Tag: news in bengali

news in bengali

  • S Jaishankar: “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে,” ইউনূসকে মনে করালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে,” ইউনূসকে মনে করালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে স্থলবেষ্টিত আখ্যা দেওয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) কড়া সমালোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “নয়াদিল্লি বিশ্বাস করে, সহযোগিতা হল একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গী, এটি কোনওভাবেই পছন্দ-অপছন্দের বিষয় নয়।” সরকারি বিবৃতিত বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনে (বিমস্টেক) তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন।” তিনি বলেন, “ভারত বিমস্টেকে তার দায়িত্ব উপলব্ধি করে এবং অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্ক অবগত।” তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বাস করে যে আঞ্চলিক সহযোগিতা একটি সমন্বিত পদ্ধতি এবং এটি নির্বাচিত বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “বঙ্গোপসাগরে ভারতের দীর্ঘতম উপকূলরেখা রয়েছে।”

    ইউনূসের দাবি (S Jaishankar)

    গত সপ্তাহে চার দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনূস। সেখানে তিনি দেখা করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। চিনকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর আর্জি জানান তিনি। সেই সূত্রেই চিনকে বাংলাদেশের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “সমুদ্রের (বঙ্গোপসাগর) একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য ইউনূসের দাবির প্রতি পরোক্ষ খোঁচা।

    কী বললেন জয়শঙ্কর?

    জয়শঙ্কর বলেন, “বঙ্গোপসাগরে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কিলোমিটারের উপকূলরেখা রয়েছে ভারতের। বঙ্গোপসাগরে এটিই দীর্ঘতম উপকূলরেখা। বিমস্টেকের পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রয়েছে এবং সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগ দেশকেই যুক্ত করে ভারত। কেবল তাই নয়, ভারতীয় উপমহাদেশ ও অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্স গোষ্ঠীর দেশগুলির মধ্যে সমন্বয়ও রক্ষা করে ভারত।” বিশেষ করে উত্তরপূর্বের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বিদেশমন্ত্রী জানান, এই যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল হিসেবে উঠে এসেছে উত্তরপূর্ব ভারত। তিনি (S Jaishankar) জানান, ভারত বিশ্বাস করে সহযোগিতা একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়, শুধুমাত্র একটি লাভদায়ক বা সুবিধাজনক বিষয় বেছে নেওয়া নয়।

    জয়শঙ্কর বলেন, “বৃহত্তর ভৌগোলিক অবস্থানে পণ্য, পরিষেবা ও মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা ও পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভৌগোলিক স্ট্র্যাটেজি মাথায় রেখেই আমরা বিগত এক দশক (Muhammad Yunus) ধরে বিমস্টেককে শক্তিশালী ও মজবুত করছি (S Jaishankar)।”

  • Waqf Amendment Bill: ‘আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব মুহূর্ত’, ওয়াকফ বিল পাশ নিয়ে মোদি

    Waqf Amendment Bill: ‘আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে অভূতপূর্ব মুহূর্ত’, ওয়াকফ বিল পাশ নিয়ে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Lok Sabha)পর রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill)। তার পরেই এই ঘটনাকে ‘এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেওয়ার জন্য সাংসদ এবং সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এই বিল পাশ হওয়াকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছেন মোদি।

    স্বচ্ছতার লক্ষ্যেই নয়া বিল

    বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে এখন তাইল্যান্ডে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখান থেকেই শুক্রবার সকালে সমাজমাধ্যমে মোদি লেখেন, “সংসদের দুই কক্ষে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার ঘটনা আর্থ-সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা, সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত।” প্রধানমন্ত্রী জানান, এত দিন যাঁরা প্রান্তিক এবং বঞ্চিত ছিলেন, ওয়াকফ সংক্রান্ত নতুন আইন তাঁদের সাহায্য করবে। ওয়াকফ ব্যবস্থার ‘ত্রুটি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “বহু দশক ধরে ওয়াকফ ব্যবস্থা আর স্বচ্ছতার অভাব কার্যত সমার্থক ছিল। এই কারণে মুসলমান মহিলা, গরিব মুসলমান এবং পসমন্দা মুসলমানদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংসদে পাশ হওয়া এই বিল স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে এবং মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখবে।”

