Tag: PM Modi

PM Modi

  • Modi Maa Durga Aarti: সকলের সুখ ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনায় অষ্টমী সন্ধ্যায় দিল্লিতে মা দুর্গার আরতি করলেন মোদি

    Modi Maa Durga Aarti: সকলের সুখ ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনায় অষ্টমী সন্ধ্যায় দিল্লিতে মা দুর্গার আরতি করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নবরাত্রি (Navratri)৷ দুর্গাপুজোর নবমী (Maha Navami) তিথি পড়ে গিয়েছে৷ এই আবহে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গাপুজোর মণ্ডপে দেবী দর্শনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Maa Durga Aarti)৷ করলেন আরতি-প্রার্থনা৷ তিনি নিজে পুজো মণ্ডপে আরতি করার ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ রাজধানীর বুকে সিআর পার্ক (PM Modi CR Park Puja) একখণ্ড ‘বঙ্গভূমি’ বলেই পরিচিত৷ দিল্লিতে পুজোর সময় বাঙালিদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য হয়ে ওঠে সিআর পার্কের পুজো৷ এই পুজো ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠে দিল্লি৷ শহরের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালি এবং অন্য ভাষাভাষিরাও এখানে আসেন৷ এবার এই পুজোয় সামিল হলেন প্রধানমন্ত্রী৷

    দুর্গামণ্ডপ ও কালীবাড়িতে আরতি মোদির

    দু’দিন আগে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল কলকাতার দুর্গাপুজোর কথা। মহাষ্টমীর রাতে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি হাজির হলেন রাজধানীর দুর্গাপুজোর মণ্ডপে। নয়াদিল্লির প্রখ্যাত বাঙালি মহল্লা চিত্তরঞ্জন পার্কের মণ্ডপে গিয়ে মঙ্গলবার পূজাপাঠ করলেন প্রধানমন্ত্রী (Modi Maa Durga Aarti)। এদিন সন্ধ্যায় পদ্মফুল হাতে নিয়ে পুজোয় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। নিজে হাতে দেবীর আরতি করেন তিনি। ভক্তিভরে প্রণাম করেন দেবীকে। মহিলারা উলুধ্বনি ও শঙ্খ বাজিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। সঙ্গে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং স্থানীয় বিজেপি সাংসদ বাঁশুরী স্বরাজ। পাশাপাশি, চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীবাড়িতে মা কালীকেও এদিন আরতি করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এই প্রথমবার চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গাপুজোয় হাজির থাকলেন নরেন্দ্র মোদি।

    সমাজমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর

    প্রথমে কথা ছিল ষষ্ঠীতে সিআর পার্কের পুজোয় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। এরপর এসপিজি, দিল্লি পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেডের তরফ থেকে চিত্তরঞ্জন পার্কের কালীমন্দিরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানানো হয় ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমীর দিন আসবেন মোদি। দুর্গামণ্ডপ এবং কালীবাড়িতে নিজের উপস্থিতির ছবি এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেন মোদি। ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নেন তার ভিডিও। সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বাংলাতে পোস্টও করেন। লেখেন, ‘‘আজ মহাষ্টমীর পুণ্যদিনে আমি দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের দুর্গাপুজোয় অংশ নিতে গিয়েছিলাম। চিত্তরঞ্জন পার্ক, বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আমাদের সমাজের ঐক্য ও সাংস্কৃতিক প্রাণময়তার প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠে এই অনুষ্ঠানগুলিতে। সকলের সুখ ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছি আমি (Modi Maa Durga Aarti)।’’

  • MEA Slams NATO: ‘‘বিবৃতি দেওয়ার আগে তথ্য যাচাই করবেন’’! নেটো প্রধানকে সতর্ক করল ভারত

    MEA Slams NATO: ‘‘বিবৃতি দেওয়ার আগে তথ্য যাচাই করবেন’’! নেটো প্রধানকে সতর্ক করল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেটোর মহাসচিব মার্ক রুট সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, মার্কিন শুল্কবাণ ঠেকাতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ফোন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর আরও দাবি ছিল, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে সম্প্রতি ফোনে আলোচনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এবার, নেটো প্রধানের করা সেই বক্তব্যের কড়া জবাব দিল ভারত। রুটের দাবি সরাসরি খারিজ করে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘‘তথ্যগত ভাবে ভুল এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি করবেন না।’’ সেইসঙ্গে, নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (নেটো) প্রধানকে নয়াদিল্লির সতর্কবার্তা, ‘‘ভবিষ্যতে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়ার আগে সঠিক তথ্য যাচাই করবেন।’’

    কী বলল বিদেশমন্ত্রক?

