Tag: pakistan

pakistan

  • Criminal Organisation: ট্রাম্প জমানায় অতীত ইউএসএআইডি, স্বস্তির শ্বাস ফেলছে ভারত

    Criminal Organisation: ট্রাম্প জমানায় অতীত ইউএসএআইডি, স্বস্তির শ্বাস ফেলছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউএসএআইডি একটি অপরাধমূলক সংস্থা (Criminal Organisation)। এই সংস্থারই শেষ সময় ঘনিয়ে এসেছে। এই বার্তা দিয়েছিলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক স্বয়ং। তিনি এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনে ডিওজিই-র নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প।

    ট্রাম্পের পদক্ষেপ (Criminal Organisation)

    প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বিতর্কিত ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন কর্তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে কন্ট্রাক্টরদের। ট্রাম্প প্রশাসন যখন বৈদেশিক সহায়তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে, তখন স্বাধীন এই সংস্থার ওয়েবসাইটও অফলাইনে চলে যায়। রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্প ইউএসএআইডির সবচেয়ে বড় সমালোচক। তিনি বলেন, “এটি কিছু উগ্র পাগলদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। আমরা তাদের বের করে দিচ্ছি (USAID)।”

    হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন

    ২০১৭ সালে হেরিটেজ ফাউন্ডেশন দ্বারা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বারাক ওবামা (প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট) প্রশাসনের সময় ইউএসএআইডি বামপন্থী বিলিয়নিয়ার জর্জ সরোসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিল। তাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল একাধিক দেশে তাদের চরমপন্থী অ্যাজেন্ডা প্রচার করা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, “গত আট বছরে সরোস, তাঁর প্রতিষ্ঠিত ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন এবং তাদের বহু ছোট সহযোগী সংগঠন ইউএসএআইডির মাধ্যমে মার্কিন করদাতাদের অর্থ পেয়েছে এবং ইউএসএআইডি ওপেন সোসাইটিস ফাউন্ডেশনকে তার সহায়তা কার্যক্রমের প্রধান রূপায়ণকারী করেছে।”

    ভারত-বিরোধী প্রচারে অর্থায়ন

    অবশ্য এটি কোনও গোপন বিষয় নয়। সরোস বহু ভারতবিরোধী প্রচারে অর্থায়ন করেছেন। তিনি দেশে একটি “কালার রিভোলিউশন” (বর্ণ বিপ্লব) সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। সরোস আদানি গ্রুপের উত্থান নিয়েও অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, মোদি এবং আদানি ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও বলেছিলেন, আদানি স্টক মার্কেটে তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন, যদিও ব্যর্থ হন। তিনি আদানিকে শেয়ার মূল্য কারসাজির অভিযোগেও অভিযুক্ত করেছিলেন, যার জেরে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দর ধসে পড়ে (Criminal Organisation)।

    মোদিকে কটাক্ষ সরোসের

    সরোস ইউএসএআইডির সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পুঁজিপতিদের ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “মোদি এই বিষয়ে নীরব। কিন্তু তাঁকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।” তাঁর আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র তৈরি করছেন। তাঁর অ্যাজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে ভারতে তাঁর অনেক অনুগামী রয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, তাঁর অর্থায়নে থাকা শীর্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন অমৃতা সিং। অমৃতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত মনমোহন সিংয়ের কন্যা (USAID)।

    প্রতিরক্ষা চুক্তি ব্যাহত

    ২০১৮ সালে সরোস একটি এনজিওকে অর্থায়ন করেছিলেন। তার জেরে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তি একসময়ে বিঘ্নিত করার চেষ্টা হয়েছিল। ভারতে রাফাল যুদ্ধবিমানগুলির সরবরাহ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। এই রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন সোসিও-লিগ্যাল ইনফর্মেশন সেন্টারকে অর্থায়ন করেছে। এই সংস্থা দেশদ্রোহিতা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। ইউএসএআইডির ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫১ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এই বছরই প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান “ভারত জরুরি খাদ্য সহায়তা আইন” স্বাক্ষর করেছিলেন (Criminal Organisation)। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ইউএসএআইডির কর্মসূচি দশকের পর দশক ধরে ধাপে ধাপে বিকশিত হয়েছে—জরুরি খাদ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে পরিকাঠামো উন্নয়ন, ভারতের প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, অর্থনীতির উন্মুক্তকরণে সহায়তা এবং আরও অনেক কিছু।”

    রাসায়নিক সার কারখানা

    ইউএসএআইডি ভারতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও টেকনোলজি কলেজ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিল এক সময়ে। তবে এই সহায়তা সবসময়ই এসেছে কিছু শর্তসাপেক্ষে। ১৯৬৫ সালে, ইউএসএআইডি চেন্নাই শহরে একটি রাসায়নিক সার কারখানা নির্মাণের জন্য ভারতকে ৬৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল। শর্ত ছিল, ভারত সরকারের পরিবর্তে একটি মার্কিন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সার বিতরণের দায়িত্ব নেবে। ওই অঞ্চলে নতুন কোনও সার কারখানা নির্মাণও করা যাবে না (USAID)।

    বিপাকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ

    ২০০৪ সালে ভারত সরকার শর্তযুক্ত বিদেশি সাহায্য গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই এই ধরনের সহায়তার পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে।  ২০০১ সালে ভারতে ইউএসএআইডির (Criminal Organisation) সাহায্যের পরিমাণ ছিল ২০৮ মিলিয়ন ডলার । ২০২৩ সালে তার পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১৫৩ মিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে তা আরও কমে দাঁড়ায় ১৪১ মিলিয়ন ডলারে।

    তবে, ইউএসএআইডির সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে ভারতের দুই পড়শি – পাকিস্তান ও বাংলাদেশ (বিশেষ করে বর্তমান প্রশাসন)। তবে ভারত এনিয়ে আদৌ চিন্তিত নয়। অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের সহায়তা বন্ধ হলেও ভারতের কোনও বড় সমস্যা হবে না। যদিও এটি কিছু প্রকল্পে অর্থায়ন করে, তবে ভারতের সামগ্রিক সামাজিক (USAID) কল্যাণ ব্যয়ের তুলনায় তা অতি নগণ্য (Criminal Organisation)।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ইউএসএআইডি। এমনটাই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। তাঁর অপসারণের কয়েক মাস আগে, তিনি মার্কিন ষড়যন্ত্রের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে সরব হয়েছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে মার্কিন প্রশাসন এবং এর সংস্থাগুলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল।

  • Pakistan: সেনার সঙ্গে বালুচ বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ, হত অন্তত ১৮ পাক সেনা

    Pakistan: সেনার সঙ্গে বালুচ বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ, হত অন্তত ১৮ পাক সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর অন্তত ১৮ জন সদস্য (Rebels Killed)। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জন বিদ্রোহীরও। পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচিস্তানের ঘটনা। বর্তমানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির বালুচিস্তান সফর করছেন। সেই সময়ই সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের গুলির লড়াই হয়েছে। যার মাশুল দিতে হল পাক সেনার অন্তত ১৮ জন সদস্যকে।

    হামলার দায় স্বীকার (Pakistan)

    পাক সেনার ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA)। সংগঠনের মুখপাত্র আজাদ বালোচের দাবি, কালাটে (এই জায়গায়ই সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের গুলি বিনিময় হয়) হামলা তাঁদের অন্যতম সাফল্য। আরও হামলা চালানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। আজাদ জানান, সেনা চৌকিগুলিতে হামলা চালানো হবে। তাঁর দাবি, কালাটে পাক সেনার ওপর হামলা চালিয়েছে তাঁদের ১০০ সদস্য। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির এই হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তাঁদের সাফ কথা, বালুচিস্তানে জারি রাখা হবে সেনা অভিযান (Pakistan)।

    বিদ্রোহী দমন অভিযান

    গত এক মাস ধরে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে বিদ্রোহী দমন অভিযান চালাচ্ছে পাক সেনা। শনিবার আফগানিস্তানের সীমান্তলাগোয়া জেলা বালুচিস্তানের কালাটে মূল রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল বিদ্রোহীরা। খবর পেয়ে অভিযানে যায় পাক সেনা। শুরু হয় দুপক্ষে গুলির লড়াই। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া গুলির লড়াই জারি থাকে শনিবারও। রাতে এক বিবৃতিতে পাক সেনা জানিয়েছে, রাতভর গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে ২৩ জঙ্গি। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন সেনাকর্মীরও।

    গত অগাস্টেই আট থেকে দশ ঘণ্টা বালুচিস্তান প্রদেশটাই পাকিস্তান থেকে যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় বালুচিস্তানে সেনা-পুলিশ-প্রশাসনকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বালুচিস্তান কোনওদিনই পাকিস্তানের অংশ ছিল না। বালুচিস্তানের সিংহভাগ বাসিন্দাই ভারতের সঙ্গে জুড়ে যাওয়ার পক্ষপাতী। পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে যাওয়াটা তাঁরা কোনওদিনই মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। সেই কারণেই পাকিস্তানের কবল মুক্ত হতে চাইছেন তাঁরা। অশান্তির সূত্রপাত সেখানেই। স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে মরিয়া (Rebels Killed) বালুচিস্তানের বাসিন্দারা (Pakistan)।

  • Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তুত নয় পাকিস্তান! বাধ্য হয়ে পদত্যাগ আইসিসির সিইও-র

    Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তুত নয় পাকিস্তান! বাধ্য হয়ে পদত্যাগ আইসিসির সিইও-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) শুরু হতে আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। তার আগে পদত্যাগ করলেন আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালারডাইস। ২০২১ সাল থেকে আইসিসির সিইও পদে ছিলেন জিওফ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেই সরে গেলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজনে পাকিস্তান যে এখনও তৈরি হতে পারেনি, তার দায় নিয়েই সরলেন তিনি। যদিও জিওফ নিজে থেকেই সরে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে একটি মিডিয়া বিবৃতিতে এ কথা জানান আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। তবে জিওফ-এর পদত্যাগের কারণ জানানো হয়নি।

