Tag: pakistan

pakistan

  • Arshad Nadeem: প্রতিশ্রুতি দিয়েও জমি দেয়নি পাক সরকার, ক্ষোভ প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী আরশাদ নাদিমের

    Arshad Nadeem: প্রতিশ্রুতি দিয়েও জমি দেয়নি পাক সরকার, ক্ষোভ প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী আরশাদ নাদিমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিক্সে ইতিহাস গড়েও জমি পাননি পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem)। ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে দেশের জন্য সোনার পদক জেতেন পাকিস্তানের জ্যাভেলিন তারকা আরশাদ নাদিম। এই জয় ছিল ঐতিহাসিক—কারণ, অলিম্পিক্স ইতিহাসে সেই প্রথম কোনও পাকিস্তানি অ্যাথলিট ব্যক্তিগত বিভাগে সোনার পদক জিতেছিলেন। দেশে ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার এবং একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আরশাদকে নানা পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় (Pakistan)। কারও পক্ষ থেকে আর্থিক পুরস্কার, তো কারও পক্ষ থেকে জমির আশ্বাস—ঘোষণার বন্যা বইতে থাকে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, আজও সেই প্রতিশ্রুত জমির একটি টুকরোও হাতে পাননি তিনি।

    প্রতিশ্রুতি এখনও বাস্তব হয়নি, ক্ষোভের কথা জানালেন আরশাদ

    ‘জিও টিভি’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরশাদ নাদিম নিজেই জানিয়েছেন, “পাকিস্তান সরকার (Arshad Nadeem) আমাকে জমি দেওয়ার কথা বলেছিল, কিন্তু বাস্তবে কিছুই পাইনি। এটা ছিল একেবারেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। তবে অন্যান্য নগদ পুরস্কার আমি পেয়ে গিয়েছি।” সরকারের পক্ষ থেকে জমির প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলেও, আরশাদ জানিয়েছেন যে তিনি এখন পুরোপুরি নিজের অ্যাথলেটিক্স কেরিয়ারে মনোযোগ দিচ্ছেন। লক্ষ্য একটাই—নিজেকে আরও উন্নত করা।

    অলিম্পিক্সে আরশাদের বিস্ময়কর পারফরম্যান্স (Arshad Nadeem)

    ২৮ বছর বয়সি আরশাদ নাদিম (Arshad Nadeem) প্যারিস অলিম্পিক্সে ৯২.৯৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভেলিন ছুড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকেন এবং স্বর্ণপদক জেতেন। ঠিক তাঁর পরেই দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ভারতের জ্যাভেলিন সেনসেশন নীরজ চোপড়া, যিনি রুপোর পদক ঘরে তোলেন। বর্তমানে এই দুই তারকার মধ্যে দ্বৈরথ দেখতে মুখিয়ে ক্রীড়াপ্রেমী বিশ্ব। ১৬ অগাস্ট, পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে সিলেসিয়া ডায়মন্ড লিগ। সেখানে আবার মুখোমুখি হবেন এই দুই শীর্ষ প্রতিযোগী। ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাব প্রদেশে জন্ম নেন আরশাদ। ছোটবেলায় খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ থেকেই ধীরে ধীরে তিনি পা রাখেন জ্যাভেলিনে। এই খেলা তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অলিম্পিক্স ছাড়াও কমনওয়েলথ গেমস ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতে নিজের কেরিয়ারে নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছেন তিনি।

  • Baloch Rebels: পাকিস্তানে ফের সেনার বাসে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ, দায় স্বীকার করেনি বালুচ স্বাধীনতাকামীরা

    Baloch Rebels: পাকিস্তানে ফের সেনার বাসে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ, দায় স্বীকার করেনি বালুচ স্বাধীনতাকামীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহ আগেই পরিচয়পত্র দেখে বাস থেকে নামিয়ে ৯ জন পাকিস্তানিকে গুলি করে হত্যা করেছিল বালুচ স্বাধীনতাকামীরা (Baloch Rebels)। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতের ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছিল ঝোব জেলার সুর-ডাকাই এলাকায় জাতীয় সড়কে। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের খবরের শিরোনামে বালুচিস্তান। ১৬ জুলাই রাতের দিকে কালাত জেলার নেমারঘ এলাকায় একটি বাসে হামলা চালায় স্বাধীনতাকামীরা।

    দু’দিক থেকেই বাসে গুলি (Baloch Rebels)

    বাসটিতে ছিলেন পাক সেনারা। বাসটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কুয়েটা-করাচি আরসিডি জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই রাস্তার দু’দিক থেকেই বাসটিতে গুলি চালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পাক সেনা নিহত হন। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও অনেকেই। কড়া নিরাপত্তায় নিহত পাক সেনাদের দেহ এবং জখমদের কালাত সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতাল চত্বরে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। তাই ঠিক কতজন নিহত হয়েছেন, জখমই বা হয়েছেন কতজন, তা জানা যায়নি (Pakistani Soldiers Killed)।

    বাসে ছিলেন সেনাকর্মীরাও

    পাকিস্তানের সরকারি আধিকারিকরা ঘটনাটিকে সাধারণ একটি বেসরকারি বাসে হামলা হিসেবে উল্লেখ করলেও, ইধি ফাউন্ডেশনের উদ্ধারকারী দল ও সূত্রের খবর, বাসটিতে সেনাকর্মীদের পাশাপাশি ছিলেন পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়নি, তবে জুলাই মাসের শুরু থেকে কালাত ও আশপাশের এলাকায় সামরিক বাহিনীর ওপর একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালানোর কারণে বালুচ স্বাধীনতাকামীদেরই সন্দেহ করা হচ্ছে। পাকিস্তানের আধিকারিকদের একাংশের মতে, এই হামলার পদ্ধতি পূর্ব পরিকল্পিত। রাস্তার দু’দিক থেকে চালানো আক্রমণ যা একটি কৌশলগত জাতীয় সড়কের ওপর হয়েছে (Baloch Rebels), তা থেকে স্পষ্ট এটি একটি সামরিক পরিবহণ টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে। তাঁদের মতে, এটি বালুচ লিবারেশন আর্মির অপারেশনের বৈশিষ্ট্য।