    সংখ্যালঘু মুসলিমদের কণ্ঠস্বর

    সংখ্যালঘু মুসলিমদের কণ্ঠস্বরে পরিণত হবে এই ওয়কফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill), আশা প্রধানমন্ত্রীর। মুসলিম গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই বিল পাশ মোদি সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রয়াস। প্রথমটি ছিল তিন তালাক। উল্লেখ্য, দু’দিন ধরে সংসদে ম্যারাথন বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার রাতে পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫। এ বার রাষ্ট্রপতির সইয়ের অপেক্ষা। তার পরই তা আইনে পরিণত হবে। ওয়াকফ বিল অন্যায় ও দুর্নীতির যুগের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়বিচার ও সাম্যের যুগের সূচনা করবে। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ বিল, ২০২৫ অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা অন্যায় ও দুর্নীতির যুগের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়বিচার ও সাম্যের যুগের সূচনা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিলের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে, এই বিলকে সমর্থন করার জন্য সমস্ত দল এবং সংসদ সদস্যদের আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’

  • Ram Mandir: প্রায় সম্পূর্ণ অযোধ্যা রাম মন্দিরের নির্মাণের কাজ, বৈদিক রীতিতে সম্পন্ন কলসি পুজো

    Ram Mandir: প্রায় সম্পূর্ণ অযোধ্যা রাম মন্দিরের নির্মাণের কাজ, বৈদিক রীতিতে সম্পন্ন কলসি পুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সম্পূর্ণ অযোধ্যার রাম মন্দিরের নির্মাণের কাজ। গত পরশু অর্থাৎ বুধবার ২ এপ্রিল অযোধ্যার (Ayodhya) রাম জন্মভূমিতে (Ram Mandir) সম্পন্ন হয় কলসি পুজো। সম্পূর্ণ বৈদিক রীতিতে এই কলসি পুজো সম্পন্ন হয়। এই অনুষ্ঠানে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। কলসি পুজোয় শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই এর পাশাপাশি হাজির ছিলেন অনিল মিশ্র, গোপাল রাই প্রমুখরা।

    নির্মাণ সংস্থার আধিকারিকরাও হাজির ছিলেন পুজোয় (Ram Mandir)

    একইসঙ্গে রাম জন্মভূমির মন্দির নির্মাণের (Ram Mandir) কাজ করেছে যে এল অ্যান্ড টি কোম্পানি এবং টিসিএস, তাদের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। এই কোম্পানির আধিকারিকরা পুজোতেও অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের প্রার্থনা করতেও দেখা যায়। প্রসঙ্গত, আগামী ৬ এপ্রিল রয়েছে রামনবমী। সেই আবহে ২ এপ্রিলে কলসি পুজো সম্পন্ন হল। মন্দির নির্মাণ কমিটির (Ram Mandir) চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ২৪ মার্চ তাঁরা একটি বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই আলোচিত হয় রাম মন্দির নির্মাণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও জানিয়েছেন, রাম মন্দিরের ভিতরে সপ্ত মন্দিরে নির্মাণও প্রায় সম্পূর্ণ। ভগবান রামের মূর্তিও খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষ্ঠা করা হবে।

    আগেই জানানো হয় মন্দির নির্মাণ হতে সময় লাগবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত

    রামমন্দিরের চত্বরে আরও সাতটি মন্দির রয়েছে। এগুলি সম্পূর্ণ হওয়ার কাজও চলছে। এই সাতটি মন্দিরে মহর্ষি বাল্মীকি, শবরী, নিষাদরাজ, অহল্যা, বশিষ্ঠ, বিশ্বকর্মা ও অগস্ত্য মুনির পুজো হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন আরএসএস প্রমুখ মোহন ভাগবতও। তখনই রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়, সম্পূর্ণ মন্দির নির্মাণ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। ২০২৫ সালের রামনবমীর আবহে অযোধ্যা নগরীর রাম মন্দির প্রায় সম্পূর্ণ ।

