Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: “ন্যায় মিলকে রহেগা,” ‘মন কি বাতে’ পহেলগাঁওকাণ্ডে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “ন্যায় মিলকে রহেগা,” ‘মন কি বাতে’ পহেলগাঁওকাণ্ডে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ন্যায় মিলকে রহেগা (ন্যায় অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে)।” রবিবার ‘মন কি বাতে’র (Mann Ki Baat) ১২১তম পর্বে পহেলগাঁওকাণ্ডে এই আশ্বাসই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা করে তিনি বলেন, “আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভারী। তবে এটা জেনে রাখুন, এই হামলার ষড়যন্ত্রকারী ও অপরাধীরা কঠোরতম প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।” এর পরেই তিনি আশ্বাস দেন, ন্যায় অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে।

    আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভরা (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি যখন আপনাদের সঙ্গে হৃদয়ের কথা বলছি, আমার হৃদয় গভীর বেদনায় ভরা। ২২ এপ্রিলের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলা দেশের প্রতিটি নাগরিককে মর্মাহত করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের প্রতি প্রতিটি ভারতীয় গভীর সমবেদনা অনুভব করছে। তাঁরা যে কোনও রাজ্যের বা কোনও ভাষার মানুষই হোন না কেন, এই হামলার ছবি দেখে প্রতিটি নাগরিক রাগে জ্বলছে বলে আমি বুঝতে পারছি।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের এই কাজ তাদের দুর্বলতা ও ভীতিরই প্রতিফলন। ভারতীয়রা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করবে (PM Modi)।”

    কাশ্মীরের উন্নয়ন শত্রুরা মেনে নিতে পারেনি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরে যখন শান্তি ফিরে এল, দেশের শত্রু ও জম্মু-কাশ্মীরের শত্রুরা তা মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গি ও তাদের প্রভুরা কাশ্মীরকে আবার ধ্বংসস্তূপে দেখতে চায়। তাই এমন ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে, তাতে দেশের ঐক্যই হল এর সবচেয়ে বড় শক্তি।” এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশবাসীকে তাদের সংকল্প দৃঢ় করার আহ্বানও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অঞ্চলটিতে (পহেলগাঁওয়ে) পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি, মানুষের রোজগার বাড়ানো এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার বিষয়গুলো হামলার পিছনে থাকা শক্তিগুলো মেনে নিতে পারছিল না।”

    তিনি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে এই হামলা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকদের মরিয়া হয়ে ওঠার লক্ষণ। এটি তাদের কাপুরুষতা প্রকাশ করে। যে সময়ে কাশ্মীরে শান্তি ফিরে আসছিল, স্কুল-কলেজে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল, নির্মাণকাজ অভূতপূর্ব গতি পেয়েছিল, গণতন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছিল, পর্যটকের সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ছিল, মানুষের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছিল, যুবসমাজের জন্য (Mann Ki Baat) নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছিল – দেশের শত্রুরা, জম্মু ও কাশ্মীরের শত্রুরা এসব সহ্য করতে পারেনি। তাই এই হামলা (PM Modi)।”

  • Pahalgam Attack: মোদিকে সমবেদনা বিশ্বনেতাদের, দিলেন সন্ত্রাসবাদ দমনে পাশে থাকার বার্তাও

    Pahalgam Attack: মোদিকে সমবেদনা বিশ্বনেতাদের, দিলেন সন্ত্রাসবাদ দমনে পাশে থাকার বার্তাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় (Pahalgam Attack) পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ফোন করেছেন একের পর এক বিশ্ব নেতারা। জঙ্গি হামলার নিন্দা করার পাশাপাশি তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে সমবেদনাও জানিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের প্রচেষ্টায় সমর্থনও জানিয়েছেন তাঁরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির জন্য সমবেদনা জানান। তিনি হামলার নিন্দাও করেন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা জানান।

    কী বললেন ট্রাম্প(Pahalgam Attack)

    এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশমন্ত্রক জানিযেছে, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানির জন্য গভীর সমবেদনা জানান। তিনি এই নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা করেন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একত্রে দাঁড়িয়েছে।”

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রপতির বক্তব্য

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহির (ইউএই) রাষ্ট্রপতি মোহামেদ বিন জায়েদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে জম্মু ও কাশ্মীরে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং ভারতের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে লেখা হয়েছে, “উভয় নেতাই একমত হন যে সন্ত্রাসবাদের সব রূপ ও প্রকাশকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই জঘন্য অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ও তাদের সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনার ভারতের দৃঢ় সংকল্পের কথা (Pahalgam Attack) জানান।”

    অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজি এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু-ও জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন, শোক প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় ভারতকে সমর্থন করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বিদেশমন্ত্রক লিখেছে, “অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে জম্মু-কাশ্মীরের নৃশংস জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে তিনি শোক প্রকাশ করেছেন এবং (PM Modi) এই দুঃসময়ে ভারতের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি ভারতকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন।” ভারতের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও। তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদকে কোনওভাবেই বৈধতা দেওয়া যায় না (Pahalgam Attack)।

  • Pahalgam Attack: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তানকে মাত দিলেন মোদি!

