Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: ২০ ডিসেম্বর রানাঘাটে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, রাজ্যে ভোটের প্রচার শুরু

    PM Modi: ২০ ডিসেম্বর রানাঘাটে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, রাজ্যে ভোটের প্রচার শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চলছে এসআইআর। ভুয়ো ভোটার, মৃত ভোটার, ঠিকানা বদল হয়েছে বা একই নাম একাধিক জায়গায় রয়েছে, এমন সংখ্যাটা এই রাজ্যেও কম নয়। প্রায় ৫৮ লক্ষের বেশি নাম বাদ যেতে পারে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হলেই বঙ্গে ভোট প্রচারের জন্য আসবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২০ ডিসেম্বর নদিয়ার রানাঘাটে জনসভা করবেন মোদি। বিজেপিকে (Bengal BJP) একটা বড় অঙ্কের ভোট দেয় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। এবার মতুয়া অধ্যষুত ভোটকে টার্গেট করে ২০২৬ সালের ভোটের প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    তাহেরপুরের উদ্বাস্তু এলাকায় সভা (PM Modi)

    বিজেপির দলীয় (Bengal BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার ভোট পর্বে মোট ১০টি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তালিকার মধ্যে আলিপুরদুয়ার, দমদম, দুর্গাপুর ইতিমধ্যে সেরে ফেলেছেন এবার বাকি কয়েক মাসের মধ্যে আরও ৭টি সভা করবেন। তবে এবার প্রচারের সূচনা হবে রানাঘাট থেকেই। উল্লেখ্য রানাঘাট লোকসভা এবং বনগাঁ লোকসভা পরপর দুবার লোকসভায় বিজেপি জয়ী হয়েছে। ফলে পাখির চোখ করে মোদির জনসভা এবং প্রচার অভিযানকে কাজে লাগিয়ে মমতাকে সরিয়ে বিজেপি যাতে ক্ষমতা দখল করতে পারে, সেই রণনীতিই ঠিক করছে বঙ্গ বিজেপি। রানাঘাটে এইবারের মোদির সভা হবে নদিয়ার তাহেরপুরের উদ্বাস্তু এলাকায়।

    মমতা মতুয়া বিরোধী

    এদিন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “আগামী ২০ ডিসেম্বর রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এদিন সভা করবেন তাহেরপুর ময়দানে। বেশকিছু সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা করবেন। বিহারের পর বাংলা আর গঙ্গা এক হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেও ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিহারের মতো বাংলায়ও পরিবর্তন হবে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের মতো নদিয়ার রানাঘাটেও মতুয়াদের বিরাট বসতি রয়েছে। তাই মতুয়াদের কথা মনে করেই রানাঘাট থেকে প্রচার করবেন নরেন্দ্র মোদি।

    উল্লেখ্য, রাজ্যে মতুয়াদের ভুল বুঝিয়ে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চনা করছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া বিরোধী – এই অভিযোগে বিজেপি (Bengal BJP) বারবার সরব হয়েছে। অপর দিকে এসআইআর থেকে মতুয়াদের নাম বাদ দেওয়ার অপপ্রচার করছে তৃণমূল, এই অভিযোগেও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজপি। পূর্ববঙ্গ থেকে আগত কোনও শরণার্থীকেই কোনও রকম ভাবে অসুবিধায় পড়তে হবে না বলে বিজেপি আশ্বাস দিয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেক হিন্দুর জীবনকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব বিজেপির, এই অভয় বাণী দিতেও শোনা গিয়েছে।

  • PM Modi: পশ্চিম এশিয়ার তিন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সোমে রওনা দেবেন

    PM Modi: পশ্চিম এশিয়ার তিন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সোমে রওনা দেবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ায় তিন দেশ সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আগামী সপ্তাহে তিনি জর্ডন, ইথিওপিয়া এবং ওমান সফর করবেন। পশ্চিম এশিয়ার এই তিন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত (West Asia) করতেই এই সফর তাঁর। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজা আব্দুল্লাহ দ্বিতীয় বিন আল হুসেইনের আমন্ত্রণে ১৫ থেকে ১৬ ডিসেম্বর জর্ডন সফর করবেন মোদি। ১৬ থেকে ১৭ ডিসেম্বর তিনি সফর করবেন ইথিওপিয়া। ১৭ তারিখে ওমানে পৌঁছবেন। ১৮ তারিখে শেষ হবে তাঁর তিন দেশ সফর।

    জর্ডন সফর (PM Modi)

    জানা গিয়েছে, জর্ডন সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী সে দেশের রাজার সঙ্গে বৈঠক করবেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করতে এবং আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে মত বিনিময়ের জন্যই করবেন এই বৈঠক। এই সফর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকীকে চিহ্নিত করবে। সম্পর্ক আরও মজবুত করা, পারস্পরিক উন্নয়নের জন্য নয়া সহযোগিতার পথ খুঁজে বের করা এবং আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি অঙ্গীকার করার সুযোগ দেবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

    ইথিওপিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী

    ইথিওপিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী সে দেশের প্রধানমন্ত্রী আবিয় আহমেদ আলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সব দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করবেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গ্লোবাল সাউথের অংশীদার হিসেবে এই সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর করার যৌথ প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করবে।” এও বলা হয়েছে, মোদির ইথিওপিয়া সফর আফ্রিকার সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ইচ্ছেকে তুলে ধরে। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বিদেশ মন্ত্রকের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “গ্লোবাল সাউথের অংশীদার হিসেবে এই সফর দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা অগ্রসর করার যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবে (PM Modi)।”