  • Manoj Kumar: বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার প্রয়াত, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    Manoj Kumar: বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার প্রয়াত, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন বলিউডের (Bollywood) কিংবদন্তি অভিনেতা ও পরিচালক মনোজ কুমার (Manoj Kumar)। আজ শুক্রবার ভোর ৪:০৩ মিনিটে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বর্ষীয়ান এই অভিনেতার প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স মাধ্যমে নিজের পোস্টে মনোজ কুমারকে ভারতীয় সিনেমার আইকন বলে উল্লেখ করেন মোদি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেতা। লিভার সিরোসিস ও হৃদরোগজনিত অসুস্থতাও ছিল তাঁর।

    অসামান্য কাজের জন্য তিনি ‘ভারত কুমার’ উপাধি অর্জন করেন

    এক্ষেত্র বলা দরকার, মনোজ কুমার (Manoj Kumar) ভারতীয় সিনেমার অন্যতম দেশপ্রেমিক অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর অসামান্য কাজের জন্য তিনি ‘ভারত কুমার’ উপাধি অর্জন করেন। অভিনেতার মৃত্যুতে বলিউড জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বলিউডের এই মহান শিল্পীর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বহু তারকা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

    ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের অ্যাবটাবাদে (Manoj Kumar) জন্ম

    জানা যায়, ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের অ্যাবোটাবাদে (বর্তমানে পাকিস্তান) জন্ম নেন মনোজ কুমার। তাঁর আসল নাম হরিকৃষ্ণ গোস্বামী। ১৯৫৭ সালে ‘ফ্যাশন’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। এরপর একের পর সফল ছবি করেন তিনি। ‘কাচ কি গুড়িয়া’ (১৯৬১) ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। প্রসঙ্গত, মনোজ কুমার সবচেয়ে বেশি পরিচিত তাঁর দেশাত্মবোধক সিনেমাগুলোর জন্য। তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে, ‘শহিদ’ (১৯৬৫), ‘উপকার’ (১৯৬৭), ‘পুরব অউর পশ্চিম’ (১৯৭০), ‘রোটি, কাপড়া অউর মাকান’ (১৯৭৪), ‘ক্রান্তি’ (১৯৮১)।

    পরিচালক হিসেবেও ছিলেন সফল (Bollywood)

    অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক (Manoj Kumar) হিসেবেও তিনি দারুণ সফল ছিলেন। ‘হরিয়ালি অউর রাস্তা’, ‘ও কৌন থি’, ‘হিমালয় কি গোদ মে’, ‘দো বদন’, ‘পাত্থার কে সনম’, ‘নীল কমল’, ‘ক্রান্তি’- এই সমস্ত ছবি তাঁর পরিচালনায় খুবই সফল হয়। কিংবদন্তি এই অভিনেতা ১৯৯২ সালে পদ্মশ্রী ও ২০১৫ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান।

  • Waqf Amendment Bill: গভীর রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ সংশোধিত ওয়াকফ বিল, রাষ্ট্রপতির সই হলেই কার্যকর নতুন আইন

    Waqf Amendment Bill: গভীর রাতে রাজ্যসভাতেও পাশ সংশোধিত ওয়াকফ বিল, রাষ্ট্রপতির সই হলেই কার্যকর নতুন আইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। বুধবার লোকসভার (Lok Sabha) মতোই বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই বিলটি রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পাশ হয়। লোকসভায় পাশ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদের উচ্চকক্ষেও স্বীকৃতি পেল ওয়াকফ বিল (Waqf Amendment Bill)। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সই করলেই আইনে পরিণত হবে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল।

