Tag: PM Modi

PM Modi

  • Pakistan: “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না”, লালকেল্লা থেকেই পাকিস্তানকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    Pakistan: “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না”, লালকেল্লা থেকেই পাকিস্তানকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে (Pakistan) সতর্ক করে বলেন যে ভারত আর পারমাণবিক হুমকির কাছে নতি স্বীকার করবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি নতুন ভারত, যা কোনও আপস করে না। ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আর কোনওভাবেই পরমাণু হুমকি সহ্য করবে না। আমরা কোনও ধরনের ব্ল্যাকমেলের ফাঁদে পা দেব না।” শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তানকে সতর্ক করে তিনি জানান, ভারত এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রক্ত ও জল একই সঙ্গে প্রবাহিত হবে না।

    রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হবে না (Pakistan)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রক্ত ও জল এক সঙ্গে প্রবাহিত হবে না। মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে যে সিন্ধু জল চুক্তি অন্যায্য। সিন্ধু নদী ব্যবস্থা থেকে প্রবাহিত জল শত্রুর জমি সেচের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, অথচ আমাদের দেশের কৃষকরা ভুগছেন। কেমন ধরনের চুক্তি এটি, যা গত সাত দশক ধরে আমাদের কৃষকদের এত বড় ক্ষতির কারণ হয়েছে?” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে ভারতকে হুমকি দিয়েছিলেন। এদিন লালকেল্লার অনুষ্ঠান থেকে তাকে কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী।

    ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে ব্ল্যাক চেক!

    শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার বলেন, “দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রাপ্য এক ফোঁটা জলও ভারতকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না।” প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার একদিন পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি (IWT) স্থগিত রাখাও অন্তর্ভুক্ত। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ভারত জঙ্গি ও যারা তাদের সমর্থন করে, তাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করবে না এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে ভবিষ্যতে কোনও ধরনের দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ড ঘটলে তার শাস্তি কী হবে, তা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীই ঠিক করবে (Pakistan)।”

  • Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    Tariff War: “দাম কম, দম বেশি মন্ত্র অনুসরণ করতে হবে ভারতকে,” লালকেল্লায় বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতকে উচ্চমানের ও সাশ্রয়ী পণ্যের ওপর জোর দিতে হবে “দাম কম, দম (গুণমান) বেশি” মন্ত্র অনুসরণ করে, যাতে একটি সমৃদ্ধশালী,  স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তোলা যায়, যা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ত্যাগকে সম্মান জানায়।”  শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির লালকেল্লায় ভাষণ দিতে (Tariff War) গিয়ে কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুধু তাই নয়, দেশবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “অন্যদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করতে পারে”। ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক নিয়ে দড়ি টানাটানির আবহে তিনি বলেন, “যারা অন্যের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করে, তারা নিজের স্বাধীনতার ওপর বড় প্রশ্নচিহ্ন ডেকে আনে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (Tariff War)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসল দুর্ভাগ্য শুরু হয় তখন, যখন নির্ভরতা অভ্যাসে পরিণত হয়। আর বুঝতেই না পেরে আমরা আত্মনির্ভর হওয়া বন্ধ করে দিই এবং অন্য কারও ওপর নির্ভর করতে শুরু করি। এই অভ্যাস ঝুঁকিমুক্ত নয়, তাই আত্মনির্ভর থাকতে হলে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মনির্ভরতা কেবলমাত্র আমদানি, রফতানি বা মুদ্রা বিনিময়ের সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের সক্ষমতার সঙ্গেও যুক্ত। যখন আত্মনির্ভরতা ক্ষয় হতে শুরু করে, তখন আমাদের শক্তিও ক্ষয় হয়। আমাদের সক্ষমতা রক্ষা, বজায় রাখা এবং উন্নত করার জন্য আত্মনির্ভরতা অপরিহার্য।”

    বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতীয়দের করণীয়

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্বার্থপরতার এই (Tariff War) সময়ে (PM Modi), বিশ্বে সম্মান অর্জনের জন্য ভারতকে অন্যদের সীমিত করার বদলে নিজেকে শক্তিশালী করায় মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের উচিত নয় অন্য কারও লাইন ছোট করার চেষ্টা করে নিজের শক্তি নষ্ট করা। বরং আমাদের নিজের লাইনকে সর্বশক্তি দিয়ে দীর্ঘায়িত করতে হবে। বিশ্ব আমাদের শক্তিকেই সম্মান দেবে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে, যেখানে অর্থনৈতিক স্বার্থপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে, সেখানে প্রয়োজন কাঁদতে বসে থাকা নয়, বরং সাহসের সঙ্গে নিজের লাইন দীর্ঘ করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমাদের কাজ করা উচিত এই মন্ত্র (PM Modi) নিয়ে—‘দাম কম, দম বেশি’, অর্থাৎ খরচ কম, গুণমান বেশি। মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাধীনতা এসেছে অসীম ত্যাগের মাধ্যমে (Tariff War)।”