    Pahalgam Attack: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে পাকিস্তানকে মাত দিলেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) প্রতিবাদে গত ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে দেয়। পহেলগাঁওয়ের ওই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এক নেপালি সহ মোট ২৮ জন। হামলার পরিকল্পনা করেছিল ‘দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি হাফিজ সৈয়দের নেতৃত্বাধীন ‘লস্কর-ই-তৈবা’র একটি ছায়া সংগঠন। হাতে নয়, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর ভারত যে তাদের ‘জলে’ মারবে, তা বোধহয় কল্পনাও করেননি পাকিস্তানের কর্তাব্যক্তিরা। মোদি সরকারের সিদ্ধান্তে তাঁরা যারপরনাই অবাক। প্রশ্ন হল, কেন?

    মুম্বই হামলা (Pahalgam Attack)

    এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে ফিরে যেতে হবে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর। ওই দিন শুরু হয় মুম্বই হামলা, চলে টানা তিন দিন। লস্কর-ই-তৈবার ১০ জন সদস্যের তাণ্ডবে নিহত হন ১৬৬ জন। তখন কেন্দ্রের ক্ষমতায় মনমোহন সিংয়ের সরকার। সেই ঘটনার পরেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হয়নি। সিন্ধু জল চুক্তি যে স্থগিত করা যায়, এবং এভাবেও যে পাকিস্তানকে ‘শিক্ষা’ দেওয়া যায়, তা স্বপ্নেও ভাবেননি কংগ্রেসের মাতব্বররা। যার কারণে আক্ষরিক অর্থেই পেয়ে বসেছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদের ধারণা হয়েছিল, এবারও ভারত কঠোর কোনও পদক্ষেপ করবে না, কেবল প্রতিবাদ এবং দোষারোপ করেই রণে ভঙ্গ দেবে। পাকিস্তানের অনেকেই ভাবছিল, ১৬৬ জনকে গুলি করে খুন করার পরেও যখন ভারত জোরালো কোনও পদক্ষেপ করেনি, তখন মাত্র ২৭ জন হিন্দু হত্যায় কী আর করতে পারে! তারা বুঝতেই পারেনি, মোদির নীতি আর মনমোহনের নীতিতে আকাশ-পাতাল ফারাক।

    সংসদে হামলা

    মুম্বই হামলার সাত বছর আগে ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হামলার পর সিন্ধু জল চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছিল বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ীর সরকার। সেই হামলার নেপথ্যেও ছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া (Pahalgam Attack) হয়েছিল। সিন্ধু জল চুক্তি (IWT) স্বাক্ষরিত হয় ১৯৬০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তানের করাচিতে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং পাকিস্তানের তরফে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আয়ুব খান। চুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাঙ্কের কর্তারা।

    নেহরুকে সতর্ক করেছিলেন বাজপেয়ী

    ১৯৬০ সালের ৩০ নভেম্বর সংসদে নেহরুর পাকিস্তানকে দেওয়া এই নয়া ‘উপহার’ নিয়ে বিতর্ক হয়। সেই সময় ছত্রিশ বছর বয়সি বলরামপুরের সাংসদ অটল বিহারী বাজপেয়ী তাঁর ভাষণে তথ্য, পরিসংখ্যান এবং যুক্তিজাল বিস্তার করে নেহরু সরকারকে কার্যত তুলোধনা করেন। সেই সময়ই বাজপেয়ী নেহরুকে এই বলে সতর্ক করেছিলেন যে, পাকিস্তানের প্রতি এই উদারতার খেসারত দিতে হবে ভারতের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। মোদি সরকার চুক্তিটি স্থগিত করায়, নেহরু জমানায় নেওয়া কিছু আত্মঘাতী পদক্ষেপ এখন হয়তো উল্টে যাবে, অন্তত আংশিকভাবে হলেও।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ পদক্ষেপ

    পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর প্রথম সিদ্ধান্তটি হল সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখা। এটি মোদির তরফে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী কৌশলগত পদক্ষেপ (Pahalgam Attack)। পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য মোদি সরকারের কূটনৈতিক নীতির একটি মূল স্তম্ভ হিসাবে আইডব্লিউটিকে ব্যবহার করা তাঁর ধারাবাহিক কৌশল। এই প্রথম নয়, বরং এটি মোদির পঞ্চমবারের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত সময়ে আইডব্লিউটি ‘হাতিয়ার’ ব্যবহার (PM Modi)।

