Tag: PM Modi

PM Modi

  • PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    PM Modi: মোদি-ইউনূস বৈঠক, রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে অপব্যাখ্যা করছে প্রধান উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠক নিয়ে অপপ্রচার করছেন বাংলাদেশিদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

    ফেসবুক পোস্টে অপব্যাখ্যা (PM Modi)

    ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘৮৪ বছর বয়সি নোবেল জয়ী ব্যাংককে শুক্রবার তাঁদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়াটি নেতিবাচক ছিল না।’ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ সম্পর্কে ইউনূসের প্রেস সচিব যে মন্তব্য করেছেন, তার কোনও ভিত্তি নেই বলেই সূত্রের খবর। সূত্রের দাবি, এই ধরনের প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সিরিয়াসনেস ও সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেয়।

    ইউনূসের প্রেস সচিবের অপব্যাখ্যা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ইউনূসের বৈঠকের সময় আলম বলেন, ‘ভারতীয় নেতা (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) নোবেলজয়ীর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাঁর কাজের উচ্চ প্রশংসাও করেন।’ এক আধিকারিকের দাবি, যদিও ভারতের সঙ্গে হাসিনার সুসম্পর্ক রয়েছে, তবুও প্রধানমন্ত্রী মোদি নাকি ইউনূসকে বলেছিলেন যে ভারত তাঁর (ইউনূসের) প্রতি হাসিনার অসম্মানজনক আচরণ লক্ষ্য করেছে। গত বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য যে অনুরোধ জানিয়েছিল, নয়াদিল্লি এখনও তার কোনও জবাব দেয়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। সেই থেকে তিনি রয়েছেন ভারতেই। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ইউনূস ও তাঁর আগের সরকারের মধ্যের সম্পর্ক সংক্রান্ত মন্তব্যেরও অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেছেন এবং একে “আমাদের সমাজ ও জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অথচ, আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন পথ খুঁজতে চায়।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ইউনূসকে কয়েকবার বলেছেন যে ভারতের সম্পর্ক বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে, কোনও নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয়।’ ইউনূসের বক্তব্য উদ্ধৃত (Bangladesh) করে আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে সর্বোত্তম সম্পর্ক চান, তবে তা ন্যায্যতা, সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে মোদি-ইউনূসের বৈঠক নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে গদি আঁকড়ে থাকতে চান ইউনূসের সাঙ্গপাঙ্গরা (PM Modi)।

    প্রসঙ্গত, ভারতের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন যে পরিবেশকে বিষাক্ত করে এমন বক্তব্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিশেষত হিন্দুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ভারতের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন এবং আশা প্রকাশ করে যে বাংলাদেশ সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, বিশেষ করে তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতার মামলাগুলি যথাযথ তদন্ত করবে (PM Modi)।

  • PM Modi: আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জানালেন মোদি

    PM Modi: আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (World Health Day)। প্রতিবছর ৭ এপ্রিল এই দিনটি পালন করা হয়। স্বাস্থ্যই সম্পদ- এ কথাই ফের একবার চর্চিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে। এদিন স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে শোনা গেল ১৪০ কোটি দেশবাসীর প্রধানমন্ত্রীকেও। ভালো স্বাস্থ্য গড়ে তুলতে কী কী করণীয়, সে উপায়ও বাতলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) জানালেন স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ঠিক কতটা।  তাঁর মতে, ‘‘আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য।’’  অর্থাৎ ভালো স্বাস্থ্যই হল প্রকৃত সৌভাগ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে নিজের এক্স মাধ্যমে এ নিয়ে লেখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সংকল্প নিতে হবে, যাতে স্বাস্থ্যকর বিশ্ব আমরা তৈরি করতে পারি।’’

    ভালো স্বাস্থ্য যেকোনও সমাজের ভিত মনে করেন মোদি

    প্রসঙ্গত, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে (World Health Day) উন্নত করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার (PM Modi)। বিগত ১০ বছরে চালু হয়েছে অসংখ্য প্রকল্প। দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি তাঁর সরকারের লক্ষ্য রয়েছে বলেও নিজের পোস্টে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার সরকারের লক্ষ্য হল স্বাস্থ্য পরিষেবাকে আরও উন্নত করা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের কল্যাণ করা।’’ ভালো স্বাস্থ্য যে কোনও সমাজের ভিত বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

    কমাতে হবে রান্নার তেলের পরিমাণ, স্বাস্থ্য রক্ষায় আহ্বান মোদির

    একইসঙ্গে নিজের এক্স মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি সেখানে লেখেন (PM Modi), ‘‘ওবেসিটি বা স্থূলত্ব হল বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’’ এনিয়ে জনগণের কাছে তিনি আবেদনও জানান। মোদির মতে, বর্তমানে গৃহস্থের বাড়িতে যে পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয়। তার ১০ শতাংশ যেন কম খরচ করেন তাঁরা। এর পরেই তিনি লেখেন, ‘‘আরোগ্যম পরম ভাগ্যম।’’ অর্থাৎ আরোগ্যই হল পরম সৌভাগ্য। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি লাইফ স্টাইল রোগগুলির ওপরেও বলেন। বিশেষত তাঁর বক্তব্য উঠে আসে স্থূলত্ব নিয়ে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সারা বিশ্বের কাছে স্থূলত্ব একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটি রিপোর্টে বলছে ২০৫০ সালে সারা পৃথিবীতে ৪৪ কোটি মানুষ স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগবেন।’’