    জাতীয় সড়ক অবরোধ ঘিরে তুলকালাম

    গত ১১ জুলাই বালুচ স্বাধীনতাকামীরা আরসিডি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন চার ঘণ্টা ধরে। অবরোধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ায় রাস্তায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। অবরোধ তুলতে গেলে পাকিস্তান সেনার সঙ্গে স্বাধীনতাকামীদের গুলির লড়াই হয়। সেদিনও নিহত হন দুই পাক সেনা। এর পরে পরেই কালাত ও খারানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়। এর মধ্যে স্নাইপার হামলা, বোমা বিস্ফোরণ এবং অতর্কিত হামলাও রয়েছে। এই সব অভিযানে কমপক্ষে ১১ জন পাক সেনা নিহত হন। জখমও হন ১২-১৩জন পাক সেনা (Pakistani Soldiers Killed)।

    মৃতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ 

    কালাত সিভিল হাসপাতালে সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় সন্দেহ আরও গাঢ় হয়েছে। কারণ নিহত এবং আহতদের এই হাসপাতেলেই নিয়ে আসা হয়েছিল। গণমাধ্যমের কর্মীদের হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়ার পাশাপাশি ওই অঞ্চলে মোবাইলের নেটওয়ার্কও মাঝে মাঝেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এটি পাক প্রশাসনের একটি কৌশল, যা বড় ধরনের বিদ্রোহী দমন অভিযানের সময় প্রায়ই ব্যবহার করা হয় (Baloch Rebels)।

    কী বলছে সরকার

    পাক সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বাসটির তিনজন যাত্রী নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন। তবে তিনি নিশ্চিত করেননি, নিহতদের মধ্যে কোনও সেনা সদস্য ছিলেন কি না। যদিও উদ্ধারকারী কর্মীদের তরফে পরস্পরবিরোধী তথ্যগুলি থেকে জানা গিয়েছে (Pakistani Soldiers Killed), সরকারি বিবৃতিতে মৃতের সংখ্যা যা বলা হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যাটা হতে পারে তার অনেক বেশি।

    গেরিলা যুদ্ধ কৌশল

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের হামলাটি বালুচ স্বাধীনতাকামীদের, বিশেষ করে বালুচ লিবারেশন আর্মির পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে যৌথ গেরিলা যুদ্ধ কৌশলের এক নয়া উচ্চতায় পৌঁছনোর ইঙ্গিত দেয়। গত দু’সপ্তাহের মধ্যে বালুচ স্বাধীনতাকামীরা যেসব হামলা চালিয়েছে, সেগুলি হল – ৫ জুলাই শেখারিতে একটি সেনা চৌকিতে ভারী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ৫জন সেনাকে হত্যা এবং আরও ৫জনকে জখম করা। ১২ জুলাই বেনচায় একটি সেনা কনভয়ের ওপর পূ্র্ব পরিকল্পিত ঘেরাও এবং হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় ৩জন সেনাকে (Baloch Rebels)। ১৩ জুলাই খারানে ডিআইজি অফিস লক্ষ্য করে তিনটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। স্নাইপার হামলা এবং চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর সংশ্লিষ্ট লজিস্টিক অপারেশনে ব্যাঘাতও ঘটানো হয় বিভিন্ন জেলায়। বালুচ লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র আজাদ বালুচ এক বিবৃতিতে জানান, “এই সব কর্মসূচি হচ্ছে অধিকারের দখল ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ। যতক্ষণ (Pakistani Soldiers Killed) না স্বাধীন ও মুক্ত বালুচিস্তান প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ এই ধরনের হামলা চলতেই থাকবে (Baloch Rebels)।”

  • Northeast Terror Plot: উত্তর-পূর্বকে অশান্ত করার চেষ্টায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান! বড় সন্ত্রাসী চক্রান্ত ফাঁস ত্রিপুরায়

    Northeast Terror Plot: উত্তর-পূর্বকে অশান্ত করার চেষ্টায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান! বড় সন্ত্রাসী চক্রান্ত ফাঁস ত্রিপুরায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে ফের ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ফের ভারতের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বাংলাদেশ। তার সঙ্গে রয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI)। সম্প্রতি মণিপুরে এরকম এক চক্রান্তের খোঁজ পেয়েছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। এনআইএ-এর তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রামভিত্তিক বিদ্রোহী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (UPDF) ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা হাম বারঘা তা আর্মি (THBTA) ও মোগ ন্যাশনাল পার্টি (MNP) গঠনের মাধ্যমে অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছিল।

    ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় সুরক্ষাব্যবস্থা, পাঁচ অভিযুক্ত ধৃত

    এনআইএ সূত্রে খবর, চক্রান্তের আঁচ পেয়েই ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় সুরক্ষাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়। জঙ্গিদের আনাগোনা বাড়ছে এই খবর পাওয়ার পরেই আরও তৎপর হয় বাহিনী। এদিকে ত্রিপুরায় এর আগে একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনা হয়েছে। এনএলএফটি, এটিটিএফ, সহ একাধিক গোষ্ঠী মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দিয়েছে। সেই ১৯৮০ সাল থেকে ২০০০ সালের প্রথম পর্যন্ত একের পর এক রক্তক্ষয়ী ঘটনা হয়েছে। এর জেরে বার বার অশান্ত হয়েছে ত্রিপুরা। তাই এবার আগে থেকেই সতর্ক ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি এনআইএ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে, যারা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (UPDF)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল। অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহে জড়িত ছিল এই ব্যক্তিরা। ধৃতরা হলেন লালবিয়াকচুঙ্গা ওরফে ডিভিড ওরফে ডেভিড, লালথমচেউভা ওরফে থাওমা, মালসাওমা ওরফে মালসাওমা লনচেউ, রুয়াললিয়ানসাঙ্গা ওরফে সাঙ্গা এবং অলোক বিকাশ চাকমা। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি (BNS, 2023), বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA Act, 1967), অস্ত্র আইন (Arms Act, 1959) এবং বিদেশি আইন (Foreigners Act, 1946) এর অধীনে মামলা রুজু হয়েছে।

    মিজোরাম থেকে অস্ত্র সরবরাহ

    একই সঙ্গে মিজোরামের মামিত জেলার সাইথাহ গ্রাম থেকে বড় পরিমাণে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ছিল, ৬টি একে-৪৭ রাইফেল, ১৩টি ম্যাগাজিন, ১০,০৫০ রাউন্ড গুলি। এই অস্ত্রগুলি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইউপিডিএফ-এর জন্য পাঠানো হচ্ছিল, বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

