Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    PM Modi: আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন নাগপুরে, আরএসএসের (RSS) সদর দফতরে। অথচ, স্বাধীনতার পর তিন-তিনবার নিষিদ্ধ সংগঠনের তকমা সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে আরএসএসের গায়ে। তথাকথিত উদারপন্থীদের কাছে এখনও অচ্ছুত এই সংগঠন। পাছে ভোটব্যাংকে ধস নামে, তাই আরএসএসের সংস্রব এড়িয়ে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীরা।

    আরএসএসের সদর দফতরে যাচ্ছেন মোদি (PM Modi)

    আগামী ৩০ মার্চ সেখানে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা কেবি হেডগেওয়ারের স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন। স্থাপন করবেন মাধব নেত্রালয় প্রিমিয়াম সেন্টারের সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর। হেডগেওয়ার এবং আরএসএসের দ্বিতীয় সরসঙ্ঘচালক এমএস গোলওয়ালকারের স্মৃতিসৌধগুলি নাগপুরের রেশিমবাগ এলাকায় ডঃ হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরে অবস্থিত। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রধান চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে জানান, প্রধানমন্ত্রী ৩০ মার্চ এই স্মৃতিসৌধগুলি পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী মাধব নেত্রালয় প্রিমিয়াম সেন্টারের সম্প্রসারণ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলেও জানান তিনি।

    গিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়

    আরএসএসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নাড়ির টান। তিনি দীর্ঘদিন আরএসএসের প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একবারও যাননি সঙ্ঘের সদর দফতরে। তবে আরএসএসের সদর দফতরে গিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তা নিয়ে আগে-পরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্দরে। সেসব উপেক্ষা করেই প্রণব গিয়েছিলেন নাগপুরে। এবার যাবেন মোদি।

    এ বছর সঙ্ঘের শতবর্ষ। সেই উপলক্ষে বছরভর নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আরএসএস। প্রধানমন্ত্রী যে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, সেখানে থাকবেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতও। ২০১৪ সালের পর এ নিয়ে তৃতীয়বার প্রকাশ্যে মঞ্চ শেয়ার করবেন গেরুয়া শিবিরের দুই ‘মহীরুহ’। আরএসএস ইতিহাসের এক স্কলার বলেন, “এটি প্রথমবার যে একজন সক্রিয় প্রধানমন্ত্রী ডঃ হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করবেন।” তিনি বলেন, “প্রয়াত বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী ২০০৭ সালে এই স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। মোদি এর আগে একজন প্রচারক হিসাবে এই স্মৃতিসৌধে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এটি তার প্রথম দর্শন।” জানা গিয়েছে, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী ‘দীক্ষাভূমি’ও পরিদর্শন করবেন, যেখানে সংবিধান প্রণেতা বিআর আম্বেডকর ১৯৫৬ সালে হাজারো অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছিলেন (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, এই নাগপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বিজেপির নীতীন গডকরী। আরএসএসের সদর দফতরটি যে এলাকায় রয়েছে (RSS), সেখানকার বিধায়ক বিজেপিরই দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (PM Modi)।

  • Vladimir Putin: ‘বন্ধু’ মোদির আমন্ত্রণে সাড়া! ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার ভারতে আসছেন পুতিন

    Vladimir Putin: ‘বন্ধু’ মোদির আমন্ত্রণে সাড়া! ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার ভারতে আসছেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিলের আলোচনাসভায় পুতিনের ভারত সফরের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন লাভরভ। গত বছর মস্কো গিয়ে পুতিনকে দেশে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই ‘ডাকেই’ সাড়া দিয়ে দেশে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট (Russia)। ২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবার ভারতে আসছেন তিনি। তবে পুতিনের ভারত সফর প্রসঙ্গে এখনও দিনক্ষণের কথা জানায়নি সেদেশের বিদেশমন্ত্রক।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির ডাকে সাড়া

    গত অক্টোবরে ‘ব্রিকস’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। দু’জনের পার্শ্ববৈঠকও হয়েছিল সে সময়। তার আগে গত বছরেরই জুলাইয়ে রাশিয়া গিয়েছিলেন মোদি। সে সময়ই তিনি ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পুতিনকে। সেই প্রসঙ্গ তুলে লাভারভ বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট পুতিন ভারত সরকারের প্রধানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তাঁর সফরের প্রস্তুতি চলছে।’’ রাশিয়ান আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিল আয়োজিত ‘রাশিয়া এবং ভারত: একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক অধ্যায়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় লাভারভ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন পর্বের সূচনা হবে পুতিনের সফরে (Putin Visit India)।