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ফোনালাপ প্রসঙ্গে নেটো প্রধান রুটের বয়ান শুনেছি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই এই বয়ান সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। নেটো প্রধানের এই মন্তব্য তথ্যের দিক দিয়ে পুরোপুরি ভুল এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রধানমন্ত্রী মোদি শুল্ক ইস্যুতে কোনও আলোচনা করেননি পুতিনের সঙ্গে। ফলে যে দাবি করা হচ্ছে তার কোনও অর্থ নেই।” নেটো প্রধানের দাবিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য বলে উল্লেখ করেছেন জয়সওয়াল। তিনি বলেন, “নেটোর মতো এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকদের কাছ থেকে আমরা আশা করব তাঁরা যেন এই ধরনের বিবৃতি দেওয়ার আগে সঠিক তথ্য যাচাই করবেন। নেটোর মতো প্রতিষ্ঠান যে দায়িত্ববান হবে, সেটাই আমরা আশা করি। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এই ধরনের টিপ্পনী কখনই গ্রহনযোগ্য নয়। এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার নজির।”

    মার্কিন শুল্কের জবাব

    সাম্প্রতিক অতীতে ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যেভাবে চড়াই- উতরাই পেরিয়েছে। প্রথমে ২৫ শতাংশ ও পরে রাশিয়ার তেল কেনার অভিযোগে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে ভারতের উপর। সবমিলিয়ে মোট মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। আমেরিকা দাবি করেছে যে, রাশিয়ার থেকে জ্বালানি তেল কেনার জেরে তারা ভারতের উপর এই শুল্ক চাপিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে পরোক্ষভাবে মদত মিলছে ভারতের তেল কেনার মাধ্যমে। যার পরই নয়াদিল্লি স্পষ্ট করে দেয় যে, “ভারত তার জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে যা যা ব্যবস্থা অবলম্বন করা দরকার, তা করবে।” জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমি আবারও বলতে চাই যে, দেশের জনগণের জ্বালানি চাহিদা পূরণ করা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। এই প্রচেষ্টায়, আমরা গোটা বিশ্বের বাজার দেখে সিদ্ধান্ত নিই।’’

    রুশ সেনায় ভারতীয়দের নিয়ে কথা

    এর মাঝে বৃহস্পতিবার আসে নেটো প্রধানের বয়ান। যেখানে তিনি দাবি করেন, ‘‘ভারতের উপর ট্রাম্পের শুল্ক চাপানোর বড় প্রভাব পড়ছে রাশিয়ায়। দিল্লি থেকে পুতিনকে ফোন করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ইউক্রেন নিয়ে প্রশ্ন করছেন। ইউক্রেন সম্বন্ধে পুতিনের অবস্থান জানতে চাইছেন বার বার।” এবার পালটা বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এই দাবি নিতান্ত জল্পনা বা ভাবনা-চিন্তা না করেই মন্তব্য৷ এই ধরনের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়৷ তিনি যোগ করেন, ২৭ জন ভারতীয় নাগরিককে রাশিয়ার সেনাবাহিনী থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে৷ নয়াদিল্লি জানতে পেরেছে, আরও অনেক ভারতীয় রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে ভাড়াটে সেনার কাজ করছে৷ তাঁদের পরিবারের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে এই মুহূর্তে ২৭ জন ভারতীয় রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন৷ আমরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি৷ আমরা আবারও সব ভারতীয়ের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবের ফাঁদে পা দেবেন না৷ এই কাজ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং জীবনের ঝুঁকি রয়েছে৷’’

  • BSNL swadeshi 4G network: দেশজুড়ে বিএসএনএল-এর স্বদেশি ৪জি পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    BSNL swadeshi 4G network: দেশজুড়ে বিএসএনএল-এর স্বদেশি ৪জি পরিষেবার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) হাত ধরে দেশজুড়ে চালু হল চালু হল রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল-এর সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৪জি পরিষেবা (BSNL swadeshi 4G network)। শনিবার ওড়িশার ঝাড়সুগদা থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ৯৭ হাজার ৫০০ বিএসএনএল ৪জি টাওয়ারের। ৩৭ হাজার কোটি টাকা দিয়ে এই স্বদেশি প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। সংস্থার আশা, এর ফলে আরও হাইস্পিড ইন্টারনেট, কম কলড্রপ এবং উন্নত কানেক্টিভিটি পাবেন গ্রাহকরা। শনিবার উদ্বোধন হতে চলা টাওয়ারগুলির মধ্যে রয়েছে কলকাতা সার্কেলের ১৬০০টি এবং পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের ২ হাজার ১৪৮টি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) শনিবার ওড়িশা থেকে দাঁড়িয়ে বলেন, “টেলিকমে ভারত গ্লোবাল ম্যানুফাকচারিং হাব হয়ে উঠছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পোস্ট রি-পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিন্ধিয়া তুলে ধরেছেন বিএসএনএলের ৪জি স্বদেশি (BSNL swadeshi 4G network) স্পিরিটকে। ৯২ হাজার সাইট জুড়েছে ২.২০ কোটি মানুষকে। এটা ভারতের নির্ভরতা থেকে আত্মবিশ্বাস, কর্মসংস্থান, রফতানি, আর্থিক উন্নয়ন ও আত্মনির্ভর ভারতের যাত্রাকে তুলে ধরেছে।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান যে, স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিএসএনএলের নেটওয়ার্ক প্রত্যন্ত এলাকা, সীমান্তবর্তী এলাকায় যোগাযোগ স্থাপন করবে। সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘এটি টেলিকম খাতের জন্য একটি নতুন যুগ, এমন একটি যুগ যেখানে ভারত বিগ ফোরের ডোমেনে প্রবেশ করেছে, যা বিশ্বে টেলিকম সরঞ্জাম উৎপাদন করে। ডেনমার্ক, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া, চিন, বড় চারটি দেশ এবং বড় পাঁচটি কোম্পানি। ভারত এখন বিশ্বের ইতিহাসে পঞ্চম দেশ এবং ষষ্ঠ কোম্পানি যারা টেলিকম সরঞ্জাম উৎপাদন করে।’’

    কী বলছে বিএসএনএল?