    উন্নত স্বাস্থ্যচর্চা আমাদের ভালো ভবিষ্যতকে নির্মাণ করে, জানালেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘উন্নত স্বাস্থ্যচর্চা আমাদের ভালো ভবিষ্যতকে নির্মাণ করে। আমাদের প্রতিদিনের যে জীবন যাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে এতে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে ৪৪ কোটি মানুষ স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগবেন। এত সংখ্যা সত্যিই আশঙ্কার। আমাদেরকে এর উপর কাজ করতে হবে। যে পরিমাণ রান্নার তেল আমরা ব্যবহার করি তা কমাতে হবে। এর সঙ্গে প্রতিদিন আমাদের শারীরিক অনুশীলনও করতে হবে। এতেই সুস্থভাবে বাঁচতে পরারব আমরা। নিজেকে ফিট রাখতে হবে আমাদের। যাতে বিকশিত ভারতের উন্নতির জন্য আমরা অবদান রাখতে পারি।’’ দেশের মানুষের স্বাস্থ্যপরিষেবার উন্নতির জন্য সদা পদক্ষেপ করছে মোদি (PM Modi) সরকার। যেমন আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন দেশজুড়ে অসংখ্য মানুষ। এর পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতাতেও অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে। শিশু স্বাস্থ্য দিকেও নজর দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

    চলতি বছরে হু-এর থিম ‘স্বাস্থ্যকর সূচনা, আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ’

    প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ (WHO) থিম রেখেছে ‘স্বাস্থ্যকর সূচনা, আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ’। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে সচেতনতা ছড়ানো হয় স্বাস্থ্যের গুরুত্বর ওপর। এনিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, সেমিনার ইত্যাদি। ভালো স্বাস্থ্য রাখতে কী কী প্রয়োজন সে বিষয়ের ওপরেও আলোকপাত করেন বক্তারা। একই সঙ্গে বর্তমান বিশ্বে, স্বাস্থ্যের বিষয়ে চ্যালেঞ্জ কী কী রয়েছে সে নিয়েও আলোচনা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৫০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে ৭ এপ্রিলকে ঘোষণা করে। বিভিন্ন দেশের সরকার, প্রতিষ্ঠান এবং নানা গোষ্ঠী এই দিনটি পালন করে থাকে।এদিনই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সরকারি বিবৃতি সামনে এসেছে। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (এনএইচএম) ভারতের জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই উদ্যোগগুলি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

  • Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮৮টি অ্যাম্বুলেন্স তুলে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাতে। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে লক্ষ-লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচে। ভারতের প্রতি কৃ্তজ্ঞতা প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তারা জানিয়েছে, ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির (Ambulances) সে দেশের জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করেছে। ২০১৬ সালের পর থেকে অনেকটা সময় পেরিয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকারের অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যাও বেড়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নলিন্দা জয়াটিস্সা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বর্তমানে শ্রীলঙ্কার অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা হল ৩২২। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে ২০ লাখ ২৪ হাজার মানুষ শ্রীলঙ্কার মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা, হৃদরোগ, স্ট্রোক- এই সমস্ত কিছুতেই পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে।

    প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের (Sri Lanka)

    শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও ব্যাখ্যা করেছেন, যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা তারা দিতে পেরেছে তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণিতে আসছে। এই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণি আসলে কী? যদি অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না পৌঁছাতো তাহলে ওই রোগীদের কোনওভাবেই বাঁচানো যেত না। এই ৬৫ শতাংশ সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লাখ। এভাবেই মোদি সরকারের সাহায্যের ফলে শ্রীলঙ্কার এত মানুষের জীবন বেঁচেছে বলে উল্লেখ করেছে দ্বীপ রাষ্ট্র।

    প্রতিবেশী মায়ানমারেও সেবাকাজ চালিয়েছে ভারত

    সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার এইরকম সফলতা দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সমন্বয়কেই প্রতিফলিত করছে। সম্প্রতি মায়ানমারে ব্যাপক ভূমিকম্প হয়েছে। সেখানে ভারত অপারেশন ব্রহ্মা চালিয়েছে। সে দেশে উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছে ভারতের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও। পাঠানো হয়েছে নানা রকমের ওষুধ সামগ্রীও। এর পাশাপাশি তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেটও পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমারে মোট ৪৪২ টন খাদ্য সহায়তা করা হয়েছে। ভারতের এমন সেবাকাজগুলিতেই প্রতিফলিত হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সর্বদাই ইতিবাচক সম্পর্ক চায় দিল্লি।

  • India Sri Lanka Relation: ভারতের সঙ্গে ২৫০০ বছরের পুরনো সম্পর্ক, মোদিকে পেয়ে আপ্লুত অনুরাধাপুরা

