবে।” ট্রাম্প আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই পশ্চিম এশিয়ার দিকে নজর দিলেন ট্রাম্প। তাঁরই নির্দেশে শনিবার লোহিত সাগরের তীরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে মার্কিন সেনা।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা (Donald Trump)

    ইরানের উদ্দেশে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা, “অবিলম্বে হুথিদের সমর্থন করা বন্ধ করুন। ইরান থেকে আমেরিকার ওপরে যদি কোনও হুমকি আসে, তার দায় সম্পূর্ণ আপনাদের। এর ফল খুব একটা ভালো হবে না।” সৌদি আরবের দক্ষিণে ছোট্ট একটি দেশ ইয়েমেন। দেশটির একদিকে রয়েছে লোহিত সাগর এবং অন্যদিকে রয়েছে এডেন উপসাগর। আর এক দিকে রয়েছে আরব সাগর। এই জলপথে বহু মালবোঝাই জাহাজ নিত্য যাতায়াত করে (Donald Trump)। ইয়েমেনের হুথিরা সেই জাহাজ আক্রমণ করে বাণিজ্যে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই জঙ্গিদেরই শায়েস্তা করতে বোমাবর্ষণের নির্দেশ ট্রাম্পের।

    হুথিদের হামলা

    ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত লোহিত সাগরে বাণিজ্যতরী লক্ষ্য করে অন্তত ১০০টি হামলা চালিয়েছে হুথিরা। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে আমেরিকার সেনাবাহিনীকেও ওই অঞ্চলে লাগাতার সক্রিয় থাকতে হয়েছে। সারা বিশ্বের বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে। হুথিদের বক্তব্য, গাজায় ইজরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে হামাস ও প্যালেস্তাইনিদের সমর্থনে তাদের এই পাল্টা হামলা।

    মার্কিন প্রেসিডেন্টকে হুমকি দিয়েছে হুথিরাও। এই হামলাকে (Donald Trump) তারা যুদ্ধাপরাধ বলে উল্লেখ করেছে। তাদের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী এই ধরনের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইরান যদি আমেরিকাকে হুমকি দেয়, তাহলে আমেরিকা কোনও নমনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।” জানা গিয়েছে, মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ থেকে যুদ্ধবিমান উড়ে গিয়েছিল হুথি ঘাঁটিতে হামলা চালাতে। হুথিদের ওপর হামলার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে এক মার্কিন কর্তা বলেন, “এই অভিযান সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে (Donald Trump)।”

  • PM Modi: এপ্রিলের প্রথমেই শ্রীলঙ্কা সফরে মোদি, স্বাক্ষর হবে একাধিক মউ, উদ্বোধন করবেন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের

    PM Modi: এপ্রিলের প্রথমেই শ্রীলঙ্কা সফরে মোদি, স্বাক্ষর হবে একাধিক মউ, উদ্বোধন করবেন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী এপ্রিল মাসের গোড়ায় শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। গতকাল শনিবার এমনটাই জানানো হয়েছে কলম্বোর তরফে। যদিও নয়াদিল্লি এবিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। গতকাল শনিবার শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী বিজিতা হেরাথ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, এপ্রিল মাসের শুরুতেই দ্বীপরাষ্ট্র সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, এই সফরে শ্রীলঙ্কার পূর্ব ত্রিঙ্কোমালি জেলার সামপুরে একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনও করবেন মোদি। এই সফরে শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে তাঁর একাধিক বিষয়ে সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষর করারও কথা রয়েছে।

    কী বললেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী?

    নয়াদিল্লির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথাও উঠে আসে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে। শনিবার পেশ করা হয় শ্রীলঙ্কার বাজেট। সেই বাজেট অধিবেশনেই এমনটাই জানালেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী ভিজিথা হেরাথ। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন,‘‘আমরা ভারতের সঙ্গে বরাবরই মিত্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। সরকার গঠনের পরেই আমাদের প্রথম কূটনৈতিক সফর হয়েছিল ভারতের উদ্দেশেই। এবার সেদেশের প্রধানমন্ত্রী এপ্রিল নাগাদ শ্রীলঙ্কায় আসছেন।’’ প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর গত বছরই প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী অনুরাকুমার দিশানায়েকে। সেই সফরে একাধিক বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয় দিল্লি এবং কলম্বোর মধ্যে। শ্রীলঙ্কার প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এই সফরে সেই সমঝোতা আরও পাকাপোক্ত হতে চলেছে।