    উল্লেখ্য, এই স্বদেশী ৪জি পরিষেবার (BSNL swadeshi 4G network) নেপথ্যে রয়েছে তেজস নেটওয়ার্ক, টিসিএস এবং সি-ডট। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, প্রতিযোগিতায় আগেই পিছিয়ে পড়েছে বিএসএনএল। প্রশ্ন উঠছে, বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি এক যুগ আগে ৪জি পরিষেবা এনেছিল। তারা এখন ৪জি পেরিয়ে, এমনকী ৫জি পেরিয়ে ৬জি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। ফলে, অন্যান্য টেলিকম সংস্থার উন্নত ৫জি নেটওয়ার্কের ভিড়ে আদৌ কতটা সাড়া ফেলবে বিএসএনএল-এর দেশীয় ৪জি পরিষেবা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। যদিও, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দাবি করেছেন, বিএসএনএল-এর ৪জি টাওয়ারগুলিতে (BSNL swadeshi 4G network) সফ্টওয়্যার আপডেট করলেই ৫জি পরিষেবা মিলবে। বিএসএনএল জানিয়েছে, আগামী দিনে ৪জি এবং ৫জি—দুই ক্ষেত্রেই পরিষেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী জায়গা করে নিতে চায় তারা, যাতে বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যায়।

  • GST 2: চালু হয়ে গেল নয়া জিএসটি কাঠামো, দাম কমছে কোন কোন জিনিসের?

    GST 2: চালু হয়ে গেল নয়া জিএসটি কাঠামো, দাম কমছে কোন কোন জিনিসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর উপহার দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন নয়া জিএসটি কাঠামো (New GST Structure)। ২২ সেপ্টেম্বর দেবীপক্ষ থেকেই দেশজুড়ে চালু হয়ে গেল নয়া পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) (GST 2)। এতদিন জিএসটির স্তর ছিল চারটি – ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ। নয়া ব্যবস্থায় বাতিল করা হয়েছে ১২ এবং ২৮ শতাংশের স্তর। তাই আজ, সোমবার থেকে সমস্ত পণ্যের ওপর জিএসটি থাকবে ৫ কিংবা ১৮ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এদিন থেকেই কমে যাবে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসের দামই। প্রসঙ্গত, ৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কর ব্যবস্থা সংস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেটাই এবার চালু হচ্ছে এদিন থেকে।

    আজ থেকেই কমছে দাম (GST 2)

    সোমবার থেকেই নবরাত্রি উৎসবে মেতেছেন দেশের একটা বড় অংশের মানুষ। জিএসটি সংস্কারের ফলে উৎসবের মরশুমে আমআদমির হেঁশেলে স্বস্তি ফিরবে তো বটেই, অনেকটা ছাড় মিলবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য মায় সাজসজ্জার মতো সরঞ্জামেও। রবিবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নয়া জিএসটি ব্যবস্থার কথা দেশবাসীকে মনেও করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আগেই জিএসটি সংস্কারকে দ্বিগুণ দীপাবলি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। জানা গিয়েছে, জিএসটি বদলের ক্ষেত্রে সব চেয়ে জরুরি বিষয় হল, ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই নয়া দাম কার্যকর হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আর পুরানো দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না। যদি কোনও পণ্য পুরনো স্টকের হয় এবং এমআরপি বেশি লেখা থাকে, তাও স্টিকার বসিয়ে নয়া দামই নিতে হবে।

    সস্তা হচ্ছে এই সব জিনিস

    এবার দেখে নেওয়া যাক এদিন থেকে কমছে কোন কোন জিনিসের দাম। বাড়ছেই (GST 2) বা কোন কোন পণ্যের দাম। নয়া জিএসটি ব্যবস্থায় দুধ, ছানা, পনির, রুটি এবং পাউরুটির মতো পণ্যে এখন আর কোনও কর দিতে হবে না (New GST Structure)। কারণ এই সব পণ্য কিনলে জিএসটি দিতে হত ৫ শতাংশ। সোমবার থেকে এগুলি কিনলে আর কোনও জিএসটি দিতে হবে না। জিএসটি মুক্ত হচ্ছে পেন্সিল, শার্পনার, ছবি আঁকার রং, খাতা, মানচিত্র, চার্ট এবং গ্লোবের মতো প্রয়োজনীয় শিক্ষা সরঞ্জাম। জিএসটি দিতে হবে না জীবনবিমা এবং যে কোনও ধরনের স্বাস্থ্যবিমার ক্ষেত্রেও।

    দাম কমছে এসবেরও

    দাম কমছে কনডেন্সড মিল্ক, মাখন, ঘি, তেল, পশুচর্বি, সসেজ, প্রিজার্ভড বা রান্না করা মাংস, মাছ, চিনি, পাস্তা, নুডলস, স্প্যাগোটি, চিজ এবং দুগ্ধজাত যাবতীয় পণ্যেরও। এতদিন এসব জিনিস কিনলে জিএসটি দিতে হত ১২ শতাংশ। সেটাই এখন কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। সস্তা হচ্ছে (GST 2) বাদাম, খেজুর, আনারস, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম-সহ অন্যান্য ফলও। কারণ এসব ক্ষেত্রেও জিএসটির হার কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিয়েই কেনা যাবে জ্যাম, জেলি, মাশরুম, ইস্ট, সর্ষে, সয়াবিন, ভুজিয়া এবং পানীয় জলের ২০ লিটারের বোতল। এতদিন এগুলি কিনতেই দিতে হত ১২ শতাংশ জিএসটি। সস্তা হচ্ছে মধু, মিছরি, চকোলেট, কর্নফ্লেক্স, কেক, পেস্ট্রি, স্যুপ, আইসক্রিম এবং জিলেটিনও। ২২ সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত এগুলি কিনতে গেলে গুণতে হত ১৮ শতাংশ জিএসটি (New GST Structure)। এখন তা কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাত্র ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে একাধিক জীবনদায়ী ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, থার্মোমিটার, অক্সিজেন এবং গ্লুকোমিটার কিনলে। ২২ তারিখ থেকেই যাতে দাম কমে, তা নিশ্চিত করতে মূল্য সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফার্মেসিগুলিতে। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক গাড়িতেও জিএসটি নেওয়া হবে ৫ শতাংশ।