    India Sri Lanka Relation: ভারতের সঙ্গে ২৫০০ বছরের পুরনো সম্পর্ক, মোদিকে পেয়ে আপ্লুত অনুরাধাপুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বিদেশনীতির অন্তঃস্থলে রয়েছে বৌদ্ধধর্ম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরে বারবার তারই প্রমাণ মিলেছে। ঠিক যেমন থাইল্যান্ড সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওয়াট ফো নামে বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন। শ্রীলঙ্কা (India Sri Lanka Relation) সফরে গিয়ে অনুরাধাপুরার মহাবোধি মন্দিরও দর্শন করলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার প্রথম রাজধানী ছিল অনুরাধাপুরা (PM Modi in Anuradhapura)। এই শহরের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ২ হাজার বছরের পুরনো। আগেও এখানে গিয়েছিলেন মোদি। দ্বীতিয়বার তাঁর এই মন্দির পরিদর্শনে আপ্লুত বৌদ্ধ সমাজ।

    বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী চতুর্থবার শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ফের একবার অনুরাধাপুরার মহাবোধি মন্দির (PM Modi in Anuradhapura) দর্শনে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিশানায়েক। বোধি বৃক্ষের সামনেও প্রার্থনা করেন মোদি। বিখ্যাত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ভদন্ত কে মেধঙ্কারা থেরো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার জয়া শ্রী মহাবোধি মন্দির পরিদর্শন করার জন্য ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, “এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিতীয় বার অনুরাধাপুরায় আগমন। আমরা খুব খুশি। বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক গুরুত্বও উল্লেখযোগ্য। এখানে এসে বোধি দর্শন করা এবং আশীর্বাদ প্রার্থনা করা, এটা সবার মনেও আসে না। যারা ‘পুণ্য’ অর্জন করেছেন, কেবল তারাই এই চিন্তা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি হয়তো প্রথমবার এখানে এসে বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করেছিলেন, এবং সেই অনুভূতির কারণে তিনি দ্বিতীয়বার এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

    ‘রক্ষা সূত্র’ পরিয়ে স্বাগত মোদিকে

    এ দিন অনুরাধাপুরা (PM Modi in Anuradhapura) বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরে মোদিকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় শ্রীলঙ্কার (India Sri Lanka Relation) বায়ুসেনা। পরে মহা বোধি মন্দিরে যান তিনি। সেখানকার প্রধান পুরোহিত মোদির কব্জিতে বেঁধে দেন পবিত্র ‘রক্ষা সূত্র’। পরে ফেরার পথে আকাশ থেকে দেখতে পাওয়া রাম সেতুর দৃশ্য সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আজ রামনবমীর পুণ্য দিবসে, শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরার সময়ে আমি আকাশ থেকে রাম সেতুর পবিত্র দৃশ্য দেখতে পেলাম। ঐশ্বরিক যোগে রাম সেতু দর্শনের সময়েই দেখতে পেলাম অযোধ্যার রামলালার সূর্য তিলকও।’’ অনুরাধাপুরায় ভারতের সাহায্যে তৈরি দু’টি রেল প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের রেল মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি সংস্থার তৈরি ওই দু’টি প্রকল্পকে শ্রীলঙ্কার পরিকাঠামোয় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান বলে মনে করা হচ্ছে। সমাজমাধ্যমে এই সফরের সময়ে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য শ্রীলঙ্কাবাসী ও সে দেশের প্রেসিডেন্ট দিশানায়েককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি।

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) এই বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য ছিল, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনের দিকটি তুলে ধরা। বৌদ্ধধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান অনুরাধাপুরের মহাবোধি বৃক্ষে শ্রদ্ধাও জানিয়েছিলেন মোদি। এই মন্দিরটি ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার গভীর সভ্যতাগত সম্পর্কের এক উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, অনুরাধাপুরার মহাবোধি বৃক্ষটি খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে ভারত থেকে সঙ্ঘমিত্রা মহাথেরী দ্বারা শ্রীলঙ্কায় আনা বোধি গাছের শাখা থেকে জন্ম নিয়েছিল।

    ভারতের বিদেশনীতির প্রাণকেন্দ্রে বৌদ্ধধর্ম

    তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন সম্রাট অশোকের সময় থেকেই ভারতের বিদেশনীতির প্রাণকেন্দ্রে বৌদ্ধধর্ম। ২০২৪-এর ইন্ডিয়ান-এশিয়ান সম্মেলনে লাওসের প্রেসিডেন্টকে একটি পিতলের বুদ্ধমূর্তি উপহার দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ওই একই বছরে বৌদ্ধধর্মের বেশ কিছু নিদর্শন ভারত থেকে পাঠানো হয়েছিল তাইল্যান্ডে। ২০২২-এ নেপালের লুম্বিনি পরিদর্শন করেন মোদি। ওই বছর বৌদ্ধধর্মের বেশ কিছু নিদর্শন পাঠানো হয়েছিল মঙ্গোলিয়ায়। ২০১৯ সালে মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি বুদ্ধ মূর্তি উন্মোচন করেন। ২০১৬-তে ভিয়েতনামে গিয়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মোদি। চিনের দা জিংসান মন্দির ও বিগ ওয়াইল্ড গুজ প্যাগোডা দর্শন করে দুই দেশের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের বিষয়টি স্পষ্ট করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন জাপান সফরে যান, তখন তোজি ও কিংকাজু মন্দির দর্শন করে জাপানের সঙ্গে ভারতের বৌদ্ধধর্মের নিবিড় যোগ তুলে ধরেন।