    আইডব্লিউটি অস্ত্র প্রয়োগ

    প্রশ্ন হল, আগের চারটি তাহলে কখন ছিল? এটা বোঝার জন্য মোদির তিনটি মেয়াদজুড়ে কাজকর্ম পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। তাঁর প্রথম মেয়াদে মোদি পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে দুবার এই চুক্তির উল্লেখ করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি সরাসরি আর একবার এটি ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে তৃতীয় মেয়াদে ২০২৪ সালের অগাস্ট ও এবার ২০২৫ সালের এপ্রিলে এটি ব্যবহার করা হল (Pahalgam Attack)। বুধবার পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী তাঁর তিনটি মেয়াদে পঞ্চমবারের মতো আইডব্লিউটি অস্ত্র প্রয়োগ করলেন। এই পাঁচটির মধ্যে কমপক্ষে তিনবারই বড় ধরনের জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির প্রসঙ্গ উঠেছে। বুধবারের পদক্ষেপটি আইডব্লিউটির ক্ষেত্রে মোদি সরকারের পঞ্চম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আগের ঘটনাগুলিতেও প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে এই চুক্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন। এটি একটি ক্রমবর্ধমান কৌশল, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ আগেরটির চেয়ে এক ধাপ উচ্চতর (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে উরি সেক্টরে পাকিস্তানি হামলার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “রক্ত এবং জল একই সঙ্গে বইতে পারে না” (Pahalgam Attack)।

  • Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    Amit Shah: পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠান, সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি রাজ্যে থাকা পাকিস্তানিদের শনাক্ত করে দ্রুত তাঁদের দেশে ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানেই তিনি জানান, রাজ্যগুলিতে কোনও পাকিস্তানের নাগরিক আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি কেউ থেকে থাকেন, তবে তাঁকে শনাক্ত করে পাকিস্তানে ফেরত পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অমিত শাহের এই কথোপকথনের বিষয়ে কেন্দ্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

    বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে

    সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে বিশেষ অনুরোধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব ও রাজস্থানকে। তাদের রাজ্যে কত পাকিস্তানি রয়েছে, তা চিহ্নিত করে, সকল পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠাতে বলেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। পহেলগাঁওয়ে হামলার পরেই দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “প্রত্যেকটা জঙ্গিকে শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া হবে। যারা এর নেপথ্যে রয়েছে, তাদেরও ছাড়া হবে না।”

    রণংদেহী মোদি সরকার

    পাকিস্তানকে যে ছেড়ে কথা বলবে না ভারত, তা মোদি সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপেই বোঝা যাচ্ছে। পহেলগাঁও হামলার জবাবে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। এই আবহে এবার আরও এক ধাপ কঠোর হল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Amit Shah) নির্দেশ দিল রাজ্য থেকেও পাকিস্তানিদের (Pakistanis) উৎখাতের। আগামী ২ দিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সকল পাকিস্তানিকে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। এ দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে সহযোগিতা করার কথা বলেন।

    হামলায় পাক-যোগ, বিভিন্ন দেশ প্রমাণ দিয়েছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতেই তাঁদের ওপর গুলি চালায় ইসলামিক জঙ্গিরা। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানের (Pakistanis) দিকেই আঙুল তুলেছে। নিজেদের দাবির সপক্ষে দিল্লি তথ্যপ্রমাণও দিয়েছে আমেরিকা, ইটালি, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চিনের বিদেশি কূটনীতিকদের।

  • PM Modi: ‘‘সন্ত্রাসীদের সাজা হবে কল্পনাতীত, ধারণার বাইরে’’, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘সন্ত্রাসীদের সাজা হবে কল্পনাতীত, ধারণার বাইরে’’, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়। হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। বৃহস্পতিবারই বিহারের মধুবনীতে সভামঞ্চে হাজির ছিলেন  প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। সেখানেই সন্ত্রাস হামলা নিয়ে গর্জে উঠলেন তিনি। দেশের প্রধানমন্ত্রীর হুঙ্কার, হামলায় জড়িত জঙ্গিদের ও নেপথ্যে যে সমস্ত ষড়যন্ত্রীরা রয়েছে তাদের কল্পনাতীত সাজা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এদিন পঞ্চায়েতরাজ দিবস উপলক্ষেই বিহার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানেই পহেলগাঁও ইস্যুতে (Pahalgam Attack) জঙ্গিদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিতে শোনা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

    সভা শুরুর আগে ২ মিনিট নীরবতা পালন করেন মোদি (PM Modi)

    নিজের বক্তব্যে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘স্পষ্ট শব্দে বলে দিতে চাই, যারা এই হামলা চালিয়েছে, ওই জঙ্গিদের ও ষড়যন্ত্রকারীদের এমন সাজা দেওয়া হবে, যা তাদের ধারণার বাইরে। সাজা হবেই।’’ এদিন মধুবনীতে সভা শুরুর আগে পহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) নিহতদের স্মরণে হাতজোড় করে ২ মিনিট নীরবতাও পালন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    ভারতের আত্মার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে

    নিজের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘কোটি কোটি দেশবাসী আজ দুঃখিত। পহেলগাঁওতে নিরীহদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে গোটা দেশ। সরকার আহতদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করছে। কেউ সন্তান হারিয়েছেন, কেউ ভাই, কেউ আবার জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন। তাঁদের কেউ বাংলা বলত, কেউ কন্নড়, কেউ মারাঠা। কার্গিল থেকে কন্যাকুমারী সকলেই এখন ক্ষোভে ফুঁসছে।’’ ভারতের আত্মার ওপর এমন হামলা চালানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

    পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত জঙ্গিদের তাড়া করব

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এদিন আরও বলেন, ‘‘আজ আমি বিহারের মাটি থেকে সমগ্র বিশ্বকে বলছি, ভারত প্রত্যেকটি জঙ্গি এবং তাদের ষড়যন্ত্রীদের চিহ্নিত করবে। খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এই জঙ্গিদের তাড়া করব। ভারতবর্ষের চেতনাকে কখনোই জঙ্গিরা শেষ করতে পারবে না।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন বলেন, ‘‘পুরো দেশ বর্তমানে সংকল্পবদ্ধ। যাঁরা মানবতায় বিশ্বাস রাখেন, তাঁরা সকলেই আমাদের সঙ্গে আছেন। শাস্তি এতটাই কঠোর হবে যে সন্ত্রাসবাদীরা কখনও তা ভাবতে পারেনি।’’

    ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের কোমর ভাঙব

    জঙ্গিদের উদ্দেশে মোদির (PM Modi) হুঁশিয়ারি, ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। ১৪০ কোটি ভারতীয়র ইচ্ছাশক্তি দিয়ে জঙ্গিদের কোমর ভাঙব। সন্ত্রাসবাদীদের ধ্বংস করে ছাড়বে ভারত। বিহারের মাটি থেকে গোটা বিশ্বকে বলছি, ভারত জঙ্গিদের খুঁজে বের করে প্রত্যেককে সাজা দেবে। সন্ত্রাসবাদে ইতি টানবে ভারত। যারা মানবতায় বিশ্বাস করেন, তারা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমি সেই সমস্ত দেশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাদের এই বিপদে সমর্থন করেছেন।’’

    ভারতের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে, প্রতিজ্ঞা মোদির

    একইসঙ্গে ভারতের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্ন মুছে ফেলা হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্ত্রাসবাদ দিয়ে যে ভারতের মেরুদণ্ড কোনওভাবেই ভাঙা যাবে না, সে বিষয়েও স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। এর পাশাপাশি, এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে যা কিছু করার, সবকিছুই করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, হামলার সময় দুদিনের সৌদি আরব সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালেই তাঁর সফর সংক্ষিপ্ত করেন এবং দিল্লিতে ফিরে আসেন। এরপর বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁর বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত বলে ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে পাক নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র সরকার

    এই আবহে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে। সন্ত্রাস দমন ইস্যু ও জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা সমস্ত দলের রাজনৈতিক নেতাদের কেন্দ্রের হয়ে জানাবেন জয়শঙ্কর। সর্বদলীয় বৈঠক ইস্যুতে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। শোনা যাচ্ছে, সর্বদল বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে পারেন রাজনাথ সিং।

  • Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাক যোগ! ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর নামে জঙ্গি তাণ্ডব, পিছনে কি লস্কর নেতা সইফুল্লা?

    Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁও হামলার পিছনে পাক যোগ! ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর নামে জঙ্গি তাণ্ডব, পিছনে কি লস্কর নেতা সইফুল্লা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ ! জঙ্গিদের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে রয়েছেন একের পর এক পর্যটক ৷ একবার দেখে মনে হতে পারে বৈসরণের ঘন সবুজ প্রান্তরে কেউ যেন লাল রং ঢেলে দিয়েছে ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) মঙ্গলবার দুপুরের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ হিন্দু পর্যটক। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার মূল চক্রী সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরি। তাঁর নির্দেশেই, পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি এই হামলা চালায়। সইফুল্লা লস্করের অন্যতম প্রধান। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর অন্যতম মাথা তথা ভরতের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত সইফুল্লা।

    পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী সইফুল্লার সঙ্গে পাক যোগ

    গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ে হামলার পিছনে রয়েছে লস্কর নেতা সইফুল্লা। তাঁর পরিকল্পনা মাফিক লস্কর-ই-তৈবার ‘ছায়া সংগঠন’ টিআরএফ এর পাঁচ-ছয় জন জঙ্গি এই হামলা চালায়। পাক সেনায় যথেষ্ট ‘প্রভাব’ রয়েছে সইফুল্লার। পহেলগাঁও হামলার মাস দুই আগে পাকিস্তানের পঞ্জাবের কাঙ্গলপুরে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সেখানেই পাক সেনার একটি বড় ব্যাটেলিয়ন ছিল। জানা গিয়েছে, ওই ব্যাটেলিয়নে একটি জ্বালাময়ী বক্তৃতা করার জন্য সইফুল্লাকে আহ্বান করেছিলেন পাক সেনার কর্নেল জাহিদ জারিন। সেনাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করতে সইফুল্লাকে ডাকা হয়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সইফুল্লার বক্তৃতার বেশির ভাগ অংশ জুড়েই ছিল ভারতবিরোধী বার্তা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালানোর ‘পরামর্শ’ও দেওয়া হয়।

    পাকিস্তানে বসেই হামলার পরিকল্পনা

    পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতেও ভারত-বিরোধী সভার আয়োজন করেছিল পাক সেনা। সেই সভাতেও সইফুল্লা ভারত বিদ্বেষী বক্তৃতা করেন। এ ছাড়াও, কাশ্মীর দখলের হুঙ্কারও দিতে শোনা যায় তাঁকে। গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, গত বছর শতাধিক পাকিস্তানি কিশোর-যুবক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। সেই যোগদান অনুষ্ঠানেও ছিলেন সইফুল্লা। মনে করা হচ্ছে, সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরই কয়েক জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল পহেলগাঁও হামলার জন্য। সেখানেই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে পাক সেনার সহায়তাতেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল তারা।