    ৭০ বছরের পুরনো আইনে বদল

    বদলে যাবে ৭০ বছরের পুরনো আইন। ১৯৫৪ সালের আইনকে সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ৩০ বছর পরে যে সংশোধনে সিলমোহর দিল ভারতীয় সংসদ, তাতে বোর্ডের ক্ষমতা এবং কার্যকারিতার খোলনলচে বদলে যেতে চলেছে। দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ ওয়াকফ বোর্ড পেতে চলেছে দেশ। সমস্ত বিতর্ক এবং সংশোধনী নিয়ে ভোটাভুটি শেষে বৃহস্পতিবার রাত ২টো ১৯ মিনিটে ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ পাশ করানোর প্রস্তাব পেশ করেন সংসদীয় বিষয়ক এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ধ্বনিভোটের ফলাফলে বিরোধী শিবির সন্তুষ্ট হয়নি। তাঁরা বিভাজন (ডিভিশন) চান। ভোটাভুটি শেষে রাত ২টো ৩৪ মিনিটে ফল ঘোষিত হয়। তাতে দেখা যায় বিলের পক্ষে পড়েছে ১২৮টি ভোট। আর বিপক্ষে পড়েছে ৯৫টি ভোট। ৩৩ ভোটের ব্যবধানে ওয়াকফ বিল (Waqf Amendment Bill) রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যায়।

    গরিব মুসলিমদের রক্ষা করবে এই বিল

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়াও ওয়াকফ বিলকে (Waqf Amendment Bill) সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘‘এই বিল গরিব মুসলিমদের রক্ষা করবে তাঁদেরই ধনী অংশের হাত থেকে। ন্যায়ের স্বার্থে এই নতুন বিল আমাদের সংবিধানের বুনিয়াদি নীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ কথা মনে রাখতে হবে যে, নতুন ওয়াকফ বিল মুসলিমদের ধর্মাচরণে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করছে না।’’ দেশে যে বিপুল পরিমাণ ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে, তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যেই এই বিল আনা হয়েছে বলে মত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫-র নয়া নাম উমিদ

    এদিনও ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ নিয়ে বিতর্ক চলে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। সংসদীয় বিষয়ক এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলছেন, আমরা এই বিলের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছি। কিন্তু ভয় আমরা দেখাচ্ছি না। ভয় আপনারা দেখাচ্ছেন। সিএএর সময়েও অনেকে ভয় দেখিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সিএএ পাশ হলেই অনেকের নাগরিকত্ব চলে যাবে। কিন্তু সিএএ পাশ হওয়ার পরে তেমন কিছু হয়নি। ওয়াকফ বিলের ক্ষেত্রেও আগে থেকে অনেকে ভয় দেখানোর কাজ করছেন। কিন্তু বিল পাশ হওয়ার পর দেখবেন, আগামিকাল থেকেই একে কী ভাবে স্বাগত জানানো হয়।’’ তিনি আরও জানান, ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫-র নাম বদলে রাখা হচ্ছে উমিদ (ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট এমপাওয়ারমেন্ট এফিসিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) বিল।

    ওয়াকফ বোর্ডে মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ

    এদিন রাজ্যসভায় আলোচনার শুরুতেই রিজিজু বলেন, ওয়াকফ সম্পত্তির মূল উদ্দেশ্য দরিদ্র, অনাথ শিশু ও মহিলাদের কল্যাণ। অথচ এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আয় হচ্ছে সামান্যই। সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৬ সালে দেশে ৪.৯ লক্ষ ওয়াকফ সম্পত্তি ছিল, যেখান থেকে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা থাকলেও আদতে আয় হয়েছিল মাত্র ১৬৩ কোটি। ২০১৩ সালে আইনে কিছু পরিবর্তন আনা হলেও আয় খুব একটা বাড়েনি। নতুন আইন এই ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। নতুন আইনে কেন ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, বিরোধীদের এই প্রশ্নের জবাবে রিজিজু বলেন, ‘‘ওয়াকফ বোর্ড একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা। একটি বিধিবদ্ধ সংস্থায় শুধু মুসলিমরা থাকবেন, আর কেউ থাকতে পারবেন না, এটা কী ভাবে হবে?’’ রিজিজুর কথায়, ‘‘বিধিবদ্ধ সংস্থাকে ধর্মনিরপেক্ষ হতে হবে এবং সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব সেখানে থাকা উচিত।’’ তবে রিজিজু এ-ও জানান যে, ২২ সদস্যের বোর্ডে সর্বোচ্চ চারজন অমুসলিম সদস্য থাকতে পারবেন। ফলে বিল (Waqf Amendment Bill) পাশ হয়ে তা আইনে পরিণত হলেও ওয়াকফ বোর্ডে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠই থাকবেন।