    যুদ্ধের আবহে পুতিনের ভারত সফর

    এখনও কাটেনি রাশিয়া-ইউক্রেন জট। আর এমন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেই ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধের আবহে প্রেসিডেন্টে ভারত সফর কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ। বরাবরই, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের মাঝে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে যখন একের পর এক দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছে, সেই আবহেও বিবাদ থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে ভারত। এই যুদ্ধের মাঝে একাধারে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আবার একই ভাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করতে দেখা যায় তাঁকে।

    পাশাপাশি ভারত-রাশিয়া

    নরেন্দ্র মোদি ও ভ্লাদিমির পুতিনের (Modi-Putin Meet) বন্ধুত্বের সম্পর্ক কারও অজানা নয়। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই আমেরিকা-সহ নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি রাশিয়াকে কূটনৈতিক দুনিয়ায় একঘরে করার চেষ্টা করেছে। মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে তাদের উপর একাধিক অর্থনৈতিক অবরোধও জারি করেছে আমেরিকা। যদিও আমেরিকার আপত্তি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে নয়াদিল্লি। আমেরিকার সঙ্গে নিবিড় কৌশলগত সম্পর্ক রাখলেও পুরনো মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে যায়, সরাসরি এমন কোনও সিদ্ধান্তে সায় দেয়নি ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারতের আরও কাছে এসেছে রাশিয়া। রাষ্ট্রসংঘে মস্কো বিরোধী প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ভারত। তবে যুদ্ধ থামাতে বার বার আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন মোদি।

    পুতিনের সফরের প্রস্তুতি শুরু

    যুদ্ধের আবহে মোদি দু’বার গিয়েছেন রাশিয়া সফরে। আর সে দিকে ইঙ্গিত করেই লাভারভ বলেছেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বছর পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর রাশিয়ায় তাঁর প্রথম বিদেশ সফর করেছিলেন। এ বার তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার পালা আমাদের।’’ পুতিন যে এদেশে আসতে পারেন সেকথা শোনা গিয়েছিল নভেম্বরেই। রাশিয়ার প্রশাসনিক দফতর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমাত্রি পেসকভ জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই ভারত সফরে যাবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর ভারত সফরের দিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। এবার রাশিয়া জানিয়ে দিল পুতিনের সফরের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

    নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন সূচনা

    ক্রেমলিনের তরফে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন পর্বের সূচনা হতে চলেছে পুতিনের ভারত সফরে (Putin Visit India)। যুদ্ধ আবহে হোক কিংবা নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হওয়ার পর, মোদি রাশিয়া সফর করেছেন। তাই এবার তাঁদের উচিত পাল্টা সৌজন্য দেখানো। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতেই ভারতে আসছেন পুতিন। পাশাপাশি, ইউক্রেনের সঙ্গে চলতে থাকা যুদ্ধ নিয়েও ভারতের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। পুতিন এবং মোদি নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখেন, প্রতি দুই মাসে একবার টেলিফোনে কথোপকথন করেন। দুই নেতা ব্যক্তিগতভাবেও বৈঠক করেন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে। ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই ভারতের সাথে রাশিয়ার দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পুতিনের ভারত সফরের খবরে খুশির হাওয়া দু’দেশেই।

  • Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    Sahkar Taxi: উবের-ওলা’র সঙ্গে টক্কর! কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’, ফোনে আঙুল ছোঁয়ালেই মিলবে গাড়ি-বাইক-রিকশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওলা-উবেরের রমরমা শেষের পথে। ওলা বা উবেরের মতো অ্যাপ ক্যাবকে টক্কর দিতে কেন্দ্র আনছে ‘সহকার ট্যাক্সি’ (Sahkar Taxi) পরিষেবা। খুব শীঘ্রই এই ক্যাব পরিষেবা আনা হবে বলে সংসদে ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সমবায়-ভিত্তিক এই পরিষেবা ক্যাব চালকদের সরাসরি সুবিধা দেবে। ওলা এবং উবরের মতো অ্যাপ-ভিত্তিক পরিষেবার আদলে তৈরি এই উদ্যোগটি সমবায় সমিতিগুলিকে চালকদের আয় থেকে মধ্যস্থতাকারীদের কোনও কর ছাড়াই দু’চাকার যান, ট্যাক্সি, রিকশা এবং চার চাকার যানবাহন রেজিস্টারের অনুমতি দেবে।