    চাপে ছিলেন জিওফ

    আইসিসি সূত্রে খবর, চাপে ছিলেন জিওফ। গতবছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টি-২০ বিশ্বকাপে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তান যে এখনও প্রস্তুত নয়, তার দায় চাপানো হয় তাঁর ওপরই। রাওয়ালপিন্ডি এবং করাচি এখনও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তৈরি হয়নি। এই বিষয়টি আইসিসির বোর্ডকে জানাননি অ্যালারডাইস। গতবছর টি-২০ বিশ্বকাপের পর আইসিসির ইভেন্ট হেড ক্রিস টেটলি এবং মার্কেটিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার ক্লেয়ার ফারলং পদত্যাগ করেন। দুর্নীতিবিরোধী শাখার প্রধান অ্যালেক্স মার্শালও ইস্তফা দেন। এবার সরলেন সিইও জিওফ। তিনি বলেন, “আইসিসির সিইও পদ সামলানোর দায়িত্ব পাওয়াটা সত্যিই বড় ব্যাপার। ক্রিকেটের প্রসারের জন্য যা করেছি, তাতে আমি খুশি। আমার মনে হয় এটাই সেরা সময় আমার সরে যাওয়ার। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাই।”

    প্রস্তুত নয় পাকিস্তান

    ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025)। নিরাপত্তার কারণে ভারত নিজেদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। কিন্তু বাকি সব ম্যাচ হবে পাকিস্তানের করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিণ্ডিতে। এই তিন জায়গার মাঠ এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। সংস্কারের কাজ চলছে, যা অনেক আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এখনও বোঝা যাচ্ছে না আদৌ করাচি এবং রাওয়ালপিণ্ডির মাঠ সময়ের আগে তৈরি হবে কি না। প্রথম ম্যাচ করাচিতেই। আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ যদিও অ্যালারডাইসের প্রশংসাই করেছেন। তিনি বলেন, “আইসিসির তরফে অ্যালারডাইসকে ধন্যবাদ। তাঁর পরিশ্রম ক্রিকেটকে সারা বিশ্বে পৌঁছে দিয়েছে। অ্যালারডাইসকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।” ইতিমধ্যেই নতুন সিইও খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে আইসিসি। উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে আইসিসির দায়িত্ব নিয়েছেন জয় শাহ। তিনি যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমস্যায় সরাসরি ঢোকেননি। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে পাকিস্তানের চরম গাফিলতিতে যে জয় শাহর আইসিসি ক্ষুব্ধ তা এই ঘটনায় স্পষ্ট।

  • POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি শত্রুর দখলে যাওয়া নিজ জমি পুনর্দখল করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারত। তাহলে কি অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের দখলমুক্ত করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মোদি সরকার? প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ইঙ্গিত তেমনই, মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (POK) সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর আগেও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও  (Rajnath Singh) পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সওয়াল করলেন।

     

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ইতিহাস

    ভারত ক্রমাগত স্পষ্ট করছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ একীকরণ, যেটা দেশ ভাগের সময়কার মতো ছিল, তা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে হওয়া উচিত। একত্রীভূত জম্মু ও কাশ্মীর ছিল একটি বৃহৎ রাজ্য, যার আয়তন ছিল প্রায় ২,১৮,৭৭৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের সময়, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং ছিলেন হিন্দু, তবে কাশ্মীর উপত্যকা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। রাজ্যের সীমান্তে আরও নানা সংস্কৃতি ও ধর্মীয় গোষ্ঠী ছিল, যার মধ্যে ছিল লাদাখের বৌদ্ধরা, গিলগিট-বালতিস্তানের শিয়া ও ইসমাইলি মুসলিমরা।

     

    ভারতের সঙ্গে চুক্তি হরি সিংয়ের

    কাশ্মীরের ভারতের সঙ্গে যুক্তির ইতিহাসও অনেক পরিচিত। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতার পর, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করেন, কিন্তু পাকিস্তান কাশ্মীরকে (POK) তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে এবং এর পরপরই পাকিস্তানী সেনারা কাশ্মীরে আক্রমণ শুরু করে। ১৯৪৭ সালের ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানি সেনা এবং ট্রিবাল বাহিনী কাশ্মীরের বন্দরমুল্লা পর্যন্ত পৌঁছায়। এই আক্রমণের ফলে পরিস্থিতি সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে, এবং ২৬ অক্টোবর মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে ‘ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন’ স্বাক্ষর করেন। এরপর ভারতীয় সেনা ২৭ অক্টোবর কাশ্মীরে এসে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও যুদ্ধ অব্যাহত ছিল, ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি প্রস্তাবের পর, কাশ্মীরের সীমান্তে একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়। এর ফলে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশ হারায়, বিশেষ করে পাকিস্তান-অধিকৃত উত্তরাঞ্চল, যাকে পাকিস্তান ‘আজাদ কাশ্মীর’ হিসেবে দাবি করে। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (POK) আয়তন প্রায় ১৩,২৯৭ বর্গ কিলোমিটার, এবং সেখানে বসবাসকারী জনসংখ্যার প্রায় ৯৫% মুসলিম। এটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত।