  • Basanti Puja: চৈত্র শুক্লপক্ষে দেবী মহামায়ার আরাধনা করেন রাজা সুরথ, জানুন বাসন্তী পুজোর ইতিহাস

    Basanti Puja: চৈত্র শুক্লপক্ষে দেবী মহামায়ার আরাধনা করেন রাজা সুরথ, জানুন বাসন্তী পুজোর ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুশাস্ত্রমতে বসন্তকালে চৈত্র শুক্লপক্ষে আয়োজিত হয় বাসন্তী পুজো। পুরাণ অনুযায়ী, সমাধি নামক বৈশ্যের সঙ্গে মিলে রাজা সুরথ বসন্তকালে ঋষি মেধসের আশ্রমে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। যা পরে বাসন্তী পুজো (Basanti Puja) নামে প্রসিদ্ধ হয়। দেবী দুর্গার প্রথম পুজারী হিসাবে চণ্ডীতে রাজা সুরথের উল্লেখ রয়েছে।

    কবে থেকে পুজো, দেবীর আগমন কিসে

    চলতি বছরে বাসন্তীপুজো ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। এই পুজোর ষষ্ঠীই হল অশোক ষষ্ঠী। মূলত, সপ্তমী তিথি বাসন্তী পুজো, অষ্টমীতে অন্নপূর্ণার আরাধনা, নবমীই হল রাম নবমী। দেশের নানান জায়গায় যখন চৈত্র নবরাত্রির পার্বনে অনেকে উৎসবে মেতে রয়েছেন, তখন বাংলা এই চৈত্রের শুক্লপক্ষে দেবী বাসন্তীর আরাধনায় মেতে ওঠে। শাস্ত্রমতে বলা হচ্ছে, চলতি বছর দেবীর আগমন হবে গজে। আর দেবীর গমনও হতে চলেছে গজে। জ্যোতিষমতে বলা হচ্ছে, দেবীর বাহন যদি গজ বা হাতি হয়, তাহলে তার ফলাফল হয় শস্য শ্য়ামলা বসুন্ধরা। এতে মনে করা হয় বিশ্বে অর্থ, সমৃদ্ধি বাড়ে।

    রাজা সুরথের কাহিনী

    রাজা সুরথকে চিত্রগুপ্তবংশী রাজা (চিত্রগুপ্তের বংশধর) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দুর্গা সপ্তশতী দেবী মাহাত্ম্য এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণে। সুরথ সুশাসক ও যোদ্ধা হিসেবে বেশ খ্যাত ছিলেন। কোনও যুদ্ধে নাকি তিনি কখনও হারেননি। কিন্তু প্রতিবেশী রাজ্য একদিন তাঁকে আক্রমণ করে এবং সুরথ পরাজিত হন। এই সুযোগে তাঁর সভাসদরাও লুটপাট চালায়। কাছের মানুষের এমন আচরণে স্তম্ভিত হয়ে যান সুরথ। বনে ঘুরতে ঘুরতে তিনি মেধাসাশ্রমে পৌঁছোন। ঋষি তাঁকে সেখানেই থাকতে বলেন। কিন্তু রাজা শান্তি পান না।