    মণিপুরে গ্রেফতার, উদ্ধার মোবাইল ফোন-সিম

    মণিপুরে জঙ্গি সংগঠন ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী। ১১ ও ১২ জুলাই তারিখে ইম্ফল পূর্ব, থৌবাল ও বিষ্ণুপুর জেলায় সমন্বিত অভিযানে পাঁচ সক্রিয় জঙ্গি ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। থৌবাল ড্যাম থানা এলাকার অন্তর্গত লাইখং অঞ্চল থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন কাংলেই ইয়াওল কান্না লুপ-এর দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে নিরাপত্তা বাহিনী। ধৃতদের নাম সাগোলসেম ললিত মেইতেই (৩৬), ইথাম মামাং লেইকাই এবং অহংশাংবম তোম্বা সিং। এক পৃথক অভিযানে ইম্ফল পূর্ব জেলার পরমপট থানার অন্তর্গত কংপাল চিংগাংবম লেইকাই এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য খুমুকচাম আবোসানা সিংকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে, থৌবাল থানার অন্তর্গত ওয়াংজিং বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় নিষিদ্ধ রেভলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট/পিপলস লিবারেশন আর্মির সক্রিয় সদস্য মেইসনাম মাংলেমনগবা মেইতেই ওরফে চুমথাংখানবা বা নাওতোম্বাকে (২৭)। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি থৌবাল ও বিষ্ণুপুর জেলায় চাঁদাবাজি, অর্থ দাবি এবং নতুন সদস্য নিয়োগের কাজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি ও টাকা ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ জুলাই বিষ্ণুপুর জেলার মোইরাং থানার অন্তর্গত ত্রোংলাওবি বাজার থেকে কেএসপি (তৈবাংগানবা) গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য থিনগুজম রমেশ সিং ওরফে অ্যালেক্স বা পিঙ্কিকে (৩১) গ্রেফতার করা হয়। পিঙ্কি স্থানীয় ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ জনগণকে হুমকি এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও দুটি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

    বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তা

    এনআইএ-এর তদন্তে আরও উঠে এসেছে, টিএইচবিটিএ প্রধান হামবাই রিয়াং-এর নেতৃত্বে প্রায় ৭০ জন ক্যাডার বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতে সক্রিয় রয়েছে। এরা একটি পৃথক রিয়াং রাজ্য গঠনের লক্ষ্যে উত্তর ত্রিপুরার রিয়াং-অধ্যুষিত অঞ্চলকে আলাদা করতে চায়। বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি অঞ্চলের সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড এই গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে। ত্রিপুরা হাম বারঘা তা আর্মি (THBTA)-র এক শীর্ষ কমান্ডার, ইয়াংপু রিয়াং, নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, মোগ ন্যাশনাল পার্টি (MNP)-এর নতুন সদস্যরা ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী সাবডিভিশনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের জন্য বাংলালহালিয়া ক্যাম্প-এ তাদের টার্গেট শুটিংয়ের ময়দানও সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

    ভারতকে অশান্ত করার চেষ্টা

    অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার বি কে খন্না এই ঘটনাকে “গভীর উদ্বেগজনক” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ সরকার ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই ভারতবিরোধী শক্তিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে সন্ত্রাস ছড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।” প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে। ওই অঞ্চলের বিদ্রোহী সংগঠনগুলিকে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Swarm Drone: অধিক-উচ্চতা থেকে হামলা! যৌথ উদ্যোগে সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাক-চিন, রুখতে কী ভাবছে ভারত?

    Swarm Drone: অধিক-উচ্চতা থেকে হামলা! যৌথ উদ্যোগে সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাক-চিন, রুখতে কী ভাবছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌমাছির মতো ঝাঁক বেঁধে আক্রমণ। কোনওটার গায়ে বাঁধা বিস্ফোরক। কোনওটার কাজ আবার শুধুই গুপ্তচরবৃত্তি। এ রকম শয়ে শয়ে ড্রোন বানাচ্ছে চিন ও পাকিস্তান (China-Pakistan)। সূত্রের খবর, দুই দেশ যৌথভাবে অধিক-উচ্চতায় কার্যক্ষম আধুনিক সোয়ার্ম ড্রোন (Swarm Drone) বানাচ্ছে। যা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, এই ড্রোনগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এগুলো বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রের নাগালের বাইরে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এল-৭০ বন্দুকের কার্যকর সীমা যেখানে প্রায় ৩,৫০০ মিটার, সেখানে এই ড্রোনগুলো ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ মিটার বা তারও উপরে উড়তে সক্ষম। এর ফলে ভারতকে স্বল্পমেয়াদী ও ব্যয়বহুল মিসাইল নির্ভর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে বাধ্য করা হবে, যেমন আকাশ, এমআরস্যাম, এবং এস-৪০০ সিস্টেম।

    কৌশলগত পরিকল্পনা

    অপারেশন সিঁদুরের পর গত ৮ এবং ৯ মে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাটের একাধিক জায়গায় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় পাক সেনা। সঙ্গে সঙ্গেই সক্রিয় হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ফলে ড্রোনগুলিকে (Swarm Drone) চিহ্নিত করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। তাই এবার উচ্চ উচ্চতার ড্রোন বানানোর চেষ্টা চলছে। চিন-পাকিস্তান এই কৌশলগত উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো বিপুল সংখ্যক সস্তা, সমন্বিত ড্রোন দিয়ে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ক্লান্ত করে ফেলা। একবার যদি ভারতের মিসাইল মজুদ শেষ হয়ে যায় তাহলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়বে। এরপর ক্রুজ মিসাইল এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে বড় আকারের হামলা চালানো হবে। এই পদ্ধতি ইতিহাসের সেই পুরনো যুদ্ধকৌশলকে মনে করিয়ে দেয়, যেখানে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে প্রথমে কম দামের বা সহজলভ্য অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালানো হতো।

    চিনের ভূমিকা এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর

    চিন শুধু পাকিস্তানকে (China-Pakistan)  প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না, বরং অত্যাধুনিক ‘ড্রোন মাদারশিপ’ প্রযুক্তিও সরবরাহ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা একাধিক ড্রোন একসঙ্গে নিক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই গভীর সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ভারতের কৌশলগত পরিকল্পনাকে জটিল করে তুলছে, বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর অঞ্চলে।

    ভারতের উপর সম্ভাব্য প্রভাব

    অপারেশনাল চাপ: ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তিন স্তরের – বন্দুক, স্বল্প-পাল্লার মিসাইল এবং দীর্ঘ-পাল্লার মিসাইল। উচ্চ-উচ্চতায় উড়তে সক্ষম ড্রোনগুলো বন্দুক স্তরকে অকার্যকর করে ফেলবে, ফলে অধিক ব্যয়বহুল মিসাইল ব্যবহারের প্রয়োজন হবে।