     

    ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ

    গত ১২ জানুয়ারি সোনামার্গ টানেল উদ্বোধনের সময় জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের সবচেয়ে বড় সংযুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরের উভয় পাশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা একীভূত হওয়ার জন্য ইচ্ছুক, যদিও এই অনুভূতি এখনও প্রকাশ্যে স্পষ্ট নয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল যে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ পুরোপুরি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ভারতের রাজনৈতিক অবস্থান দৃঢ় হয়, যদিও জনগণের মধ্যে পুনঃএকীকরণের ব্যাপারে বড় কোনও বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে কাশ্মীর-ভূমে অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর ফলে কাশ্মীর ইস্যুতে শান্তি প্রতিষ্ঠা আরও জটিল হচ্ছে। ভারত এই সংকটের সমাধান করার ক্ষেত্রে শক্তি ও ঐক্যবদ্ধতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ।

     

    সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK)

    সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অধিবাসীদের ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বার্তা দেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “পাকিস্তান আপনাদের সঙ্গে বিদেশির মতো আচরণ করে। আমরা তা করব না। আমরা আপনাদের আপন করে নেব।” রাজনাথ জানান, পিওকে ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীর অসম্পূর্ণ। রাজনাথ সিং বলেন, “অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ। পাকিস্তান নিজেও জানে এই অংশ আসলে তাদের কাছে বিদেশের মাটি। তাই এই মাটিকে তারা সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করে। অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) ওরা জঙ্গি তৈরির কারখানা খুলেছে। সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে ওখানে।”

     

    ভারতের মাথার মুকুটমণি

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ, দেশ তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার এ কথা জানিয়ে এসেছে ভারত। এই ইস্যুতে মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক আদালতে। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে অধিকৃত কাশ্মীরকে পাক দখলমুক্ত করার বার্তা। ভারতের দাবি, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) জমি সন্ত্রাসবাদের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প, সীমার কাছে লঞ্চ প্যাড যে রয়েছে তার খবর ভারত সরকারের কাছে আছে। জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভারতের মাথার মুকুটমণি এই অঞ্চল।

  • Bangladesh: সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে, জানালেন ইউনূস সরকারের রাষ্ট্রদূত

    Bangladesh: সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে, জানালেন ইউনূস সরকারের রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে ইউনূস জমানার বাংলাদেশের (Bangladesh)। দুই দেশের মধ্যে এবার সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে, গতকাল শনিবার এরকমই ঘোষণা করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার (রাষ্ট্রদূত) মহম্মদ ইকবাল হোসেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে সরাসরি কোনও বিমান যোগাযোগ নেই। এমন সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের এক উচ্চ পদস্থ সেনা আধিকারিক পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। আলাদা করে সেখানে পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। ঠিক এই আবহে সরাসরি বিমান পরিষেবার কথা ঘোষণা করলেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

    কবে থেকে সরাসরি বিমান উড়বে, সে বিষয়ে কিছু খোলসা করেননি

    তবে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে পাকিস্তানের (Pakistan) উদ্দেশে সরাসরি বিমান কবে উড়বে, তা অবশ্য জানায়নি বাংলাদেশ দূতাবাস। এই ধরনের বিমান পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ইকবাল জানিয়েছেন, সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হলে শুধু যোগাযোগ বা যাতায়াতের ক্ষেত্রে নয়, পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও লাভবান হবে ঢাকা এবং ইসলামাবাদ।

    বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা পাকিস্তান!

    একই সঙ্গে পাকিস্তানে (Pakistan) প্রচুর বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) রাষ্ট্রদূত। বিনিয়োগের স্থান হিসেবে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, পাকিস্তানের ওই প্রদেশে স্বাস্থ্য এবং বৃহৎ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে উৎপন্ন পণ্যের চাহিদাও পাকিস্তানে অনেক বেশি বলে জানান তিনি। সবশেষে পাকিস্তানের বায়ুসেনার ভূয়সী প্রশংসা করতেও শোনা যায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে। গত বছরের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে বাংলাদেশে। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতেই রয়েছেন।হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ইউনূস সরকার ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

  • Asim Malik: অত্যন্ত গোপনে বাংলাদেশ সফরে পাক আইএসআই প্রধান! ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের?