    বাসন্তী পুজোর সূচনা

    এর মধ্যে একদিন তাঁর সমাধির সঙ্গে দেখা হয়। তিনি জানতে পারেন, সমাধিকেও তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তবুও তিনি স্ত্রী-ছেলের ভালোমন্দ এখনও ভেবে চলেছেন। তাঁরা দুজনেই তখন ভাবলেন, যাদের কারণে তাদের সব কিছু হারিয়েছে, তাদের ভালো আজও তাঁরা কামনা করছেন। ঋষিকে একথা বলায়, তিনি বলেন সবই মহামায়ার ইচ্ছা। এরপর ঋষি মহামায়ার কাহিনি বর্ণনা করেন। ঋষির উপদেশেই রাজা কঠিন তপস্যা শুরু করেন। পরে মহামায়ার আশীর্বাদ পেতেই বসন্ত কালের শুক্ল পক্ষে রাজা পুজো শুরু করেন। শুরু হয় বাসন্তী পুজো (Basanti Puja)। এই পুজো এখন কয়েকটি বাড়িতেই শুধু হয়।

  • Daily Horoscope 04 April 2025: কাজের ব্যাপারে দুশ্চিন্তা থাকবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 04 April 2025: কাজের ব্যাপারে দুশ্চিন্তা থাকবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) যে কোনও কাজে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় সহকর্মীর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

     

    বৃষ

     

    ১) স্ত্রীর কারণে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) শত্রুভয় কাটাতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় ফল নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে আরও বেশি।

    সিংহ

    ১) কাজের ব্যাপারে দুশ্চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রংশ ঘটতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    কন্যা

    ১) বাড়িতে অশান্তির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে পারবে না।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    তুলা

    ১) আর্থিক টানাটানির যোগ।

    ২) কর্মস্থলে পদন্নোতির যোগ রয়েছে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভাল হবে।

    ২) ভ্রমণে গেলে সমস্যা হতে পারে।

    ৩) সতর্কতা অবলম্বন করুন সব কাজে।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের উপদেশে কর্মে উন্নতি।

    ৩) অলসতা ত্যাগ করুন।

    মকর

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    কুম্ভ

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় শুভ ইঙ্গিত।

    ৩) বড়দের কথা মেনে চলুন।

    মীন

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভপ্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে একটু কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 315: “সংসারে কাম, ক্রোধ এই সবের সঙ্গে, নানা বাসনার সঙ্গে, আসক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়”

    Ramakrishna 315: “সংসারে কাম, ক্রোধ এই সবের সঙ্গে, নানা বাসনার সঙ্গে, আসক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়”

    দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ভক্তসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ  

    চতুর্থ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৬শে অক্টোবর
    সন্ন্যাস ও গৃহস্থাশ্রম—ঈশ্বরলাভ ও ত্যাগ—ঠিক সন্ন্যাসী কে?

     

    সংসারত্যাগ কি দরকার? 

    মহিমা—তাঁর উপর মন গেলে আর কি সংসার থাকে?

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna)—সে কি? সংসারে থাকবে না তো কোথায় যাবে? আমি দেখছি যেখানে থাকি, রামের অযোধ্যায় আছি। এই জগৎসংসার রামের অযোধ্যা। রামচন্দ্র গুরুর কাছে জ্ঞানলাভ করবার পর বললেন, আমি সংসারত্যাগ করব। দশরথ তাঁকে বুঝাবার জন্য বশিষ্ঠকে পাঠালেন। বশিষ্ঠ দেখলেন, রামের তীব্র বৈরাগ্য। তখন বললেন, “রাম, আগে আমার সঙ্গে বিচার কর, তারপর সংসারত্যাগ করো। আচ্ছা, জিজ্ঞাসা করি, সংসার কি ঈশ্বর ছাড়া? তা যদি হয় তুমি ত্যাগ কর।” রাম দেখলেন, ঈশ্বরই জীবজগৎ সব হয়েছেন। তাঁর সত্তাতে সমস্ত সত্য বলে বোধ হচ্ছে। তখন রামচন্দ্র (Ramakrishna) চুপ করে রইলেন।

    “সংসারে কাম, ক্রোধ এই সবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়, নানা বাসনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়, আসক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়। যুদ্ধ কেল্লা থেকে হলেই সুবিধা (Kathamrita)। গৃহ থেকে যুদ্ধই ভাল;—খাওয়া মেলে, ধর্মপত্নী অনেকরকম সাহায্য করে। কলিতে অন্নগত প্রাণ—অন্নের জন্য সাত জায়গায় ঘুরার চেয়ে এক জায়গাই ভাল। গৃহে, কেল্লার ভিতর থেকে যেন যুদ্ধ করা।