    অনুরাধাপুরার সঙ্গে বুদ্ধ-গয়ার যোগ

    রাজা হর্ষবর্ধন যেমন বৌদ্ধ-মহাসম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন, ঠিক তেমনই প্রধানমন্ত্রী মোদির তত্ত্বাবধানে ভারতই প্রথম বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে বৌদ্ধধর্মের দর্শন নিয়ে আলোচনা করতে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু জ্ঞানী মানুষ। বিশ্বের নানা সমস্যা সমাধানে বৌদ্ধ দর্শন কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, তা নিয়ে ওই সম্মেলনে কথা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২০২৩-এ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও নরেন্দ্র মোদি দিল্লির বুদ্ধ জয়ন্তী পার্কে বাল বোধি বৃক্ষও দর্শন করেন। বৌদ্ধধর্মের ক্ষেত্রে যে ভারত ও জাপানের এক বিশেষ যোগ আছে, তা বোঝাতেই ওই দর্শন করেছিলেন তাঁরা। ২০২৫ ফের শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) বৌদ্ধধর্মের প্রতি নিজের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রির দাবি, অনুরাধাপুরায় (PM Modi in Anuradhapura) প্রধানমন্ত্রীর বোধিবৃক্ষ দর্শন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ওই বোধিবৃক্ষের সঙ্গে যোগ রয়েছে বুদ্ধগয়ায় বোধিবৃক্ষের। যা দু’দেশের বিশেষ সম্পর্কের চিহ্ন।

     

     

     

     

     

  • New Pamban Bridge: দেশের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সি-ব্রিজ! জানুন মোদির হাতে উদ্বোধন হওয়া পাম্বান রেলসেতুর বৈশিষ্ট্য

    New Pamban Bridge: দেশের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সি-ব্রিজ! জানুন মোদির হাতে উদ্বোধন হওয়া পাম্বান রেলসেতুর বৈশিষ্ট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীতে সমুদ্রে অবস্থিত ভারতের প্রথম উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেলসেতু পাম্বান ব্রিজের (New Pamban Bridge) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মান্নান উপসাগরের অবস্থিত আগের সেতু পুরনো হয়ে যাওয়াতেই নয়া ব্রিজ তৈরি করা হয়। উদ্বোধনের আগে রেল মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘‘অতীতের সেতু, নতুনকে তুলে ধরছে, অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পাম্বান। এই রামনবমীতে ভারতের প্রথম ভার্টিকাল লিফট রেলওয়ে সি ব্রিজের (প্রথম উল্লম্বভাবে উত্তোলিত রেলসেতু) সাক্ষী থাকুন।’’

    ১৭ মিটার উঠে যাবে পাম্বান ব্রিজের উলম্ব অংশ (New Pamban Bridge)

    প্রসঙ্গত নয়া যে পাম্বান ব্রিজ (New Pamban Bridge) তৈরি করা হয়েছে, তা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরমকে যুক্ত করেছে। রেলের তরফে জানানো ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, নয়া পাম্বান ব্রিজের দৈর্ঘ্য হল প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার। দু’প্রান্তের প্রায় ৩৫ মিটার উঁচু স্তম্ভ থেকে এই সেতুকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। জাহাজ এলেই সরে যাবে সেতু। সেজন্য পাম্বান সেতুর মাঝ বরাবর ৭২.৫ মিটার লম্বা এবং ৬৪০ টনের উলম্ব অংশ আছে, যা ১৭ মিটার পর্যন্ত উঠে যাবে। সেতু উঠে যাওয়ার সময় যাতে রেললাইনের সংযোগ এবং ওভারহেড তারের সংযোগ কোনওভাবে বিচ্ছিন্ন না হয়, সেজন্য বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেতু সরে যেতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগবে। এর ফলে জাহাজ চলাচল করতে পারে। রেলের (Vertical Lift Railway Sea Bridge) তরফে দাবি করা হয়েছে, নয়া পাম্বান সেতুর ফলে একদিকে যেমন সহজেই বড় জাহাজ চলাচল করত পারবে, তেমনই ট্রেন পরিষেবা আরও ভালো হবে।

    খরচ হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা

    জানা যায়, রামেশ্বরমকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে ১৯১৪ সালে পাম্বান ব্রিজ তৈরি করেছিল ব্রিটিশরা। নয়া ব্রিজ (New Pamban Bridge) নির্মাণ করতে ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ব্রিজের ক্ষেত্রে স্টেনলেস স্টিল এবং বিশেষ রং ব্যবহার করা হয়েছে। সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৭৫ কিমি বেগে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে নতুন ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের নকশায় আধুনিক প্রযুক্তিতে এই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