  • PM Modi: ‘‘আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অর্জন করতে হবে জ্বালানি স্বাধীনতা’’, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    PM Modi: ‘‘আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অর্জন করতে হবে জ্বালানি স্বাধীনতা’’, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানান, ভারতকে সত্যিকারের আত্মনির্ভরশীল দেশ হতে হলে আগে জ্বালানি স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা জানি, আমাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে অনেক দেশের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে গেলে, সর্বপ্রথম আমাদের জ্বালানি স্বাধীনতা (Energy Independence) অর্জন করতে হবে।” প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির জমানায় আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচি ব্যাপক সফল হয়েছে। দেশের তৈরি জিনিসপত্রের বিদেশে রফতানির পরিমাণ আগের থেকে বেড়েছে অনেক কিছুই। এবার লালকেল্লা থেকে মোদি বললেন জ্বালানি স্বাধীনতার কথা। সেই লক্ষ্যে ঘোষণা করলেন ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশনের।

    ১১ বছরে ভারতের সৌরশক্তির ক্ষমতা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে

    ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) উল্লেখ করেন, বিগত ১১ বছরে তাঁর শাসনকালে ভারতের সৌরশক্তির ক্ষমতা ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা নতুন বাঁধ নির্মাণ করছি এবং ভারত এখন পারমাণবিক শক্তির ওপর সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এই দিকটিতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দশটি নতুন পারমাণবিক চুল্লি চালু হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর উদযাপন করবে, তখন আমাদের লক্ষ্য হবে পারমাণবিক শক্তির ক্ষমতা ১০ গুণ বৃদ্ধি করা।

    ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশন

    এদিন লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ন্যাশনাল ডিপ ওয়াটার এক্সপ্লোরেশন মিশন-এর কথাও ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “এই মিশনের মাধ্যমে ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। সমুদ্রের গভীরে খনন ও অনুসন্ধান প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে।” এই মিশন মূলত বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের গভীর জলে পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে সরকারি ও বেসরকারি—উভয় ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি অংশ নেবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে ভারত যে পরিমাণ তেল বাইরে থেকে আমদানি করে, সেই নির্ভরতা অনেকটাই কমবে এবং আগামী দশকে দেশের নিজস্ব উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে (PM Modi)।

  • PM Modi: “সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে”, লালকেল্লা থেকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে”, লালকেল্লা থেকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আজ আমি জাতিকে একটি উদ্বেগ, একটি চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করতে চাই। একটি সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যার গঠন বদলানো হচ্ছে, এবং একটি নতুন সংকটের বীজ বপন করা হচ্ছে।” শুক্রবার দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দেশের কিছু অঞ্চলে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনসংখ্যা মিশনের সূচনা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘‘এই অনুপ্রবেশকারীরা আমার দেশের যুবকদের জীবিকা কেড়ে নিচ্ছে (Indias Demography)। এই অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের বোন ও কন্যাদের লক্ষ্য করছে – এটি বরদাস্ত করা হবে না। এই অনুপ্রবেশকারীরা নিরীহ আদিবাসী মানুষদের ভুল পথে চালিত করছে এবং তাদের জমি দখল করছে – জাতি এটি মেনে নেবে না।’’

    সামাজিক উত্তেজনার বীজ (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই কারণেই প্রিয় দেশবাসী যখন জনসংখ্যাগত পরিবর্তন ঘটে বিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলে, তখন তা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এটি দেশের ঐক্য, অখণ্ডতা এবং অগ্রগতির জন্য বিপদ ডেকে আনে এবং সামাজিক উত্তেজনার বীজ বপন করে। তিনি বলেন, কোনও দেশ নিজেকে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেয় না। পৃথিবীর কোনও দেশ এটি করে না। তাহলে আমরা কেন ভারতের ক্ষেত্রে এটি মেনে নেব?’’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের পূর্বপুরুষরা ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন এবং আমাদের একটি স্বাধীন ভারত দিয়েছিলেন। সেই মহান মানুষদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব হল দেশের ভেতরে এমন কার্যকলাপ মেনে না নেওয়া। এটাই হবে তাঁদের প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাঞ্জলি।’’

    প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা

    তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘লালকেল্লার প্রাচীর থেকে আমি ঘোষণা করতে চাই যে আমরা একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন জনসংখ্যা মিশন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই মিশনের মাধ্যমে যে ভয়াবহ সংকট আমরা ভারতের ওপর ঘনিয়ে আসতে দেখছি (Indias Demography), সেটির মোকাবিলা পরিকল্পিত ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞভাবে, একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে করা হবে। আমরা সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি (PM Modi)।’’