    সস্তায় মিলবে এই সব জিনিসও

    দাম কমছে (GST 2) টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন এবং রেফ্রিজারেটরেরও। এতদিন এগুলি কিনতে গেলে জিএসটি দিতে হত ২৮ শতাংশ। সেটাই এখন কমে হয়েছে ১৮ শতাংশ। ১৮ শতাংশ জিএসটি গুণতে হবে ছোট গাড়ি, ৩৫০ সিসির নীচে বাইকের দাম। ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে জুতো, জামাকাপড়, টুথপেস্ট, ব্রাশ, ট্যালকম পাউডার, শেভিং ক্রিম, চুলের তেল, সাবান, বাসনকোসন, ছাতা, বাইসাইকেল এবং বাঁশের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র কিনতে গেলে। খরচ কমবে স্পা, জিম, যোগব্যায়াম কেন্দ্র এবং বিভিন্ন হেলথ ক্লাবের। দাম কমছে সিমেন্ট, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, সার ট্রাক্টরের সরঞ্জাম এবং সেলাই মেশিনেরও (New GST Structure)।

    দাম বাড়ছে যে সব জিনিসের

    এদিকে, দাম (GST 2) বাড়ছে বিলাসবহুল গাড়ি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট জেট, রেসিংকার, পান মশলা, বাড়তি চিনি মিশ্রিত পানীয়, কার্বন যুক্ত পানীয়, সিগারেট, চুরুট এবং তামাকজাত যাবতীয় পণ্যের। এসব কিনতে গেলে গুণতে হবে ৪০ শতাংশ হারে জিএসটি।

  • Manipur Violence: সন্ত্রাসী হামলায় রক্তাক্ত মনিপুর, অসম রাইফেল্‌সের কনভয়ে গুলি! হত দুই জওয়ান, জখম ছয়

    Manipur Violence: সন্ত্রাসী হামলায় রক্তাক্ত মনিপুর, অসম রাইফেল্‌সের কনভয়ে গুলি! হত দুই জওয়ান, জখম ছয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্ত ঝরল মণিপুরে (Manipur Violence)। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী অসম রাইফেল্‌সের গাড়িতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালায়। গুলির লড়াইয়ে দু’জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অন্তত ছয় জন। হামলার পরেই ওই অঞ্চলে বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। শুরু হয়েছে পাহাড়-জঙ্গল ঘিরে চিরুনি তল্লাশি।

    কীভাবে হামলা

    প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, অসম রাইফেলসের জওয়ানদের নিয়ে একটি ‘টাকা ৪০৭’ গাড়ি রাজধানী ইম্ফল থেকে বিষ্ণুপুরের উদ্দেশে আসছিল। পথে নাম্বোল সবাল লেইকাই এলাকায় অতর্কিতে ওই গাড়ির উপর হামলা চালায় বন্দুকবাজের দল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জওয়ানের। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন তাঁদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অতর্কিত হামলার পর এলাকা ছেড়ে জঙ্গলের দিকে চম্পট দেয় বন্দুকবাজরা। তাদের খোঁজে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল যে রাস্তার উপর এই হামলা চলেছে কয়েকদিন আগে এই রাস্তা ধরেই গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ

    হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পর শহিদ জওয়ানদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা। এক্স হ্যান্ডেলে মণিপুর রাজভবনের তরফে লেখা হয়েছে, ‘আজ সন্ধ্যায় মণিপুরে নিরাপত্তাবাহিনীর উপর যে হামলা চালানো হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই ঘটনায় অসম রাইফেলসের দুই বীর জওয়ান শহিদ হয়েছেন। রাজ্যপাল মর্মান্তিক এই ঘটনায় শহিদ পরিবারের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়েছেন। দেশরক্ষায় তাঁদের বীরত্ব ও নিষ্ঠা স্বীকৃতির দাবিদার। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন রাজ্যপাল।’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘এই ধরনের কাপুরুষোচিত হামলা কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য প্রশাসন কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেবে। অপরাধীরা যোগ্য জবাব পাবে।’ প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী কুকি জঙ্গিরাই এই হামলা চালিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। সম্প্রতি ওই এলাকা থেকে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (AFSPA) প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