  • PM Modi: দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির, অযোধ্যায় ভক্তের ঢল

    PM Modi: দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির, অযোধ্যায় ভক্তের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশবাসীর জীবনে নতুন উদ্দীপনা কামনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “রামনবমী উপলক্ষে সমস্ত দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। ভগবান শ্রী রামের জন্মোৎসবের এই পবিত্র সময় যেন আপনাদের সকলের জীবনে নয়া চেতনা ও সজীব উদ্দীপনা আনে এবং একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও সক্ষম ভারত গঠনের সঙ্কল্পকে অবিরাম নতুন শক্তি প্রদান করে। জয় শ্রী রাম।” এদিন, রাম নবমী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী যাবেন তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের রামনাথস্বামীর মন্দিরে। পরে সেখানে তিনি একটি সেতুর উদ্বোধন করবেন।

    দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতিরও

    দেশবাসীকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “রামনবমীর পবিত্র উৎসবে দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। এই উৎসব ধর্ম, ন্যায় ও কর্তব্যবোধের বার্তা বহন করে।” তিনি লিখেছেন, “মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম মানবজাতির জন্য ত্যাগ, প্রতিশ্রুতি, সম্প্রীতি ও বীরত্বের সর্বোচ্চ আদর্শ (PM Modi) উপস্থাপন করেছেন। তাঁর সুশাসনের ধারণা, যা রামরাজ্য নামে পরিচিত, তা আদর্শ হিসেবে বিবেচিত। আমার শুভ কামনা যে এই শুভদিন উপলক্ষে সব দেশবাসী একটি উন্নত ভারত গঠনের জন্য একত্রিত হয়ে কাজ করার সঙ্কল্প গ্রহণ করবেন।”

    এদিকে, রামনবমী উপলক্ষে অযোধ্যার রাম মন্দিরে কার্যত ঢল নেমেছে ভক্তদের। সরযূ নদীতে স্নান সেরে পুণ্যার্থীরা লাইন দিয়েছেন দেবদর্শন করতে। ব্যাপক ভিড় হয়েছে অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরেও। এই মন্দিরের পুরোহিত মহন্ত রাজু দাস বলেন, “রামনবমী উপলক্ষে আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। এদিন ভোর ৩টেয় মঙ্গল আরতি হয়েছে। রামনবমী উপলক্ষে মন্দিরে ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়েছে। ভক্তরা পুজো দিচ্ছেন। আজ ভগবান শ্রী রামের জন্মদিন। আমি সমস্ত ভক্তকে শুভকামনা জানাই। আমি বিশ্বের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করব।”

    এদিন ভোর থেকে বেলা ৯টা পর্যন্ত লাইনে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন এক ভক্ত। তিনি বলেন, “এখানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ব্যবস্থাপনা খুব ভালো।” বারাণসী থেকে আসা আর এক পুণ্যার্থী বলেন, “আমি রামনবমী (Ram Navami) উপলক্ষে শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরে পুজো দিতে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। দেবদর্শনের পর মনে প্রশান্তি এসেছে (PM Modi)।”

  • Waqf Amendment Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে ব্যাপক সমর্থন অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ডের

    Waqf Amendment Bill 2025: ওয়াকফ বিলকে ব্যাপক সমর্থন অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ডের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের উভয় কক্ষেই পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৫ (Waqf Amendment Bill 2025)। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলটি পরিণত হবে আইনে। এই বিলের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে খাওয়া রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-নেত্রীদের একাংশ। তবে এই বিলকে সমর্থন করেছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ড (Muslim Women Personal Law Board)। শুধু তাই নয়, সরকারকে ওয়াকফ বোর্ডের কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি নারীর অধিকার নিশ্চিত করার অনুরোধও জানিয়েছে।

    প্রেসিডেন্টের বক্তব্য (Waqf Amendment Bill 2025)

    অল ইন্ডিয়া মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট শাইস্তা আম্বর বলেন, “আজকের সরকারের এই পদক্ষেপটি অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল আগের সরকার ও ধর্মীয় নেতাদের।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ইতিবাচক কাজ করা উচিত। যাঁরা ওয়াকফে দান করেন, তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে যে তাঁদের দান গরিবদের জন্য ব্যয় করা হবে। কিন্তু তা হচ্ছিল না। এটা নয় যে সব ওয়াকফ জমি অপব্যবহার হয়েছে, কিন্তু ওয়াকফ বোর্ড সততার সঙ্গে কাজ করেনি এবং তাদের যা করা উচিত ছিল, তা করেনি। আমরা সরকারের কাছ থেকে আশা ও অনুরোধ করি যে যদি বিলটি এসে থাকে, তাহলে ওয়াকফ জমি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে গরিবদের জন্য ব্যবহার করা হোক।”