  • PM Modi: “সরলীকৃত জিএসটি ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য উপহার হতে চলেছে,” লালকেল্লা থেকে বললেন মোদি

    PM Modi: “সরলীকৃত জিএসটি ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য উপহার হতে চলেছে,” লালকেল্লা থেকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সরলীকৃত জিএসটি (GST) ব্যবস্থা নয়া প্রজন্মের জন্য এক উপহার হতে চলেছে।” এর ফলে দেশব্যাপী করের বোঝা কমবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    জিএসটি পরিকাঠামোয় বদল (PM Modi)

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন ১১বার। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখান থেকে ভাষণ দিলেন ১২বার। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে বক্তৃতা দিয়েছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এটাই তাঁর দীর্ঘতম ভাষণ। গত বছর ৯৮ মিনিট ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। এবছর ১০৫ মিনিট ধরে একাধিক ইস্যুতে বক্তব্য রেখেছেন মোদি। সেখানেই তিনি জানান, জিএসটি ব্যবস্থায় সরলীকরণ আনার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে কেন্দ্র। জিএসটি পরিকাঠামোয় যে বদল আসতে পারে, সেই আভাস মিলেছিল গত জুলাইয়েই। এ বার লালকেল্লা থেকে প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টার ভাষণে মোদি ঘোষণা করলেন, দীপাবলিতে জিএসটি পরিকাঠামোয় বদল আসছে। তিনি বলেন, “এ বারের দীপাবলি আমি আপনাদের জন্য দ্বিগুণ আনন্দের করে দিচ্ছি। এই দীপাবলিতে দেশবাসী একটি বড় উপহার পাবেন। আমরা নয়া প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার আনছি। এর ফলে সারা দেশে করের বোঝা কমবে। দীপাবলির আগে এটিই হবে উপহার।” তিনি জানান, এই সংস্কারগুলির উদ্দেশ্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর করের বোঝা কমানো, যাতে নাগরিকদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আরও সাশ্রয়ী হয়।

    “ডাবল দীপাবলি” উপহার

    একই সঙ্গে শিল্পক্ষেত্রের জন্যও উল্লেখযোগ্য সুবিধা দেওয়া যায়। জিএসটি কার্যকর হওয়ার আট বছরের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এই পরিবর্তনগুলিকে জাতির জন্য “ডাবল দীপাবলি” উপহার হিসেবে বর্ণনা করেন। এক্স হ্যান্ডেলে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এটি একদিকে ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি, অন্যদিকে ব্যবসার জন্য প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত করে (PM Modi)।  কর সংস্কারের (GST) পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ‘বিকশিত ভারত রোজগার যোজনা’ নামে যুবশক্তির ক্ষমতায়নে একটি জাতীয় কর্মসংস্থান কর্মসূচি চালু করেন। ১ লাখ কোটি টাকার বরাদ্দ নিয়ে এই কর্মসূচি যোগ্য তরুণ উপকারভোগীদের প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দান করবে।

    এর উদ্দেশ্য হল, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সুযোগের বিস্তার এবং দেশের ক্রমবর্ধমান কর্মশক্তির জন্য দক্ষতা উন্নয়নে সাহায্য করা। এই ঘোষণাগুলি সরকারের দ্বিমুখী মনোযোগ – অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা স্পষ্ট করে। প্রধানমন্ত্রী জানান, কর ছাড়ের সঙ্গে সরাসরি কর্মসংস্থান সহায়তা যুক্ত করে, এই উদ্যোগগুলোকে একটি সমৃদ্ধ এবং আত্মনির্ভর (GST) ভারতের পথে পরিপূরক পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে (PM Modi)।

  • Modi At Red Fort: দেশের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হবে নিরাপদ, লালকেল্লা থেকে ‘সুদর্শন চক্র মিশন’-এর ঘোষণা মোদির

    Modi At Red Fort: দেশের প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হবে নিরাপদ, লালকেল্লা থেকে ‘সুদর্শন চক্র মিশন’-এর ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যতের যে কোনও ধরনের প্রযুক্তি-ভিত্তিক হামলা থেকে দেশের প্রতিটা প্রান্তকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সেই যুগান্তকারী প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এদিন দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস (79th Independence Day) উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদি (Modi At Red Fort)। সেখানেই তিনি জানান, আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটা কোনাকে সুরক্ষিত করতে জাতীয় সুরক্ষা ঢাল তৈরি করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ দেশীয় এই প্রকল্পের নাম ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ (Mission Sudarshan Chakra)। দেশকে সুরক্ষা দেওয়ার, শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত পাশাপাশি শত্রুদের ধ্বংস করার ক্ষমতা থাকবে এই মিশনের। পুরোপুরিভাবে আত্মনির্ভরভাবে তথা দেশীয় প্রযুক্তিতে এই মিশন কাজ করবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর।

    কী এই ‘সুদর্শন চক্র মিশন’?