    আসছে সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ অর্থাৎ সহযোগিতায় সমৃদ্ধিলাভের যে স্বপ্ন তাকেই সত্যি করে তুলবে এই পরিষেবা। এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘এটা একটা স্লোগানমাত্র নয়। সমবায় মন্ত্রক গত সাড়ে তিন বছর ধরে একে সার্থক করে তুলতে চেষ্টা করে চলেছে। আর কয়েকমাসের মধ্যে এক প্রধান সমবায় ট্যাক্সি পরিষেবা (Sahkar Taxi) শুরু হয়ে যাবে। যা থেকে সরাসরি লাভবান হবেন চালকরা।” কেননা এক্ষেত্রে কোনও মধ্যস্থতাকারী থাকবেন না। ফলে সরাসরি লভ্যাংশ তাঁদের কাছেই যাবে।

    কেন এই ভাবনা

    ওলা, উবরের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণেই এই প্রকল্প আনছে কেন্দ্র সরকার। আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের মাধ্যমে বুকিং করতে গেলে রাইডের ভাড়ায় তারতম্য হয় বলে সম্প্রতি এক অ্যাপ ক্যাব ব্যবহারকারী অভিযোগ জানান। এর পরই কেন্দ্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (সিসিপিএ) সম্প্রতি উভয় কোম্পানিকে নোটিশ জারি করে। অভিযোগের জবাবে, ওলা বৈষম্যের দাবি অস্বীকার করেছে। সিসিপিএ-কে তাদের দাবি, “আমাদের সব গ্রাহকের জন্য সমমূল্য কাঠামো রয়েছে। ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে কোনও পার্থক্য করা হয় না।” উবেরও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, “দাম কোনও যাত্রীর ফোন মডেলের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় না। আমরা কোনও যাত্রীর ফোন প্রস্তুতকারকের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করি না।” ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই ধরনের বৈষম্যমূলক দাম নির্ধারণকে “অনৈতিক ব্যবসায়িক পদ্ধতি” হিসেবে দাবি করেছেন।

  • PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    PM Modi: স্বাধীনতা দিবসে ব্রাত্য ‘বঙ্গবন্ধু’! মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে ইউনূসকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে।” বাংলাদেশের (1971 Liberation War) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে লেখা চিঠিতে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইউনূসকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সব সময় আমাদের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক আলো। আমরা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    উপেক্ষিত মুজিব (PM Modi)

    বুধবার, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে বাংলাদেশ। এদিন ইউনূস সরকার স্বাধীনতা ঘোষণার কথা উল্লেখ করে। যদিও কার অবদানে দেশ স্বাধীনতা পেল, কীভাবেই বা স্বাধীন হল দেশ, প্রেক্ষিতই বা কী – এসবের কোনও উল্লেখই ছিল না রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে। অথচ, পাকিস্তানে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আলোকবর্তিকা করে স্বাধীনতার লড়াই শুরু করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। ন’মাসের প্রাণপণ লড়াই শেষে আসে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধে যে ভারতের বিরাট অবদান ছিল, তা ইতিহাস স্বীকৃত। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশবাসীকে সেই ইতিহাসও ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ। একইভাবে, অত্যন্ত সচেতনভাবে মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টাও চলছে বলে অভিযোগ।

    মোদির শুভেচ্ছা-বার্তায় মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখ

    দেশের স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নামোল্লেখ না থাকায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ বাংলাদেশবাসীর একাংশ। এদিনই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে চিঠি লিখে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই চিঠিটিই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে ভারতের হাই-কমিশন। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে সেদিন ইউনূসকে লেখা চিঠিতে ঠিক কী লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউনূসকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন একাত্তরের ওই লড়াইয়ে ভারতের অবদানের কথা। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনকেও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।

    সরানো হল মুজিবের ছবি

    এদিকে, দেশে তো বটেই, বিদেশি কূটনৈতিক ভবনগুলি থেকেও সরিয়ে ফেলা হয় মুজিবের ছবি। কলকাতা উপ-দূতাবাস ও নানা দেশের যে সব কূটনৈতিক ভবনে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য রয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই সেগুলি কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এদিন প্রায় সব দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদেশ উপদেষ্টার লিখিত ভাষণ পাঠ করা হয়। পরে হয় আলোচনা সভা। সেখানেও ব্রাত্যই ছিলেন মুজিব। অবশ্য পাকিস্তানের নামোল্লেখ করা হয়নি। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে ‘দখলদার’ শব্দটি (PM Modi)।

    স্বাধীনতা দিবসে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’র ছবি!