    “আর সংসারে থাকো ঝড়ের এঁটো পাত হয়ে। ঝড়ের এঁটো পাতাকে কখনও ঘরের ভিতরে লয়ে যায়, কখনও আঁস্তাকুড়ে। হাওয়া যেদিকে যায়, পাতাও সেইদিকে যায়। কখনও ভাল জায়গায়, কখনও মন্দ জায়গায়! তোমাকে এখন সংসারে ফেলেছেন, ভাল, এখন সেই স্থানেই থাকো—আবার যখন সেখান থেকে তুলে ওর চেয়ে ভাল জায়গায় লয়ে ফেলবেন, তখন যা হয় হবে।”

    সংসারে আত্মসমর্পণ (Resignation) রামের ইচ্ছা 

    “সংসারে রেখেছেন তা কি করবে (Kathamrita)? সমস্ত তাঁকে সমর্পণ করো—তাঁকে (Ramakrishna) আত্মসমর্পণ করো। তাহলে আর কোন গোল থাকবে না। তখন দেখবে, তিনিই সব করছেন। সবই রামের ইচ্ছা।”

    একজন ভক্ত—‘রামের ইচ্ছা’ গল্পটি কি?

  • Waqf Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে সমর্থন চন্দ্রবাবু-নীতীশের, কীভাবে হল অসাধ্য সাধন?

    Waqf Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে সমর্থন চন্দ্রবাবু-নীতীশের, কীভাবে হল অসাধ্য সাধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-কে নিজেদের ফেভারে নিয়ে এসে বিরোধীদের মাত দিল বিজেপি (BJP)। জেডিইউ এবং টিডিপির সমর্থনে বর্তমানে লোকসভায় এনডিএর সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। নীতীশ এবং চন্দ্রবাবু বেঁকে বসলেই বিপদ হতে পারত। লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Bill 2025) পাশ করাতে ব্যর্থ হতে পারত তৃতীয় মোদি সরকার। যার অর্থ হত, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাত এনডিএ সরকার। বস্তুত, বিরোধীদের আশাও ছিল তেমনই। তবে শেষমেশ তাঁদের সে গুড়ে বালি দিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের দল। সূত্রের খবর, এই অসাধ্য সাধন হয়েছে বিজেপির জোট অংশীদারদের কাছ থেকে বিতর্কিত বিষয়ে সমর্থন আদায়ের নিরন্তর প্রচেষ্টায়।

    টিডিপি এবং জেডিইউয়ের ভোটব্যাংক (Waqf Bill 2025)

    টিডিপি এবং জেডিইউয়ের ভোটব্যাংক হলেন মুসলমান ভোটাররা। সেই কারণে মুসলমানদের সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে, বিশেষত ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মতো বিষয়ে বিজেপির বিপরীত অবস্থান নিয়েছে এই দুই দল। এবারও তেমনটাই হবে বলে আশা করেছিলেন বিরোধীদের সিংহভাগ অংশ। যদিও পর্দার আড়ালে আলোচনার মাধ্যমে এই দুই দলকে বিলটি সমর্থনে রাজি করায় পদ্ম শিবির। তার জেরেই লোকসভায় পাশ হয়ে যায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫।

    বিলটির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা

    অগাস্ট মাসে বিলটি আনার আগে প্রবীণ মন্ত্রীরা টিডিপি এবং জেডিইউ নেতৃত্বকে বিলটির গুরুত্ব সম্পর্কে সম্যক অবহিত করেছিলেন। বিলটির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছিলেন এনডিএ জোটের অন্যান্য শরিকদের কাছেও। সেই সময় ওই দলগুলির নেতাদের বিজেপি নেতৃত্ব পইপই করে বুঝিয়েছিলেন বিলটি মুসলিম স্বার্থ রক্ষা এবং নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে প্রণয়ন করা হয়েছে, বিরোধী দলগুলির অভিযোগের মতো সম্প্রদায়গুলিকে (Waqf Bill 2025) বিভক্ত করার জন্য নয়।