    মোদির ওমান সফর

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওমান সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পূর্তি চিহ্নিত করবে। তাঁর এই সফর হচ্ছে ২০২৩ সালের (West Asia) ডিসেম্বর মাসে ভারতে ওমানের সুলতানের রাষ্ট্রীয় সফরের পর। ভারত ও ওমান সর্বব্যাপী কৌশলগত অংশীদারিত্ব, বাণিজ্যিক সংযোগ এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ শেয়ার করে। এই সফরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা-সহ দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের বিভিন্ন ক্ষেত্র পর্যালোচনা করার কথা রয়েছে। আলোচনার অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, কৃষি ও সংস্কৃতি। এর পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়েও মতামত বিনিময় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    ভারত ও ওমানের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (CEPA) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা ও স্বাক্ষরিত হওয়ার আশাও করা হচ্ছে। ওমানের শূরা কাউন্সিল এই সপ্তাহে চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। এর লক্ষ্য হল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করা (PM Modi)। এদিকে, তিন দিনের ভারত সফরে রয়েছেন ইতালির উপপ্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি। একাধিক খাতে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব জোরদার করার লক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে (West Asia)। তাঁর এই সফরে রয়েছে বড় ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদলও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে ইতালি যে যথেষ্ট মনোযোগী, তারই প্রতিফলন আন্তোনিওর এই সফর (PM Modi)।

  • Modi-Trump Talk: পুতিন-সফরের পরেই মোদির সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের! ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের উষ্ণতায় কি শঙ্কিত আমেরিকা?

    Modi-Trump Talk: পুতিন-সফরের পরেই মোদির সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের! ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের উষ্ণতায় কি শঙ্কিত আমেরিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত–মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Modi-Trump Talk) বৃহস্পতিবার ফোনে কথা বলেন। দুই নেতা বাণিজ্য, গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয় নিয়ে কথা বলেন। দুই নেতা ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন। পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ধারাবাহিকভাবে জোরদার করার বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মনে করা হচ্ছে ভারত-রাশিয়া সখ্য বৃদ্ধিতে চাপ বেড়েছে আমেরিকার। আলোচনার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই নেতাই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজেদের প্রচেষ্টা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

    কী কী নিয়ে আলোচনা দুই নেতার মধ্যে

    প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Modi-Trump Meeting) দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এই বিষয়গুলি ভারত-মার্কিন কমপ্যাক্ট-এর মূল উপাদান। এর লক্ষ্য একবিংশ শতাব্দীর জন্য সামরিক অংশীদারিত্ব, দ্রুত বাণিজ্য এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগগুলিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দুই নেতা বিশ্বব্যাপী ও আঞ্চলিক বিভিন্ন ঘটনা নিয়েও আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি, দুই দেশের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছেন তাঁরা। দুই পক্ষই যোগাযোগ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে অভিন্ন স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে জোর দিয়েছেন।

    উষ্ণ ও অর্থবহ আলোচনা

    মনে করা হচ্ছে, পুতিনের ভারতের সফরের পরেই নড়েচড়ে বসেছে ওয়াশিংটন। সফরের মাঝেই ঘোষণা করা হয়, বাণিজ্য চুক্তির আচলনার জন্য ভারতে আসবে মার্কিন দল। এবার দুই নেতার ফোনালাপ। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দু’দেশের অংশীদারিত্বে অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন মোদি ও ট্রাম্প এবং বিশেষভাবে বাণিজ্যের ওপর জোর দিয়ে বলেন যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টার গতি বজায় রাখা জরুরি। নেতারা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও যৌথ স্বার্থ অগ্রসর করতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘এক্স’-এ পোস্ট করে ফোনালাপকে “উষ্ণ ও আন্তরিক” বলে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অত্যন্ত উষ্ণ ও অর্থবহ আলোচনা হল। আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাবে।”

    ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক-চাপে ট্রাম্প

    রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত জরিমানা—আগেই থাকা ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে—গত ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার পর দিল্লি–ওয়াশিংটন সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েছে। ভারত বারবার বলছে, এই শুল্ক “অন্যায্য”, কারণ রাশিয়ান তেলের সর্বাধিক ক্রেতা চিন এবং এলএনজি কেনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ অবস্থায়, রাশিয়া সফরে ভ্লাদিমির পুতিন ও মোদির ঘনিষ্ঠতা এবং তাদের একসঙ্গে গাড়ি করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যাত্রা যুক্তরাষ্ট্রে বহু সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসেও এই ছবি দেখিয়ে ট্রাম্পের বিদেশনীতি নিয়ে সমালোচনা করেন ডেমোক্র্যাট সদস্য সিডনি কামলাগার-ডোভ। তিনি বলেন, “ট্রাম্পের ভারতনীতি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের ক্ষতি করছে এবং দুই দেশের বিশ্বাসের সম্পর্ক নষ্ট করছে।” এরপর মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপের সময়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লিতে রয়েছে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য।

    ডেডলাইন মেনে আলোচনা নয়

    অন্যদিকে, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি না হলে বেশি হারে শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Modi-Trump Meeting)। তাঁর সেই ‘ডেডলাইন’ নিয়ে এ বার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার সদস্য পীযূষ গোয়েল। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ বলেন, “ডেডলাইন মেনে আমরা আলোচনা চালাই না!” ঘটনাচক্রে, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য-বৈঠক করতে মঙ্গলবারই ভারতে এসেছে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি দল। প্রথম দফায় আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা সফল হয়নি।