    পাকিস্তানের হাত ধরেই টিআরএফ-এর উত্থান

    টিআরএফের উত্থান ২০১৯ সালে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ হওয়ার পর। টিআরএফের জন্ম হয়েছিল কাশ্মীরি জঙ্গি শেখ সাজ্জাদ গুলের হাতে। সে সময় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র সদ্য অবলুপ্তি হয়েছে। তখনই লস্কর-ই-তৈবার ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। সে সময় একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে এই সংগঠনে সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়। এদের মূল লক্ষ্য ছিল, কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। সেই লক্ষ্য সাধনের জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মে পুনর্বিন্যাস আনার চেষ্টা শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত আড়ে-বহরে বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র।

    টিআরএফ কী ভাবে কাজ করে?

    টিআরএফ (TRF) হল প্রথম সন্ত্রাসী সংগঠন যার নাম ইংরেজিতে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সন্ত্রাসী সংগঠনের নামে উর্দু বা ফারসি শব্দ ব্যবহার করা হয়। বলা হয়ে থাকে যে, বিশ্বের চোখ এড়াতে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ইংরেজি শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই সংগঠনে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীদের প্রথমে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয় প্রশিক্ষণের জন্য। এরপর তাঁরা ফিরে আসে দেশে। সংগঠনে একটি কমান্ডার সিস্টেম আছে, যারা জোন অনুযায়ী কাজ করে। সূত্রের খবর, টিআরএফের সকল কমান্ডার কেবল পাকিস্তান থেকে নির্দেশ পান। টিআরএফ সন্ত্রাসীরা প্রায়ই হিন্দু, পর্যটক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন টিআরএফ সন্ত্রাসবাদীরা দ্রুত খ্যাতি অর্জনের জন্য এই কৌশল অবলম্বন করে।

    নিহতদের পরিবারের পাশে শাহ, মোদির বৈঠক, ট্রাম্পের বার্তা

    পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার পর সৌদি আরব সফর কাটছাঁট করে ইতিমধ্যেই দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। দিল্লি বিমানবন্দরে তিন জনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের কাছ থেকে জঙ্গি হামলার বিষয়ে সম্পূর্ণ খোঁজখবর নেন। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দেন। এক্স হ্যান্ডলে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একথা জানিয়েছেন। পহেলগাঁওয়ে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। বুধবার সকালে তিনি জঙ্গি হামলায় নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানান। কথা বলেন তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে। জরুরি পরিস্থিতিতে উপত্যকায় পৌঁছেছে জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ।

    চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ

    পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত চার জঙ্গিকে শনাক্ত করেছে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যে চার জনের ছবিও প্রকাশ করে পরিচয় জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চার জঙ্গি হল— আদিল, আসিফ ফুজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে আইইডি বিস্ফোরণের ছক করেছিল জঙ্গিরা। পরে পরিকল্পনা বদলে দু’টি দলে ভাগ হয়ে যায় তারা। অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে পর্যটকদের উপর হামলা চালায়। জঙ্গিরা সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিল বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। দিন কয়েক আগেই ভারতে আসে তারা। এমনকি এলাকা পরিদর্শনও করে যায়।

  • PM Modi: ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে, চিনা অ্যাপ সরানোর নির্দেশ গুগলকে

    PM Modi: ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে, চিনা অ্যাপ সরানোর নির্দেশ গুগলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (PM Modi) ভুল মানচিত্র দেখাচ্ছে গুগল। তাই ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ও ভারতের সমীক্ষা দফতর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলকে তাদের প্লে স্টোর থেকে চিনা চ্যাট অ্যাপ ‘অ্যাবলো’ সরায়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভারতের যুক্তি, অ্যাপটিতে ভারতের আঞ্চলিক সীমানা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি (Chinese App)।

    সরকারি নোটিশ (PM Modi)

    সরকারি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, চিন-ভিত্তিক এই ভিডিও চ্যাট প্ল্যাটফর্ম, যার গুগল প্লে-তে ১০ হাজারেরও বেশি ডাউনলোড রয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে এবং মানচিত্র থেকে লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়েছে। এই নির্দেশনায় ফৌজদারি আইন (সংশোধন) আইন, ১৯৯০-এরও উল্লেখ করা হয়েছে, যা এই ধরনের ভুল উপস্থাপনাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করে। এই অপরাধে দোষীদের সর্বোচ্চ ছ’মাসের কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে।