    স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর। আধ ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রটি সব কূটনৈতিক ভবনে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউরোপের একটি দেশের বাংলাদেশি কূটনীতিক জানান, ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’ শীর্ষক এই তথ্যচিত্রটিতে একাত্তরের স্বাধীনতা আন্দোলনের কথাই নেই। পুরোটাই শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের কাহিনি। তিনি বলেন, এই তথ্যচিত্র দেখিয়ে দিয়েছে, ইউনূস সরকার এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছে একাত্তর নয়, জুলাই আন্দোলনই স্বাধীনতা আন্দোলন। তিনি জানান, সরকারি তথ্যচিত্রটিতে সেন্সরের সাধারণ নিয়মটুকুও মেনে চলা হয়নি। অবাধে দেখানো হয়েছে হিংসা, রক্ত, রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহের ক্লোজ আপ এবং ছিন্নভিন্ন দেহাংশও। এর সবগুলিই দর্শককে আতঙ্কিত করে তোলে। কলকাতার উপ-দূতাবাস ও আগরতলার সহকারি দূতাবাসেও মুজিব এবং ইন্দিরা গান্ধীর ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই দুই জায়গায়ই দেখানো হয়েছে ‘মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু’।

    মোদির চিঠি

    বাংলাদেশে অবস্থিত (1971 Liberation War) ভারতীয় হাইকমিশনের শেয়ার করা এক বার্তায় বাংলাদেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) লিখেছেন, “এই দিনটি আমাদের দুই দেশের ইতিহাস ও ত্যাগের দলিল। যা আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত তৈরি করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্ককে পরিচালিত করে চলেছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ হয়েছে এবং আমাদের জনগণের জন্য সুনির্দিষ্ট সুবিধা দিয়েছে। শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের অভিন্ন আকাঙ্খা এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে আরও বিকশিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণকে সামরিক, কূটনৈতিক ও মানবিক সাহায্য দিয়েছিল। পাক সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ভারতীয় সেনা। যার ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পরাজয় ঘটে পাকিস্তানের (1971 Liberation War)। ‘দখলদার’ মুক্ত হয় বাংলাদেশ (PM Modi)।

  • Sepak Takraw: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! ঐতিহাসিক সোনা জয়ী ভারতীয় সেপাক তাকরাও দলকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    Sepak Takraw: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! ঐতিহাসিক সোনা জয়ী ভারতীয় সেপাক তাকরাও দলকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। এবার সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বা কিক ভলিবলে সোনা জিতল ভারতের ছেলেরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ভারতের সেপাক তাকরাও দলকে বিশ্বকাপে তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেপাক তাকরাও বিশ্বকাপ ২০২৫ প্রতিযোগিতায় ভারত ৭টি পদক জিতেছে। যার মধ্যে পুরুষদের রেগু ইভেন্টে প্রথম সোনা জিতেছে ভারত। সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বা কিক ভলিবল, মালয়েশিয়ার জাতীয় খেলা হিসেবে বিবেচিত হয়। মঙ্গলবার পাটনায় ২০২৫ সালের সেপাক তাকরাও বিশ্বকাপে সোনার পদক জিতেছে ভারত। ঘরের মাঠে জাপানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে রেগু ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতের ছেলেরা।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি এই সাফল্যকে “চমৎকার পারফরম্যান্স” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, এই সাফল্য ভারতকে আরও এগিয়ে দেবে। ভারতের জন্য সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বিশ্ব মঞ্চে একটি “প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ” নির্দেশ করছে। তিনি তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের দলকে অভিনন্দন জানাই ঐতিহাসিকভাবে ভারতের প্রথম সোনার পদক জয়ের জন্য। এই চমৎকার পারফরম্যান্স ভারতকে সেপাক তাকরাও বিশ্ব মঞ্চে একটি প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।” সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) ভারতে খুব একটা পরিচিত নয়। ১৯৮২ সালের দিল্লি এশিয়ান গেমসে এটি একটি প্রদর্শনী ক্রীড়া হিসেবে খেলা হয়েছিল। ২০০০ সাল থেকে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক এই খেলাকে স্বীকৃতি দেয়।