    নরেন্দ্র মোদি (Modi Independence Day Speech) বলেছেন, “২০৩৫ সালের মধ্যে রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরকে পুরোপুরি একটি নির্দিষ্ট সুরক্ষা কবচের মধ্যে আনা হবে। এর সেক্টরগুলির মধ্যে সামরিক সেক্টর যেমন রয়েছে তেমনই থাকবে হাসপাতাল, রেলও। নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পুরোপুরি সুরক্ষাকবচ দেওয়া হবে এই সব ক্ষেত্রকে।” প্রধানমন্ত্রী জানান, এটি ভগবান কৃষ্ণের সুদর্শন চক্র দ্বারা অনুপ্রাণিত। এটি হবে একটি অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র ব্যবস্থা, যা শুধু শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধই নয়, প্রয়োজনে তাদের উপর নির্ভুল পাল্টা আঘাত হানতেও সক্ষম হবে। মহাভারতের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “সকলেই জানেন, কীভাবে শ্রী কৃষ্ণ তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সূর্যকে ঢেকে দিনকে অন্ধকার করে দিয়েছিলেন, যাতে অর্জুন তাঁর প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে সক্ষম হন। একইভাবে, ভারতের ‘সুদর্শন চক্র’ও শত্রুদের প্রতিটি আক্রমণকে নিষ্ক্রিয় করতে এবং তাদের চেয়ে বহুগুণ বেশি শক্তি দিয়ে প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হবে।”

    প্রতিরক্ষায় দেশীয় ঢাল ও বর্ম

    প্রধানমন্ত্রী আরও স্পষ্ট করেছেন যে, এই উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্ত গবেষণা, উন্নয়ন এবং উৎপাদন ভারতেই করা হবে এবং এটি দেশের যুবকদের হাতেই প্রস্তুত করা হবে। এই ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, যেখানে আকাশপথ, স্থলপথ ও সমুদ্রপথ— তিন ক্ষেত্রেই শত্রুর যেকোনও আক্রমণ মুহূর্তের মধ্যে শনাক্ত ও প্রতিহত করা সম্ভব হবে। শুধু সামরিক সুরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না এই প্রযুক্তি; বরং দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে— যেমন বড় শহর, কৌশলগত শিল্পাঞ্চল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, পারমাণবিক স্থাপনা এবং সীমান্তবর্তী এলাকায়— এটি স্থাপন করা হবে, যাতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।

    দেশীয় ইঞ্জিনের পক্ষে সওয়াল মোদির

    তিনি আরও বলেন, “এই সুরক্ষা নিয়মিত বাড়ানো হবে। রাষ্ট্রীয় সুরক্ষাকে মজবুত, আধুনিক করার জন্য এই সিদ্ধান্ত।” ‘মিশন সুদর্শন চক্র’ যে প্রযুক্তিগত হামলা ঠেকানোর ঢাল হবে, তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদি। এই মিশনের জন্য রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং সবটাই ভারতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে, যুদ্ধবিমানের জন্য মেড ইন ইন্ডিয়া ইঞ্জিনের জন্য জোরালো সওয়াল করেন তিনি। জানান, এটাই সময়ের দাবি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “সম্মান পাওয়ার জন্য আত্মনির্ভর থাকা দরকার। অপারেশন সিঁদুরে দেখেছি আত্মনির্ভরতার ক্ষমতা। আত্মনির্ভর না হলে এত বড় সাফল্য আসত না।” প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ, আমেরিকা থেকে ইঞ্জিন আসতে দেরি হওয়ায় তেজসের উৎপাদন বিলম্বিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের জন্য ইঞ্জিন সরবরাহ করছে মার্কিন সংস্থা জিই।

  • PM Modi: “বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও হল আরএসএস”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও হল আরএসএস”, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর ভাষণে উঠে আসে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর ভূয়সী প্রশংসা (RSS)। তিনি বলেন, “আজ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করতে চাই—১০০ বছর আগে যে সংগঠনের জন্ম হয়েছিল, সেটি হল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। বিগত ১০০ বছর ধরে এই সংগঠন সেবামূলক কাজ করে চলেছে। এটি ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবময় ও সোনালি অধ্যায়। চরিত্র গঠনের মাধ্যমে জাতি গঠনের সংকল্প নিয়েই পরিচালিত হয় এই সংগঠন।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনিয়ে লালকেল্লায় ১২ বার ভাষণ দিলেন। তিনি নিজেও একজন আরএসএস প্রচারক। ২০২৫ সালের বিজয়া দশমীতে ১০০ বছরে পা দিচ্ছে আরএসএস। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ১০ লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক নিজেদের সমর্পণ করেছেন (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও বলেন, “মাতৃভূমির সেবার লক্ষ্যে ১০ লক্ষেরও বেশি স্বয়ংসেবক সম্পূর্ণভাবে নিজেদের সমর্পণ করেছেন। দেশের উন্নতি ও মাতৃভূমির কল্যাণের জন্য তাঁরা আত্মনিবেদিত।” তিনি বলেন, “সেবা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলাই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য। এক অর্থে বলা যায়, আরএসএস বিশ্বের বৃহত্তম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর ইতিহাস নিঃস্বার্থ সেবার এক শতাব্দীর সাক্ষ্য বহন করে।”