    সম্পদের অপচয়: প্রথম পর্বে সস্তা ড্রোন ব্যবহারে ভারত তার মূল্যবান মিসাইল মজুদ খরচ করতে বাধ্য হবে। এর ফলে পরবর্তী বড় ধরনের হামলার সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও অসামরিক স্থাপনাগুলোকে প্রতিরক্ষাহীন করে তুলতে পারে ।

    কৌশলগত অস্থিরতা: দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক প্রেক্ষাপটে ড্রোন এবং মিসাইল প্রতিযোগিতা নিরাপত্তাজনিত অস্থিরতা বাড়াতে পারে । যেকোনো সময় পরিস্থিতির ভুল ব্যাখ্যা বা সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

    সোয়ার্ম ড্রোন কী

    প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, মূলত ঝাঁক বেঁধে হামলা চালানোয় সিদ্ধহস্ত সোয়ার্ম ড্রোন (Swarm Drone) পরিচালিত হয় কৃত্রিম মেধার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) দ্বারা। একসঙ্গে উড়লেও তাদের একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধার কোনও আশঙ্কা নেই। যে কোনও পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারে এই সোয়ার্ম ড্রোন। এগুলিতে থাকে অ্যাক্সিলোমিটার, জাইরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, ক্যামেরা এবং অত্যাধুনিক সেন্সর, যা আশপাশের এলাকা চিহ্নিতকরণ (পড়ুন নেভিগেট) এবং তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এই ঝাঁকে ছোট-বড় মিলিয়ে বিভিন্ন আকারের মানববিহীন উড়ুক্কু যান থাকতে পারে। সর্বাধিক ১০ হাজারের বেশি ড্রোনের ঝাঁক পাঠিয়ে হামলা চালানোর নজিরও পৃথিবীতে রয়েছে। সোয়ার্ম ড্রোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, ঝাঁকের মধ্যে পর পর এগুলির বেশ কয়েকটিকে ধ্বংস করলেও বাকিগুলি ঠিক কাজ করতে থাকে। ঐতিহ্যবাহী সামরিক সরঞ্জামের তুলনায় এগুলি বেশ সস্তা।

    প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পথে ভারত

    গত ৮ ও ৯ মে রাতে পাকিস্তানের (China-Pakistan) ড্রোন হামলা আটকাতে বেশ কয়েকটি হাতিয়ার ব্যবহার করেছে ভারতীয় ফৌজ। সূত্রের খবর, সেই তালিকায় রয়েছে রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এ ছাড়াও এল-৭০ বন্দুক, জু-২৩এমএম অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট বন্দুক এবং শিল্কা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ড্রোন আটকাতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বল্প উচ্চতায় প্রতিপক্ষের ড্রোন, যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে নামানোর ক্ষেত্রে এল-৭০র জুড়ি মেলা ভার। এর নির্মাণকারী সংস্থা হল সুইডেনের বফোর্স। এটি প্রকৃতপক্ষে ৪০ এমএম ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। নিখুঁত ভাবে হামলা করার জন্য এই বন্দুকটিকে অত্যাধুনিক করেছে ভারতীয় সেনা। জু-২৩ এমএম হল সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমানে রাশিয়া) তৈরি ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। এর মারণক্ষমতা অনেক বেশি। খুব অল্প উচ্চতায় প্রতিপক্ষের কোনও ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এলেই সঙ্গে সঙ্গে তা চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে পারে এই হাতিয়ার। শিল্কার অপর নাম জেডএসইউ-২৩-৪। এটি একটি রেডার পরিচালিত ‘অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্‌ট’ বন্দুক। ড্রোন ধ্বংস করতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর। এ ছাড়াও পাক ড্রোন ওড়াতে ব্যবহার হয়েছে ‘আনম্যান্‌ড এরিয়াল সিস্টেম’। কিন্তু এবার তো চিনের সঙ্গে মিলে অধিক উচ্চতায় উড়তে পারে এমন সোয়ার্ম ড্রোন বানাচ্ছে পাকিস্তান। এই ড্রোন প্রতিরোধ করতে ভারতকে এখনই তার বিমান প্রতিরক্ষা কৌশল নতুনভাবে সাজাতে হবে, উন্নত ‘অ্যান্টি-ড্রোন’ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, এবং নিজস্ব ড্রোন যুদ্ধশক্তি জোরদার করতে হবে – যাতে আঞ্চলিক কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখা যায়।

  • Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    Hindus: অব্যাহত হিন্দু ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত হিন্দু (Hindus) ও হিন্দু ধর্মের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার (Roundup Week)। ভারত তো বটেই, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বারবার হামলা হচ্ছে হিন্দুদের ওপর। কোথাও কোথাও হিন্দুদের ওপর এই নির্যাতন রূপ নিচ্ছে গণহত্যার। বহু দশক ধরে এই নির্যাতন চললেও, ঘটনাগুলিকে গুরুত্বই দেয়নি তামাম বিশ্ব। তাই ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে হিন্দু-বিরোধী বিদ্বেষের বিষবাষ্প। হত্যা, জোর করে ধর্মান্তর, জমিজমা দখল, হিন্দুদের উৎসবের ওপর আক্রমণ, মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর, ঘৃণাসূচক মন্তব্য, যৌন হিংসা থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি বৈষম্য পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই হিন্দুদের অস্তিত্বের ওপর ক্রমবর্ধমান আঘাত চলছেই। ২০২৫ সালের ৬ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত এই ছ’দিনে আমরা এমন কিছু অপরাধের একটি ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যাতে করে বিশ্বজুড়ে আরও বেশি করে মানুষ এই মানবাধিকার সংকট সম্পর্কে সচেতন হন।

    পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নির্যাতন (Hindus)

    প্রথমে ধরা যাক ভারতের কথাই। কাশ্মীরের মাগামে মহরমের শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া ইসলামপন্থী একদল জনতা এক ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টকে আক্রমণ করে। শিবমোগার রাগিগুড়ার বাঙ্গারাপ্পা লেআউট এলাকায় কয়েকজন মুসলমান ভাঙচুর করে গণেশ ও নাগ দেবতার মূর্তি। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় একটি রথযাত্রার শোভাযাত্রায় হামলা চালায় মুসলমানরা। শোভাযাত্রা চলাকালীনই হঠাৎ করে একদল মুসলিম যুবক ওই রথযাত্রায় হামলা চালায়। বিহারের পূর্ব চম্পারণের মেহসি ব্লকের কানক্তি গ্রামে মহরমের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক ঘটনায় অজয় যাদবকে নির্মমভাবে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় জখম হন আরও কয়েকজন। গত বছরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গে (Hindus) মহরম উপলক্ষে হিংসার ঘটনা ঘটে। রাজ্যের একাধিক জেলায় মুসলমানরা হিন্দুদের আক্রমণ করে। দেশের বিভিন্ন শহর ও জেলায় মহরমের মতো শোকাবহ অনুষ্ঠানকে উসকানিমূলক আচরণ এবং মন্দিরের প্রতি প্রকাশ্য অবমাননার রূপ দেওয়া হয়েছে। বিলাসপুর থেকে হাজারিবাগ পর্যন্ত একাধিক অশান্তির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।