    Asim Malik: অত্যন্ত গোপনে বাংলাদেশ সফরে পাক আইএসআই প্রধান! ভারতের জন্য কতটা উদ্বেগের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৌলবাদী ইউসূস প্রশাসনের ফের একটা ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ। সম্প্রতি বাংলাদেশের ৬ সেনাকর্তার একটি প্রতিনিধি দল ৬ দিনের পাকিস্তান সফর সেরে ঢাকায় ফিরেছেন (Asim Malik) শনিবার। তার পরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন দিনের ঢাকা সফরে এসেছে পাকিস্তানের চার সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধি দল। এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেনাকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মালিক। তিনি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান। পাকিস্তানের এই প্রতিনিধি দলে আইএসআইয়ের আরও এক পদস্থ কর্তা রয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। চুপিসারে কি পাকিস্তানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার? আপাতত এই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে আন্তর্জাতিক মহলে (ISI)। যদিও এই সফরের ব্যাপারে পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ টুঁ শব্দটি করেনি। দুই প্রতিনিধি দলের সফরই হয়েছে চূড়ান্ত গোপনীয়তায়। আইএসআই কর্তাদের বাংলাদেশ সফরের খবরে চিন্তার ভাঁজ ভারতের কপালে।

    ইউনূস জমানায় অশান্তির আগুন

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের হাল ধরেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেও, তাঁরই আমলে বাংলাদেশে হয়েছে চূড়ান্ত অশান্তি। হিন্দুদের ওপর হয়েছে ভয়ঙ্কর অত্যাচার। মৌলবাদীদের দাবির কাছে কার্যত নতি স্বীকার করে ইউনূস প্রশাসন। তার জেরেই প্রতিনিয়ত বেড়েছে অত্যাচারের বহর। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গদি বাঁচাতে ইউনূসও বাংলাদেশকে ইসলামি রাষ্ট্র বা খিলাফতে পরিণত করতে চান। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশও করে মাধ্যম। এহেন ইউনূসের পাক ঘনিষ্ঠতা যে বাড়বে, তা আগাম আঁচ করেছিলেন বাংলাদেশেরই বহু বিশিষ্ট জন (ISI)। 

    ঢাকায় গোপন সফরে আইএসআই প্রধান! 

    জানা গিয়েছে, পাক সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধি দলটি আরব আমিশাহির একটি উড়ান সংস্থার বিমানে করে দুবাই থেকে মঙ্গলবার সন্ধেয় আসেন ঢাকায়। আইএসআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেলের নেতৃত্বে দলটিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের পদস্থ কর্তা ব্রিগেডিয়ার মেহদি। জানা গিয়েছে, পাক প্রতিনিধি দলে মালিক (Asim Malik) ছাড়াও রয়েছেন আইএসআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল অ্যানালিসিস (ডিজিএ) মেজর জেনারেল শহিদ আমির আফসার। রয়েছেন মেজর জেনারেল আলম আমির আওয়ান এবং এসএসজি কর্তা মুহাম্মদ উসমান লতিফ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি পাঁচতারা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে ওই পাক প্রতিনিধি দলের। বাংলাদেশের সেনাকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি গাজিপুরে সমরাস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে এই প্রতিনিধি দলের।

    হাতের পুতুলে পরিণত ইউনূস!

    ভারতকে জবাব দিতে পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা বলছেন বাংলাদেশের কয়েকজন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। ভারতের এক প্রাক্তন কূটনীতিকের মতে, ইউনূস প্রশাসন আদতে পরিণত হয়েছে জামাতে ইসলামি ও কয়েককটি ইসলামি সংগঠনের হাতের পুতুলে। ওই ইসলামি সংগঠনগুলি ইউনূস প্রশাসনকে যেমন নাচাচ্ছে, তেমনই নাচছে তারা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে পাকিস্তান। সেই কারণেই আইএসআই কর্তার ঢাকা সফর।

    বাংলাদেশে ঘাঁটি গড়তে চাইছে আইএসআই!

    ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের কুর্সিতে বসে প্রথমেই যে কাজটি করেছে, সেটি হল কয়েকশো জঙ্গির জেলমুক্তি ঘটানো। সূত্রের খবর, এই জঙ্গিদের সংগঠিত করা হচ্ছে আনসারুল্লা বাংলা টিমের চাঁই মৌলানা জসিমউদ্দিন রহমানির নেতৃত্বে। এদের নিয়েই বাংলাদেশে একটি ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে আইএসআই। তাদের হাতে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি চলছে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজও। ভারতের নানা জায়গায় যেসব স্লিপার সেল রয়েছে, সেগুলিকেও সক্রিয় করা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে আইএসআই কর্তার বাংলাদেশ সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই (ISI) ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (Asim Malik)।

    বাংলাদেশে পাক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রস্তাব!