    ক্ষমতায় আসার পরে মোদির চতুর্থ শ্রীলঙ্কা সফর

    ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্মত হয়েছিল এনটিপিসি। জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে সেই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসেন ২০১৪ সালে। ঠিক তার পরের বছরেই অর্থাৎ ২০১৫ সালে তিনি প্রথম শ্রীলঙ্কা সফর করেন। এরপর ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও তিনি শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চতুর্থ শ্রীলঙ্কা সফর হতে চলেছে।

  • Daily Horoscope 16 March 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 16 March 2025: কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) স্ত্রীর কথায় বিশেষ ভাবে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

    ২) খেলাধুলায় নাম করার ভালো সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    বৃষ

    ১) ভ্রমণের সুযোগ বন্ধ হতে পারে।

    ২) কোনও কাজের দ্বারা সকলের প্রীতিলাভ করবেন।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাবেন।

    ২) একাধিক পথে আয় বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের জন্য অশান্তি হতে পারে।

    ২) আগুন থেকে বিপদের আশঙ্কা।

    ৩) নিজেকে সময় দিন।

    সিংহ

    ১) অশান্তি থেকে সাবধান থাকা দরকার।

    ২) ব্যবসায় বাড়তি লাভ হতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় দায়িত্ব বাড়তে পারে।

    ২) নেশার প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে আজ।

    তুলা

    ১) লোকে দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে।

    ২) ব্যবসায় সমস্যা বাড়তে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) দাম্পত্য জীবনে অশান্তির সময়।

    ২) ব্যবসায় চাপ থাকলেও আয় বাড়বে।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

    ধনু

    ১) অর্শের যন্ত্রণা বৃদ্ধি হতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সুনাম বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল যাবে।

    মকর

    ১) চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় মহাজনের সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কুম্ভ

    ১) শারীরিক কারণে ব্যবসার দিকে সময় দিতে পারবেন না।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কের উন্নতির সময়।

    ৩) বন্ধুদের পাশে পাবেন সর্বদা।

    মীন

    ১) চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে বিবাদের যোগ রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল ভাবেই কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Pakistan: এবার পাক সেনার কনভয়ে হামলা, নেপথ্যে কী সেই বালুচ বিদ্রোহীরা?

    Pakistan: এবার পাক সেনার কনভয়ে হামলা, নেপথ্যে কী সেই বালুচ বিদ্রোহীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র চারদিন আগেই হাইজ্যাক করা হয়েছিল আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেন। পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচিস্তানের ওই ঘটনার সেই রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের খবরের শিরোনামে সেই বালুচিস্তানই (IED Blast)। এবার পাক সেনার কনভয়ে হল হামলা।

    আইইডি বিস্ফোরণ (Pakistan)

    শনিবার তুরবত শহরে সেনার কনভয়ে হল আইইডি বিস্ফোরণ। স্থানীয় সূত্রে খবর, কনভয়ে থাকা বেশ কয়েকজন সেনা জখম হয়েছেন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে জখম সেনাদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও এদিন সন্ধে পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউই। ১১ মার্চ জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনায় হাত ছিল বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির। এদিনের ঘটনায়ও তাদের হাত রয়েছে বলেই অনুমান পাকিস্তান পুলিশের।

    বালুচ বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি

    গত মঙ্গলবারই বালুচিস্তানের বোলানে মাশকাফ সুড়ঙ্গে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক করে বালুচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয় শ’খানেক যাত্রীকে (IED Blast)। যাত্রীদের উদ্ধার করতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে। পাক সেনার দাবি, এই অভিযানে মৃত্যু হয়েছে সব বিদ্রোহীর। বিদ্রোহীদের পাল্টা দাবি, এই অভিযান চলার সময় সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জন সেনার। এই ঘটনার পরেই বালুচ বিদ্রোহীরা হুঁশিয়ারি দেয়, পাক সেনা যদি তাঁদের ওপর হামলার চেষ্টা করে, তাহলে তাঁদের পরবর্তী নিশানা হবে ইসলামাবাদ। সেই হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হল বালুচিস্তানে সেনার কনভয়ে হামলা।