    নির্যাতন বিহারেও

    বিহারের দ্বারভাঙা জেলায় ইসলামপন্থীদের (Roundup Week) অসহিষ্ণুতার বর্বর রূপ প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে গৌরব কুমার সিংকে এক মুসলিম মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মেয়েটির পরিবার ‘তালিবানি’ কায়দায় তার চুল কেটে, মুখে কালি মাখিয়ে নৃশংস কাণ্ড ঘটায়। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেয়। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (TTD) এর অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এ রাজশেখর বাবুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তিনি নিয়মিতভাবে পুট্টুরে তাঁর নিজের শহরে ফি রবিবার গির্জার প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছিলেন। এটি তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের কর্মীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন করার শামিল। পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরে মহরমের আগেই চাঁদা না দেওয়ায় মুসলিম জনতা বেধড়ক মারধর করে টোটো চালক বেদন ঘোষকে। উত্তরপ্রদেশে হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করে প্রতারণা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের একটি বড় চক্র ধরা পড়েছে। এর মূলহোতা জামালউদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুরবাবা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

    বাদ নেই উত্তরপ্রদেশও

    উত্তরপ্রদেশের লখনউতে লুলু মলের এক হিন্দু মহিলা কর্মচারীকে তাঁর ম্যানেজার ফারহাজ ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেল করে বলে অভিযোগ। ফারহাজ তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্যও করেছিল (Hindus)। তিনি (Roundup Week) জানান, ফারহাজ তাঁকে মাদকমিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে ধর্ষণ করে। উত্তরপ্রদেশেরই মুজফফরনগরে কাওর যাত্রা চলাকালীন একটি ঘটনায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, মহম্মদ শেহজাদ নামে একজন এক মহিলা ভক্তের কাঁধে থাকা ‘কাঁওর’-এর ওপর থুতু ছিটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। অসমের গোয়ালপাড়া শহরে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতকারীরা দুর্গা মন্দির কমপ্লেক্সে একাধিক মূর্তি ভাঙচুর করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিব, মনসা ও দেবী দুর্গার মূর্তি। মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে শান খান নামে এক মুসলিম যুবক নিজের নাম শান শর্মা বলে পরিচয় দিয়ে এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলে। প্রায় দুবছর ধরে সে নিজের পরিচয় গোপন রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে চলেছিল বলে অভিযোগ।

    পাকিস্তানের ছবি

    এ তো গেল ভারতের কথা। এবার দেখে নেওয়া যাক পাকিস্তানের ছবিটা। পাকিস্তান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে হিন্দু সংখ্যালঘু মেয়েদের অপহরণ, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর এবং বিয়ে খুব সাধারণ ঘটনা। শুধুমাত্র সিন্ধ প্রদেশেই প্রতিবছর কমপক্ষে ১০০০ সংখ্যালঘু মেয়ে এই যৌন দাসত্বের শিকার হন (Roundup Week)। পাকিস্তানি হিন্দুরা প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য ও অবহেলার শিকারও হন সে দেশে। হিন্দু মন্দিরে বারংবার আক্রমণ, পাঠ্যসূচিতে হিন্দুদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন, পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থায় পক্ষপাতিত্ব, মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, এমনকি ছোঁয়াছুঁয়ির মতো জাতিগত বৈষম্যও বজায় রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানে একজন ভিল নারীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড এই পরিস্থিতিরই আর একটি প্রমাণ। গত ২০ জুন, ২০২৫ তারিখে সিন্ধ প্রদেশের শাহদাদপুরের একটি আদালত দুটি হিন্দু অপ্রাপ্তবয়স্ক দশিনা বাই (১৫) ও হরজিত কুমার (Hindus) ওরফে হানি (১৩)-এর হেফাজতের বিষয়ে একটি বিতর্কিত রায় দেয়। আদালত তাদের পরিবারের কাছ থেকে প্রত্যেকের জন্য ৩৫,০০০ মার্কিন ডলারের সমমূল্যের ব্যক্তিগত জামিন বন্ড জমা দেওয়ার শর্তে শিশুদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ

    প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ ঘৃণাজনিত অপরাধ হিন্দুবিদ্বেষ দ্বারা চালিত হয়, যা কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় শিক্ষার ও রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যেই নিহিত। যদিও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোতে প্রকাশ্যে হিন্দুবিদ্বেষ দেখা যায়, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলির (যেমন, ভারত) সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনপরিসরে এক প্রকার সূক্ষ্ম হিন্দুবিদ্বেষ কাজ করে। এসবই হিন্দুবিদ্বেষ এবং ঘৃণাজনিত অপরাধের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে (Roundup Week)। এই সূক্ষ্ম ও দৈনন্দিন বৈষম্য চোখে পড়ে না, যদি না কেউ প্রচলিত আইন ও সামাজিক ধারা পর্যবেক্ষণ করে। দীপাবলিতে আতশবাজির ওপর ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা তার একটি উদাহরণ। দূষণজনিত কারণে আতশবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হলেও, সেটা প্রযোজ্য শুধু হিন্দু উৎসবগুলির ওপর। সবেবরাতের মতো মুসলমানদের অনুষ্ঠানের সময় দেদার শব্দবাজি এবং আতশবাজি পোড়ানো হয় বলেও অভিযোগ (Hindus)।

    বাদ নেই বাংলাদেশও

    পাকিস্তানের পাশাপাশি নির্বিচারে হিন্দু নির্যাতন চলছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও। আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন হিন্দুদের ওপর নির্যাতন তুলনামূলকভাবে কম হলেও, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পরেই সে দেশে হিন্দু নির্যাতন চরমে ওঠে। হাসিনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেশের ভার তুলে দেন বাংলাদেশিরা। সেই সরকারের প্রধান নির্বাচিত হন মহম্মদ ইউনূস। তাঁর জমানায় হিন্দুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন হয় বলে অভিযোগ। মন্দির-মূর্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি হিন্দু মহিলাদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। হিন্দুদের জমিজমা দখল, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ এবং জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করার অভিযোগও উঠেছে। মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু ধর্মগুরুদের। নানা অছিলায়, কখনও আবার মিথ্যে অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে হিন্দু পদাধিকারীদের। বাদ যাননি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কিংবা অধ্যাপকও (Hindus)।