    ভালো ও ফলপ্রসূ কথা-বার্তা

    চলতি বছরের শুরু থেকে দফায় দফায় বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে ভারত ও আমেরিকার। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রস্তাবিত এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য বর্তমানে ১৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়া। গত ২৩ অক্টোবর ভার্চুয়াল মাধ্যমেও আলোচনা হয়েছিল দুই দেশের। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল বৃহস্পতিবার বলেন, আলোচনা “খুব ভালো ও ফলপ্রসূ” হলেও কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি মন্তব্য করেন, “যখন দুই পক্ষই লাভবান হয়, তখনই একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়। সময়সীমার চাপে আলোচনা করা উচিত নয়, তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।” মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারের মন্তব্য—ভারত তাদের “এতদিনের সেরা” প্রস্তাব দিয়েছে—উল্লেখ করে গোয়াল বলেন, “যদি সত্যিই তাই হয়, তাহলে ট্রাম্প প্রশাসন এখনই সই করে দিতে পারে।”

  • PM Modi: মোদি-পুতিনের কারপুলিংয়ের ছবি নিয়ে জোর চর্চা মার্কিন কংগ্রেসে, ট্রাম্পের নীতিকে তুলোধনা

    PM Modi: মোদি-পুতিনের কারপুলিংয়ের ছবি নিয়ে জোর চর্চা মার্কিন কংগ্রেসে, ট্রাম্পের নীতিকে তুলোধনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন কংগ্রেসের আলোচনায় জায়গা পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাম্প্রতিক কারপুলিংয়ের ছবি। মার্কিন সংসদের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি সিডনি ক্যামলাগার-ডোভ (US Congress) বলেন, “এই পোস্টারটি হাজার শব্দের সমান।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশনীতির সমালোচনা (PM Modi)

    সিডনি ক্যামলাগার-ডোভ ভারতের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশনীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “ভারতের প্রতি ট্রাম্পের নীতিকে শুধু নিজের ক্ষতি করে অন্যকে শায়েস্তা করা বলেই বর্ণনা করা যায়। জবরদস্তিমূলক অংশীদার হওয়ার একটি মূল্য রয়েছে। আর এই পোস্টারটি হাজার শব্দের সমান মূল্য রাখে।” ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিকে কটাক্ষ করে ডাভ বলেন, “আপনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান বা না পান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারদের আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।” প্রসঙ্গত, ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন যে তিনি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছেন, যার মধ্যে ভারত-পাক যুদ্ধও রয়েছে। ডাভ বলেন, “আমাদের অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে অগ্রসর হতে হবে, যাতে এই প্রশাসন যে ক্ষতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত অংশীদারিত্বে করেছে, তা কমানো যায় এবং সেই সহযোগিতায় ফিরে আসা যায় যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য (PM Modi)।”

    রফতানির ওপর ৫০ শতাংশ

    প্রসঙ্গত, এই মন্তব্যগুলি করা হয়েছিল হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স সাবকমিটি অন সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ার একটি শুনানিতে, যার বিষয় ছিল ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্ব: একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিত করা।’ ২০২৫ সালের অগাস্টে ট্রাম্প ভারতের বেশিরভাগ রফতানির ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, বিস্তৃত বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানিকে ঘিরে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে (PM Modi)। ১০–১১ ডিসেম্বর একটি মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল আলোচনার জন্য ভারতে ছিল। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি। বাজারে প্রবেশাধিকার এবং শুল্ক নীতি নিয়ে মতবিরোধের (US Congress) কারণে আলোচনা স্থগিত হয়ে গিয়েছে। এটাই দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে।

  • PM Modi: মোদিকে ফোন নেতানিয়াহুর, দীর্ঘক্ষণ কথা দুই রাষ্ট্রনেতার, কী আলোচনা হল?

    PM Modi: মোদিকে ফোন নেতানিয়াহুর, দীর্ঘক্ষণ কথা দুই রাষ্ট্রনেতার, কী আলোচনা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ফোনালাপ হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর (Netanyahu)। অক্টোবর মাসের পর এই প্রথম দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হল। সেই সময় নেতানিয়াহু ব্যস্ত ছিলেন মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। ওই বৈঠক চলাকালীনই তিনি ফোনে কথা বলেছিলেন মোদির সঙ্গে। এবারের ফোনালাপ হল এমন একটা সময়ে, যখন ইজরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    মোদিকে ফোন (PM Modi)

    বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টাকে ফের একবার সমর্থন জানিয়েছেন, যার মধ্যে গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নও রয়েছে।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় রাষ্ট্রনেতাই ভারত-ইজরায়েল কৌশলগত অংশীদারত্বের ধারাবাহিক অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং পারস্পরিক স্বার্থে এই সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “দুই নেতা সন্ত্রাসবাদের কঠোর নিন্দা করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের সব ধরনের রূপ ও প্রকাশের বিরুদ্ধে তাঁদের জিরো টলারেন্স নীতির অবস্থান ফের নিশ্চিত করেছেন।” এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, দুই নেতা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজিও হয়েছেন।

    খুব শীঘ্রই সাক্ষাৎ!