    এনডিএ জোটের শরিকদের বোঝানোর পালা শেষ হওয়ার পর বিলটি পাঠানো হয় যৌথ সংসদীয় কমিটিতে। সেখানে টিডিপি এবং জেডিইউয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা-সহ ১৪টি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। তার পরেই বিলটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় মন্ত্রিসভায়। পরে পেশ হয় লোকসভায় (BJP)। বিলটি সমর্থন করে টিডিপি এবং জেডিইউ দলের নেতারা বলেন, “এটি মুসলমান নারী ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ (Waqf Bill 2025)।”

  • PM Modi: “রামায়ণের গল্প তাই জনগণের জীবনের অংশ,” তাইল্যান্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “রামায়ণের গল্প তাই জনগণের জীবনের অংশ,” তাইল্যান্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রামায়ণের গল্প তাই জনগণের জীবনের অংশ।” বৃহস্পতিবার তাইল্যান্ড সফরে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “ভারত ও তাইল্যান্ডের শতাব্দীপ্রাচীন (BIMSTEC Summit) সম্পর্ক আমাদের গভীর সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত। বৌদ্ধধর্মের প্রসার আমাদের জনগণকে সংযুক্ত করেছে। আয়ুথায়া থেকে নালন্দা পর্যন্ত বুদ্ধিজীবীদের আদান-প্রদান হয়েছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “রামায়ণের গল্প তাই জনগণের জীবনের অংশ।”

    সহযোগিতার বন্ধন (PM Modi) 

    ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে বৃহস্পতিবার তাইল্যান্ডে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান উপপ্রধানমন্ত্রী তথা পরিবহণমন্ত্রী সুরিয়া জংরুংগ্রেয়াংকিট। ব্যাংককে অবতরণের পর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ভারত ও তাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতার বন্ধন জোরদার করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।” তাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংস্কৃত ও পালি ভাষার প্রভাব আজও ভাষা ও ঐতিহ্যে প্রতিফলিত হয়। আমি তাইল্যান্ড সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ যে, আমার সফরের সময় ১৮শ শতকের রামায়ণ ম্যুরাল চিত্রভিত্তিক একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়েছিল।”

    ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি

    তিনি বলেন, “ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনে তাইল্যান্ডের একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে। ভারত ও তাইল্যান্ড মুক্ত, উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং নিয়ম-ভিত্তিক শৃঙ্খলাকে সমর্থন করে। আমরা উন্নয়নবাদের নীতিতে বিশ্বাস করি, সম্প্রসারণবাদে নয়।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমরা ভারত-তাইল্যান্ড সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্তরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    এদিন প্রধানমন্ত্রীকে তাই প্রধানমন্ত্রী শিনাওয়াত্রা “ওয়ার্ল্ড তি-পিটক: সজঝায়া ফোনেটিক সংস্করণ” নামক পবিত্র ধর্মগ্রন্থ উপহার দেন। ২০১৬ সালে থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল অদুল্যাদেজ ও রানি সিরিকিটের ৭০ বছরের রাজত্বের স্মরণে এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছিল তাইল্যান্ড সরকার।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন (BIMSTEC Summit), “প্রধানমন্ত্রী শিনাওয়াত্রা এইমাত্র আমাকে ত্রিপিটক উপহার দিয়েছেন। ‘বুদ্ধ ভূমি’ ভারতের পক্ষ থেকে আমি বিনম্রভাবে এটি গ্রহণ করেছি। গত বছর ভারত থেকে তাইল্যান্ডে ভগবান বুদ্ধের পবিত্র ধ্বংসাবশেষ পাঠানো হয়েছিল। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে ৪ মিলিয়নেরও বেশি ভক্ত সেটি দর্শনের সুযোগ পেয়েছেন (PM Modi)।”

LinkedIn
Share