    শুক্রবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের (Pakistan) দক্ষিণে ওয়াজজিরিস্তানের একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলা হয়। ওই দিন দুপুরে আজম ওয়ারশাক বাইপাস রোডের মৌলানা আবদুল আজিজ মসজিদে প্রার্থনার সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায়ও সন্দেহের তির ছিল বালুচ বিদ্রোহীদের দিকেই।

    প্রসঙ্গত, অতীতেও এই রেলপথে বালুচ বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে রকেট কিংবা রিমোট পরিচালিত বোমা দিয়ে। এলাকায় যত হামলার ঘটনা ঘটেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার দায় স্বীকার করে নিয়েছে বালুচ বিদ্রোহীরা। গত বছরের অক্টোবর মাসে পাকিস্তান রেলওয়েজ কোয়েটা থেকে পেশওয়াল পর্যন্ত রেল পরিষেবা সংস্কারের কথা ঘোষণা (IED Blast) করেছিল। তার আগে দেড় মাসেরও বেশি সময় এই পথে রেল চলাচল বন্ধ ছিল (Pakistan)।

  • S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “আমেরিকার আগেই মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলেছিল ভারত”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুরনো উদারনৈতিক নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসার পর চরম চাপে পড়েছে।” কথাগুলি (Global Order) বললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি মনে করেন, “এটি অনেক দিন ধরেই হয়ে আসছিল।” জয়শঙ্কর বিস্মিত যে তামাম বিশ্ব আশ্চর্য হচ্ছে এই ভেবে যে ট্রাম্প যা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা-ই করছেন। তিনি বলেন, “হয়তো আমি তাঁকে আরও সরলভাবে নিয়েছিলাম।”

    মাল্টি-পোলার বিশ্ব (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী লক্ষ্য করেছেন, আমেরিকানরা এখন যে মাল্টি-পোলার বিশ্বের কথা বলছেন, তা একসময় ছিল নয়াদিল্লির আলোচনার বিষয়। জয়শঙ্করের ইঙ্গিত, তিনি পুরোনো বিশ্বব্যবস্থার কিছুই মিস করবেন না। কারণ তিনি একজন বাস্তববাদী। তিনি যা আছে, তাই নিয়েই কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘কেউ বাস্তববাদী হওয়ার অর্থ এই নয় যে, তাঁর মধ্যে বিশ্বাস, প্রত্যয় কিংবা অনুভূতি নেই।’’ বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’জনেই সমমনস্ক জাতীয়তাবাদী। ফলে বিরোধের অবকাশ নেই। গত ৫ মার্চ মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নীতি থেকে বাদ পড়বে না ভারত। তিনি বলেন, ‘‘ভারত আমাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই ব্যবস্থা আমেরিকার প্রতি ন্যায্য নয়, কখনওই ছিল না।’’

    তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন

    জয়শঙ্কর বলেন, “তামাম বিশ্বের একটি শৃঙ্খলা প্রয়োজন। অন্যথায় এটি খুবই অরাজক হয়ে উঠবে।” তিনি বলেন, “অসংযত প্রতিযোগিতা চাপ বাড়িয়ে তুলবে। ভারতের এমন একটি শৃঙ্খলার দরকার যা বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সেই শৃঙ্খলাকে নয়, যা পশ্চিমিদের পক্ষে ছিল।” তিনি বলেন, “পুরানো বিশ্বব্যবস্থার গুণাগুণ অতিরঞ্জিত করা হয়েছে (S Jaishankar)।” তিনি জানান, ভারত দীর্ঘদিন ধরে পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চলে এসেছে। ট্রাম্প ও মোদির নেতৃত্বে—যারা উভয়েই জাতীয়তাবাদী নেতা—এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্পর্কের এই উন্নতির মধ্যেও, ট্রাম্প বারবার ভারতকে শুল্ক অপব্যবহারকারী বলে আক্রমণ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে মোদির হোয়াইট হাউস সফরের সময়ও শানিয়েছিলেন এই আক্রমণ।