    এদিকে, নেতানিয়াহুর দফতর ফের জানিয়েছে, দুই রাষ্ট্রপ্রধান খুব শীঘ্রই সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে টেলিফোনিক আলোচনার সময়টি কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ের আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে (PM Modi)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রসংঘের দূত মাইক ওয়াল্ট্জ আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি গাজায় শান্তি পরিকল্পনার অগ্রগতির বিষয়ে দ্রুত ঘোষণার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, এই কাঠামোর আওতায় ওয়াশিংটন হামাসকে পুনর্গঠিত হতে দেবে না।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রসংঘের দূতের বক্তব্য

    ওয়াল্টজ বলেন, “আমরা এখন সেই অনুমোদন পেয়েছি। আমার মনে হয় আমরা শীঘ্রই সেই ঘোষণার কথা শুনতে পাব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন পিস বোর্ডের মাধ্যমে। এর মূল উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে একটি প্রযুক্তিনির্ভর প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষ, যাঁরা গাজায় জল, গ্যাস, নিকাশি এবং অন্যান্য মৌলিক সেবাগুলি ফের চালু করবে। এর মধ্যে অবশ্যই রয়েছে মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি অর্থায়ন ব্যবস্থা এবং তার পরে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীও (Netanyahu)।” তিনি এও বলেন, “আমি যা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, হামাসকে সরতেই হবে (PM Modi)।”

    নেতানিয়াহুর বক্তব্য

    ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, তিনি চলতি মাসের শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং দাবি করেন যে গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায় ঘনিয়ে এসেছে। পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ নিয়েও আলোচনা চলছে।চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ইজরায়েল এবং হামাস গাজা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে রাজি হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি, ইজরায়েলি বন্দিদের মুক্তি এবং প্যালেস্তাইনি বন্দিদের মুক্তিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। সোমবার ইজরায়েলি পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে নেতানিয়াহু দেশের ব্যাপারে নিজের অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে বলেন, ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা ইহুদি-বিরোধী মনোভাব সত্ত্বেও বহু দেশ এবং নেতার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির, নজিরবিহীন সমর্থন ইজরায়েল পেয়ে  যাচ্ছে (PM Modi)।

    ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’

    ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’ নামে পরিচিত (Netanyahu) এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতানিয়াহু তাঁর সরকারের নীতির কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে ইজরায়েলের বৈদেশিক সম্পর্ক এবং বিভিন্ন দিক থেকে তাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করার কথা। উল্লেখ্য যে, ‘৪০-স্বাক্ষর বিতর্ক’ এমন একটি সংসদীয় প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে মাসে একবার কনেসেটের (ইজরায়েলের পার্লামেন্ট) সামনে হাজির হতে বাধ্য করতে পারে। তিনি বলেন, “আরও কিছু বিশ্বশক্তি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমি প্রায়ই আমার বহুদিনের বন্ধু, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলি। আমাদের শীঘ্রই সাক্ষাৎ করার কথা হয়েছে, এবং আমি আপনাদের বলতে চাই, ভারত, দেড়শো কোটি মানুষের বিশাল দেশ। তারাও আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আগ্রহী।”

    ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক বহু পুরানো। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও রয়েছে। বিদেশনীতি থেকে শুরু করে আঞ্চলিক শান্তির ক্ষেত্রেও দুই দেশ একে অন্যকে সমর্থন ও সাহায্য করেছে। ২০১৭ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন নেতানিয়াহু। সেই সময় (Netanyahu) দুই রাষ্ট্রনেতা দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ওপর বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদি-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ আরও একবার প্রমাণ করল যে ভারত ও ইজরায়েলের সম্পর্ক শুধুই আনুষ্ঠানিক নয়, কৌশলগতভাবেও গুরুত্বপূর্ণ (PM Modi)।

  • Microsoft: এশিয়ায় সব চেয়ে বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতকে দিল মাইক্রোসফট

    Microsoft: এশিয়ায় সব চেয়ে বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতকে দিল মাইক্রোসফট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ায় এ পর্যন্ত সব চেয়ে বড় বিনিয়োগ ভারতেই করার প্রতিশ্রুতি দিল মাইক্রোসফট (Microsoft)। লগ্নির পরিমাণ ১৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থার সিইও সত্য নাদেলা। তিনি বলেন, “ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি ,(PM Modi), ভারতের এআই সুযোগ নিয়ে মূলক আলোচনার জন্য। দেশের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করতে মাইক্রোসফট ১৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। এটি এশিয়ায় আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। এটি ভারতের এআই প্রথম ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, দক্ষতা এবং সার্বভৌম সক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।”

    প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য (Microsoft)

    নাদেলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর যারপরনাই খুশি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এআইয়ের ক্ষেত্রে বিশ্ব ভারতের প্রতি আশাবাদী! সত্য নাদেলার সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এশিয়ায় মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে ভারতকে দেখতে পেয়ে আমি আনন্দিত। ভারতের যুব সমাজ এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উদ্ভাবন করবে এবং একটি উন্নত বিশ্ব গড়তে এআইয়ের শক্তিকে ব্যবহার করবে (Microsoft)।”

    কী বলল মাইক্রোসফট

    বৈঠকের কিছুক্ষণ পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ভারতে সংস্থার ১৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আগের ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ধারাবাহিকতা—যা আগামী দু’বছরে বেঙ্গালুরুতে ক্লাউড এবং এআই পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষতা উন্নয়ন এবং নতুন ডেটা সেন্টার স্থাপন। এর ফলে কোম্পানির ভারতে সর্ববৃহৎ হাইপারস্কেল উপস্থিতি নিশ্চিত হবে। ওই বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “ভারত তার এআই যাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। এমন এক সময়, যা বৃহৎ মাত্রায় প্রভাব সৃষ্টির জন্য এবং নেতৃত্ব দেওয়ার দৃঢ় সংকল্পে পরিপূর্ণ। প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক রূপান্তরের অনুঘটক হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দেশটি এক অগ্রগামী এআই রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আজ আমরা এশিয়ায় আমাদের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ, চার বছরে ১৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লগ্নির কথা ঘোষণা করছি।”