    তার পরেও অদ্ভুতভাবে নীরব বিশ্বনেতাদের একটা বড় অংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণেই নির্বিচারে চলছে হিন্দু নির্যাতন (Roundup Week)।

  • Operation Baam: শুরু ‘অপারেশন বাম’, বালোচ বিদ্রোহীদের ১৭ হামলায় কেঁপে উঠল পাকিস্তান

    Operation Baam: শুরু ‘অপারেশন বাম’, বালোচ বিদ্রোহীদের ১৭ হামলায় কেঁপে উঠল পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচ বিদ্রোহী সংগঠন বালোচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) পাকিস্তানের ভেতরে শুরু করেছে বড়সড় অভিযান—‘অপারেশন বাম’ (Operation Baam)। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে , এই অভিযানের অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৭টি হামলা চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বালোচিস্তানের বিভিন্ন সরকারি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে, যা গোটা অঞ্চলকে নাড়িয়ে দেয়।

    ‘অপারেশন বাম’ শব্দের অর্থ কী?

    ‘বাম’ শব্দটি স্থানীয় ভাষায় ‘ভোর’ বোঝায়। এই নামেই অভিযান চালাচ্ছে বিএলএফ, যারা বহুদিন ধরেই স্বাধীন বালোচিস্তানের (Operation Baam) দাবি তুলে আসছে। পাকিস্তানি দৈনিক দ্য ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বালোচিস্তানের তুরবাত এলাকায় এক বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় নারী ও শিশু সহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে বাড়িটির পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা গ্রেনেড ছুঁড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এছাড়া সিবি এলাকায় একটি পুলিশ চেকপোস্টে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। কেচ জেলার তুরবাতে মকরান ডিভিশনের এক ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টারের আধিকারিক মহম্মদ ইউনুসের বাড়িও হামলার শিকার হয়। এসব হামলা থেকে বোঝা যাচ্ছে, বালোচ বিদ্রোহীরা (Operation Baam) আবারও সংগঠিত হচ্ছে।

    হামলার লক্ষ্য পাকিস্তানের সেনা চেকপোস্ট, প্রশাসনিক ভবন

    এএনআই জানিয়েছে, এই হামলাগুলোর লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সেনা চেকপোস্ট, প্রশাসনিক ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো। বিএলএফ মুখপাত্র গওহারাম বালোচ এক বিবৃতিতে জানান, ‘অপারেশন বাম’ বিস্তৃত হবে মাকরান উপকূল থেকে শুরু করে কোহ-ই-সুলেমানের পাহাড়ি অঞ্চল পর্যন্ত।বিদ্রোহীদের একের পর এক হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বালোচিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেনা হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই অভিযানের জেরে অনেক এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল। অনেক জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরোতে পারেননি। আতঙ্কে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল-কলেজ, যানবাহন চলাচল—সব কিছুই কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়।‘অপারেশন বাম’-এর কারণে পাকিস্তান এখন রীতিমতো কোণঠাসা।একের পর এক বিস্ফোরণ ও হামলায় সেনা ও প্রশাসনের উপর চাপ বাড়ছে।

  • Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    Operation Sindoor: রাফাল ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান! আসলে কী ঘটেছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি নজিরবিহীন ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানকে এমনভাবে বিভ্রান্ত করেছে যে, ইসলামাবাদ ভেবেছে তারা একটি ভারতীয় রাফালে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। বাস্তবে, পাকিস্তান ধ্বংস করেছে একটি অত্যাধুনিক এআই-চালিত ডিকয়, যা রাফালের অংশ। ভারতের সঙ্গে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলাকালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার যে দাবি পাকিস্তান করেছিল, সেটিকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে নাকচ করে দিয়েছে বিমানটির নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাঁসো অ্যাভিয়েশনও। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী এরিক ট্রাপিয়ার এক সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনারা রাফাল ছুঁতেও পারেনি। ভারত সে সময় একটি রাফাল হারালেও সেটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কোনো রকম হামলায় নয়।

    রাফালের এক্স-গার্ড কী?

    রাফালে যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত এক্স-গার্ড একটি এআই-চালিত, ফাইবার-অপটিক টোয়েড ডিকয় সিস্টেম। এটি শত্রুর সবচেয়ে উন্নত রাডার ও মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমকে ভুল পথে চালিত করে। সিস্টেমটি রাডার সিগন্যাল, ডপলার এফেক্ট এবং রাফালের মতো সিগনেচার তৈরি করে, যা শত্রু মিসাইল বা জেটকে বিভ্রান্ত করে। এটি এক ধরনের ‘দৃশ্যমানহীন উইংম্যান’ হিসেবে কাজ করে।

    রাফাল যুদ্ধবিমান

    ফরাসি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাঁসো অ্যাভিয়েশনের প্রধান বলেন, “অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের ওই যুদ্ধবিমানটি আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগের শিকার হয় এবং সে কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের হামলার কোনো ধরনের সংযোগ নেই। পাকিস্তানি হামলার কোনো চিহ্নও বিমানের রেকর্ডে পাওয়া যায়নি।” তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, “রাফালের স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ‘স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’-এ এমন কোনো তথ্য ধরা পড়েনি, যা থেকে বোঝা যায় বিমানটি শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে পড়েছিল। আমাদের কাছে থাকা ফ্লাইট লগ বা উড্ডয়নের তথ্য বিশ্লেষণ করে যুদ্ধকালীন কোনো ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত মেলেনি।” দাঁসোর পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো বিমান যদি সত্যিই শত্রুর আক্রমণে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হতো, তবে তারা সেই তথ্য কখনোই গোপন করত না।