    শুল্ক ধাঁধার সমাধান

    নয়াদিল্লি কীভাবে ট্রাম্পের শুল্ক ধাঁধার সমাধান করবে? জয়শঙ্কর বলেন, “আমি মনে করি, ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে কিছু ‘সমস্যা’ থাকলেও, শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে।” তিনি বলেন, “ট্রাম্প কঠোর জাতীয়তাবাদী। তবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিষয়ে বাস্তববাদীও।” ভারতের অবস্থান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে পশ্চিমিদের হতাশ করেছে। নয়াদিল্লি মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের নিন্দা করা থেকে বিরত রয়েছে। জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত সব সময় তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখে। তাই সে মস্কোর সঙ্গে তার পুরনো সম্পর্ক ত্যাগ করতে পারে না।” তিনি বলেন, “মানুষ প্রায়ই নীতিগত বিষয়গুলিকে বড় করে তোলেন (S Jaishankar)।”

    দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি

    তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাশিয়া চিনের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এটি কি নয়াদিল্লির জন্য সমস্যা হতে পারে? এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছি, যা ইঙ্গিত দেয় যে চিন ও পশ্চিমিদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক পরিবর্তিত হলেও পুরানো অংশীদারদের সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে।” জয়শঙ্কর স্বীকার করেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। কারণ দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, “যদি ট্রাম্প চিনের সঙ্গে কোনও চুক্তি করেন, তাহলে সেই পরিস্থিতির জন্য ভারত তার নীতিগুলি প্রস্তুত রাখবে (Global Order)।”

    ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি

    প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের নয়া শুল্কনীতি নিয়ে ভারতের রফতানিকারক সংস্থাগুলি চিন্তায় পড়লেও এখনও প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সাউথ ব্লক অফিসিয়ালি কিছু বলেনি। চলতি সপ্তাহে আমেরিকা সফরে গিয়ে ট্রাম্প সরকারের বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটকিনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিরের ভবিষ্যৎমুখী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। শুক্রবার গোয়েল জানান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ এর ‘বিকশিত ভারত’-এর পাশাপাশি সার্বিক রণকৌশলগত বোঝাপড়ার নীতি মেনে চলা হবে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক ছেঁটেছে মোদি সরকার (Global Order)। জয়শঙ্করের মন্তব্যের পরে অনেকে মনে করছেন, আগামী দিনে সেই তালিকা দীর্ঘতর হতে চলেছে (S Jaishankar)।

  • Pakistan Train Hijack: বালোচ আন্দোলনের জন্য দায়ী জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা!

    Pakistan Train Hijack: বালোচ আন্দোলনের জন্য দায়ী জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন তিনেক আগে পাকিস্তানের বালোচিস্তানে হাইজ্যাক (Pakistan Train Hijack) করা হয়েছিল জাফর এক্সপ্রেস। পণবন্দি করা হয়েছিল বহু যাত্রীকে। পাকিস্তানের অভিযোগ, জাফর এক্সপ্রেস অপহরণের ছক কষা হয়েছে আফগানিস্তান থেকে (Baloch Movement)। ট্রেন অপহরণের পর থেকেই এমনই অভিযোগ ও দাবি তুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যে বলে পাল্টা দাবি তালিবানের।

    বালোচিস্তান (Pakistan Train Hijack)

    পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও কম জনবহুল এলাকা বালুচিস্তান। ১১ মার্চ এখান থেকেই জাফর এক্সপ্রেস ছিনতাই করেছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। পণবন্দি করা হয়েছিল নিরাপত্তা কর্মী-সহ ১০০ জন যাত্রীকে। এই বিদ্রোহের মূল কারণ বালোচবাসীর সঙ্গে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার বিশ্বাঘাতকতা। ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট জন্ম হয় পাকিস্তানের। তার ঠিক পরের বছর থেকেই সদ্যোজাত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নেন বালোচ জাতীয়তাবাদীরা। তারপর থেকে অশান্তি লেগেই রয়েছে পাকিস্তানের এই অংশে। ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১৯৫৮-৫৯, ১৯৬২-৬৩, ১৯৭৩-৭৭ সালে। ২০০৩ সাল থেকে প্রায়ই ঘটছে হিংসার ঘটনা।