    সরকার গঠন করলেই জাতি গঠিত হয় না

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কথায়, “কেবলমাত্র সরকার গঠন করলেই জাতি গড়ে ওঠে না। এর পেছনে থাকে লক্ষ লক্ষ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা—ঋষি, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কৃষক, যুবক, সৈনিক, শ্রমিক—সবার অবদানে গড়ে ওঠে এক শক্তিশালী দেশ। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, উভয়ের অবদানেই নির্মিত হয় জাতির ভিত্তি।”  প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, “আজ লালকেল্লা থেকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই সব নিঃস্বার্থ স্বয়ংসেবকদের, যারা গত এক শতকে দেশের সেবায় নিজেদের নিবেদিত করেছেন। দেশ গর্বিত এই শতবর্ষীয় আরএসএসের যাত্রাপথে এবং তাদের অবদানে।”

  • PM Modi: নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে ফের রাজ্য আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কবে জানেন?

    PM Modi: নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতে ফের রাজ্য আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গবাসীকে দুর্গাপুজোর বড় উপহার দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যেমন তেমন কোনও উপহার নয়, ঐতিহাসিক উপহার। নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করতেই চলতি মাসেই কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২২ অগাস্ট দমদমে প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেখান থেকেই নয়া তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী (New Metro Routes)।

    সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য (PM Modi)

    খবরটি সংবাদ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ইতিমধ্যেই রেলের তরফে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের তরফ থেকে সেই আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি ফাঁস করেন সুকান্ত। তিনি একে দুর্গাপুজোর আগে পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক ঐতিহাসিক উপহার বলেও উল্লেখ করেছেন। জানা গিয়েছে, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী যে তিনটি নয়া রুটের মেট্রোর উদ্বোধন করবেন, সেগুলি হল, শিয়ালদা-এসপ্ল্যানেড, বেলেঘাটা-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) এবং নোয়াপাড়া-জয়হিন্দ (বিমানবন্দর) স্টেশন।

    উদ্বোধন মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও

    তিনটি নয়া মেট্রো রুটের পাশাপাশি আগামী ২২ তারিখে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সাবওয়েরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রেল সংক্রান্ত নানা উন্নয়নমূলক কাজের জন্য শুধুমাত্র চলতি বছরের বাজেটেই ১৩ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা পেয়েছে বাংলা। এই মুহূর্তে রেল পরিষেবা এবং পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য সব মিলিয়ে ৮৩ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকার কাজ চলছে পশ্চিমবঙ্গে। ১০১টি স্টেশনকে বিশ্বমানের রেলস্টেশন হিসেবে পুনর্নির্মাণ করার কাজ চলছে (PM Modi)। ইতিমধ্যেই ৯টি বন্দে ভারত ও ২টি অমৃত ভারত ট্রেনের যাত্রাও শুরু হয়েছে। এহেন আবহে এবার মেট্রো পরিষেবার পরিসর আরও বাড়ানোর পথে হাঁটল রেল।

    কোন লাইনে কোন কোন স্টেশন

    জানা গিয়েছে, ইয়োলো লাইনে নোয়াপাড়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মেট্রোর সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে (New Metro Routes)। ১৬ অগাস্ট শনিবার এই রুট পরিদর্শনে আসবেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সূচনা হবে মেট্রোর নিত্য যাত্রা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার প্রস্তুতি করতে মেট্রো রেলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। নিউ গড়িয়া বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের (ভায়া রাজারহাট) রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত অংশ দীর্ঘদিন ধরেই তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। সিআরএস অনুমোদনও হয়ে গিয়েছে। তার পরেও চালু হয়নি। এদিন সেই অংশও চালু হবে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত মোট মেট্রো স্টেশনের সংখ্যা পাঁচটি। ট্রেন রুবি ছাড়লেই প্রথম স্টেশন ভিআইপি বাজার, তারপর ঋত্বিক ঘটক, তারপর বরুণ সেনগুপ্ত (এটি সায়েন্স সিটি এলাকায়), এর পরেই সটান বেলেঘাটা স্টেশন (PM Modi)।