  • PM Modi: সুশীলা কার্কির সঙ্গে কথা মোদির, নেপালের পাশে থাকার আশ্বাস ভারতের

    PM Modi: সুশীলা কার্কির সঙ্গে কথা মোদির, নেপালের পাশে থাকার আশ্বাস ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কার্কির (Sushila Karki) সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর মতে, এই আলোচনা আন্তরিক এবং গঠনমূলক। ফোনালাপের সময় প্রধানমন্ত্রী নেপালে সাম্প্রতিক মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর সমবেদনাও জানান। প্রতিবেশী দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে নেপালের পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী ফের একবার সুশীলাকে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর নেপালের জাতীয় দিবস উপলক্ষে কার্কি ও নেপালের জনগণকে শুভেচ্ছাও জানান প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মিসেস সুশীলা কার্কির সঙ্গে আন্তরিক কথোপকথন হয়েছে। সাম্প্রতিক মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানিয়েছি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রচেষ্টায় ভারতের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছি। এছাড়া, আগামীকাল নেপালের জাতীয় দিবস উপলক্ষে তাঁকে এবং নেপালের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।” প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্মভার গ্রহণের জন্য কার্কিকে অভিনন্দন জানান এবং তাঁর নিয়োগকে ‘নারী ক্ষমতায়নে’র এক উজ্জ্বল উদাহরণ আখ্যা দেন। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, “ভারত ও নেপাল যৌথ ইতিহাস, বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পালাবদলের সময় নয়াদিল্লি প্রতিবেশী দেশের মানুষের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।” তিনি বলেছিলেন, “আমি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে কার্কিকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি নিশ্চিত যে তিনি নেপালে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করবেন (PM Modi)।”

    নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী

    সুশীলা কার্কি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি নেপালের শীর্ষ আদালতের ওই পদে বসেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ায় তিনিই হলেন নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীও। প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁর নিয়োগের কয়েকদিনের মধ্যেই নেপালে অবসান ঘটেছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার। এই অনিশ্চিয়তার সৃষ্টি হয়েছিল সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে হওয়া জেন জেডের আন্দোলনের জেরে, কেপি শর্মা অলি পদত্যাগে বাধ্য হওয়ার পর (Sushila Karki)।

    নেপালের রাষ্ট্রপতি, শীর্ষ সামরিক কর্তারা এবং আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী যুব আন্দোলনকারীদের বৈঠকের পর কার্কিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মনোনীত করা হয়। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেল বলেন, “অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী কার্কির নেতৃত্বে গঠিত নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছ’মাসের মধ্যে নতুন সংসদীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে (PM Modi)।”

  • PM Modi: নিলামে তোলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১৩০০-রও বেশি উপহার, বেস প্রাইস কত জানেন?

    PM Modi: নিলামে তোলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১৩০০-রও বেশি উপহার, বেস প্রাইস কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিদেশ থেকে ১ হাজার ৩০০-রও বেশি উপহার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে দেবী ভবানীর একটি মূর্তি, অযোধ্যার রাম মন্দিরের একটি মডেল এবং ২০২৪ প্যারা-অলিম্পিক গেমস থেকে পাওয়া ক্রীড়া স্মারকও। বুধবার থেকে শুরু হওয়া ই-নিলামে (E Auction) তোলা হয়েছে এগুলিই। এদিনই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন। এদিনই অনলাইনে নিলামের সপ্তম সংস্করণের সূচনা হয়েছে। এই ই-নিলাম চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত।

    বেস প্রাইস (PM Modi)

    পিএম মেমেন্টোজ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, দেবী ভবানীর মূর্তিটির বেস প্রাইস ধরা হয়েছে ১ কোটি ০৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা, আর রাম মন্দিরের মডেলের বেস প্রাইস ৫.৫ লাখ টাকা। সংস্কৃতি মন্ত্রকের কর্তারা জানান, এই দুটি সামগ্রী-সহ প্যারা-অলিম্পিক পদকজয়ীদের তিন জোড়া জুতো (প্রতিটি জোড়ার বেস-প্রাইস ৭.৭ লাখ টাকা) বেস প্রাইসের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচে রয়েছে। ই-নিলামের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের সূক্ষ্ম সূচিকর্ম করা পশমিনা শাল, রাম দরবারের একটি তাঞ্জোর চিত্রকর্ম, ধাতুর তৈরি নটরাজ মূর্তি, গুজরাটের রঙ্গন আর্টে আঁকা ‘ট্রি অফ লাইফ’ এবং হাতে বোনা নাগা শাল (PM Modi)।

    ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প

    উল্লেখ্য, ই-নিলামের প্রথম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দেওয়া হাজার হাজার অনন্য উপহার নিলামে তোলা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পের জন্য।” কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া ১,৩০০-রও বেশি উপহার অনলাইনে নিলামে তোলা হবে।” এসব সামগ্রী প্রদর্শিত হচ্ছে ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্টে। আগের বছরগুলির মতো এবারও ই-নিলাম থেকে প্রাপ্ত সমস্ত অর্থ ব্যয় করা হবে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্পে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “ই-নিলাম (E Auction) শুধু ইতিহাসের একটি অংশ সংগ্রহের সুযোগই নয়, বরং একটি মহৎ মিশনে অংশগ্রহণের সুযোগও — আমাদের পবিত্র নদী গঙ্গা সংরক্ষণে (PM Modi)।”

  • PM Modi: মোদির দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করলেন কলম্বোর মুসলমানরা

    PM Modi: মোদির দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করলেন কলম্বোর মুসলমানরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করলেন মুসলমানরা (Muslim Community)। আজ্ঞে হ্যাঁ, শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ঘোর বাস্তব। যাঁরা প্রচার করে বেড়ান বিজেপি মুসলমান বিরোধী, তাঁদের গালে কষিয়ে থাপ্পড় মারল মুসলমানদের এই বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন। এদিন ৭৫ বছরে পা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ-বিদেশের রাজনীতিকরা তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বহু সাধারণ মানুষও বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে।