    হাইজ্যাক আস্ত এক্সপ্রেস ট্রেন

    চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটল গত ১১ মার্চ। এদিন বালুচ বিদ্রোহীরা হাইজ্যাক করে আস্ত একটা এক্সপ্রেস ট্রেন। পণবন্দি করা হয় যাত্রীদের। বালুচিস্তান একটি শুষ্ক এলাকা (Pakistan Train Hijack)। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তানের পাঞ্জাব-প্রভাবিত রাজনীতির দ্বারা উপেক্ষিত এলাকা। বালুচবাসী অর্থনৈতিকভাবে নিপীড়িত। তাদের খনিজ সম্পদ আহরণ করে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নে ব্যবহার করা হয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, বালুচবাসীর অসন্তোষের অন্যতম কারণ এটাই। বালুচবাসীর অসন্তোষের অন্যতম লক্ষ্য হল গওদর বন্দর। চিনের সহায়তায় এই বন্দরের উন্নয়ন করছে পাকিস্তান। বালুচ বিদ্রোহীরা চিনা কর্মীদর ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। প্রসঙ্গত, গওদর বন্দরটি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের একটা অংশ।

    রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী

    ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স রিভিউ’য়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বালোচ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব বিভক্ত। ফলস্বরূপ, বালোচ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন তার লক্ষ্য বা কৌশলের ক্ষেত্রে একক নয়।” সশস্ত্র বিদ্রোহের সর্বশেষ পর্বটি শুরু হয় ২০০৪ সালে। ২০০৬ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে প্রভাবশালী বালোচ নেতা আকবর খান বুগতি নিহত হওয়ার পর এটি আরও তীব্রতা পায় (Baloch Movement)। বুগতি বেশি স্বায়ত্তশাসন, সম্পদের নিয়ন্ত্রণ এবং বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক গ্যাস আয় থেকে ন্যায্য ভাগ দাবি করছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগে সাতের দশকে বালোচবাসী বিদ্রোহের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী হয়েছিলেন (Pakistan Train Hijack)।

    রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী

    ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। ওই বছরই স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ। তার পরেই অক্সিজেন পান বালোচবাসী। বালোচিস্তানে ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টির নেতারা স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে উদ্দীপিত হয়েছিলেন। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মারি, মেঙ্গল এবং বুগতি গোত্রপ্রধানদের নেতৃত্বে প্রায় ৫৫ হাজার বালোচ যোদ্ধা ৮০ হাজার পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। পাকিস্তান বিমান বাহিনী বালোচিস্তানের বিভিন্ন গ্রামে বোমা বর্ষণ করে। তার ফলে নিহত হন হাজার হাজার সাধারণ বালোচবাসী। একাত্তরের সংঘর্ষ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে ইরান আশঙ্কা করেছিল বালোচ জাতীয়তাবাদের প্রভাব তাদের এলাকায় হয়ত ছড়িয়ে পড়বে। সেই আশঙ্কায়, পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা দিয়েছিল তারা।

    বালোচ বিদ্রোহীদের জন্য মজুত করা অস্ত্র উদ্ধার

    ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউল হক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ভুট্টোকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন। পরে উপজাতিদের ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। বালোচিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হয় সেনা। তার পরেই বালোচিস্তানে অবসান ঘটে সশস্ত্র সংগ্রামের। প্রথমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো এই দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তার জেরেই ঢেউ ওঠে প্রতিবাদের (Baloch Movement)। ১৯৭৩ সালে ভুট্টো বালুচিস্তানের প্রাদেশিক সরকার প্রধান আকবর খান বুগতিকে বরখাস্ত করেন। তিনি দাবি করেন, ইরাকি দূতাবাস থেকে বালোচ বিদ্রোহীদের জন্য মজুত করা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই অজুহাতে তিনি জানিয়ে দেন, বালুচিস্তানে হবে ব্যাপক সামরিক অভিযান। এরই ফলে একটি পূর্ণাঙ্গ সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হয়। এই সংগ্রাম চলেছিল ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত, টানা চার বছর ধরে। এই ঘটনা চতুর্থ বালুচিস্তান সংঘাত নামে পরিচিত (Pakistan Train Hijack)।