    নিউ গড়িয়া রুবি রুট

    এদিকে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি রুটের মধ্যেও রয়েছে পাঁচটি স্টেশন। এগুলি হল, কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া), সত্যজিৎ রায় (এসআরএফটিআই সংলগ্ন এলাকা), জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (অজয়নগর এলাকা), কবি সুভাষ (কালিকাপুর) এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি)। রেল সূত্রে খবর, নিউ গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত রুটটি চালু হয়ে গেলে এই লাইনেও যাত্রিসংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে যাবে অনেকখানিই। এদিনই সূচনা হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদা অংশের পরিষেবা (New Metro Routes)। এই অংশের পরিষেবা শুরু হলে মেট্রো পথে জুড়ে যাবে সল্টলেক-হাওড়া। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার খবরটি শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, কলকাতার মেট্রো পরিষেবায় এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। ২২ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন তিনটি নতুন মেট্রো রুটের। এর মধ্যে রয়েছে গ্রিন লাইন ১ ও ২ এর সংযোগ, যা বহুদিনের দাবি পূরণ করবে (PM Modi)।

    গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো করিডর

    গ্রিন লাইন ১ বর্তমানে শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ মেট্রো করিডর, যা বহু অফিসপাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়িক কেন্দ্রকে যুক্ত করে। গ্রিন লাইন ২ যুক্ত হলে যাত্রীদের সময় ও খরচ – দুই বাঁচবে। একসঙ্গে জুড়ে যাবে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন। হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ১৬.৬ কিমি পূর্ণ করিডরেই যাত্রী চলাচল সম্ভব হবে। সব চেয়ে বেশি উপকৃত হবেন কর্মজীবীরা। কারণ এখন থেকে তাঁরা মাত্র একটি ট্রেনে করেই হাওড়া থেকে শিয়ালদা পৌঁছে যেতে পারবেন (New Metro Routes)। হাওড়া–শিয়ালদার মধ্যে সময় লাগবে মাত্র ১২ মিনিট। ব্যস্ত সময়ে প্রতি ৮ মিনিট অন্তর এবং অন্য সময়ে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লোকসভায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালে চালু হওয়ার পর থেকে কলকাতা মেট্রোর যাত্রাপথ বাড়তে বাড়তে এখন দাঁড়িয়েছে ৬৯ কিলোমিটারে। ১৯৭২ থেকে ২০১৪ এই ৪২ বছরে কলকাতা মেট্রোর ২৮ কিলোমিটার ট্র্যাক তৈরিতে রেলের তরফে বরাদ্দ করা হয় ৫ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা। ২০১৪ থেকে ২০২৫ – এই ১১ বছরে কলকাতা মেট্রোর ৪১ কিলোমিটার ট্র্যাক তৈরিতে বরাদ্দ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা (PM Modi)।

  • India US Trade Deal: আমেরিকার চাপে নতিস্বীকার নয়! প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশেই দেশের কৃষকরা

    India US Trade Deal: আমেরিকার চাপে নতিস্বীকার নয়! প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশেই দেশের কৃষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তির (India US Trade Deal) আবহে কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না ভারত, জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর এই দৃঢ় অবস্থানের জন্য দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে কৃষক সংগঠনগুলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেছেন। আন্তর্জাতিক চাপের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আমেরিকা। ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যচুক্তির ক্ষেত্রে অন্তরায় মূলত কৃষি এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য নিয়ে দুই দেশের একমত হতে না-পারা।

    জিএম বীজ ব্যবহারের বিরোধিতা

    আমেরিকা সহ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে ভারতের বাজারে প্রবেশাধিকার দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। যারা প্রধানত জিএম (জেনেটিকালি মডিফায়েড) বীজ, যান্ত্রিক চাষ এবং বিশাল জমির উপর নির্ভর করে কৃষিকাজ করে সেই দেশগুলিই এই দাবি জানিয়েছে। এই দেশগুলির দাবি, ভারত যেন তাদের গম, ভুট্টা, চাল ও সয়াবিনের রফতানি সহজ করে। কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ওদের কাছে ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ হেক্টর জমি থাকে, ওরা জিএম বীজ ব্যবহার করে এবং উৎপাদন খরচ অনেক কম। আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক ১ থেকে ৩ একর জমির মালিক, অনেকের আবার আধা একরও নেই। এ প্রতিযোগিতা কি ন্যায়সঙ্গত?”