    লগ্নির পরিমাণ

    উল্লেখ্য, চার বছরে প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে, ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরির প্রতিযোগিতায় বৈশ্বিক সফটওয়্যার জায়ান্টদের কাছে ভারত একটি অত্যন্ত মূল্যবান বাজার (Microsoft)। অক্টোবর মাসেই গুগলের প্রধান সুন্দর পিচাই জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে এআই কেন্দ্র স্থাপনের কথাও বলেছেন। এটি ভারতে সংস্থাটির এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। গুগল আদানি গ্রুপের সঙ্গে অংশীদারিত্বে বিশাখাপত্তনমে একটি ডেটা সেন্টার ও (PM Modi) এআই বেস নির্মাণ করছে, যা হবে আমেরিকার বাইরে তাদের সব চেয়ে বড় কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটি আগামী পাঁচ বছরে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেছে (Microsoft)।

  • PM Modi Advised NDA: দেশ এখন ‘রিফর্ম এক্সপ্রেস’ পর্যায়ে! জনসাধারণের জীবনকে সহজ করতে সাংসদদের বিশেষ নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi Advised NDA: দেশ এখন ‘রিফর্ম এক্সপ্রেস’ পর্যায়ে! জনসাধারণের জীবনকে সহজ করতে সাংসদদের বিশেষ নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ এখন পূর্ণমাত্রায় ‘রিফর্ম এক্সপ্রেস’ পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার এনডিএ সংসদীয় সদস্যদের (PM Modi Advised NDA) সঙ্গে বৈঠকে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্রুত, উদ্দেশ্যনিষ্ঠ এবং নাগরিককেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনই এই পর্যায়ের মূল বৈশিষ্ট্য বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, সরকারের সংস্কার উদ্যোগের লক্ষ্য শুধু অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি বা রাজস্ব বাড়ানো নয়; মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করা। ইন্ডিগো বিপর্যয়ের আবহে সংসদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘নিয়ম মানুষের ভালোর জন্য, হেনস্তার জন্য নয়।’

    জনসাধারণের জীবন সহজ করুন

    এনডিএ সংসদীয় দলের বৈঠক বসে মঙ্গলবার। এনডিএ সংসদীয় দলের (NDA Parliamentary Party Meet)  এই বৈঠকে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানান এনডিএ সাংসদরা। এই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র জয়ের জন্য সকল এনডিএ নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সমস্ত এনডিএ সাংসদকে তাঁদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার জন্য কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। জনসাধারণের জীবনযাপন সহজ করতে এবং তাঁদের যাতে কোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সকল ক্ষেত্রে সংস্কারের উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সাংসদদের যুব সমাজের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের আহ্বানও জানান। এই নির্দেশনার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এনডিএ সংসদীয় দলের এটি একটি খুব ভালো বৈঠক ছিল।”

    আইন মানুষের সুবিধার জন্য

    সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে (PM Modi Advised NDA) বার্তা দিয়েছেন মোদি। কিরেন বলেন, “মানুষের যাতে দুর্ভোগ না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। নিয়মবিধি যা রয়েছে, তা সবই ভালো। কিন্তু এই সব নিয়মবিধি বানানো হয় গোটা ব্যবস্থাকে আরও ভালো করার জন্য। মানুষকে হেনস্তা করতে নয়।” কিরেনের সংযোজন, “প্রধানমন্ত্রী খুব স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, এমন কোনও নিয়মকানুন থাকা উচিত নয়, যার কারণে মানুষের সমস্যা হতে পারে। আইন মানুষের সুবিধার জন্য, বোঝা হওয়ার জন্য নয়।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্ডিগো বিপর্যয়ের আবহে এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে এই বার্তার মধ্য দিয়ে আদতে মোদি প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিলেন, আইনকানুনে কোনও ভুল নেই। ভুল সেই সব আইনকানুনের প্রয়োগে হয়েছে।

    আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করুন

    সংসদীয় সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী এনডিএ সাংসদদের (NDA Parliamentary Party Meet) বলেন, “নাগরিকদের প্রতিদিনের সমস্যাগুলো দূর করাই আমাদের লক্ষ্য, যাতে তারা নিজেদের পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে পারেন।” মোদি অনুরোধ করেন, বাস্তবিক পর্যায়ে মানুষ যে সমস্যাগুলো সাংসদদের কাছে তুলে ধরছেন, সেগুলো যেন দ্রুত সরকারের নজরে আনা হয়। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ ফরম পূরণ, বারবার একই নথি জমা দেওয়ার মতো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতেই সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মানুষের দরজায় সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং বিভিন্ন দফতরে একই তথ্য বারবার জমা দেওয়ার প্রয়োজন দূর করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।

    যুব সমাজের সঙ্গে সংযোগ তৈরিতে জোর

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সেবা ও প্রকল্পে স্ব-প্রত্যয়ন (self-certification) চালুর সিদ্ধান্ত ছিল নাগরিকদের ওপর সরকারের আস্থার বহিঃপ্রকাশ—এবং গত দশ বছরে এর অপব্যবহার নগণ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইজ অব লিভিং এবং ইজ অব ডুয়িং বিজনেস—উভয়ই সরকারের নীতির কেন্দ্রবিন্দু। চলমান সংস্কারগুলো শাসনব্যবস্থাকে আরও দ্রুত, সহজ ও স্বচ্ছ করে তোলার পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারে সুবিধা পৌঁছে দিতে সহায়ক হবে। রিজিজুর বক্তব্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বিহারসহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর উন্নয়নমূলক কাজে কীভাবে এগোতে হবে, সে বিষয়ে দিকনির্দেশও প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের আইন যাতে মানুষের কাজে লাগে, সে ভাবে সকলকে কাজ করতে হবে। দেশের নাগরিকেরা যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, সে দিকে সাংসদদের নজর দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন মোদি। দেশের যুব সমাজের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ তৈরির কথাও শোনা গিয়েছে মোদির মুখে।