    অভিনন্দন ক্রীড়ামন্ত্রীর

    ক্রীড়া মন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্যও ২০২৫ সালের সেপাক তাকরাও (Sepak Takraw) বিশ্বকাপে ভারতের সাতটি পদক জয়ী দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে পুরুষদের দলের প্রথম সোনার পদক জয়ের জন্য প্রশংসিত করেন। তাঁর কথায়, “ভারতের সেপাক তাকরাও দলকে ৭টি পদক জয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। বিশেষত পুরুষদের দলকে অভিনন্দন জানাই প্রথম সোনার পদক জেতার জন্য। আপনারা যারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তারা আমাদের জাতির যুবকদের জন্য এক অনুপ্রেরণা। ভবিষ্যতে আরো বড় সাফল্য কামনা করছি।

  • Modi Government: মোদি জমানায় নয়া মাইলফলক, চলতি অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টন কয়লা উত্তোলন ভারতের

    Modi Government: মোদি জমানায় নয়া মাইলফলক, চলতি অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টন কয়লা উত্তোলন ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা উত্তোলনে (Coal Production) নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল ভারত। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টন (এক লক্ষ কোটি কেজি) কয়লা উত্তোলনের মাইলফলক পেরিয়ে গেল। চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে নয়া কৃতিত্ব অর্জন করল দেশ। এ নিয়ে এক্স মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Government) লেখেন, ‘‘এটা একটা গর্বের মুহূর্ত প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে। আমরা এক বিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের মাইলফলক পার করেছি। এই সাফল্যে প্রতিফলিত হচ্ছে আমাদের দেশের শক্তি নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং আত্মনির্ভরতা।’’ এর পাশাপাশি এমন সাফল্য কয়লা ক্ষেত্রের সঙ্গে নিযুক্ত কর্মীদের কঠিন পরিশ্রমকেও প্রতিফলিত করছে বলে জানিয়েছেন মোদি।

    মোদি জমানায় (Modi Government) দেশের কয়লা উত্তোলন বেড়েই চলেছে

    অন্যদিকে এই মাইলফলক স্পর্শে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়বে আগামীদিনে। এর পাশাপাশি ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিও ঘটবে। প্রসঙ্গত, ভারতের কয়লা উত্তোলন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৮৯৩.১৯১ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন হয়েছিল। পরের বছরে অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা পৌঁছে যায় ৯৯৭.৮৩ মিলিয়ন টনে। আর এবার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১ বিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলনের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলল ভারত।

    ৩৫০ কয়লা খনিতে কাজ করেন ৫ লাখ শ্রমিক

    জানা গিয়েছে, দেশে বর্তমানে ৩৫০টি কয়লা খনি রয়েছে। ৫ লাখ শ্রমিক এই সমস্ত কয়লা খনিগুলিতে কাজ করেন। ইতিমধ্যে নিলামের মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলিও যাতে অংশ নিতে পারে, সে জন্য আইন সংশোধনও করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government)। শ্রমিকদের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জেরেই কয়লা উত্তোলন বেড়েছে। উল্লেখ্য, দেশের ৭৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কয়লাকে ব্যবহার করে। ফলে কয়লা উত্তোলন বৃদ্ধির ফলে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়েছে।

  • PM Modi: ১০ ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হল ফ্রিডমানের পডকাস্ট শো, সমাজমাধ্যমে পোস্ট মোদির

    PM Modi: ১০ ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করা হল ফ্রিডমানের পডকাস্ট শো, সমাজমাধ্যমে পোস্ট মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যান (Lex Fridman)। মার্কিন পডকাস্টারের নেওয়া এই সাক্ষাৎকার বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। এবার এই পডকাস্টটি দশটি ভারতীয় ভাষাতে অনুবাদ করা হল। একথা সমাজমাধ্যমের পোস্টে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষজন এই পডকাস্টটি শুনতে উৎসাহিত হবেন।

    নিজের পোস্টে কী লিখলেন মোদি?