    চিনের ছায়াযুদ্ধ

    রাফাল একটি নিম্নমানের বিমান (Rafale is low quality war plane)। এই বিমানের উপর ভরসা করে যুদ্ধ জেতা যায় না। বিশ্ব জুড়ে এমন কথা প্রচার করা শুরু করেছে চিন (Chaina)। সংবাদসংস্থা এপি ফরাসি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলেছে, দেশে দেশে চিনের দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাসে (defence/militae attachés) বা সামরিক দূতদের বেজিং নির্দেশ দিয়েছে, রাফাল মোটেই নির্ভরযোগ্য যুদ্ধ বিমান নয়, এই মর্মে প্রচার চালাতে। দেশগুলির সমর বিশেষজ্ঞ, অস্ত্র কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে আলোচনায় রাফাল বিরোধী প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। চিন তার বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে এই খবর ছড়াচ্ছে, যাতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া-র মতো দেশগুলি রাফাল না কিনে চিনা যুদ্ধবিমানের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

    সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি

    ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব আর. কে. সিং-ও পাকিস্তানের দাবিকে ‘নিছক গল্প’ বলে অভিহিত করেছিলেন। সিএনবিসি টিভি১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পাকিস্তান একটিও রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে নামাতে পারেনি।” ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, পাকিস্তানের দাবি “সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

  • Microsoft: পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট

    Microsoft: পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করার পর এবার পাকিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটোল টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট (Microsoft)। ২০০০ সালে পাকিস্তানে কাজ শুরু করেছিল এই সংস্থা। যদিও এখানে কোনও দিনই মাইক্রোসফটের পূর্ণাঙ্গ কর্পোরেট অফিস ছিল না। তবে শাহবাজ শরিফের দেশে (Pakistan) এন্টারপ্রাইজ, শিক্ষা এবং সরকারি খাতে মাইক্রোসফটের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। সংস্থা পাততাড়ি গুটোনোয় আশঙ্কিত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিও।

    শিক্ষাক্ষেত্রে মাইক্রোসফটের অবদান (Microsoft)

    শিক্ষাক্ষেত্রে মাইক্রোসফট সংস্থা উচ্চশিক্ষা কমিশন ও পঞ্জাব গ্রুপ অফ কলেজেসের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে যাতে মাইক্রোসফট টিমসের মতো প্লাটফর্মের মাধ্যমে ডিজিটার দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং দূরশিক্ষা দেওয়া যায়। পাকিস্তানের সরকারি খাতে মাইক্রোসফট ২০০টিরও বেশি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত সমাধান দিয়েছে। এর পাশাপাশি মাইক্রোসফট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং অনলাইন কোর্স করানোর মতো উদ্যোগেও জড়িত এই টেক জায়ান্ট। সেই সংস্থাই এবার ব্যবসা গুটোচ্ছে পাকিস্তান থেকে।

    কী বলছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন কান্ট্রি ম্যানেজার

    কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ মাইক্রোসফট পাকিস্তানের প্রাক্তন কান্ট্রি ম্যানেজার জাওয়াদ রহমান বলেন, সংস্থার এই সিদ্ধান্ত ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০০০ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জাওয়াদ। তিনি বলেন, মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্তে একটি ইঙ্গিত স্পষ্ট, সেটি হল পাকিস্তানের বর্তমান পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বড় সংস্থাগুলিকে। নিজের লিঙ্কডইন প্রোফাইলে তিনি লিখেছেন, এক অধ্যায়ের অবসান হল।

    ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের (Microsoft) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভিও। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অস্থিতিশীল মুদ্রার দর, জটিল বাণিজ্য নীতির কারণে পাকিস্তানে কাজ করতে অসুবিধা বোধ করছে বিভিন্ন সংস্থা।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক সেক্টরের কাছে বড় ধাক্কা। যেখানে দেশে ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে, আর্থিক উন্নতির কোনও দিশা নেই, সেখানে মাইক্রোসফটের মতো বড় সংস্থার বিদায়ের সে দেশের অর্থনীতির হাল যে বেহাল হবে, তা বলাই বাহুল্য।

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে মাইক্রোসফট পাকিস্তানে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের কথা ভেবেছিল। কিন্তু স্থিতাবস্থার অভাবে সংস্থাটি বিকল্প হিসেবে ভাবতে শুরু করে ভিয়েতনামকে। তার পর থেকেই আস্তে আস্তে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে পাততাড়ি গুটোতে শুরু করে মাইক্রোটেক (Microsoft)।

  • CDS Gen Chauhan: ভারতের উত্থান ঠেকাতে আঁতাত করছে চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ!

    CDS Gen Chauhan: ভারতের উত্থান ঠেকাতে আঁতাত করছে চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে বিশ্বরাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতের উত্থানকে ঠেকাতে আঁতাত করছে চিন,পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ (Pakistan China Bangladesh)। ত্রিশক্তির এই আঁতাত উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে আয়োজিত অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল (CDS Gen Chauhan) অনিল চৌহান। তিনি বলেন, “এই তিনটি দেশের মধ্যে আঁতাত হলে তা গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।”

    পাকিস্তানকে হাতিয়ার করছে চিন! (CDS Gen Chauhan)

    ভারতকে ‘টাইট’ দিতে পাকিস্তানকে হাতিয়ার করছে চিন। এদিনের অনুষ্ঠানে চিন ও পাকিস্তানের সম্পর্ক প্রসঙ্গে জেনারেল চৌহান বলেন, “দেশের সামরিক ভান্ডার সুসজ্জিত করতে গত পাঁচ বছরে চিনের কাছ থেকে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ যুদ্ধাস্ত্র কিনেছে পাকিস্তান। চিনের সামরিক সংস্থাগুলির সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্যিক নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বহিরাগত শক্তিগুলি তাদের প্রভাব কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছে।” ভারতের সুরক্ষায় এই প্রভাব দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে বলে দাবি করেছেন সেনা সর্বাধিনায়ক।

    হিন্দু পর্যটককে হত্যা

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় নরেন্দ্র মোদির ভারত। নয়াদিল্লির এই অভিযানে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। পাল্টা আক্রমণ করে পাক সেনা। এর পর ৭-১০ মে পর্যন্ত সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। শেষে নরেন্দ্র মোদির ভারতের বিক্রমের কাছে হার মানে শাহবাজ শরিফের দেশ। তার পরেই পাকিস্তানের তরফে আসে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে ভারত।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিনের অনুষ্ঠানে অপারেশন সিঁদুরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন সেনা সর্বাধিনায়ক (CDS Gen Chauhan)। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, এটি কয়েকদিনের একটি সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ছিল। তবে এটা ঠিক যে, এই সময়ে দেশের উত্তর সীমান্তে কোনও সমস্যা করেনি শি জিনপিংয়ের দেশ চিনের সেনাবাহিনী (Pakistan China Bangladesh)।” তিনি বলেন, “পারমাণবিক কোনও শক্তির দ্বারা তাদের দমানো যাবে না বলে আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছে ভারত। তবে এই প্রথম পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ সরাসরি জড়িয়ে পড়ে সামরিক সংঘাতে।” চৌহান বলেন, “পারমাণবিক অস্ত্র আবিষ্কারের পর থেকে বিশ্বজুড়ে একাধিক অশান্তির ঘটনা ঘটেছে।” তিনি বলেন, “সেই সব ঘটনার বিচারে অপারেশন সিঁদুর খানিক আলাদা। এর থেকে দেশ তথা বিশ্ব আগামী দিনে শিক্ষা নিতে পারবে।”

    কী বললেন চৌহান?