    মুসলিমদের বিশেষ প্রার্থনা (PM Modi)

    শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় বোহরা মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা মসজিদে বিশেষ প্রার্থনা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে। ওই বিশেষ প্রার্থনার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, মোদির সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং ভারতের সেবা অব্যাহত রাখার জন্য প্রার্থনা করছেন তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ক্রমেই দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ‘আন্তর্জাতিক’ হয়ে উঠছেন, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে নেপালেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপক প্রশংসা করেছেন সে দেশের নাগরিকদের একটা বড় অংশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ব্রিটিশ দক্ষিণপন্থী নেতা টনি রবিনসনও।

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা

    এদিন মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বহু আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনেতাও। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোদির নেতৃত্বের প্রশংসাও করেছেন অনেকে। প্রধানমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, অনুপম খের এবং আলিয়া ভাট-সহ বলিউডের বহু প্রখ্যাত তারকা। ক্রীড়া জগতের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক জগতের লোকজনও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর অবদানও স্মরণ করা হয়েছে (PM Modi)।

    বারাণসী লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এদিন বারাণসী কার্যত হয়ে উঠেছিল উৎসবমুখর। দশাশ্বমেধ ঘাটে সিটি সাউথের বিধায়ক নীলকণ্ঠ তিওয়ারি আন্নপূর্ণা ঋষিকুল ব্রহ্মচার্য আশ্রম এবং শাস্ত্রার্থ মহাবিদ্যালয়ের ১০৮ জন বৈদিক পণ্ডিতের সঙ্গে মিলিত হন। তাঁরা একযোগে গঙ্গায় দুধাভিষেক সম্পন্ন করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও ভারতের সমৃদ্ধির জন্য বৈদিক মন্ত্র পাঠ করেন। পরে সন্ধ্যায় নমো ঘাটে বিশেষ গঙ্গা আরতিরও আয়োজন করা হয়। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে সন্ন্যাসীরা বিশেষ পুজোর আয়োজন করেন। ১১০০টি পদ্মফুল দ্বারা সহস্রার্চনা এবং মহারুদ্রাভিষেকও হয় মোদির (Muslim Community) সুস্বাস্থ্য, দেশের ঐক্য ও বিশ্বশান্তির জন্য। ফল বিতরণ করা হয় হাসপাতাল, অনাথ আশ্রম এবং বৃদ্ধাশ্রমে (PM Modi)।

  • PM Modi: “নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও ভয় পায় না”, জন্মদিনে বললেন মোদি

    PM Modi: “নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও ভয় পায় না”, জন্মদিনে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা নয়া ভারত। এই ভারত কাউকে ভয় পায় না। নয়া ভারত পরমাণু হামলার হুমকিকেও (Nuclear Threats) ভয় পায় না। ভারতীয় সেনা ঘরে ঢুকে শত্রুদের নিকেশ করে আসতে পারে।” বুধবার ৭৫তম জন্মদিনে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন মধ্যপ্রদেশের ধর এলাকায় সরকারি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই ফের একবার পাকিস্তান ও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের ভিডিওর কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, “আমাদের সেনারা পাকিস্তানের হাঁটু ভেঙে দিয়েছে।”

    জইশ কমান্ডারের স্বীকারোক্তিই ঠিক (PM Modi)

    তিনি বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের স্বীকারোক্তিই ঠিক। পাকিস্তানের চোখের পলক পড়ার আগেই অপারেশন সিঁদুরে ওদের হাঁটু ভেঙে দেওয়া হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারের কাছে সর্বোচ্চ প্রাধান্য হল ভারতমাতাকে রক্ষা করা। পাকিস্তানি জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনের সিঁদুর মুছে দিয়েছিল। আমরা অপারেশন সিঁদুরে ওদের নাম ও নিশান মুছে দিয়েছি। চোখের পলক পড়ার আগেই ওদের ধরাশায়ী করে দিয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী।” তিনি বলেন, “গতকালই দেশ তথা তামাম বিশ্ব সাক্ষী থেকেছে আর এক জঙ্গি কীভাবে কেঁদে কেঁদে বর্ণনা দিয়েছে। জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারই পাকিস্তানের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারের এই স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে যে নতুন ভারত কেবল দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসের জবাবই দেয় না, বরং কারও পারমাণবিক হুমকিকেও ভয় পায় না।”

    আসিম মুনিরের হুমকি

    তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির পরমাণু যুদ্ধের ভয় দেখিয়ে গোটা বিশ্বকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন। ইসলামাবাদ বলছে, ভবিষ্যতে ভারত-পাক যুদ্ধ হলে অর্ধেক দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে।” এর পরেই মোদি (PM Modi) বলেন, “নতুন ভারত এমন হুমকিকে ভয় পায় না। ভারতীয় সেনা যেভাবে পহেলগাঁওয়ে হামলা চালানো জঙ্গিদের খতম করেছে, তেমনই দেশের মাটিতে ঢুকে যারা নাশকতা চালাতে আসবে, তাদেরও ধ্বংস করবে (Nuclear Threats)।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে আমরা জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে দিয়েছি। জইশের জঙ্গিরাই পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছে।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরি বলেছিলেন, “ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরে ভাওয়ালপুরে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে মাসুদ আজহারের পরিবার।”

    মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির ভিডিও বার্তা

    মাসুদ ইলিয়াস কাশ্মীরির ভিডিও বার্তায় দেখা গিয়েছে, এই জঙ্গি নেতাকে ঘিরে রয়েছেন পাক সেনার কয়েকজন আধিকারিক। অপারেশন সিঁদুরের পর এতদিন ধরে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিল জইশ নেতারা। এই প্রথম তাঁরা সংগঠনের বিরাট ক্ষতির কথা কবুল করে নিলেন নিজেরাই। শুধু তাই নয়, তিনি জইশের দিল্লি ও মুম্বই হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পাকিস্তানের বালাকোট অঞ্চলের গুরুত্বের কথাও। তিনি (PM Modi) বলেন, “তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর আমির-উল-মুজাহিদিন মওলানা মাসুদ আজাহার পাকিস্তানে ফিরে আসেন। তাঁর চিন্তা ও কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বালাকোটের মাটি তাঁকে আশ্রয় দেয়। এখানকার প্রতিটি (Nuclear Threats) কণা তাঁর কাছে ঋণী। সেই আজাহারই দিল্লি ও মুম্বইকে কাঁপিয়েছিল।”

    জইশ জঙ্গিদের সৎকারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ

    ইলিয়াসের দাবি, ‘ভাওয়ালপুরে নিহত জইশ জঙ্গিদের সৎকারে যোগ দেওয়ার নির্দেশ সরাসরি দেওয়া হয়েছিল পাক সেনার সদর দফতর থেকে। সেনাপ্রধানের নির্দেশে সেখানে পাঠানোও হয়েছিল জেনারেলদের। তার পরে পাক সেনা ঘটনাটি আড়াল করার চেষ্টা করে, যাতে ভাওয়ালপুর ও জইশের যোগসূত্র প্রকাশ্যে না আসে।’ জইশ কমান্ডারের এই স্বীকারোক্তিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। সেটি হল, অপারেশন সিঁদুরের পর পাক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতের এই অভিযান নাড়িয়ে দিয়েছে তাদের নেটওয়ার্কের ভিত। ভিডিওতে ইলিয়াস স্বীকার করেন, ৭ মে ভাওয়ালপুরে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের সদর দফতরে ভারত যে বিমান হামলা চালিয়েছিল, তা ছিল ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ। সেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন হিন্দু পর্যটক। ভাওয়ালপুর ছাড়াও পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আরও আটটি জঙ্গি ঘাঁটিও চোখের নিমেষে ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বিমান বাহিনী।

    সুস্থ নারী, শক্তিশালী পরিবার অভিযান

    এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বিজেপির সেবা পক্ষ অভিযানেরও সূচনা করেন। ফি বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা নানান সেবামূলক কাজ করেন। ধরের ওই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান, দেশে শুরু হচ্ছে সুস্থ নারী, শক্তিশালী পরিবার অভিযান। এই অভিযানে বিনামূল্যে ওষুধ ও নানান টেস্টের সুবিধা পাবেন মহিলারা। এতে উপকৃত হবেন ৪ কোটিরও বেশি মহিলা। মানসিক স্বাস্থ্য, অ্যানিমিয়া ও লাইফস্টাইল সংক্রান্ত রোগের সুবিধাও মিলবে সেবা পক্ষের ওই বিশেষ শিবিরে (Nuclear Threats)। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মেগা ইন্টিগ্রেটেড টেক্সাটাইল রিজিওন অ্যান্ড অ্যাপারেল পার্কেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ওই অনুষ্ঠানে। বলেন, “দেশের কোটি কোটি মা-বোন আমায় আশীর্বাদ করেছেন। ধরে দেশের বৃহত্তম ইন্টিগ্রেটেড টেক্সটাইল পার্ক দেশের শিল্পকে নয়া শক্তি দেবে। কৃষকরা পাবেন ন্যায্য মূল্য (PM Modi)।”

  • Tommy Robinson: “হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ, শান্তিপ্রিয়”, বললেন মোদির ‘ফ্যান’ ব্রিটেনের টমি রবিনসন

    Tommy Robinson: “হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ, শান্তিপ্রিয়”, বললেন মোদির ‘ফ্যান’ ব্রিটেনের টমি রবিনসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দুরা অন্যান্য অভিবাসী গোষ্ঠীর থেকে একেবারেই আলাদা। তারা ব্রিটিশদের সঙ্গে মেলামেশা করে এবং ব্রিটিশ সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হিন্দুরা কখনওই ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায় না। তারা ব্রিটিশ পরিচয়ের ক্ষয়ক্ষতির কারণও নয়।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি কিন্তু ধর্মে হিন্দু নন। তাঁর নাম টমি রবিনসন (Tommy Robinson)। এই মুহূর্তে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। কারণ লন্ডনে বৃহৎ পরিসরের অভিবাসী-বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনিই।

    ব্রিটিশের মুখে হিন্দু প্রশস্তি (Tommy Robinson)

    ভারতীয়, বিশেষ করে ব্রিটেনের (UK) হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি খুবই আলাদা ও বিশেষ মনোভাব রয়েছে তাঁর। যদিও দেশে যে বেনো জলের মতো অভিবাসীদের দল ঢুকে পড়ছে, তা নিয়ে তিনি অত্যন্ত হতাশ ও ক্ষুব্ধ তিনি। রবিনসন নিজেকে একাধিকবার হিন্দুদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, তারা (হিন্দুরা) ব্রিটিশ জীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। হিন্দুদের তিনি বর্ণনা করেছেন ‘শান্তিপূর্ণ’ ও ‘শান্তিপ্রিয়’ অভিবাসী সম্প্রদায় হিসেবে। তাই তিনি ব্রিটিশ সংস্কৃতি ও পরিচয়ের জন্য হিন্দুদের হুমকিস্বরূপ বলে মনে করেন না।