    ‘অ্যাবলো’ অ্যাপ

    নোটিশে বলা হয়েছে, “এটি স্পষ্ট যে গুগল প্লে স্টোরে উপলব্ধ ‘অ্যাবলো’ অ্যাপটির মানচিত্রে ভারতের বাহ্যিক সীমানা ভুলভাবে দেখানো হয়েছে, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।” ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক গুগলকে পাঠানো নোটিশে তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ধারা ৭৯(৩)(খ) উল্লেখ করেছে, যা প্ল্যাটফর্মগুলিকে ভারতীয় আইন লঙ্ঘনকারী কন্টেন্ট অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে বা অ্যাক্সেস নিষ্ক্রিয় করতে বাধ্য করে (PM Modi)। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভুল মানচিত্র প্রদর্শনের বিষয়টি সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক বৈঠকে উঠে এসেছে। মন্ত্রক সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে ওই অ্যাপের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

    তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টের ২০১৫ সালের শ্রেয়া সিংহাল বনাম ভারত ইউনিয়ন রায়েরও উল্লেখ করেছে, যা সরকারের বৈধ আদেশ মানতে প্ল্যাটফর্মগুলিকে বাধ্য করে। গুগল এই নির্দেশ মেনে নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ অ্যাপটির গুগল প্লে স্টোর ল্যান্ডিং পেজে এখন লেখা দেখা যাচ্ছে (Chinese App), “আমরা দুঃখিত, এই সার্ভারে অনুরোধ করা ইউআরএল খুঁজে পাওয়া যায়নি”। অ্যাপটি এখন ভারতীয় ইউজারদের জন্য অ্যাপল অ্যাপ স্টোরেও অনুপলব্ধ (PM Modi)।

  • Pahalgam Terror Attack: ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো’! নাম জেনে, বিবস্ত্র করিয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা

    Pahalgam Terror Attack: ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো’! নাম জেনে, বিবস্ত্র করিয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখে বেছে বেছে হিন্দু পুরুষদের হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ের উপর ছোট্ট সবুজ স্বপ্নিল উপত্যকা বৈসরনে তখন প্রায় জনা চল্লিশেক পর্যটকের ভিড়৷ হঠাৎ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল সশস্ত্র জঙ্গিরা ৷ তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র৷ সাধারণ পর্যটকদের ঘিরে তাঁদের লক্ষ্য করে নির্দ্বিধায় এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করল জঙ্গিরা৷ বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে নাম জিজ্ঞাসা হয় করা হয় পর্যটকদের। বলা হয় ‘কালমা’ পড়তে। না পড়তে পারলেই নিশ্চিত করা হয় হিন্দুত্ব। চলে গুলি। এভাবেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন একের পর এক পর্যটক৷ আহতদের কেউ সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন ৷ কেউ বা আতঙ্কে কথাই বলতে পারছেন না! কারও রক্তে ভেজা নিথর দেহ পড়ে রয়েছে সবুজ ঘাসের উপর ৷ মঙ্গলবার এমনই ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার সাক্ষী থাকল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও (Pahalgam Terror Attack) জেলার বৈসরন উপত্যকা ৷

    নিশানায় হিন্দু পর্যটকরা

    কাশ্মীরের (Kashmir Terrorist Attack) পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর আতঙ্কে কাঁপছে গোটা উপত্যকা। বৈসরণে যে পৈশাচিক হামলা চালায় জঙ্গিরা, প্রতক্ষদর্শীদের মুখে তার বিবরণ শুনে মানুষ কেঁপে উঠতে শুরু করেছে। বৈসরণে জঙ্গিরা যেভাবে হামলা চালায়, সেখানে নাম শুনে, পরিচয় পত্র দেখে তবেই পর্যটকদের (Kashmir Tourist) মারা হয়েছে বলে জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। নাম জিজ্ঞেস করে, যাঁরা মুসলিম নন, সেই সমস্ত পর্যটকদের বেছে বেছে গুলি করা হয়েছে। প্রিয়জনকে হারিয়ে তাই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক তরুণীকে। তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁর স্বামীর নাম জিজ্ঞেস করে তবেই গুলি করার কথা বলে জঙ্গিরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল (Viral) হতে শুরু করেছে যেখানে এক তরুণী হানিমুনে গিয়েছিলেন কাশ্মীরে। জঙ্গি হামলা হলে ওই তরুণীকে সদ্য বিবাহিত স্বামীর মৃতদেহ পাশে নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। যে ছবি দেখে গোটা দেশের মানুষের চোখে জল। জঙ্গিরা নাম জিজ্ঞাসা করে, পরিচয় পত্র দেখে ইচ্ছে করে তাঁর স্বামীকে চোখের সামনে গুলি করে দেয় বলে জানান ওই তরুণী।