    “ওয়ান ইউনিট” পরিকল্পনা

    ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান চালু করে “ওয়ান ইউনিট” পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে দেশটির প্রদেশগুলি পুনর্গঠিত করা হয়। এই পরিকল্পনায় বালোচিস্তানকে অন্যান্য প্রদেশের সঙ্গে একীভূত করা হয়। তার জেরে স্বায়ত্তশাসন খর্ব হয় বালোচিস্তানের। এতেই খেপে যান বালোচ নেতারা। ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় নেতাদের মধ্যে। কালাতের খান, নওরোজ খান ১৯৫৮ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু করেন পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ। ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান নওরোজ খানকে আত্মসমর্পণে রাজি করায়। সেজন্য পাক সরকার তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করে বলে অভিযোগ। তাঁকে ক্ষমা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। যদিও আত্মসমর্পণ করার পর রুদ্রমূর্তি ধারণ করে তৎকালীন পাক সরকার। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তাঁকে ও তাঁর ছেলেদের গ্রেফতার করা হয়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় তাঁর পাঁচ আত্মীয়কে।

    ক্ষোভের আগুন উসকে দেয়

    পাক সরকারের এই বিশ্বাসঘাতকতা বালোচবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন আরও উসকে দেয়। যার জেরে আরও জোরালো হয় স্বাধীনতাকামী আন্দোলন। তবে বালোচিস্তান বিদ্রোহ শুরুর বীজ অঙ্কুরিত হয় ১৯৪৭ সালে, পাকিস্তান যখন বিচ্ছিন্ন হয় ভারতের থেকে। বালোচিস্তান অঞ্চলটি আগে চারটি দেশীয় রাজ্য হিসেবে ছিল—কালাত, খারান, লাস বেলা এবং মাকরান। সেই সময় তাদের সামনে তিনটি বিকল্প ছিল—ভারতের সঙ্গে যোগদান, পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, আর না হয় স্বাধীনতা বজায় রাখা। জিন্নার প্রভাবে তিনটি রাজ্য পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে যায় (Pakistan Train Hijack)। কালাতের শাসক খান মীর আহমেদ ইয়ার খান, যিনি খান অব কালাত নামেও পরিচিত, তিনিই বেছে নেন স্বাধীনতা।

    জিন্নাকে তার আইনি উপদেষ্টা

    ১৯৪৬ সালে খান অব কালাত জিন্নাকে তার আইনি উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেন। তিনি যাতে ব্রিটিশ ক্রাউনের সামনে তাঁর মামলা উপস্থাপন করতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা। ১৯৪৭ সালের ৪ অগাস্ট দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বালোচবাসীর স্বাধীনতার সিদ্ধান্ত সমর্থিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন, খান অব কালাত এবং জওহরলাল নেহরু। ছিলেন জিন্না স্বয়ংও। জিন্নার জোরালো দাবির ফলে খারান ও লাস বেলাকে কালাতের সঙ্গে একীভূত করে একটি সম্পূর্ণ বালুচিস্তান গঠনের পরিকল্পনা করা হয় (Baloch Movement)। প্রসঙ্গত, বালোচরা কখনওই “ওয়ান ইউনিট” নীতিকে মেনে নেয়নি। পাঁচ বছরের মধ্যেই, ১৯৬৩ সালে বালুচিস্তানে তৃতীয় বালোচ বিদ্রোহ দেখা দেয়।

    বিদ্রোহের লক্ষ্য

    শের মুহাম্মদ বিজরানি মারির নেতৃত্বে, এই বিদ্রোহের লক্ষ্য ছিল বালোচিস্তানের গ্যাস সম্পদের রাজস্ব ভাগাভাগির জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, “ওয়ান ইউনিট” পরিকল্পনার বিলুপ্তি এবং বালোচ বিদ্রোহীদের মুক্তি। এই বিদ্রোহ শেষ হয় ১৯৬৯ সালে সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে। বন্দি বালোচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুক্তি দেওয়া হয়। ১৯৭০ সালে “ওয়ান ইউনিট” নীতি বাতিল করার পর বালোচিস্তানকে পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের একটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পরে অবশ্য স্বাধীনতা লাভ করে বালোচিস্তান। তবে সেটা মাত্র ২২৬ দিনের জন্য। পরে বালুচবাসীর ইচ্ছায় নয়, বরং জিন্নার বিশ্বাসঘাতকতা ও ইসলামাবাদের সামরিক শক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয়। ৭৫ বছর আগের এই বিশ্বাসঘাতকতা ও অঞ্চল (Baloch Movement) এবং জনগণের শোষণ আজও বালুচ জনগণের সশস্ত্র প্রতিরোধের মূল কারণ হিসেবে রয়ে গেছে (Pakistan Train Hijack)।