    পূর্বতন সরকারকে তুলোধনা

    তিনি বলেন, “আজ পর্যন্ত কোনও সরকার মুসলমানদের জন্য কাজ করেনি। তারা শুধু ভোটের রাজনীতি করেছে।” শাইস্তা আম্বার (Waqf Amendment Bill 2025) বলেন, “আমরা বিজেপি সরকারকে অনুরোধ করছি তারা যেন নারীদের অধিকার নিশ্চিত করে এবং ওয়াকফ বোর্ডে স্বচ্ছতা আনে। অন্যান্য দলগুলি এতদিন কী করেছিল? তারা কি ঘুমিয়ে ছিল? আমি বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করছি, এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে, তার প্রেক্ষিতে তারা যেন অবৈধভাবে দখল করা ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধার করতে সাহায্য করে। এজন্য তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” তাঁর প্রস্তাব, মুসলিম সম্প্রদায়ের তালাকপ্রাপ্ত নারীদের জন্য ওয়াকফ সম্পত্তিতে বাসস্থান নির্মাণ করা উচিত। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের (Muslim Women Personal Law Board) অগাস্ট মাসে শাইস্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সময়ই তিনি ওয়াকফ সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কবলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলেন (Waqf Amendment Bill 2025)।

    কী বললেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী?

    এদিকে, এবার ওয়াকফ সংশোধনী বিলের (Waqf Amendment Bill 2025) সমর্থনে মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই আইনটি কোনও মসজিদ, উপাসনালয় বা কবরস্থান স্পর্শ করবে না।” তিনি বলেন, “বিলটি বরং ওয়াকফ বোর্ডগুলির কার্যকলাপে আরও বেশি স্বচ্ছতা আনবে।” প্রাক্তন আইনমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ওয়াকফ কোনও ধর্মীয় সংস্থা নয় বরং একটি আইনি সংস্থা। তিনি বলেন, “বিষয়টি খুবই সহজ ও সরল। ওয়াকফ প্রতিষ্ঠাতা (‘ওয়াকিফ’) যে মহৎ উদ্দেশ্যে ওয়াকফ তৈরি করেছিলেন (Muslim Women Personal Law Board), তা ‘মুতাওয়ালি’ (ব্যবস্থাপক) সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করছেন কি না, তা দেখা হয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “ওয়াকফ কোনও ধর্মীয় সংস্থা নয়, এটি একটি আইনি বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। ‘মুতাওয়ালি’ শুধু একজন তত্ত্বাবধায়ক বা ব্যবস্থাপক। সম্পত্তির ওপর তাঁর কোনও অধিকার নেই। কারণ একবার ওয়াকফ তৈরি হয়ে গেলে সম্পত্তির মালিকানা আল্লাহর কাছে চলে যায়।”

    উপকৃত হবেন মুসলিম মহিলা ও প্রান্তিকরা

    প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই বিলটি মুসলিম নারীদের এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলিকে ক্ষমতায়িত করবে। তাঁর ভাষায়, “এই বিলটি (Waqf Amendment Bill 2025) মুসলিম নারীদের ক্ষমতায়িত করবে এবং এই সম্প্রদায়ের বিধবাদের ও প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করবে।” তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ বিষয়টিকে জবাবদিহিমূলক করা হচ্ছে। সব কিছু অনলাইনে পাওয়া যাবে, ডিজিটাইজেশন করা হবে, আপনি দেখতে পারবেন কোন সম্পত্তি কোথায় আছে, কে মুতাওয়ালি (ব্যবস্থাপক), ওয়াকিফ (যিনি সম্পত্তি উৎসর্গ করেছেন) এর উদ্দেশ্য অনুযায়ী সেই নির্দিষ্ট সম্পত্তি কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই, এখন এই সব কিছুই খুব স্বচ্ছ (Muslim Women Personal Law Board)।”

    ভোট কুড়োতে ‘ওয়াকফ জুজু’!

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ বিল পাশ হতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তোষণের রাজনীতি করে খাওয়া রাজনীতিকরা। তাঁরা মুসলমানদের ‘ওয়াকফ জুজু’ দেখাচ্ছেন। বিলটি পাশ হতেই শুক্রবার (মুসলমানদের কাছে অতি পবিত্র এই দিন জুম্মাবার নামে পরিচিত) মুসলমান অধ্যুষিত কলকাতার পার্কসার্কাসে জমায়েত করে মুসলমানদের কয়েকটি সংগঠন। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, এটি তৃণমূলেরই মস্তিষ্কপ্রসূত। ওয়াকফ (Waqf Amendment Bill 2025) তাস খেলেই তারা পার হতে চাইছে ২০২৬ সালের ভোট বৈতরণী (Muslim Women Personal Law Board)।

  • India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বেগ বাড়াল চিনের। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার (India Sri Lanka Relation) সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহ একগুচ্ছ ইস্যুতে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর প্রথম শ্রীলঙ্কা সফরে শনিবার কলম্বো পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গার্ড অফ অনারে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ মৌ সাক্ষর হয়েছে। প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ডিজিটাল প্ররিকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং বাণিজ্য খাতে চুক্তি হয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কার। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব বিস্তারের মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলি সাক্ষর হয়েছে। চিনের নাম না নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এদিন জানান, ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে শ্রীলঙ্কার মাটি ব্যবহার করতে দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতিতে তিনি ভারতকে আশ্বস্ত করেছেন যে শ্রীলঙ্কা তার ভূমি ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থে প্রতিকূল পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে দেবে না।

    ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে আশ্রয় নয়

    শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলপথ ব্যবহার করে ভারতের নিরাপত্তার বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা দিশানায়েক। ভারতের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর কোনও কাজে শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলভাগকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। বস্তুত, গত কয়েক বছরে চিনের বেশ কিছু জাহাজ শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে, ভারত মহাসাগরে ঘুরপাক খেয়েছে। শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের একাংশ ইজারা নিয়েছে চিন। এই পরিস্থিতিতে মোদির সঙ্গে বৈঠকে অনুরার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    শ্রীলঙ্কায় রাজকীয় অভ্যর্থনা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে

    তিনদিনের সফরে শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে। কলম্বোতে নমোকে স্বাগত জানান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক। তিনদিন পড়শি দেশে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মোদির। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। সেখান থেকেই শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার সকালে মোদি পা রাখেন পড়শি দেশে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও পর্যটন মন্ত্রী বিজিথা হেরাথ, স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যম মন্ত্রী নালিন্দা জয়তিসা, শ্রম মন্ত্রী অনিল জয়ন্ত, মৎস্য মন্ত্রী রামালিঙ্গম চন্দ্রশেখর, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী সরোজা সাবিত্রী পালরাজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কৃষ্ণাথা আবেসেনা। সকলের থেকে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত মোদি।

    ভারত শ্রীলঙ্কা মউ স্বাক্ষর

    দীর্ঘ ৬ বছর পর শ্রীলঙ্কায় গিয়েছেন মোদি (India Sri Lanka Relation)৷ দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ৭টি সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রথম প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। এই ঐতিহাসিক চুক্তি উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা শেষে সই করা হয়৷ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে সই করা স্মারকটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা প্রায় ৩৫ বছর আগে ত্রিনকোমালি এলাকা একটি শক্তি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্য একটি চুক্তি শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলে ভারতের বহুমুখী সহায়তার প্রসারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সই হওয়া ৭টি মউ

    ১. এইচভিডিসি আন্তঃসংযোগের বাস্তবায়নের জন্য (বিদ্যুৎ আমদানি/রফতানি)
    ২. ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য সফল ডিজিটাল সমাধান শেয়ারিংয়ে
    ৩. ত্রিনকোমালি এলাকা শক্তি কেন্দ্র হিসেবে উন্নয়নের পরিকল্পনা
    ৪. ভারত ও শ্রীলঙ্কার সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য চুক্তি
    ৫. শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলের জন্য বহুমুখী গ্রান্ট সহায়তার চুক্তি
    ৬. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি
    ৭. ভারতীয় ফার্মাকোপিয়া কমিশন এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফার্মাকোপিয়াল সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি হয়

    চিন্তা বাড়ল চিনের

    ভারত মহাসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে চিন। গবেষণার নামে ‘নজরদারি’ চালাতে সাগরে ঘোরাফেরা করছে একাধিক চিনা জাহাজ। ভারতের হাঁড়ির খবর বের করাই সেগুলোর লক্ষ্য বলে আশঙ্কা করা করা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে দিল্লি। শ্রীলঙ্কায় নোঙর করার চেষ্টা করছে চিনের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ। এই আবহে মোদির এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। তার মধ্যে ভারত-শ্রীলঙ্কা দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হল প্রতিরক্ষা চুক্তি। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে বেজিংয়ের।

    মৎস্যজীবীদের মুক্তি

    ভারতীয় মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে কখনও কখনও ভুলবশত শ্রীলঙ্কার জলসীমায় প্রবেশ করে যান। এমন বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী এখনও শ্রীলঙ্কার জেলে বন্দি। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের যাতে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া হয়, সে কথাও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন মোদি। বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে অনুরাকে পাশে নিয়ে আবারও সেই কথা বলেছেন তিনি। মোদি বলেন, “মৎস্যজীবীদের বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তাঁদের (মৎস্যজীবীদের) দ্রুত ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাঁদের নৌকাও ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।” পরে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানান, ভারতকে আশ্বস্ত করা হয়েছে ১১ জন মৎস্যজীবীকে শীঘ্রই মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ। আগামী দিনে আরও মৎস্যজীবীকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশাবাদী তিনি।

  • PM Modi: মুকুটে নয়া পালক! শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ পেলেন মোদি

    PM Modi: মুকুটে নয়া পালক! শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ পেলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির মুকুটে নয়া পালক! এবার শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। আজ শনিবারই একথা ঘোষণা করেছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিশানায়েক। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘মিত্র বিভূষণ’ (Mitra Vibhushana) পাওয়ার পরে, এই সম্মান মোদি ১৪০ কোটি ভারতীয়র উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। সম্মান পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারত ও শ্রীলঙ্কার জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং গভীর বন্ধুত্বের প্রতিফলন ঘটাল এই সম্মান। এর জন্য আমি রাষ্ট্রপতি, শ্রীলঙ্কার সরকার এবং এর জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।’’