    ‘এটা মুসলিম নয়, গুলি করো

    ভাইরাল একটি ভিডিওয় (Pahalgam Terror Attack) এক মহিলা বলেন, “আমরা ভেলপুরি খাচ্ছিলাম, তখনই ওরা এসে আমার স্বামীকে গুলি করে। একজন বলে উঠল, ‘এটা মুসলিম নয়’ – তারপরই ওকে গুলি করে মেরে ফেলল।” এক প্রতক্ষ্যদর্শীর কথায়, সন্ত্রাসীরা মানুষের ধর্ম নিশ্চিত করতে তাদের ‘কালমা’ পড়তে বলে – ইসলাম ধর্মে কালমা হলো ইমানের ঘোষণা। যারা এটি পড়তে পারেননি, তাদের অমুসলিম মনে করে হত্যা করা হয়। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে জঙ্গিরা লোকজনকে বিবস্ত্র করে ‘খৎনা’ আছে কি না তা পরীক্ষা করে, এবং যাদের মধ্যে খৎনা পাওয়া যায়নি, তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। জঙ্গিদের পরনে ছিল সেনাবাহিনীর পোশাক। তাই প্রথমে তাদের বোঝা যায়নি, বলেও জানান পর্যটকরা। কাশ্মীরে মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় এখনও পর্যন্ত বাংলার ৩ জন-সহ ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দক্ষিণ কলকাতার বৈষ্ণবঘাটা লেনের বাসিন্দা বিতান অধিকারী। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় নিহত বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহ। প্রাণ গিয়েছে হায়দরাবাদে কর্মরত আইবি অফিসার পুরুলিয়ার বাসিন্দা মণীশ রঞ্জনের। জঙ্গিদের গুলিবৃষ্টিতে নিহতদের মধ্যে ২ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় আহত অন্তত ২০ জন ।

    ‘মোদিকে গিয়ে বোলো

    ফিরে এল বিবেক অগ্নিহোত্রী ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)-এর স্মৃতি। ১৯৯০ সালের পয়লা জানুয়ারি সমগ্র কাশ্মীরে (Kashmir) যে পাঁচ হাজার হিন্দু পণ্ডিত ব্রাহ্মণদের গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার উপর ভিত্তি করেই এই ছবি। এখানে দেখা যায় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জেহাদিদের হিংস্র স্লোগান “কাশ্মীর শুধু কাশ্মীরি মুসলমানদের, এখানে থাকতে হলে আজাদিকে সমর্থন করো, নইলে কাশ্মীর হবে হিন্দু পুরুষহীন, শুধু হিন্দু মহিলারা থাকবেন।” এদিনও যেন তাই হল। জম্মু-কাশ্মীরে কর্নাটক থেকে সপরিবারে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন মঞ্জুনাথ রাও। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Terror Attack) বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় মঞ্জুনাথের। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন স্ত্রী পল্লবী এবং তাঁদের পুত্র। কর্নাটকের শিবমোগ্গার বাসিন্দা পল্লবীর দাবি, অতর্কিত তাঁদের আক্রমণ করে তিন থেকে চার জন। জঙ্গিহানার বিবরণ দিতে গিয়ে পল্লবী বলেন, ‘‘স্বামী-ছেলের সঙ্গে কাশ্মীর বেড়াতে এসেছিলাম। দুপুর দেড়টা নাগাদ আমরা ছিলাম পহেলগাঁওয়ে। আচমকা তিন-চার জন বন্দুক হাতে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালায় ওরা।’’ পল্লবীর দাবি, আততায়ীরা বেছে বেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খুন করছিল। চোখের সামনে স্বামীকে লুটিয়ে পড়তে দেখে পল্লবী আততায়ীদের বলে তারা যেন তাঁকেও মেরে দেন। কিন্তু সেটা করেনি জঙ্গিরা। পল্লবীর কথায়, ‘‘আমি ওদের কাঁদতে কাঁদতে বললাম, স্বামীকে মেরে দিয়েছ। আমাকেও মেরে ফেলো। ওদের একজন বলল, ‘না, তোমায় মারব না। এইটা মোদিকে (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) গিয়ে বোলো।’’

  • Saudi Arabia: কাশ্মীর নিয়ে বদলেছে অবস্থান, তাই কি মজবুত হচ্ছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক?

    Saudi Arabia: কাশ্মীর নিয়ে বদলেছে অবস্থান, তাই কি মজবুত হচ্ছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও সৌদি আরবের (Saudi Arabia) মধ্যে সম্পর্কে নতুন গতি আসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২২ এপ্রিল ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে দু’দিনের সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন। এই নিয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী গেলেন সৌদি সফরে। তবে জেড্ডা শহরে এই প্রথম (Kashmir) পা রাখবেন তিনি। জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, এবং মনমোহন সিংয়ের পর মোদিই সৌদি আরব সফরকারী চতুর্থ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন শুল্কের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে মোদির এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন ভারত প্রধান তেল রফতানিকারী ও ওপেক নেতৃত্বাধীন দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাইছে।

    দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হয়েছে (Saudi Arabia)

    ভারত ও সৌদি আরব বছরের পর বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রসারিত করেছে, যা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব, শক্তি খাতের সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার অন্যতম উল্লেখযোগ্য ফল হল কাশ্মীর প্রসঙ্গে দেশটির পরিবর্তিত অবস্থান। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় সৌদি আরব প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অবস্থান বদলেছে। সৌদি আরব যে পাকিস্তানকে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য করত, তা মূলত গড়ে উঠেছিল তাদের যৌথ ইসলামিক পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে। তবে যুবরাজের নেতৃত্বে রাষ্ট্রটি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ব্যাপকভিত্তিক পন্থা গ্রহণ করেছে, যা নয়াদিল্লির ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে (Saudi Arabia)।