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশের গাজিপুরের অস্ত্র কারখানায় তাদের ‘শাহিন’ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতেও কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে ইসলামাবাদ। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রথাগত অস্ত্রের পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম। গাজিপুরের সমরাস্ত্র কারখানাটি তৈরি হয় ১৯৭০ সালে। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে আধুনিকীকরণ করা হয়েছে সেই কারখানাটির। সেই কারখানা পরিদর্শন করার কথা পাক প্রতিনিধি দলের।

    বাংলাদেশকে খিলাফতে রূপান্তরিত করাই লক্ষ্য

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র বা খিলাফতে রূপান্তরিত করতে চাইছে ইসলামপন্থী, জেহাদি এবং খিলাফতকামী গোষ্ঠীগুলি। এদের নেতৃত্বে রয়েছেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বও। ইউনূস সরকারের এহেন আচরণে যারপরনাই উল্লসিত পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠান, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূলত তাদেরই খুশি করতে কট্টর ভারত বিরোধিতার পন্থা নিয়েছে ইউনূস প্রশাসন। এই পরিস্থিতি ইসলামাবাদের নতুন “বাংলাদেশ ২.০”-এর আকাঙ্ক্ষাকে আরও উস্কে দিয়েছে (ISI)। পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি কনফেডারেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে (Asim Malik)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোটানায় বাংলাদেশ! একদিকে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে চাইছে শিক্ষিত মহল। আর একদিকে ইসলামি অ্যাজেন্ডার (Caliphate) দিকে ঝুঁকছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis)। বাংলাদেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র বা খিলাফতে রূপান্তরিত করতে চাইছে ইসলামপন্থী, জেহাদি এবং খিলাফতকামী গোষ্ঠীগুলি।

    নেতৃত্বে ইউনূস (Bangladesh Crisis)

    এদের নেতৃত্বে রয়েছেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বও। ইউনূস সরকারের এহেন আচরণে যারপরনাই উল্লসিত পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠান, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূলত তাদেরই খুশি করতে কট্টর ভারত বিরোধিতার পন্থা নিয়েছে ইউনূস প্রশাসন। এই পরিস্থিতি ইসলামাবাদের নতুন “বাংলাদেশ ২.০”-এর আকাঙ্ক্ষাকে আরও উস্কে দিয়েছে। পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি কনফেডারেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমে এই দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে “বাংলাদেশ ২.০”-কে “পূর্ব পাকিস্তান” হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। তারা ১৯৭১ সালের পরবর্তী বাংলাদেশি সরকারগুলিকে “নির্মম শাসক” বলেও অভিহিত করছে (Bangladesh Crisis)।

    পাক মিডিয়ার প্রচার

    ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। যে আন্দোলনের জেরে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল, সেই ঘটনাকে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো “দশকের পর দশক ধরে চলা নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিপ্লবী আন্দোলন” বলে বর্ণনা করেছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পালিত হয়েছে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার ৭৬তম মৃত্যু বার্ষিকী। নবাব সলিমুল্লাহ অ্যাকাডেমি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উর্দু গান ও কবিতা পরিবেশিত হয়। এতে পাকিস্তানপন্থী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্তা, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা (Caliphate) উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে বক্তরা জিন্নাহর পাকিস্তান সৃষ্টিতে ভূমিকার উপর জোর দেন। ঢাকার ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে জিন্নাহ অ্যাভেনিউ রাখার প্রস্তাব দেন। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলি থেকে গোলাবারুদ, আরডিএক্স বিস্ফোরক এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রজেক্টাইল কিনেছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পাকিস্তানের বহুজাতিক সামরিক মহড়া “ইনডাস শিল্ড-২০২৪”-এ অংশগ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে ইসলাবমাদ থেকে চিনা-নির্মিত জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারেও খোঁজখবর (Bangladesh Crisis) করেছে।

    খিলাফতে পরিণত করার চেষ্টা

    জানা গিয়েছে, ইউনূস প্রশাসন যখন ক্রমেই বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে সচেষ্ট, তখন বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা দেশের সার্বভৌমত্ব বা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্যকে খাটো করার যে কোনও চেষ্টার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হিযবুত তাহরীর এবং আল কায়েদা ও আইএস-এর সহযোগী বিভিন্ন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হিসাবে চিহ্নিত করে, পাকিস্তানের আইএসআই তাকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চেষ্টার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচার চালানো।

    সক্রিয় হামাসও

    বাংলাদেশের এই ডামাডোলের সুযোগ নিতে শুরু করেছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসও। তারা রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি করেছে (Caliphate)। সেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এর আগে, বাংলাদেশের কিছু আদালত বেশ কয়েকজন সেনা কর্তাকে এক্সট্রাজুডিশিয়াল হত্যা ও জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। দেশে গোপন আটককেন্দ্র চালানোর অভিযোগ তুলে সুপরিকল্পিত প্রচার চালানো হয়েছে, যা গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সংস্থার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: “মোদির নেতৃত্বে ভারত হবে এক বা দু’নম্বর অর্থনীতির দেশ”, বললেন চন্দ্রবাবু

    উবে গেল ‘মায়ের ডাক’

    হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের কয়েক মাস আগে, ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সংগঠন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক কভারেজ পাচ্ছিল। এই সংগঠনের সংগঠকরা “নিখোঁজ” পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসেছে বলে দাবি করেছিল। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ‘মায়ের ডাক’ হঠাৎ উবে গেল কর্পূরের মতো। এর নেপথ্যে বাইডেন প্রশাসন এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের (বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস) সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বলে অভিযোগ।