    এবার লক্ষ্য বাংলা জয়

    সামনেই ২০২৬ এর নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal Assembly Election) বিজেপি এবার ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। সূত্রের খবর, এদিন এনডিএর সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন বিহার জয়ের পরবর্তীতে এবার তাদের একমাত্র লক্ষ্য বাংলা জয়। শুধু তাই নয়, তিনগুণ বেশি করে কাজ করার জন্য সাংসদদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। আর সেখানেই এনডিএর সমস্ত সাংসদদের নিয়ে আগামী দিনের রূপরেখা সংক্রান্ত বার্তা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

  • PM Modi on Vande Mataram: “মমতা কিছুই করেননি, মোদিজির কাছে কৃতজ্ঞ”, বন্দে মাতরম নিয়ে অকপট বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপৌত্র

    PM Modi on Vande Mataram: “মমতা কিছুই করেননি, মোদিজির কাছে কৃতজ্ঞ”, বন্দে মাতরম নিয়ে অকপট বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপৌত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘অবহেলা করার’ অভিযোগ তুললেন তাঁরই প্রপৌত্র সজল চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০তম বার্ষিকী উদযাপন -এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi on Vande Mataram) তাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সজল। তাঁর কথায়, এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। তিনি আরও বলেন যে দিল্লি থেকে যদি কেউ আসেন, যেমন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি আধিকারিক, তাঁরা সবসময় পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন, তাঁদের খোঁজখবর নেন এবং ‘বন্দে মাতরম’ গানটিকে প্রচার করার জন্য বিভিন্ন ভাবনাচিন্তা আলোচনা করেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের একবারও আমন্ত্রণ জানাননি।

    বাংলায় অবহেলিত বঙ্কিমচন্দ্র

    সোমবার এক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে সজল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একজন প্রতীকী নাম। তিনি ব্রিটিশদের উপর চাপ তৈরি করে রেখেছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী সরকার (কংগ্রেস) না বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দিয়েছে, না তাঁর কাজকে। এমনকী, ওরা এখনও একই রকম অবহেলা করে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই ওরা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম ব্যবহার করেছে। অবশ্য বলে রাখা প্রয়োজন, এখনকার কেন্দ্রীয় সরকার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দেয়। তবে বাংলার সরকার সেই একই রকম রয়েছে।” এ বছরে ‘বন্দে মাতরম’ স্তোত্রর ১৫০ বছর পূর্তি উদযাপন হচ্ছে। বছরভর জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা নিয়ে যদুনাথ ভট্টাচার্যের সুরারোপিত এই গানের ১৫০ বছর পূর্তি পালন করা হবে। সোমবারই সংসদে ‘বন্দে মাতরম’ রচনার ১৫০ বছর উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই আবহে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে বিঁধলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রপৌত্র সজল চট্টোপাধ্যায়।

    মুখ্যমন্ত্রীর এটা আগে করা উচিত ছিল

    রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের তৈরি হওয়া তাঁর ভাল সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন সজল। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা যে তাঁর মাঝে মধ্যেই খোঁজ নেন সেটাও জানিয়েছেন তিনি। সজল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০১৮ সালে অমিত শাহ আমাদের কলকাতার বাড়িতে এসেছিলেন। তখন তো এখানে কোনও নির্বাচন ছিল না। তিনি তাও এসেছিলেন। রাজ্য সরকারের মানসিকতা আমি বুঝতে পারি না।” রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে সজল বলেন, “এটা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। আমি এর জন্য নরেন্দ্র মোদিকে স্যালুট জানাই। বন্দে মাতরমকে জাতীয় মন্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই মন্ত্রটি জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িয়ে ছিল। আমার প্রপিতামহের জন্য এখন পর্যন্ত কেউ কিছু করেনি। এমন একটা সময়ে যখন পরবর্তী প্রজন্ম এই (বন্দে মাতরম) গানটি ভুলে যাচ্ছে, তখন মোদিজি যা করেছেন তা খুবই ভালো। আমি গর্বিত বোধ করছি। উনি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এখনও পর্যন্ত কিছুই করেননি; ওনার এটা আরও আগে করা উচিত ছিল। উনি মুখ্যমন্ত্রী; এত ক্ষমতা দিয়ে উনি এটা করতেই পারতেন। এই সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চেষ্টাই করা হয়নি।”

    কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই

    তিনি জানান যে, তিনি কোনও রাজনৈতিক কারণ দেখাচ্ছেন না, শুধু নিজের সত্যিটা তুলে ধরছেন। তাঁর কথায়, “আমরা রাজনৈতিক মানুষ নই। আমরা রাজনীতি করি না। আমরা শুধু সত্যি কথা বলি।” তিনি বলেন যে তিনি শুধু চান ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে জানুক এবং তাঁর অবদানের মূল্য দিক। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভারতের প্রথম স্নাতক ছিলেন, কিন্তু দেশে এখনও তাঁর নামে কিছুই নেই। সোমবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রপৌত্র বলেন, “আমাদের বঙ্কিম ভবন এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় চাই। সংসদে প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত বাজে, এটা মৌখিক ভাবে হয়। তারপর ‘বন্দে মাতরম’ বাজে, কিন্তু সেটা হয় শুধু সুরের মাধ্যমে অর্থাৎ ইনস্ট্রুমেন্টাল। আমাদের দাবি, এটাও গাইতে হবে।”

    ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভুলে যাচ্ছে বঙ্কিমচন্দ্রকে 

    দিল্লিতে দেশের আইনসভায় বঙ্কিমচন্দ্রকে নিয়ে এত আলোচনা হলেও লেখকের প্রপৌত্রের অভিযোগ, নিজের রাজ্য অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গেই বঞ্চিত ‘আনন্দমঠের’ লেখক। তাঁর দাবি, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বা ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন সেজন্য তিনি কৃতজ্ঞ। কিন্তু রাজ্য সরকার বঙ্কিমচন্দ্র বা তাঁর পরিবারকে কোনওদিন উপযুক্ত সম্মান দেয়নি। তা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে লেখকের প্রপৌত্রের আরও দাবি, অনেক লেখক, সাহিত্যিকের নামে রাজ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্য়ালয় রয়েছে। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্রের নামে কোনও প্রতিষ্ঠান নেই। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অবদান দেশের এবং রাজ্যের মানুষ ভুলে যাচ্ছে। সাহিত্য সম্রাটের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করা যায় না?  বঙ্কিম ভবন কোথায়? নেই। অথচ থাকা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার যদি তা করতে উদ্যোগী হয় তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে বন্দেমাতরম কী, কেন লেখা হয়েছিল ইত্যাদি। যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থাকে, তাহলে সেখানকার পড়ুয়ারাও বঙ্কিম চর্চা করতে পারবেন।

  • PM Modi On Vande Mataram: ‘বন্দে মাতরম বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে, ঐক্যের মন্ত্র এই স্লোগান’, সংসদে বললেন মোদি

    PM Modi On Vande Mataram: ‘বন্দে মাতরম বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে, ঐক্যের মন্ত্র এই স্লোগান’, সংসদে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে সংসদে শুরু হয়েছে বিশেষ আলোচনা। আর সেখানে বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi On Vande Mataram) বক্তব্যে উঠে এল বাংলা এবং বাঙালির কথা। তাঁর বক্তব্যে একদিকে যেমন বঙ্গভঙ্গের সময় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদানের কথা উঠে এল, একইসঙ্গে জায়গা পেল মাস্টারদা সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম বোস-সহ একাধিক বিপ্লবীর কথাও। তিনি বলেন, “ইংরেজদের হাতিয়ার ছিল বাংলা। আর এই বাংলা থেকেই প্রথম বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছিল ওরা। কিন্তু ইংরেজদের ইটের জবাব বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পাথরে দিয়েছিলেন।” সোমবার সংসদ অধিবেশনের শুরুতে ‘বন্দে মাতরম’-এর উপর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই গানের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি স্বাধীনতা আন্দোলনে এই গীতের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

    ‘বন্দে মাতরম’ ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণ

    লোকসভার অধিবেশনে এদিন জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ রচনার ১৫০ বছর পূর্তি সংক্রান্ত বিতর্কের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ, ১৮৭৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘বন্দে মাতরম’-এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ বাদ দিয়ে দেয় তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। সেই নিয়েই আজ, সোমবার লোকসভায় আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আলোচনার জন্য ১০ ঘণ্টা সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণ, মূল মন্ত্র। আমাদের স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল, বলিদানের মন্ত্র ছিল বন্দে মাতরম। এটা ত্যাগের মন্ত্র, সঙ্কট মোকাবিলার মন্ত্র।” বন্দেমাতরমের আবেগ ও বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবময় অধ্যায়কে স্মরণ করিয়ে মোদি বলেন, “১৯০৫ সালে হরিপুরের গ্রামে শিশুরা বন্দে মাতরম স্লোগান দিচ্ছিল। ইংরেজরা তাদের বেধড়ক মারধর করেছিল। কি অসংখ্য মানুষ বন্দে মাতরম স্লোগান দিয়ে ফাঁসিকে বরণ করেছিলেন। মাস্টারদা সূর্যসেনকে ১৯৩৪-এ ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় সূর্যসেন চিঠি লিখেছিলেন, তাতে একটাই শব্দ ছিল বন্দে মাতরম।”

    বাংলার বৌদ্ধিক শক্তি দেশকে পরিচালনা করেছিল

    মোদি বলেন, “ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিল যে ১৮৫৭ সালের পর ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের পক্ষে কঠিন। তারা জানত, ভারত ভাগ করে জনগণকে একে অপরের সঙ্গে লড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা কঠিন। তাই তারা দেশ ভাগ করে শাসন করার সিদ্ধান্ত নেয়, বাংলাকে তাদের পরীক্ষামূলক কেন্দ্র করে তোলে। সেই দিনগুলিতে বাংলার বৌদ্ধিক শক্তি দেশকে পরিচালনা করেছিল। তারা জানত যদি তারা বাংলাকে ভেঙে দিতে পারে, তাহলে তারা দেশ ভেঙে যাবে। কিন্তু সেই সময়ে, এই রাজ্য থেকে উদ্ভূত বন্দে মাতরম ধ্বনি তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। বঙ্গভঙ্গের সময়ে প্রতিদিন বন্দে মাতরম স্লোগান দিয়ে প্রভাত ফেরি বের হতো। বাংলার অলিতে গলিতে এই গান গাওয়া হতো। ঐক্যের শক্তি জুগিয়েছিল এই গান।”