    এ নিয়ে নিজের এক্স মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নিজের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘সম্প্রতি লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে এই পডকাস্ট শো অনেকগুলি ভাষাতে উপলব্ধ হয়েছে। ফ্রিডম্যানের সঙ্গে এই কথোপকথন আরও বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাবে।’’ নিজের এক্স মাধ্যমে ইউটিউবের একটি লিংকও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দেখা গিয়েছে, ভারতীয় দূরদর্শন বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাতে ওই পডকাস্টটিকে অনুবাদ করেছে। জানা যাচ্ছে, অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে গুজরাটি, তেলেগু, পাঞ্জাবি, বাংলা, কন্নড়, মারাঠি, অসমীয়া, ওড়িয়া, তামিল এবং মালায়ালাম ভাষাতেও।

    পডকাস্ট ইউটিউবে আপলোড করা হয় ১৬ মার্চ

    প্রসঙ্গত, ওই পডকাস্টটি ইউটিউবে আপলোড করা হয় গত ১৬ মার্চ। এই পডকাস্ট শো-এ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) বিভিন্ন ইস্যুতে বলতে শোনা যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে ক্রিকেট, ফুটবল থেকে আন্তর্জাতিক ইস্যু, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে পাকিস্তান, নিজের ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ- সমস্ত কিছু নিয়েই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।পডকাস্ট শো-এর শেষে ফ্রিডম্যান সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন। নিজের পোস্টে ফ্রিডম্যান লেখেন, ‘‘আমার জীবনের অন্যত্র শক্তিশালী কথোপকথন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে।’’  এরপরেই ফ্রিডম্যানের পোস্টের প্রত্যুত্তর দেন মোদি। নিজের পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘‘ফ্রিডম্যানের সঙ্গে আমার কথোপকথন দুর্দান্ত ছিল। আমি আমর ছোটবেলার স্মৃতিচারণা থেকে হিমালয়ে আমার কাটানো দিনের কথা বলি সেখানে। এরপর জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার দিনগুলি নিয়েও কথা হয়।’’

  • BJP: সাংসদদের উদ্দেশে হুইপ জারি করল বিজেপি, কেন জানেন?

    BJP: সাংসদদের উদ্দেশে হুইপ জারি করল বিজেপি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ২০ মার্চ তাদের সকল লোকসভা সাংসদদের (Member of Parliament) উদ্দেশ্যে হুইপ জারি করেছে। হুইপে বলা হয়েছে ২০২৫-২৬ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পাসের সময় তাদের সংসদে উপস্থিত থাকতে হবে। লোকসভার সকল বিজেপি সদস্যদের জানানো হয়েছে যে ২০২৫-২৬ অনুদানের বিভিন্ন দাবির উপর গিলোটিন ২০ মার্চ সংসদে পাসের জন্য তোলা হবে। তাই লোকসভায় বিজেপির সকল সদস্যকে অনুরোধ করা হয়েছে যে, তারা যেন সারাদিন সংসদে ইতিবাচকভাবে উপস্থিত থাকবেন এবং যেন সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেন।

    গিলোটিন কী?

    প্রসঙ্গত গিলোটিন হল একটি সংসদীয় কৌশল যা আরও আলোচনার সুযোগ না দিয়ে বিলটি দ্রুত পাস করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সাধারণত যখন সরকার দ্রুত কোনও বিল পাস করতে চায়, কিন্তু বিরোধীরা বিলটির অগ্রগতি বিলম্বিত করার পালটা কৌশল নেয়। ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০২৪-২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট বেতনভোগী শ্রেণীর জন্য বড় ধরনের স্বস্তি এনেছে। পারিবারিক সঞ্চয় বৃদ্ধির জন্য গড়ে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত মাসিক আয়ের উপর কোনও আয়কর নেই।

    সরকার জোর দিচ্ছে চার ক্ষেত্রে (BJP)

    সরকার উন্নয়নের চারটি বিভাগের উপর জোর দিচ্ছে। তা হল কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বিনিয়োগ এবং রফতানি। অর্থমন্ত্রীর কর ছাড়ের ঘোষণার অর্থ হল বেতনভোগী শ্রেণীর জন্য ১২.৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কর শূন্য থাকবে। সীতারামন বাজেটের মূল লক্ষ্য তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, “এই বাজেটের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে ‘বিকশিত ভারত’-এ রূপান্তরিত করার জন্য একটি ভবিষ্যৎমুখী পথ তৈরি করা। গরিব, যুবক, কৃষক এবং নারীর প্রকৃত উন্নয়ন এই বাজেটের লক্ষ্য।” বাজেটে কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বিনিয়োগ, রফতানি, গ্রামীণ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সক্ষমকরণ, অভ্যন্তরীণ উপভোগ বৃদ্ধি এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা এবং সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেট দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার এবং আর্থিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে সুক্ষ্মভাবে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। অর্থমন্ত্রী সীতারমন উল্লেখ করেছেন যে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) বাস্তবায়নের পর থেকে পরোক্ষ কর উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