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞ দমসানা রণধীরণ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে (Bangladesh Crisis) জামাত-ই-ইসলামি এবং মুসলিম ব্রাদারহুড কংগ্রেস ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখে। যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ সামনে আসে, তবে এটি দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী মূলত ইসলামপন্থা এবং জেহাদবাদের ঘোরতর বিরোধী। তারা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষা করতে এবং ইসলামিক রিপাবলিক বা খিলাফত (Caliphate) প্রতিষ্ঠার যে কোনও প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” রণধীরণ বলেন, “আইএসআই-নিযুক্ত লবিস্ট এবং হামাসপন্থী আইন প্রণেতাদের কার্যকলাপ তীব্রভাবে পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    Jammu Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি-বাহিনী গুলির লড়াই, ওড়ানো হল সন্ত্রাসীদের ডেরা, শহিদ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন এক জওয়ান (Jammu Kashmir)। সোমবার দুপুরে ওই জওয়ানের শহিদ হওয়ার (Army Personnel Killed) খবর জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। রবিবার গভীর রাত থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে জম্মু ও কাশ্মীরের সোপোরের জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায়।

    জঙ্গিদের ডেরায় হানা (Jammu Kashmir)

    জালোরা গুজ্জরপতি এলাকায় জঙ্গিদের একটি ডেরার সন্ধান পেয়ে রবিবার গভীর রাতে হানা দেয় সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। ছুড়তে শুরু করে গ্রেনেডও। গুলিবিদ্ধ হন ওই জওয়ান। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে জঙ্গিদের ওই আস্তানা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দিয়েছে সেনা। সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় গুলির লড়াই চলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জঙ্গিদের সন্ধানে এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করেছে সেনা, আধাসেনা ও পুলিশ।

    ৬ মাসে খতম ২৩ জঙ্গি

    ডিসেম্বরের ২১ তারিখ সন্ধ্যায় সোপোরের ডাঙ্গিওয়াচা এলাকায় জঙ্গিদের দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি একে সিরিজের রাইফেল, একটি পিস্তল এবং ২৫০ রাউন্ড গুলি। জানা গিয়েছে, গত বছরের মে মাস থেকে পয়লা নভেম্বর পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ২৩ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। শহিদ হয়েছেন বাহিনীর ২৪ জন জওয়ান। এঁদের মধ্যে কাশ্মীরে শহিদ হয়েছেন ৬ জন। আর জম্মুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন।

    আরও পড়ুন: ভারতের শক্তি অন্তর্নিহিত রয়েছে একতার মধ্যে, মনে করেন মোহন ভাগবত

    এদিকে, ফি বার (Jammu Kashmir) শীতে তুষারপাতের আগে রাজৌরি এবং পুঞ্চের জঙ্গল দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। সেই কারণেই প্রতিবারের মতো এবারও গত কয়েক মাস ধরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ওই সব অঞ্চলের জঙ্গলে। অনুপ্রবেশ রুখতে প্রাণপণ করেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তার পরেও নিরাপত্তার ফাঁক গলে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কাশ্মীরে অশান্তি জিইয়ে রাখতেই পাকিস্তান মদত (Army Personnel Killed) দেয় এই অনুপ্রবেশে (Jammu Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indonesian President: নয়াদিল্লির আপত্তিতে সাড়া, ভারত থেকে পাকিস্তানে যাচ্ছেন না ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    Indonesian President: নয়াদিল্লির আপত্তিতে সাড়া, ভারত থেকে পাকিস্তানে যাচ্ছেন না ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) তিনিই প্রধান অতিথি। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Indonesian President) প্রাবয়ো সুবিয়ান্টো ঠিক করেছিলেন ভারতের অনুষ্ঠান শেষে তিনি এখান থেকেই যাবেন পাকিস্তান সফরে। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে আপত্তির কথা জাকার্তাকে (ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী) জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। তার পরেই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, ভারত সফরের সঙ্গে তিনি জুড়বেন না পাকিস্তান সফর।

    প্রধান অতিথি সুবিয়ান্টো (Indonesian President)

    ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য সুবিয়ান্টোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। তবে তাঁর সফর নিয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। এমতাবস্থায় পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলি তাঁর সফরের খবর প্রচার করতে শুরু করে দেয়। খবরে প্রকাশ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভারতের অনুষ্ঠান শেষে একই দিনে তিনদিনের সফরে ইসলামাবাদে যাবেন।

    ভারত-পাক এক বন্ধনীভুক্ত নয়

    ভারত ও পাকিস্তানকে যে এক বন্ধনীভুক্ত করা যায় না বিশ্বনেতাদের তা নানা সময় বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত। তাঁরা বিদেশি নেতাদের পইপই করে অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যেন ভারত সফরের সঙ্গেই পাকিস্তান সফর সেরে না ফেলেন। ভারতের সাফ কথা, এতে তাদের দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত যে আলাদা অবস্থান চায়, তা ক্ষুণ্ণ হয়। এই কথাটাই জাকার্তাকেও বোঝানোর চেষ্টা করে নয়াদিল্লি। জানা গিয়েছে, তার পরেই সে দেশের প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দেন, ভারত সফরের সঙ্গে তিনি পাকিস্তান সফর করবেন না। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Indonesian President) ভারত থেকে পাকিস্তানে যাবেন না। ২৬ জানুয়ারি রাতে তিনি ভারত থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন। তবে এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও হয়নি। সুবিয়ান্টোর সফরসূচি সম্পর্কে এখনও জাকার্তা কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি।