    কৃষকের স্বার্থে আপস নয়

    কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী চৌহান জানান, ভারতে হেক্টর প্রতি উৎপাদন খরচ বিদেশি রফতানিমুখী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। বিদেশি কৃষিপণ্য বাজারে ঢুকলে আমাদের কৃষিপণ্যের দাম ধসে পড়বে এবং কৃষকদের জীবিকা চরম সংকটে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সুরেই চৌহান বলেন, “কোনও পরিস্থিতিতেই কৃষকের স্বার্থে আপস করা হবে না।” আগেই কৃষকদের স্বার্থরক্ষার কথা বলে মোদি আমেরিকাকে বার্তা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কৃষকদের স্বার্থ আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে। ভারত কখনও কৃষক, গোপালক, মৎস্যজীবীদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। আমি জানি, ব্যক্তিগত ভাবে এর জন্য আমাকে চড়া মূল্য চোকাতে হবে। কিন্তু আমি তার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। কৃষক, পশুপালক, মৎস্যজীবীদের স্বার্থরক্ষায় ভারত প্রস্তুত।”

    প্রধানমন্ত্রীর পাশে কৃষকরা

    প্রধানমন্ত্রীর এই অবস্থান দেশের কৃষকদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। দেশজুড়ে কৃষক সংগঠনগুলি একে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে এবং “কৃষক-প্রথম নীতি”-র প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। পাঞ্জাবের এক কৃষক নেতা বলেন, “এটা শুধু অর্থনীতির বিষয় নয়, এটা জাতীয় স্বার্থের বিষয়। বহুজাতিক কর্পোরেট সংস্থাগুলো সস্তায় বিদেশি শস্য আমদানি করে আমাদের দেশীয় কৃষিকে ধ্বংস করতে চায়।” মহারাষ্ট্রের চাষিরা মোদির পদক্ষেপকে “কৃষিগত স্বাধিকার”-এর ঘোষণা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেন, পূর্ববর্তী সরকারগুলো আন্তর্জাতিক চাপে মাথা নত করেছিল, যার ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

    স্বদেশী হোক মন্ত্র

    এই পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে স্বাধীনতা দিবসের আগে কৃষিমন্ত্রী ‘স্বদেশী আন্দোলন’ পুনরায় জোরদার করার আহ্বান জানান। চৌহান বলেন, “এই মুহূর্তটা আমাদের জন্য পরীক্ষার। স্বদেশী হোক আমাদের মন্ত্র। যা ব্যবহার করব, তা হোক দেশে তৈরি। এতে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, যুবসমাজের চাকরি বাড়বে এবং আমাদের মায়েরা-বোনেরা স্বনির্ভর হবেন।” তিনি আরও বলেন, “ভারত এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি এবং শীঘ্রই তৃতীয় স্থানে পৌঁছবে — যদি আমরা সকলে মিলে স্বনির্ভরতা গড়ে তুলি।”

    কৃষককে সেবা করা ঈশ্বরকে সেবা করার সমান

    সরকারের এই কঠোর অবস্থান শুধু অর্থনৈতিক নয়, খাদ্য সুরক্ষার মান নিয়েও গভীর প্রতিশ্রুতি বহন করে। আগেও বিভিন্ন দেশ জিএম ফসল আমদানির নিয়ম শিথিল করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল। এবার ভারত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে — দেশের কৃষিনীতি দিল্লি থেকেই নির্ধারিত হবে, বিদেশি রাজধানী থেকে নয়। ঘরোয়া ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে চৌহান বলেন, “কৃষি মন্ত্রক ও সার মন্ত্রক একসঙ্গে কাজ করছে যাতে ইউরিয়া, ডিএপি ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের সরবরাহ সময়মতো নিশ্চিত করা যায়। তাঁর আশ্বাস, “চাষিদের প্রয়োজন মেটাতে আমরা কোনও কসুর রাখবো না। খাদ্যই জীবন, আর কৃষক হলেন জীবনের দাতা। কৃষককে সেবা করা ঈশ্বরকে সেবা করার সমান। আমার প্রতিটি শ্বাসে কৃষকের অস্তিত্ব আছে। কৃষকের কল্যাণেই দেশের ভবিষ্যৎ নিহিত।”

    একপাক্ষিক চুক্তিতে নারাজ ভারত

    সবুজ বিপ্লব দেশের কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনেছিল বলে মনে করেন অনেকেই। গম আমদানির ক্ষেত্রে মার্কিন নির্ভরতামুক্তও হয়েছিল ভারত। কেন্দ্রের একটি সূত্রের খবর, আমেরিকা চায় ভারত কৃষিপণ্য, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার তাদের জন্য পুরোপুরি খুলে দিক। কিন্তু তাতে নারাজ নয়াদিল্লি। তাড়াহুড়োয় কেবল আমেরিকার সুবিধা হয়, এমন একপাক্ষিক চুক্তি করতে নারাজ ভারত।