    ‘বন্দে মাতরম’ কে টুকরো করেছিল কংগ্রেস

    মোদি কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “বঙ্কিমচন্দ্র যে বন্দে মাতরম লিখেছেন, সেটা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। ১৯০৫ সালে মহাত্মা গান্ধী বন্দে মাতরমকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে দেখেছিলেন। ইতিহাস সাক্ষী, মুসলিম লিগের সামনে আত্মসমর্পণ করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তুষ্টিকরণের রাজনীতির এটা একটা কৌশল ছিল।” বন্দে মাতরম প্রসঙ্গে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেও আক্রমণ করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জিন্নাহর বন্দে মাতরমের বিরোধিতার পর সুভাষ চন্দ্র বসুকে একটি চিঠি লিখেছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি বন্দে মাতরমের পটভূমি পড়েছেন এবং ভেবেছিলেন এটি মুসলমানদের উত্তেজিত এবং বিরক্ত করতে পারে। বাংলায় প্রথম বঙ্কিমচন্দ্রের বন্দে মাতরম স্লোগান ব্যবহার করে তার প্রতিক্রিয়া দেখতে চেয়েছিলেন।’ নেহরুর এই বয়ান আদতে বন্দে মাতরমের আত্মার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির বক্তব্য, নেহরুর এমন বয়ান বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”

    ‘বন্দে মাতরম’ এর গৌরব পুনরায় স্থাপন করতে হবে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ বন্দে মাতরম-এর গৌরব পুনরায় স্থাপন করার সময় এসেছে। কংগ্রেস এখনও বন্দে মাতরমকে অপমান করছে।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, প্রথমে বন্দে মাতরমকে ভাঙা হয়েছে। আর তার পরেই ভারত ভেঙেছে। নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেও আক্রমণ করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৫ সালে বন্দে মাতরমের ১oo বছর পূর্তিতে সংবিধানকে রুদ্ধ করা হয়েছিল।” মোদি জানান, তাঁদের সরকার বন্দে মাতরমের মাহাত্ম্যকে পুনরুদ্ধার করতে চায়। তাঁর কথায়, “ ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর দেশের সামনে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পরও বন্দে মাতরম সঙ্কটের সময় প্রেরণা যুগিয়েছে। বন্দে মাতরম বহু প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে।”

  • Zelenskyy’s India Visit: পুতিনের পর ভারতে আসছেন জেলেনস্কি! কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সক্রিয় দিল্লি

    Zelenskyy’s India Visit: পুতিনের পর ভারতে আসছেন জেলেনস্কি! কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সক্রিয় দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পর এবার ভারত সফরে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি (Zelenskyy’s India Visit)। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার বার্তা দিতেই এই মাষ্টারস্ট্রোক নয়াদিল্লির। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতেই দিল্লি সফরে আসতে পারেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যদিও দিল্লির তরফে দিন তারিখ এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভারত দুই দেশের মধ্যেই ভারসাম্য বজায় রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি যুদ্ধের মাঝখানেই ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয় দেশ সফর করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট উভয়ই বলেছেন, এই যুদ্ধ বন্ধে ভারত ভূমিকা রাখতে পারে।

    দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে

    এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নয়াদিল্লির তরফে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নয়াদিল্লি সফরের আগে থেকেই এই চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের দাবি। ভারতীয় ও ইউক্রেনীয় আধিকারিকদের মধ্যে সফরের বিষয় নিয়ে বেশ কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পরে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখন পর্যন্ত মাত্র তিনবার ভারত সফর করেছেন। তাও কমপক্ষে ১৩ বছর আগে। ১৯৯২, ২০০২ এবং সবশেষে ২০১২ সালে কোনও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভারত সফর করেছিলেন। সেই দিক থেকে এই সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

    ভারসাম্যবজায় রাখছে ভারত

    জেলেনস্কির এই সফর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের আবহে উভয় পক্ষের সঙ্গেই ভারতের ভারসাম্যকে আরও জোরদার করবে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কূটনৈতিক রাস্তায় বেশ কয়েক মাস ধরে এই নীতি অনুসরণ করছে নয়াদিল্লি। যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৪-এর জুলাই মাসে মস্কো সফর করে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু এরপরেই মাত্র এক মাস পরে আগস্টে ইউক্রেন সফর করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রস্তাবিত সফরের সময় নির্ভর করবে বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা কীভাবে এগিয়ে যায় এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে কী ঘটে তার উপর। এছাড়াও, ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বিশেষ করে জেলেনস্কির সরকার বর্তমানে একটি বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে। এগুলিও প্রস্তাবিত সফরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

    জেলেনস্কির ভারত সফর তাৎপর্যপূর্ণ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে প্রায় ৪ বছর ধরে। এই আবহে ভারত ধারাবাহিকভাবে শান্তির বার্তা দিয়ে গিয়েছে। সংলাপ ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানোর অঙ্গীকার করেছে ভারত। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামনে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন যে ভারত এই যুদ্ধে নিরপেক্ষ নয়, বরং শান্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছে। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর মোদি বলেন, ‘মস্কো আমাদের সবকিছু সম্পর্কে অবহিত করেছে এবং আমাদের উপর আস্থা দেখিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সাম্প্রতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বিশ্বকে ফের শান্তির পথে ফিরিয়ে আনবে।’ পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বহু দেশের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। শান্তি প্রস্তাব তৈরির প্রচেষ্টাও অব্যাহত। প্রধানমন্ত্রী মোদি যেভাবে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন, সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়।’ এই আবহে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলনস্কির ভারত সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত পুতিন এবং জেলেনস্কি উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখেছে। মোদি কমপক্ষে ৮ বার জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দুই রাষ্ট্রনেতা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কমপক্ষে চারবার দেখাও করেছেন। ফলে জেলেনস্কির ভারত সফর মোটেই অসম্ভবও নয়।

LinkedIn
Share