    তাঁর যুক্তির সমর্থনে এদিন তিনটি মৌলিক মতামত তুলে ধরেন চৌহান। তিনি বলেন, “প্রথমত, ভারতের পারমাণবিক মতবাদে এই শক্তিকে সর্বপ্রথম ব্যবহারের কোনও জায়গা নেই। আমার মনে হয়, এই বিষয়টি আমাদের অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলেছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব বজায় রাখতেও সাহায্য করেছে। দ্বিতীয়ত, জবাবি হামলায় ভারত শুধু জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছে।” তিনি বলেন, “বিষয়টি বাকিদের কাছে প্রতিশোধ নেওয়ার মতো শোনালেও, আগামী দিনে এই হামলা রুখতে ভারতের প্রয়োজন ছিল এই পদক্ষেপের (CDS Gen Chauhan)।”

    সেনা সর্বাধিনায়কের বক্তব্য

    সেনা সর্বাধিনায়ক জানান, বর্তমানে যুদ্ধের ধরন অনেক বদলে গিয়েছে (Pakistan China Bangladesh)। ব্যালিস্টিক মিসাইল, ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল, হাইপারসোনিক অস্ত্রের মাধ্যমে হামলা সম্পূর্ণ রক্ষা পাওয়ার পদ্ধতি বিশ্বের কোনও দেশের কাছেই নেই। ফলে ভারতকে পুরানো এবং নতুন উভয় ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও জানান সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান।

    সিডিএস জেনারেলের বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ

    গত বছরের জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। বাংলাদেশের রাশ ধরেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইউনূস। আর শুনতে খারাপ লাগলেও, তাঁর আমলেই বাংলাদেশে চরমে ওঠে হিন্দু নির্যাতন। মন্দির-বিগ্রহ ভাঙচুরের পাশাপাশি নির্বিচারে খুন করা হয় হিন্দুদের। সীতা-সাবিত্রীর ধর্মের মহিলাদের ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় চাকরিরত হিন্দু পদাধিকারীদের রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয় কোনও কারণ ছাড়াই। বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের সর্বত্র (CDS Gen Chauhan)। তার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠেকেছে তলানিতে। এহেন আবহে সিডিএস জেনারেলের বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    চৌহান বলেন, “চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য স্বার্থের মিল রয়েছে (Pakistan China Bangladesh), যা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি এবং যার প্রভাব ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর পড়তে পারে (CDS Gen Chauhan)।”

  • Tahawwur Rana: ‘‘পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিলাম’’, কবুল করেছে তাহাউর রানা, দাবি মুম্বই পুলিশের

    Tahawwur Rana: ‘‘পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিলাম’’, কবুল করেছে তাহাউর রানা, দাবি মুম্বই পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক সেনার বিশ্বস্ত চর ছিল তাহাউর রানা (Tahawwur Rana)। জেরায় এমনটাই কবুল করেছে সে। মুম্বই হামলার (Mumbai Terror Attacks) সঙ্গে যে তার যোগ ছিল, তাও স্বীকার করে নিয়েছে পাক বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ী রানা। তার দাবি, লস্কর-ই-তৈবা কেবলমাত্র একটি জঙ্গি সংগঠন নয়, গোয়েন্দা এজেন্সি হিসেবেও কাজ করে। রানা জানায়, তার বন্ধু সহযোগী ডেভিড হেডলি বহুবার লস্কর-ই-তৈবার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।

    আইএসআইয়ের সহযোগিতায় মুম্বই হামলা (Tahawwur Rana)

    দিল্লির তিহাড় জেলে এনআইএ হেফাজতে রয়েছে রানা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চকে জানিয়েছে, ২৬/১১ হামলা পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সহযোগিতায় পরিচালিত হয়েছিল। ওই হামলার সময় সে মুম্বইতে ছিল। গোটা হামলাটা ছিল জঙ্গিদের ষড়যন্ত্রের অংশ। খালিজ যুদ্ধের সময় পাক সেনা তাকে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দিয়েছিল বলেও দাবি করে রানা। মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখাকে তাহাউর এও জানিয়েছে, মুম্বইয়ে একটি অভিবাসন কেন্দ্র বা ইমিগ্রেশন সেন্টার খোলারও পরিকল্পনা করেছিল সে। মূলত সন্ত্রাসবাদের খরচ জোগাতেই এই ছক কষেছিল রানা। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। শুধু মুম্বইয়ের তাজ হোটেলই নয়, ওই দিন আরও কয়েকটি জায়গায় হামলা চালানোরও পরিকল্পনা ছিল তাদের। জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তির পর মুম্বই পুলিশ দ্রুত রানাকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী রানা

    প্রসঙ্গত, মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী এই রানা। দীর্ঘদিন ধরে সে বন্দি ছিল আমেরিকার জেলে। কয়েক মাস আগে আমেরিকা থেকে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত তাকে রাখা হয়েছে তিহাড় জেলে। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী ছিল ডেভিড কোলম্যান হেডলি ওরফে দাউদ গিলানির ঘনিষ্ঠ ছিল এই রানা। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ডেভিড কোলম্যানের সঙ্গে ব্যবসা সূত্রে আলাপ হয় রানার। জঙ্গিরা কোন পথে ভারতে ঢুকে হামলা চালাবে, তার রোডম্যাপও তৈরি করেছিল তাহাউর। পরে আমেরিকায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। এ বছরের শুরুতে রানাকে হাতে পায় ভারত (Tahawwur Rana)।

    প্রসঙ্গত, ২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত ছিল ১০ জন পাক জঙ্গি। সেদিন তারা তাজ ও ওবেরয় হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস এবং ইহুদি সেন্টার (Mumbai Terror Attacks) নরিমান হাউস-সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ধরে হামলা চালায়। নিহত হন ১৬৬ জন (Tahawwur Rana)।

LinkedIn
Share