  • India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    India China Ties: গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, এবার চালু হচ্ছে সরাসরি বিমান চলাচলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বরাজনীতির অঙ্ক বড় জটিল! এক সময় যে দেশ শত্রু ছিল, সেই দেশই পরে কোনও একটি দেশের বন্ধু হতে পারে। আবার বন্ধুও নিজের স্বার্থে পরিণত হতে পারে শত্রুতে। এই যেমন চিন ও ভারতের সম্পর্ক (India China Ties)। গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনা সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছিল তলানিতে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই দেশের সম্পর্কের (Mansarovar Yatra) বরফ ক্রমশ গলতে শুরু করে। এর সর্বশেষ পদক্ষেপ হল, ভারত ও চিন সেপ্টেম্বর মাস থেকেই ফের শুরু করতে যাচ্ছে সরাসরি বিমান পরিষেবা। এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে অগাস্টের শেষে, যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যাবেন চিনে।

    ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান (India China Ties)

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা যায়, আগামী মাসের মধ্যেই যাতে ভারত ও চিন সরাসরি যাত্রীবাহি বিমান ফের চালু করা যায়, তার চেষ্টা চলছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভারত সরকার এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোর মতো বিমানসংস্থাগুলিকে অল্প সময়ের নোটিশে চিনে বিমান চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে। একই খবর জানিয়েছে ব্লুমবার্গও। তারা জানিয়েছে, এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে অগাস্টের শেষে এসসিও সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন সফরের সময়। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যাত্রীবাহি ফ্লাইটগুলি কোভিড-১৯ অতিমারির পর স্থগিত রাখা হয়েছিল। যার ফলে ভারত থেকে চিনগামী যাত্রীদের ভায়া হংকং বা সিঙ্গাপুর হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। এই বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার আগে ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো-সহ চিনের এয়ার চায়না, চায়না সাউদার্ন এবং চায়না ইস্টার্নের মতো বিমান সংস্থাগুলি উভয় দেশের প্রধান শহরগুলির মধ্যে পরিষেবা দিত (India China Ties)।

    এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল আগেও

    উল্লেখ্য যে, এটি ভারত ও চিনের সরাসরি ফের বিমান চালুর প্রথম প্রচেষ্টা নয়। এরকম উদ্যোগ জানুয়ারি এবং জুন মাসেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কূটনৈতিক উত্তেজনার কারণে তা থমকে গিয়েছিল। প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে ফের উড়ান চলাচল শুরু হওয়া এই ইঙ্গিতও দেয় যে, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফের ছন্দে ফিরছে ভারত ও চিনের সম্পর্ক। ২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো ভারতীয় ডিজেলের একটি চালানও চিনের পথে পাড়ি দিয়েছে (Mansarovar Yatra)। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নয়রার ভাদিনার টার্মিনাল থেকে প্রায় ৪,৯৬,০০০ ব্যারেল অতিনিম্ন সালফারযুক্ত ডিজেল বহনকারী একটি জাহাজ যাত্রা শুরু করেছে চিনের উদ্দেশে (India China Ties)।

    চিনে যাচ্ছেন মোদি

    চলতি মাসের শুরুর দিকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এই সফর হবে গত সাত বছরে মোদির প্রথম চিন সফর। এর মাধ্যমে ১০ মাস আগে রাশিয়ায় মুখোমুখি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তাঁর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি হতে চলেছে। কিন্তু শুধু এটুকুই সব নয়। যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন যে রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে, তখন চিন প্রকাশ্যে নয়াদিল্লির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছিল, “ভারতের সার্বভৌমত্ব কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয় এবং এর বিদেশনীতির সিদ্ধান্ত অন্য কোনও দেশের দ্বারা প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না, তা সে যতই সেই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন।”

    অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে

    ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র একটি ছবিও এই বার্তার সঙ্গে যুক্ত করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি হাতি, যা ভারতের প্রতীক এবং একটি বেসবল ব্যাট, যা মার্কিন শুল্কের প্রতীক (Mansarovar Yatra)। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গত পাঁচ বছরের বিরতির পর ভারত ২৪শে জুলাই থেকে চিনা নাগরিকদের জন্য ফের পর্যটন ভিসা ইস্যু করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ফের চালু হয়েছে ভারত ও চিন কৈলাশ মানসসরোবর যাত্রাও (India China Ties)। দুই দেশের এই কূটনৈতিক উষ্ণতা অর্থনৈতিক আশাও জাগাচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ভারত-চিনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তিনি বলেন, “এটি কতদূর যাবে, সেটি আমাদের অপেক্ষা করে দেখতে হবে।”

    তবে এই সব কিছুই ঘটেছে গত বছরের অক্টোবরে ভারত ও চিন টহল ব্যবস্থা ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে এক চুক্তিতে পৌঁছনোর পর। দুই দেশ একটি সীমান্ত (Mansarovar Yatra) পরিকল্পনায় একমত হয়েছিল যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে টহল দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে, এবং ভারতীয় রাখালরা আবারও পশুচারণ শুরু করতে পেরেছে (India China Ties)।

LinkedIn
Share