    সৌদি বিনিয়োগ

    বছরের পর বছর ধরে এই পদক্ষেপ উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। সৌদি আরব এখন ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, অন্যদিকে ভারত সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রিন্স সালমান ভারতের মধ্যে সৌদি বিনিয়োগ আগামী কয়েক বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভারত ইতিমধ্যেই সৌদি অপরিশোধিত তেলের অন্যতম প্রধান গন্তব্য এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শক্তি জায়ান্ট সৌদি আরামকো দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে (Kashmir)।রিয়াধে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবের ভারতের মধ্যে মোট বিনিয়োগ প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল (পিআইএফ) রিলায়েন্সের সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্জিত শেয়ারও।

    ভারতের আমদানির পরিমাণ

    ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে সৌদি আরব থেকে ভারতের আমদানির পরিমাণ ছিল ৩১.৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং রফতানির পরিমাণ ছিল ১১.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Saudi Arabia)। সৌদি আরব ভারত, ইউএই এবং ইইউয়ের সঙ্গে যৌথভাবে আইএমইসি (ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ ইকোনমিক করিডর) চালু করেছে। এটি একটি বড় পরিকাঠামোগত উদ্যোগ। এর লক্ষ্যই হল ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মধ্যে সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। একই সময়ে সৌদি আরব একাধিকবার পাকিস্তানকে উপেক্ষা করে ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটি যুবরাজ সালমানের বাস্তবসম্মত কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালে প্রিন্স সালমান ভারত সফরের সময় পাকিস্তান সফরে যাননি। এটি সৌদি আরবের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক জোরদার করার প্রতি তাঁর সচেতন মনোভাব প্রকাশ করে।

    সন্ত্রাসবাদের নিন্দা

    এই সফরে যুবরাজ সালমান এবং মোদি যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেন। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংসের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ (Kashmir)। ২০২০ সালে সৌদি আরব পাকিস্তানের কাছ থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পরিশোধের দাবি জানায় এবং ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তেল ক্রেডিট সুবিধা রিনিউ করতে অস্বীকার করে। এই আর্থিক সিদ্ধান্তটি পাকিস্তানের কাশ্মীর ইস্যুতে সৌদি নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-এর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হয় (Saudi Arabia)। ২০২৪ সালে সৌদি আরবের গলায় শোনা যায় ভারতের দীর্ঘদিনের অবস্থানের প্রতিধ্বনি। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করতে হবে। এটি কার্যত নয়াদিল্লির অবস্থানের সঙ্গে সহমত পোষণ করে।

    ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের গভীরতর অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব কাশ্মীর নিয়ে তাদের নিরপেক্ষ অবস্থান এবং পাকিস্তানের প্রতি কূটনৈতিক ঠান্ডা আচরণের বিপরীতে একটি স্পষ্ট বৈপরীত্য তুলে ধরে। এসবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায়। তাঁর গত ১০ বছরের রাজত্বকালে তিনি তিনবার সৌদি সফরে গিয়েছেন (Kashmir)। তার জেরেই মজবুত হয়েছে ভারত-সৌদি সম্পর্ক (Saudi Arabia)।

  • JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    JD Vance: ‘‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যের শর্ত চূড়ান্ত’’, মোদির সঙ্গে বৈঠকের পরদিন জানালেন ভান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের ঠিক পরদিন, আজ মঙ্গলবার আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance) জানালেন, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে শর্তাবলী চূড়ান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির মধ্যে মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতির এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কী বললেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

    মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট (JD Vance) বলেন, ‘‘আমাদের দেশ সর্বদা সেভাবেই বাণিজ্য বন্ধু বানাতে চায় যারা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা সবসময় নিজেদের জাতীয় স্বার্থকেই সামনে রাখি। আমরা চাই বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে একটি শক্তপোক্ত সম্পর্ক। যে দেশগুলি তাদের শ্রমিকদের সম্মান করে এবং নিজেদের রফতানি বাড়ানোর জন্য শ্রমিকদের মজুরি কেটে নেয় না বরং তাঁদের শ্রমের মূল্যকে সম্মান করে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘‘আমরা এমন দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা আমেরিকার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সেই সমস্ত দেশকেই নিজেদের বাণিজ্য বন্ধু হিসেবে চাই, যারা উন্মুক্ত, স্থিতিশীল এবং ভারসাম্যপূর্ণ একটি বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হবে।’’ মার্কিন উপরাষ্ট্রপতির মতে, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ভারতের অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তিতেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।’’

    সোমবারই তিনদিনের ভারত সফরে এসেছেন ভান্স

    প্রসঙ্গত, সোমবারই তিন দিনের ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স (JD Vance)। সোমবার সকালে দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। ভান্সের সঙ্গে সফরে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা ভান্স এবং তিন শিশুসন্তান— ইওয়ান, বিবেক ও মিরাবেল। ভান্সের তিন সন্তানই ভারতীয় পোশাক পরে এদেশে আসে। প্রসঙ্গত, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবার ভারতে এলেন মার্কিন (USA) উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভান্স। দিল্লির পালাম বিমানঘাঁটিতে তাঁকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় রেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিমানঘাঁটিতে ভান্সকে (JD Vance) ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়।

LinkedIn
Share