    ২০২৫ সালের বাজেটকে কী বললেন মোদি?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটকে ভারতের উন্নয়ন যাত্রার জন্য “শক্তি গুণক” হিসেবে (BJP) অভিহিত করেছেন। তিনি এই বাজেটকে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের “আকাঙ্ক্ষার বাজেট” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন তার বাজেট বক্তৃতায় বিহারে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত এবং ব্যবহৃত পুষ্টিকর খাবার মাখনার জন্য একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি আরও ঘোষণা করেন যে পাটনা বিমানবন্দরের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিহটায় একটি ব্রাউনফিল্ড বিমানবন্দরের পাশাপাশি বিহারে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দরগুলিকে সম্মানিত করা হবে। তিনি বিহারের মিথিলাঞ্চল অঞ্চলে পশ্চিম কোশি খাল ইআরএম প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন। পশ্চিম কোশি খাল ইআরএম প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে, যা বিহারের মিথিলাঞ্চল অঞ্চলে ৫০,০০০ হেক্টরেরও বেশি জমি চাষকারী বিপুল সংখ্যক কৃষককে উপকৃত করবে। অর্থমন্ত্রী বিহারে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার জন্য জাতীয় খাদ্য প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ঘোষণাও করেছেন।

  • Bill Gates: মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ বিল গেটসের, গেলেন সংসদ ভবনেও

    Bill Gates: মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ বিল গেটসের, গেলেন সংসদ ভবনেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরেই নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিলেন মাইক্রোসফ্টের কর্ণধার বিল গেটস (Bill Gates)। নতুন বছর পড়তেই ফের একবার ভারত সফরে এসেছেন এই ধনকুবের। গত তিন বছরে এই নিয়ে টানা তিন বার এদেশে সফরে এলেন তিনি।

    মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরে পোস্ট সমাজমাধ্যমে

    নয়াদিল্লিতে গেটস ফাউন্ডেশনের ২৫তম বর্ষপূর্তি চলছে। সেই উপলক্ষেই এদেশে এসেছেন বিল গেটস। গতকাল বুধবার তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গেও। এই বৈঠক প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেন মাইক্রোসফ্টের কর্ণধার। নিজের পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘স্বাস্থ্য, কৃষি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সব ক্ষেত্রে ভারতের উন্নয়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে অনেকটা সময় আলোচনা করলাম।’’

    দেখা করেন সাংসদ ও মন্ত্রীদের সঙ্গেও

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরই বিল গেটস (Bill Gates) সরাসরি চলে যান দেশের সংসদে। সেখানে গিয়ে সাংসদদের সঙ্গে আলাপচারিতা করতেও দেখা যায় তাঁকে। এর পাশাপাশি, তিনি সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও কেন্দ্রীয় রাসায়নিক মন্ত্রী জেপি নাড্ডার সঙ্গেও। জানা গিয়েছে, বিল গেটস অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গেও বৈঠক করেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি এবং কর্মসংস্থান প্রভৃতি নানা বিষয় উঠে আসে আলোচনায়। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই বিল গেটসের বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং কৃষিতে এআই এবং মেশিন লার্নিংয়ের প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা হয় এই বৈঠকে।

    ভারতের বন্ধু বলেই পরিচিত বিল গেটস (Bill Gates)

    প্রসঙ্গত, বরাবরই ভারতের বন্ধু হিসেবেই আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি রয়েছে বিল গেটসের (Bill Gates)। এবারের সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ভারত এমন একটি জায়গা, যেখানে যেমন বড় চ্যালেঞ্জও রয়েছে, তেমনি মানুষের মনের মধ্যে রয়েছে বড় উচ্চাকাঙ্খাও।’’ মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁর আরও দাবি, ‘‘আমি যখনই ভারতে আসি, তখনই দেখি এখানকার স্বাস্থ্য, কৃষি এবং প্রযুক্তিতে বড় কোনও উন্নতি করে ফেলেছে সরকার।’’

  • Shashi Tharoor: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোদি-নীতির প্রশংসা থারুরের! বিজেপির নিশানায় রাহুল