  • Ramakrishna 297: “ঠাকুর অধরের বাড়ি প্রতিমাদর্শন করিবেন ও আনন্দময়ীর আনন্দোৎসবে যোগদান করিবেন”

    Ramakrishna 297: “ঠাকুর অধরের বাড়ি প্রতিমাদর্শন করিবেন ও আনন্দময়ীর আনন্দোৎসবে যোগদান করিবেন”

    সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে শ্রীরামকৃষ্ণ— দুর্গাপূজা দিবসে

    প্রথম পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে সেপ্টেম্বর

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ সাধারণ ব্রাহ্মসমাজমন্দিরে

    মাস্টার, হাজরা, বিজয়, শিবনাথ, কেদার 

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) কলিকাতা নগরীতে আগমন করিয়াছেন। সপ্তমীপূজা, শুক্রবার, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দ। ঠাকুরের অনেকগুলি কাজ। শারদীয় মহোৎসব — রাজধানীমধ্যে হিন্দুর প্রায় ঘরে ঘরে আজ মায়ের সপ্তমী পূজা আরম্ভ। ঠাকুর অধরের বাড়ি প্রতিমাদর্শন করিবেন ও আনন্দময়ীর আনন্দোৎসবে যোগদান করিবেন। আর একটি সাধ, শ্রীযুক্ত শিবনাথকে দর্শন (Kathamrita) করিবেন।

    বেলা আন্দাজ দুই প্রহর হইতে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের ফুটপাথের উপর একটি ছাতি হাতে করিয়া মাস্টার পাদচারণ করিতেছেন। একটা বাজিল, দুইটা বাজিল, ঠাকুর আসিলেন না। শ্রীযুক্ত মহলানবিশের ডিস্পেনসারির ধাপে মাঝে মাঝে বসিতেছেন; দুর্গাপূজা (Ramakrishna)  উপলক্ষে ছেলেদের আনন্দ ও আবালবৃদ্ধ সকলের ব্যস্তভাব দেখিতেছেন।

    বেলা তিনটা বাজিল। কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুরের গাড়ি আসিয়া উপস্থিত। গাড়ি হইতে অবতরণ করিয়াই সমাজমন্দির দৃষ্টে ঠাকুর করজোড়ে প্রণাম করিলেন। সঙ্গে হাজরা ও আর দুই-একটি ভক্ত। মাস্টার ঠাকুরের দর্শন লাভ করিয়া তাঁহার চরণবন্দনা করিলেন। ঠাকুর বলিলেন, “আমি শিবনাথের বাড়ি যাইব।” ঠাকুরের আগমনবার্তা শুনিয়া দেখিতে দেখিতে কয়েকটি ব্রাহ্মভক্ত আসিয়া জুটিলেন। তাঁহারা ঠাকুরকে সঙ্গে করিয়া ব্রাহ্মপাড়ার মধ্যে শিবনাথের বাড়ির দ্বারদেশে তাঁহাকে লইয়া গেলেন। শিবনাথ বাড়িতে নাই। কি হইবে? দেখিতে দেখিতে শ্রীযুক্ত বিজয় (গোস্বামী), শ্রীযুক্ত মহলানবিশ ইত্যাদি ব্রাহ্মসমাজের কর্তৃপক্ষেরা উপস্থিত হইলেন ও ঠাকুরকে অভ্যর্থনা করিয়া সমাজমন্দিরমধ্যে লইয়া গেলেন। ঠাকুর একটু বসুন—ইতিমধ্যে শিবনাথ আসিয়া (Kathamrita) পড়িলেও পড়িতে পারেন।

    ঠাকুর (Ramakrishna) আনন্দময়, সহাস্যবদনে আসন গ্রহণ করিলেন। বেদীর নিচে যে স্থানে সংকীর্তন হয়ে সেই স্থানে বসিবার আসন করিয়া দেওয়া হইল। বিজয়াদি অনেকগুলি ব্রাহ্মভক্ত সম্মুখে বসিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

LinkedIn
Share