    আমি হিন্দুদের পাশেই দাঁড়াব

    অবশ্য এই প্রথম নয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি টমি রবিনসনের সমর্থন গত বেশ কয়েক বছর ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০২২ সালে এশিয়া কাপ ক্রিকেট খেলা চলাকালীন লেস্টারে ব্রিটিশ হিন্দু-মুসলিমদের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সময় তিনি ঘোষণা করেছিলেন, প্রয়োজনে তিনি শত শত মানুষকে মোবিলাইজ করবেন ব্রিটিশ হিন্দুদের পক্ষে লড়াই করতে এবং তাদের রক্ষা করতে। ওই বছরই এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “কখনও কখনও ব্রিটেনে হিন্দুদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। তবে আমি কিন্তু তাদের পাশেই দাঁড়াব।”

    ব্রিটিশ রাজনীতিকদেরও নিশানা

    ব্রিটিশ রাজনীতিকদেরও একহাত নেন রবিনসন। তাঁর অভিযোগ, ব্রিটিশ রাজনীতিকরা হিন্দুদের পাশে দাঁড়াননি, রক্ষা করেননি তাঁদের অধিকার। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে হিন্দুদের সংগ্রাম দেখেছি। এর সঙ্গে আমার ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযানের সঙ্গে খুবই মিল রয়েছে।” হিন্দুরা কীভাবে পক্ষপাতমূলক রাজনীতির শিকার হচ্ছেন, আপোষমূলক রাজনীতির ভুক্তভোগী হচ্ছেন এবং কয়েকটি ইসলামি গোষ্ঠীর টার্গেট হচ্ছেন, তাও তুলে ধরেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। হিন্দুদের প্রতি তাঁর আহ্বান, ‘আপনারা নির্জীব না থেকে সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করুন এবং নিজেদের রক্ষা করুন (Tommy Robinson)।’

    রবিনসনের মোদি-স্তুতি

    কেবল হিন্দু নন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও ভক্ত রবিনসন। ২০২৪ সালে যখন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন মোদি, তখন তাঁর জয় উদযাপন করেছিলেন তিনি। ভারতের রাজনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসাও করেন। একে তাঁর পপুলিস্ট মতাদর্শ ও ব্রিটেনের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তুলনা করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে রবিনসন কমপক্ষে দু’টি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি তাঁর সমর্থন প্রকাশ করেন (UK)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট জয়ী হয়। এর পরে কমিউনিজমের মোকাবিলা করে তৃতীয়বার এনডিএ ক্ষমতায় আসায় তাদের অভিনন্দনও জ্ঞাপন করেন রবিনসন। বিশেষজ্ঞদের মতে, রবিনসনের হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রধান কারণগুলির একটি হল, এই সম্প্রদায় সাধারণত কোনও হিংসা বা ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয় না। এরা সম্পূর্ণভাবে দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।

    মুসলিমদের প্রতি তাঁর মনোভাব

    যদিও রবিনসনের বিরোধীদের বক্তব্য, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর এই সমর্থন একটি পরিকল্পিত কৌশল। এটি তাঁকে এমন এক ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে যে তিনি সম্পূর্ণভাবে অভিবাসনের বিরুদ্ধে নন, যেমনটি বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে তুলে ধরা হয়। বরং তাঁর প্রতিবাদ শুধুমাত্র সেই সব অভিবাসীদের বিরুদ্ধে, যাঁরা ব্রিটিশ পরিচয় ও সংস্কৃতির পক্ষে হুমকি স্বরূপ এবং যাঁরা দেশের সামাজিক বন্ধনকে নষ্ট করে হিংসায় উসকানি দেয় (Tommy Robinson)। রবিনসন তাঁর অ্যাক্টিভিজমকে মুক্ত বাকস্বাধীনতা এবং জাতীয় পরিচয়ের রক্ষাকবচ হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও তাঁর মতাদর্শের মধ্যে স্পষ্ট, তিনি মুসলিমদের ‘আক্রমণকারী’ এবং ‘অপরাধী’ হিসেবেই চিহ্নিত করেন (UK)।

    ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’

    প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ দক্ষিণপন্থী কর্মী রবিনসন সম্প্রতি খোদ লন্ডনে (ব্রিটেনের রাজধানী) এক বিশাল মিছিলেন নেতৃত্ব দেন। ওই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। এই কর্মসূচির নাম ছিল ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’, যা মূলত অভিবাসনবিরোধী আন্দোলন হিসেবেই পরিচিত। মনে রাখা প্রয়োজন, রবিনসনের হিন্দুদের প্রতি মন্তব্য এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন ভারতীয় সম্প্রদায় দক্ষিণ এশিয় পরিচয় প্রত্যাখ্যান করেছে (UK)। কারণ এর মধ্যে পাকিস্তানিরাও রয়েছে। এই পাকিস্তানিরাই ব্রিটেনে গ্রুমিং গ্যাং পরিচালনা করেছিল বলে অভিযোগ (Tommy Robinson)।

LinkedIn
Share