    আরও পড়ুন: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    যেহেতু সুবিয়ান্টোর সফর সূচি নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি জাকার্তা, তাই এটা স্পষ্ট নয় যে তিনি ভারত থেকে মালয়েশিয়া গিয়ে ফের উল্টো দিকে উড়ে এসে ইসালামাবাদে যাবেন কিনা। প্রসঙ্গত, সুবিয়ান্টোর পাকিস্তান সফরের প্রস্তাবটি গত মাসে একটি (Republic Day) বহুপাক্ষিক ইভেন্টের পার্শ্ববৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে সুবিয়ান্টোর (Indonesian President) বৈঠকের ফসল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha kumbh 2025: মুসলিম দেশগুলিতে ইন্টারনেট সার্চে ট্রেন্ডিং ‘মহাকুম্ভ’, সবচেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান

    Maha kumbh 2025: মুসলিম দেশগুলিতে ইন্টারনেট সার্চে ট্রেন্ডিং ‘মহাকুম্ভ’, সবচেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট সার্চে ট্রেন্ডিং ‘মহাকুম্ভ’। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা, ইসলামি দেশগুলিতে মহাকুম্ভ নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল রয়েছে। সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে পাকিস্তানে।

    শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ (Maha kumbh 2025)। সোমবারই প্রথম শাহি স্নান সম্পন্ন করেন ভক্তরা। উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনের পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম দিনেই ডুব দিয়েছেন ৫০ লক্ষ ভক্ত (Maha kumbh)। মঙ্গলবার মকর সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে চলছে অমৃত স্নান। আশা, এদিন কয়েক কোটি ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়ে পুণ্য-স্নান সারবেন। প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভে শুধুমাত্র ভারতীয়রাই যে হাজির হচ্ছেন এমনটা নয়। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব-সমাবেশে পরিণত হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ৪০ থেকে ৫০ কোটি ভক্ত সামিল হতে পারেন প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে।

    সবচেয়ে বেশি সার্চ (Maha kumbh 2025) করছেন পাকিস্তানিরা  

    এই মহাকুম্ভকে (Maha kumbh 2025) কেন্দ্র করে ব্রাজিল, জার্মানি, জাপান, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, স্পেন – এই সমস্ত দেশের ভক্তরাও হাজির হয়েছেন। তাঁরা ডুব দিচ্ছেন পুণ্যার্জনের আশায়, মোক্ষলাভের আশায়। এই সময়ে মহাকুম্ভকে ইন্টারনেটে সার্চ করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশে। প্রথমেই নাম আসছে পাকিস্তানের। অর্থাৎ পাকিস্তানের মতো একটি ইসলামিক দেশ, তারাও মহাকুম্ভের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে এবং ইন্টারনেটে মহাকুম্ভকে সবচেয়ে বেশি সার্চ করছে।

    পাকিস্তানের পরে সব চেয়ে বেশি সার্চ কাতারের

    পাকিস্তানের পরে অন্য আরেকটি দেশের নাম উঠে এসেছে, যারা ইন্টারনেটে মহাকুম্ভকে (Maha kumbh 2025) সার্চ করছে। সেটি হল কাতার। তালিকায় রয়েছে আমিরশাহি, বাহরিনও। এর পাশাপাশি নেপাল, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, ব্রিটেন, তাইল্যান্ডল আমেরিকা— এই সমস্ত দেশগুলি মহাকুম্ভকে সার্চ করছে ইন্টারনেটে। অর্থাৎ প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভকে নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা, চর্চা চলছে সারা বিশ্বে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে।

    ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025)  নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে

    ঢেলে সাজানো হয়েছে মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে। মেলা এলাকায় ২,৭৫১টি সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চলছে সর্বক্ষণ। প্রতিটি জায়গাতেই নিরাপত্তা আধিকারিকরা নজর রাখছেন। এরমধ্যে ৩২৮টি ক্যামেরা এআই বৈশিষ্ট্যযুক্ত। প্রয়াগরাজ জোনের অতিরিক্ত মহানির্দেশক ভানু ভাস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কুম্ভ মেলা এলাকায় শক্তিশালী সাত স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। সন্দেহজনক কার্যকলাপের ওপর নজর রাখতে সদা তৎপর গোয়েন্দা বাহিনী। নজরদারি জোরদার করার জন্য অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম এবং টেথার্ড ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। মেলা এলাকা এবং তার আশেপাশে প্রায় ৪০,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share