    স্বাধীনতা স্কোয়ারে প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে দেওয়া হয় সম্মান

    বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) শ্রীলঙ্কা সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্ট্র সফরে একদিকে যেমন সেদেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁকে স্বাগত জানানো হয় দ্বীপরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা স্কোয়ারে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। প্রথম কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে (PM Modi) স্বাধীনতা স্কোয়ারে এভাবে সম্মানজ্ঞাপন করা হয়। অর্থাৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগে অন্য কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতাকে এমন সম্মান দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, শ্রীলঙ্কার সরকারের এমন সম্মানে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

    মিত্র বিভূষণ পদকের বিশ্লেষণ (Mitra Vibhushana)

    মিত্র বিভূষণ বা ধর্মচক্র উভয় দেশের (ভারত ও শ্রীলঙ্কা) সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। এই সম্মানে বৌদ্ধ ঐতিহ্য স্থান পেয়েছে। চালের সজ্জিত একটি উপাদান দেখতে পাওয়া যায় মিত্র বিভূষণ। এটি পুন কলস নামে পরিচিত যা সমৃদ্ধির প্রতীক বলে মনে করা হয়। এরসঙ্গে মিত্রবিভূষণে রয়েছে নবরত্ন (নয়টি মূল্যবান রত্ন)। এই নবরত্ন দুই দেশের (ভারত ও শ্রীলঙ্কার) মধ্যে অমূল্য এবং স্থায়ী বন্ধুতের প্রতীক বলে মনে করা হয়। অবশেষে, পদকে রয়েছে সূর্য ও চন্দ্র। এই দুই প্রতীক অতীত ও ভবিষ্যতের বন্ধনকেই নির্দেশ করে। একইসঙ্গে চন্দ্র ও সূর্য ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক সংযোগকেও প্রতিফলিত করে।

  • Bhutan PM: “প্রধানমন্ত্রী মোদি আমার দাদা, আমার গুরু,” তাইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

    Bhutan PM: “প্রধানমন্ত্রী মোদি আমার দাদা, আমার গুরু,” তাইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আমার দাদা। তিনি আমার গুরু।” শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমনই প্রশস্তি করলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী (Bhutan PM) শেরিং টোবগে। দ্বীপরাষ্ট্র তাইল্যান্ডে শুক্রবার শেষ হয়েছে ষষ্ঠ বিমস্টেকের (BIMSTEC) শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মেলনের ফাঁকেই শেষ দিন হয় ভারত ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। সেখানেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর গলায়। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে টোবগে বলেন, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমার দাদা বলে মনে করি। তিনি আমাকে নির্দেশনা দেন। তাই আমি তাঁকে আমার গুরু বলেও মনে করি। তাঁর সঙ্গে প্রতিটি বৈঠকই আমার জন্য খুব বিশেষ।’’

    মোদি ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ (Bhutan PM)

    ভুটানের প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘আধ্যাত্মিক নেতা’ বলেও অভিহিত করেন। আমেরিকান পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে তাঁর পডকাস্টের প্রশংসা করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাগুলি শুনতে শুনতে আমার মনে হচ্ছিল, আমি যেন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর কথা শুনছি।” তিনি জানান, পডকাস্টটি তিনি ইংরেজি এবং হিন্দি উভয় ভাষায়ই শুনেছেন। শেরিং টোবগে (Bhutan PM) বলেন, ‘‘আমি লেক্স ফ্রিডম্যানের প্রধানমন্ত্রী মোদির সাক্ষাৎকার শুনেছি। আমি এটি ইংরেজিতে শুনেছি। হিন্দিতেও শুনেছি। যদিও আমি খুব বেশি হিন্দি বুঝি না। তবে আমি এটি মূল ভাষায় শুনতে চেয়েছিলাম। আমি প্রধানমন্ত্রীকে সে কথা জানিয়েওছি।” তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বলেছিলাম, দাদা, আমি সেই পডকাস্টটি শুনেছি এবং আমি একজন আধ্যাত্মিক নেতাকে দেখেছি। আমার মনে হচ্ছিল আমি যেন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর ভাষণ শুনছি। এটি খুবই আধ্যাত্মিকভাবে পরিপূর্ণ ছিল।’’

    ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকায় জোর

    বিমস্টেকের মধ্যে ভারত সব চেয়ে বড় দেশ। তাই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “এই বৈঠকের সময় আমরা খুব সংক্ষেপে বিমস্টেকের কার্যক্রম ও ভারতের নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। কারণ ভারত বিমস্টেকের সব চেয়ে বড় সদস্য রাষ্ট্র, সব চেয়ে জনবহুল সদস্য রাষ্ট্র, সব চেয়ে বড় অর্থনীতি এবং বিমস্টেক অঞ্চলের সব চেয়ে শক্তিশালী দেশ। আমরা ভারতের নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সেই নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তাই আমি বলেছি যে বিমস্টেকের জন্য অনেক ভালো কিছু (Bhutan PM) পাওয়া সম্ভব হচ্ছে।”

LinkedIn
Share