    Shashi Tharoor: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মোদি-নীতির প্রশংসা থারুরের! বিজেপির নিশানায় রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থানকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। শশী বলছেন, যুদ্ধের প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরপেক্ষ অবস্থানের বিরোধিতা করে চরম ভুল করেছিলেন তিনি। সেকথা মনে পড়লে মাথা নত হয়ে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi-Sashi Tharoor) নীতি একেবারে সঠিক বলে মনে করেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। শশী সম্প্রতি ‘রাইসিনা ডায়ালগ’ নামে একটি আলোচনা সভায় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ভারতের নিরপেক্ষ থাকার মোদির সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করেন।

    রাইসিনা ডায়লগে শশী

    রাইসিনা ডায়ালগে একটি প্যানেল আলোচনায় শশী থারুর (Shashi Tharoor) স্বীকার করেছেন যে, তিনি ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে ভুল ভেবেছিলেন। তিনি বলেন, এই অবস্থান ভারতকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করেছে, যে দুটি দেশ ২০২২ সাল থেকে যুদ্ধে লিপ্ত। শশী বলেন, “যুদ্ধ শুরুর সময় আমিই ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হানাদারি নিয়ে ভারতের নিরপেক্ষ ভূমিকার সমালোচনা করেছিলাম। তারপর থেকে আন্তর্জাতিক গতিপ্রকৃতি দেখে নিজেই লজ্জিত বোধ করি সেদিনের আচরণের জন্য। সেদিন বিরোধিতার জন্য নিজেকেই ঢোঁক গিলে নিতে হচ্ছে।” শশী থারুরের এই মন্তব্য যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, এটা দেখে ভালো লাগছে যে, কংগ্রেসের নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে মান্যতা দিচ্ছেন। স্বীকার করে নিচ্ছেন। কেন্দ্রের বিদেশনীতিকে প্রশংসা করার জন্য শশী থারুরের বিরুদ্ধে তাঁর দল কোনও ব্যবস্থা নেবে না বলেও আশা বিজেপি নেতাদের।

    মোদি-নীতির প্রশংসা

    বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বুধবার বলেছেন, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারুরের (Shashi Tharoor) রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের অবস্থান নিয়ে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈশ্বিক কূটনীতির “স্বাভাবিক প্রকাশ”। দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ত্রিবেদী মোদির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন, যিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, মোদি দুই দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সাক্ষাৎ করেছেন। ত্রিবেদী বলেন, “শশী থারুর আজ রাইসিনা ডায়ালগে যা বলেছেন, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের অসাধারণ বৈশ্বিক কূটনৈতিক নীতির স্বাভাবিক ফল। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যে কেউ এটি বুঝতে পারবেন। মোদি একমাত্র নেতা যিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি উভয়ের সঙ্গে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কথা বলেছেন এবং উভয়ের কাছ থেকে সমান গুরুত্ব পেয়েছেন।” ত্রিবেদী আরও বলেন, “শশী থারুরের মন্তব্য মোদির বৈশ্বিক কূটনীতির একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ।” থারুরের মন্তব্যকে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের প্রমাণ হিসেবে দেখছে, বিশেষজ্ঞ মহল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, মোদির কূটনীতি ভারতকে বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় করে তুলেছে। মোদির নীতির ফলেই বিশ্বের দরবারে ভারতের ক্ষমতা ও প্রভাব বেড়েছ। থারুরের মন্তব্য ভারতের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রতিপত্তির ইঙ্গিত দেয়।

    রাহুলকে আক্রমণ

    বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দূরদৃষ্টি বিরোধী দলের নেতারাও প্রশংসা করছেন, স্বীকার করছেন। রাহুল গান্ধী, চিদম্বরমের মতো কংগ্রেস নেতা ও রঘুরাম রাজনের মতো লোকেরাও এখন তাঁদের কথা নিজেরাই গিলে নিচ্ছেন। অর্থনীতি, ইউপিআই, উৎপাদন শিল্প এবং আরও বহু কিছুতে দেশের অবস্থান নিয়ে তাঁরা অতীতের মন্তব্য নিয়ে নিজেরাই লজ্জিত। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “থারুরের একের পর এক মন্তব্যে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, কংগ্রেসের ভিতরে বিদ্রোহের ছুরির ফলা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। যা দেখে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মুখ লাল হয়ে যেতে পারে। কংগ্রেস এবার হয়তো দলীয়ভাবে জানাবে শশী থারুর যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত। দলের অবস্থান নয়। যদিও সংসদে এই বিষয়ক আলোচনায় থারুরকেই দল দায়িত্ব দিয়েছিল।”

LinkedIn
Share